Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Panihati: পানিহাটি মহোৎসবতলা ঘাটের মন্দিরের ভিতরে এবার পুজো দিতে পারবেন না ভক্তরা, কেন জানেন?

    Panihati: পানিহাটি মহোৎসবতলা ঘাটের মন্দিরের ভিতরে এবার পুজো দিতে পারবেন না ভক্তরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাল, শুক্রবার পানিহাটির (Panihati) মহোৎসবতলা ঘাটে চিঁড়ে উৎসবের সূচনা হচ্ছে। সাজো সাজো রব গোটা এলাকা। গতবারের  দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার পানিহাটির মহোত্সবতলা ঘাটের মন্দিরের ভিতরে ঢুকে এবার আর ভক্তরা পুজো দিতে পারবেন না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম প্রস্তুতি রয়েছে। গতবার পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন বহু ভক্ত। মন্দিরের মূল সেবাইত বঙ্কুবিহারী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দুর্ঘটনা এড়াতে এবার ভক্তের সংখ্যা কমবে মনে হয়। আর ভক্তরা এসে মন্দিরে পুজো দিতে না পারলে তাঁরা হতাশ হবে। ফলে, আগামীদিনে ভক্তের সংখ্যা আরও কমবে। তবে, প্রশাসনের সিদ্ধান্ত আমাদের মেনে নিতে হবে।”

    দুর্ঘটনা এড়াতে এবার কী উদ্যোগ নিল প্রশাসন?

    জানা গিয়েছে, পানিহাটি (Panihati) দণ্ড মহোৎসব এবছর প্রশাসন কিছু নির্দিষ্ট রুটে দর্শনার্থীদের প্রবেশের জন্য ধার্য করা হয়েছে। মূলত দর্শনার্থীরা সোদপুর ট্রাফিক মোড় ও স্বদেশী মোড় দিয়ে হেঁটে প্রবেশ করতে পারবে উৎসব প্রাঙ্গণে। কিছুটা দূরত্ব থেকে একমুখী পথ রাখা রয়েছে দর্শনার্থীদের  জন্য। সেই পথ ধরে কয়েকটি ড্রপ গেট ধরে এগিয়ে শ্রী শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর শ্রী মন্দির পানিহাটি (Panihati) দণ্ড মহোৎসব তলায় প্রবেশ করতে পারবেন  দর্শনার্থীরা। মূল মন্দিরে পুজোর ক্ষেত্রেও রয়েছে কিছু নির্দেশিকা। মূল মন্দির থেকে ইসকন পানিহাটি হয়ে রাঘব ভবন (পাটবাড়ী) যাওয়ার পথ সম্পূর্ণ একমুখী রাখা রয়েছে। পানিহাটি বৈষ্ণব সমিতি মাঠে করা হচ্ছে পূর্ণার্থীদের বিশ্রামের ব্যবস্থা। রয়েছে স্বাস্থ্য শিবির। এছাড়াও দুটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া থাকছে ফ্রায়ার ব্রিগেড থেকে শুরু করে পানীয় জলের সুব্যবস্থা। প্রসাদ বিতরণের জন্য মন্দিরগুলিকে আলাদা ভাবে ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে প্রশাসন সূত্রে। মেলার ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনো স্টল বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি এবার। এছাড়া খুব গরম থাকায় থাকবে বিশেষ জল বর্ষণের ব্যবস্থা। এছাড়া থাকছে ২০০ টির বেশি সিসিটিভির মাধ্যমে সুরক্ষা ব্যবস্থা।

    কবে শুরু হয়েছিল এই উৎসব?

    চৈতন্য মহাপ্রভু পানিহাটির (Panihati) মহোত্সবতলা ঘাটে চিঁড়ে উত্সবের সূচনা করেছিলেন। ৫০৭ বছর আগেই ভক্তদের উপস্থিতিতে মহাপ্রভুর নির্দেশে এই উত্সব শুরু হয়েছিল। কথিত আছে ১৫১৬ সালে সপ্তগ্রামের জমিদার রঘুনাথ দাসকে দই চিঁড়ে বিতরণের কৃপাদণ্ড দিয়েছিলেন। মহাপ্রভু ও ভক্তদের সকলের জন্য দই, চিঁড়া, কলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই থেকেই  এখানে এই চিঁড়ে উত্সব পালিত হয়ে আসছে। ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস এই উত্সবে আসতেন। এছাড়াও রামদাস বাবাজী, মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মতো মণীষীদের পদধূলি ধন্য এই মহোত্সব তলা ঘাট। কালের নিয়ম মেনেই কয়েকশো বছর ধরেই এই পানিহাটিতে এই উত্সব পালিত হয়ে আসছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পুরসভার ভিতরে তৃণমূল কাউন্সিলরকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত দলীয় দুই কাউন্সিলর

