Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • College: এই কি শিক্ষার পরিবেশ? কলেজ চত্বরে বসেই গাঁজায় সুখটান তৃণমূল ছাত্রনেতার!

    College: এই কি শিক্ষার পরিবেশ? কলেজ চত্বরে বসেই গাঁজায় সুখটান তৃণমূল ছাত্রনেতার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের রহস্যমৃত্যু নিয়ে তোলপাড় চলছে। বহু ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশি তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে গাঁজা চাষ, হস্টেলের মধ্যে মদ্যপান করার মতো ঘটনা সামনে এসেছে। এই সব ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই পূর্ব বর্ধমানের একটি কলেজ (College) চত্বরে প্রকাশ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতাকে মাদক সেবন করতে দেখা যাচ্ছে। তা যথারীতি ভাইরালও। যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ‘মাধ্যম’।

    ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে? (College)

    শক্তিগড়ের হাটগোবিন্দপুর ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের (College) টিএমসিপি-র কলেজ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক হিতেশ শেঠ। কলেজ ক্যাম্পাসে বসে বন্ধুদের সঙ্গে গাঁজা সেবন করছেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও-তে সেটাই দেখা যাচ্ছে। অন্য কোথাও নয়, কলেজ চত্বরে বসে মাদক নিচ্ছেন কয়েকজন ছাত্র, এমনই একটি ভিডিও বুধবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

    অভিযোগ নিয়ে কী সাফাই দিলেন টিএমসিপি নেতা?

    যদিও ভিডিও-তে যাঁর ছবি দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেই টিএমসিপি-র কলেজ (College) ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক হিতেশ শেঠ বলেন, সামাজিক মাধ্যমে ছবিটি ভুয়ো। মুখ্যমন্ত্রী কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোট হবে ঘোষণা করেছেন। তার জন্যই ইচ্ছাকৃতভাবে টিএমসিপিকে কালিমালিপ্ত করতে ছবি এডিট করে এসএফআই এই চক্রান্ত করছে। এসব আমরা কেউ করিনি। ওরা আমাদের ছাত্র সংগঠনকে বদনাম করার জন্যই এসব করছে।

    কী বললেন এসএফআই নেতৃত্ব?

    এসএফআইয়ের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরী বলেন, শুধু এই কলেজ (College) বলে নয় রাজ্যের সমস্ত কলেজেই শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছে তৃণমূল ছাত্র সংগঠন। অধিকাংশ কলেজেই এই ধরনের মাদক সেবন চলে। প্রতিবাদ করলেই ওদের রোষের মুখে পড়তে হয়। এসব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। কারণ, এসব কাজের সঙ্গে তৃণমূল ছাত্রনেতারা জড়িত থাকে। তিনি আরও বলেন, ওই ছেলেটিই টিএমসিপি হাটগোবিন্দপুর কলেজ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক। সে ওই কলেজেরই দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আমরা এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তের জাল গুটিয়ে আনছে ইডি, নোটিশ ১২টি পুরসভাকে

    Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তের জাল গুটিয়ে আনছে ইডি, নোটিশ ১২টি পুরসভাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে (Recruitment Scam) বৃহস্পতিবার ইডির (Recruitment Scam) তরফ থেকে ১২টি পুরসভাকে পাঠানো হয়েছে নোটিশ। অন্যদিকে, সকালেই ইডি দফতরে হাজির হতে দেখা যায় অয়ন শীলের হিসাব রক্ষককে। প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি প্রশ্ন করেছিলেন ইডির আইনজীবীকে, এত গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলির (Recruitment Scam) তদন্তের অগ্রগতি কোথায়! তারপরেই পুর-নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায়  ইডি ফের তেড়েফুঁড়ে নামল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

    বুধবারই ডায়মন্ড হারবার পুরসভাকে নোটিশ পাঠানো হয়

    বুধবারই ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ২০১৬ সালের একটি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে নোটিশ পাঠায় ইডি (Recruitment Scam)। এই তালিকায় ফের বৃহস্পতিবার জুড়লো আরও ১১ টি পুরসভার নাম। বুধবার সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে প্রকাশ্যে আসে ডায়মন্ড হারবার পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান মীরা হালদারের বিবৃতি (Recruitment Scam)। তিনি জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গেই হয়েছে। জানা গিয়েছে, যে ১২টি পুরসভার কাছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা নথি (Recruitment Scam) চেয়ে পাঠিয়েছে, সেখানে কলকাতার আশেপাশে দমদম, কামারহাটি, পানিহাটির মতো পুরসভাগুলি রয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে যে সমস্ত নিয়োগ ওখানে হয়েছে, তার যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে নোটিশে।

    শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তেই উঠে আসে পুর নিয়োগ-দুর্নীতি

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে উঠে আসে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। হুগলির বলাগড়ের এই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে ইডি। সেখান থেকে যোগসূত্র পাওয়া যায় অয়ন শীলের। পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা অয়ন শীলের ফ্ল্যাটে হানা দেয়। পুরসভায় নিয়োগ-দুর্নীতির নথি এবং বিপুল পরিমাণে ওএমআর শিট উদ্ধার হয় অয়নের ফ্ল্যাট থেকে। গ্রেফতার হয় অয়ন (Recruitment Scam)। জানা যায়, অয়নের সংস্থাই পুরসভার নিয়োগগুলিতে ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্ব পেত। এর পরেই রাজ্যের পুরসভাগুলিতে নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে কোমর বেঁধে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বৃহস্পতিবারে আরও একবার তৎপরতা দেখা দিল পুর নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heritage Building: বাঁকুড়ার হেরিটেজ ভবনে তৃণমূল-সিপিএমের জোড়া দখলদারি! সক্রিয় কলকাতা হাইকোর্ট

    Heritage Building: বাঁকুড়ার হেরিটেজ ভবনে তৃণমূল-সিপিএমের জোড়া দখলদারি! সক্রিয় কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার হেরিটেজ ভবন এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল (Heritage Building) হল থেকে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তৃণমূলের এই পুরসভা এলাকায় সিপিএমের কো-অর্ডিনেশন কমিটি এই হেরিটেজ ভবনের এক অংশ দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দোকানঘর বানিয়েছে খোদ তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাও।

    হাইকোর্টের কী নির্দেশ (Heritage Building)?

    বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই হেরিটেজ বিল্ডিংকে (Heritage Building) রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে নির্দেশে বলা হয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে হেরিটেজ ভবনের এলাকা চিহ্নিত করতে হবে এবং বিল্ডিং সংলগ্ন অবৈধ নির্মাণ দ্রুত ভেঙে ফেলতে হবে। এই বিষয়ে জেলাশাসককে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করার জন্য বলা হয়েছে।

    কীভাবে জবরদখলে হেরিটেজ বিল্ডিং (Heritage Building)?

    রানি ভিক্টোরিয়ার বড় পুত্রের নাম অ্যাঁলবার্ট এডওয়ার্ড (Heritage Building)। ১৯০১ সাল থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন তিনি। তাঁর স্মরণেই বাঁকুড়া সদরে তৈরি হওয়া ভবনের নামকরণ করা হয়। ১৯১১ সালে এই ভবনটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু এই হেরিটেজ ভবনের একটি ভাগ দখল করে হয়েছে স্টাফ কোয়ার্টার এবং বেশ কিছু পাকা দোকানঘর তৈরি করছে বাঁকুড়া পুরসভা। অন্যদিকে এই হেরিটেজ বিল্ডিং-এর আরেকটি অংশ দখল করেছে বাম কর্মচারী সংগঠনের স্টেট কো-অর্ডিনেশন কমিটি।

    কেন আদালতে মামলা হয়েছিল?

    হেরিটেজ বিল্ডিংয়ে (Heritage Building) বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে এলাকা দখলমুক্ত করতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বাঁকুড়ার শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সমাজ নামে এক সংগঠন। এই অভিযোগের আগেই হাইকোর্ট জেলার ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। উল্লেখ্য এই রিপোর্টে বেআইনি দখলদারির বিষয়ে বিস্তৃত তথ্য দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে গতকাল হাইকোর্টের নির্দেশে এলাকা দখলমুক্ত করার কথা বলা হয়।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shibpur IIEST: চোখ খুলে দিল শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ! জুনিয়রদের রাখি পরিয়ে দিলেন সিনিয়ররা

