Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Dhupguri By Election: ‘সব কাজ তৃণমূল করবে, আর ভোট পাবে বিজেপি,’ ধূপগুড়িতে কেন বললেন গৌতম দেব?

    Dhupguri By Election: ‘সব কাজ তৃণমূল করবে, আর ভোট পাবে বিজেপি,’ ধূপগুড়িতে কেন বললেন গৌতম দেব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পাবে বিজেপি, আর কাজ করবে তৃণমূল! বুধবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে ভোট (Dhupguri By Election) প্রচারে এসে এমন মন্তব্যই করলেন শিলিগুড়ির তৃণমূলের মেয়র গৌতম দেব। পাশাপাশি ভোটারদের প্রশ্নের মুখে মেজাজ হারালেন তিনি। ধূপগুড়ি বিধানসভা উপ নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। প্রচারে এসে অনুন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন করতেই তাঁর এই আচরণে সাধারণ মানুষ রীতিমতো ক্ষুব্ধ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dhupguri By Election)

    বুধবার সকালে তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা গৌতম দেব ধূপগুড়ি পুর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে ভোটের (Dhupguri By Election) প্রচার করছিলেন। সেখানেই এক ভোটার গৌতম দেবকে সামনে পেয়ে একাধিক প্রশ্ন তুললেন। জলকাদায় ভরে গিয়েছে রাস্তা, পানীয় জলের পাইপ রাস্তার ওপর দিয়ে গিয়েছে, এইরকম একাধিক অনুন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওই ভোটার। তিনি মেয়রকে বলেন, ফি বছর বর্ষায় আমাদের জলবন্দি অবস্থায় থাকতে হয়। নিকাশি ব্যবস্থা এমনই খারাপ যে, চলাফেরা করার জন্য একেবারে অযোগ্য হয়ে উঠেছে। প্রথম থেকেই ওই এলাকায় কোনও রকম উন্নয়ন হয়নি। আর এতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন গৌতমবাবু। তিনি সেই ভোটারকে পাল্টা জানান, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার, বিধায়ক বিজেপির, সাংসদও বিজেপির। কাজেই এই অনুন্নয়নের জন্য দায়ী বিজেপি। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধূপগুড়ির জন্য কী কী করেছেন সেই খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি। এরপর তিনি বলেন, সব কাজ তৃণমূল করবে, আর ভোট পাবে বিজেপি, এটা হতে পারে না। এরপর পাশ থেকে এক দলীয় কর্মী বলেন, এবার উপ নির্বাচনে লিডের ব্যবস্থা করুন, উন্নয়ন হয়ে যাবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির বিদায়ী কাউন্সিলার কৃষ্ণদেব রায় বলেন, ধূপগুড়ি পুর এলাকার একাধিক ওয়ার্ডে রাস্তার বেহাল অবস্থা। সব থেকে বেশি সমস্যা বিজেপির জেতা ওয়ার্ডগুলিতে। তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড বিজেপির জেতা ওয়ার্ডগুলির সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। এলাকার কী অবস্থা, তা গৌতম দেব নিজে এসে ঘুরে দেখে গিয়েছেন। তবে, ভোটের প্রচারে এসে তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা এইভাবে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন, সেটা হয়তো ভাবতেই পারেননি তিনি। আর এই ঘটনায়  কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। যদিও ধূপগুড়ি পুর এলাকা থেকে বিধানসভা উপ নির্বাচনে (Dhupguri By Election) তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাই এগিয়ে থাকবে বলে আশাবাদী দলীয় নেতৃত্ব। তবে ধূপগুড়ি পুর এলাকায় সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠছেই। এবারের উপ নির্বাচনে কিছুটা হলেও শাসক-বিরোধী হাওয়া রয়েছে পুর এলাকায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: চন্দ্রযান ৩ অবতরণে মাহেন্দ্রক্ষণের প্রহর গুনছে বাঙালি গবেষকের পরিবার

    North 24 Parganas: চন্দ্রযান ৩ অবতরণে মাহেন্দ্রক্ষণের প্রহর গুনছে বাঙালি গবেষকের পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলে ইসরোর বাঙালি গবেষক। বাবা-মা তাই গর্বিত। সফল ভাবে চাঁদে পা রাখুক চন্দ্রযান ৩। অবতরণের শুভ মুহূর্তের প্রহর গুনছে এই বাঙালি গবেষকের পরিবার। উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের নৈহাটি এলাকায় ইসরো বাঙালি গবেষক মানস সরকারের বাড়ি।

