Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Smriti Irani: হাওড়া থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযানে স্মৃতি ইরানি, চুটিয়ে জনসংযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    Smriti Irani: হাওড়া থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযানে স্মৃতি ইরানি, চুটিয়ে জনসংযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে হাওড়া থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযান শুরু করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে জগৎবল্লভপুরে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। হাওড়ার রাজাপুর দক্ষিণ বাড়িতে বিজেপি কর্মী পলাশ মালিকের বাড়ি থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযান শুরু করেন। এই উপলক্ষ্যে গ্রামের ওই কর্মীর বাড়িতে সকাল থেকেই রান্নাবান্না সহ অতিথি আপ্যায়নের বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই দুপুরে পাত পেড়ে খান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    এরপর স্মৃতি (Smriti Irani) যেন পরিবারের মেয়ে-বউদের সঙ্গে মিশে গেলেন। মাটিতে বসে স্মৃতির সঙ্গে খেলেন দলের হাওড়ার নেতারাও। তাই সকাল থেকে রান্নাবান্না চলছিল পলাশ মালিকের বাড়িতে। ভাত, ডাল, বেগুনি, পটল চিংড়ি, শুক্তো, সর্ষে ইলিশ, রুই মাছের কালিয়া, চাটনি, পাঁপড়। আর শেষ পাতে ছিল মিষ্টি। খেতে বসার আগে দলের জেলার নেতাদের থালায় করে খাবার পরিবেশনও করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই উপলক্ষ্যে পরিবারের মহিলা সদস্যা রুমা মালিক বলেন, আমরা তফশিলি সম্প্রদায়ের মানুষ। আমাদের বাড়িতে মন্ত্রী আসবেন, কল্পনা করতে পারিনি। আমরা খুবই খুশি। তাঁর জন্য আমরা ঘরে বাঙালি খাবারের আয়োজন করেছি। 

    গ্রাম থেকে মাটি সংগ্ৰহ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Smriti Irani)

    মা-কাকিমা সকলে মিলে আমরা রান্নার আয়োজন করেছি। আরেক মহিলা সদস্যা সুচিত্রা হাজরা বলেন, বাঙালি রান্নার আয়োজন আমরা করেছি। খুবই আনন্দিত যে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Smriti Irani) তিনি আমাদের মতো গরিবের বাড়িতে এলেন। পনেরো বছর হল এখানে দক্ষিণ বাড়িতে এসেছি। কিন্তু এত বড় মাপের কোনও মন্ত্রী আমাদের গ্রামে আসেনি। বিশেষ করে আমাদের বাড়িতে উনি আসছেন। এটা ভেবেই আমরা খুব আনন্দিত। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি হাওড়ার জগৎবল্লভপুর সহ চামরাইল, জগদীশপুর বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেন। পার্টি কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক, তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসম্পর্ক স্থাপন করেন। আমার মাটি আমার দেশ সম্পর্ক অভিযানের কর্মসূচি হিসেবে গ্রাম থেকে মাটি সংগ্ৰহ করেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মুক্তিপণ চেয়ে ফোন! মালদায় উদ্ধার তৃণমূল কর্মীর রক্তাক্ত মৃতদেহ, গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে

    Malda: মুক্তিপণ চেয়ে ফোন! মালদায় উদ্ধার তৃণমূল কর্মীর রক্তাক্ত মৃতদেহ, গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদা জেলায় গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার তৃণমূল। এক পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) পুখুরিয়া থানার শ্রীপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চাতরা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সাদেক আলি। বয়স ৫০ বছর। তিনি তৃণমূল কর্মী ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর নাম আনোয়ারা বিবি। তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Malda)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাদেক আলির চায়ের দোকান আছে। মঙ্গলবার রাতে দোকান থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের লোকজন বলেন, রাতে তাঁদের কাছে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। সকালবেলা ফের দু’লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। কিন্তু, আবার ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সকাল এগারোটায় বাঁশবাগান থেকে তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রসঙ্গত, মালদার (Malda) শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ২০টি। তৃণমূল ১২, সিপিএম ৫ এবং কংগ্রেস ৩টি আসনে জয়ী হয়। এরপর তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ সদস্যরা সিপিএম ও কংগ্রেসকে নিয়ে বোর্ড গঠন করে। প্রধান হয় তৃণমূলের। এরপর থেকে প্রাক্তন প্রধানের স্বামী মহব্বত তাঁদের হুমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। নেপথ্যে প্রধান গঠন নিয়ে বিবাদের জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলেরই বিরোধী গোষ্ঠীর দিকে। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি কী বললেন?

