Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • South 24 Parganas: ভাঙড়ে বোমা ফেটে আহত দুই শিশু, আতঙ্কিত সাধারণ ভোটার

    South 24 Parganas: ভাঙড়ে বোমা ফেটে আহত দুই শিশু, আতঙ্কিত সাধারণ ভোটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) ভাঙর এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ছিল। তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষ, বোমাবাজি এবং বন্দুকের গুলিতে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছিল। পরিস্থিতি এতাটাই খারপ ছিল যে রাজ্যপাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন পর্যন্ত করেছিলেন। আজ পঞ্চায়েত ভোটের দিনে ফের উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে ভাঙড় দু নম্বর ব্লকের কাশীপুর এলাকা। এলাকায় বোমা ফেটে দুই শিশু আহত হয়েছে। আইএসএফ প্রার্থীদের ভোট কেন্দ্রে ভোট দানে বাধা দিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। প্রতিবাদ করে এলাকার মানুষ রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ করেন। সেই সঙ্গে চলে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের মারামারি

    বোমা ফেটে আহত দুই শিশু (South 24 Parganas)

    নির্বাচনের দিনে ভাঙড়ের (South 24 Parganas) ছয়ানিতে বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে আহত দুই শিশু। আহত ৭ বছর ও ৪ বছরের দুই শিশুকে জিরানগাছা হসপিটালে নিয়ে আসা হয়েছে। দুজেই খুব গুরুতর আহত বলে জানা গেছে।

    ভোট দানে বাধা অভিযুক্ত তৃণমূল

    আইএসএফ প্রার্থীদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ কাশীপুরে (South 24 Parganas)। সেই অভিযোগ তুলে দক্ষিণ কাশীপুরে রাস্তা অবরোধ করল আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা। মূলত তাদেরকে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। যখন আইএসএফ কর্মীরা অবরোধ করছিল সেই সময় এক তৃণমূল কর্মী সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। আর তাকে ধরে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পরে ঘটনাস্থলে কাশীপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।

    তিন কোম্পানি বাহিনী পৌঁছাল ভাঙড়ে

    ভাঙড় দু নম্বর ব্লকের কাশীপুর থানা (South 24 Parganas) এলাকায় মোট ১৬১টি বুথ রয়েছে। সেই বুথের নিরাপত্তার জন্য দু কোম্পানি বিএসএফ জওয়ান এসেছে বলে জানা গেছে। এর আগে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল। আর আজ সকালে দু কোম্পানি মোট তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকল।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: রক্তাক্ত খানাকুল! মাথা ফাটল বিজেপি সমর্থকের, পুকুরে ব্যালট বক্স

    Panchayat Vote: রক্তাক্ত খানাকুল! মাথা ফাটল বিজেপি সমর্থকের, পুকুরে ব্যালট বক্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিপিএমের আমল থেকেই আরামবাগের ভোটের চর্চা রাজ্যজুড়ে হতো। তৎকালীন সিপিএম সাংসদ অনিল বসুর জমানায় বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, লাগামছাড়া সন্ত্রাসে ভোট হয়না আরামবাগে। ২০১১ সালে পরিবর্তনের পরেও বিন্দুমাত্র কমেনি সন্ত্রাস। আরামবাগ আছে আরামবাগেই। ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটে খানাকুলে দেখা গেল সন্ত্রাসের চিত্র। বিজেপির অভিযোগ কোথাও বুথ দখল তো কোথাও তাদের ভোটারদের (Panchayat Vote) মারধর করেছে তৃণমূল। আবার কোথাও ব্যালট বক্স উদ্ধার হল পুকুর থেকে। আরামবাগের ধামসা এলাকায় ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে গ্রামবাসীরা পুকুরে ব্যালট বক্স ফেলে দেয়। সবমিলিয়ে গণতন্ত্রের নামে প্রহসন দেখল রাজ্যবাসী।