    চন্দ্রযান ৩ অবতরণে বাঙালি গবেষক

    বাঙালি গবেষক মানস সরকার ২০০৬ সাল থেকে ইসরোতে গবেষণার কাজে নিযুক্ত হন। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ সফলভাবে উৎক্ষেপণ হলেও শেষ মুহূর্তে চাঁদের মাটি ছুঁতে পারেনি। সেই দিনের ঘটনা আজও ভুলতে পারেনি বাঙালি গবেষকের পরিবার। বাবা শচীন্দ্রনাথ সরকার, মা রঞ্জিতা সরকার সে কথা আজও বলেন। তাই সফল অবতরণের আশায় প্রহর গুনছেন সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা। তাঁদের কাছে যেমন আবেগ, অন্যদিকে একটু ভয়ও কাজ করছে। শেষ মুহূর্তে চাঁদে পা রাখার ব্যাপারে ছেলের সাফল্য কামনা করছেন তাঁরা। একদিকে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছেন, অন্যদিকে প্রার্থনা করছেন যাতে গোটা ভারতবর্ষের কাছে এই সাফল্য তুলে দেওয়া যায়। সব মিলিয়ে বাঙালি গবেষকের পরিবার তাকিয়ে রয়েছে শুধু সময়ের দিকে।

    পরিবারের বক্তব্য

    চন্দ্রযান ৩ -এ রয়েছে ছেলের মেধা-পরিশ্রম। মা রঞ্জিতা দেবী জানান, বসিরহাট গাছা আঁখারপুর ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের কলাপোতা গ্রামে ছিল তাঁদের পরিবারের আদি বাড়ি। ছোটবেলা থেকে ইসরোর গবেষক মানসের সেখানেই বেড়ে ওঠা। সীমান্তের ইডিন্ডা ইউনিয়ন হাইস্কুল থেকে পড়াশোনার পর যাদবপুর, রাজাবাজার এবং হলদিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পাঠ শেষের পর প্রফেসর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মানস। মেধাবী এই বাঙালি বিজ্ঞানী গোল্ড মেডেলও পেয়েছেন রাজ্যপালের কাছ থেকে। ২০০৬ সালের আগেই হলদিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে প্রফেসর হিসেবে নিযুক্ত হন মানস। সেই সময় অ্যামেরিকা থেকে ডাক পেলেও, তিনি দেশের হয়ে কাজ করবেন বলে, সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দেন। এরপরই ২০০৬ সালে ইসরো গবেষণা কেন্দ্রে কারিগরি বিভাগে নিযুক্ত হন বসিরহাটের মানস। আজ চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য কামনার সঙ্গে সঙ্গে ছেলের জন্য গর্ব অনুভব করছে গোটা সরকার পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jute: অবাক কাণ্ড, পাটের পাতা থেকেও তৈরি হচ্ছে চা! এই চা খেলে কোন কোন রোগ থেকে মুক্তি?

    Jute: অবাক কাণ্ড, পাটের পাতা থেকেও তৈরি হচ্ছে চা! এই চা খেলে কোন কোন রোগ থেকে মুক্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কবি সুকুমার রায় লিখেছিলেন, নিম গাছেতে হচ্ছে শিম, কাকের বাসায় বগের ডিম। এবার সেরকমই এক অনন্য গবেষণায় সাড়া মিলেছে ভারতীয় কৃষি গবেষণাগারে। এবার পাট (Jute) গাছ থেকে হবে চা। এও কি সম্ভব! হ্যাঁ, সম্ভব। আর তাই করে দেখিয়েছে কলকাতার একটি কৃষি গবেষণাগার।

    কীভাবে হচ্ছে পাট (Jute) থেকে চা?

    পাট (Jute) শাক তো অনেক খেয়েছেন, এবার বাংলার মাটিতে পাট পাতা থেকেই তৈরি হচ্ছে চা। কলকাতার গবেষণাগারে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা আইসিএআর-নিনফেট কৃষি নিয়ে গবেষণা করে। এই সংস্থার টালিগঞ্জের গবেষণা কেন্দ্রে তৈরি হচ্ছে এই বিশেষ পানীয় অর্থাৎ পাট থেকে চা। পাটের জমি থেকে পাতা তুলে সেটাকে প্রথমে জীবাণুমুক্ত করা হয়। এরপরই বিশেষ তাপমাত্রায় সেই পাট পাতা শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। নির্দিষ্ট সময় পরে সেই শুকনো পাটপাতা গুঁড়ো করে রাখা হয় টি ব্যাগে। এই টি ব্যাগ গরম জলে দিলেই চা রেডি।

    কী বললেন আইসিএআর-নিনফেট-এর মুখ্য বিজ্ঞানী?

