Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Toy Train: রেকর্ড আয় করল পাহাড়ের টয় ট্রেন, কত জানেন?

    Toy Train: রেকর্ড আয় করল পাহাড়ের টয় ট্রেন, কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমতল জুড়ে টানা তীব্র দাবদাহে হেরিটেজ টয় ট্রেনের (Toy Train) লক্ষ্ণী লাভ। এক মাসে রেকর্ড আয় করেছে টয় ট্রেন। গত মে মাসে টয় ট্রেনের ইতিহাসে সর্বাধিক আয়ের নজির তৈরি হয়েছে।চলতি আর্থিক বছরের মে মাসে দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্য এই টয় ট্রেনে যত সংখ্যক যাত্রী চড়েছেন এবং এই ট্রেন থেকে রেল যা আয় করেছে, তা আগে কখনও হয়নি।

    টয় ট্রেনে (Toy Train) রেকর্ড আয়ের পরিমাণ কত?

    টয় ট্রেনের (Toy Train) এই ব্যাপক জনপ্রিয়তায় প্রমাণ হচ্ছে, দার্জিলিংয়ে পর্যটকের ঢল নামছে মূলত টয় ট্রেনের আকর্ষণে। এক সময় টাইগার হিল, টি এবং টয় ট্রেনের উপর ভিত্তি করে দার্জিলিংয়ের পর্যটন মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু, আশির দশক থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতা, পানীয় জলের সমস্যা ও অনুন্নত পরিকাঠামোর কারণে দার্জিলিংয়ের পর্যটনে ভাটা পড়েছিল। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে টয় ট্রেনের প্রতি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের দুর্নিবার আকর্ষণে আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দার্জিলিংয়ের পর্যটন। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মে মাসে ৩০ হাজার ৩০৩ জন যাত্রী টয় ট্রেনে ভ্রমণ করেছেন। এর থেকে মোট ৩ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। এর আগে সর্বোচ্চ যাত্রী ও আয় হয়েছিল গত বছরের মে মাসে। তবে, তা এবারের তুলনায় কম। গতবার মোট ২৬,৯০৯ যাত্রী টয় ট্রেনে চড়েছিলেন। আয় হয়েছিল ৩ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা।

    রেল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম এস কে চৌধুরী এবং মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে টয় ট্রেনকে (Toy Train) জনপ্রিয় করতে আমরা সমস্তরকম ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। গত দু’বছর ধরে  শীতকালে ঘুম উৎসব করা হচ্ছে। যেখানে টয় ট্রেনের নানা আকর্ষণীয় দিক ও স্থানীয় শিল্প-সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়। এর পাশাপাশি সব দিক দিয়ে সারা বছর টয় ট্রেন নিয়ে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের মাঝে প্রচার চলছে। পর্যটকদের মনোরম ভ্রমণের জন্য টয় ট্রেনে নতুন কোচ ও নতুন পরিষেবা চালু করা হয়েছে। যুক্ত করা হয়েছে আধুনিক সুযোগ সুবিধা। দার্জিলিং স্টেশনকে হেরিটেজ টাইপ উইন্ডো এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ পয়েন্ট সহ নানা ধরনের ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে টয় ট্রেনকে আপগ্রেড করা হয়েছে। ঘুম স্টেশনের আপগ্রেডেশন চলছে।

     বাড়ানো হয়েছে জয় রাইডের সংখ্যা

    এক প্রশ্নের উত্তরে সব্যসাচী দে বলেন, টয় ট্রেনের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা টয় ট্রেনের জয় রাইডের সংখ্যাও বাড়িয়েছি। নিউ জলপাইগুড়ি-দার্জিলিং দৈনিক পরিষেবা রয়েছে। কিন্তু জয় রাইড নিয়েই পর্যটকদের বেশি উৎসাহ। তাই কোনও পর্যটক যাতে হতাশ না হন, তার জন্য দার্জিলিং ও ঘুমের মধ্যে জয় রাইড পরিষেবা বাড়ানো হয়েছে। স্টিম ইঞ্জিনে জঙ্গল টি সাফারির সঙ্গে চলছে রেড পান্ডা, হিম কন্যা ইত্যাদির মতো জয় রাইড ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দিনহাটায় তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ, চলল চার রাউণ্ড গুলি, কেন জানেন?

