Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Nadia: রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো, বিক্রি নেই প্রতিমার, মাথায় হাত নদিয়ার মৃৎশিল্পীদের

    Nadia: রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো, বিক্রি নেই প্রতিমার, মাথায় হাত নদিয়ার মৃৎশিল্পীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ রাজ্যে নেই শিল্প, গড়ে ওঠেনি নতুন কল কারখানা! মেলেনি বিশ্বকর্মা ঠাকুর তৈরির বরাদ, চরম আর্থিক সংকটে দিন কাটছে কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের। নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের ঐতিহ্য রয়েছে রাজ্য তথা গোটা দেশজুড়ে। মাটির পুতুল থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেবদেবীর মূর্তি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যায় কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের কাছ থেকে। বিভিন্ন পুজোর দিকেই তাকিয়ে থাকেন তাঁরা। পুজো এলেই কাজের বরাত পৌঁছে যায়। রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো। মূলত বর্তমানে বিভিন্ন ঘরে ঘরেই ছোটখাটো বিশ্বকর্মার পুজো হয়ে থাকে। সেই প্রতিমাও বিক্রি নেই। মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের।

    একসময় বিশ্বকর্মা পুজোর আগে ব্যস্ত থাকতেন মৃৎশিল্পীরা

    অন্যদিকে,কয়েক দশক আগে নদিয়ার (Nadia) কল্যাণী শিল্পাঞ্চল জুড়ে বড় বড় কলকারখানা থেকে এবং শিল্পপতিদের থেকে বিশ্বকর্মা ঠাকুর তৈরির অর্ডার পেতেন মৃৎশিল্পীরা। সেখান থেকে তাঁদের মোটা টাকা আয়ও হত। কিন্তু, আস্তে আস্তে গোটা রাজ্যের বড়, মাঝারি শিল্প থেকে শুরু করে ছোটখাটো শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে। একাধিক কলকারখানা এখন জঙ্গল এবং আগাছা গ্রাস করে নিয়েছে। সেই কারণে বড় ঠাকুর তৈরির অর্ডার আর আসে না। সেই কারণেই কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।

    কী বললেন মৃৎশিল্পীরা? (Nadia)

    মৃৎশিল্পীদের মূলত ঠাকুর তৈরির ওপরে তাঁদের সংসার চলে। কিন্তু, বড় বড় ঠাকুর তৈরির অর্ডার না এলে কিভাবে এই পেশায় যুক্ত থেকে সংসার চালাবেন তা নিয়েই চিন্তিত তাঁরা। নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে দীর্ঘদিনের মৃৎশিল্পী তারক পাল বলেন, প্রায় দশ বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন কলকারখানা এবং শিল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আগে যে সমস্ত আমরা বড় বড় বিশ্বকর্মা ঠাকুর তৈরির অর্ডার পেতাম এখন তা আর আসে না। মূলত ছোট ছোট বাড়ির পুজোর ঠাকুর তৈরির উপরেই আমাদের নির্ভর করতে হয়। কিন্তু সেখানে লাভের অংশ নিতান্তই কম। সেই কারণে এই পেশায় যুক্ত থেকে সংসার চালানো খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা চাই আগের মত যাতে গোটা রাজ্য জুড়ে শিল্প এবং কলকারখানা নতুন করে চালু হোক। তাহলে কিছু আর্থিক দিক থেকে সবল হব। আর এক মৃৎশিল্পী অরবিন্দ পাল বলেন, বর্তমানে যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে সেখানে লাভের শতাংশ অনেকটা কমে গেছে। ঠাকুর তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম এখন ডবল দাম দিয়ে কিনতে হয়। কিন্তু, সেই অর্থে আমরা ঠাকুরের দাম বাড়াতে পারিনি। যে কারণে আর্থিক দিক থেকে সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Udaipur Sea Beach: নিউ দিঘার খুব কাছেই আর এক সমুদ্র সৈকতের হাতছানি, ঘুরে আসবেন নাকি?

    Udaipur Sea Beach: নিউ দিঘার খুব কাছেই আর এক সমুদ্র সৈকতের হাতছানি, ঘুরে আসবেন নাকি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ আর ওড়িশার সীমান্তে নিউ দিঘার খুব কাছেই এক অপূর্ব সুন্দর, নির্জন, নিরালা সমুদ্র সৈকত এই উদয়পুর সি-বিচ (Udaipur Sea Beach)। মাথার ওপর সুনীল আকাশ, নিচে তটভূমিতে বিস্তীর্ণ সোনালি বালুকাবেলা। আর সামনে বঙ্গোপসাগরের নীল জলের উর্মিল হাতছানি। এই নিয়েই সংসার উদয়পুরের। সাগরের বেলাভূমিতে বসে থাকার সময় যখন জোয়ারের এক একটা ঢেউ এসে পায়ের সামনে আছড়ে পড়ে, তখন যে অসাধারণ অনুভূতি হয়, তা শুধু গল্পেই সম্ভব। সমস্ত বালুকাবেলা জুড়ে সারাটা দিন ধরে আপন মনে খেলা করে লাল কাঁকড়ার দল। দিনের শেষে সূর্য যখন ঢলে পড়ে পশ্চিম দিগন্তে, সাগরের জল হয়ে ওঠে রক্তিম, ঝাউ গাছের সারির ফাঁক দিয়ে সেই অস্তাচলগামী সূর্যের রাঙা আলোর আভায় উদ্ভাসিত উদয়পুর সি-বিচকে মনে হয় কল্পলোকের গল্পগাথা। সেই মনোরম দৃশ্য একমাত্র অনুভূতি দিয়েই উপলব্ধি করতে হয়, ভাষায় প্রকাশ করা প্রায় অসম্ভব।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন (Udaipur Sea Beach)?

