Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Jadavpur University: ‘‘কাশ্মীরের মতো যাদবপুরও ঠান্ডা হবে’’, তোপ দিলীপের

    Jadavpur University: ‘‘কাশ্মীরের মতো যাদবপুরও ঠান্ডা হবে’’, তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরে (Jadavpur University) ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় সারা রাজ্য। এই আবহে উত্তর ২৪ পরগনার দলীয় সভা থেকে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘কাশ্মীর ঠান্ডা হয়েছে, যাদবপুরও কাল ঠান্ডা হয়ে যাবে।’’ এ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ উদাহরণ টানেন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং তিনি বলেন, ‘‘যেখানে যেখানে সন্ত্রাসবাদী, সমাজবিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়েছে, তা আমরা শেষ করে দিতে পেরেছি। দেখে আসুন জেএনইউ। ওখানেও প্রকাশ্যে মদ, গাঁজা খাওয়া হতো। প্রকাশ্যে আজাদি আজাদি স্লোগান তোলা হতো। সবাইকে আজাদ করে দেওয়া হয়েছে।’’ পাশাপাশি মেদিনীপুরের সাংসদের আরও দাবি, বাংলায় বিজেপি সরকার এলে যাদবপুরে (Jadavpur University) বিবেকানন্দের স্ট্যাচু তৈরি হবে, আর ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান চলবে।

    তৃণমূল-কংগ্রেস-সিপিএমের জাতীয় স্তরে জোটকেও এদিন নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ 

    একইসঙ্গে রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদেরও এদিনের সভা থেকে তোপ দাগেন বিজেপি সাংসদ। উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় একটি দলীয় সভা ছিল বিজেপির এবং সেখানেই দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে উঠে আসে যাদবপুর (Jadavpur University) প্রসঙ্গ। তৃণমূল-কংগ্রেস-সিপিএমের জাতীয় স্তরে জোটকেও এদিন নিশানা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনে মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করবে সবাই, কিন্তু অন্যায়-অবিচার, খুন, ধর্ষণের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে কেউ লড়বে না। সেই বাংলা তৈরি করা হচ্ছে। তাই তৃণমূল চুপ করে আছে।’’ ছাত্রমৃত্যু প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের আরও মন্তব্য, ‘‘ওখানে (Jadavpur University) খুন যেই করুক, এই কাজে তো বিজেপি ছিল না। সিপিএম আছে, নকশালরা আছে, কংগ্রেসের সংগঠন আছে, তৃণমূলও আছে। এবার কিন্তু বিজেপির দিকে কেউ আঙুল তুলতে পারবে না।’’

    দেশবিরোধী শক্তির আখড়া যাদবপুর (Jadavpur University)

    পাশাপাশি এদিন বাংলার যাদবপুর (Jadavpur University), দিল্লির জেএনইউ এবং হায়দরাবাদের ওসমানিয়া ইউনিভার্সিটি একই তারে জোড়া আছে বলেও তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, এই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেই বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি বারবার মাথা দিয়ে উঠছে। এরাই ভারতকে টুকরো করার স্লোগান তোলে। তাঁর কথায়, ‘‘যাদবপুর (Jadavpur University) দেশবিরোধী শক্তির আখড়া হয়ে উঠেছে। যেসব রাজনৈতিক সংগঠন কখনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারে না, যাদের রাজনৈতিক শক্তি নেই, তারাই জেনইউ এবং যাদবপুরে রয়েছে। আমার আপনার বাড়ির ছেলে কখনও কমিউনিজম কী জানে না, নকশাল রাজনীতি বোঝে না, কিন্তু সে ওখানে গিয়ে অতি বাম হয়ে যায়! আসলে সেই পরিবেশ তৈরি করে রাখা হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যাদবপুরে আক্রান্ত হয়েছিলেন তৎকালীন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। এ প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ বলেন, ‘‘ওই সময় (Jadavpur University) বাবুল-অগ্নিমিত্রা পলের উপর আক্রমণ করা হয়েছিল। বাবুলকে থাপ্পড় মারা হয়েছিল। তৎকালীন রাজ্যপাল তাঁকে গিয়েছিলেন উদ্ধার করতে। তাঁকেও কালো পতাকা দেখিয়ে গাড়ি আটকানো হয়েছিল। তারপর আমাদের লোকেরা গিয়ে অফিস উড়িয়ে দিয়েছিল, যেখানে তারা বসে মদ খেতো।’’

    কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী 

    অন্যদিকে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান কলকাতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলকে নিশানা করলেন। যাদবপুরকাণ্ডে (Jadavpur University) কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মৃত্যুর দায় এড়াতে পারেন না।’’ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী জানান, যাদবপুর (Jadavpur University) দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। তবে এটা পরিষ্কার হোক যে র‍্যাগিং রুখতে ইউজিসি-র গাইডলাইনকে মানা হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর দায় নিতে হবে। কোনও ছাত্রকে র‍্যাগিং করার অধিকার নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ভোটার তালিকায় কারচুপি রুখতে শিলিগুড়িতে বৈঠক বিজেপির, কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?

