Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Dengue: প্রচারের ঢক্কানিনাদই সার! ভয়াবহ ডেঙ্গি প্রতিরোধে রাজ্য সরকার যেন কুম্ভকর্ণ

    Dengue: প্রচারের ঢক্কানিনাদই সার! ভয়াবহ ডেঙ্গি প্রতিরোধে রাজ্য সরকার যেন কুম্ভকর্ণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের প্রথম থেকেই ডেঙ্গি (Dengue) রুখতে নানা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু প্রত্যেক বছরই পশ্চিমবঙ্গের ডেঙ্গি পরিস্থিতি ওই ধরনের কর্মসূচির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বরং ঢক্কানিনাদ করে নানা কর্মসূচির যে আহ্বান কলকাতা পুরসভা ও রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর করেছিল, তা একেবারেই বাস্তবের মুখ দেখেনি, এমনই অভিযোগ করছে রাজ্য ও কেন্দ্রের বিভিন্ন দফতর। আর রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতিই এই অভিযোগের বাস্তব রূপ!

    কী অভিযোগ উঠেছে (Dengue)? 

    কলকাতা ও আশপাশের জেলা যেমন হাওড়া, হুগলি, উত্তর চব্বিশ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় মেট্রো রেল সম্প্রসারণের কাজ চলছে। যার জেরে বহু এলাকা ভাঙা হচ্ছে, ব্রিজ তৈরি হচ্ছে। নির্মীয়মাণ এলাকায় জল জমছে। রেলের তরফে বিভিন্ন জায়গা ঘিরে রাখা হয়েছে। সেখানেও জল জমার আশঙ্কা থাকছে। পাশপাশি মশার লার্ভাও দেখা যাচ্ছে। রেল মন্ত্রকের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট পুরসভাকে পরিষ্কারের জন্য একাধিকবার আবেদন করলেও তারা কর্ণপাত করেনি। এমনকী স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। তারপরেও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ কিংবা অন্য কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। 
    রেল মন্ত্রকের পাশপাশি এমন অভিযোগ করছে রাজ্যের একাধিক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুর, কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, বারবার কলকাতা পুরসভার কাছে আবেদন করলেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। গড়িমসি ভাব রয়েছে। কলকাতার একাধিক সরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সামান্য বৃষ্টি হলেও রাস্তায় জল জমে। বৃষ্টি কমলেও জল জমে থাকে। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বারবার পুরসভার কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। 
    বাদ নেই কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলো। এনআরএস, আরজিকর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সহ একাধিক মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল ডেঙ্গির (Dengue) আঁতুরঘর। মশা মারার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বারবার পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদন করলেও কোনও সক্রিয়তা দেখা যায়নি বলেই অভিযোগ। 
    কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করাই পুরসভার প্রধান দায়িত্ব। প্রয়োজনে পুরসভা সেই দফতরের থেকে খরচ নিয়ে নেবে। কিন্তু নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রাখা, জল জমা আটকানোর কাজ পুরসভার। এই দায় ঠেলার জেরে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

    রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি কেমন? 

    রাজ্যে ডেঙ্গির দাপট উর্ধ্বগামী। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে ইতিমধ্যেই ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রত্যেক সপ্তাহে প্রায় চার হাজারের কাছাকাছি মানুষ নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন। অক্টোবর মাসে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হবে বলেই আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। যদিও সরকারি হিসাবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন ৩ জন। কিন্তু বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই পর্যন্ত ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিত আরও ভয়াবহ হবে বলেও আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী বলছেন পুরকর্তা এবং স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    অভিযোগ মানতে নারাজ পুরকর্তারা। কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, “আমরাই বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি করছি। জমা জল আছে কিনা দেখছি। প্রয়োজনে কর্মী নিয়ে গিয়ে মশার লার্ভা মারা হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ পেয়েও পুরসভা কাজ করেনি, এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।” 
    স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, পুরসভার সঙ্গে সারা বছর যোগাযোগ রাখা হয়। নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রাখা কিংবা জল জমে থাকলে কোনও অসুবিধা হলে সেটা দেখার দায়িত্ব পুরসভার। তবে, ডেঙ্গি পরিস্থিতি (Dengue) নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য দফতর সব সময়ই সক্রিয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: ফের আধারের বায়োমেট্রিক প্রতারণাচক্রের হদিশ, পুলিশ কী করছে?

