Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Kolkata Metro: কলকাতার সমস্ত মেট্রো স্টেশনে বসছে স্বয়ংক্রিয় প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর

    Kolkata Metro: কলকাতার সমস্ত মেট্রো স্টেশনে বসছে স্বয়ংক্রিয় প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় খবরে আসে মেট্রোর লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা! এবার মেট্রো লাইনে (Kolkata Metro) আত্মহত্যার চেষ্টা রুখতে উদ্যোগ নিল কর্তৃপক্ষ। পাতাল রেল এসে দাঁড়ানোর পরেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেনের গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে প্ল্যাটফর্মেরও (Kolkata Metro) গেট খুলবে। গেট খোলার পরেই যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারবেন। এর ফলে প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে উন্মুক্ত অবস্থায় আর থাকবে না রেল লাইন। জানা গিয়েছে, কলকাতা শহরের সমস্ত প্ল্যাটফর্মেই এই নয়া স্ক্রিনডোর বসানোর চিন্তাভাবনা শুরু করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রো লাইন (Kolkata Metro) থেকে প্ল্যাটফর্মকে পৃথক করে রাখা এই স্ক্রিন ডোরের ফলে নিরাপত্তা বেশ আঁটোসাঁটো হবে। প্রসঙ্গত শহরের ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে ইতিমধ্যে এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এবার শহরের সমস্ত প্ল্যাটফর্মেই এই ব্যবস্থা চালু করছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    গঙ্গার নিচে মেট্রো রুটে (Kolkata Metro) অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক রাখতে বসছে এক্সজস্ট ফ্যান

    পাশাপাশি গঙ্গার নিচে তেত্রিশ ফুট গভীরতায় ছুটবে মেট্রো (Kolkata Metro)। মাটির এতটা গভীরতায় অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক রাখতে উদ্যোগী হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। হাওয়া চলাচল ঠিক রাখতে বসানো হচ্ছে এক্সজস্ট ফ্যান। এখানেও অবশ্য থাকছে স্ক্রিনডোর (Kolkata Metro)। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেকটাই জোরদার হবে। কারণ কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর করিডরের মেট্রো ব্লু লাইন বলে পরিচিত। পরিসংখ্যান বলছে এই করিডোরে সবথেকে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। প্রায় ৩০ কিলোমিটারের এই করিডরের মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহর সল্টলেক এবং নিউটাউনকে কলকাতার দক্ষিণ শহরতলির সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে।

    কবি সুভাষ থেকে ৯টি স্টেশনের মধ্যে মেট্রো (Kolkata Metro) চলাচল করবে 

    আপাতত কবি সুভাষ থেকে ৯টি স্টেশনের মধ্যে মেট্রো চলাচল করবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই মেট্রো রেল (Kolkata Metro) চলবে বেলেঘাটা পর্যন্ত। স্টেশনগুলি হল, কবি সুভাষ স্টেশন, সত্যজিৎ রায় স্টেশন, জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী স্টেশন, কবি সুকান্ত স্টেশন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন, ভিআইপি বাজার স্টেশন, বরুণ সেনগুপ্ত স্টেশন এবং বেলেঘাটা স্টেশন। মেট্রো (Kolkata Metro) সূত্রে আরও খবর, ২০২৩ এর ডিসেম্বরের মধ্যে বেলেঘাটা স্টেশন, ২০২৪ সালের মাঝামাঝির মধ্যে সেক্টর ফাইভ এবং পরের বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সিটি সেন্টার এবং ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কলকাতা বিমানবন্দর পর্যন্ত কাজ শেষ হয়ে যাবে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Organ Transplantation: অঙ্গ প্রতিস্থাপনের পরেই মৃত্যু! নজরদারি কি মুখ থুবড়ে পড়েছে রাজ্যে?

