Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • BJP: উলট পুরাণ, বিজেপিকে হটাতে পঞ্চায়েতে প্রার্থীই দিল না তৃণমূল!

    BJP: উলট পুরাণ, বিজেপিকে হটাতে পঞ্চায়েতে প্রার্থীই দিল না তৃণমূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন উলট পুরাণ! এ যেন নিজের নাক কেটে পরের (BJP) যাত্রাভঙ্গ। পঞ্চায়েত ভোটে এমন নজির সহজে মিলবে না শুধু এই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নয়, হয়তো গোটা রাজ্যেও। কারণ এখানে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের প্রধান লক্ষ্য, নিজের আসন নয়, বরং গ্রাম থেকে বিজেপিকে হটাতে হবে। তাই পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীই দিল না শাসক দল অর্থাৎ তৃণমূল। এমনই নজির বিহীন ঘটনা ঘটল পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লকের কোলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বোরডাঙ্গী গ্রামে।

    গ্রামে দেখা মিলবে বিরল ছবির

    পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে তৃণমূলের প্রার্থী থাকলেও গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান লড়াই বোরডাঙ্গী গ্রামের ৯৬ নম্বর বুথে বিজেপি (BJP) বনাম বাম- তৃণমূল মহাজোটের নির্দল প্রার্থীর মধ্যে। বোরডাঙ্গী গ্রামের ওই বুথে গেলে একদিকে সারি সারি বিজেপির দলীয় পতাকা, আবার দেখা মিলবে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের প্রার্থীর প্রচারের ফ্লেক্সের ওপর তৃণমূল ও সিপিএমের দলীয় পতাকা। এমন বিরল ছবি অন্য কোথাও সহজে দেখা মিলবে কিনা সন্দেহ। বোরডাঙ্গী গ্রামের ওই ৯৬ নং বুথে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন মিতা পাল এবং আম চিহ্নের প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বাম-তৃণমূলের মহাজোটের প্রার্থী অনিন্দিতা পাল। 

    প্রচার(BJP)-পাল্টা প্রচারে সরগরম এলাকা

    গত নির্বাচনে কোলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে থাকলেও বোরডাঙ্গীর এই বুথটিতে জয়লাভ করেছিল বিজেপি। বিজেপির (BJP) দাবি, তারা উন্নয়ন করেছে বিগত পাঁচ বছরে। তাই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার আবেদন জানিয়ে এই নির্বাচনেও ভোট আদায়ে বাড়ি বাড়ি প্রচারে নেমেছেন বিজেপি প্রার্থী মিতা পাল। পাশাপাশি এলাকায় অনুন্নয়নের দাবি তুলে পাল্টা ভোট প্রচার শুরু করেছেন বাম- তৃণমূল জোটপ্রার্থী অনিন্দিতা পাল। তবে কে শেষ হাসি হাসবে এই পঞ্চায়েত ভোটে, তা সময় বলবে।তবে তৃণমূল ও সিপিএমের এই মহাজোট জেলায় একেবারে নজিরবিহীন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পেতে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করার আর্জি, দেওয়াল লিখন ঘিরে বিতর্ক

    TMC: লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পেতে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করার আর্জি, দেওয়াল লিখন ঘিরে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক অজ্ঞতা নাকি সোজাসুজি টাকার টোপ? পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রার্থীর দেওয়াল লিখন ঘিরে চাঞ্চল্য। সোজাসুজি একেবারে পাঁচশো বা হাজার টাকার টোপ। টোপ দিয়ে ভোট টানার চেষ্টা। দেওয়াল লিখন ঘিরে বিতর্ক ভাতারে। এই নিয়ে সরব বিরোধী পক্ষ থেকে গ্রামের সচেতন মানুষ। 

    দেওয়াল লিখনে কী লেখা রয়েছে?

    পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের আমারুন-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৩ নম্বর আসনে ৭ নম্বর সংসদে তৃণমূল প্রার্থী পলসোনা গ্রামের বাসিন্দা নাফিজা বেগম। ইতিমধ্যেই দেওয়াল লিখন ও প্রচার অভিযানে ঝাঁপিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। গোটা গ্রামে ভরে উঠেছে এমন দেওয়াল লিখনে। ভাতারের পলশোনা গ্রামে একাধিক দেওয়ালে লেখা আছে, লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা পেতে হলে নাফিজা বেগমকে জয়ী করুন। লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা পেতে চান? নাফিজা বেগমকে জয়ী করুন। তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর দেওয়াল লিখন ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। নাফিজা বেগম যদি ভোটে না জয়ী হন তা হলে কি লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাওয়া যাবে না? গ্রামে এই নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে টোপ দিয়ে কি ভোট প্রচার করতে পারেন একজন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী? উঠছে প্রশ্ন।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী?

    এ বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী জাহাঙ্গীর মোল্লা বলেন, কর্মীরা দেওয়াল লিখছে। তবে এই  বিষয়টি আমার জানা নেই। ভুল থাকলে  সংশোধন করে নেওয়া হবে।

    গ্রামবাসীদের কী বক্তব্য?

    গ্রামবাসী শেখ ইব্রাহিম বলে, এই ধরনের দেওয়াল লেখা অন্যায়। একে কেউ সমর্থন করছে না। শেখ লালন নামে এক বাসিন্দা বলেন, এটা লেখা ঠিক হয়নি। আর এক গ্রামবাসী শেখ আব্দুল হালিম বলেন, এই নিয়ে আলোড়ন পড়েছে গ্রামে। টাকাটা কি রাজ্য সরকার দেবে, না প্রার্থী দেবেন?

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা নেতা সুধীরঞ্জন সাউ বলেন, এই ট্রেন্ড মুখ্যমন্ত্রী শুরু করেছেন। তাই এখন প্রার্থী দেওয়াল লিখে ভোটারদের টোপ দিচ্ছেন। এই নিয়ে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দরকারে আদালতে যাব।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতা দেবু টুডু বলেন, হয়তো একটু বাক্যগঠনে ভুল হয়েছে। কিন্তু সবাই জানেন , প্রার্থীর জেতা বা হারার সঙ্গে সরকারি প্রকল্পের কোনও যোগ নেই। জিতলেও পাবেন। হারলেও লক্ষ্মীর ভান্ডার পাবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে অনুব্রতর গড়ে জোর কদমে প্রচারে নামল বিজেপি

    BJP: চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে অনুব্রতর গড়ে জোর কদমে প্রচারে নামল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ভোট প্রচার শুরু হল বীরভূমে। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই ৮ জুলাই রাজ্য জুড়ে হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বীরভূম জেলা পরিষদের ২৭ নম্বর জেডপি আসনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী কৃষ্ণকান্ত সাহাকে নিয়ে প্রচার শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব (BJP)। বীরভূমের মোহাম্মদ বাজার ১৮ এবং ১৯ নম্বর বুথে এদিন জোর কদমে প্রচার চালায় গেরুয়া শিবির। এই দুটি বুথ আদিবাসী অধ্যুষিত। এদিন প্রত্যেকটি পাড়ায় মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে জনসংযোগ করেন বিজেপি নেতারা। 

    কীভাবে ক্ষোভের কথা জানাল মানুষ?

    জব কার্ড সহ ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনা, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা সহ নানা প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ রয়ে গিয়েছে মানুষের মনে। বিজেপিকে (BJP) সমর্থন করার কারণে অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। স্কুলগুলিতে নাকি ভালো পড়াশোনা হয় না। ভাতা নয়, বরং ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে যাতে শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নত করা হয়, তারই দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালে গিয়ে পরিষেবা না পাওয়া নিয়েও অভিযোগ উঠে আসে।

    কী আবেদন জানাল গেরুয়া শিবির?

