Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Asansol: জিতেন্দ্রর আসানসোলে ঢুকতে বাধা নেই, হাইকোর্ট কী শর্ত দিল জানেন?

    Asansol: জিতেন্দ্রর আসানসোলে ঢুকতে বাধা নেই, হাইকোর্ট কী শর্ত দিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোল (Asansol) পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র| তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির আর আসানসোলে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা রইল না। আদালতের নির্দেশে তিনি এই শহরে ঢুকতে পারতেন না। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে আসানসোলে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে। তাঁকে হাইকোর্টের তরফে এই ছাড় দেওয়ার যদিও ক্ষেত্রে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। যা তাঁকে মেনে চলতে হবে।

    বিজেপি নেতাকে কী কী শর্ত দিল হাইকোর্ট?(Asansol)

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলের (Asansol) রেলপারের রামকৃষ্ণ ডাঙালে কম্বল বিতরণ করার সময় পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। তাতে তিনজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মৃত এক মহিলার ছেলের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে থেকে আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি, তাঁর স্ত্রী আসানসোল পুরনিগমের বিজেপি কাউন্সিলার চৈতালি তেওয়ারি,একাধিক কাউন্সিলর সহ বেশ কয়েকজনের নামে মামলা করা হয়। কয়েক মাস পরে জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে উত্তরপ্রদেশের নয়ডা থেকে গ্রেফতার করে দিল্লি হয়ে আনা হয়েছিল আসানসোলে। তারপর তাঁকে পরে কলকাতা  হাইকোর্ট জামিন দিলেও আসানসোলের ঢোকার অনুমতি দেয়নি। তাঁকে শুনানির দিনে আসানসোল জেলা আদালতে মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এসে হাজিরা দিতে হত। পরে আসানসোলে আসা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জিতেন্দ্র তেওয়ারি আবেদন জানিয়েছিলেন।

    কী বললেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি?

    এই প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন,  এদিন কলকাতা হাইকোর্ট থেকে আমার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন আসানসোলে (Asansol) আমার আসার ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকল না। এখানেই আমার আবাসনও  আছে। কোনও কর্মসূচি করার ক্ষেত্রেও আর অসুবিধা নেই। তবে, প্রতি ১৫ দিন পর পর একবার করে আমাকে এই মামলার তদন্তকারী জ অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে হবে। আদালতের সব নির্দেশ আমি মেনে চলব। উল্লেখ্য, এই মামলাতেই তাঁর স্ত্রী এবং একাধিক কাউন্সিলররা যুক্ত থাকলেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে গতি আনতে ‘স্পিড প্রোগ্রাম’! নয়া নির্দেশিকা রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে গতি আনতে ‘স্পিড প্রোগ্রাম’! নয়া নির্দেশিকা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালগুলির কাজে গতি আনতে নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে দ্রুত ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই ‘স্পিড প্রোগ্রাম’ চালু করার কথা ভেবেছেন আচার্য। একই সঙ্গে রাজভবনে রিয়েল টাইম মনিটরিং সেল চালু করার কথাও বলা হয়েছে।

    রাজভবনের নয়া নির্দেশিকা

    মঙ্গলবার রাতে রাজভবন থেকে প্রকাশিত ওই নির্দেশিকায় শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ২৫টি কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, বকেয়া কাজগুলি চিহ্নিত করে সেগুলি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শেষ করার জন্য একটি পরামর্শদাতা কমিটি গড়ার কথাও জানিয়েছেন আচার্য। থাকবে ২৫ সদস্যের শিক্ষক নির্বাচন কমিটিও। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাজের মূল্যায়নের জন্য রাজভবনে একটি ‘রিয়েলটাইম মনিটরিং সেল’ও স্থাপন করা হয়েছে। উপাচার্যেরা যে কোনও সময় আচার্য বোসের ওই মনিটরিং সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। দিনের ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে ওই টেলিফোন নম্বর (০৩৩-২২০০১৬৪২) পাশাপাশি ই-মেলে (aamnesaamne.rajbhavankolkata@gmail.com) অভিযোগ জানাতে পারা যাবে ওই মনিটরিং সেলকে। 

    আরও পড়ুন: শতবর্ষ পেরিয়েও সমান জনপ্রিয় সিউড়ির তাঁতিপাড়ার জিলিপি! লুকিয়ে কোন রহস্য?

