Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • BJP Murder: ২০ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর মৃত বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর

    BJP Murder: ২০ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর মৃত বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবং-এর বলপাইতে বিজেপির বুথ সভাপতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের (BJP Murder) প্রায় ছয় ঘণ্টা পর সবং থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতের স্ত্রী বৈশালী সামন্ত। বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ সহ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব মৃতের স্ত্রীকে এদিন থানায় নিয়ে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করান। খুনের ঘটনায় মোট ২০ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগপত্র অনুযায়ী, মৃত বিজেপির বুথ সভাপতি ও তাঁর পরিবারকে বার বার খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। সাদা থান পরানোর হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়, এমনটাই দাবি মৃতের স্ত্রীর। তিনি আরও জানিয়েছেন, স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার কাতর আকুতি-মিনতি করে তৃণমূলের হাতে-পায়ে ধরলেও তারা ছাড়েনি, উপরন্তু তাঁকে লাথি মেরে সরিয়ে দেয়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    কী বললেন ভারতী ঘোষ?

    থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর এদিন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ বলেন, ‘‘এই পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। শাসক দলের পক্ষ থেকে বার বার বলা হতে থাকে পঞ্চায়েতে যেন মনোনয়ন না করা হয়।’’ এদিন পুলিশকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ। তাঁর মতে, ‘‘পুলিশের কাছে বার বার নিরাপত্তার দরবার করলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি সবং থানা।’’ এদিন কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি।

    কী বলছে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব?

    বিজেপির দাবি, সবং-এর বলপাই ৯ নম্বর অঞ্চলের বুথ সভাপতি দীপক সামন্তকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির (BJP) তরফে অভিযোগ আনা হয়েছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, ‘‘ঝুলন্ত মৃতদেহ (BJP Murder) উদ্ধার হয়নি। তাঁকে খুন করা হয়েছে। ২০২১ সালের ২ মে, আমরা যখন বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাই, তখন থেকে এঁর চাষ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এঁর ওপর প্রচণ্ড অত্যাচার করা হয়েছে। আমরা মানবাধিকার কমিশনে জানিয়েছি। আমাদের কাছে সেই সংক্রান্ত সমস্ত আবেদনপত্র আছে। এখনও পর্যন্ত তাঁর জমি আটকে রাখা হয়েছে, চাষ করতে দেওয়া হয়নি। তিন-চার দিন আগে আমাদের নেতারা যখন ওখানে প্রচারে গিয়েছিল, তখন উনিও সেই প্রচারে ছিলেন। এরপর তাঁকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়, যদি তিনি তৃণমূলে না আসেন, তা হলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। ওনার স্ত্রীকে পর্যন্ত সাদা থান পরানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই ভিডিও আমাদের কাছে আছে। গত ২৫ তারিখ উনার বাবা মারা গেলে দাহ পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। এরপর এলাকার তৃণমূল নেতা তাঁর বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক নির্যাতন চালায়। তারপরই উদ্ধার হল দেহ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: বারাকপুরে চিকিৎসক প্রজ্ঞার রহস্যমৃত্যুকাণ্ডে সিবিআিই তদন্তের দাবি পরিবারের

    CBI: বারাকপুরে চিকিৎসক প্রজ্ঞার রহস্যমৃত্যুকাণ্ডে সিবিআিই তদন্তের দাবি পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি তদন্তে খুশি নয় পরিবার। তাই, এই খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানাল পরিবারের লোকজন। প্রজ্ঞাদীপার পক্ষের আইনজীবী বৃহস্পতিবার লিটন মৈত্র বলেন, পুলিশি তদন্তে আমরা খুশি নয়। এই খুনের ঘটনার আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। সোমবারই হাইকোর্টে এই মর্মে আবেদন জানানো হবে। ফলে, এই খুনের তদন্তের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত হলে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে বলে পরিবারের লোকজনের দাবি। তাঁদের বক্তব্য, তদন্তে নানাভাবে প্রভবিত করা হয়েছে। ফলে, সঠিক তদন্ত হচ্ছে না। সিবিআই (CBI) তদন্ত একমাত্র পথ।

