Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Train Accident: বাড়ি তৈরির স্বপ্নপূরণ হল না গঙ্গারামপুরের সুমনের, গ্রামে ফিরল নিথর দেহ

    Train Accident: বাড়ি তৈরির স্বপ্নপূরণ হল না গঙ্গারামপুরের সুমনের, গ্রামে ফিরল নিথর দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়িতে বলে গিয়েছিলেন, ভিন রাজ্য থেকে কাজ করে টাকা নিয়ে এসে বাড়ি বানাবেন। বাড়ি ফিরে বিয়ে-থা করে সংসার করবেন। বাবা-মাকে দেওয়া সেই কথা রাখতে পারলেন না দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের ২২ বছরের সুমন রায়। ভিন রাজ্যে আর তাঁর যাওয়া হল না। বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident) তাঁর প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। রবিবার গঙ্গারামপুর থানার লালচন্দনপুর সর্বমঙ্গলা এলাকায় বাড়িতে এল তাঁর কফিনবন্দি দেহ।

    মৃত যুবকের পরিবারের পাশে বিজেপি নেতৃত্ব

    গত বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ে শ্রমিকের কাজ করতে এলাকার মোট পাঁচজন একসঙ্গে রওনা হয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমনের সঙ্গে সুমন রায় নামে আরও একজন ছিলেন, যাঁর এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে বাকি তিনজনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা হলেন জয়ন্ত রায় (১৮), বিপ্লব রায় (২১) ও মনোজ রায় (১৮)। তিনজনই দুর্ঘটনায় (Train Accident) জখম হয়েছেন। জখমদের পরিবারের লোক ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও এখনও কেউ এলাকায় ফিরে আসেননি।

    এদিকে রবিবার দুপুরে গঙ্গারামপুরে মৃত যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন দলের অন্যান্য সদস্যরা। দলের পক্ষ থেকে সবরকম ভাবে ওই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়। স্বরূপ চৌধুরী বলেন, “রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই। তাই, এই এলাকার বেশির ভাগ মানুষ ভিন রাজ্যে কাজ করতে যান। এই গ্রামে পাঁচজন ভিন রাজ্যে কাজে যাচ্ছিলেন। ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) পর পাঁচজন প্রথমে নিখোঁজ ছিলেন। পরে, চারজনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। অসহায় এই পরিবারের পাশে আমরা সব সময় রয়েছি।”

    কী বললেন জেলাশাসক?

    এবিষয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, “শেষ পাওয়া খবর অনুয়ায়ী ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident) জেলার ১৪ জন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি একজনের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমরা জেলাস্তর ও দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকা, দুই তরফেই খোঁজ নিচ্ছি। সব পরিবারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছি। আমাদের জেলার কোনও যাত্রী যদি থাকে, তাহলে মালদা থেকে আনার জন্য বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    এই বিষয়ে মৃতের পরিবারের এক সদস্য বলেন, “রাজ্যে কাজ নেই। তাই, ভালো রোজগারের আশায় সুমন ভিন রাজ্যে কাজে যাচ্ছিল। কিন্তু, এভাবে সে কফিনবন্দি হয়ে বাড়ি ফিরবে, তা ভাবতে পারিনি।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • World Environment Day: গরমে পুড়ছে বঙ্গবাসী, কলকাতায় সবুজ কমেছে ৩০ শতাংশ!

    World Environment Day: গরমে পুড়ছে বঙ্গবাসী, কলকাতায় সবুজ কমেছে ৩০ শতাংশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাপমাত্রা পেরিয়ে যাচ্ছে ৪০ ডিগ্রির চৌকাঠ। গরমে অস্বস্তি প্রত্যেক দিন বাড়ছে! শুধুই অস্বস্তি নয়, আট থেকে আশি প্রবল গরমে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন! প্রত্যেক বছর তাপমাত্রার পারদ যেমন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে, তেমনই কমছে কলকাতার সবুজায়ন! বিশ্ব পরিবেশ দিবসে (World Environment Day) এমনই রিপোর্ট প্রকাশ করল একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা!

