Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • TMC: ‘বিরোধীদের ভোট দিলে বন্ধ হবে লক্ষ্মীর ভান্ডার’, হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের, ভিডিও ভাইরাল

    TMC: ‘বিরোধীদের ভোট দিলে বন্ধ হবে লক্ষ্মীর ভান্ডার’, হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের, ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) প্রার্থীকে ভোট না দিলে লক্ষ্ণীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। পূর্ব বর্ধমানের ভাতাড়ে এরকম দেওয়াল লিখন ঘিরে জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এবার সেই একই কথা শোনা গেল উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির তৃণমূল বিধায়কের গৌতম পালের গলায়। তিনি বলেন, একটা ভোটও নির্দলকে আর জোটকে দেবেন না। কারণ সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। সাগর দিঘিতে বায়রন জিতেছিল। লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দান করেন। তাঁর এই বিস্ফোরক মন্তব্যের ভিডিও রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। যাকে ঘিরে শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তৃণমূল (TMC) বিধায়ক ঠিক কী বলেছেন?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি বিধানসভার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক গৌতম পালের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিরোধীদের ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। পাশাপাশি উদাহরণ হিসেবে, সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, সাগরদিঘিতে বিরোধীদের ভোট দেওয়ায় লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে বায়রন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি, নির্দল হিসেবে যারা নির্বাচনে লড়াই করছে। ভোটের পরে তাদের ‘হিসেব’ নেওয়ার কথাও বলতে শোনা গিয়েছে তৃণমূল বিধায়কের মুখে। ভিডিও টিতে তৃণমূল বিধায়ক গৌতম পাল বলেছেন, নির্দল যারা করে তাদের ইতিহাস জানা আছে। আমরা সব হিসেব লিখে রেখেছি। ভোটের পরে হিসেব হবে। যাকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পরেছে গোটা জেলা জুড়ে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই তৃণমূল (TMC) বিধায়কের এমন হুঁশিয়ারির পর নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ হবে তা নিয়ে যথেষ্টই চিন্তিত বিরোধী দলগুলি। বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। আসলে রাজবংশী সহজ সরল মানুষদের এসব মিথ্যা বলে ভোটের আগে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনে মানুষ নিজের ভোট দিতে পারলে তৃণমূলে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: হিংসার ঘটনা এত বেশি কেন? বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকে প্রশ্ন রাজ্যপালের

    Cooch Behar: হিংসার ঘটনা এত বেশি কেন? বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকে প্রশ্ন রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকায় হিংসার ঘটনা এত বেশি কেন? এই প্রশ্ন তুলে কোচবিহারের (Cooch Behar) সীমান্তবর্তী এলাকায় সীমা সুরক্ষা বল অর্থাৎ বিএসএফের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সকাল ১১ টায় সিতাইয়ে যাওয়ার সময় ৭৫ নম্বর বিএসএফ বিওপিতে বিশেষ বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে সীমান্তের চোরাচালান, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সমস্যা এবং আন্তর্জাতিক দুষ্কৃতীদের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে।

    কেন গেলেন রাজ্যপাল (Cooch Behar)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই দক্ষিণের জেলাগুলির মতো উত্তরের জেলাগুলিতেও ভোটের মনোনয়ন, মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং নির্বাচনী প্রচারকে ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষের কথা উঠে আসে। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের চোপড়া এবং দিনহাটাতে শাসকচ-বিরোধীদের সংঘর্ষে প্রাণ গেছে বেশ কিছু বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের। এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Cooch Behar) সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গ্যাংওয়ারেই এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশের পরিচয়পত্র অনুযায়ী মৃতের নাম ছিল মহঃ আব্দুর রহমান। ফলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, চোরাকারবারীদের বিষয় এবং পঞ্চায়েত ভোটের বিষয় নিয়ে হিংসামুক্ত, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে তৎপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই রাজ্যে নির্বাচনের আগে গণতন্ত্রের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শনও করছেন রাজ্যের রাজ্যপাল।

