Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Purba Medinipur: নার্সিং হোম থেকেই চলছে শিশু বিক্রির রমরমা! পুলিশের জালে ধৃত ৩

    Purba Medinipur: নার্সিং হোম থেকেই চলছে শিশু বিক্রির রমরমা! পুলিশের জালে ধৃত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিঘা হাসপাতালের (Purba Medinipur) তৎপরতায় শিশু বিক্রির বড়সড় চক্রের হদিশ পেল দিঘা মোহনা থানার পুলিশ। জনকাল্যাণ নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ প্রসবের পর বলে, মৃত সন্তান জন্ম হয়েছে। তাই শিশুর পরিবার দেখতে চাইলেও দেখাতে দেয়নি নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ। শনিবার মাঝ রাতে যখন পুলিশ আসে, তখন পরিবারের লোক জানতে পারেন, তাঁদের শিশুটি জীবিত আছে। পরে বাচ্চাটিকে বিক্রি করে দিয়েছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। আর এমন অভিযোগেই তোলপাড় এলাকা। পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয় ৩ জন।

    কীভাবে জানা গেল শিশু বিক্রি (Purba Medinipur)?

    সূত্রের খবর, গত সোমবার দিঘা (Purba Medinipur) রাজ্য সাধারণ হাসপাতালের বহির্বিভাগে জন্মের পর টিকাকরণের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল ৪ দিনের এক শিশুপুত্রকে। টিকাকরণের আগে শিশুটির জন্ম শংসাপত্র-সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিশুটির সঙ্গে থাকা ৩ মহিলা তা দেখাতে পারেনি। তাছাড়া তাদের কথাবার্তায় অসঙ্গতি থাকায় সন্দেহ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি পুলিশের নজরে আনা হয়। এরপর উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয় চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে।

    পুলিশের ভূমিকা

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হলে, ৩ মহিলাকে আটক করে দিঘা মোহনা (Purba Medinipur) থানার পুলিশ। পরবর্তীতে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ না মেলায় ২ মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শিশু কেনার অভিযোগে গত মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় রামনগর থানার দুর্গাপুরের বাসিন্দা মর্জিনা বিবিকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বুধবার এগরার একটি নার্সিংহোমের ( জনকল্যাণ নার্সিং হোম) মালিক সঞ্জয় গোল ও তার স্ত্রী সুপ্রিয়া গোলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নন্দীগ্রামের রানীচকের বাসিন্দা তারা। ধৃত দম্পতি, ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বাচ্চাটিকে কেনার জন্য নিঃসন্তান মর্জিনাকে সহযোগিতা করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার ধৃতদের কাঁথি আদালতে পেশ করা হলে, বিচারক তাদের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। দিঘা মোহনা থানার ওসি মৌসুমি সর্দার আরও বলেন ‘এছাড়াও শিশু বিক্রির এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত আছে, তার খোঁজ চলছে। পাশাপাশি বাচ্চাটির মা ও দাদুকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ধূপগুড়িতে তৃণমূলকে তুলোধোনা করে শেষ প্রচারে ঝড় তুললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ধূপগুড়িতে তৃণমূলকে তুলোধোনা করে শেষ প্রচারে ঝড় তুললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে ঝড় তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন দুপুরে দলীয় প্রার্থী তাপসী রায়ের সমর্থনে বানারহাট চা বাগানে তিনি যান। সেখানে গিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা।