    TMC: পুরসভার ভিতরে তৃণমূল কাউন্সিলরকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত দলীয় দুই কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার মধ্যে ঢুকে তৃণমূলের (TMC) এক কাউন্সিলরকে মারধর করার অভিযোগ উঠল দলেরই দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ভাটপাড়া পুরসভা এলাকায়। জখম কাউন্সিলরের নাম সত্যেন রায়। তিনি বরাবরই সাংসদ অর্জুন ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। জগদ্দল বিধানসভার বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের মা রেবা রাহা ভাটপাড়া পুরসভায় চেয়ারপার্সন। পুরসভার চেয়ারপার্সন সহ একাধিক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তিনি মুখ খুলেছেন। পুরসভাকে ব্যবহার করে কয়েকজন কাউন্সিলর লুটেপুটে খাচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছিলেন। এরপরই পুরসভার ভিতরে এই হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। হামলার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে ভাটপাড়া পুরসভায় বোর্ড মিটিং ছিল। তার আগেই পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়ের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে দলেরই দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত কাউন্সিলরকে চিকিৎসার জন্য ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এবিষয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। আক্রান্ত তৃণমূল (TMC)  কাউন্সিলর সত্যেন রায় বলেন, “আমাকে একা পেয়ে সাত-আটজন মিলে মারধর করেছে। তাদের মধ্যে দুজনকে চিনতে পেরেছি। তাঁরা ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। আসলে আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। ওরা আমার মুখ বন্ধ করতে চায়। তাই এই হামলা।” ঘটনার পর অবশ্য ভাটপাড়া পুরসভায় বোর্ড মিটিং হয়েছে। সেখানে দলের কাউন্সিলরের ওপর আরেক কাউন্সিলারের হামলার ঘটনাটি উত্থাপিত হয়।

    হামলার ঘটনা নিয়ে কী বললেন ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান?

    এই প্রসঙ্গে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, “ঘটনার সময় আমি পুরসভায় ছিলাম না। তবে, বিষয়টি মোটেই কাঙ্খিত হয়। অভিযুক্ত কাউন্সিলর জানিয়েছেন, উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারণে ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে। আগামী দিনে এই রকম ঘটনা ঘটবে না বলে প্রত্যেক কাউন্সিলর জানিয়েছেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Bardhaman: অবৈধ মদের দোকানের প্রতিবাদে মহিলাদের বিক্ষোভ

    Paschim Bardhaman: অবৈধ মদের দোকানের প্রতিবাদে মহিলাদের বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার হিরাপুর থানার অন্তর্গত বার্নপুর এলাকায় অবৈধ মদের দোকানের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে মহিলারা সরব হয়ে ওঠে। প্রথমে কয়েকজন মহিলা হাতে লাঠি ও ঝাড়ু নিয়ে দোকানের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করে। এরপর মদের দোকানের সামনে গিয়ে আন্দোলন করে মদের দোকান বন্ধ করে দেয়। পরে মহিলারা হিরাপুর থানার সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এবং থানার মেজ বাবুর হাতে এক অভিযোগ পত্র তুলে দিয়েছে বলে, জানা যায়।

    পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) কোথায় ঘটল ঘটনা?

    ৭৮ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় মহিলারা বলে, বার্নপুর (Paschim Bardhaman) বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি বেআইনি মদের দোকান চলছে, যার জেরে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। প্রায়ই মদের দোকানে মদ্যপদের জমায়েত হয় ও তারা অশালীন আচরণ করে। যার ফলে, মহিলারা ওই রাস্তার পাশ দিয়ে যাতায়াত করার সময় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যায় পড়ছে। এই সমস্যা একদিনের নয়, বর্তমানে নিত্যদিন ঘটে চলেছে। এলাকার মহিলারা আরও দাবি করে, একই সাথে অঞ্চলের পরিবেশ ও শান্তিকে বিঘ্নিত করছে, এই অবৈধ মদের দোকান। তাই মহিলারা বিক্ষোভ করে মদের দোকান বন্ধ করে দেয় । 

