Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • West Bengal Tourist Places: নীল তরঙ্গমালার নিঃশব্দ আহ্বান বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, হেনরিজ আইল্যান্ড!

    West Bengal Tourist Places: নীল তরঙ্গমালার নিঃশব্দ আহ্বান বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, হেনরিজ আইল্যান্ড!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের উপকূল পর্যটনে (West Bengal Tourist Places) বরাবরই এক বিশেষ স্থান রয়েছে এই প্রান্তিক উপকূল পর্যটন কেন্দ্র বকখালির। কিছুদিন আগে পর্যন্ত বকখালি যাওয়ার জন্য কলকাতা থেকে নামখানা অবধি বাসে বা ট্রেনে গিয়ে তারপর ফেরি নৌকায় হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদী পেরিয়ে আবার গাড়ি বা বাসে পৌঁছতে হত বকখালি। কিন্ত এখন নদীর ওপর সেতু তৈরি হয়ে যাওয়ায় সেই ঝক্কি আর সামলাতে হয় না। ফলে পর্যটকরা সরাসরি বাসে বা গাড়ি নিয়েই পৌঁছে যেতে পারেন কলকাতা থেকে মাত্র ১২৮ কিমি দূরের এই মনোরম সমুদ্র সৈকত বকখালিতে। একদিকে বঙ্গপোসাগরের নীল তরঙ্গমালার অমোঘ আহ্বান, অপরদিকে সোনালী বালুকাবেলার দুরন্ত হাতছানি, মাথার ওপর সুনীল আকাশ, তটভূমি জুড়ে সারি সারি ঝাউগাছের বাঙ্ময়, অথচ নিঃশব্দ আমন্ত্রণ-প্রকৃতি প্রেমিক পর্যটকদের হৃদয় হরণের জন্য আর কী চাই? মূলত এই সাগর আর এই অসাধারণ প্রকৃতির টানেই হাজার হাজার মানুষ বারবার ছুটে আসেন বকখালিতে। সমুদ্র ছাড়াও এখানে রয়েছে একটি কুমির প্রকল্প। কুমির ছাড়াও আছে বেশ কয়েকটি হরিণ।

    ম্যানগ্রোভ অরণ্যের মাঝে হেনরিজ আইল্যান্ড (West Bengal Tourist Places) 

    বকখালি থেকে মাত্র ৪-৫ কিমি দূরে আর একটি সুন্দর স্থান হেনরিজ আইল্যান্ড (West Bengal Tourist Places)। প্রকৃতপক্ষে এটি পঃ বঃ মৎস্য উন্নয়ন নিগমের একটি প্রকল্প। এই মৎস্য উন্নয়ন নিগম বা দি ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের উদ্যোগেই এই ম্যানগ্রোভ অরণ্যের মাঝে গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। এখানে বেশ কয়েকটি সুবিশাল জলাশয়ে করা হচ্ছে মাছের চাষ। পর্যটকদের চারপাশের শোভা দর্শনের জন্য রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। একটু এগিয়ে গেলেই ঘন ম্যানগ্রোভ অরণ্য। তারপরেই সমুদ্র। অপূর্ব পরিবেশ। মৎস্য উন্নয়ন নিগম এখানে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থাও করেছে। এদের এখানে আছে  দুটি থাকার ব্যবস্থা- ১) সুন্দরী ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্স এবং ২) ম্যানগ্রোভ ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্স।

    নির্জন বিচ ফ্রেজারগঞ্জ (West Bengal Tourist Places) 

    বকখালি থেকে প্রায় ৪ কিমি পথ গেলে আর এক  সুন্দর, নিরালা, নির্জন বিচ ফ্রেজারগঞ্জ (কলকাতার দিক থেকে যাওয়ার সময় আগে পড়বে এই ফ্রেজারগঞ্জ)। এখানে থাকার জন্য রয়েছে বেনফিশের হোটেল। এছাড়াও আছে বেশ কিছু বেসরকারি হোটেল (West Bengal Tourist Places) ।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

