Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Nadia: নদিয়ায় নির্দল সমর্থককে বন্দুকের বাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে

    Nadia: নদিয়ায় নির্দল সমর্থককে বন্দুকের বাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্দল করার অপরাধে, এক ব্যক্তিকে ঘর থেকে বের করে, বন্দুকের বাট দিয়ে পিটিয়ে খুন করল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) নাকাশীপাড়া থানার বীরপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। রাজ্যের ভোট পরবর্তীকালে নির্দল সমর্থকের খুনের ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা।

    কেন খুনের অভিযোগ (Nadia)?

    সুত্রের খবর, নদিয়ার (Nadia) বীরপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সারবাড়ি এলাকায় খুন হওয়া নির্দল সমর্থকের নাম খবির শেখ। সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি ওই এলাকার নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে কাজ করেছিলেন। সেই কারণে ওই এলাকার শাসকদলের দুষ্কৃতীদের চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন খবির। আরও জানা যায়, আগেও একাধিকবার খুনের হুমকি দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা তাঁকে। কিন্তু তৃণমূল না করে, ভোটের সময় কেবল নির্দল প্রার্থীকেই সমর্থন করেছেন খবির শেখ।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে প্রতিদিনের মতো ঘরে বসে সকলে মিলে ভাত খেতে বসেছলেন খবির। ঠিক তখনই ১০-১২ জনের তৃণমূল আশ্রিত এক দুষ্কৃতী দল, তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। এরপর তাঁকে ঘর থেকে টেনে হিচড়ে বাইরে বের করে নিয়ে আসে। এরপরই চলে বন্দুকের বাট দিয়ে বেধড়ক মারধর। মারধর করতে করতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন খবির। আতঙ্কিত পরিবারের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে এলাকাবাসী ছুটে এলে, ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর আশঙ্কা জনক অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় (Nadia) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য

    নির্দল সমর্থক খবির শেখের মৃত্যুর বিষয়ে ওই এলাকার এক বাসিন্দা আসমান শেখ বলেন, তিনি নির্দলএর কর্মী ছিলেন। সেই কারণেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে বাড়ি (Nadia) থেকে বের করে বেধড়ক মারধর করে। আর এই মারধরের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই প্রশাসন অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

    পুলিশের ভূমিকা

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করে দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনা রীতিমতো শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। ভোট পরবর্তী কালে এখনও পর্যন্ত ৫৫ জনের প্রাণ গেছে। গতকাল নদিয়ায় আরও এক জনের প্রাণ গেল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah Station: প্রি-পেইড বুথ চিরতরে বন্ধ, হাওড়া স্টেশনে ট্যাক্সি পেতে নাজেহাল হচ্ছেন যাত্রীরা

    Howrah Station: প্রি-পেইড বুথ চিরতরে বন্ধ, হাওড়া স্টেশনে ট্যাক্সি পেতে নাজেহাল হচ্ছেন যাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রী দুর্ভোগ এবং ট্যাক্সি চালকদের যথেচ্ছাচার কমাতে কয়েক বছর আগে হাওড়া (Howrah Station), শিয়ালদহ, কলকাতা স্টেশন, এমনকী কলকাতা বিমানবন্দরে চালু হয় প্রি-পেইড ট্যাক্সি বুথ। সেখান থেকে লাইন দিয়ে টিকিট কেটে ট্যাক্সিতে চড়তেন যাত্রীরা। এবার সেই দিন শেষ। তার বদলে রাজ্য সরকারের তৈরি করা ওলা-উবেরের মতো ‘অ্যাপ’-এ (Yatri Sathi) বুকিং করে তবেই ট্যাক্সি চড়তে পারবেন যাত্রীরা। এর ফলে চড়া দামের টিকিট কেটে ট্যাক্সিতে চড়তে হবে বলে যাত্রীদের আশঙ্কা। গত পাঁচ জুলাই থেকে রাজ্য সরকার এই সমস্ত জনবহুল স্টেশনে এই পরিষেবা চালু করেছে। তার বদলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রি-পেইড ট্যাক্সি বুথ। এতে একদিকে যেমন চরম দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা, একইভাবে বেশি ভাড়া দিয়ে তাঁদের গন্তব্যে যেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। হাওড়া স্টেশনের পুরনো এবং নতুন কমপ্লেক্সের বাইরে দুটি করে চারটি এই ধরনের প্রি-পেইড ট্যাক্সি বুথ ছিল। যেখান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ট্যাক্সি বুকিং করে গন্তব্যে যেতেন। বর্তমানে সেখানে প্রি-পেইড ট্যাক্সি বুথে তালা লাগানো। তার বদলে যাত্রীদের নিজেদেরই মোবাইল ফোনে ‘অ্যাপ’ ইন্সটল করে বুকিং করতে হচ্ছে ট্যাক্সি।

