Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Raiganj: রায়গঞ্জে তৃণমূল নেত্রীর উপর হামলা চালাল দলেরই কর্মী, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Raiganj: রায়গঞ্জে তৃণমূল নেত্রীর উপর হামলা চালাল দলেরই কর্মী, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত এলাকা। এবারে তৃণমূলের জেলা মহিলা সভানেত্রীর ওপর হামলার অভিযোগ এলাকার তৃণমূলেরই কিছু যুবকদের বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ (Raiganj) শহরের বন্দর এলাকার ১৭ নং ওয়ার্ডে। ঘটনায় জখম হন তৃণমূলের জেলা মহিলা সভানেত্রী তথা ওই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর চৈতালি ঘোষ সাহা। তাঁকে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযোগের তির ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী প্রসেনজিৎ সাহা, ছোটন সাহা সহ বেশ কিছু যুবকদের বিরুদ্ধে। তারা রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর অনুগামী বলেই পরিচিত এলাকায়। গোটা ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল নেত্রী?

    আহত তৃণমূলের জেলা মহিলা সভানেত্রী চৈতালি ঘোষ সাহার অভিযোগ,বাড়িতে থাকাকালীন পরিকল্পনামাফিক ইচ্ছাকৃতভাবে আমার বাড়ির সামনে এসে গন্ডগোল বাধায় কিছু যুবক। তা থামাতে গেলে আমার উপরেই চড়াও হয় তারা। মারধরের পাশাপাশি আমার বাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। তিনি আরও বলেন, যারা আমার ওপরে হামলা চালিয়েছে তারা সদ্য তৃণমূলে যোগদান করেছে। তারা কেন আমার ওপরে এমন আক্রমণ করল তা জানি না। বিষয়টি রায়গঞ্জ (Raiganj) থানার পুলিশকে জানিয়েছি।

    কী বললেন অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী?

     যদিও এ বিষয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী প্রসেনজিৎ সাহা তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পাল্টা চৈতালি ঘোষ সাহা সহ তার অনুগামীরা তার ওপরে চরাও হয় বলে অভিযোগ প্রসেনজিৎ বাবুর। তিনি বলেন, আমি একজন তৃণমূল কর্মী। চৈতালি দেবী ও তার অনুগামীরা ওই ওয়ার্ডে বাড়ি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়া এবং বিভিন্ন জমি সংক্রান্ত দুর্নীতি করেছেন। ওই এলাকায় মানুষ চৈতালি দেবীকে পছন্দ করেন না। আমি রায়গঞ্জ (Raiganj) এলাকায় সাধারণ মানুষের কাজ করি, তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা নেত্রীরা আমার কাজে সন্তুষ্ট বলে চৈতালি দেবী ইচ্ছা করে আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন। আমার অনুগামীদের মারধর করেছে।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    যদিও এ বিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, গোটা বিষয়টি শুনেছি। দোষীরা যেই হোক না কেন পুলিশকে ত অবিলম্বে গ্রেফতারের কথা বলেছি। যদিও গোটা ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও একবার প্রকাশ্যে এল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: গাড়ি চালানো শিখতে গিয়ে ৯ বছরের বালককে পিষে মারল যুবক, অগ্নিগর্ভ এলাকা

    Jalpaiguri: গাড়ি চালানো শিখতে গিয়ে ৯ বছরের বালককে পিষে মারল যুবক, অগ্নিগর্ভ এলাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাড়ি চালানো শিখতে গিয়ে ৯ বছরের বালককে পিষে মারল এক যুবক। রবিবার ঘটনাটি ঘটছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ময়নাগুড়ির দেবীনগর পাড়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম শুভজিৎ রায় (৯)। তার বাড়ি ময়নাগুড়ি শহরের দেবীনগর এলাকায়। এখানেই একটি বাড়িতে ভাড়া থাকে তার পরিবার। ঘটনার জেরে গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন উত্তেজিত জনতা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Jalpaiguri)