    তৃণমূলের মালদার (Malda) জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সী ওই গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। যারা আমাদের দলের ওই কর্মীকে খুন করেছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। যেই যুক্ত থাকুক, পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • R G Kar Medical College: এবার আর জি করের হস্টেলে র‌্যাগিং! অভিযোগ দায়ের থানায়

    R G Kar Medical College: এবার আর জি করের হস্টেলে র‌্যাগিং! অভিযোগ দায়ের থানায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং-এর ফলে মৃত্যু হয়েছে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের র‌্যাগিং-এর (R G Kar Medical College) অভিযোগ উঠল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে। র‌্যাগিং-এর অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন আর জি করের কিছু পড়ুয়া। ছাত্রদের দাবি, ছাত্রাবাসে মানসিক অত্যাচার করা হয়েছে তাঁদের উপর। বুধবার এ নিয়ে তাঁরা অভিযোগ জানান আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায়।

    কী বলছেন ছাত্ররা?

    ওই ছাত্রদের বয়ান অনুযায়ী, মানিকতলা ক্রসিংয়ের কাছে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের একটি ছাত্রাবাস রয়েছে। তাঁরা সেখানেই থাকেন। হস্টেলের কয়েকজন প্রাক্তন আবাসিক, কর্মী এবং আর জি করের জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা র‍্যাগিং-এর (R G Kar Medical College)। ছাত্রদের দাবি, তাঁদের ওপর চরম মানসিক অত্যাচার করা হয় রাত তিনটে নাগাদ হস্টেলের দরজা বন্ধ করে। র‌্যাগিং করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, র‌্যাগিং-এর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে মামলা দায়ের করেছে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ।

    সোমবারই সরানো হয় আর জি করের অধ্যক্ষকে

    অন্যদিকে সোমবারই আর জি করের (R G Kar Medical College) অধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে। এর প্রতিবাদে আর জি করের ছাত্রদের একাংশ এবং কিছু জুনিয়র ডাক্তারকে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায়। মঙ্গলবার নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, সন্দীপ ঘোষকে সরানোর প্রতিবাদে যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন, সেই বিক্ষোভকারীদেরই একাংশ এদিন এপিসি রোডের বয়েজ হস্টেলে হামলা চালায় এবং ছাত্রদের উপর মানসিক অত্যাচার করে। গত ৯ অগাস্ট র‌্যাগিং-এর ফলে মৃত্যু হয় যাদবপুরের প্রথম বর্ষের বাংলা অনার্সের ছাত্র স্বপ্নদ্বীপ কুণ্ডুর। এই ঘটনায় মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এখনও এই মামলা চলছে এবং তদন্তে নানা রকমের তথ্য উঠে আসছে। এরই মধ্যে আবার আর জি কর (RG Kar Medical College) হস্টেলে র‌্যাগিং-এর অভিযোগ উঠল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Card: চোপড়ার চা বাগানের রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে রেশন কার্ড, কী করছে প্রশাসন?

    Ration Card: চোপড়ার চা বাগানের রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে রেশন কার্ড, কী করছে প্রশাসন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে রেশন কার্ড (Ration Card)। কুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় স্কুল পড়ুয়ারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কস্তুরি চা বাগান এলাকায়। করোনা অতিমারীর সময়ে রেশন পেতে প্রচণ্ড হয়রানি পোহাতে হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক সহ অনেককেই। কার্ড না থাকায় রেশন পাননি অনেকেই। ফলে, রেশন কার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কী করে পথেঘাটে লুটোপুটি খাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ration Card)

    বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের যে কোনও নথি এখন প্রচন্ড গুরুত্বপূর্ণ। সে আধার কার্ডই হোক বা প্যান কার্ড হোক বা ভোটার কার্ড অথবা রেশন কার্ড। এই চারটি কার্ডই জীবনের নানান ক্ষেত্রে কাজে দরকার পড়ে। অথচ সেই কার্ডই গড়াগড়ি খাচ্ছে রাস্তায়। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ সাধারণ মানুষের। বুধবার এই ঘটনা তীব্র চাঞ্চলের ছড়িয়ে পড়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কস্তুরি চা বাগান এলাকায়। রাস্তায় ও চা বাগানের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় প্রচুর রেশন কার্ড (Ration Card)। আর সেই কার্ডগুলি খেলার জন্য কুড়িয়ে নিয়ে যায় এলাকার কচিকাঁচারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় কয়েকশো প্যাকেট ভর্তি রেশন কার্ড পড়ে ছিল। সেই কার্ডগুলি এলাকার কচিকাঁচারা খেলার জন্য কুড়িয়ে নিয়ে যায়। বুধবার নজরে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর অনুমান কার্ডগুলি বিলি না করে কেউ বা কারা এখানে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। শুধু মাঝিয়ালি এলাকার কার্ড নয়, চোপড়া ব্লকের বেশ কিছু এলাকার কার্ড রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাস্তায় প্যাকেটবন্দি অবস্থায় রেশনকার্ডগুলি ছিল। এলাকার কচিকাঁচাদের নজরে পড়তেই প্যাকেট ছিড়ে সেই রেশন কার্ডগুলি তারা নিয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এত বিপুল পরিমাণ রেশন কার্ড কী করে পথে গড়াগড়ি খেল? নাকি কার্ডগুলি পোস্ট অফিস থেকে এনে এখানে কে বা কারা ফেলে দিয়ে গিয়েছে? তবে, এই ঘটনা নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    কী বললেন পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি?

    এবিষয়ে চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি ফজলুল হককে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি চোপড়া খাদ্য দফতরের আধিকারিক ও পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কারণ, এই রেশন কার্ডগুলি (Ration Card) পোস্ট অফিস থেকে বিলি করার কথা। কিন্তু, সেখানে কী করে কার্ডগুলো এল তা তদন্ত করে দেখার জন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “পুলিশ এবং অভিযুক্তদের যোগসাজশ ভাঙতে হবে” তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “পুলিশ এবং অভিযুক্তদের যোগসাজশ ভাঙতে হবে” তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাসপেন্ড করলেও বেতনের একটা অংশ পেয়ে রীতিমতো আরাম করবে পুলিশ। তাই পুলিশ এবং অভিযুক্তদের যোগসাজশ ভাঙতে হবে। ঠিক এভাবেই তীব্র ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta high court) বিচারপতি। পূর্ব মেদিনীপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মামলা দায়ের হলে হাইকোর্টের বিচারপতির এই মন্তব্যে তীব্র শোরগোল পড়ে যায়। বার বার শাসক-বিরোধীদের পাশাপাশি বিচারপতিদেরও এই ধরনের মন্তব্যে পুলিশ-প্রশাসনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা কতটা থাকবে, এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 

    পুলিশকে কেন ভর্ৎসনা কোর্টের (Calcutta high court)?

    নিম্ন আদালতে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে, পুলিশ একটি চার্জশিট জমা করে। কিন্তু পরে দেখা যায় চার্জশিটে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের বদলে মার্চ মাসের তারিখ উল্লেখ করা রয়েছে। পুলিশের গাফিলতির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন চার্জশিটে অভিযুক্তরা। এই মামলার শুনানির সময় বিচারপতি (Calcutta high court) তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, “সাসপেন্ড করলে বেতনের একটা অংশ পেয়ে পুলিশ আরামেই থাকবে। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বেআইনি কাজ করবে। পুলিশ এবং অভিযুক্তদের এই যোগসাজশকে ভাঙতে হবে।” পুলিশ কর্মীদের আরও কড়া প্রশিক্ষণের কথা বলে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। বিচারপতির এই মন্তব্যে পুলিশের ভূমিকা এবং কাজের ধরন নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তাহলে কি পুলিশ দোষীদের আড়াল করে অপরাধকে পরোক্ষে মদত করছে। বিচারপতির এই মন্তব্যে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

    মামলা কী ছিল?