    Uttar Dinajpur: ফের আধারের বায়োমেট্রিক প্রতারণাচক্রের হদিশ, পুলিশ কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে একের পর এক ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে ব্যাঙ্ক  অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিচ্ছে প্রতারকরা। গ্রাহকদের অজান্তেই তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। দিনের পর দিন এই ধরনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে আবার আন্তঃ রাজ্য আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের খোঁজ পেল উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ইসলামপুর জেলার পুলিশ।

    আন্তঃ রাজ্য আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের খোঁজ (Uttar Dinajpur)

    পুলিশ সূত্রে খবর, চা বাগান ঘেরা চোপড়ায় আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণার হাব তৈরি করেছে প্রতারকরা। শুধু তাই নয়, প্রতারণা চক্রের পান্ডারা আধুনিক অফিসে বসেই নিমেষে গ্রাহকদের লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব করে দিচ্ছে। কেউ কিছু বোঝার আগেই নিমেশে সর্বস্বান্ত হচ্ছিলেন অনেকে। হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ায় এলাকায় বেশ কয়েকজনের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। শুধু হাওড়া বা উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলা নয় রাজ্যের একাধিক জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। এসব অপরাধের পিছনে এই চক্রের কোনও যোগ রয়েছে কি না তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। তদন্তে নেমে আন্তঃ রাজ্য আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের খোঁজ পায়। ইতিমধ্যেই ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ইসলামপুর সাইবার ক্রাইম থানা। উদ্ধার করা হয়েছে, প্রচুর ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডেভলপিং কেমিক্যালস, ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, জমির দলিলের আঙুলের ছাপের কাগজ,আধারের কপি। গ্রেফতার ৩ ব্যক্তিকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়। এরপর শনিবার আরও একটি আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার হয় আরও প্রয়োজনীয় গেজেটস, কেমিক্যালস,কম্পিউটার, দলিলের কপি। পুলিশ ওই চক্রের পান্ডাদের ধরতে পারেনি পুলিশ।

    জেলা পুলিশের আধিকারিক কী বললেন?

    রবিবার এই বিষয়ে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) ইসলামপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল বলেন, প্ৰথম দিনের প্রতারণা চক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল চোপড়া থানার নারায়ণপুর এলাকায়। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় ৩ জনকে। দ্বিতীয় অভিযান চালানো হয় চোপড়া থানার চুটিয়াখোড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। কিন্তু, কাউতকে গ্রেফতার করা যায়নি। সমস্ত বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMCP: শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের হেনস্থার শিকার, স্বেচ্ছাবসর চেয়ে চিঠি অধ্যক্ষের

    TMCP: শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের হেনস্থার শিকার, স্বেচ্ছাবসর চেয়ে চিঠি অধ্যক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের (TMCP) কাছে হেনস্থা শিকার হয়ে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিতে চাইলেন যোগেশচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়। ইতিমধ্যে পঙ্কজবাবু তাঁর এই ইচ্ছার কথা কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির কাছে লিখিতভাবেও জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত প্রায়শই তাঁর ওপরে মানসিক চাপ সৃষ্টি,হেনস্থা ও কলেজে বহিরাগতদের তান্ডবের তত্ত্ব তুলে ধরেছেন পঙ্কজবাবু। প্রসঙ্গত, সারা রাজ্য জুড়ে শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনায় কমবেশি তৃণমূলের নেতারা জড়িত রয়েছেন। যখনই যেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটে শাসক দলের ছাত্র নেতাদের নাম উঠে আসে। তাই পঙ্কজ রায়ের অভিযোগ যে স্বাভাবিক এ কথা মেনে নিচ্ছে পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: ‘মমতা-সুজন-অধীর-অভিষেক-সেলিম’ এক ব্যানারে, হুগলিজুড়ে পোস্টারে চাঞ্চল্য

    কী বলছেন পঙ্কজ রায়?

    যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ এদিন বলেন, ‘‘দিনের পর দিন ছাত্র সংসদের নামে বহিরাগতরা (TMCP) যে তাণ্ডব চালাচ্ছেন, তা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমি আগেও বলেছি, আমি যদি কোনও দলের মুখপাত্র হই, সেটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু কলেজ চত্বরে আমি একটি কাজও কোনও দলের হয়ে করেছি, এ কথা কেউ বলতে কিংবা প্রমাণ করতে পারবে না। আমি চ্যালেঞ্জ করছি। পদের লোভ আমার নেই। আমার আদর্শ বিক্রি করার জন্য নয়।’’ প্রসঙ্গত ৩৫ বছর ধরে অধ্যাপনার কাজের সঙ্গে যুক্ত পঙ্কজবাবু কিন্তু এমন পরিস্থিতি কখনও তৈরি হয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি।

    কলেজে বহিরাগত তান্ডব

    এর পাশাপাশি বহিরাগত তাণ্ডবের (TMCP) তত্ত্ব তুলে ধরেছেন পঙ্কজ রায়। তিনি বলেন, ‘‘যে কোনও বিষয়ে বহিরাগতরা এসে হুজ্জতি করছে। যে ভাষায় প্রিন্সিপালের ঘরে ঢুকে তারা কথা বলছে, তা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। কেন বহিরাগতরা কলেজে ঢুকবে? এ প্রশ্নও তুলেছেন পঙ্কজ বাবু। এতে যে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে তাও জানান তিনি। নিজের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে আর কোনওভাবেই এই মানসিক চাপ তিনি নিতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন অধ্যক্ষ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়ায় ব্যাগ ভর্তি মানুষের কঙ্কাল মিলল পঞ্চায়েত অফিসের পাশে, আতঙ্ক

    Howrah: হাওড়ায় ব্যাগ ভর্তি মানুষের কঙ্কাল মিলল পঞ্চায়েত অফিসের পাশে, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ব্যাগের মধ্যে এল মানুষের কঙ্কাল। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়া (Howrah) জেলার শ্যামপুরের ডিহিমণ্ডল ঘাট এলাকায়। নদীর ধারে রয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস। সেখানেই ব্যাগের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল মানুষের কঙ্কাল। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। পরে, খবর পেয়ে পুলিশ এসে কঙ্কাল উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়়ার (Howrah) শ্যামপুর ডিহিমন্ডল ঘাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে কঙ্কাল ভর্তি ব্যাগ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তার পাশে ব্যাগের মধ্যে মানুষের কঙ্কালগুলি দেখতে পান তাঁরা। এই খবর ছড়াতেই তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। এর পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শ্যামপুর থানার পুলিশ। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে কীভাবে ব্যাগের মধ্যে এল মানুষের কঙ্কাল। সেই প্রশ্ন উঠছে। কঙ্কালগুলি উদ্ধার করে ফরেন্সিক তদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এদিন পঞ্চায়েতের কাছে ব্যাগটি পড়েছিল। প্রথমে কেউ গুরুত্ব দেয়নি। দীর্ঘক্ষণ ব্যাগটি পড়ে থাকায় ভিতরে কী রয়েছে তা দেখতে গিয়ে সকলেই চমকে ওঠে। কঙ্কাল ভর্তি ব্যাগ দেখতে এলাকায় ভিড় জমে যায়। এই ধরনের ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগের। কে বা কারা এই কাজ করল তা তদন্তে করে দেখা দরকার। কারণ, এটি মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে। তাই, পুলিশ এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করুক।

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক?

