Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Weather Update: কবে নামবে স্বস্তির বৃষ্টি? জানাল হাওয়া অফিস

    Weather Update: কবে নামবে স্বস্তির বৃষ্টি? জানাল হাওয়া অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্বস্তির গরমে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। কবে নামবে বারিধারা? হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম অঞ্চলের জেলাগুলি যেমন বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এই সকল জেলায় আগামী দু’দিনের মধ্যে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তার পাশাপাশি তাপপ্রবাহের সর্তকতাও দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গের দিকে দার্জিলিং, কালিম্পং অঞ্চলেও দুই দিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এবং তিন দিনের মধ্যে আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও চার-পাঁচ দিনের মধ্যে জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই এবং তাপপ্রবাহের সতর্কতাও দেয়নি আবহাওয়া দফতর। কলকাতা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৪০ এর গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছে।

    বুধবার অবধি তাপপ্রবাহের সতর্কতা

    রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলাতে তাপপ্রবাহ সতর্কবার্তা। তাপ প্রবাহের পরিস্থিতি ও চরম অস্বস্তি থাকবে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। রবি ও সোমবার এই পরিস্থিতি চরমে উঠবে।  জলীয় বাষ্প পরিপূর্ণএই তাপপ্রবাহে অস্বস্তি বাড়বে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের তরফে এও জানান হয়েছে, পারদ চড়তে চড়তে অবস্থা চরমে উঠবে ৬ ও ৭ জুন।

    পশ্চিমবঙ্গে কবে ঢুকছে বর্ষা?

    আবহবিদরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা ঢোকার স্বাভাবিক সময় হচ্ছে ১০ জুন। হাওয়া অফিস (Weather Update) জানাচ্ছে, কেরলে বর্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে বলেই যে পশ্চিমবঙ্গে বিলম্ব হবে এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। প্রসঙ্গত, কেরলে বর্ষা ঢোকে ৪ জুন। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের সুন্দরবনে বর্ষা ঢোকার দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছে হাওয়া অফিস ১০ জুন এবং কলকাতায় বর্ষার ঢুকবে ১১ জুন। যদিও এর পুরোটা নির্ভর করছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার উপর।

     

    আরও পড়ুন: বালাসোর যেন মৃত্যুপুরী! রেললাইনে শোয়ানো সারি সারি দেহ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের জেলা সভাপতির সামনে পদত্যাগের হুমকি দিলেন কাউন্সিলর, কেন জানেন?

    TMC: তৃণমূলের জেলা সভাপতির সামনে পদত্যাগের হুমকি দিলেন কাউন্সিলর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংগঠন মজবুত করার বার্তা দিতেই তৃণমূলের (TMC) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। আর সেই বৈঠকেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। জেলা সভাপতির সামনেই জগদ্দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সাংসদ অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর সত্যেন রায়। তাঁর বিক্ষোভের জেরে নড়েচড়ে বসে জেলা নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি তাপস রায় জগদ্দল এর বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম এর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন। সেই বৈঠক উপস্থিত ছিলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকও। সত্যেনবাবুর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন জেলা সভাপতি।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব জোয়ার কর্মসূচি সফল করে তুলতে টিটাগরের জেলা তৃণমূল (TMC) দফতরে মিটিং করলেন দমদম বারাকপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ। নব জোয়ারের মিটিং এর শেষে গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হল জেলা অফিসেই। পরে, তৃণমূলের বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেন, উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এইভাবে কথা বললে সমস্যা অনেক মিটে যায়। আমি কয়েক দিনের মধ্যে ভাটপাড়া পুরসভায় গিয়ে একটি মনিটরিং মিটিং করব। আলোচনা করেই সমস্যার সমাধান করা হবে।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) কাউন্সিলর?