    TMC: দিনহাটায় তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ, চলল চার রাউণ্ড গুলি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের দিনহাটা। পরপর চার রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল দিনহাটা বিধানসভার সীমান্ত সংলগ্ন কুর্শাহাট বাজারে। স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা নজরুল হককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানোর সময় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কারা পর পর চার রাউন্ড গুলি চালিয়েছে তা স্পষ্ট নয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল (TMC) নেতা নজরুল হের স্ত্রী স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা। আর স্ত্রী সদস্যা হওয়ায় বকলমে তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। এদিন বাজারে কুর্শাহাট বাজারে তিনি আসলে তাঁকে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ঘিরে ধরেন। তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। খবর পেয়ে নজরুলের অনুগামীরাও সেখানে জমায়েত হন। এরমধ্যেই দুপক্ষের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা চলে। পরে, চার রাউণ্ড গুলি ছোঁড়া হয়। আর এতেই এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়। গ্রামবাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল (TMC) নেতাকে ঘিরে ধরে গ্রামবাসীরা দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, স্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নজরুল আমাদের কাছে থেকে সরকারি প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নাম করে ২০ হাজার, ৩০ হাজার টাকা করে তুলতে শুরু করেন। শাসক দলের নেতা বলে বিশ্বাস করে এলাকার বহু মানুষ তাঁকে টাকা দিয়েছিলেন। আমরাও দিয়েছিলাম। কিন্তু, কেউ ঘর পাইনি। ওই নেতা কাউকে টাকাও ফেরত দেননি। কিন্তু, শাসক দলের নেতা বলে কেউ কিছু বলার সাহস ছিল না। তবে, এবার পঞ্চায়েতের প্রার্থী তালিকায় ওই নেতা বা তাঁর স্ত্রীর ঠাঁই হয়নি। বিষয়টি জানাজানি হতেই ওই নেতাকে ঘিরে টাকা ফেরত চেয়েছি।

    জেলা পুলিশের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, এদিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ সীমান্ত সংলগ্ন কুর্শাহাট বাজারের স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ব্রাঞ্চের সামনে পরপর চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়। ইতিমধ্যেই গুলি চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজনকে আটক করেছে। গুলি চালানোর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: প্রার্থী বাছাই নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল গণ্ডগোল, জেলাজুড়ে শোরগোল

    TMC: প্রার্থী বাছাই নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল গণ্ডগোল, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের (TMC) দুই  গোষ্ঠীর লড়াই এবার প্রকাশ্যে এল। সোমবার রাতে আলিপুরদুয়ারের কাঁঠালতলা এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে হাতাহাতি থেকে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে দলের ওই গোষ্ঠী কোন্দল শাসক দলকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    আলিপুরদুয়ার বিবেকানন্দ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঠালতলা এলাকায় একটি দলীয় কার্যালয়ে শাসক দলের (TMC) কয়েকজন নির্বাচিত সদস্যের উপস্থিতিতে সোমবার সন্ধ্যায় দলের বিরুদ্ধে শাসক দলের অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর দলের অঞ্চল সভাপতি সুকান্ত দের নেতৃত্বে একদল ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতা কর্মীরা সেখানে চলে আসেন। এরপরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে, বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আলিপুরদুয়ার থানার আই সি অনিন্দ্য ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একদল পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ দুই গোষ্ঠীর নেতা কর্মী সমর্থকদের দলীয় কার্যালয় থেকে বের করে দেয়।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতারা?

