Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Panihati: মদ্যপানের প্রতিবাদের জের,পানিহাটিতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ

    Panihati: মদ্যপানের প্রতিবাদের জের,পানিহাটিতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের কাউন্সিলার এবং শহর তৃণমূলের সহ সভাপতির মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। এবার সেই কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল। মদ্যপানের প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জয়প্রকাশ কলোনি এলাকায় তৃণমূল কার্যালয়ের পাশে প্রায়ই মদ্যপানের আসর বসে। তৃণমূলের একটি অংশ মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রবীর মজুমদারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল পশ্চিম পানিহাটি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি প্রবীর দের। রবিবার রাতে ফের মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় গোলমাল হয়। মারামারি বাঁধে। পরে কাউন্সিলর প্রবীর মজুমদারের অনুগামীরা তৃণমূল কার্যালয়ের ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। কার্যালয়ের ভেতরে চেয়ার টেবিল থেকে শুরু করে টিভি ভাঙচুর করে। বাদ যায়নি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নেতাজি সুভাষ বোসের ছবিও। ভাঙ্গা হয়েছে পার্টি অফিসের চেয়ার টেবিলও। ভেঙে ফেলে সব ছবিও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। এই অফিসটি বেলঘড়িয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিস কমিশনারের অফিসের সামনেই। সেখানে ভাঙচুরের ঘটনায় হতবাক সকলে। রাতেই ভিড় হয়ে যায় জয়প্রকাশ কলোনিতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খড়দহ থানার বিশাল পুলিস বাহিনী।

    শহর তৃণমূলের সহ সভাপতি কী বললেন?(Panihati)

    পানিহাটি (Panihati) শহর তৃণমূলের সহ সভাপতির প্রবীর দে’র অভিযোগ, তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে বসে মদ্যপান করেন কাউন্সিলারের অনুগামীরা। এরা সিন্ডিকেট সহ সবকিছুতে যুক্ত। আমি বিষয়টি স্থানীয় বিধায়ক নির্মল ঘোষ এবং তীর্থঙ্কর ঘোষকে জানিয়েছিলাম। বেশ কিছুদিন ধরে সেই মদ্যপানের তিনি প্রতিবাদ করছিলেন।

    তৃণমূলের কাউন্সিলার কী বললেন?

    সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় কাউন্সিলর প্রবীর মজুমদার। তিনি বলেন,  যাদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ, তারা কিছুদিন আগে পর্যন্ত প্রবীর দের সঙ্গে থাকতো। বনি বনা না হওয়ায় প্রবীরের সঙ্গে তাদের গোলমাল বাধে। এখানে আমার কোনও ব্যাপার নেই। এদেরকে নিয়েই প্রবীর আমাকে হারাবার সব রকম চেষ্টা করেছিল। এখন আমার অনুগামী বলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমি এসবের বিন্দু বিসর্গ জানি না।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন,তৃণমূল কংগ্রেস দল নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল ও বখরার লেনদেন নিয়ে মারপিট করতে করতেই শেষ হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: কোর্টে ধাক্কা খেল তৃণমূল! মুর্শিদাবাদের রানিনগর-২ স্থায়ী সমিতি গঠন ঝুলে রইল

    Murshidabad: কোর্টে ধাক্কা খেল তৃণমূল! মুর্শিদাবাদের রানিনগর-২ স্থায়ী সমিতি গঠন ঝুলে রইল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল তৃণমূল! মুর্শিদাবাদের রানিনগর-২ স্থায়ী সমিতি গঠন ঝুলে রইল। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর ২ পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে টালবাহানা চলছিল। অবশেষে স্থায়ী সমিতি গঠনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশের উপর স্থায়ী সমিতি গঠনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে ঘোষণা করায় স্থায়ী সমিতি গঠন কবে হবে তা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।

    আদালত ঠিক কী নির্দেশ দিল?

    সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা মুর্শিদাবাদের (Murshidabad)  ডোমকলের মহকুমাশাসককে  নির্দেশ দিয়ে বলেন, পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠনের জন্য সভা ডেকে এখনই ভোটাভুটি করা যাবে না। আর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী বোর্ড গঠন নিয়ে ইতিমধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকলে তা কার্যকর হবে না। আদালতের নির্দেশের উপর স্থায়ী সমিতি গঠনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। আপাতত আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করা যাবে না। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।

    আদালতে কী জানায় কংগ্রেস?

    কংগ্রেসের অভিযোগ, নিজেরা স্থায়ী সমিতি গঠন করতে চেয়ে তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে দলীয় কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলেও আদালতে অভিযোগ করে কংগ্রেস। উল্লেখ্য যে, কংগ্রেসের ছ’জন সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারি এড়াতে তাঁরা পলাতক। আদালতে কংগ্রেস জানায়, ওই সদস্যরা ভোটাভুটিতে অংশ নিতে চান। স্থায়ী সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা ৪২। এই পঞ্চায়েতে খাতায় কলমে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও পরে কয়েক জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন।

    রানিনগরে ঠিক কী ঘটেছিল?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হওয়ায় গত শুক্রবার বিজয় সমাবেশের ডাক দিয়েছিল বাম এবং কংগ্রেস। অভিযোগ, সেই সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বাধার মুখে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ পুলিশের সঙ্গে একযোগে তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশে যেতে বাধা দেন তৃণমূল কর্মীরাও। সমাবেশ থেকে ফেরার পথে এই ঘটনা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, কংগ্রেস কর্মীরা রানিনগর থানায় ঢুকে তাণ্ডব চালান। থানা লক্ষ্য করে চলে তুমুল ইটবৃষ্টি। রাজ্য সড়কের পাশে তৃণমূলের পার্টি অফিস মান্নান হোসেন ভবনেও ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, রানিনগর থানার পুলিশকে সাহায্য করতে ডেকে পাঠানো হয় আশপাশের থানার পুলিশকর্মীদেরও। তারপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে এবং লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলি-সহ মোট ৩১ জন বাম এবং কংগ্রেস সমর্থককে। ধৃতদের  লালবাগ আদালতে পেশ করা হয়। আদালত কুদ্দুস-সহ ৩১ জনকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

    কী বললেন কংগ্রেস সাংসদ?

    বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, পুলিশ এবং তৃণমূলের লোকেরা পরিকল্পিত ভাবে কংগ্রেস কর্মীদের মারধর করে উত্তেজনা তৈরিতে ইন্ধন জুগিয়েছে। মিথ্যা মামলায় জেলে যাওয়া দলীয় কর্মীদের মুক্তির দাবিতে জেলা জুড়ে আন্দোলন হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mandarmani: পরনে শুধুই অন্তর্বাস, মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতে তরুণীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য

    Mandarmani: পরনে শুধুই অন্তর্বাস, মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতে তরুণীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরনে শুধুই অন্তর্বাস। পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমণি কোস্টাল থানা এলাকার চাঁদপুরে সোমবার সকালে সমুদ্রের ধারে পাথরের উপর মিলল এক তরুণীর মৃতদেহ। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই তরুণীর নাম  ও পরিচয় কিছু জানা যায়নি। এই ঘটনায় মন্দারমণিতে (Mandarmani) আসা পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    পর্যটকরা কী বললেন? (Mandarmani)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজনই ওই তরুণীকে সমুদ্রের ধারে পাথরের উপর পড়ে থাকতে দেখেন। তরুণীর পরনে ছিল শুধু অন্তর্বাস। দেহটি নজরে আসার পরই  খবর দেওয়া হয় মন্দারমণি কোস্টাল থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।  পর্যটকরাও সেখানে এসে ভিড় করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ওই তরুণী এলাকার বাসিন্দা নন। ওই তরুণীর বাড়ি বাইরের কোথাও। তাঁকে ওই মন্দারমণিতে (Mandarmani) নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। তবে, দেহটি সমুদ্রের ধারে পাওয়া যাওয়ায় সেটি অন্য কোথাও থেকে ভেসে এসেছে, না তাঁকে এখানে নিয়ে এসে খুন করা হয়েছে, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এ ধরনের ঘটনা ঘটায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে পর্যটকদের মধ্যে। তাঁরা বলেন, সি মেরিন ড্রাইভ এলাকায় রাস্তা শুনশান থাকার কারণে এবং রাস্তার পাশে পর্যাপ্ত স্ট্রিট লাইট না থাকার কারণে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বাড়ছে। অবিলম্বে ওই এলাকায় বাড়ানো হোক স্ট্রিট লাইট। সঙ্গে বাড়ান হোক পুলিশের নজরদারিও। আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন আগে শংকরপুর বাঁধের অপর প্রান্তেও একটি দেহ ভেসে আসে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।  

