Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Cooch Behar: ধরা পড়েই তৃণমূলের প্রার্থী বললেন, “আমি ছাপ্পা ভোটে জিততে চাই না”!

    Cooch Behar: ধরা পড়েই তৃণমূলের প্রার্থী বললেন, “আমি ছাপ্পা ভোটে জিততে চাই না”!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুথে ছাপ্পা ভোট দিতে এসে গ্রামবাসীর তৎপরতায় ধরা পড়ে গেল এক ছাপ্পা প্রদানকারী। তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। ঘটনাটি কোচবিহারের (Cooch Behar) নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের গুড়িয়াহাটি- ১ নম্বর অঞ্চলের ৮/১৪৪ নম্বর বুথে। এই ঘটনা ঘটে যাবার পর তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রার্থী মানিক দে বলেন “আমি ছাপ্পা ভোটে জিততে চাই না”। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

    তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থীর বক্তব্য (Cooch Behar)

    তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী (Cooch Behar) মানিক কুণ্ডু বলেন, এই বুথে ভোট বন্ধ হয়েছে ভালো হয়েছে! আমি এই ভাবে জিততে চাই না! দুষ্কৃতীরা এসে ছাপ্পা মেরেছে। অত্যন্ত অন্যায় কাজ। কারা ছাপ্পা মেরেছে জিজ্ঞেস করলে নাম বলতে চাননি তিনি। তিনি আরও বলেন, আমি কোনও অনৈতিক কাজকে সমর্থন করি না, সাধারণ মানুষের কাছে আমি ছাপ্পা ভোটে জিততে চাই না। মানুষের পছন্দের রায় আমি মাথা পেতে নেব।

    বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থীর বক্তব্য

    বুথে (Cooch Behar) দুপুর ঠিক ১২ টায় ভোট শান্তিপূর্ণ চলছিল। কিন্তু আচমকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এসে সকলকে বলে ভোট হয়ে গেছে, সকলে চলে যাও। এরপর জেলা পরিষদের ব্যালটে ছাপ্পা দিতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। বুথের ভিতরে একজন বন্দুকধারী পুলিশ ছিলেন। কিন্তু দুষ্কৃতীদের কিছুই বললেন না। এই পরিস্থিতিতে এলাকার ভোটাররা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবাদ করলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আর এর পরেই এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে উত্তেজিত ভোটাররা।

