Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Asansol: কুলটি বোরোতে ৮৭ লাখ টাকা উধাও, এফআইআর নিয়ে টালবাহানা মেয়রের, সরব বিজেপি

    Asansol: কুলটি বোরোতে ৮৭ লাখ টাকা উধাও, এফআইআর নিয়ে টালবাহানা মেয়রের, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোল (Asansol) পুরনিগমের কুলটি বোরো অফিস থেকে ৮৭ লাখ টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার কথা ওঠে, পুরনিগমের গত মাসের বোর্ড সভায়। এই বিশাল অঙ্কের টাকা উধাও হয়ে যাওয়ায় এবার বিরোধীদের নিশানায় শাসকদল তৃণমূল। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল নেতাদের বাঁচাতে মেয়র থানায় এফআইআর করছেন না।

    কী ভাবে ঘটল ঘটনা (Asansol)?

    পুরনিগমের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসের কাউন্সিলর গুলাম সরোবর বোর্ড মিটিং এ এই টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার কথা তোলেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কুলটি বোরো অফিসের অর্থ বিভাগের প্রায় ৮৭ লাখ টাকা পুরনিগমে জমা দেয়নি। বিভাগের কর্মীরা এই টাকা খেয়ছে। এই বিষয়ে ৩ জানুয়ারি ২০২১ সালে স্থানীয় কুলটি (Asansol) থানায় জেনারেল ডায়েরি হয়েছিল। এখনও কোনও এফআইআর হয়নি কেন? জানতে চান গুলাম সরোবর। তাঁর আরও দাবি, পুরনিগমের অর্থ বিভাগের দায়িত্ব নিয়মিত পরীক্ষা করা। কিন্তু সেই দপ্তরের আধিকারিক বা কর্মীরা কেন তার উপর নজর দেয়নি! একই ভাবে সরব হয়ে প্রতিবাদী হয়েছে বেজেপি।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই অভিযোগে সরব হয়ে বিজেপির কাউন্সিলার চৈতালি তিওয়ারি জানিয়েছেন, ২০২১ সালে কুলটি বোরোতে (Asansol) ৮০-৯০ লাখ টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এই অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত সরকারি আধিকারিকরা কেন কোনও ব্যবস্থা নিলেন না! প্রশ্ন করেন। মেয়র সব দুর্নীতির কথা শুনে কেন সক্রিয় হননি! কেন দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হল না। তাহলে কী এই টাকা চুরির মধ্যে কোনও তৃণমূলের নেতারা জড়িয়ে রয়েছেন। ঠিক এইভাবেই অভিযোগ করে বিজেপি নেত্রী কাউন্সিলার চৈতালি তিওয়ারি।

    আসানসোল মেয়রের বক্তব্য

    আসানসোল (Asansol) মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, বোর্ড মিটিংয়ে এই অভিযোগ ওঠে, তাঁর মেয়র হওয়ার বহু পূর্বে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানান। বোর্ড মিটিংয়ে টাকা লোপাটের কথা ওঠায় সেই বিষয়ে তিনি জানতে পারেন। তিনি আরও বলেন, বোর্ড মিটিংয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে এই টাকা লোপাটের ঘটনার জন্য আসানসোল পুরনিগম থানায় এফআইআর করবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Indian Railway: ‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পে বাংলার ৩৭ স্টেশন হবে বিশ্বমানের, রবিবার উদ্বোধনে মোদি

    Indian Railway: ‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পে বাংলার ৩৭ স্টেশন হবে বিশ্বমানের, রবিবার উদ্বোধনে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেলকে (Indian Railway) বলা হয় দেশের লাইফ লাইন। তাই যাত্রী সাধারণের কথা মাথায় রেখে ভারতের রেলওয়ে স্টেশনগুলোকে বিশ্বমানের গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে মোদি সরকার। জানা গিয়েছে ১ হাজার ৩৯টি রেল স্টেশনকে নতুন ভাবে গড়ে তোলা হবে। এভাবেই হবে অমৃত ভারত রেল স্টেশনের (Indian Railway) সূচনা। জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে পশ্চিমবঙ্গের ৩৭টি স্টেশন রয়েছে এবং সারাদেশে ৫০৮ টি রেলস্টেশন কে বেছে নেওয়া হয়েছে। রেল স্টেশনে এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে পাঠানো অশ্বিনী বৈষ্ণবের চিঠি সামনে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বাংলা বর্তমানে প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকার রেল প্রকল্পের কাজ চলছে। মোট ৯৮টি স্টেশনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলিকে বিশ্বমানের গড়ে তোলা হবে। ওই চিঠিতে এও জানানো হয়েছে প্রথম পর্যায়ে কাজ চলবে ৩৭ স্টেশনের।

