Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Byelection Results 2024: “২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি”, প্রত্যয়ী সুকান্ত

    Byelection Results 2024: “২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি”, প্রত্যয়ী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।” শনিবার কথাগুলি বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। তিনি বলেন, “উপনির্বাচনে (Byelection Results 2024) এমনই ফল হয়। কারণ বহু এলাকায় ভোটই দিতে দেওয়া হয়নি।” এর পরেই প্রত্যয়ী সুকান্ত বলেন, “২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।” তিনি বলেন, “কালিয়াগঞ্জের উপনির্বাচনে হেরেও জিতেছি।”

    ভোটের ফল (Byelection Results 2024)

    রাজ্যের পাঁচ জেলায় ছ’টি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। শনিবার বের হল ফল। দেখা গেল, ছ’টি আসনেই জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। মাদারিহাটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পো ৩০ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন। যে মেদিনীপুর এক সময় ছিল বিজেপির শক্ত ঘাঁটি, সেখানেই এখন পতপত করে উড়তে চলেছে তিরঙ্গা ঝান্ডা। মেদিনীপুর ছাড়াও যে আসনগুলিতে ভোট হয়েছিল এবং এদিন ফল গণনা চলছে, সেগুলি হল নৈহাটি, কোচবিহারের সিতাই। উত্তর ২৪ পরগনায় হাড়োয়ার ফলও এদিন গণনা হয়েছে। অকাল নির্বাচন হয়েছে, বাঁকুড়ার তালডাংরায়ও।

    কী বললেন শুভেন্দু

    এদিকে, এদিনই ঘাটালে বিজেপির (Byelection Results 2024) সদস্য সংগ্রহ অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “এই ফল কোনও বিপর্য়য় নয়। বাংলায় উপনির্বাচন হয় না। কিছুদিন আগে ধূপগুড়িতে আমাদের জেতা আসনে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: বিহার উপনির্বাচনে এনডিএ জোট চারে চার, শূন্য ‘ইন্ডি’, যোগীরাজ্যেও জয় ৭টিতে

    লোকসভা নির্বাচনে জয়ন্ত রায় কুড়ি হাজার ভোটে জিতেছিলেন সেখানে। এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।” দলের হার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলায় উপনির্বাচনে ভোটই হয় না। তাই কোনও বিপর্যয় হয়নি।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “এবার থেকে নির্বাচনমুখী সংগঠন, আন্দোলনমুখী দল বা মোর্চা করতে হবে। সব সময় রাস্তায় থাকতে হবে।” তিনি বলেন, “সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমি যুক্ত থাকি না। তবে কোন কোন জিনিসের প্রয়োজন রয়েছে, তা আমি নিজের উপলব্ধি ও অভিজ্ঞতা দিয়ে বলতে পারি।”

    সিতাই উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন দীপক রায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। এখানে আশা বা নিরাশার কিছু নেই (Sukanta Majumder)। জয়-পরাজয় আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। নতুন করে…এটা নিয়ে এখন আর কী বলব (Byelection Results 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা, সাগরে নিম্নচাপের পরিস্থিতি! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Weather Update: পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা, সাগরে নিম্নচাপের পরিস্থিতি! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা। বেলা বাড়লে পরিষ্কার হচ্ছে আকাশ। উত্তুরে হাওয়া (Weather Update) ঢোকায় এখন কোনও বাধা নেই। তাপমাত্রা আরও নেমে যাওয়াটা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এই আবহে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে শনিবারই। তা ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপেও পরিণত হতে পারে। তবে নিম্নচাপের প্রভাব পড়বে না পশ্চিমবঙ্গে। তেমনটাই জানিয়েছে আলিপুর (Winter in Kolkata) আবহাওয়া দফতর।

    বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ

    বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণাবর্ত থেকে আজ নিম্নচাপ (Weather Update) তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপ পরিণত হতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে। ঘূর্ণিঝড় হলে তার নাম হবে ‘ফেনজল’ বা ‘ফেঙ্গল’। এই ঝড়ের নামকরণ সৌদি আরবের। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পর তার অভিমুখ থাকবে শ্রীলঙ্কা এবং তামিলনাড়ুর উপকূলের দিকে। এর ফলে তামিলনাড়ুতে বৃষ্টি হতে পারে। আগামী কয়েক দিন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পর্যটকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে আলিপুর। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরে মৎস্যজীবীদের জন্যেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। 

