Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • ED-CBI: ‘ইডি-সিবিআই স্বাধীনভাবেই কাজ করছে’, কলকাতায় বললেন জিতেন্দ্র সিং

    ED-CBI: ‘ইডি-সিবিআই স্বাধীনভাবেই কাজ করছে’, কলকাতায় বললেন জিতেন্দ্র সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি সরকারের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করে না, শনিবার কলকাতায় এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। সিবিআই এবং ইডি (ED-CBI) সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। প্রসঙ্গত রাজ্যে একাধিক দুর্নীতিতে তদন্ত করছে ইডি-সিবিআই। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার মামলায় রাজ্যের একাধিক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী জেলে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হওয়া শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে, বলতে গেলে জেলে রয়েছে তৃণমূল সরকারের গোটা শিক্ষা দফতর। অন্যদিকে গরু পাচার মামলায় তিহাড়ে বন্দি রয়েছেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ইডি-সিবিআইকে। এদিন কলকাতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা সেই অভিযোগকেই খণ্ডন করতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে।

    কী বললেন জিতেন্দ্র সিং? 

    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এদিন বলেন, ‘‘পূর্বতন ইউপিএস সরকার রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে সিবিআই এবং ইডিকে (ED-CBI) ব্যবহার করত। যাঁরা এখন বলছেন যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে সরকার, তাঁরা মনগড়া কথা বলছেন।’’ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘ইউপিএ সুরেই তাঁরা কথা বলছেন, যাঁরা মনে করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে সরকার নিয়ন্ত্রণ করে।’’  জিতেন্দ্র সিং এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘ইউপিএ জমানাতে যেভাবে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে সিবিআই এবং ইডিকে (ED-CBI) ব্যবহার করা হতো, সেই কারণেই মহামান্য  সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে খাঁচা বন্দি তোতা পাখি বলে উল্লেখ করেছিল।’’

    মোদি জমানায় দেশ এগিয়ে চলেছে

    জিতেন্দ্র সিং এদিন আরও বলেন, ‘‘মোদি জমানায় দেশ নতুনভাবে, নতুন পথে এগিয়ে চলেছে। সম্পূর্ণভাবে সংবিধানকে মর্যাদা দিয়ে সমস্ত রকম কাজ করা হচ্ছে। সিবিআই-ইডির (ED-CBI) মতো সংস্থাগুলি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে।’’ প্রসঙ্গত, কলকাতায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। তিনি আরও বলেন, ‘‘আপনারা মনে করুন ২০১৪ সালের আগে সিবিআই কিভাবে তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করত!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ju Student Death: যাদবপুরকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ২, ধৃতদের মধ্যে স্বপ্নদীপের রুমমেটও

    Ju Student Death: যাদবপুরকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ২, ধৃতদের মধ্যে স্বপ্নদীপের রুমমেটও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরকাণ্ডে (Ju Student Death) আরও দু’ জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে ধৃতদের নাম মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্ত। এরা দুজনেই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। শুক্রবার রাতেই সৌরভ চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। হস্টেলের প্রাক্তনী সৌরভকে জেরা করেই এই দুজনের নাম পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শনিবার রাতভর জেরা করা হয় মনোতোষ এবং দীপশেখরকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপশেখর বাঁকুড়ার বাসিন্দা, তার বয়স ১৯ বছর। যাদবপুরে তিনি অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অন্যদিকে মনোতোষ হুগলির আরামবাগের বাসিন্দা। তার বয়স কুড়ি বছর। হস্টেলের ১০৪ নম্বর ঘরে মনোতোষ থাকেন এবং এখানেই থাকছিলেন স্বপ্নদীপ।