    এদিন বৈঠক চলাকালীন প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ভাটপাড়া পুরসভা ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়। তিনি বলেন, প্রথমদিন থেকে আমি দল করছি। অথচ যারা কয়েকদিন আগে দল ঢুকল তারা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পুরসভায় ঢুকে আমার উপর চড়াও হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। জেলা নেতৃত্বের সামনে সমস্ত সমস্যার কথা বললাম। আশানুরূপ বিচার না পেলে আমি পদত্যাগ করব।

    কী বললেন জগদ্দল বিধায়ক?

    জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, কাউন্সিলররা তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন। কোনও মারধর করা হয়নি। এখন তিনি মারধরের কথা কেন বললেন জানি না। দলীয় নেতৃত্ব সমস্ত বিষয়টি দেখছে। তারা এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: দিনহাটায় বিজেপি নেতা খুনে সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: দিনহাটায় বিজেপি নেতা খুনে সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারের দিনহাটায় বিজেপি নেতা প্রশান্ত রায়বসুনিয়াকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। নৃশংস এই খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার নদিয়ার ধানতলার কুলগাছিতে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। পরে, দলীয় কর্মী খুনের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “বিজেপি নেতা খুনে তৃণমূল জড়িত। ওই জেলার তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা জড়িত রয়েছে। আমরা এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

     সম্প্রতি নদীয়ার ধানতলা থানা এলাকার কুলগাছিতে গরু চুরির ঘটনায় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তখনই পুলিশ দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ির নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় আকাশ রায় নামে এক কিশোরের। তারপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। শুক্রবার নিহত আকাশের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী দলনেতা। রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধানসভার বহিরগাছিতে কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় আয়োজন করা হয় শোক সভার। শোক সভা থেকে পুলিশকে নিশানা করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। শুভেন্দু অধিকারীকে ব্যক্তি আক্রমণ অভিষেকের, ভিন্ন রাজনীতি বাংলায়? এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “এরা অশ্লীল কথা বলবেন, আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে ঠিক জায়গাতেই আছি। পায়ে দুটো কাঁটা ফুলেছে তাই লাফাচ্ছে, তিরিং বিড়িং, এপাং ওপাং ঝপাং, ভাইপো হবে ড্যাং ড্যাং। এরা তো চন্ডী পাঠও ভুল করে।” অভিষেকের দাবি, নন্দীগ্রামে এই মুহূর্তে ভোট হলে ৫০ হাজার ভোটে জিতবে তৃণমূল, এ প্রসঙ্গে  শুভেন্দু বলেন, “আবার ভোট তো দেরি আছে, ও চাইলে তো এক্ষুনি ভোট হবে না, ওর পিসি এসেছিল, ওর পিসিকে তো শিক্ষা দিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটাররা পাঠিয়ে দিয়েছে। আমি বলছি, কালকে যদি ডায়মন্ড হারবারে ভোট হয় মমতা ব্যানার্জির ভাইপো তৃতীয় হবে, নওশাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে বিজেপির লড়াই হবে।”

    পুলিশ নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    আকাশ রায়ের মৃত্যু প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা বলেন, “পুলিশের গাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হল একটি ফুটফুটে বালকের, সেখানে বলা হলো কী? দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে, এরাজ্যে সবই সম্ভব। সিআরপিএফ এর গাড়ি ধাক্কা মারায় চালকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা, আর পুলিশের গাড়ি চাপা পড়ে কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় জামিনযোগ্য ধারায় মামলা, যতদিন তৃণমূল থাকবে এই অরাজগতা চলবে।

    কুন্তলের মামলা কোথায় স্থানান্তরের কথা বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    কুন্তল ঘোষ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “ওকে জেলে খাসির মাংস খাওয়াচ্ছে, আর ভাইপো পিসি যা শিখিয়ে দিচ্ছে তাই বলছে। আমি দাবি করব, এই মামলা অন্য রাজ্যে স্থানান্তর করা হোক, অন্য রাজ্যে স্থানান্তর করলে কেষ্টর মতো ধোঁয়া বেরিয়ে যাবে।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Miyazaki Mango: বীরভূমেই ফলেছে পৃথিবীর সব থেকে দামি আম, জেনে নিন এর ইতিবৃত্ত

