Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Durgapur: দুর্গাপুরে হস্টেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার মৃতদেহ ঘিরে রহস্য

    Durgapur: দুর্গাপুরে হস্টেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার মৃতদেহ ঘিরে রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরের (Durgapur) বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রের ঝুলন্ত পচা গলা দেহ উদ্ধারকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত ছাত্রের নাম সৌরভ কুমার, বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা, কম্পিউটার সায়েন্স এবং ডিজাইনের ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। যাদবপুরের হস্টেলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা কাটতে না কাটতেই, দুর্গাপুরে ফের ছাত্র মৃত্যু ঘটনা ঘটল।

    কীভাবে উদ্ধার হল দেহ (Durgapur)?

    সূত্রে জানা গেছে, কলেজের (Durgapur) বয়েজ হস্টেলের ফাঁকা চারতলায় একটি ঘরে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। গত ২১ অগাষ্ট তাঁকে, শেষবারের মতন কলেজ চত্বরে দেখা যায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। এই ছাত্র একটু অন্তর্মুখী ছিল বলে জানিয়েছেন কলেজের ডিন।

    ডিনের বক্তব্য

    কলেজের (Durgapur) ডিন, ছাত্র মৃত্যুর পর জানান, ২১ তারিখ শেষ ওঁকে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে নিখোঁজ। বেশ কয়েকদিন ধরে ওঁর কোনও খোঁজ মিলছিলনা। ডিন আরও বলেন, ওঁর তেমন বন্ধু খুব একটা ছিল না। আত্মকেন্দ্রিক ছেলে ছিলেন সৌরভ। হস্টেলের চার তলায় বিল্ডিং মেরামতির কাজ চলছিল, সেই সঙ্গে ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার কাজও চলছিল। খোঁজ না পাওয়ায় প্রথমে বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হয়। এরপর হস্টেলের ওপরের একটি ঘর থেকে অত্যন্ত পচা গন্ধ বের হলে, দরজা খুলে দেখা যায় সৌরভ কুমারের মৃত দেহ ঘরের উপর থেকে ঝুলছে। এরপর পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মৃত দেহ উদ্ধার করে।

    পুলিশের ভূমিকা

    স্থানীয় (Durgapur)  ডিসি পূর্ব কুমার গৌতম বলেন, তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট করে জানা যাবে। তবে প্রথমাবস্থায় পুলিশ আত্মহত্যার ঘটনাই বলে অনুমান করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • SSKM: যাদবপুরের পর এসএসকেএম! হস্টেলের বাথরুম থেকে উদ্ধার নার্সিং ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ

    SSKM: যাদবপুরের পর এসএসকেএম! হস্টেলের বাথরুম থেকে উদ্ধার নার্সিং ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই কলকাতার এসএসকেএম-এর (SSKM) নার্সিং হস্টেলের শৌচাগার থেকে এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। মৃত ওই ছাত্রীর নাম সুতপা কর্মকার। তিনি জেএনএম নার্সিং প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে হস্টেলের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ। এসএসকেএম হাসপাতালের লিটন নার্সিং হস্টেলে থাকতেন ওই ছাত্রী।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (SSKM)

    হস্টেল ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের দেবীনগরে ২৬ নং ওয়ার্ডে। খবর পেয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তাঁর বাবা- মা। তাঁর বাবা সুদামা কর্মকার পেশায় একজন স্বর্ণকার। মা বেলা কর্মকার একজন গৃহবধূ। তাঁদের একমাত্র মেয়ে সুতপা। গত চার বছর ধরে কলকাতায় এসএসকেএম-এ (SSKM) পড়াশুনা করছিলেন সুতাপা। ঘটনার খবর পেয়ে শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দীর্ঘক্ষণ ধরে বাথরুমের দরজা বন্ধ ছিল। সুতপাকে এক বান্ধবী ডাকতে যান। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পর তাঁর সাড়া না মেলায় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। খবর যায় ভবানীপুর থানায়। পুলিশ হস্টেলে বাথরুমের দরজা ভেঙে সুতপার নিথর দেহ উদ্ধার করে। ইতিমধ্যেই পুলিশ তাঁর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে। সুতপার বান্ধবী ও হস্টেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুলিশ কথা বলেছে। সুতপার বান্ধবীরা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে মেলামেশা কমিয়ে দিয়েছিল। কথাবার্তাও খুব কম বলত। অনেকবার তার কাছে সমস্যার কথা জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, খোলসা করে ও কিছু বলেনি।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    যদিও স্থানীয় পুর কো-অর্ডিনেটর অভিজিৎ সাহা বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন আমাকে ফোন করে ওই ছাত্রীর বাবা-মাকে দ্রুত কলকাতায় পাঠানোর জন্য বলে। সুতপা খুব অসুস্থ রয়েছে তা জানানো হয়। তার বাবা-মা ইতিমধ্যেই কলকাতার এসএসকেএমে (SSKM) পৌঁচ্ছে গিয়েছে। এর বেশি আর কিছু জানা নেই। আমরা পাড়া প্রতিবেশীরা সকলেই চিন্তায় আছি। সুতপার বাবা সুদামা কর্মকার বলেন, আমার মেয়ে এভাবে মারা যেতে পারে না। আমি এই ঘটনার পূর্ণ তদন্তের দাবি করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: চন্দ্রযান-৩ সাফল্যের নেপথ্যে বীরভূমের কৃষক সন্তান, কৃতি বিজ্ঞানীর গর্বে পদযাত্রা

