Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Tapas Roy: ‘‘আমরা ধাপে ধাপে উঠেছি, এখন সব তিড়িং বিড়িং করে লাফিয়ে নেতা হয়ে যাচ্ছে’’! বিস্ফোরক তাপস

    Tapas Roy: ‘‘আমরা ধাপে ধাপে উঠেছি, এখন সব তিড়িং বিড়িং করে লাফিয়ে নেতা হয়ে যাচ্ছে’’! বিস্ফোরক তাপস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দলের ছাত্র সংগঠন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূলের ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় (Tapas Roy)। তবে, এর আগেও একাধিক ইস্যুতে তিনি সরব হয়েছেন। মন্ত্রিসভায় রদবদলের সময় তাঁর মতো পোড় খাওয়া নেতা ঠাঁই না পাওয়ায় তিনি প্রকাশ্যেই রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়ার কথা বলেছিলেন। যদিও পরে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে দল তাঁর ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেছিল। কয়েকদিন আগেই বরানগরে একটি দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিশে সমালোচনা করেছিলেন। মূলত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করলে এত প্রাণহানির ঘটনা ঘটত না বলে তিনি মন্তব্য করেছিলেন। এবার তৃণমূল ছাত্র সংগঠন নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন তিনি।

    দলীয় ছাত্র সংগঠন নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক? (Tapas Roy)

    বরানগরে একটি রক্তদান কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় (Tapas Roy) বলেন, আমরা ধাপে ধাপে উঠেছি। আর এখন সব তিড়িং বিড়িং করে লাফিয়ে জেলা, রাজ্যের নেতা হয়ে যাচ্ছে। এতে তাদেরও ক্ষতি, দলের ক্ষতি সবার ক্ষতি। শুধুমাত্র ২৮শে অগাস্ট জেগে উঠবেন আর ২৯ শে অগাস্ট থেকে ঘুমিয়ে পড়বেন এটা করবেন না। ৩৬৫দিন দিনরাত কাজ করতে হবে। ছাত্র পরিষদকে সকলে বলে রিক্রুটিং সেন্টার। শুধু রিক্রুটিং সেন্টার না ট্রেনিং সেন্টারও। এখান থেকে যদি ট্রেনআপ না হওয়া যায় তাহলে আগামী দিনে দেখবেন গোত্তা খাচ্ছেন আর ভালো কিছু করার থাকলেও করতে পারছেন না। মূলত, অনেকেই এখন দলে এসে অল্প সময়ের মধ্যে বড় বড় দায়িত্ব পেয়ে যাচ্ছেন, যা তাঁর মতো পোড় খাওয়া নেতার পছন্দ নয়। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তাঁর মনোভাব পৌঁছে দিতে তিনি প্রকাশ্য সভায় এই ধরনের মন্তব্য করছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, আসলে তৃণমূলের নেতা তৈরির অর্থ টাকা কীভাবে রোজগার করতে হবে তা শেখানো। যত নেতা তৈরি হবে তত টাকা উঠবে। এই সব নেতাদের মাধ্যমে সমাজের কোনও কাজে আসবে না। তৃণমূল বিধায়কের (Tapas Roy) ওই সমালোচনায় কোনও কাজ হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ragging: এবার বিশ্বভারতীতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ, দু’জনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা উপাচার্যের

    Ragging: এবার বিশ্বভারতীতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ, দু’জনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা উপাচার্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংয়ের (Ragging) ঘটনা নিয়ে গোটা রাজ্য তোলপাড়। হস্টেলের ভিতরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত এখনও চলছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে এবার র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল খোদ বিশ্বভারতীতে। বিশ্বভারতীর নিচুবাংলো ছাত্রবাসে বসবাসকারী ফ্রেঞ্চ বিভাগের এক ছাত্র, তাঁর সহপাঠীর বিরুদ্ধে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলছেন। যা নিয়ে শান্তিনিকেতন জুড়়ে তোলপাড়় শুরু হয়েছে।