    ঘটনার রাতে স্বপ্নদীপের ফোন কেড়ে নেওয়া হয়

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপের অস্বাভাবিক মৃত্যু (Ju Student Death) হয় বৃহস্পতিবার ভোরে। শুক্রবার রাতেই এই ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার করা হয় হস্টেলের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে। শনিবারে আলিপুর আদালতে তাকে হাজির করা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে যে বুধবার রাতে স্বপ্নদীপকে তার পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। এবং তার ফোনটিও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। স্বপ্নদীপের বাবা অভিযোগ করেন, এসব কিছুর নেপথ্যে সৌরভই ছিল। বুধবার রাতে স্বপ্নদীপকে ফোন করেছিলেন তাঁর মা। কিন্তু সেই ফোন তাকে তুলতে দেওয়া হয়নি। তা সৌরভের নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে দাবি করেছেন স্বপ্নদীপের বাবা। কিন্তু যতক্ষণ স্বপ্নদীপ কথা বলতে পেরেছিল ফোনে, ততক্ষণে সে আর্তনাদ করে গিয়েছিল বলে দাবি পরিবারের। সে বারবার বলছিল আমি এখানে ভালো নেই (Ju Student Death)। আমাকে এখান থেকে নিয়ে চলো। আমার ভয় করছে।

    র‍্যাগিং নিয়ে কী বলছেন স্বপ্নদীপের সহপাঠী

    স্বপ্নদীপের (Ju Student Death) এমন পরিণতি হতেই র‍্যাগিং নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে। ইতিমধ্যে রাজ্যপাল র‍্যাগিং বিরোধী কমিটি গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছেন। র‍্যাগিং নিয়ে এবার মুখ খুললেন স্বপ্নদীপের সহপাঠী। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক সেই সহপাঠীর দাবি, হস্টেলের ভিতরে সিসিটিভি না থাকার সুবিধা নিয়ে মদ-গাঁজায় আসক্ত থাকতেন সিনিয়ররা। জুনিয়রদের ফাই ফরমাস খাটানো হতো। জুনিয়ররা বড় চুল বা দাড়ি রাখতে পারতেন না। নিজের ঘর ছাড়া অন্য কোথাও ফোনে কথা বলার সুযোগ ছিল না। সিনিয়রদের জন্য মদ, খাবার, সিগারেট এনে দিতে হতো।  ওই পড়ুয়ার আরও দাবি যে স্বপ্নদীপের সঙ্গে তাকেও একদিন ইন্ট্রোতে ডাকা হয়েছিল। রাত এগারোটা থেকে ভোর সাড়ে পাঁচটা অবধি জাগিয়ে রাখা হতো। সিনিয়ররা কেউ নিজের নাম বা রুম নাম্বার বলতেন না। সেটা জেনে নিতে হতো। হাতে বিয়ারের খালি বোতল ধরিয়ে তাতে জল আনতে বলা হতো এবং সেই জলভরা বিয়ারের বোতল হাতে ছবি তোলা হতো। তারপর ব্ল্যাকমেইল করা হতো তা ফেসবুকে পোস্ট করা হবে বলে। মাঝরাতে খাবার আনতে বলা হতো। বাইরে থেকে সেই খাবার নিয়ে স্বপ্নদীপের সহপাঠী যখন আসে তখন তাকে মদ খেতে বলা হয়। সে অস্বীকার করলে বলা হয় এবার মাথায় ঢেলে দেব।

    ঠিক কী হয়েছিল স্বপ্নদীপের সঙ্গে

    ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে স্বপ্নদীপের র‍্যাগিং নিয়ে একটি চ্যাট (মাধ্যম এর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি)। ওই চ্যাট অনুযায়ী স্বপ্নদীপের সমপ্রেমী বলে খেপানো হতো। তাকে শুধু গামছা পরিয়ে রাখা হতো এবং তার পুরুষাঙ্গ উত্থিত করতে বলা হতো (Ju Student Death)। চাপে পড়ে স্বপ্নদীপের তাই করে। কিন্তু তারপরেও সিনিয়ররা হাসাহাসি করতে থাকে। এর পরেই সহ্য করতে না পেরে ঝাঁপ দেয় সে (Ju Student Death)। আরও জানা গিয়েছে, প্রতি রাতে নিয়মিতভাবে সিনিয়রদের কাছে ইন্ট্রো দিতে হতো। হোস্টেলের এক একটি ব্লকে এক একদিন সময় আসতো ইন্ট্রো দেওয়ার। এই সময় কাছে মোবাইল ফোন রাখা যেত না। বিবস্ত্র হয়ে কিংবা শুধুমাত্র অন্তর্বাসটুকু পড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। এর পাশাপাশি চলতো নানান ধরনের গালিগালাজ, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Gram Panchayat Election: হাওড়ার সাঁকরাইলে গোপন ব্যালটে বাজিমাত, বোর্ড গঠন বিজেপির