    জেলায় জেলায় হাওয়ার খবর

    পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত তাপমাত্রার (Weather Update) হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রা একই থাকবে। তবে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, বাংলার জেলাগুলিতে আপাতত শুকনো আবহাওয়া থাকবে। কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমানে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে শনিবার। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনাতেও কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 

    শহরে ঠান্ডার আমেজ

    কলকাতার (Winter in Kolkata) তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রির ঘরেই রয়েছে। আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী দিন তিনেক শহর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রারও বিশেষ কিছু হেরফের হবে না। মহানগরীতে ঠান্ডার আমেজ থাকবে উইকেন্ডে।  শুক্রবার শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৪ ডিগ্রি কম।

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে ভিড় নিয়ন্ত্রণে এআই-ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার খবর

    ইতিমধ্যেই গত ২১ নভেম্বর মরশুমের প্রথম তুষারপাত দেখেছে দার্জিলিং। সান্দাকফুতে (Sandakphu) বরফ পড়েছে গত পরশুদিন। আবারও দার্জিলিঙের সান্দাকফুতে বরফ পড়তে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য জেলা দার্জিলিঙের পাশাপাশি দুই দিনাজপুরে আগামী কয়েক দিন সকালের দিকে কুয়াশার দাপট লক্ষ্য করা যাবে। সেই সঙ্গে কুয়াশার দাপট থাকবে জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলার কিছু অংশে। সকালের দিকে কুয়াশার কারণে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন আবহবিদরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Darjeeling: মরসুমের প্রথম তুষারপাত দার্জিলিঙে, বরফে মুখ ঢাকল সান্দাকফু, বেজায় খুশি পর্যটকরা

    Darjeeling: মরসুমের প্রথম তুষারপাত দার্জিলিঙে, বরফে মুখ ঢাকল সান্দাকফু, বেজায় খুশি পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুপুর থেকে বরফে সাদা হয়ে গিয়েছে সান্দাকফু। শীতের সাজে সেজে উঠেছে পাহাড়ের প্রকৃতি। মরসুমের প্রথম তুষারপাত দার্জিলিঙে (Darjeeling)। সাধারণত ডিসেম্বরের আগে দার্জিলিঙের কোথাও বরফের দেখা মেলে না। এই সময়ে যাঁরা পাহাড়ে ঘুরতে যান, তাঁরা বরফের (Snow Fall) আশা খুব একটা করেনও না। ফলে, বৃহস্পতিবারের সান্দাকফু পর্যটকদের কাছে অপ্রত্যাশিত আনন্দ বয়ে এনেছে।

    আশায় বুক বেঁধেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা! (Darjeeling)

    গত বছর দার্জিলিঙে (Darjeeling) মরসুমের প্রথম তুষারপাত হয়েছিল ৭ ডিসেম্বর। এবার ২১ নভেম্বরেই তুষারে মুখ ঢাকল সান্দাকফু। বৃহস্পতিবার রাস্তায় বেরিয়ে বরফের ওপরেই হাঁটাচলা করতে দেখা গিয়েছে পর্যটকদের। এই দিনগুলির জন্য আশায় বুক বেঁধেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। শীত আরও জাঁকিয়ে বসলে আরও বেশি তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হবে সান্দাকফুতে, মনে করছেন অনেকে। ফলে তাঁরা ডিসেম্বরের শীতের দিকে তাকিয়ে আছেন। নভেম্বর থেকেই সান্দাকফুতে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে পারে। দার্জিলিঙে তুষারপাতের কথা শুনে আরও বেশি করে পর্যটকেরা সেখানে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘পশ্চিমবঙ্গ চলছে কিং জং উনের শাসনের মতো’’, বেলডাঙাকাণ্ডে মমতাকে আক্রমণ গিরিরাজের

    কী বললেন পর্যটকরা?

