Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Hooghly: পঞ্চায়েত উপসমিতির গঠনকে ঘিরে গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী! কাঠগড়ায় শাসক দল তৃণমূল

    Hooghly: পঞ্চায়েত উপসমিতির গঠনকে ঘিরে গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী! কাঠগড়ায় শাসক দল তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগের (Hooghly) খানাকুলের অরুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপসমিতির গঠন ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। হঠাৎ সেই সময় এক বিজেপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয় বলে দাবি বিজেপির। তৃণমূলের ভয়ে হাসপাতালেই যেতে পারেননি গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী! খানাকুল-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।

    গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী (Hooghly)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের অশান্তির রেশ এখনও কাটেনি। দিন কয়েক আগেই রাজনৈতিক অশান্তির জেরেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হুগলির (Hooghly) খানাকুল। পঞ্চায়েতের অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার দু দিন পর, সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সারা রাত বাড়িতেই থাকতে হয়েছে বিজেপির এক কর্মীকে! পুলিশ আর তৃণমূলের ভয়ে হাসপাতালেও যেতে পারেননি বলে অভিযোগ আহত বিজেপি কর্মীর। পরের দিন ভোরে, অন্য রাস্তা দিয়ে তাঁকে গোপনে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গুলি করল কে? আহত বিজেপি কর্মীর অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকেই।

    কীভাবে করা হল গুলি?

    হুগলির (Hooghly) খানাকুলে অরুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল গত মঙ্গলবার। বোর্ড গঠন ঘিরে অশান্তি হয় সেই দিন। শাসক-বিরোধী দুপক্ষই হামলায় দায় চাপায় একে অপরের দিকে। ঘটনার দুদিন পর কালীপদ দোলুই নামে এক বিজেপি কর্মী দাবি করেছেন, তাঁর হাতে গুলি লেগেছিল। তিনি খানাকুলের চব্বিশপুর গ্রামের বাসিন্দা। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই কর্মীকে তুলে নিয়ে যান বিজেপির কর্মীরাই। প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় বাড়িতেই। কালীপদ দোলুইয়ের দাবি, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়নি। কার্যত দুষ্কৃতীদের ভয়ে লুকিয়ে ছিলাম ঘরে।

    বিজেপির বক্তব্য

    স্থানীয় (Hooghly) বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, তৃণমূলের স্থানীয় নেতা বাঘা এবং অপর একজনকে সিভিকের পোশাক পরিয়ে গুলি করা হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব আরও জানায়, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপির সদস্যদের ওপরে অত্যাচার চালাচ্ছে। দোষীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। বিজেপি নেতা বিমান ঘোষ বলেন, “এসব আর চলবে না। লোকসভা নির্বাচনেই তৃণমূল সব টের পেয়ে যাবে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও তৃণমূলের দাবি, এসব অভিযোগ মিথ্যা, সবটাই সাজিয়ে বলা হচ্ছে। আরামবাগ (Hooghly) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “সব মিথ্যা। অভিনয় করে ঘটনা সাজিয়ে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। সেদিন কী হয়েছিল, সেটা কারও অজানা নেই। পুলিশ বিষয়টি দেখছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dacoits: রাজু ঝা খুনে মূল অভিযুক্ত কুন্দনই রানাঘাট ডাকাতিকাণ্ডে ধৃত

    Dacoits: রাজু ঝা খুনে মূল অভিযুক্ত কুন্দনই রানাঘাট ডাকাতিকাণ্ডে ধৃত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার রানাঘাটে সেনকো গোল্ডের শোরুমে ডাকাতির (Dacoits) ঘটনায় অভিযুক্ত কুন্দন কুমার যাদব পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ের রাজু ঝা খুনের মূল অভিযুক্ত! পুলিশের কাছে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। নতুন তথ্য সামনে আসতেই রানাঘাটে এসে পৌঁছায় আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

    ডাকাতির (Dacoits) পর পুলিশকে লক্ষ্য করে প্রথম গুলি চালিয়েছি কুন্দন!