    কলকাতার ধর্মতলা থেকে বর্তমানে সরাসরি বাস যাচ্ছে বকখালি (West Bengal Tourist Places)। অন্যথায় শিয়ালদা থেকে ট্রেনে নামখানা এসে সেখান থেকে ফেরি নৌকায় নদী পেরিয়ে নামখানা-বকখালি বাসে অথবা গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া যায় বকখালি। বকখালিতে থাকার জন্য আছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগম বা ডব্লিউবিটিডিসি (WBTDC)-এর বকখালি ট্যুরিস্ট লজ। এছাড়াও এখানে রয়েছে বেশ কিছু বিভিন্ন মানের ও বিভিন্ন দামের বেসরকারি হোটেল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে ২৪ ঘণ্টা বনধ ডাকলেন ব্যবসায়ীরা, আন্দোলনের পাশে বিজেপি

    Siliguri: শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে ২৪ ঘণ্টা বনধ ডাকলেন ব্যবসায়ীরা, আন্দোলনের পাশে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোকানের মালিকানার দাবিতে বুধবার সকাল থেকে শিলিগুড়ির (Siliguri) বিধান মার্কেটে শুরু হয়েছে ২৪ ঘণ্টার ব্যবসা বনধ। এখানেই রয়েছে হংকং মার্কেট। পাহাড়, জঙ্গল ঘুরতে এসে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা একবারের জন্য হলেও হংকং মার্কেটে আসেন বিদেশি পণ্য কেনার জন্য। কিন্তু এদিন হঠাৎ করে বাজার বন্ধ থাকায় অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরে যান। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনের পরও দোকানের মালিকানা না পেয়ে এদিন ব্যবসা বনধ ডাকার পাশাপাশি প্রতিবাদ মিছিল করেন ব্যবসায়ীরা। এই মিছিলে পা মেলান সমস্ত ব্যাবসায়ী ও কর্মচারীরা। সুবিশাল মিছিল বিধান মার্কেট থেকে শুরু হয়ে শহরের মূল রাস্তা পরিক্রমা করে।

    কেন এই ব্যবসা বনধ?

    দেশভাগের পর উদ্বাস্তু হয়ে আসা মানুষের পুনর্বাসনের জন্য শিলিগুড়িতে (Siliguri) এই বাজার তৈরি করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়। সেই মতো এই বাজারের নামকরণ করা হয় বিধান মার্কেট। কিন্তু, এতদিন পরেও বংশানুক্রমে ব্যবসা করে আসা ১৬২০ জন ব্যবসায়ী দোকানের মালিকানা তথা জমির সত্ত্ব পাননি। দোকানের মালিকানার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন বিধান মার্কেটের ব্যাবসায়ীরা। রাজ্যের শাসক দল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে তা বাস্তবায়িত হয়নি। শিলিগুড়ি- জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র (এস জে ডি) সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেও ব্যবসায়ীরা দোকানের মালিকানা পাননি। অবশেষে ধর্মঘটের পথে হাঁটেন ব্যাবসায়ীরা। বিধান মার্কেট ব্যাবসায়ী সমিতির সম্পাদক বাপি সাহা বলেন, এরপরেও এসজেডিএ যদি আমাদের দাবি পূরণ না করে তাহলে আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।

    ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের পাশে বিজেপি

    এদিকে শিলিগুড়ির (Siliguri) বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা ও তাঁর দল। দোকানের মালিকানা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোথায় সমস্যা হচ্ছে সেবিষয়ে তিনি বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সবরকমভাবে ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে রাজু বিস্তা রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে  প্রশ্ন তোলেন, পশ্চিমবঙ্গে যদি রোহিঙ্গাদের পাট্টা দেওয়া হয়, তাদের ভারতের পরিচয়পত্র দেওয়া হয়, তাহলে বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কেন দোকানের পাট্টা দেওয়া হবে না?

    কী বলছে এসজেডিএ?

    এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, এদিনই বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীদের আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে। তারা এলে আলোচনা করে গোটা বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানানো হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: খানাকুলে বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি, বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Arambagh: খানাকুলে বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি, বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোর্ড গঠনের পরই অশান্তি হুগলি জেলার আরামবাগ (Arambagh) মহকুমার খানাকুলে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি, বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার গুলির খোল ও তিনটি তাজা বোমা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের। রাতভর বোমাবাজির জেরে আতঙ্কিত ঠাকুরানিচক এলাকার বেরাপাড়া। বাড়ির গৃহবধূ থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষ ও ছাত্রছাত্রীরা আতঙ্কে ঘরবন্দি হয়ে রয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগের (Arambagh) খানাকুলের ঠাকুরানিচকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সুদীপ বেড়ার বাড়িতে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়। বাড়ি লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এমনকী বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ। এদিন সকাল থেকেই ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়। পুরো এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। এই বিষয়ে ওই এলাকার এক গৃহবধূ মিতা বেরা বলেন, পুরো পাড়া বোমা গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে আছে। গভীর রাতে গুলি চলে। ভয়ে গোটা পাড়ার মানুষ বাড়ির বাইরে বের হতে পারেনি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা তপন মণ্ডল বলেন, খানাকুলের তৃণমূল নেতা নইমুল হক ও বিদায়ী প্রধান শীতল মণ্ডলের নেতৃত্বে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সুদীপ বেরার বাড়িতে হামলা হয়। গুলি ও বোমা ছোঁড়া হয়। লাগাতার সন্ত্রাস চলে। বাড়িতে গর্ভবতী বোন ছিল। তাঁর মাথার উপর দিয়ে গুলি চলে যায়। বোর্ড গঠনের পরই তৃণমূল এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    তৃণমূল নেতা নইমুল হক বলেন, লোকের বাড়িতে ঝামেলা করা আমাদের দলের এই সব নীতি আদর্শ নয়। বিজেপি দুষ্কৃতীকারী দল। বোর্ড গঠনের দিন বিজেপি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। তৃণমূলের নাম খারাপ করার জন্য বিজেপি চক্রান্ত করেছে। সবমিলিয়ে পুলিশ বোমা ও গুলির খোল গুলো উদ্ধার করার পাশাপাশি তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health University: চিকিৎসক নিয়োগ থেকে বদলি, দুর্নীতি রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়েও? 

    West Bengal Health University: চিকিৎসক নিয়োগ থেকে বদলি, দুর্নীতি রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়েও? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও অভিযোগ উঠেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে, কখনও পরীক্ষা ঘিরে নানা অব্যবস্থা প্রকাশ্যে এসেছে। আবার কখনও বদলির প্রক্রিয়া নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তারপরেও কোনও রকম পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। কিন্তু পদ চলে যাওয়ার পরেই সক্রিয় তিনি। আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের (West Bengal Health University) উপাচার্যের পদচ্যুত হওয়া ও তারপরে তাঁর আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ঘটনাকে অন্তত এভাবেই কটাক্ষ করছে রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশ।

    কী অভিযোগ উঠছে উপাচার্যের (West Bengal Health University) বিরুদ্ধে? 

    সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, নিয়োগ থেকে বদলি, কিছুই নিয়ম মতো হচ্ছে না। একের পর এক সরকারি হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত হচ্ছে। কিন্তু নিয়ম মাফিক মেডিক্যাল পড়ানোর কোনও পরিকাঠামো সেখানে গড়ে উঠেছে না। আর সে নিয়ে কোনও রকম সক্রিয়তা দেখাননি স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের (West Bengal Health University) উপাচার্য সুহৃদা পাল। অভিযোগ, একাধিক সরকারি মেডিক্যাল কলেজের একাধিক বিভাগে প্রয়োজনীয় শিক্ষক-চিকিৎসক নিয়োগ করা হয় না। ফলে, এমবিবিএস পড়ুয়াদের নিয়মিত ক্লাস করতে অসুবিধা হয়। অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে নিয়োগ হয় না। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। 
    এছাড়াও বদলি নিয়ে অভিযোগ করেছেন শিক্ষক-চিকিৎসকদের একাংশ। নির্দিষ্ট সময় মেনে বদলির রীতি কার্যত উঠে গিয়েছে। তাদের অভিযোগ, এ নিয়ে উপাচার্যকে একাধিকবার জানানোর পরেও কোনও হেলদোল হয়নি। শুধুমাত্র রাজ্যের শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হলে তবেই কলকাতা বা বড় শহরের মেডিক্যাল কলেজে পড়ানোর সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে, এমন অভিযোগ করছেন শিক্ষক-চিকিৎসকদের একাংশ।

    সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ (West Bengal Health University) কী?

