Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Panchayat Board: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের আগে ভাঙড়ে ফের ১৪৪ ধারা জারি

    Panchayat Board: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের আগে ভাঙড়ে ফের ১৪৪ ধারা জারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের পর বোর্ড (Panchayat Board) গঠনে অশান্তির আশঙ্কা করে আবারও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের কাশিপুর থানা এলাকা জুড়ে জারি করা হল ১৪৪ ধারা। পঞ্চায়েত ভোট গণনার রাতে অশান্তির জেরে গোটা ভাঙড় জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। সেই ঘটনার পর নওশাদ সিদ্দিকী থেকে শুরু করে শওকত মোল্লা কাউকেই কাশিপুর থানা চত্বরে ঢুকতে দেয়নি পুলিশকর্মীরা। তবে, ১৪৪ ধারা উঠে গেলে দুই বিধায়কই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কিন্তু, সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও কাশিপুর থানা এলাকা জুড়ে জারি হল ১৪৪ ধারা। মূলত পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে যাতে কেউ অশান্তি না পাকাতে পারে সেই কারণেই এই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা তথা আরাবুল পুত্র হাকিমুল ইসলাম বলেন, ভাঙড়ে ৯টি অঞ্চলে তৃণমূল পঞ্চায়েতে বোর্ড (Panchayat Board) গঠন করবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে এই এলাকায় আইএসএফ অশান্তির পরিবেশ তৈরি করেছে। ভাঙড়ের সন্ত্রাসের পরিবেশ ওরা তৈরি করে রেখেছে। তৃণমূল শান্তি চায়। আমরা এলাকায় শান্তি বজায় রেখে উন্নয়ন চাই। বোর্ড গঠনের আগে  ১৪৪ ধারা জারি করার উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে নতুন করে আমরা এলাকায় কোনও অশান্তি আর চাই না।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয় নিয়ে জয়নগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি উৎপল নস্কর বলেন,  ১৪৪ ধারা জারি করুক আর যাই করুক না কেন মমতা ব্যানার্জির পুলিশ প্রশাসন প্রথম থেকেই যদি সদর্থক ভূমিকা পালন করত তাহলে ভাঙড়ে এতগুলো মৃত্যু হত না। যেখানে গতবারে ১৪৪ ধারা থাকা সত্ত্বেও শওকত মোল্লা শতাধিকারে বেশি কর্মী নিয়ে একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা করতে পারে সেখানে ১৪৪ ধারা প্রহসন ছাড়া আর অন্য কিছুই নয়। বোর্ড (Panchayat Board) গঠনের দিন বিরোধীদের আটকানোর জন্যই পরিকল্পনা করে এই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Buddhadeb Bhattacharjee: শীঘ্রই ছুটি পাচ্ছেন বুদ্ধদেব, সেট-আপ দেখতে বাড়িতে মেডিক্যাল টিম

    Buddhadeb Bhattacharjee: শীঘ্রই ছুটি পাচ্ছেন বুদ্ধদেব, সেট-আপ দেখতে বাড়িতে মেডিক্যাল টিম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভালো আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। এবার তাঁকে বাড়িতে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারই হাসপাতালের একটি টিম যায় বুদ্ধদেব বাবুর (Buddhadeb Bhattacharjee) বাড়িতে। এবং সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে ওই মেডিক্যাল টিম। শনিবার থেকে অ্যান্টিবায়োটিক বন্ধ হয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াও তিনি সম্পূর্ণভাবে সংক্রমণমুক্ত এবং সুস্থ রয়েছেন, তাই তাঁকে বাড়ি পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিল কলকাতার এই বেসরকারি হাসপাতাল।  এদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পাম অ্যাভিনিউর বাড়িতে যান হাসপাতালে ৪ সদস্যের একটি হোমকেয়ার টিম।

