Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Passport Scam: পাসপোর্ট জালিয়াতিতে নজরে রাজ্যের আরও ৪ পুলিশকর্মী, সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে সব ভূত?

    Passport Scam: পাসপোর্ট জালিয়াতিতে নজরে রাজ্যের আরও ৪ পুলিশকর্মী, সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে সব ভূত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাসপোর্ট জালিয়াতি (Passport Scam) কাণ্ডে ধরা পড়েছেন এক প্রাক্তন পুলিশকর্মী। এবার তদন্তকারীদের নজরে কলকাতা পুলিশের (Police) আরও ৪ জন কর্মী। এমনই দাবি করা হচ্ছে রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের নজরে থাকা পুলিশকর্মীদের মধ্যে আছেন দুই অফিসার, এক কনস্টেবল এবং একজন হোমগার্ড। এই চারজনের কাছ থেকে পাসপোর্ট কাণ্ডে সক্রিয় থাকা চক্রের আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাহলে সর্ষের মধ্যেই কি লুকিয়ে রয়েছে সব ভূত?

    পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে গ্রেফতার কত? (Passport Scam)

    জানা গিয়েছে, তদন্তকারীদের নজরে (Passport Scam) থাকা পুলিশ অফিসারদের একজন একটি থানায় কর্মরত ছিলেন। এদিকে অপর অফিসার ছিলেন সিকিউরিটি কন্ট্রোল রুমে। এছাড়া যে পুলিশ কনস্টেবলের ওপর সিটের নজর আছে, তিনিও সিকিউরিটি কন্ট্রোলরুমেই কর্মরত ছিলেন। এই তিন পুলিশকর্মী সহ হোমগার্ডকে আপাতত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে এই চার পুলিশকর্মীর ভূমিকা কতটা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দিন দুয়েক আগেই পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে এক প্রাক্তন পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম আবদুল হাই। কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সাব ইন্সপেক্টর তিনি। কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোলের অফিসেও কাজ করেছেন। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থেকে ধরা হয়েছিল তাঁকে। আড়াই বছর কাজ করেছেন পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন অফিসার হিসেবে। সবমিলিয়ে পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে এখনও ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    পাসপোর্ট পিছু ২৫ হাজার টাকা!

    জানা গিয়েছে, পাসপোর্টের কারবারের (Passport Scam) সূত্রেই সমরেশের সঙ্গে পরিচয় হয় আবদুলের। কিছুদিন পর আবদুলকে টাকার টোপ দেন সমরেশ। সেই টোপ গিলেও নেন আবদুল হাই। তার পরই শুরু হয় জালিয়াতির কারবার। পাসপোর্ট কাণ্ডের অন্যতম চক্রী সমরেশ বিশ্বাসের অ্যাকাউন্ট থেকে আবদুল হাইয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গত কয়েক বছরে গিয়েছে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। পাসপোর্ট পিছু ২৫ হাজার টাকা করে নিতেন এই আবদুল হাই। এই আবহে ধৃতকে জেরা করে আর কোন কোন আধিকারিক এই দুর্নীতিতে যুক্ত তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে ১৫০ জনেরও বেশি অনুপ্রবেশকারীকে ভারতীয় পাসপোর্ট করিয়ে বিদেশে পাঠিয়েছে সমরেশ। তার মধ্যে ৫০টির বেশি পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে আবদুল হাইয়ের হাত ধরে। এদিকে পাসপোর্ট জালিয়াতির তদন্তে এই নিয়ে মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই চক্রের জাল আরও দূর পর্যন্ত ছড়ানো বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে পাসপোর্টকাণ্ডে ধৃত মূল চার অভিযুক্তের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫টি মোবাইল ফোন। সেই ফোনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। সেই তথ্য ফিরে পেতে ফোনগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষা করাতে চান তাঁরা। গোয়েন্দাদের অনুমান, ওই ফোনগুলির তথ্য পাওয়া গেলে ধৃতদের সঙ্গে আর কার কার যোগাযোগ ছিল তা জানা যাবে। পাশাপাশি এই চারজনের কাছ থেকে গোটা চক্রের আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: পশ্চিমি ঝঞ্ঝায় আটকে গেল শীত, বাড়ছে তাপমাত্রা, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা

    Weather Update: পশ্চিমি ঝঞ্ঝায় আটকে গেল শীত, বাড়ছে তাপমাত্রা, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার তাপমাত্রা (Weather Update) বাড়ছে রাজ্যে। পশ্চিমি ঝঞ্ঝায় বাধা পড়েছে শীতের পারদে। অপর দিকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এদিন দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ডিগ্রি বেশি। পুরুলিয়া জেলা ছাড়া দক্ষিণের আর বাকি কোনও জেলায় তাপমাত্রা (Rising Temperatur) ১০ ডিগ্রির নিচে নামেনি। ফলে তাপমাত্রার পারদ আরও বাড়তে শুরু করেছে।

    জাঁকিয়ে শীত পড়ার বিষয়টা আর থাকছে না(Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী তিনদিন আরও তাপমাত্রা (Weather Update) বাড়বে। জাঁকিয়ে শীত পড়ার বিষয়টা আর থাকছে না। হাড় কাঁপানো শীতের আমেজ থাকবে না। মোটামুটি ২ থেকে চার ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে তাপমাত্রা। তারপর আবার পারদের কিছুটা মান নামবে বলে মনে করা হচ্ছে। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শনিবারের থেকে দুই ডিগ্রি বেড়ে গিয়েছে। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.৪ ডিগ্রি পর্যন্ত। মূলত পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে এই ভাবে তাপমাত্রা (Rising Temperatur) বেড়ে যাচ্ছে। আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত পশ্চিমি ঝঞ্ঝার এই প্রভাব থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, দক্ষিণবঙ্গে এই সময় জেলাগুলিতে আপাতত শুকনো আবহাওয়া থাকবে। সকালের দিকে কুয়াশার কারণে সমস্যা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় ব্যাপক কুয়াশা নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ২০২৫ সালে প্রখর তাপের সম্মুখীন হতে হবে বিশ্ববাসীকে, চরম সতর্কতা

    উত্তরে তুষারপাতের সম্ভাবনা

    একই ভাবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে রবিবার হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা (Weather Update) থাকবে। মঙ্গলবারে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে মঙ্গলবার বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। তিন দিন পর উত্তারের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা নতুন করে দুই ডিগ্রি (Rising Temperatur) কমতে পারে। সিকিমের উপরের অংশে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

    তাপমাত্রা কোথায় কত?

    রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Weather Update) ছিল পুরুলিয়ায়, ৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কালিম্পঙের তাপমাত্রাও ছিল পুরুলিয়ার চেয়ে বেশি ৯.৫ ডিগ্রি। পুরুলিয়া ছাড়া দক্ষিণের আর কোথাও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে ছিল না। সব জায়গাতেই ১১ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে পারদ (Rising Temperatur)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Liquor sale: শিক্ষা, স্বাস্থ্য রসাতলে, মদ বিক্রিতে এগিয়ে চলেছে রাজ্য, ফের রেকর্ড কলকাতার!

    Liquor sale: শিক্ষা, স্বাস্থ্য রসাতলে, মদ বিক্রিতে এগিয়ে চলেছে রাজ্য, ফের রেকর্ড কলকাতার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য মদ বিক্রিতে (Liquor sale) ফের রেকর্ড গড়ল। বড়দিন থেকে ইংরেজি বর্ষবরণ পর্যন্ত মোট ৮ দিনে কলকাতার মদের (Calcutta Record) দোকানগুলিতে ১৩৭ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। রাজ্যের বড় আয়ের উৎস এখন মদের দোকান! তবে এই ভাবনা অমূলক এই মদ সুরারসিকরা ব্যবসার উন্নিতির কথা মাথায় রেখে পান করেছেন। নেশা সমাজের জন্য সব সময় ক্ষতিকারক, নিজের জন্য, পরিবারের জন্য এবং সমাজ তথা দেশ রাষ্ট্রের জন্য এই সংবাদ কখনই লাভজনক নয়। বিরোধীদের তোপ, তৃণমূলের কাছে উন্নয়নের মডেল এখন মদ বিক্রি। হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যেখানে রসাতলে, সেখানে রাজ্যে সরকারি মদতে চলছে দেদার মদ বিক্রির মোচ্ছব!

