Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Malda: ১০০ দিনের কাজ সহ সরকারি প্রকল্পের ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, মালদায় গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    Malda: ১০০ দিনের কাজ সহ সরকারি প্রকল্পের ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, মালদায় গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজ সহ অন্যান্য প্রকল্পের  কোটি টাকার উপর আত্মসাৎ এর অভিযোগ। আর এই অভিযোগে  জড়িত থাকার ঘটনায় মালদার (Malda) গাজল ব্লকের বৈরাগাছি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সুবোধ সরকার সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল দুর্নীতি দমন শাখা। প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে গ্রেফতার এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্টান্ট ও নির্মাণ সহায়ক।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সরকারি প্রকল্পের টাকা চুরি করেন বলে বার বার অভিযোগ করেন বিরোধীরা। বিরোধীদের সেই অভিযোগই এবার সত্য প্রমাণিত হল। এবার সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তৃণমূলের এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে গ্রেফতার করল রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখা। মালদার (Malda) বৈরাগাছি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন সুবোধ। মালদা থেকে ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেন দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা। অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজ সহ একাধিক সরকারি প্রকল্প থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। প্রায় ২ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন শাখা। তদন্তে দেখা যায়, ওই তৃণমূল নেতার সঙ্গে এই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট শোভেন রায় ও নির্মাণ সহায়ক অপূর্ব বড়াই। কয়েক বছর ধরে ধাপে ধাপে পঞ্চায়েত থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তাঁরা, এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের। এরপরই সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তিনজনকেই।

    এই ঘটনা নিয়ে মামলাকারী কী বললেন?

    অন্যতম মামলাকারী হেমন্ত সরকার জানান,পঞ্চায়েত প্রধান ও তার দলবলের এই দুর্নীতির তদন্ত করার জন্য ২০২২ সালের ১৩ই জুন জেলাশাসক সমেত সমস্ত আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে কোন সাড়া না পাওয়ায় আমরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করি। তারপর থেকেই মামলা প্রত্যাহারের জন্য আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন প্রাক্তন প্রধান সুবোধ সরকার। এমনকি একজন মামলাকারীর উপর হামলাও করা হয় এবং একজন মামলাকারীর দাদা খুন হয়ে যান। অবশেষে আমাদের মামলার প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন শাখা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করায় খানিকটা আশ্বস্ত হয়েছি। আমরা চাই দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাক।

     কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, নিয়োগ দুর্নীতি থেকে সরকারি প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ে তৃণমূলের একশ্রেণির নেতাকর্মীরা জড়িত থাকার অভিযোগ বার বার করা হয়। সেই অভিযোগের যে যথেষ্ট সারবত্তা আছে, এই গ্রেফতারের ঘটনাতেই তা ফের প্রমাণিত হল। দুর্নীতি দমন শাখা পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তাদের ধন্যবাদ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: উন্নয়ন সত্যিই রাস্তায় দাঁড়িয়ে! ৩২০ জন ছাত্রীর স্কুলে স্থায়ী শিক্ষিকা মাত্র একজন!

    Bankura: উন্নয়ন সত্যিই রাস্তায় দাঁড়িয়ে! ৩২০ জন ছাত্রীর স্কুলে স্থায়ী শিক্ষিকা মাত্র একজন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) একটি স্কুলে মাত্র একজন স্থায়ী ইংরেজির শিক্ষিকা এবং একজন আছেন অতিথি শিক্ষক। স্কুলের ছাত্রী সংখ্যা অথচ ৩২০! কীভাবে চলছে স্কুল? অভিভাবকরা স্বাভাবিক কারণেই একাধিক অভিযোগে সরব হয়েছেন। প্রশাসনের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এলাকার মানুষও। কারণ ছাত্রীরা বিষয় ভিত্তিক শিক্ষিকা চাইছেন দীর্ঘদিন ধরে। কেউ তাতে কর্ণপাত করছে না। অবশেষে দ্রুত শিক্ষিকা নিয়োগের দাবিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

    কোন স্কুলে এমন ঘটনা (Bankura)?

    বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দাস ব্লকের শান্তাশ্রম জুনিয়র গার্লস হাইস্কুল নিয়েই এমন চরম অব্যবস্থার অভিযোগে সরব হয়েছেন ছাত্রীদের অভিভাবক এবং প্রতিবেশীরা। স্কুলের একজন মাত্র শিক্ষিকা, যিনি নিজে ক্লাস করাচ্ছেন আবার স্কুলের অন্যান্য কাজও করছেন। পড়াশুনা এবং মিড ডে মিল সবই দেখাশোনা করতে হচ্ছে তাঁকে। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সব ছাত্রীকে পড়াশুনায় ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় একদিকে যেমন ক্লাস ঠিক মতো হচ্ছে না, তেমনি আবার সময়ে পাঠ্যক্রমও শেষ করা যাচ্ছে না। আর সমানেই পরীক্ষা, তাই সবথেকে বেশি অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে স্কুলের ছাত্রীদের। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

    স্কুলের ছাত্রীদের বক্তব্য

    এই স্কুলের (Bankura) এক ছাত্রী স্নেহা পাল বলে, প্রতিদিন মাত্র একটা কি দুটো করেই ক্লাস হয়। স্কুলে শুধু বসে থেকেই সময় কাটাতে হয়। এই ছাত্রী আরও বলে, আমাদের ক্লাস না হওয়ার জন্য ঠিক করে পাঠ্যক্রম এগোচ্ছে না। আমাদের বিষয়ের উপর পর্যাপ্ত শিক্ষিকা একান্ত প্রয়োজন।

    স্কুল শিক্ষিকার বক্তব্য

    স্কুলের (Bankura) একমাত্র শিক্ষিকা শতাব্দী রায় বলেন, যখন এই স্কুলে যোগদান করি, সেই সময় স্কুলে মাত্র তিনজন শিক্ষিকা ছিলেন। পরে ২০২১ সালে বদলি নিয়ে দু’জন শহরে চলে যান। বর্তমানে আমি একমাত্র স্থায়ী শিক্ষিকা। স্কুলের এই সমস্যা নিয়ে ডিআই অফিসেও জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘মমতা নয়, স্বপ্নদীপের মৃত্যুর তদন্ত হোক কোর্টের নির্দেশে’’, মৃত পড়ুয়ার বাড়িতে দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘মমতা নয়, স্বপ্নদীপের মৃত্যুর তদন্ত হোক কোর্টের নির্দেশে’’, মৃত পড়ুয়ার বাড়িতে দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্দেশে তদন্ত পরিচালিত হলে কোনও ফল মিলবে না, বরং কোর্টের তত্ত্বাবধানে হোক তদন্ত।’’ যাদবপুরে মৃত পড়ুয়া স্বপ্নদীপের বাড়িতে এসে এমন কথাই বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার বিকাল পৌনে ৫টা নাগাদ নদিয়ার বগুলায় স্বপ্নদীপের বাড়িতে পৌঁছান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রানাঘাট লোকসভার সাংসদ জগন্নাথ সরকার সহ বিজেপির অন্যান্য বিধায়করা। মৃত ছাত্রের পরিবারের লোকের সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে কথা বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। আশ্বাস দেন পাশে থাকার। প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূলকে, যাদবপুরকাণ্ডে বিধানসভার অন্দরে শাসক দলকে তৈরি থাকতে বলেন। ইতিমধ্যে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ঘোষণা করেছেন, আগামী ২২ অগাস্ট হতে চলেছে স্বপ্নদীপের দিন। উল্লেখ্য ওই দিনই বিধানসভার অধিবেশন শুরু হতে চলেছে।