    আইসিএআর-নিনফেটের মুখ্য বিজ্ঞানী দেবপ্রসাদ রায় বলেন, আমাদের এই গবেষণা সংস্থা থেকে তৈরি এই চা-এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘জুট লিভ টি’। এই চায়ে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যার ফলে ক্যান্সারজনিত রোগ এবং সুগার রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, বার্ধক্যজনিত রোগ সহ বিভিন্ন রোগ থেকে অনেকটাই নিস্তার মিলবে সাধারণ মানুষের। শান্তিপুরে কৃষক বন্ধুদের নিয়ে একটি বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করে গবেষণা সংস্থা আইসিএআর-নিনফেট। কৃষক বন্ধুদের একটি কর্মশালার মাধ্যমে কীভাবে পাট (Jute) গাছ থেকে চা হবে এবং তার ফলে কীভাবে তাঁরা বাজারে সেটিকে বিক্রয় করতে পারবেন এবং লাভের মুখ দেখবেন, তারও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। একটি বিশেষ ওষুধ যা জলের সঙ্গে মিশিয়ে পাট জাক দেওয়ার জায়গায় দিয়ে দিলে অতি দ্রুত পাট গাছ থেকে পাট সংগ্রহ করতে পারবেন চাষিরা। এই বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তবে, পাট গাছ থেকে চা হলে সেটা বাজারে বিক্রি হলে অনেকটাই লাভবান হবেন কৃষকরা। আগের মতো পাট হয়ে উঠবে অর্থকরী ফসল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jhargram: ঝাড়গ্রামের সুমন্ত কীভাবে কিনেছিলেন চাঁদের জমি! এখানেই কি নামবে চন্দ্রযান ৩?

    Jhargram: ঝাড়গ্রামের সুমন্ত কীভাবে কিনেছিলেন চাঁদের জমি! এখানেই কি নামবে চন্দ্রযান ৩?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবাহ বার্ষিকীতে স্ত্রীকে উপহার দিতে চাঁদে জমি কিনে দিয়েছিলেন ঝাড়গ্রামের (Jhargram) যুবক সুমন্ত মুর্মু। ঘটনা ২০২১ সালের ২ জুলাইয়ের। মাত্র ৩ হাজার ২৪০ টাকা দিয়ে একটি বিদেশি ওয়েবসাইট থেকে তিনি চাঁদে জমি কিনেছিলেন। এজন্য তিনি পেয়েছিলেন শংসাপত্রও। বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদে অবতরণ করতে চলেছে ভারতের চন্দ্রযান ৩। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে চন্দ্রযান ৩। তাহলে কি সুমন্তর জমিতে নামবে চন্দ্রযান ৩! শুরু হয়েছে জল্পনা। সুমন্ত রয়েছেন সেই আশায়। সুমন্ত বলছেন, আজ ভারেতর একটি ঐতিহাসিক দিন। চন্দ্রযান ৩ সফল হলে ভারতের মুখ বিশ্বের কাছে উজ্জ্বল হবে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে উত্তর-পূর্ব অংশে তাঁর জমি রয়েছে বলে জানান সুমন্ত। যদি সেখানে চন্দ্রযান নামে, তাহলে তো আনন্দ বলে প্রকাশ করা যাবে না।

    চাঁদে জমি কিনে উপহার (Jhargram)

    ২০২১ সালে ২ জুলাই সুমন্তের (Jhargram) প্রথম বিবাহ বার্ষিকী ছিল। তার আগের দিন, স্ত্রী মার্থাকে চাঁদে কেনা জমির দলিল উপহার দিয়েছেন সুমন্ত। আকাশের চাঁদ হাতে পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত। মার্থা জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের জীবদ্দশায় চাঁদে থাকার সুযোগ হবে না। তবে এই দলিলের ভিত্তিতে আমাদের ভবিষ্যৎ কোনও এক প্রজন্ম হয়তো চাঁদে থাকবে, এটা ভেবেই রোমাঞ্চিত হচ্ছি। সুমন্তের এমন উপহার কোটি টাকার চেয়েও দামি।” বিদ্যুৎ দফতরের ঝাড়গ্রাম সাব স্টেশনের কর্মী সুমন্ত, একটি মার্কিন সংস্থার কাছ থেকে অনলাইনে চাঁদে জমি কিনেছেন ৪৫ ডলারে (ভারতীয় মুদ্রায় ৩২৪০ টাকা)। ডাকযোগে জমির দলিলও পেয়ে গিয়েছেন তিনি।

    চাঁদের জমি বিক্রি হচ্ছে কীভাবে খোঁজ পেলেন?

