Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sukanta Majumdar: রাজ্যে লোকসভার আগে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে আয়ুষ্মান ভারত চালু করব, হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: রাজ্যে লোকসভার আগে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে আয়ুষ্মান ভারত চালু করব, হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শনিবার বকখালিতে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, এ রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর আয়ুষ্মান যোজনা চালু করতে দেননি মুখ্যমন্ত্রী। চালু হলে বহু গরিব মানুষ স্বাস্থ্য বিমায় উপকৃত হতেন। কিন্তু, রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য সাথী করলেও হাসপাতালে গেলে ডাক্তার পাওয়া যায় না, ওষুধ নিতে গেলে ওষুধ পাওয়া যায় না। ডাক্তাররা বসে থাকেন চেম্বারে। লোকসভার আগে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প  চালু করবই বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, এই রাজ্যে অসহায় গরিব মানুষদেরকে এখানেই থাকতে হয়। কারণ, উপায় নেই। অথচ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে দু দুবার আমেরিকায় গেলেন। জীবনের দাম তাঁর আছে, সাধারণ মানুষের নেই। পাশাপাশি তিনি কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর স্ত্রী রুচিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এই প্রসঙ্গেই তিনি মশকরা করে একটি হিন্দি গানের লাইনও উল্লেখ করেন “পরদে মে রেহনে দো, পরদানা হটাও”তিনি বলেন রুচিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টে অনেক বেআইনি অর্থ ঢুকেছে। একে একে সব পর্দা ফাঁস হবে।

    ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    একই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে হারানোর জন্যই সর্বদলীয় বৈঠকের মাধ্যমে ইন্ডিয়া নামক একটি জোট তৈরি করেছে। এই বিষয় নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, ওটা ইন্ডিয়া নয়, তিনি দেশকে ভাঙার জন্যই পরিকল্পনা করেছেন। একইসঙ্গে তৃণমূলের সামনের রাখি বন্ধন উৎসবকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি।  সুকান্ত মজুমদার বলেন, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বড় চোর। পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নব নিযুক্ত সহ-সভাপতি সীমন্ত মালিককে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, আগে সুন্দরবন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি চেয়ারম্যান ছিল চুরি করে হাত পাকানোর পর ভাইপো তাঁকে বড় চুরির দায়িত্ব দিয়েছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে এই চোরেদের বিরুদ্ধে যোগ্য জবাব দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sonarpur: সোনারপুরের সমবায়ে ১০ কোটি টাকার দুর্নীতি, ইডি- সিবিআই চেয়ে আন্দোলনে গ্রাহকরা

    Sonarpur: সোনারপুরের সমবায়ে ১০ কোটি টাকার দুর্নীতি, ইডি- সিবিআই চেয়ে আন্দোলনে গ্রাহকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে (Sonarpur) ১০ কোটির সমবায় দুর্নীতির অভিযোগ, পাওয়া যাচ্ছে না লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাও। আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি, ইডি-সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ারে একটি সমবায় সমিতিতে ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছিল। সেই দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই ইডি, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। সোনারপুরের সমবায়ে উঠল একই দাবি।

    কী বললেন প্রতারিত গ্রাহকরা? (Sonarpur)

