Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Abhishek Banerjee: আবাস যোজনায় ঘর না পেয়ে অভিষেকের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ

    Abhishek Banerjee: আবাস যোজনায় ঘর না পেয়ে অভিষেকের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনায় ঘর না পেয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ। রোড শো এর পরেই বিক্ষোভের মুখে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবাস যোজনার বাড়ি না পেয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করলেন স্থানীয়রা। যোগ্য প্রাপকদের দিকে নজর দিন, উঠল দাবি।   

    কোথায় ক্ষোভের মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)?

    উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে, চন্দ্রকোণা রোড এলাকায় রোড শো-তে অংশ নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এরপরই স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। নিচুতলার সংগঠনের উপর জোর দিন! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমনই উপদেশ দিতে দেখা যায় স্থানীয় মহিলাদের।  

    জনজোয়ার যাত্রায় কী অভিযোগ গ্রামবাসীদের?

    জনজোয়ার যাত্রায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) গাড়িকে লক্ষ্য করে স্থানীয় মানুষের দাবি, আমাদের ঘর নেই, ঘর দরকার! গাড়ি ঘিরে ধরে তাঁদের দাবি, এলাকার অনেকের ঘর ফেটে গেছে, খুব অসহায়বোধ করছি আমরা। কিছু কিছু মানুষের ঘর প্রায় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। তাই এই অবস্থায় আমাদের সরকারি সাহায্য একান্ত প্রয়োজন। এলাকার মানুষের আরও অভিযোগ, আমরা গাড়ির সামনে যেতে পারলেও নিরপত্তারক্ষীরা (Abhishek Banerjee) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে যেতে দেননি। তাঁরা বলেন, আমরা আমাদের অসুবিধার কথা বলার সময় পর্যন্তও পেলাম না। যাঁদের ঘর পাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে, তাঁরাই পাচ্ছেন না। যাঁদের আছ্‌ তাঁরা আরও পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন এলাকার মহিলারা। এক স্থানীয় মাহিলার দাবি, আমি তো ভোট দিয়ে থাকি, তাহলে আমার কথা কেন শুনলেন না উনি? এখানে যাঁদের তিনতলা বাড়ি রয়েছে, তাঁরাই ঘর পাচ্ছে, আমরা কিছুই পাচ্ছি না। আমাদের কথা শোনার মতো সময় নেই নেতাদের। এলাকার মানুষের একটাই আক্ষেপ, নেতারা যদি আমাদের কথাই না শোনেন, তাহলে ভোট দিয়ে কী লাভ? পঞ্চায়েত ভোট সামনে, তাই আর কবে তৃণমূলের নেতারা এই এলাকার মানুষের কথা শুনবেন, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Madhyamik Result: এই প্রথম আদিবাসী অধ্যুষিত প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ ৪ ছাত্রী!

    Madhyamik Result: এই প্রথম আদিবাসী অধ্যুষিত প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ ৪ ছাত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঠে ধান পোঁতার কাজ সেরে পড়াশোনা। এই প্রথম একটি গ্রাম থেকে মাধ্যমিকে (Madhyamik Result) উত্তীর্ণ হল এমনই ৪ ছাত্রী৷ আদিবাসী অধ্যুষিত প্রত্যন্ত গ্রাম শান্তিনিকেতনের সাহেবডাঙা। বিংশ শতাব্দীতে এসে নারী শিক্ষার অগ্রগতির নজির এই চার ছাত্রীর উত্তীর্ণ হওয়ার খবরে খুশি গ্রামবাসীরা৷

    কীভাবে এল এই সাফল্য (Madhyamik Result)?

    শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহেবডাঙা আদিবাসী অধ্যুষিত প্রত্যন্ত একটি গ্রাম। উন্নয়নের আলো সেভাবে পৌঁছায়নি এই গ্রামে। পাশাপাশি শিক্ষার আলো থেকেও এতকাল বঞ্চিত ছিল এই গ্রাম৷ অথচ, শিক্ষা, শিল্প, সংস্কৃতির পীঠস্থান হিসাবে পরিচিত শান্তিনিকেতন। কিন্তু, প্রবাদবাক্য আছে ‘প্রদীপের নিচে অন্ধকার’। যদিও, এই প্রবাদবাক্যকে উপেক্ষা করে এই প্রথম এই গ্রাম থেকে ৪ জন মেয়ে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হল। বোলপুর পারুলডাঙা শিক্ষানিকেতন আশ্রম বালিকা বিদ্যাপীঠের ছাত্রী বাসন্তি টুডু, লতিকা মুর্মু, মিরু হাঁসদা ও গুসকড়ার পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক স্কুলের ছাত্রী সুমিত্রা টুডু এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় (Madhyamik Result) উত্তীর্ণ হয়েছে। এর আগে এই গ্রাম থেকে কোনও মেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেইনি, উত্তীর্ণ হওয়া তো দূরের কথা৷ নারী শিক্ষার অগ্রগতি নিয়ে আন্দোলন চলছে বহু দিন ধরেই৷ সেই আন্দোলনের নজির বলা যায় ৪ আদিবাসী কন্যার সাফল্যকে৷ বাবা-মায়ের সঙ্গে মাঠে ধান পোঁতা, ধান কাটার কাজ করে তারা৷ তার ফাঁকেই পড়াশোনা। তারা জানায়, এর আগে কোনও মেয়ে সেভাবে পড়াশোনা করতে পারেনি৷ কারণ পরিকাঠামো নেই, বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থা, নেই পড়াশোনার পরিবেশ। সদ্য একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই গ্রামটিকে দত্তক নিয়েছে৷ তাদের তত্ত্বাবধানেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে তারা৷ যে যুবকের উদ্যোগে তাদের এই সাফল্য সেই বুদ্ধিশ্বর মণ্ডল বলেন, “এই গ্রামের উন্নয়ন একেবারেই নেই৷ প্রত্যন্ত একটি গ্রাম থেকে ৪ টি মেয়ে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ। আমি ওদের সঙ্গে আছি বহু দিন ধরে৷ তাদের সাফল্যে খুব খুশি হয়েছি।”

    কী বলল উত্তীর্ণরা (Madhyamik Result)?

    সুমিতা টুডু, বাসন্তি টুডু, মেরু হাঁসদা বলে, “এই গ্রামে আগে কোনও মেয়ে মাধ্যমিক (Madhyamik Result) পাশ করেনি৷ কারণ কোনো রকম সুযোগ সুবিধাই ছিল না৷ টিউশন পড়তে পারতাম না। আমাদের গ্রামের অবস্থাও ভালো নয়৷ সবাই মাঠে কাজ করে৷ আমরাও ধান পোঁতার কাজ করি৷ আমরা পাশ করায় গ্রামের সবাই খুব খুশি। আগামীতে গ্রামের বাকি মেয়েদের বলব, তারাও যেন পড়াশোনা করে আরও ভালো ফল করে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রী হলেন ‘লেডি কিম’! কেন এই তুলনা টানলেন শুভেন্দু অধিকারী?

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রী হলেন ‘লেডি কিম’! কেন এই তুলনা টানলেন শুভেন্দু অধিকারী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার নন্দীগ্রামের সোনাচূড়াতে শহিদ মিনারে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সংসদ ভবনের উদ্বোধন নিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে সংসদ ভবনের উদ্বোধনের মাধ্যমে ভারতের ইতিহাসে নব পালক সংযোজিত হল। এই রাজ্যে আক্রান্তদের পাশে নেই রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করে তাঁকে উত্তর কোরিয়ার কিমের সঙ্গে তুলনা করেন শুভেন্দু।  

    নন্দীগ্রামে কী বললেন (Suvendu Adhikari) শুভেন্দু অধিকারী?