    তৃণমূলকে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, চা-শ্রমিকদের পি এফের টাকা তুলে দেওয়ার নাম করে বাগানের তৃণমূল নেতারা সেই টাকা আত্মসাৎ করেছে। পাশাপাশি এদিন তিনি তৃণমূল সরকারকে চোরের সরকার বলেন। চা-শ্রমিকদের নিয়ে সভায় তিনি মঞ্চ থেকে সাফ বলেন, এই সরকার গোটা রাজ্য জুড়ে চুরি করছে। যদি তৃণমূল এই বিধানসভা ভোটে জেতে তাহলে এলাকার সমস্ত উন্নয়নের টাকা তারা চুরি করবে। সাধারণ মানুষ তাঁদের নায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হবেন। তাছাড়া বানারহাট এলাকার বড় সমস্যা হল হাতিনালা। এই নালা দিয়ে ভুটান থেকে জল ঢুকে প্রতি বছর বানারহাটকে প্লাবিত করে। তাতে প্রচুর ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হন এলাকার মানুষ। এই সমস্যার পাকাপাকিভাবে সমাধান করতে গেলে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগীতা প্রয়োজন। কারণ, এর একদিকে ভুটান, আরেকদিকে রেল লাইন, তার ঠিক পাশেই রয়েছে তেলের পাইপ। সবগুলি দফতরই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। তাই বিজেপির বিধায়ক হলে তিনি দলগতভাবে কেন্দ্র সরকারের কাছে বিষয়টি সমাধানের আবেদন রাখতে পারবেন। তার ওপর বিজেপির প্রার্থীর স্বামী দেশের হয়ে প্রান দিয়েছেন। তিনিও নিজেকে দেশের জন্য, এলাকার মানুষের জন্য নিয়োজিত করতে চান। তাই এলাকায় চোরদের ঠেকাতে এবং সাধারণ মানুষের চুরি আটকাতে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়ী করার আহ্বান জানান। এদিন বানারহাট ছাড়াও ধূপগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় তিনি পায়ে হেঁটেও প্রচার করেন। এদিন বানারহাটের এই সভার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশিথ প্রামাণিক, মিতালি রায় সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। বানারহাটের মোগলকাটা, তোতাপাড়া চা-বাগান সহ অন্যান্য এলাকায় প্রচার করেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি ধামসা মাদল নিয়ে বাগানের বিভিন্ন এলাকায় র‍্যালি করেন তিনি।

    মুখ্যমন্ত্রীর রাজবংশী ও মতুয়াদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে সুকান্ত

    এরই পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজবংশী ও মতুয়াদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে ময়নাগুড়িতে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল এবং সভার আয়োজন করা হয়। সেই মিছিলে পা মেলান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Swimming: মুর্শিদাবাদে ৮১ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতায় প্রথম হলেন বর্ধমানের প্রত্যয়

    Swimming: মুর্শিদাবাদে ৮১ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতায় প্রথম হলেন বর্ধমানের প্রত্যয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার পর এই প্রথম এবার চেনা ছন্দে ফিরল মুর্শিদাবাদ জেলার ঐতিহ্যবাহী ৮১ কিলোমিটার সাঁতার (Swimming) প্রতিযোগিতা। ৩রা সেপ্টেম্বর সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে এদিন সকাল ৬টা নাগাদ আহিরণ থেকে শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা। ফলে, গঙ্গার দুপারে এদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করেন। গঙ্গায় নৌকা করে প্রতিযোগীদের নজরদারি করা হয়।

    প্রতিযোগিতায় কোন কোন দেশ অংশগ্রহণ করেছিল?

