Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা বন্ধ হল কেন? রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা বন্ধ হল কেন? রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মানুষের কাছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা কেন বন্ধ করা হল? তা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। রাজ্যের কাছে এ নিয়ে হলফনামা চেয়েছে হাইকোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ সুবিধার বিষয় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আড়ালে কেন রাখা হল (Calcutta High Court)? ১৫ দিনের মধ্যে তা রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। এ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন,‘‘কেন্দ্রীয় সুবিধা (Calcutta High Court) বন্ধ করে রাজ্য যে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ তৈরি করেছে, তার কাজ আদালতের কাছে স্পষ্ট নয়। রাজ্যের এমন পদক্ষেপের কারণ আদালতের কাছে পরিষ্কার নয়।’’

    গত মাসেই এ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেন সুকান্ত মজুমদার

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা থেকে রাজ্যের মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে গত মাসেই হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাটের সাংসদের বক্তব্য, ‘‘বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করার জন্যই কমন সার্ভিস সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতির আরও দাবি, ওই প্রকল্পগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে দেড় লক্ষ মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে নিজেই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজির হয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার।

    কেন্দ্রের ২০০টি পরিষেবার সুবিধা নানা ভাবে পেয়ে থাকেন রাজ্যের মানুষ

    তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় পরিষেবা থেকে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করতেই মুখ্যমন্ত্রী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেন্দ্রের ২০০টি প্রকল্পের সুবিধা পান রাজ্যের মানুষ । সুকান্ত মজুমদার আরও দাবি করেছিলেন যে সিএসসির মাধ্যমে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা জানতে পারতো গ্রামের মানুষজন। ২০২০ সালের মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ওই পরিষেবা তুলে দেয়।  বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এবার হলফনামা চাইল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Murder: বিজেপি নেতা খুনে অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতে ‘চক্রান্তে’ সামিল পুলিশ! মত হাইকোর্টের

    BJP Murder: বিজেপি নেতা খুনে অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতে ‘চক্রান্তে’ সামিল পুলিশ! মত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরে ময়নায় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়া খুন (BJP Murder) হন। ওই খুনের ঘটনায় একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে জামিনে মুক্ত করতে চক্রান্ত (BJP Murder) করছে পুলিশ, সোমবার এই মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। প্রসঙ্গত, এই খুনের (BJP Murder) ঘটনায় ৯১ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করে। আইন অনুসারে ঠিক তার আগের দিনই জামিন পেয়ে যান মূল অভিযুক্ত। কেন চার্জশিট পেশ করতে একদিন সময় বেশি লাগল পুলিশের, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়েই এই মন্তব্য করে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, গত ৪ অগাস্ট জামিন পেয়ে যায় মূল অভিযুক্ত (BJP Murder)। ঠিক তার পরের দিনই আদালতে চার্জশিট জমা পড়ে পুলিশের।

    কেন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে হয়, তার কারণ ব্যাখ্যা করেন বিচারপতি

    ময়নায় বিজেপি নেতা খুনের (BJP Murder) ঘটনায়, সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলাটি হাইকোর্টে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন যে আমরা কোনও মামলা সিবিআই-সিআইডিকে দিতে চাই না। কিন্তু কেন আমাদের এই কাজ করতে হয় তার স্পষ্ট উদাহরণ দিচ্ছি। এরপরেই বিচারপতি বলেন, ‘‘গত ৪ অগাস্টই চার্জশিট তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও সেই চার্জশিট আদালতে পেশ করা হয়নি। মূল অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতেই পুলিশ এই কাজ করেছে (BJP Murder)। ৫ অগাস্ট চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে পুলিশ (BJP Murder)। এতে স্পষ্ট মূল অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতে পুলিশের চক্রান্ত (BJP Murder)।’’ 

