Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • TMC: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নন্দীগ্রাম থানার সিভিক! জেলাজুড়ে শোরগোল

    TMC: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নন্দীগ্রাম থানার সিভিক! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিভিক ভলান্টিয়ারদের অনেকেই তৃণমূলের (TMC) পার্টি ক্যাডার। বিরোধীরা বার বার এই অভিযোগ তোলে। এটা যে শুধু অভিযোগ নয়, তা পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের ঘটনায় প্রমাণিত। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ২৮ জুলাই তৃণমূলের (TMC) প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে টিএমসিপি। তাতে জেলার বেশ কয়েকটি ব্লকের আহ্বায়কের নাম ঘোষণা করা হয়। তাতে ২ জনের নাম রয়েছে শেখ আসিফ ইকবাল কাজি এবং মোশারফ হোসেন। এই আসিফ ইকবাল কাজি হলেন নন্দীগ্রাম থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। কিন্তু, একজন সিভিক ভলান্টিয়ার কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হতে পারেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

    কী বললেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের নেতা?

    অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের নন্দীগ্রাম নগর ইউনিটের সভাপতি সায়ন পন্ডা বলেন, প্রশাসনিক কাজে যুক্ত, সে কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হতে পারে? তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের সভাপতি যাকে করা হয়েছে, তিনি রেলে চাকরি করেন। ফলে, সিভিক ভলান্টিয়াররা যে পার্টি ক্যাডার, এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    কী বলল তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের তমলুক (TMC) সাংগঠনিক জেলার  জেলা কমিটির চেয়ারম্যান পীযূষ ভূঁইয়া বলেন, তৃণমূলের  ছাত্র সংগঠন স্বাধীনভাবে কাজ করে। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে দায়িত্ব দিয়ে থাকলে অসুবিধার কিছু নেই। এর সঙ্গে মাদার সংগঠনের কোনও যোগাযোগ নেই। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য কমিটি দায়িত্ব দিয়ে থাকলে থাকতে পারে। তারা স্বাধীনভাবে সমস্ত কিছু দেখাশোনা করে।

    থানা সূত্রে কী জানা গেল?

    একজন প্রশাসনিক কাজে নিযুক্ত ব্যক্তি কীভাবে রাজনৈতিক কাজে যুক্ত হতে পারেন, সেই নিয়ে বিতর্কের ঝড় নন্দীগ্রামে। যদিও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা তৃণমূল (TMC)  ছাত্র পরিষদের নেতা শেখ আসিফ ইকবাল কাজির তরফ থেকে কিছু জানা যায়নি। নন্দীগ্রাম থানা সূত্রে খবর, ইকবাল কাজি সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে এখনও কাজ করছেন। কোনও পদত্যাগপত্র তাঁর কাছ থেকে থানায় জমা পড়েনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gold Hub: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাই সার, জমি জটে আটকে ঘাটালের সোনার হাব তৈরির কাজ

    Gold Hub: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাই সার, জমি জটে আটকে ঘাটালের সোনার হাব তৈরির কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাই সার। জমি জটে আপাতত থমকে গেল দাসপুরে নির্মীয়মাণ সোনার হাবের (Gold Hub) কাজ। খেলার মাঠ ও শ্মশান বাঁচাতে আদালতের দ্বারস্থ গ্রামবাসীরা। ফলে, এই প্রকল্পের কাজ কবে শুরু হবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। দ্রুত জট কেটে মিলবে সমাধান, আশাবাদী প্রশাসন।

    গ্রামবাসীদের কী অভিযোগ?