    Miyazaki Mango: বীরভূমেই ফলেছে পৃথিবীর সব থেকে দামি আম, জেনে নিন এর ইতিবৃত্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আম এমন একটি ফল, যা খেতে ভালোবাসে না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। এই ফল যেমন সুস্বাদু, তেমন এর গুণও অনেক। গাছে আম পাকতে না পাকতেই কাঁচা আম খাওয়ার অভ্যাসও কম মানুষের নেই। এখন বাজরে আমের দাম চলছে ২০ থেকে ৪০ টাকা প্রতি কেজি। কিন্তু যদি বলা হয়, এক প্রজাতির আমের (Miyazaki Mango) দাম প্রতি কেজি ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা! কী, অবাক হলেন তো? অবাক করার মতোই বিষয়।

    কী আম (Miyazaki Mango) এটি, কোথায় পাওয়া যায়?

    এমনই এক বিরল প্রজাতির আমের ফলন হয়েছে বীরভূমের একটি মসজিদে, যার বর্তমান বাজারমূল্য ভারতীয় মুদ্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা প্রতি কেজি। আমের প্রজাতিটির নাম হল ‘মিয়াজাকি’। এটি পৃথিবীর সব থেকে দামি আম। এই ধরনের আম জাপানে ফলন হয়। এর নামকরণ করা হয়েছে জাপানের একটি শহর মিয়াজাকির নাম অনুসারে। শুধু মাত্র স্বাদে নয়, বিশ্বের সব থেকে দামি আমের (Miyazaki Mango) তকমা পেয়েছে এটি। অর্থাৎ এটি একটি জাপানি বংশোদ্ভূত আম। এক একটি মিয়াজাকি আমের ওজন ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রামের মধ্যে হয়ে থাকে এবং এগুলি গোলাপি বা বেগুনি রঙের হয়ে থাকে, যা বাজারে ভারতীয় মুদ্রা অনুসারে ২৪০০০ টাকা পিস হিসাবে বিক্রি হয়। আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য প্রতি কেজি হিসাবে ২ লাখ টাকারও বেশি। এই আমের চাহিদা জাপান ছাড়াও আমেরিকা এবং ইউরোপে রয়েছে। ভারতেও কিছু পরিমাণ চাষ করা হয়, কিন্তু দামের জন্য বিশেষ কোনও চাহিদা নেই ভারতীয় বাজারে। তাই বিদেশেই রফতানি করা হয় এই আম।

    কী কী গুণাগুণ রয়েছে এই আমের?

    সাধারণ আমের থেকেও এই আমের (Miyazaki Mango) পুষ্টি গুণ প্রচুর। এতে আছে নির্দিষ্ট পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং কিছু রাসায়নিক পদার্থ যেমন ফলিক অ্যাসিড, বিটা-ক্যারোটিন। তাছাড়াও আছে ভিটামিন সি, ই, এ এবং কে। জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, কপার এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদান রয়েছে এতে, যা শরীরের জন্য অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। এটি ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করতে খুবই সাহায্যকারী। যাঁরা পেটের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্যও এই আম উপকারী। মূল বিষয়, এই আম ক্যানসারের মতো মারণ রোগ প্রতিরোধ করতেও সক্ষম।

    কেন এত দাম এই আমের?