    মামলায় এসসি-এসটি আইনের ধারা যোগ হওয়ার পরেও কীভাবে জামিন, প্রশ্ন হাইকোর্টের

    বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের আর প্রশ্ন, মামলাতে এসসি-এসটি আইনের ধারাগুলিকে যোগ করা হয়েছে। তারপরেও কীভাবে মূল অভিযুক্ত (BJP Murder) জামিন পেতে পারেন? প্রসঙ্গত,  বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়াকে বোম মারতে মারতে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁর পরিবার। তারপরেও বিস্ফোরক আইনের কোনও ধারা কেন যোগ করা হয়নি তাও জানতে চান বিচারপতি।   ১৮ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির  দিন রয়েছে। সেদিন এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে হবে পুলিশকে, এমন কথাই শুনিয়েছেন বিচারপতি (BJP Murder)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gang Rape: অশোকনগরে  এক যুবতীকে গণধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে যাওয়ার অভিযোগ, অভিযুক্ত চার যুবক

    Gang Rape: অশোকনগরে এক যুবতীকে গণধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে যাওয়ার অভিযোগ, অভিযুক্ত চার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক যুবতীকে মাদক খাইয়ে ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের (Gang Rape) অভিযোগ উঠল চার যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরে। অভিযোগ, অচৈতন্য অবস্থায় যুবতীকে গভীর রাতে যশোর রোডের পাশে অশোকনগরের একটি কলেজের সামনে ফেলে চম্পট দেয় অভিযুক্ত যুবকরা। পুলিশ খবর পেয়েই মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যায়। গণধর্ষণের অভিযোগে ওই চার যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, এত কাণ্ড হওয়ার পরও পুলিশ কিছু জানতে না পারায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Gang Rape)

    মাদক খাইয়ে যুবতীকে অচৈতন্য করে গণধর্ষণের (Gang Rape) ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে অশোকনগর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত চার অভিযুক্তের নাম তন্ময় পাল, আকাশ চক্রবর্তী, টুকাই সিকদার এবং গোপাল পাল। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি অশোকনগর ৫ নম্বর সুভাষপল্লি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা যুবতী পানশালায় নর্তকীর কাজ করেন। যুবতীর পূর্ব পরিচিত আকাশের কাছে টাকা ধার চায় এই যুবতী। আর এই টাকা ধার দেবে বলেই রবিবার সন্ধ্যার পরে আকাশ ওই যুবতীকে অশোকনগরে ডাকে। এর পরেই আকাশ ওই যুবতীকে আরেক অভিযুক্ত টুকাই সিকদারের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ওই যুবতীকে মাদক খাইয়ে অচৈতন্য করে চার বন্ধু মিলে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তারপরে গভীর রাতে হাবড়া শ্রীচৈতন্য কমার্স কলেজের সামনে যুবতীকে ফেলে চম্পট দেয় ওই চার যুবক। পরবর্তীতে পুলিশ প্রশাসন খবর পেয়ে নির্যাতিতাকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যায় অশোকনগর হাসপাতালে। সেখানে বসেই ওই যুবতী পুলিশের কাছে ওই চার যুবকের নামে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সকালে অশোকনগর সুভাষপল্লি এলাকা থেকে ওই চার যুবককে গ্রেফতার করে অশোকনগর থানার পুলিশ। সোমবার তাদের চারজনকে বারাসত আদালতে পাঠানো হয়।

    কী বললেন নির্যাতিতা যুবতী?

    নির্যাতিতার বক্তব্য, ‘আমার সঙ্গে আকাশ চক্রবর্তীর পরিচয় ছিল। আমার কিছু টাকার প্রয়োজন হয়েছিল, আকাশকে বলেছিলাম। ও টাকা দেওয়ার জন্য এদিন রাতে আমায় ডাকে। তারপর একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আমাকে অচৈতন্য করে আকাশ সহ মোট চারজন গণধর্ষণ (Gang Rape) করে। পরে আমাকে একটি ফাঁকা জায়গায় ফেলে দিয়ে চলে যায়। আমি দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।’ দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবিতে সরব নির্যাতিতার মাও।

    কী বললেন হাসপাতালের সুপার?