    আটদিনের পুলিশ হেফাজত সেনা চিকিৎসকের

    এদিনই প্রজ্ঞাকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া সেনা চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীকে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন প্রথম প্রজ্ঞাদীপার পরিবারের পক্ষ থেকে আইনজীবীকে আদালতে দাঁড় করানো হয়। মূলত, এই ঘটনায় পুলিশ ৩০৬ ধারা দিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল। এবার প্রজ্ঞার আইনজীবী আদালতে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে ৩০২ ধারা যুক্ত করার আবেদন জানান। কৌশিকের আইনজীবী সুদীপ মৈত্র পাল্টা বলেন, প্রজ্ঞা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে কেউ মারধর করেনি। তিনি নিজেই শরীরে আঘাত করেছেন। দুই পক্ষের কথা শুনে বিচারক ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। প্রজ্ঞার আইনজীবী এদিন বলেন, যে চিকিৎসক প্রজ্ঞার ময়না তদন্ত করেছিলেন, তাঁকে সেনার এক আধিকারিক ফোন করেছিলেন। ফলে, প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছে তা প্রমাণ। সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানাল পরিবারের লোকজন। অন্যদিকে, কৌশিকের বিরুদ্ধে সেনা দফতরের পক্ষ থেকে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তকারী অফিসারের মতে, কর্নেল কৌশিক সর্বাধিকারী এবং প্রজ্ঞা লিভ- ইন  করলেও তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়ে ছিল। তাই, প্রজ্ঞার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য ক্রমশ্য ঘনীভূত হচ্ছে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল কৌশিক সর্বাধিকারীর ঘরের ভিতর থেকে প্রজ্ঞার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তিনি প্রজ্ঞার সঙ্গে লিভ-ইনে থাকতেন। এই ঘটনার পর সুইসাইড নোটে নাম থাকায় সেনা চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দক্ষিণেশ্বরে তৃণমূল যুব নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, বেধড়ক মার, অভিযুক্ত দলের অন্য গোষ্ঠী

    TMC: দক্ষিণেশ্বরে তৃণমূল যুব নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, বেধড়ক মার, অভিযুক্ত দলের অন্য গোষ্ঠী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে তৃণমূলের (TMC) যুব নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি। পরে, লোহার রড, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণেশ্বর থানার আড়িয়াদহ এলাকায়। আক্রান্ত যুব তৃণমূল নেতার নাম অরিত্র ঘোষ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, একটি গণ্ডগোল হয়েছে। গুলি চলার কোনও প্রমাণ নেই। সমস্ত ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বৃহস্পতিবার যুব তৃণমূল (TMC) নেতা অরিত্র ঘোষ বাইকে চেপে অফিসে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, আচমকা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন। কিন্তু, যুব তৃণমূল নেতার গায়ে লাগেনি। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পর হামলাকারীরা তাঁকে ঘিরে ধরে রাস্তায় ফেলে মারধর করে। লোহর রড, বাঁশ দিয়ে যুব তৃণমূল নেতাকে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। হামলার জেরে তাঁর হাত-পা ভেঙে গিয়েছে। হামলার অভিযোগ তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠী জয়ন্ত সিং ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল (TMC)?

    আক্রান্ত যুব তৃণমূল নেতা অরিত্র ঘোষ বলেন, আমি বাইকে করে অফিসে যাচ্ছিলাম। বাড়ি থেকে বেরোনোর পরেই জয়ন্ত সিংহ এবং তাঁর দলের লোকেরা আমাকে গুলি করে। গুলিটা পায়ের ফাঁক গলে বেরিয়ে যায়। আমি বাইক থেকে পড়ে যাই। তার পর ওরা আমাকে রড, লাঠি দিয়ে আধ ঘণ্টা ধরে মারে। আমি চাই প্রশাসন এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিক।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেন, ঘটনার কথা আমি শুনেছি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। স্থানীয় বিধায়ক মদন মিত্রের সঙ্গে কথা বলব। দলগত কিছু হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, অরিত্র আমাদের দলের কর্মী। ওর নামে কোনও অভিযোগ নেই। প্রকাশ্যে দিবালোকে পর পর দুরাউন্ড গুলু চলেছে। পুলিশের ভুমিকা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন করতে শুরু করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: তৃণমূল-নির্দল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মালদা, ৮টি বাড়ি ভাঙচুর, দুটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