    Chandrayaan 3: চন্দ্রযান-৩ সাফল্যের নেপথ্যে বীরভূমের কৃষক সন্তান, কৃতি বিজ্ঞানীর গর্বে পদযাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সাফল্যের সঙ্গে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) নামিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত। বুধবার সন্ধ্যায় মহাকাশ বিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে দেশ। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্ৰ তথা ইসরোর বিজ্ঞানীরা এই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন। নির্ধারিত দিনে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান-৩। আর এই সাফল্যে সামিল বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রামের বিজয় কুমার দাই। তিনিও চন্দ্রযান-৩ পাঠানোর নেপথ্যে থাকা ইসরোর অন্যতম বিজ্ঞানীদের একজন। আর তাতেই আরও গর্বিত বীরভূমবাসী।

    কী বললেন বিজ্ঞানী বিজয় দাইয়ের মা?

    বীরভূমের মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রামের দাই পাড়ার তফশিলি দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম বিজয়ের। দারিদ্রতাকে জয় করে তিনি ইসরোর বিজ্ঞানী হয়ে উঠেছেন। চন্দ্রযান (Chandrayaan 3) পাঠানোর এই কর্মযজ্ঞে সামিল হন তিনি। চন্দ্রযানের ইলেকট্রিক টিমের অন্যতম সদস্য বিজয়। ইসরোর বিশ্বজোড়া খ্যাতির কর্মকাণ্ডে বিজয়ের অংশগ্রহণে গর্বিত তাঁর বাবা-মা ও গ্রামের বাসিন্দারা। চন্দ্রযান-২ সফল না হলেও চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করায় খুশি বীরভূমবাসী। আনন্দে আত্মহারা বিজয়ের মা শ্যামলী দাই। তাঁর তিন ছেলের মধ্যে মেজ ছেলে হচ্ছে বিজয়। ছেলের এ হেন সাফল্য তিনি বলেন, বুধবার বিকেল থেকেই টিভির পর্দায় চোখ ছিল। চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩ নামতেই আমার গর্বে বুক ভরে ওঠে। কারণ, এতবড় কর্মযজ্ঞে আমার ছেলে নিজে সেখানে রয়েছে। তাদের সকলের এই পরিশ্রমে এই সাফল্য।

    বিজ্ঞানী বিজয় দাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এলাকায় পদযাত্রা করল স্কুলের পড়ুয়ারা

    ২০০০ সালে মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রাম জগত্তারিণী বিদ্যায়তন থেকে ৮৯ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন বিজয় কুমার দাই। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ থেকে। তারপর কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেন। এরপর চাকরি পেয়ে যান ইসরোয়। সেখানেই চন্দ্রযান-২ এবং চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) উৎক্ষেপণে অংশগ্রহণ করেন বিজয়। ছাত্রের এই সাফল্যে খুশি তাঁর স্কুল শিক্ষক থেকে শুরু করে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার বিজয়বাবুর স্কুলের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা এলাকায় জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে এলাকায় পদযাত্রা করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: ‘‘র‍্যাগিং আটকাতে যা যা করণীয় তাই করবেন’’, উপাচার্যকে বললেন রাজ্যপাল