    প্রিসাইডিং অফিসারের বক্তব্য

    ৮/১৪৪ বুথের (Cooch Behar) প্রিসাইডিং অফিসার চৈতন্য পোদ্দার বলেন, সকাল থেকে ভোট শান্তিপূর্ণ ছিল। দুপুরে ১২ টায় পাঁচ থেকে ছয় জন মুখে গামছা বেঁধে বুথের ভিতরে ঢোকে এবং এরপর ব্যালট পেপার নিয়ে টানাটানি করে ছাপ্পা মারতে শুরু করে। এরপর বক্সগুলিতে জল ঢেলে দিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পরে সাধারণ ভোটাররা প্রতিবাদ করলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। এরপর থেকেই ভোট কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করা হয়েছে। নির্দেশ এলে আবার ভোট নেওয়া হবে বলে জানান প্রিসাইডিং অফিসার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গেলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গেলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের দিন থেকেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিভিন্ন এলাকায় দলীয় কর্মীদের ওপরে আক্রমণ হুমকি এবং ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। সেই অভিযোগ নিয়েই রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)  ভোটের দিন বিভিন্ন এলাকায় বুথে বুথে যান। ভোট মিটে যাওয়ার পরদিনও একই ঘটনা অব্যাহত রয়েছে বলে বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হয়। রবিবার সকালে তপন ব্লকের হজরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিচ কাদমা গ্রামে যান সুকান্ত বাবু। সেখানে বিজেপি কর্মীরা তাঁকে অভিযোগ জানান, রাতে বিভিন্ন জায়গায় হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিজেপি কর্মীদের আটকে রেখে এলাকায় ভোট করা হয়েছে। সকালে গুলির খোল উদ্ধার করে গ্রামবাসী। সেগুলি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে কথা বলতে গেলে সুকান্তর সঙ্গে পুলিশের বচসা হয়। গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরে অবশ্য তা মিটে যায়। এই নিচা কাদমা এলাকায় শনিবার তৃণমূল ছাপ্পা ভোট করে বলে অভিযোগ। এমনকী রাতভর সন্ত্রাস চালানো হয় বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে। নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। এদিন সকাল হতেই বিজেপি কর্মীরা একযোগে এর প্রতিবাদ জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    অন্য একটি ঘটনায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের বোয়ালদা গ্রামে শনিবার রাতে বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে হামলার ঘটনার পর আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে যান। সুকান্তবাবু বলেন, গণনার দিন পর্যন্ত তিনি জেলাতেই থাকবেন। যেখানে যেখানে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা হবে, সেখানেই তিনি যাবেন এবং তার বিহিত করার চেষ্টা করবেন। অন্যদিকে, ভোটের পরবর্তী সময় থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিরোধীদের বাড়িঘর ভাঙচুর থেকে শুরু করে হুমকি বিভিন্ন ঘটনা ঘটেই চলেছে এর জন্য দায়ী জেলা পুলিশ প্রশাসন। কারণ তারা নিরপেক্ষ ভূমিকা গ্রহণ করছে না। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের সিংহফরকায় ৩৭/১৬২ নম্বর বুথে শনিবার দেদারে চলে ছাপ্পা ভোট। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। প্রতিবাদে ব্যালট বক্সে জল ঢেলে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। তৃণমূলের অভিযোগ জল ঢালেন স্থানীয় বিজেপির বুথ সভাপতি অন্তু রায়। এরপরই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মারধর করে বিজেপির বুথ সভাপতিকে। এমনকী প্রাণনাশের হুমকি দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ছুটে আসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ স্থানীয় জেলা পরিষদের প্রার্থী প্রদীপ সরকার। বুথ সভাপতির সঙ্গে দেখার পাশাপাশি তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।

    পুলিশ ক্যাম্পের কেন দাবি জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন,তপনের হজরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিচ কাদমা গ্রামে শনিবার ভোট হয়নি। বুথের দরজা বন্ধ করেছে ছাপ্পা করেছে। কাউকে ভোট দিতে দেয়নি। এখানাকার যে প্রধান সে মানুষকে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে। শুধু তাই নয় আজকে সকালে এসে বোমা মেরেছে, গুলি চালিয়েছে। গুলির খোল গ্রামবাসীরা পেয়েছেন। আমরা পুলিশকে বলেছি দ্রুত এই গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প বসানোর জন্য।এই গ্রামে এসটি, এসসিদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। কেন্দ্রীয় এসসি কমিশনের কাছে আবেদন জানাবেন যাতে ওই এলাকায় তাঁরা পরিদর্শন করতে আসেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সালার, সামশেরগঞ্জে তৃণমূল-নির্দলের ব্যাপক বোমাবাজি! তীব্র উত্তেজনা

    Murshidabad: সালার, সামশেরগঞ্জে তৃণমূল-নির্দলের ব্যাপক বোমাবাজি! তীব্র উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিনে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। শাসক-বিরোধী মিলে ভোটের দিনই ৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। মনোনয়ন থেকে ভোট প্রদানের দিন পর্যন্ত সালার, ডোমকল, ভারতপুর, বেলডাঙা, কান্দি, নবগ্রামে শাসক দল বনাম নির্দল, তৃণমূল বনাম তৃণমূল, তৃণমূল বনাম কংগ্রেসের মধ্যে ব্যাপক রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়। জেলা জুড়ে ভোটের আগে থেকেই দেশি বোমা, সকেট বোমা উদ্ধারে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে গিয়েছিল। তাই ভোটদানের পরেও এই জেলা ভীষণ ভাবে উত্তপ্ত। ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত সালার। চুনশহর গ্রামে নির্দল সমর্থকের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সামশেরগঞ্জের হিরানন্দপুর ভাঙা লাইনে বোমাবাজি, নির্দল ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ।

    সালারে (Murshidabad) ব্যাপক বোমাবাজি

    সালারের চুনশহর গ্রামে নির্দল সমর্থক অনুগামীদের বাড়ি ভাঙচুর এবং নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ শুধু নয়, পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা জুড়ে। সামগ্রিক ঘটনার তদন্ত নেমেছে সালার থানার পুলিশ। আক্রান্ত নির্দল সমর্থক নাজিয়া বিবি বেলন, যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল করে, তারাই আমাদের বাড়িতে বোমাবাজি করেছে। আমার স্বামী বাইরের রাজ্যে কাজ করেন। বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় আমাদের দুষ্কৃতীদের হুমকি, বোমা-বন্দুকের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ যদি তৃণমূলের হয়ে বাড়িতে অত্যাচার চালায়, তাহলে তদন্ত করবে কে?

