Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Khardah: তৃণমূলের মঞ্চে খড়দা থানার আইসি, কাউন্সিলারদের তোলাবাজি না করার হুঁশিয়ারি, বিতর্ক

    Khardah: তৃণমূলের মঞ্চে খড়দা থানার আইসি, কাউন্সিলারদের তোলাবাজি না করার হুঁশিয়ারি, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে কেক খাইয়েছিলেন থানার আইসি সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায়। এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর বিতর্ক চলছে। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই খড়দায় (Khardah) তৃণমূলের দলীয় মঞ্চে পুলিশের পোশাক পরে হাজির খোদ খড়দা থানার আইসি রাজকুমার সরকার। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে।

    তৃণমূলের মঞ্চে উঠে কী করলেন খড়দা থানার আইসি? (Khardah)

    খেলা দিবস উপলক্ষ্যে খড়দা থানার কাছে টিটাগড় পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় টিটাগড় পুরসভার তৃণমূলের একাধিক কাউন্সিলারের সঙ্গে বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। সেই মঞ্চেই খড়দা (Khardah) থানার আইসি রাজকুমার সরকার পোশাক পরে হাজির হন। মঞ্চের মধ্যেই দলের অন্যান্য নেতাদের মতো খড়দা থানার আইসি পোশাক পরে বসেছিলেন। অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে তাঁকেও ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে, তিনি তৃণমূল নেতাদের সামনে মঞ্চে বক্তব্য রাখেন। তোলাবাজির বিরুদ্ধে তিনি সরব হন।

    তৃণমূল কাউন্সিলারদের কী হুঁশিয়ারি দিলেন আইসি?

    খেলা হবে দিবসের মঞ্চ থেকে বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীকে পাশে বসিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলারদের হুঁশিয়ারি দিলেন খড়দহ (Khardah) থানার আইসি রাজকুমার সরকার। তিনি বলেন, তোমরা দলের কাউন্সিলার। যেমন কাজ করবে বিধায়কের ইমেজ ওরকমই হবে। সেই সন্মানটা তোমরা রাখবে। আমি তো আছি। বার বার বলছি সামাজিক কাজ করুন। সামনে পুজো আসছে। আমরা সরকারের মুখ। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মানুষের জন্য কাজ করার। পাড়ায় গিয়ে কাজ কর। অসামাজিক কাজ করবে না। তোলাবাজি করবে না। এটা যেন কোনওভাবেই না হয়। আপনাদের নিরাপত্তা যদি আমি না দিতে পারি ওই জায়গাটায় আমার থাকার কোনও যোগ্যতা নেই। সোজাসুজি বিধায়ককে জানাবেন। এই লোকটা কাজ করে না, একে রাখবেন না।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, তৃণমূল দলটা এখন পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করছে। বিরোধীদের শায়েস্তা করছে পুলিশ। আর দলের কাউন্সিলারদের তোলাবাজি না করার বার্তা দিচ্ছে পুলিশ। শাসক দলের নেতাদের সুরে খড়দা (Khardah) থানার আইসি কথা বলছে।  ফলে, বোঝাই যাচ্ছে, দলটার কী অবস্থা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Banana Tree: বিজেপির জয়ী সদস্যের বাগানে অধিকাংশ কলা গাছ কাটার অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Banana Tree: বিজেপির জয়ী সদস্যের বাগানে অধিকাংশ কলা গাছ কাটার অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির টিকিটের জয়লাভ করার পর থেকেই আসছিল শাসকদলের হুমকি। বোর্ড গঠনের পর জয়ী প্রার্থীর ফল ধরা প্রায় ৩০০ টি কলা গাছ (Banana Tree) রাতের অন্ধকারে কেটে নষ্ট করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। চরম অমানবিক রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক এই জঘন্য ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাকদার তাতলা- ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে ইটাপুকুর গ্রামে বিজেপির জয়ী সদস্য সুলেখা চৌধুরীর কলাবাগানে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Banana Tree) 

    বিজেপির জয়ী সদস্য সুলেখা চৌধুরীর দেড় বিঘা জমিতে কলার বাগান রয়েছে। দেড়বিঘে জমিতে লাগানো কলা গাছের মধ্যে ৩০০ টি গাছ (Banana Tree) কেটে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আর্থিক ক্ষয়ক্ষয় বিক্রির পরিমাণ প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার সকাল বাগানে গিয়ে দেখেন বাগানের অধিকাংশ কলা গাছ কেটে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকাবাসীও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এলাকাবাসীর বক্তব্য, বিজেপির জয়ী সদস্য বলেই এভাবে কারও কলা বাগান নষ্ট করা ঠিক নয়। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

    কী বললেন বিজেপির জয়ী সদস্য?

    বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য সুলেখা দেবী বলেন, বিজেপির টিকিটে ভোটে জয় লাভের কারণে ফল প্রকাশের পরের দিন হঠাৎ রাতের অন্ধকারে আমার বাড়িতে বেশ কিছু শব্দবাজি একত্রিত করে ফাটানো হয়। সুলেখা দেবীর স্বামী হরিশচন্দ্র চৌধুরী এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব  প্রীতম মল্লিক ও তাঁর সহযোগী বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতৃত্বের  বিরুদ্ধে চাকদা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, এর আগে বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করেছিলাম বলে এলাকার তৃণমূল নেতা পাপ্পু মল্লিক এসে শাসিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, আমরা বাজি ফোটাতে যাবো কেনো ! ক্ষতি করার হলে পুরো কলা গাছের (Banana Tree) বাগান কেটে সর্বনাশ করে দিতাম। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চাকদা থানায় লিখিত অভিযোগ জমা করলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ব্যক্তিগত অথবা পারিবারিক শত্রুতাও হতে পারে বলে মনে করছেন তারা। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শেখর কুমার কর বলেন, এই ধরনের ঘটনায় কোনও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক যুক্ত থাকতে পারেনা। তবে, প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার জন্য আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বলব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coochbehar: কোচবিহারে বাড়ি সংস্কার করতে হলেও দিতে হবে নতুন হারে পুরকর, আন্দোলনে বিজেপি

    Coochbehar: কোচবিহারে বাড়ি সংস্কার করতে হলেও দিতে হবে নতুন হারে পুরকর, আন্দোলনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির কোনও সংস্কার করতে হলেই দিতে হবে পুরকর। এমনই নির্দেশ জারি করেছে কোচবিহার (Coochbehar) পুরসভা। যা নিয়ে পুরসভা এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পুরসভার হাজার হাজার বাসিন্দা চরম ক্ষুব্ধ। আর এই ইস্যুকে সামনে রেখেই আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি।

    পুরসভার নতুন নির্দেশিকা কী? (Coochbehar)

    কোচবিহার (Coochbehar) পুরসভা এলাকায় পুরানো বাড়ি কেউ সংস্কার করলে, বাড়িতে কেউ টাইলস বা মার্বেল বসাতে চাইলে পুরসভাকে আগে কর দিতে হবে। পুরসভার নতুন ফরমান অনুযায়ী পুরসভার সব বাসিন্দাকে এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে। আর এতেই পুরসভার বাসিন্দারা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। একই সঙ্গে ভবানীগঞ্জের বাজারে বহু বছর ধরে ব্যবসায়ীরা রয়েছে। পুরসভার নির্দেশ অনুযায়ী কোনও ব্যবসায়ী নিজের দোকান কাউকে বিক্রি করতে পারবে না। কোনও ব্যবসায়ী দোকান বিক্রি করতে চাইলে পুরসভাকে তা হস্তান্তর করতে হবে। বৃহস্পতিবারই দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিজেপির দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে মিছিল করে পুরসভায় জমায়েত হন। পুর কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে দরবার করেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, কোচবিহার (Coochbehar) পুরসভার সার্বিক পরিষেবা বলে কিছু নেই। মূলত এই পুরসভা এলাকায় একাধিক রাস্তা বেহাল রয়েছে। সেই রাস্তা সংস্কার করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। অথচ পুরসভার প্রচুর টাকা রয়েছে। কারণ, ভবানীগঞ্জের বাজার মিনি মার্কেট সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরসভা প্রচুর টাকা পুরকর সংগ্রহ করে। কিন্তু, সেই টাকার কোনও পরিষেবা নেই। এখন বাড়ি সংস্কারে পুরকর ধার্য করেছে পুরসভা। এটা বাস্তবে নেওয়া কি ঠিক? পুরসভা গা জোয়ারি করে এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছে। পুরসভার বাসিন্দারা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। পুরসভার এই অবিবেচক সিদ্ধান্ত নিয়ে পুরমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা এই ধরনের নিয়ম বদলানোর দাবি জানাচ্ছি। আমাদের এই আর্জি মেনে সিদ্ধান্ত বদল না করলে আমরা আগামীদিনে এই ইস্যুকে সামনে রেখে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল পরিচালিত কোচবিহার (Coochbehar) পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, পুর আইন অনুযায়ী আমি এই কাজ করেছি। পুর আইনের বাইরে আমি কিছু করিনি। সামনে নির্বাচন আছে তাই বিজেপি এসব করেছে। এটা নিয়ে আমার কাছে বলার কিছু  নেই।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো লাইনে চলবে কাজ, পরপর দুটি শনিবার বন্ধ পরিষেবা

