Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • South 24 parganas: ভুতুড়ে কাণ্ড! মন্দিরবাজারে মোট ভোট ১২৪৮, কাউন্টিং হল ১৫৭৩!

    South 24 parganas: ভুতুড়ে কাণ্ড! মন্দিরবাজারে মোট ভোট ১২৪৮, কাউন্টিং হল ১৫৭৩!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে ভোটের গণনায় অনেক জায়গায় কারচুপির অভিযোগ হয়েছে। মোট ভোটার, প্রদত্ত ভোটার এবং গণনার পর ভোটের সংখ্যা বদলে গেছে অনেক জায়গায়। আর এই অভিযোগে বিরোধীরা হাইকোর্টের পর্যন্ত দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে। গণনায় ভুতুড়ে ভোটার এবার মন্দিরবাজারে। ভোট কেন্দ্রে মোট ভোট পোলিং হয় ১২৪৭, সেই ভোট কাউন্টিং সেন্টারে বেড়ে হয় ১৫৭৩, যা ভোট কেন্দ্রের মোট ভোটের থেকে ৩২৬ টি বেশি। এই নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুরাহা না মেলায়, অবশেষে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মন্দিরবাজার (South 24 parganas) বিধানসভার পূর্ব মল্লিকপুর ৮৪ নং বুথের সিপিআইএম প্রার্থী মাসুদা পুরকাইত।

    প্রার্থী কী বললেন (South 24 parganas)?

    সিপিআইএম প্রার্থী মাসুদা পুরকাইত বলেন, পূর্ব মল্লিকপুর (South 24 parganas) এলাকার ৮৪ নং কেন্দ্রে দুটি বুথ, সেখানে মোট ভোট যা পড়েছে তা ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ফর্ম নম্বর ১৮ তে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটে কাউন্টিং হলে, সেখানে ব্যালট বাক্স খুলতেই অতিরিক্ত ভোট বেড়ে মোট সংখ্যার অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, ভোট গণনার দিন ব্লক প্রশাসনকে এই ভোটের কারচুপির বিষয়ে অভিযোগ জানালে কোনও ভ্রুক্ষেপ করেননি। শুধু তাই নয়, ভোট গণনা কেন্দ্র থেকে জোর করে বিরোধীদের বের করে দেওয়া হয়। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও প্রথমে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বিডিও।

    কোর্টের দ্বারস্থ প্রার্থী

    অবশেষে ন্যায় বিচার চেয়ে হাইকোর্টে দ্বারস্থ সিপিআইএম প্রার্থী মাসুদা পুরকাইত (South 24 parganas)। অবশ্য এরপর এই ঘটনায় মন্দির বাজারের বিডিওকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের গণনা এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ব্যালট পেপার নিয়ে হাইকোর্টে মামাল হয়েছে। জ্যাংড়া-হাতিয়ারা গ্রাম পাঞ্চায়েতে ভোট কেন্দ্রে ছাপ্পা মারার অভিযোগে এলাকার মানুষ ভোট প্রদানে বয়কট করেছিলেন। কিন্তু গণনার দিনে দেখা যায় মোট ভোটারের থেকে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা অনেক বেশি হয়েছে। ফলে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই মামলার বিশেষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: ফ্রিজ থেকে মিষ্টি খাওয়ার ‘অপরাধ’, খুন্তি পুড়িয়ে অনাথ ভাইঝিকে ছ্যাঁকা

    Arambagh: ফ্রিজ থেকে মিষ্টি খাওয়ার ‘অপরাধ’, খুন্তি পুড়িয়ে অনাথ ভাইঝিকে ছ্যাঁকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার চরম অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল হুগলির আরামবাগের (Arambagh) গোঘাট। সম্পত্তির লোভে মা, বাবাহারা নাবালিকার পিঠে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাকু-কাকিমার বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার কাকিমা। জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। বেশ কয়েক বছর আগে মা ও বাবাকে হারিয়েছে সে। তারপর থেকে কাকু ও কাকিমার কাছেই সে থাকত।