    বাড়িতেও রাখা হবে হাসপাতালের ব্যবস্থা

    জানা গিয়েছে, বাড়িতেও হাসপাতালে মত পর্যবেক্ষণে রাখা হবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। রাইলস টিউব পরানোই থাকবে, পাশাপাশি বাইপ্যাপও চলতে থাকবে। সোমবারই বেশ কয়েকটি রক্ত পরীক্ষা করানো হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। সেখানে সব রিপোর্টই ভাল এসেছে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharjee) শারীরিক অবস্থা নিয়ে মঙ্গলবার ফের একবার মেডিক্যাল বোর্ডের মিটিংয়ে বসার কথা। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে, ঠিক কবে নাগাদ তাঁকে ছাড়া হবে। বাড়িতে রাখা হবে অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটর এবং নেবুলাইজারও।

    ২৯ জুলাই ভর্তি হন হাসপাতালে 

    প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই জ্বরের সঙ্গে শাসনালী ও ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। ঐদিন বিকালে ক্রিটিকাল কেয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয়। এরপর মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য। হাসপাতালে তাঁকে দেখতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে  শুভেন্দু অধিকারী প্রত্যেকেই। আসেন চলচ্চিত্র জগতের কলাকুশলীরাও। জানা গিয়েছে, সুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য রবিবার নিজের মনে রবীন্দ্র সঙ্গীতও গেয়ে উঠেছেন। তিনি উঠে দাঁড়াতে পারছেন। এদিন বসে চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথাও বলেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: বিক্ষিপ্ত অশান্তি চিত্রাঙ্গদার দেশে, মণিপুর সহ আট রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মোদি

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: পিংবনিতে শুভেন্দুর সভা পুলিশ বাতিল করলেও অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    Paschim Medinipur: পিংবনিতে শুভেন্দুর সভা পুলিশ বাতিল করলেও অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দু অধিকারীর সভা নিয়ে টালবাহানা অব্যাহত। গোয়ালতোড় কলেজ (Paschim Medinipur) মাঠের পর পিংবনিতেও সভার অনুমতি বাতিল করল পুলিশ। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এই কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি। সভা বাতিল করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ বিজেপির। পাল্টা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। আজ হাইকোর্ট থেকে বিচারতি জয় সেনগুপ্ত সময় বেঁধে দিয়ে পিংবনিতে শুভেন্দুর সভা করার অনুমতি দিলেন। 

    মূল অভিযোগ কী (Paschim Medinipur)?

    উল্লেখ্য ৯ আগস্ট বিশ্ব আদিবাসী দিবসের দিন, একদিকে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামে সভা করবেন, ঠিক সেই সময় গোয়ালতোড়ে (Paschim Bardhaman) সভা করার কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। প্রথমে জেলা বিজেপির তরফে গোয়ালতোড় কলেজ মাঠে সভা করার কথা ঠিক করা হয়। কিন্তু পুলিশ তাতে অনুমতি দেয়নি। এরপর পিংবনিতে এই সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিজেপির দাবি, ইচ্ছে করেই শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি প্রত্যাহার করেছে পুলিশ। গোটা বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি, এমনটাই খবর বিজেপি সূত্রে।

    জেলা সভাপতির বক্তব্য

    জেলার (Paschim Medinipur) বিজেপি সহ-সভাপতি শংকর গুচ্ছাইত বলেন, পুলিশ অনৈতিক ভাবে সভা বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছেন। পিংবনির মাঠের কর্তৃপক্ষ লিখিত ভাবে আমাদের সভার অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ বারবার সভাকে বাতিল কারার কথা বলছেন। শুভেন্দু অধিকারীর সভা বলেই পুলিশ বাধা প্রদান করছেন। তিনি আরও বলেন, পুলিশ জোর করে সভাকে বাতিল করার অপচেষ্টা করছেন। বিজপির সভাকে নিয়ে দলদাস পুলিশ তৃণমূলের মতন আচরণ করছেন। এই সভায়, রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা জনজাতি সমাজের মানুষকে সম্মানিত করবেন। আর তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই সভা বাতিলের চেষ্টা করছেন পুলিশ। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, আমরা হাইকোর্টে এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করব। অবশেষে আজ হাইকোর্ট পিংবনিতে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সভা করার অনুমতি দিয়েছেন। 

    তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটের অজিত মাইতি বলেছেন- সবার অনুমতি দেবে কি দেবে না তা পুলিশের ব্যাপার। এর সাথে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • TMC: শিলিগুড়ির অবৈধ নির্মাণ নিয়ে সৌরভ চক্রবর্তী -গৌতম দেবের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    TMC: শিলিগুড়ির অবৈধ নির্মাণ নিয়ে সৌরভ চক্রবর্তী -গৌতম দেবের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের সঙ্গে ফের সংঘাতে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এসজেডিএ) চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী! তৃণমূল (TMC) পরিচালিত শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকায় বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে এসজেডিএ’র অভিযানে নামার সিদ্ধান্তে  এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    দীর্ঘদিনের ঠাণ্ডা লড়াই থেকে কি এই সংঘাত?

    অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি পুরসভার থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর বিল্ডিং প্ল্যান পুরসভায় অনুমোদন করে। তাই সমান্তরালভাবে পুরসভা এলাকায় এসজেডিএ’র অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযানে নামার সিদ্ধান্তে গৌতম দেবের সঙ্গে সৌরভ চক্রবর্তীর দীর্ঘ দিনের ঠান্ডা লড়াই  দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। কেননা এই লড়াইয়ের কথা তৃণমূল (TMC) সহ রাজনৈতিক মহলে কমবেশি সকলেরই জানা। এই লড়াই চরমে ওঠে কয়েক মাস আগে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরকালে সৌরভ চক্রবর্তীকে সরিয়ে রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর থেকে গৌতম দেবকে এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান করার নির্দেশ জারি করেছিলেন। তার কয়েকদিন বাদে রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর সেই নির্দেশিকা সংশোধন করে সৌরভ চক্রবর্তীকে এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান পদে বহাল রেখে নতুন নির্দেশিকা জারি করে। উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন সৌরভ চক্রবর্তীর নিজের শহর আলিপুরদুয়ারে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ছিলেন। সৌরভ সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অভিষেককে দিয়েই তার চেয়ারম্যান পদ রক্ষা করেছিলেন। এতে সৌরভ চক্রবর্তীর ধারণা হয়, গৌতম দেব প্রভাব খাটিয়ে তাঁকে সরিয়ে এসজেডিএর চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন। এই ঘটনায় এই দুই তৃণমূল নেতার মধ্যে পুরানো ঠান্ডা লড়াই আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

    কী বললেন এসজেডিএ -র চেয়ারম্যান?

    শিলিগুড়িতে এসজেডিএ দফতরে বসে সৌরভ চক্রবর্তী সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, শিলিগুড়ি পুরসভায় এলাকাতেও আমরা অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযানে নামব। শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকা থেকে আমাদের কাছে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ আসছে। যদিও সৌরভ চক্রবর্তী এতে লড়াইয়ের কিছু দেখছেন না। তিনি বলেন, পুরসভা বিল্ডিং প্ল্যান পাশ করে ঠিক কথা। কিন্তু ইউসি দেয় এসজেডিএ। তাই আমরা অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযানে নামতেই পারি।

    কী বললেন গৌতম দেব?

    গৌতম দেব প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, এসজেডিএ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমার জানা নেই। আর যদি এসজেডিএ এধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েও থাকে তাহলে তা আমাকে চিঠি দিয়ে বা মৌখিকভাবেও জানাইনি। কাজেই যে বিষয়টা এখনও কিছুই জানিনা তা নিয়ে আমি  মন্তব্য করব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Police: বেহালায় মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যু, ভারী যান চলাচলে নয়া বিধি লাগু শহরে