    Gram Panchayat Election: হাওড়ার সাঁকরাইলে গোপন ব্যালটে বাজিমাত, বোর্ড গঠন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত  নির্বাচনের দিন (Gram Panchayat election) এবং গণনার দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হাওড়ার সাঁকরাইলের সারেঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েতে বেশ কয়েকটি আসনে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সাঁকরাইলে পঞ্চায়েতে গণনাকেন্দ্রে ঝামেলার পর থেকে সারেঙ্গা পঞ্চায়েত খবরের শিরোনামে চলে আসে। এবার সেই পঞ্চায়েতে বোর্ড করল বিজেপি।

    কীভাবে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করল বিজেপি? (Gram Panchayat election)

    নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সারেঙ্গার ৬টি আসনে পুনরায় ভোট হবে। তবে, তারমধ্যেই সারেঙ্গা পঞ্চায়েতে যে কটি আসনে ফলাফল বের হয়েছিল, সেই জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে শনিবার বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন মোট ২৪টি আসনের মধ্যে ১৮টির ফল বের হয়েছে। যার মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৬টি আসন আর সিপিএম ও আইএসএফ জোট পেয়েছে ৭টি আসন। তৃণমূল জয়লাভ করে ৫টি আসনে। বোর্ড গঠনের শুরুতেই বিজেপির পক্ষ থেকে প্রধান এবং উপপ্রধানের নাম প্রস্তাব করা হয়। সিপিএম-এর তরফেও প্রধান এবং উপপ্রধানের নাম প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু, শাসকদলের পক্ষ থেকে কোনও নাম প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। ভোটাভুটির মাধ্যমে বিজেপি প্রধান এবং উপপ্রধান ঠিক হয়। গোপনে ভোট হয়। তাতে বিজেপি প্রার্থীদের পক্ষে সমর্থন বেশি হয়। প্রধান হন বিজেপির সুজাতা টকাল ও উপপ্রধান বিজেপির দীপা নস্কর। সারেঙ্গা পঞ্চায়েত (Gram Panchayat election) দখলে নেয় বিজেপি।

    বিজেপির বোর্ড দখল নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই ঘটনায় বামেদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে তৃণমূল সামনে থেকেই একপ্রকার বিজেপিকে সমর্থন করল। বামেদের তরফে বিজেপি ও তৃণমূলের গোপন আঁতাতের দিকে আঙুল তোলা হয়েছে। যদিও এখনও ৬টি আসনে ভোট বাকি আছে। তাই নির্বাচনের (Gram Panchayat election) দিন ঘোষণা হলে কী হয়, সেই দিকে তাকিয়ে সাঁকরাইলবাসী। বিজেপি জানিয়েছে, গোপনে ভোট হয়েছে। কে সমর্থন করেছে তা জানি না। তবে, ভোটে আমরা জয়ী হয়েছি। অন্যদিকে তৃণমূলের বক্তব্য, গোপনে ভোট হয়েছে। তাই, কে ভোট দিয়েছে বলা সম্ভব নয়। ভোটাভুটিতে বিজেপি এগিয়ে যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “চব্বিশের আগে সিএএ করেই ছাড়বো” হুঙ্কার সুকান্ত মজুমদারের

    Howrah: “চব্বিশের আগে সিএএ করেই ছাড়বো” হুঙ্কার সুকান্ত মজুমদারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিএএ আজ নয় কাল হবেই। হাওড়ায় (Howrah) পঞ্চায়েতি রাজের এক অনুষ্ঠানে, প্রত্যেক দেশবাসীকে ২৪ এর লোকসভার আগে সিএএ (CAA) করে ছাড়বো বলে হুঙ্কার দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। লোকসভা ভোটের আগে ফের শোরগোল সিএএ নিয়ে।

    কোথায় বললেন সুকান্ত (Howrah)?

    হাওড়ার (Howrah) বাগনানের নাওপালায় একটি বেসরকারি পাঁচতলা হোটেলে উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্যের জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং সহকারী সভাধিপতিদের নিয়ে পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলন উপলক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা সুকান্ত মজুমদার বলেন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জিপি নাড্ডা এবং এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    সুকান্ত কী বললেন?