    ২০২০ সালে কলকাতার দমদমের বাসিন্দা মার্থা টুডুকে বিয়ে করেছেন সুমন্ত। সেই বিয়ের বর্ষপূর্তিতে স্ত্রীকে ব্যতিক্রমী উপহার দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন। সুমন্ত (Jhargram) জানান, ছোটবেলা থেকেই চাঁদের প্রতি আগ্রহ ছিল। হঠাৎই ইন্টারনেট ঘাঁটতে গিয়ে চাঁদে জমি কেনা যায় বলে জানতে পারি। ক্রেতাদের তালিকায় রোনাল্ড রেগন, জর্জ বুশের মত অ্যামেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টরাও রয়েছে। তাঁদের নাম দেখেই যোগাযোগ করেন সুমন্ত। অ্যামেরিকার ওই সংস্থাটি প্রকৃতই চাঁদের জমির মালিকানা নিয়ে এ পর্যন্ত ৬০ লক্ষ ক্রেতাকে ৬১ কোটি একর জমি বিক্রি করেছে। আন্তর্জাতিক মানের কয়েকটি হোটেল কর্তৃপক্ষও চাঁদে জমি কিনেছে। তাই সব দিক খতিয়ে দেখে নিশ্চিত হয়ে জমি কেনেন সুমন্ত।

    কোন সংস্থা থেকে কিনলেন চাঁদের জমি

    সুমন্ত (Jhargram) জানান, ডেনিস হোপের মালিকানাধীন আমেরিকার ‘লুনার এমব্যাসিনামের সংস্থাটি চাঁদের জমি বিক্রি করে। রাষ্ট্রপুঞ্জের আনা একটি প্রস্তাবের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্বের কোনও দেশ বা কোনও দেশের সরকার সৌরজগতের কোনও মহাজাগতিক বস্তুর উপর নিজেদের অধিকার, মালিকানা বা আইনি স্বত্ব দাবি করতে পারবে না। আটের দশকের একেবারে গোড়ার চাঁদের জমি এবং খনিজ সম্পদের মালিকানা দাবি করে রাষ্ট্রপুঞ্জকে চিঠি লেখেন হোপ। রাষ্ট্রপুঞ্জের মৌনতাকে সম্মতি ধরে নিয়েই চাঁদের জমি বিক্রি করতে শুরু করেন হোপ। তৈরি করেন ‘গ্যালাকটিক ইনডিপেন্ডেন্ট গভর্নমেন্ট। হোপ নিজে সেই সরকারের প্রেসিডেন্ট। ২০০৯ সালে হোপের গ্যালাকটিক গভর্নমেন্ট আমেরিকার সরকারের মান্যতাও পায়। খোদ হিলারি ক্লিন্টন সই করেছিলেন গ্যালাটিক ইনডিপেন্ডেন্ট সরকারের স্বীকৃতিপত্রে। অ্যামেরিকার পূর্ব উপকূলে নেভাদায় লুনার এমব্যাসির মূল কার্যালয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election: তৃণমূলকে হারিয়ে দত্তপুলিয়ায় পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন বিজেপির, উচ্ছ্বাস

    Gram Panchayat Election: তৃণমূলকে হারিয়ে দত্তপুলিয়ায় পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন বিজেপির, উচ্ছ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলকে হারিয়ে পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election) বোর্ড গঠন করল বিজেপি। সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে নদিয়ার ধানতলা থানার দত্তপুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি। পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে বিজেপি কর্মীরা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন।

    কত আসন নিয়ে বিজেপি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল?