    তবে, সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দলের ঘনিষ্ঠ এমবিবিএস পড়ুয়ারা মেডিক্যাল কলেজে নানা কুকর্ম করলেও কোনও শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি পরীক্ষার সময়েও প্রয়োজনীয় কোনও ব্যবস্থা স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় করছে না বলে অভিযোগ। কয়েক মাস আগেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা চলাকালীন এক তৃণমূল নেতা মোবাইল হাতে পরীক্ষা হলে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়। তারপরেও সেই পরীক্ষা বাতিল কিংবা সেই ঘটনার তদন্তের কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয় বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে কল্যাণী জেএনএম, একাধিক মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষার সময় নজরদারি করা যায় না। এমনকি পরীক্ষার্থীদের পাশ করানো নিয়েও শিক্ষক-চিকিৎসকদের হুমকি দেওয়া হয়। এ নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ করলেও উপাচার্য কোনও পদক্ষেপ করেননি বলেই অভিযোগ। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করতেই পদ আগলে রাখতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সুহৃদা পাল। আর তারপরেই চিকিৎসকদের একাংশের মন্তব্য, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের (West Bengal Health University) উপাচার্যের দায়িত্ব সামলাতে যদি এতখানি তৎপর হতেন, তাহলে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে পড়াশোনার মান অনেক ভালো হতো। সর্বপরি রাজ্যের মানুষ সুদক্ষ চিকিৎসক পেতেন।

    অভিযোগ প্রসঙ্গে কী বললেন সুহৃদা পাল (West Bengal Health University)? 

    সমস্ত অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে নারাজ সুহৃদা পাল (West Bengal Health University)। যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়ে দেন, বিষয়টি আদালতের অধীনে রয়েছে। তাই কোনও মন্তব্য করবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন গ্রেফতার করার কথা বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন গ্রেফতার করার কথা বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগে জেলে ঢোকানো উচিৎ বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে রাজ্যুজুড়়ে তোলপাড় চলছে। কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে মৃত ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে। বিজেপিও এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করার কথা কেন বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    বুধবার তমলুক জেলা পরিষদের জয়ী বিজেপি সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, যাদবপুরের ছেলেটা আত্মবলিদান দিয়ে চোখ খুলিয়ে দিয়েছে। রাজ্যের অন্য কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কি হচ্ছে কোনও খবর আছে? তিনি অভিযোগ করেন, কোন কলেজ হোস্টেলগুলোতে সিসিটিভি কিংবা সুপার আছে? আসল সমস্যার সমাধান না করে নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। একে ধরছে, ওকে ধরছে আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরা উচিৎ। তাঁর ব্যবস্থাপনায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মধ্যযুগীয় বর্বরতা চলছে। যেখানেই হাত দেবেন পচা গন্ধ বের হবে কোনও দফতরই ভালো না। যাদের যোগ্যতা নেই তাঁদের রেজিষ্টার, প্রো ভিসি করা হয়েছে। অ্যাডমিশন বেচে খেয়েছে। যারা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কালেক্টর ছিল। ডিয়ার লটারি ও মদ খাইয়ে যুব সমাজকে পঙ্গু করে দিয়েছে। তাই আজ কলেজে অনার্স বিভাগে ৫০ শতাংশ সিট খালি থাকে।

     বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের কী বার্তা দিলেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    এদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ গঠন নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, জেলা পরিষদের বিজেপির ১৪ জন জয়ী সদস্য শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবে। কিন্তু, সভাধিপতি ও সহ সভাধিপতি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না। বিগত বোর্ডের সময় জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের সৌজন্যে জেলা পরিষদ পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছিল। আমরা তা আর হতে দেবোনা। দলের ১৪ জন সদস্য দক্ষ বিরোধী দলনেতা ঠিক করবে। সেই সুদক্ষ বিরোধী দলনেতা জেলা পরিষদের স্বচ্ছভাবে কাজ যাতে হয় তা দেখবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • By Election: পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসীকে ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে প্রার্থী করল বিজেপি

