Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Murshidabad: “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন” অভিষেককে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    Murshidabad: “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন” অভিষেককে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ভারতীয় জনতা পার্টির মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উদ্বোধনের পর তিনি বললেন যে নসিপুর-আজিমগঞ্জ রেল ব্রিজ চালু হয়ে গেলে মুর্শিদাবাদ পর্যটক কেন্দ্রের আদর্শ স্থানে পরিণত হবে। সেই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তৃণমূলের দিল্লি যাত্রাকে নিশানা করে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন।”

    জেলা কার্যালয় উদ্বোধন (Murshidabad)

    সুকান্ত মজুমদার বহরমপুর (Murshidabad) থেকে লালবাগ রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে এসে গাড়ি থেকে নেমে, পায়ে হেঁটে লালবাগ সিরাজদৌলা রোড সংলগ্ন মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা কার্যালয় গিয়ে ফিতে কেটে, প্রদীপ প্রজ্জলন করে জেলার সাংগঠনিক জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন যে আপনারা জানেন বহরমপুর এবং মুর্শিদাবাদ এই দুটি লোকসভা কেন্দ্র, তাই সাংগঠনিক ভাবে একসাথে ছিল। কিন্তু পরে সাংগঠনিক ভাবে আলাদা জেলার সিদ্ধান্তের কথা আগেই ঘোষণা হয়েছে। জঙ্গিপুর নিয়ে এই জেলায় বিজেপির সংগঠনিক জেলা মোট তিনটি। ফলে বিজেপি আরও শক্তিশালী হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন। 

    মুর্শিদাবাদের উন্নয়ন নিয়ে কী বললেন?

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) এই দিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, মাননীয় নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে সব জায়গার উন্নতি হচ্ছে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ একটু কম হচ্ছে। তার কারণ, এখানে স্পিড ব্রেকার মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। এখানে উন্নয়ন করার জন্য জমি পাওয়া যায় না, তার মধ্যেও আমরা নসিপুর ব্রিজ এবং তার প্রস্তাবিত লাইন সেটা সম্পূর্ণ করেছি। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এই ট্রেন রুট চালু করা হবে। মুর্শিদাবাদ স্টেশন এবং আজিমগঞ্জ স্টেশন এই দুটি স্টেশন অমৃত ভারত প্রকল্পে স্থান পেয়েছে । এখানে আমাদের সাংসদ নেই কিন্তু কোনরকম বৈমাত্রিক সুলভ আচরণ করিনা, কেন্দ্রীয় সরকার সব জায়গাকে সমান চোখে দেখছেন। আর তার উদাহরণ হচ্ছে এই জেলা। কিছুদিনের মধ্যেই নসিপুর-আজিমগঞ্জ রেল ব্রিজ চালু হয়ে গেলে, মুর্শিদাবাদ পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

    তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা নিয়ে কী বললেন?

    মুর্শিদাবাদ থেকে (Murshidabad) তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা সম্পর্কে সুকান্ত বলেন, “একশ দিনের টাকা হোক বা আবাস যোজনার টাকা হোক, যারা চুরি করতো তারাই দিল্লি যাচ্ছে।” তিনি এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সাবধান করে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন। বাড়িঘর তালা মেরে সাবধানে রাখবেন, না হলে চুরি হয়ে যেতে পারে। ইডি শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমন করেনি, লিপস এন্ড বাউন্স কোম্পানিতে যাঁরা দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন, সিইও ছিলেন এবং ওনার বাবা-মাকেও সমন করেছে । আপনি চুরি করবেন আর বেঁচে যাবেন, এটা নরেন্দ্র মোদির আমলে হবে না। চুরি করলে অবশ্যই তার শাস্তি ভোগ করতে হবে।”

    কর্ণসুবর্ণতে আমার মাটি আমারদেশ

    সুকান্ত মজুমদার শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণতে (Murshidabad) আমার দেশ আমার মাটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। বিকেল ৩ টের সময় বহরমপুর টেক্সটাইল মোড়ে বিজেপির জনসভায় যোগদান করেন। এছাড়াও সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্য বিজেপির সম্পাদক তথা মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ, রাজ্য কমিটির সদস্য দীপঙ্কর চৌধুরী, সাংগঠনিক মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি সৌমেন মন্ডল এবং বহরমপুর বিধানসভার বিধায়ক সুব্রত মৈত্র এবং কেন্দ্রীয় হজ কমিটির সদস্যা মাফুজা খাতুন উপস্থিতিতে সাংগঠনিক মুর্শিদাবাদ জেলার কার্য্যালয়ের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়ি জুড়ে সারের কালোবাজারি, মাথায় হাত কৃষকদের, কী করছে প্রশাসন?