    দেশের দীর্ঘতম সাঁতার (Swimming) প্রতিযোগিতায় মালেশিয়ার তিনজন, স্পেনের দুজন এবং শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ডের একজন করে অংশগ্রহণ করেছেন। দেশের মধ্যে এই রাজ্যের পাশাপাশি চেন্নাই, গুজরাট,ঝাড়খন্ড ও অন্যান্য রাজ্যের প্রতিযোগীরাও অংশগ্রহণ করেছেন। জানা গিয়েছে, বিশ্বের দীর্ঘতম ৮১ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতা আহিরণ ঘাট থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় বহরমপুর গোরাবাজার ঘাটে। একইদিনে জিয়াগঞ্জ থেকে গোরাবাজার ঘাট পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতা জিয়াগঞ্জ থেকে শুরু হয়। ৮১ এবং ১৯ কিলোমিটারে পুরুষ বিভাগে ৩১ জন এবং মহিলা বিভাগে ১৬ জন সাঁতারু অংশগ্রহণ করেছেন। অংশগ্রহণকারী গঙ্গায় সাঁতার কেটে যাওয়ার সময় দুপাশে প্রচুর মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। সবাই করতালির সাহায্যে, কেউ আবার চিৎকার করে সাঁতারুদের উৎসাহ দান করেছেন।বিশ্বের দীর্ঘতম ৮১ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন বর্ধমানের ছেলে প্রত্যয় ভট্টাচার্য এবং দ্বিতীয় হয়েছেন স্পেনের দানিয়াল পন্স ডিভেন্স। আর ১৯ কিলোমিটারে প্রথম হয়েছেন নিউ টাউনের গৌরব কাবেরী। আর দ্বিতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের পলাশ চৌধুরী।

    কী বললেন মুর্শিদাবাদ সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সচিব?

    মুর্শিদাবাদ সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সচিব দেবেন্দ্রনাথ দাস বলেন, গত তিন বছর কোভিডের কারণে এই সাঁতার (Swimming) প্রতিযোগিতা করা যায়নি। এদিন সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে আবার শুরু হয়েছে দীর্ঘতম সাঁতার প্রতিযোগিতা। ৮১ এবং ১৯ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতায় এবারের বাজেট রয়েছে ২৫ লক্ষ টাকা। করোনার পর এই প্রথম সাঁতার প্রতিযোগিতা হওয়ায় সাধারণ মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: কামারহাটিতে তৃণমূল কর্মীকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত কাউন্সিলারের ছেলে

    Kamarhati: কামারহাটিতে তৃণমূল কর্মীকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত কাউন্সিলারের ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল কামারহাটিতে (Kamarhati) । তৃণমূলের এক কর্মীকে বন্দুকের বাট এবং লোহার রড দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দলেরই কাউন্সিলারের ছেলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর নাম মহম্মদ নাসিম। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kamarhati)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল কর্মী মহম্মদ নাসিম খানকে বি টি রোডের কামারহাটি (Kamarhati) মোড় থেকে  পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার আফসানা খাতুনের ছেলে শাহবাজ সিকান্দারের দলবল তুলে নিয়ে যায়। এরপরই তাঁকে বন্দুকের বাট, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দুদিন আগেই বেলঘড়িয়ায় টেক্সম্যাকো কারখানার বালির দখল নিয়ে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ ও তৃণমূল কাউন্সিলারের অনুগামীদের মধ্যে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়েছিল। মূলত বেলঘরিয়ার টেক্সম্যাকো স্ট্রিল ফাউন্ডারি এলাকা থেকে বালি তোলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয়।  কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত গুড্ডু আনসারীর অনুগামীরা টেক্সম্যাকো স্ট্রিল ফাউন্ডারি এলাকা থেকে বালি তুলতে গেলে বাধা দেয় কামারহাটি পৌরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল কাউন্সিলার নির্মল রাইয়ের অনুগামীরা। এর ফলে দুপক্ষের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এলাকায়। এলাকার মানুষ ভয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের কামারহাটি উত্তপ্ত হয়ে উঠল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এদিনের  কাউন্সিলারের ছেলে হামলা চালানো প্রসঙ্গে কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে। তবে, কামারহাটিতে মাঝে মধ্যেই এইরকম গন্ডগোল মোটেই কাম্য নয়। দলগতভাবেও আমরা বিষয়টি দেখব।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, কামারহাটিতে (Kamarhati) তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল লেগেই রয়েছে। কাটমানির টাকা কে নেবে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব। এর আগে বিধায়ক অনুগামীর সঙ্গে এক কাউন্সিলারের অনুগামীদের লড়াই হয়েছিল। এবার কাউন্সিলারের ছেলে হামলার সঙ্গে জড়িত। ফলে, বোঝাই যাচ্ছে, তৃণমূল দলটা গোষ্ঠী কোন্দল ছাড়া আর কিছু নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় কি অসন্তুষ্ট! সোমবারই যাদবপুরে আসছে ইউজিসির প্রতিনিধি দল