    Kolkata Police: বেহালায় মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যু, ভারী যান চলাচলে নয়া বিধি লাগু শহরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেহালায় পথ দুর্ঘটনায় খুদে পড়ুয়া সৌরনীল সরকারের মৃত্যুর জেরে এবার পণ্যবাহী ট্রাক ও লরি চলাচলের ক্ষেত্রে নতুন বিধি চালু হল শহরে। সোমবার রাতে এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) ট্রাফিক বিভাগ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সকাল ৬টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ভারী ও মাঝারি পণ্যবাহী ট্রাক কলকাতার রাস্তায় চলাচল করতে পারবে না। এতদিন সকাল আটটা থেকে শহরে এই নিয়ম চালু ছিল।

    শুক্রবার সকালেই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় খুদে পড়ুয়ার

    শুক্রবারে সকালেই পথদুর্ঘটনায় বেহালা চৌরাস্তায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয় সাত বছরের শিশু সৌরনীল সরকারের। বড়িশা হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগের এই ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সমগ্র বেহালা। পুলিশের (Kolkata Police) গাড়ি জ্বলে ওঠে জনরোষে। একাধিক সরকারি বাসেও ভাঙচুর চালানো হয়। সকালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন পুলিশ কর্তারা।  কলকাতার রাস্তায় সকাল আটটা পর্যন্ত ট্রাক লরি চলাচলে কোনও রকমের নিষেধাজ্ঞা ছিল না এতদিন পর্যন্ত। কিন্তু শহরের বাস্তব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নতুন করে নির্দেশিকা জারি করা হল, কারণ কলকাতার একাধিক স্কুলের ক্লাস শুরু হয় সকাল সাড়ে সাতটা কিংবা আটটা থেকে। এই সময়ে ট্রাক ও লরি চলাচল করলে স্বাভাবিকভাবেই ঝুঁকির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই তড়িঘড়ি সোমবার রাতেই লালবাজারে তরফে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।  

    অত্যাবশ্যকীয় পণ্যবাহী যানের ক্ষেত্রে লাগু হবে না নির্দেশিকা

    তবে পণ্যবাহী ভারী ও মাঝারি যান চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য (ওষুধ, দুধ, সবজি ইত্যাদি) এবং পচনশীল পদার্থের যাতায়াতকারী যানবাহনগুলি রাত দশটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে বলেই জানা গিয়েছে। এবং পুরো শহর জুড়ে এই নিয়ম চালু হলেও বন্দর এলাকায় এই নতুন নির্দেশ কার্যকর হবে না বলেও জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে (Kolkata Police)। কারণ বেশিরভাগ কলকারখানা রয়েছে কলকাতা বন্দর এলাকায়। এবং সেখানে অনেক ক্ষেত্রে মাল খালি করতে হয় ট্রাক ও লরিগুলিকে। পাশাপাশি বন্দর এলাকাতে সেভাবে বিদ্যালয়ও নেই।

    শিশুমৃত্যুর পরেই সক্রিয় প্রশাসন

    শুক্রবার শিশুমৃত্যুর পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তাই রবিবার ছুটির দিনেও বেহালা চৌরাস্তায় কড়া পুলিশি প্রহরা (Kolkata Police) দেখা গিয়েছে। এবং রাস্তাতেও সেদিন ব্যারিকেড বসানো হয়। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে শহরের সমস্ত স্কুলের বাইরে থাকতে হবে ওসি বা অ্যাডিশনাল ওসি পদমর্যাদার একজন পুলিশকর্তাকে (Kolkata Police)। স্কুলের বাইরে যান নিয়ন্ত্রণ ভিড় সামলানোর দায়িত্ব থাকবে পুলিশের উপর। লালবাজারের আরও নির্দেশ, কোনও পথ দুর্ঘটনা ঘটলে সবার আগে দেহ সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। নির্দেশে বলা হয়েছে প্রতিটি থানায় উপস্থিত থাকতেই হবে ওসিদের এবং বিশেষ করে রাতে যেন ২৫ শতাংশ বাহিনী হাজির থাকে থানায়।  আইনশৃঙ্খলার কোথাও অবনতি ঘটলে পর্যাপ্ত পরিমাণে মহিলা পুলিশও (Kolkata Police) মোতায়েন করতে হবে সঙ্গে সঙ্গে। এই সমস্ত বাহিনীর উপর নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন ডিসি পদমর্যাদার অফিসাররা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূলের সন্ত্রাস! বোর্ড গঠনের আগে নিরাপদ আশ্রয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা

    BJP: তৃণমূলের সন্ত্রাস! বোর্ড গঠনের আগে নিরাপদ আশ্রয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিকবড়াইকের খাসতালুক কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি শাসকদল। সেখানে বিজেপিই (BJP) কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত ক্ষমতা দখলের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছে শাসকদলকে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের বোর্ড গঠনের আগে পর্যন্ত ঠিকানা দলের জেলা কার্যালয়। দলের কোনও সদস্যকেই ভয়-ভীতি দেখিয়ে বা কোনও প্রলোভন দিয়ে শাসক দল তাদের দিকে টানতে না পারে তারজন্যই পঞ্চায়েত সদস্যদের বোর্ড গঠনের অনেক আগেই রবিবার রাত থেকে দলের জেলা কার্যালয়ে সেভ জোনে রাখা হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি মনোজ টিগ্গা বলেন, কুমারগ্রামে জয়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ পঞ্চায়েত সদস্যরা বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন। এখানে নির্বাচিত সদস্যরা নির্দিষ্ট সময়ে বোর্ড গঠন করতে যেতে পারলে বিজেপির দখলেই আসবে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত। তৃণমূলের সন্ত্রাস তো চলছে। তারা প্রভাব খাটিয়ে প্রলোভন দিয়ে যাতে দলের কোনও সদস্যকেই ভাঙ্গাতে না পারে তারজন্যই আমরা দলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের নিরাপদ জায়গায় রেখেছি।

    কুমারগ্রাম পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা কত?

    কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ২২। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস ৯টি, বিজেপি-৮টি, সিপিএম ২টি, নির্দল-১টি এবং কেপিপি ২টি আসনে জয়ী হয়েছে। জানা গিয়েছে, বোর্ড গঠনে সিপিএম অংশগ্রহণ করবে না। নির্দল জয়ী প্রার্থী বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী। স্বাভাবিকভাবে নির্দল প্রার্থী এবং কেপিপি-র জয়ী প্রার্থী তৃণমূলের দিকে রয়েছে। ফলে, বোর্ড গঠনে বিজেপির (BJP) পাল্লা ভারী। গেরুয়া শিবিরের নেতাদের দাবি, বিরোধী শিবিরের অন্যান্য নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের সমর্থন তাদের পক্ষেই রয়েছে। তারা গেরুয়া শিবিরকেই বোর্ড গঠনে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আগামী ১৪ আগস্ট কুমারগ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হবে। তার আগে দলের নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যরা দলের জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়ায় তাদের সঙ্গে দেখা করেন দলের জেলা সভাপতি মনোজ টিগ্গা।  কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত কে বিজেপি পাখির চোখ করেছে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতটি দখল করে গেরুয়া শিবির তৃণমূলের জেলা সভাপতিকেই কার্যত রাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে চাইছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক  বড়াইক দাবি করেছেন, কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে কোনও প্রভাব প্রতিপত্তি না খাটিয়েই শেষ পর্যন্ত শাসক দল সেখানে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করবে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই সেখানে নব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও তৃণমূলকে বোর্ড গঠন করতে সহযোগিতা করবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: হুগলির বিজেপি নেতার মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি পরিবারের