    কাকু-কাকিমার বিরুদ্ধে আর কী অভিযোগ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাকু-কাকিমার কাছে থাকার কয়েক বছর পর থেকেই তার উপর লাগাতার অত্যাচার শুরু হয়। সময়ে তাকে খেতে দিত না বলে অভিযোগ। প্রায়শই মারধর ও শরীরে ছ্যাঁকা দিত বলে অভিযোগ। বুধবার তাঁদের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ ওঠে। মঙ্গলবার সারাদিন কিছু খেতে দেয়নি। তার অপরাধ বুধবার ফ্রিজ থেকে একটি মিষ্টি বের করে খায় সে। সেই অপরাধেই খুন্তি আগুনে গরম করে ওই নাবালিকার পিঠে ছ্যাঁকা দেয় কাকিমা। পিঠের পিছনে দগদগে ঘা হয়ে যায়। যন্ত্রণায় সে ছটফট করতে থাকে। পরে, যাতে কেউ ঘটনা বুঝতে না পারে তার জন্য টাইট পোশাক পরিয়ে তাকে স্কুলে পাঠায় তারা। কিন্তু, স্কুলের দিদিমণিরা যন্ত্রণার কথা বুঝতে পেরে তার সমস্যার কথা জানতে চান। জামা খুলেই দেখেন, শরীরে খুন্তির ছ্যাঁকায় দগদগে ঘা হয়ে রয়েছে। এরপরই ওই স্কুল ছাত্রী তার উপর হওয়া শারীরীক নির্যাতনের কথা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানায়। এরপরই উঠে আসে পুরো ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গেই অভিযোগ জানানো হয়, বিডিও ও গোঘাট থানায়। গোটা ঘটনায় আরামবাগ (Arambagh)  মহকুমা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    কী বললেন জখম স্কুলছাত্রীর দাদু?

    নাবালিকার মামা-দাদুর বক্তব্য, সম্পত্তির জন্যই ওরা এসব করছে। এর আগেও ওরা নির্যাতন করত বলে শুনেছিলাম। কিন্তু, সামান্য মিষ্টি খাওয়ার জন্য এভাবে খুন্তি পুড়িয়ে কাউকে ছ্যাঁকা দেওয়া যায় তা এখন দেখলাম। থানায় অভিযুক্ত কাকু-কাকিমার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। ইতিমধ্যেই দাদুর অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতে নাবালিকার কাকিমা সারদামণি চ্যাটার্জিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনায় কাকিমা গ্রেফতার হলেও অভিযুক্ত কাকু চিন্ময় চ্যাটার্জি পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: “দল ছেড়ে যাব না”, কর্মীদের শপথবাক্য পাঠ করাল তৃণমূল

    Purba Medinipur: “দল ছেড়ে যাব না”, কর্মীদের শপথবাক্য পাঠ করাল তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতেও স্বস্তি নেই তৃণমূল কংগ্রেসের। দল বদলের আশঙ্কায় অন্য দলে না যাওয়ার শপথবাক্য পাঠ করানো হল তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যদের। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রামের (Purba Medinipur) খোদামবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা।

    কেন শপথবাক্য (Purba Medinipur)?

    রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফল ঘোষণার পর দল বদলের হিড়িক পড়েছে সর্বত্র। পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলায় পাঁশকুড়ায় দুই নির্দল সদস্যকে দলে নেয় তৃণমূল। পাঁশকুড়ার জয়ী সিপিএম প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দিয়ে ফের ফেরত গেছেন আবার সিপিএমেই। আবার এই পাঁশকুড়ারই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থীদের দল বদলের আশঙ্কায় রাখা হয়েছিল গোপন ডেরায়। এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের খোদামবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী তৃণমূল সদস্যরা কোনও প্রলোভনে পা না দিয়ে যাতে দলত্যাগ করতে না পারে, তার জন্য রীতিমতো শপথবাক্য পাঠ করালেন এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। এলাকার দলীয় নেতা কর্মীদের সামনে শপথ নিলেন তৃণমূলের আট নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। এই শপথ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সমাজিক গণমাধ্যমে। যেখানে নির্বাচিত তৃণমূল সদস্যদের বলতে শোনা যাচ্ছে, আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ হচ্ছি যে, আমরা তৃণমূল কংগ্রেসেই থাকবো। কোনও প্রলোভনে পা দেব না। আমরা বোর্ড গঠন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার দেব।

    শুভেন্দু কী বলেছিলন!