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ি শহরের দেবীনগর এলাকায় একটি শুভজিৎ বাড়িতে ভাড়া থাকে তার পরিবার। রবিবার সকালে সাইকেল নিয়ে বাড়ির ঠিক পাশের একটি দোকানে এসেছিল শুভজিৎ। তখন ময়নাগুড়ি বেসিক স্কুল ময়দানে গাড়ি চালানো শিখছিল স্থানীয় যুবক অমিতাভ ঘোষ। ওই রাস্তা দিয়ে শুভজিৎ যাওয়ার সময় তখনই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই কিশোরকে ধাক্কা মারে। পিষে দেওয়ায় মৃত্যু হয় তার। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। কিন্তু, ততক্ষণে সব শেষ। এই দুর্ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। ছোট বালককে পিষে দেওয়ার ঘটনায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির দেবীনগর পাড়া এলাকা। উত্তেজিত জনতা যুবকের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। রবিবার সকালে এই ঘটনার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। কিন্তু, এসবের মাঝে ওই যুবক ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। পুলিশ এখনও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তাতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকার মানুষজন। তাই পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    এই বালক মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান।আর ঘাতক গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ময়নাগুড়ি দমকল কেন্দ্রের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কিন্তু, পলাতক অভিযুক্ত যুবক অমিতাভ তার খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস। ওই বালককে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু, চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পরই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের বক্তব্য, অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। অভিযুক্ত যুবকের গাফিলতির জন্যই এই কিশোরের মৃত্যু হল। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: অনলাইন অ্যাপে আর্থিক প্রলোভন, টাকা ঢেলে বর্ধমানে প্রতারিত অনেকে

    Burdwan: অনলাইন অ্যাপে আর্থিক প্রলোভন, টাকা ঢেলে বর্ধমানে প্রতারিত অনেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনলাইন অ্যাপে আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। প্রতারিতদের থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান (Burdwan) শহরে। প্রতারণার অভিযোগে বর্ধমান শহরের কালনাগেট থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম সৌমেন সোম। সৌমেনের বাড়ি শক্তিগড়ের সড্ডা গ্রামে। সে কালনাগেটের ভদ্রপল্লিতে বসবাস করত।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Burdwan)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান (Burdwan) শহরের খালুইবিলমাঠ এলাকার সুমিত শর্মা নামে এক বাসিন্দার অভিযোগের ভিত্তিতেই সৌমেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অ্যাপের মাধ্যমে সৌমেন বলেছিল, ৬ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে মিলবে। আর বিশেষ একটি গেম রয়েছে। সামান্য পরিমাণ টাকা দিয়ে সেই গেম খেলে জয়ী হলে মোটা টাকা পাওয়া যাবে। সুমিত শৰ্মা নামে প্রতারিত বলেন, গত ৩১ শে অগাস্ট একটি অনলাইন অ্যাপে ৬ হাজার টাকার দিয়ে যোগ দিই। ওই অ্যাপের অ্যাডমিন ছিল সৌমেন। পরবর্তীতে সৌমেন সুমিতকে কোম্পানির আরও বেশ কিছু স্কিমে বিনিয়োগ করার প্রলোভন দেখায়। প্রলোভনে পা দিয়ে সৌমেনের কথা মতো আমি বিনিয়োগ করি। প্রাথমিকভাবে একটি গেম খেলে সুমিত ৩০ হাজার টাকা পুরস্কার হিসাবে জেতে। অভিযোগ, এই পুরস্কারের টাকা দাবি করতেই সৌমেন খুনের হুমকি দেয় সুমিতকে। এরপরই সুমিত শর্মা সমস্ত বিষয়টি জানিয়ে বর্ধমান থানার দ্বারস্থ হন।  ৮ ই সেপ্টেম্বর অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণা সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ করেন তিনি। তদন্তে নেমে পুলিশ শনিবার সৌমেন সোমকে গ্রেফতার করে। শুধু সুমিত শর্মা নয় এই একইভাবে এই অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে আরও প্রায় ২০ জন প্রতারিত হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

    জেলা পুলিশের আধিকারিক কী বললেন?

    পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘বিটকয়েনে বিনিয়োগ করে মোটা টাকা লাভের লোভ দেখিয়ে প্রতারাণার ফাঁদ পাতা হয়। এক ব্যক্তি বর্ধমান (Burdwan) থানায় অভিযোগ করেন। তাঁর ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’এর পিছনে কোনও প্রতারণা চক্র রয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। সেই কারণে সৌমেনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asia Book Of Records: এশিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল মুর্শিদাবাদের স্বস্তিক, কী করেছে জানেন?

    Asia Book Of Records: এশিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল মুর্শিদাবাদের স্বস্তিক, কী করেছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডের পর এবার এশিয়া বুক অফ রেকর্ডস (Asia Book Of Records) নাম তুলল মুর্শিদাবাদের বহরমপুর ইন্দ্রপ্রস্থের স্বস্তিক কর্মকার। মাত্র ১৪ বছর বয়সে সে পর পর দুটি রেকর্ডে নাম তুলল। স্বাভাবিকভাবেই তার এই সাফল্যে খুশি পরিবারের লোকজন থেকে প্রতিবেশীরা।

    কী নিয়ে এশিয়া বুক অফ রেকর্ডস গড়ল স্বস্তিক? (Asia Book Of Records)

    প্রথম খ্যাতির পালক ২০২১ সালে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড করে স্বস্তিক। ২০২১ সালে মাত্র তিরিশ মিনিটে ১৫ টি গানের সুর তার প্রিয় গিটারে তুলেছিল। এবার ২০২৩ এ স্বস্তিক এশিয়া বুক অফ রেকর্ডস (Asia Book Of Records) এ ১ ঘন্টা ৮ মিনিটে চোখ বন্ধ করে পঁচিশটি গানের সুর তার গিটারে তুলে রেকর্ড গড়েছে। এই প্রসঙ্গে স্বস্তিক কর্মকারের বক্তব্য, ছোট থেকেই গিটারের উপর আমার শখ ছিল। পরবর্তীতে একটু বড় হওয়ার পর আমার মা হাতে তুলে দেন গিটার। ছোটবেলায় গিটারের তারে হাত দিয়ে নানা রকম শব্দ শুনে খুব আনন্দ পেতাম, সেই থেকে শুরু। আর এই রেকর্ড গড়়তে পেরে খুবই ভাল লাগছে।  

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    বাবা দিব্যেন্দু কর্মকার তিনি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক।  দিব্যেন্দুবাবুর বক্তব্য, ছেলের এই সাফল্যের খুশি। স্বস্তিকার মা সৃজিতা সিনহা কর্মকার বলেন, ছোট থেকেই ওর শখ ছিল যেকোনও তার বা সুতো যায় হাতের কাছে পেতো তা দিয়ে সে নিজের মনে গুণগুণ করে এর মাধ্যমে সুর তোলার চেষ্টা করত। এই কর্মকাণ্ড দেখে ছেলের হাতে আমি গিটার তুলে দিয়েছিলাম। ২০২১ সালে যখন দেখলাম স্বস্তিক গিটারের মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি গানের সুর তুলতে পারছে, তখনই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড সে আবেদন পাঠাই। পরবর্তীতে জানানো হয় স্বস্তিক কর্মকার ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস এ জন্য মনোনীত হয়েছে। পরে, স্বস্তিক এশিয়া বুক অব রেকর্ডস (Asia Book Of Records) মনোনীত হয়। বাড়িতে মেডেল,শংসাপত্র এবং নানাবিধ উপহার চলে এসেছে। স্বস্তিকের বাবা মা উভয়েই ছেলের এই জোড়া সাফল্যে খুশি। তাঁরা চান, ছেলে পড়াশুনার পাশাপাশি গিটার নিয়ে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: এলইডি আলো লাগানো নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি, কাঠগড়ায় বালুরঘাট পুরসভা

    Balurghat: এলইডি আলো লাগানো নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি, কাঠগড়ায় বালুরঘাট পুরসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলইডি আলো লাগানো নিয়ে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার বিরুদ্ধে। আর.টি.আই করেও টাকার হিসাবের জবাব না পাওয়ায় বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। বালুরঘাট পুরসভা দুর্নীতির চরম শিখরে বলে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Balurghat)