    কয়েক বছর আগে খড়্গপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাসপুরে গোল্ড হাব (Gold Hub) গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই শুরু হয় জমি চিহ্নিতকরণ সহ যাবতীয় প্রক্রিয়া। দাসপুর-২ নম্বর ব্লকের ফরিদপুর মৌজায় চিহ্নিত করা হয় জমি। ১ একর  ৮০ শতকের এই জমি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরকে হস্তান্তর করা হয়। ভবন তৈরির জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে সাড়ে সাত কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। চলতি বছরের ১৬ ই ফেব্রুয়ারি গোল্ড হাবের ভার্চুয়ালি শিলান্যাস করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মাস কয়েক আগে শুরু হয় কাজও। তবে এরই মাঝে বেঁকে বসেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের একাংশের বক্তব্য, সরকারি এতবড় প্রকল্প করার আগে জমিটিতে কী হয়, তা প্রশাসনের কর্তাদের নজরে এল না। আসলে গোল্ড হাবের জন্য যে জমি চিহ্নিত করা হয়েছে, খাতায়-কলমে সেই জমির চরিত্র শ্মশান। জমির একাংশ খেলার মাঠ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। দুর্গাপুজো সহ গ্রামের একাধিক অনুষ্ঠান হয় এই জমিতেই। এই কারণেই গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে বিকল্প কোনও জমিতে সোনার হাব তৈরির দাবি তোলা হয়। প্রাথমিকভাবে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা না মেলায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন গ্রামবাসীরা। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, তিন সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে গোটা বিষয় নিয়ে।

    কী বললেন মহকুমা শাসক?

    ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, প্রথম দিকে এনিয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি। এখন অভিযোগ এসেছে। গোটা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত এই জট কেটে গোল্ড হাব (Gold Hub) তৈরি করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                                                        

  • Dengue: মরশুমের শুরুতেই একের পর এক মৃত্যু! ডেঙ্গি সংক্রমণ হতে পারে লক্ষাধিক! 

    Dengue: মরশুমের শুরুতেই একের পর এক মৃত্যু! ডেঙ্গি সংক্রমণ হতে পারে লক্ষাধিক! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই মতো কাজ কতখানি হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলছে মৃত্যু। বর্ষার মরশুম শুরু হতেই ফের একের পর এক মৃত্যু রাজ্যে! আক্রান্তের সংখ্যাও প্রত্যেক দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। প্রশ্ন উঠছে, ডেঙ্গি (Dengue) রুখতে কতখানি সক্রিয় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর!

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য (Dengue)? 

    ২০১৭ সাল থেকেই রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ গোটা দেশের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। সেই ধারা এ বছরেও অব্যাহত থাকবে বলেই আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ভেক্টর বোর্ন ডিজিজেজ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৭,২৭১। ৩০ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছিল বলে সরকারি হিসাব। যদিও, বেসরকারি হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা শতাধিক। এ বছরের পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হতে চলেছে বলেই আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। 
    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। গত তিন সপ্তাহে প্রায় এক হাজারের কাছাকাছি মানুষের ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ। 
    চিন্তা বাড়াচ্ছে পর পর ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যু। সূত্রের খবর, গত কয়েক দিনের মধ্যে কলকাতার তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে চারজন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে একজন দশ বছরের স্কুল ছাত্রী।

    কী আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক তা স্পষ্ট।  জুন-জুলাইয়ে পরিস্থিতি এতখানি খারাপ থাকে না। বিগত বছরগুলোতে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার পেরিয়ে যায়। কিন্তু এ বছরে জুলাই মাসের প্রথম কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা উর্ধ্বমুখী। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। তাই এ বছরের ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমণের ‘পিক টাইম’ সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হতে চলেছে বলেই তারা আশঙ্কা করছে।

    কোন চার জেলা উদ্বেগ (Dengue) বাড়াচ্ছে? 

    স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, চার জেলা নিয়ে বিশেষ উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা এবং নদিয়া। এই চার জেলার ডেঙ্গু (Dengue) সংক্রমণ বিপদ বাড়াতে পারে বলেও তাঁরা আশঙ্কা করছেন। স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছে, সম্প্রতি কলকাতার পিকনিক গার্ডেন এবং নদিয়ার রানাঘাটের দুই বাসিন্দা ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এরপরে এলাকা পরিদর্শন করে জানা গিয়েছে, অনেকে তিন দিনের বেশি জ্বরে আক্রান্ত। কিন্তু রক্ত পরীক্ষা করানো হয়নি। এটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে বলে তাঁরা জানাচ্ছেন।

    কী বলছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা? 