    উপাচার্য নিয়োগ বিল নিয়ে মামলা

    বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে মরিয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন তিনি। এদিকে উপাচার্য নিয়োগ বিল মামলায় রাজ্যপালের অফিসের কাছে হলফনামা চেয়েছে হাইকোর্ট। ৪ অক্টোবরের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০২২ সালে জুন মাস উপাচার্য নিয়োগ বিল পাস হয় বিধানসভায়। এরপর রীতিমাফিক সেই বিল রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া ওই বছরের ২৫ জুন। কিন্তু বিলে স্বাক্ষর করা তো দুরঅস্ত, রাজ্যপাল কোনও পদক্ষেপই করেননি বলে অভিযোগ। ১৪ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপাল আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ঝালদা পুরসভাকে নোটিস পাঠাল ইডি, জেলাজুড়ে শোরগোল

    ED: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ঝালদা পুরসভাকে নোটিস পাঠাল ইডি, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার নাম জড়াল পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা। ইতিমধ্যেই ইডির (ED) পক্ষ থেকে এই পুরসভায় নোটিস ধরানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইডি এই পুরসভায় নোটিস পাঠানোয় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে বারাকপুর মহকুমার ৬টি পুরসভাকে ইডি নোটিস পাঠিয়েছিল। এমনকী কামারহাটি পুরসভার একাধিক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির মূল পান্ডা অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী কামারহাটি পুরসভায় চাকরি করেন। অয়ন শীলের সংস্থার প্যানেলে তাঁর চাকরি হয়েছিল। ইডি তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। এরপর কয়েকদিন আগে ডায়মন্ডহারবার পুরসভাকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি নোটিস করেছিল। এবার সেই তালিকা চলে এল ঝালদা পুরসভা।

    ইডি (ED) নোটিস প্রসঙ্গে কী বললেন পুরসভার প্রধান করণিক?

    এ প্রসঙ্গে ঝালদা পুরসভার প্রধান করণিক গৌতম গোস্বামী বলেন, সোমবার ডাক যোগে ও ইমেলে এই নোটিস পান। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে যে সব নিয়োগ হয়েছে তাঁদের বায়োডাটা-সহ সমস্ত নথি জমা করতে হবে। সেইসঙ্গে সেই সময় থেকে পুরপ্রধান, নির্বাহী আধিকারিক-সহ পুর কর্মচারীদের নাম, ফোন নম্বর এক সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে। সেইভাবে প্রস্তুতিও নিচ্ছে পুরসভা। পুরসভার পক্ষ থেকে সবরকমভাবে সহযোগিতা করা হবে।

    বিরোধীদের কী বক্তব্য?

    প্রসঙ্গত, পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর হয়েছে ইডি (ED)। ২০১৬-১৭ সালে নিয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চেয়ে চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি বলেই দাবি বর্তমান চেয়ারম্যানের। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুরসভাগুলিতেও নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তোলে ইডি, সিবিআই। তার ভিত্তিতেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, পুর-দুর্নীতিরও তদন্ত হওয়া উচিত এবং তা করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত ২১ এপ্রিল পুরসভায় দুর্নীতির তদন্তভারও সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই তদন্ত করছে ইডিও। বিরোধীদের বক্তব্য, আমরা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বার বার সরব হয়েছিলাম। এবার সেটাই প্রমাণিত হল। আমাদের বিশ্বাস, ইডি প্রকৃত সত্য উদঘাটন করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Joka-Taratala Metro: পুজোর মধ্যেই মাঝেরহাট পর্যন্ত মেট্রো! আন্তর্জাতিক মানের স্টেশনের জন্য চলছে কাজ 