    অনেকেই পড়ছেন সমস্যায় (Howrah Station)

    যাত্রীরা জানিয়েছেন, তাঁদের অনেকের কাছেই অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন নেই। ফলে তাঁরা ট্যাক্সি বুকিং (Howrah Station) করতে না পেরে বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছেন এবং বাসে করে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। তাতে তাঁরা খুবই সমস্যায় পড়েছেন। অন্যদিকে যাঁরা ওই অ্যাপ দিয়ে ট্যাক্সি বুকিং করছেন তাঁরা জানিয়েছেন, আগে প্রি-পেইড ট্যাক্সি বুথে একটি নির্দিষ্ট ভাড়ার তালিকা ছিল। সেই অনুযায়ী ভাড়া দিতে হত। কিন্তু বর্তমানে হাওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে কোনও গন্তব্যে গেলে যে ভাড়া দেখাচ্ছে, একই সময় সেই গন্তব্য থেকে হাওড়া ট্যাক্সিস্ট্যান্ড পর্যন্ত আলাদা ভাড়া দেখাচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভাড়া অনেকটাই বেশি। বিশেষ করে রাতের দিকে ভাড়ার অনেকটাই তারতাম্য দেখা যাচ্ছে। যাত্রীদের দাবি, তাঁদের স্বার্থে নিদিষ্ট ভাড়ার তালিকা তৈরি করা হোক।

    কীভাবে চলছে কাজ (Howrah Station)?

    পরিবহণ কর্মীরা জানিয়েছেন, স্মার্টফোনে প্রথমে যাত্রীকে ওই যাত্রী সাথী (Yatri Sathi) নামে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। এরপর বুকিং করলে একটি ওটিপি নম্বর পাওয়া যাবে। সেই ওটিপি নম্বর ড্রাইভারকে দেখালে তবেই গাড়িতে ওঠা যাবে। আপাতত এই ধরনের সিস্টেম চালু হয়েছে হাওড়া স্টেশন (Howrah Station), শিয়ালদা স্টেশন, কলকাতা বিমানবন্দর, সাঁতরাগাছি স্টেশন এবং কলকাতা স্টেশনে। এখন সমস্যা দেখা দেওয়ায় ওই বুথ থেকেই যাত্রীদের স্মার্টফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বুথের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। যাত্রীদের বুকিং পেতে বেশ কিছুটা সময় লাগছে। আবার যদি কোনও যাত্রীর স্মার্টফোন না থাকে, তাহলে বুথ থেকেই ট্যাবের মাধ্যমে বুকিং করে দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকেই ওটিপি নাম্বার ড্রাইভারকে দিয়ে যাত্রীদের ট্যাক্সিতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। ওই কাজে হাওড়া সিটি পুলিশের ট্রাফিক অফিসার এবং কনস্টেবল ছাড়াও সিভিক ভলান্টিয়াররা সাহায্য করছেন। অনেক যাত্রী প্রি-পেইড সিস্টেম ভালো ছিল বলে মন্তব্য করলেও বেশিরভাগ যাত্রী জানিয়েছেন, এতে তাঁদের ভালো হয়েছে। চালকরাও জানিয়েছেন, তাঁদের সুবিধা হয়েছে। তবে এই সিস্টেমের মাধ্যমে যাত্রী ভাড়া বেড়েছে গড়ে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI-ED: আসানসোল কোর্টে চলা কেষ্টর মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার আর্জি ইডির

