Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • TMC: বিরোধীদের সঙ্গে হাত মেলালেই দেখে নেওয়ার হুমকি তৃণমূল যুব নেতার

    TMC: বিরোধীদের সঙ্গে হাত মেলালেই দেখে নেওয়ার হুমকি তৃণমূল যুব নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিজেপি সহ বিরোধীদের উদ্দেশে হুমকি দেওয়া শুরু হয়েছিল। ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পরও চলছে হুমকি। তৃণমূলের হুগলি জেলার পান্ডুয়া ব্লক সভাপতি সিপিএম নেতাদের নাম করে সরাসরি হুমকি দিয়েছিলেন। এরপর শহিদ দিবসের দিন মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করার ডাক দিয়েছিলেন। এরপর বিরোধী দলের জয়ী প্রাথীদের নিজের দলে নিয়ে আসার জন্য একাধিক জেলায় শাসক দলের নেতারা হুমকি দিয়ে চলেছেন।  এবার খোদ মুর্শিদাবাদ জেলায় বড়ঞা ব্লকের পাঁচথুপি এলাকায় বাবাই চৌধুরী নামে যুব নেতা  সোশ্যাল মিডিয়াতে বিরোধীদের হুমকি দিয়েছিলেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    তৃণমূলের (TMC) যুব নেতা কী হুমকি দিয়েছেন?

    তৃণমূলের (TMC) ওই যুব নেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন,’ তৃণমূল কংগ্রেসে  থেকে যারা পাঁচথুপি অঞ্চলে ভোটের সময় বা এখনও পর্যন্ত বিরোধীদের হাত মিলাচ্ছেন, সাবধান হয়ে যান। নাহলে আপনাদের বাপের দিন নাই আপনাদের কেউ বাঁচাবে। দলটার নাম তৃণমূল কংগ্রেস।’ সোশ্যাল মিডিয়াতে এইরকম হুমকি পোস্ট করার পর ওই তৃণমূল নেতা কোনও কথা বলতে চাননি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল (TMC) নেতা মাহে আলম বলেন, বাবাই চৌধুরী বাচ্চা ছেলে। আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে বিষয়টি দেখেছি। ওর সঙ্গে কথা হয়েছে। আসলে আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলে থেকে দলের বিরুদ্ধে  যারা কাজ করছে তাদের বার্তা দিয়েছেন, ঠিক একইভাবে সেই বার্তার মাধ্যমে হয় তো গ্রামগঞ্জের ওই ছেলে আবেগবশত এসব বলে দিয়েছেন। এটা নিয়ে অন্য কিছু বিষয় নেই।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে বিজেপি নেতা লাল্টু দাস বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যেভাবে হওয়া দরকার সেভাবে হয়নি। এখন চমকাবে,ধমকাবে,ভয় দেখাবে এটাই হচ্ছে তৃণমূল (TMC)। এখন ওদের শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভয় দেখানো, প্রশাসনের কাছে বলব এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: জলের তোড়ে ভাঙল একাধিক সেতু, আরামবাগে বহু এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, দুর্ভোগ

    Arambagh: জলের তোড়ে ভাঙল একাধিক সেতু, আরামবাগে বহু এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, দুর্ভোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলের তোড়ে ভেসে গেল আরামবাগ (Arambagh) মহকুমার একাধিক অস্থায়ী সেতু। যার জেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এই মহকুমার একাধিক গ্রামের। কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টি এবং বাঁকুড়া জেলার জল ঢুকে ফুঁসছে দ্বারকেশ্বর ও রুপনারায়ণ। যার জেরেই একাধিক সেতু ভেঙে বিপত্তি তৈরি হয়েছে। বুধবার বিকালের পর নদী গুলোতে জলস্তর বাড়তে শুরু করে। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সেই জল বেড়ে দ্বারকেশ্বর নদীতে আরামবাগের ডোঙ্গল এলাকায় বাঁশের সেতু ভেঙে ভেসে যায়। অন্যদিকে, রুপনারায়ণের জলের তোড়ে মারোখানা, জগৎপুর সহ সাতটি জায়গায় বাঁশ ও কাঠের সেতু ভেঙে ভেসে গিয়েছে। নদীতে জল বাড়ছে দেখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়। সেতুগুলো থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষদের।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    আরামবাগ (Arambagh), খানাকুল সহ একাধিক এলাকায় সেতু ভেঙে যাওয়ায় এবার সেই গ্রাম গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়়েছে।  আচমকাই নদীতে জল বাড়তে শুরু হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, গত বন্যায় ভেঙে যাওয়া নদী বাঁধগুলি এখনও সম্পূর্ণভাবে মেরামতি করা হয়নি। এরমধ্যেই বেশ কয়েকটি সেতু ভেঙে জলে তলিয়ে গিয়েছে। নদীতে এভাবে দ্রুত জল বাড়ে তাহলে আরও সমস্যায় বাড়বে। এমনিতেই বহু এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আগামীদিনে ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    কী বললেন মহকুমা শাসক?