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস (World Environment Day)! আর সেই উপলক্ষে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, দিল্লি, মুম্বই, হায়দরাবাদের তুলনায় অনেকটাই সবুজ কম কলকাতায়। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতায় ২০১১ সালে সবুজে ঢাকা অংশ ছিল ২.৫ বর্গ কিলোমিটার। ২০২২ সালে তা কমে হয়েছে ১.৮ বর্গ কিলোমিটার। দিল্লি কিংবা মুম্বইয়ের মতো শহরের থেকে যা কয়েক গুণ কম। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লিতে ২০১১ সালে ১৭৪.৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় গাছ ছিল। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে বর্গ কিলোমিটার। একই ভাবে সবুজায়ন বেড়েছে মুম্বইয়েও। ২০১১ সালে মুম্বাইয়ে ১০১.৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা সবুজে ঢাকা ছিল। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ১১০.৮ বর্গ কিলোমিটার। হায়দরাবাদে ২০১১ সালে ৩৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় বড় গাছ ছিল। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৮১.৮ বর্গ কিলোমিটার। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, যেখানে দিল্লিতে ১১ শতাংশ, মুম্বইয়ে ৯ শতাংশ এবং হায়দরাবাদে ১৪৭ শতাংশ সবুজায়ন বেড়েছে, সেখানে কলকাতায় গত এক দশকে ৩০ শতাংশ গাছ কমেছে।

    কী বলছেন পরিবেশবিদরা (World Environment Day)? 

    কলকাতার এই পরিসংখ্যান দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছেন পরিবেশ কর্মীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে হারে কলকাতায় গাছ কমেছে, তাতে কলকাতার আবহাওয়া আরও অস্বস্তিকর হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা। পাশপাশি, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টির মতো সমস্যাও বাড়বে। পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছর ধরেই কলকাতার তাপমাত্রা যেমন বাড়ছে, তেমনি কলকাতার বৃষ্টির ধরন বদলে যাচ্ছে। অসময়ে অতিরিক্ত বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু কালবৈশাখীর দেখা মিলছে না। তাছাড়া ঝড়-বৃষ্টি হলেই বাজ পড়ছে। বজ্রপাত বেড়েছে। আর এই সব কিছুর জন্য গাছ কাটাই (World Environment Day) সবচেয়ে বড় কারণ বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। 
    মুম্বই, দিল্লি বা হায়দরাবাদের মতো বড় শহরে গত এক দশক ধরেই পরিকল্পনা করে গাছ লাগানো হয়েছে। বছর দশেক আগেও মুম্বই কিংবা দিল্লিতে মে-জুন মাসের আবহাওয়া অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছিল। তখন থেকেই সতর্ক হয়েছিল সরকার। একাধিক রাস্তার ধারে গাছ লাগানো শুরু হয়। এর ফল দশ বছর পরে পাওয়া যাচ্ছে। গাছ লাগানো ও তার নিয়মিত যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে গত এক দশকে দিল্লি ও মুম্বইয়ের মতো শহরে প্রশাসন যথেষ্ট নজর দিয়েছে। 
    এবছর কলকাতার তাপমাত্রার পারদ দিল্লি কিংবা মুম্বইকে এপ্রিলেই ছাপিয়ে গিয়েছে। কলকাতার গল্ফ গ্রিন থেকে যাদবপুর, গিরিশ পার্ক থেকে লেকটাউন, যেসব এলাকায় তুলনায় বেশি বড় গাছ ছিল, গত এক দশকে সেগুলো দেদার কাটা হয়েছে। রাস্তার পাশে গাছ লাগানোর কোনও পরিকল্পনা গত এক দশকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার করেনি। কলকাতা পুরসভার তরফেও বড় গাছ লাগানো ও তার যত্ন নিয়ে বিশেষ কোনও সক্রিয়তা দেখা যায়নি। বরং গাছ কাটার ছবি যত্রতত্র দেখা গিয়েছে। ফলে, এক দশকে বদলে গিয়েছে কলকাতার আবহাওয়া!

    কী বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা (World Environment Day)? 

    কলকাতার এই গরম কলকাতাবাসীর জন্য আরও বিপজ্জনক হতে চলেছে বলেই আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, গরম তো শুধুই অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করে না, গরমের জেরে নানান শারীরিক অসুবিধার আশঙ্কাও দেখা যায়। যেমন ডিহাইড্রেশন, ত্বকের সমস্যা, ঘুম কম হওয়া। এছাড়াও গরমের জেরে নানান ভাইরাস ঘটিত অসুখ হতে পারে। বিশেষত উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগের সমস্যা থাকলে, এই গরমে তাদের শারীরিক অসুস্থতার বাড়তি ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই সব মহলেরই সচেতনতা (World Environment Day) জরুরি বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rujira Banerjee: দুবাই যাওয়ার পথে রুজিরাকে আটকানো হল বিমানবন্দরে! কেন জানেন?