    CBI-ED: আসানসোল কোর্টে চলা কেষ্টর মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার আর্জি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের শুনানি চলছিল আসানসোল বিশেষ সিবিআই (CBI-ED) আদালতেও। এবার এই মামলাটি দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে স্থানান্তরিত করার আবেদন জানাল ইডি (CBI-ED)। কেন্দ্রীয় সংস্থা আর্জি জানিয়েছে, তাদের এবং সিবিআইয়ের করা মামলাটি এক জায়গায় আনা হোক এবং তা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে স্থানান্তরিত করা হোক। সেখানেই চলুক মামলার বিচারপ্রক্রিয়া। ইডির এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী আগামী ১৯ অগাস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন। দিল্লিতে মামলা স্থানান্তর হলে সাক্ষ্যগ্রহণও দিল্লিতে হবে। অর্থাৎ এখানকার সাক্ষীদের শুনানির দিনগুলিতে দিল্লি উড়ে যেতে হবে।

    কী বলছেন কেষ্টর আইনজীবী?

    শুক্রবার কেষ্টর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ বলেন, ‘‘গরু পাচারের যে মামলাটি চলছে আসানসোল বিশেষ সিবিআই (CBI-ED) আদালতে, সেটি স্থানান্তরিত করার আবেদন জানানো হয়েছে। দিল্লির রাউজ এভিনিউ আদালতে যেখানে ইডির মামলা চলছে সেখানে স্থানান্তরিত হবে মামলাটি।’’ তবে মামলা স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, ‘‘আমরা আপত্তি জানাব। তার কারণ, এই মামলা দিল্লিতে চলে গেলে সাক্ষীদের দিল্লিতে যেতে হবে সাক্ষ্য দিতে। সমস্ত নথিও দিল্লিতে নিয়ে যেতে হবে। তাই আমরা আপত্তি জানাব। সরকার মনে করলে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতকে ইডির (CBI-ED) বিশেষ আদালত হিসেবেও ব্যবহার করতে পারে। যদি তাই হয়, তা হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে অনেকটা। এখন দেখার আসানসোলের বিচারক কী রায় দেন বা সরকার কী পদক্ষেপ করে।’’

    তিহাড় জেলে বন্দী রয়েছেন কেষ্ট

    গত বছরের ১১ অগাস্ট গ্রেফতার (CBI-ED) হন অনুব্রত। চলতি বছরের মার্চ মাসে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় দিল্লিতে। সেখানে অনুব্রতর সঙ্গে রয়েছেন একদা তাঁর সহকারী সায়গল। তিহাড়ে রয়েছেন গরু পাচার মলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হক এবং ধৃত বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার। পাশাপাশি কেষ্ট কন্যাও বর্তমানে রয়েছেন তিহাড়ে। একাধিকবার তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: এসএসসি-র ‘দুর্নীতি-তালিকা’য় পার্থ ঘনিষ্ঠ সাইনা সুলতানার নাম, তীব্র চাঞ্চল্য

    Hooghly: এসএসসি-র ‘দুর্নীতি-তালিকা’য় পার্থ ঘনিষ্ঠ সাইনা সুলতানার নাম, তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গতকাল একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ৯০৭ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। এই তালিকায় এবার ৬০৯ নম্বরে নাম পাওয়া গেছে হুগলির (Hooghly) জেলা পরিষদে নব নির্বাচিত সাইনা সুলতানার। এই নিয়ে জেলায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    কে এই সাইনা সুলতানা (Hooghly)?