    Jadavpur University: ‘‘র‍্যাগিং আটকাতে যা যা করণীয় তাই করবেন’’, উপাচার্যকে বললেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরকাণ্ডের (Jadavpur University) এই আবহের মধ্যেই অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এবার সূত্রের খবর, ছাত্রমৃত্যুর কারণ খুঁজতে অত্যন্ত কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস। ইতিমধ্যে বৈঠকে উপাচার্যকে তিনি বলেছেন, ‘‘কোনও চাপের কাছে মাথা নত করবেন না, র‍্যাগিং আটকাতে যা যা করণীয় তাই করবেন।’’ পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা বসানো যায় কিনা সে বিষয়েও একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে রাজ্যপাল এবং উপাচার্যের  (Jadavpur University) মধ্যে। এদিনই যাদবপুরের পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন রাজ্যপাল। সকাল সাড়ে দশটার কিছু পরে এই বৈঠক শুরু হয় এবং উপস্থিত ছিলেন যাদবপুরের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ, রবীন্দ্রভারতীর অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য প্রমুখ।

    বৃহস্পতিবার ফের ৫ জনকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ

    এদিনই আবার যাদবপুর  (Jadavpur University) মেন হস্টেলের পাঁচ আবাসিককে থানায় তলব করে পুলিশ। ওই পাঁচজনকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ঘটনার রাতে তাদের ভূমিকা ঠিক কী ছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। প্রসঙ্গত এখনও পর্যন্ত যাদবপুরকাণ্ডে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যুর ঘটনায় ১২ জন এবং পুলিশকে বাধা দেওয়ার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের নজরে আরও বেশ কয়েকজন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। লালবাজারে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে মেন হস্টেলের  (Jadavpur University) রাঁধুনিকেও।

    অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    বিশ্ববিদ্যালয়ের  (Jadavpur University) গণিত বিভাগের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে উপাচার্য পদে দায়িত্ব দেন রাজ্যপাল। এবার এ নিয়েই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে। মামলাকারী বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর রাজেশ দাস। তাঁর দাবি, ইউজিসির আইন অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করার কোনও নিয়ম নেই। অথবা উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করা গেলেও তাঁকে কোনও ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। 

    যাদবপুর থেকে ঢাকুরিয়া নাগরিক সমাজের মিছিল

    অন্যদিকে, ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগানোর ইঙ্গিত উপাচার্য  (Jadavpur University) গতকালই দিয়েছিলেন। এবার এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে খানিকটা মেজাজ হারালেন বুদ্ধদেব সাউ। তিনি বলেন, ‘‘বারবার একই প্রশ্ন! আমি কি সব মুখস্থ করে রেখেছি?’’ জানা গিয়েছে, একটি সরকারি সংস্থাকে দিয়ে সিসিটিভি লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। বৃহস্পতিবার যাদবপুর  (Jadavpur University) ক্যাম্পাস থেকে ঢাকুরিয়া পর্যন্ত বিশাল নাগরিক মিছিল দেখা যায়। সেখানে শিক্ষাকর্মী, ছাত্র, শিক্ষক সমেত রাজ্যের নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ছাত্রদেরও হাঁটতে দেখা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: চাঁদের মাটির ছবি তোলা, প্রজ্ঞানের দিকনির্ণয় করবেন উত্তরপাড়ার জয়ন্ত, গর্বিত পরিবার

    Chandrayaan 3: চাঁদের মাটির ছবি তোলা, প্রজ্ঞানের দিকনির্ণয় করবেন উত্তরপাড়ার জয়ন্ত, গর্বিত পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসরোর বানানো চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) অরবিটার নেই। শুধু ল্যান্ডার বিক্রম আর রোভার প্রজ্ঞান নিয়েই চাঁদ জয় করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এবারের রোভার অনেক বেশি উন্নত। রোভারের চারদিকেই সোলার প্যানেল লাগানো। সেই সঙ্গেই রোভার প্রজ্ঞানে আছে হাই-রেজলিউশন ক্যামেরা। প্রজ্ঞানের নেভিগেশন ক্যামেরা যে টিম তৈরি করেছে তার অন্যতম সদস্য উত্তরপাড়ার জয়ন্ত লাহা। বুধবার ইসরোর গ্রাউন্ড স্টেশনেও দেখা গিয়েছিল জয়ন্তকে। চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে পা রাখতে উচ্ছাসে ফেটে পড়তে দেখা গিয়েছিল বাংলার এই সন্তানকে।