    দার্জিলিঙে (Darjeeling) গত সপ্তাহ থেকেই তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছিল। এবার সান্দাকফুতে তুষারপাত হল। তবে, দার্জিলিঙে তুষারপাত হলেও সমতলে এখনও সেভাবে শীতের দেখা মেলেনি। হালকা ঠান্ডার আমেজ অনুভূত হচ্ছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে গিয়েছে। তবে আগামী কয়েক দিন নতুন করে পারদ পতনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পর্যটকরা বলেন, “সান্দাকফুতে এই সময় ঘুরতে এসে এভাবে বরফ দেখতে পাব তা আশা করিনি। মন ভরে গেল”।

    সান্দাকফুতে মৃত্যু হল কলকাতার এক পর্যটকের

    অন্যদিকে, এই আনন্দের মাঝে বিষাদের খবরও পাওয়া গিয়েছে। সান্দাকফু (Darjeeling) ঘুরতে গিয়ে এবার মারা গেলেন কলকাতার এক পর্যটক। মৃতের নাম আশিস ভট্টাচার্য (৫৮)। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি কলকাতার ভবানীপুরের বাসিন্দা। মঙ্গলবার রাতে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সপরিবার গত ১৯ নভেম্বর সান্দাকফুর উদ্দেশে দার্জিলিং থেকে রওনা দিয়েছিলেন আশিস। পথে তাঁরা ধোতরেতে রাত কাটান। সেই রাতেই আশিসের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সেখান থেকে তাঁকে দ্রুত সুখিয়াপোখরি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি! প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক আশিসকে মৃত ঘোষণা করেন। চলতি বছরে এই নিয়ে দু’জন পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalyani: ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে বিজেপি বিধায়ক আন্দোলনে নামতেই রণংদেহী পুলিশ, কাঁদানে গ্যাস, রণক্ষেত্র কল্যাণী

    Kalyani: ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে বিজেপি বিধায়ক আন্দোলনে নামতেই রণংদেহী পুলিশ, কাঁদানে গ্যাস, রণক্ষেত্র কল্যাণী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি হলে সমস্যায় পড়বেন গ্রামবাসীরা। তাই, বিজেপি বিধায়কের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ গিয়ে সেই আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি জনতার, পাল্টা লাঠিচার্জ এবং টিয়ার গ্যাসের সেল ছোড়ার অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কল্যাণীর (Kalyani) কাছারিপাড়া এলাকায়। ঘটনার পর বিজেপি বিধায়ক সহ ১৬ জনকে আটক করে পুলিশ।  

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kalyani)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাছারিপাড়া (Kalyani) এলাকায় পুরসভার তত্ত্বাবধানে একটি ডাম্পিং গ্রাউন্ড চিহ্নিত জায়গায় পাঁচিল দেওয়ার কাজ চলছিল। কাজ চলাকালীন আচমকা বাধা দেয় এলাকাবাসী। বাধার জেরে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। গ্রামবাসীদের এই আন্দোলন ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। ঘটনার পর পরই বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানে আসে। আচমকা কথা কাটাকাটির মধ্যেই পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে। এরপরে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি চলতে থাকে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পুলিশের তরফে টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। এরপরেই বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়কে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেই সঙ্গে আন্দোলনকারী ১৬ জনকে আটক করে পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কল্যাণী এলাকায়।

    আরও পড়ুন: ‘‘পশ্চিমবঙ্গ চলছে কিং জং উনের শাসনের মতো’’, বেলডাঙাকাণ্ডে মমতাকে আক্রমণ গিরিরাজের

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক অম্বিকা রায় বলেন, “আদালতের তরফে ওই জায়গাটি কাজের জন্য স্টে অর্ডার দেওয়ার পরেও পুরসভা জোরপূর্বক কাজ করছে। ওই এলাকায় প্রচুর চাষি রয়েছেন। এখানে ডাম্পিং গ্রাউন্ড (Kalyani) হলে দুর্গন্ধে আর চাষ করতে পারবেন না তাঁরা। তাই, চাষিরা পুরসভার কাছে এই এলাকায় ডাম্পিং গ্রাউন্ড না করার জন্য দরবার করেছিলেন। কিন্তু, পুরসভা তা শোনেনি। গ্রামবাসীদের আন্দোলন বন্ধ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করল। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” পুরসভার চেয়ারম্যান নীলিমেশ রায়চৌধুরী বলেন,” সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেটা করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আন্দোলনে কোনও স্থানীয় মানুষ নেই। বিধায়কের আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘তৃণমূলে মুষল পর্ব, পিসিকে ল্যাং মেরে চেয়ার পেতে চাইছেন অভিষেক’’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘তৃণমূলে মুষল পর্ব, পিসিকে ল্যাং মেরে চেয়ার পেতে চাইছেন অভিষেক’’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্লাইং কিস নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষকে এবং সিবিআই অভিযানে বামেদের ‘ঝান্ডু বাম’ বলে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের গুমা রেলগেট লাগোয়া একটি জায়গায় বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচিতে যোগদান করেন তিনি। নতুন সদস্য হতে আসা কয়েকজনের নাম নিজের হাতে রেজিস্ট্রেশন করে দেন। এরপর তিনি অশোকনগরের সেনডাঙা এলাকায় একই ধরনের আরও একটি কর্মসূচিতে যোগদান করেন। তার আগে গুমায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করেন।  