    বঙ্গ এখন মদবিক্রির মুক্তাঞ্চল (Liquor sale)

    উল্লেখ্য, বিহার, গুজরাতের মতো রাজ্যে যেখানে মদ বিক্রির (Liquor sale) উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা রয়েছে, তুলনায় বঙ্গ এখন মদ বিক্রির মুক্তাঞ্চল। যে রাজ্যের হালকা, মাঝারি এবং ভারী শিল্পের কোনও সম্ভাবনা নেই, সেই রাজ্যে উৎসব-অনুষ্ঠানে মদ বিক্রি একটা বড় ব্যাপার। অবশ্য রাজ্যের শাসক দল এমনটাই মনে করে। তবে রাজ্যবাসী মনে করছেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে মদ বিক্রি কার্যত ধ্বংসাত্মক ভাবনারই প্রকাশ। 

    দোকান এবং পানশালয় ১৩৭ কোটি টাকার মদ বিক্রি

    রাজ্যের আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আট দিনে কলকাতার বিভিন্ন দোকান এবং পানশালয় ১৩৭ কোটি টাকার মদ বিক্রি (Liquor sale) হয়েছে। এই বিক্রি গত বছরের তুলানায় ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ছে। আবগারি দফতরের কলকাতায় চারটি বিভাগীয় জেলা রয়েছে-কলকাতা উত্তর (Calcutta Record), কলকাতা দক্ষিণ, আলিপুর, বিধাননগর। সূত্রে জানা গিয়েছে আলিপুর জেলায় সবথেকে বেশি মদ বিক্রি হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা দক্ষিণ, তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা উত্তর এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে বিধাননগর। গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুধু আলিপুরে ৪২ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। তবে সাধারণ সময়ে আলিপুরে প্রতিদিন গড়ে ৩ কোটি টাকা হয়। এবার আলিপুরে গতবারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বিক্রি হয়েছে। এই দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের  ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে উৎসবের মরসুমে, সাধারণ সময়ের তুলনায় প্রায় দুইগুণ কলকাতায় মদ বিক্রি বেড়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ সর্ষের মধ্যেই ভূত! পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন অফিসার

    ২০২১ সালে মদ বিক্রিতে দেশে দ্বিতীয় ছিল বাংলা

    উল্লেখ্য ২০২১ সালের একটি সমীক্ষায় এই রাজ্য মদ বিক্রিতে (Liquor sale) দ্বিতীয় স্থানে ছিল। অর্থনৈতিক সংস্থা আইসিআরআইইআর সমীক্ষা করে জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের মোট ১.৪ কোটি মানুষ মদ্যপান করেন। রাজ্যে সরকারের সবথেকে বেশি আয়ের উৎসগুলির মধ্যে আবগারি দফতর একটি বড় কেন্দ্র। তাই হয়তো শাসক মদ্যপানকে পরক্ষে উৎসাহ দিয়ে থাকেন। আবার ২০২৩ সালের দুর্গাপুজোর ৫ দিনে জেলাগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি মদ বিক্রি হয়েছিল ঝাড়গ্রাম জেলায়। তবে দশমীর দিনে সব থেকে রেকর্ড পরিমাণ মদ বিক্রি ছিল। মোট ৪ কোটি ১৮ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল। যার মধ্যে দশমীর দিন ছিল ৯৪ লক্ষ টাকা। এখন প্রশ্ন মদ বিক্রি কি রাজ্যের ভবিষ্যৎ?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Passport Fraud Case: সর্ষের মধ্যেই ভূত! পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন অফিসার

    Passport Fraud Case: সর্ষের মধ্যেই ভূত! পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন অফিসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন ঠিক সর্ষের মধ্যেই ভূত! পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে (Passport Fraud Case) এবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন প্রাক্তন পুলিশ কর্মীই। তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জাল পাসপোর্ট তৈরির ঘটনায় বড় মাথা ছিলেন সমরেশ। তাঁর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রাক্তন পুলিশ কর্মী আব্দুল হাই। তদন্তে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের তথ্য উঠে এসেছিল। এখনও পর্যন্ত মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়াল ৯। জানা গিয়েছে, এই অফিসার কলকাতা পুলিশের (Calcutta Police Officer arrest) সিকিউরিটি কন্ট্রোলের অফিসে কাজ করতেন। গত ৩ ডিসেম্বর রাতে এক অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    প্রতি পাসপোর্ট পিছু ২৫ হাজার করে টাকা নিতেন (Passport Fraud Case)

    পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে এক প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর (Calcutta Police Officer arrest) গ্রেফতারের ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। কার্যত কুমিরের ছানা যেন শিয়ালের কাছে রাখার মতো শোনাচ্ছে। রক্ষক এখন ভক্ষক। যার হাতে সমাজকে সুরক্ষিত রাখার কথা তিনি এখন জালিয়াতি কারবারের সঙ্গে যুক্ত। জানা গিয়েছে, এই অফিসার এক বছর আগে নিজের কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। হাবড়া থেকে পুলিশ তাঁকে পাকড়াও করেছে। ১৫০টি পাসপোর্টের মধ্যে ৫২টি পাসপোর্টের এনকোয়ারিং অফিসার ছিলেন এই কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল হাই। অভিযোগ রয়েছে প্রতি পাসপোর্ট পিছু তিনি ২৫ হাজার করে টাকা নিতেন। মূলত পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের কাজ করতেন এবং এখানেই নিজে টাকার বিনিময়ে বেআইনি কাজ করতেন। এখন এই ধরনের কাজে যদি পুলিশ যুক্ত থাকেন, তাহলে জালিয়াতি কারবার নিয়ে প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদত যে রয়েছে তা আরও একবার প্রমাণিত হয়। এই রাজ্য কি তাহলে জঙ্গিদের জন্য সুরক্ষিত মুক্তাঞ্চল? এই প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মনে ঘোরাফেরা করছে।

    আরও পড়ুনঃ “একজনের পক্ষে অসম্ভব”, আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে একমত ধৃতের আইনজীবীও!

    “অর্থের লোভে সমাজের রক্ষকরা প্রলোভনে পা দিচ্ছেন”

    প্রসঙ্গত এই পাসপোর্ট জালিয়াতি (Passport Fraud Case) মামলায় আগে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদেরকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমেই প্রাক্তন পুলিশকর্মী আব্দুল হাই-এর (Calcutta Police Officer arrest) নাম পাওয়া গিয়েছে। এই ভূয়ো মামলায় প্রাক্তন পুলিশকর্তা অরিন্দম আচার্য অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “অর্থের লোভে সমাজের রক্ষকরা প্রলোভনে পা দিচ্ছেন। টাকা দিয়ে জালিয়াতির কারবার মাকড়সার মতো জাল বিস্তার করেছে। আমাদের রাজ্যের গোয়েন্দাদের চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিণাম। চোরা কারবারিরা একেবারে ভিতরে ঢুকে পড়ছে। তাদের আটকানোর কোনও চেষ্টা রাজ্য সরকার করছে না। প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের বিরাট ভূমিকাকে অস্বীকার করা যাবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: “একজনের পক্ষে অসম্ভব”, আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে একমত ধৃতের আইনজীবীও!

    RG Kar Case: “একজনের পক্ষে অসম্ভব”, আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে একমত ধৃতের আইনজীবীও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একজনের পক্ষে অসম্ভব!” আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Case) চিকিৎসক-তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে নির্যাতিতার পরিবার (Victims Family) এবং আসামিপক্ষ কার্যত একই সুরে জানাল আদালতে। শনিবার শিয়ালদা আদালতে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের সর্বোচ্চ সাজার আবেদন জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। ৫৭ পাতার একটি লিখিত বক্তব্যে বিচারকের কাছে এই আবেদন করেছেন তাঁরা।

    কোনও একজন ব্যক্তির হাত ছিল না (RG Kar Case)!

    ধর্ষক এবং খুনির ফাঁসির দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার (RG Kar Case)। আদালতে হাজির ছিলেন অভয়ার বাবা-মা। শুনানিতে প্রশ্ন করেছিলেন ধৃত সঞ্জয় রায়ের আইনজীবীও। তবে দুই পক্ষের বক্তব্যে অমিল থাকলেও একটি বিষয়ে তারা একমত যে এই ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পিছনে কোনও একজন ব্যক্তির হাত ছিল না। মামলার তদন্তে প্রথমে পুলিশ এবং পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, দুই ক্ষেত্রেই প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে একজনের নামই উঠে এসেছে। এই সিভিক ভালান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে চার্জশিটে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সিবিআই আরও জানিয়েছে, আরও যারা যারা ঘটনার পিছনে রয়েছে তাদের সম্পর্কে খোঁজ করে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করার কাজ চলছে।

    ঠিক কতজন এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত?