    Rujira Banerjee: দুবাই যাওয়ার পথে রুজিরাকে আটকানো হল বিমানবন্দরে! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বিমানবন্দরে অভিবাসন দফতরের বাধার মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা (Rujira Banerjee)। এদিন সকালে দুবাই যাওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে আসেন তিনি। সঙ্গে ছিল দুই সন্তান। কেন হঠাৎ বাধা দেওয়া হল? সূত্রের খবর, ইডির একটি মামলায় লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে, তার জেরেই তাঁকে আটকেছেন অভিবাসন দফতরের কর্তারা। তাঁদের দাবি, বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ রয়েছে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল অবশ্য পাল্টে দাবি করেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট অভিষেক-রুজিরাকে (Rujira Banerjee) জানিয়েছিল, বিদেশ যাত্রায় তাঁদের কোনও বাধা নেই।

    ঘটনাক্রম……

    সোমবার সকাল সাতটা নাগাদ বিমানবন্দরে হাজির হন অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা (Rujira Banerjee)। জানা গেছে, তিনি দুবাই-এর বিমান ধরার জন্য আসেন। সঙ্গে ছিল তাঁর দুই সন্তান। বিমানে ওঠার আগে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যাওয়ার পর তাঁকে বলা হয়, তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ রয়েছে। এরপরে দীর্ঘক্ষণ অভিবাসন দফতরের ওয়েটিং রুমে বসে থাকতে দেখা যায় রুজিরাকে।

    আরও পড়ুন: ৫১ ঘণ্টা পর বালাসোরে গড়াল ট্রেনের চাকা! চোখে জল রেলমন্ত্রীর

    কী বললেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য

    বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, “আমি জানি না কেন আটকানো হল। যদি বৈধ অনুমতির পরও তাঁকে আটকানো হয়, তাহলে অন্যায়। এয়ারপোর্ট অথারিটি তা দেখবে। কিন্তু যাঁরা প্রতিহিংসার তত্ব সামনে আনছেন, তাঁদের জন্য বলি যে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানেন প্রতিহিংসার অর্থ কী।”

    আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনায় বাইডেনের দুঃখ প্রকাশ! বিশ্বনেতাদের সাহায্যের আশ্বাস

    কয়লা পাচার মামলায় রুজিরাকে বেশ কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি

    কয়লা পাচার মামলাতে এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে দিল্লিতে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দেননি রুজিরা। পরবর্তীকালে কলকাতায় তিনি হাজিরা দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bongaon Blast: শৌচালয়ের মধ্যে বিস্ফোরণ, বনগাঁয় প্রাণ গেল ১২ বছরের কিশোরের, গ্রেফতার ২

    Bongaon Blast: শৌচালয়ের মধ্যে বিস্ফোরণ, বনগাঁয় প্রাণ গেল ১২ বছরের কিশোরের, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা বিস্ফোরণে (Bangaon Blast) উড়ে গেল ১২ বছরের কিশোরের দেহ। বোমাটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে ঘটনাস্থল থেকে কয়েক ফুট দূরে ছিটকে গিয়ে পড়ে কিশোরের দেহ। সোমবার সাত সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার বক্সিপল্লি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত কিশোরের নাম রাজু রায়। সে স্থানীয় একটি সাইকেল গ্যারাজে কাজ করত। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িতে সন্দেহে পুলিশ অসিত অধিকারী এবং বাপ্পা বিশ্বাস নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে, কী কারণে শৌচালয়ের মধ্যে বোমা রাখা হয়েছিল তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।

    কী করে ঘটনাটি ঘটল?

    পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বাজি বিস্ফোরণে ভানু বাগ সহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এই ঘটনার পর সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ। জেলায় জেলায় শুরু হয় তল্লাশি। বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রচুর তাজা বোমা। পুলিশের সক্রিয়তার জেরে দুষ্কৃতীরা এখন বোমা বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। বনগাঁর বক্সিপল্লি এলাকায় এমনই ঘটনা ঘটেছে। দুষ্কৃতীরা শৌচালয়ের মধ্যে বোমা লুকিয়ে রেখেছিল। সেখানেই এদিন সকালে রাজু শৌচকর্ম করতে গিয়েছিল। আচমকা বিস্ফোরণে (Bangaon Blast) তার মৃত্যু হয়।

    কী বললেন মৃত কিশোরের বাবা?