    স্থানীয় মহিলার বক্তব্য

    প্রতিবাদী এক স্থানীয় (Paschim Bardhaman) মহিলা দেবশ্রী ভদ্র বলেন, এই এলাকায় অবৈধ মদের দোকানের ব্যবসা খুব রমরমিয়ে চলছে। কোনও রকম রাখঢাক না রেখেই প্রকাশ্যে মদ্যপান চলছে। এলাকায় মাতালদের আনাগোনা অনেক বেড়ে গেছে। অনেক রাত পর্যন্ত এলাকায় মদের দোকান খোলা থাকে, রাস্তায় দিয়ে যাতায়াত করতে গেলে আমরা নিজেরা সুরক্ষিত বলে মনে করিনা বলে জানান তিনি। দেবশ্রীদেবী আরও বলেন, এলাকার মহিলাদের নিরাপত্তার কথা কোনও জনপ্রতিনিধি ভাবছেন না, আর তাই স্থানীয় থানায় আমরা অভিযোগ জানাতে এসেছি। অভিযোগ পত্র লেখা হয়ে গেছে, এবার থানার অফিসারের কাছে জমা করা হবে বলে জানান তিনি। এলাকায় মহিলাদের প্রতিবাদে মদের দোকান বন্ধ হওয়ায় আপাতত কিছুটা স্বস্তি মিলেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন, ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধারে আতঙ্ক জেলা জুড়ে

    Murshidabad: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন, ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধারে আতঙ্ক জেলা জুড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরা, বজবজ ও বীরভূমে পরপর বাজি বিস্ফোরণের পর থেকেই রাজ্য জুড়ে চলছে অবৈধ বাজি এবং বোমা উদ্ধারের পুলিশি তল্লাশি। বুধবার সকাল থেকেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানীনগর, রেজিনগর এবং ডোমকলে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর সকেট বোমা। আর বোমা উদ্ধারে জেলার মানুষ রীতিমতন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে চলছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর।

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানীনগরে বাগান থেকে উদ্ধার বোমা

    রানীনগরে তিন ব্যাগ ভর্তি সকেট বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রানীনগর (Murshidabad) থানার ইলসামারি এলাকায় একটি বাগানে তল্লাশি চালায় রানীনগর থানার পুলিশ। তারপর তিন ব্যাগ ভর্তি সকেট বোমা উদ্ধার হয় বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছাড়ায়। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, বর্তমান তাই ঘটনাস্থলে পুলিশ  রয়েছে। ইতিমধ্যে বোম স্কোয়াড কর্মীদের খবর দেওয়া হয়েছে বোমগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য। তবে কে বা কারা, কী কারণে, এতগুলি বোমা বাগানের মধ্যে মজুত করে রেখেছিল, সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে, রানীনগর থানার পুলিশ।

    রেজিনগরে পাট ক্ষেতে বোমা উদ্ধার

    বেলডাঙা ২ রেজিনগর (Murshidabad) থানার বিকননগর কৈখালী সাঁকোর কাছে, পাটের জমি থেকে উদ্ধার হল এক ড্রাম ভর্তি তাজা সকেট বোমা। আর এই উদ্ধারকে ঘিরে, তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে। স্থানীয়রা ক্ষেতের মধ্যে বোমা দেখে, রেজিনগর থানায় খবর দিলে, পুলিশ সেগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করে। এই ঘটনায় এলাকার চাষিরা জমিতে চাষ করতে যেতে ভয় পাচ্ছে, বলে জানা যায়।

    ডোমকলে নদীর ধারে বোমা উদ্ধার

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই ডোমকলে (Murshidabad) আবার উদ্ধার সকেট বোমা। আর ঐ বোমা উদ্ধার ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বৃহষ্পতিবার সকালে এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় মুর্শিদাবাদের ডোমকলের ডুমুরতলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় শিয়ালমারী ঘাটের ধারে। ঘটনার পরে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সকাল নদীর ধারে ঘোরাঘুরি করে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তারপরেই নদীর ধারে একটি বাগান থেকে একটি বালতি বোঝাই সকেট বোমা উদ্ধার হয়। উদ্ধারের পর বোমার স্থানকে সংরক্ষণ করে রাখে এলাকার পুলিশ।

    বোমা উদ্ধার নিয়ে চাপান-উতোর

    বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ডোমকল (Murshidabad) ব্লকের ৮ নং রায়পুর পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি আজিজুল ইসলাম বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বিরোধীদের এই বোমা দিয়ে আতঙ্কিত করবেন বলেই, এত বোমার মজুত। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে রাইপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মিনারুল সেখ বলেন, ডুমুরতলা এলাকায় কিছু দুষ্কৃতীরা সব ষড়যন্ত্র করছে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট, তাই যত দিন এগোচ্ছে তত গ্রাম বাংলায় বোমার আতঙ্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছে, সাধারণ মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: নবজোয়ারে অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীর ধাক্কায় জখম মন্ত্রী অখিল গিরি

