Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: “পুরো রাজ্যটাই বেআইনিভাবে চলছে”, বিস্ফোরণকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “পুরো রাজ্যটাই বেআইনিভাবে চলছে”, বিস্ফোরণকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পুরো রাজ্যটাই বেআইনিভাবে চলছে।” রবিবার সকালে বারাসতের নীলগঞ্জের মোছপোলে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “পুরো রাজ্যটাই বেআইনিভাবে চলছে। উনি (পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী) তো বড় বড় কথা বলেছিলেন। মুখ্যসচিবকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বাজি কারখানার শ্রমিকদের আলাদা কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু কিছুই হয়নি।”

    শুভেন্দুর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “উনি নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানির চোরদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। এসব বিষয়ে তাঁর নজর নেই। তাঁর নজর কীভাবে চোরদের বাঁচানো যায়, তা নিয়ে। তাই এরকম ঘটনা বারবার ঘটে চলেছে।” বারাসত বিস্ফোরণকাণ্ডের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

    আক্রমণ সুকান্তরও 

    তিনি বলেন, “গোটা বাংলাকে বারুদের স্তূপে পরিণত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দশজনের জীবন চলে যাওয়ার জন্য দায়ী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর সরকার এবং তাঁর দল। এই অপদার্থগুলো যতদিন বাংলায় থাকবে, বাংলার মানুষ মারা যাবে।” তিনি বলেন, “গত কয়েকদিনে কতজন মারা গেল, হিসেব করুন। মিজোরামে মারা গেল কুড়িজনের ওপরে। এখানে মারা গেল দশজন। মুখ্যমন্ত্রী কী চাইছেন? গোটা রাজ্যটাকে কি শ্মশান বানাবেন? শ্মশান বানিয়ে তাঁর শান্তি হবে? এই দশের সংখ্যা তো আরও বাড়বে মনে হচ্ছে। বেআইনি কারখানা চলছে। তৃণমূলের নেতারা ওখান থেকে তোলা তোলে, খোঁজ নিন। দেখবেন তৃণমূলের কোনও না কোনও নেতা ওখান থেকে হপ্তা পায়, মাসে মাসে টাকা পায়। তাই পুলিশ কিছু করে না। আমরা তো আগেই বলেছি, বোমার স্তূপের ওপর বাংলা দাঁড়িয়ে আছে।”

    আরও পড়ুুন: “রথীন ঘোষ সব জানতেন”, বারাসত বিস্ফোরণকাণ্ডে জনতার কাঠগড়ায় মন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে আচমকাই বিস্ফোরণ (Barasat Blast) ঘটে মোছপোলের ওই বাজি কারখানায়। তখন কাজ করছিলেন ২৬ জন। ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ায় জানা যায়নি, ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও জখম ১৪জনকে উদ্ধার করে ভর্তি (Suvendu Adhikari) করা হয়েছে বারাসত জেলা হাসপাতালে। বিস্ফোরণকাণ্ডে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যথারীতি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barasat Blast: “রথীন ঘোষ সব জানতেন”, বিস্ফোরণকাণ্ডে জনতার কাঠগড়ায় মন্ত্রী

    Barasat Blast: “রথীন ঘোষ সব জানতেন”, বিস্ফোরণকাণ্ডে জনতার কাঠগড়ায় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রথীন ঘোষ সব জানতেন।” রবিবার এই ক্ষোভ যাঁরা উগরে দিলেন, তাঁরা বারাসতের নীলগঞ্জের মোছপোলের বাসিন্দা। এদিনই সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Barasat Blast) কেঁপে ওঠে মোছপোল এলাকা। একটি বাজি তৈরি কারখানায় বিস্ফোরণের অভিঘাতে ভেঙে পড়ে এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িও। স্থানীয়দের দাবি, বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। যদিও ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও জানায়নি পুলিশ-প্রশাসন।

