Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Habra: যাদবপুরের পর হাবড়া! রাতে পাঁচিল টপকে হস্টেল ছেড়ে পালাল নবম শ্রেণির পড়ুয়া, কেন জানেন?

    Habra: যাদবপুরের পর হাবড়া! রাতে পাঁচিল টপকে হস্টেল ছেড়ে পালাল নবম শ্রেণির পড়ুয়া, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরকাণ্ডের পর এবার হাবড়ার (Habra) বাণীপুর। স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। প্রাণের ভয়ে গভীর রাতে হস্টেলের উঁচু পাঁচিল টপকে রাতের অন্ধকারে প্রায় ১০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বাড়ির দিকে পালায় ওই পড়ুয়া। কিন্তু, মাঝপথে ওই পড়ুয়াকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় পথ আটকায় বাজারের নৈশপ্রহরীরা। পরে, হাবড়া থানার পুলিশের উপস্থিতিতে রাতেই ছেলেটির বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে নিন্দার ঝড় রাজ্য জুড়ে। এরই মধ্যে হাবড়া (Habra) পুরসভার ওই স্কুলে উঠল র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ওই স্কুলের নবম শ্রেণির এক পড়ুয়া র‍্যাগিং এর শিকার হন উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের কাছে। প্রথমে ওই নবম শ্রেণির পড়ুয়াকে মারধর করা হয়। পরবর্তীতে জ্যামিতি বক্সের কম্পাস দিয়ে ওই পড়ুয়ার হাত কেটে দেওয়া হয়। এক প্রকার প্রাণ বাঁচতে বাদুড়িয়া থানার মাদ্রা এলাকার ওই পড়ুয়া গভীর রাতে হস্টেল থেকে পালিয়ে যায়। রাতের অন্ধকারে ১০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে যাওয়ার পরে হাবরা থানার কুমড়া বাজার এলাকায় বাজারের পাহারায় থাকা পাঁচ নৈশপ্রহরী যুবক স্কুল পড়ুয়ার পথ আটকায়। তখনই গোটা ঘটনা সে খুলে বলে। পরে, নৈশপ্রহরীদের পক্ষ থেকে হাবড়়া থানায় খবর দেওয়া হয়। একইসঙ্গে খবর দেওয়া হয় পড়ুয়ার বাড়িতে। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এরপরে ওই পড়ুয়াকে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়। নবম শ্রেণির পড়ুয়ার বক্তব্য, সামান্য বিষয় নিয়ে সিনিয়রা আমাদের উপর অত্যাচার করে। জল না নিয়ে আসার কারণে আমাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। কম্পাস দিয়ে আমার হাত কেটে দেওয়া হয়।

    কী বললেন নৈশ প্রহরীরা?

    হাবড়া (Habra) বাজারের দায়িত্বে থাকা নৈশ প্রহরীরা বলেন, আমরা না দেখলে হয়তো ওই স্কুল পড়ুয়ার বড় বিপদ হত। একদিকে যাদবপুরে এরকম ঘটনা ঘটেছে, সেখানে দাঁড়িয়ে কি করে একটি ছেলে র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়ে হস্টেল থেকে বেরিয়ে এত বড় পাঁচিল টপকে দশ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে এলো? এত রাতে পালিয়ে আসতে গিয়ে পথেও তো ছেলেটির বড় কোনও বিপদ হতে পারত? স্কুল এবং হস্টেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও  প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের হামলায় বিজেপি কর্মীর চোখ নষ্ট, বাড়ি ভাঙচুর

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের হামলায় বিজেপি কর্মীর চোখ নষ্ট, বাড়ি ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীকে মেরে চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার কুমারগ্রাম বিধানসভার ভাটিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের থানুপাড়া এলাকায়। জখম ওই বিজেপি কর্মীর নাম হরিশ চন্দ্র  দাস। আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতাল থেকে ওই বিজেপি কর্মীকে স্থানান্তরিত করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar)   থানুপাড়া এলাকা জুড়ে বিজেপির দলীয় পতাকা লাগানো ছিল। শনিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ তৃণমূল কর্মীরা সেই পতাকা খুলে দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে থানুপাড়ার বাসিন্দা সাধারণ বিজেপি কর্মী হরিশ চন্দ্র  দাস পতাকা খোলাতে বাধা দেন। পতাকা খোলাতে বাধা দিলেই তাঁর ওপর তৃণমূল কর্মীরা চড়াও হয়। সেসময় এলাকার আরও দুজন বিজেপি কর্মী বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তৃণমূলীরা তাঁদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আর তৃণমূলের হামলায় বিজেপি কর্মী হরিশ দাসের বাঁ চোখে গুরুতর চোট লাগে। এরপরই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। বিজেপি কর্মীরা তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে, রবিবার সকালে জেলা সদর হাসপাতাল থেকে ওই বিজেপি কর্মীকে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।  