    কী বললেন দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক?

    দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার মানসকুমার মণ্ডল বলেন, মন্দারমণি (Mandarmani) এলাকায় আলোর অভাব রয়েছে, এই ধরনের কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পর্যটক থেকে স্থানীয়দের যাতে কোনও রকমের সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়, তার ব্যবস্থা করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “অভিষেক আলালের ঘরের দুলাল নন যে ইডি তাঁর মতামত নিয়ে ডাকবে”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “অভিষেক আলালের ঘরের দুলাল নন যে ইডি তাঁর মতামত নিয়ে ডাকবে”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিনই ইডির তলবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখে ইডি ফের ডেকেছে বলে ট্যুইটারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। পাশাপাশি এই তলবকে ঘিরে, হাওড়ার আন্দুলের সভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বললেন, অভিষেক আলালের ঘরের দুলাল নন যে তাঁর মতামত নিয়ে ডাকবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঠিক এইভাবে আক্রমণ করে তীব্র কটাক্ষ করলেন নন্দীগ্রামের এই বিজেপি বিধায়ক।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    হাওড়ার দানেশ শেখ লেনের দলীয় সভা থেকে এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসনের কাছে তৃণমূল কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হতে পারেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে কেউ নন। আইনের চোখে সকলেই সমান। আর আইন বলছে, তিনি দুর্নীতি কাণ্ডে একজন প্রধান অভিযুক্ত। তাই তদন্তকারী সংস্থা কাকে কখন ডাকবে, তা কখনই জিজ্ঞাসা করে ডাকবে না। 

    পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে কী বললেন?

    পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, বোর্ড গঠনের আগেই রাজ্য পুলিশ, বিরোধী দলের নেতাদের পঞ্চায়েত অফিসের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তাঁদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে, জেলে দিনের পর দিন আটকে রাখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রাজ্যের শাসক দলের সব বড় চোরদের জেলে পাঠাবে।

    রাজ্যপালের চিঠি নিয়ে বক্তব্য

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান। আমি বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা। তাই আমি রাজ্যপালকে জিজ্ঞাসা করতে পারি না। আমি বলব, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই চিঠির বিষয়ে রাজ্যবাসীকে অবগত করুন। তিনি আরও বলেন, চিঠির মধ্যে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে কী বলেছেন রাজ্যপাল, সেই কথা অবিলম্বে রাজ্যবাসীর কাছে প্রকাশ করুন মাননীয়া। 

    ঘাটালের সভায় কী বললেন?

    ধূপগুড়ি উপনির্বাচন নিয়ে নাম না করে সিপিএমের কড়া সমালোচনা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তৃণমূল এবং সিপিএম থেকে দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলেন বিজেপি কর্মীদের। তিনি আরও বলেন, সিপিএম ১৩ হাজার ভোট সরাসরি তৃণমূলকে দান করে নির্বাচনের জয়কে সুনিশ্চিত করেছে। তাই মাকু এবং সেকু থেকে দূরে থাকতে হবে। সেকু মানে সেকুলার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সেকুলার হওয়ার আড়ালে তোষণের রাজনীতি করছেন। তিনি আরও বলেন, সিপিএম একটাও ভোট পায়নি মুসলমান সমাজের। বরং ১৩ হাজার ভোট কেটে তৃণমূলের চোরদের সহযোগিতা করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suicide Prevention Day: আত্মহত্যার নিরিখে প্রথম পাঁচে পশ্চিমবঙ্গ! পরকীয়ার জেরেই কি বাড়ছে আত্মহত্যা?