    সুত্রের খবর, প্রথমে সাইনা সুলতানা বাঁকুড়ার রাঙামাটি উদ্বাস্তু কলোনি হাইস্কুলে চাকরি করতেন। কিন্তু পরে হুগলির (Hooghly) রাজহাটি বন্দর হাইস্কুলে যোগদান করেন। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। এছাড়াও ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত হুগলি জেলা পরিষদের সাধারণ সদস্য ছিলেন। স্কুল সার্ভিস কমিশন একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির যে ৯০৭ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে এই তৃণমূল নেত্রীর নাম রয়েছে। সূত্রের খবর আরও পাওয়া গেছে, জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই তৃণমূল নেত্রী সাইনা সুলতানা।

    কী বলছেন সাইনা সুলতানা

    সাইনা সুলতানা (Hooghly) সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমি ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছি। আমার নাম তালিকায় কীভাবে এল, আমি জানি না। আমি তৃণমূল করি বলে আমার সম্পর্কে অপপ্রচার করা হচ্ছে।

    তৃণমূল ঘনিষ্ঠ আর কার নাম রয়েছে?

    এসএসসিতে কার্যত চুরি করে যে চাকরি হয়েছে, তা সিবিআইয়ের তদন্তে খুব স্পষ্ট হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কমিশন ৯০৭ জনের নাম প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে যেমন হুগলির (Hooghly) তৃণমূল নেত্রীর নাম এসেছে, তেমনি আবার ৩০০ নম্বরে নাম রয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রাক্তন সভাধিপতি কবিতা বর্মণেরও। ২০১৮ সাল থেকে জেলার তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছিলেন তিনি। বালিজান হাই স্কুলের কবিতা বর্মণ বাংলার শিক্ষিকা ছিলেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি পরীক্ষায় পাশ করে চাকরি করছি। তিনি, ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ১২৮ নম্বর র‍্যাঙ্ক করেন। ৫৫ নম্বরের মধ্যে ৫৩ পেয়েছেন তিনি। সিবিআই তদন্ত করে জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে কমিশনের দেওয়া চাকরির প্রার্থীদের ওএমআর সিটে নম্বর বদল করে, দুর্নীতি করে চাকরিতে নিয়োগ করছে। এছাড়াও এমন অনেকেই রয়েছেন যারা, সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কমিশনের দেওয়া তালিকায় তৃণমূল নেতাদের নাম ক্রমশ প্রকাশ হওয়ায় রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।    

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ৫৫ দিন উপাচার্যহীন! বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট আটকে বিক্ষোভ, উত্তাল ক্যাম্পাস

    Nadia: ৫৫ দিন উপাচার্যহীন! বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট আটকে বিক্ষোভ, উত্তাল ক্যাম্পাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দ্বিতীয় দিন। মোহনপুর (Nadia) বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন চলছে। গেটের বাইরে আটকে রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা। প্রায় ৫৫ দিন উপাচার্যহীন হয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। অধিকাংশ বিভাগ খোলা থাকলেও ক্লাস হচ্ছে না বলে অভিযোগ। আর তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনকে স্বাভাবিক করতে ছাত্রদের দাবি ঘিরে উত্তাল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

    কেন অচলাবস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Nadia)?

    উপাচার্য নেই, তাই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (Nadia)। ক্যাম্পাস খোলা থাকলেও উপাচার্য না থাকায় কোনও বিভাগের ক্লাস ঠিকঠাক হচ্ছে না। তাই গতকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা উপাচার্য নিয়োগ এবং আরও একাধিক দাবিতে বিক্ষোভ আন্দোলন করেছেন। আচার্য হিসাবে রাজ্যপালের কাছে অবিলম্বে উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানান ছাত্ররা। এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু আধিকারিক, শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারীরা অংশ গ্রহণ করেছেন। ছাত্ররা যখন ক্যাম্পাসের গেটের কাছে অবস্থান করছিলেন, সেই সময় অন্য কেউই ভিতর থেকে বাইরে এবং বাইরে থেকে ভিতরে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। আর তার ফলেই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ছাত্রদের দাবি, যতক্ষণ না লিখিত আকারে আশ্বাস দেওয়া হবে এবং দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ না করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