    কী বলছেন পূর্ব রেলের জেলারেল ম্যানেজার

    এ বিষয়ে পূর্ব রেলের (Indian Railway) জেনারেল ম্যানেজার অমরপ্রকাশ ত্রিবেদী বলেন, ‘‘আধুনিকীকরণের পথে ভারতীয় রেলওয়ে। দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে সারা দেশে এর কাজ। রেলস্টেশনের পুনঃনির্মাণের কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির যোগ্য দিশা নির্দেশে আমাদের দেশ অমৃত কালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্কের স্টেশনগুলির বিকাশের যে স্বপ্ন দেখেছেন তা প্রতিটা ভারতীয় স্বপ্ন।’’

    রবিবার অমৃত ভারত প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন মোদি 

    অমৃত ভারত প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৬ অগাস্ট, বেলা ১১:০০ টায়।  পূর্ব রেলের (Indian Railway) অধীনে থাকা ২৮ টি স্টেশনে লাগবে আধুনিকতার ছোঁয়া। যার মধ্যে আসানসোল ডিভিশনের পাঁচটি স্টেশন। হাওড়া ডিভিশনের ন’টি স্টেশন। মালদা ডিভিশনের ৭ টি স্টেশন এবং শিয়ালদহ ডিভিশনের ৭ টি স্টেশন। এই ২৮ টি স্টেশন এর মধ্যে ২১টি পশ্চিমবঙ্গে, ৫টি বিহারে, ২টি স্টেশন ঝাড়খণ্ডে পড়েছে। মোট খরচ হবে এর জন্য ১১৮৭ কোটি টাকা। পূর্ব রেলের অধীনে সবথেকে বেশি ব্যয় হবে আসানসোল স্টেশনের জন্য। ৪৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে আসানসোলের জন্য। অন্যদিকে বর্ধমানের জন্য ব্যয় করা হচ্ছে ৬৪.২ কোটি টাকা। মালদার জন্য ব্যয় হবে ৪৩ কোটি টাকা রামপুরহাট জংশন স্টেশনের জন্য ব্যয় হবে ৩৮.৬ কোটি টাকা কাটোয়া জংশনের জন্য ২০ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: শান্তিপুরে বিজেপি করার অপরাধে পুকুরে বিষ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: শান্তিপুরে বিজেপি করার অপরাধে পুকুরে বিষ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) কর্মীর পুকুরে বিষ মিশিয়ে মাছ মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুকুরের অধিকাংশ মাছ মরে গিয়েছে। শনিবার সাত সকালে পুকুরের এই অবস্থা দেখে চরম ভেঙে পড়েন বিজেপি কর্মী। এদিন  ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুর থানার পুমলিয়া এলাকায়। বিষয়টি জানাজানি হতেই  রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    শান্তিপুর বেলঘড়িয়া এলাকার বাসিন্দা অমল বিশ্বাস এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে তিনি প্রচুর খেটেছিলেন। অমলবাবুর বক্তব্য, আমার দেড় বিঘা জায়গার উপরে একটি পুকুর রয়েছে। দেড় থেকে দু কুইন্টাল মাছ ছেড়েছিলাম। এদিন সকালে পুকুরে গিয়ে দেখি, পুকুরের ধারে একাধিক মাছ মরে জলে ভাসছে। এদিন দুপুরের মধ্যে পুকুরের অধিকাংশ মাছ মরে গিয়েছে। পুকুরে বিষ দেওয়ার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। আসলে আমি এলাকায় সক্রিয়ভাবে বিজেপি (BJP) করি। সেটাই অপরাধ। তাই, আমাকে শিক্ষা দিতেই তৃণমূল এই কাজ করেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে আমার এত বড় সর্বনাশ করা হয়েছে। আমার পুকুরের সব মাছ মরে গিয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) শান্তিপুর মণ্ডলের সভাপতি প্রদীপ সরকার বলেন, অমলবাবু আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। তৃণমূলের লোকজন পুকুরে বিষ মিশিয়ে চরম অন্যায় কাজ করেছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের শান্তিপুর ব্লকের সভাপতি সুব্রত সরকার বলেন, এই ধরনের জঘন্য কাজের আমরা তীব্র নিন্দা করছি। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবে জড়িত নয়। বিজেপি (BJP) আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। পুলিশ প্রশাসনকে বলব অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: নবগ্রামে লকআপে বন্দি মৃত্যুকে ঘিরে রণক্ষেত্র, সাসপেন্ড ওসি