    কোর্টের নির্দেশে হোক তদন্ত দাবি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    স্বপ্নদীপের বাড়িতে এসেও চাঁচাছোলা ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতা প্রশাসনের প্রতি কার্যত অনাস্থা প্রকাশ করলেন তিনি। দাবি তুললেন, নিরপেক্ষ তদন্ত তখনই সম্ভব যদি তা কোর্টের হস্তক্ষেপে হয়। পাশাপাশি, যাদবপুরের অতি বাম ছাত্রদের টুকরে টুকরে গ্যাং বলেও কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের মদতে এরা যাদবপুরে মোদি ও বিজেপি বিরোধী প্রচার চালায়।’’ শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) অধিকারীর এমন অভিযোগ যে অসত্য নয় তার প্রমাণও মিলতে শুরু করেছে। ২০১৪ সালে যাদবপুরের এক অতি বাম নেতাকে বর্তমানে রাজ্যের দায়িত্বে আনে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও জোর চর্চা শুরু হয়। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘ ২০১৯ সালের পরে এদের সঙ্গে চুক্তি করেছে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপিকে রোখার জন্য।’’ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষরা বলছেন, অতি বামেরা গত বিধানসভা নির্বাচনে ডাক দিয়েছিন ‘‘নো ভোট টু বিজেপি’’- এই প্রচারে। তাই শুভেন্দু অভিযোগ মিথ্যা নয়।

    ওর মা বলছে, ‘দাদা তোমাকে শাস্তি দিতে হবে’

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজনীতি নয় বরং বিচারটা চাই। ওরকম একটা আদরের ছেলেকে গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা পর্যন্ত দিয়েছে অপরাধীরা। স্বপ্নদীপের মা বলল, ‘‘তোমাকে শাস্তি দিতে হবে।’’ পর্যবেক্ষক মহল বলছে, রেজিস্ট্রারের সঙ্গে শাসক দলের ঘনিষ্ঠতা কারও অজানা নয়। রেজিস্ট্রার দায় চাপিয়েছেন স্টুডেন্ট অফ ডিন রজত রায়ের ওপর। আবার রজত রায় দায় চাপাচ্ছেন হস্টেল সুপার ও ছাত্রদের ওপর। এখন প্রশ্ন হল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। সেই কর্তৃপক্ষ দায় এড়াচ্ছে যখন, তখন ব্যর্থতা কার? শাসক দল ঘনিষ্ঠ রেজিস্ট্রার ও  ডিন কীভাবে সব দায় ছাত্রদের ওপর চাপাতে পারেন? ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মমতা ঘনিষ্ঠতা শুভেন্দু জানেন, তাই স্বপ্নদীপের বাড়িতে গিয়ে কোর্টের নির্দেশে তদন্ত করার পক্ষে তিনি সওয়াল করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনে যাদবপুরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে অতি বামপন্থীরা! তোপ সুকান্তর

    Balurghat: তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনে যাদবপুরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে অতি বামপন্থীরা! তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে অতি বামপন্থী কিছু সংগঠন আছে, যারা বিজেপির অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলনেতাকে কালো পতাকা দেখানোর চেষ্টা করেছে। শুক্রবার বালুরঘাটে (Balurghat) স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে এসে এমনই মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর প্রশ্ন, যে ছেলেটি মারা গেল, তার পিছনে কি বিজেপির কোনও কানেকশন আছে? কানেকশন আছে সেই অতি বামপন্থীদের। আর এর পিছনে আছে তৃণমূলের অঙ্গুনি হেলন। সুকান্ত বলেন, এই বামপন্থী, অতি বামপন্থী সংগঠনগুলোই ২০২১ সালে ‘নো ভোট টু বিজেপি’ অভিযান চালিয়েছে। তারা এসেছিল বিশৃঙ্খলা করতে। সাধারণ মানুষ তাদের বুঝিয়ে দিয়েছে।

    কেন বালুরঘাটে (Balurghat) ১৮ অগাস্ট পালিত হয় স্বাধীনতা দিবস? 