    Siliguri: শিলিগুড়ি জুড়ে সারের কালোবাজারি, মাথায় হাত কৃষকদের, কী করছে প্রশাসন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমাজুড়ে চলছে সারের কালোবাজারি। দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে সার। ফসলের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়াহয় চাষিদের মাথায় হাত। শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি ও মাটিগাড়া ব্লকে আলু, পাট, ধান সহ নানা ধরনের মরশুমি সব্জি চাষ হয়ে থাকে। শীতের নানা ধরনের সব্জি  চাষ শুরু হয় এই সময়েই। এই সুযোগে প্রকাশ্যে সারের কালোবাজারি শুরু হয় গিয়েছে বলে কৃষকদের অভিযোগ।

     কী বলছেন কৃষকরা? (Siliguri)

    শিলিগুড়ির  ফাঁসিদেওয়ার স্বদেশ দাস, খড়িবাড়ির প্রফুল্ল বর্মন বলেন, আলু চাষের সময় ব্যবসায়ীরা সারের কৃত্তিম সঙ্কট তৈরি করেন। জোগান কম দেখিয়ে তারা দ্বিগুণ দামে সার বিক্রি করছেন। ইউরিয়ার ৪৫ কেজির বস্তায় দাম লেখা রয়েছে ২৬৬ টাকা। আমাদের ৪০০ টাকায় কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। পটাশের সরকারি নির্ধারিত দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি। এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি।  ফসফেটেও কালোবাজারি চলছে। সরকারি মূল্য তালিকা দেখানো হলেও সার ব্যবসায়ীরা তা মানতে চাইছে না। বেশি দামে সার কেনার পর জিএসটি সহ বিলও পাচ্ছি না আমরা। চাপাচাপি করলে আমাদের  কাছে সার বিক্রি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।  

    কী বলছেন সার ব্যবসায়ীরা?

    নাম প্রকাশে  অনিচ্ছুক শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার সার বিক্রেতাদের একাংশের বক্তব্য, সব জিনিসের দাম বেড়েছে। সারের প্যাকেটে যে দাম লেখা থাকে সেই দামে বিক্রি করলে আমাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। ক্যারিং কস্ট বহুগুণ বেড়েছে। কিন্তু, সরকার সারের দাম বাড়ায়নি। তাই বাধ্য হয়ে বাড়তি খরচ ধরে নিয়ে আমরা সার বিক্রি করছি। তাতে সামান্য কিছু টাকা বেশি দিতে হচ্ছে কৃষকদের।

     প্রতিবাদ আন্দোলনে বিজেপির কিষাণ মোর্চা

    বিজেপির কিষাণ মোর্চার  শিলিগুড়ি (Siliguri) সাংগঠনিক জেলা কমিটির  সহ-সভাপতি  স্বপন কুমার বর্মন বলেন, মূলত আলু চাষ শুরুর সময় থেকে গত তিন মাস ধরে  শিলিগুড়ি মহকুমা জুড়ে সারের কালোবাজারি চলছে। আলুর সঙ্গে এই সময় কপি সহ শীতের নানা ধরনের সব্জি চাষ শুরু হয়। এই চাহিদার জন্য এসময় সারের কালোবাজারি শুরু হয়। এতে কৃষকের নাভিশ্বাস অবস্থা। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে ফাঁসিদেওয়া ও  খড়িবাড়ি ব্লকের বিডিওকে স্মারকলিপি দিয়েছি।  কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। প্রশাসন ঘুমিয়ে রয়েছে। রাজ্য সরকারের বিষয়টি কেন দেখছে না বুঝতে পারছি না।   

    কী বলছে প্রশাসন?

    শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার দায়িত্বে থাকা কৃষি দফতরের যুগ্ম আধিকর্তা পার্থ রায় বলেন, আমাদের কাছে সারের কালোবাজারি নিয়ে কোনও কৃষক লিখিতভাবে অভিযোগ করেনি। তবুও, আমরা প্রতিটি জায়গায়  নজর রেখেছি। নিয়মিত অভিযান চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: আদিবাসী সমাজের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ ধর্মতলা, প্রবল যানজট, চূড়ান্ত হয়রানির শিকার নিত্যযাত্রীরা

    Howrah: আদিবাসী সমাজের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ ধর্মতলা, প্রবল যানজট, চূড়ান্ত হয়রানির শিকার নিত্যযাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক মদতে কুড়মি-মাহাতোরা জোর করে তফসিলি জনজাতির তকমা পেতে চাইছেন। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে আদিবাসী সমাজের উপর দমন পীড়নের প্রতিবাদে পথে নেমেছে ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন্‌স’। প্রতিবাদে বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা মিছিল করে কলকাতার রানী রাসমণি রোডের এই সমাবেশে উপস্থিত হন। এর ফলে প্রবল যানজটে অবরুদ্ধ হয় কলকাতা সহ হাওড়া (Howrah) জেলার নানা জায়গা। নিত্যযাত্রী, সাধারণ মানুষকে পড়তে হয় ব্যাপক হয়রানিতে। আদিবাসী সমাজ এই যানজটের দায় চাপিয়েছে পুলিশের উপর।

    প্রতিবাদ সমাবেশে মূল দাবি কি?

    ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন্‌স’-এর পক্ষ থেকে এই সভায় তাদের দাবি করা হয়, তাঁদের ছাড়া অন্য কাউকে ‘সিডিউল ট্রাইব’-এর মর্যাদা দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে নকল এসটি সার্টিফিকেট ইস্যু বন্ধ করতে হবে। ২০০৬ সালের বন্য আইন সারা রাজ্যে চালু করারও দাবি জানান তাঁরা। সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য, বিভিন্ন জেলা থেকে হাওড়া (Howrah) স্টেশনে এসে জড়ো হন হাজার হাজার আদিবাসী সমাজের মানুষ।

    হাওড়ায় (Howrah) ব্যাপক যানজট

    আজ, হাওড়া (Howrah) স্টেশন থেকে হাওড়া ব্রিজ হয়ে, মিছিল করে, ধর্মতলায় রানী রাসমণি রোডে সভায় অংশ নিতে যান আন্দোলনকারীরা। অনেকে আবার লঞ্চ পেরিয়েও ধর্মতলা পৌঁছান। আদিবাসীদের এই মিছিলের জেরে হাওড়া এবং কলকাতায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। হাওড়া ব্রিজে যান চলাচল ব্যাহত হয়। হাজার হাজার লোকের মিছিলের জেরে হাওড়া ব্রিজে বেশ কয়েক দফা যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম বিপাকে পড়েন হাজার হাজার নিত্যযাত্রী। শুধুমাত্র হাওড়া ব্রিজ নয় হাওড়া ময়দান এবং সালকিয়া পর্যন্ত এই যানজট বিস্তৃত হয়।

    অবরুদ্ধ কলকাতা

    কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে পোস্ট করে জানানো হয়, মিছিলের জেরে অবরুদ্ধ ধর্মতলা ক্রসিং, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, লেনিন সরণী, জহরলাল নেহরু রোড, রেড রোড, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট এবং মেয়ো রোড। হাওড়া (Howrah) ও কলকাতায় এই যানজটের জেরে আটকে পড়েন হাজার হাজার অফিস যাত্রী। তাঁদের পায়ে হেঁটে পৌঁছাতে হয় অফিসে। এর জেরে অনেকেই দেরিতে অফিস পৌঁছান। হাওড়া ব্রিজ, স্ট্র্যান্ড রোড,  ব্র্যাবোর্ন রোড সহ বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে।

    আদিবাসী সংগঠনের বক্তব্য

    হাওড়া (Howrah) ও কলকাতায় এই ব্যাপক যানজটের কথা তুলে ধরে আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, “পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আমরা এই সমাবেশে যোগ দিয়েছি। ফলে যানজটের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে পুলিশের আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। পুলিশের আগে থেকেই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেনি। তাই সব দায় পুলিশের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: বিজেপিকে জেতানোর অপরাধ! কেটে দেওয়া হল বাঁশের সাঁকো, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Arambagh: বিজেপিকে জেতানোর অপরাধ! কেটে দেওয়া হল বাঁশের সাঁকো, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক মাস আগেই আরামবাগে বিজেপি কাউন্সিলারের ওয়ার্ড বলে রাস্তা সংস্কার না করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে বনগাঁয় বিজেপি করার অপরাধে এক দলীয় কর্মীর উপর হামলা এবং ছেলে বাঁচাতে গিয়ে খুন হন মা। নৃশংস এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল। এসব ঘটনার মধ্যে এবার পঞ্চায়েতে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কারণে যোগাযোগের বাঁশের সাঁকো কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের  (Arambagh) খানাকুল-২ ব্লক এলাকার নতিবপুর-১ ও ২ পঞ্চায়েত এলাকায়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Arambagh)