    By Election: পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসীকে ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে প্রার্থী করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যুর পর থেকে ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র ফাঁকা ছিল। সম্প্রতি নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর হতে চলেছে উপ নির্বাচনের (By Election) ভোট। আর সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ৮ সেপ্টেম্বর ফল ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস-বাম জোট প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। তৃণমূলও এই উপ নির্বাচনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এতদিন বিজেপি এই আসনে কারও নাম ঘোষণা করেনি। ফলে, বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর পর এই আসনে দল কাকে প্রার্থী করে তা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা ছিল। অবশেষে শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসী রায়কে এই উপ নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনিও রাজবংশী। মঙ্গলবারই বিজেপির তরফে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

    বিজেপি প্রার্থী হয়ে কী বললেন শহিদ জওয়ানের স্ত্রী? (By Election)

    ২০১৯ সালে কাশ্মীরে পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ধূপগুড়ি ব্লকের জুরাপানি এলাকার বাসিন্দা সিআরপিএফ জওয়ান জগন্নাথ রায়। স্ত্রীর কোলে তখন ছিল সদ্যোজাত সন্তান। সেই ঘটনার চার বছর পর ভোটে লড়তে চলেছেন তাপসী। ৩২ বছর বয়সী তাপসী  বর্তমানে ধূপগুড়ি শরৎপল্লি এলাকায় থাকেন। তাঁর এক চার বছরের সন্তান রয়েছে। রাজনীতিতে সক্রিয় না হওয়া সত্ত্বেও তাঁকেই বেছে নেওয়া হয়েছে প্রার্থী হিসেবে। উপ নির্বাচন (By Election) প্রার্থী হওয়ার পর তাপসী বলেন, মানুষকে পরিষেবা দিতে এলাকার উন্নয়ন করতে চাই। আমি হাসপাতালের উন্নয়ন করতে চাই। মা-বোনেদের জন্য কিছু করতে চাই। আমি চাই সবাই যেন আমার পাশে থাকেন, আমাকে আশীৰ্বাদ করেন।

    বিজেপি-র বিরুদ্ধে এই উপ নির্বাচনে কারা প্রার্থী হয়েছেন?

    ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে (By Election) বিজেপির প্রার্থী হলেন শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসী রায়। মঙ্গলবারই বিজেপির তরফে নাম প্রকাশ করা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। দীর্ঘদিনের তৃণমূলকর্মী ড. নির্মলচন্দ্র রায়কে প্রার্থী করা হয়েছে সেখানে। রাজবংশী সংস্কৃতিই তাঁর চর্চার বিষয়। ধূপগুড়ির মাগুরমারির বাসিন্দা নির্মল রায় বইও লেখেন। অন্যদিকে বামেরা প্রার্থী করেছেন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক তথা ভাওয়াইয়া সঙ্গীত শিল্পী ঈশ্বরচন্দ্র রায়কে। বাম ও কংগ্রেস জোট হিসেবেই লড়বে এই নির্বাচনে। তাঁদেরই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসী রায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Islampur: ফের ইসলামপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১৫, এলাকায় উত্তেজনা