    Abhishek Banerjee: নবজোয়ারে অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীর ধাক্কায় জখম মন্ত্রী অখিল গিরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও সাধারণ মানুষ বা দলীয় কর্মী নন। তিনি তৃণমূলের ক্যাবিনেট মন্ত্রী। আর তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ারে যোগ দিয়ে সেই মন্ত্রীকে নিরাপত্তা রক্ষীর ধাক্কা খেতে হল। এমনকী নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে তিনি হাতে গুরুতর চোট পান। ঘটনার পর তিনি রেগে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    বুধবার উত্তর কাঁথির মুকুন্দপুরে অভিষেক আসেন। সেখানে আগে থেকেই মন্ত্রী অখিল গিরি হাজির ছিলেন। কনভয় ছেড়ে নেমে অভিষেক (Abhishek Banerjee) পদযাত্রার মাধ্যমে এলাকায় জনসংযোগ করেন। তার সঙ্গে অখিলবাবুও ছিলেন। এই কর্মসূচি শেষ করার পর চণ্ডিভেটিতে বীরেন্দ্র শাসমলের জন্মভিটেতে অভিষেকের সঙ্গে মন্ত্রীর যাওয়ার কথা ছিল। অভিষেক পদযাত্রা শেষ করে নিজের গাড়িতে উঠে পড়েন। অখিল গিরি নিজের গাড়ির দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। সেই সময় অভিষেকের গাড়ির পিছনে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ধাক্কা দেন। মন্ত্রী হাতে গুরুতর চোট পান। এনিয়ে তাঁর অনুগামীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নিরাপত্তারক্ষীর হাতে ধাক্কা খেয়ে তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তারক্ষীরা সাধারণ মানুষকে ঠেলেছে। আমাকে ঠেলেছে। আমি হাতে চোট পেয়েছি। এরপরই তিনি এলাকা ছেড়ে চলে যান। তবে, অভিষেকের কনভয়ের পিছনে আর তিনি যাননি। ঘটনার পর পরই তিনি অভিষেকের কর্মসূচিতে না গিয়ে সোজা বাড়ি ফিরে যান।

    নবজোয়ারে অভিষেকের কনভয় যাওয়ার আগে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল মহিলার!

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় যাবে বলে রাস্তার দুধারে দড়ি টাঙানো হয়েছিল। সেই দড়িতে লেগে এক বাইকের পিছনে থাকা মহিলা পড়ে যান। পিছন দিক দিয়ে একটি গাড়ি এসে তাঁকে ধাক্কা মারলে ওই মহিলার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে রামনগর ব্লকের কাদুয়া অঞ্চলের মাইতি মোড় এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শী স্বপন পট্টনায়েক বলেন, বাইকে করে যাওয়ার সময় দড়িতে লেগেই ওই মহিলা পড়ে যান। তারপরই পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা কমলেশ দাস বলেন, কোনও দড়ি লেগে বাইক থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়নি। আসলে ওই মহিলা বাইকের মধ্যে ঘুমিয়েছিলেন। সামনে পিকআপ ভ্যান আসতেই ভয় পেয়ে তিনি পড়ে যান। পরে, পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, আসলে অভিষেক কাটমানি আর চোরেদের সংগঠিত করার জন্য এসেছেন। সেই কাজ করতে এসে যখন দেখছেন তার দলের নেতার দ্বারা ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না, তখন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে মন্ত্রীর হাত মুচড়ে দিচ্ছেন।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: অধ্যাপিকা খুনে সাজাপ্রাপ্ত আসিফই বারাকপুর খুনকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড?

    Barrackpore: অধ্যাপিকা খুনে সাজাপ্রাপ্ত আসিফই বারাকপুর খুনকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরসন্ধ্যায় বারাকপুরের (Barrackpore) আনন্দপুরীতে সোনার দোকানে ঢুকে মালিকের ছেলেকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম আশিস কুমার ওরফে আসিফ নামে একজন পাটনায় এক অধ্যাপিকা সহ দুজনকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল। সেই দুষ্কৃতী জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই বারাকপুরে সোনার দোকানে খুনের ঘটনায় জড়িত রয়েছে বলে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে। ঘটনার পর তার নাগাল পায়নি পুলিশ।

    অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে?