    কীভাবে র‍্যাগিংয়ের বিষয়টি সামনে এল? (Ragging)

    বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, হস্টেলে র‍্যাগিংয়ের (Ragging) অভিযোগের কথা কর্তৃপক্ষকে ই মেল মারফত জানান আবাসিক এক ছাত্র। নির্যাতনের স্বীকার হাওয়া ছাত্র একেবারে সোজাসুজি ইউজিসি দফতরে ই মেল মারফত অভিযোগ করে দেন। বেশ কয়েকজন অভিভাবকও একই অভিযোগ জানান কর্তৃপক্ষকে। ইউজিসি থেকে মেল আসতেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ কর্তৃপক্ষের। বিশ্বভারতীর কাছে এই বিষয়ে সঠিক তদন্ত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি কর্তৃপক্ষ। সেই চিঠি পেয়ে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার রাতে হস্টেলে যান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্বভারতীর সমস্ত হস্টেলে পরিদর্শনে যান কর্তৃপক্ষ। তাঁরা আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের কারও কোনও অভিযোগ রয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতীর নিচু বাংলো হস্টেলে থাকতেন শুভ সরকার, অঙ্কিত কুমার এবং মণীশ কুমার নামে তিন ছাত্র। তাঁদের বিরুদ্ধে হস্টেলের বেশ কয়েক জন আবাসিক র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ আনেন। এর পর সোমবার সকালে হস্টেলে যান বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ। অভিযুক্ত পড়ুয়াদের ডেকে পাঠানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল অফিসে। কিন্তু, অভিযুক্ত তিন জনের মধ্যে এক ছাত্র হস্টেলে ছিলেন না। বাকি দু’জন কর্তৃপক্ষের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন। পরে, হস্টেল থেকে তাঁদের সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়। নির্দেশ মতো বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসে অভিযুক্তরা জিনিসপত্র নিয়ে আসেন। সোমবার রাতে কর্তৃপক্ষের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই আবাসিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। যদিও এ নিয়ে সরকারি ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। রাতের অন্ধকারে অভিযোগকারী ছাত্রকে ছাত্রাবাস থেকে নিয়ে শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লি গেস্ট হাউসে অস্থায়ীভাবে রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্ত-রেলমন্ত্রী বৈঠক, বালুরঘাট-হিলি রেলপথ সম্প্রসারণে বরাদ্দ আরও ১৫৫ কোটি

    Sukanta Majumdar: সুকান্ত-রেলমন্ত্রী বৈঠক, বালুরঘাট-হিলি রেলপথ সম্প্রসারণে বরাদ্দ আরও ১৫৫ কোটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করে কয়েক দিন আগেই উত্তর দিনাজপুর জেলার রেল প্রকল্পগুলি নিয়ে এক দফা আলোচনা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তার পরেই বালুরঘাট-হিলি রেললাইন সম্প্রসারণের কাজে মঞ্জুর হল আরও ১৫৫ কোটি টাকা। জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ার মুখে, এই খবর সামনে আসতেই জেলার কমবেশি সব মহলেই খুশির হাওয়া বইছে।

    নভেম্বর মাস থেকে ফের শুরু হয় বালুরঘাট-হিলি রেলপথ নির্মাণের কাজ

    জানা গিয়েছে, এই টাকা ইতিমধ্যে উত্তর পূর্ব রেলের তরফে পাঠানো হয়েছে জেলা প্রশাসনের দফতরে। এর আগে গত ৩১ জুলাই ৮৪ কোটি টাকা পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। জেলার রেল প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুত গতিতে শেষ করার জন্য কেন্দ্র সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে এতে স্বভাবতই খুশি বালুরঘাটের সাংসদ (Sukanta Majumdar)। ইতিমধ্যে এই নিয়ে তিনি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বালুরঘাট-হিলি রেলপথের কাজ বন্ধ ছিল, হাইকোর্টের নির্দেশে গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে ফের শুরু হয় কাজ। ২০১৯ সালে এই প্রকল্পে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করে রেল।

    আরও পড়ুন: ৩৫১ কোটির ব্যাঙ্ক জালিয়াতি! আলিপুরের অভিজাত আবাসনে হানা সিবিআইয়ের

    কী কী ছিল সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) দাবি?