    সোনাচূড়াতে শহিদ মিনারে মন কি বাত অনুষ্ঠানে এসে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, আজ ভারতীয় হিসাবে আমরা গর্বিত। আত্মনির্ভর ভারত এবং আধুনিক ভারতের আরেকটি প্রয়াস হচ্ছে মোদিজির মাধ্যমে। নতুন সংসদ ভবনের বিষয়ে বলেন, ভারত মাতার নব রূপ সংযোজিত হল। আমি প্রাক্তন সাংসদ হিসাবে নতুন সংসদ ভবন উদ্ভোধন হওয়ায় ভীষণ ভাবে গর্ব অনুভব করছি।

    সরব রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে

    রাজ্যের তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আবার গতকাল শনিবার এগরাতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, এগরা বিস্ফোরণের ১১ দিন পরে মুখ্যমন্ত্রী ভানু বাগের শ্রাদ্ধে খেতে এসেছিলেন। পাশাপাশি কুড়মি আন্দোলনে রাজেশ মাহাতর গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আইনি বিষয়, তদন্ত সাপেক্ষ ব্যাপার। যদি কোনও আইনি সাহয্যের দরকার হয়, আমি রাজেশ মাহাতকে আইনি লড়াইতে সাহায্য করব। সব কিছু সমস্যা তৈরি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে জনজাতি সমাজ এবং অপরদিকে কুড়মিদের উস্কে দিচ্ছেন। রাজ্যে অস্থিরতার বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে। সবটাই হচ্ছে প্রশাসনের ব্যর্থতার বলে তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধী দলনেতা।

    কিমের সঙ্গে তুলনা মুখ্যমন্ত্রীকে

    সবার মুখ্যমন্ত্রী নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উনি হলেন লেডি কিম। মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর ভাইপো অত্যন্ত ক্রূর, সব সময় প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন। এই ভাবেই সমালোচনা করলেন শুভেন্দু। মানুষের উপরে নানান ভাবে অত্যাচার করছেন বলে বিশেষ অভিযোগ তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দল কিছু ভোট ব্যাঙ্কেরই কেবলমাত্র প্রতিনিধি। সবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হতে পারেননি। শুভেন্দু বলেন, বগটুই হত্যাকাণ্ডে সেখানকার মুসলমান মহিলাদের পুড়িয়ে মারার পর আমি গিয়েছি, তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমি জানি তাঁরা আমাদের ভোট দেননি। আগামী দিনে দেবেন কি না তাও জানি না। কিন্তু আমি বিরোধী দলের নেতা হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে ঘটনারস্থলে গিয়েছিলাম। একই ভাবে ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলারকে গুলি করে হত্যা করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। উল্লেখ্য, এখানেও মুখ্যমন্ত্রী যাননি, আমিই মৃত কাউন্সিলারের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, তিনি কেবল বিজেপির নেতা নন, এই রাজ্যে যত সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হবেন, তাঁদের সবাইকার নেতা শুভেন্দু। আক্রান্ত মানুষের পাশে থাকা বিরোধী দলের নেতাদের প্রধান কাজ। এবং এই কাজ করতে উনি রাজ্যবাসীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tiger: মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে বাঘের আতঙ্ক! তোলপাড় গোটা এলাকা

