Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Monsoon: ‘বিপর্যয়’ বাধা কাটিয়ে কেরলে ঢুকল বর্ষা! রাজ্যে কবে?

    Monsoon: ‘বিপর্যয়’ বাধা কাটিয়ে কেরলে ঢুকল বর্ষা! রাজ্যে কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাধা ছিল বির্পযয়! তা কাটিয়ে উঠে বর্ষা পাড়ি দিল কেরলে। শুরু হল বৃষ্টি। আসলে বিপর্যয় হল একটা ঘূর্ণাবর্ত। আরব সাগরে এই ঘূর্ণাবর্তের কারণেই বর্ষার (Monsoon) অনুকূল অবস্থা তৈরি হচ্ছিল না। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর অবশ্য আগেই জানিয়েছিল, শুক্রবার দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল দিয়ে দেশের মূল ভূখণ্ডে ঢুকতে পারে বর্ষা। তবে তার এক দিন আগে, বৃহস্পতিবারই কেরলে প্রবেশ করল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। আগামী দু’দিন লক্ষদ্বীপ, কেরল এবং উপকূলবর্তী কর্নাটকে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। রাজ্যবাসী অবশ্য কেরলে বর্ষা ঢোকার কথায় আনন্দিত হতেই পারেন। কারণ এই মৌসুমি বায়ুই হিমালয়ে ধাক্কা খেয়ে ফিরবে রাজ্যের ওপর দিয়ে। প্রথমে ভিজবে উত্তরবঙ্গ পরে দক্ষিণবঙ্গ। কিন্তু আপাতত শনি বা রবিবার পর্যন্ত চলবে তাপপ্রবাহের দাপট। এমনটাই বলছে হাওয়া অফিস।

    রাজ্যে বর্ষা (Monsoon) কবে?  

    কেরলে বর্ষা ঢোকার একসপ্তাহ পরে সাধারণত তা বাংলায় আসে। তবে হিসাব সবসময় যে মিলবে এমনটা নয়। আবহাওয়া দফতর বলেছে, শনিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা। রবিবার থেকে তবে অবস্থা বদলাতে পারে। শুরু হতে পারে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি। আগামী কয়েক দিন খুব হালকা বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পঙের পার্বত্য এলাকায়। রবিবার থেকে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। চাতক পাখির মতো দিন গোনা শুরু করেছে বাঙালি।

    বিগত বছরগুলিতে কখন এসেছিল বর্ষা (Monsoon)?

    এমনিতে কেরলে বর্ষা ঢোকে ১ জুন। তবে প্রতিবার এমন নিয়ম মানে না মৌসুমি বায়ু। গত বছর সময়ের আগেই ঢুকেছিল বর্ষা (২৯ মে)। ২০২১ সালে বর্ষা ঢুকেছিল ৩ জুন। ২০২০ সালে অবশ্য ক্যালেন্ডার অনুসরণ করেই কেরলে বর্ষা ঢুকেছিল। আবার ২০১৯ সালে চলতি বছরের মতোই ৮ জুন দেশে বর্ষা ঢুকেছিল।

    আরও পড়ুন: করমণ্ডল কেড়েছে ছেলের প্রাণ, সেই ট্রেনে চড়ে দেহ আনতে গেলেন বাবা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Madan Mitra: না জানিয়ে হানা দিলে সিবিআই, ইডিকে রাস্তায় আটকে রাখা হবে, হুমকি মদনের

    Madan Mitra: না জানিয়ে হানা দিলে সিবিআই, ইডিকে রাস্তায় আটকে রাখা হবে, হুমকি মদনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েকের মধ্যে এ রাজ্যে কি কোনও বড়মাপের চমকপ্রদ ঘটনা ঘটতে চলেছে? সম্প্রতি দিল্লি থেকে আগত পদস্থ সরকারি কর্তাদের কলকাতায় আনাগোনা দেখে তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিকমহল। তাহলে কি এ রাজ্যে দুর্নীতির মাথার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে? এসব নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে চর্চা চলছে তখন ইডি, সিবিআইকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বুধবার রাজ্যজুড়ে একাধিক পুরসভায় সিবিআই হানা দেয়, আর সেদিনই বরানগরে দলীয় সভায় যোগ দিয়ে মদনের সিবিআই, ইডিকে কড়া বার্তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন কামারহাটির বিধায়ক (Madan Mitra)?

