Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Murshidabad: হরিহরপাড়ায় স্কুলের কাছেই মিলল দু’ ব্যাগ সকেট বোমা, খড়গ্রামেও উদ্ধার তাজা বোমা

    Murshidabad: হরিহরপাড়ায় স্কুলের কাছেই মিলল দু’ ব্যাগ সকেট বোমা, খড়গ্রামেও উদ্ধার তাজা বোমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটপর্ব মিটে গেলেও মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলাতে বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন জায়গাতে উদ্ধার হচ্ছে তাজা বোমা। বুধবার ফের মুর্শিদাবাদের দুটি থানা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার হল। হরিহরপাড়ায় স্কুল থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে সকেট বোমা উদ্ধার হয়েছে। কে বা কারা এত বোমা মজুত করেছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    স্কুলের কাছে কত বোমা উদ্ধার হল?

    বুধবার সকালে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হরিহরপাড়া থানার সদানন্দপুর এলাকায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে সদানন্দপুর প্রাইমারি স্কুল থেকে ৩০ মিটারের মধ্যে দু’ ব্যাগ ভর্তি সকেট বোমা বাজেয়াপ্ত করে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা তাড়াতে ঘটনাস্থল পাহারা দিয়ে রয়েছে কেন্দ্র বাহিনীর জওয়ান ও হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বোম্ব স্কোয়াডের কর্মীদের খবর দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা কী কারণে বোমা মজুত করে রেখেছিল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ।

    কী বললেন এলাকাবাসী?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, স্কুলের কাছে এভাবে বোমা রাখা ঠিক হয়নি। বোমা বিস্ফোরণ হলেই বড় বিপদ হওয়ার আশঙ্কা ছিল। বিশেষ করে স্কুলের পড়ুয়াদের জখম হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। অবিলম্বে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে।

    খড়গ্রামেও উদ্ধার হল প্রচুর বোমা

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার খড়গ্রাম থানার সাদল গ্রাম পঞ্চায়েতের সুন্দরপুর গ্রামে মাঠের মধ্যে থেকে দুই বালতি তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। এলাকার বাসিন্দারা প্রথমে দুই বালতি তাজা বোমা মাঠের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে, পুলিশকে খবর দেওয়া হয়, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই বালতি তাজা বোমা উদ্ধার করে। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: আরামবাগ জুড়ে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, নদী থেকে দেদার উঠছে বালি