    স্থানীয়দের রোষানলে রথীন

    বিস্ফোরণ (Barasat Blast) প্রসঙ্গে স্থানীয়রা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বিরুদ্ধে। তাঁরা বলেন, “পুলিশ প্রশাসন থেকে রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ জানতেন এই বাড়িতে বেআইনি বাজি তৈরি হয়।” তাঁরা জানান, যে বাড়িতে এদিন বিস্ফোরণ হয়েছে, তার মালিককে তাঁরা বারংবার লোকালয়ে বাজির কারখানা তৈরি করার অনুমতি না দিতে অনুরোধ করেছিলেন। স্থানীয়দের দাবিতে বাড়ির মালিক কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। প্রশ্ন উঠেছে, বাড়ির মালিক কি নিজে প্রভাবশালী? নাকি তাঁর মাথায় রয়েছে কোনও প্রভাবশালীর আর্শীবাদী হাত?

    পুলিশকে দুষছে তৃণমূলও

    প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশকে দুষছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাবলা রায়ও। তিনি বলেন, “এখানে বাজি কারখানার আড়ালে বোমা (Barasat Blast) কারখানা চলত। পুলিশ সব জানত। ওটা আদতে বাজি কারখানা নয়, বোমা কারখানা।” ওই তৃণমূল নেতা বলেন, “আমি পুলিশের আইসিকে বলেছিলাম আপনারা অবিলম্বে এই কারখানা বন্ধ করুন। সেলিম আলি এই কাজ করছে। ওর নাম করে বলেছিলাম। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি। ওখানে আলু বোমা তৈরি হচ্ছিল। বাজির কোনও সম্পর্কই নেই।”

    এদিকে, বিস্ফোরণের দায় আইএসএফের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী রথীন। তিনি বলেন, “আজ সকালে জানতে পেরেছি, এই কাজের সঙ্গে আইএসএফের একটি ছেলে যুক্ত। ওর নাম রমজান। সে এই বাজির কারখানা চালায়। উল্টোদিকে খুদে বলে একটি এলাকার লোক আছে। যার বাড়িতে বিভিন্ন শ্রমিকরা আসেন। ওরা ওই বাড়িতে বসে খাওয়া-দাওয়া করছিল। সেই সময় ব্লাস্ট হয়। এখনও পর্যন্ত দেহ শনাক্ত করা যায়নি।” আইএসএফের পাল্টা দাবি, এই ঘটনায় দায়ী তৃণমূলই।

    আরও পড়ুুন: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি বিজেপির

    প্রসঙ্গত, এদিন সকালে আচমকাই বিস্ফোরণ (Barasat Blast) ঘটে মোছপোলের ওই বাজি কারখানায়। তখন কাজ করছিলেন ২৬ জন। ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ায় জানা যায়নি, ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও জখম ১৪জনকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে বারাসত জেলা হাসপাতালে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Sukanta Majumdar: বালুরঘাটে রাম মন্দিরের আদলে পুজো মণ্ডপ, উদ্বোধনে আসতে পারেন অমিত শাহ, উদ্যোগী সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: বালুরঘাটে রাম মন্দিরের আদলে পুজো মণ্ডপ, উদ্বোধনে আসতে পারেন অমিত শাহ, উদ্যোগী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির। আগামী জানুয়ারি মাসে ওই মন্দিরের উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু, তার আগেই এই রাজ্যে রাম মন্দিরের উদ্বোধন করতে পারেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অবাক মনে হলেও এটা সত্যি। তবে, অযোধ্যার রাম মন্দির নয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উদ্বোধন করতে পারেন বালুরঘাটে রাম মন্দিরের আদলে তৈরি দুর্গা পুজোর মণ্ডপের। অযোধ্যার রাম মন্দিরের আগেই সেটির উদ্বোধন হবে। আসলে বালুরঘাটের বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ক্লাব বলে পরিচিত নিউ টাউন ক্লাব ও পল্লি পাঠাগারের এবারের দুর্গাপুজোর থিম করা হচ্ছে রাম মন্দির।

    কী বললেন ক্লাবের সম্পাদক?