    ‘চন্দ্রযান-৩’র সাফল্যে খুশি বিজ্ঞানী জয়ন্ত লাহার মা, কী বললেন? (Chandrayaan-3)

    উত্তরপাড়ার সরকারি হাইস্কুলে পড়াশোনা জয়ন্তর। ছোট থেকেই মেধাবী। শিবপুর বি ই কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে খড়্গপুর আইআইটিতে ভর্তি হন জয়ন্ত। তারপর ২০০৯ সালে যোগ দেন ইসরোতে। চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) মিশনের অন্যতম সদস্য জয়ন্ত লাহা। তাঁর সাফল্যে এখন গোটা উত্তরপাড়ায় উৎসবের মেজাজ। জয়ন্তের বাড়িতে এসে শুভেচ্ছা জানিয়ে যাচ্ছেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। বাংলার বিজ্ঞানী জয়ন্তবাবুর বানানো নেভিগেশন ক্যামেরা দিয়েই চাঁদের মাটি দেখবে, ছবি তুলবে চন্দ্রযানের রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদে কাজ শুরু করার পরেই সক্রিয় হবে প্রজ্ঞানের নেভিগেশন ক্যামেরা। এই ক্যামেরা দিয়েই চাঁদের মাটির ছবি তুলে ইসরোকে পাঠাবে প্রজ্ঞান। চন্দ্রযান চাঁদের মাটিতে পা রাখতে আনন্দে মেতে ওঠেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। টিভির পর্দায় বিজ্ঞানীদের ভিড়ে ছেলেকে দেখে আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলেন গর্বিত বাবা-মা। জয়ন্তবাবুর মা চন্দনা লাহা বলেন, ছেলের ছোটবেলায় পোলিও হয়েছিল। কথা বলত না। অসুস্থ ছিল। আমরাও ওকে নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। তবে, খুব পড়তে ভালবাসত। পড়াশুনাতেও ভাল ছিল। ছেলে আরও বড় হোক এই আশীর্বাদ করি।

    চাঁদের মাটিতে প্রজ্ঞানের ছবি তোলা, দিকনির্ণয়ের কাজটা পরিচালনা করবেন উত্তরপাড়ার জয়ন্ত লাহা ও তাঁর টিম

    চাঁদের মাটিতে এখনও কাজ শুরু করেনি প্রজ্ঞান। অবতরণ স্থলের চারপাশ ভাল করে পরীক্ষা করার পরেই চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) তার কাজ শুরু হবে। ইসরোর গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে প্রজ্ঞানকে পরিচালনা করবেন বিজ্ঞানীরা। রোভারের চাকা গড়ালেই অ্যাকটিভ হবে নেভিগেশন ক্যামেরা। চাঁদের মাটির ছবি তোলা, দিকনির্ণয় করে এগিয়ে যাওয়ার কাজ করবে নেভিগেশন টুল। প্রজ্ঞানের এই কাজটা পরিচালনা করবেন জয়ন্ত লাহা ও তাঁর টিম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata’s ‘Rakesh Roshan’ Comment: ‘‘চাঁদে গিয়েছিলেন রাকেশ রোশন’’! মমতার মন্তব্যে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া

    Mamata’s ‘Rakesh Roshan’ Comment: ‘‘চাঁদে গিয়েছিলেন রাকেশ রোশন’’! মমতার মন্তব্যে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশিষ্ট অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক রাকেশ রোশন কবে চাঁদে গেলেন, তা নিয়েই চলছে জোর চর্চা। এর সূত্রপাত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য থেকেই। ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছিলেন, এখান থেকেই ভুল তথ্য দেওয়া শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ইন্দিরা গান্ধী চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছিলেন। এখন যন্ত্র গিয়েছে। রাকেশ রোশনকে চাঁদে পাঠিয়ে ইন্দিরা গান্ধী জানতে চেয়েছিলেন, সেখান থেকে পৃথিবীকে দেখতে কেমন লাগছে। রাকেশ রোশন বলেছিলেন, সারে জাহা সে আচ্ছা।’’ কথা বলার সময় ভুল হতে পারে। কিন্তু তা শোধরাননি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই বক্তব্য ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের ছড়াছড়ি। হৃতিক রোশনের বাবা রাকেশ রোশনের মহাকাশচারী রূপের ছবিও ভাইরাল হয়।