    মূলত এই আম (Miyazaki Mango) চাষ করতে যে পরিমাণ শ্রম ব্যয় হয়, তা অত্যধিক। খুবই যত্নে চাষ করা হয় এই আম। এর জন্য প্রয়োজন হয় পর্যাপ্ত পরিমাণ সূর্যালোক, উষ্ণ আবহাওয়া এবং পর্যাপ্ত বৃষ্টিও দরকার এই আমের ফলনের জন্য। চাষের সময় কৃষকরা এই আমগুলিকে জালি দিয়ে ঢেকে দেন, যাতে সূর্যালোক এসে আমের প্রত্যেক অংশে পড়ে এবং গায়ে যাতে কোনও রকম আঁচড় না লাগে। ততদিন এর লালন পালন করা হয়, যতদিন না এই আমের রং গোলাপি বা বেগুনি বর্ণ ধারণ করে। এই সব কারণেই এই আমের বাজারমূল্য অত্যধিক। জাপানে উপহার হিসাবে এই আমের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই আমকে উপহার হিসাবে দেওয়ার রীতিকে সেখানে সম্মানের প্রতীক হিসাবে ধরা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Transfer: একদিনেই বদলির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার! তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনেই চলছে স্বাস্থ্য ভবন?

    Transfer: একদিনেই বদলির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার! তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনেই চলছে স্বাস্থ্য ভবন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিযোগ ওঠে বারবার। আর এবার কার্যত সেই অভিযোগে সিলমোহর দিল খোদ স্বাস্থ্য ভবন। চব্বিশ ঘণ্টা পার হতে না হতেই বদলির (Transfer) সিদ্ধান্ত বদলে গেল। রাজ্যের চিকিৎসক মহল বলছে, শাসক দলের ঘনিষ্ঠ না হলে সরকারি হাসপাতালের দায়িত্ব পাওয়া যায় না। এমনকী, কোন হাসপাতালে কোন কাজ চিকিৎসক করবেন, সবটাই হয় রাজ্যের শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনে।

    কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক? 

    সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন থেকে এক নির্দেশিকা (Transfer) জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছিল, আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে বদলি করা হচ্ছে। তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান হিসাবে পাঠানো হচ্ছে। আর এই সিদ্ধান্তে শোরগোল পড়ে যায়।

    কে এই সন্দীপ ঘোষ? 

    চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের সুপার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে, তিনি তৃণমূলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। সূত্রের খবর, সেই সম্পর্কের জেরেই তাঁকে কয়েক বছর আগে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারের দায়িত্ব দিয়ে বদলি করে কলকাতায় আনা হয়। তার কিছুদিনের মধ্যেই তাঁকে অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত করে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। বছর দুয়েক আগে আরজিকর হাসপাতালের পড়ুয়াদের একাংশ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তোলে। এমনকী ছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়ারা নানান অভিযোগ জানিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও প্রতিকার হয়নি। বরং, ওই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দুই ছাত্রের যাতে মেডিক্যাল কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন না হয়, সে বিষয়ে তৎপর হয়ে ওঠে তৃণমূলের একাংশ। এরপরে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ছাত্ররা। তারপর তাঁরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। হঠাৎ, সেই সন্দীপ ঘোষকে বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েই আলোচনা শুরু হয়। যদিও স্বাস্থ্য ভবনের সিদ্ধান্তের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই ফের বদল করতে হয় নির্দেশিকা। জানানো হয়, সন্দীপ ঘোষকে বদলি (Transfer) করা যাবে না। তিনি আরজিকর হাসপাতালের অধ্যক্ষের দায়িত্বেই থাকছেন।

    কোন সমীকরণ কাজ করছে এই বদলির সিদ্ধান্তে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তৃণমূলের নিজস্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রভাবেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত হচ্ছে। সূত্রের খবর, সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে তৃণমূলের চিকিৎসক সাংসদ শান্তনু সেনের সুসম্পর্ক নেই। বরং তিনি তৃণমূলের আরেক নেতা সুদীপ্ত রায়ের ঘনিষ্ঠ। এতদিন আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন সুদীপ্ত রায়। সম্প্রতি, আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি হয়েছেন শান্তনু সেন। আর তারপরেই স্বাস্থ্য ভবন থেকে বদলির (Transfer) নির্দেশ এসেছিল। যদিও সন্দীপ ঘোষ শুধু সুদীপ্ত রায় নয়, তৃণমূল দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের অত্যন্ত কাছের বলেই পরিচিত ঘনিষ্ঠ মহলে। তাই রাতারাতি তাঁর বদলির নির্দেশ বদলে যায় বলেই জানা যাচ্ছে।

    কী বলছেন সন্দীপ ঘোষ? 

