Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: “তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র হোম ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে”, আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র হোম ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে”, আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পেশের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। কিন্তু মনোনয়ন নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে বিরোধীদের। কোথাও শাসকদলের গুন্ডারা ব্লক অফিস ঘিরে রাখছে, তো কোথাও ব্লক অফিসে ফর্ম মিলছে না। বিরোধী প্রার্থীদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে ইতিমধ্যে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, তৃণমূলের প্রার্থীদের জন্য মনোনয়নপত্র ‘হোম ডেলিভারি’ দেওয়া হচ্ছে। রবিবার সকালে এ নিয়ে একটি ট্যুইট করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেই ট্যুইটে সরকারি কর্মীদের ‘তৃণমূলের কর্মচারী’ বলেও কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা।

    শুভেন্দু ট্যুইটে কী লিখেছেন?

    মনোনয়নপত্র তুলতে গিয়ে বিরোধীরা কীভাবে ব্লক অফিসের কর্মীদের অসহযোগিতার শিকার হচ্ছেন, তা প্রমাণ সহ জানিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বাঁকুড়া জেলার একটি ব্লক অফিসে মনোনয়নপত্র তোলার সময়কার ভিডিও পোস্ট করেছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক। ট্যুইটে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “তৃণমূল গুন্ডাদের বাধা পেরিয়ে বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়ন তুলতে বিডিও অফিসে পৌঁছলে তাঁদের দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। তাঁরা ভাগ্যবান হলে দীর্ঘ সময় পর মনোনয়নপত্র এবং ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রিসিপ্ট) পাচ্ছেন। না হলে বলা হচ্ছে, এখন কাজের সময় পেরিয়ে গিয়েছে, পরের দিন আসুন বা মনোনয়নের ফর্ম পর্যাপ্ত নেই।”

    তবে শাসক দলের ক্ষেত্রে ব্লক অফিসের এমন নিয়ম খাটছে না বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তাঁর আরও সংযোজন, “ভিডিওতে বাঁকুড়া জেলার শালতোড়া ব্লকের তিলুরির তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সালতোড়া বিডিও অফিস থেকে অগুণতি মনোনয়নপত্র ও ডিসিআর তুলছেন।”

    কী বলছেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি?

    এ প্রসঙ্গে শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি বলেছেন, “শালতোড়া ব্লকে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গোছা গোছা ডিসিআর ফর্ম দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির প্রার্থীরা লাইনে দাঁড়িয়েও ডিসিআর ফর্ম পাননি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: “টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করা হচ্ছে,” সরব তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি

    Panchayat Election: “টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করা হচ্ছে,” সরব তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয়েছে। শাসক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র জমা করা শুরু করেছেন। আর তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই জেলার মাল মহকুমার ক্রান্তি ব্লকে গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্য চলে এসেছে। শনিবার বিডিও অফিসের সামনে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মেহেবুব আলমের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভ সামাল দেয়।

    ঠিক কী অভিযোগ তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতির?

    তৃণমূলের ক্রান্তি ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি মেহবুব আলম বলেন, যোগ্য প্রার্থীদের পরিবর্তে পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। আর এসবই করছেন বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মহাদেব রায়। তিনি বৈষম্যের রাজনীতি করছেন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন যোগ্য প্রার্থীদের টিকিট দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। আর সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বর্তমান ব্লক সভাপতি প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীদের ব্রাত্য করে রেখে অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের টিকিট দিচ্ছেন। দলের কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই তিনি একাই সিদ্ধান্ত নিয়ে এসব কিছু করছেন। বিরোধীদের সুবিধা করে দেওয়ার লক্ষ্যেই তিনি এসব করছেন। এসব বন্ধ না হলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) তৃণমূল কংগ্রেসের ভরাডুবি হবে।

    কী বললেন তৃণমূলের বর্তমান ব্লক সভাপতি?