    বালুরঘাটের নিউটাউন ক্লাব এবং পল্লি পাঠাগারের দুর্গাপুজো এবারে ৭০ তম বর্ষে পদার্পণ করবে। প্রতি বছর থিম পুজোর মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের অন্যান্য বড় ক্লাবগুলির মত নিউটাউন ক্লাব নজর কাড়ে। থিম পুজো করে জেলার সেরা পুজোগুলির মধ্যে বেশ কয়েক বার স্থান পেয়েছে এই ক্লাব। গতবছর পুজোয় বুর্জ খলিফার আদলে মণ্ডপ গড়ে সকলকে চমকে দিয়েছিল এই ক্লাব। শুধু তাই নয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও ছিল চমক। অনলাইনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করলেও, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী। আগামী বছরের এপ্রিল-মে নাগাদ দেশে হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। তৃতীয় বারের জন্য এই নির্বাচনে জয় পেতে মরিয়া বিজেপি, দেশ জুড়ে তাদের প্রচার অভিযান শুরু করেছে। পশ্চিমবাংলাতেও তাদের প্রচার ধীরে ধীরে গতি পাচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাই এবারে দুর্গা পুজোতে অংশ নিতে, দলের রাজ্য নেতাদের নির্দেশ দিয়ে গেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এতদিন বালুরঘাটের শহরের নিউ টাউন ক্লাব ও পল্লি পাঠাগারের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে থাকলেও, সম্প্রতি ওই ক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আর বালুরঘাটের এই  রাম মন্দির উদ্বোধনের ক্ষেত্রেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আনবার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ক্লাব সম্পাদক অরিজিৎ মহন্ত বলেন, রবিবার আমাদের ক্লাবে দুর্গা পুজোর খুঁটি পুজো করা হল।  ক্লাবেস সমস্ত সদস্যরা হাজির হয়েছিলেন। এবারের পুজোয় স্বরাস্ট্রমন্ত্রীকে দিয়ে  উদ্বোধন করাবার চেষ্টা শুরু হয়েছে। বালুরঘাটে আমরা একটু ভিন্ন স্বাদের পুজো করি। আমাদের  গতবারের  বুর্জ খলিফার আদলে মন্ডপ প্রশংসিত হয়েছে। এবারে রাম মন্দিরের রেপ্লিকা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আশা করি, মানুষ রাম মন্দিরের কিছু অনুভূতি এখানে পাবেন। আমাদের এই  উদ্যোগ মানুষের পছন্দ হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি বিজেপির

    Duttapukur: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগণার দত্তপুকুরের (Duttapukur) জগন্নাথপুর মোচপোলে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর থেকেই গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ এলে তাঁদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার পর এদিন দুপুরে বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র সহ দলীয় নেতারা ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Duttapukur)

    স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার সকালে ভয়াবহ দত্তপুকুরে (Duttapukur) এই এলাকার বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান নীলগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার খুদে নামের এক বাজি ব্যবসায়ীর কারখানায় এই বিস্ফোরণ হয় বলে জানা গিয়েছে৷ উড়ে যায় তার কারখানার বাড়ির ছাদ। চারিদিকে ছড়িয়ে যায় বারুদ-সহ বাজি বানানোর অন্যান্য সরঞ্জাম। এদিক ওদিকে ছড়িয়ে পড়ে রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরেও শোনা গিয়েছিল এই বিস্ফোরণের শব্দ বলে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার পর পরই একাধিক বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জেসিবি এনে উদ্ধার কাজ করা হয়। এদিন ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ঢুকতে গেলে পুলিশ প্রথমে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে, তাঁরা এলাকায় গেলে স্থানীয় বাসিন্দারাও তাঁদের বিক্ষোভ দেখান। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, নিয়মিত পুলিশ টাকা তুলত বলেই রমরমিয়ে এই বেআইনি কারবার চলত। পুলিশ কিছু বলত না।

    বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্ত নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, জেসিবি দিয়ে তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হচ্ছে। আর তাই আমাদের ঘটনাস্থলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আসলে পুলিশ মাসোহারা পেত বলেই চুপ ছিল। দু কিলোমিটার দুরে পুলিশ সুপারের অফিস। সেখানে এই ধরনের বেআইনি কারবার পুলিশ জানে না, এটা হতে পারে না। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। বারুদের স্তূপে রয়েছে গোটা রাজ্য। তৃণমূল নেতাদের মদত রয়েছে। এই এলাকার বিধায়ক খাদ্যমন্ত্রী। তিনি এই বেআইনি বাজি কারখানার বিষয়ে সব জানেন। পঞ্চায়েত নির্বাতচনের সময় এখান থেকে বোমা সরবরাহ হয়েছে। দত্তপুকুরের (Duttapukur) এই ঘটনার এনআইএ তদন্ত দাবি করছি। রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে না।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    প্রদেশ কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী এদিন ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, এই ঘটনার জন্য স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি এই ঘটনার আমরা এনআইএ তদন্তের দাবি করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantanu Thakur: বিমানবন্দর থেকে ফেরার পথে কনভয়ে গাড়ির ধাক্কা, কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর?

    Shantanu Thakur: বিমানবন্দর থেকে ফেরার পথে কনভয়ে গাড়ির ধাক্কা, কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) কনভয়ে একটি গাড়ির ধাক্কা মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় পিছন দিক থেকে এসে গাড়িটি ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। নিছক দুর্ঘটনা, না এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশ প্রশাসনের কাছে বিষয়টি মন্ত্রী জানিয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Shantanu Thakur)

    শনিবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী (Shantanu Thakur) কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ঠাকুরনগরে ফিরছিলেন, সে সময়ই অশোকনগরের মানিকতলা এলাকায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কনভয়ে একটি গাড়ি ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। ঘটনা নিয়ে থানায় মৌখিক অভিযোগও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ঘাতক গাড়িটি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কনভয় ফলো করে আসছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। শান্তনুর গাড়ি যখন গুমা পেরিয়ে অশোকনগরের মানিকতলা এলাকা জ্যামে আটকে পড়ে, তখন পিছন থেকে ধাক্কা মারার অভিযোগ উঠেছে। যদিও এই ঘটনার জেরে কোনওরকম চোট পাননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে, গাড়ির পিছনে অংশ দুমড়ে মুছড়ে গিয়েছে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    শান্তনু (Shantanu Thakur) বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় আমি বিমানবন্দর থেকে ফিরছিলাম। সেই সময়েই ঘটনাটি ঘটেছে। তাঁর অভিযোগ, ওই গাড়িটি আমার কনভয়ের পিছু নিয়েছিল। ১০ কিলোমিটার ধরে পিছনে পিছনেই আসছিল। এরপর কনভয় যানজটে আটকাতেই পিছনে ধাক্কা দেয় গাড়িটি। কনভয় গুমা পার করে অশোকনগরের মানিকতলা ঢুকতেই জ্যামে আটকায়। সেই সময়েই কনভয়ের পিছনের একটি গাড়িতে ধাক্কা মারে ওই গাড়িটি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধও করা হয়েছে। তবে, বিষয়টি নিয়ে এখনই কোনও রাজনৈতিক কারণ খোঁজার চেষ্টা করছি না। তবে, ১০ কিলোমিটার দূর থেকে কেন আমার কনভয়ের পিছু নেওয়া হল তা তদন্ত করা দরকার। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: গোঘাটে সুদের টাকা আদায় করতে গিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি, জখম এক যুবক

    Arambagh: গোঘাটে সুদের টাকা আদায় করতে গিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি, জখম এক যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ঘটনা হুগলির আরামবাগে (Arambagh)। প্রশাসনের উদাসীনতার সুযোগ নিয়ে মানুষ যে কতখানি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, এই ঘটনা তারই জলজ্যান্ত প্রমাণ। সুদে টাকা ধার দিয়ে না পাওয়াতে এক ব্যক্তি দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে হামলা চালালো একজনের বাড়িতে। শুধু তাই নয়, এলোপাথাড়ি গুলিও চালালো। তাতে জখম হলেন ওই ব্যক্তির ছেলে। এলাকার বাসিন্দারাই বলছেন, এমন ঘটনা তাঁরা আগে কখনও দেখেননি।

    কোথায় ঘটেছে এমন ঘটনা?

