Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • DELED: ডিএলএড কলেজগুলির ভর্তিতে স্থগিতাদেশ জারি কলকাতা হাইকোর্টের

    DELED: ডিএলএড কলেজগুলির ভর্তিতে স্থগিতাদেশ জারি কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক প্রশিক্ষণ কলেজে (DELED) ভর্তিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ও বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এর ফলে ৩০ হাজারেরও বেশি পড়ুয়ার ভর্তি ঝুলে রইল। ৯ জুন পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

    ২০২১-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির বিজ্ঞপ্তির উপর এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ৬০০ প্রাথমিক প্রশিক্ষণ কলেজে (DELED) এখন ৩,০০০ টাকা লেট ফাইন দিয়েও ভর্তি হওয়া যাবে না। ডিএলএডে ভর্তির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের সম্ভাবনা রয়েছে ৬ জুন। সেদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠবে মামলা।

    প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদের বিজ্ঞপ্তি

    প্রসঙ্গত ৩০ মে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফের বিজ্ঞপ্তি জারি করে ৩ জুনের মধ্যে ডিএলএড-এর ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে বলা হয়। ২০২১-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি ২০২৩ সালে হওয়া নিয়ে এর আগে ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে। বেঞ্চের প্রশ্ন, ‘‘২০২১ থেকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য ২০২৩ সালে যদি আবেদন গ্রহণ করা হয়, তবে ক্লাস কবে হবে?’’ প্রসঙ্গত, সুকান্ত গুড়িয়া নামে জনৈক ব্যক্তি জনস্বার্থ মামলা করে হাইকোর্টে অভিযোগ করেন, ২০২১ থেকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আবেদন গ্রহণের সময়সীমা জানায় ২৮ ডিসেম্বর ২০২২। পরে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, জানুয়ারি ২০২৩ সালে ভর্তির আবেদন করতে হবে। পরবর্তীকালে হাইকোর্ট বেসরকারি প্রাথমিক প্রশিক্ষণ কলেজে তিন হাজার টাকা লেট ফি দিয়ে ভর্তির ছাড়পত্র দেয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার স্থগিতাদেশ জারি হওয়ায় পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে।

    আরও পড়ুন: সরকারি অনুষ্ঠানেই ব্রাত্য, ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠতে পারে মামলা

    জানা যাচ্ছে আদালতের কাজকর্ম স্বাভাবিক হলে মামলাটি ফের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে ওঠার সম্ভাবনা প্রবল। ইতিমধ্যে ডিএলএড ভর্তিতে একাধিক বিষয়ে বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগেই তিনি নির্দেশ দেন, সমস্ত বেসরকারি ডিএলএড কলেজকে তাদের ছাত্র তালিকা আদালতে জমা দিতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: ১০ জনের আসনে ১৭-২০ জন! পড়ুয়াদের নিয়ে বিপজ্জনকভাবে ছুটছে ‘পুলকার’

    Balurghat: ১০ জনের আসনে ১৭-২০ জন! পড়ুয়াদের নিয়ে বিপজ্জনকভাবে ছুটছে ‘পুলকার’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যাত্রীবাহী বাস এবং ট্রেকারকে পুলকার হিসাবে ব্যবহার করছে বালুরঘাটের (Balurghat) বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল। এরকমই গুরুতর অভিযোগ তুলে অভিভাবকরা বলছেন, পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে কারও কোনও মাথাব্যথা নেই। তাঁদের আরও অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ না করায় দিনের পর দিন এই প্রবণতা বেড়েই চলছে। যাত্রীবাহী বাস ও ট্রেকারগুলি একদিকে যেমন দ্রুতগতিতে  ছুটছে, তেমনই নেই পড়ুয়াদের কোনও নিরাপত্তা। পুলকার ব্যবহারের একাধিক নিয়ম মানতে প্রচুর টাকা গাড়ি ভাড়া বাবদ দিতে হয়। অভিযোগ, কম টাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বাস, ট্রেকার ভাড়া করে অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা টাকা মুনাফা লুটছে। বাস, ট্রেকারের পাশাপাশি প্রাইভেট ভাড়ার গাড়িগুলিও পুলকার হিসাবে দেদার ব্যবহার করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত কড়া পদক্ষেপের দাবি উঠেছে।