    Jadavpur University: কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় কি অসন্তুষ্ট! সোমবারই যাদবপুরে আসছে ইউজিসির প্রতিনিধি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই যাদবপুরে (Jadavpur University) আসছে ইউজিসির বিশেষ প্রতিনিধি দল। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি। তাই সোমাবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি আয়োগের বিশেষ প্রতিনিধি দল ক্যাম্পাসে আসছে বলে জানা যাচ্ছে। এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কথা বলবেন ক্যাম্পাসের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে। দেখবেন ইউজিসির বিধিনিয়ম কতটা কার্যকর হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।

    কেন আসছে ইউজিসি(Jadavpur University)?

    সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রমৃত্যুর (Jadavpur University) ঘটনায় ইউজিসি যে রিপোর্ট চেয়েছিল, সেই রিপোর্টে সন্তোষ প্রকাশ করেনি ইউজিসি। ঘটনার রিপোর্ট সন্তোষজনক নয় বলেই ক্যাম্পাসে আসবে ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগানো সহ বিভিন্ন বিধিনিষেধ বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে। এমনকি হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ গাইড লাইন কতটা মান্যতা দেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়েও জানতে তথ্য গ্রহণ করবে ইউজিসি। কিন্তু ইউজিসি যে সন্তুষ্ট নয়, সেই কথাও জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়কে একাধিক চিঠি দিয়ে। এই জন্যই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি আয়োগ ক্যাম্পাসে আসবে বলে জানা গেছে।

    ইউজিসির ক্ষোভ প্রকাশ

    রাজ্যের পাঁচ তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। প্রথম বর্ষের ছাত্মসত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়ে উঠেছে যাদবপুর। র‍্যাগিং সহ একাধিক ইস্যুতে ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করছে। অপর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কমিটি বিশেষ তদন্ত করছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে বার বার চিঠি পাঠিয়ে ঘটনার বিষদ বিবরণ জানতে চেয়েছে ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শোনা গেছে ইউজিসির একাধিক চিঠিতে। আগামী সোমবার ইউজিসি চার সদস্যের প্রতিনিধি দল আসবে বলে জানা গেছে।

    রেজিস্ট্রারকে গালিগালাজ করে চিঠি

    অপর দিকে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর ইস্তফা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। শোনা যায় তাঁকে উদ্দেশ্য করে বিশেষ চিঠি দেওয়া হয়। পরে অবশ্য এই ইস্তফার গল্প নিজেই নস্যাৎ করেন রেজিস্ট্রার। বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানিয়েছেন, একটি হুমকির চিঠি এসেছে। তাতে অনেক গালিগালাজ রয়েছে। কে পাঠিয়েছে সেই বিষয়ে কোনও কিছু জানা যায়নি। রেজিস্ট্রার আতঙ্কিত হয়ে পড়লে ইস্তফা দিতে চান। কিন্তু এই ইস্তফা পত্র গ্রহণ করা হয়নি।  

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Vulture: আলিপুরদুয়ার গবেষণাগারে ডিম ফুটিয়ে হবে শকুনের ছানা, কেন জানেন?

    Vulture: আলিপুরদুয়ার গবেষণাগারে ডিম ফুটিয়ে হবে শকুনের ছানা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া শকুন (Vulture) প্রজনন কেন্দ্রে কৃত্রিম উপায়ে শকুনের ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা তৈরির উদ্যোগ নিল বন দফতর। যার পোশাকি নাম আর্টিফিশিয়াল ইনকিউবেশন। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুতেই রাজাভাতখাওয়ায় এই আর্টিফিশিয়াল ইনকিউবেশন চালু করবে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।

    কৃত্রিম উপায়ে শকুনের (Vulture) ডিম ফোটানোর উদ্যোগ কেন নিল বন দফতর?