    BJP: হুগলির বিজেপি নেতার মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতার মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন স্ত্রী। মৃত বিজেপি নেতার নাম সুদীপ ঘোষ। তাঁর বাড়ি হুগলির গুড়াপে। ধনেখালি-২ মণ্ডলের সভাপতি ছিলেন তিনি। ৫ অগাস্ট নদিয়ার কল্যাণীর একটি হোটেল থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    গত ৪ অগাস্ট চুঁচুড়ায় বিজেপির (BJP) হুগলি জেলা কার্যালয়ে নতুন মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না সুদীপ। ৩ অগাস্ট বিকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের লোকজনকে ফোনে ওই বিজেপি নেতা জানিয়েছিলেন মগরায় রয়েছি। ৫ অগাস্ট বাড়ি ফিরব। সেদিনই পরিবারের লোকজনের কাছে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। সুদীপের দুই সন্তান আছে। সুদীপের স্ত্রী অঞ্জলি ঘোষ বলেন, ‘যারা আমার স্বামীকে খুন করেছে, তারা শাস্তি পাক। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত করুক। শ্বশুর-শাশুড়ি সহ আমি অনেকবার বলেছিলাম পার্টি ছেড়ে দিতে। শুধু দলকে ভালবাসত বলে বিজেপি করত। দলকে ভালবাসতে গিয়ে নিজের প্রাণটাই চলে গেল। প্রশাসনের কাছে আমার দাবি, আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে তারা যেই হোক না কেন, যেন শাস্তি পায়। সুদীপের বাবা সুফল ঘোষ বলেন, ‘ছেলে বিজেপি দলের সক্রিয় কর্মী। এলাকায় ভাল সংগঠন তৈরি করেছিল। আর তার এই উত্থানে শাসকদল বিপদে পড়ে যাচ্ছিল। তাদের সংগঠনের লোক কমে যাচ্ছিল। তাই ছেলেকে সরিয়ে দিতে পারলে শাসকদলের সংগঠন চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে আমার ধারণা। ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।’

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    হুগলি জেলা বিজেপির (BJP) সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, ‘পুলিশকে না জানিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ নামিয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেও তার মাথায় একটি দাগ ছিল, পায়েতেও কালশিটে দাগ। তাই আমরা কোনওভাবে মনে করছি না এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে দলের রাজ্য নেতৃত্বেকে বিষয়টি জানিয়েছি। ওই রাতের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনতে হবে।’

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন, ‘এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। তৃণমূল কংগ্রেসের এত দুর্দিন আসেনি যে বিজেপির (BJP) কোনও মণ্ডল সভাপতিকে মারতে যাবে। এসব ফালতু কথা। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বেহালাকাণ্ডের জের! রাস্তায় বেআইনি কাটআউট রোধে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বেহালাকাণ্ডের জের! রাস্তায় বেআইনি কাটআউট রোধে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সড়কে যত্রতত্র অপরিকল্পিত-বেআইনি কাট আউটের জন্য বাড়ছে পথ দুর্ঘটনা, এমনটাই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। সোমবার এই সংক্রান্ত মামলায় এই পর্যবেক্ষণ দেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি এই সমস্ত কাট-আউট অবিলম্বে বন্ধ করারও নির্দেশ এদিন দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নতুনভাবে বেআইনি কাট-আউট যেন তৈরি না হয়, এবিষয়ে প্রশাসনকে কড়া নজরদারিও রাখতে বলেছে কোর্ট। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যে থাকা জাতীয় সড়কগুলির হাল বেশ খারাপ। কোথাও বেআইনি জবরদখল, কোথাও আবার ট্রাফিক বিধি মানা হচ্ছে না। এতেই বাড়ছে দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, যান চলাচলের জন্য রয়েছে অসংখ্য ‘মেডিয়ান কাট’। কিন্তু তারপরেও রাস্তার উপর বেশ কিছু বেআইনি কাট বানানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, বিভিন্ন কারখানার সামনেও তৈরি করা হয়েছে বেআইনি কাট। অন্যদিকে, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কারখানাগামী লরিগুলি যাতে সহজেই বাঁক নিতে পারে সেই কারণে মালিকদের একাংশের মদতেই ওই কাট তৈরি করা হয়েছে।

