Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টের রিপোর্ট প্রকাশ, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কোন রায় বছরের সেরা?

    Calcutta High Court: হাইকোর্টের রিপোর্ট প্রকাশ, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কোন রায় বছরের সেরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশিত হল। বই আকারে প্রকাশিত হওয়া এই রিপোর্টগুলিতে রয়েছে বিচারপতিদের দেওয়া অন্যতম সেরা রায়গুলি। তাতে স্থান পেয়েছে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া প্রাথমিকে নিয়োগ মামলার রায়। তালিকায় নাবালিকার গর্ভপাতের রায় থেকে শুরু করে বন্যপ্রাণ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ, এই সমস্ত কিছু রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের এই বার্ষিক রিপোর্টে। বই আকারে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ায় সাধারণ মানুষের কাছে হাইকোর্টের কাজকর্ম এবং আদালতের (Calcutta High Court) দেওয়ার রায় আরও বোধগম্য হয়ে উঠবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া রায়

    প্রসঙ্গত, গত বছর থেকে এই নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় গতি আসে। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূলের বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। আবার নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় উঠে আসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হাইকোর্টের প্রকাশিত ওই বইতে বলা হচ্ছে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেরা রায় (Calcutta High Court) দিয়েছেন। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির সত্য উদঘাটন এবং এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি।

    প্রধান বিচারপতির সেরা রায়

    কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিচারপতিদের এজলাসে সারা বছর ধরে অসংখ্য মামলা চলে। হাইকোর্টের প্রকাশিত এই রিপোর্টে সেই সমস্ত মামলা থেকে একটি রায়কে বাছাই করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যেক বিচারপতিদের জন্য একটি সেরা রায় বাছাই করে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এই রায়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court) একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ের উল্লেখ রয়েছে। সেটি আয়কর বিভাগ সম্পর্কিত একটি মামলা। অন্যদিকে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ জুভেনাইল আইন সংক্রান্ত একটি রায় দিয়েছেন তা সেরার তালিকায় স্থান পেয়েছে। এভাবেই প্রকাশিত হয়েছে বাকি বিচারপতিদের রায়ও।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বহু চর্চিত নাম

    জুলাই ২০২২ সাল থেকে জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত এক বছরে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে বইতে। বিভিন্ন আদালতে (Calcutta High Court) এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কত মামলা এসেছে সে মামলা গুলির বর্তমানে কী অবস্থা রয়েছে, তা নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান ও গ্রাফের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতিদের মধ্যে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় নিয়ে সবথেকে চর্চা হয়। তাঁর রায়কে ঘিরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: হরির লুট! নির্বিচারে ভাতা বিলিয়ে দুঃস্থ মহিলাদের কাছে এখন ফেরত চাইছে প্রশাসন

    Malda: হরির লুট! নির্বিচারে ভাতা বিলিয়ে দুঃস্থ মহিলাদের কাছে এখন ফেরত চাইছে প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৭ লক্ষ টাকা গায়েব মালদা জেলার কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লক প্রশাসনের তহবিল থেকে। আর সেই টাকা তুলতে ৩২৯ জন দুঃস্থ মহিলাকে নোটিশ দিলেন কালিয়াচকের (Malda) বিডিও। এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদা প্রশাসনিক মহলে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর।

    মূল অভিযোগ কী (Malda)?

    বিরোধীরা প্রশ্ন করছেন, ভাতা দিয়ে আবার ভাতা ফেরত! এ কেমন ঘটনা! আসলে এখানেও নতুন কৌশল করে দুঃস্থ মহিলাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করার চেষ্টা করছে কালিয়াচকের (Malda) ব্লক প্রশাসন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। কালিয়াচক এক নম্বর ব্লক প্রশাসন ও সমাজ কল্যাণ বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের সময় গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি থেকে ঢালাও নাম পাঠানো হয়েছিল। সে সময় নথিপত্র, বয়স কোনও তথ্য যাচাই করা হয়নি। একজন উপভোক্তাকে বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, মানবিক ভাতা দেওয়া হয়েছে। যেখানে সরকারি নিয়ম রয়েছে, যে কোনও একজন উপভোক্তা একটি ভাতাই পাবেন। অথচ যে মহিলারা বিধবা ভাতা পাচ্ছেন, তাঁরাই আবার বার্ধক্য ভাতাও পেয়েছেন।