    Organ Transplantation: অঙ্গ প্রতিস্থাপনের পরেই মৃত্যু! নজরদারি কি মুখ থুবড়ে পড়েছে রাজ্যে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ু, দিল্লি পারলেও লাগাতার হোঁচট খাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ! তাই রাজ্যের মানুষ সুস্থ হতে ভরসা রাখছে ভিন রাজ্যের উপরই। অঙ্গ প্রতিস্থাপনে রাজ্যের ঢিলেঢালা মনোভাবের জন্য প্রক্রিয়া অত্যন্ত শ্লথ। তার উপর প্রতিস্থাপন (Organ Transplantation) হলেও রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। এসএসকেএম হাসপাতালে সম্প্রতি রোগীমৃত্যুর ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। কবে এ রাজ্যে অস্ত্রোপচার-পরবর্তী পরিকাঠামো শক্ত হবে, সেই প্রশ্ন তুলছেন এ রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ।

    সাম্প্রতিক কোন ঘটনা (Organ Transplantation) ফের প্রশ্ন তুলছে? 

    এ রাজ্যের অধিকাংশ অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচার সফল হলেও পরবর্তীকালে রোগীর জীবন প্রশ্নের মুখে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগী মারা যান। প্রতিস্থাপন-পরবর্তী চিকিৎসা ঠিকমতো না হওয়ার জেরেই ঘটে বিপত্তি। দিন কয়েক আগে ফের এমনই ঘটনা ঘটল এসএসকেএম হাসপাতালে। সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে এসএসকেএম হাসপাতালে এক বছর ৩৫-র রোগীর কিডনি ও লিভার প্রতিস্থাপন হয়। কিন্তু প্রতিস্থাপনের (Organ Transplantation) পরের দিনই ওই রোগী মারা যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছিল। কিন্তু ওই রোগীর দেহ নতুন অঙ্গ গ্রহণ করতে পারেনি। তাই মারা গিয়েছেন।

    পরিকাঠামো নিয়ে কী সমস্যা রয়েছে (Organ Transplantation)? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অঙ্গ প্রতিস্থাপনকে সফল করে তুলতে হলে, অস্ত্রোপচারের পাশাপাশি গুরুত্ব দিতে হবে অস্ত্রোপচার-পরবর্তী চিকিৎসাপর্বে। কিন্তু এ রাজ্যে তা এখনও অবহেলিত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, দক্ষিণ ভারতে দীর্ঘদিন ধরে সফল ভাবে অঙ্গ প্রতিস্থাপন (Organ Transplantation) হচ্ছে। আর এই সাফল্য ও রোগীর ভরসা বজায় রাখার প্রধান কারণ শুধু সফল অস্ত্রোপচার নয়, তারপরে রোগীর সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকা। কিন্তু এ রাজ্যে এই দ্বিতীয় পর্বে একাধিক খামতি থাকছে। অস্ত্রোপচারের আগে সবরকম মাপকাঠি অনেক ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না। ফলে, শরীরে নতুন অঙ্গ প্রত্যাহারের ঝুঁকি বাড়ছে। পাশপাশি, রোগীর সুস্থ দীর্ঘ জীবনের জন্য প্রয়োজন দীর্ঘদিনের নজরদারি এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সহায়তা। অর্থাৎ, ঠিকমতো ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা জরুরি। তবেই রোগী অস্ত্রোপচারের পরে সুস্থ জীবন ফিরে পাবেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ রাজ্যে ঠিকমতো নজরদারি হয় না। অঙ্গ গ্রহণকারী রোগীর যে কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি মারাত্মক বেশি হয়। কিন্তু দেখা যায়, অনেক সময় হাসপাতাল থেকেই রোগী নানান সংক্রমণের শিকার হয়ে যান। ফলে, বিপদ বাড়ে। তারপরে দীর্ঘকাল যে নজরদারির প্রয়োজন হয়, তাতেও অনেক সময় গাফিলতি থাকে। ফলে, শেষ পর্যন্ত রোগীর সুস্থ জীবন ফিরে পাওয়া হয় না।

    কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা অবশ্য জানাচ্ছেন, এ রাজ্যে অঙ্গ প্রতিস্থাপন (Organ Transplantation) নিয়ে এখনও অনেক পথ চলা বাকি। দক্ষিণের রাজ্যগুলির সঙ্গে তুলনা টানাও ঠিক নয় বলে তাঁরা সাফ জানাচ্ছেন। তাঁদের যুক্তি, ভারতের অন্য যে সব রাজ্যের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সাফল্য টেনে পশ্চিমবঙ্গের কথা বলা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। কারণ, সেই সব রাজ্যে প্রতিস্থাপন বহু বছর আগে শুরু হয়েছিল। এ রাজ্যে এতদিন সেই পরিকাঠামো ছিলো না। এখন অন্তত অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে এক সারিতে পশ্চিমবঙ্গের কথা বলা হচ্ছে। অঙ্গ প্রতিস্থাপন সফল করতে সবরকম নজরদারি করা হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেও তাঁরা আশা করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election: শঙ্খ বাজিয়ে, গোবর-গঙ্গাজল ছিটিয়ে নদিয়ার পঞ্চায়েতে কেন শুদ্ধিকরণ করল বিজেপি?