    স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী অবশ্য জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি (Dengue) হাতের বাইরে যায়নি। তিনি জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: নির্যাতিতা দুই মহিলা জেল থেকে ছাড়া পেতেই সংবর্ধনা, ব্যাপক উচ্ছ্বাস

    Malda: নির্যাতিতা দুই মহিলা জেল থেকে ছাড়া পেতেই সংবর্ধনা, ব্যাপক উচ্ছ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মালদার (Malda) দুই নির্যাতিতা মহিলাকে সংবর্ধনা জানানো হল‌। মঙ্গলবার মালদা শহরের রথবাড়ি এলাকায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁদের সংবর্ধনা জানানো হয়। নতুন শাড়ি, ফুলের মালা এবং কিছু খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয় তাঁদের হাতে। 

    কী ঘটেছিল ঘটনা (Malda)?

    উল্লেখ্য, মালদার (Malda) পাকুয়াহাট এলাকায় চোর সন্দেহে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। এই ঘটনার পর দোষীদের গ্রেফতার না করে, ওই দুই নির্যাতিতা মহিলাকে পুলিশ গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। পাশাপাশি দুই মহিলাকে মারধরের ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যদিকে দিন কয়েক আগে পাকুয়াহাট পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ দিয়ে ওই দুই মহিলাকে জেলে পাঠানো হয় বলে অভিযোগ মহিলাদের। ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠে গোটা রাজ্য জুড়ে। অবশেষে সোমবার মালদা জেলা আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করে। মঙ্গলবার মালদা জেলা সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পান তাঁরা। জানা যায় এরপর মালদা শহরের রথবাড়ি এলাকায় নির্যাতিতা দুই মহিলাকে সংবর্ধনা জানানো হয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে।

    নির্যাতিতা মহিলদের বক্তব্য

    পাকুয়াহাটে (Malda) নির্যাতিতা মহিলা বলেন, বাজারে শুটকি মাছ বিক্রি করতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ কয়েকজন এসে বলে তোরা টাকা চুরি করেছিস! উত্তরে আমরা বলি, না, আমরা কোনও টাকা চুরি করিনি। এরপর বলতে বলতেই সবাই মারধর শুরু করে। মারতে মারতে কাপড়-জামা খুলে নেয়। একে একে শাড়ি, সায়া এবং ব্লাউজ খুলে নেয়। পায়ের চটি, লাঠি দিয়ে মারধর করে আমাদের। প্রচণ্ড মারে আমরা আহত হয়ে পড়ি। এভাবেই আমাদের নগ্ন করে অত্যাচার করে দুষ্কৃতীরা। শেষে পুলিশও আমাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করে, গত সোমবার ১৭ জুন কি আপনারা নালাগোলা থানায় ভাঙচুর করেছিলেন? উত্তরের মহিলা বলেন, না, এমন কোনও কাজ আমরা করিনি। আমাদের চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: অনুব্রতর গড়ে ফের তৃণমূল কর্মীর নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, এলাকায় শোরগোল

    Bomb Blast: অনুব্রতর গড়ে ফের তৃণমূল কর্মীর নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, এলাকায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অনুব্রতর গড় বীরভূমে তৃণমূল কর্মীর নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা ঘটল। বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর থানার ডেমুরটিটা গ্রাম। এই গ্রামেরই একটি ফাঁকা জায়গায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সেখ সেরাফতের নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। এই নির্মীয়মাণ বাড়িতে বালির নীচে রাখা ছিল প্রচুর পরিমাণ বোমা। আর সেই বোমাগুলোই বিস্ফোরণ হয়। ফলে এলাকা কেঁপে ওঠে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় লোকপুর থানার পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এই ঘটনার পর থেকে বাড়ির মালিক তথা তৃণমূল কর্মী পলাতক।

    কী বললেন স্থানীয় এক বাসিন্দা?