    মৃত কিশোরের বাবা প্রশান্ত রায় বলেন, ছেলে স্থানীয় একটি সাইকেলের দোকানে কাজ করত। এদিন সকালে ও আমার সঙ্গে ছিল। আমি একটি দোকানে রুটি কিনতে গেলাম। ওই শৌচালয়ে আমার ছেলে শৌচকর্ম করতে গিয়েছিল। আমি ওই দোকানেই ছিলাম। আচমকা শৌচালয় থেকে বিকট শব্দ শুনতে পাই। ছুটে গিয়ে দেখি, শৌচালয়ে বোমা বিস্ফোরণ (Bangaon Blast) হয়েছে। সেখান থেকে কয়েক ফুট দূরে ছেলের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। শরীরের সামনের অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। নাক, মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। যে বা যারা এই ধরনের নৃশংস কাজ করল, আমার নিরীহ ছেলের প্রাণ কাড়ল, তাদের আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় মাদকের ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে। কেউ ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি না। কারণ, পুলিশের সঙ্গে সব সেটিং রয়েছে। ফলে, পুলিশও কিছু বলে না। বাড়ি থেকে সাইকেল, মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটছে। ওই দুষ্কৃতীরা শৌচালয়ে বোমা রেখেছিল। সেই বোমা ফেটেই (Bangaon Blast) এই ঘটনা ঘটেছে। অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নাহলে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে।

    কী বললেন স্থানীয় কাউন্সিলার?

    ঘটনার পর পরই স্থানীয় কাউন্সিলার পাপাই রাহা ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আগের থেকে এলাকায় দুষ্কৃতীর দৌরাত্ম্য অনেক কমেছে। কিছু দুষ্কৃতী রয়েছে। তবে, মর্মান্তিকভাবে কিশোরের মৃত্যুর ঘটনার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “মুখ্যমন্ত্রী লাশের ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করেন”, কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: “মুখ্যমন্ত্রী লাশের ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করেন”, কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত এবং জখমদের বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। এরাজ্যে কাজ না পেয়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ধরে ভিন রাজ্যে শয়ে শয়ে রাজমিস্ত্রি কাজে যাচ্ছিলেন। পাশাপাশি এই তালিকায় রয়েছে ভেলোরে চিকিৎসা করতে যাওয়া বহু পরিবার। রবিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির কুকাই এলাকায় দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন,” বাংলায় কাজ নেই। তাই বাধ্য হয়ে এই রাজ্য থেকে শয়ে শয়ে ছেলেমেয়েকে কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজে যেতে হচ্ছে। আর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, এগিয়ে বাংলা! লজ্জা করে না একথা বলতে? আমি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের অনেক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা বলেছেন, চিকিৎসার জন্য তাঁরা ভেলোরে যাচ্ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য কার্ডে এরাজ্যে ভালো চিকিৎসা মেলে না। এই রাজ্যে বেকারদের হাতে কাজ নেই। অসুস্থ মানুষদের ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। তাই, মানুষ বাধ্য হয়ে ভিন রাজ্যে যাচ্ছেন।”

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, “তৃণমূলের চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাতেও দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) রাগ। কারণ, ভাইপোকে (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) কেন বার বার সিবিআই ডাকছে। চোরকে পুলিশ ডাকবে না তো কাকে ডাকবে? এবার আর শুধু ডাকবে না, তাঁকে আদর আপ্যায়ণ করে রাখার ব্যবস্থা করা হবে।”

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেল কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন। কবজ ব্যবস্থা, সিগন্যালিং ব্যবস্থা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “রেলমন্ত্রী থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু শিলান্যাস করে গিয়েছেন। তাঁর প্রিয় জায়গা ফুরফুরা পর্যন্ত রেললাইন পৌঁছে দেবেন বলেছিলেন। সেটা তিনি করতে পেরেছেন? রেলের গাফিলতি ছিল কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, তিনি যে সব অভিযোগ করছেন তা একেবারেই ভিত্তিহীন। আসলে লাশের ওপর দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করতে ভালোবাসেন। এখন এই ট্রেন দুর্ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাই, এখন লাশের ওপর দাঁড়িয়ে তিনি রাজনীতি করছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Visva-Bharati: গবেষক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ, গ্রেপ্তার বিশ্বভারতীর অধ্যাপক

    Visva-Bharati: গবেষক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ, গ্রেপ্তার বিশ্বভারতীর অধ্যাপক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শিরনামে বিশ্বভারতী (Visva-Bharati ) বিশ্ববিদ্যালয়। গ্রেফতার এক শিক্ষক, যিনি শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক। গবেষণারত ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে রয়েছে এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ করলেও পরে কোনও ব্যবস্থা না নিলে, থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হন ওই গবেষক ছাত্রী। আর তারপরই অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক রাজর্ষি রায়কে।