    নদিয়ার ধানতলা থানার দত্তপুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election) বুধবার প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। দত্তপুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ৩০টি। তার মধ্যে ১৪ টি ছিল বিজেপির দখলে এবং ১৪ টি ছিল তৃণমূলের দখলে। আর দুটি আসনে জয়লাভ করে সিপিএম। এর আগেই একজন সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন। আর অন্য এক সিপিএম সদস্য তৃণমূলকে সমর্থন করেছিলেন। গত ১০ অগাস্ট বোর্ড গঠন ছিল এই পঞ্চায়েতের। দু’পক্ষের আসন সংখ্যা সমান হয়ে যাওয়ায় লটারির মাধ্যমে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, লটারি করার পর সেই কাগজ ছিঁড়ে ফেলে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য। তখনকার মতো বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন। এদিন ছিল সেই বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। এদিন প্রধান গঠনের ভোটাভুটিতে ১৬ টি ভোট পায় বিজেপি। আর ১৪ টি ভোট পায় তৃণমূল। এরপরেই নিজেদের প্রধান ঠিক করে পঞ্চায়েত থেকে বেরিয়ে আসেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। বিজেপির প্রধান হলেন ধীরেন্দ্র মিস্ত্রি। তৃণমূলের তরফ থেকে হয় উপপ্রধান। উপপ্রধান হলেন রিম্পা বিশ্বাস মল্লিক।

    কী বললেন বিজেপির সদ্য নির্বাচিত প্রধান?

    বিজেপি প্রধান ধীরেন্দ্র মিস্ত্রির বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে আমরা পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election) বোর্ড গঠন করেছি। সম্ভবত সিপিএমের ভোট পেয়েই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছি। এটা সত্যের জয় হল। এলাকার সার্বিক উন্নয়ন করা আমাদের মূল লক্ষ্য। তবে, এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি তৃণমূলের সদস্যরা। এমনকী নব নির্বাচিত উপপ্রধান নিজেও মুখ খুলতে চাননি এই বিষয়ে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: কথা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী, উপ নির্বাচনে ফের মহকুমার দাবি উঠল ধূপগুড়িতে

    Dhupguri: কথা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী, উপ নির্বাচনে ফের মহকুমার দাবি উঠল ধূপগুড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহকুমার দাবিতেই হোক ভোট, ধূপগুড়িবাসীর এমনটাই মত। কিন্তু, প্রতিবার ভোটের সময় মহকুমার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ হয় না, ধূপগুড়ি সেই তিমিরেই রয়ে যায়। এবারের বিধানসভা উপ নির্বাচনেও একই দাবি তুলেছেন ধূপগুড়িবাসী। বাম আমল থেকেই ধূপগুড়িকে (Dhupguri) মহকুমা করার দাবি উঠে আসছিল। তখনও তা হয়নি, এরপর তৃণমূল আমলেও ধূপগুড়ির এই দাবি ব্রাত্য হয়েই পড়ে রয়েছে।

    কেন মহকুমার দাবি ধূপগুড়িবাসীর? (Dhupguri)

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালের নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছিলেন ধূপগুড়িকে (Dhupguri) মহকুমায় উন্নীত করা হবে। কিন্তু আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত তা হয়নি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে চর্চা। ধূপগুড়িকে মহকুমা করার জন্য ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন তৈরি হয়েছে। মূলত তারাই মহকুমার জন্য সরব হয়েছে। সভা, মিটিং, মিছিল, পোস্টারিং এমনকী মানব বন্ধনও করেছে তারা। মঞ্চের সম্পাদক অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত বলেন, ধূপগুড়ি বিধানসভায় দুটি ব্লক রয়েছে। ধূপগুড়ি এবং বানারহাট। এই দুই ব্লকে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের বাস। বানারহাট ব্লকের শেষ প্রান্ত চামুর্চি, যা কিনা ইন্দো-ভূটান সীমান্ত। এই এলাকা থেকে কোনও সরকারি কাজ করতে গেলে ৮২ কিমি পথ পেরিয়ে জলপাইগুড়িতে যেতে হয়। গেলেই যে আধিকারিকদের পাওয়া যাবে তাও নয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে একটি কাজের জন্য অনেকবার যেতে হয়েছে। এতদুর পথ পেরিয়ে গিয়ে কাজ করাতে গেলে সারাদিন লেগে যায়। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষই দিনমজুর বা চা-বাগানের শ্রমিক, সময়ের পাশাপাশি অর্থও নষ্ট হয় এদের। এছাড়া ধূপগুড়িকে এখনও গ্রামীণ হাসপাতালের ওপর নির্ভর করতে হয়। একটু কিছু হলেই রোগীদের জলপাইগুড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর মৃত্যুও হয়েছে। এই বিষয়গুলি নিয়েই এই মঞ্চ তৈরি হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই দাবিকে পুরোপুরি সমর্থন করে বিজেপির ধূপগুড়ি (Dhupguri)  বিধানসভার কনভেনর চন্দন দত্ত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ধূপগুড়িকে মহকুমা করা তার কাজ চলছে। কিন্তু, আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। কথা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। শুধুমাত্র এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল রাজনৈতিক মেরুকরণের চেষ্টা করছে। মিথ্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিতে চাইছে। মানুষ সব বুঝে গেছে। তাই তারা আর এই মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে ভুলবে না।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক রাজেশ সিং বলেন, প্রয়াত বিধায়ক বিগত আড়াই বছরে বিধানসভায় একটি কথা বলেননি। আর যদি মহকুমা কেউ করেন সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই করবেন। তাছাড়া হাতে তো আরও সময় আছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। বিজেপি বাংলা ভাগের চক্রান্তে আছে, তাই এই সব বলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদের সিজগ্রামে তৃণমূল নেতার বাড়িতে হামলা, অভিযুক্ত দলেরই অঞ্চল সভাপতি