    বীরভূম জেলা পরিষদের ২৭ নম্বরের তিনটি পঞ্চায়েতের মানুষের কাছে তাই গেরুয়া শিবিরের আবেদন, পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে মানুষ যেন মোদিজির আত্মনির্ভর ভারত এবং চোর মুক্ত বীরভূম জেলা গড়তে সহায়তা করেন। এমনটাই জানান বীরভূম জেলা পরিষদের২৭ নম্বর জেডপি আসনে বিজেপি (BJP) মনোনীত প্রার্থী কৃষ্ণকান্ত সাহা। ক্ষমতায় এলে আগামী দিনে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা এই দুটি ব্যবস্থাকে সাজিয়ে তোলার আশ্বাস দিলেন তিনি।

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ বোলপুর এলাকায়

    অন্যদিকে, আগামী ৮ ই জুলাই রাজ্যে এক দফায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করানোর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর অনুমোদন দিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (BJP) ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুলছিলেন। আদালতও সেই দাবিতেই সিলমোহর দেয়। যার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার চিঠি লেখেন। রাজ্যের পাশাপাশি বীরভূমের পঞ্চায়েত নির্বাচনও সুষ্ঠুভাবে করতে শুরু হল তৎপরতা। শনিবার বোলপুরের এসডিপিও নিখিল আগরওয়াল ও বোলপুর থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাসের নেতৃত্বে বোলপুরের রায়পুর-সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুট মার্চ করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: দাঁতনে বিজেপির মহিলা প্রার্থী ও তাঁর ছেলেকে বাঁশ-পেটা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: দাঁতনে বিজেপির মহিলা প্রার্থী ও তাঁর ছেলেকে বাঁশ-পেটা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রক্তাক্ত হল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন। বিজেপির (BJP) মহিলা প্রার্থী কাকলি পাত্র ও তাঁর ছেলেকে বাঁশপেটা করার অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল দাঁতন থানার কেশরম্ভা এলাকায়। ইতিমধ্যেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    জানা গিয়েছে, দাঁতনের কেশরম্ভা ৪ নম্বর বুথের বিজেপি (BJP) প্রার্থী হন কাকলি পাত্র। এদিন দুপুরে বাঁশ নিয়ে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর স্বামীকে হুমকি দেন। মূলত প্রার্থী পদ প্রত্যাহার না করার জন্যই তাঁরা হুমকি দেন। প্রার্থীর ছেলে প্রতিবাদ করলে দুপক্ষই বচসায় জড়িয়ে পড়ে। আচমকাই বাঁশ দিয়ে বিজেপি প্রার্থী কাকলি পাত্র ও তাঁর ছেলেকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাঁশ দিয়ে পেটানোর ছবি রীতিমতো নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই বিজেপি কর্মী ও তাঁর মাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালে। আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীর ছেলে বলেন, মা বিজেপির প্রার্থী হয়েছে, এটাই অপরাধ। আর সেই কারণে বাঁশ নিয়ে কয়েক তৃণমূল কর্মী এসে মা আর বাবাকে হুমকি দিতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করলে ওরা আমাদের উপর চড়াও হয়। রাস্তায় ফেলে আমাদের পেটায়।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি শংকর গুছাইত বলেন, তৃণমূল সন্ত্রাস করে বহু আসনে আমাদের মনোনয়ন জমা করতে দেয়নি। এখন যারা প্রার্থী হয়েছে, তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। প্রতিবাদ করলে বাঁশ দিয়ে লাঠি পেটা করছে। মানুষ এসব মেনে নেবে না। এবার ভোটে তৃণমূলকে মানুষ যোগ্য জবাব দেবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, পাড়াগত বিবাদ। সেটাকে বিজেপি (BJP) রাজনীতির রং লাগাচ্ছে। আসলে পুরানো গণ্ডগোল নিয়ে বাজারে একটি ঝামেলা হয়েছিল। এরসঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। ওরা এখন সব কিছুতেই তৃণমূলকে জড়িয়ে দিয়ে রাজনৈতিক ফয়দা পাওয়ার চেষ্টা করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, মৃত তৃণমূল কর্মী