    Arambagh: আরামবাগ জুড়ে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, নদী থেকে দেদার উঠছে বালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারবার অভিযোগ উঠলেও কিছুতেই কমছে না বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য। আরামবাগ (Arambagh) মহকুমা জুড়ে বিভিন্ন নদী থেকে রাতের অন্ধকারে অবৈধ ভাবে চুরি হয়ে যাচ্ছে ট্রাক্টরের পর ট্রাক্টর বালি। আবার কোথাও গরুর গাড়িতে করে চুরি হচ্ছে বালি। আরামবাগ ও গোঘাট এলাকায় এমনই বেআইনি বালি চুরিতে ক্ষতি হচ্ছে নদী বাঁধের। ফাঁকি যাচ্ছে রাজস্ব কর। তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের তুষ্ট করেই চলছে এই কারবার। ইতিমধ্যে দুদিন আগেই অভিযান চালিয়ে দুই ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে আরামবাগ থানার পুলিশ। এখানেই প্রশ্ন, কেন আগে থেকে প্রশাসন কোনও ব্যাবস্থা গ্রহণ করেনি? যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব বালি মাফিয়াদের মদত দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    কীভাবে রাতের অন্ধকারে রমরমিয়ে বালি চুরি করে মাফিয়াদের একাংশ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোঘাট ও আরামবাগের (Arambagh) দ্বারকেশ্বর নদীতে যে সমস্ত বৈধ্য বালি খাদান ছিল তা সবই সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে। অভিযোগ, তার পরেও বেশ কয়েকটি বালি খাদান থেকে বালি চুরি হচ্ছে অবাধে। রাতের অন্ধকারে নদীতে ট্রাক্টর ও গরুর গাড়িতে করে বালি চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এই সমস্ত বালি চুরি চলছে মাফিয়াদের একাংশের মদতে। এলাকায় তৃণমূলের দাদাদের তুষ্ট করেই বালি মাফিয়ারা এই কারবার চালাচ্ছে। প্রথমে মাফিয়াদের কাছে ট্রাক্টর পিছু ১০০০ টাকা করে তাদের তোলা দিতে হচ্ছে। তবেই ছাড় মিলছে খাদানে নামার। পরে অবশ্য বালি নিয়ে যাওয়ার আগে আরও পৃথক ভাবে তাদের শ্রমিক ও রাস্তা মেরামতি বাবদ দিতে হচ্ছে ৪০০ টাকা। এই ভাবেই প্রায় রাতের পর রাত বালি চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আরামবাগে ট্রাক্টরে করে যেমন চুরির অভিযোগ উঠেছে, ঠিক তেমনি গোঘাটে গরুর গাড়িতে করে নদী থেকে বালি চুরি করে অন্য জায়গায় মজুত করা হচ্ছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    সাধারণ মানুষের অভিযোগ, যেভাবে বালি কেটে পাচার হচ্ছে তাতে করে আরামবাগ (Arambagh) মহকুমা এলাকায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। নদী বাঁধে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। কিন্তু কেন প্রশাসন এতদিন কোনো নজরদারি চালায়নি? প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির নেতাদের বত্তব্য, শাসক দল ও পুলিশের মদতে চলছে এই বালি চুরির ঘটনা। তৃণমূলের মদতেই বালি মাফিয়াদের রমরমা শুরু হয়েছে। অবিলম্বে বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে নদী বাঁধের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ডাইনি অপবাদ দিয়ে খুনের অভিযোগ, দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    Malda: ডাইনি অপবাদ দিয়ে খুনের অভিযোগ, দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় (Malda) ডাইনি অপবাদে গৃহবধূকে খুনের অভিযোগে দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। আজ দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক অসীমা পাল। দোষীদের শাস্তির ঘটনায় খুশি মামলাকারী ঠাকুর হেম্ব্রম।

    কীভাবে খুনের ঘটনা ঘটে (Malda)?

    খুনের মামলা (Malda) সূত্রে জানা যায়, এই কেসের আসামী হল দুই খুড়তুতো ভাই ভাকুম হেমব্রম ও দুনুয় হেমব্রম। ঠাকুর হেমব্রম হলেন ভাকুম হেমব্রমের বাবা। যদিও ঠাকুর হেমব্রম প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার ২০ বছর পর দ্বিতীয়বার বিবাহ করেন বুদিন মুর্মুকে। বিবাহ করে ঘর সংসার করছিলেন ঠাকুর হেমব্রম। ইতিমধ্যে ভাকুম হেমব্রম সম্পত্তির দাবিতে ঠাকুর হেমব্রমের সামনে চড়াও হতেন মাঝে মাঝেই। সেই সঙ্গে এরপর ঠাকুর হেমব্রমের স্ত্রী বুদিন মুর্মুকে ডাইনি অপবাদ দেয় ওই দুই জন। ভাকুম হেমব্রম বলত, বুদিন মুর্মু ডাইনি। আর তাঁর জন্যই আমার সন্তান হচ্ছে না। অপর দিকে দুনুয় হেমব্রম বলত, আমার বাবা-মা মারা গেছেন বুদিন মুর্মুর জন্যই। এরপর গত ৩রা মে ২০১৯ তারিখে বুদিন মুর্মুকে বাড়িতে ঢুকে হাঁসুয়া দিয়ে শরীরে আঘাত করে খুন করে দুইজন। মূলত সম্পত্তির অধিকার এবং ডাইনি অপবাদে এই খুন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন বুদিন মুর্মুর স্বামী ঠাকুর হেমব্রম।

    আইনজীবীর বক্তব্য

    সরকারি আইনজীবী লোকমান আলি জানান, ২০১৯ সালের ৩ মে হবিবপুরে (Malda) ঘটনাটি ঘটে। সেই রাতে ভাকুম হেমব্রম ও দুনুয় হেমব্রম রাতের বেলায় বাড়িতে ঢুকে হাঁসুয়া দিয়ে আঘাত করে বুদিন মুর্মুকে খুন করে। দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার স্বামী ঠাকুর হেমব্রম। আজ পঞ্চম কোর্টের বিচারক অসীমা পাল ১১ জনের সাক্ষীর ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • School: শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদ, স্কুলে পঠন-পাঠন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ, গ্রেফতার অভিযুক্ত