    অভিষেক-মমতাকে তোপ (Sukanta Majumdar)

    রাজ্যে শাসক দলে অভিষেক ও মমতাপন্থী তৃণমূল নেতাদের মধ্যে যখন কাদা ছোড়াছুড়ি হচ্ছে, সে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘একটা পার্টি মরে যাওয়ার আগে এমনটা হয়। যদু বংশ ধ্বংস হওয়ার আগে মুষল পর্ব শুরু হয়েছিল। তৃণমূলেও এমনটাই চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবছেন দেহত্যাগ করার আগে পদত্যাগ করবেন না। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) পিসিকে ল্যাং মেরে চেয়ার পেতে চাইছেন। আমরা মোরগ লড়াই দেখছি, আর নারদ নারদ বলছি।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘পশ্চিমবঙ্গ চলছে কিং জং উনের শাসনের মতো’’, বেলডাঙাকাণ্ডে মমতাকে আক্রমণ গিরিরাজের

    নির্মল ঘোষ নিয়ে সরব

    এক মহিলাকে নির্মল ঘোষের ফ্লাইং কিস প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘এটাই তৃণমূলের কালচার। যে মহিলাকে নির্মলবাবু এমনটা করছেন, তিনি সম্ভবত বার ড্যান্সার। আরজি করকাণ্ডে নির্ভয়ার দেহ হাইজ্যাক করে তাড়াতাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এই নির্মল ঘোষের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে আমি এত মহিলাকে টিকিট দিয়েছি। তাঁরা মহিলাকে কী নজরে দেখছেন বা কী উদ্দেশ্যে রাজনীতিতে নিয়ে আসছেন, এই সমস্ত নেতাদের দেখে তো বোঝাই যাচ্ছে।’’

    বামেদের অভিযানকে কটাক্ষ

    বামেদের আরজি করকাণ্ডের তদন্ত নিয়ে সিবিআই অফিস অভিযানের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘ বামেরা এখন ‘ঝান্ডু বাম’ হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে যখন কোনও আন্দোলন সংগঠিত হয়, তখন বাম, অতি বাম এবং ঝান্ডু বামেরা ঢুকে গিয়ে আন্দোলনকে স্তিমিত করে দেয়। যখন অরাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্যে রাজনীতি ঢুকে গেল, তখনই আরজি করের আন্দোলন আস্তে আস্তে কমে গেল।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে রাজ্য, আরজি কর কাণ্ডে হাইকোর্টে জানাল কেন্দ্র 

    RG Kar Incident: বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে রাজ্য, আরজি কর কাণ্ডে হাইকোর্টে জানাল কেন্দ্র 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) নির্যাতিতার নাম বলা নিয়ে প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার তথা আইপিএস বিনীত গোয়েলের (Vineet Goyal) বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টে এমনই জানাল কেন্দ্র। আরজি করের ঘটনায় কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে যদি শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে কোনও ব্যবস্থা নিতে হয়, তাহলে সেটা আইন অনুযায়ী রাজ্যই নিতে পারে৷ কলকাতা হাইকোর্টে একথা জানালেন কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী।

