Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sukanta Majumdar: ‘‘তৃণমূলের এত সন্ত্রাসের পরও রাজ্যে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক বেড়েছে’’, বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘তৃণমূলের এত সন্ত্রাসের পরও রাজ্যে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক বেড়েছে’’, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত পঞ্চায়েতের তুলনায় অনেক বেশি আসন বেড়েছে বিজেপির। শতাংশের বিচারে ভোটের হারও অনেক বেড়েছে। বুধবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বালুরঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, তৃণমূল এত সন্ত্রাস করেও কিছু করতে পারেনি। বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক বিপুল বেড়েছে। এই ফল আগামী নির্বাচনে দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াবে বলে মনে করছে বিজেপির নেতৃত্ব।

    রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, মঙ্গলবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা শুরু হয়েছিল। আমাদের কাছে তথ্য এসেছে যে এখনও গণনা চলছে। ভোট লুটে কিভাবে এই বাংলা এগিয়ে আছে, তা গোটা বাংলার মানুষ দেখল। বিডিওদের আমরা তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্টের মতো কাজ করতে দেখলাম। প্রশাসন ভোট লুট করার পরেও বিজেপি এখনও পর্যন্ত ৯৫১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে জিতেছে। গণনা চলছে এখনও। ২০১৮ সালে রাজ্যে বিজেপির জেতা আসন ছিল ৫৭৭৯। এবার সেই আসন সংখ্যা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ২০২৩ সালে বিজেপি ২৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে। ২০০৮ সালে তৃণমূল পঞ্চায়েতে ২৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এত কিছু করার পরও বিজেপি যখন এত পরিমাণে ভোট পেয়েছে, তখন বোঝা যাচ্ছে, বাংলার মানুষ এই সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে।

    বিজেপির পাঁচজন অনুসন্ধানকারী দল প্রসঙ্গে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, প্রাক্তন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বে আরও চার জন পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ, বাড়িঘর ভাঙচুর ও সাধারণ মানুষের উপর যেভাবে আক্রমণ হয়েছে, তা সব খতিয়ে দেখবেন। তার সার্বিক রিপোর্ট সর্বভারতীয় সভাপতির হাতে জমা দেবেন।

    ভাঙড়ে পুলিশ-আইএসএফ সংঘর্ষ নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    ভাঙড় নিয়ে সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) বলেন, মঙ্গলবার রাতে ভাঙড়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে রাজ্য সরকারই পুলিশকে দিয়ে সাধারণ নাগরিকের জীবন নিয়েছে। রাজ্য সরকারের কাছে বাংলার সাধারণ মানুষের এক পয়সা দাম নেই। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ও বাংলার মানুষের গর্জে ওঠা উচিত। গণতন্ত্রের সর্ববৃহৎ উৎসবে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে এবার গোটা রাজ্যে প্রায় ৫০ জনের জীবন চলে গেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের প্রথমে ধমক, রাজি না হলে বাড়ি-গাড়ির প্রলোভন!

    Paschim Medinipur: বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের প্রথমে ধমক, রাজি না হলে বাড়ি-গাড়ির প্রলোভন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করার জন্য বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের বাড়িতে গিয়ে ধমক দিচ্ছে তৃণমূলের নেতারা। শুধু তাই নয়, বোর্ড গঠনের জন্য বাড়ি-গাড়ি দেওয়ারও প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনলেন বিজেপির বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Paschim Medinipur)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরের দিন,পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার খড়্গপুর ১ নম্বর ব্লকের গোপালী বাজারে পৌঁছে যান খড়্গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। ১১ জন পঞ্চায়েত প্রার্থী ও একজন পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী জয়ী হওয়ায় স্থানীয় লোকেদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন তিনি। ঠিক তার পরেই বোর্ড গঠনের জন্য তৃণমূল প্রলোভন দিচ্ছে বলে বিস্ফোরক হন বিজেপির এই বিধায়ক।

    কত আসন?

    গোপালী গ্রাম পঞ্চায়েতে (Paschim Medinipur) মোট আসন সংখ্যা ২৪ টি। তৃণমূল কংগ্রেসর ১১ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। বিজেপির জয়ী হয়েছেন ১১ জন প্রার্থী। আর রয়েছেন সিপিএমের ১ জন এবং নির্দলের ১ জন প্রার্থী।

    কেন প্রলোভন?

    নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর গ্রাম পঞ্চায়েত (Paschim Medinipur) এখন ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে। যে দল বোর্ড গঠন করুক না কেন, অন্য দল থেকে নিজেদের দলে ২ জন পঞ্চায়েত প্রার্থীকে যোগ দেওয়ার পরেই গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করতে পারবে। এছাড়াও গোপালীতে বিজেপির ১ জন পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী জয়ী হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ কী?

    খড়গপুর (Paschim Medinipur) সদরের বিজেপির বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এখানকার কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেছিলাম। ফল প্রকাশ হওয়ার পর এখানে এসে আমরা সবাই শপথ নিলাম। চোরেদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমরা জয়ী হয়েছি। তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী গতকাল রাত থেকে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখাচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে, প্রলোভন দেখাচ্ছে গাড়ি-বাড়ি-টাকা দেবে বলে। কিন্তু চোরেদের দলে আমরা যাব না। ওরাও ১১ টায় জয়ী হয়েছে, আমরাও ১১ টায় জয়ী হয়েছি। বোর্ড গঠনের জন্য আমাদের দল ভাঙতে ওরা এই পথ নিয়েছে। তাই আমাদের সচেতন থাকতে হবে। হিরণ আরও অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে! এটাই তো নির্বাচন কমিশনারের চরিত্র। প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইয়ের সঙ্গে উনি মদ্যপান করতে বসে যান। এই নির্বাচন কমিশনার কী করবে! পা চাটবে। এই কমিশনার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভোটে কাজে লাগায়নি‌।

    উল্টো দিকে এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব অজিত মাইতি বলেন, বিজেপির এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। পালে হাওয়া নেই, তাই এমন অভিযোগ তুলছেন বিধায়ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: ভোটের হিংসায় ফের মুর্শিদাবাদ ও মালদায় মৃত্যু হল ৩ জনের!

    Panchayat Poll: ভোটের হিংসায় ফের মুর্শিদাবাদ ও মালদায় মৃত্যু হল ৩ জনের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার জেরে আজ ফের ৩ জনের মৃত্যু হল। ফলে ভোটে (Panchayat Poll) মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৮। আজ যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে মালদার দুজন রয়েছেন। একজন রতুয়ায়, অন্যজন চাঁচলে। এছাড়া সাগরদিঘিতে রয়েছেন একজন কংগ্রেস কর্মী। রক্তস্নাত এই নির্বাচনের মৃত্যু মিছিল যেন থামছে না। অন্যদিকে কংগ্রেসের বিজয় মিছিল থেকে তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে বোমা মারার অভিযোগ উঠল সামশেরগঞ্জে।

    রতুয়া ও চাঁচলে কারা খুন (Panchayat Poll) হলেন?

    ফের রাজনৈতিক (Panchayat Poll) প্রতিহিংসার বলি মালদায়। কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে মালদা জেলার রতুয়া থানার ভাদো গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর এলাকায়। মৃত কংগ্রেস কর্মীর নাম ফটিকুল হক, বয়স ২৪ বছর। অভিযোগের তীর ভাদো গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী রোজিনা বিবি, তাঁর স্বামী তোফাজুল হক সহ তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে ভাদো গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্বাচনে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী রোজিনা বিবি। আর জয়ের পরেই এলাকায় বেরিয়েছিল বিজয় মিছিল। সেই মিছিলেই ফটিকুল হকের বাড়ির সামনে বাজি ফাটাচ্ছিল রোজিনা বিবির স্বামী ও তাঁর দলের কর্মীরা। আর তারই প্রতিবাদ করেছিলেন ফটিকুল হক। সেই সময় তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পাশাপাশি তাঁর মাথায় বাঁশের আঘাত করা হয়। তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে রাতেই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে ফটিকুল ও তাঁর মামা হবিবুরকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন বুধবার সকালে মৃত্যু হয় ফটিকুল হকের। অন্যদিকে, চাঁচল-২ ব্লকের পরাণপুর গ্রামে তৃণমূলের বিজয় মিছিল ছিল। মিছিলে মুফিজউদ্দিন নামে এক তৃণমূল কর্মী ছিলেন। গ্রামেই জালালউদ্দিনের পারিবারিক বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদ থামাতে যান মুফিজউদ্দিন। সেখানেই তাঁকে ইটের আঘাত করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়।

    সাগরদিঘিতে কে মারা (Panchayat Poll) গেলেন?

    মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে মৃত (Panchayat Poll) কংগ্রেস কর্মীর নাম রাজেশ শেখ। তিনি ১২০ নং বুথের কংগ্রেসের বুথ সভাপতি ছিলেন। মৃতের পরিবার ও কংগ্রেসের অভিযোগ, নির্বাচনের দিন সাগরদিঘির কিসমতগাদি এলাকার ১২০ নং বুথে জোর করে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। কংগ্রেসের এজেন্টকে মেরে তাড়িয়ে দিয়েছিল। এছাড়াও কংগ্রেসের ভোটারদের ভোট দিতে দিচ্ছিল না। এর ফলে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এমনকী বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীও ছিল না। পুলিসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে মৃতের পরিবার। রাজেশকে রড, বাঁশ, লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। ঘটনার দিন আহত হলেও আজ দুপুরের পরে তিনি মারা যান বলে জানা যায়। 

    কংগ্রেসের বিজয় মিছিল থেকে বোমাবাজি

    জয়ী হয়ে বিজয় উল্লাসে বাজি ফাটাকে কেন্দ্র করে ফের বোমাবাজি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে। বুধবার তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি (Panchayat Poll) করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বোমাবাজির ঘটনায় হাতে বোমা লেগে জখম এক তৃণমূল কর্মী। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার তিনপাকুরিয়া পঞ্চায়েতের পূর্ব দেবীদাসপুর এলাকায়। আক্রান্ত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম অসিকুল আলম (২৫)। বর্তমানে তিনি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে  তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ করে বোমা চালানোর অভিযোগ উঠলেও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। বোমাবাজির পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোটে হারতেই শান্তিপুরে জয়ী বিজেপি প্রার্থীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: ভোটে হারতেই শান্তিপুরে জয়ী বিজেপি প্রার্থীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটে জেতার কারণে বিজেপি প্রার্থীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন একাধিক বিজেপি কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার বেলঘড়িয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গবাচ্চর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনা চলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। যাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা না ছাড়ায় সেই কারণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের দিন থেকেই এলাকায় অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভোটের দিনও ওই এলাকার বিজেপি প্রার্থী গৌরাঙ্গ বিশ্বাসকে মারধরের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার ভোটের ফলাফলে গ্রাম পঞ্চায়েতে ওই এলাকায় গৌরাঙ্গ বিশ্বাস জিতে যান। অন্যদিকে ওই এলাকারই বিজেপির প়ঞ্চায়েত সমিতি প্রার্থী কামনা বিশ্বাস জয় লাভ করেন। ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পর থেকেই এলাকায় তাণ্ডব শুরু করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বুধবার সকালে হঠাৎ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী এলাকায় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। সেখানেই  বিজেপি প্রার্থী এবং বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে। এরপরেই আচমকা গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের মাথায় বাঁশ দিয়ে বাড়ি মারে তৃণমূল কর্মীরা। পাশাপাশি ওই এলাকার বিজেপির জয়ী পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর স্বামী সমীর বিশ্বাসকেও মারধর করা হয়। বিজেপির অন্যান্য কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বর্তমানে চিকিৎসাধীন বিজেপি প্রার্থী সহ আরও বেশ কয়েকজন।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীর পরিবারের লোকজন?

    এ বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের মেয়ে পিপাসা বিশ্বাস বলেন, ভোটের পর থেকে তৃণমূল এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিল। ভোটের দিনও ছাপ্পা ভোট মেরেছে এবং বোমাবাজি করেছে এলাকায়। এদিন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী পুতুল বিশ্বাস হেরে যাওয়ার কারণে আচমকা আমার বাবার উপর ওরা হামলা চালায়। মাথায় আঘাত করে। এর পাশাপাশি অন্য দলীয় নেতা কর্মীদের ওরা মারধর করে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী পুতুল বিশ্বাস। তাঁর বক্তব্য, গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের পরিবার তাদের উপর হামলা করেছে। তৃণমূল কোনও হামলা চালায়নি। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: জয়ী বিজেপিকে হারিয়ে তৃণমূলকে জিতিয়েছে বিডিও, অভিযোগে সরব দেবশ্রী

    Uttar Dinajpur: জয়ী বিজেপিকে হারিয়ে তৃণমূলকে জিতিয়েছে বিডিও, অভিযোগে সরব দেবশ্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) গণনা কেন্দ্রে কারচুপি করে বিজেপির জেতা প্রার্থীদের হারিয়ে তৃণমূল প্রার্থীদের জেতানো হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে গণনা কেন্দ্রে অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে রায়গঞ্জ পলিটেকনিক কলেজের গণনা কেন্দ্রে বিডিও-র অস্থায়ী কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি নেতৃত্ব। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরি এবং জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার।

    গণনা কেন্দ্রে কী হয়েছে (Uttar Dinajpur)?