    সন্ত্রাসের খণ্ডচিত্র

    গোঘাটের বদনগঞ্জের ১৪-১৫ নম্বর বুথে নির্দল প্রার্থীর এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, আরামবাগে নির্দল প্রার্থী জাহানারা বেগমের এজেন্টকে গুলি করার অভিযোগ শাসকদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আরাণ্ডি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতমাসা ২৭৩ বুথে। ঘটনায় এলাকায়  ব্যাপক উত্তেজনা। গুলিবিদ্ধ ওই এজেন্টের নাম কায়মুদ্দিন মল্লিক। বুথে যাওয়ার পথে গুলি করে বলে অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে। আবার ভোটের (Panchayat Vote) আগের রাত থেকেই খানাকুলের হরিশ্চক এলাকায় রাতভর উত্তেজনা, একাধিক বাড়ি ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ, এলাকায় ঢুকলেই নজরে পড়ছে ইটবৃষ্টির চিহ্ন। অভিযোগের তীর শাসকদলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা তৃণমুল সমর্থকদের দাবি, মদ্যপ হয়ে এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে বিজেপি। রাতভর তান্ডব চললেও এলাকায় পুলিশের দেখা মেলেনি । অন্যদিকে খানাকুল ১ ব্লকের ঠাকুরানিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭০,৭২ নম্বর বুথে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ আহত বেশ কয়েকজন। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছেছে। ঘটনা জেরে বেশ কিছুক্ষণ ভোট দান বন্ধ থাকে, এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। আরামবাগ ব্লকের গড়বাড়িতে ব্যাপক উত্তেজনা। তৃণমূলের যুব সভাপতি পলাশ রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। খানাকুল ১নং ব্লকের শংকরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৬৪ এবং ১৬৮ নং বুথে দফায় দফায় উত্তেজনা। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আতঙ্কে জেরে ভোট দিতে পারছেন না ভোটাররা (Panchayat Vote)।

    বিজেপি সমর্থকরা কী বলছেন?

    খানাকুলের বিজেপি সমর্থক দিপালী দাস বলেন, ‘‘ভোট কেন্দ্রে সকালে পৌঁছেছিলাম নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করব বলে, কিন্ত তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা যাওয়া মাত্রই বাধা দেয়, বলে ভোট হয়ে গেছে। আমি বাধা দিতে গেলে হুমকি দিতে থাকে।’’ অন্যদিকে অপর এক বিজেপি সমর্থক মৃত্যুঞ্জয় খাঁড়া এবং তাঁর স্ত্রীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মৃত্যুঞ্জয় খাঁড়া বলেন, ‘‘আমরা ভোট দিতে গিয়েছিলাম। তখনই তৃণমূল লাঠিসোঁটা, বাঁশ নিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করে।’’ সবমিলিয়ে খানাকুল দেখল রক্তাক্ত ভোট। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: ভোট শুরু ৭টায়, পড়ে গিয়েছে লাশ, কমিশনার দফতরে এলেন ১০টায়!

    Panchayat Elections 2023: ভোট শুরু ৭টায়, পড়ে গিয়েছে লাশ, কমিশনার দফতরে এলেন ১০টায়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) শুরু হয়েছে সকাল ৭টায়। নির্বাচনের দায়িত্ব যার কাঁধে, রাজ্যের সেই নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা দফতরে এলেন বেলা ১০টা নাগাদ। ততক্ষণ নির্বাচন কমিশনের দফতর ছিল কার্যত অভিভাবকহীন। সকাল থেকে অনবরত বেজেই চলেছে কন্ট্রোল রুমের ল্যান্ড ফোনগুলি। এদিন সকালে অবশ্য দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন সচিব নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্য। এসেছিলেন বাকি কর্তারাও। ফোন সামলাচ্ছিলেন তাঁরাই।

    রাজ্যজুড়ে ব্যাপক অশান্তি

    অথচ নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) শুরুর পরপরই ব্যাপক অশান্তির ছবি সামনে এসেছে। ভাঙড়ে দেদার বোমাবাজি হয়েছে। কোচবিহার, রানিনগর, কদম্বগাছিতে খুন হয়েছে বলে অভিযোগ। বেলা ১০ নাগাদ দফতরে এলেন রাজীব। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি। রাজীব আসার আধ ঘণ্টা আগে দফতরে এসে পৌঁছান যুগ্ম কমিশনার সঞ্জয় বনসল। অথচ নির্বাচন শুরু হতে না হতেই বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর এসেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। কোথাও বুথ দখলের চেষ্টা হয়েছে, কোথাও আবার ব্যালটবক্সে জল ঢেলে দিয়ে ভোট পণ্ড করতে চেয়েছে দুর্বৃত্তরা। কোথাও আবার মুড়িমুড়কির মতো বোমাবাজি হয়েছে। চলেছে গুলিও। রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন বিরোধীরা। 