    আজ ১৮ই অগাস্ট বালুরঘাটে পালিত হল স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, নদিয়া সহ বেশ কিছু জেলার বিভিন্ন এলাকা তৎকালীন পাকিস্তান না ভারতের অন্তর্ভুক্ত হবে, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় তৈরি হয়েছিল। এই এলাকাগুলি নোশনাল এরিয়া বা ধারণাকৃত এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং এইসব এলাকায় ১৪ই অগাস্ট পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল। এই সমস্ত এলাকার সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে ১৮ ই অগাস্ট ভারতের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটও সেই নোশনাল এরিয়া বা ধারণাকৃত এলাকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। বালুরঘাটের (Balurghat) কৃতি সন্তান সরোজরঞ্জন চ্যাটার্জি ১৯৪৭ সালের ১৮ই অগাস্ট বালুরঘাট হাইস্কুল মাঠে পাকিস্তানের সবুজ পতাকা নামিয়ে ভারতের তিরঙ্গা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এদিন বালুরঘাট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বালুরঘাট হাইস্কুল মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি ছাড়া এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী, বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Balurghat)?

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি, বালুরঘাটের সরোজরঞ্জন চ্যাটার্জি সহ বিভিন্ন গুণী ব্যক্তিদের অদম্য লড়াইয়ের কাছে সেই সময় পরাজিত হয়েছিল একটা কু-পরিকল্পনা। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অংশকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামতকে অস্বীকার করে, জনবসতির ঘনত্বকে অস্বীকার করে পূর্ববঙ্গের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ শাসকদের বোঝাতে সক্ষম হন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি সহ স্থানীয় নেতৃত্ব এবং শেষ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান থেকে মুক্ত হয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর সহ বালুরঘাট (Balurghat) ভারত রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয়। সেই দিনটিকেই পালন করে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Crime: ফ্ল্যাটে স্ত্রী-কন্যার গলাকাটা দেহ! স্বামী রেলে আত্মঘাতী! হাড়হিম করা ঘটনা দমদমে

    Crime: ফ্ল্যাটে স্ত্রী-কন্যার গলাকাটা দেহ! স্বামী রেলে আত্মঘাতী! হাড়হিম করা ঘটনা দমদমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যমগ্রাম রেল স্টেশনের কাছে ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার প্রাক্তন সেনাকর্মীর। একই দিনে তাঁর স্ত্রী-কন্যার মৃতদেহ উদ্ধার (Crime) হল দমদমের ফ্ল্যাটে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ ফ্ল্যাট থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে তদন্তে নেমেছে। পুলিশের অনুমান, স্ত্রী এবং মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই সেনাকর্মী।

    কীভাবে ঘটল (Crime)?

    সূত্রে জানা গেছে, দমদম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় (৪৮), দেবিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (৪৪) এবং মেয়ে দিশা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (১৯) নিয়ে ছোট্ট সংসার ছিল তাঁদের। আজ শুক্রবার মধ্যমগ্রাম রেল স্টেশনের কাছ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয় স্বামী গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়ের (৪৮)। তারপরই তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় মর্মান্তিক দৃশ্য (Crime)। দমদমের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় স্ত্রী এবং মেয়ের গলাকাটা মৃতদেহ। সূত্রে আরও জানা গেছে, গৌতম নিজে প্রাক্তন সেনাকর্মী এবং বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক ভাবে তদন্ত শুরু করেছে।

    পুলিশের বক্তব্য (Crime)

    পুলিশের অনুমান, মেয়ে এবং স্ত্রীকে খুন (Crime) করা হয়েছে। কারণ দু’ জনের গলায় ধরালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গৌতম রেলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অনুমান করছে পুলিশ। আপাতত দেহগুলিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বাড়ির আশপাশে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করছে পুলিশ।