    অভিযুক্ত কি একজন, নাকি একাধিক? এই নিয়ে দিল্লির এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে মতামত জানিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, একজনের পক্ষে এই ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়। নির্যাতিতার শরীরে (RG Kar Case) যে সব আঘাত পাওয়া গিয়েছে তাতে ঘটনার পিছনে একাধিক ব্যক্তি রয়েছে। আবার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সংগৃহীত তথ্যপ্রমাণকে এক সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে ঠিক কতজন এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল।

    আরও পড়ুনঃ মহিলা চিকিৎসককে দ্বিতীয় ‘অভয়া’ করে দেওয়ার হুমকি হাসপাতাল সুপারের

    সিভিক একা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়

    নির্যাতিতার (RG Kar Case) আইনজীবী অমর্ত্য দে বলেন, ‘‘এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত রয়েছেন, তা প্রকাশ্যে আসুক। আর কেউ জড়িত কি না, তা-ও উঠে আসুক তদন্তে।’’ একই ভাবে পরিবারের (Victims Family) পক্ষে দাবি, “ধৃত সিভিক একা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়, নেপথ্যে আরও অনেক লোক রয়েছে। ঘটনার আরও তদন্ত করা হক। কারা কারা যুক্ত খুঁজে বার করে চার্জশিট জমা দেওয়া হোক।”

    অপর দিকে ধৃতের আইনজীবী আদালতে শুনানির সময় দাবি করেন, “সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ এবং সিসিটিভির সাপেক্ষে বলা যায় একজনের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়। পিছনে অনেকে রয়েছে। ধৃত এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Santipur Hospital: মহিলা চিকিৎসককে দ্বিতীয় ‘অভয়া’ করে দেওয়ার হুমকি হাসপাতাল সুপারের

    Santipur Hospital: মহিলা চিকিৎসককে দ্বিতীয় ‘অভয়া’ করে দেওয়ার হুমকি হাসপাতাল সুপারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা না শুনলে দ্বিতীয় অভয়া করে দেব। মহিলা চিকিৎসককে হুমকি সরকারি হাসপাতাল সুপারের। চরম আতঙ্কে অবশেষে স্বাস্থ্য দফতর এবং পুলিশের দ্বারস্থ হলেন ওই মহিলা চিকিৎসক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Santipur Hospital)। ওই মহিলা চিকিৎসকের নাম সুকন্যা রায়। তিন মাস আগে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে প্যাথলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Santipur Hospital)

    মহিলা চিকিৎসের (Santipur Hospital) অভিযোগ, “কাজে যোগদানের পর থেকেই হাসপাতাল সুপার তারক বর্মন আমার ওপর বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করতেন। আমি প্যাথলজি বিভাগে কাজ করলেও আমাকে জোর করে জরুরি বিভাগে কাজ করাতে বাধ্য করতেন। পাশাপাশি নাইট ডিউটি জোর করে করাতেন। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে হুমকি দিতেন হাসপাতাল সুপার। আমি নাইট ডিউটি করতে অস্বীকার করলে, আমাকে দ্বিতীয় অভয়া করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।” এরপরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই মহিলা চিকিৎসক। নিরুপায় হয়ে স্বাস্থ্য দফতর এবং থানার দ্বারস্থ হন তিনি। শান্তিপুর থানায় অভিযুক্ত তারক বর্মনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা চিকিৎসক। তিনি চাইছেন অবিলম্বে তাঁকে যেন এই হাসপাতাল থেকে অন্যত্র বদলি করে স্বাস্থ্য দফতর।

    আরও পড়ুন: ৪ বছরের মধ্যে ৫০ হাজার কোটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি লক্ষ্য ভারতের, জানালেন রাজনাথ

    হাসপাতালের সুপার কী বললেন?

    ওই মহিলা চিকিৎসকের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শান্তিপুর হাসপাতাল (Santipur Hospital) সুপার তারক বর্মন। তিনি বলেন, “ওই মহিলা চিকিৎসক আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “এ বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে যা বলার জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলবেন।” অন্যদিকে ওই মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য অধিকারিক জ্যোতিষ চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, “আমি ওই মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগ হাতে পেয়েছি। ইতিমধ্যেই তা জেলা স্বাস্থ্য দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে ওই মহিলা চিকিৎসক নিজেও মানসিক রোগের ওষুধ খান। আমি জানিয়েছি, ওই চিকিৎসককে স্বাস্থ্য দফতর অন্যত্র স্থানান্তরিত করলে আমার কোনও আপত্তি নেই।”

    বিজেপি নেতা কী বললেন?