    এদিন বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, যুবতীর অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। চিকিৎসার পর সমস্ত কিছু বলা যাবে। এদিন নির্যাতিতাকে দেখতে বারাসত হাসপাতালে আসেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। এদিন তিনি বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত পৈশাচিক। দোষীদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আমি ওই পরিবারের পাশে আছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: গ্রামীণ হাসপাতালে নেই স্যালাইন, চড়া দামে কিনতে হচ্ছে বাইরের দোকান থেকে

    Paschim Medinipur: গ্রামীণ হাসপাতালে নেই স্যালাইন, চড়া দামে কিনতে হচ্ছে বাইরের দোকান থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় ঘটা করে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল তৈরির হিড়িক পড়ে গিয়েছে। মহকুমা বা গ্রামীণ হাসপাতালগুলিকে নীল-সাদা রং করে ঝাঁ চকচকে করার উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল সরকার। কিন্তু, ঝাঁ চকচকে বিল্ডিংয়ের ভিতরে রোগীদের ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবা বলে কিছু নেই। এটা বিরোধীদের কোনও অভিযোগ নয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর পরিবারের লোকজন এই অভিযোগ করছেন। এই সরকারি হাসপাতালে অমিল স্যালাইন। জেলার অধিকাংশ গ্রামীণ হাসপাতালেই এই এক চিত্র। রোগী বাঁচাতে পরিবারের লোকজনকে হাসপাতালের বাইরের দোকান থেকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে স্যালাইন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন পরিষেবা না পাওয়া রোগীর পরিবারের লোকজন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Paschim Medinipur)

    পশ্চিম মেদিনীপুর চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে অমিল স্যালাইন, তাই বাধ্য হলেই হাসপাতালের বাইরে ওষুধ দোকান থেকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে স্যালাইন। এই গ্রামীণ হাসপাতালে প্রতিদিন চিকিৎসার জন্য শয়ে শয়ে রোগী আসেন। কিন্তু, এই হাসপাতালে টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে অমিল রয়েছে স্যালাইন পরিষেবা। ইমের্জেন্সি বিভাগে থাকা চিকিৎসকরা রোগীর প্রয়োজন মতো পরিজনদের লিখে দিচ্ছেন স্যালাইনের কথা। রোগী বাঁচাতে দোকানে ছুটছেন রোগীর পরিজনেরা। চড়া দামে দোকান থেকে স্যালাইন কিনে আনছেন তাঁরা, সেই স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। আর এতেই ক্ষুব্ধ রোগীর পরিজনেরা। চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাঁর পরিজনদের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে পাওয়ার কথা স্যালাইন, সেই স্যালাইন কিনা কিনে আনতে হচ্ছে দোকান থেকে।

    কী বললেন বিএমওএইচ?

    স্যালাইন সরবরাহ নিয়ে সংকট যে তৈরি হয়েছে, তা কার্যত মেনে নিচ্ছেন চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ স্বপ্ননীল মিস্ত্রি। তিনি বলেন, পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার অন্য হাসপাতালের মতো এই হাসপাতালে স্যালাইনের জোগান নেই। রোগীদের গাঁটের টাকা খরচ করে যাতে স্যালাইন কিনতে না হয় সেই ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে যে সব রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের যাতে বাইরে থেকে স্যালাইন কিনতে না হয়, তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: চাকদার ফাইবারের দুর্গা প্রতিমা পাড়ি দিচ্ছে প্যারিসে, উচ্ছ্বসিত জেলাবাসী

    Nadia: চাকদার ফাইবারের দুর্গা প্রতিমা পাড়ি দিচ্ছে প্যারিসে, উচ্ছ্বসিত জেলাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছরই তাঁর তৈরি দুর্গা প্রতিমা বিদেশে পাড়ি দেয়। এই বছর তাঁর তৈরি ফাইবারের দুর্গা প্রতিমা নদিয়া (Nadia) থেকে পাড়ি দিচ্ছে প্যারিসে। দেশের মূর্তি বিদেশের মাটিতে পূজিত হবে, এটা ভেবেই আপ্লুত জেলাবাসী।

    কীভাবে প্যারিসে যাবে ফাইবারের মূর্তি (Nadia)?  