    জানা গিয়েছে, শুধু বালুরঘাট-হিলি রেলপথ সম্প্রসারণ নয়, এর পাশাপাশি গাজোল থেকে গুঞ্জরিয়া ভায়া ইটাহার রেলপথ সম্প্রসারণ প্রকল্পটিরও কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি প্রস্তাবিত বুনিয়াদপুর-কালিয়াগঞ্জ রেলপথের সম্প্রসারণের বিষয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় তাঁর (Sukanta Majumdar)। এর সঙ্গে বালুরঘাট-শিয়ালদহ একটি নতুন রেলপথ চালুর কথাও বলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বালুরঘাট থেকে ভেলোর পর্যন্ত একটি নতুন ট্রেন চালুর দাবিও জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। জানা গিয়েছে বালুরঘাট-হিলি রেলপথ সম্প্রসারণের কাজে মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২৯৯ কোটি টাকা। তার মধ্যে ২৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। বাকি এখনও ৫৫ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় বিবস্ত্র করে মহিলা নিগ্রহ, মুখ্যসচিব সহ ৪ আধিকারিককে শো-কজ মানবাধিকার কমিশনের

    Malda: মালদায় বিবস্ত্র করে মহিলা নিগ্রহ, মুখ্যসচিব সহ ৪ আধিকারিককে শো-কজ মানবাধিকার কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) বামনগোলা থানার পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার ঘটনা সামনে আসে গত জুলাই মাসে। এই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিব, প্রধান সচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি ও মালদা জেলার পুলিশ সুপারকে শো-কজ করল মানবাধিকার কমিশন। ছয় সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়ে পাঠালো কমিশন। দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করার এই ঘটনায় তোলপাড় হয় সারা রাজ্য এবং নানা মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, যেখানে তৃণমূলের সাংসদরা মণিপুরের ঘটনা নিয়ে সরব হচ্ছেন, সেখানে তাঁদের শাসিত রাজ্যে এভাবে বিবস্ত্র করে মহিলাদের মারধর (Malda) করা হচ্ছে।

    কী জানতে চাইল কমিশন

    এই ঘটনায় কমিশনের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, ওই দুই মহিলাকে কেন তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না? আবার চার পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় তদন্ত হবে না, তাও জানতে চেয়েছে মানবাধিকার কমিশন। প্রসঙ্গত ওই দুই মহিলাকে ভরা বাজারে বিবস্ত্র (Malda) করে মারধর করার পরে উল্টে তাঁদেরকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। গত জুলাই মাসে বামনগোলার (Malda) এলাকায় এই দুই মহিলা লেবু বিক্রি করতে গিয়েছিলেন বলে দাবি। হঠাৎই বাজার এলাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তোলে কিছু স্থানীয় মানুষজন (Malda)। এরপরই চোর অপবাদ দিয়ে তাঁদেরকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। অভিযোগ, সামনে পুলিশ থাকলেও কোনও রকম ব্যবস্থা নেয়নি।

    পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় মানবাধিকার কমিশন

    পরবর্তীকালে স্থানীয় থানা (Malda) এই দুই মহিলাকে গ্রেফতার করে। এই গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নয় মানবাধিকার কমিশন। মানবাধিকার কমিশন জানতে চেয়েছে, বিবস্ত্র করে মারার ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই ঘটনা ১৮ জুলাই ঘটলেও, ১৭ জুলাই পুলিশ তাঁদের (দুই মহিলা) বিরুদ্ধে আবার ফাঁড়ি ভাঙচুরের জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে। ২৩ জুলাই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপির মালদা (Malda) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত।

    বিজেপির জেলা সভাপতি কী বলছেন? 