    Tiger: মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে বাঘের আতঙ্ক! তোলপাড় গোটা এলাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সাতসকালেই বাঘের (Tiger) আতঙ্ক মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে। ভরতপুর থানার হামিদপুর বাগেশ্বর মন্দিরের পাশে একটি জঙ্গলে বাঘের আতঙ্কে চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়। পরে, গ্রামের বাসিন্দারা বন দফতরে খবর দেন। বন দফতরের কর্মীরা এসে ওই জন্তুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এদিন দিনভর হামিদপুর সহ আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ বাঘের আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    এদিন সকালে গ্রামের এক যুবক জঙ্গলে আম কুড়োতে গিয়ে বাঘের (Tiger) মতো জন্তু দেখে ছুটে পালিয়ে যান। বাঘেশ্বর মন্দিরে পিছনে জঙ্গলে জন্তুটিকে তিনি দেখতে পান। গ্রামে ফিরে তিনি সমস্ত বিষয়টি সকলকে বলেন। জন্তুটি চিতা বাঘের মতো দেখতে বলে তিনি সকলকে জানান। চিতা বাঘের মতো দেখতে খবর জানাজানি হতেই আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা এসে ভিড় করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বিষয়টি জানার পরই আমরা ওই জন্তুটিকে দেখতে জঙ্গলে যাই। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর জন্তুটিকে দেখতে পাই। একটি গাছের মধ্যে উঠে বলেছিল। শ্রীমন্ত ঘোষ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বাবাদের মুখে শুনেছি, বাঘেশ্বর মন্দির এলাকায় বাঘের দেখা পাওয়া যেত। তবে, আমরা কোনওদিন এই এলাকায় বাঘ দেখিনি। এদিন পাড়ার ওই যুবকের কথা শুনে বাঘ দেখতে ছুটে আসি। পরে, বাঘের মতো জন্তুটিকে দেখতে পাই। আমার মতো এই এলাকায় বহু মানুষ এই ধরনের জন্তু আগে দেখেনি। ফলে, আমরা খুব আতঙ্কিত ছিলাম। বন দফতরের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে জানার পরই আমরা স্বস্তি ফিরে পাই।

    কী বললেন বন দফতরের আধিকারিক?

    এদিন বন দফতর বিষয়টি জানার পরই সেখানে আসে। বন দফতরের এক আধিকারিক সঞ্জয় সরকার বলেন, বাঘ (Tiger) দেখা গিয়েছে শুনে আমরা সেখানে যাই। পরে, দেখি বাগরোল। মেছো বিড়াল বলা হয়। এই ধরনের জন্তু এখন অনেক কম দেখা যায়। সাধারণত এরা হামলা করে না। তবে, কেউ তাড়া করলে এর হামলা করতে পারে। এই ধরনের জন্তুর সংরক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা জন্তুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: কৃষি দফতরে গ্রুপ সি চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ  লক্ষ টাকা প্রতারণা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    Uttar Dinajpur: কৃষি দফতরে গ্রুপ সি চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দেওয়ার নাম করে বেকার যুবক-যুবতী ও তাঁদের অভিভাবকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন তৃণমূল নেতা। টাকা তুলে তার পরিবর্তে চাকরি দেননি কাউকেই। টাকা তোলা এবং চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ এনে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস অঞ্চল (Uttar Dinajpur) সভাপতির বাড়ির সামনে অবস্থানে বসলেন বিক্ষোভকারীরা।

    উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) অভিযোগ কী?

    শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার (Uttar Dinajpur) রায়গঞ্জ ব্লকের কমলাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কসবা-মহাশো এলাকায়। অবস্থান-বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনিন্দ্য কুমার দাস অভিযোগ করেন, কৃষি দফতরের গ্রুপ সি পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রার্থী পিছু ১১ লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি উত্তম ঘোষ, তাঁর ভাগ্নে মিঠুন ঘোষ এবং ভাই অনিল ঘোষ। কিন্তু এরপর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও চাকরি তো জোটেইনি, উল্টে চাকরিপ্রার্থীরা নিজেদের টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা করা হচ্ছে। এর আগেও টাকা চাইতে গেলে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এক বিক্ষোভকারী সুমন কুমার নাথ বলেন, প্রায় ছয় মাস হল তাঁদের নাগালে পাওয়া যাচ্ছে না। টাকা নেওয়ার জন্য ভুয়ো ইন্টারভিউ এবং নকল নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করছেন তিনি। প্রার্থীদের অবিলম্বে সেই টাকা ফেরতের দাবিতে তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে এই আন্দোলন বলে জানানো হয়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে এক অভিভাবক নৃপেন্দ্রনাথ দাস বলেন, উত্তম ঘোষের ভাগ্নে মিঠুন ঘোষ যে টাকা নিয়েছেন, সে কথা স্বীকার করা একটি ভিডিও রয়েছে আমাদের কাছে। আমরা পুলিশের কাছে যাব।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মিঠুন ঘোষের বক্তব্য

    এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মিঠুন ঘোষ বলেন, আমার মামা উত্তম ঘোষ এলাকায় (Uttar Dinajpur) অনেকদিন ধরেই সুনামের সঙ্গে বসবাস করছেন। তিনি কোনও অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর পরিবারকে কালিমালিপ্ত করতেই এই চক্রান্ত চালানো হচ্ছে। তবে মিঠুনের দেওয়া এক ভিডিওতে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ওঁদের কাছ থেকে আমি ১১ লক্ষ টাকা নিয়েছি। আজ শনিবার টাকা দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু আমি দিতে পারিনি। আগামী রবিবার ওঁদের ডেকে আমি মামার উপস্থিতিতে সব টাকা দিয়ে দেব। এরকম একটি বক্তব্য সামজিক মাধ্যমে ঘুরছে বলে জানা গেছে।

    তৃণমূল নেতা উত্তম ঘোষের বক্তব্য

    অপরদিকে উত্তম ঘোষ বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ। এর সাথে কোনও ভাবেই আমি যুক্ত নই। প্রমাণ করতে পারলে যা শাস্তি দেবে, তা মাথা পেতে নেওয়ার কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন আমি বাড়িতেই (Uttar Dinajpur) ছিলাম। অসত্যকে আশ্রয় করে কীভাবে একটি অভিযোগ আনা যায়, সে বিষয়টি আমি লক্ষ করেছি। তবে মিঠুন ঘোষ তাঁর ভাগ্নে, একথা স্বীকার করেন উত্তম বাবু স্বয়ং। তিনি আরও বলেন, মিঠুনের টাকা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়টি আমিও শুনেছি। কিন্তু আমার ভাগ্নের টাকা নেওয়ার সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই। এ ব্যাপারে আমার বদনাম করা হচ্ছে। আমি প্রয়োজনে মানহানি মামলা করব।

    পুলিশের ভূমিকা

    অন্যদিকে, এদিনের এই ঘটনার (Uttar Dinajpur) খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসে স্থানীয় কর্ণজোড়া ফাঁড়ির পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আন্দোলন তুলে নেন এবং অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন বলে জানা গেছে। প্রতারিত ব্যক্তিরা কবে টাকা ফিরে পান, তাই এখন দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: দৃষ্টিহীন হয়েও উচ্চ মাধ্যমিকে ৪১২ নম্বর পেয়ে সফল রিয়া রায়

    Murshidabad: দৃষ্টিহীন হয়েও উচ্চ মাধ্যমিকে ৪১২ নম্বর পেয়ে সফল রিয়া রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দৃষ্টিহীনদের লেখাপড়ার স্বার্থে লুই ব্রেইল যে পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন, সেই পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিয়ে সফল হলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর কান্তনগরের এক কাপড় ব্যবসায়ীর জ্যেষ্ঠ কন্যা রিয়া রায়।