    Joka-Taratala Metro: পুজোর মধ্যেই মাঝেরহাট পর্যন্ত মেট্রো! আন্তর্জাতিক মানের স্টেশনের জন্য চলছে কাজ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর মধ্যেই মাঝেরহাট পর্যন্ত সম্প্রসারিত হতে পারে জোকা-তারাতলা মেট্রো (Joka-Taratala Metro) রুট। এই লাইনে মেট্রো জোকা থেকে এসপ্লানেড অবধি চলার কথা। মাঝেরহাট রেল স্টেশনের মাধ্যমে শিয়ালদহ-বজবজ শাখার রেললাইনের সঙ্গে যুক্ত হবে এই মেট্রো। এর ফলে যাত্রীরা মাঝেরহাট স্টেশনে প্রয়োজন অনুযায়ী ট্রেন অথবা মেট্রো বদল করতে পারবেন। 

    মেট্রোর কাজ আর কত দূর

    মেট্রো রেল সূত্রে খবর, মাঝেরহাট স্টেশনের কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পূর্ণ করার চেষ্টা চলছে। এই মেট্রোয় (Joka-Taratala Metro) তারাতলা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত অংশে উড়ালপথ তৈরির কাজ আগেই শেষ হয়েছে। নতুন স্টেশনের ভিতরে এবং বাইরে বিভিন্ন সাজসজ্জার কাজ সম্পূর্ণ করার পর্ব চলছে এখন। আপাতত প্ল্যাটফর্মের ছাদে পিভিসি শিট লাগানোর কাজ চলছে। বসানো হচ্ছে চলমান সিঁড়ি।  বয়স্ক যাত্রীদের জন্য লিফট বসানোর কাজও হচ্ছে। স্টেশনের দেওয়ালে নানারকম গ্রাফিতি, ছবিও করা হবে। সবমিলিয়ে মাঝেরহাট স্টেশনকে আন্তর্জাতিক মানের এবং দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছেন না মেট্রো কর্তারা। মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘দ্রুত মাঝেরহাট পর্যন্ত পরিষেবা চালুর চেষ্টা চলছে।’’ এতদিন জোকা থেকে তারাতলা অবধিই কিছুটা রাস্তায় মেট্রো চলাচল করছিল। এবার তা আরও একটু বাড়িয়ে মাঝেরহাট (Majherhat Metro) অবধি চালু হবে বলে ঠিক হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ! কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে টানা চার দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মেট্রো হলে কী সুবিধা

    মাঝেরহাট মেট্রো (Joka-Taratala Metro) স্টেশন তৈরি হচ্ছে শিয়ালদহ-বজবজ শাখার রেললাইনের উপরে আড়াআড়ি ভাবে। মাঝেরহাট সেতুর সঙ্গে সমান্তরালে থাকা এই মেট্রো স্টেশন তৈরি হয়েছে রেললাইনের উপরে ইস্পাতের গার্ডার বসিয়ে। চালু রেললাইনের উপরে রেল স্টেশন, প্রতীক্ষালয়, লাউঞ্জ ইত্যাদি থাকলেও মেট্রো স্টেশন তৈরি হওয়ার নজির সেই অর্থে বিরল বলেই জানাচ্ছেন আধিকারিকেরা। এই মেট্রো চালু হলে বেহালাবাসীর সুবিধা হবে। বালিগঞ্জ, টালিগঞ্জ, আলিপুর থেকে যাঁরা বেহালার দিকে যান, তাঁদের অটো এবং বাস-নির্ভরতাও কমাবে এই মেট্রো। শিয়ালদহ ডিভিশনের বহু যাত্রী মাঝেরহাট স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে মেট্রো পরিষেবার সুযোগ নিতে পারবেন। 

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: পশ্চিম মেদিনীপুরে অবাক কাণ্ড, বন্ধ স্কুল ঘরের মধ্যে থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ!