    Malda: তৃণমূল-নির্দল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মালদা, ৮টি বাড়ি ভাঙচুর, দুটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল এবং বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মালদার (Malda) ইংরেজ বাজারের ফুলবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নগরিয়া গ্রাম। দুই পক্ষের একাধিক কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দুপক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। পরে, পুলিশ গিয়েছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মালদার (Malda) ইংরেজ বাজারের ফুলবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১২টি আসন রয়েছে। এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা জাহিদুল শেখের গোষ্ঠীর লোকেরা সমস্ত আসনে টিকিট পেয়েছে। অপরদিকে লাকি আলির গোষ্ঠীর কেউ এবার গ্রাম পঞ্চায়েতে টিকিট পাননি। জাহিদুল এবং লাকি আলি দুজনেই তৃণমূলের দাপুটে নেতা। স্বাভাবিকভাবে লাকি আলির কেউ টিকিট না পাওয়ায় তাঁরা কেউ নির্দলে, কেউ বা আবার কংগ্রেসের চিহ্নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই দুই নেতার এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় আটটি বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। দুটি বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়। পরে, এলাকায় টহল দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিরোধীদের চক্রান্তেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মালদা (Malda) জেলার নেতা দুলাল সরকার। তিনি বলেন, সবাই প্রার্থী হতে চাইছে। যারা সেই সুযোগ পায়নি, তাদের বিরোধীরা মদত দিচ্ছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ রয়েছে। জনতার রায় শাসক দলের পক্ষেই যাবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুড়ি বলেন, এটা তৃণমূলের নিজস্ব বিষয়। নিজেদের মধ্যে ওরা লড়াই করছে। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের কোন্দল প্রকট আকার ধারণ করেছে। আর এই গণ্ডগোলের জন্য সাধারণ মানুষের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তা দেখার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন রাখব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সবংয়ে বিজেপির বুথ সভাপতিকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    BJP: সবংয়ে বিজেপির বুথ সভাপতিকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবং-এর বলপাই এলাকায় বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির ঝুলন্ত দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করেছে সবং থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই এলাকার তৃণমূল নেতারা রাজনৈতিক হুমকি, সন্ত্রাস চালাচ্ছিল এই পরিবারের ওপর। তাঁর জমিতে তৃণমূল দীর্ঘদিন চাষ বন্ধ করে দিয়েছিল। এই ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে। তারা জানিয়েছে, রাজ্য পুলিশের তদন্তে তাদের কোনও আস্থা নেই। এই ঘটনার পর পরিবারে উঠেছে কান্নার রোল। এলাকা জুড়েও শোকের ছায়া। গোটা ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

    কী অভিযোগ করল বিজেপি (BJP)?

    বিজেপির দাবি, সবং-এর বলপাই ৯ নম্বর অঞ্চলের বুথ সভাপতি দীপক সামন্তকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির (BJP) তরফে অভিযোগ আনা হয়েছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়নি। তাঁকে খুন করা হয়েছে। ২০২১ সালের ২ মে, আমরা যখন বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাই, তখন থেকে এঁর চাষ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এঁর ওপর প্রচণ্ড অত্যাচার করা হয়েছে। আমরা মানবাধিকার কমিশনে জানিয়েছি। আমাদের কাছে সেই সংক্রান্ত সমস্ত আবেদনপত্র আছে। এখনও পর্যন্ত তাঁর জমি আটকে রাখা হয়েছে, চাষ করতে দেওয়া হয়নি। তিন-চার দিন আগে আমাদের নেতারা যখন ওখানে প্রচারে গিয়েছিল, তখন উনিও সেই প্রচারে ছিলেন। এরপর তাঁকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়, যদি তিনি তৃণমূলে না আসেন, তা হলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। ওনার স্ত্রীকে পর্যন্ত সাদা থান পরানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই ভিডিও আমাদের কাছে আছে। গত ২৫ তারিখ উনার বাবা মারা গেলে দাহ পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। এরপর এলাকার তৃণমূল নেতা তাঁর বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক নির্যাতন চালায়। তারপরই উদ্ধার হল দেহ।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (BJP)?