    ভোট নিয়ে রাজ্যপালের অবস্থান

    শাসক দলের নেতারা বার বার অভিযোগ তুলেছেন, রাজ্যপাল কেবল মাত্র বিরোধীদের বাড়িতে যাচ্ছেন! কিন্তু রাজ্যপাল গীতালদহের জারি ধরলা গ্রামে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। এমনকী হাসপাতালেও গিয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল কোচবিহার (Cooch Behar) সার্কিট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলন করে স্পষ্ট করে বলেছিলেন, হিংসার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে আইনের শাসন কার্যকর করার কথা বলেন। হাইকোর্টের আদেশকে অক্ষরে অক্ষরে পালনের কথা বলেন রাজ্যপাল। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর কথাও বলেছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় আমবাগান জুড়ে বড় বড় ফাটল! ধস নয় তো? আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    Malda: মালদায় আমবাগান জুড়ে বড় বড় ফাটল! ধস নয় তো? আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় (Malda) বিস্তৃত আম বাগান জুড়ে ফাটল। প্রায় ৪ বিঘে আম বাগানে যেখানে সেখানে ফাটল। ধীরে ধীরে ফাটলগুলি গভীর হচ্ছে। ৩ থেকে ‌৪ ফুট গভীরতা, আবার কোথাও কোথাও ২ থেকে ‌৩ ফুট চওড়া হয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে আম বাগানের মালিক থেকে এলাকার মানুষ।

    কোথায় ঘটেছে ঘটনা (Malda)?

    আম বাগানের (Malda) জমিতে ফাটলের ঘটনায় পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাকোর্মা গ্রামে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। বাগানের পাশেই রয়েছে বিস্তৃত গ্রাম। মানুষের আতঙ্ক, যে কোনও সময় ফাটলের জেরে বিস্তৃত আমবাগান ধস নেমে বসে যেতে পারে। দিশাহীন হয়ে পড়েছেন স্থানীয় মানুষ। জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। বর্ষা শুরু হয়েছে, বর্ষার জলে ফাটল আরও বড় হয়ে কি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে? আশঙ্কায় বাসিন্দারা।

    কী বলছেন এলাকাবাসী

    এলাকার (Malda) বাসিন্দা আসদুল শেখ জানান, কয়েকদিন আগেই ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। আর তার পর থেকেই লম্বা লম্বা ফাটলের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। কেবল মাত্র আমবাগানেই এই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। এলাকার মাটি স্বাভাবিক স্তর থেকে অনেক নিচে নেমে গেছে। কেবল মাত্র আম বাগানেই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বাগানের পাশেই যেহেতু বাড়ি, ফলে বাগান থেকে বাড়ি পর্যন্ত ফাটল যে কোনও সময়েই পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তিনি। এলাকায় আগেও এই রকম অনেক ফাটলের চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানান আসদুল শেখ। তিনি আরও বলেন, আমরা এই ফাটলের কথা প্রশাসনকে আগেও জানিয়েছি। এলাকায় কি কোনও বড় ধসের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে! যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে গ্রামবাসীরা কী করবেন? এই প্রশ্নও উঠছে। এছাড়াও সামানেই বর্ষা, তাই বৃষ্টির জল জমে এলাকায় আরও ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেন এলাকাবাসী। বিশেষ করে এই ফাটলের কারণে পাকা বাড়ি ধসে যাওয়ার সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: ভোটের ময়দানে জমে উঠেছে মা ও মেয়ের লড়াই

    Panchayat Election: ভোটের ময়দানে জমে উঠেছে মা ও মেয়ের লড়াই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মা জয়ী হবেন, না মেয়ে? পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি এই আলোচনায় সরগরম। এমনিতেই ভোটের ময়দানে কাকা-ভাইপো, দুই ভাই কিংবা দুই জায়ের লড়়াইয়ের একাধিক নজির রয়েছে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের লড়াইয়ের ময়দানে মা ও মেয়ে। ভোট প্রচারে বেরিয়ে মুখোমুখি হতেই হল সৌজন্য বিনিময়ও।

    মা ও মেয়ে কোন দলের প্রার্থী হয়েছেন?