    সামশেরগঞ্জে বোমাবাজি?

    ভোটের পরের দিনই নির্দল এবং তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে গন্ডগোলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হল মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ (Murshidabad) থানার হিরানন্দপুর ভাঙা লাইন এলাকায়। দুই পক্ষের মধ্যে চলল বোমাবাজি। এলাকায় মুহূর্মুহূ বোমা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সামশেরগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। বোমাবাজির পাশাপাশি ইট-পাটকেলও চলে দুই পক্ষের মধ্যে।

    সামশেরগঞ্জে বিধায়ক কী বললেন?

    সাংবাদিক বৈঠকে সামশেরগঞ্জের (Murshidabad) বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলেন, নমিনেশন পর্ব থেকে ভোট গ্রহণ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে সংগঠিত হয়েছে। সারা বাংলায় গণতন্ত্রের উৎসব পালিত হয়েছে। অনেক জায়গায় রাত পর্যন্ত ভোট হয়েছে। বিরোধীরা বলেছিল ভোট করতে দেবে না। কিন্তু সামশেগঞ্জেও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়। তিনি আরও বলেন, পঞ্চগ্রাম আইএএস স্কুলে সকাল থেকেই নজু খানের নেতৃত্বে ভোট কর্মীদের সঙ্গে যুক্তি করে প্রায় ২০০ ব্যালট লুট করে ছাপ্পা মারে। ওই কেন্দ্রে বিজেপি-নির্দল এবং দুষ্কৃতীরা ব্যালট বক্স ভাঙচুর করে। 

    আক্রান্তদের বাড়িতে গেলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী

    আবার নওদায় (Murshidabad) গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে একজন কংগ্রেস কর্মী ও সমাজসেবী আনন্দ হালসানার বাড়িতে তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা হামলায় চালিয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে আজ বাড়িতে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: আলিপুরদুয়ারে ছাপ্পা দেওয়ার দাবিতে পুলিশের সামনেই গুলি তৃণমূলের

    Panchayat Vote: আলিপুরদুয়ারে ছাপ্পা দেওয়ার দাবিতে পুলিশের সামনেই গুলি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণতন্ত্রের উৎসবে কান্নার রোল। আক্ষরিক অর্থেই শোকের আবহে শনিবার শেষ হল ১০ম পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat vote)। অকালে খালি হয়ে গেল রাজ্যের ১৭টি মায়ের কোল। গুলি-বোমা-বারুদের গন্ধে দিনভর ভারী হয়ে রইল রাজ্যের আষাঢ়ের আকাশ। ভোটারের লাল টকটকে রক্তের দাগ লেগে রইল রাজ্যেরই একটি বুথে। নির্বাচন কমিশন রইল ঠুঁটো। যার জেরে কোথাও হাতজোড় করে প্রাণ বাঁচানোর আর্তি জানাতে দেখা গিয়েছে পুলিশ কর্মীকে। আবার কোথাও আক্রান্ত হল সিভিক পুলিশ। শনিবার শেষ বেলাতে অশান্তি হল আলিপুরদুয়ারেও। ভোটকেন্দ্রে পুলিশের সামনেই গুলি চালনার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও এলাকাবাসীদের সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে পড়ে পিছু হঠতে দেখা যায় ঘাসফুলের বাহিনীকে। সাংগঠনিকভাবে দুর্বল তৃণমূল এই জেলায়। বেশকিছু সমীক্ষায় উঠে এসেছে জেলাপরিষদও হাতছাড়া হতে চলেছে ঘাসফুল শিবিরের। স্বচ্ছ ভোট হলে হেরে যাওয়ার আশঙ্কাতেই এদিন তৃণমূল গুলি ছুড়তে থাকে। দুষ্কৃতীদের দাবি,  ছাপ্পা ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

    আলিপুরদুয়ার জেলার কোথায় ঘটল এমন ঘটনা?