    বেহালায় নিহত খুদে পড়ুয়া সৌরনীলের প্রসঙ্গও ওঠে 

    প্রসঙ্গত, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) উত্তর দিনাজপুরে ডালখোলায় জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ সংক্রান্ত একটি মামলা ওঠে ডিভিশন বেঞ্চে। এই মামলায় উঠে আসে বেহালায় নিহত খুদে পড়ুয়া সৌরনীলের প্রসঙ্গ। কীভাবে বেপরোয়া লরি পিষে দিল ছোট্ট শিশুকে সে কথা উত্থাপন করেন মামলাকারী। তা শুনে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে, “আমাদের সকলকে আরও অনেক বেশি সচেতন হতে হবে।”

    মামলাকারীদের বক্তব্য

    সোমবার ডালখোলায় জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ সংক্রান্ত মামলায় মামলাকারীর মূল বক্তব্য ছিল, ‘‘৩৪ নং জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ না হওয়ায় বাড়ছে দুর্ঘটনা।’’ এই মামলার আইনজীবী কল্যাণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বারাসত থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত জাতীয় সড়কে প্রশাসন এক-দু কিলোমিটার অন্তর অন্তর ব্যারিকেড দিচ্ছে। এটা জাতীয় সড়কের ক্ষেত্রে করা যায় না।’’ মামলাকারী এদিন প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধার ক্ষেত্রে প্রশাসন যা করছে, তা দুর্ঘটনা বাড়বে।’’ এরপরেই ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানায়, জাতীয় সড়কে ব্যারিকেড দেওয়া যাবে না। সাধারণ মানুষ যাতে আন্ডারপাস ব্যবহার করে সেজন্য মানুষকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে প্রশাসনকেও পরামর্শ দেন বিচারপতি। ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court) আরও বক্তব্য, রাস্তার দু’প্রান্তে একাধিক ক্ষেত্রে অপরিকল্পিত কাট আউট লাগানো হচ্ছে। এই কারণেই বাড়ছে দুর্ঘটনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Barasat: ফের বারাসতে ডেঙ্গিতে মৃত্যু যুবকের, কাউন্সিলার দায়ী করলেন পরিবারকে

    Barasat: ফের বারাসতে ডেঙ্গিতে মৃত্যু যুবকের, কাউন্সিলার দায়ী করলেন পরিবারকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বারাসতে (Barasat) ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হল। কয়েক সপ্তাহ আগে মৃত্যু হয় বারাসত পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রমোদনগরের বছর ১৩ বাসিন্দা সায়নিকা হালদারের। সেই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পার হতে না হতেই ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ১৯ বছরের এক যুবকের মৃত্যু হল। তাঁর নাম রহমত আলি। বাড়়ি বারাসত পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের চন্দনহাটি এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বারাসত (Barasat) পুরসভার ২২ ওয়ার্ডের পুর পরিষেবা নিয়ে বাসিন্দারা আগেই একাধিক অভিযোগ করেছিলেন। যদিও স্থানীয় কাউন্সিলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি ডেঙ্গি মোকাবিলায় সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এই মুহূর্তে এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ জন। যার মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুরসভা এলাকায় অনেকে আক্রান্ত। ওয়ার্ডে নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর। পুরসভা সহ স্থানীয় কাউন্সিলারকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। জানা গিয়েছে, রহমত আলির গত কয়েকদিন ধরেই জ্বর ছিল। তাঁকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবারই মৃত্যু হয় তাঁর। এলাকায় নর্দমা থাকলেও তা আবর্জনায় ভরাট, নর্দমা আছে বলে কেউ বুঝতে পারবে না বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।

    কী বললেন স্থানীয় কাউন্সিলার?