    কেন্দ্রের তরফে বার্তা

    আরজি করের ঘটনায় নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করায় বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় কেন্দ্রের ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনাল ট্রেনিংয়ের কাছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন, আইপিএস-দের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ভাবে কোনও পদক্ষেপ কে নিতে পারে? তার উত্তরে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, যে আইপিএস-রা রাজ্যে কর্মরত, তাঁদের ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করতে পারে রাজ্যই। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও শৃঙ্খলাভঙ্গের ব্যবস্থা যদি নিতে হয়, তাহলে সেটা রাজ্যই নিতে পারে। তবে রাজ্য যদি কোনও পদক্ষেপ না করে বা রাজ্যের পদক্ষেপে কেন্দ্র যদি সন্তষ্ট না-হয়, তবে তারা আপিল করতে পারে। তবে কেন্দ্রের তরফে এটাও স্পষ্ট করা হয়েছে, এই মামলায় কেন্দ্রকে বাদ দেওয়া হোক।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের কুর্সিতে ফিরছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন মহাযূতি জোট, বলছে সমীক্ষা

    বিনীতের বিরুদ্ধে এফআইআর-এর আবেদন

    প্রসঙ্গত, বিনীতের বিরুদ্ধে নির্যাতিতার নাম প্রকাশের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী অনামিকা পাণ্ডে। কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার আবেদন জানান তিনি। গত শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, আরজি কর-কাণ্ডের মূল মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সেখানেই ওই বিষয়টি জানানোর কথা বলেছিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু শীর্ষ আদালত হাইকোর্টকেই বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়। আগামী ২৩ ডিসেম্বর ফের মামলার শুনানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Victoria Memorial: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ‘জঙ্গি হানা’, ‘অপহৃত’ ভিআইপি! রুদ্ধশ্বাস অভিযানে উদ্ধার বাহিনীর

    Victoria Memorial: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ‘জঙ্গি হানা’, ‘অপহৃত’ ভিআইপি! রুদ্ধশ্বাস অভিযানে উদ্ধার বাহিনীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত সকালে জঙ্গি হানা খাস কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে (Victoria Memorial)! আর্মি, নেভি, সিআইএসএফ সবাই হাজির। খবর রটল, জঙ্গিরা নাকি এক ভিআইপি প্রাতঃভ্রমণকারীকে অপহরণ করে বন্দি করে ফেলেছে। তাঁকে উদ্ধারেই এসেছে সেনা বাহিনী। সকাল ৯টা নাগাদ ভিক্টোরিয়া চত্বর ঘিরে ফেলেছেন জওয়ানরা (Indian Army)। জঙ্গি হানার এমন খবর শুনে অনেকেই এলাকা ছেড়ে দৌড়লেন। কয়েকজন অবশ্য থেকে গেলেন, দূর থেকে সেনা-জঙ্গির মুখোমুখি লড়াইয়ের ‘লাইভ’ দেখবেন বলে! বুকে হেঁটে অতি সন্তর্পণে মাটি কামড়ে সাউথ গেট দিয়ে ভিক্টোরিয়ার (Victoria Memorial) মাঠে ঢুকল সেনা! বাইরে তখন পজিশনে রয়েছে সিআইএসএফ। ভেতর থেকে ওয়াকিটকির মাধ্যমে খবর এল এক ভিআইপি প্রাতঃভ্রমণকারীকে ঘিরে ফেলেছে ৮ জঙ্গি! কয়েক মিনিটের মধ্যে শুরু হল অপারেশন।

    কী বলছেন সেনা কর্তা (Indian Army)?

    সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা, টানা আধ ঘণ্টা ধরে চলল এই অপারেশন। দূর থেকেই দেখা যাচ্ছিল, ভিক্টোরিয়ার (Victoria Memorial) শ্বেত পাথরের মূর্তির আড়ালে দু’জন জঙ্গি লুকিয়ে আছে। আগেই অবশ্য ৬ জন জঙ্গিকে পাকড়াও করেন জওয়ানরা। পরে বাকি দু’জনকে আটক করার পরে অপারেশন শেষ হয়। অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই ভিআইপি প্রাতঃভ্রমণকারীকে। কিন্তু সেনা প্রহরায় থাকা ভিক্টোরিয়ার কীভাবে ঢুকে পড়ল জঙ্গি? এনিয়ে সেনা কর্তা প্রদীপ অগ্নিহোগ্রী বলেন, ‘‘এটা আসল কোনও জঙ্গি হানার ঘটনা নয়। মক ড্রিল অর্থাৎ নকল অভিযান (Mock drill)। হঠাৎ করে জঙ্গি হানা ঘটলে বা জঙ্গিরা কোনও এক ‘ভিআইপি’-কে যদি জঙ্গি অপহরণ করে, সেক্ষেত্রে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, তার মহড়ার জন্যই এই আয়োজন করা হয়েছিল (Victoria Memorial)।’’ তিনি আরও জানান, এই মক-ড্রিলে অংশ নেন স্থলসেনা, নৌসেনা, এনএসজি ও সিআইএসএফ জওয়ানরা। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আন্তঃবাহিনী সমন্বয় গড়ে তোলাই লক্ষ্য এই মহড়ার (Mock drill)।