    মানবাধিকার কমিশনের জবাব চাওয়ার চিঠি প্রসঙ্গ সামনে আসতেই বিজেপি জেলা (Malda) সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, ‘‘একদম সঠিক ভাবেই তারা জানতে চেয়েছে যে, বামনগোলা থানার আইসি, পাকুয়াহাট ফাঁড়ির যে সমস্ত পুলিশকর্মী দুই মহিলাকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত, তাঁদের ভূমিকা ঠিক কী ছিল। ঘটনার বেশ কয়েক দিন পর অভিযোগ দায়ের হরেছে। পুলিশ এমন ভাব করছে যেন, মহিলা দু’জনই দোষী।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মৃত লালন শেখের বাড়ির কাছে উদ্ধার হল বোমা, চাঞ্চল্য

    Birbhum: বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মৃত লালন শেখের বাড়ির কাছে উদ্ধার হল বোমা, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) বগটুইয়ে নিহত লালন শেখের বাড়ির বাগান থেকে উদ্ধার হল বোমা। বগটুইকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন লালন। সিবিআই হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সকালে সেই লালন শেখের বাড়ির বাগান থেকে প্রচুর পরিমাণে তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। রামপুরহাট থানার বগটুই গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় লালন শেখের বাড়ি। বাড়ির সামনেই বাগান থেকে উদ্ধার হয় বোমা। বাগানের মাটিতে গর্ত করে বোমাগুলি রাখা ছিল। পরে, বোমাগুলি উদ্ধার করে একটি প্লাস্টিকের পাত্রে রাখা হয়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ২১ মার্চ বীরভূমের (Birbhum) বগটুই গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে খুনের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, এই খুনের প্রতিশোধ নিতে সেদিন রাতেই বগটুই গ্রামে গণহত্যা চলে। গ্রামে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ১০ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন লালন শেখ। দীর্ঘ সময় গা ঢাকা দিয়েছিলেন লালন। পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে তাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করে। সেই সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীনই গত বছর ১২ ডিসেম্বর তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। রামপুরহাটে সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসের বাথরুমে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় লালনের। বগটুইয়ের ঘটনার পর তাঁর বাড়ি সিল করে দিয়েছিল সিবিআই। পরে যদিও আদালতের নির্দেশে তা খুলেও দেওয়া হয়। সেই বাড়িরই সামনে বাগান থেকে উদ্ধার হয় বোমা। পুলিশ এসে বোমাগুলি উদ্ধার করে। ইতিমধ্যেই বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে।

    বোমা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির বীরভূম (Birbhum) জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের সময় তৃণমূল এই বোমা মজুত করে রেখেছিল। আমাদের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যদিকে, তৃণমূলের রামপুরহাট-১ ব্লকের সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, এই ধরনের ঘটনায় তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু মালদায়, আতঙ্ক

    Malda: ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু মালদায়, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়ার পর এবার ডেঙ্গির বলি মালদায়। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মালদা (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হল এক তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের। মৃত ওই স্কুল ছাত্রের নাম বিট্টু ঘোষ। বয়স ৯ বছর। বাড়ি মালদা জেলার ইংরেজবাজার থানার গোপালপুর এলাকায়। তবে, ডেঙ্গি নিয়ে এই হাসপাতালে বহু রোগী ভর্তি রয়েছেন। যদিও হাসপাতালের পক্ষ থেকে সবই অজানা জ্বরে আক্রান্ত বলে দায় এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে।

    পরিবারের সদস্যরা কী বললেন? (Malda)