    ২০২২ সালে ২-রা সেপ্টেম্বর বালুরঘাট (Balurghat) শহরে পুরসভার পক্ষ থেকে এল.ই.ডি লাইট লাগানোর জন্য টেন্ডার আহ্বান করে। টেন্ডারে ৯ লক্ষ ৮৯ হাজার ২২৪ টাকার উল্লেখ করা হয়। এরপর বালুরঘাট শহরে শুরু হয় তেরঙা এল.ই.ডি লাইট লাগানোর কাজ। যদিও তার প্রায় মাস খানেকের মধ্যে বালুরঘাট পুরবোর্ড কোনওরূপ টেন্ডার আহ্বান না করেই পুর বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে বালুরঘাট শহর জুড়ে তেরাঙা এল.ই.ডি লাইট লাগানোর কাজের বরাত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পূর্বের বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থাকে। টেন্ডার না ডেকে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার কাজের বরাত শুধুমাত্র সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এল.ই.ডি লাইট লাগানোর কাজের খরচ জানতে চেয়ে আর.টি.আই করেন বালুরঘাট নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক নৃপেন্দ্রনাথ কুন্ডু নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু, পুরসভার তরফ থেকে সেই আর.টি.আই-এর জবাবে জানিয়ে বলা হয়, জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নগুলি ব্যক্তিগত আগ্রহে, জনগণের আগ্রহ নয়। তাই কোনও তথ্য পুরসভার পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। ঘটনা প্রকাশ হতেই শোরগোল পড়ে যায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।

    কী বললেন বালুরঘাট (Balurghat) নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক?

    বালুরঘাট (Balurghat) নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক নৃপেন্দ্রনাথ কুন্ডুর বক্তব্য, বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন এলাকায় যে ট্রাই কালার লাইট লাগানো হয়েছে, তা প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার বেশি কাজ হয়েছে। অথচ ৯ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকার টেন্ডার করে বাকি কাজগুলো নোট সিটে করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। সেই কারণেই প্রকৃত তথ্য জানতে তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করি। সদুত্তর দেওয়া হয়নি পুরসভার পক্ষ থেকে। স্বাভাবিকভাবেই এই আলোকসজ্জাতে টেন্ডার ছাড়াই বহু টাকার কাজ হয়েছে। আর, এতে যে দুর্নীতি হয়েছে এটাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, গোটা রাজ্য জুড়েই এই ধরনের দুর্নীতি চলছে। আর পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস থাকতে দুর্নীতি হবে না এটা তো বিশ্বাসযোগ্য নয়। বালুরঘাট পুরসভা দুর্নীতির চরম শিখরে রয়েছে। এখানে মাদার টেরিজার মূর্ত্তি সহ অনেক মূর্ত্তি লাগানো হচ্ছে, সেখানেও দুর্নীতির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    এল.ই.ডি লাইট লাগানোর কাজে অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন,  টেন্ডার প্রক্রিয়া মেনে সরকারি নিয়ম মেনে যা যা উন্নয়ন মূলক কাজ করা দরকার তা বালুরঘাট পুরসভাতে হচ্ছে। বালুরঘাট পুরসভার কাজ নিয়ে বালুরঘাটবাসী খুশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dacoits: জেলে বসেই পুরুলিয়ার সোনার দোকানে ডাকাতির ছক, এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত

    Dacoits: জেলে বসেই পুরুলিয়ার সোনার দোকানে ডাকাতির ছক, এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে পুরুলিয়া শহরে নামোপাড়ায় সেনকো গোল্ডের শোরুমে ভয়াবহ ডাকাতির (Dacoits) ঘটনা ঘটে। দুষ্কৃতীরা দোকানে ঢুকে ৮ কোটি টাকার সোনা হাতিয়ে চম্পট দিয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতেরা হলেন করণজিৎ সিংহ সিধু এবং বিকাশ কুমার। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসা তথ্য এবং ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল অভিযুক্তেরও খোঁজ মিলেছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, তিনি বর্তমানে ভিন্নরাজ্যের একটি জেলে রয়েছেন। সেখানে বসেই ডাকাতির গোটা পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

    পুরুলিয়া এবং রানাঘাটে ডাকাতিকাণ্ডে (Dacoits) কী কোনও যোগসূত্র রয়েছে?