    ২০০৬ সালের ৩ ডিসেম্বর পাটনার অভিজাত পাটলিপুত্র কলোনিতে এক আইএএস অফিসার টুকটুক ঘোষ এর বাংলোয় ডাকাতি করতে আসে আশিস কুমার সহ কয়েকজন দুষ্কৃতী। বাধা দিতে গিয়ে খুন হয়েছিলেন আইএএস অফিসারের বোন পাপিয়া ঘোষ। তিনি দিল্লি ও পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপিকা ছিলেন। সেই সঙ্গে খুন হন তাঁর বৃদ্ধা পরিচারিকা মালতি দেবী। ডাকাতিতে বাধা পেয়ে রান্নাঘরের ছুরি দিয়ে ৩৪ বার নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল ৫৩ বছরের পাপিয়াকে। তাঁর বাবা পাটনার আইএএস অফিসার উজ্জ্বল কুমার ঘোষও খুন হন ১৯৫৭ সালে। তার ঠিক ৫০ বছর পর নৃশংসতায় খুন হন তাঁর মেয়ে। বিহারের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নীতীশ কুমার। তাঁর শিক্ষা দফতরের কাজে অন্যতম সহায়িকা ছিলেন পাপিয়া। তাঁর দিদি টুকটুক ঘোষ তখন ছিলেন লোকসভার তৎকালীন স্পিকার প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিশেষ সচিব। দেশের শিক্ষামহলে শোরগোল ফেলে দেওয়া সেই খুনে ধরা পড়েছিল আশিস কুমার নামের এক দুষ্কৃতী। ২০০৮ সালে সেই খুনে সাজা হয় আশিসের। সাজা শেষ করে গত বছরই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল ওই কুখ্যাত দুষ্কৃতী। সেই আশিসই নাম পাল্টে আসিফ নাম নিয়ে অপরাধ জগতে পা দেয়। বারাকপুরের (Barrackpore) স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলে খুনের ঘটনায় এই আশিসের ওরফে আসিফের যোগ উঠে এসেছে তদন্তকারী গোয়েন্দাদের হাতে। আশিস ওরফে আসিফই বারাকপুরের (Barrackpore) ঘটনার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড এমনটাই উঠে এসেছে পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দাদের হাতে।

    অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ

    পুলিশ সূত্রে খবর, ২৪ মে বারাকপুরের (Barrackpore) আনন্দপুরীর সোনার দোকানে যে চারজন দুষ্কৃতী ঢুকেছিল, তারমধ্যে শফি খান, জামশেদ আনসারিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে, এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আসিফ সহ দুজন পলাতক। সূত্র অনুযায়ী, আসিফের মোবাইল টাওয়ারের শেষ লোকেশন ওড়িশায় পাওয়া গিয়েছে। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শফি ২২ লক্ষ টাকা ডাকাতির মামলায় জেল খেটেছিল। পরে, ছাড়া পেয়ে পরিবার নিয়ে সে ঝাড়খণ্ডে চলে যায়। কিন্তু সেখান থেকে চলতি বছরের প্রথম দিকে সে রহড়ার পাতুলিয়ার একটি অভিজাত আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকা শুরু করে। ঘটনায় আর এক ধৃত শফির মামা জামশেদ আনসারিও একটি অপহরণের ঘটনায় বিহারের ভাগলপুর জেলে বন্দি ছিল। সেখানে আসিফের সঙ্গে তার আলাপ। জেল  থেকে বেরিয়ে ফের অপরাধ জগতে পা রাখে তারা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: প্রাথমিকে চাকরি হারিয়েও মিলেছে পুনর্বহালের নির্দেশ, নিয়োগ না পেয়ে বিক্ষোভ

    Recruitment Scam: প্রাথমিকে চাকরি হারিয়েও মিলেছে পুনর্বহালের নির্দেশ, নিয়োগ না পেয়ে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুনর্নিয়োগের দাবিতে রায়গঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ। চাকরি হারিয়ে পুনর্বহালের নির্দেশ পাওয়া শিক্ষকরাই এভাবে আন্দোলনে নেমেছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় প্রাথমিকে চাকরিহারা ২৬৯ জনকে পুনরায় বহালের নির্দেশ দিয়েছে বোর্ড। অন্যান্য জেলাতে বোর্ডের নির্দেশে শিক্ষকরা চাকরিতে যোগ দিলেও শুধুমাত্র উত্তর দিনাজপুরেই প্রশাসন তাদের পুনরায় নিয়োগ করছে না বলে অভিযোগ। প্রশাসনের দুয়ারে ঘুরেও কোনও সুরাহা না মেলায় সোমবার রাত থেকে অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়েন তাঁরা। অবিলম্বে পুনরায় নিয়োগ না করা হলে এই বিক্ষোভ চলবে বলেই আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন।