    মনে করাল ২৬/১১-র জঙ্গি হানা

    প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের তাজ প্যালেস হোটেলে ১৬ বছর আগে ২৬/১১-র হামলা এখনও মনে রেখেছে গোটা দেশ-বিশ্ব। তাজ হোটেলে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট লস্কর জঙ্গিরা তিন দিন ধরে হামলা চালিয়ে তিরিশ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছিল। মরণাপন্ন লড়াইয়ের পর উদ্ধার করা হয়েছিল অপহৃতদের। ভারতীয় সেনা, ভারতীর নৌসেনার মার্কোস কমান্ডো, এনএসজি কমান্ডো উদ্ধারকার্যে নেমেছিলেন। জানা গেল, তারপর থেকে প্রতি বছর নভেম্বর মাসে সেনার তরফ থেকে এই মহড়ার আয়োজন করা হয়। এবার এই মহড়া (Mock drill) কলকাতায় হচ্ছে। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে সি-ভিজিল (Sea Vigil-24)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: কলকাতায় বাড়ল তাপমাত্রা, ঘূর্ণাবর্ত কতটা প্রভাব ফেলবে বঙ্গে? জানাল হাওয়া অফিস

    Weather Update: কলকাতায় বাড়ল তাপমাত্রা, ঘূর্ণাবর্ত কতটা প্রভাব ফেলবে বঙ্গে? জানাল হাওয়া অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নভেম্বরের একদম শুরুতে ঠান্ডা অনুভূত না হলেও সম্প্রতি কলকাতায় হালকা শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে। তবে এর মধ্যেই দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় বেড়েছে রাতের তাপমাত্রা। হাওয়া (Weather Update) অফিস জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন কলকাতা-সহ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বিশেষ হেরফের হবে না। আগামী ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। একই পরিস্থিতি বজায় থাকবে উত্তরবঙ্গেও।

     জাঁকিয়ে শীত পড়বে কবে? (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) অফিস বলছে, রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢোকায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাওয়া অফিস যা জানাচ্ছে, আপাতত ১৮-১৯ ডিগ্রির আশপাশে থাকবে কলকাতার পারদ। শুধু রাতে-ভোরেই মিলবে ঠান্ডার আমেজ। তবে, মধ্য ডিসেম্বরের আগে জাঁকিয়ে শীত নয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘পশ্চিমবঙ্গ চলছে কিং জং উনের শাসনের মতো’’, বেলডাঙাকাণ্ডে মমতাকে আক্রমণ গিরিরাজের

    নিম্নচাপ নিয়ে কী বলল হাওয়া অফিস?

    এ দিকে মৌসম ভবন (Weather Update) জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ারও ইঙ্গিত রয়েছে তার। তবে ঘূর্ণিঝড় হয় কি না, নজর রাখছে মৌসম ভবন। সাগরে সৃষ্ট ওই ঘূর্ণাবর্তে বাংলার ঠান্ডার তাল কাটার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছে হাওয়া অফিস। যে ঘূর্ণাবর্তটি আন্দামান সাগরে ঘনীভূত হচ্ছে, ২৩ নভেম্বরের মধ্যে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার অভিমুখ তামিলনাড়ু, শ্রীলঙ্কা উপকূলের দিকে হবে। অন্তত সেই সম্ভাবনাই বেশি। ফলে বাংলার চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই বলে মনে করছেন আবহবিদরা।

    জেলায় জেলায় কী তাপমাত্রা?