    ছোটখাট দুর্ঘটনাও ঘটছে (Balurghat)

    বালুরঘাট (Balurghat) শহর তো বটেই, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে পুলকার ব্যবহার করেন। সেই পুলকার নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। কোথাও যাত্রীবাহী বাস, কোথাও ট্রেকার, কোথাও ছোট চার চাকার ভ্যান অথবা ম্যাজিক গাড়িকে পড়ুয়াদের নিয়ে রাস্তায় ছুটতে দেখা যাচ্ছে। বেআইনি হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গাড়িকেও পুলকার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ১০ জনের আসনে ১৭-২০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নেই কোনও স্পিড লিমিট ডিভাইস। থাকলেও তা খুলে ফেলা হয়েছে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার জন্য সিট বেল্টের কোনও ব্যবস্থা নেই। কেয়ার টেকার তো দূর অস্ত, গাড়িগুলির ফিটনেস পর্যন্ত নেই। সিট বেহাল, চাকার অবস্থাও খারাপ। এই অবস্থায় দিনের পর দিন সেগুলি পড়ুয়াদের নিয়ে বেআইনি ভাবে চলেছে। যার জেরে কোথাও কোথাও ছোটখাট দুর্ঘটনাও ঘটছে।

    কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস (Balurghat)

    বেসরকারি স্কুলের একাংশ সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই চক্র চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে কয়েক বছর আগে পরিবহণ দফতর সরব হয়েছিল। তারা অভিযানেও নেমেছিল। পরে আর এনিয়ে তাদের কোনও সক্রিয়তা চোখে পড়েনি। ফলে অবস্থা যে কে সেই রয়ে গিয়েছে। অভিাবকরা জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের পদক্ষেপ করা উচিত। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা (Balurghat) পরিবহণ দফতরের আধিকারিক সৌমিত্র বিশ্বাস বলেন, আমরা প্রায়ই অভিযান চালিয়ে থাকি। বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। স্কুল খোলা হলেই এনিয়ে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। আগামী দিনেও এই বিষয় নিয়ে অভিযান চালানো হবে ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: নব জোয়ারে বন্ধ ভোটদান প্রক্রিয়া, অভিষেকের সামনেই কোন্দল প্রকাশ্যে

    Abhishek Banerjee: নব জোয়ারে বন্ধ ভোটদান প্রক্রিয়া, অভিষেকের সামনেই কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতের কোনও নির্বাচন নয়। পঞ্চায়েত ভোটে যোগ্য প্রার্থী ঠিক করার জন্য সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে নব জোয়ার কর্মসূচিতে চলছে ভোটগ্রহণ। স্বাভাবিকভাবে সেখানে বিরোধী দলের কারও থাকার কথা নয়। সকলেই তৃণমূল কর্মী। কিন্তু, ভোট দিতে এসে না দিয়ে চলে গেলেন ভোটাররা। ফলে, ভোট প্রক্রিয়া বানচাল হয়ে যায়। বুধবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে চারদিনের জেলা সফরে এসেছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। বুধবার রাতে তিনি চণ্ডীপুরে পৌঁছান। তিনি চলে যাওয়ার পর পরই ক্যাম্পে নিয়ম মেনে দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে ভোটেগ্রহণ শুরু হয়। কিন্তু, ভোটাভুটি শুরু হওয়ার পর পরই চণ্ডীপুর বিধানসভার ১০ অঞ্চলের তৃণমূল কর্মীদের বড় অংশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। ভোট বয়কট করা তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, বুথ স্তর থেকে যে নাম ঠিক করা হয়েছিল, সেই নামের কোনও প্রার্থী তালিকায় নেই। একেবারে নতুন মুখ। প্রার্থী পরিবর্তন কারা করল? এভাবে প্রার্থী চাপিয়ে দেওয়ার ঘটনা আমরা মেনে নেব না। তাই, ভোট প্রক্রিয়া শুরু হলেও আমরা ভোট দিইনি। প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বচসা চলে। আর ভোট না দেওয়ার কারণে চণ্ডীপুর বিধানসভার জলপাই-১, চৌখালি-২, বৃন্দাবনপুর-১, বৃন্দাবনপুর-২, ঈশ্বরপুর, ওসমানপুর, ব্রজলালচক, কুলবারি, দিবাকরপুর, নন্দপুর, বরাঘুনি সহ ১০ টি অঞ্চলের ভোট বন্ধ রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এমনিতেই এই চণ্ডীপুরে তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর অনুগামীর সঙ্গে প্রাক্তন বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্যের অনুগামীর দ্বন্দ্ব নতুন নয়। এবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী বাছাই নিয়ে এই কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল। যদিও এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কেউ মুখ খুলতে চাননি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল দলটাই দুর্নীতিগ্রস্ত। অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নব জোয়ার কর্মসূচির শুরু থেকে বিশৃঙ্খলা। দলীয় কোন্দলের জেরে ভোট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আগামীদিনে এই কোন্দলের জেরে দলটাই শেষ হয়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: নম্বরহীন প্লেটের গাড়িতে অবৈধভাবে মাটি পাচার, আটক ১