    পিজি হাসপাতালের ঘটনার পর মদনকে সেভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছিল না। এমনকী কয়েকদিন আগেই ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা অফিসের বৈঠকে অধিকাংশ বিধায়ক, মন্ত্রী হাজির থাকলেও মদন (Madan Mitra) গরহাজির ছিলেন। যা নিয়ে দলের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। কারণ, পিজি হাসপাতালের ঘটনার পর তিনি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তাঁদের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। যা নিয়ে দলের অন্দরে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। দলের সঙ্গে মদনের দূরত্ব বাড়়ছে বলেও গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। যদিও সে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বরানগরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন মদন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইডি, সিবিআইকে নিশানা করেন তিনি। তিনি বলেন, “কোথায় যাচ্ছেন, তৃণমূলকে আগে থেকে না জানালে রাস্তায় আটকে যেতে পারেন। এমন সভা হবে ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স পাবে না ইডি, সিবিআই। তাপসকে (বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়) বলব সিজিও কমপ্লেক্স, ইডি অফিসে একটি চিঠি দিয়ে দিতে। অভিষেকের বাড়িতে একটি অফিস রয়েছে।” সিবিআই, ইডি আধিকারিকদের উদ্দেশে বলেন,” কোথায় যাচ্ছেন তা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেবেন। নাহলে এমন সভা করব যে যাওয়ার রাস্তা পাবেন না। কাকে ভয় দেখাচ্ছেন? আমাকে ২৩ মাস আটকে রেখেছিলেন। আমার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনলেন, বাহুবলী, প্রভাবশালী, ক্ষমতাশালী। এসব উপমা তো হনুমানকে দেওয়া হয়। এরপর অভিষেকের নবজোয়ারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, নবজোয়ার কার্যত জনজোয়ারে পরিণত হয়ে গিয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: রানিগঞ্জের অঞ্জলি বর্মন, এমাচ্যাট তৈরি করে পাড়ি দিচ্ছে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়

    Asansol: রানিগঞ্জের অঞ্জলি বর্মন, এমাচ্যাট তৈরি করে পাড়ি দিচ্ছে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানিগঞ্জের (Asansol) বাংলা মাধ্যমের সরকারি স্কুল, গান্ধী স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন করা ছাত্রী অঞ্জলি বর্মন এবার অনবদ্য অ্যাপ তৈরি করে করল বাজিমাত। সে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত বিশ্বের তৃতীয় নম্বর স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশুনার সুযোগ পেয়েছে। এলাকায় উচ্ছ্বাসের আবহ। 

    কী সাফল্য অঞ্জলির (Asansol)?

    এমাচ্যাট নামের একটি বিশেষ অ্যাপ তৈরি করেছে অঞ্জলি। বিশেষ করে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশ অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ব্রাজিল সহ কয়েকটি দেশের মানুষজনের নানান উপযোগিতার ক্ষেত্রে এই অ্যাপ সুনাম অর্জন করেছে। এই বিষয়কে লক্ষ্য করেই এবার বিশ্বের অন্যতম স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ তাকে তিন বছরের জন্য এক্সিকিউটিভ এডুকেশন নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ করে দিল। জানা গেছে, এই তিন বছরের পঠন-পাঠনের জন্য তার প্রায় তিন কোটি টাকার মত খরচ হবে। আর খরচের সম্পূর্ণটাই বহন করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

    কীভাবে এই বিষয়ে উৎসাহ পেলেন?