    সন্দীপ ঘোষ অবশ্য পুরো ঘটনা (Transfer) প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। তিনি জানান, সরকারি চাকরি করছেন। স্বাস্থ্য দফতর যে সিদ্ধান্ত নেবে, যে কাজ দেওয়া হবে, সেটাই তিনি করবেন। এর বাইরে তিনি কিছুই জানেন না।

    শান্তনু সেন কী বলছেন? 

    তৃণমূলের সাংসদ চিকিৎসক শান্তনু সেন বলেন, “এসব বিষয়ে (Transfer) জানি না। বদলির সিদ্ধান্ত পুরোটাই স্বাস্থ্য ভবনের। সেটা যদি পরিবর্তন হয়, সেটাও স্বাস্থ্য ভবন থেকে হয়েছে। “

    প্রশাসনের অস্বচ্ছ বদলি নীতি ফের প্রকাশ্যে, মত চিকিৎসক মহলের! 

    রাজ্যের চিকিৎসক মহল অবশ্য জানাচ্ছে, সরকারের বদলি (Transfer) নীতি যে পুরোটাই শাসক দলের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, তা ফের প্রমাণিত হল। তারা জানাচ্ছে, একজন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও প্রশাসন নির্বিকার থাকে। কয়েক বছর পরে বদলির সিদ্ধান্ত নিলেও রাতারাতি কেন তা পরিবর্তন করতে হয়, তার স্পষ্ট উত্তর নেই। এতেই প্রমাণ হয়, এ রাজ্যে স্বচ্ছ নিরপেক্ষ প্রশাসন নেই। যা হয়, পুরোটা রাজনৈতিক সমীকরণে চলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: গরমে পানিহাটির মহোৎসবতলার চিড়া উৎসবে অসুস্থ হয়ে পড়়লেন ১৫ জন ভক্ত

    Panihati: গরমে পানিহাটির মহোৎসবতলার চিড়া উৎসবে অসুস্থ হয়ে পড়়লেন ১৫ জন ভক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনের গাফিলতি আর লাগামছাড়া ভিড়ে গত বছর পানিহাটির (Panihati) দণ্ড মহোৎসবতলায় পুজো দিতে এসে ৩ জন ভক্তের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল। গতবারের দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু, গতবারের আতঙ্কে এবার ভক্ত সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই ফি বছর এই উৎসবে কয়েক লক্ষ ভক্ত সমাগম হয়। এবার সেখানে লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হয়েছে। তবে, এবার প্রচণ্ড গরমে ১৫ জন ভক্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন।

    কী বললেন মন্দিরের মূল সেবাইত?

    এদিন রঘুনাথ দাস গোস্বামীর ৫০৭ বছরের পানিহাটি (Panihati) দণ্ড মহোৎসব শুরু হল। গতবারের থেকে শিক্ষা নিয়ে পুরসভা এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। ছিল ৪০০র বেশি পুলিশ। এছাড়া প্রত্যেক ভক্তের জন্য ছিল পানীয় জলের সুব্যবস্থা। ২০০টির বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা সহ ড্রোনের মাধ্যমে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মেলার মাঠ সহ বিভিন্ন জায়গায় ভক্তদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছিল অনেকগুলি স্বাস্থ্য শিবির। কিন্তু, আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা ছিল তীব্র দাবদাহের। দাবদাহ উপেক্ষা করেই ভোর থেকে ভক্ত সমাগম শুরু হয়। জানা গিয়েছে, এদিন ভোর ৪ টে থেকে শুরু হয় মঙ্গল আরতি ও পূজা পাঠ। শ্রী শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর শ্রী মন্দিরের মূল সেবাইত বঙ্কুবিহারী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রশাসনের থেকে যথাযথ ব্যবস্থা ছিল। তবুও, এই উত্সবে প্রধানত বয়স্ক ভক্তের সমাগম বেশি মাত্রায় হয়। কিন্তু গরমের দাপটে এবার ভক্ত সমাগম এবার অনেক কম হয়েছে।”

    কী বললেন স্থানীয় বিধায়ক?