    ছাত্রদের মূল দাবি

    বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনের নেতা বিবেকান্দ মাইতি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের (Nadia) প্রত্যেক ছাত্রই সর্ব ভারতীয় পরীক্ষা দিয়ে এখানে পড়াশুনা করতে এসেছেন। এই বছর যাঁরা ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁরা ঠিক সময়ে মার্কশিট পাচ্ছেন না। বিভিন্ন বিভাগে প্রত্যেক দিনের গবেষণার কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। গবেষণাগারে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নেই। হস্টেলের পরিকাঠামো ঠিকঠাক নেই। তাই অবিলম্বে এই অচলাবস্থা কাটাতে রাজ্যপালের কাছে আমরা উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানাই।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের (Nadia) এক সরকারি আধিকারিক বলেন, সত্যি অনেকদিন ধরে ক্যাম্পাসে উপাচার্য নেই। প্রশাসনিক কাজকর্ম চালাতে একপ্রকার অসুবিধাই হচ্ছে। আমরাও সরকারকে বলেছি, দ্রুত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ ইডির! ২০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ

    Kalighater Kaku: সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ ইডির! ২০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করল ইডি। গ্রেফতারির ৫৯ দিনের মাথায় এই চার্জশিট পেশ করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মোট ১২৬ পাতার এই চার্জশিটে কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে তদন্তকারী সংস্থা। যারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ২০ কোটি টাকার তছরূপের অভিযোগ। জানা গিয়েছে, নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন কালীঘাটের কাকু। প্রিভেনশন অফ কোরাপশন অ্যাক্টের ৪ নম্বর ধারায় চার্জশিট জমা দেয় ইডি।

    কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) বিরুদ্ধে  চার্জশিট পেশ করল ইডি

    এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে এই চার্জশিট পেশ করে ইডি। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে ১২৬ পাতার চার্জশিটে রয়েছে প্রায় ৭০০০ পাতার নথি। এদিন ট্রাঙ্কে করে কাগজ এনে তা জমা দেন ইডির অফিসাররা। সূত্রের খবর, সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ এনেছে ইডি। সুজয়কৃষ্ণ দুটি সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। চার্জশিটে নাম রয়েছে ওয়েলথ উইজার্ড প্রাইভেট লিমিটেড এবং এসডি কনসালটেন্সির। এই সংস্থাগুলির সাহায্যে কালো টাকা সাদা করা হতো বলে নিশ্চিত ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি শেয়ারে বিনিয়োগের মাধ্যমেও সুজয়কৃষ্ণ কালো টাকা সাদা করতেন বলে অভিযোগ। কীভাবে কালো টাকা সাদা করা হতো তার উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে।

    কাকুর জামিনের আবেদন খারিজ

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) জামিনের আবেদন ফের খারিজ করে ব্যাঙ্কশাল আদালত। সম্প্রতি তাঁর হৃদযন্ত্রের ধমনীতে সমস্যা ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর ওপেন হার্ট সার্জারিও করানো হতে পারে বলে খবর মিলেছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে জামিনের আবেদন করেন কাকুর আইনজীবী। এবিষয়ে বিচারক বলেন, ‘‘বাংলার গর্ব হল এসএসকেএম হাসপাতাল। সেখানে চিকিৎসা করান।’’ তবে কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) ধারণা, তাঁর অস্ত্রোপচার বেসরকারি হাসপাতালেও করতে হতে পারে। তাই নিম্নআদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কাকু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: ইসলামপুরে বাম নেতার ছেলেকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, শরীর ক্ষতবিক্ষত!

    Uttar Dinajpur: ইসলামপুরে বাম নেতার ছেলেকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, শরীর ক্ষতবিক্ষত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার ইসলামপুরে ছুরিকাহত হয়ে অসীম সাহার মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার চোপড়ায় বাম নেতার ছেলেকে ধারালো অস্ত্রের কোপ। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন সেই যুবক। তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আহত ওই যুবকের নাম রবিউল হাবিব (৩২)। তার পিতা মোকলেশ্বর রহমান এলাকার প্রভাবশালী বাম নেতা। বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় দলুয়া এলাকায় এক অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়েছিলেন রবিউল। গভীর রাতে সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে আখতার আলি নামে এক ব্যক্তি তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তাঁর শরীরের বেশ কিছু জায়গায় ক্ষত রয়েছে।