    এই আশঙ্কাই করেছিলেন বিরোধীরা

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) নির্ঘণ্ট হওয়ার পর থেকেই অশান্তির আশঙ্কা করেছিলেন বিরোধীরা। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব হয়েছিলেন তাঁরা। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন আদালতেরও। পঞ্চায়েতের বিভিন্ন মামলার রায় দিতে গিয়ে আদালতও নির্বাচন কমিশনকে পইপই করে বলেছিল, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে হবে কমিশনকে। সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে বলা হয়েছিল কমিশনকে। সেসব যে কমিশনের কানে ঢোকেনি, এদিনের ঘটনাই তার প্রমাণ।

    আরও পড়ুুন: কোচবিহারে বুথে বোমাবাজি, বিজেপির পোলিং এজেন্ট খুন, মালদায় খুন তৃণমূল কর্মী

    রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে তখন অশান্তির প্রতিকার চেয়ে (বেলা ১০টা পর্যন্ত অভিভাবকহীন) কমিশনের কন্ট্রোলরুমে ফোন আসছিল, তখন সেখান থেকে অনেক সময়ই ভুয়ো আশ্বাস দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। কন্ট্রোলরুম থেকে কাউকে বলা হয়েছে, ঠিক সময়ে পৌঁছে যাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কাউকে কাউকে আবার থানায় যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।  

    বিস্তর জলঘোলার পর নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) শুরুর হাতে গোণা কয়েকদিন আগে যখন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠায়, তখন তা দেওয়ার আশ্বাস দেয় কেন্দ্র। তবে শনিবার পর্যাপ্ত পরিমাণ বাহিনী আসেনি। তাই বহু ভোট কেন্দ্রেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। অভিযোগ, এরই সুযোগ নিয়েছে শাসক তৃণমূল। এমনটা যে হতে পারে সে আশঙ্কা অনেক আগেই করেছিলেন বিরোধীরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: বনগাঁয় ছিনিয়ে নেওয়া হল ব্যালট পেপার, সুতিতে ব্যালট চুরি

    Panchayat Election 2023: বনগাঁয় ছিনিয়ে নেওয়া হল ব্যালট পেপার, সুতিতে ব্যালট চুরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রাতে বনগাঁ ব্লকের ভাটবাওর গ্রামে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে তা পুকুরের জলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা এই কাজ করেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ব্যালট পেপারের (Panchayat Election 2023) হিসাব দিতে পারেননি প্রিসাইডিং অফিসার। ৮৩ নম্বর ও ৮৪ নম্বর বুথের একটিতে ৮৪৪টি ভোট রয়েছে, অন্যটিতে রয়েছে প্রায় সাড়ে নয়’শ ভোটার। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, বিকেলে ভোট কর্মীরা অটোতে চেপে আসেন। তার পর ভোট কেন্দ্রে চারটি স্করপিও গাড়ি ঢুকতে দেখা যায়। গ্রামবাসীরা নাকি এর পর দেখতে পান, পেপারে সই করছে। এরপর ব্যালট পেপারের হিসাব চাইলে তা দিতে অস্বীকার করা হয়। তাই বাকি ব্যালট ছিনিয়ে গ্রামবাসীরা পুকুরে ফেলে দিয়েছে। গ্রামবাসীদের একাংশ অভিযোগ করছেন, গত পঞ্চায়েত ভোটে এই দুই বুথে ব্যাপক ছাপ্পা হয়েছিল। এবার তাঁরা নিজেদের ভোট (Panchayat Election 2023) নিজেরা দিতে চাইছেন। পুলিশ সূত্রে বলা হচ্ছে, কে বা কারা প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। তা চালু ছিল কিনা বা তার থেকে কোনও ফুটেজ পাওয়া যায় কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। বনগাঁর এই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারেও রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।

    মুর্শিদাবাদেও ব্যালট পেপার চুরি (Panchayat Election 2023) 