    Kolkata Metro: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো লাইনে চলবে কাজ, পরপর দুটি শনিবার বন্ধ পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেল (Kolkata Metro) পরিষেবা বন্ধ থাকবে আগামী দুটি শনিবার। শিয়ালদা থেকে সেক্টর ৫ পর্যন্ত এই মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি জানা গেছে এই সময়ে ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্তও মেট্রো লাইনে কাজ চলবে।

    কেন বন্ধ থাকবে (Kolkata Metro)?

    আগামী শনিবার ১৯ এবং ২৬ অগাস্ট মেট্রো (Kolkata Metro) পরিষেবা বন্ধ থাকবে। শিয়ালদা থেকে সেক্টর ৫ পর্যন্ত সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যারের জন্য ইন্টিগ্রেটেড সেফটির পরীক্ষা চলবে। ইন্টিগ্রেটেড সেফটি একটি মেট্রো রেলের বিশেষ ব্যবস্থা, যা নিরাপদ এবং সুরক্ষিত রাখে মেট্রোর যাত্রাপথকে। এই ব্যবস্থা ঠিক করার জন্য মেট্রো রেল পরিষেবা বন্ধ থাকবে। মেট্রো রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, ইন্টিগ্রেটেড সেফটি টেস্টের জন্য আগামী দুটি শনিবারে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান যে মেট্রোর পরিকাঠামোর উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এই ইন্টিগ্রেটেড সেফটি কার্যকর করার কথা ভেবেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ স্টেশন পর্যন্ত বসানো হবে ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম। সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে, এই সিস্টেম পরবর্তী স্টেশনে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে মেট্রোকে। যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কথা ভেবেই যাত্রাপথ যাতে ঝুঁকিপূর্ণ না হয়, তাই এই প্রযুক্তির ব্যবহার বলে মনে করছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।

    মেট্রো একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম

    কলকাতা শহরের যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল মেট্রো রেল (Kolkata Metro)। এই মেট্রো রেলের ইস্ট-ওয়েস্ট রুটে শিয়ালদা থেকে সেক্টর ৫ পর্যন্ত যাত্রীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ পথ। শিয়ালদা থেকে প্রযুক্তি নগরে যাত্রীদের কম সময়ে এবং নিরপদে যেতে এই রুটে প্রত্যেকদিন প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন। বিমান বন্দর থেকে নিউ গড়িয়া পর্যন্ত মেট্রো রেলের কাজও খুব জোর কদমে চলছে। দ্রুত সংযোগ স্থাপনের কাজ শেষ হবে বলে জানা গেছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gangasagar: কানাডায় বিশ্ব পুলিশ এবং ফায়ার গেমস প্রতিযোগিতায় সোনা জিতলেন সাগরের রাজেশ্বরী