    Bomb Blast: বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, মৃত তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরার খাদিকুল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূমের পর এবার মুর্শিদাবাদ। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই শনিবার বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা ঘটল। আর সেই বিস্ফোরণে (Bomb Blast) মৃত্যু হল এক তৃণমূল কর্মীর। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আলিম বিশ্বাস। তার বাড়ি কাপাসডাঙায়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে ধারাবাহিকভাবে বোমা উদ্ধার হচ্ছে। দুদিন আগেই ভরতপুর থানার সরকারপাড়া গ্রামের জার ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। সেই জের কাটতে না কাটতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গিয়ছে, এদিন সকালে বেলডাঙার মজ্ঝমপুর নতুনপাড়া এলাকায় একটি পাটখেতে বোমা বাঁধতে গিয়েছিল ওই তৃণমূল কর্মী। সে পাটের জমিতে বোমা তৈরির সরঞ্জাম নিয়ে বোমা তৈরির কাজ করছিল বলে অভিযোগ। বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। তাতে ওই ব্যক্তি গুরুতর জখম হন। স্থানীয় মানুষরা বোমা বিস্ফোরণের আওয়াজ পেয়ে সেই পাটের খেতে গিয়ে দেখেন, ওই তৃণমূল কর্মী রক্তাক্ত অবস্থায় বসে ছিল। বেলডাঙা থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। জখম তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে বেলডাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক সেখ শফিউজ্জামান বলেন, আর কয়েকদিনের মধ্যেই ভোট। লড়াই করার উদ্দেশ্যে বোমা বাঁধছিল তৃণমূলের ভাইয়েরা। বোমা বাঁধতে গিয়ে বোমা ফেটে (Bomb Blast) মৃত্যু হয়েছে ওই তৃণমূল কর্মীর।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল বিধায়ক হাসানুজ্জামান সেখ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। মৃত ওই যুবক তৃণমূল কর্মী না অন্য দল করত তা জানি না। বিরোধীরা অভিযোগ করতেই পারে। এনিয়ে আমি কিছু বলছি না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘বিধায়ক আগুন নিয়ে খেলছেন’, হুমায়ুনকে কেন একথা বললেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী?

    TMC: ‘বিধায়ক আগুন নিয়ে খেলছেন’, হুমায়ুনকে কেন একথা বললেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরতপুরে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে শাসক দলের ছন্নছাড়়া অবস্থা। দলের নির্দেশকে অমান্য করেই তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ভরতপুর বিধানসভার অধিকাংশ পঞ্চায়েতে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন। কয়েকদিন আগেই সালারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিধায়ক প্রকাশ্যে নির্দল প্রার্থীদের হয়ে লড়াই করার কথা বলেছিলেন। নির্দল প্রার্থীদের জয়ী করার তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এবার দলের এই বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

    তৃণমূল (TMC) বিধায়ককে নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

    শুক্রবার ভরতপুর বিধানসভার একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় সভা করেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। দলীয় এই কর্মসূচিতে কোথাও বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না। এই প্রসঙ্গে সালারের সোনারুন্দিতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দল বিরোধী কাজ করতে করতে বিধায়ক খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। বিধায়ক আগুন নিয়ে খেলছেন। জনগণকে দলবিরোধী কাজ করতে বাধ্য করবেন না। যদি শক্তি থাকে তৃণমূলের (TMC) পতাকা ছেড়ে, নৌকো বা বাস নিয়ে চলুন। কেউ ফুটো নৌকা পেয়েছে, কেউ পেয়েছে ভাঙা সাইকেল কেউ আবার চিহ্ন পেয়েছে ভাঙা বাস। কেউ পেয়েছে মোমবাতি, কেউ পেয়েছে টর্চ, দেখবেন আগামীদিনে ওরা কেউ থাকবে না। ভাঙা বাস যেমন রাস্তায় চলে না, ছোট নৌকাও তেমনি নদীতে চলে না। তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশ মেনে চলুন। যাঁরা নির্দল দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কোনও বিতর্ক নয়, দেখবেন জনসমর্থন আপনাদেরই থাকবে।’

    দলীয় কর্মীদের কী বার্তা দিলেন  মন্ত্রী?