    কী ঘটেছিল বিশ্বভারতী (Visva-Bharati ) বিশ্ববিদ্যালয়ে

    বিশ্বভারতী (Visva-Bharati ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগের এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে, গত ৩১ মে শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই বিভাগেরে এক গবেষক ছাত্রী৷ অভিযোগ ছিল, দিনের পর দিন তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়ে গিয়েছেন ওই অধ্যাপক। পাশাপাশি শ্লীলতাহানিও করেছেন তাঁর। প্রসঙ্গত, এর আগেও এই অধ্যপকের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ কমিটিতে ওই গবেষক ছাত্রী শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল বলে জানা যায়। ২০১৬ সালে শিক্ষা বিভাগে গবেষণা শুধু করেন ওই ছাত্রী৷ তাঁর অভিযোগ, সেই থেকেই শুরু হয় কুপ্রস্তাব দেওয়ার কাজ৷ গবেষণাপত্রে সাক্ষর করার নাম করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত অধ্যাপক। এই মর্মে বিভাগীয় প্রধান ও ভবনের অধ্যক্ষকেও লিখিত ভাবে জানান ওই ছাত্রী গবেষক৷ কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। 

    পুলিশের ভূমিকা

    এরপরে গবেষক ছাত্রী শান্তিনিকেতন (Visva-Bharati ) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় মানষিক নির্যাতন, শ্লীলতাহানি, কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ করে গবেষক ছাত্রী৷ আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে এইদিন ওই অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করে ৩৫৪, ৩৫৪ এ, ৩৫৪ বি, ৩৫৪ ডি, ৫০৬, ৫০৯, ৩৭৬, ৫১১, ৫০০ ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ৷ এইদিন অভিযুক্ত অধ্যাপককে বোলপুর আদালতে তোলা হয়। দুপক্ষের কথা শুনে বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দেন। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত অধ্যাপকের দাবি, তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বভারতীর কর্মী হিসাবে প্রেসের সামনে কিছু বলতে পারিনা, আপনারা আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Nadia: ইসকনের জগন্নাথ মন্দিরে পালিত হল স্নানযাত্রা, আনন্দিত ভক্তবৃন্দ

    Nadia: ইসকনের জগন্নাথ মন্দিরে পালিত হল স্নানযাত্রা, আনন্দিত ভক্তবৃন্দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ম্বরে পালিত হলো নদিয়ার (Nadia) মায়াপুর ইসকনে শ্রীজগন্নাথের স্নানযাত্রার উৎসব। মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দির থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার দূরে রাজাপুর শ্রীজগন্নাথ মন্দিরে স্নানযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই হাজার হাজার ভক্তের ভীড়। এলাকায় স্নানযাত্রা উপলক্ষে মহামহোৎসবের আবির্ভাব।

    মায়াপুরে (Nadia) কীভাবে শ্রী জগন্নাথদেবকে স্নান করানো হল?

    দাবদাহকে উপেক্ষা করেই দীর্ঘ লাইন দিয়ে শ্রীজগন্নাথকে স্নান করানোর জন্য দেশ-বিদেশের ভক্তরা সকালেই পৌছে গেছেন মন্দিরে। কথিত আছে আজকের স্নানযাত্রার পরেই শ্রীজগন্নাথের শরীরে আসবে ধুম জ্বর। জ্বরে কাবু হয়ে রথের দিন পর্যন্ত তিনি গৃহবন্দী হয়ে থাকবেন। রথের দিন রাজকীয় বেশে, রথে করে পুনরায় ভক্তদের মাঝে অবতীর্ণ ও পূজিত হবেন শ্রীজগন্নাথের ঠাকুর। এইদিন স্নানযাত্রা উপলক্ষে সমস্ত ভক্তদের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল ইসকনের পক্ষ থেকে। একইসাথে বিশৃঙ্খলা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা রাজাপুর (Nadia) শ্রীজগন্নাথ মন্দিরে শুরু হয়ে গেল স্নানযাত্রার মাধ্যমে রথের প্রস্তুতি। এলাকায় উৎসবের আবহ।

    ইসকনের পক্ষ থেকে বক্তব্য

    স্নানযাত্রা উপলক্ষে ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, অন্যান্য উৎসবের মতো ইসকনের রথযাত্রা এবং শ্রীজগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা একটি ধর্মীয় মুখ্য অনুষ্ঠান। জগতের নাথ অর্থাৎ জগন্নাথদেব এই স্নানযাত্রার পরে গৃহবন্দী অবস্থায় থাকবেন। রথের দিন পুনরায় তিনি ভক্তদের মাঝে অবতীর্ণ হবেন। প্রতিবছরের মত এবারও রাজাপুরের চন্দ্রোদয় মন্দিরে মহাসামরহে চলছে স্নানযাত্রার উৎসব। স্নানযাত্রার পর ২০ শে জুন থেকে রথযাত্রা শুরু হবে। এই রথ নিয়ে যাওয়া হবে মায়াপুর (Nadia) ধামে। আবার মায়াপুর থেকে ২৮শে জুন পুনরায় রাজাপুরে নিয়ে আসা হবে। প্রভু শ্রীজগন্নাথ রথের দিনে আপামর জগতবাসীকে আশীর্বাদ করবেন। তিনি আরও বলেন ইসকনের মহাপ্রভু শ্রীপ্রভুপাদ বিদেশের মাটিতে ১৯৬৭ সালে রথযাত্রা পালন করেন। মঙ্গলময় ঈশ্বর জগত সকলের মঙ্গল কামনা কবেন এই আশাই প্রকাশ করেছেন গৌরাঙ্গ দাস।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: মৃত্যুর মুখ থেকে বাড়ি ফিরলেন পাহাড় জয়ী কন্যা পিয়ালি বসাক