    নিয়োগ না হলে অবস্থানে অনড়

    নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলা শুরু হতেই রাজ্যে প্রথম দফায় ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেয় কলকাতার উচ্চ আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চাকরিহারারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপর সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয় বলে দাবি। আর সেই মোতাবেক প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড প্রত্যেক জেলায় ডিপিএসসি ও প্রশাসনকে তাঁদের পুনরায় নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেয়। তার ভিত্তিতে রাজ্যের অন্যান্য জেলায় চাকরিতে ওই শিক্ষকদের পুনর্বহাল করা হলেও উত্তর দিনাজপুরের প্রায় ৩৭ জনকে নিয়োগে প্রশাসন টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ। আর বেশ কয়েকদিন ধরে প্রশাসনের দুয়ারে গিয়েও নিয়োগ না পেয়ে অবশেষে তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। খবর পেয়ে অনেক রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কর্নজোড়া ফাড়ির পুলিশ। আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও তাঁদের আশ্বস্ত করতে পারেনি প্রশাসন। এদিকে মঙ্গলবার সকালেও তাঁরা একইভাবে ডিপিএসসি-র সামনে অবস্থানে বসে থাকেন।

    কী বলছেন বিক্ষোভকারীরা (Recruitment Scam)?

    বিক্ষোভকারী মানালি চক্রবর্তী বলেন, রাতে আমরা মেয়েরা ১১ টার পর চলে গিয়েছিলাম। তারপর ছেলেরা ছিল। আমরা আমাদের ন্যায্য যে দাবি, সেটা কিছুতেই পাচ্ছি না। তার জন্যই এখানে বসে আছি। যতক্ষণ না নিয়োগের আশ্বাস দিচ্ছে, ততক্ষণ আমরা বসে থাকবো। সবাই নিজের সংসার ফেলেই এখানে বসে আছি। কাল রাতে শাশুড়ি পড়ে গেছে, তবুও যেতে পারিনি। ফোন আসছে বারবার। না উঠতে পারছি, না যেতে পারছি। আমাদের অধিকার বুঝে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা যাবো না।

    কী বললেন মহকুমা শাসক (Recruitment Scam)?

    যদিও এই বিষয়ে রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি জানিয়েছেন, বিষয়টি (Recruitment Scam) আলোচনার মধ্যে আছে। খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেই তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছি। ওদের যে অভাব-অভিযোগ রয়েছে, তা তাড়াতাড়িই মিটে যাবে। তবে যেভাবে অফিস চত্বরে তাঁরা অবস্থান করছেন, তা করতে বারণ করা হয়েছে। কারণ ওখানে ১৪৪ ধারা রয়েছে। সেখানে জমায়েত করাটা আইনসঙ্গত নয়। যদি কিছু দাবিদাওয়া থাকে, তা অফিস টাইমে এসে তাঁরা জানাতেই পারেন। কিন্তু অফিস শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও বসে থাকলে তা চলতে দেওয়া যাবে না। আশা করি, এটা তাঁরা বুঝেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kisan Mandi: ভেঙে পড়ছে  বিভিন্ন ভবন, সাপ-পোকামাকড়ের আবাসস্থল সাধের কিষাণ মান্ডি!

    Kisan Mandi: ভেঙে পড়ছে বিভিন্ন ভবন, সাপ-পোকামাকড়ের আবাসস্থল সাধের কিষাণ মান্ডি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষকদের সুবিধার্থে বছর কয়েক আগে বালুরঘাট ব্লকের ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৈরি করা হয়েছিল কৃষক বাজার বা কিষাণ মান্ডি (Kisan Mandi)। বর্তমানে এটি বছরে দুই থেকে তিন মাস খোলা থাকে৷ বাকি সারা বছর প্রায় তালাবন্ধ অবস্থাতেই থাকে৷ যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই কিষাণ মান্ডি তৈরি করা হয়েছিল, তা কার্যত জলে গিয়েছে বলেই অভিযোগ। দিনের বেলা একজন সিভিক ও রাতে দুজন সিভিক শুধু পাহারাদার হিসাবে নিযুক্ত রয়েছে৷ লোকজন চলাচল না করার ফলে বর্তমানে কিষাণ মান্ডি সাপ, পোকামাকড়ে ভর্তি হয়ে গেছে৷ সংস্কারের অভাবে ভেঙে পড়ছে কিষাণ মান্ডির বিভিন্ন ভবন। বছরে দু-তিন মাস শুধু ধান কেনার জন্য কিষাণ মান্ডি খোলা হয়। তাই সারা বছর এটি খোলা রাখার আর্জি জানিয়েছেন কৃষকরা। 