    Murshidabad: নবগ্রামে লকআপে বন্দি মৃত্যুকে ঘিরে রণক্ষেত্র, সাসপেন্ড ওসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহখানেক আগে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সিঙ্গার গ্রামে গোবিন্দ ঘোষ নামে এক ব্যাক্তির পাশের প্রতিবেশীর বাড়িতে বেশ কয়েক ভরি সোনা এবং লক্ষাধিক টাকা চুরি যায়। জানা যায়, সন্দেহবশত গ্রামেরই সাতজনের নামে অভিযোগ করেন মালপত্র চুরি যাওয়া পরিবার। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গোবিন্দ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নবগ্রাম থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। আর এরপরেই থানায় পটিয়ে খুনের অভিযোগে সরব হয় পরিবার এবং গ্রামবাসী। আপাতত নবগ্রাম থানার ওসিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

    কীভাবে ঘটল ঘটনা?

    পরিবারের লোকেরা থানায় গেলে, থানা থেকে জানানো হয় যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই ছেড়ে দেয়া হবে। যেদিন এই চুরির ঘটনা ঘটে, সেদিন গোবিন্দ ঘোষ সেনা ছাউনিতে কাজ করছিল বলে থানায় জানানো হয়। সেই সব প্রমাণ পত্র সেনা ছাউনি থেকে নিয়ে এসে নবগ্রাম থানায় জমা দেওয়া হয়। কিন্তু নবগ্রাম থানা (Murshidabad) কোনও প্রমাণপত্রের ধার ধারে না। নবগ্রাম সেনা ছাউনিতে দিনমজুরের কাজ করত গোবিন্দ ঘোষ। গত শুক্রবারও সেনা ছাউনিতে দিনমজুরের কাজে গিয়েছিল সে। আর তার নথিপত্র সব পুলিশকে দেখানো হয়। পুলিশ বাড়ির লোককে জানিয়েছিল যে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে, সেইমতো বাড়ির লোকেরা সকাল থেকেই থানার সামনে বসেছিলেন, কিন্তু কার্যত দেখা গেল সন্ধ্যের দিকে গোবিন্দ ঘোষকে পুলিশের গাড়িতে করে নবগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। আর তারপরেই তাকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মৃত বলে ঘোষণা করে।

    পরিবারের অভিযোগ

    পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ চুরির সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে তার উপর অত্যাচার চালায়। আর এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গোবিন্দ ঘোষের মৃত্যু হয় বলে পরিবার দাবি করে। গোবিন্দ ঘোষের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই আনুমানিক রাত্রি সাড়ে আটটা থেকে নটার সময় গ্রামের একাংশ এবং পরিবারের লোকজন নবগ্রাম থানায় (Murshidabad) ভিড় জমায় এবং বিক্ষোভ শুরু করেন। গোবিন্দ ঘোষের পরিবার এবং প্রতিবেশীদের অভিযোগ, পুলিশকে সমস্ত তথ্য দেওয়া সত্ত্বেও পুলিশ সেগুলি বিশ্বাস না করে থানায় পিটিয়ে খুন করে। তাই দোষী ব্যক্তিদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে বলে দাবি করে পরিবার।

    পুলিশের বক্তব্য

    নবগ্রাম (Murshidabad) থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়, জমায়েত করে গ্রামবাসীরা থানার মেন গেটে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে এবং ভিতরে ঢুকতে না পেরে ইটবৃষ্টি শুরু করে। রাস্তার মধ্যে কাচের বোতল ভেঙে রেখে দিয়েছে বলে অভিযোগ করে পুলিশ। এরপর বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। পাশাপাশি কাঁদানো গ্যাস ফাটানো হয়। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পাল জানান, আইনশৃঙ্খলা জনিত একটা সমস্যা নবগ্রাম থানা এলাকায় হয়েছে, আর সেই কারণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ভার প্রাপ্ত কোনও অফিসার যদি ঘটনায় জড়িত থাকেন তাহলে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই নবগ্রাম থানার ওসি অমিত ভগতকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। থানায় খুনের অভিযোগে উত্তাল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির জয়ী প্রার্থীকে ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে কিনতে এসে ঘাটালে ঘেরাও তৃণমূল নেতা