    Islampur: ফের ইসলামপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১৫, এলাকায় উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত ইসলামপুর (Islampur)। এবারে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে চলল গুলিও। গুলিবিদ্ধ প্রায় ১৫ জন। তাদের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতের চোতরাগছ গ্রামের আতালডাঙ্গী-হাট এলাকায়। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকাজুড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। বুধবার সকাল থেকে সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Islampur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  স্থানীয় আতালডাঙ্গী-হাট এলাকায় হঠাৎই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের জেরে চলে গুলি ও ব্যাপক বোমাবাজি হয়। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন প্রায় ১৫ জন। আহতদের অভিযোগ, আমরা তৃণমূল কর্মী। জেলা পরিষদ আসনে নির্দল প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার কারণে আমাদের ওপরে গুলি চালানো হয়েছে। ইসলামপুরের (Islampur) সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আব্দুল হক ও তার লোকজন এই হামলার ঘটনায় জড়িত। উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের ৪নং আসনে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন মৌসুমী খাতুন। তৃণমূলের টিকিট না পাওয়ায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে নেমেছিলেন চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে আরজুনা বেগম। নির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল প্রার্থী মৌসুমী খাতুন। এই প্রার্থী পদ নিয়ে শুরু থেকেই সেখানে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগেই ছিল। তারই অঙ্গ হিসেবে মঙ্গলবার এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আহতরা। সংঘর্ষে আহত মহঃ সারোয়ার নামে এক তৃণমূল কর্মী জানিয়েছেন, আমরা মহঃ জাহিদুলের অনুগামী। আমরা তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছি। চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাঁকে আমরা ভোট দিইনি। তাই তাঁর লোকজনেরা আমাদের ওপরে গুলি চালিয়েছে। অপর এক গুলিবিদ্ধ খলিল মহম্মদ জানিয়েছেন, আমি তৃণমূল দল করি। আমি হাটে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করে নির্দল প্রার্থীর লোকজনেরা গুলি চালাতে আরম্ভ করে। আমারও পায়ে গুলি লেগেছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    ঘটনার খবর পেয়ে ইসলামপুর (Islampur) হাসপাতালে ছুটে আসেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল, ইসলামপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন, ইসলামপুরের যুব তৃণমূল নেতা কৌশিক গুণ সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। তাঁরা অবশ্য এই গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়টি এড়িয়ে যান। এই ঘটনায় জেলা পরিষদের বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী মৌসুমী খাতুনের স্বামী মহঃ জাহিদুল বলেন, আতালডাঙ্গী এলাকায় আমাদের কিছু লোক বাজার করতে গিয়েছিল। সেখানে তাদের উপরে নির্দল সমর্থিত কিছু দুষ্কৃতী হামলা চালায় ও গুলি করে। ওই এলাকা বিরোধীশূন্য হলেও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেখানে দুটি গোষ্ঠী হয়ে গিয়েছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই নির্দল সমর্থিত দুষ্কৃতীরা আমাদের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছিল। সুজালি অঞ্চলে কোনও অশান্তি হোক আমরা তা চাইনি। তাই আমাদের লোকজনদের শান্ত থাকতে বলেছিলাম। কিন্তু, আজ অশান্তি হয়েই গেল। এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগারওয়াল বলেন, ২০-২২ জনের মতো আহত হয়েছে। তাদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনা পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করবে। তারপরই বিস্তারিত জানা যাবে।” 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Flag: অবাককাণ্ড! স্বাধীনতা দিবসে ৮০০ মিটার দীর্ঘ জাতীয় পতাকা নিয়ে পদযাত্রা, উন্মাদনা

    Indian Flag: অবাককাণ্ড! স্বাধীনতা দিবসে ৮০০ মিটার দীর্ঘ জাতীয় পতাকা নিয়ে পদযাত্রা, উন্মাদনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসে ঘরে ঘরে জাতীয় পতাকা টাঙানোর কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদিজির ডাকে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৯ কোটি দেশবাসী পতাকা উত্তোলন করে সেলফি আপলোড করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগে দেশ জুড়ে সব স্তরের মানুষই উজ্জীবিত। পাশাপাশি ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের দিন মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে বিশালাকার জাতীয় পতাকা (Indian Flag) নিয়ে পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

    জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য কত? (Indian Flag)

    ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের সকালে জিয়াগঞ্জ শহরে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েরা ৮০০ মিটার দীর্ঘ এক বিশাল জাতীয় পতাকা (Indian Flag) নিয়ে শহর পরিক্রমা করেন। বিশিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের হাত ধরে ৮০০ মিটারের এক বিশাল জাতীয় পতাকা নিয়ে এদিন এই পদযাত্রা করা হয়। এদিন দীর্ঘকায় পতাকা দেখতে রাস্তার দুধারে ভিড় উপচে পড়ে। ৮০০ মিটার দীর্ঘ পতাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রায় ১৫০০ জন ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এতবড় পতাকা এর আগে কখনও দেখিনি।

    কী বললেন উদ্যোক্তারা?