    Suicide Prevention Day: আত্মহত্যার নিরিখে প্রথম পাঁচে পশ্চিমবঙ্গ! পরকীয়ার জেরেই কি বাড়ছে আত্মহত্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে আত্মহত্যা! গত দু’বছরে রাজ্যে আত্মহত্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ! আত্মহত্যার সংখ্যার নিরিখে দেশের প্রথম পাঁচ রাজ্যের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ব্যক্তিগত জটিলতাই বাড়াচ্ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। তাই ১০ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড সুইসাইড প্রিভেনশন ডে (Suicide Prevention Day) উপলক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, সমস্যাই জীবন। কিন্তু তারপরেও জীবনকেই বেছে নিতে হবে! তবেই আনন্দ অনুভব করা যাবে।

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে আত্মহত্যা বাড়ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের নিঃশব্দ মহামারি হতে চলেছে আত্মহত্যা। মানসিক অবসাদ ও অন্যান্য মানসিক অসুস্থতা আত্মহত্যার কারণ হয়ে উঠছে। ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে আত্মহত্যার নিরিখে প্রথম পাঁচ রাজ্যের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ২০২০ সাল থেকে এ রাজ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে এক বছরে প্রায় ১৪ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। শুধুমাত্র কলকাতাতেই ২০২০ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ৪৯ শতাংশ আত্মহত্যা বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের আত্মহত্যার (Suicide Prevention Day) সংখ্যা বেশি। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, এ রাজ্যে বছরে ৮,২৯০ জন পুরুষ আত্মহত্যা করছে। মহিলাদের এক বছরে আত্মহত্যার সংখ্যা ৫,২০৯ জন।

    কেন বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা (Suicide Prevention Day)? 

    ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, এ রাজ্যে আত্মহত্যার ঘটনা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ, ব্যক্তিগত জীবনে জটিলতা। বিশেষত পরকীয়া আত্মহত্যার অন্যতম কারণ। সম্পর্কে জটিলতার জেরেই মানসিক অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট আত্মহত্যার ৩৪ শতাংশের মৃত্যুর কারণ হিসাবে ব্যক্তিগত সম্পর্কে জটিলতা কিংবা পরকীয়ার মতো তথ্য উঠে আসে। তবে, এর পাশপাশি, কর্মক্ষেত্রে চাপ ও অস্থিরতা, পরিবারের বিভিন্ন বিষয়ে চাপ দেওয়ার জেরে মানসিক অবসাদের জেরে আত্মহত্যার (Suicide Prevention Day) ঘটনা ঘটছে।