    উপভোক্তাদের বক্তব্য

    স্থানীয় (Malda) উপভোক্তা বয়স্ক মহিলারা জানিয়েছেন, এত টাকা কোথায় পাবেন! তাঁরা ফেরত দিবেন কীভাবে। তাঁদের যখন টাকা দিয়েছিল, তখন তো কিছু বলেনি। বরং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলেছিল, বাড়তি টাকা সরকার যখন দিচ্ছে, নিতে ক্ষতি কী। কিন্তু আজ এতগুলো টাকা ফেরত তাঁরা কীভাবে দেবেন! এই নিয়ে মাথায় হাত। পাশাপাশি তাঁরা জানাচ্ছেন, সরকার রীতিমতো তাঁদের ঠকিয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, যাঁরা টাকা ফেরত দেবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    বিজেপির বক্তব্য

    দক্ষিণ মালদা (Malda) বিজেপির সম্পাদক নন্দনকুমার ঘোষ বলেন, এই গাফিলতি বিডিও এবং তাঁর কর্মীদের। নথিপত্র যাচাই না করে কী করে টাকা দেওয়া হয়েছিল? আবার সেই টাকা আজ দুঃস্থ মহিলাদের কাছ থেকে চাওয়া হচ্ছে। এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। তিনি আরও বলেন, যে সব মহিলাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হয়তো পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক বিরোধী ছিলেন। ভারতীয় জনতা পার্টি এই মহিলাদের পাশে থেকে আন্দোলন করবে, দরকার হলে রাস্তায় নামবে।

    জেলা সভাধিপতির বক্তব্য

    এই বিষয়ে মালদা (Malda) জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং তৃণমূল নেত্রী লিপিকা বর্মন ঘোষ বলেন, এই খবরটা আমি পেয়েছি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একজন মহিলা যিনি বিধবা, তিনি শুধু বিধবা ভাতাই পাবেন, অন্য ভাতা পাবেন না। সে ক্ষেত্রে এখানে একজন মহিলা দু-তিনটি করে ভাতা পেয়েছেন, সেটা ঠিক নয়। সে ক্ষেত্রে কিভাবে বিষয়টিকে দেখা যায়, তা ইতিমধ্যেই ব্লক প্রশাসন খতিয়ে দেখছে । বিরোধীদের কাজই হচ্ছে বিরোধিতা করা। নিয়ম যা রয়েছে সে বিষয়ে ব্লক প্রশাসন দেখবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ডাকাতি হওয়া সেনকো গোল্ডের শো-রুমে ফের উদ্ধার গুলির খোল, নতুন করে আতঙ্ক

    Nadia: ডাকাতি হওয়া সেনকো গোল্ডের শো-রুমে ফের উদ্ধার গুলির খোল, নতুন করে আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাকাতি হওয়া সেনকো গোল্ডের শো-রুমে নতুন করে গুলির খোল উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। আজ দোকান পরিষ্কার করতে গিয়ে গুলির খোলটি দেখতে পান কর্মীরা। খবর পেয়ে রানাঘাট (Nadia) থানার পুলিশ গিয়ে সেটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এই ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক শুরু হয়েছে এলাকায়।

    কী ঘটেছিল (Nadia)?

    উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট থানা এলাকায় সেনকো গোল্ডের শো-রুমে হঠাৎ একদল দুষ্কৃতী হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে হানা দেয়। কুড়ি মিনিটের মধ্যেই ৯০ শতাংশ সোনার গয়না লুট করে নেয় তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রানাঘাট থানার পুলিশ। এর পরই দুষ্কৃতীদের সঙ্গে শুরু হয় পুলিশের গুলির লড়াই। ঘটনাস্থলে গুলি লেগে দুই দুষ্কৃতী জখম হয়। এখনও পর্যন্ত মোট গ্রেফতারের সংখ্যা ৫। এত বড় ভয়ঙ্কর ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন শো-রুমের কর্মীরা। এদিন নতুন করে গুলির খোল উদ্ধার হওয়ায় ফের আতঙ্ক শুরু হয়েছে।

    শো-রুম কর্মীর বক্তব্য

    এই বিষয়ে ওই দোকানের (Nadia) এক মহিলা কর্মী সুমনা দেবনাথ বলেন, এই ঘটনার পর এমনিতেই আমরা আতঙ্কে রয়েছি। মানসিক দিক থেকে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আবারও নতুন করে গুলির খোল উদ্ধার হওয়ায় আমাদের আতঙ্ক আরও বেড়েছে।

    পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গুলি বিনিময়

    রাজ্যের দুই প্রান্তে একই সময়ে সেনকো গোল্ডের শো-রুমে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল গত ২৯ অগাস্ট। একটি ঘটেছিল পুরুলিয়ায় এবং অপরটি ঘটেছে নদিয়া (Nadia) জেলার রানাঘাটে। একাবারে হিন্দি সিনেমার কায়দায় প্রকাশ্যে রানাঘাটে পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছিল। এই দৃশ্য দেখে এলাকার মানুষ রীতিমতো হতবাক। বন্দুক দেখিয়ে কর্মীদের মারধর এবং কোটি কোটি টাকা সোনার গয়না লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ডাকাতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এবং দুষ্কৃতীদের সঙ্গে পুলিশের গুলির লড়াই হয়। গুলিতে জখম হয় ২ জন দুষ্কৃতী। ঘটনায় গ্রেফতার হয় চারজন। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। অপর দিকে পুরুলিয়াতেও সেনকো গোল্ডের শো-রুমে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: দুর্নীতির পাঁকে ডুবে আরামবাগ পুরসভা, ৯ দফা দাবিতে ডেপুটেশন বিজেপির

    Arambagh: দুর্নীতির পাঁকে ডুবে আরামবাগ পুরসভা, ৯ দফা দাবিতে ডেপুটেশন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের অন্যান্য দুর্নীতিগ্রস্ত পুরসভাগুলির মতোই আরামবাগ (Arambagh) পুরসভাতেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। শুক্রবার দুপুরে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ ও খানাকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের নেতৃত্বে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা আরামবাগ পুরসভায় ৯ দফা দাবি নিয়ে ডেপুটেশন দেন। বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা কার্যালয় থেকে কর্মী-সমর্থকদের মিছিল পুরসভায় পৌঁছায়। বিজেপির অভিযোগ, পুরসভায় ঢোকার আগেই পুলিশ ব্যারিকেড করে তাদের ডেপুটেশনের মিছিল আটকে দেয়। তাই সেখানেই তারা রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতি তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।

    কী কী দাবিতে ডেপুটেশন (Arambagh)?

    তাদের মূল দাবি, আরামবাগ (Arambagh) পুরসভা এলাকায় যে সমস্ত প্রকল্পের কাজ হয়েছে, তার হিসাব-নিকাশ সঠিকভাবে জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। এছাড়াও আরামবাগ পুরসভায় স্থায়ী ও অস্থায়ী যে সমস্ত কর্মী নিয়োগ হয়েছে, তাতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। গ্রিন সিটি প্রকল্প, রাস্তাঘাট, হাইড্রেন, আবাস যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে পুরসভায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। মোট ৯ দফা দাবিতে এদিনের ডেপুটেশন।

    কী বললেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ?