    উল্লেখ্য, বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় থেকেই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠে আসছে। কোথাও বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা না দিতে দেওয়া, আবার কোথাও বিরোধী প্রার্থীদের মারধর এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। সবংয়ে বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে শাসক দল রক্তের হোলি খেলছে। আর তারা যদি এই খেলা বন্ধ না করে, তাহলে বিজেপিও বাধ্য হয়ে এই খেলায় নামবে। তখন যেন প্রশাসন বা কমিশন বিজেপিকে কিছু না বলতে আসে।

    কী জবাব দিল তৃণমূল?

    যদিও এই ঘটনায় অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল। জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটের অজিত মাইতির দাবি, এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। একটি মৃত্যুকে সম্পূর্ণ রাজনীতির রং লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূল রক্তের হোলি খেললে বিজেপিকেও সেই খেলায় নামতে হবে, চরম হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    BJP: তৃণমূল রক্তের হোলি খেললে বিজেপিকেও সেই খেলায় নামতে হবে, চরম হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যদি তৃণমূল কংগ্রেস ভাবে রক্তের হোলি খেলবে, তাহলে বিজেপিকেও (BJP) সেই খেলায় নামতে হবে। তখন যেন আমাদের কেউ দোষ না দেয় যে বিজেপি আইন-শৃঙ্খলা মেনে চলছে না। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি বাধ্য হবে ব্যবস্থা নিতে। বৃহস্পতিবার নদিয়ার নবদ্বীপে একটি নির্বাচনী মিছিলে এসে রাজ্যে শাসক দল ও কমিশনকে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন নবদ্বীপের শ্যামপুর বাজার থেকে রাওতারা পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে মিছিল করেন তিনি।

    ঠিক কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (BJP)?

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই গোটা রাজ্য জুড়ে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রচারে নেমে পড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় থেকেই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠে আসছে। কোথাও বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা না দিতে দেওয়া, আবার কোথাও বিরোধী প্রার্থীদের মারধর এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। গতকাল মেদিনীপুরের সবংয়ে বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে শাসক দল রক্তের হোলি খেলছে। আর তারা যদি এই খেলা বন্ধ না করে, তাহলে বিজেপিও বাধ্য হয়ে এই খেলায় নামবে। তখন যেন প্রশাসন বা কমিশন বিজেপিকে কিছু না বলতে আসে।

    উদয়ন গুহ এবং মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ

    কোচবিহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকা জুড়ে যত তৃণমূলের নেতা রয়েছেন, সবাই চোরাচালানোর সঙ্গে যুক্ত। তারা চায় জোর করে পঞ্চায়েত দখল করতে। কারণ বিএসএফের নিয়ম অনুসারে জন প্রতিনিধিদের কথা কিছুটা হলেও তাদের শুনতে হয়। আর এর মাথায় রয়েছেন উদয়ন গুহ। তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত এই গুন্ডা তৃণমূলে থাকবে, ততদিন এই চোরাকারবার এবং সংঘর্ষ চলবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (BJP) বলেন, তিনি সব সময় বিএসএফ থেকে শুরু করে আর্মিদেরও টার্গেট করে মন্তব্য করেন। কিন্তু জীবন বাঁচানোর সময় এলে আর্মি বাঁচায়। মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার বিপদে পড়েছিল। তখন আর্মি ক্যাম্পে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নামতে হয়েছিল। আবার বলতে হল আমার ছোটবেলায় আর্মিতে কাজ করা খুব ইচ্ছে ছিল। যার ইচ্ছা থাকবে, সে কখনও আর্মি সম্পর্কে এই ধরনের কথা বলে? যখন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল, তখন ইমরান খান এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মিলে গিয়েছিল।

    পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী যত দ্রুত সম্ভব সুস্থ হয়ে রাজনীতির ময়দানের নামুক। ভালো খেলোয়াড় না হলে খেলে মজা হয় না। উনাকে মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় হারাবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Saayoni Ghosh: ইডির নোটিস মেলার পর থেকেই ‘ভ্যানিশ’ সায়নী! শুক্রবার হাজিরা দেবেন কি?