    Gram Panchayat Election: শঙ্খ বাজিয়ে, গোবর-গঙ্গাজল ছিটিয়ে নদিয়ার পঞ্চায়েতে কেন শুদ্ধিকরণ করল বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১৫ বছর পর গ্রাম পঞ্চায়েত (Gram Panchayat Election) হাতছাড়া হল তৃণমূলের। বোর্ড দখল করল বিজেপি। তৃণমূল শাসনের অবসান ঘটিয়ে শঙ্খ বাজিয়ে, গঙ্গাজল ও গোবর জল দিয়ে পঞ্চায়েত কার্যালয়টি শুদ্ধিকরণের মধ্যে দিয়ে পঞ্চায়েত ভবনে ঢুকলেন নবনির্বাচিত বিজেপি প্রধান, উপপ্রধান সহ পঞ্চায়েত সদস্যরা। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জের তালদহ মাজদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে।

    শুদ্ধিকরণ নিয়ে নিয়ে কী বললেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    এই পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ২২টি। ১৫ বছর রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের দখলে ছিল এই পঞ্চায়েত। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ১৫ বছর পঞ্চায়েতের দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও এলাকার কোনও রকম উন্নয়নমূলক কাজ করেননি শাসক দল পরিচালিত তালদহ মাজদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন বোর্ডের সদস্যরা। এলাকায় হাইমাস্ট লাইটের ব্যবস্থা থাকলেও তা জ্বলে না। পাশাপাশি রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল পূর্বের বোর্ড দায়িত্বে থাকাকালীন। এরপর ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Gram Panchayat Election) রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি ২২ টি আসনের মধ্যে ১২ টি আসন দখল করে। তৃণমূলের ঝুলিতে যায় ১০টি আসন। ২২ টির মধ্যে বারোটিতে জয়লাভ করে পঞ্চায়েত বোর্ড দখল করে বিজেপি। পাশাপাশি আগামীদিনে পঞ্চায়েত এলাকায় সাধারণ এলাকাবাসীদের স্বার্থে উন্নয়নকে ঢেলে সাজানোর অঙ্গীকারবদ্ধ তাঁরা। মূলত তারই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার পুরানো দিনের সব কলঙ্ককে মুছে ফেলতে গঙ্গাজল ও গোবর দিয়ে পঞ্চায়েত ভবন পরিষ্কার করে তালদহ মাজদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনে ঢুকলেন বিজেপি সমর্থিত নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত বোর্ড সদস্যরা। পঞ্চায়েত প্রধান বাসন্তী হালদার বলেন, ১৫ বছর তৃণমূল ক্ষমতায় থেকে প্রচুর দুর্নীতি করেছে। তাই, গোবর আর গঙ্গাজল দিয়ে পঞ্চায়েত ভবন শুদ্ধিকরণ করেছি। এতদিন এলাকায় কাজ না করে তৃণমূল টাকা লুট করেছে। এবার আমরা পঞ্চায়েত শুদ্ধিকরণ করে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করব। তাই, আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur: বিস্ফোরণস্থল থেকে ৩০০ মিটার দূরে ফের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী

    Duttapukur: বিস্ফোরণস্থল থেকে ৩০০ মিটার দূরে ফের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুরের মোচপোলে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের (Duttapukur) ঘটনায় ঘটনাস্থলেই অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা গুরুতর জখম রয়েছেন। ফলে, কথা বলার অবস্থায় অনেকেই নেই। বিস্ফোরণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে নীলগঞ্জ এলাকা থেকে কেরামত আলির ‘সহযোগী’ শফিক আলি ওরফে শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তি তৃণমূল করত, দাবি পরিবারের লোকজনের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেরামতের ‘বাজি’র ব্যবসায় ‘অংশীদারিত্ব’ ছিল শফিকের। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যু হয়েছে কেরামতের। তাঁর ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, সোমবার সকালে ফের দত্তপুকুরে ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হল। বিস্ফোরণস্থল থেকে ৩০০ মিটার দূরে একটি পুকুরে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হল। তার মাথা ফাটা, কোমর থেকে পায়ের কোনও চিহ্ন নেই। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    কী বললেন ধৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকজন?