    বুধবার রায়গঞ্জের (Uttar Dinajpur) সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, জেলা বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকার, বিজেপি প্রার্থীরা বিডিও-র অস্থায়ী কার্যালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। ছুড়ে ফেলা হয় টেবিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই বিক্ষোভের ঘটনায় রায়গঞ্জের বিডিও শুভজিৎ মণ্ডল আহত হন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। আপাতত তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    রায়গঞ্জের (Uttar Dinajpur) সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, জেলার প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে সারা রাত ধরে তৃণমূল কারচুপি করেছে এবং তাতে মদত দিয়েছে প্রশাসনিক কর্তারা। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের গণনা কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কার্যত বসিয়ে রাখা হয়েছিল। বিজেপির জেতা প্রার্থীদের কমিশন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা করে বসিয়ে রেখেছে। সার্টিফিকেট দেয়নি! বিডিও নিজের মতো ইচ্ছে করে পুনরায় গণনা করে তৃণমূলের প্রার্থীদের জয়ী করেছে। বিজেপিকে কারচুপি করে হারানো হয়েছে বলে দাবি করেন রায়গঞ্জের সাংসদ। এতে মদত দিয়েছে জেলার প্রশাসনিক কর্তারাই বলে অভিযোগ দেবশ্রী দেবীর। পাশাপাশি গণনা কেন্দ্রে এই কারচুপির বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই বিজেপি নেত্রী।

    বিডিও-র বক্তব্য

    অপরদিকে, রায়গঞ্জের বিডিও শুভজিৎ মণ্ডল বলেন, গণনা প্রক্রিয়ার কাজ চলাকালীন কিছু বোঝার আগেই তাঁর ওপরে চড়াও হয়। চেয়ার টেবিল ছুড়ে মারা হয় বলে জানান তিনি। এই নিয়ে গণনা কেন্দ্রে তীব্র উত্তেজনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: জয়ী প্রার্থীদের দেওয়া হচ্ছে না সার্টিফিকেট, মালদায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির

    BJP: জয়ী প্রার্থীদের দেওয়া হচ্ছে না সার্টিফিকেট, মালদায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়ী প্রার্থীদের সার্টিফিকেট না দেওয়ার অভিযোগ তুলে রাজ্য সড়ক অবরোধ ও ভোট গণনা কেন্দ্রের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করল বিজেপি (BJP)। আর সেই বিক্ষোভ অবস্থানে সামিল হলেন উত্তর মালদার এমপি খগেন মুর্মু, বিধায়ক সহ বিজেপি কর্মীরা। তৃণমূলের দালাল চোর বিডিও স্লোগান তুলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    জেলা পরিষদের ৩ নং আসনে দিপালী বলা এবং ৪ নং আসনে সোনালী টুডু এবং ৫ নং আসনে তারাশঙ্কর রায় নামে বিজেপি প্রার্থীরা তৃণমূলকে হারিয়ে জয়লাভ করেছেন। অথচ তাঁদের কাউকে জয়ীর সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। বিষয়টি জানাজানি হতেই বিজেপির (BJP) কর্মী-সমর্থকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। হবিবপুর ব্লকের মালদা নালাগোলা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মীরা। অবরোধের জেরে রাজ্য সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে এবং পথ অবরোধ উঠিয়ে দেয়। এবং পরে বুলবুলচণ্ডি জিএসভি হাইস্কুলে ভোট গণনা কেন্দ্রের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিজেপি কর্মীরা। এরপরে মালদা জেলা পরিষদের ৩ নং আসনের দিপালী বলা এবং ৫ নং আসনের তারাশঙ্কর রায়কে জয়ী হওয়ার সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। তবে, মালদা ৪ নং আসনের সোনালী টুডুকে জয়ী হওয়ার সার্টিফিকেট না দেওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ ধরে বিজেপির পক্ষ থেকে অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) সাংসদ?