    সোনারপুরে (Sonarpur) সমবায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। সোনারপুরের লাঙলবেড়িয়া অঞ্চল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডে ১০ কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। কামালগাজি-বারুইপুর বাইপাস অবরোধ করে বিক্ষোভ চলে। সমবায় সমিতির গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানিয়েও কাজ হয়নি। আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি, ইডি-সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ, লাঙলবেড়িয়া অঞ্চল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডে টাকার হিসেব না মেলায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে গন্ডগোলের বিষয়টি নজরে আসে। এর ফলে গত ৬ মাস ধরে গ্রাহকরা টাকা পাচ্ছেন না। এমনকী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাও মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। সমবায় দফতর, বিডিও, এসপি বারুইপুর, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ককে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। তাঁদের আরও অভিযোগ, ‘অডিট’ করার নামে প্রহসন চলছে এখানে। সমবায়ের যিনি স্পেশাল অফিসার ছিলেন, সেই সৌগত চক্রবর্তীকে বদলি করা হয়েছে। তিনিই এই ‘ষড়যন্ত্রের মূলচক্রী’ বলে অভিযোগ করছেন বিক্ষোভকারীরা। প্রথমে গ্রাহকরা সমবায় অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পরে বারুইপুর কামালগাজি বাইপাস রোড অবরোধ করেন। এই ‘দুর্নীতির তদন্তে’ তাঁরা সিবিআই এবং ইডি তদন্তের দাবি করেছেন। এমনই এক গ্রাহকের কথায়, এটা একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। গ্রাহকদের অভিযোগ, গত ছ’মাস ধরে ব্যাঙ্কের মোট ৬,৩১৯ জন গ্রাহক তাঁদের জমানো টাকা পাচ্ছেন না। শনিবার লাঙলবেড়িয়ায় এই বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বারুইপুর এবং সোনারপুর (Sonarpur) থানার পুলিশ। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়ির ছাত্রী খুনে ১২ ঘণ্টা বনধ, কেমন সাড়া মিলল পাহাড়ে?

    Siliguri: শিলিগুড়ির ছাত্রী খুনে ১২ ঘণ্টা বনধ, কেমন সাড়া মিলল পাহাড়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির (Siliguri) মাটিগাড়ায় নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করে খুনের প্রতিবাদে শনিবার পাহাড়ে ১২ ঘন্টার বনধ সর্বাত্মক ছিল। ছাত্রী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার মহম্মদ আব্বাসের কঠোর শাস্তির দাবিতে এদিন পাহাড়বাসী  ১২ঘণ্টার বনধ স্বতস্ফুর্ত ভাবে সমর্থন করেন।

    পাহাড়ে বনধে কেমন প্রভাব পড়ল?

    ২০১৭ সালে পাহাড়ে শেষ বনধ হয়েছিল। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে যেভাবে বনধে পাহাড়ের সব কিছু বন্ধ থেকেছে এদিনও সেই ছবি দেখা গিয়েছে। এদিন  পাহাড় বনধের ডাক দিয়েছে গোর্খা সেবা সেনা। শনিবার সকাল থেকেই সেই বনধের প্রভাব দেখা গেল, গোটা পাহাড় জুড়ে। শুনশান ছিল পাহাড়ের রাস্তা। পাহাড়ের মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে এই বনধকে সমর্থন করায় পাহাড়ে থাকা পর্যটকদের এদিন হোটেলে কাটাতে হয়েছে। বিকালের দিকে দার্জিলিংয়ের ম্যালে কিছু পর্যটক ঘুরে বেড়ান। এদিন সকাল থেকেই শুনশান পাহাড়ের রাস্তা কয়েকটি গাড়ি চলাচল করলেও বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। শিলিগুড়ি (Siliguri) লাগোয়া সুকন্যাতেও এদিন বনধ সর্বাত্মক ছিল। সেখানেও ছাত্রী খুনের ঘটনার প্রতিবাদ করেন বাসিন্দারা। এনজেপি স্টেশনে নেমে এদিন আর পর্যটকরা পাহাড়ে যেতে পারেননি। সেরকম পাহাড় থেকেও এদিন কেউ সমতলে আসতে পারেননি। ফলে, পাহাড়বাসীর উপর নির্ভর শিলিগুড়ির বাজারগুলি এদিন ফাঁকাই ছিল।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    দার্জিলিংয়ের বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বা বলেন, যেভাবে নাবালিকা ছাত্রীকে খুন করা হয়েছে তার সর্বত্র প্রতিবাদ হওয়া দরকার। এধরনের ঘটনাকে প্রশ্রয় দিলে আগামীদিনে সামাজিক বিপর্যয় দেখা দেবে। তাই খুনির কঠোর শাস্তির দাবিতে এদিনের বনধে পাহাড় সাড়া দিয়েছে। দার্জিলিঙয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ছাত্রী খুনের প্রতিবাদে সর্বস্তরের মানুষ নিন্দায় সরব হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবারের জন্যও শিলিগুড়িতে এলেন না। অথচ তিনি মণিপুরে যাওয়ার সময় পান। এদিন পাহাড়বাসী বনধে সাড়া দিয়ে তাতে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতিরও প্রতি (Siliguri) বাদ করেছেন।