    BJP: বিজেপির জয়ী প্রার্থীকে ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে কিনতে এসে ঘাটালে ঘেরাও তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকা নিয়ে বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থীদের কিনতে এসেছেন তৃণমূল নেতা। এই অভিযোগ তুলে তৃণমূল নেতাকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখলেন বিজেপি কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিডাঙ্গা এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আটকে রাখার খবর পেয়ে পুলিশ ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২১ টি আসন রয়েছে। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২১টি আসনের মধ্যে দশটি পেয়েছে তৃণমূল, দশটি বিজেপি এবং একটি নির্দল প্রার্থী দিয়েছে। ত্রিশঙ্কু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল। তৃণমূলের বোর্ড গঠন করতে নির্দল সহ বিজেপি জয়ী প্রার্থীদের তৃণমূলের যোগদানের জন্য অনেকদিন ধরেই তৃণমূল চেষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবি বিজেপির। অভিযোগ, শুক্রবার বিকালে টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে ঘাটালের মনসুকা এলাকার তৃণমূল নেতা অসিত গোস্বামী বিজেপি (BJP) প্রার্থীকে কেনার জন্য ফোন করেন এবং পৌঁছে যান ইড়পালা এলাকায়। সেখানেই জয়ী প্রার্থীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা হতেই অসিত গোস্বামী নামে ওই তৃণমূল নেতাকে আটকে রাখে এলাকার বিজেপি সমর্থকরা। ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের কিনতে এসেছেন এই তৃণমূল নেতা অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন। দীর্ঘক্ষণ তৃণমূল নেতাকে ঘেরাও করে রাখার পর খবর পেয়ে ঘাটাল থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতা?

    বিজেপির (BJP) বিধায়ক শীতল কোপাটের বক্তব্য, টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে গত তিনদিন ধরেই ওই তৃণমূল নেতা এলাকায় ঘুরছিল। ফোনে জয়ী প্রার্থীকে টোপও দিয়েছিল। আমরা হাতেনাতে ধরে তাঁকে ঘেরাও করে রাখি। আমরা দোষী ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দিলীপ মাঝি বলেন, ওই নামে আমাদের দলে কোনও নেতা নেই। তিনি নিজের দায়িত্বে গিয়েছিলেন। এরসঙ্গে কোনও দল কোনওভাবেই জড়িত নয়। আমরা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sealdah Station: মোদি জমানায় ভোল বদলে যাচ্ছে শিয়ালদহ সমেত রাজ্যের ৩৬ রেল স্টেশনের

    Sealdah Station: মোদি জমানায় ভোল বদলে যাচ্ছে শিয়ালদহ সমেত রাজ্যের ৩৬ রেল স্টেশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুনভাবে সেজে উঠতে চলেছে শিয়ালদহ স্টেশন (Sealdah Station)। ভোল পাল্টে শিয়ালদহ স্টেশনের নতুন রূপ দেখে নাকি আমজনতা চমকে যাবে, এমনটাই বলছে অনেকে। নতুনভাবে সাজার পরে শিয়ালদহ স্টেশন এবং সংলগ্ন এলাকার কে দেখতে ঠিক কেমন লাগবে তার একটি ছবিও ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এনেছে ভারতীয় রেল। ব্যস্ততম এই রেলওয়ে স্টেশনকে ঘিরে নিঃসন্দেহে বাঙালির অনেক ইতিহাস জড়িত রয়েছে। দেশভাগের সময় হিন্দু শরণার্থীদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছিল এই স্টেশন। এবার এই স্টেশনকে এই নতুন ভাবে সংস্কার করতে উদ্যোগে নিল মোদি সরকারের রেল। রবিবার অমৃত স্টেশন হিসাবে দেশজুড়ে ৫০৮টি স্টেশনে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। যার মধ্যে শিয়ালদহও (Sealdah Station) রয়েছে। রাজ্য থেকে মোট ৩৭টি স্টেশন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি স্টেশনকেই আধুনিক মানের গড়ে তোলা হবে।