    উত্তর মালদার বিজেপি (BJP) সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, মালদা জেলা পরিষদের একাধিক আসনে দলীয় প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। অথচ তাঁদের জয়ী হওয়ার সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে না। এটা কাম্য নয়। কারণ, আমরা সার্টিফিকেট না পেয়ে জয়ী হচ্ছে বলতে পারছি না। তৃণমূলের কথা শুনে প্রশাসন যা খুশি তাই করছে। এসব মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: পঞ্চায়েতের ফলাফল ঘোষণা হতেই হিংসা আরামবাগে, অনেক বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া

    Hooghly: পঞ্চায়েতের ফলাফল ঘোষণা হতেই হিংসা আরামবাগে, অনেক বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরই তৃণমূলের সন্ত্রাস আরামবাগের (Hooghly) মলয়পুরের পূর্বপাড়া এলাকায়। মারধর, গাড়ি ভাঙচুর ও গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শাসক দলের দৌরাত্ম্যে ঘরছাড়া বহু বিজেপি কর্মী। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুরো ঘটনায় এলাকায় (Hooghly) দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আরামবাগ থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনার জেরে এখনও এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। এলাকায় চলছে পুলিশি টহল। এলাকার লোকজন বলছেন, সিপিএমের আমলে যে ঘটনা ঘটত, তৃণমূলের জমানায় তার কোনও পরিবর্তন হল না!

    আরামবাগের (Hooghly) ফলাফল কেমন?

    আরামবাগের (Hooghly) মলয়পুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১৭টি। এর মধ্যে বিজেপির দখলে ৮টি আসন এবং বাকি ৯টি দখল করেছে তৃণমূল। তবে মলয়পুরের পূর্বপাড়া বুথে এবারে জয়ী হয়েছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, ফলাফল ঘোষণার পর অনেক বিজেপি কর্মীকে ঘরছাড়া করেছে তৃণমূল। শাসক দলের সন্ত্রাসে ভীত এলাকাবাসী।

    বিজেপির বক্তব্য

    আরামবাগের (Hooghly) বিজেপির বিধায়ক মধুসূদন বাগ বলেন, তৃণমূলের লোকজন বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এলাকায় অশান্তি করতে এসেছিল। আর তাই গ্রামের মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে! ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে হিংসার কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপির বিধায়ক বলেন, তৃণমূলের সন্ত্রাসে আমাদের অনেক বিজেপি কর্মীরা ঘরছাড়া হয়ে আছেন। শাসক দল যেখানে যেখানে জয়ী হয়েছে, সেখানে সেখানে তীব্র সন্ত্রাস চলছে। 

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপিই হামলা চালিয়েছে। দুষ্কৃতীদের প্রত্যেকের হাতে ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা, বন্দুক ছিল। এমনকী জেলার সহ সভাপতির গাড়ির উপর হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় তাঁর গাড়ি। অন্যান্য তৃণমূল কর্মীদের পিছনে ছুটে ধাওয়া করে দুষ্কৃতীরা। কোনও রকমে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয় সকলে। তৃণমূল প্রার্থী (Hooghly) শ্যামসুন্দর কোয়ালের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে। বেধড়ক মারধর করা হয় তৃণমূল প্রার্থীর বাবা নিমাই কোয়ালকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর বউমাকে হারিয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে বাজিমাত বিজেপির

    Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর বউমাকে হারিয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মামার বাড়ি কুসুম্বা গ্রামে পঞ্চায়েতে ধরাশায়ী হয়েছিল তৃণমূল। এবার পঞ্চায়েত সমিতির আসনও তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিল বিজেপি। আর তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রীর মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী পম্পা মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিজেপি প্রার্থী সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় জয়ী হন। অথচ এই পঞ্চায়েত সমিতিতে বরাবরই তৃণমূলের দাপট ছিল।

    ভোটে হেরে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী?

    রামপুরহাট-১ ব্লকের কুসুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুসুম্বা গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামার বাড়ি। এই পঞ্চায়েতে মোট ২১টি আসন রয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অধিকাংশ আসনেই তৃণমূল জয়ী হয়েছিল। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি কুসুম্বা গ্রামে তিনটি আসন রয়েছে। গতবার সবকটি তৃণমূলের দখলে ছিল। এবার এই গ্রামের তিনটি বুথের মধ্যে দুটি আসনেই বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়। মঙ্গলবার রাতে গণনার পর বিজেপি প্রার্থী জয়ী হন। জানা গিয়েছে, ৬ ভোটে জয়ের খবর পেয়ে আনন্দে মেতেছিলেন পম্পাদেবী। কিছুক্ষণ পর খবর পান, তিনি ৩৬ ভোট পরাজিত হয়েছেন। এরপর ফের তিনি রামপুরহাট কলেজের গণনা কেন্দ্রে পৌঁছন। এনিয়ে গণনা কেন্দ্রে চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিজেপির কাছে ৩৬ ভোট পরাজিত হন মুখ্যমন্ত্রীর মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী পম্পা মুখোপাধায়। ওই আসনে বিজেপির সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় জয়লাভ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় পম্পা মুখোপাধ্যায় বলেন, আমি জিতেছিলাম। তারপর শুনছি, আমি হেরে গিয়েছি। আমি ফের গণনার দাবি জানাচ্ছি। এই ঘটনা নন্দীগ্রামের মতো হয়ে গেল।

    কী বললেন জয়ী বিজেপি প্রার্থী?