    Siliguri: ভোটার তালিকায় কারচুপি রুখতে শিলিগুড়িতে বৈঠক বিজেপির, কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই রাজ্যের শাসকদল ভোটার তালিকায় যাতে কারচুপি করতে না পারে তারজন্য নজরদারি চালাবে বিজেপি। এজন্য বিশেষ অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভোটার চেতনা মহাঅভিযান।’ রবিবার বিজেপির শিলিগুড়ি (Siliguri) সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে উত্তরবঙ্গে বিজেপির ৯টি সাংগঠনিক জেলাকে নিয়ে এই বিষয়ে বৈঠক হয়। এই বৈঠক উপস্থিত ছিলেন সাংসদ তথা দলের পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজকুমার চাহার, বিধায়ক দীপক বর্মন, বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি সঞ্জয় সিংহ, উত্তরবঙ্গের সব বিজেপি বিধায়ক এবং উত্তরবঙ্গের জেলা সভাপতিরা।

    ‘ভোটার চেতনা মহাঅভিযানে’ কী কী করা হবে? (Siliguri)

    বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি সঞ্জয় সিং বলেন, আমরা মানুষের মধ্যে ভোটার তালিকায় নাম তোলার ব্যাপারে সচেতনতা প্রচার করব। এমন অনেক ভোটার রয়েছেন তাদের ভোটার কার্ড থাকলেও ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছে। আবার অনেকে মারা গিয়েছেন, তাদের ভোটার তালিকায় নাম থেকে গিয়েছে। এই সংযোজন ও সংশোধন করার পাশাপাশি খুঁজে বের করা হবে বয়স হওয়া সত্বেও কারা এখনও ভোটার তালিকায় নাম তোলেননি। কেননা প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন ঘটনা দেখা যায় যে, বহু মানুষ নানান ঝামেলার কারণে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে চান না। অনেকে জানে না কোথায় কীভাবে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে হয়। আমরা এই দিকটিতে ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা আনার জন্য এই ‘ভোটার চেতনা মহাঅভিযান’ কর্মসূচি নিয়েছি। আগামী ২৫ ও ২৬ অগাস্ট উত্তরবঙ্গে আমাদের ৯টি সাংগঠনিক জেলায় বুথ স্তর পর্যন্ত এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে অভিযান চলবে। এদিন শিলিগুড়িতে (Siliguri) সাংগঠনিক বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    ভোটার তালিকায় কারচুপি প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি  সঞ্জয় সিং বলেন, সরকারিভাবে যারা ভোটার তালিকা সংশোধন ও সংযোজনের কাজ করেন তাঁরা অনেক জায়গাতেই যান না। ঠিক মতো বাড়ি বাড়ি পৌঁছন না। এতে ভোটার তালিকার বাইরে থেকে যান অনেকে। আবার মারা গিয়েও অনেকের নাম ভোটার তালিকায় জ্বলজ্বল করে। বিজেপির শিলিগুড়ি (Siliguri) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপ মণ্ডল বলেন, ভোটার তালিকায় রাজ্যের শাসক দল প্রভাব খাটিয়ে কারচুপি করে থাকে। দেখা গিয়েছে সরকারিভাবে যারা ভোটার তালিকার কাজ করেন তাদের বেশিরভাগই রাজ্যের  শাসক দলের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা বা সদস্য। তাই আমরা এব্যাপারে মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করে তুলতে এই অভিযান চালিয়ে যাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Subhas Sarkar on Jadavpur: যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার?