    জিয়াগঞ্জের এই কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের এক কর্মকর্তা বলেন, ২০১৮ সালে ১৫ আগস্ট ৪০০ মিটার লম্বা জাতীয় পতাকা (Indian Flag) নিয়ে রাস্তা পরিক্রমা করা হয়েছিল। করোনার কারণে দুবছর বন্ধ ছিল। ২০২১ সালে সেই জাতীয় পতাকা ৫০০ মিটার লম্বা এবং ৯ মিটার চওড়া ছিল। ২০২২ সালে জাতীয় পতাকা বেড়ে ৭৫০ মিটার করা হয়। এবছর আরও ৫০ মিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৮০০ মিটার দীর্ঘ পতাকা করা হয়। বিভিন্ন বয়সের দেড় হাজার পুরুষ, মহিলা এই জাতীয় পতাকা বহন করে গোটা জিয়াগঞ্জ শহর পরিক্রমা করা হয়েছে। এই পতাকাটি তৈরি করেছেন জিয়াগঞ্জ শহরের ফুলতলার দর্জি অজিত সেখ এবং তাঁর ছেলে রণি সেখ।

    হাজারদুয়ারিকে আলোকসজ্জায় তেরঙ্গা রংয়ে রাঙিয়ে তোলা হয়

    এছাড়াও ২০২২ সাল থেকে ১৫ ই আগস্টে ঐতিহাসিক হাজারদুয়ারি প্যালেসকে জাতীয় পতাকার রংয়ের আলোকে সজ্জিত করা হয়। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে হাজারদুয়ারিকে তেরঙ্গা রংয়ে রাঙিয়ে তোলা হয়। এবছর সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজনীতি ছাড়ার কেন হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজনীতি ছাড়ার কেন হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামের অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে বিজেপি। এবার পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িতে তৃণমূল সুপ্রিমোকে ফের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    রাজনীতি ছাড়ার কথা কেন বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঘোষণা করেছিলেন নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যদি হারাতে না পারি, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। বিতর্ক থাকলেও নন্দীগ্রামের বিধায়ক হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুভেন্দু বলেছিলেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রামে বিজেপি অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি দখল করবে। বোর্ড গঠনে দেখা গেল নন্দীগ্রামের দুটি পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপি দখল নেয়। সোমবার নন্দীগ্রাম-১ ও নন্দীগ্রাম-২ পঞ্চায়েত সমিতি দখল নেওয়ার পর নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে আবারও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  তিনি বলেন, তৃণমূল টাকা দিয়ে ভাঙ্গানোর যে খেলা খেলে চলেছে তার জবাব আমি দেব। কীভাবে খেলতে হয় তা আমার জানা আছে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্র থেকে ৩ লক্ষের বেশি এবং তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে ২ লক্ষের বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থীদের যদি জেতাতে না পারি, মোদিজির হাতে তুলে দিতে না পারি, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো। বিধানসভার মত লোকসভা ভোটের আগে আবারও চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এই ধরনের চ্যালেঞ্জ রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে শুভেন্দু বলেন, ৯ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী তিনটি স্লোগান দিয়েছিলেন পরিবারবাদীরা ভারত ছাড়ো, দুর্নীতিগ্রস্তরা ভারত ছাড়ো, আর তোষণবাদীরা ভারত ছাড়ো। আর ওই স্লোগানগুলিকে সফল করতেই কর্মীদের বার্তা দেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahatma Gandhi: চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে গান্ধীর স্মৃতি বিজড়িত সোদপুর খাদি প্রতিষ্ঠান