    এদিন এই ডেপুটেশন কর্মসূচিতে (Arambagh) যোগ দিতে এসে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ তীব্র কটাক্ষ করেন আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভান্ডারিকে। এছাড়াও রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, রাজ্যের অন্যান্য পুরসভাগুলির মতো আরামবাগ পুরসভাতেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। রাজ্যের সবকটা পুরসভা হচ্ছে চোরেদের আখড়া, যে যেমন ভাবে পারছে চুরি করছে। কোথাও চাকরি চুরি হচ্ছে, কোথাও আবার মানুষের উন্নয়নের টাকা চুরি হচ্ছে। কোথাও সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টের বিভিন্ন ফান্ড, যেগুলো এই আরামবাগ পুরসভা পায়, সেগুলো চুরি হচ্ছে। একটা ঘুঘুর বাসা তৈরি হয়েছে এই আরামবাগ পুরসভা সহ সমস্ত পুরসভায়। তাই সব পুরসভাতেই এক এক করে ডেপুটেশন দিচ্ছি, আজ আরামবাগে।

    কী জবাব দিলেন চেয়ারম্যান (Arambagh)?

    যদিও এ বিষয়ে আরামবাগ (Arambagh) পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভান্ডারি বলেন, যাদের যা কাজ তারা করছে। মানুষের কাছে সমর্থন হারিয়েছে। তাই মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে ভেসে থাকার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: কোচবিহারে এসে রাজবংশীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, দাবি উঠল ধিক্কার মিছিলে

    Cooch Behar: কোচবিহারে এসে রাজবংশীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, দাবি উঠল ধিক্কার মিছিলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজবংশীদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন। রাজবংশী জনজাতিকে তাঁর পায়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তারই প্রতিবাদে কোচবিহারে (Cooch Behar) ভারতীয় জনতা পার্টির জেলা সংযুক্ত মোর্চার পক্ষ থেকে ধিক্কার মিছিল বের করা হয়। মিছিল ঘিরে জেলা সরগরম।

    মিছিলের মূল দাবি কী (Cooch Behar)?

    এই মিছিল কোচবিহারের (Cooch Behar) রাজপথ পরিক্রমা করে। মুখ্যমন্ত্রীর করা কুরুচিকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার জানানো হয় এবং সেই সঙ্গে মিছিলে দাবি ওঠে, মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে কোচবিহারে এসে সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। রাজবংশী সমাজের উপর অত্যাচার মানবো না বলে মিছিলে বিশেষ স্লোগান ওঠে। সমাজের কোনও বর্গের মানুষকে কোনও মানুষেরই অপমান করার অধিকার নেই। এমনই মন্তব্য করেন মিছিলকারীরা।

    বিজেপির বক্তব্য

    কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা এসসি মোর্চার সভাপতি হরিহর দাস বলেন, এই মিছিল কোনও সাধারণ মিছিল নয়। এই মিছিল একটি জাতির মিছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ইচ্ছা করে রাজবংশী সমাজের মানুষকে আঘাত করছেন। শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, তাঁর দলের দুষ্কৃতীরা আমাদের হাঁটু ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গের মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করায় উত্তরবঙ্গকে উন্নয়নের বাইরে রেখে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আজ আমরা রাস্তায় নেমে সমগ্র রাজবংশী সমাজের পক্ষে লড়াই করছি। এই লড়াই এখন সাধারণ মানুষের লড়াই। কোচবিহারে এসে আন্তরিক ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে।  

    কোচবিহার জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদিকা মিনতি দাস ঈশ্বর বলেন, রাজনৈতিক ভাবে রাজবংশী সমাজের মানুষ আক্রান্ত হল। এই মুখ্যমন্ত্রীর আমলে রাজবংশী সমাজের মানুষ সবথেকে বেশি অবহেলিত এবং অত্যাচারিত। মুখ্যমন্ত্রী কার্যত কৌশল করে রাজবংশী সমাজের মানুষকে অপমান এবং বঞ্চনা করছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে কোচবিহারে এসে রাজবংশী সমাজের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। বিজেপির এই নেত্রী আরও বলেন, কোচবিহার থেকে কলকাতা সর্বত্র রাজবংশী সমাজের মানুষ সোচ্চার হবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে রায়গঞ্জে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক! প্রশাসনের ঘুম ভাঙবে কবে?