    উদয়পুর যাওয়ার সুবিধা হল নিউ দিঘা থেকে। নিউ দিঘা থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে এই উদয়পুর। নিউ দিঘা থেকে যাওয়া যায় রিকশ, মোটর চালিত ভ্যান প্রভৃতিতে। সেরা উপায় হল নিউ দিঘা থেকে সকাল সকাল বেরিয়ে উদয়পুর ঘুরে নিয়ে বিকেল বিকেল নিউ দিঘা বা প্রয়োজনে ওল্ড দিঘা ফিরে এসে সেখানেই রাত্রিবাস করা। ওল্ড দিঘা এবং নিউ দিঘায় রয়েছে দ্য স্টেট ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিঃ-এর থাকার ব্যবস্থা। ওল্ড দিঘায় আছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগম বা WBTDC, বেনফিশ, দিঘা-শংকরপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা  ডিএস ডিএ-র পর্যটক আবাস এবং অসংখ্য বেসরকারি হোটেল (Udaipur Sea Beach)।

    কীভাবে উপভোগ করবেন?

    উদয়পুর সি বিচে (Udaipur Sea Beach) সারাটা দিন এই লাল কাঁকড়ার পিছন পিছন ছুটে বেড়ানো, দূরে সাগরের বুকে জেলেদের মাছ ধরার নৌকো অথবা ট্রলার কিংবা পণ্যবাহী জাহাজের নিরন্তর ভেসে চলা আর ঝাউগাছের সারির মধ্য দিয়ে বাতাসের বয়ে চলার গান শুনতে শুনতে কখন যে সময় কেটে যায় বোঝাই যায় না। তবে উদয়পুর বিচটি অপেক্ষাকৃত শান্ত ও নির্জন। এখানে যেমন দিঘার মতো কোলাহল, জনস্রোত নেই। একই রকম ভাবে এখানে দোকান-পাট, বিশেষ করে খাওয়া-দোকানের সংখ্যাও অনেক কম। কাজেই এখানে ঘুরতে যাওয়ার সময় এই বিষয়টাও ভাবনার মধ্যে রাখা প্রয়োজন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: জন্মদিনে মোদির মঙ্গল কামনায় পুজো দিলেন শুভেন্দু, হাসপাতালে ফল বিতরণে সুকান্ত

    PM Modi: জন্মদিনে মোদির মঙ্গল কামনায় পুজো দিলেন শুভেন্দু, হাসপাতালে ফল বিতরণে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জন্মদিন। মোদি ৭৪ বছরে পদার্পণ করলেন। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে মোদির দীর্ঘায়ু এবং শুভ কামনা জানাতে রাজ্যের বিরোধী দলের দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামের মন্দিরে পুজো দিলেন। অপর দিকে বালুরঘাটে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বুড়িমা কালীমায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্য জানালেন মঙ্গল কামনা। সারা দেশের মতো এই রাজ্যেও প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সঙ্গে পালন করা হল। 

    জানকীনাথ মন্দিরে পুজো দিলেন শুভেন্দু (PM Modi)

    বিশ্বনেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জন্মদিনে শুভ কামনা জানিয়ে শুভেন্দু পুজো দিলেন নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের জানকীনাথ মন্দিরে। শুভেন্দু মোদির একটি ছবি নিয়ে মন্দিরে পুজো দিলেন। সেই সঙ্গে লাড্ডু প্রসাদ বিতরণ করলেন সকলের মধ্যে। জন্মদিনকে কেন্দ্র করে পাশেই একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে চলে কর্মীদের রক্তদান শিবির। যাঁরা রক্তদান করেছেন, তাঁদের হাতে তুলে দিলেন গোলাপ ফুল। রীতিমতো ঢাকঢোল বাজিয়ে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে জন্মদিনের আনন্দ এবং কুশল বিনিময় করলেন শুভেন্দু। বিজেপি কর্মীদের মধ্যে এই নিয়ে ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    বুড়িমা কালীমন্দিরে পুজো দিলেন সুকান্ত

    দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জন্মদিনে বালুরঘাটের বুড়িমা কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে দীর্ঘায়ু কামনা করলেন রাজ্যের বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রক্তজবা এবং মিষ্টি দিয়ে নিজের পরিবারকে সঙ্গে করে মায়ের মন্দিরে মোদির দীর্ঘায়ু কামনায় পুজো করলেন সুকান্ত। মোদির জন্ম দিনে শুভ কামনার সঙ্গে এই রাজ্যের জন্যও মঙ্গল কামনা করেন তিনি। 

    হাসপাতালে ফল বিতরণ করলেন সুকান্ত

    প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে মন্দিরে পুজো দিয়ে সুকান্ত মজুমদার, বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের রোগীদের আরোগ্য কামনায় ফল বিতরণ করলেন। সেই সঙ্গে রোগীদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন তিনি। রোগীদের বলেন, “যদি মনে হয় শিলিগুড়ি বা কলকাতায় নিয়ে যেতে হবে তাহলে অবশ্যই যেন জানান”। সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন সুকান্ত মজুমদার। এছাড়াও হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীরা কেমন আছেন, তা জানতে রোগীদের সঙ্গেও কথা বলেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বিশ্বকর্মা পুজোর আগেই বন্ধ হয়ে গেল রিলায়েন্স জুটমিল, কর্মহীন পাঁচ হাজার শ্রমিক

    Barrackpore: বিশ্বকর্মা পুজোর আগেই বন্ধ হয়ে গেল রিলায়েন্স জুটমিল, কর্মহীন পাঁচ হাজার শ্রমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকর্মা পুজো মানে এক সময় বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে সাজো সাজো রব ছিল। পুজোর কয়েকদিন আগে থেকেই কারখানার কর্মীরা আনন্দে মেতে উঠতেন। এখন একের পর এক কারখানা বন্ধের মুখে। বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে এখন হাতে গোনা কয়েকটি জুটমিল চালু রয়েছে। সোমবার বিশ্বকর্মা পুজো। তার আগের দিনই বন্ধ হয়ে গেল ভাটপাড়া রিলায়েন্স জুটমিল। এক লহমায় কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক। মাস দু’য়েক আগে বন্ধ হয়ে যায় অন্নপূর্ণা জুটমিল। ফলত, একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত শ্রমিকদের। তাই, বিশ্বকর্মা পুজো থাকলেও এই কর্মহারা শ্রমিকদের কাছে এখন তা অর্থহীন।

    কেন বন্ধ হল রিলায়েন্স জুটমিল?

    জানা গিয়েছে, বারাকপুরের (Barrackpore) ভাটপাড়া রিলায়েন্স জুটমিলে মিলের এক কর্মকর্তার সঙ্গে কয়েকদিন আগে এক শ্রমিকের ঝামেলা হয়েছিল। মিল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শ্রমিককে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে, অন্য এক শ্রমিকের সঙ্গে এক মিল আধিকারিকের বচসা হয়। মিলের স্থায়ী কর্মীকে বসিয়ে রেখে ঠিকা কর্মী দিয়ে কাজ করানো হচ্ছিল। এনিয়ে দুজন শ্রমিক সরব হন। ফের গন্ডগোল বাধে। এরপরই আগাম কোনও কিছু না জানিয়ে এদিন মিল কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ করে দেয়। কাজের অর্ডার নেই, অজুহাত দেখিয়ে মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যা ঠিক নয় বলে অভিযোগ করেছেন কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিকরা।

    কী বললেন শ্রমিকরা? (Barrackpore)  

    এক সময় হাওড়ার পাশাপাশি এই বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চল ছিল রাজ্যের মধ্যে অন্যতম শিল্পনগরী। আজ সেই শিল্পনগরী যেন শ্মশানপুরীতে পরিণত হয়েছে। একের পর এক কারাখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হারিয়ে গিয়েছে শ্রমিকদের সেই বিশ্বকর্মা পুজোর আনন্দ। কমে গিয়েছে পুজোর জৌলুস। অন্যান্য সময় পুজোর আগের দিন শ্রমিকরা ব্যস্ত হয়ে পড়তেন আয়োজনে। শ্রমিক পরিবারের সদস্যরাও ঠাকুর আনা, বাজার করা, ভোগ তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকতেন। এখন সে সবই ম্লান হয়ে গিয়েছে। অনেক শ্রমিকই আর্থিক অনটনে দিন কাটাচ্ছেন। শ্রমিকদের কাছে পুজো তাই অর্থহীন। এক শ্রমিক বললেন, আজকের দিনে আমরা ব্যস্ত থাকতাম। অনেক সময় তো ছেলেমেয়েদের নতুন জামাও কিনে দিয়েছি। এই পুজোই আমাদের কাছে উৎসবের সমান ছিল। আর আজ কিছুই নেই। এবার কারখানাটাই বন্ধ হয়ে গেল। তাই পুজো হবে না। কীভাবে সংসার চালাবো তা বুঝতে পারছি না। এক শ্রমিক বলেন, শনিবার রাতেও আমরা কাজ করে বাড়ি গিয়েছি। আজ সকালে কাজে যোগ দিতে এসে দেখি কারখানা বন্ধ। কেন বন্ধ হল বুঝতে পারছি না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে কারখানা চালু করতে হবে।

    জুটমিল বন্ধ নিয়ে কী বললেন সাংসদ?