    Subhas Sarkar on Jadavpur: যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ছাত্র মৃত্যুর জন্য দায়ী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও রাজ্য সরকার। কয়েকদশক ধরে এই কালচার চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে শহুরে নকশালের চিন্তা, যে আদর্শটা রাষ্ট্রদ্রোহিতাকে উস্কে দেয়। সেটা বন্ধ করুক রাজ্য সরকার।’ রবিবার দুর্গাপুরে একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ক্রীড়ানুষ্ঠানে এসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ড নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী (রাষ্ট্র) সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar on Jadavpur)।

    যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? (Subhas Sarkar on Jadavpur)

    প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রহস্যজনক ছাত্রমৃত্যু নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। বার বারই অভিযোগ উঠেছে বামপন্থী প্রাক্তন পড়ুয়াদের আনাগোনা ও কলেজ হস্টেলের সিনিয়ার পড়ুয়াদের অমানবিক আচরণের দিকে। যদিও, ওই ঘটনার তদন্ত  এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর বড় প্রশ্ন, এত বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে সিসিটিভি কেন বসানো হয়নি বা বসাতে দেওয়া হয়নি? অভিযোগে জানা গিয়েছে,যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে নতুন ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের সঙ্গে সিনিয়র পড়ুয়াদের নির্মম ব্যবহারের ছবি ধরা পড়ত, তাই হয়তো সিসিটিভি বসাতে দেওয়া হয়নি। সিনিয়ারের উপস্থিতি এবং অনুমতি ছাড়া বাড়িতেও ফোন করতে পারতেন না নতুন পড়ুয়ারা। শৌচালয় থেকে ঘর— সবই পরিষ্কার করতে হত জুনিয়ারদের। রীতিমতো রোস্টার তৈরি করে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের দিয়ে বিভিন্ন কাজ করানো হত। সেই কাজের তালিকায় রয়েছে, শৌচালয় এবং ঘর পরিষ্কার, সিনিয়রদের ভাত বেড়ে দেওয়া, মশারি টাঙিয়ে দেওয়ার মতো কাজ। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রবিবার দুর্গাপুরে এক কেন্দ্রীয় আবাসিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়ানুষ্ঠানের উদ্বোধনে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী (রাষ্ট্র) ডাঃ সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar on Jadavpur)। এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডের প্রশ্নে তিনি বলেন, ছাত্র মৃত্যুর জন্য দায়ী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও রাজ্য সরকার। কয়েকদশক ধরে এই কালচার চলছে। রাজ্য প্রশাসন যদি এটা বন্ধ করতে চাইত, তাহলে এর আগের উপাচার্যের জামানায় হোক কলরব, হোক চুম্বন, মুক্ত মন, মুক্ত চিন্তনের নামে যা কিছু হচ্ছিল, সেটা বন্ধ করত। সিসিটিভি বসত। তিনি বলেন, সঠিক তদন্ত হোক। অপরাধীরা গ্রেফতার হোক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shalimar Station: শালিমার স্টেশনের বাইরে পার্কিং লট নিয়ে উদাসীন রাজ্য, প্রকাশ্যে তোলাবাজি!

    Shalimar Station: শালিমার স্টেশনের বাইরে পার্কিং লট নিয়ে উদাসীন রাজ্য, প্রকাশ্যে তোলাবাজি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শালিমার স্টেশন (Shalimar Station) সংলগ্ন পার্কিং লটে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে বহিরাগত ও স্থানীয় মস্তানদের বিরুদ্ধে। এর ফলে অনেক ট্যাক্সিচালকই শালিমার স্টেশনে যেতে চাইছেন না। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। ট্যাক্সিচালকদের অভিযোগ, হাওড়া বা সাঁতরাগাছি স্টেশনের মতো শালিমার স্টেশনে প্রিপেড ট্যাক্সি বুথ নেই। যে সংস্থাকে শালিমার স্টেশন সংলগ্ন পার্কিংয়ের টেন্ডার দেওয়া হয়েছে, তা মূলত স্টেশনের সামনের পার্কিং জোনের জন্য। কিন্তু পার্কিংয়ের কন্ট্রাক্টররা স্টেশন থেকে আরও প্রায় আধ  কিলোমিটার দূরে দু’নম্বর গেট পর্যন্ত এলাকায় যত ট্যাক্সি প্রবেশ করে, তাদের কাছ থেকে জোর করে পার্কিং ফি নেয় বলে অভিযোগ। যা নিয়ে মাঝে মধ্যেই গন্ডগোল ও মারামারির মতো ঘটনা ঘটে। কিন্তু তারপরেও এই দৌরাত্ম্য কমানো যায়নি। ফলে ট্যাক্সি বা প্রাইভেট গাড়ির চালকরা শালিমার স্টেশনে যেতে ভয় পান।

    নেই কোনও বাসরুটও(Shalimar Station)