    Gangasagar: কানাডায় বিশ্ব পুলিশ এবং ফায়ার গেমস প্রতিযোগিতায় সোনা জিতলেন সাগরের রাজেশ্বরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন খেলাধূলার ওপরই একটা টান ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের (Gangasagar) সুমতি নগরের রাজেশ্বরী দাসের। আন্তর্জাতিক স্তরে বিশ্ব পুলিশ এবং ফায়ার গেমস অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় সোনা আনলেন তিনি। কানাডার মনিটাবোতে ২৮ জুলাই থেকে ৬ই অগাস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই প্রতিযোগিত। অনূর্ধ্ব ২৯ বছর মহিলাদের হাই জাম্প প্রতিযোগিতায় একের পর এক প্রতিযোগীকে হারিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন সাগরের এই তরুণী। এছাড়াও ট্রিপল জাম্পে রূপো ও লং জাম্প প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ জেতেন রাজেশ্বরী। বর্তমানে রাজেশ্বরী দিল্লি সিআইএসএফের হেড কনস্টেবল  পুলিশ ও  ফায়ার দফতরের অধীনে কর্মরত। রাজেশ্বরীর এই সাফল্যে আনন্দিত সাগরবাসী। পদক জয়ের পর সাগরে এসে পরিবারে সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।

    কী বললেন রাজেশ্বরী?

    রাজেশ্বরী বলেন, ২০২১ সালে সিআইএসএফের চাকরিতে যোগদান করেন। পরে, অল ইন্ডিয়া পুলিশ গেমসে প্রথম হয়ে বিশ্ব পুলিশ অ্যাথেলেটিক্স খেলার সুযোগ পান। রাজেশ্বরীর কথায়, কিছু দিন আগে চিঠি পেয়েছি। ওড়িশায় সিআইএসএফের এএসআই পদে পদোন্নতির জন্য এক মাসের ট্রেনিংয়ে যেতে হবে। টুর্নামেন্ট শেষ হলে সেখানে যাব। সুযোগের অভাবে গ্রামের বহু প্রতিভা নষ্ট হয়ে যায়। আমি আগামী দিনে এই প্রতিভাধারী ছেলেমেয়েদের জন্য কাজ করতে চাই। আমার এই জয় সাগরবাসীর (Gangasagar) জয়। দেশের হয়ে অলিম্পিক ও এশিয়ান গেমসের মতন আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চাই এবং দেশের হয়ে পদক জিততে চাই।

    কী বললেন পরিবারের সদস্যরা? (Gangasagar)

    রাজেশ্বরীর বাবা সত্যব্রত দাসের ছোটখাট একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি চাষবাসও করেন। তিনি বলেন, খুবই অভাবের সংসারে মেয়েকে লালন পালন করেছি। মেয়ের এই জয়ে আমরা খুবই গর্বিত। আমি চাই আমার মেয়ে দেশের হয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেশ ও দশের মুখ উজ্জ্বল করুক। রাজেশ্বরীর মা ভরণী দাস বলেন, অভাবের সংসারের মধ্যে খুব কষ্ট করে এক ছেলে ও এক মেয়েকে বড় করে তুলেছি আমরা। রাজেশ্বরীর অদম্য ইচ্ছার কাছে অভাব হার মেনেছে। রাজেশ্বরীর এই সাফল্যে আমরা খুবই গর্বিত ও আনন্দিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purbasthali: পূর্বস্থলীতে তৃণমূল বিধায়কের জন্মদিন পালনে থানার আইসি, বিতর্ক

    Purbasthali: পূর্বস্থলীতে তৃণমূল বিধায়কের জন্মদিন পালনে থানার আইসি, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে বিজেপি সহ বিরোধীরা বার বার এই অভিযোগ করে আসছে। এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করল পূর্বস্থলীর (Purbasthali) ঘটনা। তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন পালন করতে দেখা গেল পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী থানার আইসিকে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    বিধায়কেক জন্মদিন পালনের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। মূলত,বিধায়কের ফ্যান ক্লাব পেজ থেকে সে সব ছবি আবার পোস্টও করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মোমবাতি জ্বেলে বিধায়ককে কেক খাইয়ে দিচ্ছেন পূর্বস্থলির (Purbasthali) আইসি সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায়। আর সেই ছবি পোস্ট হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। একজন পুলিশ আধিকারিক কীভাবে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বিধায়কের জন্মদিন পালন করেন? শুধু তাই নয়, পাশাপাশি তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়েও এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, একজন আইসি যেভাবে জন্মদিন পালন করছেন তাতে তাঁকে প্রশাসনের আধিকারিক মনে হচ্ছে না। পার্টির লোক মনে হচ্ছে। শাসক দলের লোকজন বা বিধায়কের লোকজন অন্যায় করলে এই আইসি তো তাঁর বিরুদ্ধে কতটা পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তা বোঝা যাচ্ছে।

    কী বললেন বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় সমস্ত দায়ভার ঝেড়ে ফেলে আইসিকে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তিনি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলেন, কেউ যদি ভালবেসে আসে আমি কি তাড়িয়ে দেব? আমি কাউকে ডাকিনি। নিজে থেকেই এসেছেন। এর বেশি তিনি আর কিছু বলতে চাননি।

    কী বললেন থানার আইসি?

