Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Weather Report: নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা! তাপপ্রবাহ চলবে ১০ জুন পর্যন্ত, কবে আসবে বর্ষা?

    Weather Report: নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা! তাপপ্রবাহ চলবে ১০ জুন পর্যন্ত, কবে আসবে বর্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়েই চলছে তাপপ্রবাহ। হাওয়া অফিস (Weather Report) জানিয়েছে, এই অস্বস্তিকর আবহাওয়া চলবে ১০ জুন অবধি। আগামী চার দিনে তাপপ্রবাহের কারণে রাজ্যের ১৪ টি জেলায় ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে উত্তরবঙ্গের তিন জেলা। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই বর্ষা ঢোকার কথা কেরলে। কিন্তু ৬দিন পেরিয়ে গেলেও বর্ষা আসেনি দক্ষিণের উপকূলে। মৌসম ভবন বলছে, বর্ষার অনুকূল অবস্থা তৈরির জন্য এখনও এক-দুদিন লেগে যেতে পারে।

    বাংলাতেও দেরিতে বর্ষা? 

    বাংলায় বর্ষা ঢোকে ৭ জুন। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার যাত্রা শুরু হয় ১০ জুন থেকে, কলকাতায় ১২ জুন। এসবই হাওয়া অফিসের হিসাব। কিন্তু কেরলে দেরি হলে বাংলাতেও বর্ষা ঢুকতে দেরি হবে, এটাই স্বাভাবিক। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে কেরলে বর্ষা পৌঁছায় ৮ জুন। সেবার কলকাতায় বর্ষা ঢোকে ১৬ জুন, গোটা বাংলাতে বর্ষা ঢুকতে সময় লেগেছিল ২২ জুন। অর্থাৎ কেরলে বর্ষা পিছলে স্বাভাবিক নিয়মে বাংলাতেও তা পিছিয়ে যাবে। কারণ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু হিমালয়ে ধাক্কা খেয়ে ফিরে যখন পশ্চিমবঙ্গে আসে, তখনই বাংলায় বর্ষা শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ-পরীক্ষায় বাইরের সংস্থাকে দিয়ে মূল্যায়ন? বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    রাজস্থানকে টেক্কা দিল কলকাতা

    অস্বস্তিকর আবহাওয়া এখনই যাচ্ছে না। তা ১০ জুন পর্যন্ত চলবে এবং প্রতিদিনই এক থেকে দুই ডিগ্রি করে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, গরমের নিরিখে রাজস্থানের মরু শহরকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে কলকাতা।

    কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাসও (Weather Report) মিলেছে

    মঙ্গলবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ৭ জুন বুধবার সকালের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোনও কোনও জায়গায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে চলবে তাপপ্রবাহ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: অধীরের সভার প্রচার করতে গিয়ে আক্রান্ত মহিলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Murshidabad: অধীরের সভার প্রচার করতে গিয়ে আক্রান্ত মহিলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার আনুমানিক রাত নটা নাগাদ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগরে রাস্তার উপর তৃণমূলের কয়েকজন দুষ্কৃতী এক মহিলাকে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। ওই মহিলাকে এমন ভাবে মারধর করা হয়, তাঁর ডান হাতের আঙুল থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। মহিলাকে মারধর করার জন্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলছে, রাজ্যে মহিলাদের সুরক্ষা কোথায়?

    রানিনগরে (Murshidabad) কী হয়েছিল?

    আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রানিনগরে (Murshidabad) কংগ্রেসের একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেই সভায় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরি থাকবেন বলে ওই মহিলা সামাজিক মাধ্যমে প্রচারও করেন। আর তার পরেই তৃণমূলের নাজমুল সহ আরও অনেক নেতা তাঁকে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। 