    আরামবাগের (Arambagh) মহকুমা শাসক সুভাষিণী ই বলেন, জলের তোড়ে এই মহকুমার ৭টি জায়গায় সেতু ভেঙে গিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে নৌকার ব্যবস্থা করেছি। আর এই পারাপারের জন্য এলাকাবাসীকে কোনও পয়সা দিতে হবে না। আর পারাপারে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তারজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি চালানো হচ্ছে। আর এলাকার মানুষদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: গৃহবধূ তুলতে গিয়েছিলেন ঝিঙে, দেখতে পেলেন ১১ টি তাজা বোমা!

    Hooghly: গৃহবধূ তুলতে গিয়েছিলেন ঝিঙে, দেখতে পেলেন ১১ টি তাজা বোমা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  চুঁচুড়া স্টেশনের (Hooghly) অদূরেই আনন্দমঠ এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়ির বারান্দা থেকে ১১ টি তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। এদিন সকালের এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পাশের বাড়ির এক গৃহবধূ ওই বোমাগুলি দেখতে পান। তিনি ভেবেছিলেন, গোলাকার ওই বস্তুগুলি বোধহয় নারকেল। কিন্তু কাছে গিয়ে ভুল ভাঙে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পাড়ার লোকজনদের খবর দেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও খবর পেয়ে আসেন। খবর দেওয়া হয় চুঁচুড়া থানায়। পুলিশ ওই পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে বোমাগুলি উদ্ধার করে। বস্তুত বিশাল সাইজের ওই বোমাগুলি দেখে পুলিশও অবাক। জায়গাটি সিল করে বোম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে।

    কীভাবে হদিশ মিলল?

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন সকালে এলাকার (Hooghly) বাসিন্দা মমতা রায়ভৌমিক ঝিঙে তুলতে বাড়ি লাগোয়া জমিতে গিয়েছিলেন। ওই জমির পিছনেই একটি পরিত্যক্ত ঘর আছে। সেখানেই ওই ঘরের বারান্দায় অনেকগুলি বোমা পড়ে থাকতে দেখেন। ভয় পেয়ে পড়শিদের জানান তিনি। কিন্তু ওই বোমাগুলি এল কোথা থেকে? রেললাইন সংলগ্ন ওই এলাকা কোদালিয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধানের বুথ। পঞ্চায়েত নির্বাচন সবে মিটেছে। তারপর এই বোমা উদ্ধার।

    বিজেপির কটাক্ষ, তৃণমূলের জবাব (Hooghly)

    স্থানীয় বিজেপি নেতা (Hooghly) সুরেশ সাউয়ের কটাক্ষ, ভোটে রিগিং করবে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে, এই উদ্দেশ্যেই শাসক দল ওই বোমাগুলি ওখানে মজুত করেছিল। কিন্তু ওই এলাকায় আমাদের মজবুত সংগঠন। কিছু করতে পারেনি। তাই এবার নিজেরাই পুলিশকে খবর দিয়ে একটা নাটক তৈরি করে বোমাগুলি সরিয়ে দিল। অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান দেবাশিষ চক্রবর্তী ( টুকুন) জানিয়েছেন, এসব দুষ্কৃতীদের কাজ। আমাদের এখানে শান্ত এলাকা। আজ অবধি ভোটে কোনওদিন অশান্তি হয়নি। তাই বোমা-গুলির প্রয়োজন এখানে হয় না। ওখানে কিছু বাইরের দুষ্কৃতী আনাগোনা করছে। পুলিশ ভালভাবে তদন্ত করলেই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

    কী বলছে পুলিশ (Hooghly)?