    Uttar Dinajpur: ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে রায়গঞ্জে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক! প্রশাসনের ঘুম ভাঙবে কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে ক্রমশই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে প্রাণ গিয়েছে অনেকের। ঘটেছে নানা অঙ্গহানিও। জেলায় জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। এবার উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের একাংশে ডেঙ্গির অস্বাভাবিক বাড়বাড়ন্তের ছবি উঠে এল। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ ব্লকের ১০ নং মারাইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সুভাসগঞ্জের কোতগ্রাম এলাকায়। ডেঙ্গির প্রকোপে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক। প্রশাসনের বিরুদ্ধে তৈরি হচ্ছে ক্ষোভ।

    ডেঙ্গির প্রকোপ (Uttar Dinajpur) কেমন?

    স্বাস্থ্য বিভাগের রেকর্ড অনুযায়ী এই এলাকায় (Uttar Dinajpur) গত ৭ দিনে ৪০ জনেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। যাকে ঘিরে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এলাকায় অনেকের মধ্যেই জ্বরের প্রকোপ রয়েছে। জ্বরের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পেলেই সাধারণ মানুষ ছুটছেন রক্ত পরীক্ষার জন্য।

    স্থানীয় মানুষের অভিযোগ

    এলাকার (Uttar Dinajpur) বাসিন্দা সঞ্চিতা রায় জানান, তাঁর শ্বশুরমশাই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রথমে তাঁর ধুম জ্বর আসে। রক্ত পরীক্ষার পর রিপোর্ট আসে পজিটিভ। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এরপর শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা তৈরি হয়। বর্তমানে অবশ্য সুস্থ রয়েছেন তিনি। এরপর পরিবারের বাকি সকলের পরীক্ষা করা হয়। যদিও রিপোর্ট অনুযায়ী বাকিরা ডেঙ্গিমুক্ত রয়েছেন।

    স্থানীয় অপর এক গৃহবধূ অনিতা দাস নিজে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি জানান, ডাক্তারের কাছে জ্বর নিয়ে এসেছিলেন। এরপর রক্ত পরীক্ষা করতেই রিপোর্ট আসে পজিটিভ। শুরু হয় চিকিৎসা। আপাতত সচেতনতাও অবলম্বন করছেন তিনি।

    এলাকায় খোলা হয়েছে স্বাস্থ্য শিবির

    এদিকে এলাকায় (Uttar Dinajpur) ডেঙ্গি মাথাচাড়া দিতেই তড়িঘড়ি স্থানীয় একটি স্কুলে স্বাস্থ্য শিবির খোলা হয়েছে। যেখানে রক্ত পরীক্ষারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই অঞ্চলের স্বাস্থ্য পরিদর্শক মনিকা বিশ্বাস জানান, এখানে রক্ত পরীক্ষার পর নমুনা যাচ্ছে মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে রিপোর্ট আসছে। এখনও পর্যন্ত ৪০ পেরিয়ে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। মনিকা দেবী আরও বলেন, এই এলাকাটি অত্যন্ত ঘিঞ্জি। জল জমে থাকে সব সময়। এছাড়াও জঙ্গলও রয়েছে এলাকায়। যা ডেঙ্গির অনুকূল পরিবেশ।

    স্থানীয় উপপ্রধানের প্রতিনিধির বক্তব্য

    অপরদিকে, বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় (Uttar Dinajpur) উপপ্রধানের প্রতিনিধি রানা রক্ষিত। তিনি জানান, ৬২ নং বুথে ক্রমশই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন স্তরে জানানো হয়েছে। ক্রমাগত মনিটরিং চলছে। এলাকায় সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকেও সচেতন করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে এখন ডেঙ্গি নিয়ে আতঙ্কিত এই অঞ্চল সংলগ্ন এলাকার মানুষ। কত দ্রুত এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় সেদিকেই তাকিয়ে সকলেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri By Election: চড়া রোদে হেঁটেই বাড়ি বাড়ি প্রচারে সুকান্ত, ‘চোরেদের’ না আনার আহ্বান