    রানাঘাটে একটি সোনার দোকানে ডাকাতির (Dacoits) ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয় মোট পাঁচজন। তাদের নাম, মণিকান্ত কুমার যাদব, ছোটকুমার পাসোয়ান, কুন্দন কুমার যাদব, রাজকুমার পাসোয়ান এবং রিককি পাসোয়ান নামে পাঁচ অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। তাদের মধ্যে মণিকান্ত কুমার যাদব এবং ছোটকুমার পাসোয়ানের পায়ে গুলি লাগে। এই পাঁচজনের মধ্যে নাম রয়েছে কুন্দন কুমার যাদবের। গত এপ্রিল মাসের প্রথম দিনেই রাত আটটা নাগাদ শক্তিগড়ে জাতীয় সড়কের ধারে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে খুন হয়েছিলেন ব্যবসায়ী রাজু ঝা। এছাড়া গাড়িতে তাঁর কয়েকজন ব্যবসায়ী সঙ্গী ছিলেন। রাজু ঝার গাড়ি যখন দাঁড়িয়েছিল, তখন আচমকা অন্য একটি গাড়ি থেকে দুষ্কৃতীরা হঠাৎ করে নেমে এসে রাজু ঝার গাড়ি লক্ষ্য করে আচমকা গুলি চালাতে থাকে। এলোপাথাড়ি গুলি লেগে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ব্যবসায়ী রাজু ঝার। সেই খুনে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে পুলিশের কাছে নাম উঠে আসে এই কুন্দন কুমার যাদবের। তদন্ত নেমে পুলিশ আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পায়। এই কুন্দন কুমার শুধুমাত্র এই রাজ্যে নয় বিহারস ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড় সহ বিভিন্ন রাজ্যে খুন করার সুপারি নিত। ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনের পর কুন্দন কুমার যাদব পলাতক ছিলেন। দিন কয়েক আগে রানাঘাটের সোনার দোকানের ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সে। জানা গিয়েছে, কুন্দন সব সুপারি নেয়। এই ক্ষেত্রে সে সুপারি নিয়েছিল। সেই টিমকে পরিচালনা করেছিল। সেনকো গোল্ডে লুট করার পর পুলিশের সামনে পড়তেই  অন্যান্যরা হতবাক হয়ে পড়েছিল। এই কুন্দনই তখন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপরই বাকিরাও একের পর এক পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাকে জিজ্ঞাসা করার পর প্রশাসন তদন্ত নেমে রাজু ঝা খুনের মূল অভিযুক্তকে শনাক্ত করে পুলিশ। বর্তমানে এই পাঁচ অভিযুক্ত পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। রানাঘাট মহাকুমা আদালত ৫ অভিযুক্তকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে থানার আইসি-কে নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে কী বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে থানার আইসি-কে নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে কী বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট লুট, তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তো ছিলই। এবার এক সরকারী কর্মী কৌশিক চন্দ্র এবং বানারহাট থানার আইসি-কে ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনের কাজে ব্যবহার না করার জন্য কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের কাছে অনুরোধ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার ধূপগুড়িতে তিনি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের সঙ্গে দেখা করেই এই আবেদন জানান তিনি।

    নব তৃণমূল নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    এদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এখন তৃণমূল হচ্ছে নব তৃণমূল। এরা লিফট দিয়ে ওঠে আর প্যারাসুটে নামে। এরা সাইকেল চড়তে জানে না। এরা দামি গাড়ি চড়ে মানুষের সেবা করে। এই দলের নেতাদের অধিকাংশই বড় গাড়ি চড়ে বেড়ায়। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, আমি যখন সেচমন্ত্রী ছিলাম, সেই সময় তখনকার ধূপগুড়ির বিধায়ককে ১০ কোটি টাকা দিয়েছিলাম সেচের কাজের জন্য। সেই টাকাও আত্মসাৎ হয়েছে। সেই বিধায়ক এখন ভোটের ময়দানেও নেই বলে টিপ্পনী কাটতেও ছাড়েননি তিনি। এছাড়া গোটা রাজ্যে যেভাবে সব কিছুতে লুট হচ্ছে, মানুষ সেটা দেখছে এবং দুর্নীতিমুক্ত সরকার গড়তে বিজেপিকেই ভোট দেবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

    ধূপগুড়ি পুরসভা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?(Suvendu Adhikari)

    বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়ের সমর্থনে ধূপগুড়িতে সভা করেন বিরোধী দলনেতা। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করেন, ধূপগুড়ি পুরসভাতে লুট হয়েছে। কোনও কাজই পুরসভা করেনি। যে পুরসভা জঞ্জাল সাফ করতে পারে না, একটা ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করতে পারে না, তারা কোনও দিনও সুশাসন দিতে পারে না। এই পুরসভায় বিভিন্ন কাজের টাকা লুট হয়েছে। অবৈধ নিয়োগও হয়েছে। গোটা রাজ্য জুড়ে চুরি করছে। প্রত্যেক জায়গায় তাদের এজেন্ট বসিয়ে রেখেছে। তারা টাকা তুলে তৃণমূলকে পৌঁছে দিচ্ছে। এরা টাকা রোজগারের জন্য দল করে না। কয়লা, গরু, বালি তো আছেই, এবার তারা পঞ্চায়েত ভোটে ব্যালটও খেয়েছে। তার ওপর তাদের আরও আয় ডিয়ার লটারি থেকে। এই লটারি প্রচুর পরিবার ধ্বংস করে দিচ্ছে। ১ কোটি টাকার লোভ দেখিয়ে মানুষকে সর্বসান্ত করে দিচ্ছে। আর এর প্রাইজ পাচ্ছে অনুব্রত মন্ডল, তার মেয়ে বিভিন্ন বিধায়ক সহ দলের বড় বড় নেতারা। তাই এই ভোটে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। যদি এই ভোটে তৃণমূল জয়ী হয় তাহলে সেটা চোরেদের জয় হবে। চুরি আটকাতে তাই তৃণমূলকে ভোট নয়। এদিন তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, যদি এই বিধানসভায় বিজেপি জেতে তা হলে রেল, জাতীয় সড়ক সহ আরও অনেক কিছু উন্নতি করবে বিজেপি। এদিন গরমকে উপেক্ষা করে প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিলেন সভায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sujit Bose: সিবিআই দফতরে দেখা মিলল না সুজিত বসুর, কী যুক্তি দিলেন মন্ত্রীমশাই?

    Sujit Bose: সিবিআই দফতরে দেখা মিলল না সুজিত বসুর, কী যুক্তি দিলেন মন্ত্রীমশাই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁকে সিবিআই তলব করেছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, তা নাকি সম্পূর্ণ ভুয়ো। বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন গত ২৪ অগাস্ট দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose) খবর পেয়েছিলেন, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে সিবিআই ‘তলব’ করেছে। তার কিছুক্ষণ পরেই বিবৃতি দিয়ে সুজিত ঘোষণা করেন, সিবিআইয়ের তরফে কোনও তলবি চিঠি তিনি নাকি পানইনি।

    সুজিতের দাবি, চক্রান্ত

    বৃহস্পতিবারই ছিল ৩১ অগাস্ট। এদিন দুপুরে নিজের ক্লাব শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে সুজিত স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তিনি কোনও সিবিআইয়ের চিঠি পাননি। সুজিত সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘আমি এ রকম কোনও নোটিসই পাইনি। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের একাংশ থেকে ধারাবাবিক ভাবে বলা হচ্ছে, আমাকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আমি মানসিক ভাবে আহত।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এই যে র‌্যাগিং নিয়ে এত কথা হচ্ছে, আমার সঙ্গে যেটা হচ্ছে সেটাও র‌্যাগিং। একটা ভুয়ো খবরকে বার বার বলা হচ্ছে।’’

    গত সপ্তাহে সিবিআই সূত্রে জানা যায়, ৩১ অগাস্ট সকাল ১১টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে মন্ত্রীমশাইয়ের হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন নির্দিষ্ট সময় হাজির হননি তিনি। এর পরই তিনি আদৌ হাজির হবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। এরই মধ্যে বেলা দেড়টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে সুজিত বসু জানান, তিনি সিবিআইয়ের কোনও নোটিসই পাননি।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তের জাল গুটিয়ে আনছে ইডি, নোটিশ ১২টি পুরসভাকে