    পানিহাটির (Panihati) বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, “আমরা এলাকায় পুরসভার পক্ষ থেকে মেডিক্যাল ক্যাম্প করেছিলাম। এদিন প্রচণ্ড গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকলকে মেডিক্যাল ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে চিকিত্সা করা হয়। পুরসভার পক্ষ থেকে ভক্তদের জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা ছিল।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূল নেতার সঙ্গে ছবি দেখিয়ে চাকরির নামে প্রতারণা, গ্রেফতার স্কুল শিক্ষক

    Murshidabad: তৃণমূল নেতার সঙ্গে ছবি দেখিয়ে চাকরির নামে প্রতারণা, গ্রেফতার স্কুল শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকারের আমলে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে রাজ্য রাজনীতি সরগরম। ইতিমধ্যে এই অভিযোগে রাজ্যের মন্ত্রী থেকে শুরু করে একাধিক নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। সেরকমই মুর্শিদাবাদেও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে ছবি দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রাইমারি স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। চাকরি দেওয়ার নাম করে সাড়ে নয় লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষককে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) লালবাগ থেকে গ্রেফতার করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। ধৃতকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে লালবাগ মহকুমা আদালত।

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) চাকরি দেওয়ার নামে কী হয়েছে?

    গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে পঙ্কজ মণ্ডল, শর্মিষ্ঠা মণ্ডল ও পাপন মণ্ডল নামে তিনজন এক স্থানীয় স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ইসলামপুর (Murshidabad) থানায়। অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষের নাম নবজ্যোতি মণ্ডল। তাঁর বাড়ি রায়পুর গ্রামে। পেশায় প্রাইমারি স্কুলের এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে চাকরি দেওয়ার নাম করে তিনি টাকা নিয়েছিলেন। আরও জানা যায়, ধৃত নবজ্যোতি মণ্ডল তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে এবং একাধিক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে নিজের ছবি দেখিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রচুর টাকা আত্মসাৎ করেন।

    গ্রেফতার অভিযুক্ত শিক্ষক

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ইসলামপুর (Murshidabad) থানার পুলিশ মূল অভিযুক্ত নবজ্যোতি মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। বুধবার তাঁকে লালবাগ মহকুমা আদালতে পেশ করে ইসলামপুর থানার পুলিশ। ধৃতের জামিন মেলেনি, লালবাগ মহকুমা আদালতের বিচারক পুলিশের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও একাধিকবার তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ডোমকলের দুই ব্যক্তিকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও সেই মামলার শুনানি এখনও পর্যন্ত হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CID: কালিয়াগঞ্জে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের গ্রামে গিয়ে ক্ষোভের মুখে সিআইডি

    CID: কালিয়াগঞ্জে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের গ্রামে গিয়ে ক্ষোভের মুখে সিআইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন সিআইডি-র (CID) তদন্তকারী অফিসাররা। ঘটনার তদন্ত এবং সিআইডি-র কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গ্রামবাসীরা। তবে, এখনও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় রয়েছে মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবার।

    সিআইডি-র সামনে কী ক্ষোভ জানালেন বাসিন্দারা?