    সুকান্ত মজুমদার হাওড়ায় (Howrah) বলেন, পশ্চিমবঙ্গের জন্য এটা বিরাট সম্মানের ব্যাপার এত সন্ত্রাস, এত অত্যাচারে ভোট লুট হওয়ার পরেও, এই ক্ষেত্রীয় পঞ্চায়েত পরিষদ, পঞ্চায়েত রাজ পরিষদের জন্য পশ্চিমবঙ্গকে বেছে নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপির পক্ষ থেকে। এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে প্রধানমন্ত্রী ও সভাপতির মার্গ দর্শন।

    প্রধানমন্ত্রীর কথা সুকান্তের কণ্ঠে

    সুকান্ত মজুমদার এইদিন প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বক্তব্যের অংশ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর মার্গ দর্শনে ভার্চুয়ালি আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাসের মোকাবিলা করে আমাদের কার্যকর্তারা প্রায় ১২ হাজার পঞ্চায়েতের সিটে জয়লাভ করেছেন, তার জন্য বিশেষ অভিবাদন জানিয়েছেন। ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গের কর্মীদের লড়াইকে তিনি কুর্ণিশ জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উন্নয়নের প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে সব রাজ্য এগিয়ে যাচ্ছে এবং পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৪০ লক্ষ ঘর আমরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসীদের দিতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভারতবর্ষ অতি গরিব যাঁদের বলা হতো সেই অতি গরীবরা এক শতাংশের নিচে চলে এসেছে। ২৩ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশের নিচে চলে এসেছে বিপিএল তালিকা ভুক্ত মানুষ। এই সাফল্যগুলোকে আরও ত্বরান্বিত করার জন্য জেলা পরিষদ থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের স্তর পর্যন্ত সকলকে আরও সক্রিয় হতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ভাবনাকে নীচু স্তর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে সেই জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।

    সরব বিজেপি নেতা অনুপম হাজরাও

    পাশাপাশি বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা এই সভায় (Howrah) উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেছেন যে তৃণমূলের ভোট লুটেরা যখন ভোট লুটতে এসেছে জনগণ তখন জবাব দিয়েছে। কয়েক জায়গায় দেখা গিয়েছে লাইট পোস্টে ভোট লুণ্ঠনকারীদের মারধর করা হয়েছে। এরপর আরও বলেন, আমি জনগণের কাছে আবেদন করছি, ভোট আপনাদের নিজেদের। ভোটাধিকার প্রয়োগ যদি না করতে পারেন! যদি শুনেন যে আপনাদের ভোট তৃণমূলের দাদা বা দিদিরা দিয়ে দিয়েছেন, তাহলে যে ওষুধে রোগ তাড়াতাড়ি সারে সেই ওষুধই প্রয়োগ করুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থীর ‘উইনিং সার্টিফিকেট’ বাতিল করল রায়গঞ্জ আদালত, কেন জানেন?

    Raiganj: তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থীর ‘উইনিং সার্টিফিকেট’ বাতিল করল রায়গঞ্জ আদালত, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের এক জেলা পরিষদ প্রার্থীর ‘উইনিং সার্টিফিকেট’ বাতিল করল রায়গঞ্জ (Raiganj) জেলা আদালত। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদের ২০ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে। এই আসনে জয়ী হন তৃণমূলের প্রার্থী সেলিমা খাতুন। এই আসনের বিজেপি প্রার্থী রমা বর্মন তৃণমূলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

    কেন তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা?