    সুতির অরঙ্গাবাদ দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪০ নম্বর বুথে ব্যালট পেপার চুরি। পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা পৌঁছায় ঘটনার খবর পেয়ে। ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার জানান, মাঝরাতে লোডশেডিং-এর পর কিছু লোক এসে গ্রাম সংসদ ও পঞ্চায়েত সমিতি দুই স্তরের ব্যালট পেপার (Panchayat Election 2023) চুরি করে নিয়ে যায়। সকাল থেকে ভোট বন্ধ হয়ে যায় বুথে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া ভোট চালু হবে না জানিয়ে দিয়েছেন অফিসার। সামশেরগঞ্জের ২৩৪ নং বুথ থেকে ভোট চলাকালীন ১০০ টি ব্যালট পেপার চুরি। ব্যালট পেপার চুরি হতেই বিক্ষোভ বিরোধী প্রার্থীদের।  উত্তেজনা বুথের ভিতরে। ঘটনাস্থলে আসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়াররা। তালা মেরে দেওয়া হয় মেন গেটে।  সব মিলিয়ে উত্তেজনা রয়েছে সামশেরগঞ্জের বিভিন্ন বুথে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • TMC: করিমের খাসতালুকেই গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী, পুড়ল ব্যালট পেপার, ভোট লুট

    TMC: করিমের খাসতালুকেই গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী, পুড়ল ব্যালট পেপার, ভোট লুট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিনও উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর। আর লড়াই হল তৃণমূলের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের। যারা সকলেই তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ। এই বিধানসভা এলাকায় নির্দল প্রার্থীদের হয়ে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা মূলত ভোট করাচ্ছেন। আর শনিবার সকালে সেই নির্দলের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। তাতে একজন তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এদিন সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের আগডিমটিখুন্তি অঞ্চলের ঝাড়বাড়ি এলাকার ২৮ নম্বর বুথে। পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর নাম মোজাফ্ফর হোসেন। পাশাপাশি একাধিক বুথে ব্যালট লুট করা হয় বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গিয়ে এক প্রিসাইডিং অফিসারকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এই ঘটনার জেরে বুথে ভোট গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। এই বিধানসভা এলাকায় ব্যালট পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    তৃণমূল (TMC) বিধায়ক করিম চৌধুরী আগেই বলেছিলেন দলীয় কর্মীরা টিকিট না পেলে নির্দলে দাঁড়াবেন। তিনি সেই কথা রেখেছেন। তাঁর অনুগামীরা এখন ইসলামপুরে নির্দল হিসেবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। এদিন সকালে ইসলামপুরের আগডিমটিখুন্তি অঞ্চলের ঝাড়বাড়ি এলাকার ২৮ নম্বর বুথে গণ্ডগোল বাধে। মূলত বুথে জমায়েতকে কেন্দ্র করে নির্দল এবং তৃণমূল কর্মীদের ঝামেলা বাধে।  পরে, দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। বুথের কাছে চলে গুলি। আর তাতে এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে, ইসলামপুরের জগতাগাও হাইস্কুল ১০৮ নম্বর বুথেও এদিন গণ্ডগোল হয়। ব্যালট পেপার সহ অন্যান্য সামগ্রী পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বন্ধ হয়ে যায় ভোট প্রক্রিয়া। ভোট লুটের পাশাপাশি  ব্যালট বাক্সে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ভেঙে ফেলা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও। স্কুলে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি রাস্তায় ব্যালট পেপার ছেঁড়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অভিযোগ তৃণমূল ও নির্দল সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর ১ ব্লকের চোপরাবাখারি এলাকার ১৪৫ নং বুথে ব্যালট লুটে বাধা দেওয়ায় মারধর করা হয় প্রিসাইডিং অফিসার সহ অন্যান্য ভোট কর্মীদের। জখম অবস্থায় তাঁদের  উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় ভোট প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। ইসলামপুরের আগডিমটিখুন্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৮ নং বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ। সকাল ৮ টার মধ্যেই ব্যলট বক্স সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।  অভিযোগ শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুথে কোন কেন্দ্রীয় বাহিনী কিংবা রাজ্য পুলিশের দেখা মেলেনি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    বিরোধীরা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুললেও, শাসক দল তা মানতে নারাজ।  ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) ব্লক সভাপতি জাকির হুসেইন বলেন, “নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই হচ্ছে। কোথাও কোনও অশান্তির খবর নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: অভিষেকের ডায়মন্ড হারবারে পুলিশ, ভোটকর্মীদের আটকে দেদার ‘ছাপ্পা’ তৃণমূলের!