    বিষয়টি নিয়ে বারাসত (Barasat) পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কৃষ্ণা সাহা  রহমতের পরিবারের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি। আমি নিজেও ওই এলাকায় গিয়েছিলাম। গত সাতদিন ধরে ছেলেটির জ্বর ছিল। কিন্তু পরিবারের তরফ থেকে বিষয়টি চেপে গিয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি। আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন খোঁজ নিতে। কেন এই বিষয়টি চেপে যাচ্ছে অনেক পরিবার তা বলতে পারব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোনও পরিবার রক্ত পরীক্ষা করতে না পারে তাহলে আমাকে জানালে পুরসভার উদ্যোগে রক্ত পরীক্ষা করে দেওয়া যেতে পারে। ছেলেটির মৃত্যুর জন্য ওই পরিবার দায়ী।’

    মৃতের প্রতিবেশীদের কী বক্তব্য?

    যদিও এই বিষয়ে মৃতের এক প্রতিবেশী বলেন, কয়েকদিন সে জ্বরে আক্রান্ত ছিল। কিন্তু মাঝে রহমত কিছুটা ঠিক হয়ে গিয়েছিল। এভাবে আচমকাই তার মৃত্যু হবে তা ভাবতে পারিনি। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • TMC: জয়ী নির্দল প্রার্থীকে পুলিশ দিয়ে আটক, তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে বিক্ষোভ অনুগামীদের

    TMC: জয়ী নির্দল প্রার্থীকে পুলিশ দিয়ে আটক, তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে বিক্ষোভ অনুগামীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের (TMC) বোর্ড গঠন করতে হলে একজন বিরোধী প্রার্থীর সমর্থন প্রয়োজন। সেই কারণে বিনা অপরাধে নির্দল প্রার্থীকে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাট থানার হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্দলের জয়ী প্রার্থী গোপাল ঘোষ। ওই এলাকার এর আগে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৫ বছর ধরে তৃণমূলের (TMC) গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন এবং পাঁচ বছরের জন্য প্রধান ছিলেন তিনি। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল টিকিট দেয়নি তাঁকে। সেই কারণে তিনি নির্দলের হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। ভোট গণনার পর দেখা যায় প্রচুর ভোটে তিনি জয়লাভ করেন। হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ২২ টি। এবার তৃণমূলের দখলে গিয়েছে ১১ টি আসন, ৮ টি আসনে বিজেপি জয়লাভ করেছে এবং ৩টি নির্দল প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে গেলে এখনও একটি আসন প্রয়োজন তৃণমূলের। অভিযোগ রবিবার গোপাল ঘোষ তাঁর পরিবারের এক ব্যক্তির অসুস্থতার কারণে কলকাতায় একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তিনি যখন বাড়িতে ফিরছিলেন রানাঘাটে তাঁর গাড়ি আটকায় পুলিশ। তাঁর গাড়ি সহ তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। তিন দিন থানায় থাকতে হবে এমনটাই তাঁকে জানানো হয় বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। তবে, তাঁকে আটকে রাখার কারণ হিসেবে কিছুই জানায়নি পুলিশ বলে অভিযোগ।

    কী বললেন নির্দল প্রার্থীর পরিবারের লোকজন?

    বেআইনিভাবে আটকে রাখার অভিযোগ তুলে এলাকাতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নির্দল কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের বক্তব্য, অবিলম্বে তাঁকে ছেড়ে না দিলে এবং বোর্ড গঠনের দিন তাঁকে অংশগ্রহণ করতে না দিলে পথ অবরোধ করে আরও বড়সড় বিক্ষোভে নামব। এ বিষয়ে নির্দল প্রার্থীর পরিবারের এক সদস্য অপর্ণা ঘোষ বলেন, যেহেতু দুদিন পরেই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন, সেই কারণে তাঁকে শাসকদলের (TMC) নির্দেশে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। অবিলম্বে হয় তাঁকে ছেড়ে দিতে হবে, না হলে বোর্ড গঠনের দিন পুলিশকে পঞ্চায়েত অফিসে তাঁকে নিয়ে আসতে হবে। বোর্ড গঠনের ভোটাভুটিতে তিনি যেন অংশগ্রহণ করতে পারেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share