    মৃত স্কুল ছাত্রের পরিবারে বাবা, মা ও তার এক ভাই, এক বোন রয়েছে। বিট্টু স্থানীয় গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশুনা করত। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত চার দিন ধরে ওই স্কুল ছাত্রের প্রচণ্ড জ্বর ও সঙ্গে বমি হয়। অবশেষে জ্বরের মাত্রা অধিক হওয়ায় সোমবার দুপুর দুটো নাগাদ ওই স্কুল ছাত্রকে মালদা (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশেষে চিকিৎসা চলাকালীন সন্ধ্যা নাগাদ মৃত্যু হয় ওই স্কুল ছাত্রের। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুল ছাত্রের রক্তের প্লেটলেট একেবারে কমে গিয়েছিল, পাশাপাশি ডেঙ্গির সব লক্ষণ সমস্ত শরীরে ছিল। মৃতের বাবা রামা ঘোষ বলেন, ‘হাসপাতালের পক্ষ থেকে আমাদের রক্তের জোগান দিতে বলা হয়েছিল। আমরা সেই মতো মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়েছিলাম। কিন্তু, প্রায় দু ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরেও রক্ত পাইনি। সঠিক সময়ে রক্তের জোগান দিতে পারলে আমার ছেলে বেঁচে যেতে পারত। আমার ছেলে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে।’ অবশেষে মৃত্যুর খবর পেতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। যদিও মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে মৃতদেহ পরিবারের হাতে দেওয়ার সময় ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি উল্লেখ করা হয়নি। অজানা জ্বরেই মৃত্যু হয়েছে ওই স্কুল ছাত্রের, এমনটাই লেখা রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: ৩৫১ কোটির ব্যাঙ্ক জালিয়াতি! আলিপুরের অভিজাত আবাসনে হানা সিবিআইয়ের

    CBI: ৩৫১ কোটির ব্যাঙ্ক জালিয়াতি! আলিপুরের অভিজাত আবাসনে হানা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শহরে সিবিআই হানা। মঙ্গলবার সকালে আলিপুর ভিসা হাউসে পৌঁছে যায় সিবিআই-এর (CBI) একটি দল। জানা গিয়েছে, ভিসা স্টিলের কর্ণধার বিশ্বম্ভর শরণের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। ৩৫১ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে এই কোম্পানির বিরুদ্ধে। সেই মতো ২০২০ সালে মামলাও দায়ের করা হয়। তারপর থেকেই চলছে তদন্ত এবং আজ তল্লাশিতে নামে সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর, বছর খানেক আগেই একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে এই পরিমাণ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বিশ্বম্ভর শরণ। পরবর্তীকালে সংস্থাকে দেউলিয়া বলে তিনি নিজেই ঘোষণা করে দেন।

    ২৫-২৬ জনের সিবিআই (CBI) দল হানা দেয়

    জানা গিয়েছে, এই বিপুল পরিমাণ ঋণের টাকা পরিকল্পনা মাফিক নয়ছয় এবং তছরূপ করেছেন তিনি। মঙ্গলবার সকালেই ২৫ থেকে ২৬ জনের একটি সিবিআই দল (CBI) আচমকাই হানা দেয় অফিসে। ভিসা হাউসের ভিতরে থাকা কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখতে থাকেন অফিসাররা (CBI)। সিবিআই-এর (CBI) সঙ্গে এদিন ছিল স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মীরা। অফিসের বাইরে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়, যে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও জানা যায়নি যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সেই বিশ্বম্ভর শরণ অফিসের ভিতরে রয়েছেন কিনা। কিন্তু অফিসের অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে সিবিআই (CBI) কথা চালিয়ে যাচ্ছে।

    সোমবার থেকেই লাগাতার তল্লাশি চলছে শহরে

    সোমবার থেকেই লাগাতার তল্লাশি চলছে শহরে। কখনও ইডি, কখনও সিবিআই (CBI)। সোমবার দুপুর থেকে রাতভর তল্লাশি চালানো হয় কালীঘাটের কাকু যে অফিস দেখভাল করতেন সেই ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর অফিসে। সারারাত তল্লাশির পর তিনটি ভর্তি ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন ইডির তদন্তকারীরা। পাশাপাশি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের জামাইয়ের ফ্ল্যাট সহ তিন জায়গায় গতকাল থেকেই তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি।