    গত দু’দিন ধরে পতন অব্যাহত থাকলেও বুধবার যেন সেই পতনে রাশ পড়েছে। বিকেলে ঠান্ডার শিরশিরানি মিললেও গত দু’দিনের তুলনায় তা যেন একটু কম। ফলে জাঁকিয়ে শীত পড়ার সময় এখনও আসেনি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া (Weather Update) দফতর। এই মুহূর্তে বাকি জেলাগুলিতে শীতের আমেজ ভালোই টের পাওয়া যাচ্ছে। কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ১৫ ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছে। পুরুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শান্তিনিকেতনে তাপমাত্রা ১৩, ঝাড়গ্রামে ১৮ ও বর্ধমানে তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে আপাতত কুয়াশার হাত থেকে মুক্তি মিলবে না রাজ্যবাসীর। কুয়াশার জেরেই চলতি মাসে জাঁকিয়ে শীতের দেখা মিলবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bara Mangwa: কমলালেবুর বাগান, তিস্তার সর্পিল জলধারা! নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর বড়া মাঙ্গোয়া!

    Bara Mangwa: কমলালেবুর বাগান, তিস্তার সর্পিল জলধারা! নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর বড়া মাঙ্গোয়া!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার অন্যতম সেরা পর্যটন কেন্দ্র তিনচুলে বর্তমানে প্রকৃতিপ্রেমিক পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই তিনচুলে থেকে প্রায় ৪ কিমি দূরে এক অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর স্থান বড়া মাঙ্গোয়া (Bara Mangwa)। প্রায় ৪৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত নির্জন, অনাবিল পাহাড়ি গ্রাম বড়া মাঙ্গোয়া। একদিকে পাহাড়ের গায়ে ঝুম চাষ, কমলা লেবুর বাগান, অপর দিকে তিস্তা নদীর সর্পিল জলধারার পাহাড়ি সুরমূর্ছনা। তার সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করে তুলেছে আকাশ ছুঁতে চাওয়ার দুঃসহ স্পর্ধা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড়ের সারি। মন ভালো করে দেওয়ার জন্য যা যা থাকা দরকার, তার সব কিছুই উপস্থিত এখানে। এখান থেকে বিভিন্ন ছোট ছোট ট্রেকিং রুট চলে গিয়েছে বিভিন্ন দিকে। নেচার ট্রেইলে হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে দেখে আসা যায় প্রায় জনমানবহীন সুন্দর পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত ভিউ পয়েন্ট এবং চোরতেন। বড়া মাঙ্গোয়া থেকে ঘুরে নেওয়া যায় কাঞ্চনজঙ্ঘার ছায়ায় ঢাকা পেশক চা বাগান।

    ইকো ট্যুরিজমের নয়া পীঠস্থান (Bara Mangwa)

    বড়া মাঙ্গোয়া থেকে আরও প্রায় ৩-৪ কিমি ট্রেকিং করে যাওয়া যায় আরও একটি সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম ছোটা মাঙ্গোয়ায়। বর্তমানে ইকো ট্যুরিজমের নয়া পীঠস্থান হয়ে উঠেছে এই বড়া মাঙ্গোয়া এবং ছোটা মাঙ্গোয়া। কমলা বাগানে ঘেরা এই ছোটা মাঙ্গোয়া থেকে একদিকে বয়ে চলা তিস্তা, আর অপর দিকে কাঞ্চনজঙ্ঘার রুপ দেখে মুগ্ধ হতে হবেই। এই ছোটা মাঙ্গোয়া থেকে ভোরের সূর্যোদয় দর্শন করা এক অভাবনীয় অনুভূতি। এছাড়াও বড়া মাঙ্গোয়া (Bara Mangwa) এবং ছোটা মাঙ্গোয়ায় শুধু যে কমলালেবুর বাগান আছে তাই নয়, এখানে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন অরগ্যানিক সারের ব্যবহারে তৈরি করা বিভিন্ন মূল্যবান ভেষজ উদ্ভিদ। শুধু আপেল নয়, এখানকার মুসম্বি লেবুর সুখ্যাতি আছে সর্বত্র। এখান থেকে তিস্তা ও রঙ্গিত নদীর বুকে র‍্যাফটিংও করে নেওয়া যায়। ঘুরে নেওয়া যায় কাছেই পাশের তাকলিঙ গ্রামের মনাস্ট্রিটিও।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