    ঘটনা হুগলির আরামবাগের (Arambagh) গোঘাট থানার মথুরা এলাকার। শনিবার রাতে হঠাৎ ঘরে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গোঘাট থানার পুলিশ। একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনায় আহতকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    কীভাবে ঘটল এই ঘটনা (Arambagh)?

    জানা গেছে, গোঘাটের (Arambagh) মথুরা গ্রামের বাসিন্দা ফটিক রায় তাঁর পরিচিতদের কাছ থেকে বেশ কয়েক হাজার টাকা সুদে ধার নেন। প্রথম কয়েক মাস সুদের টাকা দিতে পারলেও গত দু’মাস তিনি তা দিতে পারেননি। সেই কারণে শনিবার রাতে বাইকে করে ফটিক রায়ের বাড়িতে হঠাৎ চড়াও হয় পাওনাদার সহ তিন দুষ্কৃতী। প্রথমে টাকা ফেরতের দাবি করে। টাকা ফেরত না পেয়ে ফটিক রায়কে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা। সেই সময় পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দেয় তারা। তার মধ্যেই একটি গুলি গিয়ে লাগে ফটিক রায়ের ছেলে অর্জুন রায়ের হাতে। তার পরেই ভয়ে পালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। দু’জন পালিয়ে গেলেও একজনকে ধরে ফেলে পরিবারের লোকজন। তার পর খবর দেওয়া হয় গোঘাট থানায়। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে গ্রেফতার করে ওই দুষ্কৃতীকে। এখনও পড়ে রয়েছে গুলির খোল। পরিবারের দাবি, প্রায় চার রাউন্ড গুলি চালায়।

    কী বলছেন আক্রান্ত (Arambagh)?

    অন্যদিকে ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অর্জুনকে আরামবাগ (Arambagh) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাতেই। এই ঘটনার বিষয়ে ফটিক রায় বলেন, কৃষ্ণেন্দু সাহা নামে আমার এক পরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে চার মাস আগে ৭৫ হাজার টাকা সুদে ধার নিয়েছিলাম। চার মাস ধরে সুদ দিয়েছি। কিন্তু তাকে এখন পুরো ৭৫ ফেরত টাকা দিতে হবে বলে আমাকে চাপ দেয় বেশ কয়েকদিন ধরে। আমি পুরো টাকা না দিতে পারায় শনিবার প্রায় রাত দেড়টা নাগাদ কৃষ্ণেন্দু সাহা দুই দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে ঢুকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরিবারের লোকজন বাধা দিলে আমাদের মারধর করে, আমার ছেলে বাধা দিলে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। তারা চার রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। সেই সময় দুষ্কৃতীরা ছেলেকে গুলি চালায়। একটি গুলি ছিটকে হাতে লাগে। মাটিতে পড়ে যায় অর্জুন। তারপরে ভয় পেয়ে দুজন দুষ্কৃতী পালিয়ে গেলেও একজন মোটর বাইকে স্টার্ট দিতে না পারলে আমরা তাকে ধরে ফেলি। পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ এলে পুলিশের হাতে তুলে দিই ওই দুষ্কৃতীকে। ঘটনার জেরে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, মৃত ১০, জখম ১৪

    Bomb Blast: দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, মৃত ১০, জখম ১৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলের পর উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের জগন্নাথপুর মোচপোল সংলগ্ন একটি বেআইনিভাবে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। বোমা বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ দু-তিনশো মিটার দূরে কারও বাড়ির চালে, কারও পাঁচিলে, ছাদে উঠে যায়। আশপাশের পাকা বাড়ি গুঁড়িয়ে যায়। পাকা দোতলা বাড়ির বেশ কিছুটা অংশ ভেঙে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। সব মিলিয়ে এদিন দুপুর পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জখম হয়েছেন ১৪ জন। তাঁদের বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, আহতদের মধ্যে কয়েকটি শিশু-ও থাকতে পারে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Bomb Blast)