    গত রবিবার এই নন্দীগ্রাম (Purba Medinipur) ২ ব্লকের রেয়াপাড়ার একটি অনুষ্ঠানে এসে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, উন্নয়ন করতে গেলে ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে আসতেই হবে। ১১ টা অঞ্চল আমরা পেয়েছি। উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের সঙ্গে আসতে হবে, এরপর সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় দেখুন। আর এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে আশঙ্কা করছেন খোদামবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের নির্বাচিত সদস্যরা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Medinipur) তৃণমূলের নেতা সুনীলবরণ জানা বলেন, এলাকায় নানা ধরনের গুজব চলছে, তাই কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর জন্য আমরা শপথ নিয়েছি। তৃণমূলের কর্মীরা তৃণমূলেই থাকবেন। আর এই তৃণমূল সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করানোর বিষয়টি সামনে আসায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল, তৃণমূলের ওপর বিশ্বাস নেই তাই এই শপথবাক্য পাঠ, কটাক্ষ বিজেপির।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: গড়াগড়ি খাচ্ছে হাজার হাজার সিদ্ধ ডিম, তৃণমূলের শহিদ দিবস নাকি মোচ্ছব!

    TMC: গড়াগড়ি খাচ্ছে হাজার হাজার সিদ্ধ ডিম, তৃণমূলের শহিদ দিবস নাকি মোচ্ছব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একুশে জুলাই কলকাতার ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) শহিদ দিবস। কিন্তু এই উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশ যেন নাম কা ওয়াস্তে। আসলে এটা দলের বহু কর্মী-সমর্থকদের কাছে বাৎসরিক কলকাতা ভ্রমণ ও পিকনিক। বিনা পয়সায় থাকা, খাওয়া-দাওয়া। তাই প্রতি বছর এই দিনটিতে বিনা পয়সায় কলকাতা ভ্রমণের জন্যই এঁরা অপেক্ষা করে থাকেন। দলীয় নেতৃত্ব সেটা জানে না, তা নয়। তাই কলকাতার চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া, ইকো পার্ক সহ পর্যটন স্থলগুলির সামনে আগে থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের পোস্টার, ব্যানার, এমনকি সরকারের সাফল্যের খতিয়ানের পোস্টার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এই সমাবেশে বিভিন্ন জেলা থেকে দল বেঁধে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা দলীয় পতাকা হাতে এক-দু দিন আগে থেকেই রওনা দিয়েছেন সমাবেশ স্থলের উদ্দেেশে। কারণ ট্রেনে টিকিট কাটার বালাই নেই।

    হাওড়া স্টেশন যেন ওদেরই (TMC) সম্পত্তি

    অন্যদিকে দলীয় কর্মীদের (TMC) উদ্যোগেই ব্যবস্থা করা হয়েছে থাকা, খাওয়ার। ফলে বিনা পয়সায় কলকাতা ঘোরার সুযোগ এর থেকে বড় হতেই পারে না। থাকা, খাওয়া কোনও কিছুরই খরচ নেই৷ তাই ছেলেপুলে, বয়স্ক সকলেই সদলবলে বুকে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাজ লাগিয়ে চলে এসেছেন শহরে। একুশে জুলাইয়ের একদিন আগে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন ট্রেনে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে কোনও টিকিট না কেটেই হাওড়া স্টেশনে পৌঁছাতে শুরু করেছেন হাজার হাজার তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক ও কর্মী। আর তাদের দাপটে নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ রেল যাত্রীদের। ট্রেনে বসার জায়গা তারা আগে থেকেই দখল করে রাখছেন। ফলে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন সাধারণ রেল যাত্রীরা। আর এই ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রেল পুলিশকেও। এর জেরে প্রতি বছর বিপুল টাকার ক্ষতি হচ্ছে রেলের।