    ঘটনাটি ঘটেছে ভোলার ডাবরির দমনপুর নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এদিন সন্ধ্যাবেলায় এলোপাথারি কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতিরা। ঘটিনার খবর পেয়ে তৎক্ষনাত পুলিশ পৌঁছায়। এলাকাবাসীরা তাড়া করলে দুষ্কৃতিরা পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় মারপিটে জখম হয়েছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। ওই বুথে তখনকার মতো ভোট বন্ধ হয়ে যায়, পরে ফের ভোট চালু করে প্রশাসন। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ ভোটাররা।

     

    কী বলছেন এলাকাবাসীরা?

    শনিবার এক সাধারণ ভোটার পিঙ্কি দাস বর্মন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘রনি নামের তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর নেতৃত্বে গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। ওই সমাজবিরোধীর স্ত্রী এবারের ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছে। নিশ্চিত পরাজয় জেনেই তৃণমূল এমনটা করছে।’’ পিঙ্কিদেবীর আরও সংযোজন, ‘এদিন এলাকাবাসী তাড়া করতেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।’’

     

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবাধ ছাপ্পা, হিংসা, প্রতিবাদে ‘ঠুঁটো’ নির্বাচন কমিশনের দফতরে তালা শুভেন্দুর

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: রানাঘাটে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, জখম তিন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: রানাঘাটে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, জখম তিন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাপ্পা ভোটের প্রতিবাদ করায় রাতের অন্ধকারে তাণ্ডব চালাল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর করা হল এক বিজেপি (BJP) কর্মীর বাড়ি। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনজন। অভিযোগ রাতে পুলিশের মদতেই হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাট থানার আনুলিয়া এলাকায়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যের পাশাপাশি নদিয়া জেলার একাধিক জায়গায় সন্ত্রাস ভোট লুটের অভিযোগ ওঠে। আর প্রতিটি অভিযোগ রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। আনুলিয়া এলাকায় বুথ দখল করে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আর তার প্রতিবাদ করেছিল ওই এলাকারই কয়েকজন বিজেপি কর্মী। এরপরই শনিবার গভীর রাতে বিজেপি (BJP) কর্মীর বাড়িতে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। কার্যত বাড়ির ভিতর ঢুকে ভাঙচুর করা হয় বাড়ির সব আসবাবপত্র। মারধর করা হয় বিজেপি কর্মীর বাড়ির সদস্যদের। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলেও তাদের সামনেই তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। এমনকী বিজেপি কর্মীর পরিবারকে উল্টে শাঁসানি দেয় পুলিশ। অন্যদিকে, কোনওরকমে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এলাকাবাসী। এরপরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধায়ক তথা বিজেপি জেলা সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়।

    কী বললেন আক্রান্ত পরিবারের সদস্য?

    আক্রান্ত হওয়া এক পরিবারের সদস্য বলেন, রাতে আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ ১০ -১৫ জন দুষ্কৃতী বাড়়িতে চড়াও হয়। এরপরই দেখি আমার ভাসুরকে ধরে মারছে তারা। কোনওরকমে ভাসুরকে বাঁচিয়ে ঘরে নিয়ে আসি। হামলাকারীরা ঘরের মধ্যে ঢুকে সবকিছু ভাঙচুর করে এবং আমাদের পরিবারের একাধিক সদস্যকে লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিজেপি (BJP) জেলা সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, শনিবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই তাণ্ডব চালিয়েছে। আর পুলিশ পুরোপুরি এদের মদত দিয়েছে। যদি পুলিশ চিহ্নিত করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করে, তাহলে থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করব আমরা।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী সৌভিক ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে। বিজেপির (BJP) কিছু মানুষ অশান্তি করার চেষ্টা করছিল গ্রামের মানুষ তার প্রতিবাদ করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ফের মৃত্যু! ছাপ্পা আটকাতে গিয়ে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী, জেলায় তীব্র চাঞ্চল্য