    আত্মহত্যা (Suicide Prevention Day) রুখতে কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সামাজিক অস্থিরতা মানসিক স্থিতাবস্থাকে আঘাত করছে। পরিবারের সম্পর্ক কতখানি গুরুত্বপূর্ণ, সে সম্পর্কে সকলকেই সজাগ থাকতে হবে। পরকীয়ার মতো সমস্যা নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। তাই এই ধরনের সমস্যা এড়াতে প্রয়োজন পারিবারিক শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেওয়া। 
    তবে, মনোরোগ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি লক্ষণ স্পষ্ট হলে আন্দাজ করা যায়, আত্মহত্যাপ্রবণ (Suicide Prevention Day) হয়ে উঠছে কিনা। সে সম্পর্কে সতর্ক থাকলে বিপদ এড়ানো সম্ভব। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, পরিবারের কেউ খুব চুপচাপ হয়ে গেলে, নিজেকে সমস্ত বিষয় থেকে হঠাৎ গুটিয়ে নিলে পরিবারকে সতর্ক হতে হবে। তিনি কোনও রকম মানসিক সমস্যায় ভুগছেন কি না, তা আন্দাজ করা যায়। তখনই সতর্ক হলে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করালে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়। 
    পাশপাশি কথা বলার সময়, হতাশাগ্রস্ত কিনা তা খেয়াল করা জরুরি। অনেকেই এমন ভাবে কথা বলেন, তাতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, তিনি নিরাশায় ভুগছেন। এমন লক্ষণ স্পষ্ট হলে তাঁর বাড়তি যত্ন জরুরি। কারণ, এই ধরনের লক্ষণ মানসিক অবসাদের ইঙ্গিত দেয়। 
    তবে, কেউ যদি কখনও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁকে বকাবকি করা কিংবা নিছক মজা করা, আসলে অসচেতনতা বলেই জানাচ্ছেন মনোরোগ চিকিৎসকরা। কেউ আত্মহত্যা করবেন, এমন বললে কিংবা আত্মহত্যার চেষ্টা করলে, তাঁকে দ্রুত বিশেষজ্ঞদের কাছে নিয়ে যাওয়া জরুরি। যাতে ঠিকমতো চিকিৎসা এবং থেরাপির মাধ্যমে, তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘ভারতে কোনও ইন্ডিয়া থাকবে না, পছন্দ না হলে দেশের বাইরে যাবেন’’, হুঁশিয়ারি দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘ভারতে কোনও ইন্ডিয়া থাকবে না, পছন্দ না হলে দেশের বাইরে যাবেন’’, হুঁশিয়ারি দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি ক্ষমতায় এলে সব উপড়ে ফেলবে। রাস্তাঘাটে কোনও গোলামির চিহ্ন রাখা যাবে না। কলকাতার রাস্তায় এখনও কিছু ব্রিটিশদের মূর্তি রয়েছে। সবই সরিয়ে দেওয়া হবে। দেশের নাম বদলে ইন্ডিয়া থেকে ভারত করা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, দেশকে যারা পরাধীন করে রেখেছিল, তাদের কোনও চিহ্ন দেশে থাকবে না। আর তাই ভারতে কোনও ইন্ডিয়া থাকবে না। ভারতে ভারত থাকবে। আর যাঁদের তা পছন্দ হবে না, তাঁরা ভারতের বাইরে যাবেন।

    বামেদের নিয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ? (Dilip Ghosh)

    এদিন বামেদের একহাত নিয়ে দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, সিপিএমের লোকেদের খুব কষ্ট, যাঁরা চিরদিন বিদেশের তাঁবেদারি করেছেন। চামচাগিরি করতে গিয়ে বলছেন চিন আমার বাপ। বিভিন্ন শহরের নাম পালটেছে, বিদেশিরা বলতে পারত না বলে। সব পালটে দেব আমরা। কোনও বাপের ব্যাটার হিম্মত নেই আটকে রাখার। ইন্ডিয়া পালটে ভারত হবে । যার পছন্দ হবে না সে বাইরে যাবে। খড়্গপুর শহরের ডিভিসি মার্কেটে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে চা চক্রে যোগ দিয়ে একের পর এক হুঙ্কার দেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, মুম্বইয়ের মতো বহু রাজ্য ও শহর ব্রিটিশদের দেওয়া নাম পরিবর্তন করেছে বলে তিনি বলেন, এখানকার শাসক দলের বন্ধুরা জানেই না ভারত কী, ইন্ডিয়া কেন বলছে, এর পিছনে ইতিহাস কী রয়েছে?

    রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত নিয়ে কী বললেন দিলীপ? (Dilip Ghosh)

    কলকাতার রাস্তায় ব্রিটিশদের মূর্তির প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ (Dilip Ghosh) বলেন, কলকাতার বহু রাস্তাঘাটে ব্রিটিশদের বহু মূর্তি ছিল, কোথায় সব এখন। সেগুলি তুলে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হাউজে রাখা হয়েছে। এখনও বেশ কয়েকটা রয়ে গিয়েছে । বিজেপি ক্ষমতায় এলে সব উপড়ে ফেলব আমরা। মিউজিয়ামের রাখার জিনিস মিউজিয়ামে থাকবে, রাস্তাঘাটে থাকবে না। সকালে উঠে আমাদের ছেলেপুলেরা দেখবে বিদেশিদের মুখ, এ চলবে না। এ দিন রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত নিয়েও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, রাজ্যপাল তাঁর যেটা দায়িত্ব সেটাই করছেন। যারা ভয় পেয়ে যাচ্ছে, চুরি করছে তারা গালাগালি করছে। তিনি সাংবিধানিক প্রধান। সংবিধান মেনে চললেই হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: এক টাকার সুস্বাদু শিঙাড়ায় মজেছেন নদিয়াবাসী