    ঢালাও ডিম-ভাত, আলু-পটলের তরকারি

    অন্যদিকে এইসব দলীয় কর্মীদের রাত্রিবাস এবং তাদের দেদার খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে উত্তর হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পক্ষ থেকে। হাওড়া স্টেশন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে উত্তর হাওড়ার শ্যাম গার্ডেন ও শ্রীরাম বাটিকায় স্থানীয় বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর নেতৃত্বে এদিন সকাল থেকেই শুরু হয়েছে হাজার হাজার দলীয় কর্মীর জন্য রান্না। সেই রান্না দেখে মনেই হবে না যে এটা কোনও শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। রীতিমতো পিকনিকের মেজাজ। বড় বড় হাঁড়ি-কড়ায় তৈরি হচ্ছে ভাত, ডাল, আলু-পটলের তরকারি, উনুনের সামনে ডাঁই করে রাখা হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি সিদ্ধ ডিম। আর তা দেখে আনন্দে আত্মহারা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। এখান থেকে ভর পেট খেয়েই তাঁরা যে সব মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন ধর্মতলার সভাস্থলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ঘোড়া কেনাবেচায় মরিয়া তৃণমূল! ঘাটালে গোপন ডেরায় বিজেপির জয়ী সদস্যরা

    BJP: ঘোড়া কেনাবেচায় মরিয়া তৃণমূল! ঘাটালে গোপন ডেরায় বিজেপির জয়ী সদস্যরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার প্রলোভন আর ভয় দেখিয়ে বিজেপির (BJP) টিকিটে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যদের দলে টানতে পারে তৃণমূল! ঘোড়া কেনাবেচার ভয়ে ঘাটাল ব্লকের ২৫ জন জয়ী প্রার্থীকে সরানো হল গোপন ডেরায়। ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সবমিলিয়ে ঘোড়া কেনাবেচা প্রসঙ্গে রীতিমতো সরগরম ঘাটালের মাটি।

    কেন এই সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফল প্রকাশের পর দেখা যায় ঘাটাল ব্লকের ইড়পালা, সুলতানপুর, মনোহরপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৫ টি আসন দখল করেছে বিজেপি (BJP)। দল ভাঙিয়ে শাসকদল যাতে বোর্ড গঠন করতে না পারে সেই কারণেই ২৫ জন জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যকেই গোপন ডেরায় সরালো বিজেপি নেতৃত্ব। এই সব পঞ্চায়েতে বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা বড় ফ্যাক্টর। বোর্ড গঠনে তাঁদের বড় ভূমিকা রয়েছে। মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে জয়ী সদস্যদের কিনে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার ভয়ও দেখানো হচ্ছে। আর এই আশঙ্কা থেকে দলের জয়ী প্রার্থীদের গোপন ডেরায় রেখেছে বিজেপি।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়িয়েছে শাসক দল তৃণমূল। একাধিক বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এখনও ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে জয়ী প্রার্থীদের। পাশাপাশি টাকার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। আর সেই কারণেই তাদের অন্যত্র সরানো হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) এই অভিযোগ মানতে নারাজ শাসক দল তৃণমূল। তৃণমূল নেতা দিলীপ মাজি বলেন, ঘোড়া কেনাবেচায় বিশ্বাস করে না শাসক দল। মানুষ যে রায় দিয়েছে তা মাথা পেতে নিয়েছে তৃণমূল। তাই দল ভাঙিয়ে পঞ্চায়েত গড়ার কোনও প্রশ্নই আসে না। তবে কোনও বিজেপি নেতা যদি লিখিতভাবে শাসক দলে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করে, তবে দলে নেওয়া হবে তাদের! এ বিষয়টিও কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন‌ তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করতে ইডি-কে অনুমতি হাইকোর্টের

    Kalighater Kaku: ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করতে ইডি-কে অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম বড় চরিত্র। আদপে বেহালার বাসিন্দা কালীঘাটের কাকুর আসল নাম যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, তা আর কারও অজানা নয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হওয়া সুজয়কৃষ্ণের নিত্য নতুন নানা কারবারের হদিশ পাচ্ছে ইডি। বুধবারও শহরের তিন জায়গায় চলল ইডি হানা। এজেসি বোস রোড, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড ও ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। জানা গিয়েছে, ইডি হানা চলেছে একটি নির্মাণকারী সংস্থার অফিসগুলিতে। রিয়েল এস্টেট ব্যাবসায় নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। 

    ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku)

    ইডি সূত্রে খবর মিলেছে, কালীঘাটের কাকুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা নাকি ১০০টি। জানা গিয়েছে, এই অ্যাকাউন্টগুলির উপরেও কড়া নজর রাখছেন গোয়েন্দারা। গ্রেফতারের আগেও সুজয়কৃষ্ণের ওপর সাতমাস ধরে নজরদারি চালাতেন গোয়েন্দারা। কাদের সঙ্গে ওঠাবসা করতেন কাকু, কোথায় কোথায় বিনিয়োগ করতেন, সব কিছুই খুঁটিয়ে দেখছে গোয়েন্দা সংস্থা। স্ত্রীর মৃত্যুর পরে কয়েকদিনে প্যারোলে মুক্ত ছিলেন কালীঘাটের কাকু। সম্প্রতি তাঁর অসুস্থ হওয়ার খবরও মেলে। বুকে ব্যথা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কাকুকে। ইডি সূত্রে খবর, নামে, বেনামে একাধিক সংস্থার সঙ্গে যোগ ছিল কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku)। এই সংস্থাগুলির সাহায্যে কালো টাকা সাদা করা হতে বলে অনুমান তদন্তকারী সংস্থার। জানা গিয়েছে, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্ত্রীর সংস্থাতেও বিনিয়োগ করেছিলেন কাকু।

    কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করাতে পারবে ইডি

    অন্যদিকে, কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। কালীঘাটের কাকুর একাধিক অডিও ক্লিপ রয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ইডি। এগুলি তাঁরই কিনা তা নিশ্চিত হতেই এখন কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করাতে চায় ইডি। এদিন তীর্থঙ্কর ঘোষের একক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, নিম্ন আদালতের নির্দেশে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তদন্তের স্বার্থে এখনই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে, তদন্তের এই পর্যায়ে এসে আদালত নমুনা সংগ্রহের উপর কোনও বাধা দিতে চাইছে না। তবে এই নমুনা তথ্যপ্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা হবে কি না, পরবর্তী কালে আদালত তা বিবেচনা করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাস নেই! চরম ভোগান্তি বর্ধমান ও হাওড়ায়

    Purba Bardhaman: ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাস নেই! চরম ভোগান্তি বর্ধমান ও হাওড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাস মিলছে না, অথচ বাস ধর্মঘট নেই। খাতায় কলমে বাস সার্ভিস সচল। পরিবহণ কর্মীদের কোনও বিক্ষোভ নেই, কোনও দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন নেই। অথচ রাস্তায় বাস নেই। বর্ধমান (Purba Bardhaman) ও হাওড়ায় নিত্যযাত্রীদের প্রশ্ন, কেন ঘটছে এমন ঘটনা! নেপথ্যে কি ২১ শে জুলাই।

    কেন বাস নেই (Purba Bardhaman)?

    বাস পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষজন। সৌজন্যে ২১ জুলাই! সে তো মাঝে এখনও একদিন বাকি! তাতে কী হয়েছে! তৃণমূলের দলীয় কর্মী-সমর্থকরা বাস আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ। আর এতেই চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বর্ধমান (Purba Bardhaman) শহরের দু’প্রান্তে দু’টি বাস টার্মিনাস। শহরের উত্তর উপকন্ঠে আছে উত্তরা আর দক্ষিণে আছে পূর্বাশা বাসস্ট্যান্ড। প্রতিদিন দু’টি বাস টার্মিনাস থেকে বিভিন্ন রুটে কয়েক হাজার বাস চলাচল করে। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেখানে বাসের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার বাসের দেখাই নেই। বর্ধমানের (Purba Bardhaman) আলিশায় পূর্বাশা বাস টার্মিনাস থেকে হুগলির আরামবাগ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর জেলার বাস চলাচল করে। প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক বাস যেমন স্ট্যান্ডে ঢোকে, তেমনি আবার বেরও হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার চিত্র ঠিক উল্টো। যাত্রী আছে কিন্তু বাস নেই। যাত্রীরা বাসের জন্য আশা করে দিনভর বসে আছেন। তবুও বাস পাচ্ছেন না। একই ছবি বর্ধমানের উত্তরা বাস টার্মিনাসেও। এখান থেকে বোলপুর, সিউড়ি, গুসকরা, কাটোয়া, কালনা, মুর্শিদাবাদ, নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর, দুর্গাপুর, আসানসোল রুটে বাস চলাচল করে। কিন্তু সমস্যা একটাই, বাস নেই। অপর দিকে হাওড়া স্টেশন লাগোয়া হাওড়া বাস স্ট্যান্ডে যাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও বাসের দেখা নেই। বাসস্ট্যান্ড ফাঁকা। এর ফলে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। গরমে যাত্রীদের কষ্ট হচ্ছে। এমনকি চিকিৎসকের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট থাকলেও পৌঁছতে পারছেন না।