    চুঁচুড়া থানার (Hooghly) এক আধিকারিক জানান, প্রাথমিকভাবে বোমই মনে হচ্ছে। ওই বাড়িটিতে গত ১০ বছর ধরে কেউ থাকে না। কীভাবে বোমাগুলি ওই জায়গায় এল, সে বিষয়ে আশপাশের বাড়িগুলিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশের বক্তব্য, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, কিছু অসামাজিক যুবক এখানে আনাগোনা করত। এটা তাদের কাজ হতে পারে। জোরদার তদন্ত চলছে। স্থানীয় কেউ জড়িত আছে, এটা নিশ্চিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: রামনবমীর মিছিলে হামলা, রিষড়ার পর হাওড়ার শিবপুরে তদন্তে এল এনআইএ

    NIA: রামনবমীর মিছিলে হামলা, রিষড়ার পর হাওড়ার শিবপুরে তদন্তে এল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীতে হাওড়ার শিবপুরে অশান্তি ও সংঘর্ষের ঘটনার তদন্তে নামল এনআইএ (NIA)। ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল আজ বৃহস্পতিবার হাওড়ার শিবপুরে আসে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আগেই এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এনআইএকে। তারপর আজ এনআইএ-র একটি তিন সদস্যর প্রতিনিধি দল শিবপুর থানায় আসে। এখান থেকেই অফিসাররা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবেন। জানা গেছে, থানা থেকে সেদিনের ঘটনা পরম্পরার যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি নির্যাতিত ব্যক্তিদের সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা। 

    কী ঘটেছিল সেদিন?

    রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে গত ৩০ মার্চ হাওড়ার শিবপুরের কাজিপাড়া এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। অঞ্জনী সেনাপুত্র এবং আরও কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠনের মিছিল প্রতি বছরের মতো এবারেও একই রোড দিয়ে বার করা হয়। অভিযোগ, কাজিপাড়া মোড় থেকে মিছিল যখন হাওড়া ময়দানের দিকে আসছিল, সেই সময় পিএম বস্তির কাছে মিছিলের ওপর হামলা হয়। তা নিয়েই মিছিলকারীদের সঙ্গে স্থানীয় মানুষের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে এবং গভীর রাত পর্যন্ত সেই খণ্ডযুদ্ধে একাধিক গাড়ি পোড়ানো হয়, একাধিক বাড়ি ভাঙচুর করা হয়, দুপক্ষের বহু মানুষ এমনকী পুলিশ কর্মীরা পর্যন্ত জখম হন।

    অশান্তি চলেছিল আরও কয়েকদিন

    এই ঘটনার পরদিন এবং তারপর তিনদিন ধরে এই অশান্তি বজায় থাকে। দফায় দফায় হামলা এবং পাল্টা হামলা চলতে থাকে ফ্ল্যাটে, বাড়িতে। অভিযোগ ওঠে, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কারণে এই গন্ডগোল ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, নির্ধারিত রুট দিয়ে মিছিল না যাওয়ার কারণে এবং পুলিশি অনুমোদন না থাকার কারণে এই অশান্তি বাধে। অন্যদিকে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা পুলিশের কাছ থেকে যে অনুমোদন নিয়েছি্লেন, তার প্রমাণ দেখান, এমনকী মিছিলের ওপর সংগঠিত হামলা বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। তাঁদের দাবি, মিছিলের রুট বদল করা হয়নি, প্রতি বছরের মতো একই সময়ে একই রুটে মিছিল শুরু হয়। কিন্তু মিছিল একটু এগোতেই মিছিলের উপর হামলা চালানো হয়। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ চলতে থাকে। প্রথমে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে শিবপুর থানার পুলিশ। পরে সেই তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। সিআইডি তদন্ত শুরু করলেও পরে আদালতের নির্দেশে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় এনআইএকে। এই ঘটনার তদন্ত করতেই এবার এলাকায় এল এনআইএর (NIA) প্রতিনিধি দল। বাসিন্দাদের আশা, তদন্তে প্রকৃত সত্য উঠে আসবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rampurhat: স্ত্রীকে হেলমেট দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন, দেহ বস্তায় ভরে পাচারের চেষ্টা!