    জানা গিয়েছে, তৃণমূল প্রার্থী সেলিমা খাতুন জলসম্পদ দফতরের (গ্রুপ ডি) চুক্তিভিত্তিক কর্মচারি। পঞ্চায়েত আইনে কোনও সরকারি দফতরের গ্রুপ ডি পদে চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা ভোটে দাঁড়াতে পারবে না বলে জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। সেই মতো বিজপির পক্ষ থেকে রায়গঞ্জ (Raiganj) জেলা আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। শুক্রবার রায়গঞ্জ জেলা আদালতের বিচারপতি পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী ওই তৃণমূল প্রার্থীর ‘উইনিং সার্টিফিকেট’ কোথাও দেখাতে কিংবা জমা করতে পারবে না বলে রায় দেন। আইনজীবী উৎপল কুমার বাগচী বলেন, ‘হেমতাবাদ ২০ নং জেলা পরিষদ আসনের তৃণমূল প্রার্থী সেলিমা খাতুন জলসম্পদ দফতরের গ্রুপ ডি ক্যাজুয়াল স্টাফ। সে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না, এই মর্মে মামলা দায়ের করে রমা বর্মন। জেলা আদালতের বিচারপতি ওই প্রার্থীর উইনিং সার্টিফিকেট কোথাও ব্যবহার করতে পারবে না বলে রায় দিয়েছেন। কার্যত তা বাতিল করা হল।’

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য অভিজিৎ যোশি বলেন, ‘মনোনয়ন জমা করার সময় আমরা জানতে পারি নির্বাচন কমিশনের যে গাইডলাইন, তাতে বলা আছে কোনও সরকারি কর্মচারি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আমরা জানতে পারি তৃণমূল প্রার্থী একজন গ্রুপ ডি কর্মী। সরকারি কর্মচারি হয়ে নমিনেশন ফাইল করেছেন, তখন আমরা রায়গঞ্জে (Raiganj) আদালতের দ্বারস্থ হই। তারই স্থগিতাদেশ হয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্ক্রুটিনিতেও কি করে বিষয়টি ধরা পড়লো না এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ-সাজসের অভিযোগ আনেন তিনি।

    তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীর স্বামী কী বললেন?

    সেলিমা খাতুনের স্বামী মজিবুর রহমান বলেন, আমার কাছে এ ধরনের কোনও তথ্য এখনও পৌঁছায়নি। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমার স্ত্রীর নমিনেশন যদি অবৈধ হত তাহলে তা  স্ক্রুটিনিতেই ধরা পড়ত। তাঁকে উইনিং সার্টিফিকেট নির্বাচন কমিশন দিয়ে দিয়েছে। বিজেপি যেখানে ভোটে লড়াই জিততে পারে না সেখানে হয়তো আমাদেরই কিছু লোক তাদের সঙ্গে মিলে এ সমস্ত অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। আর যদি সত্যিই কোর্টের এমন কোনও নির্দেশ আমার কাছে আসে তাহলে আমরাও আইনি পথে লড়ব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election: মগরাহাটে দলীয় নেতার বিরুদ্ধে অবস্থান বিক্ষোভে তৃণমূল কর্মীরা, কেন জানেন?

    Gram Panchayat Election: মগরাহাটে দলীয় নেতার বিরুদ্ধে অবস্থান বিক্ষোভে তৃণমূল কর্মীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের নির্দেশকে অমান্য করে গ্রাম পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election) প্রধান গঠনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এরই প্রতিবাদে শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পূর্ব বিধানসভার মুলটি অঞ্চলের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা।

    গ্রাম পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election) প্রধান গঠনকে কেন্দ্র করে ঠিক কী অভিযোগ?

    গত ১০ তারিখ মগরাহাট পূর্ব বিধানসভার মুলটি গ্রাম পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election) প্রধান গঠনের দিন ধার্য হয়েছিল। আর এই প্রধান গঠনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল গোটা এলাকায়। পাশাপাশি ভোটাভুটির মাধ্যমে জয়ী প্রার্থী নাসির মণ্ডলকে প্রধান না করায় এদিন তৃণমূল বিধায়িকার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে দলেরই কর্মী সমর্থকরা। মূলত মগরাহাট পূর্ব বিধানসভার মুলটি পঞ্চায়েতের প্রধানের পদটি জেনারেল। সেখানেই দলীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেয় ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রধানের জন্য নাম মনোনীত হবে। আর সেখানেই দলের নির্দেশ মতো বিধায়িকার উপস্থিতিতে প্রধানের পদের জন্য জয়যুক্ত হয় নাসির মণ্ডল। কিন্তু, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করতে গিয়ে দেখা যায়, মুলটি অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নির্দেশকে অমান্য করে কালিদাস নস্কর নামে এক ব্যক্তিকে প্রধান করেন। এরপরই বিক্ষোভে সামিল হন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকেরা। মূলত মুলটি অঞ্চলের ২৩ টি আসন ছিল। যারমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ১৬ টি, বিজেপি পাঁচটি ও সিপিএম দুটি আসন দখল করেছিল। তবে, এ নিয়ে মগরাহাট পূর্বের বিধায়িকা নমিতা সাহা জানিয়ে ছিল দলের নির্দেশ যারা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেবে এবং সাসপেন্ডও করা হতে পারে।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা?