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির কুমারগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক মনোজ ওরাও বলেন,  অত্যন্ত গরিব সাধারণ বিজেপি কর্মী হরিশ দাসের একটি চোখ নষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূলীরা। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব। ওই এলাকায় আমাদের বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে তৃণমূল। বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি কর্মী কার্তিক চন্দ্র রায়ের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁর বাড়িতে ইট,পাথর দিয়ে ঢিল ছোঁড়া হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি প্রবীর দত্ত বলেন,এটা একটা পারিবারিক বিবাদ। এই পারিবারিক বিবাদের ঘটনাকে রাজনৈতিক রঙ দিতে চাইছে বিজেপি। এই ঘটনায় বিজেপির নোংরা রাজনীতি প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dankuni: ডানকুনিকে বিশ্বমানের টার্মিনালে রূপান্তরিত করা হচ্ছে, কী কী করা হবে জানেন?

    Dankuni: ডানকুনিকে বিশ্বমানের টার্মিনালে রূপান্তরিত করা হচ্ছে, কী কী করা হবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বমানের যাত্রী টার্মিনাল তৈরির পাশাপাশি এবার দেশজুড়ে বেশ কিছু বিশ্বমানের গুডস টার্মিনাল তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে রেল মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই যার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এরাজ্যের ডানকুনি গুডস শেডকে আধুনিকীকরণ করে বিশ্বমানের টার্মিনালে রূপান্তরিত করার কাজ শুরু হয়েছে। আর তা খতিয়ে দেখতে ডানকুনি গুডস শেড পরিদর্শনে যান হাওড়া ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার সঞ্জীব কুমার ও রেলের অন্যান্য অফিসাররা। তারা গুডস শেড পরিদর্শন করে তার নকশা খতিয়ে দেখেন। তিনি বলেন, টার্মিনাল তৈরির জন্য কিছু প্রস্তাব রাখা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সে কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

    বিশ্বমানের টার্মিনালে তৈরির জন্যে কী কী কাজ করা হবে?

    ডিআরএম রেলের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে  অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ কিভাবে এগোবে সে ব্যাপারে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন যাতে এটিকে বিশ্বমানের পণ্য শেড করা যায়। পুর্ব রেল সূত্রে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সেই সব প্রস্তাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। বিশ্বমানের গুডস শেড তৈরির জন্যে ডি আর এম যে সব প্রস্তাব দিয়েছেন তার মধ্যে উল্লেখ্যোগ্য হল লোডিং বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত লাইন তৈরি করা। পাশাপাশি গাড়ি পার্কিংয়ের জন্যে আলাদা  স্থান তৈরি করা। পৃথক পৃথক প্রবেশ পথ এবং বের হওয়া পথের সুবিধা। পণ্য চালান ব্যবহারকারীদের জন্য কভারড পার্কিং। টু-হুইলারের জন্যে বিশেষ স্থান। যথাযথ ট্রাক পার্কিং সুবিধা। লেবারদের বসার জন্যে শেডে বসার আলাদা বেঞ্চ। যান্ত্রিকভাবে আনলোড করার সুবিধা।

    কী বললেন বাসিন্দারা?

    ডানকুনি গুডস শেড কলকাতা থেকে সড়কপথে প্রায় ২০ কিমি দূরে। কলকাতার এত কাছে হওয়ার জন্যে কলকাতা শহরে জিনিস আমদানি রপ্তানির জন্যে এটিকে একটি বিশ্বমানের গুডস টার্মিনাল বা হাব হিসাবে গড়ে উঠলে একদিকে যেমন শহরের যানজট কমবে, তেমনি ভিন রাজ্যের জিনিসপত্র দ্রুত পৌঁছে যাবে শহর কলকাতায়। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব দ্রুত এই বিশ্বমানের এই শেড তৈরির কাজ এগোবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই কাজ শেষ করা হবে। শহরের বাসিন্দারা জানান, কলকাতার কাছেই ডানকুনি থেকে মাত্র কুড়ি কিলোমিটার দূরে খিদিরপুর ডক। ডকে জাহাজে আসা মাল দ্রুত জাতীয় সড়ক ধরে পৌঁছে যাবে ডানকুনি গুড শেডে। তারপর তা যেমন ভিন রাজ্যে রেলপথে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। একইভাবে ডানকুনিতে আসা মালপত্র খিদিরপুর বন্দর দিয়েও রপ্তানিতে সুবিধা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: ‘‘বাংলাকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’’, তোপ জেপি নাড্ডার