    সুকান্তর কটাক্ষ

    মমতার এই মন্তব্যের রেশ ধরে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী কী বলতে চেয়েছেন, সেটা তিনি বুঝতে পারেননি। মুখ্যমন্ত্রী আদতে কী বলতে চেয়েছেন, সেটার ব্যাখ্যা তাঁর থেকেই চান বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। সুকান্ত লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলতে চান (চাইছিলেন)? উনি যেটা বলেছেন, সেটার তো কোনও অর্থ খুঁজে পাচ্ছি না আমি। আপনার উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।’

    শুভেন্দুর তির

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘অশিক্ষিত, মূর্খ মুখ্যমন্ত্রী। রাকেশ রোশন অভিনেতা, মহাকাশে যাননি। রাকেশ শর্মা গিয়েছিলেন। কোনটা মহাকাশ, কোনটা চন্দ্রমা, কোনটা শুক্র তা জানেন না মুখ্যমন্ত্রী। ব্রহ্মাণ্ড, জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান নেই। সে কারণে আগে ডক্টরেট লিখতেন, এখন লেখেন না। করুণা ছাড়া আর কী করব? ভগবান করুণা করুন।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্রের দেশে আমরা একজন অশিক্ষিত মুখ্যমন্ত্রীকে পেয়েছি। যিনি রাকেশ শর্মাকে বলেন রাকেশ রোশন। মহাকাশকে চন্দ্র বলছেন।’’ 

    সোশ্যাল মিডিয়ায় মিম

    মমতার মন্তব্য নিমেষে ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন কবে রাকেশ রোশন মহাকাশচারী হলেন? মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। একজন হৃতিক রোশনের একটি বিখ্য়াত গানের নাচ শেয়ার করে লিখেছেন, বাবা মহাকাশচারী শোনার পর থেকেই হৃতিক এখন এমন — 

    আরেকজন রাকেশ রোশন অভিনীত একটি পুরনো ছবির গানের কলি শেয়ার করে লিখেছেন, মহাকাশচারী হওয়ার কৃতিত্ব এভাবেই পালন করছেন রাকেশ—

    ১৪ বছর আগে বাংলা ছবির সংলাপও ভাইরাল

    উল্লেখ্য, মমতা যে কথা আজ বলেছেন হুবহু বাংলা ছবিতে ১৪ বছর আগে সেই সংলাপ ছিল। সিঙ্গুর আন্দোলনের পটভূমিতে অনিন্দিতা সর্বাধিকারী রাজ্যে পালাবদলের আগে আলোর নিশানা বলে একটি ছবি তৈরি করেছিলেন। যেখানে অভিনয় করা কাঞ্চন মল্লিক, যিনি বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক, তাঁর মুখেই ছিল ওই সংলাপ। ছবিটির একটি অংশে অভিনেতা কাঞ্চনকে বলতে দেখা যাচ্ছে, “রাকেশ রোশন যখন চাঁদে গেছিল তখন ইন্দিরা গান্ধী রাকেশ রোশনকে জিজ্ঞেস করল যে, উপর থেকে পৃথিবী ক্যায়সা লাগতা। তখন রাকেশ রোশন বলেছিল সারে জাহা সে আচ্ছা।” তখন অপর অভিনেতা বলেন, “রাকেশ রোশন তো হৃতিক রোশনের বাবা, সে চাঁদে যাবে কী করে? রাকেশ শর্মা মহাকাশ গিয়েছিল।” এরপরই কাঞ্চন ওই অভিনেতাকে চড় কষিয়ে বলেন, “দিদি যখন বলেছে তখন রাকেশ রোশনই। জ্ঞান কপচাবি না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: চন্দ্রযান-৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে পাঁশকুড়ার পীযূষ, উচ্ছ্বসিত পরিবার

    Chandrayaan 3: চন্দ্রযান-৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে পাঁশকুড়ার পীযূষ, উচ্ছ্বসিত পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান -৩ (Chandrayaan 3) এর সাফল্যের নেপথ্যে এবার নাম জুড়ল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার। মূলত, চন্দ্রযান ৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল পাঁশকুড়ার ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর কাটাল গ্রামের বাসিন্দা পীযূষ পট্টনায়েকের হাতে। প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা পীযূষের বাবা পেশায় ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেচ দফতরের কর্মচারী, মা গৃহবধূ। ছোটবেলা থেকেই যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠেন তিনি। চন্দ্রযান -৩ এর সাফল্যে খুশি সকলেই।

    চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য নিয়ে কী বললেন বিজ্ঞানী পীষূষ পট্টনায়েক? (Chandrayaan 3)

    পীষূষের হাতে খড়ি হয় গ্ৰামেরই একটি স্কুলে। ছোটবেলা থেকেই শান্ত ও মেধাবী। ২০০৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন পাঁশকুড়া ব্রাটলি বাট হাইস্কুল থেকে। এরপর, কল্যাণী সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি টেক পাশ করেন। ২০১৩ সালে খড়্গপুর আইআইটি থেকে এম টেক পাশ করে যোগ দেন ইসরোতে। চন্দ্রযান ২ ও ৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল তাঁর হাতে। পীযূষ বলেন, চন্দ্রযান-২ ব্যর্থ হতেই সাময়িক মুষড়ে পড়েছিলাম। তারপর এই ব্যর্থতাকে রসদ করে নতুন করে পুরোদমে নেমে পড়়েছিলাম। চার বছর ধরে আমাদের সকলের পরিশ্রম এই সাফল্য এনে দিয়েছে। আমার মূলত চন্দ্রযানের (Chandrayaan 3) তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল। মহাকাশে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন তাপমাত্রা হয়ে থাকে। যন্ত্রপাতির কাজের জন্য প্রয়োজন সঠিক তাপমাত্রার। সেই বিষয়টি আমাদের টিমের দায়িত্ব ছিল। অবশেষে সাফল্য আসায় খুবই আনন্দ লাগছে।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) বুধবার চাঁদের মাটিতে অবতরণ করায় খুশির আমেজ নেমে এসেছে উত্তর কোটালের পীযূষকান্তি পট্টনায়েকের গ্রামের বাড়িতে। পীযূষের সফলতায় খুশি পরিবার, প্রতিবেশী সহ এলাকাবাসী। পীযূষের দাদা প্রদ্যুৎ পট্টনায়েক বলেন, ভাইয়ের সাফল্যে আমরা খুবই খুশি। চন্দ্রযান-২ এর ব্যর্থতার পর নতুন করে ওরা চেষ্টা চালিয়েছিল। বুধবার চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩ পা রাখতে গর্বে মন ভরে যায়। এমনিতেই দেশবাসী হিসেবে আমাদের গর্ব হচ্ছে। পাশাপাশি আমার ভাই এই অভিযানের অন্যতম শরিক জেনে খুবই ভাল লাগছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: দাদার খাটের নিচেই কয়েকশো কোটি! মমতার পুজো-অনুদান নিয়ে তীব্র কটাক্ষ

    Durga Puja 2023: দাদার খাটের নিচেই কয়েকশো কোটি! মমতার পুজো-অনুদান নিয়ে তীব্র কটাক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে মাত্র আর দু’ মাসও নেই। তার পরই শুরু হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো (Durga Puja 2023)। আর তারই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে গোটা বাংলা জুড়ে, শুরু হয়েছে মণ্ডপ নির্মাণ, প্রতিমা তৈরি। আর এই সবের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার পশ্চিমবঙ্গের পুজো কমিটিগুলির জন্য অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে ৭০ হাজার টাকা করার কথা ঘোষণা করেছেন। শুধু তাই নয়, গোটা পুজো জুড়ে যা বিদ্যুৎ খরচ হবে কমিটিগুলির, তার এক-চতুর্থাংশ বিল মেটালেই হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর খুশির মেজাজে দুর্গাপুজো কমিটিগুলি। কিন্তু ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। তাঁদের প্রশ্ন, ভাঁড়ে মা ভবানীর দশা যেখানে, সেখানে এই বাহুল্য কি না দেখালেই নয়? এর আগেও এই অনুদানের ওপর ভিত্তি করে সরকারের বিরোধিতা করেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দল সহ বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। আর এবারও রাজ্য সরকার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র কটাক্ষে বিঁধলেন নামজাদা বাংলা পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।

    কে এই কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়?

    কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় একজন বাঙালি সিনেমা পরিচালক এবং বিজ্ঞাপন নির্মাতা। তাছাড়া তিনি পড়াশোনা সূত্রে একজন চিকিৎসক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি অন্য পেশায় নিযুক্ত হন। এখনও পর্যন্ত তিনি ৬ টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। তার মধ্যে, ‘চাঁদের পাহাড়’, ‘উড়ো চিঠি’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘ককপিট’, ‘আমাজন অভিযান’, ‘ক্ষত’ অন্যতম।

    কী লিখেছেন তিনি এই অনুদানের (Durga Puja 2023) বিরুদ্ধে?