    দলের নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষুব্ধ দলেরই একাংশ। পঞ্চায়েত অফিসের সামনে প্যান্ডেল করেই তৃণমূল কর্মীরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। তৃণমূল যুব নেতা আনিসুর রহমান বলেন, দলের নির্দেশ অমান্য করেই গ্রাম পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election) প্রধান নির্বাচিত করা হয়েছে। আমরা এই প্রধানকে মানি না। দলের নির্দেশ মেনে যাকে প্রধান করা হয়েছিল, তাকেই দায়িত্ব দিতে হবে। না হলে আমাদের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Medical student death: নিমতায় আরজিকরের ডাক্তারি পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য

    Medical student death: নিমতায় আরজিকরের ডাক্তারি পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিমতার দক্ষিণ গোলবাগানের বাসিন্দা বছর ২৩ এর শুভ্রজ্যোতি দাস আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পড়ুয়া। এই জুনিয়র চিকিৎসকের (Medical student death) মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। কাকা জানিয়েছেন, শুভ্রজ্যোতি মানসিক অবসাদের মধ্যে ছিলো। পরিবারে শোকের ছায়া। 

    কীভাবে মৃত্যু (Medical student death)?

    মানসিক অবসাদে ভোগা এই জুনিয়র চিকিৎসকের মৃত্যুকে (Medical student death) কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন উঠেছে। সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার শেষবারের মতো পরিবারের লোকেরা তাকে দেখতে পান। এরপর বুধবার তার আর কোন খোঁজ পাননি। বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের লোকেরা জুনিয়র ডাক্তারের ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সে অচৈতন্য অবস্থায় বিছানার ওপরে পড়ে রয়েছে। তড়িঘড়ি তাকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। ওইদিন গভীর রাতে তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।

    পরিবারের দাবি

    পরিবারের কাকা স্বপন দাস বলেন যে মেধাবী ছাত্র শুভ্রজ্যোতি ডাক্তারিতে প্রবেশ পাওয়ার পর থেকেই নার্ভের সমস্যায় ভুগছিলো। করোনার পর থেকেই তা বাড়তে থাকে এবং এক প্রকার মানসিক অবসাদে চলে যায় সে। বাড়িতে কারও সঙ্গে সেভাবে কথা বলত না। নিজের পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকত সে। এর জন্যই কেউ তাকে বিরক্ত করত না। বুধবার তার কোনও খোঁজ না মেলায়, বৃহস্পতিবার সকালবেলা পরিবারের তরফে তার ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করা হয়। প্রথমে বাড়ির লোক সফল না হলেও দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় ঘরে প্রবেশ করেন এবং তারপরে তাঁরা শুভ্রজ্যোতিকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই ওইদিন গভীর রাতে তার মৃত্যু (Medical student death) হয়। এই ঘটনায় তার পরিবার শোকেমগ্ন।

    মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

    কী কারণে জুনিয়ার ডাক্তারের মৃত্যু (Medical student death) হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। সে কি অত্যধিক পরিমাণে ঘুমের ওষুধ খেয়েছে কি না! ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই তা পরিষ্কার হবে। পরিবারের সূত্রে দাবি, অবসাদ কাটানোর উপায় এবং ডাক্তারি ক্ষেত্রে কীভাবে সাফল্য পাওয়া যায়? তা নিয়ে সে নেটে সার্চ করত সে। বেশ কয়েকবার পরিবারের লোক শুভ্রজ্যোতির মোবাইল ঘেঁটে এমনই তথ্য পেয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোটেও শুভেন্দুর ক্যারিশমায় ফের নন্দীগ্রামে বাজিমাত বিজেপির

    Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোটেও শুভেন্দুর ক্যারিশমায় ফের নন্দীগ্রামে বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রাম বিধানসভায় গ্রাম পঞ্চায়েত গঠনে এগিয়ে রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর পিছিয়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম বিধানসভায় মোট ১৭ টি অঞ্চল। এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাখির চোখ ছিল নন্দীগ্রাম। রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চার বিষয় ছিল এই বিধানসভা এলাকা। পঞ্চায়েত ভোটে একে অপরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল দুই পক্ষ। এবারের গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে বাজিমাত করল বিজেপি।

    কোন কোন গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল বিজেপি?

    শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নন্দীগ্রামবাসী কতটা ভরসা করে তা বিধানসভার পর এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রমাণিত হয়ে গেল। নন্দীগ্রামের ১৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১ টি বিজেপির। আর ৬ টি  পঞ্চায়েত দখলে রয়েছে তৃণমূলের। ১০টি অঞ্চল বিজেপির দখলে এবং একটি অঞ্চল কালীচরণপুর অঞ্চলে প্রধান ওবিসি সংরক্ষিত হওয়ায় বিজেপির জয়ী প্রার্থী প্রধান নির্বাচিত হন। কালীচরণপুরে একক সংখ্যা গরিষ্ঠ থাকা স্বত্বেও সংরক্ষণের জন্য এই অঞ্চলে বিজেপির প্রধান হন দীপালি দাস। পাশাপাশি আমদাবাদ অঞ্চলে তৃণমূলের পূর্ণচন্দ্র মণ্ডল বিজেপিতে যোগদানের জন্য ২ আগষ্ট আবেদন করেন। এবং ১১ আগষ্ট বোর্ড গঠনের আগে সকাল বেলা পূর্ণ বাবু গোপনে বিজেপিতে যোগদান করে। বোর্ড গঠনে তৃণমূল প্রধান হিসেবে পূর্ণ বাবুর নাম প্রস্তাব করে। আর বিজেপি কারও নাম প্রস্তাব না করে পূর্ণ বাবুকে সমর্থন করে। ফলে, বোর্ড গঠন বিজেপির হয়। এছাড়া ভেকুটিয়া, নন্দীগ্রাম, হরিপুর, গোকুলনগর, সোনাচূড়া, বয়াল-১, বয়াল-২, খোদামবাড়ি-২, বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, নন্দীগ্রামের মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ করেছে। তাই এবারে গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি গঠন করতে পেরেছে। সম্প্রতি বিজেপির জয়ী সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেছিলেন, সংখ্যালঘু এলাকায় সংগঠন তৈরি করার কথা বলেন পাশাপাশি সংখ্যালঘুরা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে সে দিকেও নজর রাখতে হবে। সেই দিকে নজর দিয়ে হরিপুর অঞ্চলে বিজেপি প্রধান করে সংখ্যালঘু মহিলা জয়নব বিবি। ২০২৩ এর গ্রাম পঞ্চায়েতকে ভর করে ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের দিকে এগোতে চাইছে বিজেপি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন,মানুষ রায় দিয়েছে আমরা মাথা পেতে নিয়েছি। কিন্তু, বিজেপি ভোটে এখানে সন্ত্রাস করেছে, ছাপ্পা দিয়ে জিতেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Weather: ঘূর্ণাবর্তের জের, শনি ও রবিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে

    West Bengal Weather: ঘূর্ণাবর্তের জের, শনি ও রবিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওয়া অফিসের সূত্রে জানা গিয়েছে বিহার ও উত্তরপ্রদেশের উপর বর্তমানে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। মৌসুম ভবন (West Bengal Weather) বলছে বিহারের ঘূর্ণাবর্ত থেকে একটি অক্ষরেখা দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে বিস্তৃত আবার মৌসুমী অক্ষরেখা উত্তরবঙ্গের বালুরঘাট হয়ে পূর্বদিকে মণিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত। আবহাওয়া অফিসের মতে, রবিবার বাংলাদেশের উপর তৈরি হবে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত। ঠিক এই কারণেই শনি ও রবিবার অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গে এবং দক্ষিণবঙ্গের রয়েছে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। অন্তত আলিপুর আবহাওয়া দফতর এমনটাই জানাচ্ছে। 