    স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শ্যামপুর থানার পুলিশ। পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায় কঙ্কাল। কিন্তু, কী ভাবে সেই কঙ্কাল এল তা নিয়ে যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে এই এলাকায়। হাওড়া (Howrah) জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, কঙ্কাল ভর্তি ব্যাগটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কে বা কারা এই কাজ করেছে তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শ্যামপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: অতি বর্ষণে নলহাটিতে বন্যার আশঙ্কা! ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক ধস, ব্যাহত যান চলাচল

    Birbhum: অতি বর্ষণে নলহাটিতে বন্যার আশঙ্কা! ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক ধস, ব্যাহত যান চলাচল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে বীরভূমের (Birbhum) ব্রাহ্মণী নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নলহাটি দু নম্বর ব্লকের শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামে তৈরি হয়েছে বন্যার আশঙ্কা। অপর দিকে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়কে নেমেছে ধস, ভগ্নপ্রায় পুঠিমারী পল্টন ব্রিজ। ব্যাঘাত ঘটছে যানবাহন চলাচলে। সাধারণ মানুষ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার। 

    নলহাটিতে বন্যার আশঙ্কা (Birbhum)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত আটটা নাগাদ নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের বারুনি ঘাটায় বৃষ্টির জলে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়ে প্রসাদপুর গ্রামে। অন্যদিকে বৈধরা জলাধার থেকে গতকাল শনিবার বিকেলে ১৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ফলে বর্তমানে নলহাটির দুই নম্বর ব্লকের মোট চারটি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। গতকাল রাত্রে খবর পেয়ে জেলাশাসক বিধান রায়, রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, রামপুরহাট মহকুমা শাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য যান। অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে বহু এলাকা বর্তমানে জলমগ্ন।

    মুর্শিদাবাদে জাতীয় সড়কে ধস

    বীরভূমের (Birbhum) পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের পুঠিমারী পল্টন ব্রিজের সড়কে লাগাতার বৃষ্টির ফলে ভয়াবহ ধস দেখা দিয়েছে। ডাকবাংলা থেকে পাকুর যাওয়ার একমাত্র রাস্তা ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। আর বৃষ্টির ফলে সড়কে ধস। বিঘ্নিত যান চলাচল। সমস্যায় পড়েছে বড় গাড়ি থেকে শুরু করে সব ধরনের যানবাহন। ধসকে ঘিরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। উল্লেখ্য ৩৪ নং জাতীয় সড়ক বেয়ে নতুন ডাকবাংলা থেকে ঝাড়খণ্ডের দিকে চলে গিয়েছে ১০৬ নং জাতীয় সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকার পর, এক বছর আগেই রাস্তাটি সংস্কার হয়। কিন্তু বর্ষা আসলেই বারংবার ধসের কবলে পড়ে পল্টন ব্রিজের এই সড়ক। এই সড়ক দিয়ে দৈনন্দিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ধসের কারণে রাস্তায় ছোট গাড়ি থেকে বড় গাড়ি কোনোটাই এখন সাহস নিয়ে পারাপার হতে পারছে না। সড়কের ১৫০ মিটার রাস্তায় ধসের কবলে এবং ৪ থেকে ৫ হাত গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। এদিকে পল্টন ব্রিজের রাস্তায় ধস নামার ফলে আশেপাশের প্রায় দশটি পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

    প্রশাসনের ভূমিকা

    বীরভূমের জেলাশাসককে (Birbhum) জানানোর মত সমস্যার বিষয়টি নিয়ে সামশেরগঞ্জের বিডিও সুজিতচন্দ্র লোধকে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর কাজ শুরু করেছে। খুব দ্রুত সংস্কারের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কালো টাকা সরাতে ১০ বছরে ২৬ বার বিদেশযাত্রা? কাকে নিয়ে পোস্ট শুভেন্দুর?

    Suvendu Adhikari: কালো টাকা সরাতে ১০ বছরে ২৬ বার বিদেশযাত্রা? কাকে নিয়ে পোস্ট শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। কোনও এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিদেশ যাত্রা নিয়ে কটাক্ষ করতে দেখা গেল নন্দীগ্রামের বিধায়ককে। সেখানে শুভেন্দু লিখছেন, ‘‘একজন হাই ফ্লায়িং জনপ্রতিনিধি ১০ বছর পাবলিক লাইফে থাকার পরেও নিজের নির্বাচনী এলাকায় তৃণমূল স্তরের জনসাধারণের কাছে পৌঁছতে সক্ষম হননি কিন্তু তিনি প্রায় বিদেশে উড়ে যাচ্ছেন। এমন বিদেশ যাত্রা ২০১১ সালের আগে হয়নি ২০১৪ সালের পর থেকেই স্বর্ণযুগ শুরু হয়েছে।’’ 

    হিসাব বহির্ভূত অর্থ স্থানান্তরিত করতে বিদেশযাত্রা!