    বিজেপি নেতা সোমনাথ কর বলেন, “আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করব, যাতে পুরো বিষয়টি (Santipur Hospital) তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এই থ্রেট কালচার দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Militant: বাংলা জুড়ে সন্ত্রাসের জাল! জেলে গিয়ে জঙ্গিদের জেরা করতে চান গোয়েন্দারা

    Militant: বাংলা জুড়ে সন্ত্রাসের জাল! জেলে গিয়ে জঙ্গিদের জেরা করতে চান গোয়েন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা জুড়ে সন্ত্রাসের জাল বিস্তৃত করেছে জঙ্গিরা! সেই জালের মধ্যে থাকা একের পর এক জঙ্গিকে (Militant) গ্রেফতার করতে শুরু করেছে পুলিশ। গোয়েন্দাদের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, জেল থেকে জঙ্গিদের একাংশ আনসারুল্লা বাংলা টিমের নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করে এখনও। বিষয়টির গভীরে যেতে জেলবন্দি জঙ্গিদের নতুন করে জেরা করতে চান গোয়েন্দারা। তাদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করে ফেলেছেন গোয়েন্দারা। এই জঙ্গিদের জেরা করতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তদ্বির করতে শুরু করেছেন।

    বাংলায় নাশকতার ছক!(Militant)

    সূত্রের খবর, রাজ্যের নানা জেলে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এবং আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) প্রায় ৪০ জন বন্দি আছে। তাদের মধ্যে আছে খাগড়াগড় এবং বিহারের বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণে অভিযুক্তরাও। এদের পাঁচজন বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলায় (Militant) এরা নাশকতা করতেই জড়ো হয়েছিল। ত্রিপুরা, অসম, বিহার থেকে এখানে এসে নাশকতা করার ছক কষেছিল জঙ্গিরা। ক্যানিং থেকেও ধরা পড়েছে জঙ্গি। তাকে জেরা করা হয়েছে। সেখান থেকে নানা তথ্য হাতে এসেছে। আবার সুন্দরবনের উপকূল এলাকায় লস্কর-ই- তৈবার জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়েছে বলে গোয়েন্দারা গোপন সূত্রে খবর পেয়েছেন।

    জেলবন্দি বাংলাদেশি জঙ্গিদের জেরা

    গোয়েন্দাদের দাবি, বাংলাদেশের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হতেই এবিটি’র প্রধান জসিমুদ্দিন রহমানির নির্দেশে সক্রিয় হয় জঙ্গিরা। তাদের বাকি পরিকল্পনা জানতেই এবার জেলবন্দি বাংলাদেশি জঙ্গিদের (Militant) জেরা করতে চাইছেন গোয়েন্দারা। বাংলার জেলে এখন বন্দি আছে খাগড়াগড় ও বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণে অভিযুক্ত বাংলাদেশ নাগরিক রহমতুল্লা ওরফে সাজিদ, জাহিদুল ওরফে কওসর, তারিকুল ওরফে সুমন, লিয়াকত ওরফে রফিক। এদের মধ্যে তারিকুল এখন বহরমপুর জেলে বন্দি। আর তারিকুলের সঙ্গে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হওয়া এবিটি’র জঙ্গি মিনারুল শেখ ও আব্বাস আলির যোগ রয়েছে। সেই প্রমাণ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তাই গোয়েন্দারা তারিকুলকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চান। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ১২ জন এখন সাজা শেষ করে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। তারা আবার নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে কিনা সেটার খোঁজও শুরু করেছেন গোয়েন্দারা।

    গোপনে বাংলায় সংগঠন এবিটি-র!