    Nadia: এক টাকার সুস্বাদু শিঙাড়ায় মজেছেন নদিয়াবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে এক টাকায় কী পাওয়া যায়? এই প্রশ্ন করলে প্রত্যেককেই মাথা চুলকাতে হবে। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও কিছুই মাথায় আসবে না। উত্তরে হয়তো অনেকেই বলবেন, এক টাকায় এখন আর কিছুই পাওয়া যায় না। কিন্তু, সেই উত্তর যে ভুল, তা প্রমাণ করেছেন নদিয়ার (Nadia) শিবনিবাসের গোপালচন্দ্র রায়। তাঁর দোকানের শিঙাড়া এখনও এক টাকায় পাওয়া যায়।

    আগে এই শিঙাড়ার কত দাম ছিল? (Nadia)

    ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি, বর্তমানে যেখানে জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া, সেখানে এক টাকায় শিঙাড়া পাওয়া সত্যিই অদ্ভুত ব্যাপার। যদিও এখন শিঙাড়ার দাম এক টাকা হলেও আগে তা পাওয়া যেত মাত্র কুড়ি পয়সায়। পরবর্তীতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একটু একটু করে দাম বেড়েছে। ৪০ পয়সা, ৫০ পয়সা থেকে এখন এক টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে গোপালবাবু এই শিঙাড়া বিক্রি করে আসছেন নদিয়ার (Nadia) শিবনিবাস মন্দিরের কাছেই। যেহেতু শিবনিবাস মন্দির বহু প্রাচীন এবং এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গ এখানে প্রতিষ্ঠিত, তাই মন্দির চত্বরে কোনওরকম আমিষ খাবার বিক্রির প্রচলন নেই। তাই নিরামিষভাবে তৈরি করেন এই শিঙাড়া। ৫০ বছর ধরে তা বিক্রি করে আসছেন। ক্রেতারা বলেন, গোপালবাবুর শিঙাড়া খুবই সুস্বাদু এবং খুব পরিষ্কার। আর দামেও সস্তা।

    কী বললেন এই শিঙাড়া তৈরির কারিগর?

    গোপালবাবু জানান, যতদিন তিনি বাঁচবেন, ততদিনই এই শিঙাড়া এক টাকাতেই বিক্রি করবেন। এই শিঙাড়ার চাহিদা প্রচুর, তাই দোকান খুললেই শিঙাড়ার জন্য লাইন পড়ে যায়। নদিয়া (Nadia) জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই শিঙাড়া খাওয়ার জন্য এখানে আসেন। তিনি বলেন, আট থেকে আশি, সবাই আমার এই এক টাকার শিঙাড়া খাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে প্রতিদিন। কীভাবে ১ টাকায় শিঙাড়া বিক্রি করছেন? লাভের অংশই বা কী? এই প্রশ্ন করলে দোকানদার গোপালবাবু জানাচ্ছেন, তাঁর লাভ বিক্রির উপরে। বিক্রির পরিমাণ বেশি হলে লাভ হয় বেশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘লেনিনের সঙ্গে যোগ নেই ভারতের’’, মূর্তি সরানোর সওয়াল সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘লেনিনের সঙ্গে যোগ নেই ভারতের’’, মূর্তি সরানোর সওয়াল সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার লেনিনের মূর্তি সরানোর পক্ষে সরব হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পরাধীনতার চিহ্ন মুছে ফেলা উচিত, এ কথা আগেই বলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। এবার সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কণ্ঠে শোনা গেল সেই একই কথা। 