    হিসাব বহির্ভূত অর্থ স্থানান্তরিত করতে ওই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিদেশ যাত্রা বলেও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং তিনি লিখছেন, ‘‘যখনই ওই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মনে হয় হিসাব বহির্ভূত অর্থ এবার স্থানান্তরিত করতে হবে তখনই তিনি বিদেশ যাত্রা করেন।’’ এদিন নিজের বিষয়েও এক্স হ্যান্ডেলে লিখতে দেখা যায় নন্দীগ্রামে বিধায়ককে। তিনি  পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন, ২০০৯ সাল থেকে সাংসদ থাকার কারণে ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট রয়েছে তাঁর কাছে কিন্তু সেটা তিনি কখনও ব্যবহার করেননি। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও জানিয়েছেন যে তাঁর পাসপোর্টে ভিসা স্ট্যাম্প নেই। শুভেন্দুর মতে, তাঁর পোস্ট যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ঘিরে তিনিও উদ্বিগ্ন রয়েছেন। শীঘ্রই তাঁকে নামিয়ে আনা হবে।

    কাকে উদ্দেশ্য করে পোস্ট শুভেন্দুর

    কাকে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই পোস্ট করেছেন! সে নিয়েই তৈরি হয়েছে জল্পনা। নিজের পোস্টে তিনি রীতিমতো তালিকাও দিয়েছেন যেখানে ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিদেশ যাত্রা বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। ওই তালিকা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) পোস্ট করা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিদেশ যাত্রা শুরু হয়েছে ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল দিল্লি থেকে ব্যাঙ্কক যাত্রা মধ্য দিয়ে এবং তালিকা শেষ হয়েছে কলকাতা থেকে আমেরিকা যাত্রায় মধ্যে দিয়ে যা সম্পন্ন হয়েছে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে।  ওই তালিকা অনুযায়ী গন্তব্য স্থান যেমন লেখা হয়েছে, তেমনই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যে উদ্দেশ্য দেখিয়ে বিদেশ যাত্রা করেছেন সেটিও লেখা রয়েছে। যেমন ২০১৫ সালের তাঁর ব্যাঙ্কক যাত্রা ছুটি কাটাতে হয়েছে অন্যদিকে ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকা যাত্রা চিকিৎসার কারণে হয়েছে। ওই তালিকা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে ২০১৫ সালে চারবার বিদেশ যাত্রা করেছেন ওই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যার মধ্যে তিনবার ব্যাঙ্কক এবং একবার আমেরিকা। ২০১৬ সালে ৩ বার বিদেশ যাত্রা করেছেন যার মধ্যে  দু’বার ব্যাঙ্কক এবং একবার সিঙ্গাপুর। ২০১৭ সালে ওই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চারবার বিদেশ যাত্রা করেছেন তার মধ্যে দুবার সিঙ্গাপুর একবার ব্রিটেন, একবার ব্যাঙ্কক। ২০১৮ সালে চারবার বিদেশ যাত্রা, যার মধ্যে দুবার ব্রিটেন এবং দুবার সিঙ্গাপুর। ২০১৯ সালের চারবার বিদেশ যাত্রা করেছেন যার মধ্যে তিনবার দুবাই এবং একবার সিঙ্গাপুর। ২০২০ সালে দুবার বিদেশ যাত্রা হয়েছে একবার দুবাই এবং একবার সিঙ্গাপুর। ২০২১ সালে একবার বিদেশ যাত্রা হয়েছে সেটা মালদ্বীপ। ২০২২ সালে চারবার বিদেশ যাত্রা হয়েছে যার মধ্যে তিনবার দুবাই এবং একবার আমেরিকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: বিজেপির সাংসদ, বিধায়কদের গঙ্গায় ছুড়ে ফেলার নিদান তৃণমূল নেতার