    Shibpur IIEST: চোখ খুলে দিল শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ! জুনিয়রদের রাখি পরিয়ে দিলেন সিনিয়ররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি র‍্যাগিংয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। একেবারে ভিন্ন ছবি দেখা গেল হাওড়ার শিবপুর আইআইইএসটি-র (Shibpur IIEST) ক্যাম্পাসে। প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের কাছে টেনে নেওয়ার জন্য সিনিয়ররা পালন করলেন রাখিবন্ধন উৎসব।

    ছাত্রমৃত্যুর পরই বদলাতে থাকে আবহাওয়া (Shibpur IIEST)

    একটা সময় ছাত্র সংঘর্ষে উত্তপ্ত থাকত বেসু-র ক্যাম্পাস। ২০০৬ সালে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যুর পর ধীরে ধীরে ক্যাম্পাসের আবহাওয়া বদলাতে থাকে। ২০১৪ সালে বেসু থেকে হয় শিবপুর আইআইইএসটি। ছাত্রমৃত্যুর পর ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারী এবং ছাত্রছাত্রীরা র‍্যাগিং বন্ধের উদ্যোগ নেন। ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো ছাড়াও অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটিকে শক্তিশালী করা হয়। শিক্ষকরাও ছাত্রদের বোঝাতে শুরু করেন র‍্যাগিং-এর কুফল কী। এর ফলে ক্যাম্পাসে কমে যায় ছাত্র সংঘর্ষ এবং র‍্যাগিং। বর্তমান পরিস্থিতিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র‍্যাগিং-এর অভিযোগ উঠলেও শিবপুর আইআইইএসটি-তে (Shibpur IIEST) কোনও অভিযোগ নেই।

    রাখি বন্ধন, মিষ্টিমুখ, কার্ড বিতরণ (Shibpur IIEST)

    এই পরিস্থিতিতে প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের মনোবল বাড়াতে ছাত্রদের সেনেট-এর পক্ষ থেকে বুধবার রাখিবন্ধন উৎসব পালন করা হয়। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারীরাও এই উৎসবে শামিল হন। সিনিয়র ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছেন, প্রথম বর্ষের ছাত্রদের মনে ভয় থাকে। সেই ভয় দূর করার জন্য তাঁরা এগিয়ে এসেছেন। রবীন্দ্রনাথের মূর্তির সামনে তাঁরা রাখিবন্ধন পালন করতে প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের হাতে রাখি পরিয়ে দেন। একই সঙ্গে চলে মিষ্টিমুখ এবং কার্ড বিতরণ। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ভাতৃত্ব বোধ গড়ে তোলা এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন সিনিয়র ছাত্ররা (Shibpur IIEST)।

    স্বাগত জানিয়েছেন হাওড়া শহরের মানুষ

    ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিন জানিয়েছেন, অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যখন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তখন এখানে (Shibpur IIEST) ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ভয় কাটাতে সবাই উৎসবে শামিল হয়েছেন। এই অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন হাওড়া শহরের মানুষ। সকলেরই দাবি, শিবপুর আইআইএসটি যে পথে র‍্যাগিং বন্ধ করে জুনিয়রদের কাছে টেনে নিয়েছে, একই পথে হাঁটা উচিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদেরও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যকে নিলামে চড়িয়েছেন’, কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যকে নিলামে চড়িয়েছেন’, কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যকে নিলামে চড়িয়েছেন। আর শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে সার্কাস চলছে। বুধবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়িতে একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মাটিগাড়ায় নাবালিকা ছাত্রীর খুনের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    মাটিগাড়ায় নিহত নাবালিকা ছাত্রীর বাড়িতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)

    মাটিগাড়ায় নাবালিকা ছাত্রীর খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি আগেই সরব হয়েছে। রাজ্যপালও ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। বুধবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। জানা গিয়েছে, এই ছাত্রী খুনের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নকশালবাড়ির হাতিঘিষায় আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। গত ১৫ অগাস্ট হাতিঘিষায় ছ’ জন মিলে এক আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। লজ্জা ও ভয়ে বিষয়টি সেই নাবালিকা গোপন রেখেছিল। কিন্তু, দিনের পর দিন তার চালচলনে পরিবারের লোকদের সন্দেহ হয়। জিজ্ঞেস করতেই সেই নাবালিকা কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা ঘটনা জানায়। তার পর গত মঙ্গলবার বাগডোগরা থানায় পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিন পর পর দুটি ঘটনা নিয়ে সুকান্ত বলেন, আদিবাসী নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা পুলিশ কেন সময়মতো জানতে পারেনি। কেন মাটিগাড়ায় নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হচ্ছে?