    কী বললেন শিলিগুড়ির মেয়র? (Siliguri)

    শিলিগুড়ি (Siliguri) কর্পোরেশনের মেয়র গৌতম দেব বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে তাকে নিন্দা জানানোর আমাদের ভাষা নেই। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছি। অনেক আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। তবে, বনধ করে সাধারণ মানুষের আরও বেশি অসুবিধা হয়। এতে মানুষের মনে ক্ষোভ তৈরি হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: রায়গঞ্জে শঙ্খ বাজিয়ে গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ করে পঞ্চায়েতে দায়িত্ব নিল বিজেপি, কেন জানেন?

    Raiganj: রায়গঞ্জে শঙ্খ বাজিয়ে গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ করে পঞ্চায়েতে দায়িত্ব নিল বিজেপি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরোহিত ডেকে শাঁখ, উলুধ্বনির পাশাপাশি গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণের মধ্য দিয়ে  পঞ্চায়েতের দায়িত্বভার নিল বিজেপি। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ (Raiganj) ব্লকের কমলাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে। এদিন প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বিজেপির রেখা বর্মন।

     পঞ্চায়েতে কেন শুদ্ধিকরণ? (Raiganj)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ (Raiganj) ব্লকের কমলাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। বিজেপি এই পঞ্চায়েতে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেলেও বিজেপি জয়ী সদস্যদের শংসাপত্র কেড়ে নিয়ে খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল। সেই ঘটনার পর পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন বিজেপির রেখা বর্মন। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি এই পঞ্চায়েত দখল করেছিল। প্রায় আড়াই বছর পর বিজেপির সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় তৃনমূল কংগ্রেস অনাস্থার মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে। ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি পুনরায় এই গ্রাম পঞ্চায়েতটি দখল করে। বিজেপি পঞ্চায়েত দখল করলেও বোর্ড গঠন নিয়ে তৈরি হয়েছিল টানাপোড়েন। সেই টানাপোড়েনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। শনিবার পঞ্চায়েতের প্রধান রেখা বর্মন আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন। প্রধান পঞ্চায়েত অফিসে আসার আগেই পঞ্চায়েত অফিসকে ফুল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। পুরোহিত ডেকে গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধীকরন করার পর উলুধ্বনি, শঙখধ্বনির মধ্যে দিয়ে প্রধান রেখা বর্মন পঞ্চায়েতে প্রবেশ করেন। পঞ্চায়েতকে কেন শুদ্ধিকরন করা হল এ প্রসঙ্গে বিজেপির অঞ্চল কনভেনর অরূপ পাল বলেন, চলতি বছরে তৃণমূল চারিদিকে সন্ত্রাস করেছে। এমনকী বোর্ড গঠনের দিনে বিজেপির প্রধানের শংসাপত্র খেয়ে নিয়েছিল তৃণমূলের এক প্রতিনিধি। তাই এসব ঘটনা থেকে পঞ্চায়েতকে মুক্ত করে নতুন করে মানুষের জন্য কাজ করার পথ চলা শুরু হল।

    কী বললেন পঞ্চায়েতের প্রধান?