    পূর্বস্থলীর (Purbasthali) আইসি সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায় নিজের অবস্থান কতটা নিরপেক্ষ তা বোঝানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা চালান। কার্যত এই ঘটনায় তিনি যে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছেন তা বুঝতে পেরে তিনি বলেন, এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখবেন আমি নিরপেক্ষভাবেই কাজ করে এসেছি। আমি জানতাম না বিধায়কের জন্মদিন রয়েছে। বিধায়ক আমায় ডেকেছেন, বললেন একবার আসতে। তাই আমি গিয়েছিলাম। সৌজন্য রক্ষার্থেই গিয়েছি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: ‘‘২২ অগাস্ট স্বপ্নদীপের দিন, বিধানসভায় যেন প্রস্তুত থাকে তৃণমূল’’, তোপ শুভেন্দুর

    JU Student Death: ‘‘২২ অগাস্ট স্বপ্নদীপের দিন, বিধানসভায় যেন প্রস্তুত থাকে তৃণমূল’’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুতে সরগরম রাজ্য। আগামী শুক্রবার ১৮ অগাস্ট বগুলায় মৃত ছাত্রের বাড়ি যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (JU Student Death)। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি একথা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত ১৯৪৭ সালের ১৮ অগাস্ট ভারতের মানচিত্রের সঙ্গে জুড়েছিল নদিয়া। সেই অর্থে শুক্রবার এই জেলার স্বাধীনতা দিবস। জানা গিয়েছে, সেখান থেকে মৃত ছাত্রের বাড়িতে যাবেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে থাকতে পারেন বিজেপির ১০ থেকে ১৫ জন বিধায়কও।

    বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারে মঞ্জুরি কমিশন

    ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসির প্রতিনিধিদের। এই প্রতিনিধি দল যাতে যাদবপুরে শীঘ্রই আসে সেজন্য তৎপর হয়েছেন বিরোধী দলনেতা (JU Student Death)। শীঘ্রই এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে চিঠিও লিখতে চলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবারই তিনি এ কথা জানিয়েছেন। সরেজমিনে পরিস্থিতি যাতে খতিয়ে দেখে ইউজিসি, সেই অনুরোধ করবেন শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে বিরোধী দলনেতার পাল্টা ঘোষণা, ২২ অগাস্ট ছাত্র মৃত্যুর ইস্যুতে চেপে ধরা হবে সরকারকে। এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন যে ১ ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না তৃণমূলকে। শুভেন্দুর তোপ, ২২ অগাস্ট বিধানসভার ভিতরে তাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য যেন প্রস্তুত থাকেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি এদিন আরও বলেন, ২২ অগাস্ট হবে স্বপ্নদীপের দিন (JU Student Death)। 

    যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যু (JU Student Death)

    এদিনই এবিভিপি-র কর্মী সমর্থকদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রাক্তনীদের সভা এবং এবিভিপি-এর পাল্টা স্লোগানকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের অভিযোগ, প্রশাসন প্রাক্তনীদের সভা করার অনুমতি দিলেও তাদের কোনও রকম অনুমতি দেয়নি। এই ইস্যুতেও সরব হন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাডার। তৃণমূলের নির্দেশে চলে। রাষ্ট্রবাদী সংগঠন এবিভিপির ওপর তাই কোনও কারণ ছাড়াই লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।’’ প্রসঙ্গত, যাদবপুরকাণ্ডে ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে এক জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা। তিনিও প্রাক্তনী বলেই জানা গিয়েছে (JU Student Death)। এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ জম্মুর ছেলে গ্রেফতার হয়েছে। এখানে কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র আছে কি না দেখতে হবে। এনআইএ তদন্ত দরকার।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: সভা-মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত যাদবপুর, এবিভিপির ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ

    JU Student Death: সভা-মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত যাদবপুর, এবিভিপির ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবারও সরগরম থাকল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর (JU Student Death)। এদিন সন্ধ্যাতেও উত্তেজনা ছড়াল। এবিভিপি-র কর্মী সমর্থকদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রাক্তনীদের সভা এবং এবিভিপি-এর পাল্টা স্লোগানকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের অভিযোগ, প্রশাসন প্রাক্তনীদের সভা করার অনুমতি দিলেও তাদের কোনও রকম অনুমতি দেয়নি। জানা গিয়েছে, প্রাক্তনীদের সভা চলছিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে, সে সময়ে এবিভিপি-র কর্মী সমর্থকরা ছাত্র মৃত্যুর প্রতিবাদে স্লোগান (JU Student Death) দিতে থাকেন। তখনই বিক্ষোভকারীদের জোর করে সরানোর চেষ্টা করে পুলিশ। পাল্টা প্রতিরোধ শুরু করে এবিভিপি। তারপরেই লাঠিচার্জ শুরু করে কলকাতা পুলিশ।

    তৃণমূল-বাম ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যে ধস্তাধস্তি 

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের সামনে ধস্তাধস্তিতে শুরু হয় একাধিক বাম ছাত্র সংগঠন এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে। এতে গোটা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুপক্ষই পাল্টা অভিযোগ এনেছে(JU Student Death) একে অপরের বিরুদ্ধে। একই সময়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা এবং বাম ছাত্র সংগঠনগুলির যৌথ সভা ঘিরে উত্তেজনা শুরু হয়। দুই পক্ষ মুখোমুখি হতেই প্রথমে বচসা এবং পরে ধস্তাধস্তি হয়।

    লালবাজারে তলব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে

    বৃহস্পতিবারই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় লালবাজারে তলব করা হয় (JU Student Death) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে। টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশকর্তারা। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, হোস্টেল এবং প্রশাসনিক সংক্রান্ত বিষয়ে স্নেহ মঞ্জু বসুকে কুড়িটিরও বেশি প্রশ্ন করা হয়েছে।  সূত্রের খবর বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তরই দিন এড়িয়ে গিয়েছেন স্নেহমঞ্জু বসু। এবং  বলেছেন ডিন সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। যদিও লালবাজারে বিকাল তিনটের সময় স্নেহমঞ্জু বসু এবং ডিন দুজনকেই তলব করা হয়েছিল। কিন্তু রজত রায় এদিন উপস্থিত হননি। এখনও পর্যন্ত অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায়। যাঁদের মধ্যে ওই হোস্টেলের প্রাক্তনী এবং আবাসিকরাও রয়েছেন। এখানে প্রশ্ন উঠছে প্রাক্তনী হওয়ার পরেও কিভাবে হোস্টেলে থাকা যায় (JU Student Death)?

    ওয়াকিবহাল মহল বলছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও অমান্য করেছে। র‌্যাগিং সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল ২০০৯ সালে যে ছাত্রাবাসে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের আলাদা রাখতে হবে। এবং তা সম্ভব না হলে বজায় রাখতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তাদের অনবরত নজরদারি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এই ইস্যুতে শোকজ করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে (JU Student Death)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bjp: কোচবিহারে ভাঙন শাসক দলে, গেরুয়া শিবিরে যোগদান ২ নেতার

    Bjp: কোচবিহারে ভাঙন শাসক দলে, গেরুয়া শিবিরে যোগদান ২ নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে যেন তৃণমূলের ঘর ভেঙেই চলেছে। ফের শাসক শিবির ছেড়ে বিজেপিতে (Bjp) যোগদান করতে দেখা গেল কোচবিহার জেলার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল নেতাকে। বুধবার গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলেন কোচবিহার ১ নং ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সিতেন বর্মন এবং চেয়ারম্যান অমল চন্দ্র সরকার। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই বারংবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল কোচবিহার। লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। গাড়িতে হামলা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকেরও। ঝরে বেশ কতগুলি তরতাজা প্রাণ। এতকিছুর পরেও ভোটের ফল ঘোষণা হতে দেখা যায়, বিজেপি (Bjp) জোর টক্কর দিয়েছে শাসকদলকে।