    জানা গেছে, ২০১৪ সালে তমলুক থানার অন্তর্গত এক এলাকায় মোবাইলের টাওয়ার বসানোর কথা বলেছিল এক সংস্থা। সেই সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে মামলা দায়ের করা হয়। প্রতারণার মূল অভিযোগ ছিল নিউটাউনের এক সংস্থার বিরুদ্ধে। পুলিশ তদন্তে নেমে ১৫ জনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু সময়মতো পুলিশ চার্জশিট দিতে পারেনি। নিম্ন আদালতে সেই চার্জশিট জমা হয় ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে। কিন্তু তার পরেও দেখা যায়, সিটে তারিখ রয়েছে ২০২২ সালের মার্চ মাসের। আর এই মামলায় সঠিক ভাবে তদন্ত না করার অভিযোগে ফের মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta high court)। আর তারপরই বিচারপতি পুলিশের তীব্র সমালোচনা করেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dacoits: সমবায় ব্যাঙ্কে ফিল্মি কায়দায় ডাকাতি, বন্দুক দেখিয়ে সর্বস্ব লুট, নিয়ে গেল হার্ডডিস্কও

    Dacoits: সমবায় ব্যাঙ্কে ফিল্মি কায়দায় ডাকাতি, বন্দুক দেখিয়ে সর্বস্ব লুট, নিয়ে গেল হার্ডডিস্কও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে ফিল্মি কায়দায় একটি সমবায় ব্যাঙ্কে ভয়াবহ ডাকাতির (Dacoits) ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার কলালপুর কৃষি সমবায় সমিতিতে। দুষ্কৃতীরা সমবায় ব্যাঙ্কে হানা ১২ লক্ষ টাকা লুট করে পালিয়েছে। খবর পেয়ে সুতাহাটা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দিন কয়েক আগে পুরুলিয়া ও রানাঘাটে সেনকো গোল্ডের শোরুমে ব্যাপক লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। রানাঘাটে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইও হয় ডাকাত দলের সদস্যদের। দুটি ডাকাতির ঘটনায় কয়েক কোটি টাকা লুট করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dacoits)

    এদিন দুপুরে সমবায়ে একজন হেলমেট পড়ে ঢোকেন। ক্যাশিয়ার ওই ব্যক্তিকে হেলমেট খুলতে বলেন। সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তি বন্দুক বের করে। তার সঙ্গে আসা দুষ্কৃতীরাও সমবায়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে। দুষ্কৃতীরা (Dacoits) সিসিটিভির হার্ডডিস্ক চায়। একইসঙ্গে লকারের চাবিও চায় তারা। সমবায় ব্যাঙ্কের কর্মীরা প্রথমে চাবি দিতে অস্বীকার করেন। কিন্তু সেই সময় দুষ্কৃতীরা গুলি চালানোর হুঁশিয়ারি দেয়। তারপর ক্যাশিয়ারকে নিয়ে গিয়ে তারা লকার খোলায়। লকার খোলানোর পর চলে লুটপাট। ছিঁড়ে দেওয়া সিসিটিভির সমস্ত তারও। কয়েকজনের ফোন ভেঙে দেওয়া হয়। আর কয়েকজনের ফোন নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। যাওয়ার আগে সমবায়ের একটি শৌচাগারে সবাইকে বন্দি করে দেয় ডাকাতরা। হার্ডডিস্ক নিয়ে চলে যায় দুষ্কৃতীরা।

    সমবায় সমিতির ম্যানেজার কী বললেন?

    ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক ব্যক্তিকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে সমবায় সমিতি কর্তৃপক্ষ। এই প্রসঙ্গে সমবায় সমিতির ম্যানেজার অপূর্ব দাস  বলেন, এক ব্যক্তি ঘটনার আধ ঘণ্টা আগে এল। এসে বলল ১৪ বছরের বাচ্চার অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ডকুমেন্টগুলো কর্মীরা বলে দিলেন। সে বলল তার একটি ডকুমেন্ট নেই। আমি শুনলাম। আমি কথাও বললাম। তারপর সে চলে গেল। সেই ঘটনার আধ ঘণ্টা পর দুষ্কৃতীরা (Dacoits) ঢোকে। ২ জনের হাতে অগ্নেয়াস্ত্র ছিল। একজনের হাতে ভোজালি ছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: কৌশিকী অমাবস্যার মাহাত্ম্য কী? কীভাবে যাবেন তীর্থধাম তারাপীঠে?