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) রবিবার বলেন, ‘‘ব্রিটিশদের স্মৃতি সৌধ ভেঙেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। লেনিনের যে এত মূর্তি রয়েছে কী অবদান আছে লেনিনের? লেনিনের সঙ্গে ভারতের আত্মার কোনও যোগ নেই। তার চেয়ে আমরা রবি ঠাকুরের মূর্তি বানাবো, বিবেকানন্দের মূর্তি বানাবো, রাজা রামমোহন রায়ের মূর্তি বানাবো। দিলীপ ঘোষকে সরাসরি সমর্থন করে সুকান্ত বলেন, ‘‘বিজেপি বা দিলীপ ঘোষকে দোষী করছেন, সেই দোষে কি নেতাজিও দোষী? পরাধীনতার চিহ্ন মুছে ফেলতে সিঙ্গাপুরে নেতাজি ইংরেজদের একটি স্মৃতিসৌধ ভেঙে ফেলেছিলেন। তাহলে কি নেতাজি ভুল কাজ করেছিলেন? ভারতবাসীর জীবনে লেনিনের কি অবদান রয়েছে? আমার জীবনে তো কোনও অবদানই নেই লেনিনের, আমার পূর্বপুরুষের জীবনেও লেনিনের কোনও অবদান ছিল না। তাই এগুলো রাখার কোন দরকার নেই।’’ 

    সুকান্তর আগে দিলীপ ঘোষও একই সওয়াল করেছিলেন

    প্রসঙ্গত, সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) আগে এই একই সওয়াল করতে শোনা গিয়েছিল বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকেও। তিনি বলেছিলেন, ‘‘কোথাও ব্রিটিশ, কোথাও মোঘল যারা আমাদের দেশকে এক হাজার বছর ধরে পরাধীন করে রেখেছিল, তাদের কোনও স্মৃতি সৌধ ভারতে থাকবে না। কোনও বাপের বেটার হিম্মত থাকলে তারা রুখে দেখাক। কলকাতার রাস্তাঘাটে ব্রিটিশের বহু মূর্তি রয়েছে। বিজেপি একবার ক্ষমতায় এলে গোলামীর কোন চিহ্ন রাখা হবে না।’’ প্রসঙ্গত আমার দেশ আমার মাটি কর্মসূচিতে রবিবার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে মাটি সংগ্রহ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) সেখানেই তিনি এই মন্তব্য করেন। সারা দেশ জুড়েই চলছে এই বিজেপির কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, ছাড়াও শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির বাড়ি, কালীঘাটের মন্দির থেকে মাটি সংগ্রহ করে দিল্লি পাঠানো হবে। সেখানে তৈরি হবে অমৃত বাটিকা। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে এই অমৃত উদ্যান তৈরি করার জন্য সারা দেশের বিভিন্ন গ্রাম, শহর এবং পবিত্র স্থানগুলির মাটি সংগ্রহের কাজ চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ইন্ডি জোটের বৈঠকের দিনই ইডির তলব অভিষেককে

    Abhishek Banerjee: ইন্ডি জোটের বৈঠকের দিনই ইডির তলব অভিষেককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) নোটিস পাঠাল ইডি। ১৩ সেপ্টেম্বর হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ওই নোটিসে। প্রসঙ্গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্ডি জোটের সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠক রয়েছে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এই কমিটিতে রয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ এ নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) লেখেন, ‘‘১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটির প্রথম বৈঠক। ওই কমিটির আমি একজন সদস্য। অথচ একটু আগেই আমাকে ইডির তরফে নোটিস পাঠানো হল। ওইদিনই আমাকে তলব করেছে ওরা।’’

    বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ 

    প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগেও তলব করা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। ধৃত কুন্তল ঘোষের একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ডেকে পাঠায় ইডি। পরবর্তীকালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। কালীঘাটের কাকুর মারফত সন্ধান মেলে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ইডি জানতে পারে এক সময় এই সংস্থার সিইও ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন তোলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) যদি ওই সংস্থার সিইও থাকেন, তাহলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি কোনও পদক্ষেপ কেন নিচ্ছে না?’’ বিচারপতি অমৃতা সিনহা সেদিন নির্দেশ দেন, এসংক্রান্ত তথ্য ১৪ সেপ্টেম্বর জমা দিতে হবে হাইকোর্টে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেরা করতে তাই ১৩ সেপ্টেম্বর ডেকে পাঠানো হল ডায়মন্ডহারবারের সাংসদকে।  প্রসঙ্গত, ১২ সেপ্টেম্বর স্পেন ও দুবাই সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ঠিক তার পরের দিনই ডেকে পাঠানো হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে (Abhishek Banerjee) তলব করা হয়েছিল পঞ্চায়েত ভোটের আগে।