    জেলা বাস অ্যাসোসিয়েশেনের বক্তব্য

    বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলা বাস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য শান্তনু গুপ্ত বলেন, ১৭ জুলাই থেকেই বাস বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন রুটে। ২১ জুলাইয়ের মিটিংয়ের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীে-সমর্থকরা বাস আটকে রেখেছে। এতে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে, তেমনি বাস বসে যাওয়ায় পরিবহণ কর্মীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতি বছরই মিটিং-এর জন্য বাস দিয়ে থাকি। এবছরও দেব। কিন্তু দলের নেতাদের উচিত আগে থেকে বাস আটকে না রাখা।

    নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য

    প্রতিদিন যাতায়ত করেন, এমন এক যাত্রী প্রশান্ত সাহা বলেন, খুবই অবস্থা খারাপ। বাস একদম চলছে না। একই সমস্যার কথা বলেন অপর আরেক বাস যাত্রী লক্ষ্মণ দলুই। তিনি বলেন, ২১ জুলাইয়ের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা জায়গায় জায়গায় বাস আটকে রেখেছেন। সেই জন্যই রাস্তায় বাস নেই।

    জেলা সভাধিপতির বক্তব্য

    জেলা (Purba Bardhaman) পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, গত ১৭ জুলাই আমাদের দলীয় বৈঠকে ঠিক হয়, কোনও ভাবেই আগে থেকে বাস আটকে রাখা যাবে না। আমার কাছে বাস বন্ধের কোনও খবর নেই।

    বিরোধীদের বক্তব্য

    বিরোধীরা তোপ দেগেছেন শাসকদল তৃণমূলকে। বর্ধমান (Purba Bardhaman) সদর জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, সাধারণ মানুষ বাস না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। অথচ প্রশাসন উদাসীন। আবার কংগ্রেস নেতা গৌরব সমার্দার বলেন, এসব নিয়ে দিদিমণির কোনও মাথাব্যথা নেই। সাধারণ মানুষের সমস্যার বিষয় নিয়ে সরকার উদাসীন।

    মন্ত্রীর বক্তব্য

    যাত্রীদের এই সমস্যার কথা স্বীকার করে রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, আমি এই অসুবিধার জন্য যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাইছি। বৃহত্তর রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য বাস তোলা হয়েছে। ভাড়া দিয়েই বাস নেওয়া হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ২১ জুলাইয়ের শক্তি প্রদর্শন? ঐতিহ্যবাহী হাওড়া ব্রিজের মুখ ঢাকল তৃণমূলের পোস্টারে

    TMC: ২১ জুলাইয়ের শক্তি প্রদর্শন? ঐতিহ্যবাহী হাওড়া ব্রিজের মুখ ঢাকল তৃণমূলের পোস্টারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ঐতিহ্য হাওড়া ব্রিজ। এবার সেই হেরিটেজ সম্পত্তি হাওড়া ব্রিজকেও রাজনীতির রঙে মুড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে। একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবস উপলক্ষে রাজ্য জুড়ে নানা সাইজের কাট আউটে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বড় বড় ভবন। একই ভাবে ঢেকে দেওয়া হল হাওড়া ব্রিজকেও। দুদিন আগে থেকেই হাওড়া স্টেশনে বিভিন্ন জেলা থেকে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে আসতে শুরু করেছেন হাজার হাজার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক। এঁদের অধিকাংশেরই বৈধ কোনও টিকিট নেই বলে অভিযোগ। তাঁদের কাছে হাওড়া জেলা তৃণমূলের শক্তি প্রদর্শন করতেই এবার দেশের ঐতিহ্যবাহী হাওড়া ব্রিজের থামে এই বড় বড় কাট আউট লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা জানান, তাঁরা বিষয়টি জানেন না। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

    কী অভিযোগ করছে হাওড়া বিজেপি?