    Paschim Medinipur: পশ্চিম মেদিনীপুরে অবাক কাণ্ড, বন্ধ স্কুল ঘরের মধ্যে থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধ স্কুলের ঘরের মধ্যে থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে। রাস্তা দিয়ে কেউ গেলে থমকে যাচ্ছেন। একজন বা দুজন নয়, স্কুলের আশপাশে থাকা অনেকেই সেই আওয়াজ নিজের কানে শুনেছেন। ঘটনাটি ঘটে সোমবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার মেদিনীপুর শহরের কুইকোটা শংকরী বিদ্যায়তন হাইস্কুলে। কোনও বাচ্চা আটকে রয়েছে ভেবে স্কুল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন অনেকে। কিন্তু, স্কুল গেটের তালা খুলে সকলেই হতবাক। কোনও কান্নার আওয়াজ নেই। কোনও বাচ্চাও নেই। ঘটনায় চমকে যান অনেকেই। তবে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ এল কোথা থেকে? সেই উত্তর কেউ খুঁজে পাননি।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন? (Paschim Medinipur)

    স্কুলের ভেতরে এই ধরনের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) কোতোয়ালি থানার পুলিশ আসে। দীর্ঘক্ষণ স্কুলে খোঁজাখুঁজির পরও স্কুলের ভেতর কোনও বাচ্চার উপস্থিতি নজরে আসেনি পুলিশ ও এলাকাবাসীদের। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চালায় এলাকাবাসী ও পুলিশ কর্মীরা। স্কুলের ভিতর থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ ভেসে আসায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আমরা বিকেলের পর থেকেই ওই স্কুলের ভেতর থেকে একটা আওয়াজ পাই। আওয়াজটা শুনে মনে হবে একটা বাচ্চার কান্নার আওয়াজ। আমরা ভাবি, কোনও বাচ্চা হয়তো বন্ধ স্কুলের মধ্যে আটকে পড়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলরকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ডেকেও খোঁজ হয়। কিন্তু কিছু পাওয়া যায়নি।  আদৌ কোনও বাচ্চার কান্নার আওয়াজ নাকি অন্য কিছু সে সম্বন্ধে পরিষ্কার কোনও ধারণা দিতে পারেনি পুলিশও। ঘটনায় আমরা বেশ আতঙ্কে রয়েছি।

    কী বললেন স্থানীয় কাউন্সিলার?

    স্থানীয় কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাকে বিকেলের দিকে একবার খবর দেওয়া হয়। আমি স্কুলের একজনকে নিয়ে এসে তালা খুলে সমস্ত জায়গায় খুঁজে দেখি। কিন্তু, কিছু পাওয়া যায়নি। এরপর আমি ফিরে যাই। ফের সন্ধ্যার পর এরকম আওয়াজ পাওয়া যায়। বাধ্য হয়ে আমি পুলিশকে খবর দিই। পুলিশের সঙ্গেও আরেক দফা স্কুলে গিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু, সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি। স্কুলের বন্ধ ঘর থেকে কেন ওই আওয়াজ এল তা বুঝতে পারলাম না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে শাসক দল, অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    BJP: ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে শাসক দল, অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে শাসক দল, এই অভিযোগে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বঙ্গ বিজেপি (BJP)। মঙ্গলবার বিজেপির ৩ জনের প্রতিনিধি দল এবিষয়ে অভিযোগ জানাতে যায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় ও দলের নেতা শিশির বাজোরিয়া। শাসক দলের ঘনিষ্ঠ ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের নির্বাচনের কাজে না লাগানোর দাবিও জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।

    কী দাবি জানাল বিজেপি (BJP)?

    বিজেপির (BJP) দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে শাসক দলের মদতে জেলা প্রশাসন মৃত ব্যক্তিদের নাম রেখে দিচ্ছে ভোটার তালিকায়। যাতে নির্বাচনে শাসক দল কারচুপি করতে পারে। প্রসঙ্গত বছর ঘুরলেই রয়েছে লোকসভা ভোট। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। কোথাও কোথাও তো মোট ভোটারের থেকে বেশি ভোটও পড়তে দেখা যায়, যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য জুড়ে। কারচুপি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় হাইকোর্টে চূড়ান্ত ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। এবার লোকসভার সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশের আগেই কারচুপির অভিযোগে সরব রাজ্য বিজেপি। 