    অঞ্জলির শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে জানা যায়, রানিগঞ্জের (Asansol) গান্ধী মেমোরিয়াল গার্লস হাই স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করত সে। সেই স্কুলে একাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময়ই অস্থি সমস্যা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে অঞ্জলি। আর সেই সময়ে বাড়িতে থেকেই নিজের চিরাচরিত পঠন-পাঠনের সাথেই পড়তে থাকে, বিভিন্ন উদ্যোগপতি, যেমন জ্যাকমা, রবার্ট কিওসাকি এবং ভারতে অল্প সময়ে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করা ভারতীয় রিতেশ আগরওয়াল ও তাঁর সাথেই মার্ক জুকেরবার্গ সহ বিভিন্ন উদ্যোগপতির জীবন বৃত্তান্ত। যেখানে সে খুঁজে পায় নিজের লাইফ স্টাইল বা জীবনে চলার অন্য এক গতিপথ। সেই দিশাতেই নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা চিন্তা-ভাবনা করে সে। এরপর এই চিরাচরিত পঠন-পাঠনের সাথেই অ্যাপ মেকিং এর সিদ্ধান্ত নেয়। তার অংকের শিক্ষক বাসুদেব গোস্বামী সেইসব বিষয় নিয়ে পড়ার জন্য ও গবেষণা করার বিশেষ ভাবে অনুপ্রাণিত করেন তাকে। এরপরই ২০১৮ সালে অঞ্জলি বর্মন তার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সম্পূর্ণ করেই, এই বিষয়ে বিশেষ পঠন-পাঠনের জন্য বেঙ্গালুরুতে গিয়ে পড়াশোনা শুরু করে। আর তা করতে গিয়ে দীর্ঘ একটা সময় ধরে ব্যাঙ্গালুরুতে একটি টিম তৈরি করে সে। একবছর ধরে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করে এবং তারপর এমাচ্যাট নামের একটি অ্যাপ তৈরি করে ফেলে। বিশেষ করে প্রেমিক যুগল ও দম্পতিদের যে দূরত্ব কর্ম ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে, সেই দূরত্বকে এই অ্যাপের মাধ্যমে কাটিয়ে তোলার জন্য বেশ কিছু সংযোগের ব্যবস্থা গ্রহণ করে সে হয়ে উঠেছে অনেকের কাছেই বিশেষ গ্রহণযোগ্য।

    সাফল্য কেমন

    ইতিমধ্যেই প্রায় পাঁচ লক্ষ উপভোক্তার কাছে এই বিশেষ পরিষেবা পৌঁছে মানুষের মন জয় করে নিয়েছে সে। আগামীদিনে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে, তার অ্যাপকে আরও বেশি উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে আরও বেশি মানুষজনকে সংযুক্ত করে আরও উন্নত করে তুলবে বলেই সে আশাবাদী। শনিবারই অঞ্জলির কাছে ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য ভিসা পাঠিয়ে দিয়েছে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৭ শে জুন, সে রওনা দিচ্ছে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায়। ছাত্রীর (Asansol) আশা, আগামীতে সে এই অ্যাপের মাধ্যমে পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপনের এক অনন্য নজির গড়ে তুলবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ! অনশনে তৃণমূল কাউন্সিলার

    Siliguri: দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ! অনশনে তৃণমূল কাউন্সিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির (Siliguri) নিয়ন্ত্রিত বাজারের দখলদারি তথা তোলাবাজি নিয়ে তৃণমূলের কাজিয়া চরমে। আইএনটিটিইউসির দার্জিলিং (সমতল) জেলা কমিটির বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও রাজ্য সরকারের প্রশাসনের বিরুদ্ধে অব্যবস্থার অভিযোগে অনশন বসেছেন তৃণমূলেরই নেতা তথা শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পারিষদ সদস্য দিলীপ বর্মন।

    কেন অনশনে তৃণমূল নেতা?

    শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার মেয়র পারিষদ সদস্য দিলীপ বর্মনের অভিযোগ, শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারে ভিন রাজ্যের  শ্রমিক নিয়োগ করে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলছেন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি নির্জল দে ও তাঁর লোকজন। তাঁরা অন্যায়ভাবে পুরনো শ্রমিক ছাঁটাই করছেন। এর পাশাপাশি  বাজারে অবৈধ নির্মাণ ও চূড়ান্ত অব্যবস্থা চলছে। তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রিত বাজার কমিটি থেকে শুরু করে প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের জানিয়েও এখানকার অনিয়ম বন্ধ করা যায়নি। তাই এবার অনশনে বসেছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে। বুধবার বিকেল থেকে আইএনটিটিইউসির ব্যানারে তিনি এই অনশন মঞ্চে বসেছেন।

    কী বলছে প্রশাসন?

    শিলিগুড়ি (Siliguri) রেগুলেটেড মার্কেটের সরকারি কমিটির সচিব তমাল দাস বলেন, দিলীপ বর্মন ও তাঁর লোকেরা বাজারে অবৈধ নির্মাণ, স্টল বন্টনে অনিয়ম নিয়ে যে অভিযোগ করেছেন তার কোনওটাই ঠিক নয়। আর শ্রমিক নিয়োগ স্টল মালিকের ইচ্ছেতেই হবে। সরকার কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। আইএনটিটিইউসির দুই গোষ্ঠীর বিবাদ থেকেই এটা হচ্ছে। সরকারি জমিতে অনশন মঞ্চ করা হয়েছে। কিন্তু রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির কোনও অনুমতি দিলীপ বর্মনদের কাছে নেই। অনশনে বসার ব্যাপারে তিনি আমাদের চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা কোনও অনুমতি দিইনি। এতে অভিযোগ উঠেছে, দিলীপ বর্মন নিজের মর্জি মতো তৃণমূলের প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে অনশন মঞ্চ করেছেন।

    কী বললেন আইএনটিটিইউসি নেতৃত্ব?

    আইএনটিটিইউসি-র দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভাপতি নির্জল দে বলেন, দিলীপ বর্মন আইএনটিটিইউসির কেউ নন। তিনি যে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই বাজারের দখল নিতেই তিনি এসব করছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ থোড়াই কেয়ার! বালি পাচারে অভিযুক্ত খোদ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    TMC: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ থোড়াই কেয়ার! বালি পাচারে অভিযুক্ত খোদ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলা সফরে গিয়ে নদীর ধার থেকে বালি না তোলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৃণমূলের (TMC) একজন অঞ্চল সভাপতি অবাধে বালি তুলছেন বলে অভিযোগ। রীতিমতো গাড়ি করে কয়েকদিন ধরেই এই বালি তোলা চলছিল। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার ধাদকিডাঙ্গা এলাকায়। অবাধে বালি তুলে তা ট্রাক্টরে করে পাচারের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) ওই অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। বিষয়টি নজরে আসতেই স্থানীয় বাসিন্দারা বালি বোঝাই ওই ট্রাক্টর আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    বাঁকুড়ার তালডাংরা ও সিমলাপাল ব্লকের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে জয়পণ্ডা নদী। এই নদীতে ধাদকিডাঙ্গা এলাকায় কোনও বৈধ বালি খাদান নেই। সম্প্রতি  সেই নদীর ধার থেকেই অবৈধভাবে বালি তুলে ট্রাক্টরে করে অন্যত্র পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। আর বেআইনি এই কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের (TMC)  সিমলাপাল ব্লকের মণ্ডলগ্রাম অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি অর্ধেন্দু সিংহ মহাপাত্রর বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এক সপ্তাহ ধরে এই বালি পাচার চলছিল। বিষয়টি নজরে আসতেই স্থানীয় ধাদকিডাঙ্গা গ্রামের মানুষ বালি বোঝাই ট্রাক্টরটিকে আটক করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে সিমলাপাল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চালক সহ ট্রাক্টরটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। নিজের দলীয় পদের প্রভাব খাটিয়েই সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এই বালি পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) অঞ্চল সভাপতি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। ব্লক নেতৃত্ব আমাকে কিছু জানায়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। এই ঘটনা সত্যি হয়ে থাকলে তা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের ভাবমূর্তির ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক হবে।