    নদিয়ার (Nadia) চাকদার মৃৎশিল্পী অনুপ গোস্বামী। ছোট থেকেই বিভিন্ন প্রতিমার মূর্তি তৈরি করেছেন তিনি। প্রথমে মাটি দিয়ে বিভিন্ন পূজোর ঠাকুর তৈরি করতেন। পরবর্তীকালে তাঁর হাতের সুন্দর কারুকার্য দেখে হঠাৎ করে বিদেশ থেকে কাজের অর্ডার আসতে শুরু করে। মাটির তৈরি মূর্তি ওজনে অনেকটাই বেশি। অন্যদিকে মজবুতের দিক থেকে কিছুটা দুর্বল। সেই কারণে মাটির তৈরি মূর্তি বিদেশে নিয়ে যেতে অনেকটাই সমস্যায় পড়তে হয়। তাই তিনি বর্তমানে ফাইবারের দুর্গা প্রতিমা তৈরি করছেন। এবার সেই ফাইবারের দুর্গা প্রতিমা পাড়ি দিচ্ছে প্যারিসে। এর আগেও অনুপ গোস্বামীর তৈরি মূর্তি অস্ট্রেলিয়া সহ একাধিক দেশে পাড়ি দিয়েছে।

    মৃৎশিল্পীর বক্তব্য

    মৃৎশিল্পী অনুপ গোস্বামী (Nadia) জানান, কখনও জাহাজে কখনও ফ্লাইটে দুর্গা প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয়। যেহেতু বাঙালিরা বর্তমানে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে রয়েছে, সেই কারণে দুর্গা পুজো বিদেশেও কমবেশি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে প্রতিমা তৈরির সরঞ্জামের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় অসুবিধায় পড়তে হয়েছে শিল্পীদের। লাভের মূল্য আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গেছে বলে জানান তিনি। তাঁর তৈরি করা মূর্তি গতব ছর বাহারিন, প্যারিস এবং চিলিতে গিয়েছিল। সেখানে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বছর দুর্গা মূর্তি যাবে প্যারিসে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, শুধু দুর্গা প্রতিমা নয়, বিভিন্ন মুনিঋষির মূর্তি তৈরি করে থাকেন। তাঁর তৈরি মূর্তি অন্যান্য রাজ্য সহ দেশের বাইরেও নিয়ে যাওয়া হয়। ব্রোঞ্জ,পাথর এবং ফাইবার দিয়ে মূর্তি তৈরি করে থাকেন তিনি। এই বছর রথযাত্রার পরেই বিদেশ থেকে বিশেষ অর্ডার দেওয়া হয়। এই মূর্তি তৈরি করতে প্রায় দুই মাস সময় লেগেছে। তিনি মূর্তি তৈরি প্রসঙ্গে আরও বলেন, প্রথমে সব মূর্তি মাটির তৈরি হয়, এরপর হলোকাস্টিং করে ফাইবারের ছাঁচে তৈরি করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: দুর্ঘটনায় অঙ্গ হারানো বধূর পাশে সুকান্ত, ফিরে পেলেন পা