    সাংসদ অর্জুন সিং বলছেন, “বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে কিছু কারখানা বাম আমলেই বন্ধ গিয়েছে। আর কিছু কারখানা চলতি সরকারের আমলে বন্ধ হয়েছে। তবে জুট শিল্পের ভবিষ্যত খুব খারাপ। জুট মিলগুলির মালিক পক্ষ ঠিকাকর্মী রাজ চালু করায় আজ পাটশিল্পও ধুঁকছে। এই ঠিকাদারি প্রথা শেষ না হলে জুট শিল্পটাই শেষ হয়ে যাবে। এই জুটমিলও এদিন সেই কারণেই বন্ধ হয়ে গেল।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Udayan Guha: “এখন চাকরির সঙ্কট চলছে” মন্ত্রী উদয়ন গুহের মন্তব্যে তীব্র চাপে শাসক দল

    Udayan Guha: “এখন চাকরির সঙ্কট চলছে” মন্ত্রী উদয়ন গুহের মন্তব্যে তীব্র চাপে শাসক দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূলের মন্ত্রীর মন্তব্যে অস্বস্তিতে শাসক দল। গত শনিবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha) বলেন, “রাজ্যে প্রতারকদের ব্যাপক দৌরাত্ম্য চলছে, জেলায় জেলায় বেকার যুবক-যুবতীদের টাকা আত্মসাত করছে প্রতারকরা।” এই মন্তব্যে রাজ্যে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। রাজ্যে কর্মসংস্থান নিয়ে বিরোধীরা বারবার শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সেই সঙ্গে চাকরি দেওয়ার নাম করে গ্রুপ ডি, এসএসসি, টেট, পুরসভা ইত্যাদি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী, বিধায়কের নাম এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। এই অবস্থায় রাজ্যের মন্ত্রী চাকরি নেই, চাকরির প্রলোভন, প্রতারণা ইত্যাদি মন্তব্য করে শাসক দলকেই ফের কাঠগড়ায় তুললেন বলে মনে করছেন বিরোধীরা।

    কী বললেন মন্ত্রী (Udayan Guha)?

    উত্তরবঙ্গের উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha) বলেন, “উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বেকার যুবক-যুবতীরদের টাকা আত্মসাত করা হচ্ছে। রাজ্যে চাকরির সঙ্কট চলছে। অনেকেই অভাবের কারণে প্রলোভনে পা দিচ্ছেন। আমরা সরকারের তরফ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। বিভিন্ন সমাবেশে আমরা বারবার বলি প্রলোভনে পা দেবেন না। যাঁরা টাকা দেন তাঁরা খারাপ আর যাঁরা টাকা নিচ্ছেন তাঁরাও ভীষণ খারাপ। তবে যাঁরা টাকা দিয়েছেন তাঁরা বোকামি করছেন।” মন্ত্রীর এই মন্তব্যে স্পষ্ট যে রাজ্যের চাকরির সুযোগ অনেক কম।

    রাজ্যে চাকরির সুযোগ কম

    রাজ্যে যে চাকরির সুযোগ নেই, একথা জানিয়ে বার বার কলকাতায় বেকারদের বিক্ষোভ কর্মসূচি হতে দেখা গেছে। রাজ্যের বিধানসভায় বিরোধীরা সরকার পক্ষকে দ্রুত শূন্যপদ পূরণের দাবি জানিয়েছেন। কখনও কখনও ওয়াক ওভার, আবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধীরা। অপর দিকে দ্রুত স্কুলে শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণ করতে শাসক দলের বিরুদ্ধে কালীঘাট থেকে বিকাশ ভবন সর্বত্র আন্দোলন হচ্ছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সহ একাধিক তৃণমূল বিধায়কের। আর এদিন তৃণমূলের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর (Udayan Guha) মন্তব্যে সরকারের ব্যর্থতার কথাই আরও একবার স্পষ্ট হয়।

    উত্তরবঙ্গে প্রতারকদের চক্র

    মন্ত্রীর (Udayan Guha) মন্তব্যের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, ধূপগুড়ি এলাকায় চাকরি দেওয়ার নাম করে বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এই কোম্পানিগুলি সম্প্রতি বলে যে ১৮ হাজার টাকার বিনিময়ে কম্পিউটার শিখিয়ে চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু টাকা দিলেও অনেকেই চাকরি থেকে বঞ্চিত হন। এই বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে চাকরির সুযোগ কম এবং দুর্নীতি প্রসঙ্গে ব্যাপক সরগরম রাজ্য রাজনীতি।     