    পরিবার ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) একই বুথে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তাঁরা ভোট প্রচারও চালাচ্ছেন জোরদার। খেজুরির হলুদবাড়ি অঞ্চলের দেখালি ১৫৭ নম্বর বুথে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন পূর্ণিমা রানি দোলাই। ওই একই বুথে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন পূর্ণিমা রানি দোলাইয়ের মেয়ে তথা বিজেপি প্রার্থী পম্পা মাইতি। সকাল থেকেই বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোট প্রচার করছে যুযুধান দু পক্ষই। একদিকে মা শাসক দলের উন্নয়নকে সামনে রেখে ভোট প্রচার করছেন। অপরদিকে শাসক দলের দুর্নীতি ও এলাকার রাস্তাঘাটের সমস্যা নিয়ে বাড়ি বাড়ি ভোট প্রচার করছেন মেয়ে।

    কী বললেন তৃণমূল প্রার্থী মা?

    মা ও মেয়ে দুজনেই আশাবাদী, একে অপরকে টেক্কা দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে বাজিমাত করবেন। ভোটের ময়দানে (Panchayat Election) লড়াই যাই হোক না কেন, সম্পর্কে একটু ভাটা পড়বে, এমনটাই জানালেন দুই প্রার্থী। এক অপরকে ভোটে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ। বাম আমলে খেজুরি ছিল সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি। পালা বদলের পর তৃণমূল রাজত্ব করতে শুরু করে। কিন্তু, ২০২১ বিধানসভা ভোটে সেই রাজত্ব ভেঙে দিয়ে জায়গা করে নেয় বিজেপি। তাই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে খেজুরিতে কার রাজত্ব কায়েম হয়, সেটাই এখন দেখার। তৃণমূল প্রার্থী পূর্ণিমা রানি দোলাই বলেন, উন্নয়নের নিরিখে মানুষের কাছে যাচ্ছি। ভালো সাড়া পাচ্ছি। মেয়ে নির্বাচনে লড়াই করলেও কোনও ফ্যাক্টর হবে না। আমি জয়ের বিষয়ে ১০০ শতাংশ আশাবাদী।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী মেয়ে?

    বিজেপি প্রার্থী পম্পা মাইতি বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) মায়ের বিরুদ্ধে লড়াই হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু, আমি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। মায়ের সঙ্গে নয়। মায়ের জায়গা যেমন ছিল তেমন রয়েছে। মূলত পানীয় জলের সমস্যা, রাস্তা বেহাল সহ একাধিক অনুন্নয়ন নিয়ে আমরা সরব হয়েছি। সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। ফলে, ভোটে জয়ী হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ফের গোষ্ঠী কোন্দল! আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    Cooch Behar: ফের গোষ্ঠী কোন্দল! আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত দিনহাটা (Cooch Behar)। এবার দিনহাটা গিতালদহ-১ এর তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মাহফুজার রহমান এবং তাঁর শ্যালককে নির্দল প্রার্থী রফিকুল বেধড়ক মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রধান অভিযুক্ত রফিকুল তৃণমূলের কর্মী। কিন্তু সে এবার নির্দল প্রার্থী। বর্তমানে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কোচবিহারের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Cooch Behar)?