    শাসক দলের (Uttar Dinajpur) বিরুদ্ধেই অভিযোগ

    এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক হিংসা রয়েছে বলে অনুমান করছেন স্থানীয় বাম নেতৃত্ব। তাদের অনুমান, শাসক দল তৃণমূলের মদতেই ঘটনাটি ঘটেছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আহত রবিউলের পিতা মোকলেশ্বর রহমান বলেন, “আমি বাড়িতেই ছিলাম। হঠাৎ দেখি ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে আসে। আমি কোনওদিক না দেখে গাড়ি করে ছেলেকে নিয়ে সোজা ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে আসি। ওর শরীরের বেশ কিছু জায়গায় ক্ষত রয়েছে। কী কারণে ওর উপরে হামলা হল, তা এখনই বুঝতে পারছি না।” অপরদিকে, সিপিআইএমের জেলা কমিটির সদস্য বিকাশ দাস বলেন,” আমরা খবর পাই যে আমাদেরই সদস্য মোকলেশ্বর রহমানের ছেলেকে কেউ বা কারা রাতের অন্ধকারে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা চালিয়েছে। আমরা তড়িঘড়ি ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে (Uttar Dinajpur) ছুটে আসি। ওর অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে। চা গাছ কাটার যে ‘হাসুয়া’ রয়েছে সেই অস্ত্র দিয়েই তার ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। এর পিছনে রাজনৈতিক কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই আমাদের অনুমান।”

    কী বললেন তৃণমূল জেলা সভাপতি (Uttar Dinajpur)?

    অপরদিকে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি (Uttar Dinajpur) কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “এ ঘটনার সাথে তৃণমূল জড়িত নয়। অভিযুক্ত যাতে দ্রুত গ্রেফতার হয় এবং আইন-শৃঙ্খলার অবনতি যাতে না হয় তা পুলিশকে জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: প্রতিবাদী কবিতা লিখে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত নদিয়ার সাহিত্যিক, সর্বত্র নিন্দার ঝড়

    Nadia: প্রতিবাদী কবিতা লিখে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত নদিয়ার সাহিত্যিক, সর্বত্র নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল নদিয়ার শান্তিপুরের গোবিন্দপুর এলাকার নিজের বাড়িতে যাওয়ার রাস্তায় বেশ কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী কবি কল্লোল সরকারের ওপর আক্রমণ চালায়। কবির দোষ, কেন সরকারের বিরুদ্ধে কবিতা লিখলেন! আর তাই আক্রান্ত কবি কল্লোল সরকার আজ শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হন। এরপর থানায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় সাহিত্যিক মহলে তীব্র নিন্দার ঝড়।

    কবির ঠিক অভিযোগ কী (Nadia)?

    শান্তিপুরের (Nadia) কবি কল্লোল সরকার জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনের কিছু দিন আগেই একটি প্রতিবাদী কবিতা প্রকাশ করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাজ্যের ধর্ষণ, হিংসা, হানাহানির কথা বলে সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। আর তাই নিয়েই শোরগোল পড়ে যায়, এমনকি তাঁকে একাধিকবার শাসকদল তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। গতকাল, বিকেলে কলকাতা থেকে বাড়ি ফেরার পথে শান্তিপুরের গলায়দড়ি বটতলা এলাকায় বেশ কিছু তৃণমূলের দুষ্কৃতী তাঁর ওপর আক্রমণ চালায়। তাঁকে একাধিকবার চড়, কিল, লাথি মারা হয়। এরপর এলাকাবাসী সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। এর পরেই কবি কল্লোল সরকার শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

    কবিতায় কী লিখেছেন?