    বালি পাচার নিয়ে সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    বিজেপি নেতা তথা সিমলাপাল পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা শিশির দত্ত বলেন, এই বালি পাচারের সঙ্গে তৃণমূল (TMC)  নেতৃত্ব ও প্রশাসনের একাংশ যুক্ত রয়েছে। ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: হাইকোর্টের নির্দেশে ৫টি বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল তৃণমূল বিধায়কের পার্টি অফিস

    Murshidabad: হাইকোর্টের নির্দেশে ৫টি বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল তৃণমূল বিধায়কের পার্টি অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হাইকোর্টের নির্দেশে বড়ঞায় তৃণমূলের পার্টি অফিস ভেঙে দিল জেলা প্রশাসন। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বড়ঞা ব্লকের অন্তর্গত আফ্রিকা হিমঘর মোড় সংলগ্ন এলাকায় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার দলীয় কার্যালয় ছিল বলে সূত্রে জানা গেছে। অবশেষে তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন। সবটাই আইন মেনে, প্রশাসনের উপস্থিতিতে হয়েছে। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাবি, এই অবৈধ ভবন তৃণমূলের কার্যালয় ছিল না। 

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) অভিযোগ কী ছিল?

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, বড়ঞায় আফ্রিকা মোড়ে এই ভবনটি মূলত তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়, যা বেআইনিভাবে পূর্ত দফতরের (Murshidabad) সরকারি জায়গায় তৈরি হয়েছিল। এই অবৈধ নির্মাণের বিষয়কে সমানে রেখে স্থানীয়রা কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করার পর মামলা হয়। এরপর কোর্টের রায় ঘোষণা হলে বেআইনি তৃণমূল ভবনটি ভাঙা হয়। বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা বেআইনিভাবে এখানে তৃণমূলের পার্টি অফিস গড়ে তুলেছিলেন বলে এলাকার মানুষ জানিয়েছেন। বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে এই তৃণমূল বিধায়ক জেলে রয়েছেন। বিধায়কের অফিস ভাঙাকে ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

    কীভাবে ভাঙা হয়েছে?

    গত ২৪ মে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল এই অবৈধ ভবনটি ভাঙার জন্য! সেই মতো ভাঙার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু ভবন ভাঙার জন্য আইনি জটিলতায় পড়তে হয়েছিল স্থানীয় প্রশাসনকে। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েও রক্ষা হয়নি ভবন নির্মাণকারীর আবেদন। অবৈধ এই নির্মাণটি বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ৫ টি বুলডুজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। যদিও বড়ঞা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এটি কোনও দলীয় কার্যালয় ছিল না, তবে এখানে দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠান হত। পাশাপাশি তৃণমূলের দাবি, দলের কার্যালয় বলে বদনাম করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। অন্যদিকে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অবৈধ নির্মাণ এবং ভেঙে ফেলার বিষয় থেকে নিজেরা রক্ষা পেতে, তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা বলেছেন, অবৈধ ভবনটি দলীয় কার্যালয় নয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: অভিষেকের জনজোয়ার নয়, জনভাটা চলছে! জনসম্পর্ক অভিযানে তোপ সুকান্তর

    BJP: অভিষেকের জনজোয়ার নয়, জনভাটা চলছে! জনসম্পর্ক অভিযানে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির জনজোয়ার সভার তীব্র সমালোচনা করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি। এই জেলার আরামবাগ, পোলবা এবং বলাগড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনজোয়ার কর্মসূচি পালন করছেন। ইতিমধ্যেই এই জেলার তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করেছে। আর তাই, এই সুযোগে বিজেপির মহা জনসম্পর্ক যাত্রা চলাকালীন তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (BJP)?