    Tarapith: কৌশিকী অমাবস্যার মাহাত্ম্য কী? কীভাবে যাবেন তীর্থধাম তারাপীঠে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভাদ্র মাসের কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki amavasya 2023)। তন্ত্র এবং সাধনার জায়গা তারাপীঠ (Tarapith), বাঙালির অন্যতম শক্তি পীঠস্থান। কৌশিকী অমাবস্যায় বহু তন্ত্রসাধক এসে তারাপীঠ মহাশ্মশানে মহাযজ্ঞ করে থাকেন। শ্মশান সংলগ্ন দ্বারকা নদীর জল উত্তরবাহিনী। হিন্দু ধর্মে উত্তরবাহিনী নদী বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ ভারতের প্রায় সব নদী নেমেছে উত্তর দিকের হিমালয় থেকে। একমাত্র দেখা যায় কাশীতে গঙ্গা উত্তরবাহিনী আর তারপরে বীরভূমের এই দ্বারকা। তাই হিন্দুদের কাছে বিশেষ তীর্থধাম সতীর এই পীঠ। কৌশিকী অমাবস্যায় গ্রহ-নক্ষত্রের বিশেষ যোগ কাজ করে। ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর কৌশিকী অমাবস্যা। এই দুই দিনে কয়েক লাখ ভক্তের সমাগম হয় তারাপীঠে।

    কীভাবে যাবেন তারাপীঠ?

    তারাপীঠ (Tarapith) বীরভূম জেলায় রামপুরহাটের কাছে অবস্থিত। তারাপীঠে যেতে গেলে রামপুরহাট স্টেশন এবং তারাপীঠ রোড রেল স্টেশন রয়েছে। ট্রেনে গেলে এই দুই স্টেশনেই নামতে পারবেন। হাওড়া বা দক্ষিণবঙ্গের যে কোনও জেলা থেকে গেলে এই দুই স্টেশনে নামা যাবে। আবার কলকাতার ধর্মতলা থেকে তারাপীঠ যাওয়ার বাস পাবেন। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের যে কোনও জেলা থেকে আপনি বাস পেয়ে যাবেন৷

    যাত্রাপথে খরচ কত?

    আপনি হাওড়া বা শিয়ালদা থেকে যদি রামপুরহাট বা তারাপীঠ (Tarapith) যান, তাহলে ভাড়া পড়বে মাথাপিছু ৮০ থেকে ১০০ টাকা৷ অর্থাৎ যাওয়া-আসার খরচ মাত্র ২০০ টাকা৷ আবার মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা ইত্যাদি জেলা থেকে গেলে, আপনাকে আরও কম ভাড়া দিতে হবে। যদি আপনি বাসে যান, তাহলে ধর্মতলা থেকে বাস ধরতে পারেন। সেক্ষেত্রে ভাড়া দিতে হবে মাথাপিছু ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা। স্টেশন থেকে মন্দিরের দূরত্ব মাত্র ৮ কিলোমিটার ৷ অটো, ট্রেকার বা অন্য গাড়িতেই পৌঁছে যেতে পারেন মন্দিরে৷

    কোথায় থাকবেন?

    তারাপীঠে হোটেল অনেক। প্রতি রুমের ভাড়া ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। আপনার যেমন বাজেট, সেভাবে হোটেল পছন্দ করতে পারবেন। তবে বাজেট অল্প থাকলে বিনা পয়সায় থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। তারাপীঠে রয়েছে ভারত সেবাশ্রম সংঘ ৷ সেখানে মাত্র ৫০ টাকা দিলেই আপনি রাত্রিবাস করতে পারেন। আবার রামপুরহাট-তারাপীঠ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রয়েছে। সেখানে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে পর্যটকদের৷