    দত্তপুকুরকাণ্ডে (Duttapukur) গ্রেফতার শফিকুল ইসলামের স্ত্রী জাহানারা বিবি বলেন, রবিবার বিকালে আমার স্বামীকে একজন ফোন করে। স্বামী বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গেলেই তাকে গ্রেফতার করে। এই ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত নয় আমার স্বামী। কেরামতের সঙ্গে পাড়ার লোক হিসাবে কথাবার্তা হতো। বাজি কারবারের যে অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করা হল পুরোটাই চক্রান্ত। ধৃতের দাদা বাবলু ইসলাম বলেন, আমার ভাই তৃণমূল করত। ওই দলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। এই ঘটনায় ভাইয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। ভাইকে ফাঁসানো হল।

    বাজি কারবারে মুর্শিদাবাদের একজন জড়িত, দাবি এলাকাবাসীর

    কেরামত আলির সহযোগী ছিল শফিক আলি। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের জিরাত শেখ নামে একজনের নাম উঠে আসছে। দত্তপুকুরে (Duttapukur) বাজি কারখানায় জিরাতের অন্যতম ভুমিকা রয়েছে, দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। ঘটনার সময় সে ঘটনাস্থলে ছিল না মুর্শিদাবাদে ছিল, তা পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে, পুলিশ মুর্শিদাবাদের এই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, কেরামত মোচপোল গ্রামে একজনের বাড়ি ভাড়া নিয়ে বেআইনি বাজি কারখানা গড়ে তুলেছিল। বাড়ির মালিকও এই কারখানায় কাজ করত। বিস্ফোরণের ঘটনায় তারও মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। শফিক আলিকে জেরা করার পর আরও অনেক তথ্য জানা যাবে বলে পুলিশ আধিকারিকরা মনে করছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এমনিতেই বাজি তৈরির কারখানা ছিল বেআইনি। সেখানে আতসবাজি শুধু নয়, বোমা তৈরি হয়। কেরামতের কারখানা থেকে কিছুটা দূরেই আরও একটি বেআইনি কারখানার হদিশ পায় এলাকাবাসী। পাঁচিল ঘেরা সেই জমিতেই বেআইনি বাজি ও বোমা তৈরি করা হত। রীতিমতো গবেষণাগার তৈরি করা হয়েছিল। এলাকাবাসী ভাঙচুর করার সময় দেখতে পায়, সেখানে পটাশিয়াম ক্লোরাইড মজুত করে রাখা রয়েছে। ফলে, সেখানে যে বোমা তৈরি হত, তার জ্বলন্ত প্রমাণ রয়েছে। ঘটনার পর থেকে কেউ না থাকায় সেই কারখানা ভাঙচুর করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘‘প্রাণ হাতে করে গ্রামে বাস করছি’’, দত্তপুকুরে রাজ্যপালকে নালিশ মহিলাদের

    CV Ananda Bose: ‘‘প্রাণ হাতে করে গ্রামে বাস করছি’’, দত্তপুকুরে রাজ্যপালকে নালিশ মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় মৃত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। আর সেখান থেকে ফিরেই রবিবার রাতে সোজা দত্তপুকুরে। রবিবার সাতসকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দত্তপুকুরের জগন্নাথপুরের মোচপোল এলাকা। কাটা কব্জি, পোড়া পা, ঝলসানো শরীর ছড়িয়ে ছিটিয়ে গ্রামের আনাচে কানাচে পড়েছিল। একাধিক বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। এদিন বিস্ফোরণের নানা দিক নিয়ে খোঁজ নেন তিনি। বেসরকারি মতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। উড়ে গিয়েছে একাধিক বাড়ির ছাদ। সেই ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন রাজ্যপাল।

    রাজ্যপালকে (CV Ananda Bose) ঘিরে ধরে কী বললেন মহিলারা?

    রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) যখন বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখে বেরোচ্ছেন, গ্রামেরই একদল মহিলা তাঁকে ঘিরে ধরেন। উগরে দেন একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ। যে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে, অভিযোগ, তা কেয়ামত আলি নামে এক ব্যক্তির। এলাকার মহিলাদের দাবি, শুধু কেয়ামত আলির কারখানা নয়, গ্রামজুড়ে এরকম একাধিক বেআইনি বাজি কারখানা রয়েছে। অভিযোগ, বাজির গোডাউন রয়েছে এবং কার্যত প্রাণ হাতে করে বাস করছেন এলাকার লোকজন। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। ফলে, বাজির ব্যবসার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত নন, তাঁরাও এ গ্রামে নিরাপদ নন বলে দাবি করেন মহিলারা। রবিবারের বিস্ফোরণের পর সেই আশঙ্কা আরও জোরালো হচ্ছে। গ্রামের মহিলারা অনুরোধ করেন, রাজ্যপাল যেন একবার এরকমই একটি গোডাউন বা বেআইনি বাজির গুদাম ঘুরে দেখেন। এরপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস গ্রামের অন্ধকার রাস্তা ধরেই ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩০০ মিটার পথ এগিয়ে আসেন। সঙ্গে ছিলেন গ্রামের লোকজনও। গ্রামবাসীরা একটি বাড়ি দেখিয়ে তা বাজির গুদাম বলে অভিযোগ করেন। রাজ্যপাল সেই বাড়ির সামনে আসেন এবং সেই মহিলাদের সঙ্গে কথাও বলেন। পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন। রাজ্যপাল এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করার উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

    কী বললেন রাজ্যপাল? (CV Ananda Bose)

    ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এতগুলো তাজা প্রাণ চলে গেল। আমি এখান থেকে হাসপাতালে যাব। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তারপর বলব। এরপরই বারাসত জেলা হাসপাতালে পৌঁছন তিনি। এরপর তিনি বলেন, শুধু দুর্ঘটনা এটা নয়, এটা বড় ঘটনা। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তারা সত্য খুঁজে বের করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “বাংলার সরকার পাকিস্তান প্রেমী”! পাক-গুপ্তচরের গ্রেফতারি নিয়ে মমতাকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “বাংলার সরকার পাকিস্তান প্রেমী”! পাক-গুপ্তচরের গ্রেফতারি নিয়ে মমতাকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক গুপ্তচর সন্দেহে সকালে কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ভক্তবংশী ঝাঁ নামে এক ব্যক্তি ৷ এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) পরিচালিত এই সরকারকে পাকিস্তানপ্রেমী সরকার বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি সভাপতি। বাংলার বুকে বারেবারে ঘটে চলা এই ধরনের অসামাজিক দেশবিরোধী কাজকর্মের জন্যে শাসক শিবিরকে প্রকাশ্যে দুষলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। 

    রাজ্যে আইএসআই-এর ঘাঁটি!

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, “যে সরকার পাকিস্তানকে পছন্দ করে, তারা এখানে বাংলায় বসে আছে। তাই পাকিস্তানের হয়ে কাজ করা আইএসআই এজেন্টরা বাংলাকে কেন্দ্র করে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে। এই লোকেরা মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছেন। তৃণমূল এই দেশবিরোধী লোকেদের মদতদাতা।” শুধু তাই নয়, এ রাজ্যে আইএসআই-এর ঘাঁটি রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (Kolkata Police Special Task Force) গ্রেফতার করেছে এক ব্যক্তিকে। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত ভক্ত বংশী ঝাঁকে (৩৬)। বিহারের দারভাঙার বাসিন্দা বংশী দেশের নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাকে পাঠাচ্ছে বলে জনাতে পেরেছিল এসটিএফ (STF)। 

    আরও পড়ুন: ‘দিল্লি বনেগা খালিস্তান’! রাজধানীর মেট্রো স্টেশনের দেওয়ালে দেশবিরোধী স্লোগান

    পাক সুন্দরীদের ফাঁদ!