    একইভাবে নবনির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেখা বর্মন বলেন, আড়াই বছর এই পঞ্চায়েতে তৃণমূল ক্ষমতায় ছিল। তারা কোনও কাজ করেনি। তাই এদিন শুদ্ধিকরণের মধ্যে দিয়ে নতুন করে পথ চলার বার্তা দেন তিনি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায়ী প্রধান যমুনা বর্মন বিজেপির এই শুদ্ধিকরনকে আমল দিতে রাজি নন। তিনি বলেন, মন শুদ্ধ থাকলেই সব শুদ্ধ হয়। এসব করে কোনও লাভ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: র‌্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে যাদবপুরে আসছে ইসরোর দল, বসছে ২৬টি সিসিটিভি

    Jadavpur University: র‌্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে যাদবপুরে আসছে ইসরোর দল, বসছে ২৬টি সিসিটিভি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University)  র‌্যাগিং ঠেকাতে ঠিক কী কী প্রযুক্তি অবলম্বন করা যায়, তা নিয়ে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যপাল ইসরো প্রধানকে। এবার রাজ্যপালের আহ্বানে সাড়া দিয়ে  র‌্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) আসছে ইসরোর একটি দল। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল গোটা বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। সেই মতো ইসরোর সঙ্গে এক প্রস্থ আলোচনাও সেরে ফেলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের(Jadavpur University) উপাচার্য। কোন কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে সে নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। 

    কী বলছেন উপাচার্য?

    শনিবার এ নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে বলতে শোনা যায়, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এবং বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি বসানো হবে নজরদারি চালাতে।’’ সিসিটিভি বসানোর কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বুদ্ধদেব সাউ। উপাচার্য আরও বলেন, ‘‘গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ক্যাম্পাস পরিদর্শন করবে ইসরো। সিসিটিভি ছাড়া আরও কী কী প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রয়োজন আছে, সেগুলো তাঁরা পরামর্শ দেবেন।’’

    ২৬টি সিসিটিভি বসছে বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) 

    এদিকে জানা গিয়েছে, র‌্যাগিং রুখতে মোট ২৬টি সিসিটিভি আপাতত বসছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের(Jadavpur University) ক্যাম্পাস জুড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০টি জায়গা ইতিমধ্যে খুঁজে বের করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে মেন হোস্টেল। ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। গোটা ঘটনায় পুলিশকে তদন্ত করতে হচ্ছে গ্রেফতার হওয়া পড়ুয়াদের বয়ান, ফরেন্সিক রিপোর্ট ইত্যাদির ভিত্তিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘যদি ক্যাম্পাসে সিসিটিভি থাকতো তাহলে সেই ফুটেজ দেখে কাজ আরও বেশি সহজ হয়ে যেত।’’ এবং অন্য একটি মহলের মতে, ‘‘ক্যাম্পাসে যেভাবে মাদক নিয়ে কারবার চলছে, মদের বোতল পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে সিসিটিভির ব্যবহার হলে এগুলি কমে যাবে।’’ সূত্রের খবর ১ থেকে ৫ নম্বর গেটে বসানো হবে দশটি সিসিটিভি। গাড়ির নজরদারিতে থাকছে দুটি এনপিআর ক্যামেরা। হস্টেলে থাকছে ১১ টি সিসিটিভি এবং তিনটি এনপিআর ক্যামেরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বালুরঘাটে ঠিকাদারের কাছে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামী

    Balurghat: বালুরঘাটে ঠিকাদারের কাছে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলেরই কর্মী। সেই সুবাদে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা থেকে ঠিকাদারির কাজ পেয়েছিলেন ওই কর্মী। আর সেই কাজ করতে গিয়েও ওই ঠিকাদারের কাছে থেকে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভায়। এর আগে এই পুরসভায় এক তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের বিরুদ্ধে  কাটমানি নেওয়ার অভিযোগের তদন্তই শেষ হয়নি। সেই ঘটনার জের না মিটতেই বালুরঘাটে ফের  আরও এক তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামীর বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল। কাটমানি চাওয়ার সেই অডিও ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে তৃণমূল।