    যে জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হয়েছে, সেই জায়গায় আরও বোমা আছে কিনা তার জন্য খবর দেওয়া হয় পুলিশের বোমা বিশেষজ্ঞদের। তারা এসে বোমা বিস্ফোরণের জায়গা মেটাল ডিটেক্টর মেশিন দিয়ে চেক করে। তাছাড়াও  বিস্ফোরণ হওয়া বাড়ি সংলগ্ন নবনির্মিত বেশ কয়েকটি বাড়িতে মেটাল ডিটেক্টর মেশিন দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। উল্লেখ্য, গ্রামে দুই গোষ্ঠী রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস ও নির্দল। সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই গ্রামে নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। বোমা বিস্ফোরণের বিষয়ে নির্দল সমর্থক সেখ সামিরচাঁদ বলেন, আমি সকালে উঠে বোমার বিকট শব্দ শুনি। তৃণমূল কর্মী সেখ জামালের ছেলে সেখ সেরাফতের নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। তাঁরা গ্রামকে অশান্ত করার জন্যই আনুমানিক ৭০ পিস বোমা মজুত রেখেছিল। ফাঁকা জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে বলে কোনও হতাহতের খবর নেই। বাড়ির মালিক পলাতক। তবে তাঁদের সমর্থকরা মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূল কর্মীর পরিবারের লোকজন?

    তৃণমূল কর্মী সেখ সেরাফতের পিসি সেলিমা বিবি বলেন, যেখানে বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হয়েছে, সেটা আমার ভাইপোর বাড়ি। কিন্তু সে বড় গাড়ি চালায়। এখানে থাকে না। ওর বাড়িতে পরিকল্পিত ভাবে বোমা রাখা হয়েছে। কারণ আমরা তৃণমূল করি। তাই আমাদের ওপরে দোষ চাপানোর জন্যই নির্দলের লোকেরা বোমগুলো রেখেছে। অন্যদিকে বিস্ফোরণ স্থলের পাশের বাড়ির মঞ্জিলা বিবি নামে এক মহিলা বলেন, আমি ঘর থেকেই বোমার আওয়াজ পেলাম। তবে কে রেখে গিয়েছে বোমাগুলো আমরা তো বলতে পারব না। এই গ্রামে এখন বিরুদ্ধ পার্টি রয়েছে। তাই এরকম ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আমরা খুব ভয়ের মধ্যেই আছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    দুবরাজপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা বলেন, আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বলেছি সন্ত্রাস হবে। তাই তৃণমূল কংগ্রেস বোমা-বারুদ শিল্পে পরিণত করেছে। বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: ছেলের হাতে বাবা খুন! ঘটনায় শিহরিত গোটা দত্তপুকুর

    North 24 Parganas: ছেলের হাতে বাবা খুন! ঘটনায় শিহরিত গোটা দত্তপুকুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুর (North 24 Parganas) থানার অন্তর্গত বামনগাছির মালিয়াপুর এলাকায় ছেলের হাতে খুন হলেন বাবা। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, বাবা রঘুনাথ শিকদার, বয়স ৫৫। বাড়িতে বসে তিনি পুজো করছিলেন। আর ঠিক সেই সময় ছেলে হৃদয় শিকদার পিছন থেকে গিয়ে ধারালো বঁটি দিয়ে গলায় কোপ বসায়। এরপর দত্তপুকুর থানায় খবর দিলে, পুলিশ এসে রঘুনাথ শিকদারকে বারাসত হসপিটালে নিয়ে যায় এবং সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। আর এই কারণে বাবাকে ধারালো বঁটি দিয়ে কোপ মারে। পুলিশ মানসিক ভাবে বিকারগ্রস্ত হৃদয়কে আটক করে দত্তপুকুর থানায় নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।

    কীভাবে করা হল খুন (North 24 Parganas)?