    কেন্দ্র সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাংসদ সুকান্ত মুজমদার (BJP) জনসম্পর্ক অভিযানে চুঁচুড়ার কবি অরুণ চক্রবর্তীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, আরামবাগে জনজোয়ার নয়, জনভাটা চলছে! যারা টাকা কালেকশন করে পৌঁছে দেবে, তারা এখন জেলে। অভিষেকের ট্রাক্টরে করে রোড শো করাকে কটক্ষ করেন তিনি। বলেন, তৃণমূলের জেলা জুড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন এখনও হয়নি। কিন্তু যদি রাজ্য সরকার নির্বাচন সঠিক সময়ে না করে, তাহলে যতজন লোক অভিষেকের পিছনে ঘুরছে, তাও আর ঘুরবে না। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, রেল দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করছেন। সুকান্তবাবু বলেন, আহতদের আর্থিক সাহায্যের জন্য স্থানীয় নেতারা প্রথমে চেক দিলেও, তারপর আবার মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কলকাতায় নিয়ে গিয়ে, সেই চেক ঘটা করেপুনরায় প্রদান করেছেন। এটা রীতিমতো আহত ব্যক্তিদের হেনস্থা ছাড়া আর কিছু নয়। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী যখন চেক বিলি করছিলেন, সেই সময় মন্তব্য করেন, ‘সিবিআই এখন বাথরুমেও ঢুকছে’। আর তাঁর এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে সুকান্তবাবু বলেন, টাকা-সোনা যদি তৃণমূল নেতাদের বাথরুমেও রাখা থাকে, তাহলে বাথরুমেও সিবিআই-ইডি ঢুকবে। কেন্দ্র সরকারের ৯ বছর পূরণের উপলক্ষে বিজেপি সমাজের বিভিন্ন বিশিষ্ট মানুষের বাড়িতে গিয়ে জনসম্পর্ক অভিযান করছে। কবি অরুণ চক্রবর্তীর বাড়িতে এই সুবাদেই যাওয়া সুকান্ত মজুমদারের। অরুণবাবু অবশ্য বলেন, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • CBI: এবার অনুব্রতর পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হাজির সিবিআই

    CBI: এবার অনুব্রতর পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হাজির সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের পরিচারক হিসাবে পরিচিত বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার সাত সকালেই বোলপুরের কালিকাপুর এলাকায় সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে হাজির হন। বাড়িতে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বেশ কিছু নথি চাওয়া হয়। সামান্য বেতনের একজন চাকরিজীবী হয়ে অট্টালিকার মতো বাড়ি তৈরির পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস জানার চেষ্টা করেন সিবিআই আধিকারিকরা।