    Rampurhat: স্ত্রীকে হেলমেট দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন, দেহ বস্তায় ভরে পাচারের চেষ্টা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্যান্য রাজ্যে এই ধরনের ঘটনার কথা মাঝে মধ্যেই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে। এবার রীতিমতো রোমহর্ষক ঘটনা ঘটল খোদ বাংলায়। স্ত্রীকে খুন করে বস্তায় ভরে পাচারের চেষ্টার মতো মর্মান্তিক এবং ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে এল। তবে তার আগেই হাজির হয়ে গিয়েছিল পুলিশ। বীরভূমের মল্লারপুর থানার সোঁজ গ্রামের ঘটনা। মল্লারপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তের বাড়ি লাগোয়া পুকুরপাড় থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করে। এখনও ফেরার অভিযুক্ত স্বামী। মহিলার শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে রামপুরহাট (Rampurhat) মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

    কীভাবে ঘটনার কথা জানাজানি হল?

    পাঁচ বছর আগে মেদিনীপুরে কাজে গিয়ে স্থানীয় তরুণী প্রিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সোঁজ গ্রামের সুফল মণ্ডল। বিয়েও হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, তাদের মধ্যে প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত। বুধবার সন্ধেয় অশান্তি চরমে পৌঁছয়। অভিযোগ, স্ত্রীকে মাথায় আঘাত করে সুফল। মৃত্যুর পর দেহ চালের বস্তায় ঢুকিয়ে পুকুরপাড়ে পাচারের জন্য রেখে দেয়। প্রমাণ লোপাটে রাতে সেই বস্তাটি অন্যত্র পাচারের উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু খুনের পরে তার ছোট মেয়ের চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসে। প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসী (Rampurhat) অর্ঘ্য ভুঁইমালি বলেন, “আমরা যখন আসি তখন সুফল ঘরের বাইরে হন্তদন্ত হয়ে ছোটাছুটি করছিল। বলল, আমাকে বউ লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে। তাই আমিও তাকে মেরেছি। তারপর গলায় দড়ি দিয়ে স্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছে।” কথা পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই অন্ধকারে সে ছুটে পালিয়ে যায়। দাদা দোলগোবিন্দ মণ্ডলকে সুফলই তার স্ত্রীর মৃত্যুর খবর দিয়ে পালিয়ে যায়।

    পুলিশ (Rampurhat) প্রাথমিক তদন্তে কী জানতে পারল?

    খবর পেয়ে রামপুরহাট (Rampurhat) মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্রের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বস্তা খুলে টিনের চালের বারান্দার সামনে দেহটি উদ্ধার করে। সেখানে চাপ চাপ রক্ত পড়েছিল। একটি হেলমেট পড়েছিল। প্রিয়ার মাথায় আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, হেলমেট দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে তাকে খুন করেছে সুফল। কিন্তু তাকে খুনের পরে দেহটি একার পক্ষে বস্তাবন্দি করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই কে তাকে সাহায্য করল, তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। আপাতত সুফলের মা শোভারানি মণ্ডল গড়াইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুফলের খোঁজে তল্লাশি চলছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ইছাপুরে দিনেরবেলায় প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি, এলাকায় আতঙ্ক