    Saayoni Ghosh: ইডির নোটিস মেলার পর থেকেই ‘ভ্যানিশ’ সায়নী! শুক্রবার হাজিরা দেবেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির তলব পাওয়ার পর থেকেই উধাও সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। বাড়িতেও নেই আবার দলীয় কর্মসূচিতেও গরহাজির তিনি। তৃণমূলের একাংশের দাবি, তাঁরা অনেক চেষ্টা করেছেন কিন্তু যোগাযোগ করা যাচ্ছেনা যুব সভানেত্রীর সঙ্গে। কোথায় রয়েছেন সায়নী? এই প্রশ্নেই আপাতত চলছে জোর জল্পনা। শুক্রবার সায়নীকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছে ইডি। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের সুবিধাভোগীদের মধ্যে সায়নী অন্যতম। আরও জানা যাচ্ছে, কুন্তলের চাকরি বিক্রি করা টাকায় দক্ষিণ কলকাতায় বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনেন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, কোনও কোনও মহলের দাবি, একটি বিলাসবহুল আবাসনে তিনটি ফ্ল্যাট জুড়ে সায়নীকে ১টি ফ্ল্যাট বানিয়ে দেন কুন্তল। তৃণমূলের একাংশ বলছে, তার পরই সংগঠনে কুন্তলের রকেটের গতিতে উত্থান ঘটে।

    বুধবার সকাল থেকেই উবে গেছেন সায়নী (Saayoni Ghosh)

    মঙ্গলবারই ইডি নোটিশের কথা জানতে পারেন সায়নী। তৃণমূলের তরফে জানা গিয়েছে, ওই দিন তিনি পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের মাঝেরগ্রামে দলীয় কর্মসূচিতে ছিলেন। বুধবার একাধিক দলীয় কর্মসূচি থাকলেও সবজায়গায় গরহাজির থেকেছেন তিনি। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর বিধানসভা এলাকায় তাঁর প্রচার কর্মসূচি থাকলেও গরহাজির ছিলেন তিনি। অন্যদিকে, বুধবার উলটো রথে বেলেঘাটায় দুর্গাপুজোর খুঁটিপুজোয় হাজির থাকার কথা ছিল সায়নীর। কিন্তু সেখানেও দেখা পাওয়া যায়নি অভিনেত্রীর।

    সায়নীর বাবা কী বলছেন?

    প্রতিক্রিয়া নিতে বুধবার সকালেও সায়নীর বাড়ি যান একাধিক সাংবাদিক। কিন্তু সায়নীর দেখা মেলেনি। বাড়িতে ছিলেন অভিনেত্রীর বাবা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘সায়নী (Saayoni Ghosh) বাড়িতে নেই। সকাল ৮.৩০টায় গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে।’’  বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীও জানান একই কথা।

    বঙ্গ বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    এই আবহে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “উনি বোধ হয় ভয় পেয়েছেন। এরপর সিনেমা বেরবে সায়নী অন্তর্ধান রহস্য।” তাঁর আরও সংযোজন, “শুনেছি সায়নী যে গাড়ি চড়েন সেটা কুন্তলের টাকায় কেনা। কিন্তু কেন এরকম একজন অভিয়ুক্তের টাকায় গাড়ি চড়েন সায়নী, সেটা উনি বলতে পারবেন।”

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাষায় ‘‘ভাইপোর সাগরেদ কুন্তল এই ভদ্রমহিলাকে বিরাট ফ্ল্যাট দিয়েছে, গাড়ি দিয়েছে, চুরির উচ্ছিষ্টের ভাগ পেয়েছেন। ইডির শুধু ডাকলে হবে না। এদেরকে ভেতরে ঢোকাতে হবে। গাড়ি, ফ্ল্যাট নিলাম করে সরকারের খাতে জমা করাতে হবে।’’