    এই অনুদান দেওয়ার খবর প্রকাশ হতে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় তাঁর নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “এই ৭০০০০ টাকাতে দুঃস্থ সরকারি স্কুলে কিছু বই বিতরণ করা যেত। সব বড় ক্লাবের পুজোর (Durga Puja 2023) বাজেট লক্ষ বা কোটিতে হয়। আর পুজোর দাদার খাটের নীচেই কয়েকশো কোটি থাকে।’ কারও নাম উল্লেখ না করলেও তিনি কাকে লক্ষ্য করে কথাটি বলেছেন তা আর কারও বুঝতে অসুবিধা হয়নি। এই পোস্টের মাধ্যমে তিনি চরম কটাক্ষ করেছেন সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

    অনুদান নেবে না সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার (Durga Puja 2023)

    মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর যেমন খুশির হাওয়া অনেক পুজো কমিটির মধ্যে, ঠিক অপরদিকে এই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষের সুর তুলেছেন বিরোধী পক্ষরা। প্রসঙ্গত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটি এই অনুদান (Durga Puja 2023) নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এই ক্লাবের সদস্য হলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে অনেকেরই বক্তব্য এই বিপুল পরিমাণ টাকা অন্য কোন খাতেও খরচ করা যেতেই পারত। অনুদান হিসেবে এত টাকা দেওয়াটাকে যুক্তিহীন ব্যাপার হিসাবেই দেখেছেন অনেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: বিজ্ঞানী ছেলের সঙ্গে কথা বলে আপ্লুত মা, কী বললেন ইসলামপুরের অনুজ নন্দী?

    Chandrayaan 3: বিজ্ঞানী ছেলের সঙ্গে কথা বলে আপ্লুত মা, কী বললেন ইসলামপুরের অনুজ নন্দী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) চাঁদের মাটিতে পা রাখার সাফল্যে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দারা একটু বেশি উচ্ছ্বসিত। কারণ, চন্দ্রযান-৩ এর ক্যামেরার ডিজাইন করেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা বিজ্ঞানী অনুজ নন্দী। অনুজ নন্দীর ক্যামেরার তোলা ছবি দেখল গোটা বিশ্ব। অনুজের এই সাফল্যে গর্বিত গোটা ইসলামপুর তথা জেলাবাসী।

    চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে পা রাখার পর ছেলের সঙ্গে কী কথা হল মায়ের? (Chandrayaan 3)

    বুধবার চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) চাঁদের মাটিতে পা রাখার আগে কোথাও দেখা গিয়েছে মানুষ প্রার্থণা করছেন, কোথাও বা হয়েছে হোম-যজ্ঞ। আবার কোথাও দেখা গেছে মানুষ টিভির পর্দায় নজর রেখেছেন। তবে, চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যের সাথে চাঁদে অবতরণ দেখতে সকাল থেকেই টিভির পর্দায় নজর রেখেছিলেন অনুজের পরিবারও। ভারতের এই ঐতিহাসিক সাফল্যকে সরাসরি দেখে এবং এই সাফল্যের পিছনে যারা রয়েছেন তাদের একজন যে তাঁদের পরিবারের ছেলে তা ভেবেই আনন্দাশ্রু গোটা নন্দী পরিবারের চোখে। চন্দ্রযান চাঁদের মাটিতে পা রাখার পর শুধু অনুজের পরিবারই নয়, পাড়া-প্রতিবেশী থেকে শুরু করে গোটা ইসলামপুরবাসীর কাছেই এটা গর্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরোর বিজ্ঞানী অনুজ নন্দীর মা শোভারানি নন্দী বলেন,’অনেকদিন পর ছেলের সঙ্গে কথা হল। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। সৌজন্য বিনিময়ের পরই চন্দ্রযান-৩ নিয়ে কথা হল। চাঁদের মাটিতে পা রাখল চন্দ্রযান। আর এই সাফল্য তার কথাতে বার বার ফুটে উঠছিল।’

    প্রতিবেশীদের কী বক্তব্য?

    পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলামপুর হাইস্কুলে পড়াশুনা শেষ করার পর রায়গঞ্জ কলেজে বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক হন অনুজ। এরপরই আর পিছনে তাকাতে হয়নি তাঁকে। বেঙ্গালুরুর ইসরোতে গত আট বছর ধরে কাজ করছেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী। সঞ্জয় দত্ত নামে এক প্রতিবেশী  বলেন, ‘এটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অনুজ নন্দী একজন সাধারণ ঘরের ছেলে হয়ে আজ এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে, যা কিনা গোটা ইসলামপুর তথা পশ্চিমবঙ্গের নাম গোটা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছে। আমরা খুবই আনন্দিত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় স্কুল ভবনের ছাদে ড্রাগন ফ্রুটের বাগান তৈরি করে বিশেষ নজির গড়ল পড়ুয়ারা

    Malda: মালদায় স্কুল ভবনের ছাদে ড্রাগন ফ্রুটের বাগান তৈরি করে বিশেষ নজির গড়ল পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে ড্রাগন ফ্রুটের চাষ করে সেই ফল খাচ্ছে স্কুলের খুদেরাই। নিজেদের হাতে চাষ করে ফসল ফলানোর অনুভূতি পেয়ে খুশি প্রত্যেকে। স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি ফাঁকা সময়ে নিয়মিত গাছের পরিচর্যা করে যাচ্ছে তারা। পড়ুয়াদের সাহায্য করছেন স্কুলের শিক্ষকঁরশিক্ষিকারা। ড্রাগন চাষের পদ্ধতি থেকে পরিচর্যার সমস্ত কিছু শিক্ষ-শিক্ষিকারাই পড়ুয়াদের শেখাচ্ছেন। এতে একদিকে খুদে স্কুল পড়ুয়ারা ড্রাগন ফ্রুটের চাষের পদ্ধতি শিখতে পারছে, পাশাপাশি তারা বাড়িতে গিয়েও এই চাষ করতে পারবে। মালদার (Malda) ইংরেজবাজার ব্লকের শোভানগর হাইস্কুলের পড়ুয়ারা স্কুল ভবনের ছাদে ড্রাগন ফ্রুটের বাগান তৈরি করে বিশেষ নজির তৈরি করেছে।

    ড্রাগন ফ্রুটের বাগান নিয়ে পড়ুয়াদের কী বক্তব্য? (Malda)

    মালদার (Malda) ইংরেজবাজার ব্লকের শোভানগর গ্রামে রয়েছে এই হাই স্কুল। এই স্কুলের পরিবেশ আর পাঁচটা স্কুলের থেকে একটু অন্যরকম। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য পার্শ্ব শিক্ষকদের সহযোগিতায় স্কুল ক্যাম্পাস এক অন্য মাত্রা পেয়েছে। এবার স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের ফল চাষের প্রশিক্ষণ দিয়ে নজির সৃষ্টি করা হয়েছে। পড়ুয়াদের হাতে বেশ কিছু ড্রাগন ফলের গাছ লাগানো হয়েছিল স্কুল ভবনের ছাদে। নিয়মিত সেই ড্রাগন চারাগুলির পরিচর্যা করে এসেছে পড়ুয়ারা। প্রায় দেড় বছর ধরে গাছের পরিচর্যা করার পর এই মরশুমে ফল এসেছে গাছে। ফল আসতেই ব্যাপক উদ্দীপনা পড়ুয়াদের মধ্যে। পড়ুয়াদের বক্তব্য, নিজের হাতে আমরা ড্রাগন ফলের বাগান তৈরি করেছি। আর সেই ফল খেতে পেয়ে প্রত্যেকেই আমরা খুশি। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ড্রাগন ফ্রুট চাষ করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। তাই, স্কুল কর্তৃপক্ষ এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহ বাড়াতে এমন পরিকল্পনা নিয়েছিল। স্কুলের পড়ুয়ারা এই ড্রাগন বাগান তৈরি করলে আশেপাশের বাসিন্দারাও তা জানতে পারবেন। এমনকী পড়ুয়ারা গাছের চারা লাগানো থেকে শুরু করে পরিচর্যা সমস্ত কিছু শিখে পরিবারের লোকেদেরও শেখাতে পারবে। সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই স্কুলের এমন উদ্যোগ। তা ইতিমধ্যে সাফল্য লাভ করেছে। দেড় বছরের মধ্যে ড্রাগন ফ্রুট পাওয়ার কারণে একদিকে যেমন ছাত্র-ছাত্রীরা খুশি, পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও উৎসাহ তৈরি হয়েছে, এই ফলের চাষ নিয়ে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share