    আরও পড়ুুন: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে রওনা মোদির, কী বললেন জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা! নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা! নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণধর্ষণের শিকার, পূর্ব মেদিনীপুরের ১১ বছরের নাবালিকার (11 years old girl) গর্ভপাতে সন্মতি (Abortion Permission) দিল মেডিক্যাল বোর্ড। এরপরই ওই নাবালিকার যত দ্রুত সম্ভব গর্ভপাত করানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যর বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। নাবালিকার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। সেই কারণে তমলুক হাসপাতালে পরিকাঠামো না থাকায় এসএসকেএম হাসপাতালে ওই নাবালিকাকে নিয়ে আসতে বলেছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

    নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ

    পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরে। জানা গেছে, তমলুকের বাসিন্দা, ওই ১১ বছরের মেয়ে যে ছ’মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েছে, তা নাকি জানতেই পারেননি বাবা-মা! জানতে পারার পরে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁদের। তাই তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন চলতি মাসের ১৬ তারিখে। আবেদন করেন, ২৪ সপ্তাহের ভ্রূণ গর্ভপাত করাতে চান মেয়ের। আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরে জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি হয়। তাতে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন নাবালিকার বয়স নিয়ে। মেয়েটির পরিবারের আইনজীবী আদালতে জানান, মেয়েটি একটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। এখন সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়। তবে সেই নাবালিকা সন্তান জন্ম দেওয়ার মতো মানসিক বা শারীরিক অবস্থায় নেই। ২৪ সপ্তাহের পরে গর্ভপাতের নজির বিরল, তবে এক্ষেত্রে নাবালিকার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আদালত অনুমতি দিক। 

    আরও পড়ুন: বয়স্কদের সঙ্গে সময় কাটানোতেই জোর বিশেষজ্ঞ মহলের! কেন জানেন?

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    পাড়ায় খেলতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় বছর এগারোর ওই কিশোরী। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত তিনজনও নাবালক। রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের সাহায্যে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। তার পর থেকে নাবালিকা এখন হোমে রয়েছে। সে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে বেশ দুর্বল। তাছাড়াও একটি ১১ বছরের মেয়ের পক্ষে সন্তানের জন্ম দেওয়া ও দায়িত্ব নেওয়া প্রায় অসম্ভব। তার মেডিক্যাল রিপোর্টও বলছে, বয়স কম হওয়ায় গর্ভস্থ সন্তানের ওজন কম রয়েছে এবং অন্য সমস্যাও বেশ কিছু রয়েছে। তমলুক হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, নাবালিকার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে দেখা গিয়েছে গর্ভপাতের প্রয়োজন রয়েছে। এরপরই আদালত (Calcutta High Court) এই রায় দেয়।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Sealdah: সকাল থেকে শিয়ালদা মেন শাখায় রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ, চরম ভোগান্তি

    Sealdah: সকাল থেকে শিয়ালদা মেন শাখায় রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ, চরম ভোগান্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অফিস টাইমে লোকাল ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে শিয়ালদা (Sealdah)-রানাঘাট মেন শাখায় মদনপুর স্টেশনে রেল অবরোধ করলেন স্থানীয় নিত্যযাত্রীরা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছে। আর সকাল থেকে অবরোধের জেরে আপ-ডাউনের বিভিন্ন শাখায় ট্রেন দাঁড়িয়ে রয়েছে। আপ হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস কল্যাণী স্টেশনে আটকে রয়েছে। অবরোধের জেরে অফিস যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। একইসঙ্গে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা।