    Paschim Medinipur: নম্বরহীন প্লেটের গাড়িতে অবৈধভাবে মাটি পাচার, আটক ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাসপুরে (Paschim Medinipur) অবৈধভাবে মাটি তোলা ও মাটির গাড়ির দৌরাত্ম্য চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় বহুদিন ধরেই বেআইনি ভাবে মাটি খননের কাজ চলছে বলে এলাকার মানুষ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল। আর সেই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি বোঝাাই গাড়ি আটক করল ভূমি ও রাজস্ব দফতর। পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার দাসপুর-১ ব্লকের মামুদপুর এলাকায় চলছিল অবৈধভাবে মাটি তোলার কাজ। ওই আধিকারিক জানান, অবৈধভাবে মাটি তোলা ও পাচারের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি বোঝাই গাড়িগুলির নথিপত্র যাচাই করা হয়। এরপর একটি গাড়ির বৈধ কাগজ না মেলায় সেটি আটক করা হয়েছে।

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ

    দাসপুরে (Paschim Medinipur) বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে মাটি তোলা ও পাচারের অভিযোগ আগেও উঠেছে। মাটি বোঝাই গাড়ির দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। এই ঘটনা যে শুধু দাসপুরের এমনটা নয়, ঘাটাল মহকুমার ঘাটাল, চন্দ্রকোণাতেও এইরকম অবৈধভাবে মাটি তোলা ও পাচারের ঘটনা অনেক সময়েই দেখা যায় বলে জানা গিয়েছে। মাটি পাচারের সময় অনেক ক্ষেত্রেই নম্বরহীন প্লেটযুক্ত গাড়ি ব্যবহার করা হয়। অবৈধ মাটি পাচারের কাজে প্রচুর গাড়ির চলাচলে জন্য অতিষ্ঠ হয়ে উঠতে হচ্ছে পথচলতি মানুষকেও। মহকুমা জুড়েই অবৈধ মাটির গাড়ি দৌরাত্ম্য বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাইছে এলাকার সাধারণ মানুষ। এখন দেখার দাসপুর ও বাকি জায়গাগুলিতে প্রশাসনের তরফে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়!

    প্রশাসনের ভূমিকা

    গ্রামবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিককে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে দেখ যায়। এলাকার মানুষকে দাসপুর-১ ব্লকের (Paschim Medinipur)  ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক বলেন, এই অঞ্চল থেকে অবৈধভাবে মাটি তোলা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দোষী যারা, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে রণক্ষেত্র কল্যাণী, বোমাবাজি, জখম ৪

    TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে রণক্ষেত্র কল্যাণী, বোমাবাজি, জখম ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাতে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কল্যাণীর সগুনা পঞ্চায়েতের কাঁটাবেলে এলাকা। তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনেই বুথ সভাপতিকে ধরে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে সংখ্যালঘু সেলের নেতার বিরুদ্ধে। পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটে। ঘটনার জেরে এলাকায় বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর চালানো হয় দলীয় কার্যালয়ে। দুপক্ষের চারজন জখম হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    নব জোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নদিয়ায় আসছেন। কল্যাণীর সগুনায় তাঁর আসার কথা রয়েছে। সেই কর্মসূচি উপলক্ষে তৃণমূলের বুথ সভাপতি সাইফুল মণ্ডলের উদ্যোগে বুধবার রাতে কাঁটাবেলে তৃণমূল পার্টি অফিসে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। মিটিং চলাকালীন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি জাহাঙ্গির মণ্ডল দলবল নিয়ে এসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এমনকী এলাকায় বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত তৃণমূলের বুথ সভাপতি সাইফুল মণ্ডল বলেন, “আসলে আমি নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। সেটা অনেকেই মেনে নিতে পারছে না। মিটিং চলাকালীন জাহাঙ্গিরের নেতৃত্বে হামলা হয়। মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। এলাকায় বোমাবাজি করে ওরা।” অন্যদিকে, সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি জাহাঙ্গির মণ্ডল বলেন, “সাইফুলের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। বিজেপির মদতে ওরা এসব করছে। আমি সহ কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছি। আমরা কোনও হামলা করিনি। বোমাবাজির অভিযোগ ঠিক নয়।”