    প্রতিবেশীদের বক্তব্য

    পাশের বাড়িতে থাকা এক বাসিন্দা বলেন, এই পরিবারে তেমন কোনও অশান্তির কথা আমরা আগে শুনতে পাইনি। সব সময় হাসিখুশি ছিলেন তাঁরা। গোটা পরিবারে এমন মৃত্যুর ঘটনায় (Crime) আমরা স্তম্ভিত। এই প্রতিবেশী আরও বলেন, মৃত গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেহ রেল লাইনের পাশে পাওয়ার পর সূত্র ধরে পুলিশ দমদমের ফ্ল্যাটে আসে। এরপর উদ্ধার হয় স্ত্রী এবং কন্যার মৃতদেহ। ফলে ওই ব্যক্তি কেন এমন করলেন, তা অনেককেই অবাক করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: চারটি বন্দে ভারতের ইঞ্জিন তৈরির বরাত পেল চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ

    Asansol: চারটি বন্দে ভারতের ইঞ্জিন তৈরির বরাত পেল চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলে (Asansol) এবার বন্দে ভারতের ইঞ্জিন তৈরি করবে চিত্তঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা। ইতিমধ্যে চারটি বন্দে ভারতের ইঞ্জিন নির্মাণের বরাত তারা পেয়েছে। শুক্রবার এমনটাই দাবি করলেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল। এই ইঞ্জিন তৈরির বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র উচ্ছ্বাসের আবহ জেলায়।

    চিত্তরঞ্জনে তৈরি হবে বন্দে ভারত (Asansol)

    সূত্রে জানা গেছে, চিত্তঞ্জন লোকোমোটিভ কারখানার (Asansol) জেনারেল ম্যানেজার দেবীপ্রসাদ দাসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এসেছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। সেখানেই বন্দে ভারতের ইঞ্জিন তৈরি নিয়ে ইতিবাচক কথা হয়েছে। ফলে বন্দে ভারতের ইঞ্জিন তৈরির পরিকল্পনায় এবার বাংলার নাম যুক্ত হয়ে গেল।

    অগ্নিমিত্রা পলের বক্তব্য

    বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল বলেন, বন্দে ভারত দেশের গর্ব। সেই জায়গায় আসানসোলের (Asansol) চিত্তঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় বন্দে ভারত নির্মাণের বরাত পাওয়ার দিকটি আরও বেশি গর্বের। তিনি বলেন, শতাব্দীপ্রাচীন এই কারখানায় মোট চারটি ইঞ্জিন তৈরির বরাত এসেছে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে এই কারখানায় ইঞ্জিন তৈরি হবে বলে। এমনকি ইঞ্জিনের বিশেষ ডিজাইনিং এখানেই করা হবে। তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, ভবিষ্যতে কীভাবে ট্রেন তৈরি হয়, সেই বিষয়টি দেখার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। তিনি সুযোগ পেলে কারখানায় ইঞ্জিন তৈরির দিকটাও নিজে এসে দেখে যাবেন।

    বাংলায় বন্দে ভারত

    পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বন্দে ভারত ট্রেন চলছে। হাওড়া-জলপাইগুড়ি, হাওড়া-পুরী, নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত। যাত্রীদের মধ্যেও দেখা গেছে এই ট্রেন নিয়ে বেশ উদ্দীপনা। সূত্রের খবর, পুজোর আগেই হাওড়া-পাটনা, হাওড়া-রাঁচি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস খুব তাড়াতাড়ি চালু হবে। আসানসোলে (Asansol) রেলের ইঞ্জিন তৈরি শুরু হওয়ায় বাংলার যোগদান আরও বৃদ্ধি পেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সেই কারণেই অনেকে মনে করছেন, এটা শুধু ওই জেলার নয়, গোটা বাংলার পক্ষেই গর্বের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • North 24 Parganas: যাদবপুরের পর এবার র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অশোকনগরে, কাঠগড়ায় টিএমসিপি