    TMC: ইছাপুরে দিনেরবেলায় প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি, এলাকায় আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে বারাকপুর মহকুমার ইছাপুরে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটল। এক তৃণমূল (TMC) কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, জখম তৃণমূল কর্মীর নাম রবীন দাস। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  রবীনবাবু ইছাপুর এলাকায় তৃণমূলের (TMC) সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত। তিনি ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি মাঝেমধ্যেই বাজার থেকে ফুল কিনে বাড়িতে দিয়ে কাজে বের হতেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে ২১ নম্বর রেল গেটের কাছে ফুল কিনতে গিয়েছিলেন। আচমকা তিনজন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই রবীনবাবুকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি করে বলে অভিযোগ। তাঁর শরীরে তিনটে গুলি লাগে। একটি গুলি হাতে লাগে। পেট ছুঁয়ে আর একটি গুলি বেরিয়ে যায়। আর অন্যটি পীঠের শিড়়দাঁড়ার পাশে লাগে। এমনিতেই সকালের দিকে ২১ নম্বর রেল গেটের কাছে বাজারে লোকজনের ভিড় লেগে থাকে। আর অফিস টাইম হওয়ায় ভিড় অনেকটাই বেশি ছিল। আচমকা গুলির শব্দ শুনে বাজারে থাকা লোকজন ছুটে পালাতে শুরু করে। দুষ্কৃতীরা বাইকে করে না পায়ে হেঁটে এসেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার পর পরই তৃণমূল কর্মী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপরই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে, স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক?

    দলীয় কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান জগদ্দলের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তিনি বলেন, রবীনের ডাকনাম ডন। এলাকায় তিনি সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। কী কারণে দুষ্কৃতীরা তাঁকে এভাবে গুলি করল তা বুঝতে পারছি না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: বর্ধমান শহরের ভিতরে ঢুকবে না বাইরের বাস, হাইকোর্টের নির্দেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

    Burdwan: বর্ধমান শহরের ভিতরে ঢুকবে না বাইরের বাস, হাইকোর্টের নির্দেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যানজট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আবেদন জমা পড়েছিল আদালতে। তার পরিপেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে বর্ধমান (Burdwan) শহরের ভিতর দিয়ে বাইরের বাস চলাচল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর সেই নির্দেশ কার্যকর করতে কড়া জেলা প্রশাসন। চলছে অভিযান। অন্যদিকে এই ধরনের ব্যবস্থার জেরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেল শহরবাসী, যাত্রী ও বাসকর্মীদের মধ্যে।

    আগের নির্দেশই বহাল রেখেছে হাইকোর্ট

    গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বর্ধমান (Burdwan) শহরের মূল অংশের ভিতর টাউন সার্ভিস আর স্কুল বাসই শুধু চলবে বলে হাইকোর্টের বিচারপতি (সিঙ্গল বেঞ্চ) নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে বড়শুল, মেমারি, খণ্ডঘোষের বাস মালিকদের একাংশ ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে ডিভিশন বেঞ্চ আগের রায়কেই বহাল রাখে। এই নির্দেশের ফলে বর্ধমান শহরের ভিতর দিয়ে যাওয়া আরামবাগ, বাঁকুড়া, মেমারি, বড়শুল, খণ্ডঘোষ, রায়নার বিভিন্ন ছোট ও বড় রুটের বাস আর ঢুকবে না। সেই রায় কার্যকর করতে মঙ্গলবারই পরিবহণ দফতর ও পুলিশ যৌথভাবে উল্লাসের আলিশা বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালায়।

    কী ব্যবস্থা নিল জেলা পরিবহণ দফতর (Burdwan)?

    জেলা (Burdwan) পরিবহণ দফতরের অতিরিক্ত পরিবহণ আধিকারিক (এআরটিও) সুপ্রভাত দাস বলেন, শহরের যানজট মোকাবিলায় পূর্বেই হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছিল। কিন্তু তারপর আবারও পাল্টা কেস হয়। গত ২৬ শে জুলাই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ পূর্বের রায়ই বহাল রাখে। সেই নির্দেশ কার্যকর করতে ও রুট ঠিক করে দেওয়ার জন্যই আজ অভিযান চালানো হয়। বাসগুলি যাতে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট রুটে যাতায়াত করে, সেটাই বলা হচ্ছে।

    বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া (Burdwan) 

    এদিকে, শহরের (Burdwan) ভিতর বাস ঢোকায় বাধা পড়তেই ভোগান্তির মুখে পড়েন অনেক যাত্রী। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, এই নির্দেশের ফলে একদিকে যেমন খরচ বাড়বে, তেমনি সময়ও অপচয় হবে।। বাসকর্মীদের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, এই নির্দেশের ফলে বাসের রুট ছোট হয়ে যাচ্ছে। তাই খরচ উঠবে না, লোকসান হবে। সংসার চালানো দায় হয়ে পড়বে। যদিও যানজট মোকাবিলায় আদালতের দেওয়া নির্দেশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরের একাংশ। অন্যদিকে বর্ধমান জেলা বাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জানকীরঞ্জন সিনহা জানিয়েছেন, যানজট মোকাবিলায় ও দুর্ঘটনা এড়াতে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত সঠিক। তাঁরা এই নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছেন।।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: বুধবার শহরে পা সিবিআই প্রধানের! আধিকারিকদের সঙ্গে করলেন রুদ্ধদ্বার বৈঠক

    CBI: বুধবার শহরে পা সিবিআই প্রধানের! আধিকারিকদের সঙ্গে করলেন রুদ্ধদ্বার বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কলকাতায় পা রাখেন সিবিআইয়ের ডিরেক্টর (CBI) প্রবীণ সুদ। বুধাবার সকালে সিবিআইয়ের প্রধান সোজা চলে যান নিজাম প্যালেসে। সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন সিবিআই প্রধান। প্রসঙ্গত এই মুহূর্তে গরুপাচার, কয়লাপাচার, সমেত নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। পাশাপাশি পোস্টিং দুর্নীতির তদন্তও যুক্ত হয়েছে তালিকায়। সিবিআই (CBI) সূত্রের খবর যে এই সমস্ত তদন্তের রুপরেখা তৈরি করতেই আইসিসিআর এ বিশেষ বৈঠক করেন সিবিআই প্রধান। রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছিল ‘সম্পর্ক সভা’। জানা গিয়েছে, তদন্তের গতি, বর্তমান স্থিতি সমেত একাধিক বিষয়ে আলাপচারিতা করেন সিবিআই প্রধান।  বিমানবন্দরে নামার পরে রসিকতার ছলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘শুনেছি কলকাতার দই নাকি খুব মিষ্টি! তাই দই খেতে এসেছি।’

    রাজারহাটে সিবিআই-এর (CBI) নয়া দফতর হবে?

    সিবিআই (CBI) এর সামনে ২০১৪ সাল থেকেই তদন্তের পাহাড় জমে রয়েছে। সারদা কেলেঙ্কারি, রোজভ্যালি মামলা, নারদা কাণ্ড এগুলোতো সিবিআই দেখছেই, পাশাপাশি তৃণমূল সরকারের আমলে নয়া দুর্নীতির তদন্তের বেশিরভাগটাই সিবিআইয়ের দায়িত্বে রয়েছে। জানা গিয়েছে, কাজের বহর যে পরিমাণে বাড়ছে সেক্ষেত্রে এবারে নিজাম প্যালেসের বদলে নিজেদের জন্য রাজারহাটে দফতর বানাতে চাইছে সিবিআই। বুধবার রাজারহাটেও যেতে দেখা গেছে সিবিআই প্রধানকে।

    তদন্তের গতি কি বাড়বে? 