    অন্যদিকে শালিমার স্টেশনে যাওয়ার যে বাস রুট রয়েছে, তাও প্রায় এক কিলোমিটার আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। ব্যতাইতলা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে রেললাইন পার হয়ে একটি রাস্তা সরাসরি শিবপুরের বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির দিকে গেছে। ব্যতাইতলা ফাঁড়ি সংলগ্ন লেভেল ক্রসিং পার হলেই ওই রাস্তায় রয়েছে শালিমার তিন নম্বর গেট। কিন্তু লেভেল ক্রসিংয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গেট বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ যাত্রীকেই ডানদিকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড দিয়ে ব্রিজে উঠে তারপর কলেজ রোড ধরতে হয়। এই রাস্তাটি ঘুরে এসে আবার তিন নম্বর গেটের কাছ থেকে ডান দিকে কলেজ রোড বেঁকে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই যেদিক দিয়েই যাত্রীরা আসুক না কেন, তিন নম্বর গেটের পর শালিমার স্টেশনে (Shalimar Station) যাওয়ার কোনও বাস রুট না থাকায় তাঁদের অটো, টোটো অথবা ট্যাক্সি ধরতে হয়। ফলে টোটো চালকরাও যাত্রীদের কাছ থেকে মওকা বুঝে যেমন খুশি ভাড়া হাঁকায়।

    যন্ত্রণাকর অভিজ্ঞতা (Shalimar Station)

    ব্যতাইতলা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে আরেকটি রাস্তা লেভেল ক্রসিংয়ের আগে বাঁদিকে বেঁকে গেছে। যেটি  শালিমার (Shalimar Station) দু’নম্বর গেট পর্যন্ত গেছে। এই দুই নম্বর গেট দিয়ে যাতে সহজে শালিমার স্টেশনে যাওয়া যায়, সেই জন্য দু’নম্বর গেটের কাছে একটি উড়ালপুল তৈরি হওয়ার কথা। বর্তমানে সেখানে কিছু পাইলিংয়ের কাজ চলছে। দু’নম্বর গেটের লেভেল ক্রসিংও দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে। ফলে এখান থেকেও যাত্রীদের রেললাইন পার হয়ে ফের আরেকটি টোটো বা ট্যাক্সি ধরে শালিমার স্টেশনে পৌঁছাতে হয়। তাও আর এক যন্ত্রণাকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের। টোটো থেকে নেমে  বর্ষায় ভাঙাচোরা, কাদা প্যাচপ্যাচানি রাস্তা পার হয়ে যাত্রীদের বড় বড় লাগেজ নিয়ে খুবই দুর্ভোগ পেরিয়ে স্টেশনে পোঁছাতে হয়।

    কী বলছেন যাত্রী সংগঠনের কর্তারা?

    হাওড়া জকপুর প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি অজয় দোলুই বলেন, শুধু শালিমার স্টেশনেই (Shalimar Station) নয়, সাঁতরাগাছি স্টেশনের বাইরেও এভাবে যাত্রীদের নানা ভাবে হ্যারাসমেন্ট করা হচ্ছে এবং জোর করে অতিরিক্ত পার্কিং ফি নেওয়া হচ্ছে।

    কী জানাল রেল?