    মুখ্যমন্ত্রীকে কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হওয়ার পরও নাবালিকাদের ধর্ষণ, খুন করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যকে নিলামে চড়িয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বের কী  অবস্থা! কোথাও গোর্খা সম্প্রদায়ের মেয়ে, কোথাও আদিবাসী, রাজবংশী মেয়েদের ধর্ষণ, খুন করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সচেতন হওয়া উচিত। নাহলে ক্ষোভ,  আক্রোশ এ ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে। এদের বিশেষ সম্প্রদায়কে দিয়ে টার্গেট করানো হচ্ছে। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চক্রান্ত। আর এর বিরুদ্ধে গোর্খা, আদিবাসী, রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টি আছে।

    শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটকে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, প্রদীপের নীচে অন্ধকার। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হচ্ছে। গত ১৫ অগাস্ট হাতিঘিষায় আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এতদিন পুলিশ তা জানতো না? একের পর এক মহিলাদের উপর যদি এই ধরনের আক্রমণ হয, তাহলে পুলিশ কমিশনারেট কী করছে? কমিশনারেট কী করতে রয়েছে, ঠান্ডা ঘরে বসে বসে মাইনে পাওয়ার জন্য, নাকি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে যোগসাজশ করে অপরাধ সংঘটিত করতে সাহায্য করার জন্য? এটা কমিশনারেট চলছে না, সার্কাস হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur: দত্তপুকুরে সরকারি ছাপ দেওয়া বস্তায় বেআইনি বাজি! সব জেনেও পুলিশ কী করছিল?

    Duttapukur: দত্তপুকুরে সরকারি ছাপ দেওয়া বস্তায় বেআইনি বাজি! সব জেনেও পুলিশ কী করছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সরকারি স্ট্যাম্প দেওয়া বস্তায় ভরে বাজি পাচার। দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোল গ্রামে বিস্ফোরণস্থলের একেবারে কাছেই দুটি দোকান ঘরে এরকম কয়েকশো বাজির বস্তার হদিশ। যেগুলির প্রতিটিতেই কোনও না কোনও সরকারি সংস্থার ছাপ দেওয়া রয়েছে। পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই বাজি কারবারিরা এই অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু, তারপরেও পুলিশ সেই সমস্ত বাজি ভর্তি বস্তা বাজেয়াপ্ত কিংবা দোকানঘর থেকে সরাতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি, এমনটাই অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তাই উঠছে প্রশ্ন।

    ল্যাবরেটরির পর সরকারি ছাপ দেওয়া বস্তার হদিশ

    দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোলে বিস্ফোরণের পর বিভিন্ন জঙ্গল এবং বাঁশঝাড়ে বাজির উপকরণ ফেলে দিয়েই চম্পট দেয় শ্রমিকরা। যা এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আশেপাশে। মঙ্গলবারই নিহত কেরামত আলির রাসায়নিক ভর্তি গোডাউনের হদিশ পাওয়া যায়। তারও আগে বেরুনান পুকুরিয়ার একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরির হদিশ মিলেছিল। সেখান থেকে টেস্টটিউবের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তেমনই অত্যাধুনিক সেই ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন ধরনের বোমা-বাজির পরীক্ষা-নিরীক্ষারও বন্দোবস্ত ছিল। এবার হদিশ মিলল সরকারি ছাপ দেওয়া বাজি মজুতের বস্তা।

    পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা? (Duttapukur)