    Malda: বিজেপির সাংসদ, বিধায়কদের গঙ্গায় ছুড়ে ফেলার নিদান তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গা ভাঙ্গনে কেন্দ্ৰীয় অর্থ বরাদ্দের দাবিতে ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজারের দফতর ঘেরাও করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার আগেই প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। মালদা (Malda) শহরের রথবাড়ি মোড়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের প্রসঙ্গে ঠিক কী বলেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি? (Malda)

    দলের প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মালদা (Malda) জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, আগামী ২৫ তারিখের পর, গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধে যদি কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে খগেন বাবুদের মত বিজেপির এমপি, এমএলএদের গঙ্গায় ছুড়ে ফেলা হবে। লড়াই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ৩৪ বছরের একটা সরকারকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের বুক থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। সিপিএমরা আজকে নিশ্চিহ্ন পশ্চিমবাংলার বুকে, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে লড়াই করব, যারা গঙ্গা ভাঙ্গনের অবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না, ডিএম অফিস ঘেরাও করে সস্তার রাজনীতি করতে চান, ২৫ তারিখের পরে কোনও সুরাহা না বেরোয় তাহলে সেই সাংসদ, বিধায়কদের প্রথমে গঙ্গায় ছোঁড়া হবে, যাতে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে সাধারণ মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে আছে। এখানেই শেষ নয়, তিনি বলেন, যারা গঙ্গার পাড়ে যেতে পারে না, এদিকে ডিএম অফিসের সামনে এসে আন্দোলন করে, তাদের হুঁশিয়ার করে দিতে চাই। কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়া গঙ্গার পাড়ে যদি আপনারা যান, গঙ্গা পারের মানুষ বাড়িঘরের সঙ্গে আপনাদের গঙ্গায় ভাসিয়ে দেবে। বিজেপির বন্ধুরা এই সতর্কবার্তা আপনাদের জানিয়ে রাখছি। আমরা পেটে ভাত চাই, গরিব মানুষ খেতে পারছে না। ১০০ দিনের টাকা বাকি রয়েছে আর তোমরা ঝান্ডা লাগিয়ে ডিএম অফিসে মাতামাতি করবে নাচানাচি করবে, সেটা গ্রামের মানুষ সহ্য করবে না। যাদের পেটে খিদে থাকবে, সেই ক্ষুধার্ত মানুষ তোমাদের আর ছেড়ে কথা বলবে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কলুষিত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। হয় দেশের সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলুন, না হলে তাদের কাছ থেকে টাকা এনে গরিব মানুষের কাছে দিন। না হলে মানুষ আপনাদেরকে চলতে- ফিরতে দেবে না।

    কী বললেন বিজেপি  সাংসদ খগেন মুর্মু?

    যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতির বক্তব্যকে আমল দিতে নারাজ বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, আমরা যা করার করেছি। কেন্দ্রে যা বলার বলেছি। তৃণমূলের বিধায়করা নাটক করে মানুষকে বিপথগামী করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North Bengal: উত্তরবঙ্গে ভারী বর্ষণে ধস জাতীয় সড়কে, গাড়ি পড়ল তিস্তায়, বিপাকে পর্যটকরা

    North Bengal: উত্তরবঙ্গে ভারী বর্ষণে ধস জাতীয় সড়কে, গাড়ি পড়ল তিস্তায়, বিপাকে পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টির কারণে বেহাল উত্তরবঙ্গের (North Bengal) জনজীবন। দার্জিলিংয়ে শ্বেতিঝোরার কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বৃষ্টির কারণে নেমেছে ব্যাপক ধস। ব্যাহত হয়ে পড়েছে যান চলাচল। রাস্তা ভেঙে গাড়ি গিয়ে পড়েছে তিস্তা নদীতে। শিলিগুড়ি থেকে সিকিম বা কালিম্পং যেতে, ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে গাড়ির গতিপথ। উল্লেখ্য গত দুই দিন ধরে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে দক্ষিণবঙ্গেও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া দফতর বেশ কিছু জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে। উত্তরবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরাও।

    ধসে বেহাল জনজীবন (North Bengal)