    হাওড়া স্টেশন বা বাসস্ট্যান্ড থেকে হাওড়া ব্রিজে ওঠার মুখে বড় বড় থাম এবং বাসস্ট্যান্ডের গায়ে ব্রিজের বড় বড় থাম জুড়ে লাগানো হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (TMC) ছবি দেওয়া একুশে জুলাই-এর সমর্থনে এই সব কাট আউট ও পোস্টার। যা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিজেপির উত্তর হাওড়ার নেতা উমেশ রায়ের অভিযোগ, হেরিটেজ প্রপার্টিতে এ ধরনের রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন লাগানো যায় না। দলের উচিত দেশের ঐতিহ্য রক্ষা করতে এই কাট আউট বা পোস্টার খুলে ফেলা। অন্যদিকে হাওড়া জেলা বিজেপির মুখপাত্র ওমপ্রকাশ সিং বলেন, হাওড়া ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণে বন্দর কর্তৃপক্ষ থাকলেও নিরাপত্তা দেখার দায়িত্ব হাওড়া ও কলকাতা পুলিশের। কিন্তু এই পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলদাস। তাই বিষয়টি চোখে পড়ছে না পুলিশের।

    কী জবাব দিল হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)?

    যদিও, হাওড়া জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি কৈলাস মিশ্র জানিয়েছেন, মানুষ আবেগে রয়েছে। আর আবেগের কারণেই হাওড়া ব্রিজে পোস্টার লাগিয়েছে। তবে কে কোথায় লাগিয়েছে তা জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন বলে জানান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ২১ জুলাই শহিদ দিবসে কেন যাবেন না তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী?

    TMC: ২১ জুলাই শহিদ দিবসে কেন যাবেন না তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১শে জুলাই শহিদ দিবসে অংশ নিচ্ছেন না ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি ইসলামপুর ছেড়ে গেলে তাঁর অনুগামীদের উপর নতুন করে হামলা হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। অনুগামীদের রক্ষা করতেই তিনি ২১শে জুলাই শহিদ দিবসে অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে দিলেন আব্দুল করিম চৌধুরী। মমতা ব্যানার্জী ২১শে জুলাই শহিদ দিবস যতবার পালন করেছেন ততবার তিনি সেই সভায় হাজির ছিলেন। এই প্রথমবার তিনি শহিদ দিবসের সভায় অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    কেন শহিদ দিবসে যাবেন না করিমসাহেব?

     করিম সাহেব বলেন, ২১শে জুলাই শহিদ দিবসের সভায় আমি যেতে পারি এই আশঙ্কা করে আমার কাছে অনুগামীরা বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করছেন। কারণ, আমি ইসলামপুরে না থাকলে তাদের উপর আরও অত্যাচার নেমে আসবে। ভোট পরবর্তী হিংসায় তার অনুগামীদের উপর তৃণমূলের (TMC) চরম অত্যাচার নেমে আসছে। কারও যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। কাউকে মারধর করে বাড়ি ঘরের জিনিসপত্র নষ্ট করে দিয়েছে। অনুগামীদের পরিস্থিতির কথা বিচার করেই আমি শহিদ দিবসের সভায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে একী বললেন করিমসাহেব?