    এবিষয়ে বর্তমান ব্লক সভাপতি মহাদেব রায় বলেন, আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তবে, তাঁর যদি কোনও বক্তব্য থাকে সেটা আমাদের কাছে বলতে পারতেন। এভাবে সংবাদ মাধ্যমের কাছে খোলাখুলি এসব কিছু বলে তিনি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন। টিকিট দেওয়ার বিষয়ে আমার কোনও হাত নেই। ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব এটা ঠিক করবেন। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মুখে  প্রাক্তন ও বর্তমান ব্লক সভাপতির একে অপরকে আক্রমণের  ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছেন দলের সাধারণ কর্মীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: গরমে হাঁসফাঁস করছেন রাজ্যবাসী, দক্ষিণে এখনও তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা!

    Weather Report: গরমে হাঁসফাঁস করছেন রাজ্যবাসী, দক্ষিণে এখনও তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্বস্তির গরমে (Weather Report) কিছুটা রেহাই মিলেছে শুক্রবারই। ভিজেছে শহর কলকাতা থেকে শুরু করে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা। তবে স্থায়ী ভাবে কবে মিলবে রেহাই? ইতিমধ্যে ৯ জুন কেরলে বর্ষা ঢুকেছে। জানা গেছে, আরব সাগরে বিপর্যয় নামের এক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়াতেই পিছিয়ে গিয়েছিল কেরলে বর্ষা ঢোকার সময়। সাধারণভাবে কেরলে বর্ষা ঢোকার সময় ১ জুন। তবে চলতি বছর তা ঢোকে ৯ জুন। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু হিমালয়ে ধাক্কা খেয়ে রাজ্যের ওপর দিয়ে গেলে তখন বাংলায় বর্ষা শুরু হয়। রাজ্যের বর্ষা প্রথম ঢোকে উত্তরবঙ্গে।

    আরও পড়ুুন: পাহাড়়ে চাপে তৃণমূল! পঞ্চায়েতে মহাজোটের পথে বিজেপি

    রাজ্যে কবে ঢুকছে বর্ষা? 

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather office) সূত্রে খবর, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যে বর্ষা ঢুকছে ৷ যার ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে।

    উত্তরবঙ্গের অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ১১ জুন থেকে রাজ্যের ৩ জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যার জন্য ইতিমধ্যেই সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে ৷ যার ফলে এই তিন জেলায় ইতিমধ্যেই হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। দার্জিলিং, কালিম্পঙেও রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।

    দক্ষিণে এখনই কমছে না অস্বস্তির গরম

    তবে দক্ষিণে এখনই কমছে না অস্বস্তির গরম। বেশি পরিমাণে ঘাম হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছে, এই সময় বেড়েছে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। চড়চড়িয়ে বাড়ছে আপেক্ষিক আর্দ্রতা। প্যাচপেচে গরমে হাঁসফাস করছেন সকলে। আগামী কয়েকদিনে দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: মনোনয়নে বাধা! তৃণমূলের হামলায় আক্রান্ত বিজেপি, প্রতিবাদে অবরোধ

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: রোগী পিছু বরাদ্দ মাত্র ১৩ সেকেন্ড! তারপরেও চিকিৎসক নিয়োগ বন্ধ রাজ্যে! 

    West Bengal Health: রোগী পিছু বরাদ্দ মাত্র ১৩ সেকেন্ড! তারপরেও চিকিৎসক নিয়োগ বন্ধ রাজ্যে! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সরকারি হাসপাতালের আউটডোরে রোগী ও পরিজনের লম্বা লাইন! কেউ ভোর রাত, কেউ বা আগের দিন থেকে টিকিট কাউন্টারের সামনে অপেক্ষা করেন। চিকিৎসকের কাছে সমস্যার কথা সম্পূর্ণ জানানোর পর্যাপ্ত সময়টুকুও পান না রোগী। তারপরেও বন্ধ চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়া! সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) নিয়ে তাই প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।

    কী বলছে সমীক্ষা (West Bengal Health)? 

    সম্প্রতি, এক আন্তর্জাতিক সংস্থার তরফে রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল (West Bengal Health) নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়। আর তা থেকে জানা যায়, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে একজন রোগীর জন্য চিকিৎসক গড়ে মাত্র ১৩ সেকেন্ড বরাদ্দ করতে পারেন। অর্থাৎ, রোগীর সমস্যা শোনা, রোগ নির্ণয়, তাঁকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া, সবটাই করতে হয় মাত্র ১৩ সেকেন্ডে! সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশেষত মেডিসিন, কার্ডিওলজি, স্ত্রীরোগ বিভাগে রোগীর চাপ বেশি থাকে। রোগী ও চিকিৎসকের কথা বলার প্রয়োজন বেশি হয়। তাই এই সব বিভাগে চাপ আরও বাড়ে!