    বিজেপির (BJP) আরও অভিযোগ

    বিজেপির (BJP) আরও অভিযোগ, ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ এবং ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ নামের দুটি প্রকল্প রাজ্য সরকার চালাচ্ছে, যা বাইরের সংস্থাকে টেন্ডার দিয়ে চালানো হচ্ছে। এই সংস্থার কর্মীরাও শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। দলের দাবি, ওই দুই প্রকল্পের কর্মীদের যেন কোনওভাবেই ভোটার তালিকার কাজে না রাখা হয়। এদিন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া বলেন, ‘‘শাসক দলের মদতে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করা হচ্ছে ভোটার তালিকায়। আমি এটাকে ভুল বলব না, এটা হল এক ধরনের চুরি। এনিয়ে আমরা অভিয়োগ জানিয়েছি।’’ বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, নির্বাচনে যাতে কারচুপি না হয়, তাই স্বচ্ছ ভোটার তালিকার দাবিতে তাঁরা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন।  প্রসঙ্গত, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী প্রকল্পে যে ফোন নং ব্যবহার করা হচ্ছে তা দিদিকে বলো কর্মসূচির ফোন নং। এনিয়ে দলের অভিযোগ, পার্টির কর্মসূচির ফোন নং সরকারি কাজে ব্যবহার করছে শাসক দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বালুরঘাট-গুয়াহাটি ‘বোল্লা-কামাখ্যা’ এক্সপ্রেস ট্রেনের দাবি, রেলমন্ত্রকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: বালুরঘাট-গুয়াহাটি ‘বোল্লা-কামাখ্যা’ এক্সপ্রেস ট্রেনের দাবি, রেলমন্ত্রকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট থেকে সরাসরি ট্রেন ছুটবে গুয়াহাটি পর্যন্ত। একদিকে ঐতিহ্যবাহী মা বোল্লা, অন্যদিকে শক্তিপীঠ মা কামাখ্যা। ফলে বালুরঘাট স্টেশন থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত এই প্রস্তাবিত ট্রেনের নাম রাখা হতে পারে বোল্লা-কামাখ্যা এক্সপ্রেস। ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রকের কাছে এমনই প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সুদৃঢ় হবে

    ২০০৪ সালে ভারতীয় রেলের মানচিত্রে বালুরঘাট সংযুক্ত হয়। প্রথমে বালুরং-মালদা গৌড় লিংকের মাধ্যমে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তারপর একে একে শিয়ালদা, কলকাতা, শিলিগুড়ি ও হাওড়ার একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন পেয়েছে এই শহর। সর্বশেষ নবদ্বীপ পর্যন্ত একটি ট্রেন জুটেছে বালুরঘাটের কপালে। ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে একাধিক প্ল্যাটফর্মেরও প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। যার জেরে দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে বালুরঘাট রেল স্টেশনে। অন্যদিকে, দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলের জন্য কারশেড নির্মাণের কাজ চলছে। কিন্তু, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে শুধু শিলিগুড়ি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস রয়েছে। তাছাড়া আর কোনও ট্রেন নেই বালুরঘাটে। অন্যদিকে, রেল উন্নয়ন কমিটির তরফেও দক্ষিণ দিনাজপুর-পূর্ব ভারতের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষাকারী ট্রেনের দাবি তোলা হয়েছে। সাংসদের (Sukanta Majumdar) প্রস্তাবিত বোল্লা-কামাখ্যা এক্সপ্রেস নামকে সমর্থন জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। দুই মাতৃশক্তিকে সম্মান প্রদর্শনের এই চিন্তাভাবনাকে অনেকেই কুর্ণিশ জানাচ্ছেন। এর ফলে, দক্ষিণ দিনাজপুরের সঙ্গে পূর্ব ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থাও সুদৃঢ় হবে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    বালুরঘাট কলেজের অধ্যাপক ডঃ দুলাল বর্মন বলেন, ‘কলকাতা যেতে চাইলে আমরা তিনটি ট্রেন ধরতে পারি। কিন্তু, উত্তরবঙ্গে যেতে গেলে শুধু শিলিগুড়ির একটি রয়েছে। তাছাড়াও, অসম, মেঘালয় সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরের তেমন যোগাযোগ নেই বললেই চলে। তাই বিভিন্ন কাজে ও ভ্রমণের জন্য সেই রাজ্যগুলিতে যেতে চাইলে সমস্যায় পড়তে হয়। পাশাপাশি, অনেকেই কামাখ্যা মায়ের কাছে যান। তাঁদের ক্ষেত্রে এমন ট্রেন পেলে অনেক সুবিধা হবে।’

    একলাখি-বালুরঘাট রেল উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কী বললেন?