    আক্রান্ত মহিলার বক্তব্য

    আহত মহিলার দাবি, কিছুতেই তিনি এই রাস্তা থেকে সরবেন না, যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন (Murshidabad) তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আটক করছে। সেই সঙ্গে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় শুয়ে থাকবেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কোনও প্রশাসন নেই। সভার প্রচারকে কেন্দ্র করে শহরে মিছিল করা হবে বলে আমি কর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জানাই। আর তার পরেই তাঁর উপর এই আক্রমণ হয় বলে তিনি জানান। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, যারা আমার উপর আক্রমণ করেছে, তাদের মধ্যে আমি নাজমুলকে চিনি, সে তৃণমূল করে। আর যারা সাথে ছিল তাদেরকেও চিনি আমি। কিন্তু নাম জানি না।

    প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ

    রানিনগরের (Murshidabad) শেখপাড়ায় ওই ঘটনা এলাকার ব্যবসায়ীদের আতঙ্কিত করে তুলেছে। রাতে রাস্তায় লোকজন বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, পুলিশ কী সহযোগিতা করবে! আমাদেরকেই পুলিশকে সহযোগিতা করতে হয়। পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। সেই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন মহিলারা মার খাচ্ছে, ধর্ষিতা হচ্ছে। কিন্তু মহিলাদের উপর আক্রমণ চলছে, অথচ প্রশাসনের কোনওরকম ভ্রুক্ষেপ নেই। বিরোধী রাজনৈতিক দলের বক্তব্য, এরপরও কী করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এখনও আইন আছে! উনি কোন চশমা ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গের আইন ব্যবস্থাকে জাগ্রত রেখেছেন, সেটাই প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ভাটপাড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে, বল গড়াল পুলিশ কমিশনারের কোর্টে

    TMC: ভাটপাড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে, বল গড়াল পুলিশ কমিশনারের কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলা নেতৃত্বের হস্তক্ষেপেও মিটল না ভাটপাড়া পুরসভার তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার এই কোন্দল বারাকপুর পুলিশ কমিশনারের অফিস পর্যন্ত গড়াল। ভাটপাড়ার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়ের বিরুদ্ধে ২৪ জন কাউন্সিলর এদিন পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। মাসখানেক আগেই সত্যেনবাবুর স্ত্রী পুলিশ কমিশনারের কাছে স্বামীর উপর হামলা হওয়ার আশঙ্কা করে চিঠি দিয়েছিলেন। সত্যেনবাবুর উপর হামলা হওয়ার পর তিনিও পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এবার তাঁর বিরুদ্ধে ২৪ জন কাউন্সিলর এসে পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    অভিযোগ জানিয়ে কী বললেন তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলররা?

    কয়েকদিন আগে ভাটপাড়া পুরসভার ভিতরেই অর্জুন ঘনিষ্ঠ তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর সত্যেনবাবুকে বেধড়ক পেটানো হয়েছিল। সেই ঘটনার জের জেলা তৃণমূলের কার্যালয় পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সুবিচার চেয়ে সত্যেনবাবু জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। এমনকী নিজে কাউন্সিলর থেকে পদত্যাগ করার হুমকি দেন। সাংসদ অর্জুন সিং কাউন্সিলর হামলার ঘটনায় সত্যেনবাবুর পাশে দাঁড়িয়েছেন। এমনকী দল কোনও ব্যবস্থা না নিলে জগদ্দল, কাঁকিনাড়ার মতো ঘটনা ঘটবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় চরম বিড়ম্বনায় পড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব। বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেছিলেন, খুব শীঘ্রই ভাটপাড়ায় গিয়ে সমস্যার সমাধান করব। তার আগেই ফের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। এদিন ভাটপাড়া পুরসভার ২৪ জন কাউন্সিলর দল বেঁধে পুলিশ কমিশনারের কাছে পুলিশি হয়রানি এবং সত্যেন রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তাঁদের বক্তব্য, সত্যেনবাবু আমাদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছেন। পুরসভাকে নানা ভাবে বদনাম করছেন। পুরসভার উন্নয়নে বাধা দিচ্ছেন। তাই, আমরা পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ করলাম।

    কী বললেন সাংসদ অর্জুন সিং?