    Malda: ফের মৃত্যু! ছাপ্পা আটকাতে গিয়ে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী, জেলায় তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক দিনে ১৫ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটল। অথচ রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে অনেক কম। নির্বাচনে কোনও রকম নিরাপত্তা  এবং সুরক্ষার বিষয় ছিল না বলে বিরোধীরা বিস্ফোরক হয়েছে। শনিবার মালদায় (Malda) আরও এক প্রাণ গেল। সন্ত্রাস, হানাহানি এবং হিংসায় উত্তাল জেলা।

    কোথায় খুনের ঘটনা ঘটল (Malda)?   

    শনিবার রাতে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল মালদায়। ছাপ্পা ভোট আটকাতে গেলে তাঁকে খুন করা হয়। মৃতের নাম মতিউর রহমান (৪৫), ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে কংগ্রস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তিনি বৈষ্ণবনগর ভগবানপুর (Malda) বড় কামাতের বাসিন্দা ছিলেন। ট্রাক চালাতেন। শনিবার কেবিএস প্রাথমিক স্কুল ১৫৬ বুথে ভোট দিতে যান তিনি। সে সময় সাড়ে ৫টা নাগাদ তাঁর উপরে হামলা হয়। এই ঘটনায় আরও চারজন বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ।

    প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য

    হাজিকুর রহমান ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তিনি বলেন, আমি এবং মতিউর দুজনেই বুথে (Malda) ভোট দিতে গিয়েছিলাম। আমরা এখানে তৃণমূল কংগ্রেস করি। দুজন করে মহিলার পর একজন করে পুরুষ, পর পর গিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট দিচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ দেখি কংগ্রেসের এক স্কুল শিক্ষক ব্যালটে ছাপ্পা শুরু করে! প্রতিবাদে আমি এবং মতিউর সোচ্চার হই। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেসের এই শিক্ষক কর্মী হয়তো বুঝতে পারছিল যে শান্তিপূর্ণ ভোট হলে কংগ্রেস হারবে। তাই তৃণমূলকে হারাতে এই ছাপ্পা শুরু করে। আবার প্রতিবাদ করতে গেলে পিছন থেকে মতিউরকে চাকু দিয়ে আঘাত করে। বাঁচাতে গেলে হাজিকুর রহমানের হাতেও চাকুর আঘাত লাগে। অধিক রক্তক্ষরণের কারণে মতিউরের মৃত্যু হয়।

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত মতিউরের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী মাত্র কয়েকদিন আগে বাড়িতে এসেছেন ভোট দেওয়ার জন্য। আর ভোট দিতে এসেই খুন হলেন! আমরা খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। মৃত মতিউরের স্ত্রী বলেন, আমদের প্রার্থী ছিলেন রফিকুল, তাঁকে মাথায় আঘাত করেছে দুষ্কৃতীরা। আমি এবং আমার স্বামী তৃণমূল করতাম। যারা হত্যা করেছে তারা কংগ্রেস কর্মী। বুথে ছাপ্পা দেওয়ার প্রতিবাদ করতে গেলে আমার স্বামীকে ধারলো চাকু দিয়ে পিছন থেকে আঘাত করে খুন করে ওরা। দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি চাই বলে দাবি করেন মৃত মতিউরের স্ত্রী।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda:  ব্যালট বাক্সই নিখোঁজ! গাজলের স্ট্রং রুমের সামনে অবস্থানে বিজেপি সাংসদ

    Malda: ব্যালট বাক্সই নিখোঁজ! গাজলের স্ট্রং রুমের সামনে অবস্থানে বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন ঘোষণা থেকে মনোনয়ন এবং মনোনয়ন প্রত্যাহার থেকে নির্বাচনের প্রচার পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে হিংসার বাতাবরণ বর্তমান ছিল। এবার ভোট প্রদানের দিন লাগাম ছাড়া হিংসা, ভোট লুট, বোমাবাজি, হত্যালীলায় রাজ্য কমিশনের কোনও রকম নিয়ন্ত্রণ ছিল না বলে বিরোধীরা সরব হয়েছেন। এরই মধ্যে গণনার আগেও উত্তপ্ত মালদার (Malda) গাজল। শাসক দল স্ট্রং রুমে ব্যালটে কারচুপি করেছে, এই অভিযোগ তুলে অবস্থাে-বিক্ষোভ করল বিজেপি। বিজেপির আশঙ্কা, ভোট লুট, ছাপ্পা এবং মানুষ হত্যার পর এবার হবে গণনায় চুরি। আর তাই স্ট্রং রুমের সামনে অবস্থান করলেন বিজেপি সাংসদ এবং বিধায়ক।

    ঘটনা কোথায় ঘটল (Malda)?