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদের সিজগ্রামে তৃণমূল নেতার বাড়িতে হামলা, অভিযুক্ত দলেরই অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থানীয় তৃণমূল নেতা পলাশ কবিরাজের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দলেরই কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার ভরতপুর থানার সিজগ্রাম পঞ্চায়েতের কাঞ্চনগড়িয়া কবিরাজপাড়ায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুর-১ নং ব্লকের ১৬ নং পঞ্চায়েত সমিতির আসনে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন পলাশ কবিরাজ। তিনি পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। তবে, স্থানীয় নেতৃত্ব হিসেবে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী সদস্য তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। শত্রুতার সূত্রপাত পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে পলাশ কবিরাজের অনুগামীরা তাঁর পক্ষে দাঁড়ায়নি। সেই কারণেই সিজগ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান রাসমিনা বিবির স্বামী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি আমীর হামজা বোর্ড গঠনের পর থেকে তাঁকে ফোনে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতী বাইকে করে পলাশ কবিরাজের বাড়িতে চড়াও হয়। সকলেই তৃণমূল নেতা আমীর হামজার অনুগামী হিসেবে পরিচিত। তাঁকে গালিগালাজ করা হয়। বাড়ি লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল ছোড়়া হয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতা?

    আক্রান্ত তৃণমূল নেতা পলাশ কবিরাজ বলেন, আমরা দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে চেয়েছিলাম। তাই, ঝর্ণা মণ্ডলকে প্রধান করার জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। এটাই আমার অপরাধ। আমীর ওর স্ত্রীকে পঞ্চায়েত প্রধান করেছে। বোর্ড গঠনের পর থেকে হুমকি দিচ্ছিল। এবার বাড়িতে লোক পাঠিয়ে হামলা চালাল। বিষয়টি মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার নেতৃত্বকে জানাব।

    কী বললেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আমীর হামজা বলেন, হামলার ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। পলাশ কবিরাজ ঋণে জর্জরিত, পাওনাদাররা বহুবার তার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। হামলা চালালে তার দায় আমি নেব না।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। পলাশ থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করুক। আমরা হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: তৃণমূলকে হারিয়ে মালদার হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন বিজেপির, উচ্ছ্বাস

    Malda: তৃণমূলকে হারিয়ে মালদার হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন বিজেপির, উচ্ছ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশে অবশেষে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর মালদার (Malda) হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিল বিজেপি। পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স নেই, এই কারণ দেখিয়ে এই পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে আদালতের নির্দেশে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ভোটাভুটিতে বিজেপি এই পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করে।

    বোর্ড গঠন নিয়ে কী বললেন সদ্য নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি? (Malda)