    Hooghly: মৃত্যুর মুখ থেকে বাড়ি ফিরলেন পাহাড় জয়ী কন্যা পিয়ালি বসাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুপায়ের চার আঙুলে ফ্রস্ট বাইটের চুমু। গিয়েছিলেন মাকালু পর্বত জয় করতে। জয় করেও ছিলেন। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে মাকালু থেকে নামার সময়। পথে প্রচন্ড তুষার ঝড়ের কবলে পড়ে যান পিয়ালি। কঠিন পরিস্থিকে জয় করে অবশেষে বাড়িতে (Hooghly) ফিরলেন পিয়ালি বসাক ।

    বাড়িতে (Hooghly) কীভাবে ফিরলেন?

    এবারে গত ৯ মার্চ অন্নপূর্ণা এবং মাকালু শৃঙ্গ জয় করার লক্ষ্যে চন্দননগরের (Hooghly) বাড়ি থেকে রওনা হন পিয়ালি। ১৭ এপ্রিল বিশ্বের দশম উচ্চতম শৃঙ্গ অন্নপূর্ণা জয় করেছিলেন। তাঁর কথায় প্রায় মাইনাস পঞ্চাশ ডিগ্রি ঠান্ডা ওইখানে। তারমধ্যে প্রচন্ড তুষার ঝড়ে, তাঁর চোখে বরফ কুচির ঝাপটা লাগায় স্নো ব্লাইন্ড নেস হয়ে যায়। কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন না। আটকে পড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গী সাথীরা নেমে গেলেও খাড়াই বরফ পাহাড়ে দুটি পা খাঁজে আটকে, প্রায় ২২ ঘন্টা না ঘুমিয়ে টানা দাঁড়িয়ে থাকেন পিয়ালি। অবশেষে এক রাশিয়ান পর্বতারোহিনী মাকালু থেকে নামার পথে, তাঁকে ওই অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্যাটেলাইট ফোনে নেপালে পাইওনিয়ার সংস্থায় খবর দেন। পরদিন সকালে শেরপারা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে চপারে করে পিয়ালি নামিয়ে কাটমান্ডু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ততক্ষণে তাঁর দুপায়ের আঙুলেই ফ্রস্ট বাইট ধরে নিয়েছে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা করিয়ে অবশেষে শনিবার সন্ধ্যায় পিয়ালি চন্দননগরের (Hooghly) বাড়িতে পৌঁছন।

    কতটা কঠিন ছিল যাত্রা!

    নেপালের সংস্থা পাইওনিয়ার অ্যাডভেঞ্চার সূত্রে জানা যায়, এই মাকালু শৃঙ্গ জয় মোটেই সহজ ব্যাপার নয়। এই পর্বতের চার পাশে ধারালো জায়গা উলম্বভাবে প্রায় ২৭৭৬৫ ফুট শিখরের দিকে আরোহণ করে, যা অভিজ্ঞ পর্বতারোহী ছাড়া আরোহণ করা অসম্ভব।পিয়ালির বাড়িতে (Hooghly) ফেরা খুব কঠিন ছিল এই যাত্রায়।