    দত্তপুকুর (Duttapukur) থানার ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের মোচপোল গ্রাম এবং তার আশপাশে বাজিই যেন কুটির শিল্প। এলাকার যেদিকেই চোখ যাবে সেদিকেই লক্ষ্য করা যাবে ছোট, বড়, মাঝারি মাপের বাজি তৈরির গোডাউন। কেউ কেউ আবার ঘর ভাড়া নিয়ে বাজির কারখানা করে ফেলেছেন। ঘটনাস্থলের ১০-১৫ ফুট দূরে পরপর তিনটি শাটার দেওয়া দোকানঘরের হদিশ পাওয়া যায়। এর দুটিতেই থরে থরে সাজানো ছিল সরকারি ছাপ দেওয়া বাজি ভর্তি বস্তা। কোনও বস্তায় ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ায় ছাপ দেওয়া, আবার কোনওটায় পাঞ্জাব সরকার, কর্ণাটকের চিনি কলের ছাপ দেওয়া রয়েছে বস্তায়। কার্যত অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেগুলো। পুলিশের এই গা-ছাড়া মনোভাব আতঙ্ক বাড়িয়েছে মোচপোল গ্রামের বাসিন্দাদের। এ বিষয়ে একজন এলাকাবাসী বলেন, দোকানঘরগুলি কেরামত আলি ভাড়া দিত। সেখানে বাজি মজুত করত সে। আমরা বললেও আমাদের কথা তারা শুনত না। উল্টে টাকার গরম দেখিয়ে ভয় দেখাত আমাদের। পুলিশেকে টাকা খাইয়ে এই বেআইনি কারবার চালাত। আমরা গরিব, আমাদের টাকাপয়সা নেই। তাই পুলিশ আমাদের কথা শুনতো না। সরকারি স্ট্যাম্প দেওয়া বস্তায় বাজি মজুতের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল এলাকা জুড়ে। যে বস্তায় খাদ্সামগ্রী থাকার কথা, সেই বস্তায় কীভাবে বাজি মজুত হল, এখন সেটাই সব থেকে বড় দেখার প্রশ্ন। পাশাপাশি কীভাবেই বা সেই সরকারি ছাপ দেওয়া বস্তা বাজি কারবারিদের কাছে পৌঁছে গেল, তা নিয়েই এখন শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতিতে ধৃত মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি সিবিআই-এর

    Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতিতে ধৃত মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন মিডলম্যান প্রসন্ন রায়। বুধবার তাঁর নিউটাউনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাল সিবিআই। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে ন’টার পর নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা (Recruitment Scam)। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই ফ্ল্যাটে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি রয়েছে বলে খবর ছিল তাঁদের কাছে।  ধৃত (Recruitment Scam) মিডলম্যান প্রসন্ন রায় বর্তমানে জেলে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, বুধবার যে ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয় সেটি প্রসন্ন রায়ের স্ত্রীর নামে রয়েছে। সেখান থেকে এদিন বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছে সিবিআই। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাটের তল্লাশি (Recruitment Scam)। তবে এই প্রথম নয়, নিউটাউনের ফ্ল্যাটে সিবিআই আগেও তল্লাশি চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    মিডলম্যান প্রসন্ন করতেন গাড়ির ব্যবসা

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছরই গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রসন্ন রায়কে (Recruitment Scam)। তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি মেলে এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি তাঁর কাছ থেকে পাওয়া যায়। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০২ সাল থেকে গাড়ি ব্যবসার সঙ্গেই যুক্ত রয়েছেন প্রসন্ন রায়। তাঁর ওই সংস্থার অফিস ছিল উত্তর কলকাতায়। প্রসন্ন রায়ের সংস্থার এক কর্মীর দাবি, শিক্ষা দফতরেও গাড়ি ভাড়া দিতে দেখা যেত প্রসন্ন রায়কে (Recruitment Scam)। এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা এই নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় ধৃত শান্তিপ্রসাদ সিনহার অফিসেও একাধিকবার গাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন প্রসন্ন। সেই সূত্রেই কি নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) জড়িয়ে পড়া তাঁর? এ প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

    নিয়োগ-দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্ত চলছে ২০২২ সাল থেকে 