    মালদার (Malda) হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ৩৩ টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ১৭ টি আসনে। তৃণমূল কংগ্রেস ১৩টি আসনে জয়ী হয়েছিল। সিপিএম দুটি এবং কংগ্রেস একটি আসনে জয়লাভ করে। জাল সার্টিফিকেট দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, তৃণমূলের এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্যের পদ খারিজ করে দেয় জেলা প্রশাসন। সে ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতে সদস্য সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় ৩২। বিজেপি আগে থেকে অভিযোগ করছিল তৃণমূল কংগ্রেস মোটা টাকার বিনিময়ে ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে তাদের সদস্যদের কেনার চেষ্টা করছে ও অবৈধভাবে পঞ্চায়েত সমিতি দখল করার চেষ্টা করছে। বোর্ড গঠনে উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে বিজেপি র ১৬ জন সদস্য ও একজন কংগ্রেস সদস্য পঞ্চায়েত সমিতিতে আসেন। অন্যদিকে, জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সির নেতৃত্বে তৃণমূলের ১৩ জন সদস্য পঞ্চায়েত সমিতিতে যান। সিপিএমের দুই সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। ভোটাভুটিতে বিজেপি জয়ী হয়। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হওয়ার পরই সকলের সামনে কেঁদে ফেলেন সুখীরানি সাহা। তিনি বলেন, তৃণমূল ও পুলিশের অত্যাচারে একমাস অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলাম। বাড়িতে থাকতে পারছিলাম না। এই জয় সাধারণ মানুষের জয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    উত্তর মালদার (Malda) বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, যেভাবে তৃণমূল নোংরামি করেছে তার যোগ্য জবাব তারা পেয়েছে। হবিবপুর ব্লকের বিডিও ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উত্তর মালদার বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত। তিনি বলেন, আদালত থেকে নির্দেশ দিয়েছে। সেই কারণেই আজ প্রশাসন বাধ্য হল বোর্ড গঠন করতে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আবদুর রহিম বলেন, এই হার হবে তা জানা ছিল। কারণ, এখানে বিরোধীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। তাই, তারা বোর্ড গঠন করবে এটাই স্বাভাবিক। এখানে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত গেটে বসছে সিসিটিভি, ইঙ্গিত উপাচার্যের

    JU Student Death: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত গেটে বসছে সিসিটিভি, ইঙ্গিত উপাচার্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রদের একাংশের আপত্তি উড়িয়ে যাদবপুরে বসতে চলেছে সিসিটিভি (JU Student Death)। জানা গিয়েছে, প্রতিটি গেটেই সিসিটিভি লাগানোর পরিকল্পনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মোট ১১টি সিসিটিভি বসতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। গেটগুলির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রশাসনিক ভবনেও (অরবিন্দ ভবন) সিসিটিভি থাকছে। হস্টেলের গেটেও থাকবে সিসিটিভি (JU Student Death)। মেয়েদের হস্টেলেও একইভাবে নজরদারি চালানো হবে সিসিটিভির মাধ্যমে। 

    মঙ্গলবারই সিসিটিভি বসানোর ইঙ্গিত দেন অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য

    মঙ্গলবারই সিসিটিভি বসানো নিয়ে ইঙ্গিত (JU Student Death) দেন অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। প্রসঙ্গত এর আগেই রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছিলেন সিসি ক্যামেরা বসানো হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্রদের একাংশ এতে আপত্তি জানাতে থাকে। জানা গিয়েছে, সম্ভব হলে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের পরবর্তী মিটিংয়ের আগেই ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানোর কাজ সেরে ফেলবে কর্তৃপক্ষ। গত ৯ অগাস্ট মেন হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে যান প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডু। স্বপ্নদীপের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে (JU Student Death) র‌্যাগিং-এর অভিযোগ ওঠে (JU Student Death)। ওই রাতে তাঁকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর অভিযোগও ওঠে হস্টেলের বারন্দায়। তারপর থেকেই হস্টেলের প্রথম বর্ষের ছাত্রদের সরিয়ে আনা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের নিউ বয়েজ হস্টেলে তাঁরা থাকছেন।

    বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ হস্টেলে

    মঙ্গলবার বুদ্ধদেব সাউ জানান, প্রত্যেক ভবনের এন্ট্রি পয়েন্টে সিসিটিভি থাকবে। প্রসঙ্গত, হস্টেলগুলি হয়ে উঠেছে বহিরাগতদের অবাধ বিচরণের জায়গা। শুধু তাই নয়, হস্টেলে প্রতিদিন মদের আসর এবং ছাদে উঠে প্রতিবেশী পোদ্দার পাড়ার মহিলাদের অশালীন কটূক্তি করার মতো অভিযোগও উঠেছে (JU Student Death)। বারবার প্রমাণ হচ্ছে যে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কোনও রকম আইন-শৃঙ্খলা নেই। রেজিস্ট্রার থেকে ডিন অফ স্টুডেন্টস সকলেই কার্যত একথা স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি স্নেহমঞ্জ বসু এও জানিয়েছেন, হস্টেলে অ্যালকোহল এবং ড্রাগ নিষিদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ঢুকতে গেলে তাদের দেখাতে হবে পরিচয়পত্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ধর্ষণে বাধা পেয়ে স্কুল ছাত্রীকে খুন, ধৃতের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল শিলিগুড়ি আদালত চত্বর