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আরুশি শর্মা নামে ফেসবুক প্রোফাইল থেকে ধৃতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। এরপর সেই পাক সুন্দরী কার্যত ফাঁদ পেতেছিল বলে অভিযোগ। নানা ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করে প্রাথমিকভাবে যুবকের মন জয় করা হয়েছিল। এরপর বলা হয়েছিল তার বোন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বিটের সাংবাদিক। ভারতের বিশেষত দিল্লির সংরক্ষিত এলাকার কিছু ছবি তার লাগবে। এরপরই শুরু হয় ছবি পাঠানোর কাজ। একটি বিশেষ অ্য়াপের মাধ্যমে ছবি পাঠানোর কথা বলা হয়। সেই অ্যাপ ব্যবহার করলে ছবির লোকেশন ও ম্যাপও মিলবে। হাওড়া ও বিদ্যাসাগর সেতু-সহ কলকাতারও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ছবি পাঠানো হয়েছে বলে খবর। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে সুন্দরীদের সামনে রেখে হানি ট্র্যাপের মাধ্যমে কাজ হাসিল করার চেষ্টা করছে আইএসআই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: দত্তপুকুরকাণ্ডে এনআইএ তদন্ত চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: দত্তপুকুরকাণ্ডে এনআইএ তদন্ত চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এ নিয়ে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও চিঠি লিখেছেন। বালুরঘাটের সাংসদের (Sukanta Majumdar) মতে, এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি যোগের সম্ভাবনা রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখতে হবে। প্রসঙ্গত, রবিবারই উত্তর চব্বিশ পরগনার দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাণ হারান ৭ জন। বেসরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা ১০। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ৫ কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায় সেই আওয়াজ। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের মদতেই বেআইনিভাবে বাজি তৈরির কাজ দীর্ঘদিন ধরে চলছিল।

    চিঠিতে কী লিখলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠানো ওই চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, ‘‘দত্তপুকুরের বিস্ফোরণের ঘটনায় ৬-৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। এই বিস্ফোরণের উৎস, কারণ খুঁজে পেতে যথাযথ তদন্তের প্রয়োজন।’’  

    সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) আরও সংযোজন, ‘‘স্থানীয় বাসিন্দারা এই বেআইনি বাজি কারখানা সম্পর্কে পুলিশের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু, তাঁদের উদ্বেগের নিরসন করা হয়নি বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়টি উদ্বেগজনক। ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে এই বিস্ফোরণের যথাযথ তদন্ত হওয়া জরুরি।’’

    বালুরঘাটের সাংসদের (Sukanta Majumdar) আরও মত, ‘‘এই বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি-যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে এনআইএ তদন্তের আবেদন জানাচ্ছি। এনআইএ তদন্ত হলে এই বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ যেমন প্রকাশ পাবে, তেমনই রাজ্যবাসীও আশ্বস্ত হবেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’

    সুর চড়ালেন শুভেন্দুও

    অন্যদিকে, এই ঘটনায় এনআইএ দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও। দত্তপুকুরের এই বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে, ‘‘আজ থেকে তিন মাস আগে অবৈধ বাজি কারখানা নিয়ে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতে কাজের কাজ যে কিছু হয়নি, রবিবারের ঘটনা তার প্রমাণ।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘কন্যারাই সুরক্ষিত না হলে কন্যাশ্রী সফল হবে কীভাবে?’ কেন বললেন রাজ্যপাল?

    CV Ananda Bose: ‘কন্যারাই সুরক্ষিত না হলে কন্যাশ্রী সফল হবে কীভাবে?’ কেন বললেন রাজ্যপাল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় নৃশংসভাবে খুন হওয়া ছাত্রীর পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যপাল। রবিবার দুপুরে মাটিগাড়ায় ওই ছাত্রীর বাবা-মায়ের সঙ্গে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। প্রায় আধঘণ্টা তিনি মৃত ছাত্রীর বাবা ও মায়ের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এভাবে এই ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় তিনি যে ব্যথিত এবং রাজ্যে কন্যা তথা মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তার ইঙ্গিত এদিন রাজ্যপালের বক্তব্যে পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যের কন্যাশ্রী প্রকল্পে সাফল্য নিয়েও প্রশ্নের সুর শোনা গিয়েছে রাজ্যপালের বক্তব্যে।

    কী বললেন রাজ্যপাল? (CV Ananda Bose)

    এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) সোজা চলে যান মাটিগাড়ায় ওই মৃত নাবালিকা ছাত্রীর বাড়িতে। সেখান থেকে বেরিয়ে রাজ্যপাল শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। রাজ্যপাল বলেন, মাটিগাড়ার ওই নাবালিকা ছাত্রীকে যেভাবে খুন করা হয়েছে তাতে আমি বাকরুদ্ধ। অত্যন্ত নিষ্ঠুর ঘটনা। বাংলায় কোনও কন্যার উপর এমন ঘটনা হওয়া উচিত নয়। পরিবারের পাশে আমি থাকব। কন্যা আছে বলেই কন্যাশ্রী। কন্যারাই  যদি সুরক্ষিত না হয় তাহলে কন্যাশ্রী সফল হবে কিভাবে? কন্যাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আশা করব, দোষী দ্রুত উপযুক্ত শাস্তি পাবে।

    রাজ্যপাল চলে যেতেই প্রশ্ন উঠল, মুখ্যমন্ত্রী কেন এলেন না?

    রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) ওই ছাত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেই এলাকাবাসী প্রশ্ন তোলেন, এক নাবালিকা ছাত্রীকে নির্মমভাবে খুন করার পরও মুখ্যমন্ত্রী কেন শিলিগুড়িতে এলেন না? এদিন রাজ্যপাল এসে ওই ছাত্রীর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরবতা নিয়ে মুখর হন স্থানীয় নাগরিকরা। সকলেরই প্রশ্ন, এরকম ঘটনার পরও কেন মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হয়েও একবারের জন্য ওই ছাত্রীর বাবা- মা’র সঙ্গে দেখা করতে এলেন না। এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে থাকা বিজেপির দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, মণিপুর নিয়ে বেশি ব্যথিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই, সেখানে তিনি তাঁর প্রতিনিধি দল পাঠান। সেখানে কলকাতা থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে শিলিগুড়িতে এক নাবালিকা ছাত্রীকে নির্মমভাবে খুন করার ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যথিত করেনি,তাই তিনি এখনও আসেননি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের জন্য সুখবর, আস্ত ট্রেনের ময়লা সাফ ৭-৮ মিনিটে!

    Indian Railways: লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের জন্য সুখবর, আস্ত ট্রেনের ময়লা সাফ ৭-৮ মিনিটে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব রেলের উদ্যোগে হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন কারশেডে চালু হল লোকাল ট্রেনের (Indian Railways) জন্য অটোমেটিক কোচ ওয়াশিং প্ল্যান্ট। যেখানে মাত্র ৭ থেকে ৮ মিনিটে একটি ট্রেনের বগি সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার হয়ে যাবে অটোমেটিক ক্লিনারের মাধ্যমে। ট্রেনটি যখন রেল ট্র্যাক দিয়ে এগিয়ে যাবে, তখন দু’ দিক থেকে অটোমেটিক ক্লিনার পরিষ্কারের কাজ শুরু করবে। মূলত শহরতলির লোকাল ট্রেনগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন কারশেডে এই স্বয়ংক্রিয় কোচ ওয়াশিং প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে। পূর্ব রেল সূত্রে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই হাওড়া কারশেড ছাড়াও অন্যান্য রেল ডিভিশনে এই ধরনের স্বয়ংক্রিয় কোচ ওয়াশিং মেশিন বসানো হয়েছে।

    কীভাবে হচ্ছে এই পরিস্কারের কাজ (Indian Railways)?

    স্বয়ংক্রিয় কোচ ওয়াশিং প্ল্যান্ট হল রেকের কোচের জন্য একটি মাল্টিস্টেজ এক্সটার্নাল ক্লিনিং সিস্টেম। তরল ডিটারজেন্ট, উচ্চচাপের জলের ফোয়ারা বা জেট এবং উলম্ব ঘূর্ণায়মান ব্রাশ ব্যবহার করে এই পরিষ্কারের কাজ হচ্ছে। ১২ কোচের ইএমইউ ট্রেনের (Indian Railways) পুরো রেকটি বাহ্যিকভাবে ধোয়ার জন্য মাত্র ৭ থেকে ৮ মিনিট সময় লাগে। হাওড়া ইএমইউ কারশেডে গড়ে প্রতিদিন ১৩ টি ইএমইউ রেক এইভাবে ধোয়া হচ্ছে বর্তমানে। ট্রেন প্রবেশের পর ধোয়া শুরু করার জন্য প্ল্যান্টটি সেন্সর ভিত্তিক সুবিধা দিয়ে সজ্জিত। এই ওয়াশিং সিস্টেমে প্রতিটি ট্রেনের জন্য শুধুমাত্র ২০% বিশুদ্ধ জল ব্যবহার করা হচ্ছে এবং অবশিষ্ট ৮০% পুনর্ব্যবহার‍্যোগ্য জল ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এরপর ঠিকমতো পরিষ্কার বা ধোয়া হল কিনা, তা দেখতে রেলের পক্ষ থেকে  দক্ষ কর্মী ও  কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। যাঁরা নিয়মিত এই পরিষ্কারের দিকটি পর্যবেক্ষণ করছেন, যাতে স্থানীয় যাত্রীরা রেলের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেন।