    কলকাতা থেকে ট্রেনে এনজেপি অথবা ধর্মতলা থেকে বাসে শিলিগুড়ি এসে সেখান থেকে সেবক ও তিস্তাবাজার হয়ে প্রায় ৬০ কিমি পথ এই বড়া মাঙ্গোয়া (Bara Mangwa)। যেতে হবে গাড়িতে। আর বড়া মাঙ্গোয়া থেকে একটু কষ্ট করে পাহাড়ি পথে কমলালেবুর বাগানের মধ্য দিয়ে প্রায় ২ কিমি দূরে ছোটা মাঙ্গোয়া। বড়া মাঙ্গোয়া আর ছোটা মাঙ্গোয়ায় রয়েছে অসংখ্য হোমস্টে। এগুলিতে একদম ঘরের আতিথেয়তায় স্থানীয় মানুষজনের সহজ-সরল জীবনের সঙ্গেও পরিচিত হওয়া যায় (Natural beauty)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Air Pollution: দিল্লির দূষণকে সামনে রেখে সব রাজ্যকে সতর্কবার্তা, নবান্নকেও চিঠি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

    Air Pollution: দিল্লির দূষণকে সামনে রেখে সব রাজ্যকে সতর্কবার্তা, নবান্নকেও চিঠি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির দূষণ (Air Pollution) নিয়ে কড়া বার্তা কেন্দ্রের। এবার বায়ুদূষণকে সামনে রেখে সব রাজ্যকে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণেরে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Health Ministry)। এই চিঠিতে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ-সহ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি সাধনের কথা বলা হয়েছে। দূষণ জনিত সমস্যার মোকাবিলার কথা বলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মমতার সরকারকেও চিঠি পাঠিয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    নবান্নে এসে পৌঁছেছে চিঠি (Air Pollution)

    সদ্য সমাপ্ত উৎসবের মরসুমের পরই বায়ুদূষণের (Air Pollution) কবলে নাজেহাল দিল্লি সহ আরও বড় বড় শহর। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) পক্ষ থেকে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই মর্মে চিঠি এসে পৌঁছেছে নবান্নে। সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে চিঠিটি পাঠিয়েছেন সচিব পুণ্যসলিলা শ্রীবাস্তব। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “গত কয়েক বছরে দেশের বায়ুদূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বায়ুদূষণের প্রভাবে শুধুমাত্র অসুস্থতাই নয়, শ্বাসযন্ত্র প্রভাবিত হয়ে শরীরে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা তৈরি করছে। একই ভাবে কার্ডিয়োভাস্কুলার সিস্টেমেও বড়সড় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই সব রোগের মোকাবিলা করতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরগুলিকে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

    শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্যে খারাপ প্রভাব

    বায়ুদূষণ (Air Pollution) বড়সড় প্রভাব ফেলতে যে চলেছে, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Union Health Ministry) আগে থেকেই চিঠি দিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্কবার্তা দিয়েছে। দূষণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গত ১৯ অক্টোবর রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। চিঠিতে জনসচেতনতা এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কারণ বায়ুদূষণ শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং প্রবীণ নাগরিকদের স্বাস্থ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এই দূষণজনিত রোগে আক্রান্ত হলে কী করণীয়, সেই বিষয়েও সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচারের জন্য নির্দেশিকা প্রকাশ করে প্রচার-প্রসার করার কথা বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?

    ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরির নির্দেশিকা

    এই শীতকালের শুরুতে কেবল শহর নয়, গ্রামীণ এলাকায় দূষণের (Air Pollution) প্রকোপ কীভাবে পড়তে চলেছে সেই বিষয়েও আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে কেন্দ্র সরকার (Union Health Ministry)। ‘ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অন ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হিউম্যান হেল্‌থ’ (এনপিসিসিএইচএইচ)-এর অধীনে শহরতলি এবং জেলার গ্রামীণ এলাকাগুলিতে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ইতিমধ্যে দিল্লিতে যে ভাবে দূষণের মাত্রা ছড়িয়েছে তাতে কেন্দ্রের উদ্বেগ ক্রমশ বেড়েই চলছে। এনপিসিএইচএইচ-এর একটি বায়ুদূষণের প্রতিবেদনে খারাপ প্রভাবের প্রসঙ্গের কথা বলতে গিয়ে বলা হয়েছে, ভারতের মোট মৃত্যুর ১৮ শতাংশ বায়ুদূষণ জনিত কারণে ঘটছে। এই বায়ুদূষণের জেরে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ ৩৪.৫%, ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ ২৯.২%, স্ট্রোক ১৬.২% এবং নিম্ন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ১১.২% বলে জানানো হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share