    এই বিষয়ে তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর সত্যেনবাবু বলেন, আমিও আগে অভিযোগ করেছি। পুলিশ দুপক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। ২৪ জন কাউন্সিলরের পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানানো প্রসঙ্গে অর্জুন সিং বলেন, আমাদের দলের জেলা সভাপতি তাপস রায়। পুলিস কমিশনার তো জেলা সভাপতি নয়। তাহলে তাঁর কাছে কেন এসব অভিযোগ জানাতে গেলেন, আমি বলতে পারব না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Accident: দুর্ঘটনার পর ৪ দিন পার, এখনও খোঁজ নেই রাজ্যের ৪ পরিযায়ী শ্রমিকের

    Coromandel Accident: দুর্ঘটনার পর ৪ দিন পার, এখনও খোঁজ নেই রাজ্যের ৪ পরিযায়ী শ্রমিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালেশ্বরে দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) কবলে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ভাতারের খোকনের পরিবারের লোকজন শনিবার সকালে খবর পান, ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়েছে। আর তাই তড়িঘড়ি তাঁরা খোকনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বারবার যোগাযোগ করেও ফোন সুইচড অফ আসে। কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। অপর দিকে, দুর্ঘটনার চারদিন পরেও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বীরভূমের কনকপুর গ্রামের তিন যুবকের। উদ্বিগ্ন এঁদের সবার পরিবারের সদস্যরা।

    দুর্ঘটনায় (Coromandel Accident) নিখোঁজ পূর্ব বর্ধমানের ১ রাজমিস্ত্রি

    এক চিলতে বাড়ির মধ্যেই স্ত্রী ও দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে বসবাস। সংসারের অভাব মেটাতে ও বাড়ি তৈরি করার জন্য কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ভাঁটাকুল গ্রামের বাসিন্দা শেখ খোকন। দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) দিন অর্থাৎ শুক্রবার সকাল আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। শালিমার স্টেশনে ট্রেনে চেপে পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা। ট্রেনেই বাড়ির তৈরি খাবার খাচ্ছেন তিনি, এ কথা জানিয়েছিলেন খোকন। সব কিছু স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু পথেই ঘটল বিপত্তি।

    পরিবারের দুশ্চিন্তা

    স্বামীর সন্ধান না পেয়ে শনিবার রাতেই ওড়িশার বালেশ্বরের উদ্দেশে রওনা দেন খোকনের স্ত্রী বুলটি বিবি সহ আত্মীয়-স্বজনরা। প্রায় চারদিন অতিক্রান্ত। দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) পর এখনও খোঁজ নেই খোকনের। বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ। বাবার ছবি হাতে নিয়ে কান্নাকাটি করছে দুই নাবালক সন্তান। শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে প্রতিবেশীরা রান্না করা খাবার বাড়িতে দিয়ে যাচ্ছেন। আদৌ কি খোকন বাড়ি ফিরবেন! নাকি তাঁর কোনও দুঃসংবাদ আসবে! এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবার। পরিবারের দাবি, গ্রামে কোনও কাজকর্ম নেই, বাড়িতে আর্থিক অনটন। পেটের তাগিদেই কেরলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন খোকন। স্ত্রীর কানের দুল স্বর্ণকারের কাছে বন্ধক রেখে সেই টাকা নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন খোকন। এখন তাঁর অপেক্ষায় দিন গুনছেন পরিবারের সদস্যরা।

    দুর্ঘটনায় (Coromandel Accident) বীরভূম থেকে নিখোঁজ আরও ৩  

    করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) চারদিন পরেও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না পাইকর থানার কনকপুর গ্রামের তিন যুবকের। দুর্ঘটনার দিন শালিমার থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে উঠে চেন্নাইয়ে শ্রমিকের কাজ করতে যাচ্ছিলেন সানাউল সেখ, রফিকুল সেখ ও শান্ত সেখ। ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকে তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকী তাঁদের সঙ্গে থাকা মোবাইলেও যোগাযোগ করতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। তবে তাঁদের খোঁজে ইতিমধ্যেই বালেশ্বর পৌঁছেছেন আত্মীয়রা কিন্তু সেখানে গিয়েও খোঁজ মেলেনি। এদিকে নিখোঁজ শ্রমিকদের বাড়ি গিয়ে সমবেদনা জানান মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: পরিবারের একমাত্র রোজগেরের প্রাণ গেল ট্রেন দুর্ঘটনায়, দুই সন্তানকে নিয়ে অসহায় স্ত্রী