    করিম চৌধুরী আরও বলেন, “আমি এখন তৃণমূলের (TMC) অজানা লোক। মমতা ব্যানার্জি কথা দিয়েছিল যে করিম দা আপনি ইসলামপুরের, আর ইসলামপুরটা আপনারই। এখন মমতা ব্যানার্জি দলটাকে অন্য কাউকে দিয়ে চালাচ্ছে। তাই দলে আমার কদর এবং ওজন কিছুই নেই।  এক সময় মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, করিম দা আপনি সম্মানীয় ব্যক্তি। আপনি দলে এলে দলের সম্মান বাড়বে, ওজন বাড়বে।  আজ এমন অবস্থা করে দিয়েছে যে করিম চৌধুরীর নিজেরই কোন ওজন নেই।”

    অন্য দলে যাওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন করিমসাহেব?

    অন্য দলে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,” আমি তৃণমূলের (TMC)  বিদ্রোহী এমএলএ। এরপরে ওরা আমাকে বহিষ্কৃত করবে। আমি বহিষ্কৃত এমএলএ থাকব অন্য দলে যাব না। কারণ, এই তৃণমূল দলটা তৈরির সময় মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে আমিও ছিলাম। উত্তরবঙ্গের আমি প্রথম এমএলএ হই তৃণমূলের। আজকের না, ফ্রম লাস্ট ৫৫ বছরের আগে আমার দাদা ২০ বছর, তার আগে আমার বাবা ৪০ বছর এবং তারও আগে আমার দাদু ৫৬ বছর। সবমিলিয়ে ১৮০ বছর ধরে আমাদের পরিবার ইসলামপুর কে টেনে চলেছে। ছেড়ে দেব? তাও এই সমস্ত ব্যক্তির জন্য? কখনওই না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: তৃণমূল জেলা সভাপতির কুশপুতুল পুড়িয়ে ফের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তাল চোপড়া

    Uttar Dinajpur: তৃণমূল জেলা সভাপতির কুশপুতুল পুড়িয়ে ফের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তাল চোপড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল আরও প্রকাশ্যে। এবার তৃণমূল জেলা সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে কুশপুতুল জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করলেন তৃণমূলেরই একাংশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেন পিছু ছাড়ছে না তৃণমূলের। জেলায় তীব্র উত্তেজনা এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Uttar Dinajpur)?

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনার দিন চোপড়ার (Uttar Dinajpur) বিধায়ক হামিদুল রহমানকে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দ্বারা মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন চোপড়া ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনার পরদিন থেকেই জেলা সভাপতি ও ঘটনায় যুক্ত পুলিশ অফিসারদের শাস্তির দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন চোপড়া ব্লক তৃণমূল কর্মীরা। জেলা সভাপতির ডাকা সমস্ত কর্মসূচি বয়কটের সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেন এই হামিদুল গোষ্ঠী। আর তারই অঙ্গ হিসাবে বুধবার বিকেলে চোপড়া অঞ্চল তৃণমূল কমিটির পক্ষ থেকে ২১ শে জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে ‘ধর্মতলা চলো’ কর্মসূচিকে সফল করতে একটি মিছিল বের করা হয়। সেই মিছিল থেকে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের পদত্যাগের দাবি তোলা হয়। সেই সঙ্গে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কুশপুতুল দাহ করা হয়। শুধু জেলা সভাপতিই নয়, মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধেও সোচ্চার হন বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের এই নেতাকর্মীরা।

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল গোষ্ঠীর বক্তব্য

    তৃণমূলের হামিদুল গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে চোপড়ার (Uttar Dinajpur) তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল কমিটির কনভেনার অসীম মুখার্জি বলেন, অবিলম্বে জেলা সভাপতিকে অপসারণ করা হোক। তা না হলে শহিদ দিবসের পর কলকাতা থেকে ফিরে এসে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব আমরা। অবিলম্বে শাস্তি না দিলে, ২০ হাজার চা বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে ইসলামপুর পুলিশ সুপারের দফতর এবং জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বাড়ি ঘেরাও করব। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি না মানলে আগামী দিনে আমরা তৃণমূলের সব কার্যক্রম বয়কট করব। চোপড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির আরেক সদস্য মহঃ আনিফ বলেন, উত্তর দিনাজপুর জুড়ে যেভাবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে, তাকে থামানোর যোগ্যতা নেই জেলা সভাপতি কানাইলালবাবুর। তাই তাঁর পদত্যাগ চাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share