    কী বলছে চিকিৎসক মহল (West Bengal Health)?

    রোগীদের প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া সম্ভব হয় না বলেই জানাচ্ছেন সরকারি হাসপাতালে (West Bengal Health) কর্মরত অধিকাংশ চিকিৎসক। তাঁরা জানাচ্ছেন, রোগীদের সমস্ত সমস্যা শোনা, তার রোগ নির্ণয় ও তাকে পরামর্শ দেওয়া, এই প্রক্রিয়া খুব দ্রুত করা কঠিন। অনেক ক্ষেত্রে রোগী একাধিক বিষয় জানতে চান। রোগীর কাউন্সেলিং প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেগুলো অত্যন্ত দ্রুত করতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা। কারণ, কয়েক হাজার রোগী অপেক্ষা করেন। তাই একজন রোগীকে অতিরিক্ত সময় দিলে ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবাও দেওয়া যাবে না। 
    স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গর্ভবতী মায়েদের স্তন্যপান করানোর বিষয়ে কাউন্সেলিং করানো জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই কেন মা সদ্যোজাতকে প্রথম ছ’মাস শুধুই মাতৃদুগ্ধ পান করাবে, সে বিষয়ে কাউন্সেলিংয়ের সময় পাওয়া যায় না। মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি এখন রাজ্যের বছরভর সমস্যা। তবে অগাস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে এই সমস্যা প্রতি বছর প্রবল বাড়ে। চাপ বাড়ে হাসপাতালের। কয়েক হাজার রোগী আউটডোরে অপেক্ষা করেন। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই রোগীর কথা ঠিকমতো শোনার সুযোগ পর্যন্ত থাকে না। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে রোগী ও চিকিৎসক সম্পর্কের উন্নতির প্রয়োজন অনুভব করা হচ্ছে। সে নিয়ে নানান কর্মশালাও হচ্ছে। আর সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে যোগাযোগে। অর্থাৎ, রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে কথোপকথন হতে হবে। কোনও রকম ভ্রান্ত ধারণা যাতে রোগীর তৈরি না হয়, সে জন্য রোগীকে সব কিছু বোঝাতে হবে। চিকিৎসক সহজভাবে রোগীর সঙ্গে কথা বলবেন, যাতে রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্ক ভালো হয়। কিন্তু রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে (West Bengal Health) রোগী-চিকিৎসকের কমিউনিকেশন ডেভেলপমেন্ট তো দূর অস্ত, ন্যূনতম প্রয়োজন ঠিকমতো শোনার সুযোগ হয় না। আর প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক ঘাটতি তার অন্যতম কারণ বলে মনে করছে চিকিৎসক মহল। 
    সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জেলা স্তর থেকে মেডিক্যাল কলেজ, রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক অত্যন্ত কম। আর তাই পরিষেবার মান কমছে।

    নিয়োগ (West Bengal Health) বন্ধ কেন? 

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে রাজ্য সরকার সরকারি হাসপাতালে (West Bengal Health) চিকিৎসক নিয়োগ করেনি। চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বন্ধ। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে রাজ্যের ৩০টি মেডিক্যাল কলেজ থেকে কয়েক হাজার নতুন এমবিবিএস পাশ করা চিকিৎসক তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার ঘোষণা করেছেন, রাজ্যের জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ হবে, নতুন চিকিৎসক তৈরি হবে! প্রশ্ন উঠছে, সেই চিকিৎসক তাহলে সরকারি হাসপাতালে নিযুক্ত হচ্ছে না কেন?
    রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর কিন্তু এ বিষয়ে মুখ বন্ধ রেখেছে। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য দফতর এ বিষয়ে প্রশাসনের উচ্চ স্তরের পরামর্শ মতো কাজ করছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মনোনয়নে বাধা! তৃণমূলের হামলায় আক্রান্ত বিজেপি, প্রতিবাদে অবরোধ