    North 24 Parganas: যাদবপুরের পর এবার র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অশোকনগরে, কাঠগড়ায় টিএমসিপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তনী এবং পড়ুয়া মিলিয়ে মোট ৯ জনকে। ইতিমধ্যেই অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ফের র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে সরগরম অশোকনগরের নেতাজি শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ে (North 24 Parganas)। এই কলেজের ইউনিয়ন রুমের মধ্যেই প্রথম বর্ষের পড়ুয়াকে র‍্যাগিং এবং মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আক্রান্ত ওই পড়ুয়া এসএফআইয়ের সদস্য বলে জানা গিয়েছে।

    কেন অভিযোগ (North 24 Parganas)?

    প্রথম বর্ষের এই ছাত্রের অভিযোগ, কলেজের ইউনিয়ন (North 24 Parganas) রুমে তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করে কয়েকজন ছাত্রনেতা। অভিযুক্তরা সকলে তৃণমূলের সমর্থক। যদিও র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। পাশাপাশি ওই ছাত্রের আরও অভিযোগ, তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আরও একজন ছাত্র প্রহৃত হয়েছেন। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই কলেজে। এই নিয়ে তীব্র বাগযুদ্ধে জড়িয়েছে এসএফআই এবং টিএমসিপি।

    আক্রান্ত ছাত্রের বক্তব্য

    অশোকনগরের নেতাজি শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের (North 24 Parganas) আক্রান্ত ছাত্র জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার কলেজে যাওয়ার পরে তাঁকে ইউনিয়ন রুমে ডেকে নিয়ে গিয়ে চড়, থাপ্পড়, কিল, ঘুষি মারা হয়। সেই সঙ্গে বলা হয়, ফেসবুক থেকে এসএফআই-এর যাবতীয় পোস্ট মুছে ফেলতে হবে। আর যদি তা না করেন, তাহলে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না।

    এসএফআই-এর বক্তব্য

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) এসএফআই জেলা সম্পাদক আকাশ করের বক্তব্য, “র‌্যাগিংয়ের এই ঘটনাকে ধিক্কার জানাচ্ছি। এসএফআই করার অপরাধে, বাবার বয়সি নেতারা যেভাবে একজন ছাত্রকে মারধর করল, এই অসভ্যতা মেনে নেওয়া যায় না। এর শেষ দেখে ছাড়বো আমরাও।”

    টিএমসিপি’র বক্তব্য

    এই বিষয়ে সাংগঠনিক জেলা (North 24 Parganas) তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি সোহম পাল বলেন, “মারধরের অভিযোগ মিথ্যা। তবে কী ঘটনা ঘটেছে তা খোঁজ না নিয়ে বলতে পারবো না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ফের সামশেরগঞ্জে বোমা বিস্ফোরণে আহত এক শিশু! তীব্র আতঙ্কে গ্রামবাসী

    Murshidabad: ফের সামশেরগঞ্জে বোমা বিস্ফোরণে আহত এক শিশু! তীব্র আতঙ্কে গ্রামবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরেও বোমা বিস্ফোরণ এবং আতঙ্ক থেকে যেন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) রক্ষা পাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্নান করতে গিয়ে, পুকুর পাড়ে খেলার সময় হঠাৎ বোমা বিস্ফোরণে আহত হল এক শিশু (৯)। এরপর তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতের নাম রাজীব শেখ।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Murshidabad)?