    কুসুম্বা গ্রামে ৩১ নম্বর এবং ৩২ নম্বর আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ৩১ নম্বর আসনে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামা ভোটার। সেই বুথেও বিজেপি জয়ী হয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় পরাজিত হলেন। বিজেপির জয়ী প্রার্থী সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় বলেন, ভোটের সম্পূর্ণ ফল না জেনেই তৃণমূল জিতে গিয়েছে বলে নাচতে নাচতে ওরা বাড়ি চলে যায়। কিন্তু, বাস্তবে গণনার পর দেখা যায়, আমরা ৩৬ ভোটে পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হয়েছি। গত ১৫ বছর ধরে মানুষ ওদের দেখেছে। মানুষ আর ওদের মেনে নিতে পারছে না। তৃণমূলকে হারানোর জন্য মানুষ তৈরি ছিল। মানুষের ভালোবাসায় আমি জয়লাভ করেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: মেয়ে নির্দল প্রার্থী! গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে গিয়ে পুলিশের লাঠি খেলেন তৃণমূল বিধায়ক

    Uttar Dinajpur: মেয়ে নির্দল প্রার্থী! গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে গিয়ে পুলিশের লাঠি খেলেন তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) নিজের মেয়ে নির্দল প্রার্থী। তার হয়ে গণনা কেন্দ্রে ঢোকার সময় পুলিশি বাধার মুখে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান। পুলিশি লাঠিচার্জের অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর আহত চোপড়ার এই তৃণমূল বিধায়ক। অবৈধ জমায়েত ও জোর পূর্বক গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টার কারণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর মহকুমার ইসলামপুর হাই স্কুল প্রাঙ্গণে।

    কেন ঢুকতে চেয়েছিলেন বিধায়ক (Uttar Dinajpur)?

    উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলা পরিষদের চার নম্বর আসনে ইসলামপুরের বিদ্রোহী বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে আর্জুনা বেগম। মঙ্গলবার গভীর রাতে ইসলামপুর হাই স্কুলে গণনা কেন্দ্রে জমায়েত করেছিলেন বিধায়ক হামিদুল রহমান সহ তাঁর অনুগামীরা। জানা গেছে, গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় বিপুল পরিমাণ লোকজন থাকায় পুলিশ প্রবেশে বাধা দেন। সেই সময় পুলিশের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়ে হামিদুল রহমান সহ তাঁর অনুগামীরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

    পুলিশের বক্তব্য

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জোরপূর্বক গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ প্রথমে বাধা দেয় এবং পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের মারে আহত হন খোদ বিধায়ক সহ তাঁর বেশ কয়েকজন অনুগামীরা। তাঁদের তড়িঘড়ি ইসলামপুর (Uttar Dinajpur) মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বিধায়ক সহ ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে।

    বিধায়কের বক্তব্য

    যদিও বিধায়ক হামিদুল রহমানের (Uttar Dinajpur) অভিযোগ, “ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিনা প্ররোচনায় তার অনুগামীদের ওপরে চড়াও হয় পুলিশ এবং লাঠিচার্জ করে।” তবে গোটা ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকেই দায়ী করছে রাজনৈতিক মহল। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।

    প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ

    গণনার দিন মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটলে পরের দিন বুধবার সকালে বিধায়ক হামিদুল রহমান সহ তাঁর অনুগামীদের ওপরে পুলিশি লাঠিচার্জের প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের একাংশ। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে চোপড়ার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। বিধায়ক সহ তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের শিলিগুড়িতে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধের ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চোপড়া থানার পুলিশ। পুলিশি আশ্বাসে প্রায় দুই ঘন্টা পরে অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Howrah Mangla Haat: মেট্রোর জন্য মঙ্গলা হাটের দিন পরিবর্তনের প্রস্তাব, শুরু জোর বিতর্ক