    School: শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদ, স্কুলে পঠন-পাঠন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ, গ্রেফতার অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের এক শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল অভিভাবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বীরভূমের বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের বাঁধনবগ্রাম স্কুলে তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় মানুষজন থেকে শুরু করে প্রাক্তন পড়ুয়ারা। এই মুহূর্তে পঠন-পাঠন বন্ধ রয়েছে স্কুলে।

    শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    ২৪ জুলাই ক্লাসে পড়া না পারার জন্য স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক উত্তম সাহা বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে কান ধরে ক্লাসের বাইরে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন। শিক্ষক হিসেবে এটাই ছিল তাঁর অপরাধ। সেই আক্রোশেই শাস্তি পাওয়া এক ছাত্রীর বাবা বাসুদেব দাস ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মঙ্গলবার স্কুলে আসার পথে রাস্তার মধ্যে শিক্ষক উত্তম সাহাকে পেয়ে বেধড়ক মারধর করেন। মারধরের জেরে তাঁর একটি হাত ও পা ভেঙে যায়। তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারী পড়ুয়া, স্কুলের প্রাক্তনী ও গ্রামবাসীদের বক্তব্য, শিক্ষকের উপর চড়াও হওয়া অভিযুক্ত বাসুদেব দাস ও তার স্ত্রী শিখা দাসকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তার সঙ্গে তাদের মেয়েকে এই স্কুল থেকে টিসি দিতে হবে। সকলেই এই দাবিতেই সোচ্চার হয়ে ওঠেন। বুধবার স্কুল শুরুর পরই পঠন-পাঠন বন্ধ করে স্কুলের সামনে বিক্ষোভে বসেন প্রাক্তন পড়ুয়ারা। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গেই যোগ দেয় বর্তমান পড়ুয়ারা। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, পড়াশুনা না পারলে শিক্ষকরা শাসন করতেই পারেন। এতে অন্যায় কিছু নেই। সামান্য শাসন করার জন্য একজন শিক্ষকের উপর যদি এরকম হামলার ঘটনা ঘটে, তাহলে স্কুলে শিক্ষকরা কী করে পড়াশুনা করাবেন? আমাদের দাবি, হামলাকারীদের সকলকেই গ্রেফতার করতে হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বাসুদেব দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু, তার স্ত্রী স্কুলেরই প্যারা টিচার শিখা দাসকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। সেই দাবিতেই স্কুল বয়কট করে পঠন-পাঠন বন্ধ রেখে চলছে বিক্ষোভ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: বিচারপতির হস্তক্ষেপে এক বছরের মধ্যেই নতুন স্কুল ভবন বলাগড়ে, উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসী

    Hooghly: বিচারপতির হস্তক্ষেপে এক বছরের মধ্যেই নতুন স্কুল ভবন বলাগড়ে, উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর খানেকের মধ্যেই নতুন ভবন পেল বলাগড়ের (Hooghly) চক খয়রামারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বলাগড় ব্লকের জিরাট পঞ্চায়েতের অধীনে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গঙ্গা ভাঙনের ফলে বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। পাড় ভাঙতে ভাঙতে এমন অবস্থা হয়েছিল যে বিদ্যালয়ের জানালা খুললেই গঙ্গা। জনা পঞ্চাশেক ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে ভীষণ চিন্তায় থাকতেন। ছাত্রদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও ছিলেন আশঙ্কায়। আর তাই এবার চক খয়রামারি (Hooghly) স্কুলের নতুন বিল্ডিং উদ্বোধন করে ক্লাস শুরু হল। নতুন ভবনে ক্লাস শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা উচ্ছ্বসিত।

    কীভাবে এলো নতুন ভবন (Hooghly)?