    Sukanta Majumdar: দুর্ঘটনায় অঙ্গ হারানো বধূর পাশে সুকান্ত, ফিরে পেলেন পা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্ঘটনায় পা হারিয়ে হাঁটাচলা করার আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের পালসা খাসপাড়ার মেনকা কুজুর নামে এক বধূ। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হারানোর ফলে ছোট ছেলে সহ মেনকাদেবীকে ছেড়ে যান স্বামী। ছেলেকে নিয়েই কোনওরকমে দিন কাটছিল ওই মহিলার। শেষ পর্যন্ত প্রায় ১২ বছর পর বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) উদ্যোগে তাঁর শরীরে কৃত্রিম পা লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপরেই তিনি হাঁটাচলা করতে পারছেন। মেনকাদেবীর বাড়িতে যান বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা ওই মহিলার সুবিধা ও অসুবিধার কথা শোনেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    প্রায় ১২ বছর আগে রাস্তার কাজ করতে গিয়ে রোলারে মেনকাদেবীর বাম পা চাপা পড়ে। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করান। তবুও, শেষ রক্ষা হয়নি। শরীর থেকে পা কেটে বাদ দিতে হয়। দুর্ঘটনার পর একমাত্র ছেলে সহ স্ত্রীকে ছেড়ে চলে যান স্বামী। ছেলেকে নিয়ে কোনওমতে দিন কাটছিল তাঁর। হাঁটাচলার স্বপ্ন প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন মেনকাদেবী। কয়েক মাস আগে গঙ্গারামপুর থানার ফুলবাড়িতে পাড়ায় কর্মসূচি করতে আসেন সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সেখানে হাজির হয়ে পালসার গৃহবধূ মেনকা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের কাছে চিকিৎসার আর্জি জানান। বাঁ পায়ের অবস্থা দেখে সুকান্তবাবু চিকিৎসা করানোর উদ্যোগ নেন। সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উদ্যোগে প্রায় এক মাস আগে মেনকাকে নিয়ে যাওয়া হয় বারাকপুর মহকুমার বনহুগলির একটি সরকারি হাসপাতালে। হাসপাতালে রেখে চলে চিকিৎসা। কয়েকদিন আগে সরকারি হাসপাতালের অঙ্গ বিভাগে মেনকার কৃত্রিম পা লাগানো হয়। কৃত্রিম পা লাগানোর পর হাঁটাচলা করতে পারায় তাঁকে ছেড়ে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    মেনকার বাড়িতে যান বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ অন্য বিজেপি নেতারা। চলাফেরা করতে কোনওরকম অসুবিধা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে বিজেপি নেতা খোঁজখবর নেন। কৃত্রিম পায়ের সাহায্যে প্রায় ১২ বছর পর দুই পায়ে হাঁটতে পারায় খুশি মেনকা কুজুর। বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি বহু সামাজিক কাজ করেন আমাদের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর উদ্যোগেই একজন মহিলা শ্রমিক তাঁর কাটা পা ফেরত পেয়েছেন। আগের মতোই মেনকাদেবী হাঁটাচলা করতে পারায় আমরা খুশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Health University: গোপন ফাইল নিজের কাছে? নয়া বিতর্কে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য! 

    Health University: গোপন ফাইল নিজের কাছে? নয়া বিতর্কে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলি নীতি থেকে মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষক নিয়োগ কিংবা পরীক্ষা নেওয়ার ধরন, বার বার বিতর্কে উঠে এসেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় (Health University)! এবার আরেক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

    কী নতুন বিতর্ক (Health University)? 