    রেল সুত্রে জানানো হয়েছে, শালিমার স্টেশন (Shalimar Station) চত্বরের বাইরের আইনশৃঙ্খলা দেখার কাজ স্থানীয় পুলিশের। যাত্রীদের সঙ্গে জোর করে এবং অতিরিক্ত পার্কিং ফি নেওয়া হলে স্থানীয় পুলিশকেই বিষয়টি দেখতে  হবে। হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বরানগরে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Barrackpore: বরানগরে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বারাকপুর (Barrackpore) মহকুমার বরানগরের কুটিঘাট এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম শ্যামল দাস। তিনি কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন হামলা?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামলবাবু পেশায় গাড়ির চালক। শনিবার নিজের কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে পাড়াতেই বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিলেন। সে সময়ই বেশ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী তাকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করে। তিনি প্রতিবাদ করতেই শ্যামলবাবুকে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের কাউন্সিলারের স্বামী ও তাঁর দলবল এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বরানগর রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কামারহাটি কলেজ সাগর দত্ত হাসপাতালে ভক্তি করা হয়। সেখানেই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপি কলকাতা উত্তর শহরতলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিজিৎ বক্সি। তারপরেই ওই বিজেপি কর্মীর অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনায় বারাকপুর (Barrackpore) সাংগঠনিক জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জখম বিজেপি কর্মীর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, ঘটনার তদন্তের আবেদন জানিয়ে বরানগর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাদের থানা চত্বরেই ঢুকতে দেয়নি পুলিশ কর্মীরা।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির কলকাতা উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরিজিৎ বক্সি বলেন, শ্যামল দাস দীর্ঘদিন এলাকার অসামাজিক কাজকর্মের বাধা দিয়ে এসেছে। সে কারণে তার উপর এর আগেও তাঁকে হামলা চালানো হয়েছিল। আবারও হামলা হল। অসামাজিক কাজের পিছনে সক্রিয় মদত রয়েছে পুলিশের।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কাউন্সিলার নিবেদিতা বসাক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার যুব সমাজকে বিনে পয়সায় বিভিন্নরকম নেশায় আসক্ত করার কাজ করছিলেন এই বিজেপি কর্মী। শনিবার রাতে এমনই ঘটনার খবর পান স্থানীয় কিছু যুবক। তারই প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিবাদকারীদের উপর চড়াও হন শ্যামল দাস। এমনকী এক প্রতিবাদকারীর উপর তিনি হামলা চালান। তবে, ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: এলাকায় দাদাগিরি! শিলিগুড়িতে আতঙ্কিত ব্যবসায়ীদের পাশে বিজেপি বিধায়ক

    Siliguri: এলাকায় দাদাগিরি! শিলিগুড়িতে আতঙ্কিত ব্যবসায়ীদের পাশে বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাথায় স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার হাত রয়েছে। আর সেই সাহসেই প্রকাশ্যে এক ব্যক্তির  দাদাগিরি চালাচ্ছে এলাকায়। আর তার দাদাগিরি অত্যাচারে অতিষ্ঠ শিলিগুড়ির (Siliguri) শক্তিগড় এলাকার ব্যবসায়ীরা। এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলার, পুলিশ এবং শিলিগুড়ির মেয়র সবাইকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। চরম আতঙ্কে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

    ঠিক কী অভিযোগ? 

    শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভায় তৃণমূলের বোর্ড ক্ষমতায় রয়েছে। এই পুরসভারই এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত গোবিন্দ দাস নামে এক ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ, শক্তিগড় এলাকায় টাকা না দিয়ে দোকান থেকে জিনিসপত্র সে তুলে নিয়ে যায়। রাতে বাড়ি ফেরার সময় মহিলা ব্যবসায়ীর পিছু নিয়ে অশ্লীল গালাগালাজ এবং প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রশাসনের এই নীরবতায় অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যক্তির পিছনে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের প্রশ্রয় রয়েছে। গোবিন্দ দাস নামে ওই ব্যক্তি দিনের পর দিন এই কাণ্ড ঘটিয়ে চলায় ব্যবসায়ীরা এখন দোকান খুলতে ভয় পাচ্ছেন।

    কী বলছেন ব্যবসায়ীরা? (Siliguri) 

    সোমা সেনগুপ্ত নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, রাতে আতঙ্কে থাকি। ওই ব্যক্তি বহুদিন ধরেই এমন ঝামেলা করছে। গত বুধবার রাতে দোকান বন্ধ করে ফেরার সময় একই ঘটনা ঘটায়। বৃহস্পতিবার এনজেপি থানায় অভিযোগ দায়ের করি গোবিন্দ দাস নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শনিবার মেয়রকে জানালে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু,  কোনও ব্যবস্থা হয়নি। উল্টে শনিবার রাতেই আমার বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে গিয়েছে সে। শিলিগুড়ির (Siliguri) শক্তিগড় পিডব্লুইডি মোড় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক পার্থ ঘোষ বলেন, অনেকদিন ধরেই এই ঘটনা ঘটছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় জানানোর পরও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

    আতঙ্কিত ব্যবসায়ীদের পাশে বিজেপি

    রবিবার ওই এলাকার ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ান বিজেপির স্থানীয় বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। এদিন দুপুরে তিনি ওই এলাকায় গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। সোমা সেনগুপ্তের কাছ থেকে সম্পূর্ণ ঘটনা শুনে শিখা দেবী বলেন, গোটা রাজ্যে এই গুন্ডারাজ চলছে। শাসকদলের মদত রয়েছে বলেই পুলিশও ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। একজন মহিলা ব্যবসায়ী দোকান করে রাতে বাড়ি ফিরতে পারছেন না। রাস্তায় পিছু করে অশ্লীল গালাগালি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু,তৃণমূলের মদতে এই গুন্ডাগিরি চালতে দেব না।

    তৃণমূলের মেয়র ও কাউন্সিলার কী বললেন?