    যে কোনও দিন গঙ্গায় তলিয়ে যেতে পারে স্কুলবাড়িটি (Hooghly)। এরকম খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হতেই অনেকের মতো নজর পড়ে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি খবরটি জেনে স্তম্ভিত হয়ে যান। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এই বিষয়ে সুয়োমোটো কেস করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের তৎকালীন প্রধান সুচন্দ্রা রায়কে সঠিক তথ্য কোর্টকে প্রদান না করার জন্য আদালতের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। আসলে গত কয়েক বছর ধরেই স্কুল বাড়িটির এক একটি অংশ গঙ্গার গ্রাসে চলে যাচ্ছিল। এরপর তাঁরই নির্দেশে হাইকোর্ট থেকে স্পেশাল অফিসার স্কুলবাড়িটির পুরো অবস্থা সরজমিনে পর্যবেক্ষণ করে আদালতে রিপোর্ট দেন। এরপরই হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ওই বাড়ি থেকে স্কুল সরিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে অস্থায়ী ভাবে নিরাপদ জায়গায় আনা হয়। আদালতের নির্দেশে গঙ্গা থেকে নিরাপদ দূরত্বে টিন দিয়ে ঘিরে একটি জায়গায় ক্লাস করানো শুরু হয়। অন্যদিকে প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল থেকেও কোর্টকে জানানো হয় যে বছর দেড়েকের মধ্যেই নতুন স্কুল বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।

    কীভাবে ক্লাস শুরু হল?

    এরপর ওই গ্রামের এক সহৃদয় ব্যক্তি চক খয়রামারি (Hooghly) স্কুলের নতুন বিল্ডিং করার জন্য ১০ কাঠা জমি দান করেছেন। সেই জমির মধ্যেই দেড় কাঠা জমির মধ্যে সর্বশিক্ষা মিশনের ১১ লক্ষ টাকায় তৈরি হয়েছে নতুন দোতলা বিল্ডিং। একতলাতে মিড ডে মিলের রান্না ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে আর দোতলায় একটি রুম। সেখানেই ক্লাস করানো হবে। বলাগড় আর্সেনিক যুক্ত এলাকা। তাই আর্সেনিকমুক্ত বিশুদ্ধ জলের ব্যবস্থা হয়েছে বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর উদ্যোগে। সোমবারই নতুন ভবনে ক্লাস শুরু হল নতুন ভাবে। বলাগড়ের বিদ্যালয় পরিদর্শক (সাব ইন্সপেক্টর) গৌরব চক্রবর্তী এই নতুন ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে নিজে ক্লাস নেন। জানা গেছে, ওই একটি ঘরেই পার্টিশন করে বিভিন্ন কক্ষ করা হবে। সোমবার ৫২ জনের মধ্যে ৪৫ জন ছাত্রছাত্রীই আসে স্কুলে। সকল ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিলে মাংস-ভাত খাওয়ানো হল এদিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: নিয়োগ-দুর্নীতিতে নজরে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর পুরসভা! সিবিআই তলবে হাজির আধিকারিকরা

    CBI: নিয়োগ-দুর্নীতিতে নজরে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর পুরসভা! সিবিআই তলবে হাজির আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় পুরসভার আধিকারিকদের ডেকে পাঠাল সিবিআই (CBI)। বুধবার তাঁদের জেরা করা হবে বলে সূত্রের খবর। এদিন নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর এবং শান্তিপুর পুরসভা থেকে বেশ কয়েকজন আধিকারিক নিজাম প্যালেসের উদ্দেশে রওনা দেন। দুপুর ২ টোর পরই তাঁরা পৌঁছে যান নিজাম প্যালেসে। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তে নতুন কী তথ্য উঠে আসে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলে।

    কী বললেন শান্তিপুর পুরসভার কর্মী?

    সূত্রের খবর, অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পরেই পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির কথা উঠে আসে। হুগলি থেকে অয়ন শীলকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI) প্রতিনিধি দল। এরপরেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অয়ন শীলের সংস্থা পুরসভার নিয়োগের পরীক্ষা নিয়েছিল বলে জানা যায়। সেখানেই লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকরি বিক্রি করা হয়েছিল বলে তথ্য উঠে আসে। সেই তথ্যকে সামনে রেখে গত ৭ জুন কৃষ্ণনগর এবং শান্তিপুর পুরসভায় দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি চালিয়ে তারা কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করে নিয়ে যায় বলে জানা যায়। গতকাল সিবিআই দফতর থেকে দুই পুরসভার কাউন্সিলারের কাছে ফোন করে তাদের আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো হয় বলে জানা যায়। ইতিমধ্যেই দুই পুরসভার আধিকারিকরা সিবিআই অফিসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে শান্তিপুর পুরসভার প্রধান করণিক উদয়ন মুখোপাধ্যায় বলেন, মূলত ২০১৮ সালের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই প্রতিনিধি দল তদন্ত করতে এসেছিল শান্তিপুর পুরসভায়। কিন্তু সেই সময় আমাদের কোনও নিয়োগ হয়নি। আমরা সেদিনও সিবিআই প্রতিনিধি দলকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। আজও তাঁরা যা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন এবং যে সাহায্য আমাদের কাছে চাইবেন আমরা পুরোটাই তাঁদের জানাব।