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার এ কী হাল! ‘১০০ টাকায়’ গেস্ট লেকচারার নিয়োগ করছে কলেজ

    Dakshin Dinajpur: বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার এ কী হাল! ‘১০০ টাকায়’ গেস্ট লেকচারার নিয়োগ করছে কলেজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ। আর সেই কলেজে অতিথি শিক্ষকের ক্লাস পিছু পারিশ্রমিক শুনলে চমকে উঠবেন। এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন নাথালিয়ান মুর্মু কলেজে। কলেজ কর্তৃপক্ষ অতিথি শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। অতিথি শিক্ষকের বেতন ১০০ টাকা প্রতি ক্লাস! সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১৫টি ক্লাস করা যাবে। দেওয়া হবে না যাতায়াত ও বাড়তি কোনও খরচ। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতেই একথার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। এনিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার কী হাল, এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।

    কলেজে কতজন গেস্ট লেকচারার নিয়োগ করা হবে?

    ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর তপনে এই কলেজ স্থাপিত হয়। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা-১৮০০ জন। এ বছরও ৫৮০ জন পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন এ কলেজে। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এই কলেজে যত সংখ্যক পূর্ণ সময়ের অধ্যাপক আছেন তা যথেষ্ট নয়। তাই গেস্ট লেকচারার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ৬ জন অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। ২ জন বাংলা, ২ জন এডুকেশন, ১ জন রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ১ জন দর্শনের অতিথি অধ্যাপক নিয়োগ হবে। আগামী ২০ তারিখ ইন্টারভিউ। তার আগেই এই বিতর্ক দানা বেধেছে। বালুরঘাটের নেট পাশ যুবক অসীম বর্মন এ বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে বলেন, ‘একজন শিক্ষকের মাইনে ক্লাস প্রতি ১০০ টাকা? আবার বলছেন ১৫টির বেশি ক্লাস দেবেন না। সে হিসাবে মাসে তো ৭ হাজার টাকা হচ্ছে। এখন মনে হচ্ছে পড়াশোনার কোনও দামই নেই।’

    কলেজ কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রণয় নারাজিনারি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি অমলকুমার রায়ের বক্তব্য, কলেজে অধ্যাপকের সংখ্যা খুবই কম। অথচ ক্লাসের চাপ বাড়ছে। তাই গেস্ট টিচার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই পদের জন্য ক্লাস প্রতি ১০০ টাকা খুবই কম মানছেন তিনি। তবে, একইসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের ফান্ড থেকে এই বেতন দিতে হবে। আমাদের কলেজের অত সামর্থ্য নেই। বাধ্য হয়েই এই পারিশ্রমিক দিতে হচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, কলেজে ছাত্র সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু শিক্ষকের অভাব থাকায় কলেজের পরিচালন সমিতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনেকেই বেকার রয়েছেন যাঁরা স্কুল বা কলেজে পড়াতে ইচ্ছুক। তাঁরা এখানে শিক্ষকতা করতে পারবেন। তারজন্য সামান্য কিছু সাম্মানিক দেওয়া হচ্ছে। আমার মনে হয়, এক্ষেত্রে অনেকেরই উপকার হবে। অনেকেই তো বিনা পয়সায় নানা জায়গায় পড়ান। সেক্ষেত্রে কলেজের যা সামর্থ্য, তাই দিচ্ছে। এতে বিতর্ক হওয়ার কিছু নেই।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ গেস্ট লেকচারার নিয়োগ করছে। তাকে ১০০ দিনের কাজের চেয়ে কম টাকা দেওয়া হচ্ছে, এর থেকে লজ্জার কি আছে? মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী এসব দেখতে পাননা। তারা বিদেশে হারমোনিয়াম বাজাচ্ছেন। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার কী হাল, এটাতেই স্পষ্ট।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: চেম্বারে অসুস্থ যুবতীকে শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত চিকিৎসক তৃণমূল নেতা

    North 24 Parganas: চেম্বারে অসুস্থ যুবতীকে শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত চিকিৎসক তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসুস্থ যুবতীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বনগাঁর গাইঘাটা এলাকায়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম সুব্রত সরকার। তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন। ইতিমধ্যেই ওই নির্যাতিতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)  

    শনিবার সন্ধ্যায় জ্বরে আক্রান্ত এক যুবতী তাঁকে চেম্বারে দেখাতে যান। অভিযোগ, সেখানে ওই যুবতীর অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে তাঁকে শ্লীলতাহানি করেন তৃণমূল নেতা তথা এলাকার হাতুড়ে চিকিৎসক। ওই যুবতী কোনওরকমে তাঁর চেম্বার থেকে ছুটে পালিয়ে যান। বাড়িতে এসে সকলকে তৃণমূল নেতার কুকীর্তির কথা তুলে ধরে। বিষয়টি জানাজানি হতেই স্বভাবতই এই ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। শনিবার রাতেই উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নির্যাতিতা যুবতী। খবর পেয়ে সুব্রত সরকারের চেম্বারের সামনে ভিড় করে গ্রামের লোকেরা। তাঁর শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখান।

    কী বললেন  নির্যাতিতা?