    Mahatma Gandhi: চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে গান্ধীর স্মৃতি বিজড়িত সোদপুর খাদি প্রতিষ্ঠান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চরম অবহেলায়, অনাদরে পড়ে রয়েছে মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) স্মৃতি বিজড়িত সোদপুর খাদি প্রতিষ্ঠান। অথচ বহুদিন আগেই এই প্রতিষ্ঠানটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেছেন। ফের আরও একটি স্বাধীনতা দিবস চলে এল। আজ ১৫ অগাস্ট সেখানে নিয়ম মেনে পতাকা উত্তোলন হবে। ব্যাস ওই পর্যন্ত। কিন্তু, বাস্তবে খাদি প্রতিষ্ঠানে সংস্কারে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি রাজ্য সরকার।

    কে তৈরি করেছিলেন এই খাদি প্রতিষ্ঠান? (Mahatma Gandhi)

    আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ছাত্র সতীশচন্দ্র দাশগুপ্ত এই প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিলেন। সুলেখা কালির আবিষ্কারক ছিলেন তিনি। তাঁর গবেষণা থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল। ১৯২৭ সালের ২ জানুয়ারি ১৭ বিঘের জমির উপর এই প্রতিষ্ঠান পথ চলা শুরু করেছিল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পন্ডিত মোতিলাল নেহেরু, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়সহ বহু কংগ্রেস নেতৃত্ব উপস্থিত হয়েছিলেন। খাদি ও খদ্দর শিল্পের উন্নতির জন্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বহু উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। যা পরবর্তীকালে ফলপ্রসূ হয়েছিল। এই খাদি প্রতিষ্ঠানে ১২টি উত্পাদন কেন্দ্র, ২৫টি বিক্রয় কেন্দ্র, ৪৭৫ জন তাঁতি এবং ৬৮০০টি চড়কা ছিল। এই প্রতিষ্ঠান থেকে সেই সময় প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার দ্রব্য উত্পাদন করা হত। গান্ধীজি (Mahatma Gandhi) ১৯৩৯, ১৯৪৫, ১৯৪৬ এবং ১৯৪৭ সালে এই সোদপুর খাদি প্রতিষ্ঠানে বেশ কয়েকবার এসেছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েকদিন আগে ১৯৪৭ সালের ৯ অগাস্ট বেলেঘাটা যাওয়ার আগে তিনি এই প্রতিষ্ঠানে ছিলেন। ১৩ অগাস্ট পর্যন্ত তিনি এই প্রতিষ্ঠানে ছিলেন। গান্ধীজির ছাড়াও এই প্রতিষ্ঠানে সুভাষচন্দ্র বসু, জওহরলাল নেহরু, রাজেন্দ্র প্রসাদ, মোতিলাল নেহেরু, সরোজিনী নাইডু, বিধানচন্দ্র রায়, খান আব্দুল গফ্ফর খান সহ বিশিষ্টজন এসেছিলেন। গান্ধীজির বহু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সাক্ষী রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান।

    কী বললেন খাদি প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কর্তা?

    জানা গিয়েছে, ২০০৪ সালে এই প্রতিষ্ঠানটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়। তবে, তখন সেভাবে কোনও সংস্কার করা হয়নি। গান্ধীজির নাতি গোপালকৃ়ষ্ণ গান্ধী রাজ্যপাল হিসেবে এই রাজ্যে আসলে তিনি এই প্রতিষ্ঠানটিকে সংস্কার করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। সেই সময় এই প্রতিষ্ঠানের অনেকটাই সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু, তারপর থেকে আর এই প্রতিষ্ঠানটিকে সংস্কার করার বিষয়ে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এখন বিল্ডিংয়ের বেশ কিছু জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। টালির ছাউনির বেশ কিছু জায়গায় ভেঙে গিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ভিতরে আগাছা গজিয়ে উঠেছে। এখন কার্যত ভূতুড়ে বাড়ি মনে হয়। খাদি প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কর্তা শেখর শেঠ বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। গান্ধীজি সোদপুর স্টেশন লাগোয়া এই বাড়িটিকে দ্বিতীয় বাড়ি বলে পরিচয় দিতেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংস্কার করার আশ্বাস দেওয়া হয়। বেহাল হয়ে যাওয়া ভবনের কবে সংস্কার হবে সেদিকে আমরা তাকিয়ে রয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share