    প্রসঙ্গত সিবিআই-এর (CBI) আইনজীবীর কাছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা দিন কয়েক আগেই জানতে চেয়েছিলেন যে দুর্নীতি মামলা তদন্ত আর কতদিন চলবে!  তদন্তের গতি যেভাবে চলছে তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতেও দেখা গিয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে।  এর ঠিক পর পরেই নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রবীণ সুদ। দুঁদে এই আইপিএস অফিসারের জমানায় তদন্তের গতি বাড়ে নাকি, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    আরও পড়ুন: ‘বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের ১০ লক্ষ টাকা টোপ দিয়ে কিনতে চাইছে তৃণমূল’, বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: গণনায় কারচুপি! বড়জোড়ার বিডিও-এসডিওকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: গণনায় কারচুপি! বড়জোড়ার বিডিও-এসডিওকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে অনিয়মের অভিযোগে এবার বাঁকুড়ার বড়জোড়ার বিডিও, এসডিও সমেত ১৬৭ নম্বর বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে তলব করা হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। চলতি মাসের ৮ তারিখে তাঁদের উচ্চ আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রসঙ্গত, গত মাসের ৮ তারিখ ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ১১ জুলাই ছিল ভোট গণনার দিন। অভিযোগ ওঠে যে গণনা কেন্দ্রের বাইরে থেকে বাম প্রার্থীর পক্ষে ছাপ দেওয়া ২৪৮টি ব্যালট পেপার উদ্ধার করেন গ্রামের লোকজন। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, যে ব্যালট পেপার থাকার কথা স্ট্রং রুমের ভিতরে তা বাইরে গেল কীভাবে!  এই প্রশ্নের উত্তর পেতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা তলব করেছেন ওই তিন সরকারি আধিকারিককে। জানা গিয়েছে ২৪৮টি ভোট দেওয়া ব্যালট উদ্ধার হওয়ার পরপরই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়।

    হাস্যকর যুক্তি পেশ রাজ্যের আইনজীবীর

    রাজ্যের আইনজীবীর তরফে এদিন হাস্যকর যুক্তি পেশ করা হয় আদালতের সামনে। রাজ্যের আইনজীবি বলেন যে চলতি বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনেক জায়গায় নকল ব্যালট ছাপা হয়েছে। স্থানীয় ভিত্তিতে গ্রামের লোকজন নাকি সেই নকল ব্যালট ছাপাতে পারে বলে রাজ্য সরকারের আইনজীবী অনুমানও করেন। বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Calcutta High Court) তখন রাজ্যের আইনজীবীকে বলেন, ‘‘গ্রামের লোকজন ব্যালট ছাপানোর মতো টাকা কোথা থেকে পাবেন।’’

    সাসপেন্ড উলুবেড়িয়ার বিডিও, এসডিও সমেত এক সরকারি আধিকারিক 

    প্রসঙ্গত চলতি বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে অশান্তির বাতাবরণ শুরু হয়ে যায়। এর পাশাপাশি ভোটে এবং গণনাতে কারচুপি এবং অনিয়মেরও বিস্তর অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরবর্তীকালে হাইকোর্টে প্রচুর মামলাও দায়ের হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে এতে হাইকোর্টের বিচারপতিরা পর্যন্ত বিরক্ত হয়ে ওঠেন। ইতিমধ্যে উলুবেড়িয়ার এসডিও, বিডিও এবং এক সরকারি আধিকারিককে বিরোধী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বিকৃতি করার অভিযোগে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা (Calcutta High Court)। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েও কোন আলাদা ফল হয়নি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: শতবর্ষে পা দিল হাওড়ার ৫২ নম্বর বাস রুট, হেরিটেজ ঘোষণার দাবি