    ভাইরাল হওয়া অডিওতে কী রয়েছে? (Balurghat)

    ভাইরাল হওয়া ওই  অডিওতে এক দলের কর্মী তথা ঠিকাদারের সঙ্গে ওই  মহিলা কাউন্সিলারের স্বামী সুদীপ নন্দী ও এক অনুগামীকে  কাটমানি নিয়ে দরকষাকষি চালাতে শোনা যাচ্ছে। বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার এক ঠিকাদার ওয়ার্ডে ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকার কাজ করেছেন। তার কাছ থেকে ২০ শতাংশ টাকা কাটমানি হিসেবে চাওয়া হচ্ছে। আর অত টাকা দিতে পারবেন না বলে কাকুতি মিনতি করছে ওই ঠিকাদার। দলীয় কর্মীকেও কাজের জন্য এভাবে টাকা দিতে হবে। তিনি পার্টি ফান্ডের জন্য ২ হাজার দিতে রাজি হয়। যদিও  ওই  ভাইরাল অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির বালুরঘাট (Balurghat) শহর মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি সুমন বর্মন বলেন, কাউন্সিলারের স্বামী ও তাঁর অনুগামীদের এক ঠিকাদারের কাছে টাকা চাওয়ার অডিও ভাইরাল হয়েছে। ওই ক্লিপেই পরিষ্কার, কাটমানি ছাড়া কোনও কাজ করে না তৃণমূল। ঠিকাদার অত টাকা দিতে পারবেন না বলে আকুতি মিনতি করছেন। আমরা এর তদন্ত চাই।

    অভিযোগ নিয়ে কী বললেন তৃণমূল কাউন্সিলার?

    কাটমানি নিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠা প্রসঙ্গে তৃণমূল কাউন্সিলার নিতা নন্দী বলেন, আমার ও আমার স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিজেপি যদি অভিযোগটা প্রমানণ করতে পারে তাহলে আমি আমার পদ থেকে ইস্তফা দেব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, যে অডিও ভাইরাল  করা হয়েছে,  তাতে কাউন্সিলর বা কাউন্সিলারের স্বামীর কোনও গলা সেখানে আমরা শুনতে পাইনি। অথচ তাদের নাম করে যারা মিথ্যা রটনা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আমরা প্রস্তুত। কারণ, পুরসভাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে। তৃণমূল জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, বিজেপির আইটি সেল এর কাজ মিথ্যে রটনা করা। এক্ষেত্রেও আমাদের মনে হচ্ছে মিথ্যে প্রচার করা হচ্ছে। কোনও ষড়যন্ত্র হচ্ছে কিনা আমরা দলীয়ভাবে তদন্ত করে দেখব।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election: দলীয় নেতা খুনে দিঘা থেকে গ্রেফতার বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Gram Panchayat Election: দলীয় নেতা খুনে দিঘা থেকে গ্রেফতার বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি ব্লকের অঞ্চল সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় ওরফে ঝাড়েশ্বর সাঁতরার খুনের ঘটনায় সদ্য বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা ফটিক পাহাড়িকে গ্রেফতার করল সিআইডি। ফটিক ছাড়াও আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।  পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Gram Panchayat Election) পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠনের আগে দলীয় নেতা খুনে দলেরই এক নেতা গ্রেফতার হওয়ায় চরম বিড়ম্ভনার পড়েছে শাসক দল।

    ঠিক কী অভিযোগ ছিল?

    দলীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দাবিদার ছিল এই ফটিক। গত ১০ অগাস্ট কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন হওয়ার কথা ছিল। সভাপতি, সহ সভাপতি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বোর্ড গঠন হয়নি। পরে,  পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Gram Panchayat Election) কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন নিয়ে মামলাও হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। মামলা করেছেন সমিতির ১৫ জন তৃণমূল সদস্য। এখানে সমিতির ২৭ জন সদস্যের মধ্যে তৃণমূলেরই ২৩ জন। এঁদের মধ্যে ‘আড়াআড়ি’ বিভাজন রয়েছে। তৃণমূলের একপক্ষ চেয়েছিল, সমিতির সভাপতি হোন ফটিক পাহাড়ি। আরেকপক্ষ চেয়েছিল, সভাপতি হোক উত্তম শীট। জেলা নেতৃত্বের ‘হুইপ’ ছিল উত্তমকে সভাপতি করার। দলেরই একাংশ সেই ‘হুইপ’ মানেননি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বোর্ড গঠন স্থগিত রাখা হয়। ঘটনাচক্রে, এর পরপরই ফটিককে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সুবিচার চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের ১৫ জন জয়ী প্রার্থী। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ফটিকও। ফলে, দলীয় নেতৃত্ব ফটিকের ভুমিকায় ক্ষুব্ধ। জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে খুন হয়েছিলেন মৃত্যুঞ্জয় সাঁতরা। কেশিয়াড়ির ডাডরা গ্রামের এই বাসিন্দা দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে নছিপুরে গিয়েছিলেন। রাতে বাইকে করে ফিরছিলেন তিনি। ভসরাঘাটে ঢোকার সময়ে তাঁর উপর চড়াও হয়েছিল সশস্ত্র দুষ্কৃতী দল বলে অভিযোগ। তাঁকে লক্ষ্য করে তির ছোঁড়া হয়েছিল। পায়ে তির লাগায় বাইক থেকে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর মাথায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এমনকী চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। খুনের পর রাস্তার ধারে দেহ ফেলে রেখে দেয় দুষ্কৃতীরা। এই খুনের ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করে সিআইডি। নাম জড়ায় ফটিকের। বেশ কিছুদিন ধরেই মোবাইল বন্ধ রেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল ফটিক। শুক্রবার গভীর রাতে দিঘা থেকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি তদন্তকারী দল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, দলীয় নেতা খুনের তদন্ত করছে সিআইডি। প্রমাণ হাতে পেয়ে যে জড়িত রয়েছে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পঞ্চায়েত (Gram Panchayat Election)  সমিতিতে আমরাই বোর্ড গঠন করব।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি জেলা নেতা অরূপ দাস বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জন্যই এই গ্রেফতার। আসলে পঞ্চায়েত (Gram Panchayat Election) সমিতির বোর্ড গঠনে দলের নির্দেশ তিনি মানেননি বলেই ৬ বছর আগের খুনের ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ভাগীরথীতে নতুন ব্রিজ সহ জাতীয় সড়ক চালু হওয়া নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    Murshidabad: ভাগীরথীতে নতুন ব্রিজ সহ জাতীয় সড়ক চালু হওয়া নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরের নব নির্মিত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক তৈরির কাজের তদারকি করলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। শনিবার সাত সকালে বহরমপুরের আগে বলরামপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নবনির্মিত জাতীয় সড়কের কাজ কেমন হচ্ছে তা ঘুরে দেখেন।

    মুর্শিদাবাদে নবনির্মিত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের রুট কেমন জানেন? (Murshidabad)