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে আরামবাগের (Arambagh) খানাকুল-২ ব্লক এলাকার নতিবপুর-১ পঞ্চায়েতে তৃণমূল জয়লাভ করে। নতিবপুর-২ পঞ্চায়েত দখল করে বিজেপি। এই দুই গ্রামপঞ্চায়েতের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে মুণ্ডেশ্বরী নদী। তার উপরই বাঁশের সাঁকো। সেই সাঁকো রাতের অন্ধকারে নদীতে জল বাড়ার সুযোগ নিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেই সাঁকোই করাত দিয়ে কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলের স্থানীয় নেতা- কর্মীদের বিরুদ্ধে। খানাকুলের বালিগোড়ি গ্রামে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার লোকজন। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কারণে এমনটা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। ঘটনাস্থলে যান বিজেপির বিধায়ক। এলাকা ঘুরে তিনিও তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের মানুষ যাতায়াত করতে পারছেন না। বুড়ো-বাচ্চাদের নিয়ে আরও সমস্যা হচ্ছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, এখানে বিজেপির পঞ্চায়েত। মানুষের কাছে ভুল বার্তা দিতেই এসব করছে। স্থানীয় কিছু তৃণমূল নেতাও তাতে জড়িত রয়েছে। রাতের অন্ধকারে ব্রিজের একটা অংশ কেটে দেওয়া হয়। আর তার জেরেই জলের হালকা স্রোতে বাকিটা ভেসে যায়। আমিও ওখানে গিয়ে দেখেছি, চারপাশে কাঠের গুঁড়ো ছড়ানো। মেশিন দিয়ে ওই ব্রিজটি কাটা হয়েছে। খানাকুল থানার ওসিকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানিয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ব্লক সম্পাদক বিপ্লব লহরী বলেন, সুশান্ত ঘোষ এটা নিয়ে রাজনীতি করছেন। আসলে ব্রিজটি ভগ্নপ্রায়ই ছিল। ডিভিসি জল ছেড়েছে। সেই জলের তোড়ে ব্রিজটিকে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। তৃণমূল এসব কেন করতে যাবে? রাজনীতি করতে বিজেপ এসব করছে। তৃণমূল কোনওদিনই এসব চায় না।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Skoch Award for Bengal: বীরভূমে অভিনব মানবিক শিক্ষাদান, স্কচ পুরস্কার পাচ্ছে “আনন্দ পাঠ”, তীব্র উচ্ছ্বাস জেলায়

    Skoch Award for Bengal: বীরভূমে অভিনব মানবিক শিক্ষাদান, স্কচ পুরস্কার পাচ্ছে “আনন্দ পাঠ”, তীব্র উচ্ছ্বাস জেলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার সময় পর্ব থেকেই সারা বিশ্বে সবথেকে বেশি শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে পড়াশুনার শিক্ষা ব্যবস্থায়। দিনের পর দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, বন্ধ থাকায় শিক্ষায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। শুধু তাই নয় রাজ্যে প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত ছুটি, পড়ুয়াদের পড়ার আগ্রহকে অনেকটাই কম করে দিয়েছে বলে, শিক্ষাবিদদের একাংশ দাবি করেছেন। এই প্রভাবকে কাটাতেই বীরভূমের স্কুল শিক্ষায় এক অভিনব মানবিক উদ্যোগের ছবি ধরা পড়েছে “আনন্দ পাঠ” দানে। জেলাশাসক বিধান রায় নিজের প্রচেষ্টায় পিছিয়ে থাকা পরিবারগুলিতে শিক্ষার আলো পৌঁছানোর বিশেষ ব্যবস্থা করেন। বীরভূমের শান্তিনিকেতনে এই উদ্যোগের ফলে এই বছর স্কচ পুরস্কার (Skoch Award for Bengal) পাচ্ছে “আনন্দ পাঠ”। এই পুরস্কারকে ঘিরে জেলাবাসীদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস। দিল্লীতে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জেলা শাসকের হাতে এই পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

    কেন এই অভিনব উদ্যোগ(Skoch Award for Bengal)?