    পুরুলিয়ায় ডাকাতিকাণ্ডে (Dacoits) ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এই চক্রে তিনটি দল রয়েছে। একটি দল দেখে, কোথায় ডাকাতি করা হবে। অর্থাৎ, দোকানের খোঁজ দেওয়া। তারাই রেইকি করে। দ্বিতীয় দলের কাজ মোবাইল-সহ অন্যান্য প্রযুক্তি সাহায্য প্রদান করা। আর তৃতীয় দল সরাসরি দোকান লুটের সঙ্গে জড়িত থাকে। পুরুলিয়ার সঙ্গে রানাঘাটের ডাকাতির ঘটনার যোগসূত্রেরও হদিশ মিলেছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাট শহরের মিশন রোডের পাশে থাকা গয়নার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ওই দিনই পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন হলেন কুন্দন সিং। এ রাজ্যে একাধিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কুন্দনই ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনের মূল চক্রী। পুলিশ সূত্রে খবর, গাঁজা এবং হেরোইনে আসক্ত কুন্দন মূলত নেশার টাকা জোগাড় করতেই ‘শুটার’ হন। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশের একটি খুনের ঘটনাতেও তার নাম উঠে এসেছিল। রানাঘাট পুলিশ সূত্রে খবর মিলেছে, পুরুলিয়াকাণ্ডে জেলবন্দি মূল অভিযুক্তের সঙ্গে এই কুন্দনের যোগাযোগ ছিল।

    পুরুলিয়ার ডাকাতিকাণ্ডে (Dacoits) ঝাড়খণ্ড-যোগ!

    গত ২৯ অগাস্ট, মঙ্গলবার পুরুলিয়ায় যখন সেনকো গোল্ড শোরুমে ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে, ওই সময় নদিয়ার রানাঘাটে ওই একই সংস্থার স্বর্ণবিপণিতেও ডাকাতি হয়েছে। পুরুলিয়ার ঘটনায় ঝাড়খণ্ড-যোগ প্রকট হতে থাকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নামোপাড়া সংলগ্ন বিভিন্ন রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়েছিলেন, দুষ্কৃতীরা ঝাড়খণ্ডের দিকেই গিয়েছে। জেলা পুলিশের একটি দল ঝাড়খণ্ডে যায়। সেখান থেকেই গ্রেফতার হয় করণজিৎ। তার বাড়ি ওই রাজ্যের পাথরডি থানার চাসনালায়। আর বিকাশকে গ্রেফতার করা হন নয়ডা থেকে। শনিবার ধৃতদের পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাকাতির ঘটনার দিন দুয়েক আগে নামোপাড়ার সেনকো গোল্ড শোরুমে এসে গয়না বেছে অগ্রিম দিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তাই, লুট করতে তারা যখন দোকানে ঢোকে, প্রথম দুই দুষ্কৃতীকে দোকানের কর্মীরা সন্দেহের চোখেই দেখেননি। আর সেই সুযোগেই মিনিট কুড়ি-বাইশের মধ্যে লুটপাট সেরে কার্যত বিনা বাধায় চম্পট দেয় অপরাধীরা। শহরের বিভিন্ন রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ফুটেজে দেখা গিয়েছে, পালানোর সময় একটি বাইকে তিন জন যাচ্ছিল। তাদের সঙ্গে বড় ব্যাগ ছিল। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ডাকাতির (Dacoits) ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সাত জন যুক্ত ছিল। তাদের মধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও পাঁচ জনের খোঁজ চলছে। ডাকাতির ঘটনায় মূল অভিযুক্তের খোঁজ মিলেছে। সে বর্তমানে ভিন্নরাজ্যের জেলে রয়েছে। সেখানে বসেই ডাকাতির ছক কষেছে সে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Governor Of West Bengal: ‘অ্যাকশন’ শুরু রাজ্যপালের! মধ্যরাতে নবান্নে গেল রাজভবনের চিঠি