    তৃণমূল কাউন্সিলার মৌসুমী মণ্ডল  বলেন, গোটা বিষয়টি শোনার পর আমি পুলিশে জানিয়েছি। পুলিশ কেন ব্যবস্থা নেয়নি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরাও চিন্তিত। শনিবার টক টু মেয়র ফোন ইন লাইভ অনুষ্ঠানে মেয়র সোমাদেবীর অভিযোগ শুনে তাঁকে বলেছিলেন, এই ধরনের ঘটনা কখনই কাম্য নয়। পুলিশকে বলব যাতে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • jalpaiguri: দলীয় নেতার দেহ নিয়ে শ্মশানে এসে চক্ষু চড়কগাছ বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের, কেন জানেন?

    jalpaiguri: দলীয় নেতার দেহ নিয়ে শ্মশানে এসে চক্ষু চড়কগাছ বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় নেতার দেহ সৎকার করতে শ্মশানে এসে চক্ষু চড়কগাছ বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ি পুরসভার শ্মশানে। লাইন দেখে মনে হয়েছে যেন দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অথবা রেশন দোকানে লাইনে রয়েছেন। তারপর আবার ঘুটঘুটে অন্ধকার। কিন্তু কে বলবে এটা শ্মশান? আর এই শ্মশানেই প্রয়াত বিজেপি নেতা সুভাষ চন্দ্র দাসের মৃতদেহ দাহ করতে এসে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন বিজেপি সাংসদ-বিধায়করা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Jalpaiguri)

    বেশ কয়েক বছর ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন বিজেপি নেতা সুভাষচন্দ্র দাস। শনিবার মৃত্যু হয় তাঁর। শেষ শ্ৰদ্ধা জানাতে রাতে শ্মশানে উপস্থিত হন জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়, ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বৰ্মণ সহ জেলার এবং স্থানীয় নেতৃত্ব। এরপরই হয়রানির অভিযোগ করেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, গ্রাম থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মৃতদেহ সৎকার করতে নিয়ে এসে চরম হয়রানির এবং তিক্ত অভিজ্ঞতার স্বীকার হলেন মৃতের পরিবার এবং বিজেপি নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, ঘুটঘুটে অন্ধকার শ্মশানের চারপাশ। নেই আলো। তারপর শ্মশানে আবার লম্বা লাইন। ভিতরে গিয়ে জানতে পারি, নষ্ট হয়ে গিয়েছে বৈদ্যুতিক চুল্লির তার। বন্ধ রয়েছে বৈদ্যুতিক চুল্লি। তাই, জ্বালানি কাঠ দিয়েই সৎকার করতে হবে দেহ। যা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মৃতের পরিবার সহ বিজেপি নেতারা।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

     জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, মৃতের পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিল বিদ্যুতিক চুল্লিতে শেষকৃত্য করবে। কিন্তু এখানে এসে তাদের হয়রানির শিকার হতে হল। চুল্লি নাকি খারাপ, যার কারণে মৃতদেহ এনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে জ্বালানি কাঠ জোগাড়ের জন্য। তৃণমূল পুরবোর্ডের শ্মশানের পরিষেবা উন্নত করার কোনও ইচ্ছে নেই।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, বিজেপি নেতারা জেনে শুনে গিয়েছেন? আসলে নির্বাচনের জন্য তাঁরা দেখানোর চেষ্টা করছেন তৃণমূল কাজ করে না। ওটা খারাপ হলে ঠিক করবেও তৃণমূল। মানুষের জন্য কাজও করবে তৃণমূল। তাই, এসব বলে কোনও লাভ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: তদন্ত চলাকালীন পদত্যাগ ডিনের, যাদবপুরকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া দিলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান

    Jadavpur University: তদন্ত চলাকালীন পদত্যাগ ডিনের, যাদবপুরকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া দিলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যায়লকাণ্ডে (Jadavpur University) নয়া মোড়! প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় চলছে তদন্ত। এমতাবস্থায় পদত্যাগ করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন সুবিনয় চক্রবর্তী। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন, তার চেয়ারম্যান ছিলেন সুবিনয়। তিনি ইস্তফা দেওয়ায় শুরু হয় জল্পনা।