    BJP: মনোনয়নে বাধা! তৃণমূলের হামলায় আক্রান্ত বিজেপি, প্রতিবাদে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দ্বিতীয় দিন শনিবার আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল আসানসোলের বারাবনি ব্লকের বিডিও অফিস চত্বর। শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় অশান্তির ঘটনা ঘটে। বিডিও অফিসের কাছে দোমহানি বাজার এলাকায় ডিসিআর তোলায় বিজেপির (BJP) নেতা ও কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। হামলার ঘটনা দেখে এলাকার বাসিন্দারা রুখে দাঁড়ালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় বিজেপি (BJP) কর্মী স্বপন রায় এবং বিজেপির মণ্ডল সভাপতি প্রতীক গড়াই জখম হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তৃণমূলীদের হামলায় সিপিএম কর্মীরাও আক্রান্ত হন।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) নেতা?

    আক্রান্ত বিজেপির মণ্ডল সভাপতি প্রতীক গড়াই বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে একজন বারাবনি থানার সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। বাকিদের বেশিভাগের মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। প্রত্যেকের হাতে লাঠি ও বাঁশ ছিল। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্রথমে আমাদের বিডিও অফিসে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল। কিছুটা জোর করে আমরা বিডিও অফিসের ভিতরে যাই। সেখানে একটা করে ডিসিআর কাটতে বলা হয়। ডিসিআর কাটার পর বাইরে আসতে পারছিলাম না। বারবার বলার পরে পুলিশের সাহায্য বাইরে বের হয়। তারপর চোমহানি বাজারে আমাদের উপর হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। মনোনয়নে বাধা এবং বিজেপি (BJP) কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব বারাবনির মাজিয়ারা মোড়ে রাস্তা অবরোধে সামিল হন।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএমের বারাবনি এরিয়ার সম্পাদক তপন দাস বলেন,  দলের কর্মীরা ডিসিআর কাটতে গেলে আটকানো হয়। দলীয় কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। হামলায় তিনজন কর্মী জখম হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুই বলেন, তৃণমূল আমাদের দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তাই ওরা আমাদের মনোনয়নে বাধা দিয়েছে। আমাদের দাবি, দলের নেতা ও কর্মীদের মারধরের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। আমরা পুলিশকে সময় দিলাম। সোমবার আমরা আবারও মনোনয়ন জমা দিতে যাব। পুলিশকে বলছি, সেদিন কিছু হলে আমরা আরও বড় আন্দোলন করব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের বারাবনি ব্লকের সভাপতি অসতি সিং বলেন, বিরোধীরা ৩৫টি ডিসিআর কেটেছে। আমরা বাধা দিলে বা হামলা করলে এটা কি সম্ভব ছিল? আসলে বিজেপির (BJP) কোনও সংগঠন নেই। নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে ওরা এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েতে প্রার্থী নিয়ে গণ্ডগোল! প্রকাশ্যে দলীয় কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: পঞ্চায়েতে প্রার্থী নিয়ে গণ্ডগোল! প্রকাশ্যে দলীয় কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত কোচবিহারের সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাউরাই এলাকা। শনিবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিবাদের জেরে সিতাই বিধানসভার ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী লিপ্টন হক। এমনটাই দাবি তাঁর পরিবারের লোকজনের। হামলাকারীরাও সকলে তৃণমূল করেন বলে জানা গিয়েছে। হামলার জেরে জখম ওই তৃণমূল (TMC) কর্মীকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, সিটি স্ক্যানের জন্য কোচবিহারের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনায় তৃণমূলের দলীয় কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    ঠিক কী কারণে এই হামলা?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রার্থী ঠিক হয়ে গিয়েছে। ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫৩ নম্বর বুথে লিপ্টন হক সম্ভাব্য তৃণমূলের (TMC)  প্রার্থী। আর ২৫২ নম্বর বুথে রুল আমিন নামে এক তৃণমূল কর্মীকে সম্ভাব্য প্রার্থী করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর ভাই বাপ্পা হক বলেন, রুল আমিন আমাদের বুথের নয়। তাঁকে পাশের বুথে প্রার্থী করা হয়েছে। আর তিনি আমাদের বুথে দাঁড়াতে চাইছেন। আমার দাদাকে দল প্রার্থী করেছে। এটা ওরা মেনে নিতে পারছে না। বাজারের কাছেই আমাদের বাড়ি। দাদা বাজার করতে বের হতেই ওকে গুলি করা হয়। তাঁকে শেষ করতেই ওরা এই হামলা চালিয়েছে। আমরা পুলিশ-প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) দিনহাটা-১ নম্বর ব্লকের কিষাণ ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের ব্লক সভাপতি নবীন করিম মিঁয়া বলেন, দলীয় কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছে। হামলাকারীরাও তৃণমূল করে। এখনও প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি। আচমকা কেন এভাবে হামলা চালানো হল, বুঝতে পারছি না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, একটি গণ্ডগোল হয়েছে। তবে, সেখানে কোনও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি জানার পরই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: পাহাড়ে চাপে তৃণমূল! পঞ্চায়েতে মহাজোটের পথে বিজেপি