    Governor Of West Bengal: ‘অ্যাকশন’ শুরু রাজ্যপালের! মধ্যরাতে নবান্নে গেল রাজভবনের চিঠি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজপাল সংঘাত তুঙ্গে। ঠিক এমন আবহে অ্যাকশন দেখার জন্য শনিবার সকালেই মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor Of West Bengal)। অবশেষে তিনি অ্যাকশন নিলেন। শনিবার এবং রবিবারের মধ্যবর্তী রাত বারোটার ঠিক কয়েক মিনিট আগে দুটি খামবন্দি চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যার একটি গেল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এবং অপরটি নবান্নে। যদিও চিঠিতে কী লেখা রয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। রাজ্যপালের (Governor Of West Bengal) এই মুখ বন্ধ চিঠিকে ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

    শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপালের জবাব

    প্রসঙ্গত, উপাচার্য নিয়োগ বিতর্কের মাঝেই তৃণমূলপন্থী প্রাক্তন উপাচার্যদের একাংশকে  রাজভবনের সামনে অবস্থানেও দেখা গিয়েছে সুবোধ সরকারের নেতৃত্বে। শুক্রবার বিকালে ব্রাত্য বসুর মন্তব্যে বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করে। সরাসরি রাজ্যপালকে (Governor Of West Bengal) মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গে তুলনা করেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে শনিবার সকালেই রাজ্যপাল (Governor Of West Bengal) বলেন, ‘‘মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’’ এরপরেই চিঠি পাঠান রাজ্যপাল। মনে করা হচ্ছে চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারের পরেই জানা যাবে ওই চিঠিতে ঠিক কী লেখা রয়েছে। চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড়ও উঠতে পারে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।

    উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে সংঘাত 

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল (Governor Of West Bengal) নিজের মনোনীত ব্যক্তিদের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেন। যেমন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে বসানো হয়েছে কর্নাটক হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্র কমল মুখোপাধ্যায়কে, আবার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক গৌতম মজুমদারকে উপাচার্য করে রাখা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করা হয় বুদ্ধদেব সাউকে। এ নিয়েই রাজভবনের (Governor Of West Bengal) সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত চরমে ওঠে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরকে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যায়, উপাচার্যদের বেতন বন্ধ করার। মুখ্যমন্ত্রীর এই অর্থনৈতিক অবরোধের তত্ত্বে বিতর্ক দানা বাঁধে। কিন্তু সেসবে রাজ্যপাল কোনওরকম পাত্তা দেননি, কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করা অধ্যাপক কাজল দে’কে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “পঞ্চায়েত বা উপনির্বাচন কোনও ভোটই নয়, সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হবে বিজেপিই” হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Howrah: “পঞ্চায়েত বা উপনির্বাচন কোনও ভোটই নয়, সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হবে বিজেপিই” হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাওড়ার (Howrah) বাঁধাঘাট মোড়ে শনিবার সন্ধ্যায় বিজেপির এক জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘বিজেপি ধূপগুড়ি মহকুমা চায় না’ বলে মিথ্যা প্রচার করেছে তৃণমূল। ৪ হাজার ভোটে জিতে ভাবছেন বিজেপি হামাগুড়ি দিচ্ছে! পঞ্চায়েত ভোট বা উপনির্বাচন কোনও ভোট নয়। ভোট তো হবে ২০২৪ সালের লোকসভার ভোট। তৃণমূলকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

    কী বললেন শুভেন্দু (Howrah)?

    হাওড়ার (Howrah) সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, লোকসভা ও বিধানসভার একসঙ্গে ভোট হলে, তার আগেই এই তৃণমূলের সরকার পড়ে যাবে। তিনি দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ২০২৪ সালের ভোটের আগে জোট বাঁধুন। তিনি আরও বলেন, বাংলায় যাতে তৃণমূল চুরি করতে পারে, সেই কাজটাই মহম্মদ সেলিম এবং অধীর বাবুরা করে যাচ্ছেন। তাই নিচুতলার কমরেডরা আমাদের সঙ্গে চলে আসুন। বাংলাকে বাঁচাতে চাইলে ‘নো ভোট টু মমতা’ বলুন।

    উপনির্বাচন সম্পর্কে কী বললেন?