    গোয়েন্দাদের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, খাগড়াগড় কাণ্ডের পরেও বাংলায় জঙ্গি (Militant) নেটওয়ার্ক নির্মূল হয়নি। ২০২২ সালে অসম এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে এবিটি’র কয়েকজন জঙ্গি গ্রেফতার হতেই জানা যায়, গোপনে বাংলায় সংগঠন তৈরি করেছে আল-কায়দার উপমহাদেশীয় শাখা এবিটি। এবার অসম পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া নূর ইসলাম মণ্ডলকে জেরা করে উঠে এসেছে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণের আগে বর্ধমানের শিমুলিয়া মাদ্রাসায় প্রশিক্ষণ নিয়েছিল সে। ২০২৪ সালে বাংলার নানা জায়গায় ঘুরেছিল নূর। আব্বাস এবং মিনারুলের সঙ্গে বৈঠকও করেছিল নূর। গোয়েন্দারা এবার সব বিষয়টা খুঁজে বের করতেই এখন জেলে গিয়ে জঙ্গিদের জেরা করতে চান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “সীমান্তে নকল আধার, এপিক কার্ড তৈরিতে জড়িত তৃণমূল নেতারা”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “সীমান্তে নকল আধার, এপিক কার্ড তৈরিতে জড়িত তৃণমূল নেতারা”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে যে সব হিন্দুরা এখানে চলে আসছে তাদের বেছে বেছে গ্রেফতার করে জেলে ভরছে পুলিশ। রোহিঙ্গা মুসলিমদের জায়গা দিচ্ছে তৃণমূল। আর মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর ভাইপো বিএসএফদের গালাগালি দিচ্ছে। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ।” শনিবার নদিয়ার শান্তিপুর ফুলিয়ায় হ্যান্ডলুম কলেজের উদ্বোধনে এসে রাজ্য সরকারকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    নকল আধার, এপিক কার্ড তৈরিতে জড়িত তৃণমূল নেতারা (Suvendu Adhikari)

    এদিন ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ হ্যান্ডলুম টেকনোলজির নতুন ভবন উদ্বোধন হয়। সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী গিরিরাজ সিং। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “এ রাজ্যের কোটি কোটি মানুষের কোনও নিরাপত্তা নেই। এখানে সীমান্ত এলাকা রয়েছে। প্রায় ৬০০ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিএসএফদের কাজ করতে দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। আর ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে ওপার বাংলা থেকে যে সব হিন্দু এখানে আসছেন তাদের বেছে বেছে গ্রেফতার করে জেলে পাঠাচ্ছে রাজ্য পুলিশ। আর যখন রোহিঙ্গা মুসলিমরা এ রাজ্যে ঢুকছে তাদের জায়গা দিচ্ছে তৃণমূল। আর তাদের তৃণমূল নেতারা নকল আধার কার্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন নথি তৈরি করে কোটি কোটি টাকা রোজগার করছে।” তিনি বলেন, “বর্ডার এলাকাগুলিতে নকল আধার, এপিক কার্ড তৈরিতে তৃণমূল নেতারা জড়িত। এই তদন্তভার অবিলম্বে এনআইএর নেওয়া উচিত।”

    বামেদের অনুষ্ঠানে আসছেন বাংলাদেশের শিল্পী

    বামেদের একটি অনুষ্ঠানে আসছেন বাংলাদেশের শিল্পী। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ভারতের পতাকাকে অপমান করেছে সেখানকার মৌলবাদীরা। ওই শিল্পীকে এদেশের মাটিতে এসে আগে ক্ষমা চাইতে হবে। তারপর এখানে এসে তিনি অনুষ্ঠান করবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: “মত্ত অবস্থায় গাড়ি আটকে গালিগালাজ, মারধর করেছেন বাবুল”, আদালতে যাচ্ছেন অভিজিৎ

    Abhijit Ganguly: “মত্ত অবস্থায় গাড়ি আটকে গালিগালাজ, মারধর করেছেন বাবুল”, আদালতে যাচ্ছেন অভিজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রাতেই দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo) অভব্য আচরণ দেখে হতবাক পথ চলতি সাধারণ মানুষ। গাড়ির গতি বেশি থাকার অভিযোগ তুলে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) সঙ্গে আচমকাই বিবাদে জড়িয়ে পড়েন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এবার ওই ঘটনায় বাবুলের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ তথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Abhijit Ganguly)

    শুক্রবার রাতে ঘড়িতে তখন রাত ন’টা। এমন সময় বিজেপি সাংসদ (Abhijit Ganguly) এবং রাজ্যের মন্ত্রীর এই ঝামেলার জেরে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে (বিদ্যাসাগর সেতু) ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছিল। দুটি গাড়িই হাওড়ার দিকে যাচ্ছিল। অভিজিৎবাবু হর্ন বাজানোয় মাঝ রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে দাদাগিরি দেখাতে শুরু করেন বাবুল। গাড়ি আটকে নিজের ক্ষমতা জাহির করতে থাকেন বলে বিজেপি সাংসদের অভিযোগ। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে অভিজিৎবাবুকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করছেন বাবুল সুপ্রিয়। যদিও অভিজিৎবাবু গাড়ি থেকে নামেননি। আর বাবুল সুপ্রিয় জানিয়ে দেন ক্ষমা না চাইলে তিনি তাঁর গাড়ি যেতে দেবেন না।