    বাঙালির মিলনক্ষেত্র শিয়ালদহ স্টেশন (Sealdah Station) 

    শিয়ালদহ স্টেশন (Sealdah Station) যেন বাঙালির এক মিলন ক্ষেত্র। সারা রাজ্যের মানুষ এখানে এসে মিলিত হন। এবং নিজে নিজের গন্তব্যে পৌঁছান। শিয়ালদহ স্টেশনের ব্যস্ততা স্থান পেয়েছে সিনেমাতেও। ৮:০৮ বনগাঁ লোকাল যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ভোল বদলে শিয়ালদহ স্টেশন নতুন চেহারা কবে পাবে সেটা অবশ্য এখনও সঠিকভাবে জানাতে পারেনি ভারতীয় রেল। প্রসঙ্গত, অমৃত ভারত প্রকল্পে বাংলার অনেক স্টেশনেরই চেহারা পাল্টে যেতে চলেছে। রবিবারে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই গোটা প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  শুক্রবার শিয়ালদহ (Sealdah Station) স্টেশনে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার  এপি দ্বিবেদি শিয়ালদহ স্টেশন পরিদর্শন করেন এবং তিনি বলেন ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইচ্ছা অনুযায়ী পূর্ব রেলের ২৮টি স্টেশনকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। আধুনিক ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে স্টেশনগুলিতে।’’ স্টেশনের প্রবেশপথ, প্ল্যাটফর্ম থেকে শৌচাগার কিংবা বিশ্রামকক্ষ সবকিছুতেই আধুনিকতার ছোঁয়া লাগবে। শিয়ালদহ স্টেশনে এই কাজের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৭ কোটি টাকা।

    চলতি বছরেই ছুটবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো

    শিয়ালদহ স্টেশনের (Sealdah Station) যাত্রীদের কাছ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসে যে অত্যন্ত ভিড়ের কারণে ব্যস্ত সময়ে নানা রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শিয়ালদা স্টেশনে সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারে অমৃত ভারত রেল প্রকল্পের মাধ্যমে। অন্যদিকে চলতি বছরেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবা চালু হয়ে যাচ্ছে। এটা চালু হলে শিয়ালদহ স্টেশনেও এর প্রভাব পড়বে বলে জানা যাচ্ছে। এবং প্রতি ঘন্টায় ৫০ হাজার অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ নিতে হবে শিয়ালদহ স্টেশনকে (Sealdah Station), এমনটাই জানিয়েছেন রেলের আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: জলে ভেসে যাওয়া চারদিনের গণ্ডার শাবককে উদ্ধার, দিনরাত সেবায় রত বনকর্মীরা

    Jalpaiguri: জলে ভেসে যাওয়া চারদিনের গণ্ডার শাবককে উদ্ধার, দিনরাত সেবায় রত বনকর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স তিন থেকে চার দিন, এই বয়সেই মাতৃ হারা অবস্থা একটি গণ্ডার শাবকের। মায়ের জন্য শাবকটি তনছট করছে। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) গরুমারা জাতীয় উদ্যানের সীমানা এলাকায় জিরো বাধের কাছে জলে ভেসে যাওয়া অবস্থায় সেটিকে উদ্ধার করেন বন কর্মীরা। বন কর্মীরা টহল দেওয়ার সময় এই গণ্ডার শাবকটিকে জলে ভেসে যেতে দেখেন। তখনই বন কর্মীরা জলে লাফ দিয়ে ওই শাবকটিকে তাঁরা উদ্ধার করেন। এখন বন কর্মীরা গন্ডার শাবকটিকে নিরাপত্তার স্বার্থে ঘিরে রেখেছেন। অন্যদিকে সন্তানহারা মা গণ্ডারটির খোঁজ চালাচ্ছেন বন কর্মীরা। প্রাথমিকভাবে মা গণ্ডারটিকে  খুঁজে শাবকটিকে তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন বন কর্মীরা। ঘটনাস্থলে রয়েছেন গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের আধিকারিকরা। সারাদিন রাত শাবকটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

    কী বললেন উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল?