    সুজিতের আমলেই দুর্নীতি

    সুজিত এক সময়ে দক্ষিণ দমদম পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তখনই এই পুর দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের পাশাপাশি তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-ও। ইডি সূত্রে খবর, যে ১২টি পুরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে তারা নথি চেয়ে পাঠিয়েছে, তার মধ্যে দমদম, কামারহাটি, পানিহাটির মতো কলকাতা সংলগ্ন একাধিক পুরসভাও রয়েছে। ইডি ওই পুরসভাগুলির কর্তৃপক্ষকে বলেছে, ২০১৪ সাল থেকে সমস্ত নিয়োগের তথ্য পাঠাতে। এক সপ্তাহের মধ্যে ওই তথ্য এবং যাবতীয় নথি পাঠাতে হবে বলে নোটিসে জানিয়েছে ইডি। সিবিআইয়ের নোটিস দেওয়ার খবর নিয়ে বলতে গিয়ে এদিন সুজিতের দাবি, ‘এই খবর ছড়ানোর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। কালি ছেটানোর চেষ্টা হচ্ছে। কে বা কারা জড়িত রয়েছে, সেটাই তদন্ত করে দেখতে হবে। দোষীদের শাস্তি হোক।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ডেঙ্গিতে মৃত্যু বধূর, টনক নড়ল পঞ্চায়েতের, এতদিন কী করছিল, প্রশ্ন এলাকাবাসীর

    Murshidabad: ডেঙ্গিতে মৃত্যু বধূর, টনক নড়ল পঞ্চায়েতের, এতদিন কী করছিল, প্রশ্ন এলাকাবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সূতি থানার ঔরঙ্গাবাদ দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক গৃহবধূ। গৃহবধূর নাম চামেলি খাতুন (৩২)। জেলাজুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়েই চলেছে। তবে, এতদিন জেলায় কোনও মৃত্যু হয়নি। এই প্রথম জেলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় জেলাজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সূতি থানা এলাকার ওই বধূকে দিন পাঁচেক আগে গায়ে জ্বর নিয়ে মহিষা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেড না থাকার কারণে আহিরণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। আহিরণ হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করার পর জানতে পারা যায়, চামেলি বিবি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জঙ্গিপুর হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে রাস্তায়, ড্রেনে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো শুরু হয়ে গিয়েছে।

     স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় ডেঙ্গি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। গত সপ্তাহ পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৪০০ জন। জেলাবাসীর ভয় ছিল, ডেঙ্গি যেভাবে দিনের পর দিন বেড়েই চলছে এবার শহরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সংক্রমণ গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে না পড়ে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। সূতি থানার ওই বধূ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়ার পর এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এতদিন স্বাস্থ্য দফতর বা পঞ্চায়েত থেকে কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই পঞ্চায়েত এখন নড়েচড়ে বসেছে। আশপাশের পঞ্চায়েতও এদিন থেকে ড্রেন পরিষ্কার করে ব্লিচিং দেওয়া শুরু করেছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, আগে থেকে পঞ্চায়েত বা স্বাস্থ্য দফতর উদ্যোগ নিলে ওই বধূর এভাবে বেঘোরে প্রাণ হারাতে হত না। আগামী দিনে ডেঙ্গিতে যেন আর কারও প্রাণ না যায় সেদিকে প্রশাসন নজর দিলে ভাল হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: যোগীর ‘অপারেশন বুলডোজার’ বহরমপুরে! সদরের রাস্তায় ভাঙা হল অবৈধ নির্মাণ

    Murshidabad: যোগীর ‘অপারেশন বুলডোজার’ বহরমপুরে! সদরের রাস্তায় ভাঙা হল অবৈধ নির্মাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা প্রশাসন, বহরমপুর পুরসভা ও পুলিশের উদ্যোগে বহরমপুরের মোহনা বাসস্ট্যান্ড থেকে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী পর্যন্ত রাস্তায় অবৈধ দোকানঘর ভেঙে ফেলা হল। প্রশাসন থেকে আগেও চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল, সমস্ত অবৈধ নির্মাণ রাস্তা থেকে সরাতে হবে। অপারেশন বুলডোজারের ফলে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে। দোকানদাররা পড়েছেন সমস্যায়।

    সমস্যা কী (Murshidabad)?