    Panchayat Election: পাহাড়ে চাপে তৃণমূল! পঞ্চায়েতে মহাজোটের পথে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৩ বছর পর পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) হচ্ছে। ভোটের দিন ঘোষণা হতেই প্রবল চাপের মুখে তৃণমূল কংগ্রেস ও তার সহযোগী অনিত থাপার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। পাহাড়ের দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটে এবার এই দুই দলের বিরুদ্ধে পাহাড়ের বাকি সব দলগুলি বিজেপির নেতৃত্বে মহাজোট গড়তে চলেছে। শনিবার শিলিগুড়িতে জোট সঙ্গীদের নিয়ে দিনভর দফায় দফায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন বিজেপির দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। রাতে হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং-এর সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন রাজু বিস্তা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের এই মহাজোটে পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ তৈরি করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

    কেন এই জোট?

    শনিবার রাতে রাজু বিস্তা বলেন, “পাহাড় দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। দুর্নীতিমুক্ত সুষ্ঠু প্রশাসন দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা এই মহাজোট করার উদ্যোগ নিয়েছি। এদিন জোট সঙ্গীদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। অন্য রাজনৈতিক দলগুলিকেও এই জোটে আনার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জোট সঙ্গীরা যে যেখানে শক্তিশালী, তারা নিজেদের প্রতীকে সেখানে লড়বে। এটা গ্রামের নির্বাচন। তাই আমরা চাই পাহাড়ে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোই। তার জন্য যা করার তা করা হবে। এই জোটের চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করতে আমরা আবার রবিবার আলোচনায় বসবো।”

    কী বলছে জোট শরিকরা?

    অজয় এডওয়ার্ড বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যই এই মহাজোট করা হচ্ছে। সবাই এক হয়ে না লড়লে তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা যাবে না। সেটা আমরা জিটিএ নির্বাচনে বুঝেছি।” জিএনএলএফ বিধায়ক নিরজ জিম্বা বলেন, “এদিনের বৈঠক সন্তোষজনক হয়েছে। তবে, কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কেননা বিমল গুরুঙ্গের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এই জোটে আসার সম্মতি জানিয়েছে।” গোরানিমোর তরফে দাওয়া পাখরিন বলেন, “জোট নিয়ে এদিন দার্জিলিংয়ের সাংসদের সঙ্গে ভালো আলোচনা হয়েছে। এই জোট আরও শক্তিশালী হবে।” গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, “পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) প্রধান ইস্যু হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। তৃণমূলের সমর্থনে একটি দল পাহাড়ে অপশাসন করছে। দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। এর থেকে পাহাড়কে মুক্ত করতে সবাইকে এক হয়ে লড়তে হবে।”

    চাপে পড়ে কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এদিকে তৃণমূল এখনও পর্যন্ত ঠিক করতে পারেনি, কত আসন লড়বে এবং প্রার্থী কারা হবে। নির্বাচন (Panchayat Election) ঘোষণার পরপরই এই মহাজোটের উদ্যোগে তৃণমূলের সব হিসেব ওলোটপালট হয়ে গিয়েছে। যদিও চিন্তিত তৃণমূল নেতৃত্ব মুখে একথা স্বীকার করছে না। তৃণমূলের রাজ্য নেতা ও শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, “বিজেপি পাহাড়ে অশান্তি পাকানোর জন্য এসব করছে। পাহাড়ের মানুষ তাদের আর পছন্দ করছে না বুঝতে পেরেই মুখ রক্ষার জন্য কিছু নেতা জোট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কিন্তু পাহাড়ের মানুষ জানেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই পাহাড়ের উন্নতি হয়েছে। তাই তাঁরা এই জোটকে প্রত্যাখ্যান করবেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayet Election: রাজ্যপাল-কমিশনার সাক্ষাৎ! মনোনয়নে ভিডিওগ্রাফির পরামর্শ বোসের