    মুর্শিদাবাদের ভরতপুর-২ নম্বর ব্লকের শালু গ্রাম পঞ্চায়েতে এক কর্মী সভায় যোগদান করে তৃণমূলের (TMC) কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘কোনও রাজনৈতিক ভেদাভেদে যাবেন না। একজন মুসলমান আর একজন মুসলমানকে পেটাবেন না। মাথায় হাত বুলিয়ে পায়ে হাত দিয়ে গ্রামের লোককে বুঝিয়ে ভোট ভিক্ষা করে তৃণমূল নেত্রীর হাত শক্ত করুন। পরে, আমি কলকাতায় গিয়ে ৯০ ডিগ্রির ব্যবস্থা থেকে শুরু করে তাবিজ কবজ সবকিছুই করে দেব।’ এদিনের সভায় মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভরতপুর- ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সুমন সহ বহু তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে, কোথাও বিধায়কের দেখা মেলেনি। হুমায়ুন কবীরকে বার বার ফোন করার পরও তিনি ফোন না ধরায় তাঁর প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: দল ছাড়লেন তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের মালদা জেলার চেয়ারম্যান, কেন জানেন?

    Malda: দল ছাড়লেন তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের মালদা জেলার চেয়ারম্যান, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁরা সরব হচ্ছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগেই দল ছাড়লেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের মালদা (Malda) জেলার চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। তাঁর মতো দাপুটে নেতা ভোটের মুখে দল ছেড়ে দেওয়ায় তৃণমূল চরম বেকায়দায় পড়়বে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    কেন দল ছাড়লেন?

    তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের মালদা (Malda) জেলার চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম একা দল ছেড়েছেন, এমন নয়। তিনি ছাড়াও কালিয়াচক-২ নম্বর ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মীনাক্ষি মণ্ডল, মালদা জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সম্পাদক হায়দার আলি বিশ্বাস, বুথ সভাপতি সোহেল রানা সহ একাধিক পদাধিকারীই তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। তাঁদের প্রত্যেকেরই রাজ্যের মন্ত্রী তথা মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্র চালানোর অভিযোগ এনে তাঁরা সকলে দলত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেছেন। সম্প্রতি সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি সহ বহু পদাধিকারী গণ ইস্তফা দিয়েছিলেন। তবে, তাঁরা দলত্যাগ করেননি। দলে থেকেই দলের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন। কিন্তু, এবার দলত্যাগ করলেন সংখ্যালঘু‌ সেলের চেয়ারম্যান সহ একাধিক পদাধিকারী।

    কী বললেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের মালদা (Malda) জেলার চেয়ারম্যান?

    তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের মালদা (Malda) জেলার চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ভালোবেসেই তৃণমূল করতে এসেছিলাম। কিন্তু, দলটা দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। আর কিছুদিন এই দল করলে আমাদেরকেও সাধারণ মানুষ চোর চোর বলে ডাকবে। আর মোথাবাড়়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন দলে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে দল করা যায় না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নবজোয়ার কর্মসূচিতে এসে যে সব কথা বলে গিয়েছেন তা দলের কেউ মানছেন না। ফলে, এই দলের নীতি, আদর্শ বলে কিছু নেই। তাই, আমাদের মতো মানুষের পক্ষে এই দল করা সম্ভব নয়। তাই, পদ ছাড়ার পাশাপাশি দলও আমরা ত্যাগ করলাম।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ! মালদায় ৪৪ শতাংশ আসনে নেই বিজেপি প্রার্থী

    Panchayat Vote: লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ! মালদায় ৪৪ শতাংশ আসনে নেই বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote) ঘোষণার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে হিংসা ছড়িয়েছে। ঝরেছে বেশ কয়েকটি তরতাজা প্রাণ। প্রতি ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় শাসক দল। শুক্রবারই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, ক্যানিং-১ ব্লকে কেন একজনও বিরোধী প্রার্থী পাওয়া গেল না? এনিয়ে হলফনামা জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই চিত্র মালদা জেলাতে দেখা যাচ্ছে। সেখানকার জেলা পরিষদের ৪৩টি আসনেই প্রার্থী দিলেও গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ৪৪ শতাংশ এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রায় ২৮ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারল না ভারতীয় জনতা পার্টি। এর জন্য অবশ্য শাসক দলের সন্ত্রাসকেই দায়ী করছেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু।

    কী বলছেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ?

    এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘‘সন্ত্রাসের কারণেই ৪৪ শতাংশ আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়নি। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হতে চেয়ে অনেকেই আবেদন করেছিলেন আমাদের কাছে। তরুণ প্রজন্ম সব থেকে বেশি উৎসাহী ছিল। ভিড় লক্ষ্য করা গেছে মহিলাদেরও।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বেশ কিছু জায়গায় সন্ত্রাস চালিয়ে ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছে তৃণমূল। তাই মালদা জেলা ভারতীয় জনতা পার্টি গ্রাম পঞ্চায়েত (Panchayat Vote) এবং পঞ্চায়েত সমিতির বহু জায়গায় প্রার্থী দিতে পারেনি।’’ প্রসঙ্গত, শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কমিশনকে জানাতে হবে কেন ২০ হাজারেরও বেশি মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হল? মঙ্গলবার ২৭ জুন হাইকোর্টে এবিষয়ে  হলফনামাও জমা দিতে হবে কমিশনকে। বিরোধীদের তোলা অভিযোগে এভাবেই সিলমোহর দিতে দেখা গেল মহামান্য হাইকোর্টকে।

    মালদার চিত্র

    মালদা জেলা পরিষদের ৪৩ আসনের ৬ জন সংখ্যালঘু প্রার্থী সহ সব আসনেই ভারতীয় জনতা পার্টি প্রার্থী দিয়েছে। তবে গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩,২১৬ আসনের মধ্যে ১,৮১০ আসনে প্রার্থী দিলেও ১,৪০৬ আসন অর্থাৎ প্রায় ৪৪ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতির ৪৩৯ আসনের মধ্যে ৩১৭ আসনে প্রার্থী দিতে পারলেও ১২২ টি আসন অর্থাৎ প্রায় ২৮ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি মালদা জেলা ভারতীয় জনতা পার্টি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: পুজোর ষষ্ঠী-সপ্তমীর বুকিং-এর কী পরিস্থিতি? কী ব্যবস্থা নিল রেল? 

    Indian Railway: পুজোর ষষ্ঠী-সপ্তমীর বুকিং-এর কী পরিস্থিতি? কী ব্যবস্থা নিল রেল? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোয় ভ্রমণের তালিকায় পুরী যাওয়ার ট্রেনগুলিতে (Indian Railway) টিকিটের চাহিদা ভালোই। তবে পুজোয় গন্তব্য হিসেবে পর্যটকরা বেছে নিচ্ছেন মূলত এ রাজ্যের উত্তরবঙ্গকে। কারণ উত্তরবঙ্গে যাওয়ার অনেকগুলি ট্রেন রয়েছে। সেইসব ট্রেনের মধ্যে হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, দার্জিলিং মেল বা পদাতিক এক্সপ্রেসে টিকিটের চাহিদা রয়েছে তুঙ্গে। উত্তরবঙ্গের পর দ্বিতীয় গন্তব্য হিসেবে পর্যটকরা বেছে নিচ্ছেন দিল্লি ও সিমলাকে। দিল্লি ও সিমলার ট্রেনেও টিকিটের চাহিদা যথেষ্ট রয়েছে। উত্তরবঙ্গের ট্রেনগুলিতে টিকিট এখনও পর্যন্ত কনফার্ম পাওয়া গেলেও সিমলাগামী কালকা মেল বা নেতাজি এক্সপ্রেসে এখন থেকেই টিকিট ওয়েটিং লিস্ট চলছে বলে জানিয়েছেন ট্রাভেল এজেন্টরা।