    পুরুষ শাবকটি সদ্যজাত হওয়ায়  হওয়ায় তার খাদ্য খাবার নিয়েও চিন্তিত জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার বন কর্তারা। এই শাবকটিকে কৌটোর দুধ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, শাবকটি উদ্ধারের পরেই সেখানে একজন পশু চিকিৎসক রয়েছেন। তার তত্ত্বাবধানেই শাবকটির শারীরিক বিষয়টি নজরে রাখা হয়েছে বলে জানান বন্যপ্রাণী বিভাগের উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল রাজেন্দ্র জাখর। তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে শাবকটির আওয়াজ রেকর্ড করার চেষ্টা করছেন বন কর্মীরা। সেই আওয়াজ গণ্ডারের কানে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টাও করছেন তাঁরা। এই ধরনের প্রচেষ্টা এই প্রথম, বন দফতরের ইতিহাসে এই রকম নজির আগে দেখা যায়নি। বন দফতরের পক্ষ থেকে যেন তেন প্রকারে শাবকটিকে তার মায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের এখন প্রধান কাজ। শাবকটির মায়ের সন্ধানে বেড়িয়ে পড়েছেন বন কর্মীরা। গোটা এলাকা তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালাচ্ছেন তাঁরা। আমাদের বিশ্বাস সন্তান হারা মা গণ্ডারটিও সন্তানের খোঁজে ঠিক তাঁর সন্তানের কাছে আসবেই। অন্যদিকে, এই মা হারা অবস্থায় সদ্যোজাত  শাবকটিকে বাঁচিয়ে রাখাও আমাদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • BJP: বেহাল রাস্তায় কচু গাছ পুঁতে বাঁকুড়ায় বিজেপির অভিনব প্রতিবাদ

    BJP: বেহাল রাস্তায় কচু গাছ পুঁতে বাঁকুড়ায় বিজেপির অভিনব প্রতিবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেহাল রাস্তায় জর্জরিত এলাকাবাসী। রাস্তা সংস্কারে তৃণমূল পরিচালিত বাঁকুড়া পুরসভার কোনও হেলদোল নেই। এবার রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করল বিজেপি। রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়ে অভিনব প্রতিবাদ করল বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। যা দেখে খুশি শহরবাসীও। তাঁদের বক্তব্য, রাস্তা খানাখন্দে ভরা। বহুবার আবেদন করেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এলাকার মানুষের হয়ে পথে নেমে বিজেপি আন্দোলন করায় ভাল লাগছে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে রাস্তা তৈরি করতে হবে।

    বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের ঠিক কী অভিযোগ?

