Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Birbhum: কর্মীকে মারধর করল প্রার্থী, মুরারইতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র

    Birbhum: কর্মীকে মারধর করল প্রার্থী, মুরারইতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী আবার নির্দল প্রার্থী হয়েছেন পাশের বুথে। ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর স্ত্রীকে মুরারই (Birbhum) গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর নাম রমজান আলি ও স্ত্রীর নাম রুকসানা খাতুন। তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।  

    কোথায় ঘটনা ঘটল (Birbhum)?

    ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) মুরারই থানার পানিয়ারা গ্রামে। অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর নাম রেজাউল দফাদার। তিনি এবার মুরারই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৭ নম্বর পানিয়ারা গ্রামের প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর স্ত্রী শিল্পী বেগম আবার পাশের ৫৬ নম্বর বুথে নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়ছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়াই করলেও রেজাউল দফাদার নিজের স্ত্রীকে জয়ী করতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল গোঁজ প্রার্থী দিয়েছেন। এই নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা জমা দেওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। অপর দিকে তৃণমূল কর্মী রমজান আলি ৫৬ নম্বর বুথে তৃণমূলের হয়ে ভোট করাতে গিয়েছিলেন। তৃণমূলের হয়ে ভোট করাতেই রেজাউল দফাদারের রোষানলে পড়েন। দুই পক্ষের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়। মূল অভিযোগ, রেজাউল দফাদার তাঁর লোকজনদের নিয়ে এসে রমজান আলির বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। মারধরে আহত হয় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী রমজান আলি ও তাঁর স্ত্রী রুকসানা খাতুন। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে মুরারই থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

    আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বক্তব্য

    আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী রমজান আলি (Birbhum) বলেন, তৃণমূলের ভোট করাতে গিয়েছিলেন বলে নির্দল প্রার্থীর দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর করে। যদিও দুষ্কৃতীরা নির্দল প্রার্থীর স্বামীর প্রার্থীর অনুগামী। রামজান আলি আরও বলেন, বুথে পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের হয়ে ভোট করাতে গিয়েছিলাম বলে ব্যাপক মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁর স্ত্রীকেও খুব মারধর করে এবং কাপড়জামা ছিড়ে দিয়ে ধর্ষণ করারও চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেন। হামলার সময় দুষ্কৃতীদের হাতে বন্দুক এবং বোমা ছিল বলে অভিযোগ করেন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস, রানিনগরে ফের তৃণমূল কর্মী খুন

    Panchayat Poll: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস, রানিনগরে ফের তৃণমূল কর্মী খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার বলি হলেন আরও  এক তৃণমূল (Panchayat Poll) কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিনগর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সিরাজুল শেখ। তিনি এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। ভোটের দিন গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    গত ৮ জুলাই ভোটের দিন রানিনগরে ভোট (Panchayat Poll)  দিয়ে আসার পথে তৃণমূল কর্মী সিরাজুলের উপর হামলা চালানো হয়। কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে।  হামলাকারীরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলে গুরুতর জখম হন ওই তৃণমূল কর্মী। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। তাঁর অবস্থা সেখানে আরও অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে বেলডাঙায় কংগ্রেসের রাস্তা অবরোধের জেরে ফের বহরমপুরে ফিরে আসে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফের নিয়ে এলে রবিবার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মৃত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের আত্মীয় আসারুদ্দিন মণ্ডল বলেন, সিরাজুল এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ভোট (Panchayat Poll) দিয়ে ফেরার পথেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। সিপিএম সহ বিরোধীরা জোটবদ্ধ হয়ে এই হামলা চালিয়েছে। আমরা ঘটনার পূর্ণ দাবি করছি। যে বা যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন,  এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে আমরা কোনওভাবেই জড়িত নয়। আসলে বোমাবাজি, খুনখারাপির সঙ্গে তৃণমূল জড়িত। নিজেদের কোনও গণ্ডগোলের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। এখন আমাদের উপর তার দায় চাপাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: পুনর্নির্বাচনের আগের রাতে বেলডাঙায় পুকুর থেকে প্রচুর বোমা উদ্ধার

    Murshidabad: পুনর্নির্বাচনের আগের রাতে বেলডাঙায় পুকুর থেকে প্রচুর বোমা উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুনর্নির্বাচনের আগের রাতেই বেলডাঙার (Murshidabad) খাগরবাড়ি এলাকায় একটি পুকুর থেকে প্রচুর সকেট বোমা উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। বিরোধীরা বলছেন, শাসক দলের দুষ্কৃতীরা এলাকায় সন্ত্রাস করতে এই বোমা রেখেছিল। রাজ্য পুরো বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করেন এলাকার কংগ্রেস নেতা।

    কংগ্রেসের বক্তব্য (Murshidabad)?

    কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি নাজিরুদ্দিন সেখ বলেন, গোটা পশ্চিমবঙ্গ এবং বেলডাঙা (Murshidabad) বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। নির্বাচনে কংগ্রেস কর্মীদের ভোটদান থেকে বিরত করতে বোমার ব্যবহার করছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তিনি আরও বলেন, শুধু খাগরবাড়ি নয়, বেগুনবাড়ি, শঙ্করপাড়ায় প্রচুর বোমাবাজি হয়েছে। রীতিমতো কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতেই বোমা মারে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। শাসক তৃণমূল একক ভাবে সন্ত্রাস চালাতে বোমার আমদানি করছে।

    পুকুরের মালিক কী বললেন?

    পুকুরের (Murshidabad) মালিক নওশেদ শেখ বলেন, পুকুরের পাড়ে তিনজন বাচ্চা খেলা করছিল। তারপর পুকুরে হাত ধুতে গেলে কামাল বলে এক ব্যক্তি বলে, নামিস না পুকুরে বোমা আছে! তারপর বাচ্চারা এসে আমাকে খবর দেয়। এরপর এলাকার মানুষ ডেকে বলি, আমি তো পুকুরে মাছ ধরব আগামী কাল! এখন এই বোমা নিয়ে কী করি! উত্তরে ইলিয়াস বলেন, পুলিশকে খবর দাও, পুলিশ এসে উদ্ধার করবে। নওশেদ আরও বলেন, শেষে আমি নিজে পুকুরে নেমে ৩৫ টা বোমা উদ্ধার করি। তবে কে বা কারা বোমা ফেলেছে, তিনি জানেন না।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বেলডাঙার (Murshidabad) বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হাসানুজ্জামান শেখ বলেন, আমাদের কাছে কোনও খবর নেই। কীভাবে বোমা উদ্ধার হয়েছে আমার জানা নেই। 

    খড়গ্ৰাম থানার নগরের স্ট্রং রুমে তীব্র উত্তেজনা

    পুনর্নির্বাচনের আগের রাতেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খড়গ্ৰাম থানার নগরের স্ট্রং রুম। কংগ্রেসের অভিযোগ, ব্যালট বাক্স থেকে ব্যালট বের করে আবার নতুন করে ব্যালট ভরে দেওয়া হচ্ছে। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছিল তীব্র উত্তেজনা। তারপর ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটবৃষ্টি চালায় সিপিআইএম ও কংগ্রেস। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র উত্তেজনা বলে জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে দিল্লি যাচ্ছি”! তির্যক মন্তব্য রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: “মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে দিল্লি যাচ্ছি”! তির্যক মন্তব্য রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে খবর, আজ সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই জেলায় জেলায় ঘুরছেন রাজ্যপাল। ভোটে নিহত বা আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। গিয়েছেন হাসপাতালেও। জানা যাচ্ছে, সেই রিপোর্টই তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জমা দিতে পারেন। 

    কেন হঠাৎ দিল্লি যাত্রা?

    নির্বাচনের আগে থেকেই সক্রিয় দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে। নিজেকে গ্রাউন্ড জিরো রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলে অভিহিত করেছেন সিভি আনন্দ বোস। নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করেছেন ভোট সন্ত্রাসের করুণ কাহিনি। ভোটের দিনেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। তার আগে আরও ১৯ জনের প্রাণ গিয়েছে এই ভোটকে কেন্দ্র করে। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটের বলি হিসেবে উল্লেখ করেছে মাত্র ১০ জনকে। আর ভোটের দিন প্রাণ হারিয়েছেন মাত্র ৩ জন। ময়দানে নেমে এই বৈপরীত্যও প্রত্যক্ষ করছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল বলেছেন, “এই হিংসাশ্রয়ী ভোট দেখার পর রাজ্যপাল হিসেবে যা করার করব।” একই সঙ্গে দিল্লি রওনা হওয়ার আগে রাজ্যপালের তির্যক মন্তব্য “একটু মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে আমি দিল্লি যাচ্ছি।” রাজনৈতিক মহলে জল্পনা বাড়িয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিতে পারেন রাজ্যপাল। 