    JP Nadda: ‘‘বাংলাকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’’, তোপ জেপি নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংগঠনিক বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। এদিন শাখা সংগঠনগুলির এক বৈঠক আয়োজিত হয় কলকাতায়, যার পোশাকি নাম ছিল সংযুক্ত মোর্চা সম্মেলন। সেখানেই মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। তার আগে সকালে দক্ষিণশ্বরে তিনি পুজোও দেন।

    মমতাকে তোপ বিজেপি সভাপতির

    জেপি নাড্ডা (JP Nadda) এদিন বলেন, ‘‘গতকালও বলেছি আজকেও বলছি, কয়েকটি সংবাদপত্রে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন দুর্নীতি কোথায়! আমি জানতে চাই পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ কোথায়? কোথায় আজ অনুব্রত মন্ডলের মেয়ে? তৃণমূলের নেতারা বহু কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত! তবু আপনি প্রমাণ চাইছেন মমতা দিদি?’’
     
     এদিন বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার কথা উঠে আসে জেপি নাড্ডার ভাষণে (JP Nadda)। তিনি বলেন, ‘‘২০২১ সালে ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য ১২ হাজার মামলা দায়ের করা হয়েছে। বহু মানুষ এখনও পর্যন্ত ঘরছাড়া। এমনকি সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত ভোটে যে হিংসা হয়েছে তা সবাই দেখেছে। আর মমতা দিদি আপনি দেশের গণতন্ত্রের কথা বলছেন! আগে আপনি বাংলার দিকে তাকান।’’  

      অন্যদিকে মোদি সরকারের উন্নয়নের গতিকেও রোধ করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমন অভিযোগও তোলেন নাড্ডা (JP Nadda)। তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালুতে সরকারিভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ২১ লক্ষ পরিবারকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনতে চেয়েছিল, আয়ুষ্মান যোজনার মাধ্যমে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাতে বাধা দেয়।’’ জেপি নাড্ডার (JP Nadda) আরও সংযোজন, ‘‘বিগত ৪০-৫০ বছরে বাংলায় কংগ্রেস শাসন হোক বা কমিউনিস্ট শাসন হোক বা তৃণমূল শাসন হোক কেউই বাংলাকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে কোনও কিছু বাকি রাখেনি। যে বাংলা বিশ্বকে একসময় পথ দেখিয়েছিল, সেই বাংলা আজ মমতা সরকারের অধীনে এসেছে। দুর্ভাগ্যবশত গত চার পাঁচ দশকে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন হয়নি।’’

     প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি যে ভালো ফল করবে তাও এদিন জেপি নাড্ডার (JP Nadda) ভাষণে উঠে আসে এবং তিনি বলেন, ‘‘সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য আপনারা একটা প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারেন। আসুন আমাদের সংগঠনের সংখ্যালঘু এবং আদিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করি। আমি এখানে যে উপস্থিতি এবং উদ্দীপনা দেখছি তাতে আমি নিশ্চিত যে বাংলায় পরিবর্তন খুব তাড়াতাড়ি আসবে।’’ এই সময় সভাগৃহ করতালিতে ফেটে পড়ে, সেটার উল্লেখ করে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, ‘‘করতালির বজ্রধ্বনি বলছে আপনারা অঙ্গীকার নিয়েছেন যে আপনারা দলকে সফল করবেন এবং বাংলায় পদ্ম ফোটাবেন।’’

    সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেন নাড্ডা (JP Nadda)

    বিজেপির দু’দিনের পূর্বাঞ্চলীয় পঞ্চায়েতি রাজ পরিষদের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবারই রাজ্যে পা রেখেছেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। রবিবার সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিলেন বিজেপি নেতা। মন্দির থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘এই মন্দির স্বামী বিবেকানন্দের জায়গা, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জায়গা। এখানে এসে দলের মঙ্গল চাইলাম, দেশের ভাল চাইলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে ভগবানের আর্শীবাদ চাইলাম, যাতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নত ভারত গঠিত হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student death: যাদবপুরে সামনের সপ্তাহেই আসছে ইউজিসির অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি

    JU Student death: যাদবপুরে সামনের সপ্তাহেই আসছে ইউজিসির অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরের সপ্তাহেই যাদবপুরে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি আয়োগের (UGC) অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির সদস্যরা। আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরীণ কমিটির (ICC) বিশেষ বৈঠক হবে। এরপর ইউজিসির অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির কাছে সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। যাদবপুরের মেইন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যুর (JU Student death) ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে এবার ইউজিসি তদন্তে নেমে পড়ল। কীভাবে হয়েছে ছাত্রের মৃত্যু! র‍্যাগিং ক্যাম্পাসে কতটা সক্রিয়! হস্টেলগুলিতে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা কতটা সুরক্ষিত! সব কিছুর তদন্ত হবে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদের একাংশ। তবে যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা যে ইউজিসির উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভিসি আনন্দ বোস বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন। উচ্চ পর্যায়ের অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি তৈরির বিশেষ ভাবনাচিন্তা প্রকাশ করেছেন তিনি।

    কার মা বললেন আমার ছেলে র‍্যাগিংয়ের শিকার (JU Student death)?