    নিন্মচাপের কারণে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও (North Bengal) হয়েছে ব্যাপক বৃষ্টিপাত। আর এই বৃষ্টির কারণে দার্জিলিংয়ে ব্যাপক ধস নেমেছে। শনিবার রাত থেকেই এই বৃষ্টিপাত চলছে। দার্জিলিংয়ের রম্ভী থানার লোহাপুরের কাছে শ্বেতিঝোরায় জাতীয় সড়কে ধসের কারণে তৈরি হয়েছে বড় গর্ত। রাস্তায় ধস এবং গর্ত দেখে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সিকিম থেকে শিলিগুড়িতে আসা সব গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্য পথে। রাস্তায় চলা বড় গাড়ি, ট্রাকগুলিকে কালিম্পং হয়ে লাভা এবং করোনেশন ব্রিজ ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে পাহাড়ে যেতে ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পাশাপাশি মালদা, ধূপগুড়িতেও ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাস্তায় হাঁটু পর্যন্ত জল জমে গেছে। অনেক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।

    আবহাওয়া দফতরের বক্তব্য

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গে (North Bengal) দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার সহ আট জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। সেই সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিম আবহাওয়া দফতরের নির্দেশক গোপীনাথ রাহা জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় একই রকম বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আগামী ২৪ ঘণ্টা পরেই কমার সম্ভাবনা রয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ‘মমতা-সুজন-অধীর-অভিষেক-সেলিম’ এক ব্যানারে, হুগলিজুড়ে পোস্টারে চাঞ্চল্য

    Hooghly: ‘মমতা-সুজন-অধীর-অভিষেক-সেলিম’ এক ব্যানারে, হুগলিজুড়ে পোস্টারে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামান্য একটি রাজনৈতিক নেতাদের ছবি সহ ব্যানার। আর সেই ব্যানার নিয়ে তোলপাড়় হুগলি (Hooghly) জেলার রাজনীতি। জেলার একাধিক প্রান্তেই ওই ব্যানার কে বা কারা টাঙিয়েছে। আর সেই ব্যানারকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী রয়েছে ব্যানারে? (Hooghly)  

    লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিরোধীরা ইন্ডিয়া জোট গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে, সেই জোটের স্লোগান, ব্যানার, ফেস্টুন, প্রচারের ইস্যু কী হবে তা কিছুই ঠিক হয়নি। ব্যানারে কাদের ছবি ব্যবহার করা হবে, কাদের হবে না সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট কোনও বার্তা নেই। এরমধ্যেই হুগলি (Hooghly)  জেলায় একটি ব্যানারে দেখা গেল, এক ফ্রেমের মধ্যে মমতা- অভিষেক-সনিয়া-রাহুল-সেলিম-সুজন সকলের মুখ একসঙ্গে শোভা পাচ্ছে ব্যানারে। বাংলার রাজনীতিতে এমন ছবি বিরল। তৃণমূল-বাম-কংগ্রেস সব দলের নেতাদের মুখ একসঙ্গে। এক ব্যানারে। শুধু তাই নয়, একই ব্যানারে লেখা রয়েছে ‘ইনক্লাব’, ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিও। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে সামিল হওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে সেখানে। হুগলি জেলার বিভিন্ন জায়গায় এমন ব্যানার লাগানো হয়েছে। চাঁপদানী, ভদ্রেশ্বর, পোলবা-সহ অনেক জায়গায় দেখা গিয়েছে মমতা-সেলিম- অধীরদের ছবি নিয়ে এই ব্যানার। কিন্তু কারা ছড়াল এসব? ব্যানার দেখে তা বোঝার উপায় নেই। কারণ, কোনও দল বা কোনও সংগঠনের নাম সেখানে উল্লেখ নেই। শুধু ইন্ডিয়ার সমর্থনে প্রচার করা হয়েছে।