    পরিবেশে ভারসাম্য রক্ষায় শকুনের (Vulture) গুরুত্ব অপরিসীম। পচাগলা দেহ দেহাংশ খেয়ে পরিবেশ দূষণমুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। কিন্তু,  গত কয়েক দশকে শকুনের সংখ্যা এতটাই কমে গিয়েছে প্রাণীটির অস্তিত্বই এখন প্রশ্ন চিহ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, গোটা পৃথিবী থেকেই হারিয়ে যাচ্ছে শকুন। শকুনের বিলুপ্তির কারণে গোটা বিশ্বে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। আর সেই কারণেই পৃথিবীতে  শকুন বাঁচিয়ে রাখার নানান উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ২০০৬ সালে  বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে শকুন প্রজনন কেন্দ্রে চালু হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিলপ্ত প্রায় শকুন উদ্ধার করে এই প্রজনন কেন্দ্রে রেখে তাদের বংশ বৃদ্ধি করা শুরু হয়। খুশির খবর বর্তমানে রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্রে চার প্রজাতির মোট ১৫৪ টি শকুন রয়েছে। এই শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে এখন পর্যন্ত ৩০ টি শকুন খোলা আকাশে ছাড়া হয়েছে। স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগিয়ে সে সব শকুনকে ছেড়েছে বন দফতর।

    কী বললেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা?

    বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন বলেন, আমরা শকুনের (Vulture) সংখ্যা বৃদ্ধি দ্বিগুন হারে করার জন্য এই আর্টিফিশিয়াল ইনকিউবেশন চালু করতে যাচ্ছি। খুব তাড়াতাড়ি এই পদ্ধতি রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন  কেন্দ্রে চালু করা হবে। তিনি তথ্য দিয়ে বলেন, একটি শকুন বছরে একটি মাত্র ডিম পারে। কিন্তু, ডিম পারার পরে সেই ডিম সেখান থেকে কোনওভাবে তুলে নিতে পারলে ওই  শকুনের ওই বছরেই আরও একটি ডিম পারার সম্ভাবনা থাকে। শকুনটি একটি ডিম নষ্ট হয়ে গিয়েছে ধরে নিয়ে আরেকটি ডিম পারতে পারে। ফলে, এক্ষেত্রে বছরে একটি শকুন দুটো ডিম পারতে পারে। একটি ডিম কৃত্রিম উপায়ে ফোটানোর ব্যবস্থা করতে পারলে একটি শকুন থেকে বছরে দুটো ডিম পেতে পারি। আর সেই দুটি ডিম থেকে দুটো শকুনের বাচ্চার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর এই সম্ভাবনাকেই কাজে লাগাতে কৃত্রিম উপায়ে শকুনের ডিম ফোটানোর ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে শ্বশুরকে গুলি করে পালাল জামাই, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Birbhum: বীরভূমে শ্বশুরকে গুলি করে পালাল জামাই, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্বশুরকে গুলি করে খুন করে পালিয়ে গেল জামাই। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুর থানার সন্ধিগড়া বাজারের ঘটনা। জখম ব্যক্তির নাম মঙ্গল বায়েন। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার পর থেকে হামলাকারী জামাই অনুপ বায়েন পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তবে, সাধারণ মানুষের কাছে এভাবে আগ্নেয়াস্ত্র কী আসছে? পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    গুলিতে জখম মঙ্গলবাবুর বাড়ি বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুর থানার সন্ধিগড়া বাজার এলাকায়। তাঁর মেয়ের সঙ্গে ষাটপলসার গ্রামের বাসিন্দা অনুপ বায়েনের সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের পর জামাই কিছুদিন ঘর জামাই ছিলেন। শ্বশুরে ট্রাক্টর চালাতেন। জমি জায়গা দেখাশুনা করতেন। কিন্তু, সম্পত্তি দেওয়া নিয়ে জামাইয়ের সঙ্গে শ্বশুরের বচসা হয়। অনুপ শ্বশুরবাড়়ি ছেড়ে চলে যায়। পরে, তাকে ডেকে পাঠানো হলেও সম্পত্তি দেওয়া নিয়ে কোনও আলোচনা না হওয়ায় অনুপ রেগে যায়। পরে, সে চলে যায়। শনিবার রাতে ট্রাক্টর চালিয়ে মঙ্গলবাবু বাড়ি ফেরার পথেই মল্লারপুর থানার সন্ধিগড়া বাজারের কাছে উওর মাঝারি পাড়ার মাঠের মাঝখানে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার বিবরণ জানতে হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্র, মল্লারপুর থানার অফিসার ইন চার্জ সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মঙ্গলবাবুর এক আত্মীয় স্বপন দাস বলেন, পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মেয়ের সঙ্গে অশান্তি চলছিল বাবার। জামাইয়ের সঙ্গে অশান্তি লাগ। তারজন্য এভাবে গুলি করে খুন করার চেষ্টা করবে তা ভাবতে পারছি না। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: কবে চালু হচ্ছে মুর্শিদাবাদের নসিপুর-আজিমগঞ্জ ব্রিজ দিয়ে ট্রেন চলাচল?