    বৃহস্পতিবার সকালে নিউটাউন প্রাতঃভ্রমনে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূল যুব আছে কোথায়? সায়নী ঘোষ নেত্রী হতে গেছিল। তিনি আজ কোথায়? ওনাকে প্রেসিডেন্ট করিয়ে তারপর সরানো হয়েছে। আমার মনে হয়, উনি ঠিকমত টাকাপয়সা সাপ্লাই করতে পারছিলেন না বলে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা করেছেন, তার তো জবাব দিতে হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: প্রচার করা যাবে না, দেওয়া যাবে না এজেন্ট, তৃণমূলের ফরমান বিজেপি প্রার্থীকে

    Panchayat Vote: প্রচার করা যাবে না, দেওয়া যাবে না এজেন্ট, তৃণমূলের ফরমান বিজেপি প্রার্থীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি যে একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন, সে কথাও জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তার পরেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন অন্ত নেই। ফের বিজেপি প্রার্থীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় কাঁকসার বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Vote) ডাঙাল এলাকায়।

    কী অভিযোগ (Panchayat Vote) বিজেপি প্রার্থী এবং নেতৃত্বের?

    কাঁকসার বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১ নম্বর বুথের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিনয় বিশ্বাসের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃণমূল কর্মীরা এলাকায় প্রচারে বেরিয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে নানাভাবে হুমকি দেয়। বিজেপি প্রার্থী হলেও এলাকায় প্রচার না করার জন্য এবং নির্বাচনের দিন বুথে কোনও রকম এজেন্ট না বসানোর কথাও বলেছে তৃণমূল কর্মীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিনয় বিশ্বাস ও তার পরিবারের লোকজন। ঘটনার কথা দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানানোর পর কাঁকসা থানার দ্বারস্থ হন তিনি।
    বর্ধমান সদরের বিজেপির জেলার সহ-সভাপতি রমন শর্মার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দলের পায়ের তলায় মাটি নেই। সেই কারণেই চারদিকে খুন, সন্ত্রাস, হুমকি চলছে। বাদ যায়নি কাঁকসা এলাকা। কাঁকসায় তাঁদের প্রার্থীদের (Panchayat Vote) নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি জানিয়েছেন, প্রশাসনকে এই বিষয়ে জানানোর পর যদি কোনও রকম ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তবে আগামী দিনে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের ব্যবস্থা করবেন।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব (Panchayat Vote)?

    যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ (Panchayat Vote) অস্বীকার করেছেন কাঁকসা ব্লকের তৃণমূলের সহ-সভাপতি হিরন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, যে বিজেপি প্রার্থী অভিযোগ করছেন যে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেই বিজেপি প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এবং তৃণমূলে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। যেহেতু তাঁকে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়নি এবং কোনওভাবে প্রার্থী করা হয়নি, সেই কারণেই বিজেপির ওই প্রার্থী তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তুফানগঞ্জে বিজেপির প্রার্থী সহ একাধিক কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: তুফানগঞ্জে বিজেপির প্রার্থী সহ একাধিক কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত কোচবিহার। এবার কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জের রামপুর এলাকা উত্তপ্ত হল। বিজেপির পঞ্চায়েত প্রার্থী সহ মোট চারজন বিজেপি কর্মীর (BJP) বাড়ি ও একটি দোকানে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বক্সিরহাট থানার জোরাই ফাঁড়ির পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের, রামপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গড়ভাঙা ও ঢোঢারকুঠি  এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও বিজেপি (BJP) সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী নিরঞ্জন সরকারের নেতৃত্বে বাইক বাহিনী টহল দেয় গোটা রামপুর এলাকায়। সেই সময় প্রথমে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢোঢারকুঠি ৯/৫৫ নম্বর বুথে সুব্রতলাল সরকারের ধান ঝারাই করার দোকানে বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ ভেঙে ফেলা হয়। তাঁর দোকানের সামনে রাখা বাইক ভাঙচুর চালিয়ে নয়ানজুলিতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঠিক তার পরেই ৯/৫০ নম্বর বুথের গড়ভাঙ্গা বাতানবাড়ি এলাকার বিজেপি পঞ্চায়েত প্রার্থী দুলালী সাহা, বিজেপি কর্মী অখিল সাহা, গোপাল সাহা, নিখিল বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে। ভাঙচুর চালানো হয় ওই বিজেপি কর্মীদের ঘরে থাকা আলমারি, টিভি, ঘরের টিনের বেড়া সহ সমস্ত আসবাবপত্রে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়। বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পাশাপাশি এলাকার লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) কর্মী?