    একলাখি-বালুরঘাট রেল উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পীযূষকান্তি দেবের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই দাবি জানিয়ে আসছি। জেলাবাসীর অনেকেই অসম ভ্রমণে যান। এই ট্রেন চালু হলে সকলেই খুশি হবে। বোল্লা-কামাখ্যা এক্সপ্রেসের দাবি সাংসদ (Sukanta Majumdar) তুলেছেন। আমরা এর সমর্থন জানাই।’

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ? (Sukanta Majumdar)

    বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বক্তব্য, ‘বালুরঘাট স্টেশনে লাইনের কাজ পুরো উদ্যমে চলছে। এই কাজের জন্য অনেক উদ্যোগ আটকে রয়েছে। এই লাইন তৈরি হলেই অনেক সম্ভাবনাময় ট্রেন আমরা পাব। আমি ইতিমধ্যেই বালুরঘাট থেকে গুয়াহাটি যাওয়ার ট্রেনের দাবি জানিয়েছি। যা বোল্লা-কামাক্ষা এক্সপ্রেস নাম হতে পারে। জেলার এক মাতৃশক্তি ক্ষেত্র থেকে অসমে শক্তিপীঠ পর্যন্ত এই ট্রেন চলাচল করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: পুরুলিয়ার হাসপাতালে এ কী কাণ্ড, মোবাইলের আলোতে চলছে প্রসূতিদের চিকিৎসা!

    Purulia: পুরুলিয়ার হাসপাতালে এ কী কাণ্ড, মোবাইলের আলোতে চলছে প্রসূতিদের চিকিৎসা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোডশেডিংয়ে জেরবার রাজ্যবাসী। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে উদ্যোগী নয় রাজ্য সরকার। আর এই লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়ল হাসপাতাল পরিষেবায়। অন্ধকারে মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে হচ্ছে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের প্রসব। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া (Purulia) জেলার বলরামপুর ব্লক হাসপাতালে। এই হাসপাতালে এখন এটাই চেনা চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Purulia)

    রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের সঙ্গে পুরুলিয়া (Purulia) জেলাতেও লোডশেডিং হচ্ছে। তার প্রভাব পড়েছে  বলরামপুর ব্লক হাসপাতালে। এই হাসপাতালে প্রতিদিন কয়েকশো রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। হাসপাতালে বহু রোগী ভর্তি থাকেন। প্রসূতিদের নিয়মিত ডেলিভারি হয় এই হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, পরিষেবার জন্য জেনারেটর সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে এক ঠিকাদার সংস্থা। সেই সংস্থাকে টাকা না দেওয়ায় জেনারেটর পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। সন্ধ্যা হলেই হাসপাতাল ডুবছে অন্ধকারে। এর জেরে চিকিৎসা করতে যেমন সমস্যায় পড়ছেন চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা, তেমনই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদেরও। মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে চিকিৎসা করতে হচ্ছে প্রসূতিদের। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের প্রসবও হচ্ছে এই ভাবে। শুধু বিদ্যুৎ নয়, দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতালে জলকষ্ট, শৌচালয় অপরিষ্কার ও হাসপাতাল চত্বর বিষাক্ত আগাছায় ভরে থাকার সমস্যা রয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে বলরামপুরের বিজেপি বিধায়ক বাণেশ্বর মাহাতো বলেন, হাসপাতালে প্রায়শই বন্ধ থাকছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। হাসপাতালের মতো জরুরি বিভাগে বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা করা দরকার। কিন্তু, সেটা করা হয়নি। তাতে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে চিকিৎসকদের সমস্যা হচ্ছে। পুরুলিয়ার (Purulia) বলরামপুরের এই হাসপাতালের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ তিনি করবেন বলেও জানিয়েছেন।

    জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কী বললেন?