    Siliguri: ধর্ষণে বাধা পেয়ে স্কুল ছাত্রীকে খুন, ধৃতের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল শিলিগুড়ি আদালত চত্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ প্রশাসনের উপর ভরসা হারিয়ে স্কুল ছাত্রীর খুনিকে নিজেই শাস্তি দিতে আদালতে পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন হতভাগ্য মা। না পেরে কাঁদতে কাঁদতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেয়ের খুনির ফাঁসি চাইলেন তিনি। একই দাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের মহিলাদের বিক্ষোভে মঙ্গলবার উত্তাল হল শিলিগুড়ি (Siliguri) আদালত চত্বর। এদিন বিকালেও ধৃত যুবককে আদালত থেকে নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। সেই একই দাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের মহিলা সদস্যরা পুলিশের গাড়ি আটকে রাস্তা অবরোধ করে। শেষে উত্তেজিত জনতাকে সরাতে পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ।

     ঠিক কী ঘটেছিল? (Siliguri)

    সোমবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে শিলিগুড়ির (Siliguri) মহকুমা মাটিগাড়া এলাকার একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী খুন হয়। জঙ্গলে ঘেরা পরিত্যক্ত একটি ঘরে সেই ছাত্রীর মাথা থেঁতলানো মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অভিযুক্ত যুবক এই ছাত্রীর পথ আটকায়। রাস্তাটি ফাঁকা ছিল বলে  তাকে রাস্তার পাশে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। বাধা পেয়ে তাকে খুন করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অপরাধীকে চিহ্নিত করে সোমবার গভীর রাতে মাটিগাড়া লেলিন কলোনি থেকে মহম্মদ আব্বাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ওই যুবককে নিয়ে আদালতে ঢোকার মুখেই পুলিশকে একদল মহিলা ও মৃত ওই ছাত্রীর মায়ের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। অন্যদের সঙ্গে ওই ছাত্রীর মাও পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরে ধৃত যুবককে  হাতে তুলে দেওয়ার জন্য চিৎকার করতে থাকেন। ততক্ষণে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারী মহিলাদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। প্রতিরোধ ঠেলে পুলিশ ধৃত যুবককে আদালতের লকআপে ঢুকিয়ে দেয়। তখন কাঁদকে কাঁদতে মৃত ছাত্রীর মা বলেন, আমার একটাই সন্তান ছিল। আমার সাদাসিধা মেয়েকে যে মেরেছে তাকে আমি মারতে চাই। এই পুলিশের উপর আমার ভরসা নেই। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, আমার মেয়ের খুনির ফাঁসি দিন। 

    মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বে স্কুল ছাত্রীরাও নিরাপদ নয়, সরব আদালত চত্বরে বিক্ষোভকারী মহিলারা

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন নারী শক্তি নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা। সংগঠনের সভানেত্রী প্রতিমা যোশী বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হওয়ার পরও কেন মহিলাদের নিরাপত্তা নেই? কেন একজন নাবালিকা ছাত্রী স্কুল থেকে নিশ্চিন্তে বাড়িতে ফিরতে পারবে না। দুষ্কৃতীদের হাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারাতে হবে? ধৃত যুবককে শিক্ষা দিতে এদিন আমরা শিলিগুড়ি (Siliguri) আদালত চত্বরে জমায়েত হয়েছিলাম।

     কী বলছে পুলিশ?

    শিলিগুড়ি (Siliguri) মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসিপি অভিষেক গুপ্তা বলেন, মাটিগাড়ার ওই এলাকায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এবং কিছু সূত্র মারফত আমরা অপরাধীকে চিহ্নিত করি। রাত দুটো নাগাদ তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জেরায় জানা গিয়েছে, ধর্ষণের চেষ্টায় বাধা পেয়ে ওই যুবক নাবালিকা ছাত্রীকে মাথা থেঁতলে খুন করেছে। এখন জেরা করে খুনের রহস্য উন্মোচন করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share