    কবি কল্লোল সরকার (Nadia) বলেন, তাঁর কবিতার মধ্য দিয়ে বাস্তব চিত্র তুলে ধরার কারণেই দুষ্কৃতীর হাতে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। তাঁর কবিতায় রয়েছে, “বুদ্ধিজীবী তকমা নিয়ে/উল্লাসে চিৎকার করে/যারা বাংলাকে ধর্ষণ করে চলে!/আমি ঘৃণা করি,/আমি ঘৃণা করি যারা সরকারের পা চেটে চলে”। যারা এই রাজ্যে ধর্ষণ দেখে চুপ থাকে, সেইসব বুদ্ধিজীবী এবং চটিচাটা মানুষকে ঘৃণা করেন কবি। অরাজক রাজ্যের পরিস্থিতিতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ কলরবের কথা বলেছেন। স্বপ্ন দেখার মানুষগুলি শকুনের চঞ্চুতে বন্দি হয়ে রয়েছেন। চারিদিকে বিষাদ আর বিষাদে কবি স্তব্ধ। এই ভাবেই বর্তমান সময়কে তুলে ধরেন কবিতায়। যারা কবিকে মারধর করল, তারা প্রত্যেকে তৃণমূল দলের সঙ্গে যুক্ত। এই ঘটনায় রীতিমতো নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়া যেন জঞ্জাল নগরীতে পরিণত হচ্ছে, আবর্জনায় ভরে যাচ্ছে পুকুর ও জলাশয়ও!

    Howrah: হাওড়া যেন জঞ্জাল নগরীতে পরিণত হচ্ছে, আবর্জনায় ভরে যাচ্ছে পুকুর ও জলাশয়ও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া শহরকে পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখতে হাওড়া (Howrah) পুরসভার উদ্যোগে ঘটা করে বিভিন্ন জায়গায় ময়লা তোলার নতুন ভ্যাট উদ্বোধন হয়েছে কিছুদিন আগেই। পুরসভা বাজার এলাকা থেকে জঞ্জাল চার্জ নেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু তার পরেও হাওড়া শহর নোংরাই থেকে যাচ্ছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে সময় মতো নোংরা-আবর্জনা না তোলার অভিযোগ তো রয়েছেই, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শহরের পুকুরগুলিতে নোংরা ফেলার অভিযোগ। হাওড়া শহরে এমনিতেই পুকুর বুজতে বুজতে জলাশয়ের অস্তিত্ব মুছতে শরু করেছে। যে কটা অবশিষ্ট আছে, সেখানেও পুকুর পাড়েই বাসিন্দারা নোংরা-আবর্জনা ফেলতে শুরু করেছেন। সেই নোংরা পুরসভার জঞ্জাল সাফাইয়ের গাড়ি তুলে নিয়েও যাচ্ছে না। ফলে সেই আবর্জনা পুকুর পাড় থেকে পুকুরের জলে মিশে পুকুরের জলকে দূষিত করে তুলছে। হাওড়া শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে যে কটি পুকুর অবশিষ্ট আছে তার বেশিরভাগ পুকুরেই এই ছবি দেখা যাবে। ফলে শহর পরিষ্কার তো হচ্ছে না উলটে দূষণ বেড়েই চলেছে। বাসিন্দাদের দাবি, শহরে ভ্যাটের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি এই নোংরা যাতে সময় মতো তোলা হয়, সেদিকে পুরসভার জোর দেওয়া উচিত।

    কী অভিযোগ করছেন পুর নাগরিকরা (Howrah)?

    হাওড়া শহর জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় নোংরা জমে থাকা পুকুরগুলি পরিষ্কারের জন্যে ইতিমধ্যেই হাওড়া পুরসভাকে চিঠি দিয়েছেন নাগরিকরা। তার পরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। হাওড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাকলি দত্ত জানান, মধুসুদন পাল চৌধুরি লেনের (Howrah) কাছে একটি পুকুর দীর্ঘদিন নোংরা-আবর্জনায় ভরে রয়েছে৷ পুরসভার কাছে আবেদন করা সত্ত্বেও সেই পুকুর সংস্কার করা হয়নি। হাওড়ার ডুমুরজলার বাসিন্দা ও বিশিষ্ট চিকিৎসক সুকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, পুরসভা পুকুরগুলি থেকে নোংরা তুলছে না। আর এই সুযোগকে কাজে  লাগিয়েই এক শ্রেণির লোক পুকুর পাড়ে নোংরা ফেলে একটু একটু করে পুকুরগুলিকে বুজিয়ে ফেলছে। তাই পরিবেশ রক্ষায় খুব দ্রুত পুকুরগুলি সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, পুকুরের নোংরা আবর্জনা তুলে ফেলা হচ্ছে না বলেই দূষণ বাড়ছে।

    কী জানালেন পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান (Howrah)?

    হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান ডক্টর সুজয় চক্রবর্তী বলেন, হাওড়া (Howrah) শহরের পুকুরগুলিতে এভাবে নোংরা ফেলা হচ্ছে, তা ইতিমধ্যেই পুরসভার নজরে এসেছে। তাই পুরসভার পক্ষ থেকে হাওড়া পুর এলাকায় ব্যক্তিগত ও ভেস্টেড এলাকা মিলিয়ে ১১০ টি পুকুরের তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী পুকুর পাড়গুলিকে বাঁধিয়ে দিয়ে বেড়া দিয়ে দেওয়ারও পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই পরিকল্পনা রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে৷ ফান্ড এলেই কাজ শুরু হবে। আপাতত নাগরিকরা যাতে এভাবে পুকুরের পাড়ে নোংরা না ফেলে, সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: তৃণমূল প্রধানের পদ বিক্রি হচ্ছে ৩০ লাখে! জিতেন্দ্র তেওয়ারির অভিযোগে শোরগোল

    Asansol: তৃণমূল প্রধানের পদ বিক্রি হচ্ছে ৩০ লাখে! জিতেন্দ্র তেওয়ারির অভিযোগে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলে (Asansol) পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন, ভোট, গণনা ও ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হয়েছেন বিজেপির প্রার্থী ও কর্মীরা। জামুরিয়ায় ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি।

    ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের পাশে জিতেন্দ্র তেওয়ারি (Asansol)

    রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়ি-ঘরছাড়া, লুটপাট, আক্রমণ, বাড়িঘর ভাঙচুর, খুন, হত্যা, মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় বারবার বিজেপি সরব হয়েছে। এই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা কেমন আছেন, তা দেখতেই বৃহস্পতিবার জামুরিয়া (Asansol) বিধানসভা অন্তর্গত তপসি বাহাদুরপুর লালগোলা সহ বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীদের সাথে দেখা করলেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি। বিজেপি কর্মী ও এলাকাবাসীদের বাড়ি গিয়ে সরজমিনে পরিদর্শন করেন তিনি। বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, যেভাবে বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার চলেছে এবং ভোট লুট হয়েছে রাজ্যে অবিলম্বে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করা উচিত। তিনি আরও দাবি করেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই! সমস্তটাই চলে গেছে কয়লা চোর, বালি চোর, লোহা মাফিয়াদের হাতে। সারা রাজ্য জুড়ে এক অগণতান্ত্রিক এবং হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে কী বললেন?

    এদিন জিতেন্দ্র তেওয়ারি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস গ্রাম পঞ্চায়েতে হিংসার আশ্রয় করে জয়লাভ করেছে। এই নির্বাচনে টাকা দিয়ে টিকিট বিক্রি করেছে তৃণমূল। প্রার্থীর পদ বিক্রির দর উঠেছে পঞ্চায়েত প্রধানের পদের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদের জন্য ৬০ লক্ষ টাকা। এই টাকা দেবে কয়লা চোর, বালি চোরেরা। তাদের হাতেই পঞ্চায়েত চালানোর দায়িত্ব থাকবে। সাধারণ মানুষ যেমন আগেও বঞ্চিত হয়েছে, এবারও বঞ্চিত হবে বলে তিনি দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, বিজেপি একটি বড় পরিবার। ভোটের পর সকল সদস্যরা কেমন আছেন, তা জানতেই জামুরিয়াতে এসেছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়া থেকে ভোট পরবর্তী হিংসা সকল স্তরেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিজেপি কর্মীরা। তাই তাঁদের সাথে দেখা করাটা একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান ও সমিতির সদস্যদের পদ বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় (Asansol) তৃণমূল নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share