    গীতালদহ-১ এর (Cooch Behar) ভোরাম গ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী খলিল মিয়ার ছেলেকে আটকে প্রচণ্ড মারধর করার কথা শুনতে পান মাহফুজার রহমান। তিনি যেহেতু সেখানকার অঞ্চল সভাপতি, তাই সেই এলাকায় খলিলের ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে মাহফুজারকে নির্দলের দুষ্কৃতীরা বেঁধে প্রচণ্ড মারধর করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। মাহফুজার রহমান এখন গুরুতর আহত অবস্থায় নার্সিংহোমে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানা গেছে।

    মাহফুজার রহমানের পরিবারের বক্তব্য

    মাহফুজারের ভাইপো সম্রাট বলেন, নারায়ণগঞ্জ সাতঢলের পাড়ে (Cooch Behar) নির্দল প্রার্থী রফিকুল, আমার কাকা মাহফুজার রহমান এবং তাঁর শ্যালককে দলবল নিয়ে হামলা করে। বাঁশ, কাঠ লোহা এবং বন্দুক দিয়ে হামলা করে। বাঁ হাত এবং বাঁ পায়ে ব্যাপক আঘাত লাগে। আঘাতের চিহ্নে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। রাজনৈতিক কারণেই এই হামলা বলে মন্তব্য করেন সম্রাট।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, বর্ডার এলাকাগুলোতে (Cooch Behar) বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে। ভোটের মুখে সীমান্তবর্তী এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘটনায় মোট তিনজন আহত হয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, শুধু মারধরই করেনি, সেই সঙ্গে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায়, পায়ে আঘাত করা হয়েছে আমাদের অঞ্চল সভাপতিকে। দুষ্কৃতীরা মদত কোথা থেকে পাচ্ছ্‌ সেটা তদন্ত করার কথা বলেন তিনি। অঞ্চল সভাপতিকে এভাবে মারধর করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূল প্রার্থীর দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম, জেলা জুড়ে শোরগোল

    TMC: তৃণমূল প্রার্থীর দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম, জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই ব্যক্তির দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম। এরকম একজনকে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী করেছে তৃণমূল (TMC)। বিষয়টি জানাজানি হতে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার জেমেরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়  রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি।

    তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার জেমেরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪১ নম্বর বুথে তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী পঙ্কজ কুমার যাদব। পঙ্কজ কুমার যাদব জে কে নগর এলাকায় বসবাস করেন। এখানকার তিনি ভোটার। এই সংসদ থেকেই তিনি ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু, পঙ্কজ কুমার যাদবের বিহার রাজ্যের লক্ষ্মীসরাই জেলার ১৬৭ সুরোজগরা কেন্দ্রে পার্ট নম্বর ৩০৯ এবং সিরিয়াল নম্বর ২৭৭ এ নাম রয়েছে। এরকম একজন ব্যক্তিকে প্রার্থী করায় দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) প্রার্থী?

    পঙ্কজ কুমার যাদব বলেন, আমার বাড়ি বিহারে। তবে, সেখানে আমি খুবই কম যাই। দল যখন আমাকে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেয় তখন আমি জানতে পারি বিহারে আমার ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে। ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে বিহারে ভোটের তালিকায় নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করি। তারপরই বিহারের ভোটার তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। এই বিষয় নিয়ে আমি কিছুই জানি না।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। প্রার্থীপদ বাতিলের দাবিতে প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, কীভাবে এক ব্যক্তির দুই জায়গায় ভোটার কার্ড থাকতে পারে। দ্রুত পঙ্কজ কুমার যাদবের প্রার্থী পদ বাতিল করতে হবে, নাহলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    আসানসোল দক্ষিণ গ্রামীণ তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের ব্লকের সহ-সভাপতি চঞ্চল মুখোপাধ্যায় বলেন, পঙ্কজ কুমার যাদবের জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিরোধী প্রার্থীরা ভোটের ময়দানে পঙ্কজের কাছে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত হতে বাধ্য। সেই জন্য বিরোধীরা পঙ্কজের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। ২০২২ সালে নির্বাচন কমিশনের কাছে বিহারের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। বর্তমানে তাঁর শুধুমাত্র এক জায়গাতেই নাম রয়েছে। বিরোধীরা চক্রান্ত করে তাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। রানীগঞ্জের বিডিও অভীক কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই বিষয় নিয়ে আমার কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: গোষ্ঠী কোন্দলের জের, বাসন্তীতে যুব তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন

    Panchayat Poll: গোষ্ঠী কোন্দলের জের, বাসন্তীতে যুব তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll) ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। শুধু গুলিবিদ্ধ হয়ে একের পর এক রাজনৈতিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এবার যুব তৃণমূল কর্মীকে খুন করার ঘটনা ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ওই যুব তৃণমূল কর্মীর। মৃতের নাম জিয়ারুল মোল্লা (৪২)।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে বাসন্তী থানার ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের চাতরাখালি এলাকায় রাস্তার পাশে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই যুব তৃণমূল কর্মীকে পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার মানুষ। রাতে বিশেষ কাজের জন্য ক্যানিংয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ফুলমালঞ্চ পঞ্চায়েতের চাতরাখালি-ঘাগরামারি এলাকায় রাতের অন্ধকারে তাঁকে কেউ বা কারা গুলি করে পালিয়ে যায়। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দেখা যায়, ঠিক মাথায় গুলি লেগেছে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। বাসন্তী থানার পুলিশ গিয়ে জিয়ারুলকে উদ্ধার করে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। খানিক পরেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    কী বললেন নিহত যুব তৃণমূল কর্মীর ছেলে?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জিয়ারুল যুব তৃণমূল করত, সেই কারণে তাকে প্রায়শই খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তাদের দাবি, রাজনৈতিক শত্রুতার জেরেই খুন করা হয়েছে জিয়ারুলকে। নিহতের ছেলে মিজানুর মোল্লা বলেন,  বাবাকে অনেকদিন ধরেই মাদার তৃণমূলের লোকেরা নিজেদের সঙ্গে যোগ দিতে বলেছিল, কিন্তু, বাবা রাজি হয়নি। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll) আগে নতুন নতুন অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হত। এবার বাবাকে গুলি করে খুন করা হল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ।

    পুলিশের প্রশাসনের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    এদিকে খবর পেয়ে ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাস সহ পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। ক্যানিং হাসপাতালে আসেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস। জিয়ারুলের মৃত্যুকে শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। এদিকে এ বিষয়ে ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাস বলেন, মৃতের পরিবারকে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলেছি। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। যদিও এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Digital Book: স্বামীজি, নেতাজি ও প্রভুপাদের স্পর্শ পাওয়া দর্শনের পুস্তক এবার ডিজিটাল ফর্মে

    Digital Book: স্বামীজি, নেতাজি ও প্রভুপাদের স্পর্শ পাওয়া দর্শনের পুস্তক এবার ডিজিটাল ফর্মে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিংশ শতাব্দীর তিন উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক স্বামী বিবেকানন্দ, শ্রীল প্রভুপাদ ও নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। আর এক অদ্ভুত সমাপতন এই যে তিন দেশনায়ক উত্তর কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজের ছাত্র ছিলেন। এই কলেজে অধ্যয়ন কালে তাঁদের মধ্যে আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও চেতনার  উন্মেষ ঘটতে শুরু করে। কলেজের দিনগুলিতে গ্রন্থাগারে গিয়ে তাঁরা মাঝে মধ্যেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা দর্শনের বিভিন্ন গ্রন্থের মধ্যে ডুবে থাকতেন। আর এমনই সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে কলেজের তৎকালীন ইতিহাস থেকে। এবার এই তিন মহাপুরুষের হাতের স্পর্শ পাওয়া দর্শনের সেই সব গ্রন্থের ডিজিটাইজেশনের (Digital Book) কাজ শুরু করল স্কটিশ চার্চ কলেজ। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দর্শন এষণা’।

    কী বললেন কলেজের অধ্যক্ষ (Digital Book)?