    রেলযাত্রীরা (Indian Railways) খুশি

    রেলের এই কর্মকাণ্ডে খুশি সাধারণ রেলযাত্রীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, আগের তুলনায় এই অটোমেটিক ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে প্রতিটি ট্রেনের (Indian Railways) কামরাই সুন্দরভাবে পরিষ্কার থাকে। তবে ট্রেন কম্পার্টমেন্টের ভিতরের অংশগুলি সেভাবে পরিচ্ছন্ন থাকে না। যাত্রীদের ফেলে দেওয়া জিনিসেই অনেক সময় নোংরা হয়ে থাকে। তাই ট্রেনের বাহ্যিক দিক পরিষ্কারের পাশাপাশি যাতে কম্পার্টমেন্টের ভিতরের অংশ, বিশেষ করে সিটের নিচে জমে থাকা নোংরা এবং ফ্যানের গায়ে তৈরি হওয়া ঝুল পরিষ্কার করা হয়, সে দিকেও রেল কর্তৃপক্ষকে নজর দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের পরই আরও একটি বোমা তৈরির কারখানায় তাণ্ডব এলাকাবাসীর

    Bomb Blast: দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের পরই আরও একটি বোমা তৈরির কারখানায় তাণ্ডব এলাকাবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুরের জগন্নাথপুরে মোচপোলে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের (Bomb Blast) কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আরও একটি বোমা তৈরির কারখানার হদিশ পেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থল থেকে ঢিল ছোঁড়়া দুরত্বে পাঁচিল ঘেরা পরিত্যক্ত জমিতে কারখানাটি চলত। সেখানে তিনটি ঘরের মধ্যেই বোমা তৈরির সরঞ্জাম মিলেছে। অনেক রাসায়নিক জিনিস মিলেছে। আর একটি প্রাইভেট গাড়ি ছিল। এখানে রমরমিয়ে বোমা তৈরি হত। বিস্ফোরণের পর পরই এই জায়গা ছেড়ে সকলেই পালিয়ে যায়। উত্তেজিত জনতা ওই কারখানায় এসে তাণ্ডব চালায়। কারখানার ভিতরে থাকা সমস্ত জিনিসপত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা? (Bomb Blast)

    বেআইনি বাজি কারখানার মালিক আজিবর রহমান। তিনি স্থানীয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিল। ঘটনার পর থেকে তার হদিশ পাওয়া যায়নি। এদিন বিকেলের পর নতুন যে বোমা তৈরির কারখানার খোঁজ মিলেছে, সেই কারখানার কয়েকজন মালিক রয়েছে। সকলেই শাসক দলের সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, তৃণমূল নেতাদের মাথায় হাত থাকায় তারা রংবাজি করত। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে কারও মুখ খোলার সাহস ছিল না। এখন বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হতেই সকলেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের সকলকে গ্রেফতার করতে হবে। এই এলাকায় তৃণমূলের মদতেই এই সব বেআইনি কারখানা চলত। পুলিশকে হাত করেই এখানে এসব কারবার চলত।

    ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক দল?

    এদিন বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ফলে কারখানাটি প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধের পর ধ্বংসস্তূপের মতো গোটা এলাকা হয়ে রয়েছে। এদিন পুলিশ, দমকল বাহিনীর পর ঘটনাস্থলে বোম্ব স্কোয়ার্ডের লোকজন আসে। সিআইডি আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। বিকেলের দিকে এলাকায় ফরেন্সিক টিম ঢোকে। তাঁরা কারখানার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে নমুনা সংগ্রহ করে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share