    স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে (JU Student death) র‍্যাগিং-এর অভিযোগে ধৃত সৌরভ চৌধুরীও শিকার হয়েছিল র‍্যাগিং-এর! এমন চাঞ্চল্যকর দাবি যাদবপুর কাণ্ডে ধৃত সৌরভ চৌধুরীর মা প্রণতি চৌধুরীর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কি র‍্যাগিংয়ের আঁতুড় ঘর? সৌরভের মায়ের মন্তব্যে উঠছে এমনই প্রশ্ন! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্যজনক মৃত্যুর পর কার্যত তোলপাড় সারা রাজ্য। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে হস্টেলে অত্যাচারের তত্ত্ব। এই কাণ্ডে ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে চন্দ্রকোনার সৌরভ চৌধুরী সহ আরও দুজন। আরও বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে সন্দেহভাজনদের তালিকায়, এমন তথ্য যখন প্রকাশ্যে আসছে, তখন চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন সৌরভের মা প্রণতি চৌধুরী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এই সৌরভের ওপরও হয়েছে র‍্যাগিং। কর্তৃপক্ষকে তৎকালীন সময়ে জানিও মেলেনি কোনও সুরাহা। কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করত তাহলে আজ স্বপ্নদীপের মতো তাঁর ছেলেকে মর্মান্তিক পরিণতির শিকার হতে হতো না! সাফ দাবি সৌরভের মায়ের।

    কী বললেন মা?

    ধৃত সৌরভের মা প্রণতি চৌধুরী রবিবার চন্দ্রকোনায় দাঁড়িয়ে বলেন, “ছেলে যখন পড়াশোনা করত তখন ফোন করলেই বলতো র‍্যাগিং এর কথা, সহ্য করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না তার কাছে।” উল্লেখ্য, যাদবপুর কাণ্ডের (JU Student death) ধৃত সৌরভ বরাবরই মেধাবী ছাত্র ছিল। উচ্চ মাধ্যমিকেও যথেষ্ট ভালো ফল করেছে সৌরভ। মেদিনীপুর কলেজে প্রথমে অংক নিয়ে পড়াশোনা, পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পাশ। ডাব্লু বিসিএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখছিল সে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ju Student Death: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে নদিয়ায় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন, কী বললেন?

    Ju Student Death: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে নদিয়ায় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন, কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর (Ju Student Death) নদিয়ার বাড়িতে যান পশ্চিমবঙ্গের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপের মৃত্যুকে পকসো আইনের অধীনে আনার দাবি করল পশ্চিমবঙ্গের শিশু সুরক্ষা কমিশন। কমিশনের চেয়ারপার্সন। রবিবার নদিয়ায় স্বপ্নদীপের বাড়িতে মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। 

    কী বললেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন?

    স্বপ্নদীপের (Ju Student Death) বয়সের উল্লেখ করে শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন বলেন, এই ঘটনা পকসো আইনের অধীনে পড়ে। স্বপ্নদীপের ১৮ বছর বয়স হয়নি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ৯ মাস ৯ দিন। তাই এই ঘটনায় পকসো আইনে বিচারের দাবি করা হয়েছে। পরে, অনন্যা আরও বলেন, ছেলেটিকে উলঙ্গ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। ওর দেহে সিগারেটের ছ্যাঁকা ছিল। ও নিজেও ফোন করে ভাইকে জানিয়েছিল, ওকে সমকামী বলা হচ্ছে। তাই এটি যৌন নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ে। পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকেও আক্রমণ করেছেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন। তিনি বলেন, যাদবপুর কি অন্য কোনও গ্রহ? দেশের আর পাঁচটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নিয়ম আছে, এখানে তা মানা হবে না কেন? কেন ক্যাম্পাসে, হস্টেলে সিসি ক্যামেরা থাকবে না? আমরা যখন সিসিটিভি বসাতে বলেছিলাম, ওখানকার এক অধ্যাপক ফুটপাতে ক্লাস নিতে শুরু করেন। ওখানে সিনিয়র এবং প্রাক্তনিদের দাদাগিরি চলে। কেউ তাঁদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পান না। এর আগে প্রাক্তন উপাচার্য সুরঞ্জন দাসও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অধ্যাপক এবং পড়ুয়ারা এর বিরোধিতা করেছিলেন। তাই আজকের ঘটনায় কেউ দায় এড়াতে পারে না। সিসিটিভি থাকলে আমরা জানতে পারতাম হস্টেলে কী হয়েছিল। সকলের হাতেই রক্তের দাগ লেগে আছে। সকলেই আমাদের আতশকাচের নীচে। আমরা পৃথক ভাবে ঘটনার তদন্ত করছি।

    ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে ধৃত দুই পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর (Ju Student Death) ঘটনায় তদন্তে নেমে ফের দুই জনকে গ্রেফতার  করা হল। ধৃতদের মধ্যে মনোতোষ ঘোষের বাড়ি আরামবাগ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। মৃত পড়ুয়ার বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডুর  অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে গ্রেফতার করে মনোতোষ ঘোষকে। মনোতোষের মা বলেন, ছেলের সঙ্গে প্রতিদিন কথা হত। স্বপ্নদীপ বেড না পেয়ে একদিন আমার ছেলের ঘরে ছিল। সেই সূত্রে পরিচয় হয়েছিল। তার বেশি কী হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। প্রত্যেকদিনই মনোতোষ বাড়িতে ফোন করতো একটা কথাই বলতো তোমাদের কোনও ভয় নেই। পুলিশ হয়তো কিছু জিজ্ঞাসার জন্য ডাকতে পারে। যাদপবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার  হওয়া দুই ছাত্রের মধ্যে একজন বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দা। নাম দীপশেখর দত্ত। শহরের মাচানতলার ফেমাস হোটেলের গলির বাসিন্দা দীপশেখর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোনমিক্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত। তাঁর বাবা মধুসুদন দত্ত পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে তা আমি সমর্থন করি না। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার করেছে ছেলেকে। এবার পুরোটাই আইনি বিষয়।তবে, আমি মনে করি ছেলে এই ঘটনায় যুক্ত নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: র‍্যাগিং কি মানসিক রোগ? কেন হয় র‍্যাগিং? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    JU Student Death: র‍্যাগিং কি মানসিক রোগ? কেন হয় র‍্যাগিং? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল পেরিয়ে কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন শুরুর সময় অনেক নতুন ধাপ আসে! আর তার মধ্যে কমবেশি সকলের কাছেই পরিচিত হয়ে ওঠে একটি শব্দ, সেটা হল র‍্যাগিং! কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে র‍্যাগিংয়ের শিকার হন নতুন ভর্তি হওয়া পড়ুয়ারা। দীর্ঘদিন এই র‍্যাগিং প্রক্রিয়াকে মজা বলা হলেও, তাকে কেবল মজা বলে মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষত, ভারতের মতো দেশে যেখানে প্রতি বছর কয়েকশো পড়ুয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হেনস্থার শিকার হন। এ রাজ্যের পরিস্থিতি দেশের মধ্যে সবচেয়ে উদ্বেগজনক। এমনটাই জানাচ্ছে ইউজিসি’র (ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন) রিপোর্ট। সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ দাসের মৃত্যু (JU Student Death) ফের প্রকাশ্যে আনল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হেনস্তার পিছনে থাকে মানসিক বিকার!

    রাজ্যে র‍্যাগিং রোগ কতখানি ভয়াবহ? 

    ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, র‍্যাগিংয়ের অভিযোগের নিরিখে দেশের প্রথম তিন রাজ্যের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গ তালিকার উপরের দিকে রয়েছে। সম্প্রতি অভিযোগ (JU Student Death) আরও বেড়েছে। ওই রিপোর্ট থেকে জানা যায়, প্রতি বছর গড়ে ৪৭৫-৫০০টি অভিযোগ জমা পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার অভিযোগও জানান ভুক্তভোগীরা। তাই পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই র‍্যাগিং রোগ জাঁকিয়ে বসেছে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

    র‍্যাগিং কাকে বলে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, র‍্যাগিং হল এক ধরনের হেনস্তা। কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া নতুন পড়ুয়াদের পরিচয় পর্বের নামে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনকেই র‍্যাগিং বলা হয়। এটা এক ধরনের কুপ্রথা। যেমন, নানান সামাজিক হেনস্তা দীর্ঘদিন ধরে মজা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। ঠিক সেরকমই এই কুপ্রথাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের নিছক মজা বলেই চালানো হয়। কিন্তু র‍্যাগিং হল এক ধরনের অপরাধ।

    মানসিক সমস্যা থেকেই হেনস্তার ইচ্ছে তৈরি হয়? 

    মনোরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অপরাধ মনস্ক মানসিকতা থেকেই তৈরি হয় হেনস্তার ইচ্ছে। নতুন ভর্তি হওয়া অধিকাংশ পড়ুয়ার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে মানিয়ে নিতে সময় লাগে। নতুন পরিবেশে তুলনামূলক তারা দুর্বল। তাই তাদের উপর নানান অত্যাচার (JU Student Death) করা যাবে, এই ভাবনা থেকেই র‍্যাগিং হয়। আর এই ভাবনা সুস্থ মানসিকতার লক্ষণ নয় বলেই মনে করছেন মনোরোগ চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেমন অনেকেই শিশুদের মারধর করেন। অনেক ধরনের রাগ কিংবা হতাশার বহিপ্রকাশ ঘটান বাড়িতে শিশুদের মারধর করে। শিশুরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সেই মারধরের তৎক্ষণাৎ প্রতিরোধ করতে পারবে না, সেই ভাবনা থেকেই অনেকেই বাড়ির শিশুদের মারধর করেন। র‍্যাগিং অনেকটাই সেরকম। নানান হতাশা ও অবসাদ থেকে একটা পাল্টা আক্রমণের ইচ্ছে তৈরি হয়। আর তুলনামূলক দুর্বলের উপরে তা প্রয়োগ সহজ। তাই সদ্য আসা পড়ুয়ারাই হয় টার্গেট।

    র‍্যাগিংয়ের প্রভাব কতখানি সুদূরপ্রসারী হতে পারে? 

    যেসব পড়ুয়ারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ভয়ানক অভিজ্ঞতা (JU Student Death) ভোগ করেন, সাধারণত তাদের মনে এর ভয়ঙ্কর গভীর প্রভাব পড়ে বলেই জানাচ্ছেন মনোরোগ চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকের মানসিক স্থিতি চিরকালের জন্য চলে যায়। আর যারা পরিস্থিতি সাময়িক সামলে নেন, তাদের মনেও এই হেনস্তার দীর্ঘপ্রসারী প্রভাব পড়ে। আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যায়। অনেকের চিরকালীন ট্রমা তৈরি হয়। যা অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ পায়। এক ধরনের মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয়।

    র‍্যাগিং হলে কী আইনি অধিকার রয়েছে? 

    আইনজীবীরা জানাচ্ছেন, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের হেনস্তার (JU Student Death) করা যেতেই পারে। কারণ, তারা দুর্বল, এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। র‍্যাগিং হলে পড়ুয়ারা কী ধরনের আইনের সাহায্য পাবেন এবং যারা র‍্যাগিং করবে, তারা কী শাস্তি পেতে পারেন, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি। আইন অনুযায়ী, কোনও ছাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে কিংবা হস্টেলে কোনও রকম হেনস্তার শিকার হলে, তা শারীরিক হোক কিংবা মানসিক, লিখিত অভিযোগ দায়ের করবে। শুধুমাত্র সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকেই নয়। প্রয়োজনে সরাসরি ইউজিসি-র অ্যান্টি র‍্যাগিং সেলে যোগাযোগ করবেন। সেখানেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা যায়। এই ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের উচ্চশিক্ষা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। রেজাল্ট আটকে রাখা যেতে পারে। এমনকি জেলও হতে পারে। অভিযুক্তের পাশপাশি সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারে ইউজিসি। আইনজ্ঞরা জানাচ্ছেন, র‍্যাগিং সামাজিক ব্যাধি এবং আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। সে সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। সেই সচেতনতা প্রসারের দায়িত্ব সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের। সেই দায়িত্ব পালনে ঘাটতি থাকলে এই সামাজিক ব্যাধি আরও প্রকট হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে বোর্ড গঠনের পরই তৃণমূলের জয়ী সদস্যদের গণইস্তফা, কেন জানেন?

    Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে বোর্ড গঠনের পরই তৃণমূলের জয়ী সদস্যদের গণইস্তফা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের মাদারের সঙ্গে যুব সংগঠনের বিবাদ। যার জেরে মাদার সংগঠনের নির্বাচিত সদস্য সদস্যাসহ অঞ্চল সভাপতি গণ ইস্তফা দিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের বার্ণিশ অঞ্চলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অঞ্চলে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন দলীয় বিভিন্ন পদ থেকে  ইস্তফা দিয়েছেন। 

    কেন ইস্তফা?