    নির্যাতিতা যুবতীর অভিযোগ, কয়েকদিন ধরে মাঝে মধ্যে জ্বর আসছিল। সন্ধেয় ওই চিকিৎসকের কাছে আমি গিয়েছিলাম। সেই সময় চেম্বারে কেউ ছিল না। দেখানোর পর আমি টাকা দিতে যাই। তিনি টাকা না নিয়ে আমার সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। বাধা দিতে গেলে জোর করে আমার হাত ধরে নিজের দিকে টানার চেষ্টা করেন। কোনওভাবে বেরিয়ে এসে বাড়িতে সমস্ত ঘটনা জানাই।

    যুবতীর পরিবার ও প্রতিবেশীদের কী বক্তব্য?

    যুবতীর পরিবার ও প্রতিবেশীদের বক্তব্য, ‘অভিযুক্ত সুব্রত সরকার এর আগেও এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটিয়েছেন। অর্থের জোরে ক্ষমতা জোরে ঘটনাগুলো ধামাচাপা দিয়েছে। এবার তাঁর শাস্তি চাই। নাহলে আরও অনেকের তিনি এভাবে সর্বনাশ করবেন।’

    কী বললেন অভিযুক্ত চিকিৎসকের পরিবারের লোকজন?

    এদিকে অভিযুক্তের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, তৃণমূল নেতা বলেই তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এইসব ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই যুক্ত নন। তাঁকে বদনাম করার জন্য এসব মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

    এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, ওই অভিযুক্ত এলাকায় দাপুটে তৃণমূলে নেতা হিসেবেই পরিচিত। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। আমরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এদিকে বনগাঁর এক তৃণমূল নেতা বলেন, কারও বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠলে, পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। আইন আইনের পথে চলবে। দল এই ধরনের কাজকে সমর্থন করে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Biometric Fraud: আঙুলের ছাপ নকল করে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা চুরি! ফের প্রতারণার শিকার অভিনেত্রী

    Biometric Fraud: আঙুলের ছাপ নকল করে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা চুরি! ফের প্রতারণার শিকার অভিনেত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধারে বায়োমেট্রিক জালিয়াতির (Biometric Fraud) শিকার এবার টলিউড মডেল অভিনেত্রী। রাজ্যে গত কয়েক দিনের মধ্যে রায়গঞ্জ, মুর্শিদাবাদের গ্রাহকরাও আধারের আঙুল ছাপ নকল করে টাকা চুরির ঘটনার শিকার হয়েছেন। নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং আধার কতটা সুরক্ষিত! এই নিয়ে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, যাঁরা এই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই প্রায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক। উল্লেখ্য প্রতারকরা গ্রাহকের মোবাইলে ওটিপি ছাড়াই টাকা চুরি করছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় গ্রাহকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

    কোন অভিনেত্রী প্রতারণার শিকার হলেন (Biometric Fraud)?

    ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আধারের নকল আঙুলের ছাপে টাকা জালিয়াতির (Biometric Fraud) শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী তথা মডেল মৌসুমী সান্যাল দাশগুপ্ত। তিনি বাঁশদ্রোণী এলাকায় থাকেন। তিনি বলেন, “গত ৬ সেপ্টেম্বর আমার মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। এটি আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার মেসেজ ছিল। যদিও টাকা তোলার জন্য মোবাইলে কোনও ওটিপি আসেনি। এরপর ব্যাপারটা বুঝলাম, আমার আঙুলের ছাপ নকল করে টাকা তুলে নিয়েছে কোনও প্রতারক।” আরও জানা গেছে, তাঁর অ্যাকাউন্ট ছিল একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে। মোট ১০০০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। কিন্তু আধারের আঙুলের ছাপ কতটা সুরক্ষিত! এই কথা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এই প্রতারণার কথা বাঁশদ্রোণী থানায় জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।

    একই রকমভাবে আঙুলের ছাপ নকল করে রায়গঞ্জের এক স্কুল শিক্ষকের ব্যাঙ্ক থেকে টাকা চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। তিনি অবশ্য অনলাইনে লেনদেন করার সময় এই বিপত্তি ঘটে। অপর দিকে কান্দিতেও এক ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।

    কীভাবে হয় জালিয়াতি?

    এই ধরনের প্রতারণায় আধার এনাবেলড পেমেণ্ট সিস্টেমকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কেউ যদি টাকা তুলতে চান, আর তাঁর কাছে যদি এটিএম কার্ড না থাকে, তাহলে নির্ধারিত কেন্দ্র থেকে টাকা তুলতে পারবেন। তবে এই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গ্রাহকের আঙুলের ছাপের প্রয়োজন হবে। আর আঙুল ছাপের জালিয়াতির মাধ্যমে (Biometric Fraud) প্রতারকরা টাকা চুরি করছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।  

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: জেল থেকে ফোনেই চলছে তোলাবাজি! আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা, কী করছে পুলিশ?