    গাজোলে স্ট্রং রুমের সামনে ধরনায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও গাজলের বিজেপি বিধায়ক চিন্ময় দেব বর্মন। স্ট্রংরুমের মধ্যেই শাসক দলের মদতে কারচুপির করা হচ্ছে। তাই ভোট চুরি আটকাতে অভিযোগ তুলেই ধর্নায় বসেছেন সাংসদ ও বিধায়ক।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু (Malda) বলেন, গতকাল ভোটের দিন শাসক দলের দুষ্কৃতীরা বুথে ঢুকে মানুষের ভোট লুট করেছে, সাধারণ মানুষকে ভোট না দিতে দিয়ে ছাপ্পা মেরেছে তৃণমূল এবং সর্বোপরি মানুষের গণতন্ত্রের অধিকারকে কেড়ে নিয়ে মৃত্যুর হোলি খেলা হল! তার বিরুদ্ধে আমরা আজ গাজলের নাকু মহম্মদ হাই স্কুলে যে স্ট্রং রুম ঠিক করা হয়েছে, সেখানে এসে প্রতিবাদ জানিয়ে অবস্থানে বসেছি। ৮৩ নম্বর বুথের ব্যালট বাক্স খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিচে পোলিং অফিসাররা রিসিভ করেছেন। কিন্তু তারপর থেকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। বিডিও, জয়েন্ট বিডিও সাহেবকে এই ব্যালট বাক্সের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা নিরুত্তর থাকেন। বিজেপির এই সাংসদ আরও বলেন, আমরা গত কাল রাত ১১ টা থেকে আজ পর্যন্ত বসে আছি। কিন্তু ব্যালট বাক্সের কোনও হদিশ নেই। ২১৭ নম্বর বুথের জেলা পরিষদের ব্যালট বাক্স ফাঁকা করে রাখা হয়েছিল। প্রিসাইডিং অফিসার নিজে তৃণমূলের হয়ে ছাপ্পা মারছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। যে ভাবেই হোক না কেন, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে দখল করতে চাইছে শাসক দল! এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, দেশে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা এমন যে তার মধ্যে দিয়েই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের টাকাগুলিকে বাস্তবায়ন করা হয়। কেন্দ্র সরকারের টাকা চুরি করার সহজ রাস্তা হল পঞ্চায়েত দখল করা। আর তাই তৃণমূলের সকল চোরেদের কাছে বিষয়টা এমন যে পঞ্চায়েত হাতে এলেই চুরি করতে সুবিধা হবে! আর এই জন্যই তৃণমূল চাইছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুধু তৃণমূলই থাকবে। রাজ্যে একতরফা ভোট চুরি করেছে শাসক তৃণমূল। সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, গাজলের ২৫৩ টি বুথেই পুনরায় নির্বাচন হোক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: অগ্নিগর্ভ চাকুলিয়া, সরকারি বাস ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন, অবরোধ, গোয়ালপোখরে ফের খুন