    আরও পড়ুুন: ভারতীয় অর্থনীতিকে দিশা দেখিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী

    অস্বস্তিতে শাসক শিবির…

    কোচবিহারের ১ নম্বর ব্লক থেকেই জেলা পরিষদের সভাধিপতি হন শাসক দলের সুমিতা বর্মন এবং সহ-সভাপতি হন আব্দুল জলিল আহমেদ। কিন্তু সেই ব্লকেই দলের ভাঙনে জোর অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক শিবির। এদিন দলত্যাগী দুই নেতাই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, উত্তরবঙ্গে ক্রমশই পায়ের তলায় মাটি হারাচ্ছে তৃণমূল। লোকসভা ভোট যত এগোবে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক তত বাড়বে।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে চার গির্জায় ভাঙচুর, পোড়ানো হল বাইবেলও, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন খ্রিস্টানরা

    কী বলছেন দলত্যাগী ২ নেতা

    দলত্যাগী দুই নেতা বৃহস্পতিবার একঝাঁক কর্মী সমর্থক নিয়ে বিজেপিরজেলা অফিসে হাজির হন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায়। বৃহস্পতিবার শাসকদলের দুই নেতাকে স্বাগত জানাতে কোচবিহার জেলা বিজেপির (Bjp) পার্টি অফিসে হাজির ছিলেন জেলা কমিটির একাধিক নেতা। দুই দলত্যাগী নেতার বক্তব্য, তৃণমূলে কোনও নীতি আদর্শ নেই। কোচবিহার জেলা তৃণমূল গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত। এখানে কেউ কাউকে মানে না। তাই মানুষের কাজ করতেই বিজেপিকে বেছে নিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে বিজেপির (Bjp) জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘ওঁরা দুজনেই তৃণমূলের ব্লকের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি (Bjp) জয়েন করলেন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া তৃণমূলের, দখল করল বিজেপি

    Nadia: শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া তৃণমূলের, দখল করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের হাতছাড়া শান্তিপুর (Nadia) পঞ্চায়েত সমিতি। জেলার মধ্যে এই প্রথম পঞ্চায়েত সমিতি দখল করল বিজেপি। অতীতে কখনও বামফ্রন্ট, পরবর্তীতে তৃণমূলের হলেও শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি এই প্রথম দখল করল বিজেপি। বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস। 

    কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস (Nadia)

    শান্তিপুর (Nadia) পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের পর বিজেপির নবনিযুক্ত সভাপতি হলেন নৃপেন মণ্ডল। তিনি হরিপুর ১০ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জয়লাভ করেছিলেন। অপরদিকে সহ-সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন চঞ্চল চক্রবর্তী, তিনি আবার ফুলিয়া টাউনশিপ ২৮ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জয়লাভ করেছেন। পঞ্চায়েত সমিতি দখলের পর বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিজয়োল্লাস লক্ষ্য করা যায়। এদিনের বোর্ড গঠন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জী এবং রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট উত্তর-পূর্বের বিধায়ক অসীম বিশ্বাস, চাকদা বিধানসভার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

    বিজেপি সাংসদের বক্তব্য

    বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের (Nadia) দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ যেভাবে বিজেপির প্রতি আস্থা রেখেছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ভোটই দেবে না মানুষ। তিনি পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, থানার ওসি অঞ্চল সভাপতির মতো আচরণ করছেন। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এলাকায় ঢুকে বিজেপি কর্মীদের ঘরছাড়া, মারধর করে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। শাসকের এত হিংসার পরেও মানুষ বিজেপিকে জয়যুক্ত করেছেন। এই জয় সাধারণ মানুষের জয়।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করলেও খোঁচা দিতে ছাড়লেন না শান্তিপুরের (Nadia) তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। তাঁর দাবি, বিজেপি বারবার দাবি করে এই রাজ্যে ডবল ইঞ্জিনের সরকার গড়বে। যেদিন এই রাজ্যে ডবল ইঞ্জিনের সরকার হবে, সেদিন এই রাজ্য উত্তরপ্রদেশে পরিণত হবে। এই রাজ্যে তৃণমূল আছে বলেই মা বোনেরা এখনও স্বাধীনভাবে রাস্তায় বেরোতে পারছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share