    কী বললেন পুরসভার কাউন্সিলার?

    এ বিষয়ে শান্তিপুর পুরসভার কাউন্সিলার সুব্রত ঘোষ বলেন, এর আগেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI) আমাদের পুরসভায় এসে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার নিজাম প্যালেস থেকে আমাকে ফোন করা হয় এবং পুরসভার প্রতিনিধিদের এদিন ডেকে পাঠিয়েছেন তাঁরা। আমরা সিবিআইকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতাল যেন ডেঙ্গির আঁতুড় ঘর! যত্রতত্র আবর্জনা ও জমা জল!

    Nadia: কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতাল যেন ডেঙ্গির আঁতুড় ঘর! যত্রতত্র আবর্জনা ও জমা জল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামেই জেলার হাসপাতাল। অপরিচ্ছন্নতার কারণে সেই হাসপাতালই যেন হয়ে উঠেছে ডেঙ্গির আঁতুড় ঘর। এমনটাই অভিযোগ রোগীর পরিবারের। নদিয়ার (Nadia) কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমরিয়াল (জেএনএম) হাসপাতালের ঘটনা। রোজ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী। অথচ হাসপাতালের মধ্যেই নোংরা, আবর্জনা এবং জমা জলের অপরিচ্ছন্নতায় সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। রোগীর আত্মীয়রা অভিযোগ জানিয়েও কোনও ফল পাননি। ফলে সাংবাদিকদের সামনে বেহাল পরিস্থিতির কথা বলে সরব রোগীর পরিবার। আজ কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে নদিয়ার হাঁসখালি গ্রামের আরও এক ১১ বছরের বালকের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারাগেছে বলে জানা গেছে।  

    কেমন অবস্থা হাসপাতালের (Nadia)?

    হাসপাতালের (Nadia) ভিতরে ঢুকতেই গেলে দেখা যাবে, যত্রতত্র পড়ে আছে আবর্জনা ও জমা জল। এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে বসে থাকতে হচ্ছে রোগীর পরিবারের সদস্যদের। একদিকে ডেঙ্গি প্রতিরোধের জন্য ঘুম উড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের, অন্যদিকে ডেঙ্গি প্রতিরোধে উদাসীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একাধিক রোগীর পরিবারের অভিযোগ, গোটা হাসপাতাল চত্বর ভরে গেছে জলা জঙ্গলে। আর সেখান থেকেই বাড়ছে মশার উপদ্রব। হাসপাতালের শৌচালয়গুলির এতটাই ভগ্নদশা যে ব্যবহারের যোগ্য নয়। দুর্গন্ধে ভিতরে প্রবেশ যায় না। যদিও রোগীরা ভর্তি থাকার কারণে অব্যবস্থার মধ্যেই হাসপাতালে রাত্রিবাস করতে হয় পরিবারদের। এখন দেখার হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে কী ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষে। নাকি এভাবেই অব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে পরিচালিত হবে হাসপাতাল।

    রোগীর পরিবারদের বক্তব্য

    হরিণঘাটা (Nadia) থেকে স্বামীকে নিয়ে আসা এক রোগীর স্ত্রী পূর্ণিমা দাস বলেন, গতকাল ৩ টের সময় আমি আমার স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করি। আমার স্বামী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। রাত ৯ টার সময় ডাক্তার স্বামীকে দেখে গেছেন। এদিকে হাসপাতালের টয়লেট খুব নোংরা, ভিতরে ঢোকা যায় না। তিনি আরও বলেন, রোগীর আত্মীদের যেখানে থাকতে দেওয়া হয়েছে, সেখানেই প্রচুর ময়লা আর জল জমে রয়েছে। সংক্রমণের আঁতুড় ঘরে পরিণত হয়েছে। রোগী সুস্থ হবে কম, রোগী অসুস্থ হবে বেশি এই হাসপাতালে।  