    অবৈধ নির্মাণ ভাঙার জন্য আগেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন “বাংলা বরং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের থেকে কয়েকটা বুলডোজার ভাড়া করে নিয়ে আসুক”। বহরমপুরের রাস্তায় বেআইনি নির্মাণ সরাতে প্রশাসন বুলডোজার দিয়ে অভিযান শুরু করছে বৃহস্পতিবার। এই খবর পেয়ে রাস্তার দোকানদাররা ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তবে এটাই প্রথম নয়, ইতিপূর্বে কান্দি এবং ভরতপুরে বেআইনি বড় বড় নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    বহরমপুরের (Murshidabad) এসডিও প্রভাত চ্যাটার্জি জানান, এই দোকানপাটের জন্য নিকাশি ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ড্রেনের উপর সরকারি জায়গার উপর স্ল্যাব বসিয়ে রীতিমতো ব্যবসা চলছিল। কেউ কেউ আবার সরকারি জায়গার উপর লোহার রেলিং লাগিয়ে সরকারি জমি দখল করে বসে রয়েছেন। প্রতিদিন রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

    ব্যবসায়ীদের বক্তব্য

    অন্যদিকে দোকান ভাঙা পড়ায়, স্থানীয় (Murshidabad) দোকানের মালিকরা জীবিকা চালানোর জন্য অসুবিধার মধ্যে পড়ছেন বলে অভিযোগ করছেন। তাঁরা আরও বলেন, পরিবারের মুখে কীভাবে অন্ন জোগাবেন, তাই নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন দোকান ব্যবসায়ীরা। সূত্রে জানা গেছে, সরকারের কাছে তাঁরা আর্জি জানাবেন বিকল্প কোনও ব্যবস্থার জন্য। বিকল্প কাজের জোগাড় হলে দুমুঠো অন্ন যোগাতে সক্ষম হবেন তাঁরা। অন্যথায় আবারও ভিন রাজ্যে কাজের খোঁজে যেতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Corruption: জলপথ পরিবহণেও দুর্নীতিতে ডুবে তৃণমূল! হাওড়া ফেরিঘাটে লঞ্চ পরিষেবা তলানিতে

    Corruption: জলপথ পরিবহণেও দুর্নীতিতে ডুবে তৃণমূল! হাওড়া ফেরিঘাটে লঞ্চ পরিষেবা তলানিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্ক ও কৃষি সমবায় সমিতিগুলিতে দুর্নীতির (Corruption) পর এবার হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। এর পাশাপাশি সংস্থার কর্মীরা জানিয়েছেন, লঞ্চগুলি দীর্ঘদিন ভালোভাবে মেরামতি না হওয়ার কারণে যাত্রীরা প্রতিদিন প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করছেন। এমনকী লাইসেন্স বিহীন বেশ কিছু লঞ্চ চলাচলেরও অভিযোগ উঠেছে। উত্তর হাওড়ার বিজেপি নেতা উমেশ রাই সরাসরি এই অভিযোগ করেছেন।

    অব্যবস্থা ও আর্থিক দুর্নীতি (Corruption) নিয়ে সরব কর্মীরাও

    হাওড়া স্টেশন লাগোয়া হাওড়া ফেরিঘাট। এই ফেরিঘাটে লঞ্চ পরিষেবা চালায় তৃণমূল পরিচালিত হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। ওই সংস্থা হাওড়া থেকে প্রতিদিন শোভাবাজার, বাগবাজার, চাঁদপাল, ফেয়ারলি প্লেস এবং বাবুঘাটে লঞ্চ পরিষেবা চালায়। হাজার হাজার নিত্যযাত্রী হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে যাতায়াত করেন। আগে এই সংস্থায় কুড়িটির বেশি লঞ্চ চললেও বর্তমানে বারোটি লঞ্চ চলছে। ফলে হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে যতগুলি ট্রিপ হত, এখন তার চেয়ে অনেক কম সংখ্যক ট্রিপ হচ্ছে। কর্মীরা জানিয়েছেন, বেশির ভাগ লঞ্চের অবস্থা ভালো নয়। দীর্ঘদিন ঠিকঠাক মেরামতি না হওয়ার কারণে সেগুলি ভগ্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে। সংস্থার আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ার কারণে সেগুলিকে ঠিকমতো সারানো যাচ্ছে না। ফলে লঞ্চের কর্মীরা ছাড়াও যাত্রীরা প্রাণ হাতে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়াও তাঁরা জানান, তিন মাস বেতন পাচ্ছেন না। কোনও আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন না। সংস্থার একাধিক আর্থিক দুর্নীতি (Corruption) নিয়েও সরব হন কর্মীরা।

    কী অভিযোগ (Corruption) করল বিজেপি?

    বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই একই ধরনের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, একাধিক লঞ্চের অবস্থা শোচনীয়। ওই অবস্থায় লঞ্চগুলি চালানো হচ্ছে। টিকিট বিক্রি ও বিজ্ঞাপন বাবদ সংগৃহীত অর্থ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি (Corruption) হয়েছে। এ ব্যাপারে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। যদি রাজ্য সমবায় দফতর কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তাঁরা কোর্টের দ্বারস্থ হবেন।

    তদন্তের (Corruption) আশ্বাস দিলেন মন্ত্রী

    রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় জানিয়েছেন, ওই সংস্থাকে বাঁচাতে তাঁর দফতর থেকে আগে ৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে যে অভিযোগ উঠছে, তা অত্যন্ত সিরিয়াস। তিনি এ ব্যাপারে পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, তা দেখা হবে। পুরো বিষয়টি (Corruption) তদন্ত করে দেখা হবে বলে তিনি জানান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Leaps and Bounds: একই ব্যাঙ্কে আলাদা নামে দুই অ্যাকাউন্ট রুজিরার! ফাঁসতে পারেন অভিষেকের স্ত্রী?

    Leaps and Bounds: একই ব্যাঙ্কে আলাদা নামে দুই অ্যাকাউন্ট রুজিরার! ফাঁসতে পারেন অভিষেকের স্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফেঁসে যেতে বসেছেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুচিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়! অন্তত এমনই জল্পনা জোরালো হয়েছে ইদানিং। এর কারণ দিন কয়েক আগে নিউ আলিপুরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের (Leaps and Bounds) অফিসে হানা দিয়েছিলেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেখানে তাঁরা বাজেয়াপ্ত করেছেন রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট।

    লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে তল্লাশি

    ওই অফিস থেকে তিনটি কম্পিউটারের হার্ড ডিস্কও বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। আরও কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এর মধ্যেই রয়েছে রুজিরার দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট। এর মধ্যে রয়েছে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের মধ্য কলকাতা শাখার দুটি অ্যাকাউন্ট। এই শাখায় যে অ্যাকাউন্টটি রয়েছে অভিষেকের স্ত্রীর, সেখানে তাঁর নাম রয়েছে রুজিরা নারুলা। এই ব্যাঙ্কেই রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় নামেও একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এই অ্যাকাউন্টের ১৪২ পাতার স্টেটমেন্ট বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, ২১ অগাস্ট তদন্তকারীরা হানা দেন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে (Leaps and Bounds)। সেখানে টানা ১৮ ঘণ্টা তল্লাশি চালান তাঁরা। 

    বাজেয়াপ্ত বহু নথি 

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস তৈরি হওয়ার আগে ওই সংস্থার নাম ছিল অনিমেষ ট্রেড লিঙ্ক। সেই সংস্থা হাতবদল হয়। নতুন নাম হয় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস। এ সংক্রান্ত নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। তল্লাশি চালানোর সময় আলিপুর এবং বিষ্ণুপুরে নথিভুক্ত হওয়া বেশ কিছু জমির দলিলও বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। সংস্থার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি এবং স্টেটমেন্টও বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা।

    এদিকে, ইডির তৎপরতার (Leaps and Bounds) বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে দায়ের করা সেই মামলায় অভিষেকের আইনজীবীর প্রশ্ন, তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ইডির দায়ের করা ইসিআইআর খারিজের আবেদনের রায়দান যখন স্থগিত, তখন কি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি এই তৎপরতা দেখাতে পারে?