    এতদিন মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ভিতর দিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ভাগীরথী নদীর উপর রামেন্দ্রসুন্দর সেতু দিয়ে উত্তরবঙ্গে চলে যেত। এটাই এতদিন ছিল চেনা রুট। আর বহরমপুরের মতো ব্যস্ত শহরের ভিতর দিয়ে জাতীয় সড়ক যাওয়ার কারণে ব্যাপক যানজট হয়। ফলে, প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের ভোগান্তি হত। এবার কেন্দ্রীয় সরকার বহরমপুর শহরকে বাদ রেখেই বাইপাসের মতো নতুন রাস্তা তৈরি করেছে। বহরমপুর শহর ঢোকার আগে সারগাছির পর পর বলরামপুর থেকে রাস্তাটি বাঁদিকে ঢুকে হরিদাসমাটি দিয়ে ভাগীরথীর উপর দিয়ে শিয়ালমারা হয়ে গঙ্গার ওপারে খাগড়ার কাছে মেহেন্দিপুরে জাতীয় সড়কের সঙ্গে মিশছে। এই রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ কিলোমিটার। এরমধ্যে ভাগীরথী নদীর উপর ৪৫০ মিটার ব্রিজ তৈরি করা হচ্ছে। সেই ব্রিজ তৈরির কাজও শেষের দিকে। এই রাস্তা চালু হয়ে গেলে দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ যেতে হলে আর বহরমপুর শহরে ঢুকতে হবে না। সোজা এই রাস্তা ধরে গেলে অনেক কম সময়ে লাগবে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    এদিন মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) জাতীয় সড়কের কাজ তদারকি করতে আসেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন,  সড়ক যোজনার উন্নয়ন হলে এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা সংস্কৃতি সমস্ত কিছুর উন্নতি হবে। এই কাজের শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দ্রুততার সঙ্গে কাজ হচ্ছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে নতুন তৈরি এই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক চালু হয়ে যাবে। এই বিষয়ে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বললেন, রাস্তাটার এক দিক তৈরি হয়ে গিয়েছে। অন্য দিকটা বাকি থাকায় কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে,একদিক চালু করার জন্য উচ্চ আধিকারিকদের কাছে আবেদন করা হয়েছে। সেখান থেকে নির্দেশ এলেই রাস্তার একটা দিক চালু করে দেওয়া যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ার সমবায়ে ৫০ কোটির দুর্নীতিতে ইডি, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, কী বললেন আমনতকারীরা?

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ার সমবায়ে ৫০ কোটির দুর্নীতিতে ইডি, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, কী বললেন আমনতকারীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল জমানাতেই আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) একটি সমবায়ে আমানতকারীদের গচ্ছিত কোটি কোটি টাকা তছরুপ হয়েছিল। ওই ঘটনায় প্রতারিতরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই মামলায়  ইডি এবং সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আর্থিক তছরূপের ঘটনায় কয়েক বছর আগে অভিযোগের ভিত্তিতে সমবায়ের পাঁচ জন কর্মীকে গ্রেফতার করা হলেও আমানতকারীরা তাদের গচ্ছিত টাকা আজও ফেরত পাননি। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে দুর্নীতির ওই মামলায় সিবিআই ও ইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় খুশি আমানতকারীরা। তাঁদের আশা, কোটি কোটি টাকা তছরূপে জড়িত মূল নাটের গুরুরা এবার সিবিআই ও ইডির জালে ধরা পড়বে।

    কত টাকার দুর্নীতি হয়েছিল? (Alipurduar)

    যদিও বাম আমলে আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতি গড়ে উঠেছিল। শুরুর দিকে ওই ওই সংস্থার কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবেই চলছিল। কিন্তু, ২০১৭ সাল থেকেই আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠতে থাকে। ওই সংস্থার প্রায় ২২ হাজার গ্রাহক ছিল। গ্রাহকরা তাঁদের গচ্ছিত টাকা ফেরত না পেয়ে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে সমিতির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে রাস্তায় নামেন। ২০২০ সালেই বন্ধ হয়ে যায় সমিতির দফতর। এখনও সেই দফতর বন্ধই রয়েছে। ওই সময় অলক রায় নামে এক বাসিন্দা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই সমবায় কর্তাদের পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে সিআইডি তদন্ত হয়েছে। কিন্তু, আমানতকারীরা টাকা ফেরত পেতে ২০২২ সালে সার্কিট বেঞ্চে সমিতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপরেই গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই ও ই ডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক থেকে ঝাল মুড়ি বিক্রেতা কেউ বাদ যায়নি প্রতারণার হাত থেকে। আদালতের নির্দেশে যে কোন দিনই আলিপুরদুয়ারে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা এসে ওই আর্থিক দুর্নীতি তদন্ত শুরু করবে। প্রতারিত আমানতকারীদের বক্তব্য,আসল রাঘব বোয়াল যারা তারা অধরাই রয়ে গিয়েছে। এদের মধ্যে অনেকে ঠিকাদার রয়েছেন। যারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে।