    অবস্থান (Kisan Mandi) নিয়ে প্রথম থেকেই ক্ষোভ

    বর্তমান সরকারের আমলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আটটি ব্লকেই কৃষকদের স্বার্থে কিষাণ মান্ডি তৈরি করা হয়। প্রায় বছর সাত-আট আগে এগুলি তৈরি করা হয়েছে। অন্যান্য ব্লকের পাশাপাশি বালুরঘাটেও কিষাণ মান্ডি তৈরি করা হয়। ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাজিরপুর মাহিনগর এলাকায় রয়েছে বালুরঘাট কিষাণ মান্ডি (Kisan Mandi)। এর অবস্থান নিয়ে প্রথম থেকেই ক্ষোভ ছিল কৃষক থেকে ব্যবসায়ীদের৷ কারণ, বালুরঘাট শহর থেকে একেই অনেকটা দূর৷ তার উপর জাতীয় সড়ক থেকে অনেকটা ভিতরে৷ যার ফলে সকালের বাজার কিষাণ মান্ডিতে চালু করার চেষ্টা হলেও তা বিফলে যায়। বর্তমানে শুধুমাত্র বছরে দু থেকে তিন মাস কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনে জেলা প্রশাসন। তারপর তা বন্ধই থাকে। 

    রাতে ডুবে থাকে অন্ধকারে (Kisan Mandi)

    কিষাণ মান্ডি চালুর মূল উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের হয়রানি রোখা। নিজেদের ফসল খুব সহজেই যাতে তাঁরা কিষাণ মান্ডিতে বিক্রি করতে পরেন, তার ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি সবজি মজুত করার জন্য ছোট হিমঘর থাকারও কথা ছিল। অন্যান্য কৃষিপণ্য রাখার সুব্যবস্থা রয়েছে কিষাণ মান্ডিতে (Kisan Mandi)। পাশাপাশি বাজারেরও সুব্যবস্থা রয়েছে এখানে। কিন্তু শহর থেকে দূরে হওয়ায় জেলার অন্যান্য স্থানের মতো এটিও সচল নেই। রাতের বেলা পুরো কিষাণ মান্ডি চত্বর প্রায় অন্ধকারে ডুবে থাকে। তবে যখন ধান কেনা হয়, তখন আলোর ব্যবস্থা সাময়িক ভাবে করা হয়। এবিষয়ে মালঞ্চার কৃষক সুকমল সরকার বলেন, কিষাণ মান্ডিটি শহর থেকে অনেকটা দূরে৷ এছাড়াও রাস্তার পাশে নয়। যার ফলে ধান বিক্রি করতে বা বাজার করার জন্য যাওয়াটা খুব মুশকিল। এখন শুধু আমন ধান কেনার সময় খোলা থাকে৷ অন্য সময় বন্ধই থাকে। তবে সব কিছু এক ছাতার তলায় হলে সকলের সুবিধা হবে। 

    কী অভিযোগ বিজেপির? কী বলছে তৃণমূল?

    এবিষয়ে বিজেপির স্থানীয় মন্ডল সভাপতি সুভাষ সরকার বলেন, কৃষকদের সুবিধার জন্য কিষাণ মান্ডিটি (Kisan Mandi) তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু তা সেভাবে চালুই হয়নি এবং ঠিক জায়গায় এটি করাও হয়নি। যার ফলে কৃষকরা সেখানে যেতে চায় না। বর্তমানে শুধু ধান কেনার সময় খোলা থাকছে৷ বাকি সময় বন্ধ থাকে৷ এর ফলে কিষাণ মান্ডি চত্বরে অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়ছে। প্রশাসনের এনিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এবিষয়ে বালুরঘাট ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্বপন বর্মন বলেন, বালুরঘাট কিষাণ মান্ডিটি শুধুমাত্র আমন ধান কেনার সময় নয়, সারা বছর যাতে চালু থাকে তার জন্য ব্লক ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। তবে বিজেপি যে অভিযোগ করছে কিষাণ মান্ডিতে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। কারণ সেখানে সিভিক ভলান্টিয়ার থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয়কাণ্ডের জের! বদলি করা হল মেদিনীপুর রেঞ্জের ডিআইজিকে