    Howrah Mangla Haat: মেট্রোর জন্য মঙ্গলা হাটের দিন পরিবর্তনের প্রস্তাব, শুরু জোর বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ার বৃহত্তম বস্ত্র বাজার হাওড়ার মঙ্গলা হাট (Howrah Mangla Haat)। শুধুমাত্র মঙ্গলবার এই হাট বসার কথা হলেও বাস্তবে সোম থেকে বুধবার পর্যন্ত তিন দিন ধরে বসে এই হাট। এখান থেকে জামাকাপড় সহ অন্যান্য বস্ত্র বিভিন্ন রাজ্যে সরবরাহ করা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই ভিন রাজ্য থেকে প্রচুর ব্যবসায়ী কাপড় কেনার জন্য একদিন আগেই হাওড়ায় পৌঁছে যান। অনেক ব্যবসায়ী মঙ্গলবারের ভিড় এড়াতে সোমবারই কেনাকাটা সেরে নেন। তারপর বড় বড় লরিতে বোঝাই করে বা ট্রেনে করে সেই বস্ত্র চলে যায় ভিন রাজ্যের বস্ত্র বিপণী কেন্দ্রগুলিতে। ফলে মঙ্গলবার ছাড়াও সোমবার এবং বুধবারেও হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে হাওড়া ময়দান চত্বরে।

    ফুটপাত দখল হয়ে থাকায় যানজটের আশঙ্কা

    কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে যোগাযোগে গতি আনতে কয়েক মাসের মধ্যেই হাওড়া ময়দান থেকে চালু হতে চলেছে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো। আর মঙ্গলা হাটের ভিড় ঠেলে এই মেট্রো যাত্রীরা কীভাবে যাতায়াত করবেন, এখন সেটাই হয়ে গেছে প্রধান চিন্তার বিষয়। কারণ, মঙ্গলা হাটের (Howrah Mangla Haat) ১১ টি প্রধান ভবন ছাড়াও হাওড়া ময়দান চত্বরের সমস্ত রাস্তা, আদালত চত্বর, এমনকী বঙ্কিম সেতুর কিছুটা অংশেও ডালা পেতে ও প্লাস্টিক টাঙিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কাপড় বিক্রি করতে বসে যান। ভোর থেকে বিকাল তিনটে পর্যন্ত হাট চলে। হাওড়া ময়দান থেকে মেট্রো পরিষেবা চালু হলে কলকাতাগামী যাত্রীদের প্রধান গন্তব্য হয়ে উঠবে হাওড়া ময়দান। সেখান থেকে গঙ্গার নিচ দিয়ে মেট্রোয় যাত্রীরা পৌঁছে যাবেন কলকাতার বিভিন্ন এলাকায়। কিন্তু এত ফুটপাতের দোকানদার যেভাবে রাস্তা দখল করে বসে থাকেন, তাতে একদিকে যেমন যানজট তৈরি হয়, অন্যদিকে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই যদি ফুটপাতের এই দোকান থাকে, তাহলে মেট্রো যাত্রীদের ভীষণ সমস্যায় পড়তে হবে। এই সমস্যা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে মঙ্গলা হাটের ব্যবসায়ীদের মঙ্গলবারের বদলে শনি ও রবিবার হাট বসানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।

    ব্যবসায়ীরা (Howrah Mangla Haat) কী বলছেন?