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা বলেন, “দীর্ঘদিন এলাকা থেকে নির্বাচিত স্বচ্ছ ভাব মূর্তির বেশ কিছু পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিকে এবারে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না বলে দল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ এমন প্রার্থী করা হয়েছে, যাদের সম্পর্কে অনেক অভিযোগ রয়েছে।”

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    দলীয়ভাবে প্রার্থী তালিকা এখনও ঘোষণা না করলেও প্রার্থী নিয়ে অঞ্চল নেতৃত্বদের উপস্থিতিতে ইতিমধ্যে দল একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এসেছে। দলের জেলা সভাপতি জানিয়েছেন ৫০ শতাংশের বেশি বিদায়ী জনপ্রতিনিধিকে এবারে দল টিকিট দেবে না। পারফরম্যান্স বিচার করেই প্রার্থী চয়ন করা হয়েছে। ফলের শাসকদলের টিকিট না পেয়ে এবারে অনেকেই দলের বিরুদ্ধেই যেমন লড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। পাশাপাশি শাসক শিবিরও কার্যত দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে, একে অপরের বিরুদ্ধে শুধু প্রচার নয়, চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদিও দলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক জানিয়েছেন, “দল যাদেরকে প্রার্থী করবে,তাদের হয়েই সকলে লড়বেন। কেউ দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে বা অন্য কোনও দলের হয়ে লড়তে পারেন। এ নিয়ে শাসক দল বাধা দেবে না। শান্তিপূর্ণভাবেই মানুষ ভোট দেবেন, এবং আমরা দলের যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করব।” আলিপুরদুয়ারে পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের বড় কাঁটা শাসক দলই। এহেন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা তুলতে পারেন বিরোধীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Panchayat Election: রণক্ষেত্র ভাঙড়, ব্যাপক বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ আইএসএফ কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Panchayat Election: রণক্ষেত্র ভাঙড়, ব্যাপক বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ আইএসএফ কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। ভাঙড়-২ নম্বর ব্লকের বিজয়গঞ্জ বাজারে আইএসএফ কর্মীদের রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিডিও অফিসের কাছে  পুলিশের সামনেই মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হন এক আইএসএফ কর্মী। তৃণমূলীদের হামলায় বেশ কয়েকজন আইএসএফ কর্মী জখম হন। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটান। অন্যদিকে, এদিন ক্যানিং-১ নম্বর ব্লকেও মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। তৃণমূলীদের তাণ্ডবে রক্ত ঝরল বিজেপি প্রার্থীদের। বিডিও অফিসের ভিতরে পুলিশের সামনেই বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলীদের বাধায় বিজেপি প্রার্থীরা কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) নেত্রী?

    আক্রান্ত দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল, সজল ঘোষ সহ একাধিক নেতৃত্ব। বিডিও অফিসে  জমায়েত হওয়ার পরই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, তৃণমূল এখানে পুলিশের সামনেই তাণ্ডব চালাল। কাউকে ওরা মনোনয়ন জমা দিতে দিল না। এখানে আমরা আর মনোনয়ন জমা দেব না। বিরোধীদের কাউকে মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি। তাই, এখানকার নির্বাচন (Panchayat Election) বাতিল করার জন্য প্রশাসনকে বলব। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ রক্তাক্ত এক বিজেপি প্রার্থীকে দেখিয়ে বলেন, দলীয় প্রার্থীর অবস্থা দেখুন। ভাইপো (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) গণতন্ত্রের কথা বলেছিলেন না, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে।

    কী বললেন আইএসএফ কর্মীরা?

    আইএসএফ কর্মী নাসির আলি মোল্লা বলেন, দলীয় প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election)  মনোনয়ন জমা দিতে  আমরা বিডিও অফিসের দিকে যাচ্ছিলাম। পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে তৃণমূলের। ওই চোরগুলো কুকুরের মতো করে বিডিও অফিসের রাস্তার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে যেতেই ওরা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। লাঠি, লোহার রড দিয়ে পেটানোর পাশাপাশি বোমাবাজি করে গুলিও চালায়। আমাদের বহু কর্মী জখম হয়েছে। একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, এদিন অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচি রয়েছে। সেটা বানচাল করতেই আইএসএফ দুষ্কৃতীদের জমায়েত করে এই তাণ্ডব চালিয়েছে। এখন আমাদের নামে মিথ্যা অফিযোগ করছে। নির্বাচনে (Panchayat Election) মানুষ ওদের যোগ্য জবাব দেবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: প্রার্থীর বাড়ি গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দিচ্ছে পুলিশ! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: প্রার্থীর বাড়ি গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দিচ্ছে পুলিশ! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মনোনয়ন না করা বা প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে হুমকি প্রদান করতে বলেছেন খোদ ডায়মন্ডহারবারের এসপি, এমনই দাবি বিরোধী দলনেতার। ক্যামেরার সামনে কিছু করতে নিষেধ করা হয়েছে, তবে সমস্ত আইসি ও ওসিদের এমন নির্দেশ দিয়েছেন জেলার এসপি, একথা জানান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। প্রসঙ্গত, ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, বসিরহাট পুলিশ জেলার এসপি সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জের পুলিশকে শাহজাহানের কথায় চলতে বলেছে। 