    দীর্ঘদিন ধরেই ওই বাড়িতে বেআইনি বাজি কারখানাটি চলছিল। এগরার খাদিকুলের ঘটনার পর পুলিশি অভিযানের কারণে কয়েকদিন বন্ধ ছিল। তারপর ফের রমরমিয়ে কারবার চলছিল। পুলিশকে হাত করেই এই কারবার চালাচ্ছিল বলে স্থানীয়দের দাবি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন কারখানায় ২৬ জন কাজ কারছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বাজি কারখানাটিতে বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, আশপাশের বাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বার বার প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছতেই স্থানীয়রা তাঁদের কাছে ক্ষোভপ্রকাশ করতে থাকেন। ঘিরে ধরে চলতে থাকে স্লোগান। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। পরে, বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। গত ১৬ মে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছিল। মৃত্যু হয়েছিল ১১ জনের। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পাঁচ দিনের মাথায়, ২১ মে রবিবার কলকাতার অদূরে বজবজের একটি বাড়িতে বাজি বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। পর পর দু’জায়গায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছিল প্রশাসন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, সেই ঘটনার চার মাস কাটতে না কাটতেই আবারও বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বাংলা। এ বারও কাঠগড়ায় সেই বেআইনি বাজি কারখানা। এর ফলে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দা জামাল হোসেন বলেন, আমরা এদিন সকালে একটি দোকানে বসেছিলাম। বিকট আওয়াজে গোটা এলাকা কেঁপে (Bomb Blast) ওঠে। আশপাশের কয়েকটি পাকা বাড়ি ভেঙে যায়। পাশের টালির চাল উড়ে যায়। আমাদের দোতলা বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা যে দোকানে বসেছিলাম সেই দোকানও ভেঙে গিয়েছে। আমাদের গায়ে ইঁট পড়েছে।

    বিস্ফোরণ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান শুভেন্দু নস্কর বলেন, আইএসএফ সদস্য জয়ী হয়েছে। আইএসএফের নেতা মদতেই এই কারবার চলত। এসব আমাদের অজানা ছিল। মুর্শিদাবাদের সব শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও মদত নেই। যদিও আইএসএফ নেতৃত্ব বলেন, এই ঘটনার জন্য তৃণমূল দায়ী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পে

  • Suvendu Adhikari:  ‘লোকসভাতে প্রতিটা বুথে তৃণমূলকে ফাঁকা করব’, খেজুরির সভা থেকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘লোকসভাতে প্রতিটা বুথে তৃণমূলকে ফাঁকা করব’, খেজুরির সভা থেকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিসিমণি মিটিং হয়েছে? কয়লা ভাইপো খেজুরিতে মিটিং হয়েছে ! ১৪৪ ! মামার বাড়ির আবদার! লোকসভাতে প্রতিটি বুথে তৃণমূলকে ফাঁকা করবো। এভাবেই  শনিবার বিকেলে খেজুরির আলিপুর বাজারে বিজেপির জনসভা থেকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কারণ, এর আগে গত শনিবার খেজুরির আলিপুর বাজারে বিজেপির জনসভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু, হঠাৎই পুলিশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে সভার অনুমতি বাতিল করে। সেদিন খেজুরির বুকে দাঁড়িয়ে রীতিমতো হুঙ্কারের সুরে শুভেন্দু বলেছিলেন,আলিপুর বাজারেই সভা করব আগামী শনিবার। আদালতের অনুমতি নিয়েই সভা হবে। আর হলও তাই।

    পুলিশকে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    এরপরই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বক্তব্যের শুরুতে পুলিশকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পুলিশকে কখনও ‘মামা’ বলে  সম্বোধন করেন। কখনও মমতা পুলিশ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। বিরোধী দলনেতা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস কোনও ফ্যাক্টর নয়। সমস্যা হচ্ছে মমতা পুলিশ। এরপরই তিনি বলেন,মমতার পুলিশের থেকেও ব্রিটিশ পুলিশ অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। সেই ব্রিটিশ পুলিশকে খেদিয়ে ছিল যে মেদিনীপুর। সেখানে  মিথ্যা মামলা দিয়ে, গাঁজার কেস দিয়ে, অস্ত্র মামলা দিয়ে বিজেপিকে রোখা যাবে না।  সংঘবদ্ধ থাকুন। সামনে কঠিন লড়াই।  ২০২৪ সালে মোদীকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী করার নির্বাচন। কাঁথি লোকসভা তিন লক্ষ ভোটে বিজেপি জিতবে বলেও তিনি দাবি করেন।