    কচু গাছ পুঁতে অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির (BJP)। শুক্রবার বাঁকুড়া শহরের ব্যস্ততম লালবাজার এলাকার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে রয়েছে। খানাখন্দে ভরা এই রাস্তা যান চলাচলের অযোগ্য বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, ২০ নম্বর ওয়ার্ড লালবাজার এলাকায় একাধিক রাস্তা বেহাল। বিশালাকার গর্ত তৈরি হয়ে জমে আছে জল। পুরকর্তৃপক্ষ এই রাস্তা সংস্কারে কোন উদ্যোগ নেয়নি। এদিনের এই কর্মসূচিতে নেতৃত্বদানকারী বাঁকুড়া জেলা বিজেপি সম্পাদক উজ্জ্বল মণ্ডলের বক্তব্য, তৃণমূল পরিচালিত বাঁকুড়া পুরসভার ২৪ টি ওয়ার্ডের রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা। লালবাজারের এই খানাখন্দে ভরা রাস্তার উপরেই হিন্দু হাইস্কুল। রাস্তার যা পরিস্থিতি তাতে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মাঝে মাঝে রাস্তা সংস্কার করা হয়, ক’দিন পরেই আবার সেই একই অবস্থা। শুধুমাত্র ‘কাটমানি’র জন্য লোক দেখানো করে রাস্তা সারাই হয়। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার তিনি হুঁশিয়ারি দেন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল পরিচালিত বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন অলকা সেন মজুমদার বলেন, বিজেপি (BJP) রাজনীতি করার জন্য এসব করছে। ওরা আমাদের কাছে আসতে পারত। কিন্তু, ওরা সেটা করেনি। বিজেপি এসব করে মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ নেই। কারণ, এই পুরসভা এলাকায় অধিকাংশ ওয়ার্ডে রাস্তা তৈরি হয়েছে। খুব শীঘ্রই আরও ২১ টি রাস্তা তৈরি করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: আরামবাগে বিজেপি বিধায়কের বাড়ির সামনে কাঁচা রাস্তায় পড়েনি পিচ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    BJP: আরামবাগে বিজেপি বিধায়কের বাড়ির সামনে কাঁচা রাস্তায় পড়েনি পিচ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগ পুরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ডের রাস্তা কোথাও ঢালাই, কোথাও আবার পিচ দিয়ে মোড়া রয়েছে। একই চিত্র পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের অলিগলি রাস্তা কংক্রিটের। কিন্তু, এই ওয়ার্ডের বিশেষ এলাকায় অবহেলায় পড়ে রয়েছে রাস্তা। রাস্তায় পিচ দেওয়া তো দূরে থাক ইট পাতার প্রয়োজন মনে করেনি পুর কর্তৃপক্ষ। অপরাধ ওই এলাকায় বিজেপি (BJP) বিধায়ক মধুসূদন বাগ থাকেন। তাই, তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার কর্মকর্তারা রাস্তা তৈরি করার বিষয়ে সময় নষ্ট করার প্রয়োজন মনে করেনি বলে বিজেপির অভিযোগ। যার জেরে রাস্তার বেহাল দশা। কাদায় ভরে গিয়েছে রাস্তা। রাস্তার হাল দেখলে মনে হবে পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যন্ত কোনও গ্রামের রাস্তা।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    বিজেপি(BJP) বিধায়কের বক্তব্য, তৃণমূল বরাবরই নোংরা রাজনীতি করে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোটা রাজ্যজুড়ে ওরা কী করেছে তা রাজ্যবাসী দেখেছেন। কিন্তু, ওদের মানসিকতা এতটাই নীচ যে আমি বিজেপি দলের বিধায়ক বলে আমার এলাকায় ওরা পরিকল্পিতভাবে কোনও উন্নয়ন করবে। অথচ অন্যান্য রাস্তার কাজ হয়েছে, শুধু মাত্র বিজেপি বিধায়ক হওয়ার জন্যই আমার বাড়ির সামনে প্রায় ১০০ মিটার রাস্তা সংস্কারে তৃণমূল বোর্ডের নজর পড়েনি। তাই, সেখানে কোনও কাজ করা হয়নি। যার জেরে ওই রাস্তায় খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। আমি ও আমার এলাকার লোকজনকে কাদা মেখে যাতায়াত করতে হয়। রাজনৈতিক কারণে দ্বিচারিতা করছে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা। এই ওয়ার্ডে এবারে জয়ী হয় বিজেপি। সেক্ষেত্রেও বিজেপির কাউন্সিলারকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    যদিও বিজেপির (BJP) এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভাণ্ডারি। তিনি বলেন, সব ওয়ার্ডে রাস্তার কাজ হয়েছে। তবে, ওখানেও কাজ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে পুরসভাকে। তাই রাস্তা করা সম্ভব হয়নি। যদি এবিষয়ে বিধায়ক পুরসভাকে আবেদন করেন তাহলে ফের বিষয়টি দেখা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: রোগী পড়ে আছে, ওষুধ-পরিষেবা নেই! কাঠগড়ায় গলসির স্বাস্থ্যকেন্দ্র

    Purba Bardhaman: রোগী পড়ে আছে, ওষুধ-পরিষেবা নেই! কাঠগড়ায় গলসির স্বাস্থ্যকেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালে সরবরাহ নেই ওষুধ, ইনজেকশন ও সেলাইন। এই জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে। জীবনদায়ী ওষুধ ও সেলাইনের সরবরাহ নেই এবং এরপর উপরে নেই নজর কারও। অভিযোগ রোগীর আত্মীয় এবং এলাকাবাসীর। ঠিক এই কারণেই বেশ কিছুদিন ধরে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) গলসির পুরষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত শিকেয় উঠেছে। হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে নিঃস্ব হচ্ছেন গ্রামগঞ্জের গরিব দিন আনা দিন খাওয়া মানুষরা। স্বাভাবিকভাবেই  স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

    মূল সমস্যা কী  (Purba Bardhaman)?