    স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের (Health University) নানা গোপনীয়, গুরুত্বপূর্ণ ফাইল কর্তৃপক্ষের কাছে এখন নেই। সেগুলি কোথায়, সে সম্পর্কেও কোনও স্পষ্ট তথ্য নেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুহৃদা পাল, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় গোপনীয়, গুরুত্বপূর্ণ ফাইল নিজের কাছেই রেখেছেন। রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের নির্দেশের পরেও তিনি সেগুলি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেননি। 
    সম্প্রতি এ নিয়ে রাজ্যপাল তথা স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন চিকিৎসকদের সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গল। তাঁরা চিঠিতে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কাজ আটকে থাকছে। পাশপাশি, প্রাক্তন উপাচার্য কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোপনীয় নথি নিজের কাছে রাখতে পারেন, সে নিয়েও তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন। রাজ্যপালের কাছে তাঁদের প্রশ্ন, সুহৃদা পাল বর্তমানে সরকারের কোন পদে রয়েছেন, সে বিষয়ে কেউ জানেন না। এমনকি তিনি কোনও মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষকতার দায়িত্বে নেই। তারপরেও রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নথি কীভাবে তাঁর কাছে থাকে? তাছাড়া তিনি রাজ্য সরকারের থেকে নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন। কোন দায়িত্বের নিরিখে তাঁর বেতন, সে বিষয়েও রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী বলছেন চিকিৎসক মহল (Health University)? 

    রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষক-চিকিৎসক নিয়োগ থেকে বদলি, একাধিক বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসক বদলি নিয়ে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। শাসক দলের ঘনিষ্ঠ না হলে সময় মতো পদন্নতি কিংবা বদলি হয় না, এমন অভিযোগ বার বার ওঠে। তাছাড়া, বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষার সময় স্বচ্ছতা ও নিয়মমাফিক কাজ হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর এই সমস্ত অভিযোগের দায় উপাচার্য এড়িয়ে যেতে পারেন না বলেও মনে করছেন চিকিৎসক মহল। তাই রাজ্যপাল সুহৃদা পালকে পদ থেকে সরানোর পরেই তিনি নথি হস্তান্তর করতে নারাজ হন। পাশাপাশি তিনি নথি কোথায় রেখেছেন, সে বিষয়েও বিশ্ববিদ্যালয় (Health University) কর্তৃপক্ষকে কিছু জানাতে চাইছেন না বলে মনে করছেন একাংশ।

    কী বলছেন সুহৃদা পাল? 

    রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন। গোপনীয় নথি নিজের কাছে রাখার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, কোনও মন্তব্য করবেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: কলকাতায় ডেঙ্গির দাপট অব্যাহত, পুরসভার বাড়ি বাড়ি নজরদারির অভাবেই বাড়ছে বিপদ! 

    Dengue: কলকাতায় ডেঙ্গির দাপট অব্যাহত, পুরসভার বাড়ি বাড়ি নজরদারির অভাবেই বাড়ছে বিপদ! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় ফের ডেঙ্গি হানা। গত তিন দিনে ডেঙ্গিতে (Dengue) আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন দু’জন। তাঁরা কলকাতারই বাসিন্দা। বর্ষার মরশুমে বাড়ছে ডেঙ্গির চোখ রাঙানি! অভিযোগ, নজরদারির অভাবেই বাড়ছে বিপদ।

    কী বলছে রিপোর্ট (Dengue)? 

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অগাস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় চার হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তার সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এ বছর এখনও পর্যন্ত ১২ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। দিন কয়েক আগেও কলকাতার দুই বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁদের ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই বিধাননগর এলাকায় গত বছরের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা চারগুণ হয়ে গিয়েছে। কলকাতাতেও ডেঙ্গি সংক্রমণের দাপট বাড়ছে। তাঁদের আশঙ্কা, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে এই সংক্রমণ (Dengue) আরও প্রবল হবে। কলকাতার আশপাশের জেলা হিসাবে উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। তার পাশপাশি নদিয়া নিয়েও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ, স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়াতেও ডেঙ্গি সংক্রমণের হার অন্য বছরের তুলনায় বেশি।

    নজরদারির অভাবেই ডেঙ্গির (Dengue) শক্তিবৃদ্ধি? 