    দুর্নীতি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    যদিও বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, সিপিএমের কিছু নেতা ও তাদের পৃষ্ঠপোষকরা মানুষের গচ্ছিত ওই টাকা আত্মসাৎ করেছে। আমি বিধানসভায় এ নিয়ে সরব হয়েছিলাম। আমরা চাই, প্রতারিত মানুষরা তাদের টাকা ফেরত পাবে। অন্যদিকে,  সিপিএমের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার সম্পাদক কিশোর দাস জানিয়েছেন, তৃণমূল জামাতেই যারা মানুষের গচ্ছিত টাকা আত্মসাৎ করেছে, তাদের অনেকেই শাসক দলের ছাত্র ছায়ায় রয়েছেন। সিবিআই ও ইডি তদন্ত হলেই সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। আমরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে স্বাগত জানাচ্ছি। বিজেপির জেলা নেতা মিঠু দাস বলেন, এই দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূল জড়়িত রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে প্রতারিতদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: পঞ্চায়েতের উপ সমিতি গঠন ঘিরে ধুন্ধুমার নদিয়ায়, লাঠি-বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার বিজেপি কর্মীদের

    Nadia: পঞ্চায়েতের উপ সমিতি গঠন ঘিরে ধুন্ধুমার নদিয়ায়, লাঠি-বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার বিজেপি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপ সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড। শুক্রবার দুপুরে নদিয়ার (Nadia) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েতের উপ সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে শাসক এবং বিরোধী দলের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় তীব্র চাঞ্চলের সৃষ্টি হল। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা লাঠি, বাঁশ দিয়ে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের। পাশাপাশি এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী শিবির।

    গন্ডগোলের সূত্রপাত কীভাবে (Nadia)?

    জানা গেছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৫ টি আসন বিশিষ্ট কৃষ্ণগঞ্জ (Nadia)পঞ্চায়েতে ১৩ টি আসনে জয়লাভ করে পঞ্চায়েত বোর্ড দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি পায় ১২ টি আসন। এছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল ও বিজেপি ১টি করে আসনে জয়লাভ করে। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের আসন সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১৪ টিতে। অভিযোগ, এদিন পঞ্চায়েতের উপ সমিতি গঠন করতে গিয়ে তৃণমূল সমর্থিত একজন জয়ী সদস্য বিজেপির সদস্যদের মধ্যে গিয়ে বসেন। তৃণমূলের ওই সদস্য বিজেপিকে সমর্থন করতেই উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র বচসার সৃষ্টি হয়। ওই সদস্যার সার্টিফিকেট ও ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল সমর্থিত কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তৃণমূল আশ্রিত কর্মী-সমর্থকদের বেধড়ক মারে গুরুতর জখম বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থক বলে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে সরাসরি আঙুল তুলতে দেখা যায় বিরোধী শিবিরের নেতা-কর্মীদের। জখম ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে।

    অভিযোগের জবাবে কী বলল তৃণমূল (Nadia)?

    যদিও ঘটনাটি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন তৃণমূল সমর্থিত পঞ্চায়েত প্রধান মদন ঘোষ। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত উপ সমিতির (Nadia) ভোটাভুটি শুরু হলে উপস্থিত বিরোধী শিবিরের কর্মীরা তাদের এক সদস্যাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে তাঁর ব্যালট পেপার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইরে ধুন্ধুমার কাণ্ড। তার ফলেই বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share