    ঘটনা প্রসঙ্গে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. কুনাল কান্তি দে বলেন, বিষয়টি আমাদের গোচরে রয়েছে। জেনারেটর নিয়ে যে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তা ঠিকাদার সংস্থার টাকা বকেয়া থাকার কারণেই হয়েছে। এবার তাদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে রোগীদের কোনওরকম অসুবিধায় না পড়তে হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Railway Minister: জমিজটে থমকে উত্তরবঙ্গের একাধিক রেলপ্রকল্প! রাজ্যকে চিঠি দিলেন রেলমন্ত্রী

    Railway Minister: জমিজটে থমকে উত্তরবঙ্গের একাধিক রেলপ্রকল্প! রাজ্যকে চিঠি দিলেন রেলমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূরত্ব বিচারে ব্যবধান খুবই কম। কোথাও সাত কিলোমিটার, কোথাও আবার আট কিলোমিটার। সামান্য এই পথে রেল পথ সম্প্রসারণ করা যাচ্ছে না শুধুমাত্র জমি জটের কারণে। এরমধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যের বেশ কয়েকটি নতুন রেল পথের শুভ সূচনা করেছিলেন। তার মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর থেকে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ সহ এই জেলার আরও বেশ কয়েকটি রেল পথও রয়েছে। কিন্তু, জমি জটের কারণে  এই সব রেল পথের মেইন লাইনের কাজ এখনও থমকে রয়েছে। সম্প্রতি, রেলমন্ত্রী (Railway Minister) অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজে এই বিষয়ে উদ্যোগী রেল সম্প্রসারণের জন্য রাজ্য সরকারকে জমি জট কাটানোর জন্য চিঠি দিয়েছেন।

    জমি জটে কোন কোন প্রকল্পে থমকে রয়েছে? (Railway Minister)

    জানা গিয়েছে, বুনিয়াদপুর থেকে কালিয়াগঞ্জ। রায়গঞ্জ থেকে ইটাহার। ইটাহার থেকে বুনিয়াদপুর এবং গুঞ্জরিয়া থেকে গাজোল এই সব এলাকায় রেল সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই মতো কাজ শুরু হলেও, পরবর্তী সময়ে জমি-জটের কারণে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। মূলত এটি সম্পূর্ণ হলে উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা এই তিন জেলার মানুষের পরিবহণ এবং ব্যবসায়িক দিক থেকে উন্নতি হবে বলে ব্যবসায়ী মহল সূত্রে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই রেলপথ সম্প্রসারণ হয়ে গেলে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে। শুনেছি রেল দফতর পুনরায় এ প্রকল্প চালু করার উদ্যোগ  গ্রহণ করেছে। তাতে আমরা খুশি।

    ব্যবসায়ীরা কী বলছেন?

    এ বিষয়ে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তথা উত্তর দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সদস্য অঞ্জন রায় বলেন,আমরা বারংবার এই দাবি জানিয়ে এসেছি। আমি হাইকোর্টে একটি মামলাও করেছি জমিজট নিরসনের জন্য। রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর সঙ্গে আমরা রেলমন্ত্রী (Railway Minister) অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছেও এই প্রকল্পটি চালু করার দাবি জানিয়েছি। এই প্রকল্পটি চালু হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধাও নেই বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের উচিত দ্রুত জমি অধিগ্রহণ করে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করা। তাহলে তিন জেলার মানুষেরই উপকার হবে। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ মার্চেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনু বন্ধু লাহিড়ী বলেন, আমরা চাই এই প্রকল্পটি দ্রুত সম্পন্ন হোক। জমিজটের কারণে প্রকল্পটি আটকে গেছে। আমরা চাই, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক। তাহলে সাধারণ মানুষের উপকার হবে তথা জেলার ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও উন্নতি হবে।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, সামান্য রাস্তা শুধু জমিজটের কারণে রেল সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয়নি। রাজ্য সরকারের উদ্যোগ না নেওয়া এর প্রধান কারণ। তাই, আমরা রেলমন্ত্রীর (Railway Minister) সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠিও দিয়েছেন। জমিজট কেটে গেলেই রেল সম্প্রসারণে আর কোনও সমস্যা থাকবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: তৃণমূলে যোগ না দেওয়ার জের! বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীকে বরখাস্ত