    বাড়িতে গিয়ে নজরদারির অভাব রয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলছেন অধিকাংশ বাসিন্দা। কলকাতা হোক কিংবা হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, পুরসভার কাজ নিয়ে একাধিক অভিযোগ বাসিন্দাদের। ডেঙ্গি মোকাবিলায় সক্রিয়তার অভাব রয়েছে, এমনই অভিযোগ তুলছেন অধিকাংশ বাসিন্দা। 
    কলকাতায় ডেঙ্গি (Dengue) মোকাবিলায় বাড়িতে গিয়ে নজরদারির উপর জোর দেওয়ার কথা বলা হলেও আসলে তেমন কাজ হয় না বলেই অভিযোগ। অনেক বাড়িই বন্ধ থাকে। ফলে, বৃষ্টি হলেই ছাদে জল জমে। অনেক বাড়ি বন্ধ থাকার জেরে বাগান ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় না। তার ফলে, সেখানেও মশার আঁতুরঘর হয়ে ওঠে। পুরসভার কর্মীদের সক্রিয়তা পারে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে। তার জন্য এলাকায় নজরদারি জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই নজরদারির অভাব রয়েছে। ফলে, বিভিন্ন বন্ধ বাড়ি থেকেই মশার উপদ্রব বাড়ছে। 
    তবে হাওড়া-হুগলি জেলার বাসিন্দাদের অভিযোগ পুরসভার নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে। বৃষ্টির পরেই এলাকার একাধিক জায়গায় জল জমে থাকে। নর্দমা ঠিকমতো পরিষ্কার নয়। রাস্তার হাল খুব খারাপ। অনেকের বাড়িতেই জল ঢুকে যাচ্ছে। সেই জল বের করতেও সময় যাচ্ছে। ফলে, বাড়ছে মশার উপদ্রব। যার জেরে ডেঙ্গির শক্তি বাড়ছে। তাছাড়া, এলাকার পার্ক কিংবা বাগানের আগাছা পরিষ্কারেও নজরদারির অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন বাসিন্দাদের একাংশ। 
    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পরিচ্ছন্নতা ও রোগ নির্ণয়ে সক্রিয়তা না থাকলে ডেঙ্গি (Dengue) মোকাবিলা কঠিন হয়ে উঠবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: নজর দেয়নি তৃণমূল, কোদাল হাতে রাস্তা মেরামতির কাজ করলেন বিজেপি বিধায়ক

    Bankura: নজর দেয়নি তৃণমূল, কোদাল হাতে রাস্তা মেরামতির কাজ করলেন বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) শালতোড়া বিধানসভা এলাকার বিজেপি বিধায়কের গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের গ্রামের রাস্তা দীর্ঘদিন বেহাল। বারবার প্রশাসনে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অভিযোগ, ওই গ্রামে বিজেপি বিধায়ক থাকায় রাস্তা মেরামতির সামান্যতম উদ্যোগ নেয়নি তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত। শেষ পর্যন্ত বিধায়ক নিজে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে ঝুড়ি-কোদাল হাতে রাস্তা মেরামতির কাজ করলেন। বিধায়কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এলাকাবাসী।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Bankura)