    হৃদয় শিকদারের মা কাঁদতে কাঁদতে বললেন, হৃদয়ের বাবা ঠাকুর ঘরে (North 24 Parganas) পুজো করছিলেন। হঠাৎ তীব্র চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি, ওর বাবা মাটিতে পড়ে রয়েছেন। পিছন থেকে বঁটি দিয়ে কোপ দেয় হৃদয়। ঘর রক্তাক্ত হয়ে যায়। মা আরও বলেন, ছেলের মাথায় অনেক দিন ধরেই সমস্যা ছিল। মা আরও বলেন, আগে নেশা করত, তবে মাস কয়েক ধরে ঠিক ছিল হৃদয়। তেমন কিছুর জন্য দাবিদাওয়াও করেনি। তবে কেন যে এমন কাজ করল, বুঝতেই পারছি না।

    প্রতিবেশীর বক্তব্য

    প্রতিবেশী (North 24 Parganas) দীপালী দে বলেন, একসময় পড়াশুনায় বেশ ভালো ছাত্র ছিল হৃদয়। কিন্তু নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে বাড়িতে রোজই টাকার জন্য অশান্তি, ঝামেলা করত। টাকা না দিলে রোজ বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করত। প্রায় পাগালের মতো হয়ে গিয়েছিল হৃদয়। অনেক জায়গায় ডাক্তার দেখানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁর মানসিক রোগ নিরাময় হয়নি। হৃদয় কয়েকদিন যাবত সব সময় ঘরেই থাকত, বাড়ির বাইরেও বের হত না। আজ সকাল ৬ টায় চিৎকার শুনতে পেয়ে দেখি এই ঘটনা ঘটছে। পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে হৃদয়কে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Student: ধুলিয়ানে গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল দুই স্কুল ছাত্র, এলাকায় শোকের ছায়া

    Student: ধুলিয়ানে গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল দুই স্কুল ছাত্র, এলাকায় শোকের ছায়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরা গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল তিন স্কুলছাত্র। মঙ্গলবার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার ধুলিয়ান কাঞ্চনতলা গঙ্গার ঘাটে। যদিও স্থানীয় লোকজনের তৎপরতায় একজন ছাত্রকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনও পর্যন্ত ভরা গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে দুই ছাত্র। তলিয়ে যাওয়া ছাত্রদের (Student) নাম রোহন শেখ (১২) এবং মোজাহিদ শেখ (১৩)। তাদের বাড়ি সামশেরগঞ্জের হিজলতলা গ্রামে। রোহন কাঞ্চনতলা জে ডি জে ইনস্টিটিউশনের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। আর মোজাহিদ ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। খবর পেয়ে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। খবর দেওয়া হয়েছে ডুবুরি টিমকে। ডুবুরি টিম গঙ্গায় নেমে তল্লাশি চালালেও তাদের দুজনের খোঁজ মেলেনি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য সব স্কুল খুললেও কাঞ্চনতলার এই স্কুলে পঞ্চায়েত ভোটে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় এখনও পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। কিন্তু, স্কুল বন্ধ থাকার বিষয়টি বুঝতে না পেরে এদিন তিন স্কুল ছাত্র (Student) সামশেরগঞ্জের কাঞ্চনতলা জে ডি জে ইনস্টিটিউশনে যায়। স্কুল বন্ধ দেখে তারা পাশেই গঙ্গার ধারে খেলতে যায়। গঙ্গার ধারে কিছুক্ষণ খেলা করার পর ব্যাগ রেখে তারা তিনজনই গঙ্গায় স্নান করতে নামে। তখনই তলিয়ে যায় তারা। ডুবে যাওয়ার খবর জানাজানি হতেই হইচই সৃষ্টি হয়। যদিও তৎক্ষণাৎ একজন মাঝির তৎপরতায় নাজিম শেখ নামে এক ছাত্রকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। অন্যদিকে, গঙ্গা থেকে জল তুলতে গিয়ে সোমবারই খাগড়ায় দুজন যুবক তলিয়ে যান।

    কী বললেন নিখোঁজ ছাত্রের (Student) পরিবারের লোকজন?