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    জেলায় জেলায় মনোনয়ন ঘিরে অশান্তি চলছেই। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ভাঙড়। ক্যানিং-এ বিজেপির মহিলা কর্মীদেরও মারধর করে তৃণমূলের বাহিনী। গত চারদিন ধরে এটাই সার্বিক চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলার। ইতিমধ্যে রাজভবন ও আদালতের জোড়া নজরে কারণ না দেখালে কোনও প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার নয় বলে ঘোষণা করেছে কমিশন। জেলায় জেলায় মনোনয়ন ঘিরে যে ভাবে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে, তার মধ্য়েই এই নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। এনিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘আগে মনোনয়ন জমা পড়লে তার পরে তো প্রত্যাহার নিয়ে কথা ওঠে।’’ পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘ডায়মন্ডহারবারের এসপি, জেলার সমস্ত ওসি-আইসিদের মিটিং করে বলেছেন, ক্যামেরার সামনে যেন কিছু না হয়। তবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মনোনয়ন যাতে জমা না পড়ে বা মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে।’’

    বসিরহাটের পুলিশ সুপার শাহজাহানকে সন্ত্রাসের ছাড়পত্র দিয়েছেন, দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক এদিন বলেন, ‘‘’ভাইপো’-র কাছে টিকে থাকতেই এমন নির্দেশ দিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের এসপি।’’ পাশাপাশি বসিরহাট পুলিশ জেলার এসপি, জন টমাসের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তাঁর কথায়, ‘‘তিনি সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জে শাহজাহানের কথায় পুলিশকে চলতে বলেছেন। শাহজাহানকে বলেছেন, তুমি রাতে মারো। সেই জন্যই ন্যাজাটে, গতকাল রাতে আমাদের দলীয় দফতর পোড়ানো হয়েছে।’’

    আদালতে দারস্থ হওয়ার কথা বলেছেন শুভেন্দু

    এমন পক্ষপাত আচরণ যে রেয়াত করা হবেনা তা বুঝিয়ে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘এমন শিক্ষা দেব, আপনারা দেখতে থাকুন। আমরা মহামান্য প্রধান বিচারপতির আগামীকালের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি। এটা গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই…।’’

    আরও পড়ুন: রাজ্যপাল নিযুক্ত অন্তবর্তীকালীন উপাচার্যদের বেতন ও ভাতা বন্ধের নির্দেশ রাজ্যের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election:  উপযুক্ত কারণ না দেখালে মনোনয়ন প্রত্যাহার নয়! ঘোষণা কমিশনের

    Panchayat Election: উপযুক্ত কারণ না দেখালে মনোনয়ন প্রত্যাহার নয়! ঘোষণা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসের ৮ তারিখ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুরু হয়েছে মনোনয়ন পর্ব। তানিয়েও বিস্তর অভিযোগ বিরোধীদের। কোথাও প্রশাসনিক কর্তারা বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন কোথাও বা সন্ত্রাস করছে শাসক দল। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছে। এবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তা নিয়ে এল বিশেষ নিয়ম। কমিশন জানিয়েছে, যদি ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হিসাবে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে চান, তাহলে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে হবে। সোমবার কমিশনের তরফে এমনই নির্দেশ এসেছে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকদের কাছে। প্রশাসনিক কর্তারা প্রথমে দেখে নেবেন, যিনি আবেদন প্রত্যাহার করতে এসেছেন তিনি আসল প্রার্থী কিনা! 