    আরও পড়ুুন: এই কি শিক্ষার পরিবেশ? কলেজ চত্বরে বসেই গাঁজায় সুখটান তৃণমূল ছাত্রনেতার!

    সোমবারই নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলায় অভিষেককে জেরা না করায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার ভর্ৎসনার মুখে পড়ে ইডি। আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বিচারপতি সিনহার এহেন মন্তব্যের পর অভিষেকের কাছে ইডির সমন পৌঁছনো স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সেই কারণে এবার বিচারপতি ঘোষের বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়ে সমন এড়াতে চাইছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: দৃষ্টিহীনদের সৃষ্টিশীলতা! নিজেরাই রাখি বানিয়ে পরিয়ে দিলেন পথচলতি মানুষকে

    Hooghly: দৃষ্টিহীনদের সৃষ্টিশীলতা! নিজেরাই রাখি বানিয়ে পরিয়ে দিলেন পথচলতি মানুষকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দৃষ্টিহীনদের সৃষ্টিশীলতা। পবিত্র রাখিবন্ধন দিবস ছিল বুধবার। আর এই পবিত্র দিনে সমাজের দৃষ্টিহীন ভাইবোনেরাও শামিল হলেন। সাধারণ মানুষদের সঙ্গে মিশে গিয়ে পথচলতি মানুষকে রাখি পরিয়ে উৎসব পালন করলেন তাঁরা। না, বাজার থেকে কিনে আনা নয়। নিজেরাই ৩০০ রাখি বানিয়ে এনে রাখিবন্ধন উৎসবে শামিল হলেন। এদিন হুগলি (Hooghly) জেলার প্রাণকেন্দ্র চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে নিজেদের তৈরি রাখি নিয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৩৫ জন দৃষ্টিহীন ভাইবোন। এঁদের একত্রিত করে নিয়ে এসেছিলেন রবি পাল নামে এক সমাজসেবী। পুলিশ, সংবাদ জগতের প্রতিনিধি, শিক্ষক, আইনজীবী প্রায় প্রত্যেক পেশার মানুষকে দেখা যায় এদিন হাসিমুখে রাখি পরতে।

    সুযোগ থাকলে কাজ দিন, বললেন দৃষ্টিহীন শিবানী

    শিবানী পাল (Hooghly) নামে এক দৃষ্টিহীন মহিলা বলেন, আমরা হয়তো দেখতে পাই না আপনাদের মতো। কিন্তু আমরা অনুভব এবং উপভোগ করতে চাই। আজকের এই পবিত্র দিনে রাখি পরানোর পাশাপাশি ভাইদের কাছে তাঁর আবেদন, আমরা দৃষ্টিহীন বলে খুবই অসহায় ভাবে আমাদের দিন কাটে। সুযোগ থাকলে আমাদের কিছু কাজ দিন, যাতে আমরা ভালোভাবে থাকতে পারি। পথচলতি অনেক মানুষই রাখি গ্রহণ করার পর দৃষ্টিহীনদের উপহার স্বরূপ কিছু অর্থ দেন।

    এখানেই শেষ নয়, এরপর পুজোয় ঠাকুর দেখা (Hooghly)

    রবি জানান, জেলার প্রায় ৭০ জন দৃষ্টিহীনকে তিনি একত্রিত করে তাঁদের নিয়ে বিভিন্ন রকম বিনোদনমূলক ও সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকেন। তিনি আরও জানান, এই দৃষ্টিহীন মানুষরা কেউ ট্রেনে হকারি করেন, কেউ ভিক্ষাবৃত্তি করেন। তাঁরা নিজেদের উপার্জিত অর্থ সঞ্চয় করে প্রায় তিনমাস ধরে এই ৩০০ রাখি বানিয়েছেন। তাঁদের একটাই উদ্দেশ্য, সমাজের মুলস্রোতের সঙ্গে মিশে গিয়ে আনন্দ উৎসব উপভোগ করা। ব্যান্ডেল সুভাষনগরের বাসিন্দা রবি ছোটখাট ব্যবসা করেন। তিনি বলেন, আগামী দুর্গাপূজার ষষ্ঠীর দিন এই ৭০ জন দৃষ্টিহীনকে নিয়ে আমি ঠাকুর দেখাবো টোটো করে। এভাবেই সমাজের এই দৃষ্টিহীন, সৃষ্টিশীল মানুষগুলির জীবন আগামী দিনে আরও উপভোগ্য করে তোলার শপথ নিয়েছেন রবি (Hooghly)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: জলের দরে গঙ্গাদেবীর সোনার মূর্তি বিক্রির টোপ, জেলাজুড়ে সক্রিয় প্রতারণা চক্র