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ি বার্ণিশ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২৪ টি আসনের মধ্যে ১৮ টি আসনে জয় পেয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নেয় তৃণমূল। গত বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠনের দিন এই গ্রামপঞ্চায়েতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠির সংঘর্ষ হয়। ওই দিন রাতে তৃণমূলের কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। দলের এক অংশের অভিযোগ, প্রধান পদের জন্য অঞ্চল কমিটির থেকে সর্বসন্মতিক্রমে বৈঠক করে ৩ জনের নাম জেলা নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হলেও সেই তালিকার বাইরে থাকা বিগত দশ বছরের প্রধান কল্যাণী তরফদার দেবনাথকে প্রধান করার জন্য জেলা নেতৃত্বের থেকে খামবন্ধ চিঠি দিয়ে অঞ্চলে নাম পাঠানো হয়। কিন্তু,কল্যাণী তরফদার দেবনাথকে প্রধান পদে মানতে নারাজ ছিলেন অধিকাংশ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। বোর্ড গঠনের দিন পুলিশ ও ব্লক প্রশানের উপস্থিতিতে কয়েক জন তৃণমূলের নেতা ও কর্মী বেআইনিভাবে অঞ্চল অফিসের ভিতর প্রবেশ করে কল্যাণী তরফদার দেবনাথকে প্রধান পদে সমর্থন করার জন্য হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি চাপ সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ। ওই দিন যুব তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থাকা এক অংশের হাতে প্রকাশ্যে আক্রান্ত হন অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি দেবদুলাল বৈদ্য। মারধর করা হয় এক পঞ্চায়েত সদস্যের দাদা ক্ষুদিরাম রায় ও এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের স্বামী সদানন্দ সরকার সহ বেশ কয়েকজনকে। এর প্রতিবাদে ময়নাগুড়ি রোড দুর্গাবাড়িতে জড়ো হন বার্ণিশ অঞ্চল তৃণমূল নেতৃত্বের একটি বড় অংশ। তাদের সঙ্গে এই অঞ্চলের শতাধিক তৃণমূল কর্মী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে অঞ্চলের মোট ২১ জন বুথ সভাপতির প্রত্যেকে, তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হওয়া ১৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য, ৩ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, অঞ্চল কমিটির ৪২ জন সদস্যের প্রত্যেকে দল থেকে পদত্যাগ করেন। জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ও অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি নিগ্রহের সঙ্গে যুক্তদের শাস্তির দাবিতে  বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা।

    কী বললেন ইস্তফা দেওয়া জয়ী সদস্য এবং তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের নব নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যা অভিযোগ করেন, “দলের কিছু কর্মী আমাকে প্রতিনিয়ত বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের হুমকি ও আমার স্বামীকে খুনের হুমকি দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এভাবে দল করা যায় না। তাই ইস্তফা দিলাম।” বার্ণিশ অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি দেবদুলাল বৈদ্য। দেবদুলালবাবু বলেন, “জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল করছি। এত বছরে বিরোধীরা পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে কোনওদিন কোনও দুর্নীতির অভিযোগ করেনি। সেখানে দলের কিছু কর্মীর হাতে প্রকাশ্যে হেনস্থা হওয়ায় মানসিকভাবে অত্যন্ত বিদ্ধস্ত অবস্থায় আছি। আমার নিজেরই কোনও নিরাপত্তা নেই। কর্মীদের নিরাপত্তা দেব কীভাবে? তাই দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিলাম। গণ ইস্তফার ঘটনায় জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা জুড়়ে চর্চা শুরু হয়েছে।”

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী?

    এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, “দলের শীর্ষ নেতৃত্বের থেকে প্রধান, উপ প্রধানদের নাম পাঠানো হয়েছে। জেলা নেতৃত্বের থেকে কিছু ঠিক হয়নি। এই নিয়ে বিভিন্ন ব্লকে কর্মীদের মধ্যে অনেক বিভ্রান্তি আছে। যে সমস্যা রয়েছে তা দলের সৈনিকদের দলের অভ্যন্তরে আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়া উচিত। দলের ভাবমূর্তিকে রাস্তায় নিয়ে এসে এইভাবে প্রতিবাদ করা শোভা পায় না।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election: বোর্ড গঠনের পরই তৃণমূলের জয়ী সদস্যকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন

    Gram Panchayat Election: বোর্ড গঠনের পরই তৃণমূলের জয়ী সদস্যকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Gram Panchayat Election) বোর্ড গঠন চলাকালীনও ফের খুনের ঘটনা ঘটল। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার নাম শেখ সাহেব আলি। হাড়োয়ার সামলার পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন শেখ সাহেব। দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে এই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরে অঞ্চল সভাপতির বাড়ি থেকে মোটরবাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন শেখ সাহেব আলি। সামলা বাজার এলাকায় ঢুকতেই বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে। তাঁকে টেনে নামানো হয় মোটরবাইক থেকে। তারপর মাটিতে ফেলে পর পর গুলি করা হয় তাঁকে। পালাবার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু, গুলি লাগতেই ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন সাহেব আলি। দুটি গুলি লাগে তাঁর মোটরবাইকেও। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেন হাড়োয়া থানায়। জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election) শনিবার প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন ছিল। সেই পদে দাবিদার ছিলেন সাহেব আলি। কিন্তু, তিনি জয়ী হতে পারেননি। তারপর ভোরে বাড়ি ফেরার পথে সামলাবাজার এলাকায় তাঁকে লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, অন্তত পাঁচ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, আট রাউন্ড গুলি চলে। সাহেবকে রীতিমতো ঘিরে ধরে গুলি করা হয়। আর তারপর চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় রাস্তায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বসিরহাটের হাড়োয়া থানার খাসবালান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামলা এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হল?‌ তার উত্তর খোঁজা হচ্ছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই খুনের পিছনে রয়েছে রাজনীতিই। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হচ্ছে তাঁর দলের লোকজনকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shibpur: শিবপুরে দোকান দখল করে তৃণমূল নেতার  জুলুমবাজি, সুবিচারের আশায় অসহায় প্রৌঢ়া

    Shibpur: শিবপুরে দোকান দখল করে তৃণমূল নেতার জুলুমবাজি, সুবিচারের আশায় অসহায় প্রৌঢ়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার জুলুমবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এক অসহায় প্রৌঢ়া। খোদ রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয় নবান্নের কাছেই শিবপুরে (Shibpur) ওই অসহায় প্রৌঢ়ার দোকান ঘর দখল করে রাখার অভিযোগ উঠল শাসক দলের হাওড়ার এক দাপুটে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবান্ন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে হাওড়ার শিবপুর (Shibpur) মন্দিরতলার ক্ষেত্রমোহন ব্যানার্জি লেনে বসবাস করেন পঞ্চাশোর্ধ কৃষ্ণা সেন ও তাঁর দিদি মীরা সেন। বছর পাঁচেক আগে তাঁদের পৈত্রিক বাড়ি ভেঙে বহুতল তৈরি হয়। নতুন বাড়িতে চুক্তিমতো দুটি ফ্ল্যাট ও একটি দোকান ঘর পান তাঁরা। গত বছর ২০২২ সালের জুন মাসে স্থানীয় প্রাক্তন পৌর প্রতিনিধি ও বর্তমান হাওড়া পৌর নিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য দিলীপ ঘোষ সাধারণ মানুষকে ত্রিপল বিতরণ করার কথা বলে এক মাসের জন্য কৃষ্ণা দেবীর থেকে দোকান ঘরটি নেন। তারপর থেকে বছর ঘুরে গেলেও আজও সেই দোকান ফেরত পাননি কৃষ্ণাদেবী। তিনি বিভিন্ন জায়গায় বারংবার অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও এই নিয়ে তিনি দিলীপবাবুকে বললেও তিনি দোকান ছাড়তে চাননি। বরং দোকানটিতে দিলীপ বাবু নিজের হাতে তালা লাগিয়ে দেন। এমনকী দোকান ঘরের তালা খোলার জন্য স্থানীয় এক তালাচাবি তৈরির শ্রমিকের সঙ্গে কৃষ্ণাদেবী যোগাযোগ করলে সেই তালাচাবি বিক্রেতাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেয় দিলীপবাবুর অনুগামীরা। এ নিয়ে ইতিমধ্যে স্থানীয় শিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন কৃষ্ণা সেন। পুলিশ গিয়ে ঘুরে গেলেও এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি।

    কী বললেন অসহায় প্রৌঢ়া?

    কৃষ্ণাদেবী বলেন, ওই তৃণমূল নেতা একমাসের জন্য ঘরটি নিয়েছিল। কিন্তু, এক বছর হতে চলল ঘর ছাড়ার কোনও নাম নেই। আমার ঘর ও তালা দিয়ে রেখেছে। শিবপুর (Shibpur) এলাকাজুড়ে দাদাগিরি চালাচ্ছে। জোর করে আমার দোকান ঘর ও দখল করে রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, আমার শেষ জীবনের সম্বলটুকু যদি তিনি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।

    কী বললেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা?

    এই বিষয় নিয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, কৃষ্ণাদেবী চাইলেই তিনি তাঁর দোকান তাকে ফেরত দিয়ে দেবেন। তবে, তিনি কেন দোকানে তালা দিয়েছেন অথবা কেন তিনি নিজেই এক মাসে পর দোকানটি ছেড়ে দিলেন না তা নিয়ে কোনও সদুত্তর তিনি দেননি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share