    উল্লেখ্য গতকাল একই দিনে ডেঙ্গি প্রাণ কেড়েছে নদিয়ার দুই বাসিন্দার। এর মধ্যে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে রানাঘাটের বাসিন্দা বছর ৪৫-এর এক মহিলার। প্রত্যেকেরই ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। রাজ্যে এই বছরে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে নদিয়া জেলার পরিস্থিতি সবচেয়ে উদ্বেগজনক। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে দাবি করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়া পুরসভার ১০-১২টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, উদ্বেগে বাসিন্দারা

    Howrah: হাওড়া পুরসভার ১০-১২টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, উদ্বেগে বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষার দাপট শুরু হতেই হাওড়া (Howrah) শহরজুড়ে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা। হাওড়া পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডেঙ্গি ক্রমশ বাড়ছে। তুলনামূলকভাবে ডেঙ্গি বেশি ছড়াচ্ছে পুরসভার ২৯ এবং ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে। অন্য বছরের তুলনায় বৃষ্টির পরিমাণ এখনও অনেকটাই কম। বৃষ্টি বাড়লে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। হাওড়া পুরসভার ৫০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০ থেকে ১২ টি ওয়ার্ডে এই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে পুর নাগরিকরা জানিয়েছেন।

    কী বলছে হাওড়া (Howrah) পুরসভার তথ্য?

    হাওড়া পুরসভার তথ্যই বলছে, গত জানুয়ারি মাস থেকে যেভাবে ডেঙ্গি রোগী পাওয়া গেছে, সেই তুলনায় গত এক মাসে সংখ্যাটা বেড়েছে অনেকটাই। দ্বিগুণের থেকেও বেশি। যদিও হাওড়া পুরসভার হিসাব বলছে, জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত পুর এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চাশের কাছাকাছি। তবে সাধারণ মানুষের মতে, জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা এর প্রায় চারগুণ। হাওড়া (Howrah) পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ষার শুরু থেকেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। কয়েকদিন আগেই ডেঙ্গি নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে একটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। হাওড়া পুরসভায় ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠক করেন চেয়ারম্যান নিজে। তিনি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতি বাড়ি বাড়ি ঘুরে খোঁজখবর নিতে হরে, কোথাও জল জমিয়ে রাখা হচ্ছে কিনা। এর পাশাপাশি মশা মারার তেল নিয়মিত স্প্রে করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এলাকার নর্দমাগুলি যাতে ঠিকমতো পরিষ্কার হয়, সে ব্যাপারে সাফাই কর্মীদেরও নির্দেশ দিয়েছেন। সর্বোপরি তিনি নিজে পুরো বিষয়টির ওপর নজর রাখছেন।

    কী অভিযোগ করলেন বাসিন্দারা (Howrah)?

    যদিও বাসিন্দাদের অভিযোগ, মশা মারার তেল নিয়মিত দেওয়া হয় না। বিগত কয়েক বারের বৃষ্টির জল নেমে গেলেও শহরে নোংরা-আবর্জনা নিয়ম করে পরিষ্কার করা হচ্ছে না। উত্তর হাওড়ার বাসিন্দা সুধাকর দুবে জানান, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর হাওড়া (Howrah) পুরসভা এলাকার পার্কগুলিকে ঢেলে সাজানো হয়েছিল। নিয়মিত জঞ্জাল পরিষ্কার হত। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে প্রশাসক মণ্ডলীর পরিচালনায় পুরসভা চলছে। বিভিন্ন এলাকা জঙ্গলে ভরে গেছে। আবাসন, পার্ক এমনকী রাস্তার দু’ধারে আগাছা ও জঞ্জাল জমা হয়। সেখানেই বাড়ছে মশার উপদ্রব। ফলে নাগরিকরা খুবই চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। নিয়মিত মশা মারার তেল দেওয়ার পাশাপাশি যাতে শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rape: সপ্তাহভর লড়াই শেষ! স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মৃত্যু হল