    তৃণমূল কর্মীদের ব্যালট খাওয়া নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস আমরা জানি, কয়লা, গরু, পাথর, বালি খায়। আমরা জানতাম না তৃণমূল ব্যালট পেপার খায় বলে। এরপরই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ, বিধায়ক,  মন্ত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি তৃণমূল কংগ্রেস ইভিএম খেতে পারবে না লোকসভায় ইভিএমের আকার এত বড় আর তার সঙ্গে রয়েছে ভিভিপ্যাড। এই দুটো তৃণমূলের ছোট চোর তো পরের কথা, চোরেদের রানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ক্ষমতা নেই ইভিএম খেয়ে ফেলার। 

    দলবদলু দুই সদস্যকে কী বার্তা দিলেন শুভেন্দু?

    খেজুরি ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সত্ত্বেও বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল। কারণ,বিজেপির দুই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরেছে। বিজেপির মন্ডল সভাপতি পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী প্রার্থী সেই উদয় শঙ্কর মাইতিকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, নিশ্চিতভাবে দল পরিবর্তনের অধিকার সবার আছে। কিন্তু,তার আগে পঞ্চায়েত সমিতিতে পদত্যাগ করা উচিত উদয়ের। তবে পঞ্চায়েত সমিতির সব কর্মাধ্যক্ষ বিজেপির হবে বলেও হুংকার দেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন,১০ লক্ষ করে টাকার বিনিময়ে বিজেপির দুজন নিজের মনুষ্যত্ব, নিজের হিন্দুত্ব, নিজের রাষ্ট্রবাদ, নিজের দেশপ্রেম বিক্রি করেছেন এবং গণদেবতাকে অমর্যাদা করেছেন।  এরপরই নিজের উদাহরণ টেনে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ১৭ ই ডিসেম্বর ২০২০ সালে বিধানসভার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর ১৯ শে ডিসেম্বর অমিত শাহের হাত ধরে পদ্ম ফুলের পতাকা ধরেছিলাম। এই কাজটা যদি উদয় করত তাহলে, আমাদের কোনও আপত্তি ছিল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: রবিবারও বৃষ্টি জারি থাকবে জেলায় জেলায়, সোমবার থেকে বাড়বে তাপমাত্রা

    Weather Update: রবিবারও বৃষ্টি জারি থাকবে জেলায় জেলায়, সোমবার থেকে বাড়বে তাপমাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় চলছে বৃষ্টিপাত (Weather Update)। রবিবারও এই অবস্থার যে ব্যতিক্রম হবে না তা শনিবারই সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। বাড়ছে সেখানকার নদীগুলি জলস্তর। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের কর্তারা বলছেন, মৌসুমী অক্ষরেখার বিস্তৃতি রয়েছে এই মুহূর্তে বিহারের মোজাফফরপুর থেকে পূর্ণিয়া, বাঁকুড়া হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর। এছাড়া উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশের উপর একটি ঘূর্ণাবর্তের অবস্থান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গেছে, এর ফলে রবিবার ভারী বৃষ্টিপাত হবে উত্তরবঙ্গে (Weather Update)। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই রবিবারও চলবে মাঝারি বৃষ্টি তবে সোমবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ দুই বঙ্গেই কমে আসবে বলে জানিয়েছেন হাওয়া অফিসের আধিকারিকরা। 

    কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া (Weather Update)?

    হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, উত্তরবঙ্গে রবিবার  থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ ভারীর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে (Weather Update)। অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির কোন কোন অঞ্চলে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সোমবার থেকে এই বৃষ্টির পরিমাণ কমবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Update)।

    কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া (Weather Update)

    হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে যেমন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির চলবে। হাওড়া ও নদীয়াতেও চলবে মাঝারি বৃষ্টিপাত (Weather Update)। তবে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রযাত্রায় কোনও রকমের নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি এখনও পর্যন্ত প্রশাসন। জানা গিয়েছে সোমবার থেকে ফের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। ঘটনাক্রমে চলতি বছরের বর্ষায় উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি ভাল হলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ঘাটতি রয়েছে ২৫ শতাংশ। এর মধ্যে কলকাতায় বৃষ্টির ঘাটতি ৩৩ শতাংশ। 

    কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া (Weather Update)?