    আরও পড়ুন: ৪ বছরের মধ্যে ৫০ হাজার কোটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি লক্ষ্য ভারতের, জানালেন রাজনাথ

    বাবুলের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    বাবুলের বিরুদ্ধে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, “বাবুল মত্ত অবস্থায় আমার গাড়ি থামিয়ে হামলার চেষ্টা করেন। তর্কাতর্কির সময় গাড়ির জানলা দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দেন বাবুল। তাতে আমার মোবাইল পড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকী ‘চাকরি খেয়েছেন’ বলেও বাবুল আমাকে কটু মন্তব্য করেছেন। আমার গাড়ি ভাঙচুর করারও চেষ্টা করা হয়। শুধু তাই নয়, আমাকে ‘বুড়ো ভাম’-এর মতো অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করা হয়।” অন্যদিকে, বাবুল সুপ্রিয়র অভিযোগ তমলুকের সাংসদ ট্রাফিক নিয়ম ভেঙে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ছোটাচ্ছিলেন। তারই প্রতিবাদ জানাতে তিনি বিজেপি সাংসদের গাড়ির ওপর চড়াও হন। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, তাঁর গাড়ির চালক যদি কোনও ভুল করত তাহলে পুলিশ ধরত। কেস দিতেই পারত। কিন্তু এমন কিছুই হয়নি। তাঁর দাবি, গাড়ির সামনে  ‘এমপি তমলুক’ লেখাটি দেখতে পেয়েই বাবুল ইচ্ছাকৃত এসব করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিটে অনুমোদন রাজ্যপালের, আদালতে কপি জমা সিবিআই-এর

    Partha Chatterjee: পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিটে অনুমোদন রাজ্যপালের, আদালতে কপি জমা সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে চার্জশিটে অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল। চার্জ গঠনের অনুমতি পেয়েই চার্জশিটের কপিও আদালতে জমা করেছে সিবিআই। উল্লেখ্য স্কুল শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (Recruitment Corruption) টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। ফলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা আরও একধাপ এগিয়ে গেলো। আরও চাপের মুখে পড়বেন এই দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূল নেতা।

    দুর্নীতি মামলায় মূল মাস্টার মাইন্ড পার্থ (Partha Chatterjee)

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Corruption) গ্রেফতারের ৮৮ দিনের মাথায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সহ অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। চার্জশিটে পার্থকেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মূল মাস্টার মাইন্ড হিসেবে দাবি করা হয়েছে। গত বছর ১ অক্টোবর তাঁকে জেল থেকেই গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। প্রসঙ্গত গত বছরের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৮৫৭ দিনের মাথায় জামিন দিয়েছিল ইডির বিশেষ আদালত। পার্থর বান্ধবী অর্পিতা জামিন পেলেও পার্থ এখনও পাননি। ২০২২ সালের ২৩ জুলাই বেলঘরিয়া এবং টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ এবং ২ কোটি টাকার সোনার গয়না উদ্ধার করেছিল ইডি। পার্থ নিজের নাকতলার বাড়ি থেকেই টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের তালিকা তৈরি করে পাঠাতেন বলে চার্জ গঠন করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে স্যাটেলাইট স্টেশন তৈরি, জেল ভেঙে সঙ্গীদের ছাড়ানোর ছক ছিল ধৃত এবিটি জঙ্গিদের!

    ইডির বিশেষ আদালতেও চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু

    তবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Corruption) ইডির কাছ থেকে আগেই জামিন পেয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ (Partha Chatterjee)। আবার সিবিআই মামলায় জামিন নিয়ে আদালতের বিচারপতিদের মধ্যে মতভেদ হলে মামলাটি অন্য বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিব জ্ঞানম। এখন সেই বেঞ্চে পার্থর জামিন মামলাটি ঝুলে রয়েছে। অপর দিকে ইডির বিশেষ আদালত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তার মধ্যে সিবিআইয়ের এই চার্জশিট এবং তাতে রাজ্যপালের অনুমোদন পাওয়ার ফলে চাপ যে আরও প্রবল হতে চলেছে এই কথা রাজনীতির অনেক মানুষই মনে করছেন। অপর দিকে নিয়োগ মামলায় আরও একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার মধ্যে আবার কেউ কেউ জামিনও পেয়ে গিয়েছে। এই দুর্নীতি মামলায় এখনও পর্যন্ত ৫৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share