    Howrah: শতবর্ষে পা দিল হাওড়ার ৫২ নম্বর বাস রুট, হেরিটেজ ঘোষণার দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া (Howrah) শহরের সবথেকে পুরনো হল ৫২ নং বাস রুট। যেটিকে হাওড়া শহরের প্রথম বাস রুট বলে ধরে নেওয়া হয়। এই রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছিল ১৯২৪ সালে। শ্রীরামপুরের ৩ নং রুটকে অনেকেই মনে করেন, সেটি হয়তো পশ্চিমবঙ্গের সর্বপ্রথম বাস রুট। কিন্তু আদতে, ৩ নং রুটে বাস চলাচল শুরুর ৪ বছর আগে থেকেই যাত্রা শুরু করে ৫২ নম্বর রুট। এক সময় রুটটি চলত রামরাজাতলা থেকে হাওড়া পর্যন্ত। পরে সেটি বাড়িয়ে এসপ্ল্যানেড বা ধর্মতলা পর্যন্ত করা হয়। এছাড়া ৫২ নম্বরের আরও কিছু রুট ছিল। যেমন খটিরবাজার টু হাওড়া, ইছাপুর টু ধর্মতলা, ৫২ এ সুরকি কল থেকে এসপ্ল্যানেড, রামরাজাতলা থেকে এসপ্ল্যানেড ভায়া ব্রাবোর্ন রোড, ৫২বি রামরাজাতলা থেকে ধর্মতলা ভায়া স্ট্র‍্যান্ড রোড, ৫২ সি হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলা। বর্তমানে অবশ্য রামরাজাতলা থেকে ধর্মতলা ৫২ নম্বর রুট ছাড়া ৫২ এ, বি রুটগুলি বন্ধ হয়ে গেছে। সময়ের সাথে হাওড়া শহরের রাস্তা অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে। বেড়েছে জনঘনত্ব। এর জন্য গাড়ির গতি কিছুটা কমলেও চলার বিরাম হয়নি এই একশো বছরে। অটো-টোটোর দাপটে একটু সমস্যা হলেও, আজও রামরাজাতলার রাজা ৫২। প্রতিদিন ২৫ টি বাস চলে এই রুটে, ৮ মিনিট ছাড়া মেলে পরিষেবা।

    কিছুদিন আগেই হয়ে গেল উদযাপন (Howrah)

    কলকাতা বাসোপিডিয়া গ্রুপের তরফ থেকে এই রুটের শতবর্ষ উদযাপন করা হয় কিছুদিন আগে। বাসোপিডিয়ার সভাপতি সৌভিক মুখার্জি বলেন, আমি দেখেছি বয়স্ক ঠাকুমাকে বাসের গায়ে হাত দিয়ে নমস্কার করতে। আসলে রাম ঠাকুরের থানে যায় তো! দেখেছি নতুন বর-বউকে বাসে বাড়ি ফিরতে। তখন যেন মনে হয়, এ বাস শুধু একটা যানবাহনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। একশো বছর ধরে এতগুলো মানুষকে যে বাস তার সার্ভিস দিয়েছে, সেই বাস কেবল একটা যন্ত্র থাকে না। হয়ে ওঠে পরিবারের সদস্য। সেই প্রবীণ সদস্য আজ একশো বছরে পা দিল। ৫২, ৫৮ বাস মালিক সমিতির সেক্রেটারি ভোলানাথ চৌধুরী বলেন, তাঁর বাবার আমল থেকে তাঁদের এই রুটে (Howrah) বাস চলে। আগে রাম মন্দিরের উল্টোদিকে ফাঁকা যায়গায় এই বাসস্ট্যান্ড ছিল। বছর ২২ আগে রাম মন্দির থেকে কিছুটা দূরে প্রাইভেট পার্টনারশিপে এবং এমপি ল্যাডের টাকায় নতুন বাসস্ট্যান্ড তৈরি হয়। এখন সেখান থেকেই বাস ছাড়ে।

    কী বলছেন এই বাসের এক সময়ের যাত্রীরা (Howrah)?

    হাওড়ার বাসিন্দা শিবনাথ হাজরা বলেন এখন তাঁর বয়স ৬০ এর কিছু বেশি। রামরাজাতলা (Howrah) থেকে বাসে চেপে হাওড়ায় অফিস যেতেন। সেই স্মৃতি এখনও মনে আছে৷ তবে তখন এত রাস্তা জ্যাম হত না। ফাঁকা রাস্তায় বাস চলত। এখন তো অটো-টোটোর ঠ্যালায় গাড়ি চলে ধিক ধিক করে। তিনি বলেন, জেলার অনেক বাস রুটই এখন বন্ধ। ৫২র সঙ্গে ৫৮ নম্বর বাস রুটও তখন বিধানসভা থেকে পাশ হয়েছিল। কিন্তু সেই ৫৮ রুটের বাসও বন্ধ। ৫২ রুটেও বাস কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে৷ তাই হাওড়ার ঐতিহ্যবাহী এই রুটকে বাঁচিয়ে রাখতে একে হেরিটেজ করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share