    ধূপগুড়ি উপনির্বাচন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই সভায় (Howrah) বলেন, পঞ্চায়েত বা উপনির্বাচন কোনও ভোটই নয়। সাধারণ নির্বাচনে বিজেপিই জিতবে। তিনি আরও বলেন, সব ভোট একসঙ্গে হলে, তৃণমূল হারিয়ে যাবে। একদেশ একভোট যদি হয়, তাহলে ছাব্বিশের আগেই সরকার পড়ে যাবে মমতার। ওখানে মহকুমার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটে জিতেছে তৃণমূল। তাই লোকসভার আগে সকল সাধারণ মানুষ একত্রিত হতে হবে। ওই সিটে ছয় মাস বাদে আবার বিজেপি লিড করবে। সাধারণ নির্বাচনে আমরাই জিতব। তিনি আরও বলেন, আমাদের ২৮-৩০ হাজার ভোটার ভোট দিতে আসেননি।

    রাম- বামের জোট গঠন করার আহ্বান

    হাওড়ার (Howrah) এই সভা থেকেই শুভেন্দু ফের রাম-বাম জোট গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নীচুতলার বাম সমর্থকরা আমাদের সঙ্গে চলে আসুন। বাংলায় তো তৃণমূলকে চোর বলে কংগ্রেস এবং সিপিএম! কিন্তু করলেন কী তাঁরা? তৃণমূল যাতে জিততে পারে, সেই ব্যবস্থাই করলেন বলে স্পষ্ট আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তাই নীচুতলার কর্মীদের বলব, আপনারা তো ধান্দাবাজ নন। যদি বাংলাকে বাঁচাতে চান, নিচুতলায় বিজেপির সঙ্গে মিটিং করুন। বিজেপির সঙ্গে একজোট হয়ে লড়াই করলে এই চোর তৃণমূলের উচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিজেপি করার অপরাধে রাস্তায় বেড়া, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিজেপি করার অপরাধে রাস্তায় বেড়া, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার অপরাধে সমস্ত রাস্তায় কাঁটা দিয়ে বেড়া দিয়ে বাইরের বেরোনোর পথ আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার মথুরাপুর-২নম্বর ব্লকের দক্ষিণ কনকনদিঘি ডাক্তার ঘেরি  মুন্ডাপাড়া এলাকায়। সেখানে ছটি পরিবারকে গত তিনদিন ধরে যাতায়াতের রাস্তায় বেড়া দিয়ে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    অভিযোগ, ২০১৫ সাল নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) মণি নদীর ভাঙ্গন রোধে সরকার একটি আইলা বাঁধ তৈরি করার কাজে হাত দেয়, তারজন্য প্রায় ২৫ টি পরিবারকে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে উঠে যেতে হয়। ১০ টি পরিবারের নিজস্ব জায়গা থাকায় তাদের সরকার থেকে ঘর করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ১৫ টি পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে সরকার ৯টি পরিবার ভালোভাবে থাকতে পারলেও ২০১৭সালে ৬টি পরিবারকে ওই আইলাবাঁধের ঢিলছোঁড়া দূরত্বে পাট্টা দেওয়া হয়। ২০২০ সালে সরকারি টাকায়  ঘর করে দেওয়া হয়। কিন্তু, দুর্ভাগ্যের বিষয় ঘর ও জায়গা পেলেও চলাচলের  রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়নি। ৬টি পরিবারের মধ্যে একটি পরিবার সরকারি রাস্তার ধারে থাকায় তার কোনও অসুবিধা না হলেও পাঁচটি পরিবার মহা বিপদে পড়েন। ঘরের সামনে অন্যের জায়গার ওপর দিয়ে জল পেরিয়ে বাঁধে উঠে চলাচল শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু ২০২২ সালের দিকে হঠাৎ করে জমির মালিক তাদের যাতায়াতের বাধা দিতে থাকে। অসহায় পরিবার বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে বিষয়টি জানান।  পরে, বিষয়টি মিটে যায়। আগের মতো তাঁরা যাতায়াত করতে থাকেন। গত পঞ্চায়েত ভোটে এই পরিবারগুলো বিজেপি করেন। তারপরেই শাসক দলের লোকজন এই পরিবারগুলোর উপরে অত্যাচার করা শুরু করে বলে অভিযোগ। এমনকী মাঝে মাঝে প্রাণনাশের হুমকি  দেওয়া হয়। হঠাৎ করে দেখা যায় তাদের চলাচলের সমস্ত রাস্তা কাঁটা বেড়া দেওয়া হয়। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, বিজেপি করা আমাদের অপরাধ। বাড়িতে অসুস্থ লোকজন, ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া, নলকূপের জল আনা, বাজারে যাওয়া সব কিছু বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয় নিয়ে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি নবেন্দু সুন্দর নস্কর বলেন, শুধুমাত্র রায়দিঘির এই মুন্ডাপাড়া নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিভিন্ন জায়গাতেই শাসক দল এইভাবেই পঞ্চায়েতে যারা যারা বিজেপি করেছে তাদেরকে নানাভাবে হেনস্থা করছে। তবে,এর জবাব লোকসভায় মানুষ ঠিক দিয়ে দেবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শ্যামল কুমার মাইতি বলেন, এমন যদি ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। ব্যক্তিগত কারণে এসব কিছু হতে পারে। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আর এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবেই যুক্ত নয়। তবুও, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদ আদালতে বাংলাদেশের সংগীত শিল্পী মমতাজ বেগম, কেন জানেন?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদ আদালতে বাংলাদেশের সংগীত শিল্পী মমতাজ বেগম, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংগীত শিল্পী তথা বাংলাদেশের আওয়ামী লিগের জাতীয় সংসদের সদস্য মমতাজ বেগম হাজির মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। তাঁর বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগ তুলে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা আদালতে মামলা করা হয়।

    আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংগীত শিল্পীর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, শক্তিশংকর বাগচী নামে এক ব্যক্তি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ করতেন। মমতাজ বেগমের সঙ্গে ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কাজ করেছিলেন। কোনও একবার অনুষ্ঠানে কথা দিয়েও তিনি আসেননি বলে শংকরবাবুর অভিযোগ। তিনি এনিয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, অনুষ্ঠানে আসার জন্য শক্তি শক্তিশংকর বাগচী সংগীত শিল্পী মমতাজ বেগমকে বেশ কিছু টাকা দিয়েছিলেন। সঙ্গীত অনুষ্ঠানে না আসা সত্ত্বেও সেই টাকা ফেরত দেননি। ২০০৯ সালে তিনি সংগীত শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলকেশ দাস সংগীত শিল্পীকে ৮ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।

    সংগীত  শিল্পীর আইনজীবীর কী বক্তব্য?

    মমতাজ বেগমের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত বলেন, শংকরবাবু যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন তার কোনও প্রমাণ আদালতে দেখাতে পারেননি। ওই সময় তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং দুর্ঘটনাজনিত কারণে তাঁর পায়ের হার ভেঙ্গে যায়। তাই, তিনি অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি। মামলা করার পর বিদেশে থাকার কারণে তিনি আদালতে আসতে পারেননি। ফলে, বিচারক তাঁর নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছিলেন। ৮ সেপ্টেম্বর সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ মতো তিনি মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা আদালতে হাজির হন। এর আগে তাঁর না আসতে পারার কারণে সমস্ত প্রমাণপত্র কোর্টকে জমা দেওয়া হয়। এরপরই বিচারক মমতাজ বেগমকে জামিন দেন। একইসঙ্গে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়, যদি আগামীদিনে আদালত তাঁকে ডেকে পাঠালে তিনি যেন সেই দিনে আদালতে হাজির হন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share