    আরও পড়ুন: বারাকপুরে মনোনয়নে এগিয়ে বিজেপি, এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারল না তৃণমূল

    বিরোধীদের চাপেই কি কমিশনের এমন সিদ্ধান্ত?

    ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, বিরোধীদের লাগাতার চাপের ফলেই কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। রাজভবন থেকে আদালত প্রতিটি সংস্তাই এখন কড়া নজর রাখছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। নজর দিচ্ছে মানবাধিকার কমিশনও। তাই রাজ্য নির্বাচন কমিশন অনেকটা বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্তগুলি নিচ্ছে, মত বিরোধী রাজনৈতিক মহলের একাংশের। ১৪৪ ধারা লাগু করার পরেও রোখা যায়নি রাজনৈতিক সন্ত্রাস। সোমবারই রাজ্যের একাধিক জায়গা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মনোনয়ন ঘিরে। বাঁকুড়ার সোনামুখীতে মাথা ফাটে বিজেপি বিধায়কের। 

    হাইকোর্টে বিজেপি

    পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) শাসকদলকে একতরফা সুবিধা দিতেই সর্বদলীয় বৈঠক না ডেকে নির্বাচন ঘোষণা করেছে কমিশন, এমন অভিযোগ বিজেপি গত কয়েকদিন ধরেই করে আসছে। ইতিমধ্যে মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানো সহ একাধিক দাবিতে হাইকোর্টের দারস্থও হয়েছে বিজেপি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সোমবার হাইকোর্ট জিজ্ঞেস করে, ‘‘আইনে কি কোথাও বলা আছে মনোনয়নের জন্য ৭ দিনের সময়সীমার কথা?’’ এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের উত্তর, ‘‘ না সেরকম কোনও আইন নেই।’’ তখনই রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টে জানাল, ১৬ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বাড়াতে প্রস্তুত তারা।

    আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ে জেরবার রাজ্যবাসী! আচমকা বিদ্যুৎ ভবনে ‘হানা’ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: ‘নো ভোট টু তৃণমূল’, বার্তা দিয়ে পঞ্চায়েতে সব আসনে প্রার্থী দিচ্ছে কুড়মিরা

    Panchayat Election: ‘নো ভোট টু তৃণমূল’, বার্তা দিয়ে পঞ্চায়েতে সব আসনে প্রার্থী দিচ্ছে কুড়মিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুড়মি জনজাতিকে তফশিলি উপজাতি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে বারবার আন্দোলনে নেমেছে কুড়মি সমাজ। অবিলম্বে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের তরফে সিআরআই রিপোর্টের ওপর কমেন্ট এবং জাস্টিফিকেশন পাঠানোর দাবিতে রেল অবরোধ, জাতীয় সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি নিয়েছিলেন তাঁরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) এবার জঙ্গলমহলে শাসকদলের উপরে আরও চাপ বাড়াতে চলেছে তাঁরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুর সহ জঙ্গলমহলের চার জেলায় প্রার্থী দিতে চলেছে কুড়মিরা। পাশাপাশি কুড়মি সমাজের পক্ষ থেকে “নো ভোট টু টিএমসি” বা শাসক দলকে একটিও ভোট না দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

    কী বললেন কুড়মি নেতৃত্ব?

    কিছুদিন আগে নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রাম গিয়েছিলেন। সেই সময় নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা জানাতে কুড়মিরা অভিষেকের কনভয়ের সামনে যান। সেই সময় মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত হন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করেছে সিআইডি। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে কুড়মি সমাজের একাধিক নেতাকে। এমনিতেই দাবিপূরণ না হওয়ায় তৃণমূলের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল কুড়মিরা। এবার অভিষেকের কনভয়কাণ্ডে সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election)তৃণমূলকে উচিত শিক্ষা দিতে চাইছে কুড়়মিরা। কুড়মি সমাজের নেতা সুমন মাহাত বলেন,  “জঙ্গলমহলে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ চার জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা প্রার্থী দেব। সেই মতো আমরা প্রস্তুতি শুরু করেছি। ইতিমধ্যেই কারা প্রার্থী হবে তা একপ্রকার চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হল তৃণমূলকে একটাও ভোট নয়। জঙ্গলমহলে কুড়মি সমাজের কোনও সদস্য একটি ভোটও তৃণমূলকে দেবে না। তারজন্য সমস্ত এলাকায় প্রচার করা শুরু হয়েছে।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির দাবি, “কুড়মিদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়েছে। জঙ্গলমহলে শাসকের পাশে সব থেকে বেশি দাঁড়াবে কুড়মি সমাজের মানুষেরাই। ফলে, কে কী বলল তা কিছু এসে যায় না। নির্বাচনের (Panchayat Election) ফলাফলে তা প্রমাণিত হয়ে যাবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বারাকপুরে মনোনয়নে এগিয়ে বিজেপি, এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারল না তৃণমূল