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয়কাণ্ডের জের! বদলি করা হল মেদিনীপুর রেঞ্জের ডিআইজিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ে হামলা চালানোর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাত সহ ১৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এবার কনভয়কাণ্ডে মেদিনীপুর রেঞ্জের ডিআইজি প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে অনুপ জয়সওয়ালকে দায়িত্ব দেওয়া হল। অনুপবাবু রায়গঞ্জ রেঞ্জের দায়িত্বে ছিলেন। যদিও এটি রুটিন বদলি পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২৬ মে বিকেলে বেলপাহাড়ির ইন্দিরা চক থেকে ঝাড়গ্রাম জেলায় নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বেলপাহাড়ি, জামবনি, দহিজুড়ির পর ঝাড়গ্রামে যান তিনি। ঝাড়গ্রামেও রোড শো করেন তিনি। ঝাড়গ্রাম শহরে রোড শো শেষ করে ৫ নম্বর রাজ্য সড়ক ধরে লোধাশুলি হয়ে গজাশিমুলের ক্যাম্পে আসার সময় শালবনি এলাকার গড়শালবনিতে অভিষেক এর কনভয় দেখার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন কুড়মিরা। অভিযোগ, অভিষেকের গাড়ি পার হওয়ার পর তাঁর কনভয়ের সঙ্গে থাকা গাড়িতে পাথর ছুঁড়তে শুরু করা হয়। লাঠি দিয়ে গাড়িতে ও বাইকে থাকা তৃণমূল কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাথর ছোঁড়ার কারণে ভেঙে যায় মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি। ঘটনায় জখম হন মন্ত্রীর গাড়ির চালক। ভাঙচুর চালানো হয় সংবাদমাধ্যমের গাড়িও। ঘটনায় বেশকয়েকজন তৃণমূল কর্মী এবং পথ চলতি সাধারণ মানুষ জখম হয়েছেন। তবে, যে জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল, সেখানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ছিল না। পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই ধরনের বিক্ষোভের আগাম কোনও খবর ছিল না। স্বাভাবিকভাবে ঘটনার পর থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সকলেই প্রশ্ন তুলেছেন। এদিনের ডিআইজি বদলির মধ্য দিয়ে সেই ঘটনাকে মান্যতা দেওয়া হল বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ছয় বছরের বাচ্চা মেয়েকে গলা টিপে হত্যা, কিন্তু কেন এই খুন?

    Malda: ছয় বছরের বাচ্চা মেয়েকে গলা টিপে হত্যা, কিন্তু কেন এই খুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ছয় এর এক বাচ্চা মেয়েকে শ্বাস রোধ করে খুনের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো। ঘটনা ঘটেছে মালদা (Malda) রতুয়া দুই ব্লকের সম্বলপুর এলাকায়। মৃত মেয়ের নাম আসিফা আক্তার জাহান। কীসের জন্য হল এই খুন? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।   

    মালদায় (Malda) কীভাবে খুন?

    মৃতা আসিফার বাবা আব্দুল খালেক বলেন, গতকাল আমি, মেয়ে এবং তার মা মিলে ওর দাদুর বাড়ি ঘুরতে যাই। আজকে ঠিক দুপুর ১১ টার পর থেকে আসিফাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা এদিক ওদিক অনেক খুঁজেও পাইনি তাঁকে। এরপর আশেপাশের বাড়ি (Malda) গুলিতে খোঁজাখুঁজি করি। তখনই রুমা নামের এক মহিলার বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করতে গেলে সেখানে আমার মেয়েকে বিছানায় লেপচাপা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। আমার মেয়ের গলায় এবং কানে সোনার গয়না ছিল। কিন্তু সেগুলিও ছিনতাই করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খালেকবাবু। আসিফাকে বিছানায় লেপচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছেন আব্দুল খালেক। তবে আসিফার বাবা প্রাথমিকভাবে রুমাকেই সন্দেহের তালিকায় রেখেছেন বলে জানিয়েছেন। এরপর আসিফার বাবা আরও বলেন, আমি চাই পুলিশ প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে ওই মহিলাকে উপযুক্ত শাস্তি দিক।

    মৃতা আসিফার দাদুর বক্তব্য

    আসিফার দাদু হলেন মোহাম্মদ আজিজুল হক। তিনি আসিফার হত্যা সম্পর্কে বলেন, আমার বাড়িতে (Malda) আজ দুপুর থেকে নাতনিকে আর খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অনেক খোঁজাখুঁজি করে বাড়ির পাশেই রুমা খাতুন নামে এক মহিলার বাড়িতে আমার নাতনিকে মৃত অবস্থায় পাই। তিনি আরও বলেন, আমার নাতনির পরিধানরত সোনা আর রুপোর গয়নাকে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যেই আমার নাতনিকে মেরেছে ওই মহিলা। আমি ওই মহিলার ফাঁসি চাই। এরপর পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশকে খবর দিই আমরা। বর্তমানে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুকুরিয়া থানার পুলিশ। কে বা কারা এই বাচ্চা মেয়েকে খুন করল, তাই নিয়ে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share