    Barrackpore: জেল থেকে ফোনেই চলছে তোলাবাজি! আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা, কী করছে পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে বসেই বারাকপুর (Barrackpore)  শিল্পাঞ্চলে অবাধে তোলাবাজি চালায় বিচারাধীন বন্দিরা। পুজোর আগে এইসব দাগি বিচারাধীন বন্দিদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানালেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। জেল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে এই বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। জেলে থাকা বন্দিদের হাতে মোবাইল যাতে কোনওভাবেই না পৌঁছায় তা দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    জেলে বসেই বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে তোলাবাজি! কী বললেন ব্যবসায়ীরা?

    কয়েক মাস আগেই বারাকপুর (Barrackpore) শহরের এক নামী বিরিয়ানি প্রস্তুতকারক সংস্থার মালিককে স্করপিও গাড়ি চেয়েছিল এক দাগি বন্দি। জেলে বসেই বিচারাধীন বন্দি সেই টাকা চেয়েছিল। বিরিয়ানির মালিক থানায় অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশ মোবাইল ট্র্যাক করে জানতে পারে জেলখানা থেকেই এই ফোন এসেছে। এর পাশাপাশি বারাকপুর-বারাসাত রোডের উপরে আরও এক বিরিয়ানির মালিকের কাছে মোটা টাকা চায় এক বিচারাধীন বন্দি। বিরিয়ানি মালিক টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে হুমকি দেয় ওই বন্দি। হুমকি দেওয়ার দু’দিনের মধ্যেই বিরিয়ানির দোকানে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। দোকান লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলিও ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। এছাড়া ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বড় ব্যবসায়ী, প্রোমোটারের কাছ থেকেও তোলা দাবি করে এই সব দাগি অপরাধীরা। জেলে থেকেই চলে তোলাবাজির কারবার। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, জেলের ভিতরে বন্দিদের হাতে কী করে মোবাইল যায়? এর পিছনে জেল কর্তৃপক্ষের একাংশে হাত রয়েছে। জেলে বসেই বন্দিরা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের অপরাধ জগৎ সামলাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন কড়া না হলে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে। এই অঞ্চলে ব্যবসায়ীরা সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করতে পারবে না। জানা গিয়েছে, বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় বারাকপুর মহকুমা সংশোধনাগার ছাড়াও দমদম জেল রয়েছে। মূলত এই দুটি জেল থেকেই দাগি বিচারাধীন বন্দিরা ফোন করে তোলাবাজি চালায়। এই দুই জেল কর্তৃপক্ষকে দাগি অপরাধীদের উপর নজরদারি চালানোর জন্য বলা হয়েছে।

    কী বললেন পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক?

    বারাকপুর (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, পুজোর আগে  জেল থেকে দাগি বিচারাধীন বন্দিরা তোলাবাজি করতে না পারে এই বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এই ধরনের কারবারের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। তাদের হাতে কোনও ভাবেই যাতে মোবাইল না যায়  তার নজরদারি করতে বলা হয়েছে। জেলে বসে কিভাবে তারা বাইরের। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়া শিল্পাঞ্চল আজ শ্মশানভূমি! বিশ্বকর্মা পুজোর আনন্দ ম্লান

    Howrah: হাওড়া শিল্পাঞ্চল আজ শ্মশানভূমি! বিশ্বকর্মা পুজোর আনন্দ ম্লান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিল্পের জন্য যে শহরের পরিচিতি ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সেই শহরে শিল্প আজ শ্মশান ভূমিতে পরিণত হয়েছে। প্রাচ্যের শেফিল্ডস নামে পরিচিত হাওড়া (Howrah) শিল্পাঞ্চলের বিশ্বকর্মা পুজোর জাঁকজমক জৌলুস একটা সময় হার মানাত দুর্গাপুজোকেও। আজ সেই ছবি ধূসর। এখন শুধুই ইতিহাস। বড় বড় বিশ্বকর্মার মূর্তি, তাসা, ব্যান্ড পার্টি, ঢাকের বাদ্যিতে যেখানে কানের পর্দা ফাটার উপক্রম হত আজ সেখানেই যেন নীরবে কোনওরকমে নিয়ম রক্ষার ঘট পুজোয় শিল্পের দেবতার নামমাত্র আরাধনায় মাততে হচ্ছে হাওড়া শিল্পাঞ্চলের মানুষদের।

    এক সময় হাওড়ায় কেমন হত বিশ্বকর্মা পুজো?