    BJP: বারাকপুরে মনোনয়নে এগিয়ে বিজেপি, এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারল না তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে কে প্রার্থী হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। যার জেরে বারাকপুর মহকুমার দুটি ব্লকের একটি আসনেও এখনও প্রার্থী দিতে পারল না তৃণমূল। বিজেপি (BJP) থেকে অনেকটাই ব্যাকফুটে রয়েছে তৃণমূল। এখনও দলের নীচুতলার কর্মীরা কার হয়ে প্রচার করবে তা বুঝতে পারছেন না। ফলে, দলের অন্দরে এই বিষয় নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কবে, শাসক দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা করবেন তা নিয়ে জল্পনা চলছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল একটি আসনেও প্রার্থী দিতে না পারলেও বিজেপি অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। বিজেপির (BJP) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রথম দিন থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৪০ শতাংশ আসনে আমরা প্রার্থী দিয়ে দিয়েছি। আসলে তৃণমূল এখনও প্রার্থী ঠিক করতে পারেনি। দলের মধ্যেই কোন্দল চলছে।” জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুর-১ ব্লকে বিজেপি সহ বিরোধীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শুরু করেছেন। কিন্তু, সেখানে মাত্র একটি ডিসিআর কাউন্টার রয়েছে। ফলে, প্রার্থীদের চরম নাকাল হতে হচ্ছে। বিরোধী প্রার্থীদের বক্তব্য, ডিসিআরের কাউন্টারের সংখ্যা না বাড়ানোর কারণে মনোনয়ন জমা দিতে দেরি হচ্ছে। শাসক দলের নির্দেশে প্রশাসন এসব করছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় সহ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক নির্মল ঘোষ সহ একাধিক জেলা নেতৃত্ব বৈঠকে বসেন। প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, বারাকপুর-১ এবং বারাকপুর-২ ব্লকে মোট ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এক একটি বুথের জন্য জেলা নেতৃত্বের কাছে একাধিক নাম জমা পড়েছিল। সেই তালিকা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে, সেখান থেকে কোনও সবুজ সংকেত না আসায় জেলা নেতৃত্ব প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারেনি। ফলে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার তৃতীয় দিনেও তৃণমূলের কোনও প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা করতে পারল না। বিলকান্দা-১ পঞ্চায়েত এলাকার এক তৃণমূল কর্মী বলেন, বহুদিন ধরেই প্রার্থী তালিকা নিয়ে প্রস্তুতি চলছে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ও শেষ হতে চলল। কবে, প্রার্থী চূড়ান্ত করবে আমরা বুঝতে পারছি না। এলাকায় প্রচারও করতে পারছি না। এই বিষয়ে জেলা নেতৃত্বের উদ্যোগ গ্রহণ করার দরকার। তৃণমূলের বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেন, “প্রার্থী তালিকা তৈরি রয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো রয়েছে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত মিললেই আমরা তালিকা ঘোষণা করব। এক বা দুদিনের মধ্যেই সমস্ত কিছু হয়ে যাবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন জানেন?

    Panchayat Election: নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) প্রার্থী বাছাইয়ে বুথের কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। নবজোয়ার কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্য জুড়ে প্রার্থী বাছাইয়ে বুথের কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এমনই দাবি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের। কিন্তু, সেই দাবি যে একেবারেই ভিত্তিহীন তা প্রমাণ হয়ে গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের দেওয়ানচক-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে। তাঁদের বক্তব্য, বুথের কর্মীদের মতামত না নিয়েই তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। সেই প্রার্থী পছন্দ নয়। তাই নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন ৮ জন তৃণমূল কর্মী।

    কী বললেন নির্দল প্রার্থীরা?