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    হাওয়া অফিস (West Bengal Weather) জানাচ্ছে শনিবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ভিজবে মাটি। বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগণার মতো জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অন্যান্য জেলার তুলনায় অনেকটাই বেশি হবে। রবিবারও ভারী বৃষ্টির দাপট বজায় থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে, শনি ও রবিবার রাজধানী কলকাতাতে মেঘলা আকাশ দেখা যাবে এবং আগামী দুই তিন দিন কলকাতাতেও বৃষ্টির পরিমাণ (West Bengal Weather) কিছুটা বাড়বে বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শনিবার কলকাতাতেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২৬ ডিগ্রি। বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৭ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৭৩ শতাংশ।

    আরও পড়ুুন: বিএড নয়, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সুযোগ কেবল ডিএড, ডিএলএড-দের, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া (West Bengal Weather)?

    আলিপুর আবহাওয়া অফিস (West Bengal Weather) বলছে, শনিবার থেকে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই জেলাগুলি হল দার্জিলিং, কালিম্পং আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি। শনিবার অতিভারী বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ রয়েছে। এছাড়া ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায়। এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রবিবারও বৃষ্টির দাপট চলবে উত্তরবঙ্গে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Cooch Behar: বিকট শব্দে কাঁপল গোটা এলাকা, কোচবিহার জুড়ে আতঙ্ক, কী বললেন এলাকাবাসী?

    Cooch Behar: বিকট শব্দে কাঁপল গোটা এলাকা, কোচবিহার জুড়ে আতঙ্ক, কী বললেন এলাকাবাসী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। কোচবিহার (Cooch Behar) শহরসহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা শব্দ শুনতে পান। শব্দের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল শহরবাসীর ধারণা হয়, বোমা বিস্ফোরণের আওয়াজ। শুক্রবার বিকেল সওয়া ৪টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারে। বিষয়টি জানাজানি হতেই বিকট আওয়াজের শব্দের উৎস খোঁজা শুরু করে পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু, শনিবার দুপুর পর্যন্ত সঠিক তথ্য তারা দিতে পারেনি।

    কী বললেন এলাকাবাসী?

    শুক্রবার বিকেলে আচমকা বিকট শব্দে কেঁপে উঠল কোচবিহার (Cooch Behar)। সেই শব্দের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, মাটিও কেঁপে উঠেছে বলে দাবি শহরবাসীর। শুধু কোচবিহার শহরই নয়, আশপাশে ৩০-৩৫ কিলোমিটার দূরে দিনহাটা এবং মাথাভাঙা মহকুমাতেও জোরালো শব্দ শুনতে পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। যেন মিসাইল আছড়ে পড়েছে, কিংবা ভেঙে পড়েছে কোনও মিগ বিমান, এমনই ধারণা হয় এলাকাবাসীর। পুলিশ সূত্রেই খবর, মূল কোচবিহার শহর থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরেও সেই শব্দ শোনা গিয়েছে। শব্দের তীব্রতা অনুভূত হয়েছে দিনহাটা, মাথাভাঙার বেশ কয়েকটি গ্রামেও। যার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এরকম বিকট শব্দ আগে কখনও শোনা যায়নি। আওয়াজের দাপটে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। তবে, এরকম আওয়াজ কীভাবে ঘটল তা স্পষ্ট করে কেউ কিছু বলতে পারেনি। ফলে, এলাকায় চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরাও এই ধরনের শব্দ কোথায় থেকে হল তা সঠিকভাবে বলতে পারছে না। ফলে, সমস্ত বিষয়টি নিয়ে চরম ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

    কী বললেন কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা পুলিশ প্রশাসনের এক আধিকারিক?

    স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর দশেক আগে আলিপুরদুয়ারে একবার মিগ বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছিল। এ বারও সেই একই ঘটনা ঘটেছে কি না, তা আলোচনা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। তবে, ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও এই শব্দের সূত্র কোথায় তা জানা যায়নি। কারণ, কোনও বিমান ভেঙে পড়া বা বোমা বিস্ফোরণের তথ্য শনিবার দুপুর পর্যন্ত সামনে আসেনি। কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, কোথাও কোনও ঘটনা ঘটেনি। সম্ভবত এটি মেঘ ফাটার (ক্লাউড বার্স্ট) শব্দ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share