    আরও পড়ুন: আজ গান্ধীনগর থেকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন জমা দিতে চলেছেন এস জয়শঙ্কর

    রবিবার সন্ধ্যায় রাজভবন থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছয় রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) কনভয়। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন সাংবাদিকরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে আসেন রাজ্যপাল। মুখে ছিল স্মিত হাসি। সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি রাজ্যে ৩৬৫ ধারা জারির সুপারিশ করতে দিল্লি যাচ্ছেন? রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আবেদন জানাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে? জবাবে রাজ্যপাল বলেন, তিনি একটু মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে চান, তাই দিল্লি পাড়ি। নিজের ব্যক্তিগত কিছু কাজও রয়েছে বলে জানান তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: ভোটের দুদিন আগে নিখোঁজ হওয়া বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: ভোটের দুদিন আগে নিখোঁজ হওয়া বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কা ছিল। আর সেটাই সত্যি প্রমাণিত হল। নির্বাচনের দুদিন আগে থেকে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে বিজেপি কর্মীর দেহ মিলল বাড়ির কিছুটা দূরে পাটের জমিতে। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার ধুবুলিয়া থানার পণ্ডিতপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বিজেপি (BJP) কর্মীর নাম অষ্টম মণ্ডল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কীভাবে নিখোঁজ হয়ে যান ওই বিজেপি (BJP) কর্মী?

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁর বউদি ১০১ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী। তিনি এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। বউদি দলের প্রার্থী হওয়ায় তিনি এলাকায় চুটিয়ে প্রচার করছিলেন। নির্বাচনের দুদিন আগে সন্ধ্যায় প্রচার করতে বেরিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন অষ্টম। পরিবারের পক্ষ থেকে ধুবুলিয়া থানায় তাঁর নিখোঁজ থাকার একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সোমবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা পাটের জমি থেকে ওই বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার করেন। পরে, পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মৃত বিজেপি (BJP) কর্মীর পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, অষ্টম যাতে নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে কাজ না করতে পারে, সেই কারণে আগে থেকেই তাঁকে সরিয়ে দিয়ে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার জন্য তৃণমূল দায়ী। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে নদিয়া উত্তর বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ ঘোষ বলেন, নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসের ছবি আমরা দেখেছি। বিজেপিকে যাতে দমিয়ে রাখা হয়, সেই কারণে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের কর্মীকে খুন করেছে। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁ বলেন, এটি বিজেপির (BJP) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই হয়েছে। সব কিছুতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠবে, এটা তো হতে পারে না। এই ঘটনা নিয়েও প্রশাসনকে আমরা জানিয়েছি। পুলিশ-প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নাকাশিপাড়ায় সিপিএম কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: নাকাশিপাড়ায় সিপিএম কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। রাজ্য জুড়ে বোমাবাজি, বিরোধীদের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। এবার সিপিএম কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার পাটুয়াডাঙা পূর্বপাড়া এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে কাজ সেরে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন সিপিএম কর্মী সাজ্জাদ মণ্ডল এবং তাঁর ভাই তারিকুল মণ্ডল। একটি বাড়ি থেকে তাঁদের লক্ষ্য করে আচমকা গুলি চলতে থাকে। বাইক ফেলে রেখে দুজনেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালাতে যান। সেই সময় সাজ্জাদ মণ্ডলের পায়ে একটি গুলি লাগে। কোনও রকমে রক্তাক্ত অবস্থায় সেখান থেকে তাঁরা পালিয়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেন। অভিযোগ, শাসকদলের (TMC) দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে এতটাই আতঙ্কিত ছিলেন যে তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে পারেননি। এরপর রবিবার গভীর রাতে কোনওরকমে হাসপাতালে ভর্তি হন সাজ্জাদসাহেব।

    কী বললেন আক্রান্ত সিপিএম কর্মী?