    একাধিকবার ব্লক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে জেলা নেতৃত্ব এমনকী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হলেও প্রার্থী তালিকাতে বিস্তর ফারাক। ঘাটাল ব্লকের দেওয়ানচক-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইয়ে বুথের তৃণমূল কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাই,  তৃণমূল কর্মীরা দল বেঁধে সোমবার ঘাটাল বিডিও অফিসে গিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। দেওয়ানচক ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নলগেড়িয়া, রঘুনাথপুর, চকসাদি গ্রামের নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রার্থীদের বক্তব্য, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল করছি। এমনকী অঞ্চলের একাধিক পদের দায়িত্ব সামলেছেন অনেকেই। কিন্তু, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) আমাদের কথা না শুনে তৃণমূলের ব্লকস্তরের নেতা কর্মীরা তাঁদের খেয়াল খুশি মতো প্রার্থী বাছাই করেছে। তাই, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের পঞ্চায়েতে মোট ১৯টি আসন রয়েছে। আপাতত ৮টি আসনে আমরা প্রার্থী দিয়েছি। আরও প্রার্থী দেব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিষ হুতাইত বলেন, দলগতভাবে আমাদের মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয়নি। যারা নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছে তারা আদৌ তৃণমূল করে কি না তা আমরা জানি না। ফলে, ওরা কী অভিযোগ করল তা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ব্লকে ব্লকে মনোনয়ন করালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ব্লকে ব্লকে মনোনয়ন করালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হতেই সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর  জেলার বিভিন্ন বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দেওয়ার তদারকি করতে দেখা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar)। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন ব্লকের বিডিও অফিসে বিজেপির প্রার্থীদের সঙ্গে করে মনোনয়ন জমা করাতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 

    এনিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এনিয়ে বলেন, ‘‘দক্ষিণ দিনাজপুরে আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী অন্য দল যদি মনে করে আমাদের মনোনয়নে বাধা দেবে তাহলে তার ব্যবস্থা আমরা করবো। নমিনেশনের সময় আমি নিজেও হাজির থাকছি। আমি এখন তপন বিডিও অফিসে নমিনেশন জমা করলাম এরপর গঙ্গারামপুর বিডিও অফিসে যাবো। আমরা গিয়ে দেখবো সেখানে কত বড়ো বড়ো গুন্ডা আছে।’’  গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে সন্ত্রাসের কথাও এদিন শোনা যায় বালুরঘাটের সাংসদের মুখে। রবিবার সন্ধ্যায় বালুরঘাট শহরে সান্ধ্য ভ্রমণে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। 

    রবিবার সন্ধ্যায় বালুরঘাটে জনসংযোগ সারেন সাংসদ

    শেষ কবে সন্ধ্যাবেলায় পায়ে হেঁটে নিজের শহরে ঘুরেছেন তা মনে নেই বিজেপির রাজ্য সভাপতির। তাই নিজ বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি চলে আসেন বালুরঘাট থানা মোড়ে। সেখানে একটি চায়ের দোকানে জমিয়ে আড্ডা দেন ও পরিচিতদের খোঁজ খবর নেন তিনি। সাংগঠনিক কাজে মাসের বেশির ভাগ সময়ই তাঁকে বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। পাড়ার দোকানে চা খান। তার পর পায়ে হেঁটে এলাকা ঘোরেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । এ বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘‘আমি কলকাতা থেকে বালুরঘাটে আমার বাড়িতে এসেছি। আজ রবিবার সন্ধ্যায় কোনও দলীয় কর্মসূচি নেই তাই আমি হেঁটে বেরিয়েছি। বহু দিন পর সময় পেয়েছি। তাই হাঁটতে শুরু করলাম। আমার এলাকার স্থানীয় মানুষ অনেকের সঙ্গে দেখা হল। তাঁদেরও খোঁজ খবর নিলাম।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share