    এই কাজে আর্থিক‌ ও কারিগরী‌ সহযোগিতা দিয়ে সাহায্য করেছে কলকাতার ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টার। কলেজের গ্রন্থাগারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ডিজিটাইজেশন প্রজেক্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষা ডক্টর মধুমঞ্জুরি মণ্ডল। তিনি বলেন, কলেজের জন্ম লগ্ন অর্থাৎ ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দ থেকে সংরক্ষিত প্রায় ১০০০ এর বেশি দুষ্প্রাপ্য দর্শনের বই রয়েছে কলেজের গ্রন্থাগারে। এই সব মহাপুরুষদের হাতের স্পর্শ পাওয়া গ্রন্থ সমূহ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হতে বসেছে। তাই অনেক দিন থেকেই এই সমস্ত বই ডিজিটাইজ (Digital Book) করার পরিকল্পনা চলছে। সম্প্রতি কলেজের গভর্নিং বডি সিদ্ধান্ত নেয় এই কাজ শুরু করার এবং সেই কাজ বর্তমানে চলছে। ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টার এই উদ্যোগে সাড়া দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় তাঁরা খুবই উপকৃত হলেন। এর ফলে মূল্যবান ইতিহাস রক্ষিত হতে পারল।

    সাহায্য করছে ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টার (Digital Book)

    ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন সুমন্ত রুদ্র বলেন, প্রায় এক হাজার বই ডিজিটাইজ (Digital Book) করতে ৮ মাস সময় ধরা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে দর্শনের বই ডিজিটাইজ করা হচ্ছে। পরবর্তীকালে অন্যান্য দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থের ডিজিটাইজেশনের কাজে তাঁরা কলেজের পাশে থাকবেন।  ভবিষ্যতে কলেজের ওয়েবসাইট থেকেই এইসব পুস্তক পাঠ করার সুযোগ পাওয়া যাবে ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayate Vote: দক্ষিণ দিনাজপুরে বহু আদিবাসী পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    Panchayate Vote: দক্ষিণ দিনাজপুরে বহু আদিবাসী পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর ৭দিন বাকি। তার আগে আবার তৃণমূলে ভাঙন। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি বিধানসভার লোহাগঞ্জ এলাকায় একটি যোগদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ যেখানে তৃণমূল ছেড়ে ২০টি আদিবাসী পরিবারের প্রায় ৯০ জন সদস্য বিজেপিতে যোগদান করেন। এদিন বিকেলে সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। জেলা সভাপতির পাশাপাশি যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ২০টি আদিবাসী পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করায় বিজেপির শক্তি (Panchayat Vote) বাড়ল বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে মানুষ যেভাবে বিজেপিতে যোগাদান করছে, তাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় বিজেপি ভালো ফল করবে বলে আশাবাদী দলের জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী।

    কী বললেন যোগদানকারীরা (Panchayat Vote)?

    এই বিষয়ে এক যোগদানকারী বলেন, তৃণমূল দল আমাদের দেখে না। আমরা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলাম। কিন্তু তৃণমূল নেতারা বলে, আমরা তাদের ভোট (Panchayat Vote) দিইনি। তারা ভোটের সময় খাওয়াদাওয়া দিয়েছিল। সেই খাওয়াদাওয়া দিয়ে পরে বলে, আমরা তোমাদের ভোট কিনে নিয়েছি। তোমরা কোনও সুযোগ সুবিধা পাবে না। তাই আমরা তৃণমূল দল থেকে বেরিয়ে আজ বিজেপিতে ২০ টি পরিবার যোগদান করলাম।

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি (Panchayat Vote)?

    বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, লোহাগঞ্জে এদিন ২০ টি আদিবাসী পরিবার তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করল। যোগদানকারীরা সবাই তৃণমূল করত। কিন্তু তৃণমূল দল তাদের কোনও সুযোগ সুবিধা দেয়নি। তৃণমূল তাদের বার বার বলেছে, আমরা ভোট কিনে নিয়েছি, কেন সুযোগ সুবিধা দেব। তৃণমূল এইভাবে দিনের পর দিন এই লোহাগঞ্জ এলাকার মানুষদের বঞ্চিত করেছে। সেই জন্য আজ লোহাগঞ্জের ২০ টি আদিবাসী পরিবার বিজেপিতে যোগদান করল। এরা যোগদান করায় বিজেপির আরও শক্তি বাড়ল ও আগামী দিনে এই এলাকায় বিজেপি আরও ভাল ফলাফল (Panchayat Vote) করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ‘‘একবারের জন্যও হিংসা বন্ধের আবেদন করেননি মুখ্যমন্ত্রী’’! তোপ দিলীপের