    আক্রান্ত সিপিএম কর্মী সাজ্জাদ মণ্ডল হাসপাতালের বেডে শুয়ে বলেন, এলাকায় তৃণমূল (TMC) সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। ভোটের আগে গণ্ডগোল হয়েছিল। তবে, এরকমভাবে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি। রাতে আমরা বাইকে করে বাড়ি ফেরার সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালায়। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    নাকাশিপাড়ার একাধিক বুথে সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে পুনঃনির্বাচন। তার আগের রাতে সিপিএম কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্ক রয়েছে এলাকায়। তবে, এদিন সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চলছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। বুথে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের লাইন রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! আসানসোলে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা

    Panchayat Vote: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! আসানসোলে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে লাগামছাড়া হিংসা ছড়ায় রাজ্য জুড়ে। সন্ত্রাসের বলি হয় ১৭টি তরতাজা প্রাণ। আবার ভোট শেষ হতেই দেখা যায় ঘরছাড়া হয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এ যেন ঠিক ২০২১ সালের ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে রাজ্য জুড়ে। সোমবার রাজ্যের প্রায় ৭০০ বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। মঙ্গলবার রয়েছে ভোট গণনা। যেভাবে ভোটের দিন অশান্তি ছড়িয়েছে, তাতে গণনা কেন্দ্রগুলিতে কতটা শান্তি বজায় থাকবে, সেই প্রশ্নই তুলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, গণনার পরে বিরোধীদের ওপর সন্ত্রাস আরও বাড়তে পারে!

    ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা 

    শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই শাসক দলের হুমকির মুখে পড়ে ৬ জন বিজেপি কর্মী বারাবনি বিধানসভা এলাকা থেকে আসানসোলের দলীয় কার্যালয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন, এমনটাই জানিয়েছেন বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দিলীপ দে। তাঁর আরও অভিযোগ, শনিবার নির্বাচন চলাকালীন তাঁদের বুথ এজেন্টদের মারধর করে বার করে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই এই ছয় জন বিজেপি কর্মী নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। এই কর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিজেপির আসানসোল দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। অপরদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের সন্ত্রাসের আশঙ্কাও প্রকাশ করেন বিজেপির জেলা সভাপতি। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    কী বলছেন ঘরছাড়ারা

    এদিন আসানসোলের দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া এক বিজেপি কর্মী বলেন, ‘‘শনিবার দুপুর গড়াতেই বুথে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তারা ছাপ্পা দেওয়ার দাবি তোলে। এই সময় আমরা প্রতিরোধ করতেই তারা মারধর শুরু করে। সবটাই পুলিশের সামনে হচ্ছিল। তবে প্রশাসন সেদিন নির্বিকার ভাবে বসেছিল। সন্ধ্যার পরেও তারা হামলা চালায়। আমাদের এক কর্মীকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার ক্ষেতের সমস্ত ফসল নষ্ট করে দেয়। গোটা এলাকায় বিজেপি সমর্থকরা আতঙ্কিত হয়ে আছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Vote: প্রায় ৭০০ বুথে আজ পুনর্নির্বাচন, শীর্ষে মুর্শিদাবাদ

    Panchayat Vote: প্রায় ৭০০ বুথে আজ পুনর্নির্বাচন, শীর্ষে মুর্শিদাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সকালে পুনর্নির্বাচন শুরু হয়েছে রাজ্যের ৬৯৬টি বুথে। শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে হিংসা ছড়ায়। সন্ত্রাসের বলি হয় ১৭টি তরতাজা প্রাণ। এর মধ্যে সবথেকে বেশি জন মারা যায় মুর্শিদাবাদে। ওই জেলায় ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। আজ বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে, এমনটাই জানিয়েছে কমিশন। প্রতি বুথে মোতায়েন থাকছে প্রায় ৮ জন করে কেন্দ্রীয় জওয়ান। দার্জিলিঙ, কালিম্পং এবং ঝাড়গ্রাম ছাড়া সব জেলারই কোনও না কোনও বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যালট পেপার নষ্ট সমেত একাধিক কারণে এই পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। তবে ৬৯৬ বুথে পুনর্নির্বাচন হলেও রবিবার বিজেপি প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার বুথে ভোট করানোর দাবি জানায়।