    Train Accident: পরিবারের একমাত্র রোজগেরের প্রাণ গেল ট্রেন দুর্ঘটনায়, দুই সন্তানকে নিয়ে অসহায় স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামে কোনও কাজ নেই। দিনের পর দিন হাতে কাজ না থাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের বেগুয়াখালির স্বপন প্রামাণিক। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতেই ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। করমণ্ডল এক্সপ্রেস ধরে তিনি কেরল যাচ্ছিলেন। বালেশ্বরের কাছে ঘটে সেই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident)। তারপর থেকে স্বপনবাবুর কোনও খোঁজ মিলছিল না। পরিবারের লোকজন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দরবার করেছেন। কিন্তু, কেউ তাঁর হদিশ দিতে পারেনি। রবিবার রাতে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। তাঁর মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছাতেই পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। সোমবার মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।

    কী বললেন স্বপনবাবুর ছেলে?

    স্ত্রী, দুই সন্তান মিলে চারজনের ভরা সংসার ছিল। এক চিলতে মাটির বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। দুই ছেলের নাম শুভদীপ প্রামাণিক ও সুমন প্রামাণিক। শুভদীপের বয়স ১৭ বছর। সে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ে। আর সুমনের বয়স ১৩ বছর। সে অষ্টম শ্রেণীতে পড়়ে। এতদিন লোকের জমিতে চাষ করেই সংসার চালাতেন স্বপনবাবু। স্বপনবাবুর বড় ছেলে শুভদীপের বক্তব্য, বাবার এক পরিচিত কেরলে কাজ করেন। তিনি বাবাকে কেরলে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বাবা প্রথমে যেতে রাজি হয়নি। কিন্তু, সংসারের হাল দেখে বাবা মত বদলায়। বাইরে গিয়ে ভালো রোজগার করে এনে আর যাবে না বলেছিল। কিন্তু, ট্রেনে চাপার কয়েক ঘণ্টা পরই আমরা দুর্ঘটনার (Train Accident) খবর পাই। তারপর থেকে বাবার কোনও খোঁজ পাইনি। এদিন বাবার মৃত্যুর খবর পাই।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, স্বপনবাবু পরিবারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন। অন্যের জমিতে কাজ করে তাঁর সংসার চলত। কিন্তু, এই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) পর কী করে সংসার চলবে তা নিয়ে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি। কারণ, আর ওর পরিবারে রোজগার করার মতো এখন কেউ নেই। ছেলেরা ছোট। এই বিষয়ে প্রশাসন উদ্যোগী না হলে ওই সংসারটি একেবারে ভেসে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata High Court: ধাক্কা খেল রাজ্য! বামেদের জোড়া কর্মসূচির অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    Kolkata High Court: ধাক্কা খেল রাজ্য! বামেদের জোড়া কর্মসূচির অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বামেদের জোড়া কর্মসূচির অনুমতি দিল হাইকোর্ট। একটি বারাসতের কাছারি মাঠে, অন্যটি হাওড়ার কাজিপাড়ায়। কাছারি মাঠে মঙ্গলবার সভার সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিল সিপিএম। কিন্তু পরে তা বাতিল করা হয়। এ নিয়ে মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের আইনজীবীর বক্তব্য, এডিএম ভুল করে ওই অনুমতি দিয়েছেন। সব প্রস্তুতি নেওয়ার পরে সভায় আপত্তি সঠিক নয় বলে মনে করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এবং সোমবার তিনি ওই সভার অনুমতি দেন। প্রসঙ্গত, এর আগে শুভেন্দু অধিকারীর সভা নিয়েও জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। নন্দীগ্রামের সভা, চন্দ্রকোণা, পটাশপুর থেকে বাঁকুড়ার সিমলাপাল-বিভিন্ন ক্ষেত্রে সভার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তখন কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) দ্বারস্থ হয়ে সেই কর্মসূচির অনুমতি নিয়ে আসে বিজেপি। এবার সেই একই পথে হেঁটে অনুমতি নিয়ে এল বামেরাও।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ-পরীক্ষায় বাইরের সংস্থাকে দিয়ে মূল্যায়ন? বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    বারাসতের কাছারি মাঠের সভা

    রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানান, এডিএম ভুল করে অনুমতি দিয়ে ফেলেছিলেন। যে মাঠে সভার জন্য আবেদন করা হয়েছে, তার পাশেই বারাসত আদালত। জেলা শাসকের চত্বরও বটে। ২০১৭ সাল থেকে এই মাঠে কোনও সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেও জানান রাজ্য সরকারের আইনজীবী। কিন্তু একবার যে সভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেই সভার আবেদন বাতিল করা উচিত নয় বলেই মনে করেন রাজাশেখর মান্থা।

    হাওড়ার কাজিপাড়ার মিছিল

    অন্যদিকে কাজিপাড়ায় বামফ্রন্টের একটি মিছিল হওয়ার কথা মঙ্গলবার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিছিলের অনুমতি ১৮ মে-ই দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রথমে প্রশাসন অনুমতি দিলেও পরে জানিয়ে দেওয়া হয়, মাঠ সংস্কারের কাজ চলছে। তাই সভা বাতিল করতে হবে। এ নিয়ে মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। হাওড়া সিপিএমের ওই সভার অনুমতি দিয়ে বিচারপতি মান্থা এদিন জানান, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল, মিটিং করার অধিকার আছে। তাই সিপিএম হাওড়ায় মিছিল করতে পারবে। শর্তসাপেক্ষে তিনি এদিনের মিছিলের অনুমতি দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: তৃণমূলের নবজোয়ার শেষ হতেই জেলায় শুরু বিজেপির জনসম্পর্ক অভিযান

    Paschim Medinipur: তৃণমূলের নবজোয়ার শেষ হতেই জেলায় শুরু বিজেপির জনসম্পর্ক অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচি শেষ হতেই ময়দানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং দলের কার্যকর্তারা। রবিবার থেকেই একাধিক জায়গায় কর্মসূচি করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সামনেই পঞ্চায়েত এবং লোকসভার ভোট। আর তাকে লক্ষ্য করেই ময়দানে নেমে পড়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। বিজেপি এবার শুরু করে দিল জনসম্পর্ক অভিযান।

    পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) কোথায় গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    রবিবার কেশিয়াড়িতে জনসম্পর্ক সভা করেন সুকান্ত মজুমদার। তারপরই সোমবার সকালে ডেবরার (Paschim Medinipur) পিংলা ব্লক এলাকায় বিশেষ জনসম্পর্ক অভিযান করেন তিনি। গত ন-বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের নানাবিধ প্রকল্প এবং সুবিধার কথা তিনি সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে বলার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে।

    কী বলেন সুকান্ত মজুমদার?

    রাজ্য সরকারের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে পিংলায় (Paschim Medinipur) সুকান্ত মজুমদার বলেন, কাকু হোন বা ডাকু হোন, বাঁচবে না কেউ। মুখে কুলুপ দেন আর কুলপি নিন, যাই করে থাকুন না কেন, কীভাবে কথা বের করতে হয়, সিবিআই-ইডি সব জানে। সব কথা প্রকাশ পাবে, গোপনে কিছুই থাকবে না। সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন গোটা দেশে ৫৪০ টির বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই সঙ্গে ১৪০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এবং ৮০০ টির বেশি ঘটনায় লাইনচ্যুত হয় রেল। মুখ্যমন্ত্রী রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগ দাবি করছেন! কিন্তু তার আগে তো ডবল ডবল পদত্যাগ করা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। কারণ রাজ্যে ডবল ডবল চাকরি হয়নি। এই প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু আরও বলেন, এই মুখ্যমন্ত্রীর সময়েই জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু এই দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট সামনে আসতে দেননি তিনিই। এর কারণ, মূলচক্রী মাওবাদী নেতা ছত্রধর মাহাতো এখন তাঁরই দলের লোক। ঠিক এই ভাবেই জনসম্পর্ক অভিযানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অগ্নিবাণ নিক্ষেপ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Board: নিয়োগ-পরীক্ষায় বাইরের সংস্থাকে দিয়ে মূল্যায়ন? বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Primary Board: নিয়োগ-পরীক্ষায় বাইরের সংস্থাকে দিয়ে মূল্যায়ন? বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ‘কনফিডেন্সিয়াল সেকশন’ বলে পরিচিত ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’-র বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, পর্ষদের বাইরে এমন এক সংস্থাকে কনফিডেন্সিয়াল সেকশন বলে অভিহিত করা যায় না। আইনে পর্ষদের (Primary Board) হাতে এই ধরনের কোনও ক্ষমতা দেওয়া আছে কিনা, তাও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি ওএমআর শিট মূল্যায়নকারী একটি সংস্থা। ২০২০ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের একটি মামলার শুনানি ছিল সোমবার। সেখানেই এমন মন্তব্য করতে শোনা যায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। তিনি এদিন এও জানান, আলাদা করে বাইরের কোম্পানিকে দিয়ে তথ্য যাচাই করা যায় না।