    নিখোঁজ ছাত্রদের (Student) পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, স্কুল বন্ধ রয়েছে তা স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও কিছু জানায়নি। আর অন্য স্কুল চালু থাকায় আমরা ভেবেছি স্কুল খুলে গিয়েছে। ওরা স্কুল বন্ধ দেখে গঙ্গার ধারে খেলা করতে গিয়ে এই বিপত্তি হয়েছে।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    ছাত্র তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ধুলিয়ান পুরসভার চেয়ারম্যান ইনজামামুল ইসলাম সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। তিনি বলেন, একজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি দুজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: পুলিশ অভিযোগ নেয়নি! বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: পুলিশ অভিযোগ নেয়নি! বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিষ্ণুপুরে বিজেপি প্রার্থী ভোলানাথ মণ্ডলের রহস্যমৃত্যু হয়। এই ঘটনায় এদিন হাইকোর্টে (Calcutta High Court) তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশের কাছে ঘটনার অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার পরেও কোনওরকম এফআইআর দায়ের হয়নি। আরও মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ময়নাতদন্ত ছাড়াই ওই বিজেপি প্রার্থীর দেহ সৎকার করা হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনের ওপর ভরসা হারিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব দ্বারস্থ হয় কলকাতা হাইকোর্টের। মামলাটি ওঠে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে। এদিন বিচারপতি দুটি অভিযোগই শোনেন এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর ১ নম্বর ব্লকের দড়িকেওড়াডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দেন ভোলানাথ মণ্ডল। অভিযোগ, এর পর থেকেই শাসক দলের সন্ত্রাস নেমে আসে তার ওপর। মনোনয়ন তোলার জন্য চাপ দিতে থাকে তৃণমূল। কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন ভোলানাথ। এরপরই গত ২১ জুন তাঁর মাথায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেই আঘাত নিয়েও ভোটে লড়েন তিনি। ফের তাঁকে ১১ জুলাই গণনার দিন ব্যাপক মারধর করা হয়। অসুস্থ ভোলানাথকে ভর্তি করা হয় ডায়মন্ডহারবারের হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় ভোলানাথের।  

    কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ

    এমন পরিস্থিতিতে ভোলানাথ মণ্ডলের মৃত্যুর ঘটনায় ডিএসপি পদমর্যাদার কোনও অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে গণনাকেন্দ্র এবং হাসপাতালের (Calcutta High Court) সিসিটিভি ফুটেজও বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ, দ্রুত তদন্ত শুরু করতে হবে। আগামী ১৮ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওই দিন পুলিশকে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে মৃত বিজেপি প্রার্থীর পরিবারের তরফেও হলফনামা জমা নেওয়া হবে ওইদিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: আসানসোলে তৃণমূল কাউন্সিলার এবং বিধায়কের কোন্দল প্রকাশ্যে! তীব্র শোরগোল

    Asansol: আসানসোলে তৃণমূল কাউন্সিলার এবং বিধায়কের কোন্দল প্রকাশ্যে! তীব্র শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলেরই বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন আসানসোলের (Asansol) ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলার অশোক রুদ্র। তিনি সরাসরি রানিগঞ্জের তৃণমূলের বিধায়ক তাপস ব্যানার্জির নাম নিয়ে অভিযোগ করেন। এই বিষয়ে অশোক রুদ্র বলেন, তাপস ব্যানার্জি আমার ওয়ার্ডে যে কোনও পোগ্রামে আসেন, কিন্তু সব প্রোগ্রামেই আমায় বাদ দিয়ে আসেন, আমায় কিছুই জানান না। এই বিষয়ে আমি উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছি। অন্য দিকে পাল্টা তাপস ব্যানার্জি বলেন, শিশুসুলভ আচরণ এটা! এই বিষয়ে আমি বেশি কিছু বলতে চাই না। যদি কোনও সংস্থা আমায় ডাকে, তা হলে কি আমি যাব না? এলাকায় দুই তৃণমূল নেতার দ্বন্দ্বে শোরগোল তৈরি হয়েছে। আসানসোলে শাসক দল চাপের মুখে।

    তৃণমূল কাউন্সিলারের বক্তব্য (Asansol)