    South 24 Parganas: জলের দরে গঙ্গাদেবীর সোনার মূর্তি বিক্রির টোপ, জেলাজুড়ে সক্রিয় প্রতারণা চক্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলের দরে সোনার ঠাকুরের মূর্তি বিক্রির টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক চক্রের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paraganas) সুন্দরবন অঞ্চল কুলতলি, গোসাবা সহ একাধিক জায়গায় প্রতারণা চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। লোক দেখানো করে পুলিশ একজনকে ধরেছে। বাকিদের ধরার বিষয়ে পুলিশের কোনও হেলদোল নেই। ফলে, এই চক্রের ফাঁদে পড়ে আরও হাজার হাজার মানুষের সর্বশান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    কীভাবে প্রতারণা করা হত?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paraganas) সুন্দরবন অঞ্চলের বাসিন্দারা অধিকাংশই মৎসজীবী। মাছ ধরার কারণে তাদের মাঝে মধ্যেই বাঘের হামলার মুখে পড়তে হয়। সেই হামলা থেকে বাঁচতে তাঁরা গঙ্গাদেবীকে প্রতিনিয়ত স্মরণ করেন। তাঁদের কাছে প্রতারকরা সোনার গঙ্গাদেবীর মূর্তি বিক্রির টোপ দিত। তবে, শুধু গঙ্গাদেবী নয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, মহাদেব সকলের মূর্তি প্রতারকরা বিক্রি করত। তাঁদের সেই বিশ্বাসকে পুঁজি করেই সামাজিক মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি করে তাঁদের গঙ্গাদেবীর সোনার মূর্তি বিক্রি করার প্রলোভন দেখানো হত। প্রতারকরা বক্তব্য ছিল, সোনার মূর্তিটি বিদেশ থেকে আনা। বাজারে কয়েক লক্ষ টাকা দাম। কাউকে ৩০ হাজার, কাউকে আবার ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করত। বিক্রির আগে তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করার জন্য ঠাকুরের হাতের একটি অংশ তাদেরকে দেওয়া হত, যা ছিল সোনার। সেই হাত তাঁরা কোনও সোনার দোকানে গিয়ে দেখিয়ে পরীক্ষা করালে তাঁদের আরও বিশ্বাস জন্মাতো। অল্প টাকায় সোনার মূর্তি পাচ্ছি দেখে অনেকেই প্রতারকদের খপ্পরে পড়তেন। তারপর নির্দিষ্ট জায়গায় যখন তাঁরা মূর্তি নেওয়ার জন্য হাজির হতেন, তখন তাদের সোনার বদলে পিতলের মূর্তি দিয়ে টাকা নিয়ে পালিয়ে যেত দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের আগে এই ধরণের প্রতারণা চক্রের বাড়বাড়ন্ত দেখা দিয়েছিল এই এলাকায়। তখন পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই চক্রে জড়িত থাকায় মোট ২৮ জনকে গ্রেফতার করে। তারপর এই প্রতারণা চক্র কিছুদিন বন্ধ থাকলেও পুলিশের অপদার্থতায় সম্প্রতি ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন। এই বিষয়ে কুলতুলি থানায় একাধিক অভিযোগও দায়ের হয়েছে। এরপরই পুলিশ ক্রেতা সেজে জালাবেড়িয়া মোড়ে তালিমুল নামে এক প্রতারককে পুলিশ গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে একটি ওয়ান সাটার, লাইভ কার্তুজ, একটি বাইক ও দুটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

    কী বললেন বারুইপুরের এসডিপিও?

    সোনার মূর্তি বিক্রির বড়সড় চক্র রয়েছে তা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পুলিশ জেলার এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় একটি বড় চক্র কাজ করছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা রয়েছে তা জানতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share