    শুক্রবার ফের কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরের চাঁদগায় নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাড়িতে যান সিআইডি-র (CID) আধিকারিকরা। সেই সময় সিআইডি-র আধিকারিকদের তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। সিআইডি-র আধিকারিকদের এদিন গ্রামবাসীরা সরাসরি প্রশ্ন করেন, এই মামলায় যে দোষী, তাকে এখনও পর্যন্ত কেন গ্রেফতার করা হয়নি? এমনকী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বলছেন গুলি চালিয়েছে বিএসএফ, সেখানে আপনাদের ওপর কীভাবে ভরসা করব? এই খুনের ঘটনার গতিপ্রকৃতি এবং সিআইডি-র কাজকর্ম নিয়েও তাঁরা প্রশ্ন তোলেন। গ্রামবাসীরা তদন্তকারী অফিসারদের উদ্দেশে বলেন, খুনের ঘটনা ঘটলে আগে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরেই তদন্ত শুরু হয়। অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার তাঁরা দাবি জানান। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে সিআইডি আধিকারিকরা মূলত এই ঘটনায় নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন ও স্ত্রী গৌরী বর্মনের বয়ান রেকর্ড করেন।

    কী বললেন নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা?

    এখনও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবার। তাঁর বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, “পুলিশই আমার ছেলেকে মেরেছে। সিআইডি (CID) তদন্তে আমাদের কোনও আস্থা নেই। কারণ যাদের বয়ান সাক্ষী হিসেবে নেওয়া হচ্ছে, ঘটনার সময় তারা কেউই উপস্থিত ছিল না। ফলে সিআইডির ওপর কী করে ভরসা থাকবে।” তিনি আরও বলেন, “অবিলম্বে ছেলে খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্ত হোক।”

    এলাকাবাসীর ক্ষোভ নিয়ে কী বললেন সিআইডি আধিকারিক?

    সিআইডি-র (CID) এক আধিকারিক অনীশ সরকার বলেন, “কোনও বিক্ষোভ নয়। গ্রামবাসীরা তাঁদের অভাব-অভিযোগ আমাদের কাছে বলেছেন। সমস্ত বিষয়টি রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”

    প্রসঙ্গত, গত ২১শে এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন পালোইবাড়ি এলাকার একটি পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার হয় এক নাবালিকার মৃতদেহ। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয় সাহেবঘাটা এলাকা। মৃত নাবালিকার দেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ায় রাজ্য জুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ। ভাঙচুর ও থানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। আক্রান্ত হয় পুলিশ। পরবর্তীতে চাঁদগা গ্রামে তল্লাশি অভিযানে গেলে রাজবংশী যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে, হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামে অভিষেকের নবজোয়ারের পাল্টা মহামিছিলের ডাক শুভেন্দুর!

    Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামে অভিষেকের নবজোয়ারের পাল্টা মহামিছিলের ডাক শুভেন্দুর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে বুধবার নন্দীগ্রামে জনসভা করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তারই পাল্টা হিসেবে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীকে হারানো বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তাঁর গড়ে পাল্টা মহামিছিলের ডাক দিলেন। জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০ জুন নন্দীগ্রামে মহামিছিল করতে দেখা যাবে বিরোধী দলনেতাকে। দলের অন্যতম নেতা নন্দীগ্রামের প্রলয় পাল তেমনটাই জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: কালীঘাটের কাকু গ্রেফতার হতেই শহরে ইডি প্রধান! বড় কোনও অপারেশনের প্রস্তুতি?

    অভিষেকের সভায় ছিল বহিরাগতদের ভিড়, অভিযোগ বিজেপির

    ১ জুন অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচিতে বাইরে থেকে প্রচুর লোক আমদানি করা হয়েছিল বলে বিজেপির দাবি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, চণ্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত কুড়ি কিলোমিটার পদযাত্রা করা হয়। যার ফলে সেখানে নন্দীগ্রাম বিধানসভার বাইরেও অনেকে জড়ো হন। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, ২০ জুন কোনও বহিরাগত নয়, নন্দীগ্রামের মানুষকে নিয়েই মিছিল করবেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    রাজ্য রাজনীতির অন্যতম ভরকেন্দ্র নন্দীগ্রাম