    সমাজের পিছিয়ে থাকা শিশুদের লক্ষ করেই শিক্ষার আলো পৌঁছানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় এই “আনন্দ পাঠে” শিক্ষা পদ্ধতির মধ্যে। সমাজে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে রয়েছেন, বাবা-মা নেই  অথবা বিশেষ ভাবে সক্ষম বাচ্চাদের পড়াশুনার জন্য এই পাঠের ব্যবস্থা করা হয়। করোনার সময় থেকেই রাজ্যের স্কুলগুলি বন্ধ থাকায় পড়াশুনার নিয়মিত ছন্দে ব্যাঘাত ঘটেছে। এছাড়াও রাজ্যের সীমাহীন স্কুল ছুটি, বিশেষ করে বাচ্চা-শিশুদের পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। এই কথাকে মাথায় রেখেই বীরভূম প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রদানের এক মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে এই স্কচ সম্মানে (Skoch Award for Bengal) জেলা প্রশাসনের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।

    কীভাবে পড়াশুনা চলত আনন্দ পাঠ

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামে-গ্রামে, পাড়ায়-পাড়ায় প্রাথমিকের স্কুলে পড়াশুনা করে, এমন বাচ্চাদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করানো হয়। ছড়ার ছলে, গল্পের ছলে, ছবি এঁকে বা বাস্তব উদাহরণ দিয়ে, শিশুদের মনে পড়াশুনার আগ্রহকে চমৎকার ভাবে তুলে ধরা হয়। বিষয় উপস্থাপনের উপর গুরুত্ব দিয়ে পড়াশুনার আগ্রহকে বৃদ্ধি করার উপর নজর দেওয়া হয়। এছাড়াও পড়াশুনার বাইরের নান্দনিক বিষয়কে বাড়তি গুরুত্ব আরোপ হয়েছে। একই ভাবে শিক্ষা গ্রহণের জন্য শিশুদের পরিবারে যাতে একটা পড়াশুনার পরিবেশ বা বাতাবরণ তৈরি হয়, সেই ভাবনার উপরেও জোর দেওয়া হয়। আর এই পাঠকে সুনিশ্চিত করার কাজ করেছে “আনন্দ পাঠ”।  

    মূলত একজন দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক গ্রামে গ্রামে গিয়ে, সকালে ৭ টা থেকে ৯ টা  এবং বিকেল ৪ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত এই পড়াশুনার ক্লাস করান। এটা কোনও ক্লাসের পড়া নয়। পরোটাই শিশুদের মানসিক স্তরের উপর নির্ভর করে ক্লাস করানো হয়। এই অভিনব মানবিক উদ্যোগে স্কচ পুরস্কারে (Skoch Award for Bengal) সম্মানিত হওয়ায় খুশির আবহ বীরভূম জেলায়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: রাস্তাতেও কাটমানি! পথশ্রী প্রকল্পে তৈরি রাস্তার হাল দেখলে চমকে উঠবেন

    South 24 Parganas: রাস্তাতেও কাটমানি! পথশ্রী প্রকল্পে তৈরি রাস্তার হাল দেখলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প পথশ্রী। সেই প্রকল্পের কাজেও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার একতারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। কাটমানি খেয়ে বেহাল রাস্তা না করার জন্য তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে বলতে গেলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার একতারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি রাস্তা তৈরির জন্য ৪১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৭৮ টাকা বরাদ্দ হয়। অন্যদিকে, এলাকার মানুষদের আরও অভিযোগ, ঢালাই রাস্তার ওপরে আবারও ঢালাই ফেলে টাকা নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েছে শাসক দল। আর তা নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যকে বলতে গেলেই হুমকির মুখে পড়তে হয় এলাকার মানুষদের। সেই ঢালাই রাস্তার একাংশ কার্যত মাটির রাস্তায় পরণত হয়েছে। আর সেই বেহাল মাটির রাস্তার ওপর দিয়েই প্রাণ হাতে করে নিয়ে যাতায়াত করতে হয় এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ও অন্যান্যদের। এমনকী প্রসূতি মহিলা বা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেও যাতায়াতের জন্য এই বেহাল রাস্তায় ভরসা।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    এই গ্রামের বেহাল রাস্তার মাঝে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে একটি কালভার্ট তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে সেই কালভার্টের বেহাল অবস্থা। নিত্যদিন দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। নিজেদের সমস্যার কথা একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েও এখনও পর্যন্ত কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে, দুর্ভোগে দিন কাটছে একতারা গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের।

    পঞ্চায়েতের কী অবস্থান?