    Murshidabad: কবে চালু হচ্ছে মুর্শিদাবাদের নসিপুর-আজিমগঞ্জ ব্রিজ দিয়ে ট্রেন চলাচল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার এবার হয়তো অবসান হতে চলেছে। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নসিপুর-আজিমগঞ্জ রেল ব্রিজের উপর দিয়ে খুব শীঘ্রই ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার পথে। এর আগে নসিপুরে রেলের কাজ পরিদর্শনে এসে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অমর প্রকাশ দ্বিবেদী বলেছিলেন, ডিসেম্বর মাসেই ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে যাবে। সেই লক্ষ্যপূরণে এখন শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে।

    নসিপুরে শুরু হল নতুন প্যানেল বসানোর কাজ (Murshidabad)

    ভাগীরথীর উপর মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নসিপুর-আজিমগঞ্জ যে রেল সেতু আছে, সেখানে ২৬০ মিটার লম্বা ৪২ টি প্যানেল  বসানো হবে। শনিবার সেই প্যানেল মালগাড়িতে করে এই নসিপুর-আজিমগঞ্জ রেল ব্রিজে নিয়ে আসা হয়। পুরানো যে প্যানেলগুলি বসানো আছে, সেগুলি খুলে ফেলা হবে রেল বলে জানা গিয়েছে। নতুন প্যানেল বসানোর কাজ শেষ হয়ে গেলেই ভাগীরথীর উপর দিয়ে বহু আকাঙ্ক্ষিত নসিপুর-আজিমগঞ্জ রেল ব্রিজ দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে যাবে।

    নসিপুর ব্রিজ দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে গেলে কী কী সুবিধা মিলবে?