    আসানসোলে (Asansol) তৃণমূলের কাউন্সিলার অশোক রুদ্র তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে বলেন, এডিডিএ’র চেয়ারম্যান হলেন তাপস ব্যানার্জি। কিন্তু নিজে এই এলাকার জনপ্রতিনিধি নন। এলাকার জনপ্রতিনিধি হলাম আমরা। আমাদের কিছু না জানিয়ে কীভাবে উনি এলাকায় এসে কাজ করতে পারেন! এলাকায় যে কোনও কাজ করতে গেলে আমাদের অনুমতি নিয়ে করতে হবে। বার্নপুর উৎসবের নামে এলাকায় এসে কাজ করার চেষ্টা করছেন তিনি, এটা অন্যায়। আমাদের উপেক্ষা করলে আমরাও ছেড়ে কথা বলব না। এই বার্নপুর উৎসব কমিটির মধ্যে এলাকার কোনও জনপ্রতিনিধি নেই। তিনি আরও বলেন, অত্যন্ত বয়স্ক মানুষ বলে এতদিন কিছু বলিনি তাঁকে। এলাকায় কোনও কাজ করতে এসে যদি আমাদের না জানান, তাহলে যদি কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, তার জন্য তিনিই দায়ী থাকবেন।

    বিধায়কের বক্তব্য

    রানিগঞ্জের বিধায়ক (Asansol) তাপস ব্যানার্জি বলেন, আমি অনেক সিনিয়র কর্মী। অত্যন্ত নিম্নরুচির মানুষের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। কাউন্সিলার অশোক রুদ্রের আচরণ অত্যন্ত শিশুসুলভ। মানুষের কত অসুবিধা- জল নেই, রাস্তা নেই এই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু তাঁর প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আমার কাজ নয়। আমি ৬ বারের কাউন্সিলার এবং ৪ বারের বিধায়ক। তাই কী করব কী বলব, সেই সম্পর্কে আমি খুব সচেতন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে তিনি বলেন, আমার কোনও গোষ্ঠী নেই, তাই কোন্দলের কোনও প্রশ্ন নেই। দল ডাকলে আমি সব জায়গায় যাব। বার্নপুরের মানুষ আমাকে খুব ভালবাসেন, আর তাই যাই। আশোক রুদ্রের আচরণ অত্যন্ত অপরিণত।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরু হতেই একের পর এক অভিযোগ উঠছে। ২০১২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগেও কারচুপির অভিযোগ ওঠে। তখন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ব্রাত্য বসু। তা নিয়ে জল গড়ায় আদালতে। এবার সেই মামলায় রাজ্য শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন এই নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলায় খারিজ রাজ্যের আর্জি, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে বহাল এনআইএ তদন্ত

    বিচারপতির নির্দেশ

    মঙ্গলবার বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই টাকা জমা করতে হবে। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ‘লিগ্যাল এইড সার্ভিস’-এ এই টাকা যাবে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি। পাশাপাশি আগামী ছ’সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে জমা দিতে হবে রিপোর্ট। শিক্ষা দফতর কীভাবে এই টাকা পাবে, তার পথ বাতলে দিয়েছেন বিচারপতি। তাঁর মতে, ২০১২ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ‘দুর্নীতি’র তদন্তে যে সমস্ত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তাঁদের কাছ থেকে আদায় করতে হবে জরিমানার টাকা।

    পরবর্তী শুনানি ১২ সেপ্টেম্বর

    প্রসঙ্গত, ২০১২ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। স্বজনপোষণের মাধ্য়মে টাকার বিনিময়ে কয়েকজনকে চাকরি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর জল হাইকোর্টে পর্যন্ত গড়ালে, উচ্চ আদালত (Calcutta High Court) ২০১৬ সালে শিক্ষা দফতরের তৎকালীন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। কিন্তু মাঝখানে সাত বছর পেরিয়ে গিয়েছে। তবুও নির্দেশ এখনও কার্যকর হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ফের মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। মামলাকারীরা অযোগ্যদের চাকরি বাতিল এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তদন্তের দাবি তোলেন। মঙ্গলবার এই মর্মে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১২ সেপ্টেম্বর।

    আরও পড়ুুন: ‘পিসিমণির হেঁসেল ঘরে স্পেশাল মেনু ব্যালট পেপারের থালি,’ টোটোর ব্যানারে প্রতিবাদ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share