    ডিনের পদত্যাগে জল্পনা 

    যদিও সুবিনয় জানান, ইস্তফার বিষয়টি অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। ব্যক্তিগত কিছু কারণে পদত্যাগ করেছেন তিনি। সুবিনয় পদত্যাগ করার পর শনিবার রাতে অস্থায়ী উপাচার্য হন গণিতের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউ। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ডিনের পদত্যাগে ঘনাচ্ছে জল্পনার মেঘ। জানা গিয়েছে, তদন্তের বহু রিপোর্ট-তথ্য রয়েছে ডিনের হাতে। নয়া উপাচার্যকে সেসব বুঝিয়ে দেওয়ার কথা তাঁরই।

    জোরালো হচ্ছে ব়্যাগিং-তত্ত্ব!

    এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) তরফে গঠিত তদন্ত কমিটি জেনেছে, ৯ অগাস্টের রাতে ইন্ট্রো দেওয়ার নামে প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রকে বিবস্ত্র করা হয়। সেই অবস্থায়ই তাকে তিনতলার রেলিংয়ে হাঁটতে বাধ্য করেন সিনিয়র পড়ুয়ারা। ছাত্রটি তিনতলা থেকে পড়ে যাওয়ার পরই গেট বন্ধ করে চলে যায় জিবি। ওই রাতে মোট চারবার বৈঠক করে জিবি। পুলিশ যাতে হস্টেলে ঢুকতে না পারে, তাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল গেট। তদন্ত যখন এমন পর্যায়ে তখন আচমকা কেন ডিন পদত্যাগ করলেন, তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।

    আরও পড়ুুন: ছত্তিশগড়ের সভায় কংগ্রেসকে নিশানা আপ সুপ্রিমোর, ভাঙনের পথে ‘ইন্ডিয়া’?

    এদিকে, যাদবপুরকাণ্ডে (Jadavpur University) প্রতিক্রিয়া দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি বলেন, “ইউজিসি অ্যাক্টের আওতায় অ্যান্টি-ব়্যাগিং সম্পর্কিত একাধিক ব্যবস্থাপনা করতে হয়। বসাতে হয় সিসিটিভি ক্যামেরা। যাদবপুরে সেই সব কিছু ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইউজিসির নিয়ম মানতে বাধ্য। হাইকোর্ট যে পরামর্শ দিয়েছে, তা লাগু করা এখানের সরকারের দায়িত্ব। স্লোগান দিয়ে দায়িত্ব থেকে সরে গেলে হবে না। যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সেগুলির বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনও মানুষের জীবন অত্যন্ত দামি। এই ঘটনায় তাঁর পরিবারের ওপর কী প্রভাব পড়বে! সমাজে কী প্রভাব পড়বে! কারও অধিকার নেই এভাবে তরুণদের জীবন নিয়ে খেলা করার।” প্রসঙ্গত, যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এ পর্যন্ত প্রাক্তন ও বর্তমান সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৩ জন পড়ুয়াকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: রঘুনাথগঞ্জে আইসিডিএস কেন্দ্রে বোমা বিস্ফোরণ, উড়ল ছাদ, ভাঙল ইটের দেওয়াল

    Bomb Blast: রঘুনাথগঞ্জে আইসিডিএস কেন্দ্রে বোমা বিস্ফোরণ, উড়ল ছাদ, ভাঙল ইটের দেওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের একাধিক জেলায় বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায় একাধিক ব্লকে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে বেলডাঙ্গায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। এবার ফের মুর্শিদাবাদ জেলায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। রবিবার সাত সকালেই মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের লক্ষ্মীজোলায় বন্ধ আইসিডিএস সেন্টারে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bomb Blast)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে লক্ষ্মীজোলায় এলাকায় আইসিডিএস কেন্দ্রটি তৈরি হয়। তৈরি হওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি চালু হয়নি। তবে, আইসিডিএস সেন্টারটির মূল ভবনটি বন্ধ থাকলেও বাইরে শিশুদের ক্লাস হয়। এদিন রবিবার বলে সেন্টার বন্ধ ছিল। আচমকাই বিকট শব্দে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) তীব্রতায় আইসিডিএস সেন্টারের ছাদ উড়ে গিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে ইটের দেওয়াল। আইসিডিএস সেন্টারটি বন্ধ থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আচমকাই বিকট আওয়াজে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। আমরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি, পাড়ার মধ্যে থাকা আইসিডিএস কেন্দ্রটি ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে এবং সেন্টারের ছাদ উড়ে গিয়েছে। অন্যদিন, সেখানে শিশুরা পড়াশুনা করে। বড় বিপর্যয় হতে পারত। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    কী বললেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান?

    ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান নাসিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, আইসিডিএস কেন্দ্রটি চালু হয়নি। সেখানেই কেউ বা কারা অনেক বোমা মজুত করে রেখেছিল। সেই বোমা থেকেই কোনওভাবেই বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। তবে, ঘটনার সময় আশপাশে কেউ ছিলেন না। তাই, কেউ জখম হয়নি। ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতা লাল্টু দাস বলেন, গোটা মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে তৃণমূল বোমা, গুলি নিয়ে খেলা করছে। আইসিডিএস কেন্দ্রকেও এরা বাদ দিচ্ছে না। এসব জায়গায় শিশুরা থাকে, সেটাও ওরা ভুলে গিয়েছে। আমরা এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করছি। অন্যদিকে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সামিরুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবে জড়িত নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে খেজুরিতে ফের সভা, ঘোষণা করলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে খেজুরিতে ফের সভা, ঘোষণা করলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সভা করার কথা আগেই পুলিশকে জানানো হয়েছিল। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের সভার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। অবশেষে পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় শনিবার সন্ধ্যায় নির্ধারিত সভা বাতিল করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । এদিন খেজুরিতে সভা করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বিরোধী দলনেতা। সভা করা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিরোধী দলনেতার বচসা বাধে। এরপর খেজুরিতেই সভা করার হুঙ্কার দিলেন শুভেন্দু। এ-বিষয়ে সোমবার আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু। শনিবার শুভেন্দু বলেন, ‘আমাদের ট্যাক্সের টাকায় বেতন পায়। সোমবার আদালতে যাব। আগামী শনিবার আসব। আলিপুর বাজারেই আমি সভা করব।’

    কেন সভা?

    গত ১০ অগাস্ট খেজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল। খেজুরির ২৮টি আসনের মধ্যে ১৬টি আসন দখল করে বিজেপি ও ১২টি আসন পায় তৃণমূল। সেই বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে দুই দলের কর্মীদের বচসা হয়। পরে, হাতাহাতিতে পৌঁছায়। বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, ওই দিনের ঘটনায় তৃণমূলের হামলায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর আহত ওই বিজেপি কর্মীদের নিয়ে শনিবার সভা করতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু, মেলেনি পুলিশি অনুমতি । পালটা পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে গোটা এলাকায়। সভা অনুমতি না দেওয়ার প্রতিবাদেই বিরোধী দলনেতা এদিন শ্যামপুর মোড়ে আসেন। বিজেপি কর্মী- সমর্থকদের বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, সোমবার আদালতের দ্বারস্থ হব।

    সভায় পুলিশি বাধা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?  (Suvendu Adhikari)

    এদিন বিজেপি নেতা গোপাল মাইতির বাড়িতে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) । অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের দিন তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন আর তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। কিছুদিন আগে বাড়ি ফিরেছেন গোপাল । তাই গোপালের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু। এরপর খেজুরি বিদ্যাপীঠ এলাকায় একটি মিটিং হলে দলীয় জয়ী সদস্যদের নিয়ে তিনি সভা করেন। পুলিশ সভার অনুমতি না দেওয়া প্রসঙ্গে  শুভেন্দু বলেন, ‘আমাকে এরা ভয় পেয়েছে। তাই ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, আগামী সোমবার হাইকোর্টে মামলা হবে। আদালতের অনুমতি নিয়েই আগামী শনিবার আলিপুর বাজারেই সভা করব। এই এলাকায় বিজেপি জিতেছে। তাই পুলিশের মদতে তৃণমূলের লোকেরা গণ্ডগোল করছে। আজকে আমাদের কর্মসূচি ছিল। তৃণমূলের কয়লা, বালি, গরু বিক্রির অনেক টাকা আছে। সেই টাকা দিয়ে আমাদের পঞ্চায়েত সমিতির দু’জনকে কিনেছে। দু’জনকে কেনার পরেও পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ  আছি। আমাদের সাতজন সদস্য আছে, তিনজন প্রধান আছেন। এমপি, এমএলএ মিলিয়ে আমরা ১৩ জন আছি।’ এদিন শুভেন্দুর কনভয়ের সামনে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা স্লোগান দেন। পালটা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেন বিজেপি সমর্থকরা। তাতে কিছুক্ষণের জন্য পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যদিও পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share