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচার মামলায় ৮ জুন রুজিরাকে সিজিও-তে তলব ইডি-র

    এর আগেও বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চ মাসে ২০১৪ সালের টেস্ট সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মানিক ভট্টাচার্যকে ভর্ৎসনা করে বলেছিলেন, কনফিডেন্সিয়াল সেকশন বলে যার উল্লেখ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Board) করছে, সেই এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের ঠিক কী সম্পর্ক ছিল? কেন এই সংস্থাকে কনফিডেন্সিয়াল সেকশন বলা হচ্ছে, এদিন তাও জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও পর্ষদ এদিন এর কোনও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।

    প্রসঙ্গ সুজয়কৃষ্ণ……

    এই মামলার শুনানিতেই চলে আসে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেফতারি প্রসঙ্গও। বিচারপতির বক্তব্য, “কোন ভদ্র না অভদ্র গ্রেফতার হয়েছেন, তা নিয়ে ভাবিত নই। কিন্তু ‘কনফিডেন্সিয়াল সেকশন’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পর্ষদের হাতের বাইরে থাকা উচিত নয়।” প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় একাধিক উল্লেখযোগ্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচার মামলায় মলয় ঘটককে দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ ইডি-র

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Accident: শুরু হল ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত, কী বললেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি?

    Coromandel Accident: শুরু হল ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত, কী বললেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালেশ্বরের বাহানাগা স্টেশনের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য কে দায়ী? ভুল সিগন্যালের জন্য এই ঘটনা ঘটেছে, না এর পিছনে রয়েছে নাশকতা! সেই প্রশ্নই দেশবাসীর মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রী এই দুর্ঘটনার সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছেন। রবিবার রাতে দুর্ঘটনাস্থলে রেলমন্ত্রী দাঁড়িয়ে থেকে মালগাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করে দেন। এবার এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শুরু করল রেল কর্তৃপক্ষ। সোমবার খড়্গপুরের জোনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (সাউথ ইস্টার্ন সার্কেল) আনন্দ এম চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে একটি টিম ওই ট্রেন দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) তদন্ত শুরু করল। এখানে মূলত ওই এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীদের ডাকা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় যে সমস্ত রেলকর্মী কর্তব্যরত ছিলেন, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। পাশাপাশি ঘটনার দিনের বেশ কিছু নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। সেইসব নথিপত্র নিয়ে রেলের আধিকারিকরা এদিন তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হন। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও দুদিন ধরে এই জিজ্ঞাসাবাদ চলবে।

    কী বললেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (সাউথ ইস্টার্ন সার্কেল)?