    নন্দীগ্রামের নাম প্রথম খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল ১৬ বছর আগে, ২০০৭ সালের ১৪ জুন। সেখানে গুলি করে কৃষক হত্যার অভিযোগ উঠে তৎকালীন বামপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে। তারপরই রাজ্য জুড়ে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে বামফ্রন্টের বিপক্ষে। সেই আঁচ এতটাই প্রবল ছিল যে পরবর্তীকালে ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ধুয়ে মুছে যায় বামফ্রন্ট সরকার। পরে আবার ২০২১ সালে খবরের শিরোনামে আসে নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রামের দখল কার হাতে থাকবে, তা নিয়েই হাই ভোল্টেজ লড়াই শুরু হয় বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে। সেখানে প্রার্থী হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা বিজেপির প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফলাফল সামনে আসতে দেখা যায় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পরাস্ত হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: দিনহাটায় বাড়িতে ঢুকে মায়ের সামনেই বিজেপি নেতাকে গুলি করে খুন!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ফের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মালদার চাঁচল, আতঙ্কিত এলাকার মানুষ

    Malda: ফের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মালদার চাঁচল, আতঙ্কিত এলাকার মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের শাসনে রাজ্য জুড়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা যেন থামছেই না। কয়েক দিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, রাজ্যে প্রচণ্ড গরম পড়েছে। তাই যত্রতত্র বিস্ফোরণ ঘটছে। এই মন্তব্যে রাজ্য জুড়ে বয়ে গেছে সমালোচনার ঝড়। এবার ফের বিস্ফোরণ হল মালদার (Malda) চাঁচলে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য জুড়ে এত বোমা বিস্ফোরণ হওয়ায় সাধারণ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

    মালদায় (Malda) কীভাবে আবার বিস্ফোরণ?

    এবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মালদার (Malda) চাঁচল-২ নং ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জানিপুর এলাকা। সূত্রের খবর, একটি নলকূপের ধারে মজুত ছিল বোমা। বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। চারদিক ধোঁয়ায় ভরে ওঠে এবং ছড়িয়ে পড়ে বারুদের গন্ধ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এখনও বোমা রয়েছে ওই স্থানে। তাই রাত থেকে ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে চাঁচল থানার পুলিশ। কিছুক্ষণ পরেই মালদা বোম্ব স্কোয়াড এসে উপস্থিত হয়। বিস্ফোরণের কারণে এলাকায় আপাতত আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

    এলাকার মানুষের প্রতিক্রিয়া

    স্থানীয় (Malda) এক মহিলা ইসমাতারা খাতুন বলেন, রাতে বিকট শব্দ শুনতে পাই, ঘুম ভেঙে যায়। চারদিক পোড়া গন্ধে ভরে গেছে। মনে হয় কেউ কেউ আহত হয়েছে। তবে কারা আহত হয়েছে, স্পষ্ট করে বলতে পারেননি ওই মহিলা।

    পুলিশ সুপারের বক্তব্য

    বিস্ফোরণের ঘটনায় মালদার (Malda) পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানান, তল্লাশি করে আপাতত ২২ টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে এলাকা থেকে। পুরো এলাকাকে নিরাপত্তার কারণে ঘিরে রাখা হয়েছে। তবে কীভাবে এত বোমা এখানে মজুত করা হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এই বিস্ফোরণ কি আকস্মিক, নাকি কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে করেছে, সেই বিষয়েও তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় সাংগঠনিক জেলা দক্ষিণ মালাদার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, এই রাজ্য এখন বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রশাসনের নজরদারি ঠিকঠাক থাকলে এমন ঘটনা ঘটত না। সমস্ত বোমা বিস্ফোরণের পিছনে তৃণমূলের নেতারা রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। বিস্ফোরণের ঘটনা থেকে আতঙ্কমুক্ত পরিবেশ গড়তে প্রশাসন কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তাই এখন দেখার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share