    স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, কাউকে কোনও হুমকি দেওয়া হয়নি। এসব মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় একতারা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রীতি মণ্ডল বলেন, আমি সবেমাত্র এক মাস প্রধান পদে দায়িত্ব পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে কাজ শুরু করা হবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    তবে, এই বিষয়ে ডায়মন্ডহারবার সংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি সুফল ঘাঁটু তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, কয়লা চোর, বালি চোর তৃণমূলের পক্ষেই এইসব কাজ সম্ভব। রাস্তাতেও ওরা কাটমানি খেয়ে কাজ অসম্পূর্ণ করে রেখেছে। আমাদের দাবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জেলা প্রশাসন অবিলম্বে এর তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদা জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, চিহ্নিত হটস্পট জোন, নামানো হল ড্রোন

    Malda: মালদা জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, চিহ্নিত হটস্পট জোন, নামানো হল ড্রোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় (Malda) ক্রমশ আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। চলতি বছরের জেলায় মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১২১৩ জন। গত সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১০ জন। চলতি সপ্তাহে এখনও পর্যন্ত চল্লিশ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ইংরেজবাজারের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড, রতুয়া-১ নম্বর ব্লক এবং কালিয়াচক -৩ নম্বর ব্লকে।

    পরিস্থিতি মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স গঠন

    ডেঙ্গি (Malda) পরিস্থিতি মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স গঠন করল মালদা জেলা প্রশাসন। সমস্ত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এমনকী  ড্রোন উড়িয়ে জমা জল খোঁজার কাজ শুরু করল মালদা জেলা প্রশাসন ও পুরসভা। স্কুল এবং নার্সিংহোমগুলি পরিদর্শন করবে টাক্স ফোর্স। কোনও বেসরকারি নার্সিংহোম বা হাসপাতাল ডেঙ্গি প্রটোকল না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকী লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কোন কোন এলাকা হটস্পট জোন করা হয়েছে?

    জানা গিয়েছে, মালদা (Malda) জেলায় হুহু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে মালদা জেলাকে ডেঙ্গি প্রবন এলাকা বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ইংরেজবাজারের চারটি ওয়ার্ড ৭,১২,১৩ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ড ও ১২ গ্রাম পঞ্চায়েতকে হটস্পট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই জরুরি ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন বৈঠক ডাকে। সেখানে জেলার দুই পুরসভা সমস্ত কাউন্সিলার, গ্রামপঞ্চায়তের জন প্রতিনিধি সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ডাকা হয়। সেখানে জেলাশাসক নীতিন সিংঘানিয়া বলেন, হটস্পট এলাকাগুলিতে ড্রোন সার্ভে করা হবে। যাতে কোথাও জল জমা না থাকে। এক সপ্তাহ অন্তর রিপোর্ট নেওয়া হবে। গ্রামের ক্ষেত্রে বৈঠক করতে হবে। স্কুলগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে। জেলার ৩২০০ স্কুলের শিক্ষকদের সতর্ক করা হয়েছে। স্কুল পরিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় সমস্ত চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হটস্পট জোনে নজর দারি করা হবে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা! টাকা আদায়ে তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মার

    Malda: প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা! টাকা আদায়ে তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজুড়ে এখন তোলপাড়। অনেকে এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলের ঘাঁনি টানছেন। অনেক তৃণমূল নেতা চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলে দিব্বি জেলের বাইরে হাওয়া খেয়ে বেড়াচ্ছেন। এবার সেই সব নেতাদের চিহ্নিত করে বেধড়ক পিটিয়ে পাওনা টাকা আদায়ের চেষ্টা করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। মালদা (Malda) জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য স্বপন মিশ্রকে বেধড়ক পেটানোর ঘটনা সেকথায় প্রমাণ করেছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে জনরোষ তৈরি হচ্ছে। আগামীদিনে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে বলে বিরোধীদের দাবি।

    তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে স্বপন মিশ্র মালদা (Malda) জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল।  বহু মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা পাবেন। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার চার থেকে পাঁচটি অভিযোগ থানায় জমা পড়েছে। অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন তিনি। বহু মানুষ চাকরি পাননি। কিন্তু, তাদের টাকার ফেরতও দেননি। টাকা ফেরতের জন্য বহুবার  দরবার করেছেন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছু হয়নি। অবশেষে তৃণমূল নেতার উপর চড়াও হয়ে টাকা আদায়ের জন্য চাপ দেন এক ব্যক্তি।

    ভাইরাল ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে?

    ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি বাড়িতে ঘরের ভিতর চেয়ারে বসে রয়েছেন মালদা (Malda) প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন মিশ্র। তাঁর কলার ধরে প্রশ্ন করছেন এক যুবক। একটাই প্রশ্ন, ‘সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকাটা কই? বল কবে টাকা ফেরত দিবি?’ মার খেয়ে কাতরাতে কাতরাতে তৃণমূল নেতা শুধু বলছেন, ‘এখন টাকা দিতে পারব না, সময় দিতে হবে।’ আর এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলাজুড়ে।

    কী বললেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ওই ব্যক্তি দলের এখন কোনও পদে নেই। আর দলের নাম ভাঙিয়ে যে দুর্নীতি করেছে তার দায় দল নেবে না। যারা প্রতরিত হয়েছে তাদের আইনের দ্বারস্থ হয়ে দোষী ব্যক্তির শাস্তির ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেব।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: বাংলাদেশে বাড়ছে ডেঙ্গি, সীমান্তে সক্রিয় কিট পাচারচক্র! কীভাবে?

    Dengue: বাংলাদেশে বাড়ছে ডেঙ্গি, সীমান্তে সক্রিয় কিট পাচারচক্র! কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে গরু পাচার, হেরোইন পাচার, সোনা পাচার হওয়ার খবর শোনা যায়। এবার ভারত-বাংলাদেশে উত্তর ২৪ পরগনা সীমান্ত এলাকায় ডেঙ্গি (Dengue) কিট পাচার চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ, পুলিশ বিএসএফের নজর এড়িয়ে ছোট জিনিস পাচার করা তুলনায় সহজ। তাই, সীমান্তে এই কিট পাচার চলছে। পুলিশ ও বিএসএফের হাতে কয়েকজন পাচারকারী গ্রেফতারও হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার কিট। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই তথ্য সামনে এসেছে।

    কেন বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে ডেঙ্গি কিট? (Dengue)