    Rape: সপ্তাহভর লড়াই শেষ! স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মৃত্যু হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক নাবালিকাকে অপহরণ করে গণধর্ষণ (Rape) করার অভিযোগ উঠেছিল এক সপ্তাহ আগে। ঘটনাটি কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি থানা এলাকার। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই নির্যাতিতা একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। গত এক সপ্তাহ ধরে লড়াই করার পর অবশেষে বুধবার ওই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়। এই ইস্যুতে আন্দোলনে নামল বিজেপি নেতৃত্ব।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ওই নির্যাতিতা নবম শ্রেণিতে পড়ত। গত ১৮ জুলাই সে স্কুলে গিয়েছিল। কিছুক্ষণ স্কুলে থাকার পর সে অসুস্থ বোধ করে। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে কয়েকজন যুবক অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায়। পরে, তাকে গণধর্ষণ (Rape) করা হয় বলে অভিযোগ। সে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে উদ্ধার করে নার্সিংহোম এবং পরে হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পরও ওই নাবালিকা স্কুল থেকে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে, থানায় তারা মিসিং ডায়েরি করেন। কিন্তু, নিখোঁজ হওয়া নাবালিকাকে খোঁজার বিষয়ে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে লড়াই করার পর তার মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার তার মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিজেপি আন্দোলনে নামে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা নিয়ে দুদিন আগে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা কালজানি বাজারে রাস্তা অবরোধ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, স্কুল থেকে বাড়়ি ফেরার পথে অপহরণ করে গণধর্ষণ (Rape) করা হল। গত ৬ দিন ধরে ওই নাবালিকা কোথায় ছিল তা পরিবারের লোকজন জানেন না। পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে বাংলায় মেয়ের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: পিংলায় ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন! দোষীদের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত

    Paschim Medinipur: পিংলায় ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন! দোষীদের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিংলা (Paschim Medinipur) থানা এলাকায় এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের দু’জনের ফাঁসি এবং একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল মেদিনীপুর আদালত। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ মে এক ২১ বছর বয়সী কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করার পর, অন্তর্বাস গলায় জড়িয়ে তাঁকে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনার দিনেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং দু’ বছর পর আজ আদালতে শাস্তি ঘোষণা হল।

    কীভাবে শাস্তি ঘোষণা হল (Paschim Medinipur)?

    ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগে দু’জনকে ফাঁসি এবং এক মহিলাকে যাবজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারপতি কুসুমিকা দে (মিত্র)। ধর্ষণ করে খুনের আসামীদের নাম হল, ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূমের ছোটু মুন্ডা, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা বিকাশ মুর্মু (তখন বয়স ২৭), পিংলার তেমাথানির তপতী পাত্র। পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের সাপেক্ষে মঙ্গলবার দোষীদের সাজা শোনানো হয় আদালতের তরফ থেকে।

    পরিবারের বক্তব্য

    দোষীদের শাস্তি ঘোষণা হওয়ায় এই রায়ে খুশি মৃতের পরিবার। পিংলায় (Paschim Medinipur) ধর্ষণকাণ্ডে মৃত তরুণীর বাবা চাষ করেন আর মা আশা কর্মী। তরুণীর মা বলেন, করোনা পরিস্থিতির সময় কলেজ বন্ধ থাকায় বাড়িতে অনলাইনে পড়াশুনা করত মেয়ে। ডেবরা মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল আমার মেয়ে। মৃতের মা আরও জানান, মেয়েকে তো আর ফেরত পাব না। কিন্তু দোষীরা শাস্তি পেল, এতে কিছুটা খুশি।

    সরকারি আইনজীবীদের বক্তব্য

    সরকারি আইনজীবী (স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর) দেবাশিষ মাইতি বলেন, “২০২১ সালের পিংলা থানার ঘটনায় ২৭ জন সাক্ষ্য দেন। এই ঘটনায় দুজনের ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও মামালায় অভিযুক্ত এক মহিলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ঘটনাটির দিনই পিংলা (Paschim Medinipur) থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। মূল অভিযোগ ছিল তরুণীকে গণধর্ষণের পর খুন করে দোষীরা” ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share