    বেহাল রাস্তা নিয়ে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল। চন্দনা বাউড়ি বিজেপির বিধায়ক। নিজের বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ থেকে রাস্তা মেরামতির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু, অভিযোগ, শুধুমাত্র বিরোধী দলের বিধায়ক হওয়ায় তাঁকে সেই কাজ করতে দেওয়া হয়নি। বর্ষার সময় দিনের পর দিন বেহাল রাস্তার কারণে এলাকার মানুষ খুব কষ্ট করে যাতায়াতে বাধ্য হচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত নিজের হাতেই রাস্তার হাল ফেরাতে মাঠে নামলেন চন্দনা। স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে ঝুড়ি-কোদাল হাতে কোমর বেঁধে রাস্তা মেরামতির কাজে নেমে পড়লেন। হাত লাগালেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরাও।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বক্তব্য, বাঁকুড়া (Bankura) জেলা প্রশাসনের সব জায়গায় বার বার জানানো সত্ত্বেও শাসকদলের চাপে প্রশাসন ইচ্ছাকৃত ভাবে রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি।’ তাই নিজের বেতনের টাকায় পাথর, মোরাম এবং মাটি আনিয়ে রাস্তার হাল ফেরানোর চেষ্টা করেছি। আসলে বিধায়ক হওয়ার আগে স্বামী শ্রবণ বাউড়ি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। আর আমি জোগাড়ের কাজ করতাম। পাশাপাশি, পেট চালাতে ১০০ দিনের কাজও করেছি দু’জনে মিলে। তাই ঝুড়ি-কোদাল হাতে রাস্তায় মাটি ফেলতে আমাদের কোনও অসুবিধাই হয়নি। দ্বিধা-সংকোচের প্রশ্নই নেই।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিধায়কের উদ্যোগ স্থানীয় মানুষের বিপুল প্রশংসা কুড়িয়েছে। চন্দনার অভিযোগ উড়িয়ে ‘সবটাই নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল-পরিচালিত গঙ্গাজলঘাটি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি নিমাই মাজি বলেন, বাঁকুড়া (Bankura) জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পথশ্রী প্রকল্পে ওই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। তারপরেও বিধায়ক এসব করে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হওয়ার নাটক করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: বজ্রাঘাতে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলায় মৃত্যু হল ছয় জনের, জখম ৬

    Purulia: বজ্রাঘাতে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলায় মৃত্যু হল ছয় জনের, জখম ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া (Purulia) জেলায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাঁকুড়ার ছাতনা ও শালতোড়া-২ ব্লক মিলিয়ে এক কলেজ পড়ুয়া সহ মোট তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬ জন। আর পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর এবং পারা ব্লকে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

    বাঁকুড়ায় বাজ পড়ে কতজন মারা গিয়েছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বাঁকুড়ার ছাতনা থানা এলাকায় পৃথক ৩টি জায়গায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। জখম হয়েছেন আরও ৩ জন। শালতোড়া থানা এলাকায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। সেখানে জখম হয়েছেন, আরও ৩ জন। মৃতরা হলেন সাগেন মুর্মু (২০), মীরা বাউড়ি (৬১) এবং সুকুরমণি হাঁসদা (২৭)।  ছাতনা থানা এলাকার ঘোষেরগ্রাম পঞ্চায়েতের ছাচনপুর গ্রামের কয়েকজন যুবক গ্রাম সংলগ্ন দ্বারকেশ্বর নদে দুপুরে মাছ ধরতে বাজ পড়ে কলেজ পড়ুয়া সাগেনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, ছাতনা-১ নম্বর পঞ্চায়েতের বারবাকড়া গ্রামে একই দিনে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে মীরা বাউড়ি নামে এক প্রৌঢ়ার। জানা গিয়েছে, দুপুরে বাড়ির বাইরে গরু চড়াচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় বাজ পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। পাশাপাশি, শালতোড়া থানার ছাতিমবাইদ এলাকায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে সুকুরমণি হাঁসদা নামে এক যুবতীর। জখম হয়েছেন আরও ৩ জন। জানা গিয়েছে, ধান লাগিয়ে মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। সেই সময় বাজ পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়।

    পুরুলিয়া (Purulia)  জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় তিনজনের

    পুরুলিয়া (Purulia) জেলার পারা ব্লকের শাকড়ায় বাজ পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম দুই যুবক সোমনাথ বৈষ্ণব (২৩) ও অঞ্জন দাস (২১)। রবিবার তাঁরা পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্নান সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। হঠাৎই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। তাঁরা একটি তেঁতুল গাছের নীচে আশ্রয় নেন। সেখানেই বাজ পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে রঘুনাথপুর থানার সেনেড়া গ্রামে বাজে পড়়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম লক্ষ্মীনারায়ণ বাউরি (৫৬)। এদিন তিনি মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন। ক্ষেতের কাজ করার সময়ই বাজ পড়ে। রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share