    দর্শনীয় স্থান

    তারামায়ের মন্দির ছাড়াও তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বীরচন্দ্রপুরকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। পাশেই রয়েছে বীরচন্দ্রপুরে নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর জন্মস্থান। সেখানে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী নিতাই বাড়ি, বাঁকারায় মন্দির, জগন্নাথ মন্দির, গৌড়ীয় ইসকনের মন্দির, পঞ্চপাণ্ডব, মদনমোহন, শিব সহ বিভিন্ন মন্দির, নিত্যানন্দ, অদ্বৈত আচার্য ও গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর বিগ্রহ। পাশেই রয়েছে কঙ্কালীতলা মন্দির।

    এই বছর রাশিয়া, থাইল্যান্ড এবং দিল্লি থেকে বহু সাধু-সন্ন্যাসীরা ইতিমধ্যেই এসে উপস্থিত হয়েছেন তারাপীঠে। কৌশিকী অমাবস্যার দিন মহাযজ্ঞ করবেন সকলের মঙ্গল কামনার্থে ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: অপেক্ষার অবসান! ফুটবল জ্বরে উত্তেজনায় কাঁপছে মালদাবাসী, কেন জানেন?

    Malda: অপেক্ষার অবসান! ফুটবল জ্বরে উত্তেজনায় কাঁপছে মালদাবাসী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় (Malda) বসেই ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের খেলা দেখতে পাবেন জেলাবাসী। মালদা জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে ইস্টবেঙ্গল লিজেন্ডস বনাম মহমেডান স্পোর্টিং লিজেন্ডস প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থা এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেছে। মালদায় বসেই স্টার খেলোয়াড়দের খেলা দেখতে পাবেন জেলার মানুষ।

     কবে হচ্ছে এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচ? (Malda)

    ফুটবল খেলতে এবং খেলা দেখতে মালদার (Malda) মানুষ ভালবাসেন। খেলার টানেই জেলার বহু মানুষ কলকাতায় গিয়ে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখে আসেন। জেলার ফুটবল প্রেমীদের জন্য উদ্যোক্তারা গত বছরও মালদায় ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেছিল। ভারতীয় ফুটবলের প্রাক্তন তারকাদের সেই খেলা দেখতে প্রচুর মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল গ্যালারিতে। এবারও ফুটবলের লিজেন্ডদের এই ফুটবল প্রীতি ম্যাচ দেখতে ফুটবলপ্রেমীরা মাঠে ভিড় করবেন বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তা তথা উত্তরবঙ্গ ক্রীড়া পর্ষদের সদস্য প্রসেনজিৎ দাস বলেন, প্রাক্তন তারকা ফুটবলাররা এই ম্যাচে খেলবেন। ২২ সেপ্টেম্বর দুই দলের মধ্যে প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। মানুষের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা এখন থেকে দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে সমস্ত রকম প্রস্তুতি।

    প্রীতি ম্যাচ করানোর মূল লক্ষ্য কী?

    ভারতায় দলের তারকা প্রাক্তন ফুটবলারদের মালদায় (Malda) নিয়ে এসে প্রীতি ম্যাচ করানোর মূল লক্ষ্য, জেলার কচিকাঁচা ফুটবলারদের ফুটবলের প্রতি আরও আগ্রহ তৈরি করা। এমনই দাবি উদ্যোক্তাদের। এই উদ্যোগকে সামনে রেখে আবারও এই বছর এক ঝাঁক তারকা ফুটবলার নিয়ে আসা হচ্ছে মালদায়। এতদিন যে সমস্ত ফুটবলারদের টিভির পর্দায় খেলা দেখে এসেছিল জেলার মানুষ, এবার তাঁদের খেলা সরাসরি দেখার সুযোগ মিলবে এই প্রীতি ম্যাচে। খেলার মাঠে ও গ্যালারির মধ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে টিকিটের ব্যবস্থা করেছেন উদ্যোক্তারা। মালদার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে টিকিট মিলছে। মালদা শহরের বেশকিছু জায়গায় টিকিট বিতরণের জন্য কাউন্টার করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: মমতার দক্ষিণ কলকাতাতেই ডেঙ্গির দাপট দ্বিগুণ! প্রশ্নের মুখে কলকাতা পুরসভার ভূমিকা! 