    কোন জেলায় কত বুথে নির্বাচন (Panchayat Vote)

    মুর্শিদাবাদ ১৭৫

    মালদহ ১০৯

    নদিয়া ৮৯

    কোচবিহার ৫৩

    উত্তর ২৪ পরগনা ৪৬

    দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৩৬

    পূর্ব মেদিনীপুর ৩১

    হুগলি ২৯

    উত্তর দিনাজপুর ৪২

    দক্ষিণ দিনাজপুর ১৮

    জলপাইগুড়ি ১৪

    বীরভূম ১৪

    পশ্চিম মেদিনীপুর ১০

    বাঁকুড়া ৮

    হাওড়া ৮

    পশ্চিম বর্ধমান ৬

    পুরুলিয়া ৪

    পূর্ব বর্ধমান ৩

    আলিপুরদুয়ার ১

    রবিবার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Vote) ব্যাপক হিংসার প্রতিবাদে শনিবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারি। প্রতীকী ওই প্রতিবাদের পর রবিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। কমিশনারের ঘর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন জগন্নাথ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘যেখানে যেখানে ছাপ্পা হয়েছে, সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেননি, সেখানে সেখানে আমরা পুনর্নির্বাচন চাইছি।’’ জানা গিয়েছে, রবিবার বিজেপি ১০-১২ হাজার বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। রবিবার জগন্নাথ আরও বলেন, ‘‘পুনর্নির্বাচন না হলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করব। ১১ তারিখ ভোট গণনা হবে। সেখানেও জোরদার নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।’’

    আরও পড়ুুন: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গেলেন সুকান্ত

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: গঙ্গাজলঘাঁটিতে একের পর এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: গঙ্গাজলঘাঁটিতে একের পর এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের বড়শাল গ্রাম। রাতভর গ্রামে একের পর এক বিজেপি (BJP) কর্মীর বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে নির্বিচারে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। পুলিশকে জানিয়ে নিরাপত্তা চাইলে পুলিশ পাল্টা বিজেপি কর্মীদেরই মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকেই আতঙ্কে গোটা বড়শাল গ্রামে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    শনিবার গ্রামে ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে বিজেপি (BJP) কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বচসা হয়। সেই বচসা পরে মিটে গেলেও ভোট মিটতেই তৃণমূলের নেতৃত্বে গ্রামে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। গ্রামে হামলা করে একের পর এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে তাণ্ডব চালানো হয়। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় গ্রামের একাধিক টালির চালা। গ্রাম জুড়ে চলে ইট বৃষ্টি। হামলা চলাকালীন বিষয়টি গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় জানানো হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ,  হামলাকারীরা গ্রাম ছাড়ার পর গ্রামে পুলিশ পৌঁছে পাল্টা বিজেপি কর্মীদেরই মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত থেকেই আতঙ্ক চেপে বসেছে গ্রাম জুড়ে। গ্রামে আতঙ্ক এতটাই যে গ্রামবাসীরা রবিবার সকাল থেকে বাড়ির বাইরে বেরোতেও ভয় পাচ্ছেন। ঘটনার পর গ্রামে হাতেগোনা কয়েকজন পুলিশ মোতায়েন করা থাকলেও তাদের উপর ন্যুনতম আস্থা নেই গ্রামবাসীদের।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    এই  ঘটনার কড়া নিন্দা করে পুলিশ ও তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি (BJP) বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। তিনি বলেন, তৃণমূলীরা গ্রামে তাণ্ডব চালাল। আর পুলিশ বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করল। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা জীতেন গড়াই বলেন, বড়শাল গ্রামের ঘটনাটিকে গ্রামের একটি পরিবারের পারিবারিক বিবাদ। তার জেরেই গণ্ডগোল। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূল কোনওভাবেই দায়ী নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বুথেই খুন প্রার্থী, প্রশাসনকে দায়ী করল নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবার, হেমতাবাদে অবরোধ