    Shantipur: তৃণমূলে যোগ না দেওয়ার জের! বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীকে বরখাস্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার জন্য এরকম ঘটনা ঘটবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি শান্তিপুর (Shantipur) থানার সিভিক ভলান্টিয়ার কার্তিক হালদার। তাঁর বাড়ি শান্তিপুরের নৃসিংহপুরে। বিজেপির টিকিটে স্ত্রী জয়লাভের পর তাঁর সঙ্গে ঘরছাড়া হতে হয়েছিল তাঁকে। চাপের কাছে মাথানত না করায় এবার চাকরি গেল তাঁর। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ একমাস অনুপস্থিত থাকার কারণেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে অপসারণ করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Shantipur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্তিকবাবুর স্ত্রীর নাম সুপর্ণা বর্মন। তিনি ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। দু’বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুপর্ণা বর্মন বিজেপির টিকিটে পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়লাভ করেন। সুপর্ণাদেবী জয়লাভ করলেও স্বামীকে নিয়ে উধাও হয়ে যান। চাপ থাকলেও তিনি তৃণমূলে পরে যোগদান করেননি। এই প্রসঙ্গে বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা সুপর্ণাদেবী বলেন, ‘‘শান্তিপুর (Shantipur) থানার পুলিশ-প্রশাসন থেকে শুরু করে দুষ্কৃতীরা তৃণমূলে যোগদান করার জন্য আমার বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করার জন্য নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে আমার ভোটপ্রচারে একদিনও স্বামীকে পাইনি। বোর্ড গঠনে অংশ নেওয়ার পর তিনি ভেবেছিলেন, এবার বুঝি কিছুটা স্বস্তি মিলবে। কিন্তু, রবিবার রাতে থানা থেকে আমার স্বামীর সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি থেকে বরখাস্তের চিঠি এসেছে।’’

    কাজ চলে যাওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী?

    বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী কর্তিকবাবু বলেন, ‘‘এখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ডিউটিতে অনিয়মিত যোগদানের। কিন্তু, গত ১০ বছর ধরে চাকরিতে কোনও ছুটি পর্যন্ত নিইনি। শান্তিপুর (Shantipur) থানার ওসি সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। তাতে কোনও অন্যায় হয়নি। আমার স্ত্রী বিজেপির সদস্য বলেই আমার চাকরি চলে গেল।’’

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    আসলে নদিয়া জেলার মধ্যে শান্তিপুর (Shantipur) পঞ্চায়েত সমিতিই একমাত্র বিজেপির দখলে। সঙ্গে তিনটে পঞ্চায়েতও। আর সেই জয়ের পর বিশেষ পুলিশি অত্যাচার নেমে এসেছিল। জানা গিয়েছে, শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে ২৯টি আসনের মধ্যে ১৬টিতে জয় পেয়েছে বিজেপি। ১৩টি তৃণমূলের। অভিযোগ, বোর্ড ঘোরানোর খেলায় তৃণমূলের সঙ্গে নেমেছিল পুলিশ-প্রশাসনও। শুধুমাত্র বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী বলে তাঁরা নিজেদের আত্মগোপন রেখেও বোর্ড গঠনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূলে যোগ না দেওয়ার কারণে ওই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের স্বামীর চাকরি চলে গেল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, তাঁরা নিজেদের আত্মগোপন করেই রেখেছিলেন, তাহলে আর চাপ দেওয়া কীভাবে সম্ভব! সিভিক ভলান্টিয়ারের অপসারণের সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক বিষয়। তাতে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share