    এ রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি। নদিয়া জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও বহু মানুষ আক্রান্ত। এর পাশাপাশি বর্ষায় বাংলাদেশেও ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ ছড়িয়েছে। সে কারণেই ও দেশে ডেঙ্গি পরীক্ষার কিটের চাহিদা বেড়েছে। তা ছাড়া, পাচারকারীদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে ভারত থেকে বাংলাদেশে কিট নিয়ে যেতে পারলে লাভ অনেক বেশি।বিভিন্ন বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে কিট কিনতে পাওয়া যায়। ওদেশে ডেঙ্গি পরীক্ষার খরচও অনেক বেশি। এখানে যদি ডেঙ্গি পরীক্ষার জন্য ১০০ টাকা খরচ হয়, বাংলাদেশে খরচ পড়ে ১ হাজার টাকা। তাই এই চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ডেঙ্গি কিটের মতো ছোট জিনিস পাচারে ঝুঁকি অনেক কম। সীমান্তে থাকা কাঁটাতারের ওপারে ডেঙ্গি কিটের ব্যাগ ছুঁড়ে ফেলতে হবে। কাজ ঠিকঠাক হলেই মিলবে টাকা। পরে, পাচারকারীরা এসে সেই ব্যাগ নিয়ে চলে যায়। ডেঙ্গি কিট পাচার চক্রের সদস্যেরা নানা টোপ দিয়ে গ্রামের চাষি, বেকার যুবকদের এ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    সম্প্রতি পেট্টাপোল থানার পুলিশের কাছে খবর এসেছিল, এক বাংলাদেশি পাচারকারী পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে এ দেশ থেকে ডেঙ্গির (Dengue) কিট পাচার করার চেষ্টা করছে। ওই পাচারকারী আগেও এই কাজ করেছে। পুলিশ পেট্রাপোল সীমান্তে নজরদারি বাড়ায়। পাচারকারী সীমান্ত এলাকায় আসতেই তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। ধৃতের নাম মহম্মদ সোহেল রানা। বাড়ি বাংলাদেশের বেনাপোল থানার সাদিপুর এলাকায়। তার কাছ থেকে ৬৮ প্যাকেট ডেঙ্গির কিট আটক করা হয়। এক একটি প্যাকেটে ২৫টি করে কিট ছিল, যার মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানিয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে ওই দুষ্কৃতী কয়েক বার ভারতে এসেছিল বৈধ পাসপোর্ট ও ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে। প্রতি বারই সে ডেঙ্গির কিট কলকাতা থেকে কিনে বাংলাদেশে পাচার করেছে। এ বারই প্রথম ধরা পড়ল। এর আগেও একজনের কাছে থেকে ৯ লক্ষ টাকার কিট বাজেয়াপ্ত করা হয়। বনগাঁর এসডিপিও অর্ক পাঁজা বলেন, সন্দেহজনক কাউকে দেখলে তল্লাশি করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bongaon: বিজেপি করা অপরাধ! ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হলেন মা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Bongaon: বিজেপি করা অপরাধ! ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হলেন মা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার অপরাধে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীর মাকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনায় বনগাঁর (Bongaon) ঠাকুরনগরের মানিকহীরা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম কানন রায়। তাঁর ছেলের নাম জয়ন্ত রায়। তিনি এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। হামলাকারী তৃণমূল কর্মীর নাম সমীর মল্লিক। তিনি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি নিরুপম রায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bongaon)  

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়ন্তবাবুর পরিবারের সকলেই বিজেপি সমর্থক। আর এই বিজেপি দল করার অপরাধে প্রায়ই তাঁর বাড়ির উদ্দেশে গালিগালাজ করত সমীর মল্লিক নামে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী। বুধবার সন্ধ্যাতেও গালিগালাজ করতে করতে যাচ্ছিলেন তিনি। জয়ন্তবাবু তার প্রতিবাদ করলে সমীর মল্লিক তাঁর ওপর চড়াও হন। বেধড়ক মারধর করতে থাকে। ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন বৃদ্ধা মা ও বাবা। তাঁদেরও মারধর করেন সমীর। এমনকী জয়ন্তবাবুর স্ত্রীকেও মারধর করা হয়। জয়ন্তবাবুর মাকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা বনগাঁ (Bongaon) সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি নিরুপম রায়ের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। যদিও ঘটনার পরই অভিযুক্ত হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী?

    মৃতার ছেলে তথা বিজেপি কর্মী জয়ন্ত রায় বলেন, বিজেপি করাটা আমাদের অপরাধ। সমীর নামে এই তৃণমূল কর্মী এর আগেও আমাদের বহুবার গালিগালাজ করেছে। বুধবার আমি প্রতিবাদ করেছিলাম বলে ও এভাবে আমার বাড়ির সকলের উপর হামলা চালিয়েছে। আমার মাকে তো খুন করে দিল। আমরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এদিন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, যে বুথে এই ঘটনাটি ঘটেছে সেই বুথে সব থেকে বেশি ভোট পেয়েছিল বিজেপি। আজকে আমরা কোন রাজ্যে বাস করছি যেখানে একজন তৃণমূলের যুব নেতা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে খুন করিয়ে দিল। আমরা অবিলম্বে  দাবি জানাচ্ছি। এই বাংলায় শাসন বলে কিছু নেই ক্রিমিনাল গুন্ডাদের রাজত্ব চলছে। নিরূপমের নেতৃত্বে ওই বিজেপি কর্মীর মা খুন হয়েছ। সবার আগে নিরুপমকে গ্রেফতার করা দরকার ছিল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বনগাঁ (Bongaon) সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি নিরুপম রায় বলেন, কাল রাতে একটা ঘটনা ঘটেছে মানিকহীরা দেশপাড়ায়। সমীর মল্লিক নামে তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মী এলাকার বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে মারামারিতে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সব মৃত্যুই বেদনার। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আইন আইনের পথে চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share