    কিন্তু ব্যবসায়ীদের সিংহভাগই তাতে রাজি নয়। কারণ তাঁদের মতে, মঙ্গলবার যদি হাট না বসে, তাহলে মঙ্গলা হাট নামটারই কোনও সার্থকতা রইল না। অন্যদিকে স্থায়ী দোকানের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, যদি ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের অন্যত্র সরানো যায় অথবা তাঁদের বিকল্প কিছু ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে এই সমস্যা মিটতে পারে। মঙ্গলা হাটকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ধারে তুলে নিয়ে যাওয়ার বেশ কয়েক বার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাও কার্যকর হয়নি। কারণ ভিন রাজ্যের ব্যবসায়ীরা হাওড়া স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে কিংবা দূরপাল্লার গাড়িতে হাওড়া স্টেশনে এসে খুব সহজেই মঙ্গলা হাট (Howrah Mangla Haat) থেকে বস্ত্র কিনে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন। স্বাভাবিক ভাবেই ব্যবসায়ীরাও যেমন চাইছেন না মঙ্গলাহাট অন্য দিন নিয়ে যাওয়া হোক, একইভাবে ক্রেতারাও মঙ্গলা হাটকে মঙ্গলবার রাখারই কথা জানিয়েছেন। ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মতে, পুলিশ যদি ঠিকঠাক যান নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে মেট্রোর আশপাশের রাস্তায় মেট্রো যাত্রীদের যাতায়াতে অসুবিধা অনেকটাই আটকানো যাবে। রতন সমাদ্দার নামে এক ব্যবসায়ী জানান, হাওড়ার বঙ্কিম সেতুর ওপর আগে দু’ধারে মঙ্গলা হাট বসত। কিন্তু সেতুর ক্ষতির কথা মাথায় রেখে পুলিশের উদ্যোগে বঙ্কিম সেতুর ওপর থেকে মঙ্গল হাট তুলে দেওয়া হয়। যদি পুলিশের উদ্যোগে তা সম্ভব হয়, তাহলে বঙ্গবাসী সিনেমার উল্টোদিকে হাওড়া ময়দান সংলগ্ন যেখানে মেট্রো স্টেশন তৈরি হয়েছে, সেখানে মঙ্গলা হাট বসানো অনেকটাই আটকানো যাবে। একই ভাবে হাওড়া স্টেশন থেকে বা হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাওড়া ময়দান যাতায়াতের প্রধান প্রধান রাস্তাগুলিকে ফাঁকা করে ফুটপাতের দোকানদারদের গঙ্গার ধারের রাস্তায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রেও মেট্রো যাত্রীদের অসুবিধা দূর করা সম্ভব। এদিকে ব্যবসায়ীদের একাংশের মত, সোম এবং মঙ্গলবারের বদলে যদি মঙ্গলা হাটকে রবি ও সোমবার করা যায়, তাতেও তাঁরা কিছুটা রাজি। কিন্তু শনি ও রবিবার দুটোই ছুটির দিন হলে ব্যবসায় ক্ষতি হবে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন।

    কী বলছেন বিশিষ্ট পরিবেশ কর্মী?

    হাওড়া হাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এবং বিশিষ্ট পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, মঙ্গলবার এই হাট বসে বলেই মঙ্গলা হাট (Howrah Mangla Haat) নামকরণ হয়েছে। ফলে এই হাট যদি শনি বা রবিবার নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে মঙ্গলা হাটের কোনও তাৎপর্য রইল না। তিনি বলেন, শুধুমাত্র মঙ্গলবার হাট বসার কথা থাকলেও বাস্তবে সোমবার সকাল থেকেই হাট শুরু হয়ে যায়। সোমবার যাতে হাট না বসে, সে ব্যাপারে তিনি প্রায় কুড়ি বছর আগে মামলা করেছিলেন এবং আদালত রায়ও দিয়েছিল। কিন্তু তা মানা হয়নি। তাই তাঁর মতে, যদি শুধুমাত্র মঙ্গলবার একটি নির্দিষ্ট সময়ে হাট বসে, তাহলে সাধারণ মানুষের কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। অন্যদিকে হাওড়ার মঙ্গলা হাট ছাড়াও সরিষা হাট, খিদিরপুরের ফ্যান্সি হাট সহ আরও কয়েকটি হাট সপ্তাহে অন্যান্য দিন বসে। ফলে অন্য দিন যদি মঙ্গলা হাটকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে সেই সব হাটের সঙ্গে একটা সংঘাত হতে পারে। তাতে ব্যবসায়ীদের অসুবিধা হবে। তাই মঙ্গলা হাটকে শুধুমাত্র মঙ্গলবার বসিয়ে যদি হাওড়া শহরের যান নিয়ন্ত্রণ ঠিকমতো করা যায়, তাহলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলে তিনি মনে করেন।

    কী জানালেন পুরসভার প্রশাসন মণ্ডলীর চেয়ারম্যান?

    অন্যদিকে হাওড়া পুরসভার প্রশাসন মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, মেট্রো চালু হলে কীভাবে হাওড়ায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে, এ ব্যাপারে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। একইভাবে মঙ্গলা হাটকে শনি ও রবিবার সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব তিনি দিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সেভাবে মতামত আসেনি। মতামত পেলেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ইতিমধ্যেই হাট (Howrah Mangla Haat) মালিকদের সঙ্গে এক দফা বৈঠক হয়েছে। শনি ও রবিবার হাট সরিয়ে আনার ব্যাপারে মালিকদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এখনও বৈঠক হয়নি। এই সপ্তাহের মধ্যে ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও এ ব্যাপারে বৈঠক হবে। তারপর কী সিদ্ধান্ত হল, তা নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share