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সুব্রতলাল সরকার বলেন, বিজেপি (BJP)  করা আমার অপরাধ। সেই কারণে আমার দোকানে হামলা চালায় তৃণমূলের তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী নিরঞ্জন সরকার ও তার দলবল। হামলা চালানোর পাশাপাশি আমাকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিষয়টি নিয়ে তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি নিরঞ্জন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়। এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই। বিজেপি (BJP) আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Governor: নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করাটা তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জ, জানিয়ে দিলেন রাজ্যপাল

    Governor: নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করাটা তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জ, জানিয়ে দিলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে হাইকোর্টের নির্দেশ মতো নির্বাচন কমিশন কাজ করছে কিনা, রাজ্যপাল (Governor) হিসাবে সেটা দেখতে আমি বাধ্য। কেননা এটা আমার ডিউটি (Duty)। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যা ঘটে চলেছে, তা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সমস্যার বলেও তিনি মনে করেন। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউসে বিজেপির নেতৃত্বে পাহাড়ের জোট শরিকদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    পাহাড়ের জোট শরিকরা রাজ্যপালকে (Governor) কী জানাল?

    এদিন দার্জিলিংয়ের সাংসদ বিজেপির রাজু বিস্তার নেতৃত্বে পাহাড়ের গোর্খা জোটের আট দলের প্রতিনিধিরা রাজ্যপালের (Governor) সঙ্গে দেখা করে পাহাড়ের পরিস্থিতি জানান। রাজু বিস্তা বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যে শাসক দল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। রক্ত ঝরছে। দার্জিলিং, কালিম্পংয়েও একই পরিস্থিতি। আমাদের জোট প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা ও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দেখানো হচ্ছে টাকার প্রলোভন। এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়েছি। 
    রাজু বিস্তা বলেন, এই বিষয়গুলি আমি জেলা প্রশাসন তথা রাজ্য নির্বাচন আধিকারিকদেরও জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি। এদিন আমাদের বক্তব্য শোনার পর রাজ্যপাল সন্তোষজনক সাড়া দিয়েছেন। নির্বাচন পরবর্তীকালে যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে, তার জন্য গোটা রাজ্যে নির্বাচনের পর ছয় সপ্তাহ আধা সামরিক বাহিনীর রেখে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি রাজ্যপালের কাছে। কেননা ২০২১  সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর শাসক দল বিরোধীদের ওপর হামলা চালিয়েছে, খুন করেছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই আমাদের এই আবেদন।

    কী বললেন রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোস?

    রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোস বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ মতো পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতেই হবে। কিন্তু যা ঘটে চলেছে, তা এই লক্ষ্যপূরণের ক্ষেত্রে সমস্যার। তাই গ্রাউন্ড জিরো লেভেলে গিয়ে আমাকে গোটা পরিস্থিতি দেখতে হবে। আক্রান্তদের সঙ্গে আমাকে কথা বলতে হবে। কারণ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাটা সাংবিধানিক চ্যালেঞ্জ। এটা গণতন্ত্র এবং দেশবাসীর কাছেও চ্যালেঞ্জ। মানুষকে ভোটদানের অবাধ সাংবিধানিক অধিকার দিতে হবে। রাজ্যপাল হিসেবে এটা দেখা আমার ডিউটি (Duty)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share