    রিজার্ভেশন  কাউন্টারগুলি (Indian Railway) আগামী চারটি রবিবার খোলা

    পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ এবং দিল্লি ও সিমলার টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। তাই যাত্রীদের কথা ভেবে রবিবারেও রিজার্ভেশন কাউন্টার খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আসন্ন শারদীয়া উৎসবে যাত্রীদের সুবিধার্থে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনের রিজার্ভেশন  কাউন্টারগুলি (Indian Railway) আগামী চারটি রবিবার ২৫ জুন, ২, ৯, ও ১৬ ই জুলাই সকাল ৮ টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত খোলা থাকবে। বারাকপুর, নৈহাটি, যাদবপুর, সোনারপুর, বারাসত, বারুইপুর, টালিগঞ্জ সহ শিয়ালদহ ডিভিশনের ৩৪ টি রিজার্ভেশন কাউন্টার এবং হাওড়া ডিভিশনের সমস্ত রিজার্ভেশন কাউন্টার এই সময়ে খোলা থাকবে। তিনি বলেন, ষষ্ঠীর বুকিং বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে।

    কী জানাচ্ছেন ট্রাভেল এজেন্ট ও যাত্রীরা?

    উত্তর হাওড়ার এক ট্রাভেল এজেন্ট অভিজিৎ মণ্ডল জানান, উত্তরবঙ্গের মধ্যে দার্জিলিং রয়েছে বাঙালির পুজোয় ভ্রমণের তালিকায় প্রথম স্থানে। তারপরে রয়েছে অন্যান্য পর্যটন স্থলগুলি। তবে দিল্লি ও সিমলার ক্ষেত্রেও টিকিটের চাহিদা বেশি। কিন্তু সিমলার ক্ষেত্রে তাঁরা টিকিট পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে ষষ্ঠীর বুকিং শুরু হলেও একদিনের মধ্যেই দার্জিলিংয়ের সমস্ত রিজার্ভেশন টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। যাতে ট্রেনগুলিতে অতিরিক্ত যাত্রী উঠতে না পারে এবং কোনও ধরনের বড় দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া যায়, তাই শুক্রবারই ষষ্ঠী ও সপ্তমীর বুকিং ক্লোজ করে দেওয়া হয়। এর ফলে তাঁরা ওয়েটিং লিস্ট টিকিটও কাটতে পারছেন না। হাওড়ার এক বাসিন্দা নয়না সাহা জানান, সম্প্রতি দক্ষিণের ট্রেনগুলিতে (Indian Railway) কয়েক মাস ধরেই ট্রেন বাতিল ও ট্রেন লেট হওয়ার ঘটনা ঘটছে। সর্বোপরি ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও তাঁদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। কোনও ধরনের ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তাঁরা। তাই এবারের পুজোর গন্তব্য হিসেবে তাঁরা উত্তরবঙ্গকেই বেছে নিয়েছেন। এদিকে পুজোর বুকিং চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে টিকিটের কালোবাজারিও। আরপিএফ বৃহস্পতিবারই এক টিকিট দালালকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে। আরপিএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, যাত্রীরা যাতে সুষ্ঠুভাবে টিকিট কাটতে পারে্‌ তার জন্য রেল পুলিশ যথেষ্ট তৎপর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Child Health: যক্ষ্মা থেকে রক্তাল্পতা, শিশু স্বাস্থ্যের খতিয়ান জানার কমিটিতে নেই শিশু চিকিৎসক!

    Child Health: যক্ষ্মা থেকে রক্তাল্পতা, শিশু স্বাস্থ্যের খতিয়ান জানার কমিটিতে নেই শিশু চিকিৎসক!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কৃমি, ক্ষীণদৃষ্টি কিংবা রক্তাল্পতা, যক্ষ্মা, ভিটামিনের অভাবের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা। শৈশব থেকেই যত্ন নিলে সুস্থ নাগরিক গড়ে তোলা সম্ভব। এর জন্য স্কুল হেলথ প্রোগ্রামের নিদান দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কিন্তু রাজ্যের সেই কাজে (Child Health) সদিচ্ছা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন!