    Panchayat Elections 2023: অভিষেকের ডায়মন্ড হারবারে পুলিশ, ভোটকর্মীদের আটকে দেদার ‘ছাপ্পা’ তৃণমূলের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার রাজ্যে এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। আর তখন থেকেই, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়ে গিয়েছে বেপরোয়া রাজনৈতিক হিংসা। একদিকে যেমন ঝরছে রক্ত, তেমন অন্যদিকে, শাসকদলের বেলাগাম ভোট-সন্ত্রাস ও লুটের ছবি উঠে আসছে। যেমনটা হয়েছে ডায়মন্ড হারবার থেকে। 

    অভিষেকের কেন্দ্রে সন্ত্রাসের অভিযোগ

    রাজ্য রাজনীতিতে ডায়মন্ড হারবার গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এটি তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরে ডায়মন্ড হারাবারে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। এবার সেই ছবি সামনে আসায় ফের বিরোধীদের দাবি জোরালো হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) শাসক দলের বিরুদ্ধে দেদার ছাপ্পার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। অভিযোগ, ভোটকর্মীদের আটকে রেখে ও ভয় দেখিয়ে ছাপ্পা মারার খবর পাওয়া গেছে। ভোটকর্মীদের মারধরও করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: কোচবিহারে পুড়ল ব্যালট, লুট উত্তর দিনাজপুরে! শাসক-সন্ত্রাস নিয়ে সরব সুকান্ত

    ঠিক কী বলছেন স্থানীয়রা?

    স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোট দিতে এসে তাঁরা দেখেন, তাদের ভোট পড়ে গিয়েছে। রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা মারার অভিযোগ উঠেছে। সেখানেও ইতি উতি ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে বেলাগাম ছাপ্পা মেরে ব্যালট বাক্স ভরিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। সকালে ভোটকেন্দ্রে এসে ব্যালট বাক্স খুলে সব ব্যালট ফেলে দেয় উত্তেজিত জনতা।

    ভাইরাল হয়েছে একাধিক ভিডিও 

    এই মর্মে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যদিও সেই ভিডিওগুলির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘তৃণমূলের ছেলেরা রাতেই ছাপ্পা মেরেছে। সরকারি কর্মী, অফিসার ও পুলিশকে মারধর করা হয়েছে। আমরা সকালে এসে সেই ব্যালট বক্স (Panchayat Election 2023) বাইরে ফেলে দিয়েছি।’’ এক পুলিশকর্মীকে কাতরভাবে বলতে শোনা যায়, ‘‘রাতে এখানে অনেক লোকজন ঢুকে পড়েছিল। বোমা-বন্দুক দেখিয়ে আমাদের খুন করার হুমকি দেওয়া হয়। আমাদের মারধর করা হয়। আমরা কোনও প্রতিরোধ করতেই পারিনি। প্রাণের ভয় রয়েছে।’’

    ভাইরাল হওয়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দাউদাউ করে করে জ্বলছে ব্যালট পেপার। রাতে ছাপ্পা মারার অভিযোগে সেই ব্যালট পেপারগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিরোধীরা। সেখানে অনেকগুলির ব্যালটে তৃণমূলের প্রতীকের উপর ভোটের ছাপ দেখা গিয়েছে। এই ভিডিয়ো সামনে আসার পর থেকেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: কোচবিহারে বুথে বোমাবাজি, বিজেপির পোলিং এজেন্ট খুন, মালদায় খুন তৃণমূল কর্মী

    BJP: কোচবিহারে বুথে বোমাবাজি, বিজেপির পোলিং এজেন্ট খুন, মালদায় খুন তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিনই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল কোচবিহার। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমার আঘাতে মৃত্যু হল বিজেপির (BJP) এক পোলিং এজেন্টের। শনিবার সাত সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার ফলিমারি ৪/৩৮ নম্বর বুথে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মাধব বিশ্বাস। তৃণমূলের হামলায় প্রিসাইডিং অফিসার জখম হন।  বুথে থাকা এক পুলিশ কর্মীও গুরুতর জখম হন। সকাল থেকে গণ্ডগোলের জেরে এই বুথে ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে, ভোট শুরু হওয়ার আগেই এদিন সকালে মালদার মানিকচকে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বোমার আঘাতে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। জখম হন আরও একজন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ মালেক (৪০)। তিনি ওই এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    শনিবার ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই কোচবিহারের ফলিমারি বুথে বিজেপির (BJP) পোলিং এজেন্ট মাধব বিশ্বাস যান। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। পুলিশ কর্মী মোতায়েন ছিল। আচমকাই তৃণমূল আশ্রিত দৃষ্কৃতীরা বুথে হামলা চালায়। বুথের মধ্যেই চলে বোমাবাজি। বিজেপির পোলিং এজেন্ট বাধা দিতে গেলে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। তৃণমূলের হামলায় প্রিসাইডিং অফিসার সুমন রায় জখম হন। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    বিজেপি কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, কোনও বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে ভোট হচ্ছে। তৃণমূলের হামলায় আমাদের কর্মীর প্রাণ গেল। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। অন্যদিকে, এদিন সকালে মালদার মানিকচকে ভোট শুরুর আগেই ব্যাপক সংঘর্ষ ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। অভিযোগ কংগ্রেসের ছোড়া বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী শেখ মালেকের। ঘটনার পর পই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নির্দল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, প্রতিবাদে রণক্ষেত্র কদম্বগাছি, খড়গ্রামে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর

    TMC: নির্দল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, প্রতিবাদে রণক্ষেত্র কদম্বগাছি, খড়গ্রামে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের দিন শনিবার সাত সকালেই হিংসার বলি এক নির্দল প্রার্থীর সমর্থক। ঘটনাটি বারাসত-১ নম্বর ব্লকের কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের পীরগাছা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আব্দুল্লাহ (৪১)। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বসিন্দারা। কদম্বগাছি রোড অবরোধ করে মৃতের পরিবারের লোকজন বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ক্ষোভ জানাতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাতে কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হন। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে তৃণমূল (TMC) কর্মী খুন হন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সদরউদ্দিন সেখ।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক ব্যক্তি তৃণমূল (TMC) প্রার্থী হিসেবে টিকিট পাওয়ার পর এলাকায় বিক্ষোভ তৈরি হয়। কারণ, এলাকার বড় অংশের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল ছিল না। তৃণমূল প্রার্থী কোটি টাকার মালিক। টাকার বিনিময়ে তিনি টিকিট পেয়েছেন। তিনি টিকিট পাওয়ার পরই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা ৪১ ও ৪২ নম্বর বুথে নিজেদের মতো করে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করান। তাঁদের সমর্থনেই আব্দুল্লাহ ভোট প্রচার করছিলেন। অভিযোগ, লাগাতার তাঁর উপর হুমকি আসছিল। শুক্রবার রাতে আবদুল্লাহ সহ বেশ কয়েকজন নির্দল প্রার্থী সমর্থিত কর্মী সমর্থক দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন। সেখানেই তাঁদের ওপর তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা চড়াও হয়। দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করার পাশাপাশি আবদুল্লাহ সহ বেশ কয়েকজন বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। গভীর রাতেই তাঁকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এদিন সকালেই তাঁর মৃত্যু হয়।  অন্যদিকে, শুক্রবারই মুর্শিদাবাদ জেলা সফরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তিনি খড়গ্রামেও যান। রাজ্যপাল ঘুরে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই এক তৃণমূল কর্মী খুন হন। এদিন সকালে জমি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: রাজ্যপালের কনভয় দাঁড় করালেন বিরোধীরা! অভিযোগ শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে না

    Panchayat Vote: রাজ্যপালের কনভয় দাঁড় করালেন বিরোধীরা! অভিযোগ শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর-১ ব্লকের কাউগাছি-২ পঞ্চায়েতের (Panchayat Vote) বিজেপি এবং সিপিএম প্রার্থীরা রাজ্যপালের গাড়ি থামিয়ে তাঁকে অভিযোগ জানাচ্ছেন। শনিবার সকালেই কল্যাণী হাই রোড দিয়ে রাজ্যপাল যাচ্ছিলেন। জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসুদেবপুর মোড়ে তাঁর গাড়ি দাঁড় করান বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে না। তৃণমূল অশান্তি শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: নির্দল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, প্রতিবাদে রণক্ষেত্র কদম্বগাছি, খড়গ্রামে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর

    সকাল থেকেই পথে রাজ্যপাল 

    রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল ছটার সময়ই রাজভবন ছাড়েন রাজ্যপাল। সূচি অনুযায়ী সকালেই পৌঁছান উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুর, বাসুদেবপুর। সেখানেই তাঁর গাড়ি দাঁড় করান বিরোধীরা। সূত্রের খবর, বারাকপুর, বাসুদেবপুর হয়ে নদিয়া যাবেন রাজ্যপাল। সেখানেই সারবেন মধ্যাহ্নভোজ। রাজভবনে ফিরে তিনি বসিরহাটে রওনা হবেন। এছাড়া ভোটপ্রক্রিয়া (Panchayat Vote) চলাকালীন কোথাও কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটলে বা হিংসা ছড়ালে সেখানেও যেতে পারেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, এমনটাই খবর রয়েছে।