    Panchayat Poll: অগ্নিগর্ভ চাকুলিয়া, সরকারি বাস ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন, অবরোধ, গোয়ালপোখরে ফের খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Panchayat Poll) পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার চাকুলিয়া থানার রামপুরে বিরোধীরা রামপুর-চাকুলিয়া রাস্তা অবরোধ করে। দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তারা রামপুরে ৩১ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। একটি সরকারি বাস সহ একাধিক যানবাহন ভাঙচুর করে। কার্যত উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছে, ভোটের দিন তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বুথ দখল করেছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিনের বিক্ষোভ। অন্যদিকে, গোয়ালপোখর-১ ব্লকে শনিবার রাতে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সামসুল হুদা। অন্য একজন নিখোঁজ রয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    চাকুলিয়া থানার রামপুর বুথে শনিবার ভোট (Panchayat Poll)  চলাকালীন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। বুথের মধ্যে গ্রামবাসীরার লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছিলেন। সেখানে বহু মহিলা ছিলেন। দুষ্কৃতীরা দুটি গাড়িতে করে আসে। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বুথে ঢোকে। এলোপাথারি বোমাবাজি করে। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাদের বেধড়ক পেটায় বলে অভিযোগ। বিজেপির পোলিং এজেন্ট সুখুকমার দাসকে মারধর করে। বুথ দখল করে ভোট লুট করে। এরপরই গ্রামের লোকজন ছুটে এসে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করতে করতে এলাকা ছেড়ে পালায়। তবে, তারা যে দুটি গাড়ি করে ঘটনাস্থলে এসেছিল, সেই গাড়ি দুটি ফেলে রেখে পালায়। ঘটনায় বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী জখম হন। শনিবারের ঘটনার পর রবিবার দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া গাড়ি দুটির উপর সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। গাড়ি দুটিতে আগুন ধরানো হয়। সরকারি বাস সহ একাধিক যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। সরকারি বাসের এক যাত্রী বলেন, আমি মালদা যাচ্ছিলাম। আচমকা আমাদের বাসে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। গাড়ির চালক আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি।

    কী বললেন বিজেপির পোলিং এজেন্ট?

    বিজেপির পোলিং এজেন্ট সুখুকুমার দাস বলেন, তৃণমূল ভোট (Panchayat Poll) লুট করেছে। গ্রামের মহিলাদের মারধর করা হয়েছে। মানিকের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে এই বুথে ফের ভোটের দাবি জানাচ্ছি।

    গোয়ালপোখরে ফের এক ব্যক্তি খুন

    অন্যদিকে, এই জেলার গোয়ালপোখর ১ ব্লকের সাহাপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের জাগিরবস্তির নয়াহাঁট এলাকার সামসুল হক নামে অপর এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার দুপুরের দিকে মহম্মদ জামেরুদ্দিন নামে এক কংগ্রেস কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এরপর সামসুল হক নামে অপর এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় গোয়ালপোখর থানার পুলিশ। সামসুল হকের মৃতদেহটিকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাফুজ আলম নামে অপর এক ব্যক্তি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। যদিও এদের রাজনৈতিক কোনও পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মন্ত্রী ও পুলিশের গাড়িতে দুষ্কৃতীদের হামলা, জখম ডিএসপি সহ পুলিশ কর্মী

    Malda: মন্ত্রী ও পুলিশের গাড়িতে দুষ্কৃতীদের হামলা, জখম ডিএসপি সহ পুলিশ কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিন রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের আবহে ভোট সম্পন্ন হল। মালদায় (Malda) তৃণমূলের মন্ত্রী এবং পুলিশের গাড়িতে আক্রমণ করে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এমনকী এক পুলিশ কর্মীকে পাথরের আঘাতে জখম করার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট এলাকায় পুলিশ কর্মী দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের আবহ চলছে।

    হরিশ্চন্দ্রপুরে (Malda) পুলিশ আক্রান্ত

    জানা যায়, ভোটের দিন শনিবার রাত ১০ টা নাগাদ রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তজমুল হোসেন ও হরিশ্চন্দ্রপুর (Malda) থানার পুলিশ এলাকার ২ নং ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ভোট পরিদর্শন করে ফিরছিলেন। হঠাৎ বস্তা গ্রামে একদল দুষ্কৃতী রাজ্যের মন্ত্রী ও পুলিশের গাড়ি আটকে পাথর ও ইটের টুকরো ছুড়তে শুরু করে। পাথরের আঘাতে ভেঙে যায় গাড়ির কাচ এবং এক পুলিশকর্মী জখম হন। আক্রান্ত পুলিশ কর্মী হচ্ছেন মালদার ট্রাফিকের ডিএসপি বিপুল ব্যানার্জি। রাতেই এই পুলিশ কর্মীকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে খবর। তবে অনুমান করা হচ্ছে বিহার থেকে এসে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত  শুরু করেছে পুলিশ।