    কে এই বিদ্যুৎবরণ?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর পুরসভার গ্রুপ ডি কর্মী বিদ্যুৎবরণ। ২০০৮ সালে তিনি এই চাকরি পেয়েছিলেন। ২০১২ সালে তিনি পুরসভার স্থায়ী কর্মী নিযুক্ত হন। এক সময় তিনি গাড়ির খালাসির কাজ করতেন। পরে, পদোন্নতি হয়ে গাড়ির চালক হন। বুধবার রাজ্যের একাধিক পুরসভায় সিবিআই হানা দেয়। বীরভূমের শান্তিনিকেতনে অস্থায়ী শিবির করে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা রয়েছেন। মূলত অনুব্রতর জাল কতদূর পর্যন্ত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করতেই এদিন সিবিআই হানা হয়। জানা গিয়েছে, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিদ্যুৎবরণ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। তাঁর বাড়িতে পরিচারকের কাজ করতেন। অনুব্রতর ক্ষমতা বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরও প্রতিপত্তি বাড়তে শুরু করে। অনুব্রতর সঙ্গে তাঁকে সব সময় দেখা যেত। তিনি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে যুক্ত ছিলেন। এর আগে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে তাঁর বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা দিয়েছিল। পরে, তাঁকে একাধিকবার নোটিশ পাঠানো হলেও তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেননি। এবার সিবিআই আর তাঁকে সময় দেয়নি। এদিন তাঁর বাড়িতে দুজন সিবিআই আধিকারিক হানা দেন। জানা গিয়েছে, সিবিআই আধিকারিকরা জেলার কয়েকটি ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের অস্থায়ী ক্যাম্পে তলব করেছেন। ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। মূলত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেন হয়েছে। সেই লেনেদেনের পিছনে কারা রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Goat: ছাগলকে নিয়ে নাস্তানাবুদ থানা, ফেসবুক পোস্ট করে কী বার্তা দিলেন আই সি?

    Goat: ছাগলকে নিয়ে নাস্তানাবুদ থানা, ফেসবুক পোস্ট করে কী বার্তা দিলেন আই সি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম-জানা নেই। বয়স-তিন মাস। উচ্চতা-সওয়া ফুট। রঙ-সাদা। বিশেষত্ব-পিঠে কালো দাগ রয়েছে। এটা কোনও নিখোঁজ ব্যক্তিকে খোঁজার জন্য প্রচার নয়। এটি একটি ছাগলের বিবরণ। গত ১০ দিন ধরে এই ছাগল (Goat) নিয়েই নাস্তানাবুদ হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি থানার পুলিশ। ছাগলের মালিকের খোঁজে তাই জনস্বার্থে ফেসবুকে ছবি-সহ  ‘পোস্ট’ দিয়েছেন বংশীহারি থানার আইসি মনোজিৎ সরকার।

    কী বললেন থানার আইসি?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০দিন আগে তপনের শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাইষষ্ঠী করে ফিরছিলেন বুনিয়াদপুরের কাঁঠালতলির বাসিন্দা দেবা সরকার। সঙ্গে ছিল এই ছাগলটি (Goat)। পুরানো একটি মামলায় দেবাকে ধরতে গিয়েই পুলিশের হাতে পড়ে ওই ছাগশিশু। তারপর থেকেই থানায় “বন্দি” ছাগল। শহরে খোঁয়াড় না থাকায় থানার ভিতরেই বেঁধে রাখা হয়েছিল ছাগলটিকে। ছাগলের চিৎকারে অতিষ্ঠ পুলিশকর্মীরা বাইরে বেঁধে রেখেছিলেন তাকে। সেখান থেকে একবার দড়ি ছিঁড়ে পালিয়ে যাওয়ায় ধরতে গিয়ে পুলিশের হাঁসফাঁস অবস্থা হয়। এ ভাবে দশ দিন কাটলেও খোঁজ নেই আসল মালিকের। তাই আসল মালিকের খোঁজে ফেসবুকে ছবি-সহ এই পোস্ট করেন আইসি। থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, “কে আসল মালিক, সেটা যাচাই করতে ছবি-সহ বিবরণ পোস্ট না করে উপায় ছিল না।”

    ফেসবুক পোস্টে থানার আইসি কী সতর্কবার্তা দিয়েছেন?

    পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশের খাতায় ‘হাত সাফাইয়ের’ কারণে আগে থেকেই দেবার নাম ছিল। রাতে ছাগল নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পুলিশ ছাগল-সহ তাকে গ্রেফতার করে। দুই দিন পরে জামিনে দেবা ছাড়া পেলেও মুক্তি পায়নি ছাগলটি (Goat)। ছাগলটি  শ্বশুরের দেওয়া বলে দেবা দাবি করলেও মন গলেনি পুলিশের। তাই সে কথা গ্রামবাসীদের থেকে লিখিয়ে আনতেও বলে পুলিশ। এর মধ্যে তিন চার পক্ষ ছাগলের মালিকানা দাবি করায় জটিলতা বাড়ে। চিঠি নিয়ে থানায় আসেনি দেবা। প্রবল সমস্যায় পড়েছে পুলিশ। ছাগলের (Goat) জন্য দুবেলা কাঁঠালপাতা জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। তাই আপাতত থানার সামনে থাকা রুটির দোকানদারের হেফাজতে রাখা হয়েছে ছাগলটিকে। ফেসবুক পোস্টে আইসি-র সতর্কবার্তা, “আগামী সাতদিনের মধ্যে উপযুক্ত প্রমাণ-সহ দাবিদার না মিললে ছাগশিশুটি কারও ‘উদরস্থ’ হলে থানা আর দায়িত্ব নেবে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: ফের বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল ঘরের চাল, রাজ্যবাসীর আতঙ্ক কি কাটবে না?

    Bomb Blast: ফের বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল ঘরের চাল, রাজ্যবাসীর আতঙ্ক কি কাটবে না?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কয়েক মাস আগে টিটাগড় পুরসভায় স্কুলের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা ঘটেছিল। তারপর শুরু হয়েছিল বারাকপুর মহকুমা জুড়ে পুলিশি তত্পরতা। ভাটপাড়়া, জগদ্দল সহ একাধিক জায়গায় বোমা বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। এখনও রাজ্যু জুড়ে সেই অভিযান চলছে। এরই মধ্যে দুদিন আগে বনগাঁয় শৌচালয়ের মধ্যে মজুত রাখা বোমা ফেটে ১২ বছরের এক নাবালকের মৃত্যু হয়। সেই জের কাটতে না কাটতেই এবার বারাকপুর মহকুমার ভাটপাড়া এবং টিটাগড়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। 

    ভাটপাড়ায় বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) জখম এক

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেফটি ট্যাঙ্কের ওপর লুকিয়ে রাখা বোমা ফেটে জখম হলেন এক বৃদ্ধ। বুধবার বেলায় ঘটনাটি ঘটেছে ভাটপাড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের-১ নম্বর সুকান্তপল্লিতে। জানা গিয়েছে, অজন্তা চক্রবর্তীর বাড়ির সেফটিক ট্যাঙ্কের ওপর আগাছার মধ্যে একটা বোমা লুকিয়ে রাখা ছিল। প্রতিবেশী ৭৫ বছরের নির্মল বিশ্বাস ওই আগাছা পরিষ্কার করতে গিয়েই বোমাটি ফেটে (Bomb Blast) যায়। বোমার স্প্লিন্টারে জখম হন নির্মলবাবু। তাঁকে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলার সত্যেন রায় ও ভাটপাড়া থানার পুলিশ। ঘিঞ্জি এলাকায় বোমা ফাটার ঘটনায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা।

    টিটাগড়ে বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast)  উড়ল বাড়ির চাল 

    টিটাগড় পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ নম্বর পানি ট্যাঙ্কি এলাকায় বুধবার বেলায় বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বিস্ফোরণের (Bomb Blast) জেরে বাড়ির দেওয়াল ভেঙে যায়। চাল উড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, মুন্না সাউ নামে এক ব্যক্তির জমিতে থাকা একটি পরিত্যক্ত ঘরে বিস্ফোরণ ঘটেছে। ঘটনার পর মুন্না সাউ এলাকা ছেড়ে চলে যায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে পরিত্যক্ত ঘরটিতে কেউ বা কারা বোমা মজুত রেখেছিল। সেই বোমাই ফেটে গিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে খড়দা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। যে ঘরটিতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে সেই ঘরটি ভেঙে পড়েছে এবং তার আশেপাশে বেশ কয়েকটি ঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে টিটাগড় পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের স্বামী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ জহর বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমি আসি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share