    Dhupguri By Election: চড়া রোদে হেঁটেই বাড়ি বাড়ি প্রচারে সুকান্ত, ‘চোরেদের’ না আনার আহ্বান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ লগ্নে বাড়ি বাড়ি প্রচারে জোর দিল বিজেপি। গত কয়েক দিন ধরে ধূপগুড়ি বিধানসভার (Dhupguri By Election) বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুক্রবার ঠাকুরপাট এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচার চালান তিনি। প্রচারের মূলে রয়েছে রাজ্য সরকারের অনৈতিক কার্যকলাপ। যার মধ্যে অন্যতম হল চাকরি চুরি।

    রাজ্যে সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ সরকার গড়ার আহ্বান (Dhupguri By Election)

    যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি না দিয়ে অযোগ্যদের যেভাবে চাকরি দিয়েছে এই সরকার, সেটাই তিনি তাঁর প্রচারে বারবার তুলে ধরেন। প্রচারে তাঁর আরও অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি দিয়েও ধূপগুড়িকে এখনও মহকুমায় উন্নীত করেনি সরকার। এছাড়া আয়ুস্মান ভারত প্রকল্প চালু করতে দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। এই প্রকল্প চালু হলে প্রচুর মানুষ উপকৃত হবেন। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্প চালু হতে দিচ্ছেন না। পাশাপাশি সুকান্তর তোপ, উজ্জ্বলা গ্যাসের দাম কমিয়ে দেওয়া নিয়েও রাজনীতি করছে তৃণমূল। তাই তৃণমূলকে পরাস্ত করতে, রাজ্যে সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ সরকার গড়তে বিজেপিকেই ভোট (Dhupguri By Election) দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

    কড়া রোদ উপেক্ষা করে পায়ে হেঁটে প্রচার (Dhupguri By Election)

    এদিন তিনি এলাকার ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন জনহিতৈষী নীতি এবং কেন্দ্র সরকারের সমস্ত প্রকল্পগুলি মানুষের কাছে তুলে ধরেন। এদিন তিনি কড়া রোদ উপেক্ষা করে পায়ে হেঁটে ওই এলাকাগুলির প্রায় প্রত্যেক বাড়তে গিয়েই প্রচার (Dhupguri By Election) করেন। এই এলাকাতেই আগামীকাল প্রচারে আসবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জনসভার আগে ওই এলাকায় প্রচার চালান তিনি। সকাল থেকেই তিনি প্রচারে বেরিয়ে তাঁদের দলের প্রার্থীর হয়ে ভোট ভিক্ষা করেন। তিনি ভোটারদের কাছে আহ্বান জানান, যেভাবে তাঁরা গত বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থীকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেছিলেন, এবারও যেন তাঁরা বিজেপি প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন। এই ভোটে তৃণমূল জয়ী হলে চোরেদের আরও বেশি চুরি করার সুযোগ দেওয়া হবে বলেও আক্রমণ শানান সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: দলের দুই আদিবাসী মহিলার ক্ষোভে টালমাটাল তৃণমূল, ভোট নিয়ে আশাবাদী সুকান্ত

    Dakshin Dinajpur: দলের দুই আদিবাসী মহিলার ক্ষোভে টালমাটাল তৃণমূল, ভোট নিয়ে আশাবাদী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই আদিবাসী মহিলার ক্ষোভে ক্রমশ তপ্ত হয়ে উঠছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) রাজনীতি। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের পর থেকে দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এই দুই মহিলার ক্ষোভের ঘটনা বাড়তে থাকায় ঘরে বাইরে কিছুটা চাপে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল। এদিকে তৃণমূলের অন্দরে আদিবাসী মহিলাদের এই ক্ষোভকে হাতিয়ার করেই লোকসভা নির্বাচনের ছক কষতে শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূলের প্রতি আদিবাসী মহিলাদের ধারাবাহিক ভাবে এমন ক্ষোভ বাড়তে থাকায় লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে কিছুটা আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। যদিও তাদের চাপে পড়ার কথা মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব।

    দলের বিরুদ্ধে কেন ক্ষুব্ধ কল্পনা কিস্কু?

    বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি কল্পনা কিস্কু, যিনি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তপন আসন থেকে অন্যতম আদিবাসী মুখ হিসাবে তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়াই করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুব সামান্য ভোটে বিজেপি প্রার্থী বুধরাই টুডুর কাছে পরাজিত হন। কল্পনার হয়ে প্রথম থেকেই নির্বাচনী ময়দানে নামতে দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে। সে সময় থেকেই অর্পিতা ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত হন কল্পনা। কল্পনাকে এবার বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি না করায় বেজায় ক্ষুব্ধ হন তিনি। এই নিয়ে দলের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।

    কী বললেন সেই দণ্ডিকাণ্ডের নির্যাতিতা?

    অন্যদিকে তপনের গোফানগরের তিন আদিবাসী মহিলা, যাঁরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণে দণ্ডি কাটার মাধ্যমে শাস্তি পেয়েছিলেন। মহিলা নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে যে ঘটনায় কার্যত দোষী প্রমাণিত করে দলের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল। যা নিয়ে শুধু রাজ্য-রাজনীতি নয়, তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। শুধু তাই নয়, আদিবাসী সমাজকে বিশেষ বার্তা দিতে দণ্ডি-কাণ্ডের নির্যাতিতা শিউলি মার্ডিকে পঞ্চায়েতের (Dakshin Dinajpur) প্রার্থীও করেছিল তৃণমূল। অর্পিতার অতি ঘনিষ্ঠ ছিলেন নির্যাতিতা। নির্বাচনে জয়লাভের পর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরেই শুরু ঝামেলা। নির্যাতিতা শিউলির দাবি, তাঁকে পঞ্চায়েতের প্রধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল। তা না করায় শুধু তাঁর সাথেই নয়, আদিবাসী সমাজের সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে বলে অভিযোগ নির্যাতিতার।

    কী প্রতিক্রিয়া সুকান্ত মজুমদার এবং অর্পিতা ঘোষের?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আদিবাসীদের সাথে বরাবরই বঞ্চনা করে এসেছে তৃণমূল। প্রতিশ্রুতি দিয়েও প্রতিশ্রুতি রাখেনি তারা। যে সবের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এবারের লোকসভার ফলাফলেই ঘটবে।’ অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘এধরনের কোনও ব্যাপার নেই। দল তাঁদের নিয়েও ভাবছে। এক ব্যক্তি চিরকাল এক চেয়ারে থাকতে পারেনা। তৃণমূলই এ জেলার দুটো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আদিবাসী মহিলাকে বসিয়েছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: নাবালিকার বিয়ে দিয়ে বই পুড়িয়ে দিলেন মা! মুখ্যমন্ত্রীর ‘কন্যাশ্রী’ কি নামেই?

    Murshidabad: নাবালিকার বিয়ে দিয়ে বই পুড়িয়ে দিলেন মা! মুখ্যমন্ত্রীর ‘কন্যাশ্রী’ কি নামেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগবানগোলায় (Murshidabad) জোর করে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে দিয়ে দিলেন মা-বাবা। আর তারপর মাসখানেক যেতে না যেতেই মেয়ের পড়া বন্ধ করতে চাপ তৈরি করা হল। এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ।

    অভিযোগ কী (Murshidabad)?

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী প্রকল্প কতটা কাজে লাগছে গ্রামগঞ্জে, তারই প্রতিচ্ছবি ভগবানগোলায় (Murshidabad)। ক্লাস নাইনের ওই ছাত্রী বিয়ের পরেও পড়াশোনা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তার মা বই পুড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করে ওই নাবালিকা ছাত্রী। প্রতিবাদ করতে গেলে নাবালিকাকে মারধর করা হয়। পড়াশোনা নয়, সংসার করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় পরিবারের লোকজন। প্রত্যেক দিন নানা অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে নাবালিকা ছাত্রীকে। এমন অভিযোগে সরব নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী। 