    Panchayet Election: রাজ্যপাল-কমিশনার সাক্ষাৎ! মনোনয়নে ভিডিওগ্রাফির পরামর্শ বোসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপালের সঙ্গে শনিবার সাক্ষাৎ করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সৌজন্য সাক্ষাৎ সারতেই রাজভবনে যান তিনি। জানা গিয়েছে, এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে কিনা, তা জানতে চান রাজ্যপাল। শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ভিডিওগ্রাফি করানোরও পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল, সূত্রের খবর এমনটাই।

    কী বললেন রাজ্যপাল?

    জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল এদিন কমিশনারকে প্রশ্ন করেন, ‘‘পর্যাপ্ত ফোর্স কি রয়েছে? কেন্দ্রীয় বাহিনী কি আনা হবে?’’ উত্তরে কমিশনার বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার সিদ্ধান্ত সাধারণত আদালত নেয়। মামলা আদালতে বিচারাধীন। সেক্ষেত্রে আপাতত আদালতের দিকেই তাকিয়ে তাঁরা।’’ অন্যদিকে শান্তিপূর্ণভাবে যাতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিকে নজর দেয় কমিশন, রাজ্যপাল এদিন সেই পরামর্শও দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: সাংগঠনিক ভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী, শতাধিক বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা পড়ল নদিয়ায়

    ১৩ জুন সর্বদলীয় বৈঠক

    পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব ঘিরে প্রথম দিন থেকেই রাজনৈতিক হিংসার আগুনে জ্বলছে বাংলা। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে এক বিরোধী কর্মীকে খুনের অভিযোগও উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। জায়গায় জায়গায় শাসকদলের বিরুদ্ধে ব্লক অফিস ঘিরে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এসবের মধ্যেই এবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৩ জুন এই সর্বদলীয় বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে কমিশন সূত্রে। সাধারণভাবে সর্বদলীয় বৈঠকের পরেই ভোট ঘোষণার রীতি। কিন্তু সেসব না মেনে একতরফা ভোট ঘোষণা করে দেয় কমিশন। প্রথমদিনে মনোনয়ন নিতে প্রস্তুতও ছিল না বেশিরভাগ ব্লক অফিস। তারা জানায়, নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত নথি তাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। উল্লেখ্য, সর্বদলীয় বৈঠক না হওয়ায় পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার দিনই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন। শুভেন্দুর বক্তব্য ছিল, ‘‘কোনওরকম সর্বদলীয় বৈঠক না করেই একতরফাভাবে ভোট ঘোষণা করা হয়েছে।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train Derailed: লাইনচ্যুত মেদিনীপুর-হাওড়া লোকাল, সামান্য আহত কয়েকজন

    Train Derailed: লাইনচ্যুত মেদিনীপুর-হাওড়া লোকাল, সামান্য আহত কয়েকজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাইনচ্যুত (Train Derailed) হল মেদিনীপুর-হাওড়া লোকাল। খড়্গপুর স্টেশনে ঢোকার আগেই এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, ট্রেনটির একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েকজন যাত্রী। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রেলের আধিকারিকরা। তাঁরা অবশ্য জানাচ্ছেন, সামান্য দুর্ঘটনাই ঘটেছে। ক্ষয়ক্ষতি সেভাবে কিছুই হয়নি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: ‘বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নে ভয় পেয়েছেন মমতা’, ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ শুভেন্দুর

    ঘটনার বিবরণ

    নির্ধারিত সময় শনিবার রাত ৯ টা ৫ মিনিট নাগাদ মেদিনীপুর স্টেশন থেকে ছাড়ে হাওড়া লোকাল। রাত পৌনে ১০টা নাগাদ গিরি ময়দান থেকে খড়্গপুর স্টেশনের মাঝে লাইনচ্যুত হয় লোকালটি। লাইনচ্যুত ট্রেনটি লাইনের পাশের খুঁটিতে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার পরেই খড়্গপুর রেল দফতরে সাইরেন বেজে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ আধিকারিকরা। এই ঘটনায় কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পেয়েই তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলের উদ্দেশে টিম পাঠানো হয়।”

    আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    কী বলছেন রেল আধিকারিক?