    কী বলছে বিজেপি

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Abhishek Banerjee) তলব নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ইডি, সিবিআই নিয়ে যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা তৃণমূল বলছে, এসব শুনে মানুষ ক্লান্ত। তদন্তকারী সংস্থা কখন, কাকে ডাকবে, সেটা তো তাদেরই বিষয়। আর আমরা তো চাই ইন্ডি জোট আরও শক্তিশালী হোক। ভারতবর্ষের কোথায় কী জোট হচ্ছে, আমাদের জানার দরকার নেই। আমরা চাই বাংলা থেকে এই জোট আরও শক্তিশালী হোক।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pandua: পান্ডুয়ায় তরুণীকে জোর করে গাড়িতে তুলে শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা

    Pandua: পান্ডুয়ায় তরুণীকে জোর করে গাড়িতে তুলে শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তা দিয়ে চলা অচেনা তরুণীকে জোর জবরদস্তি গাড়িতে তুলে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল যুব তৃণমূলের নেতার বিরুদ্ধে। ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পাণ্ডুয়ায় (Pandua)। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম সেখ মোমিন। সে পান্ডুয়ার কোটালপুকুর এলাকার তৃণমূল যুব নেতা। খীরকুন্ডি নিয়ালা নামাজ গ্রাম অঞ্চল সভাপতি সে।  তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Pandua)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,শনিবার রাতে হুগলির পান্ডুয়ার (Pandua) জয়পুরের জিটি রোডের ধার থেকে ১৯ বছরের এক তরুণীকে নিজের গাড়িতে জোর করে তুলে নেন অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা। প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে সিমলাগড়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। তরুণীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা পৌঁছে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ ডাকে। কাছেই টহল দিচ্ছিল পান্ডুয়া থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। জয়পুর এলাকায় বাড়ি তরুণীর।মোমিনকে গ্রেফতার করে গাড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ।

    পরিবারের লোকজনের কী অভিযোগ?

    তরুণীর দাদু বলেন,আমি বাড়িতে ছিলাম। পাড়ার একটি ছেলে এসে ডেকে বলল থানায় যেতে। থানায় গিয়ে দেখি নাতনি বসে আছে। আমার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সেখ মোমিনকে গ্রেফতার করে পান্ডুয়া (Pandua) থানার পুলিশ। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। আজ তাকে চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়।

    কী বললেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি?

    তৃণমূলের পান্ডুয়া (Pandua) ব্লক সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, কেউ যদি অপরাধ করে থাকে তার বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। মোমিন বছরখানেক আগে যুব সভাপতি হয়েছে। ওকে দল বহিষ্কার করবে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দাবি, তিনি নির্দোষ তাকে ফাসানো হয়েছে। আর এই কাজ করেছেন আমজাদ হোসেন।

    পান্ডুয়ার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক কী বললেন?

    পান্ডুয়ার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক আমজাদ হোসেন বলেন,ওরা সারা রাত মেয়েটির পরিবারকে অভিযোগ করা থেকে বিরত করতে চেষ্টা করেছে। ভয় দেখিয়েও তা পারেনি। তরুণীর পরিবার অভিযোগ করেছে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এখন বাঁচার জন্য এসব বলছে। আসলে দুষ্কৃতীরা এখন তৃণমূল নেতা হয়েছে। সভাপতি হওয়ার পরই মোমিন খীরকুন্ডির এক ব্যাক্তির দোকান জোর করে দখল করে পার্টি অফিস করেছিল বলে অভিযোগ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share