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সভাপতি তারক চন্দ বলেন, “পার্টি অফিসে বসা নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছিল। ভুল বোঝাবুঝি থেকে এসব হয়েছে। দলীয় কোন্দলের বিষয় নেই। তবে, আমাদের আরও সংযত হওয়া দরকার। দুপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রত্যেকে নিজেদের ভুল স্বীকার করেছে। ফলে, আর কোনও সমস্যা নেই। আমরা সকলেই একজোট হয়ে লড়াই করব।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা শুভাশিস বিশ্বাস বলেন, “তৃণমূলের (TMC) এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আজকের নয়। এই দল শুরু থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সূত্রপাত। এই ঘটনা শুধু কাঁটাবেলের এলাকা জুড়ে নয়, গোটা রাজ্যজুড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। দুর্নীতির জেরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। এই দলটি লুটের রাজত্ব চালাচ্ছে। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: সরকারি অনুষ্ঠানেই ব্রাত্য, ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী

    Uttar Dinajpur: সরকারি অনুষ্ঠানেই ব্রাত্য, ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) সরকারি অনুষ্ঠানে ইসলামপুরের বিধায়ককে ব্রাত্য করে রাখার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ তৃণমূলের ওই বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁকে ব্রাত্য রেখে শুধুমাত্র ইসলামপুর পুরসভার পুরপিতাকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আর এই ঘটনায় জেলার রাজনীতিতে ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    কী ঘটেছিল উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ইসলামপুরে?

    বুধবার ইসলামপুর মহকুমা (Uttar Dinajpur) প্রশাসনের উদ্যোগে স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। আমন্ত্রিত ছিলেন উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক, ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার, পুরপিতা, বিডিও এবং মহকুমা যুব আধিকারিক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকরা। তবে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাঁকে আমন্ত্রণই জানাননি মহকুমা প্রশাসক, এমনটাই অভিযোগ করেন ইসলামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। সরকারি অনুষ্ঠানে বিধায়ককে আমন্ত্রণ না জানানোর ঘটনায় জোর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

    তৃণমূলের বিধায়ক বনাম উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) জেলা সভাপতি

    বেশ কিছু দিন ধরে ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা (Uttar Dinajpur) সভাপতির বিবাদ চরমে উঠেছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ডের নবজোয়ার যাত্রায় যাননি বিধায়ক। বিধায়কের এই ভূমিকা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে আসার পর দলের নেতাদের মধ্যে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। বিধায়কের অভিযোগ ছিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশের পর কেবলমাত্র নামেই বিধায়কের বাড়িতে গিয়েছিলেন জেলা সভাপতি। আবার সূত্রে জানা যায়, বিধায়ক জেলা সভাপতির উপর বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছিলেন। বিধায়কের সেই শর্তের মান্যতা দেওয়া জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের পক্ষে কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের দুই নেতার বিবাদ এবার প্রশাসনের কাজের উপর পড়ল বলে মনে করছে রাজনীতিকদের একাংশ।

    মহকুমা শাসকের বিরুদ্ধে ইসলামপুর বিধায়কের ক্ষোভ

    বুধবার বিধায়ককে বাইরে রেখেই ইসলামপুর স্টেডিয়ামে খেলার উদ্বোধন হল। মহকুমা (Uttar Dinajpur) প্রশাসনের এহেন ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি জানান, মহকুমা শাসক একজন আইএএস অফিসার। উন্নয়নের কথা বললেই, তিনি আইন দেখান। সরকারি অনুষ্ঠানে বিধায়ককে আমন্ত্রণ না জানানো কোন আইনে আছে? তাঁকে চক্রান্ত করেই সরকারি অনুষ্ঠানে ব্রাত্য রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন এই তৃণমূলের বিধায়ক।