    মগরাহাটে আক্রান্ত পুলিশ

    একই দিনে মালদায় পুলিশ আক্রান্তের পর দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও পুলিশ আক্রান্তের খবর মিলেছে। তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন মগরাহাট থানার ৩ পুলিশ কর্মী। মগরাহাট থানার একজন এসআই সহ দুই কনস্টেবল আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন হাসপাতালে। ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মগরাহাটের নৈনান এলাকা। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের মধ্যে নৈনান এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে মগরাহাট থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে সেখানেই কংগ্রেস কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে মারধর করে বলে জানা যায়। ঘটনায় মাথা ফেটেছে পুলিশ কর্মীদের। আহত তিন পুলিশ কর্মী হলেন এসআই আরিফ মহম্মদ ও ২ কনস্টেবল লালটু ও প্রসেনজিৎ। তাঁদের মধ্যে একজন কনস্টেবলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। ঘটনার পর নৈনান এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: ব্যুমেরাং! সিপিএমের বুথ দখল আটকাতে গিয়ে তৃণমূলের অফিস ভাঙচুর

    Panchayat Vote: ব্যুমেরাং! সিপিএমের বুথ দখল আটকাতে গিয়ে তৃণমূলের অফিস ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Panchayat Vote) পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল অণ্ডালের কাজরা এলাকা। শনিবার ৮ জুলাই ছিল রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট। পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঝরেছে রক্ত, হয়েছে প্রাণহানি। উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে বুথ দখলের অভিযোগও। ভোট পর্ব শেষ হতেই অণ্ডালের কাজরা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজনৈতিক সংঘর্ষে। শাসক দল তৃণমূলের অভিযোগ, কাজরা এলাকার সিপিআইএমের কর্মী-সমর্থকরা ১১৭ ও ১১৮ নম্বর বুথ দখলের চেষ্টা করেছিল। বাধা দিতেই তৃণমূলের কার্যালয় এবং দলীয় প্রার্থীর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় তারা। কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিআইএম। তাদের তরফে সন্ত্রাসের পাল্টা অভিযোগ করা হয় শাসক দলের বিরুদ্ধে।

    কী বলছে সিপিআইএম নেতৃত্ব?

    এলাকার সিপিআইএম নেতা তুফান মণ্ডল পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘‘সিপিআইএমের লোকেরা বুথ দখল করেনি, বরং তৃণমূলই দখল করেছিল ভোটগ্রহণ (Panchayat Vote) কেন্দ্র। তাদের বাধা দিতেই সিপিআইএমের লোকেদের ওপর চড়াও হয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা।’’ বুথের বাইরে সিপিআইএম-তৃণমূলের বচসা তুঙ্গে ওঠে। পরে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। সিপিআইএম নেতা তুফান আরও বলেন, ‘‘তৃণমূলের বুথ দখলের চেষ্টা আমরা ব্যর্থ করতেই, শাসক দলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে সিপিআইএমের লোকজনদের ওপর। পরে প্রচুর সংখ্যক সিপিআইএম কর্মী সমর্থক জড়ো হয়ে তৃণমূল কর্মীদের প্রতিরোধ করে। প্রতিরোধের মুখে পড়ে সেখান থেকে পালাতে বাধ্য হয় তৃণমূল কর্মীরা।’’

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব? 

    কাজরা এলাকার তৃণমূল প্রার্থী চন্দন সিং বলেন, ‘‘১১৭ ও ১১৮ নম্বর বুথ দখলের চেষ্টা করেছিল সিপিআইএম নেতাকর্মীরা। তাদের বুথ দখলের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতেই প্রতিহিংসায় সিপিআইএমের বহু সংখ্যক দুষ্কৃতী এসে তৃণমূলের তিনটি দলীয় কার্যালয় এবং প্রার্থীদের বাড়ি গাড়িতে হামলা চালায়।’’ পাশাপাশি এলাকায় সিপিআইএমের বিরুদ্ধে বোমাবাজি করারও অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে অণ্ডাল থানার প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আসে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিআইএমের দুষ্কৃতীদের হাতে মার খেয়েছে বহু তৃণমূল কর্মী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share