    Purba Bardhaman: ‘‘একবারের জন্যও হিংসা বন্ধের আবেদন করেননি মুখ্যমন্ত্রী’’! তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে পঞ্চায়েতগুলিতে টিএমসি রয়েছে। শুধুই দুর্নীতি হয়েছে এত বছর ধরে। কিন্তু প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য-কারও বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর হয়নি। ঠিক এই ভাবেই পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman) গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ (Purba Bardhaman)?

    নির্বাচনী প্রচারে (Purba Bardhaman) এসে দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান না দুর্নীতি বন্ধ হোক। তিনি দুর্নীতি করাচ্ছেন এবং তিনিই দায়িত্ব নিয়ে হিংসা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। একবারের জন্য রাজনৈতিক হিংসা বন্ধের কথা বলেননি। তিনি মাথার ওপর বসে বসে সমস্ত দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। আজ সায়নী ঘোষের ইডিতে হাজিরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চুরি করার পর অনেকেই এমন কথা বলেন! এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, যাদের ইডি ডেকেছে, এখন কোথায় আছে খোঁজ নিয়ে দেখুন। এক অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজা এদিন বলেছেন, বিজেপি চক্রান্ত করে সিবিআইকে লেলিয়ে দিচ্ছে। উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, যেখানে বিজেপি রাজ্যে রয়েছে, সেখানে দুর্নীতি সব থেকে কম হয়েছে। আর যেখানে বিজেপি নেই, সেখানে দুর্নীতি সব থেকে বেশি হচ্ছে।

    মনোনয়ন নিয়ে কী বললেন?

    দিলীপ ঘোষ বলেন, আমাদের প্রার্থীদের ইচ্ছে করে বিডিও অফিস থেকে নাম বাতিল করা হয়েছে। উলুবেড়িয়া প্রসঙ্গে বলেন, বিরোধীদের মনোনয়ন বাতিল নিয়ে হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তৃণমূলের দুর্নীতি পঞ্চায়েত নির্বাচনেও হয়েছে। অধিকাংশ বিরোধীদের মনোনয়ন বাতিলে বিডিও-এসপিরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। বান্ডিল করে বিডিও অফিস থেকে মনোনয়নপত্র তুলে, বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পূরণ করে আবার বিডিও অফিসে জমা করেছে তৃণমূলের নেতারা। বিডিও সাহেবরা ভালো করে নজরই দেননি। কারণ তৃণমূলের মনোনয়ন ছিল বলে কথা। সৌদি আরব থেকেও পঞ্চায়েতে মনোনয়ন হয়েছে। ঠিক এই ভাবেই পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman) এসে তৃণমূল সরকারের প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দিলীপ ঘোষ।

    বাহিনী প্রসঙ্গে কী বললেন?

    সাংবাদিক সম্মেলনে দিলীপ ঘোষ (Purba Bardhaman) আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত এগারো বছরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন যে আজ সরকারি কর্মচারীরা বলেছেন, সেন্ট্রাল ফোর্স ছাড়া ভোট করতে যাবেন না। তাই তৃণমূলের তৈরি করা শাসন কাঠামো এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের জনমত গড়ে তুলতে হবে। তৃণমূলকে হারানোর জন্যই বিজেপি লড়ছে। তিনি আরও বলেন, নবজোয়ারের নামে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে রাজনীতি করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকাল-বিকেল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গালিগালাজ করেন, আবার বিপদে পড়লে সেই বাহিনীর কাছে গিয়েই আশ্রয় নিতে হয় তাঁকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share