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবারও কলকাতার আবহাওয়া মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। তবে সোমবার থেকে শহরে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন হাওয়া অফিসের আধিকারিকরা। বাড়তে থাকবে তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: সেনার পোশাকে যাদবপুরে ঢোকার মামলায় প্রথম গ্রেফতারি, ধৃত সংগঠনের প্রধান

    Jadavpur University: সেনার পোশাকে যাদবপুরে ঢোকার মামলায় প্রথম গ্রেফতারি, ধৃত সংগঠনের প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) বুধবারই ঢুকে পড়েছিল সেনার পোশাকে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল। মাথায় টুপিতে লেখা ছিল ভারতীয় সেনা। এর পর ওই দলের তরফে জানানো হয়, তারা এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি নামের একটি সংগঠনের সদস্য। কিন্তু সেনা পোশাকে (Jadavpur University) হঠাৎ কেন ক্যাম্পাসে? এর কোন সদুত্তর তখন তারা দিতে পারেনি। উল্টে এক এক ধরনের বিবৃতি আসে। ওই সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল কাজি সাদিক হোসেনের তখন বলেন, ‘‘ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা তাদের কাজ।’’ কখনো বা তাঁরা বলেন চম্পাহাটির একটি এনজিও থেকে তাঁরা এসেছেন, তাঁদেরকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শনিবার পুলিশ গ্রেফতার করল সাদিক হোসেনকে। 

    গ্রেফতার সেনার পোশাকে যাদবপুরে (Jadavpur University) ঢোকা কাজি সাদিক হোসেন

    এই ঘটনায় কাজি সাদিক হোসেনকে (Jadavpur University) সমন করে যাদবপুর থানার পুলিশ। কিন্তু সাদিক হোসেন সেই সমনে থানায় যাননি, তাই শনিবার রাতে সাদিক হোসেনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয় এবং গ্রেফতার করা হয়।  প্রসঙ্গত সেনার পোশাকের অপব্যবহারের বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয় যাদবপুর থানার এক সাব-ইন্সপেক্টর এর সুয়োমুটো কেসের ভিত্তিতে। সাদিক হোসেন গ্রেফতারর হওয়ায় এবার মনে করা হচ্ছে, কেন তাঁরা সেনার পোশাকে ক্যাম্পাসে (Jadavpur University) ঢুকেছিলেন এর রহস্য উন্মোচন হবে।

    ফের পুলিশ হেফাজতে দীপশেখর ও মনোতোষ 

    অন্যদিকে শনিবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ২ পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত এবং মনোতোষ ঘোষকে ফের হেফাজতে চাইল যাদবপুর থানার পুলিশ। এবং তাতে সম্মতি দিয়েছেন বিচারক। প্রসঙ্গত, মনোতোষ ঘোষ মৃত পড়ুয়া স্বপ্নদীপের ক্লাসমেট ছিলেন। এদিন সরকারি কর্মীকে কাজে বাধাদানের মামলায় তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ছাত্র মৃত্যুর যে মূল মামলা সেখানে এ দুইজনের নাম ছিল অর্থাৎ দীপশেখর এবং মনোতোষের। এবার সরকারি কর্মীর কাজে বাধা দানের মামলাও জুড়ল ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৫৩ ধারাতে। আগামী ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক (Jadavpur University)। অন্যদিকে, ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ নিয়ে মনোতোষের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন যে র‌্যাগিং-এর মূলধারার পরেও কেন আবার নতুন করে সরকারি কর্মীকে কাজে বাধাদানের ধারা যোগ করা হল? তখন সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘‘হস্টেলের এক কর্মী জানিয়েছেন যে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ঘটনার পরে গেট বন্ধ রাখতে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share