    পিয়ালীর সাফল্য

    স্বাভাবিক ভাবেই ভীষণ ক্লান্ত বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল তাঁকে। যদিও মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লেও এখন তিনি চাঙ্গা। পিয়ালি (Hooghly) জানিয়েছেন, পা সারলে আবার যাবেন সামিটে। এভারেস্ট জয়ী পিয়ালি গত ১৭ মে তারিখে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম পর্বত শৃঙ্গ মাকালু জয় করেন। মাকালুকে বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পর্বত আরোহণ বলে মনে করা হয়। এই নিয়ে ৬ টি আটহাজারী শৃঙ্গ জয় করেছেন পিয়ালি। কয়েক বছরের মধ্যে এভারেস্ট, লোৎসে, মানাসুলু, ধৌলাগিরি এবং অন্নপূর্ণা জয় করেছেন তিনি। এর আগেও একবার মাকালু অভিযানে যেতে গিয়ে অসুস্থ বাবার জন্য মাকালু অভিযান স্থগিত রেখে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন পিয়ালি। এদিনপিয়ালির বাড়িতে গেলে দেখা যায় আত্মীয়স্বজনরা তাঁকে পেয়ে খুব খুশি। বাড়ির মেয়ে ফিরে এসেছেন দীর্ঘদিন বাদে। আপাতত ৬ মাস বিশ্রামের নিদান দিয়েছেন চিকিৎসক। ইতিমধ্যেই মা স্বপ্না বসাক মেয়ের শুশ্রূষাতে তৎপর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মুর্শিদাবাদে মৃত ১, নিখোঁজ ২ এবং আহত ২

    Train Accident: বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মুর্শিদাবাদে মৃত ১, নিখোঁজ ২ এবং আহত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালেশ্বরের রেল দুর্ঘটনায় (Train Accident) সাগরদিঘির ১ বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে জেলায় আরও ২ শ্রমিক নিখোঁজ এবং আহত আরও ২ জন পরিযায়ী শ্রমিক। রাজ্যে কাজ নেই, তাই বাইরের রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবার। এলাকায় শোকের ছায়া।

    দুর্ঘটনায় (Train Accident) সাগরদিঘি থেকে এক ব্যক্তির মৃত্যু   

    পরিযায়ী শ্রমিক কাজের উদ্দেশ্যে ওড়িশা যাচ্ছিল মুর্শিদাবাদ থেকে। মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘী থানার অন্তর্গত মাদারডাঙ্গার নিমগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন মুনসি টুডু। ওড়িশা যাবার পথেই বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় (Train Accident) মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। পরিবারের পক্ষে মুনসি টুডুর দাদা রাজেশ হেম্ব্রম জানান, আমাদের পরিবার অভাবের সংসার, অন্য রাজ্যে কাজ করেই আমাদের সংসার চলে, আর্থিক অবস্থা তেমন নেই। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন যদি ভাইয়ের মৃতদেহকে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করে, তাহলে খুব উপকার হয়। মৃত্যুকে ঘিরে রীতিমতো নেমে এসেছে শোকের ছায়া গোটা পরিবার জুড়ে। 

    সাগরদিঘিতে আহত ২ ও নিখোঁজ ১

    মৃত মুনসি টুডুর গ্রামের আরেক পরিযায়ী শ্রমিক শম্ভুলাল কিসকু গুরুতর আহত অবস্থায় ওড়িশায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উল্লেখ্য সাগরদিঘী এলাকার নিমগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা সিলবানিস টুড নামে আরেক ব্যাক্তির কোনও খোঁজ মেলেনি বলে জানা গেছে। করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনে থাকলেও এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও সন্ধান পায়ননি পরিবার। আবার সাগরদিঘির পাটেল ডাঙ্গা অঞ্চলের গৌরীপুরের আরও এক পরিযায়ী শ্রমিক আহত হয়েছেন দুর্ঘটনায়। তাঁর নাম আতাউর রহমান, বয়স ৪১। ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় (Train Accident) কামরা উল্টে গেলে সিটের রডে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে আহত হয়েছেন আতাউর রহমান। সাগরদিঘীতে খবর পৌঁছতেই এলাকায় দুশ্চিন্তার ছায়া।

    সালার থেকে নিখোঁজ ১ পরিযায়ী শ্রমিক

    সংসারের অভাবেই করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপে অন্য রাজ্যে পাড়ি দিতে চেয়েছিলেন বলে জানা গেছে। পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে মুর্শিদাবাদের সালারের তালিপুরের ৫ শ্রমিকের একটি দল চেন্নাইয়ে যাওয়ার মাঝ পথেই রেল দুর্ঘটনা (Train Accident) শিকার হয়ে বাড়ি ফিরছে চারজন শ্রমিক, তবে ঘটনায় একজন শ্রমিকের এখনো পর্যন্ত কোনও খোঁজ না মেলায় গভীর দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন পরিবার। কান্দি মহকুমার সালার থানার তালিবপুর সুন্দরপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন রেজাইল দফাদার। তিনি এই দুর্ঘটনায় নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। তিনি মূলত নির্মাণ কাজে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই সালার থেকে চেন্নাই যাচ্ছিলেন। পরিবারের পক্ষে তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন, স্বামী যেন ঠিকাঠাক ভাবে বাড়িতে ফেরেন এই আশাই রাখছি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় স্মৃতি ফিরল গাইসালের