    TMC: বুথেই খুন প্রার্থী, প্রশাসনকে দায়ী করল নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবার, হেমতাবাদে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোর্টের নির্দেশ ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার। মানেনি নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রেখে সিভিক, কনস্টবলদের দিয়ে রাজ্য জুড়ে ভোট করানো হল। আর অসুরক্ষিত বুথে দুষ্কৃতী তাণ্ডবে বেঘোরে প্রাণ গেল বহু রাজনৈতিক কর্মীর। শনিবার উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া ব্লকের বিদ্যানন্দপুর এলাকায় বুথের সামনে কুপিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল (TMC) প্রার্থী মহম্মদ শাহেনশাহকে।  ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুলের বারান্দায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। তৃণমূল প্রার্থীর মৃত্যুর জন্য প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন মৃতের পরিবার সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের অভিযোগ, বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী অথবা পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ থাকলে এমন ঘটনা ঘটত না।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

     শনিবার ভোট চলাকালীন চাকুলিয়া ব্লকের বিদ্যানন্দপুর এলাকায় বুথের সামনে কুপিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল প্রার্থীকে।  ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুলের বারান্দায় লুটিয়ে পড়েন তিনি।  সেখান থেকে তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কিশানগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।  শাহেনশার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিদ্যানন্দপুর। খুনের ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। তারা জানিয়েছেন, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে কবুতরখুপি সংসদে তৃণমূল কংগ্রেসর টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন মহম্মদ শাহেনশা। ভোটের দিন কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তার ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। নির্বাচনে পরিবারের সদস্যকে হারানোর ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না নিহত শাহেনশার পরিবার।

    কী বললেন মৃতের মা?

    ছেলের শোকে ভেঙ্গে পড়েছেন মৃতের মা সহ অন্যান্যরা। মৃতের মা আকরিবা খাতুন  বলেন, “আমার ছেলেকে যারা খুন করেছে তাদের শাস্তি চাই।” অপরদিকে নিহত শাহেনশার ভাতৃবধূ খুশবু বেগম বলেন,”এই ঘটনার জন্য একমাত্র দায়ী প্রশাসন। বুথে একটি মাত্র পুলিশ ছিল। বুথে না ছিল পর্যাপ্ত পুলিশ, না কেন্দ্রীয় বাহিনী। একজন পুলিশ কর্মী কি একা গন্ডগোল থামাতে পারেন? দোষীদের চরমতম শাস্তি চাই।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

     স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা মোজাফফর মহম্মদ  বলেন, এমন তরতাজা প্রাণ অকালেই চলে যাবে তা কেউ ভাবতেই পারছে না। কংগ্রেস শাসিত দুষ্কৃতীরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।  নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকলে এমন ঘটনা এড়ানো যেত। এর ঘটনার জন্য প্রশাসন দায়ী।

    রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে হেমতাবাদে নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের লোকজন

    হেমতাবাদের তৃণমূল (TMC) কর্মী নারায়ণ সরকারের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ কোনও সদর্থক ভূমিকা গ্রহন করেনি অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামলেন পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীরা। রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার  হেমতাবাদের বাঙ্গালবাড়ি মোড়ে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় মানুষজন এবং পরিবারের সদস্যরা।  আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, গিয়াশীলের বাসিন্দা নারায়ন সরকারকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার পর ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও পুলিশ এখনও কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। উল্টে আত্মহত্যার তত্ত্ব খাঁড়া করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। যা মানতে রাজি নন এলাকার মানুষ। অবিলম্বে দোষীকে খুঁজে বের করে তার শাস্তির দাবী জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। প্রসঙ্গত, শনিবার ভোট চলাকালীন হেমতাবাদের ধোয়ারই এলাকায় পাটক্ষেত থেকে উদ্ধার হয় নারায়ণ সরকারের মৃতদেহ। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভোট দিতে যাওয়ার জন্য বেড়িয়েছিলেন তিনি তারপরই তার মৃত্যুর খবর এসে পৌছয় পরিবারের কাছে। ঘটনায় শোকে ভেঙে পরে গোটা পরিবার।

    কী বললেন মৃতের ছেলে?

    এই বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মৃতের ছেলে বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি বলেন, পুলিশ এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এদিন বেশ কিছুক্ষন বিক্ষোভ চলার পর অবরোধ স্থলেই পুলিশের কাছেই অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরই অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share