    ঘটনাটি ঘটেছে, মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ ব্লকের লস্করপুর গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। বোমা কী উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছিল পুকুর পাড়ে, তা নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কেউ কোনও প্রকার ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্যে রেখেছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    গ্রামবাসীর বক্তব্য

    লস্করপুর গ্রামের নবীন সংঘ ক্লাবের সদস্য আবিদ হাসান জানিয়েছেন, আচমকাই বোমা বিস্ফোরণ ঘটে গতকাল বিকেলে। যে জায়গায় বিস্ফোরণ হয়, তা একটি পুকুর পাড়ের ফাঁকা জমি। এই স্থানেই ঘটনার আগের দিনে বেগুন গাছ লাগানো হয়েছিল। কীভাবে ঘটল বিস্ফোরণ! বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি। বোমার আঘাতে শিশুর ডান হাতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতস্থানে ২টি সেলাই পড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    রাজ্যে বোমায় আক্রান্ত শিশু

    পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন থেকে ফলাফল এবং বোর্ড গঠন পর্যন্ত সবথেকে বেশি বোমা উদ্ধার এবং বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায়। এছাড়াও শীর্ষ তালিকায় রয়েছে মালদা, বীরভূম, কোচবিহার এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। এই বোমায় শাসক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা যেমন আক্রান্ত হয়েছেন, সেই সঙ্গে বাদ যায়নি শিশুরাও। নির্বাচন চলাকালীন এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে শীতলকুচি, ভাঙড়, ডোমকল, বেলডাঙ্গা, মেদিনীপুরের পিংলা, বকচা সর্বত্র একাধিক বার শিশুরা খেলতে গিয়ে বোমার আঘাতে আহত এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রশাসনের ঘুম ভাঙেনি তাতেও। জীবনতলার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী পৌলমী হালদার, ফুল তুলতে গিয়ে ডান হাত উড়ে গিয়েছিল বোমার আঘাতে। ভাটপাড়ায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় বোমার আঘাতে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু ঘটেছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: টানা ৩ ঘণ্টা পুলিশি জেরার মুখে ডিন কি দায় এড়ালেন?

    Jadavpur University: টানা ৩ ঘণ্টা পুলিশি জেরার মুখে ডিন কি দায় এড়ালেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রদের বাধাতেই আইন প্রয়োগ করা যায় না, বৃহস্পতিবার বিকালে লালবাজারে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ঠিক এমন কথাই বলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ডিন অফ স্টুডেন্ট রজত রায়। বিশ্বস্ত সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রজত রায়কে। বিকাল ৩টে নাগাদ তিনি লালবাজারে হাজিরা দেন, সন্ধ্যা ছটা নাগাদ বেরিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, ডিন কি নিজের কাঁধ থেকে যাবতীয় দায় ঝেড়ে ফেলে সবটা ছাত্রদের উপর চাপিয়ে দিতে চাইলেন? আইন কার্যকর করার দায়িত্ব দিয়েই তো সরকার তাঁদের মতো আধিকারিকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসায়। মোটা টাকা বেতন দেয়। অথচ বিপাকে পড়লে তাঁরা এই ধরনের দায় এড়ানো মন্তব্য করেন। তাই ডিনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

    কোন কোন প্রশ্নের উত্তর দিলেন ডিন?

    পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদের সময় একাধিক প্রশ্ন করা হয় রজত রায়কে (Jadavpur University)। যেমন ডিন অফ স্টুডেন্টস এর কাজ কী, তাঁর ভূমিকা কী, এর পাশাপাশি ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা রয়েছে কিনা, হস্টেল সুপারের (Jadavpur University) ভূমিকা কী ইত্যাদি। ঘটনার দিন রাতে হস্টেলে ঠিক কী হয়েছিল? এ সমস্ত কিছুই জানতে চাওয়া হয় ডিন অফ স্টুডেন্ট এর কাছে। তাঁর কাছেও জানতে চাওয়া হয় যাদবপুরে কোনও অ্যান্টি র‌্যাগিং স্কোয়াড আছে কিনা? এদিন কার্যত তিনি স্বীকার করে নেন যে অ্যান্টি স্কোয়াড থাকলেও তা কার্যকরী নয়, সেখানে অনেক খামতি রয়েছে। 