    কেন রেল অবরোধ

    অবরোধকারীদের বক্তব্য, সকালে একের পর এক মেমু ট্রেন মদনপুর স্টেশনে দাঁড়ায়। কিন্তু, ট্রেন নোংরায় ভর্তি। বাথরুমের জল গোটা কামরায় চলে আসে। আর লালগোলা থেকে এই ট্রেন আসে বলে যাত্রী বোঝাই থাকে। ফলে, ওই ভিড় ট্রেনে মদনপুর সহ আশপাশের এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দারা কেউ উঠতে পারেন না। অন্যদিকে, সকালের দিকে একের পর এক লোকাল ট্রেন রয়েছে, যেগুলো বেশিরভাগই মদনপুর স্টেশনে দাঁড়ায় না। আর অফিস টাইমে লোকাল ট্রেন খুব কম দাঁড়ায়। সেই কারণেই চূড়ান্ত হয়রানির মধ্যে পড়তে হয় অফিস টাইমে। এর আগেও একাধিকবার স্টেশন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশ্বাস মিললেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই, পথে নেমে আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবশেষে এদিন সকাল ৭.৪০মিনিট নাগাদ শিয়ালদা (Sealdah)-রানাঘাট লোকাল আটকে ট্রেন অবরোধ শুরু হয়। এ বিষয়ে এক নিত্যযাত্রী শুভজিৎ বিশ্বাস বলেন, প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পর পর ট্রেন দেওয়া হয়। তাও আবার মেমু ট্রেন। সেই কারণে চূড়ান্ত সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় আমাদের। আমরা চাই, অবিলম্বে ইলেকট্রিক ট্রেন এবং ১২ বগির ট্রেন দেওয়া হোক। আমাদের দাবি, যতক্ষণ না রেল কর্তৃপক্ষ এসে নতুন করে ট্রেনের স্টপেজ দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছে ততক্ষণ এই অবরোধ চলবে।

    কী বললেন অবরোধে আটকে পড়া এক যাত্রী?

    হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস ট্রেনে করে সন্তোষ মুখোপাধ্যায় বহরমপুর যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, বেলা ১১ টা নাগাদ আমরা বহরমরপুর পৌঁছে যাই। মদনপুরে রেল অবরোধের জন্য এখন আমাদের ট্রেন কল্যাণী স্টেশনে আটকে রয়েছে। কখন বাড়ি পৌঁছাব তা বুঝতে পারছি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: মহম্মদবাজারে এক ব্যবসায়ীকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন

    Birbhum: মহম্মদবাজারে এক ব্যবসায়ীকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাথর ব্যবসায়ীকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজার থানার সেরেন্ডা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ীর নাম তাপস দাস (৩৩)। তিনি কেন্দ্রসরাল গ্রামের বাসিন্দা। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশের ভুমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাপসবাবুর হার্ডওয়্যারের ব্যবসা ছিল। পরিশ্রম করে গত কয়েক বছরে বীরভূমে (Birbhum) পাথর খাদান, জীবন বিমার এজেন্ট হিসাবে ফুলে ফেঁপে উঠেছিলেন। সোমবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ প্রতিদিনের মতো দোকান থেকে নিজের বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। সেরেন্ডা গ্রামের কাছে আকটি বটতলার পাশে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে তাঁর বাড়িতে খবর দেন এক গ্রামবাসী। পরে, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাথর ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। ব্যবসায়ীর পেটে একটি ও ঘাড়ে দু’টি গুলির চিহ্ন আছে।

    কী বললেন ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যরা?

    মৃত ব্যবসায়ীর ভাই রাজু বলেন, দাদা দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে শুনেই আমরা গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। দশন্দরিয়া ও সেরেন্ডার মাঝামাঝি একটি ফাঁকা রাস্তার মাঝে বটতলার পাশে পড়েছিল দাদা। অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে দেখে হাসপাতালে ভর্তি করি। দাদা কোনও কথা বলতে পারেনি। ভর্তির পরে দাদা মারা যায়। হাসপাতালে এসে আমরা বুঝতে পারি দাদাকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। দাদার কোনও শত্রু ছিল না। কেন খুন করা হল বুঝতে পারছি না।

    কী বললেন জেলার পুলিশ সুপার?

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে বীরভূম (Birbhum) জেলার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, জমি সংক্রান্ত একটি বিবাদ থেকে এই ঘটনা ঘটতে পারে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share