    প্রায় কুড়ি বছরের বেশি সময় আগে ভাগীরথীর উপর রেল ব্রিজ এর জন্য লালবাগ শহরের মতিঝিলের বাসিন্দা এ আর খান নামে প্রাক্তন এক সেনা কর্মী উদ্যোগী হয়েছিলেন। এলাকার মানুষের দাবি মেনে রেলও উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। মাত্র ৫০০ মিটার জমি জটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে আটকে ছিল রেলের এই প্রকল্পের কাজ। অবশেষে জমি জট কাটে। রেলের পক্ষ থেকে ফের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। স্থানীয় সাংসদ অধীর চৌধুরী এই বিষয়টি তদারকি করেছিলেন। পরে, বিজেপি বিধায়করা এই বিষয়ে রেলের কাছে বারবার দরবার করেছিলেন। রেলের নিয়মিত নজরদারির কারণে নসিপুর রেল প্রকল্পের কাজ শেষ হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, এই ব্রিজ চালু হলেই খুব সহজেই উত্তর ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটবে। এখন লালগোলা লাইন দিয়ে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে শিয়ালদা, কলকাতা স্টেশনে হাতে গোনা এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। এই ব্রিজ চালু হয়ে গেলে একাধিক এক্সপ্রেস এই লাইন দিয়ে চলাচল শুরু হবে। বহরমপুর কোর্ট স্টেশন থেকেই জেলার মানুষ শিলিগুড়ি, গুয়াহাটি চলে যেতে পারবেন। কলকাতা যেতেও অনেক বেশি এক্সপ্রেস ট্রেন পাবেন জেলাবাসী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ganges: হাওড়ার গঙ্গায় ঝাঁকে ঝাঁকে ভেসে উঠছে মরা মাছ, কেন জানেন?

    Ganges: হাওড়ার গঙ্গায় ঝাঁকে ঝাঁকে ভেসে উঠছে মরা মাছ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার বাউড়িয়া থেকে সালকিয়া। গঙ্গার (Ganges) ঘাটে ঘাটে গত দু একদিন ধরেই ঝাঁকে ঝাঁকে ভেসে উঠছে মরা মাছ। প্রথমে দেখা যাচ্ছে পাড়ের কাছে মাছগুলি খাবি খেতে খেতে মারা যাচ্ছে। আর সেই মাছ ধরার ধুম পড়ে গিয়েছে হাওড়ার গঙ্গার ঘাটে। মাছের এই মড়কের প্রকৃত কারণ এখনও জানা না গেলেও প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে গঙ্গায় ব্যাপক দূষণের ফলেই এই মাছের মৃত্যু হচ্ছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা কী বললেন? (Ganges)

    শুক্রবার দুপুর থেকেই হাওড়ায় গঙ্গার (Ganges) বিভিন্ন ঘাটে মাছ ভেসে উঠতে দেখেন স্থানীয়রা। বিকালের দিকে যা আরও বেড়ে যায়। বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে উঠতে শুরু করে গঙ্গার জলে। ক্রমশ ভিড় জমে যায় হাওড়ার তেলকল ঘাট, শিবপুর ঘাট, রামকৃষ্ণপুর ঘাট-সহ বিভিন্ন জায়গায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, প্রথমে বেশ কয়েকটি মরা মাছ ভেসে উঠেছিল। পরে, ধীরে ধীরে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শুক্রবার থেকে এই মাছের মড়ক শুরু হলেও শনি ও রবিবারও কোথাও কোথাও মাছ মরে ভাসতে দেখা যায়। গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন ঘাটেও একই দৃশ্য দেখা যায়। ভেসে ওঠা মাছ ধরতে প্রচুর উৎসাহী মানুষ ভিড় জমান গঙ্গার ঘাটে ঘাটে।

    পরিবেশবিদরা কী বলছেন?

    পরিবেশবিদ তাপস দাস বলেন, গঙ্গার (Ganges) দুই পাড়ে কলকাতা ও হাওড়ায় রয়েছে অসংখ্য কারখানা। বিশেষ করে হাওড়ায় গঙ্গার ধার বরাবর বহু পুরানো গোডাউন, নানা রাসায়নিক কারখানা ও লেদ কারখানা রয়েছে। সেইসব কারখানা থেকে বিষাক্ত তেল মাঝেমধ্যেই গঙ্গার জলে মিশে যায়। হাওড়ার বালিতে কয়েক বছর আগে কারখানার তেল গঙ্গার জলে পড়ে তেলের আস্তরণ তৈরি হয়েছিল। পরে,তা আস্তে আস্তে ভেসে যায়। তাতেও বেশ কিছু মাছ ও গঙ্গার জলজ প্রাণীর মৃত্যু হয়। এবারেও এরকম কোনও কারখানার বর্জ্য বা তেলের কারণে মাছের মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন সাধারণ মানুষ থেকে পরিবেশবিদরা। তবে, বর্ষাকাল হওয়ায় গঙ্গার জলস্তর অনেকটাই বেড়ে গেছে। ফলে সেই তেল বা বর্জ্য দ্রুত ভেসে যাওয়ায় মাছের মোড়ক অনেকটাই ঠেকানো গেছে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক যোগ দিলেন বিজেপিতে, ধূপগুড়িতে বড়সড় ধাক্কা খেল শাসকদল