    ব্যানার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    কোনও রাজনৈতিক দলই ব্যানার লাগানোর দায় নিচ্ছে না। তৃণমূলের হুগলি (Hooghly) জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলছেন, ইন্ডিয়া জোট শক্তিশালী হোক, এটা আমরা সবাই চাই। বিজেপিকে আটকাতে হলে ইন্ডিয়া জোটকে শক্তিশালী করতে হবে। তবে, এই পোস্টার বা ব্যানার কারা লাগাচ্ছে, সেটা আমাদের জানা নেই। আমাদের দলের কেউ করেনি এটা বলতে পারি। ইন্ডিয়া জোটের সমর্থনে এই পোস্টারের দায় নিতে নারাজ বামেরাও। সিপিএম জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলছেন, আমাদের নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়া ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি, যেখানে এই ধরনের পোস্টার দেখবে, যেন সেগুলি ছিঁড়ে দেওয়া হয়। কংগ্রেসের হুগলি জেলা সহ সভাপতি দেবব্ৰত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ইন্ডিয়া জোট হওয়ার পর বিজেপি ভয় পেয়ে গিয়েছে। যাতে এই সমঝোতা ভেঙে যায়, সেই চেষ্টা করছে বিজেপি। সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীদের বিভ্রান্ত করে নিজেদের হাত শক্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগাচ্ছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এদিকে ব্যানার বিতর্কে বিজেপি আবার খোঁচা দিতে শুরু করেছে তৃণমূল-সিপিএম-কংগ্রেসকে। পদ্ম শিবিরের হুগলি (Hooghly)  সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলছেন, বেঙ্গালুরুতে যখন এদের শীর্ষ নেতৃত্বরা বৈঠক করেছিল, তখনই রাজ্যের মানুষের কাছে এদের আসল ছবি পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল। এদের দিল্লিতে একরকম মুখোশ, পশ্চিমবঙ্গে আরেকরকম মুখোশ। এই ব্যানার নিয়ে সাধারণ মানুষের এতটুকু মাথাব্যথা নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: নিজের ঘরে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী বিএসএফ আধিকারিক, চাঞ্চল্য

    BSF: নিজের ঘরে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী বিএসএফ আধিকারিক, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী  হলেন এক বিএসএফ (BSF) আধিকারিক। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্তের চকগোপাল বিওপিতে ঘটেছে। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিএসএফের ওই ক্যাম্পে। মৃত বিএসএফ আধিকারিকের নাম ওমপ্রকাশ মীনা (৪৮)। তাঁর বাড়ি রাজস্থানে। বিএসএফের ১৩৭ নম্বর ব্যাটেলিয়ের সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। পারিবারিক অশান্তি ছিল না কি না তা জানতে তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হবে। সম্পর্কের কোনও টানাপোড়েন রয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, কাজের জায়গায় কোনও সমস্যা ছিল না কি না সেই বিষয়টিও নজরে রাখছে পুলিশ। তবে, এখনও পর্যন্ত ওই বিএসএফ আধিকারিক কেন আত্মহত্যা করলেন, সে ব্যাপারে ধোঁয়াশা রয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BSF)

    বিএসএফ সূত্রে খবর, বর্তমানে বিএসএফের (BSF) আধিকারিক চকগোপাল বিওপিতে ছিলেন। এমনিতেই তিনি নিয়ম করে তিনি ডিউটি করতেন। শনিবার সন্ধ্যায় নিজের ঘরেই আত্মঘাতী হন ওই বিএসএফ আধিকারিক। নিজের রিভলবার দিয়ে পর পর চার রাউন্ড গুলি চালান ওই বিএসএফ জওয়ান। সব কটি গুলি নিজের বুক লক্ষ্য করে চালিয়েছিলেন ওই জওয়ান। গুলির আওয়াজ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তাঁর সহকর্মীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসে বালুরঘাট থানার আধিকারিক, বিএসএফের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা। কী কারণে ওই বিএসএফ আধিকারিক আত্মঘাতী হল তা নিয়ে ধন্দে বিএসএফের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা। রবিবার মৃত ওই বিএসএফ জওয়ানের দেহের ময়না তদন্ত করা হয়।  তারপর তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

    সহকর্মীরা কী বললেন?

    সহকর্মীদের বক্তব্য, আচমকা ঘরের ভিতর থেকে পর পর গুলির আওয়াজ শুনে আমরা চমকে উঠি। প্রথমে বাইরের কেউ হামলা করল কি না  ভেবে আমরা ছুটে যাই। ঘরের ভিতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখি। এভাবে নিজে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হবেন তা আমি ভাবতে পারিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share