    মহকুমা শাসকের বক্তব্য

    অন্যদিকে, ইসলামপুরের মহকুমা (Uttar Dinajpur) শাসক মহঃ আব্দুল শাহিদ বলেন, স্টেডিয়ামের উদ্বোধন আগেই হয়েছিল। আজ একটি মাত্র ফুটবল খেলা এখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরপর বড় কোনও খেলার প্রতিযোগিতা হলে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েই করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat: “দলের কোন্দলের জন্যই রাস্তা করতে পারিনি”, ক্ষমা চাইলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য

    Panchayat: “দলের কোন্দলের জন্যই রাস্তা করতে পারিনি”, ক্ষমা চাইলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূলের দলীয় কোন্দলের জন্য রাস্তা করতে পারিনি। আপনারা আমায় ক্ষমা করুন।” গ্রামবাসীদের কাছে এভাবেই ক্ষমা চাইছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য নরেশ রায়। শিলিগুড়ির কাছে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লক। সেখানকার পানিকৌরি গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat) নয়াবড়ি গ্রামের রাস্তাটি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। রাস্তা জুড়ে খানাখন্দ। বৃষ্টি হলেই জল জমে। বর্ষাকাল তো বটেই, বছরের অন্যান্য সময়ও এই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলা তো দূরের কথা, পথ চলতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। তাই এবার রাস্তার দাবিতে পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা।

    রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কটের (Panchayat) হুমকি

    বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোট আসে, ভোট চায়। তবু রাস্তার হাল ফেরে না। ভোটের সময় নেতা-মন্ত্রীরা প্রচারে এসে রাস্তা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে যান। কিন্তু ভোট মিটে গেলে তাঁদের দেখা মেলে না। এভাবেই দীর্ঘ ১৫ বছরে ধরে এই রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। রাস্তা ভেঙে জায়গায় জায়গায় বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। গ্রামের ছেলেমেয়েরা সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যেতে পারে না। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। বর্ষাকালে হাঁটাও যায় না। সবাইকে বলেছি, কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।

    ক্ষমা চাইলেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত (Panchayat) সদস্য

    এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য (Panchayat) তৃণমূলের নরেশ রায় বলেন, আমি একাধিকবার গ্রাম পঞ্চায়েতের বৈঠকে এই রাস্তা করার জন্য বলেছি। লিখিতভাবেও জানিয়েছি। কিন্তু আমার কথা শোনা হচ্ছে না। আমাদের দলের গোষ্ঠী কোন্দলের জন্যই এই রাস্তা হচ্ছে না। আমি তৃণমূলের ওবিসি সেলের নেতা। তাই আমার কথা শুনছে না গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। তাই আমি গ্রামবাসীদের কাছে ক্ষমা চাইছি। তারপরেও গ্রামের মানুষ ভোট বয়কট করলে আমার করার কিছু নেই।

    প্রধানের (Panchayat) পাল্টা অভিযোগ 

    পানিকৌরি গ্রাম পঞ্চায়েত (Panchayat) প্রধান আলোপ রায় এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত সদস্য নরেশ রায় কিছুই বোঝে না। কয়েকজনকে নিয়ে রাজনীতি করছে। আমার দলের লোক, তাই কিছু বলা উচিত নয়। ওই রাস্তা করার জন্য একবারও সে বলেনি। তালিকার শীর্ষে থাকা কাজটিকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এই রাস্তা বাদ দিয়ে গ্রামের একটি ভালো রাস্তার টেন্ডার পাশ করিয়েছেন নরেশ রায়। আমি তৃণমূলের শাখা সংগঠন বা মাদার- এরকম কোনও ভেদাভেদের রাজনীতি করি না। দলকে ওর সম্পর্কে আমি সব জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: ২০০ টাকা না দিলে মিলবে না মার্কশিট, তীব্র অসন্তোষ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে

    Uttar Dinajpur: ২০০ টাকা না দিলে মিলবে না মার্কশিট, তীব্র অসন্তোষ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০ টাকা না দিলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট দেওয়া হচ্ছে না বলে মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার (Uttar Dinajpur) রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর দ্বারিকাপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্র স্কুলে। এর জেরে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে মার্কশিট নিতে আসা ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের মধ্যে। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই স্কুলে ছুটে আসেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাঁর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেে।

    উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) কোথায় ঘটল এমন ঘটনা?

    বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ (Uttar Dinajpur) শহরের সুদর্শনপুর দ্বারিকাপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্র স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট দেওয়া হচ্ছিল। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, স্কুলের ৭৫ তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের জন্য ২০০ টাকা করে চাঁদা না দিলে, মার্কশিট দেওয়া হচ্ছে না। তাদের আরও অভিযোগ, ৭৫ তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের জন্য গত বছরও ২০০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হয়েছিল। সেই টাকা জমা করার রশিদও রয়েছে তাদের কাছে। প্রশ্ন এখানেই, দুবার কেন টাকা দিতে হবে? এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর স্কুল কর্তৃপক্ষ দেয়নি বলে অভিযোগ ছাত্রছাত্রীদের। তাদের বক্তব্য, গতকাল একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, যারা বিদ্যালয়ের ৭৫ তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের জন্য ২০০ টাকা দিতে ইচ্ছুক, তারাই টাকা দিয়ে মার্কশিট নিতে পারবে। অথচ মার্কশিট নিতে গেলে দেখা যায়, প্রত্যেককেই ২০০ টাকা দিতে হবে বলে জানানো হচ্ছে স্কুলের তরফে। পরীক্ষার আগে একবার ২০০ টাকা দেওয়ার পরেও আবার কেন টাকা চাওয়া হচ্ছে! পাশাপাশি নোটিশে বলা হয়নি যে, সবাইকেই টাকা দিতে হবে! যাদের সামর্থ্য আছে তারা দিচ্ছে ঠিক আছে। কিন্তু সবার আর্থিক অবস্থা তো সমান নয়। তাহলে এই নিয়ম সবার ওপর কেন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলছে ছাত্রছাত্রীরা।

    স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য

    ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন বিদ্যালয়ের (Uttar Dinajpur) প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ দত্ত। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টা ছাত্রছাত্রীরা বুঝতে ভুল করেছে। অভিভাবকদের মিটিং-এ সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে বিদ্যালয়ের ৭৫ তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষে মাথা পিছু ৪০০ টাকা করে নেওয়া হবে। কাউকেই জোর করা হয়নি। হয়তো তারা মিটিং-এ আসেনি, তাই বিষয়টা বুঝতে ভুল করছে। বিদ্যালয়ের তরফে কাউকে বাধ্য করা হয়নি যে টাকা দিতেই হবে। প্রধান শিক্ষক বলেন, যারা টাকা দিতে অসমর্থ, তাদেরও মার্কশিট দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে প্রধান শিক্ষকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠছে অনেক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anganwadi Center: দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ, বাদ যাচ্ছে না অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও!

    Anganwadi Center: দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ, বাদ যাচ্ছে না অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা! তাদের তাণ্ডবে কার্যত অতিষ্ঠ দাসপুরের খাটবাড়ই এলাকার মানুষ। দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব থেকে বাদ যাচ্ছে না এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও (Anganwadi Center)। তাই স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। একইসঙ্গে মানুষের ক্ষোভও বাড়ছে।

    কীভাবে তাণ্ডব চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা (Anganwadi Center)?

    এলাকার ভুক্তভোগী মানুষজন জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলছে। রাত বাড়লে দুষ্কৃতীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। দাসপুর এক নম্বর ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাটবাড়ই এলাকায় তারা দাপিয়ে বেড়ায়। বাড়ে মদ্যপদের দাপাদাপি। এমনকী রেহাই পায় না শিশুদের জন্য তৈরি এলাকার আইসিডিএস কেন্দ্রও (Anganwadi Center)। গত বুধবার রাতে তাণ্ডব কার্যত চরমে ওঠে। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় আইসিডিএস কেন্দ্রের চেম্বার। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। জানা গিয়েছে, দাসপুরের প্রত্যন্ত এলাকার এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়াশোনা করে প্রায় ৬০ জন শিশু। প্রায় ৪০ জন গর্ভবতী মহিলার পুষ্টিকর খাদ্যেরও সরবরাহ করা হয় এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকেই। কিন্তু সেখানেই দুষ্কৃতীদের দাপটে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী থেকে সহায়িকাদের।

    কী বলছেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের (Anganwadi Center) কর্মীরা?

    অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী কাবেরী সিংহরায়ের অভিযোগ, এর আগে পানীয় জলের ট্যাপের মুখ খুলে নিয়ে চম্পট দিত দুষ্কৃতীরা। পরে তারা ভেঙে ফেলে আস্ত কল। ফলে এখন পানীয় জলের বন্দোবস্ত করতে হয় বাইরে থেকেই। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের আবর্জনা ফেলার জন্য দিন কয়েক আগে তৈরি করা হয়েছিল চেম্বার। এবার সেই চেম্বারটিকেও ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এমন কাণ্ডে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের (Anganwadi Center) কর্মী থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে। উল্লেখ্য, অতীতেও এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু এত কিছুর পরেও কেন টনক নড়েনি প্রশাসনের? সে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। গোটা বিষয়টি পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে জানিয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা। কেন এমন ঘটনা ঘটছে, তা খতিয়ে দেখা হবে বলেই জানাচ্ছেন দাসপুর এক পঞ্চায়েত সমিতির আধিকারিকরা। এখনও পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে থানার দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা। এতকিছুর পরেও আদৌ কি এলাকায় কমানো যাবে দুষ্কৃতিদের তাণ্ডব? বাগে আনা যাবে মদ্যপদের? এটাই এখন বড় প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাড়িতে বিস্ফোরণ! উড়ল বাড়ির ছাদ

    Nadia: তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাড়িতে বিস্ফোরণ! উড়ল বাড়ির ছাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণের ঘটনায় তৃণমূল নেতা ভানু বাগের বাড়ি উড়ে গিয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল ১১ জনের। তার কয়েকদিন পরই বীরভূমের দুবরাজপুরে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রাজ্যু জুড়ে সর্বত্র মুড়ি মুড়কির মতো বোমা উদ্ধার করছে পুলিশ। এইসব ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ির ছাদ, ভেঙে পড়ল দেওয়াল। বিকট আওয়াজে চরম আতঙ্কে এলাকাবাসী। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) চাপড়া থানার মহিষনগর পূর্বপাড়া এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বুধবার রাতে নদিয়ার (Nadia) চাপড়া থানার মহিষনগর পূর্বপাড়ায় সাইফুল শেখ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আচমকা বিকট আওয়াজ শুনতে পান এলাকাবাসী। সাইফুল তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয়। প্রথমে কেউ বাড়ি থেকে ভয়ে না বের হলেও পরে গিয়ে দেখতে পান, সাইফুল শেখের বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে। ঘরের চারপাশের দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। যেহেতু বিকট আওয়াজের সঙ্গে এই বিস্ফোরণ ঘটে, তাই এলাকাবাসী মনে করছেন, বোমা বিস্ফোরণই হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চাপড়া থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বোমা নিষ্ক্রিয়কারী প্রতিনিধি দলকে। তবে, বোমা বিস্ফোরণের সময় সাইফুলের বাড়িতে কেউ ছিল না বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দা?

    এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম শেখ বলেন, বিকট আওয়াজ শুনতে পেয়ে গিয়ে দেখি, সাইফুলের বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে এবং দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। সেই কারণে অনুমান করা হচ্ছে, একাধিক বোমা মজুত ছিল ওই বাড়িটিতে। ঘটনার পর আমরা রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছি।

    বোম্ব স্কোয়াডের আধিকারিক কী বললেন?

    বোমা নিষ্ক্রিয়কারী প্রতিনিধি দলের এক আধিকারিক জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে বোমা ফেটেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে, বিস্ফোরণের তীব্রতা কতটা ছিল, সেটা যাচাই করা হচ্ছে। ঘটনার পর চাপড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

    ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হল তাজা বোমা

    বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে সিআইডি ঘটনাস্থলে যায়। ফরেনন্সিক টিম গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। এদিন ঘটনাস্থল থেকে একাধিক তাজা বোমা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। আর কোথাও বোমা রয়েছে কি না তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। তবে, ঘটনার পর এলাকার লোকজন চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share