    জানাগেছে, হাসপাতালে (Purba Bardhaman) রোগী ভর্তি হলেই ডাক্তার বাবুরা চিকিৎসার জন্য ওষুধ, ইনজেকশন ও সেলাইনের প্রেসক্রিপশন করে দিচ্ছেন। তবে সেই ওষুধের বেশিরভাগই যোগান নেই হাসপাতালে। এমন অবস্থায় প্রয়োজনীয় ওষুধ, ইনজেকশন ও সেলাইন বাইরের দোকান থেকে কিনে আনতে হচ্ছে রোগীদের। এমনকি জ্বর ও ডায়েরিয়া চিকিৎসাতে মিলছে না সাধারণ সেলাইন। এদিকে রোগী ভর্তি করলেই প্রতিদিন পাঁচ-সাতশো টাকার ওষুধ। ইনজেকশন ও সেলাইন কিনে আনতে হচ্ছে হাসপাতালে আসা গরিব রোগীর পরিজনদের। ঘটনার জেরে কিছুদিন ধরে ব্যাপক ক্ষোভের সৃ‌ষ্টি হয়েছে হাসপাতাল চত্বর জুড়ে। ক্ষোভের আঁচ ভোগ করতে হচ্ছে হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোরে কর্মরত চিকিৎসক-স্বাস্থ্য কর্মীদের। এই কঠিন অবস্থার কথা স্বীকার করেছেন হাসপাতালের ডাক্তারবাবুরা। বেশিরভাগ গরিব রোগী পরিবারের পক্ষে বাইরে বহুমূল্যের চিকিৎসা নেবার ক্ষমতা নেই। এমন অবস্থায় এই হাসপাতাল বন্ধ রাখার দাবি করছেন স্থানীয়রা।

    রোগীর আত্মীয়ের বক্তব্য

    পরিষেবা না পেয়ে অসহায় রোগীর পরিজনেরা ক্ষিপ্ত। ক্যামেরার সামনে উগরে দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষোভ; যন্ত্রণার কথা। রোগীর আত্মীয়া জাহানারা খাতুন আনসারি বলেন, ‘এর মধ্যে ওষুধ আর টেস্ট বাবদ ৭০০ টাকা খরচ হয়ে গেছে।’ নার্সিংহোমে (Purba Bardhaman) যাওয়া তাঁদের সাধ্যের বাইরে। মিলছেনা প্রয়োজনীয় ওষুধ। আরেক রোগীর আত্মীয় হাদিয়া বিবি শেখ, তিনি বলেন, ‘কিছু ফ্রিতে হচ্ছে না। সব পয়সা লাগছে। এত পয়সা থাকলে তো বাইরে চিকিৎসা করাতাম।’ রোগীর আত্মীয় ইনামুল হক, তিনিও ক্ষুব্ধ, বললেন, ‘আগে সব পাওয়া যেত। এখন কিছুই নেই। শুধু একরকম সেলাইন ছাড়া।’ তাঁরা কোথায় যাবেন?’ রোগীর পরিজন সুভাষ আকুড়ে জানালেন, ‘রোগী পড়ে আছেন, ওষুধ নেই, পরিষেবা নেই। বাইরে নিয়ে যাবার মত আমাদের ক্ষমতা নেই।’ প্রশাসন কবে সুব্যাবস্থা করবে কে জানে! এইভাবে রোগীদের পরিজনদের ক্ষোভ চরমে উঠেছে। রোগীর আত্মীয় আসগর আলি মল্লিক জানান, ‘আগে আমরা সব পেতাম। এখন কিছু নেই। কর্মীরা বলছেন তাঁদের কিছু করার নেই। তবে হাসপাতাল গুটিয়ে দেওয়া হোক। 

    চিকিৎসকের বক্তব্য

    একইরকম ভাবে অসহায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (Purba Bardhaman) চিকিৎসকরা। মেনে নিলেন সরঞ্জামের অভাবে চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে ভীষণভাবে। ডাঃ সায়ন জোয়ারদার বলেন, রোগীর পরিজনেরা রেগে যাচ্ছেন। তাঁদের ধৈর্য  রাখতে হচ্ছে। ২/৩ সপ্তাহ ধরে এমনটা হচ্ছে। যদিও ওষুধ সরবরাহ করার বিষয়টি তাঁদের নয়। তবু মানুষ হাসপাতালেই প্রথমে আসেন। তাঁরা জবাব চাইছেন। ডাঃ পায়েল মল্লিক, তিনি নতুন বিএমও এইচ। তিনি জানান, ‘সব বিষয়টি শুনেছি। আমি জেলায় সব জানিয়েছি। সমাধানের চেষ্টা চলছে। আশাকরি সমাধান হয়ে যাবে।’ এই সমাধানের অপেক্ষায় সাধারণ মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share