    সেদিনের ঘটনা

    জানা গিয়েছে, সেদিন ঘটনার সম্পর্কে (Jadavpur University) রজত রায়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, গত ৯ অগাস্ট রাত ঠিক ১০টা ০৫ মিনিটে হস্টেল থেকে তাঁর কাছে ফোন আসে এবং তাঁকে বলা হয় এক ছাত্রকে পলিটিসাইজ করা হচ্ছে। ফোন পেয়ে ১০টা ০৮ মিনিটে ডিন হস্টেলের সুপারকে ফোন করেন এবং বিষয়টি জানান। কিন্তু সুপার তারপর আর কিছু জানাননি। ডিন এও বলেন, রাত ১২টা ০৮ মিনিটে হস্টেল সুপার আবার তাঁকে ঘুরিয়ে ফোন করেন এবং গোটা বিষয়টি জানান। লালবাজার সূত্রে খবর, ডিনের বয়ানে পুলিশের মনে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) এবং হস্টেলে আইন-শৃঙ্খলার ঘাটতি রয়েছে। এবং ডিনও কার্যত তা স্বীকার করে নিয়েছেন। ডিনের বয়ানের পরে হস্টেল সুপারকেও লালবাজারে তলব করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ডিনের অনেক কথার মধ্যেই চরম অসঙ্গতি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: পার্থর নাকতলার বাড়িতেই বিক্রি হতো চাকরি! আদালতে বিস্ফোরক সিবিআই

    Partha Chatterjee: পার্থর নাকতলার বাড়িতেই বিক্রি হতো চাকরি! আদালতে বিস্ফোরক সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) নিজের বাড়িতে বসে এসএসসির গ্রুপসি পদের চাকরি বিক্রি করতেন বলে আদালতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। টাকা নিয়ে বেআইনি চাকরির লিস্ট তৈরি করা হত এই বাড়িতেই। নিত্য যাতায়েত ছিল প্রসন্ন রায় এবং প্রদীপ সিংহের মতন ব্যক্তিদের। সিবিআই-এর এই অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্কুল শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি কাণ্ডে। 

    সিবিআই আদালতে কী বলেছেন (Partha Chatterjee)?

    স্কুল শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি কাণ্ডে বৃহস্পতিবার ফের আদালতে তোলা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। কোর্টে সিবিআই দাবি করেন, তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব তথা রাজ্যর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর (Partha Chatterjee) নাকতলার বাড়িতেই একটি অফিস ছিল। আর সেই অফিসেই চাকরি বিক্রেতাদের নিত্য আনাগোনা ছিল। এই বাড়ির গ্রাউন্ড ফ্লোরেই ছিল চাকরি বিক্রির অফিস। এখানেই প্রথমে লিস্ট তৈরি হত এবং এরপর সেই লিস্ট চলে যেত কমিশনের চেয়ারম্যান, সুবীরেশ ভট্টাচার্যের অফিসে। এই বাড়িতে টাকা নেওয়া হত এবং নামের তালিকা তৈরি করা হত। সিবিআই আরও বলেন যে কিছু লোক থাকত, যারা জেলা থেকে টাকা নিত এবং এরপর সেই টাকা এবং প্রার্থীদের নাম এখানেই নিয়ে আসতো। প্রসন্ন, প্রদীপদের মতন লোকেরা জেলা থেকে টাকা সংগ্রহ করত। এই নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়াটাই একটা ‘পরিকল্পিত অপরাধ’।

    আদালতে পার্থ কী বলেন?

    আদলাতে এই দিন জামিনের আবেদন করে পার্থ (Partha Chatterjee) বলেন, আমার শরীর দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আমার একজন জেলের মধ্যে সহকারী দরকার, যদি আপনি মঞ্জুর করেন। তিনি আরও বলেন, বাগ কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী তদন্ত করা উচিত। আমার বয়স বাড়ছে। তিনি আরও দাবি করেন, শিক্ষক নিয়োগে শিক্ষামন্ত্রীর ভূমিকা থাকে না, আমার বিরুদ্ধে বিশেষ ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এই দিনেও বিচারক পার্থর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share