    প্রথম পর্যায়ের জিজ্ঞাসাবাদ এবং নথি সংগ্রহের পরেই সিআরএস আনন্দ এম চৌধুরী বলেন, তদন্তে নেমে সিগন্যালিং সিস্টেম, ইন্টারলকিং সিস্টেম সহ সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ইতিমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে বেশ কিছু নমুনা। আরও দিন তিনেক ধরে চলবে এই তদন্ত প্রক্রিয়া। তদন্ত শেষে রেল বোর্ডের কাছে জমা দেওয়া হবে রিপোর্ট। এদিন ট্রেন দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) বিষয় নিয়ে পাঁচ-ছজন রেলকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমরা কথা বলব। এই ট্রেন দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এবিষয়ে সিআরএস বলেন, এই তদন্তের সঙ্গেই চলবে সিবিআই তদন্ত। তাতে কিছু সমস্যা হবে না। এদিন এলাকার কিছু মানুষ এসেছেন। তাঁদের সঙ্গেও আমরা কথা বলব।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Murshidabad: সামশেরগঞ্জের আমবাগান থেকে দুই ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার, ব্যাপক চাঞ্চল্য

    Murshidabad: সামশেরগঞ্জের আমবাগান থেকে দুই ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার, ব্যাপক চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত সপ্তাহেই মুর্শিদাবাদের রানিনগরে ফলের বাগানে, রেজিনগরে পাট ক্ষেতে এবং ডোমকলে নদীর ধারে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। এই জেলায় (Murshidabad) ফের পঞ্চায়েত ভোটের আগে একটি আমবাগান থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের জীবনে এখন বোমার আতঙ্ক যেন নতুন সংযোজন।

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) কীভাবে বোমা উদ্ধার?

    রাজ্যে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর ঠিক তার আগেই ফের ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমার খোঁজ মিলল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। সোমবার সকাল সকাল এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে সামশেরগঞ্জ থানার হাউসনগর কৃষক বাজার সংলগ্ন এলাকায়। এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাউসনগর কৃষক বাজারের উল্টো দিকে একটি আমবাগানে হানা দেয় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। তারপর সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় দুই ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা। এরপর ঘটনাস্থলকে ঘিরে রেখে, খবর দেওয়া হয় বোম স্কোয়াডকে। কে বা কারা আমবাগানে বোমাগুলো রেখেছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। দুই ব্যাগে প্রায় ১৫ টি বোমা থাকতে পারে বলেই অনুমান পুলিশের। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে একের পর এক বোমা উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে সামশেরগঞ্জের রাজনৈতিক মহলে।

    এবার দেখা যাক, এর আগে জেলার কোথায় কোথায় বোমা উদ্ধার হয়েছিল।

    রানিনগরে (Murshidabad) বাগান থেকে উদ্ধার বোমা

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রানিনগর (Murshidabad) থানার ইলসামারি এলাকায় একটি বাগানে তল্লাশি চালায় পুলিশ এবং তিনটি ব্যাগ ভর্তি সকেট বোমা উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চঞ্চলা ছড়ায়। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশ। বোম্ব স্কোয়াডকেও খবর দেওয়া হয়েছিল বোমগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য। কে বা কারা, কী কারণে এতগুলি বোমা বাগানের মধ্যে মজুত করে রেখেছিল, সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    রেজিনগরে পাট ক্ষেতে বোমা উদ্ধার

    বেলডাঙা ২ রেজিনগর (Murshidabad) থানার বিকননগর কৈখালী সাঁকোর কাছে পাটের জমি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ড্রাম ভর্তি তাজা সকেট বোমা। আর এই উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চলের সৃষ্টি হয় এলাকা জুড়ে। স্থানীয়রা ক্ষেতের মধ্যে বোমা দেখে, রেজিনগর থানায় খবর দিলে পুলিশ সেগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করে। এই ঘটনায় এলাকার চাষিরা জমিতে চাষ করতে গেলে ভয় পাচ্ছেন বলে জানা যায়।

    ডোমকলে নদীর ধারে বোমা উদ্ধার

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই ডোমকলে (Murshidabad) উদ্ধার হয়েছিল সকেট বোমা। আর একে ঘিরেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদের ডোমকলের শিয়ালমারী ঘাটের ধারে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সকাল নদীর ধারে একটি বাগান থেকে একটি বালতি বোঝাই সকেট বোমা উদ্ধার হয়। তারপরেই বোমার স্থানকে ঘিরে রাখে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share