    Dhupguri: তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক যোগ দিলেন বিজেপিতে, ধূপগুড়িতে বড়সড় ধাক্কা খেল শাসকদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধূপগুড়়ি উপ নির্বাচনেই ঠিক আগেই বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার সকালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করলেন তৃণমূলের ধূপগুড়ির (Dhupguri) প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে এই আসনে জয়লাভ করেছিল বিজেপি। ফলে, এমনিতেই এই আসনে তৃণমূল ব্যাকফুটে রয়েছে। শাসকদলের প্রাক্তন বিধায়ক দল বদল করায় তৃণমূল আরও ব্যাকফুটে চলে গেল বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছে।

    বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন প্রাক্তন বিধায়ক? (Dhupguri)

    ২০১৬ – ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি ধূপগুড়ির (Dhupguri) বিধায়ক ছিলেন। ২০২১ সালে ফের তৃণমূল তাঁকে বিধানসভার টিকিট দিয়েছিল। সেই ভোটে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। তারপর থেকে তাঁকে দলে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন মিতালি রায়। পাশাপাশি তিনি বলেন, রাজবংশী সমাজকে বাড়তে না দেওয়া এবং তাদের বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখার উদ্দেশ্যেই তৃণমূল আমাকে কোণঠাসা করে রেখেছিল। ২০২১ এর ভোটের পর থেকেই আমি একপ্রকার ঘরেই বসেছিলেন। এবারের নির্বাচনেও আমি তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে নামেননি। মাঝে একদিন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের অনুরোধে আমি প্রচারে বেড়িয়েছিলাম। শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতেও আমি মঞ্চে ছিলাম। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর সমর্থনে বক্তব্যও রেখেছিলাম। কিন্তু, মঞ্চেই আমি বুঝতে পারি, আমার সঙ্গে সঠিক ব্যবহার করা হচ্ছে না। তখনই আমি দলত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিই। এলাকার মানুষের স্বার্থে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, কেন আমাকে টিকিট দেবেনা তৃণমূল?  কামতপুর আন্দোলনে জড়িত ছিলেন, সেখান থেকে তৃণমূল আমাকে তাদের দলে নিয়ে আসে, জেলার মহিলা সভানেত্রীর পদ দেয়। আমিও মানুষের জন্য কাজ করেছি। তাহলে কেন আমার সঙ্গে দ্বিচারিতা করা হল? বানারহাটের হাতিনালা খালের পাকাপাকি সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। এই সব কিছু চিন্তা করে আমি বিজেপিতে যোগদান করেছি।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ভোটের আগে এটা আমাদের মাস্টার স্ট্রোক। এতেই তৃণমূল ধরাশায়ী হবে। ধূপগুড়িতে (Dhupguri) বিজেপি অনেক ভাল ফল করবে। গত বিধানসভার থেকেও অনেক বেশি মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    মিতালি রায়ের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ সিং বলেন, এতে আমাদের কোনও ক্ষতি হবে না। উল্টে লাভ হবে। কে গেলো আর কে এলো সেটা কোনও ব্যাপারই না। দলের চিহ্ন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই ধূপগুড়িতে (Dhupguri) ভোট দেবে মানুষ। তার বিজেপিতে যোগদান করায় তৃণমূল আরও বেশী ভোটে জিতবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share