    কী পরামর্শ দিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Child Health)? 

    ভারতে রক্তাল্পতা, ভিটমিনের অভাবের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়ছে। যার জেরে পরবর্তী কালে নানান শারীরিক সমস্যায় ভোগান্তিও বাড়ছে। তাই শিশুকাল (Child Health) থেকেই স্বাস্থ্য সচেতনতা জরুরি। তাছাড়া শিশুরা কোন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য থাকলে দ্রুত সরকারি পদক্ষেপ করা সহজ হবে। তাই এই নজরদারির জন্য রাজ্য, জেলা, ব্লক স্তরে কমিটি গড়ে ওঠা দরকার। স্কুল পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য পরিদর্শন ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানান সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজবে এই কমিটি। সম্প্রতি এমনই পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কৃমি, ভিটামিনের অভাব, রক্তাল্পতা, যক্ষ্মা সহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা চিহ্নিত করে, সেই সব সমস্যা্র সমাধান করাই কমিটির কাজ হবে।

    বিতর্ক কোথায় (Child Health)? 

    কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শ মতো রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর কমিটি তৈরি করেছে। কিন্তু বিতর্ক থেকেই যাচ্ছে। কারণ, শিশু স্বাস্থ্যের (Child Health) জন্য তৈরি কমিটিতে নেই কোনও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। প্রশ্ন উঠছে, শিশুরোগ চিকিৎসক ছাড়া, এই পুরো কর্মসূচি বাস্তবায়ন কীভাবে সম্ভব? চিকিৎসক ছাড়া, রোগ বিশ্লেষণ, কতখানি রোগের প্রকোপ হতে পারে, সে সম্পর্কে ধারণা তৈরি কিংবা কীভাবে সমাধান করা যায়, সেই আলোচনা কি বাস্তব সম্মত হতে পারে? চিকিৎসক ছাড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে কীভাবে কাজ করা যাবে? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে!

    রাজ্যের তৈরি স্কুল হেলথ কমিটিতে কারা আছেন? 

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের তৈরি কমিটিতে আছেন আমলারা। যেমন, এই কমিটির রাজ্য স্তরে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। এছাড়াও রয়েছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব, নারী ও শিশু বিকাশ দফতরের সচিব। মূলত সরকারের অধীনস্থ কর্মীদের দিয়েই কাজ চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কমিটিতে কোনও শিশু-স্বাস্থ্য (Child Health) বিশেষজ্ঞের জায়গা নেই।

    কী বলছে চিকিৎসক মহল? 

    রাজ্য সরকারের এরকম কমিটি তৈরি আসলে সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে বলে মনে করছে চিকিৎসক মহল (Child Health)। তারা জানাচ্ছে, রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বিজ্ঞাপনের কাজেই লাগাচ্ছে। বাস্তবে সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে, এমন পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। চিকিৎসক সংগঠন সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম-এর সম্পাদক সজল বিশ্বাস বলেন, “শিশুরোগ চিকিৎসক অবশ্যই এই কমিটিতে থাকা জরুরি। তা না হলে, বাস্তবে কোনও সমস্যার সমাধান করা যাবে না। আসলে, সরকার পছন্দের আমলা দিয়েই সব কিছু চালাতে চাইছে। তাতে সাধারণ মানুষের উপকার হবে না।” আরেক চিকিৎসক সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম-এর নেতা পূণ্যব্রত গুণ বলেন, “স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে কি এই কাজ সম্ভব? বাস্তবে চিকিৎসক ছাড়া এই ধরনের কমিটি কীভাবে কাজ করতে পারে, তা জানা নেই! তবে এখন তো অনেক কিছুই হচ্ছে! সবটাই সরকারের পছন্দ মতো চলছে! কিছুই নিয়ম মেনে হচ্ছে না।”

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share