    Dengue: মমতার দক্ষিণ কলকাতাতেই ডেঙ্গির দাপট দ্বিগুণ! প্রশ্নের মুখে কলকাতা পুরসভার ভূমিকা! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গির (Dengue) দাপট। আক্রান্তের সংখ্যা উর্ধ্বমুখী! তথ্য বলছে, চিন্তার কারণ বাড়াচ্ছে দক্ষিণ কলকাতা। বছরভর একাধিক পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করলেও কাজ বিশেষ হয়েছে কিনা, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ডেঙ্গির দাপট বাড়তেই প্রশ্নের মুখে কলকাতা পুরসভার ভূমিকা।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট? 

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ইতিমধ্যেই ডেঙ্গির (Dengue) সমস্ত রেকর্ড পেরিয়ে গিয়েছে। আগের বছরগুলোর তুলনায় এ বছরে ডেঙ্গির প্রকোপ অনেক বেশি। তাই কলকাতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ, এই শহরেই ডেঙ্গির দাপট সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত কলকাতার ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৬০০ জন। যা গত চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ২০২০ সালে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫১০ জন। ২০২১ সালে ছিল ৫৬৭ জন। ২০২২ সালে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছিল ১১২৩ জন। চলতি বছর অবশ্য আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। 
    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতার মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের ৬৮ শতাংশ দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। তাই ওই এলাকাগুলো নিয়েই উদ্বেগ বাড়ছে।

    কলকাতার কোন এলাকায় ডেঙ্গির দাপট সবচেয়ে বেশি? 

    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতার দক্ষিণে সবচেয়ে শক্তিশালী ডেঙ্গি (Dengue)। তাই বেহালা, তিলজলা, মুকুন্দপুর, টালিগঞ্জ, বাঁশদ্রোণী, কসবা, তপসিয়া, নিউ আলিপুর, যাদবপুর এই জায়গাগুলোতে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা গিয়েছে। কলকাতার মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের ৬৮ শতাংশ এই এলাকার বাসিন্দা। অর্থাৎ, স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে কলকাতার ১৬০০ ডেঙ্গি আক্রান্তের মধ্যে ১০৮৮ জন দক্ষিণ কলকাতার এই সব এলাকায় থাকেন।

    কেন দক্ষিণ কলকাতায় বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ? 

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি রুখতে যে ধারাবাহিক কাজ জরুরি, তার ঘাটতির জেরেই বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। দক্ষিণ কলকাতায় একাধিক নির্মীয়মাণ এলাকা রয়েছে। বৃষ্টি হলে সেখানে জল জমছে। আর তাতেই মশা জন্ম নিচ্ছে। এর ফলে দাপট বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতায় একাধিক বড় পুজো হয়। বাঁশ এবং অন্যান্য সামগ্রী পড়ে থাকছে। সেখানেও জল জমছে। আর মশার আঁতুরঘর তৈরি হচ্ছে। বিপদ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। তবে, সবচেয়ে জোরালো সমস্যা নিকাশি ব্যবস্থা। কসবা, বালিগঞ্জ কিংবা বেহালা-দক্ষিণ কলকাতার একাধিক এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেও জল জমে থাকে। নর্দমা পরিষ্কার হয় না। ফলে, মশার উপদ্রব বাড়ছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ।

    কী বলছে কলকাতা পুরসভা? 

    ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়ে চলায় সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে পড়ছে কলকাতা পুরসভা। কারণ, বছরভর কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। পাশাপশি ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পুর প্রশাসনের! ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ায়, তাই প্রশ্ন উঠছে, কলকাতা পুরসভা কি তার দায়িত্ব পালন করতে পারছে না? পুরসভা অবশ্য জানাচ্ছে, তারা যথেষ্ট সক্রিয়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। জল জমলে যেখানে নিকাশির কাজ করা হচ্ছে। তাছাড়া কেউ আক্রান্ত (Dengue) হলে সেখানে প্রয়োজনীয় নজরদারি করা হচ্ছে। তবে, সাধারণ মানুষের সচেতনতা আরও জরুরি বলেও মনে করছে পুরসভা। তারা জানাচ্ছে, সে বিষয়ে আরও জোরালো কর্মসূচি চালানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: মাঝেরহাট, পোস্তার মতো অবস্থা হবে না তো হাওড়ার বঙ্কিম সেতুর! উদ্বেগে মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা

    Howrah: মাঝেরহাট, পোস্তার মতো অবস্থা হবে না তো হাওড়ার বঙ্কিম সেতুর! উদ্বেগে মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৮ সালের এক মঙ্গলবার বিকেলে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল প্রায় ৪০ বছরের পুরানো মাঝেরহাট ব্রিজ। মৃত্যু হয়েছিল বেশ কয়েকজনের। আর আগে ২০১৩ সালের ৪ মার্চ মধ্যরাতে ভেঙে পড়েছিল উল্টোডাঙার ওভারব্রিজ। এর পর ২০১৬-র ৩১ মার্চ ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ পোস্তা সেতু। সেই  ঘটনায় মারা যান ২৭ জন। আরও ৮০ জন জখম হয়েছিলেন। শহরে একের পর এক সেতু বিপর্যয়ের পর এবার হাওড়া শহরের প্রধান যোগাযোগকারী বঙ্কিম ব্রিজের এতটাই বেহাল অবস্থা যে সেই ব্রিজটিও মাঝেরহাট ব্রিজের মত ভেঙে পড়বে না তো? এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে হাওড়া শহরের বাসিন্দারা, বিশেষ করে হাওড়ার মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা।

    বঙ্কিম সেতু নিয়ে কেন উদ্বেগ?

    দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। ফলে, ক্রমশ বেহাল হয়ে পড়ছে হাওড়ার বঙ্কিম সেতু।  হাওড়া ব্রিজ থেকে নেমে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম এই বঙ্কিম সেতু। মঙ্গলবার দুপুরে এই সেতুর চাঙর ভেঙে পড়ে জখম হয়েছেন দুজন। তাদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,  এই বঙ্কিম সেতুর নিচেই বসে মঙ্গলাহাট। সেতুর ঠিক নীচে পুজোর আগে ফুটপাতের দোকানগুলিতে উপচে পড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। তখনই বঙ্কিম সেতুর চাঙর খসে পড়ে এক ক্রেতার গায়ে লাগে। সঙ্গে ছিল এক শিশু। ওই চাঙড়ের আঘাতে জখম হয় শিশুটি। তাকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। এমনিতেই কয়েক বছর আগে সেতুর ওপরের ভার কমাতে হাওড়া সিটি পুলিশের উদ্যোগে সেতুর ওপর পার্কিং বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সে নির্দেশও বেশি দিন মানা হয়নি । মঙ্গলাহাটের দুদিন আগে থেকেই বড় বড় লরি লোডিং আনলোডিং এর কাজ হয় বঙ্কিম সেতুর ওপরেই। ফলে সেতুর নিচে দিয়ে যারা যাতায়াত করেন তারা খুবই আতঙ্কের মধ্যে তাদের পথ চলতে হয়। ফলে, যে কোনও মুহূর্তে সেতুটি ভেঙে পড়তে পারে।

    স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের বক্তব্য,বঙ্কিম সেতুর অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ। কোনও মেরামতি করা হয়নি। অনেক জায়গাতেই সেতু থেকে জল পড়ে। আবার কোথাও কোথাও সেতুতে ওঠার লোহার সিঁড়ি পুরোপুরি ভগ্ন দশা। সেসব জায়গা দিয়ে সেতুতে উঠতে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনায় পড়েন অনেকে। একইভাবে হাওড়ার মাছ বাজারের সামনে থেকে বঙ্গবাসী সিনেমা হলের সামনে যেখানে গিয়ে সেতুটি নেমেছে পুরো অংশটাই রাস্তা যেমন ভাঙাচোরা,একইভাবে সেতুর নিচের ছাদ থেকে মাঝেমধ্যেই খসে পড়ে চাঙড়। কয়েকদিন আগেও এই ধরনের একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারপরেও সেতু মেরামতির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

    হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান কী বললেন?

    হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, এদিনে দুর্ঘটনার পরেই আমি কে এম ডি এর আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কারণ সেতুটি মেরামতি এবং রক্ষণাবেক্ষণ এর কাজ করে কে এম ডি এ। কেএমডির আধিকারিকরা আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুততার সঙ্গে সেতু মেরামতির কাজ শুরু হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share