    Coromandel Express Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় স্মৃতি ফিরল গাইসালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ওড়িশার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express Accident) ট্রেন দুর্ঘটনা ফের ভয়াবহতার স্মৃতি উস্কে দিল উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরবাসীর মনে। প্রায় ২৪ বছর আগে গাইসালে অবধ আসাম এক্সপ্রেস এবং ব্রহ্মপুত্র মেলের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল। আর এই ট্রেন দুর্ঘটনার কথা বর্তমান সময়ে এলাকার মানুষের মনকে শোকগ্রস্থ করে তুলেছে বলে জানা গেছে।

    কীভাবে হয়েছিল রেল দুর্ঘটনা

    উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ১লা আগষ্ট ইসলামপুর শহরের কাছে গাইসাল এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছিল। উত্তর দিনাজপুর জেলার গাইসাল একটি ছোট রেলস্টেশন। এই স্টেশন আর প্রত্যন্ত জায়গার নাম গোটা রাজ্য তথা দেশ জেনে গিয়েছিল, একমাত্র দুর্ঘটনার কারণেই। গভীর রাত্রি, আনুমানিক ১টা বেজে ৪৫ মিনিট সময়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটেছিল অবধ আসম এক্সপ্রেস আর ব্রহ্মপুত্র মেলের। প্রাণ গিয়েছিল কমপক্ষে ৩০০ যাত্রীর। প্রায় দু’দশক পেরিয়ে এসেও সেই বীভৎসতার কথা ভুলতে পারেননি গাইসাল তথা ইসলামপুরবাসী। শুক্রবার ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) খবর পেয়ে গাইসালের ভয়াবহতার স্মৃতি মনে পড়ছে ইসলামপুরবাসীর।

    পৌরপিতার স্মৃতিতে দুর্ঘটনা (Coromandel Express Accident)

    ইসলামপুর পৌরসভার তৎকালীন পৌরপিতা কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, গতকালের বালেশ্বর দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) কথা জানতে পেরে গাইসালের দুর্ঘটনার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। প্রায় একই রকমই ঘটনা। দুটো ট্রেনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে যে ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তার বিবরণ দিতে গেলে এখনো গা শিউরে ওঠে।  প্রায় ছয় দিন ধরে আমরা দুর্ঘটনাস্থলেই পড়েছিলাম এবং উদ্ধার কাজে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলাম। তিনি আরও বলেন, চারিদিকে শুধু মৃতদেহ পড়েছিল, সেই স্মৃতি বড়ই কষ্টদায়ক।

    গাইসালের স্থানীরা কী বললেন?

    অন্যদিকে গাইসাল স্টেশনের কাছে এক চা বিক্রেতা নরেশ দাস বলেন, গতকালকের (Coromandel Express Accident) অ্যাক্সিডেন্ট টিভিতে দেখে গাইসালের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। গাইসালেও এমনই হয়েছিল! রাতের বেলা বিকট আওয়াজ শুনে, এসে দেখি ট্রেন অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। প্রচুর লোক মারা গিয়েছিল। গ্যাস কাটার দিয়ে কামরা কেটে মৃতদেহ বের করা হয়েছিল। খুব ভয়ানক অভিজ্ঞতা ছিল। গাইসালের অপর এক বাসিন্দা মহঃ বাধালু বলেন, গতকালকের ঘটনা টিভিতে দেখে গাইসাল ট্রেন দুর্ঘটনার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সেইসময় একটার উপর একটা ট্রেনের কামরা উঠে গিয়েছিল। অন্ধকারে ঠিকমতো বোঝা যাচ্ছিল না। উদ্ধার কাজে আমরাও হাত লাগিয়েছিলাম।

    ইসালামপুরের বাসিন্দা কী বলছেন?

    ইসলামপুরের বাসিন্দা কাজল কুমার মন্ডল বলেন, বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) খবর দেখে গাইসালের কথা মনে পড়ছে। তখনও মাধ্যমিক পরীক্ষা দিই। শিক্ষকের সঙ্গে গাড়িতে করে গাইসালে যাই দুর্ঘটনা দেখতে। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে, ঘটনার ভয়াবহতা দেখে আর দেখতে পারিনা যে কোন রকমের দুর্ঘটনার দৃশ্য। দৃশ্য দেখে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি ফিরে এসেছিলাম।

    তবে গাইসাল ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী বহনকারী সকলের আশা যে, গাইসাল হোক কিংবা বালেশ্বরের রেল দুর্ঘটনা, আর যাতে না ঘটে, তা নিয়ে  রেল কর্তৃপক্ষ যেন সজাগ ও সতর্ক থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share