    মনোনয়ন শুরু থেকেই হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল

    মনোনয়ন পর্বে (Panchayat Vote) সন্ত্রাসের জেরে শিরোনামে এসেছিল ক্যানিং-ভাঙড় থেকে কোচবিহার-মুর্শিদাবাদ। সর্বত্রই পৌঁছাতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে। এমনকী ভোটে সন্ত্রাস হলে বিরোধীরা যাতে সুবিচার পেতে পারেন, সেই কারণে রাজভবনে কন্ট্রোল রুমও খোলেন রাজ্যপাল। যার পোশাকি নাম হয় পিস রুম। শুক্রবারই খড়গ্রামে নিহত কংগ্রেস কর্মীর ফুলচাঁদ শেখের পরিবারের বাড়িতে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখান থেকে ফেরার পথেই সংবাদমাধ্যমকে তিনি নিজের পরিকল্পনা জানিয়েছিলেন। ভোটের দিনও যে রাজ্য পরিদর্শন করবেন তা নিশ্চিতভাবে বোঝা যায় তখনই। তিনি বলেন, ‘‘কালও আমি রাস্তায় থাকব। মানুষের স্বার্থেই, সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার স্বার্থে আমি থাকব। এই পিস রুম আগের রাজভবনের পিস রুমের মতো নয়। মানুষের জন্য আমি রাস্তায় থাকব।’’

    আরও পড়ুন: শুক্রবার রাতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ কেশপুরে! আহত উভয়পক্ষের ৮

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: শুক্রবার রাতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ কেশপুরে! আহত উভয়পক্ষের ৮

    Panchayat Vote: শুক্রবার রাতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ কেশপুরে! আহত উভয়পক্ষের ৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের (Panchayat Vote) আগের রাতেই ফের উত্তপ্ত কেশপুর। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়। শুক্রবার রাতে তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থীকে এই ঘটনার কারণে পুলিশকে ফোনে হুমকিও দিতে শোনা যায়। আজ শনিবার রয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। ঠিক তার আগের রাতে এমন ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় মানুষজন। তাঁদের আশঙ্কা, ভোটের দিনও অশান্তি ছড়াতে পারে।

    আরও পড়ুন: ভোটের আগেই মুর্শিদাবাদে দু’জন তৃণমূল কর্মী খুন, কোচবিহারে গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস কর্মী

    ঠিক কী ঘটনা?

    জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের ১৫ নম্বর অঞ্চলের বাগরুই এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্য়ায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে আহত হন বেশ কয়েকজন। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় বাগরুই এলাকায় তৃণমূলের লোকজন গিয়ে হামলা চালায় তাদের কর্মী-সমর্থকদের উপর। এতেই ঝামেলার সূত্রপাত। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মারে আহত হয়েছেন চারজন বিজেপি কর্মী-সমর্থক।

    কী বলছে বিজেপি?

    স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, হেরে যাওয়ার আশঙ্কাতে সন্ত্রাস করছে তৃণমূল। তাদের ফ্ল্যাগ-ফেস্টুন সব কিছু ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত (Panchayat Vote) প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে তৃণমূল মারধর করছে বলেও অভিযোগ বিজেপির। তৃণমূলের এই সন্ত্রাস প্রতিরোধ করতে গেলেই সংঘর্ষ বেধে যায় বলে জানিয়েছে বিজেপি।

    কী বলছে তৃণমূল? 

    পাশাপাশি তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাদেরও চারজন কর্মী-সমর্থক আহত। কেশপুর ব্লকের তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রার্থী মহম্মদ রফিক এদিন মেদিনীপুর হাসপাতালে এসে এই ঘটনার জন্য পুলিশকে ফোনে শাসানিও দেন। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, যে এলাকায় গোলমাল হয়েছে, সেখানে তৃণমূলের লোকজনকে মারধর করা হয়েছে। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মারে আহত হয়েছেন তৃণমূলের চারজন কর্মী-সমর্থক। ঘটনার পর অবশ্য কেশপুর বা মেদিনীপুর হাসপাতালে সন্ধ্যা অবধি কেউ ভর্তি হননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share