    আলামোহন দাসের তৈরি হাওড়ার দাসনগর শিল্পাঞ্চল এখন শ্মশানে পরিণত হয়েছে। গেস্টকিন উইলিয়ামস, রেমিংটন রেন্ড, বার্ন স্ট্যান্ডার্ড, ইন্ডিয়ান মেশিনারি, হুগলি ডক অ্যান্ড পোর্ট ইঞ্জিনিয়ারিং একের পর এক গঙ্গার ধার বরাবর গড়ে ওঠা জুট মিল, ফ্লাওয়ার মিল এখন এক একটা বিরাট ভূতুড়ে বাড়ির মত দাঁড়িয়ে আছে হাওড়া (Howrah) শহরজুড়ে। কোনও রকমে টিকে রয়েছে ঢালাই ও যৎসামান্য কয়েকটি লৌহ ইস্পাত, ক্ষুদ্র শিল্প। একটা সময় কারখানার ছুটি হলে বেজে উঠত সাইরেন। আর হাজারে হাজারে লোক কারখানা থেকে বেরিয়ে রওনা দিতেন গন্তব্যে। আজ সেই সাইরেনও শোনা যায় না। তখন দুর্গাপুজো মহালয়ার মতই বিশ্বকর্মা পুজো আসার ৩-৪ দিন আগে থেকেই একটা পুজো পুজো ভাব ফুটে উঠতো হাওড়া শিল্পাঞ্চলজুড়ে। কোনও কোনও কারখানায় তো বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে এক সপ্তাহ ছুটি দিয়ে দেওয়া হতো। দুর্গাপুজোর মতোই তখন বিশ্বকর্মা পুজোতে চালু ছিল থিম প্যান্ডেল। কোনও কারখানা কত বড় বিশ্বকর্মা প্রতিমা নিয়ে আসবে বা কে কাকে মণ্ডপে টেক্কা দেবে এটাই ছিল সব থেকে বড় প্রতিযোগিতা। বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে শ্রমিকদের সপরিবারেরও নিমন্ত্রণ থাকত। ভোর থেকেই শ্রমিক পরিবারের বউ ও মেয়েরা চলে আসতো কারখানায় পুজোর জোগাড় করতে। তারপর হত বিশ্বকর্মা পুজো এবং দিনভর খাওয়া-দাওয়া, হই হুল্লোর আনন্দ উৎসব। সারা বছরের কাজের ক্লান্তি চাপা পড়ে যেত এই দু-তিন দিনে।

    বিশ্বকর্মা পুজো নিয়ে কী বললেন লেদ কারখানার মালিক, শ্রমিকরা?

    লেদ কারখানার কর্মী সৌমিক মণ্ডল বলেন, তখনকার দিনে অনেক আগে থেকেই পুজো নিয়ে নানা পরিকল্পনা করা হত। কে ঠাকুর আনতে যাবে, এবারে কোনও শিল্পীকে আনা হবে সেসব নিয়ে আলোচনা চলত। সব কিছুর মধ্যেই একটা অন্যরকম অনুভূতি ছিল। এখন সবটাই ইতিহাস। কোনওরকমে সেই ট্রাডিশনকে ধরে রাখতে কোথাও ছোট ঠাকুর এনে আবার কোথাও শুধু ঘটপুজোয় বিশ্বকর্মার আরাধনা করতে হয়। জগদীশপুরের বাসিন্দা রবীন চট্টোপাধ্যায় বলেন, চাকরি করতেন বান স্ট্যান্ডার্ড কারখানায়। কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সম্পূর্ণ অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। কোনও চাকরি না পেয়ে সংসারে অভাব নেমে আসে। মেয়ের পড়াশুনা বন্ধ হয়ে গেল। সেই কষ্টের দিনগুলো এখনও মনে পড়লে খুবই খারাপ লাগে। বিশ্বকর্মা পুজো একটা উৎসবের আকার নিত। এখন সবটাই ইতিহাস। কারখানা মালিক সনৎ কুমার দাস বলেন, হাওড়া (Howrah) শিল্পাঞ্চলে একসময় ছিল শিল্পের স্বর্ণযুগ। আজ সেই গৌরব আর নেই।

    মৃৎশিল্পীদের কী বক্তব্য?

    এক মৃৎশিল্পী বাপ্পা পাত্র বলেন, একটা সময় বিরাট বিরাট ঠাকুর হত। শয়ে শয়ে ঠাকুর বিক্রি হতো পুজোর দুদিন আগে থেকেই। এখন বড় ঠাকুরের অর্ডার তো আসেই না। উল্টে ছোট ঠাকুরের দাম পাওয়া যায়না। প্রতিবছরই ঠাকুরের চাহিদা কমছে। তিনি গত বছর যেখানে ৪৫ টি ছোট ঠাকুর তৈরি করেছিলেন এবছর ২০টি ঠাকুর তৈরি করেছেন। তাও বিক্রি হচ্ছেনা। হাওড়ায় (Howrah) ফিরে আসুক শিল্পের সেই সোনালী অতীত। শিল্পের কারিগরের কাছে সেই প্রার্থনা করলেন হাওড়ার শ্রমিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share