    কন্যাশ্রীর বাস্তব চিত্র

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক দিকে যেমন কন্যাশ্রী প্রকল্পের নাম বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন, ঠিক তেমনি আবার এই রাজ্যের মেয়েরা পড়াশুনা করতে না পারার বাস্তব চিত্রের সাক্ষ্য বহন করছে। এ যেন একই বঙ্গে দুই রকম চিত্র। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভগবানগোলায় ঘটল উল্টো ঘটনা! নাবালিকা মেয়ের দাবি, তার মা-বাবা বারবার নানা ধরনের কথা বলেন এবং তাকে কার্যত অন্ধকারে রেখে জোর করে এই বিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই বিয়ে দেওয়ার পরেও নাবালিকা শ্বশুরবাড়ি যেতে চায়নি। বাপের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতে চাইছিল সে। এমনকি মেয়ের বাবা-মা জোর করে তাকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠাতে চেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই সব বইপত্র পুড়িয়ে দেয়।

    পুলিশের ভূমিকা

    এমন অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে ভগবানগোলা (Murshidabad) থানার পুলিশ গিয়ে খোঁজখবর নেয়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নাবালিকা মেয়ে তার সঙ্গে ঘটা নানা ঘটনার কথা স্পষ্ট ভাবে পুলিশকে জানিয়েছে বলে জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মধ্যযুগীয় বর্বরতা! ফের বিবস্ত্র করে, লাইট পোস্টে বেঁধে মহিলাকে মারধর!

    South 24 Parganas: মধ্যযুগীয় বর্বরতা! ফের বিবস্ত্র করে, লাইট পোস্টে বেঁধে মহিলাকে মারধর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও মধ্যযুগীয় বর্বরতা এই বাংলায়! পাওনা টাকা আদায়ের দাবিতে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সভানেত্রীকে বিবস্ত্র করে লাইট পোস্টের গায়ে বেঁধে মারধর করার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা থানা এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র শোরগোল তৈরি হয়েছে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (South 24 Parganas)?

    পাথরপ্রতিমার (South 24 Parganas) এক স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে অন্যের নাম করে টাকা তোলা হয়। এর পর সেই টাকা ফেরতের দাবিতে গোষ্ঠীর সভানেত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধর করে পোস্টে বেঁধে রাখার অভিযোগ ওঠে ওই গোষ্ঠীরই অন্যান্য মহিলাদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে পাথরপ্রতিমা ব্লকের গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গা গোবিন্দপুরে।

    নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ

    নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ, তিনি তাঁদের গ্রামের (South 24 Parganas) স্বনির্ভর সবুজ গোষ্ঠী থেকে কিছু টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা সুদে-আসলে প্রায় ছয় লক্ষের মতো হয়েছে। নির্দিষ্ট ছয় মাসের মধ্যে ওই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টাকা ফেরত না দিতে পারায় ওই গোষ্ঠীর অন্যান্য মহিলারা তাঁর বাড়িতে গিয়ে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এই পরই তাঁকে টানতে টানতে এনে মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁকে বিবস্ত্র করে একটি ইলেকট্রিক পোস্টের গায়ে দু ঘন্টা বেঁধে রাখা হয়।

    গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যদের বক্তব্য

    লাইট পোস্টের গায়ে বেঁধে রাখার কথা স্বীকার করলেও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই গোষ্ঠীর অন্যান্য মহিলা সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, কষ্টের জমানো টাকা সভানেত্রী হওয়ার সুবাদে তিনি নিজের নামে ইচ্ছেমতো লোন নেন। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই টাকা বাড়িতে চাইতে গেলে ওই মহিলার স্বামী, গোষ্ঠীর এক প্রবীণ মহিলাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এছাড়া ওই মহিলা ওই গ্রুপের অন্যান্য কয়েকজন মহিলাকেও মারধর করেন। তারপরেই অন্যান্য মহিলারা দলবদ্ধ ভাবে ওই মহিলাকে বিদ্যুতের খুঁটির (South 24 Parganas) গায়ে বেঁধে রাখেন।

    পুলিশের ভূমিকা

    খবর পেয়ে, পাথরপ্রতিমা (South 24 Parganas) থানার পুলিশ এসে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে ১৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিত মহিলা। আপাতত বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পাথরপ্রতিমা থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ আটক বা গ্রেফতার হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share