    এই বিষয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, “ছোট একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। জ্যাক দিয়ে ট্রেনটিকে লাইনে তুলে দেওয়া হয়েছে। খড়্গপুর নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে সাড়ে ১১টা নাগাদ।”

    ভেঙে গেল সরাইঘাট এক্সপ্রেসের প্যান্টোগ্রাফ 

    পূর্ব বর্ধমানের জরলার বনপাশ স্টেশনে ঢোকার আগেই ভেঙে গেল ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফ। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। যে কারণে দাঁড়িয়ে পড়ে হাওড়া-গুয়াহাটি সরাইঘাট এক্সপ্রেস। আতঙ্কের মধ্যে পড়ে যান যাত্রীরা। চলতি মাসে এরকম একাধিকবার ট্রেনের প্যান্টোগ্রাম ভেঙে গিয়ে বিপত্তি ঘটেছে।

     

    আরও পড়ুুন: ‘‘অবাধ, শান্তিপূর্ণ ভোট করতেই হবে’’, নির্বাচন কমিশনারকে কড়া নির্দেশ রাজ্যপালের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দল না মানলে পঞ্চায়েতে “গোঁজ” প্রার্থী দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক

    TMC: দল না মানলে পঞ্চায়েতে “গোঁজ” প্রার্থী দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন জমা দেওয়ার শুরু থেকেই প্রস্তুত বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলি। তৃণমূলীদের (TMC) বাধার মুখে পড়লেও জেলায় জেলায় বিজেপি সহ বিরোধী দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু করেছেন। কিন্তু, তৃণমূল এখনও মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু করেনি। দল কাকে প্রার্থী করবে বা কে টিকিট পাবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন নীচু তলার তৃণমূলের (TMC) কর্মী সমর্থকরা। আর এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে দলের বিরুদ্ধে ফের বিদ্রোহী হয়ে উঠলেন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক?

    করিম সাহেব বলেন, “আমি ইসলামপুরে তৃণমূলের (TMC) বিধায়ক। এই ব্লকে পঞ্চায়েত ভোটে কারা প্রার্থী হবেন তা আমি নির্ধারণ করব। এখানে অন‍্য কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। আমার পছন্দের প্রার্থী তালিকা তৈরি করে আজ‌ই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠিয়ে দেব। তিনি যদি আমার বাছাই করা প্রার্থীদের অনুমোদন করেন তো ভালো, না করলেও কোনও সমস্যা নেই। ওরা আমার সমর্থনে আমার প্রতিনিধি হিসেবে নির্দল থেকে পঞ্চায়েত ভোট লড়বে। ইসলামপুর ব্লকের প্রতিটি পঞ্চায়েতে প্রার্থী দেওয়া হবে। তাদের জিতিয়ে পঞ্চায়েতগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত করে গড়ে তোলার আমার লক্ষ্য।” দলের ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনকে ‘আদমখোর’ বলে আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, “অতীতে ইসলামপুরে অনেক অত্যাচার করেছেন জাকির। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই বিধায়কের এই হুঁশিয়ারিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।”

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    দলের বিরুদ্ধে গোঁজ দাঁড় করানোর এই হুঁশিয়ারিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপত্তি জাকির হোসেন। তিনি বলেন, “প্রার্থী কে হবে তা দল ঠিক করবে। তবে যে কেউ দলের নিজের পছন্দ মতো প্রার্থী তালিকা জমা দিতেই পারেন।” অপরদিকে এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “বিধায়ক হিসেবে প্রার্থী তালিকা দেওয়ার অধিকার তাঁর আছে, তিনি তালিকা দিতেই পারেন। দল ঠিক করবে কাকে প্রার্থী করবে, কাকে করবে না”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share