    নিয়োগ-দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) গ্রেফতারি শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের জুলাই মাসে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় প্রথম গ্রেফতার হন ইডির হাতে। এরপরে তৃণমূলের ছোট, বড়, মাঝারি অনেক নেতাই গত এক বছরে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় আটক হয়েছেন। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, সেই সময়কার একাধিক শিক্ষা আধিকারিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই দুর্নীতির জাল যে অনেক দূর পর্যন্ত রয়েছে তা স্বীকার করে নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা (Recruitment Scam)। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার সন্দেহে ১২৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘সাগরদিঘিতে জিততে পারেনি, ধূপগুড়িতেও পারবে না’, তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘সাগরদিঘিতে জিততে পারেনি, ধূপগুড়িতেও পারবে না’, তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল মানেই চোর, আর এই দলটার নাম এখন তৃণমূল নয়, তোলামূল। ধূপগুড়িতে নির্বাচনী সভা করতে এসে তৃণমূলকে এই ভাষাতেই বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে যেভাবে মানুষকে ভোট দিতে না দিয়ে ভোট লুট করেছে, এবারের নির্বাচনে মানুষ তার জবাব দেবে। আগামী লোকসভা ভোটেও মানুষ জবাব দেবে। সাগরদিঘিতে ভোট হয়েছিল জিততে পারেনি, এখানেও পারবে না। বুধবার বিকেলে ধূপগুড়ি শহরে শুভেন্দু অধিকারী দলীয় প্রার্থী তাপসী রায়কে সঙ্গে নিয়ে একটি র‍্যালি করেন। র‍্যালিটি গোটা ধূপগুড়ি শহর পরিক্রমা করে নেতাজিপাড়ার সভাস্থলে গিয়ে শেষ হয়। র‍্যালিতে প্রচুর কর্মী সমর্থক অংশ নিয়েছিলেন।

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    এদিন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলকে এক হাত নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এই দলের প্রধান কাজ হলো চুরি। কীভাবে সাধারণ মানুষের টাকা মেরে দিয়ে নিজেদের পকেট ভর্তি করা যায় সেটাই মূল উদ্দেশ্য। নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চোর আখ্যা দিয়ে বলেন, বালি,পাথর, কয়লা গরু,চাকরি চুরি তো করেইছেন। গরিব মানুষের আবাস যোজনার টাকাও ছাড়েননি। প্রায় ৫০ লক্ষ আবাস যোজনার টাকা দেওয়া হয়েছে সেখানে ধূপগুড়িও ছিল। কিন্তু, ধূপগুড়ির মানুষও এই প্রকল্পের টাকা পান নি। সভায় বক্তব্য রাখার মাঝখানেই কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলের নামে চোর চোর স্লোগান তোলেন।

    ধূপগুড়িবাসীকে কী বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    ধূপগুড়িবাসীর প্রতি আবেদন রেখে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, যদি তৃণমূল জেতে তাহলে চোরেরা জিতবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়,অনুব্রত মণ্ডল, মানিক ভট্টাচার্যরা জিতবে। তাই, এই চোরেদের কোনওভাবেই ভোট না দিতে সকলের কাছে আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, এই চোরেদের সর্দার কিছুদিনের মধ্যেই জেলে যাবে। রাজ্যের মানুষ এদের প্রত্যাখ্যান করেছে। মানুষ বুজে গেছে। এখন অপেক্ষা শুধু ফলাফলের। এদিন এই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সহ অন্যান্য জেলা নেতারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim medinipur: পশ্চিম মেদিনীপুরে তিনটি দলীয় কার্যালয়ে তালা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Paschim medinipur: পশ্চিম মেদিনীপুরে তিনটি দলীয় কার্যালয়ে তালা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনটি দলীয় কার্যালয় কার দখলে থাকবে, অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি, না অঞ্চল তৃণমূলের সহ-সভাপতির। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। তৃণমূল কার্যালয়ে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনা-২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর-২ পঞ্চায়েত এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Paschim Medinipur)

    পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের ভগবন্তপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটি বিবাদ রয়েছে। মূলত অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় ও  অঞ্চল কমিটির সহ-সভাপতি  তথা ভগবন্তপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ইসমাইল খানের মধ্যে বিবাদ লেগেই রয়েছে। জানা যায়, দলীয় নির্দেশকে মান্যতা না দিয়েই গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে থাকা ইসমাইল অনুগামীরা গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে প্রধান নির্বাচিত করেন। মূলত নির্দলদের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। তারপর থেকেই এলাকায় রয়েছিল চাপা উত্তেজনা। আর মঙ্গলবার ইসমাইল অনুগামীরা নির্দলের জয়ী সদস্যকে নিয়ে এলাকায় একটি মিছিল করেন। আর সেই মিছিলের পরেই তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়গুলি দখলের অভিযোগ তুলছে তৃণমূলের রামকৃষ্ণ রায়ের অনুগামী তথা তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। ভগবম্তপুর দুই পঞ্চায়েত এলাকার কল্লা, খুড়শি, ভগবন্তপুরে  তিনটি তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় রয়েছে। তিনটি কার্যালয় দখলের অভিযোগ জয়ী নির্দল কর্মীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলল নির্দল কর্মীরা। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় তালা দেওয়ার ঘটনায় নির্দলদের মদত দেওয়ায় নাম জড়াল। এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ, তৃণমূলের যে দুটি দলীয়  বুথ কার্যালয় ও একটি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় ছিল। মঙ্গলবার রাতে সেই কার্যালয়ে তালা দিয়ে দিয়েছে নির্দল কর্মীরা। এলাকার কিছু সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা নির্দলদের সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের কিছু নেতাদের মদতে এই কার্যালয়গুলিকে দখল করে নিয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূলের অঞ্চল  সভাপতি?

    তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, নির্দলের সমর্থন নিয়ে তৃণমূলের একাংশ বোর্ড গঠন করেছে। তৃণমূলের একটি অংশের সমর্থনে এই এলাকায় নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছে। তারা মিছিল করে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।

    কী বললেন অঞ্চল তৃণমূলের সহ সভাপতি?

    তৃণমূলের সহ সভাপতি ইসমাইল খান বলেন, নির্দলরা কেউ ছিল না। সকলেই দলের কর্মী। অঞ্চল সভাপতি দলীয় কার্যালয় তালা দিয়েছিলেন। কর্মীরা তা মানেনি। তালা ভেঙে দলীয় কর্মীরা পার্টি অফিসে ঢুকেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পুর নিয়োগ দুর্নীতি! ইডির নোটিশের উত্তর পাঠাল ডায়মন্ডহারবার পুরসভা

    ED: পুর নিয়োগ দুর্নীতি! ইডির নোটিশের উত্তর পাঠাল ডায়মন্ডহারবার পুরসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে ডায়মন্ডহারবার পুরসভার নাম আগেই জড়িয়েছিল বলে জানা গিয়েছে (ED)। তদন্তের স্বার্থে পুরসভাকে বেশ কিছু প্রশ্ন সম্বলিত নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। এবার সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর ইডিকে পাঠালো পুরসভা। জানা গিয়েছে, ইডির (ED) প্রশ্ন ছিল যে কতজনকে নিয়োগ করা হয়েছিল? পাশাপাশি তাঁদের নাম, ঠিকানা সহ অন্যান্য তথ্যও চেয়ে পাঠানো হয়েছিল নোটিশে। সেই সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডায়মন্ডহারবার পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান প্রণব দাস।

    ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ১৬ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় পুরসভায়

    প্রসঙ্গত ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ১৬ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় পুরসভায় (ED)। অভিযোগ, এই নিয়োগের জন্য প্রশ্নপত্রের তৈরি করে অয়ন শীলের সংস্থা। চেয়ারম্যানের অবশ্য দাবি যে অয়ন শীলকে তিনি চিনতেন না এবং পুরসভার ব্যবস্থাপনাতেই পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়। চেয়ারম্যানের আরও দাবি, স্বচ্ছভাবেই ১৬ জনকে নিয়োগ করা হয়। জানা গিয়েছে যাঁদের নিয়োগ (ED) করা হয় তাঁরা প্রত্যেকেই ওই পুরসভার অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। জানা গিয়েছে ওই ১৬ জনের মধ্যে ৩ জন বহিরাগত এবং বাকি ১৩ জন স্থানীয়। তখন পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শহরের ১০ নম্বরের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীরা হালদার।

    কী বলছেন পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান মীরা হালদার?

    পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান মীরা হালহার অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন (ED)। তিনি বলেন, ‘‘২০১৬-২০১৭ সালের মধ্যে ওই নিয়োগ হয়েছে। তারিখটা সঠিক বলতে পারব না। তবে নিয়োগ স্বচ্ছ ভাবেই হয়েছে। বোর্ড অফ কাউন্সিল বৈঠক করে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর একটি এজেন্সির মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হয় (ED)।’’ মীরাদেবীর আরও সংযোজন, ‘‘টেন্ডারের মাধ্যমে একটি সংস্থাকে পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাতে অয়ন শীল বলে কে আছেন কিংবা না আছেন, তা জানা সম্ভব ছিল না।’’  প্রসঙ্গত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত করতে গিয়েই উঠে আসে অয়ন শীলের নাম এবং সেখান থেকেই সন্ধান মেলে রাজ্যে ৬০ পুরসভায় পুর নিয়োগ দুর্নীতির (ED)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share