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) কীভাবে পড়াশুনা করত রিয়া

    রিয়া প্রমাণ করলেন, মনের জোর থাকলে সমস্ত কিছুই সম্ভব। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যে কোনও রূপ বাধা সৃষ্টি করতে পারে না, আবারও প্রমাণ করলেন লিপিকা গার্লস মেমোরিয়াল স্কুলের (Murshidabad) ছাত্রী রিয়া রায়। এবার তিনি উচ্চ মাধ্যমিকে ব্রেইল পদ্ধতিতে ৪১২ নম্বর পেয়েছেন। তাঁর গ্রেড এ প্লাস। বিভিন্ন বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরগুলি হল ইংরেজিতে ৮৫, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৮৫, ইতিহাসে ৮৬, সংস্কৃতে ৮০ এবং বাংলায় ৭৪। রিয়া আরও জানিয়েছেন, একজন ছাত্রীকে প্রচণ্ড অনুশীলন, কঠোর পরিশ্রম এবং উদ্দেশ্যকে সুস্থির রেখে পড়াশুনা করতে হয়। রিয়ার বাবা বিশ্বনাথ রায় একজন কাপড় ব্যবসায়ী এবং মা জবা রায় গৃহিণী। রিয়া এরকম রেজাল্ট করার জন্য তাঁর স্কুলের সমস্ত শিক্ষিকা এবং বাবা-মায়ের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। আরও বলেন,, আজ এই দিনে যদি লিপিকা গার্লস মেমোরিয়াল স্কুল এবং আমার বন্ধুবান্ধব না থাকত, তাহলে আমি এই জায়গায় পৌঁছাতে পারতাম না। বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে সপ্তাহ ব্যাপী উদযাপনের অনুষ্ঠানে রিয়া কন্যাশ্রী প্রকল্পের কন্যাশ্রী আবৃত্তি করে এলাকায় সুনাম অর্জন করেছিলেন। রিয়া রায় পড়াশুনোর পাশাপাশি কবিতা আবৃতি এবং গান করতে খুব ভালোবাসেন। আগামিদিনে পড়াশোনা করে অধ্যাপক হতে চান।

    স্কুলের শিক্ষিকা এবং অভিভাবকের প্রতিক্রিয়া

    রিয়া রায় সম্পর্কে লিপিকা গার্লস মেমোরিয়ালের প্রধান (Murshidabad) শিক্ষিকা শালিনী মুখোপাধ্যায় বলেন, মনের জোর থাকলে সবকিছু জয় করা যায়। আর তার চাক্ষুষ প্রমাণ আজকের রিয়া রায়। তিনি আরও বলেন, রিয়া আমাদের প্রজন্মের কাছে একটি বার্তা, কোনও কিছুতেই সে হার মানে না। আর সেই জন্যই তার ফলস্বরূপ আজ রিয়া উচ্চমাধ্যমিকে এই ফল পেয়েছে। রিয়ার এই রেজাল্টে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সহ সমস্ত শিক্ষিকারা উচ্ছ্বসিত। সেই সঙ্গে বাবা বিশ্বনাথ রায় জানিয়েছেন, মেয়ের পড়াশুনার জন্য সব রকম সহযোগিতা আমরা করব। ওর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য আমরা সব সময় ওর সঙ্গে আছি। রিয়ার জন্য সকলের কাছে আশীর্বাদ কামনা করি। দৃষ্টিহীন ছাত্রী উচ্চ শিক্ষার জন্য সকল প্রতিবন্ধকতাকে কীভাবে অতিক্রম করে এগিয়ে যাবে, তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • WB Hospital: সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলেও টাকা? দালালচক্রে হয়রান রোগী ও পরিজনেরা

    WB Hospital: সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলেও টাকা? দালালচক্রে হয়রান রোগী ও পরিজনেরা

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তবে, সরকারি হাসপাতাল (WB Hospital) নিয়ে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হল, দালালচক্র। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে ওষুধ সবটাই হবে বিনামূল্যে, সম্পূর্ণ নিখরচায়, এমন কথা সব সময় বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলেও টাকা দিতে হয়। সরকারি হাসপাতালে সক্রিয় একাধিক দালালচক্র। অন্য হাসপাতাল থেকে রেফার হোক কিংবা সরকারি হাসপাতালে আউটডোরে চিকিৎসকের পরামর্শে ভর্তি, দালালকে টাকা দিলে তবেই সম্ভব। না হলে, ‘বেড নেই’, এমনই শুনতে হয়। 

    কী অভিজ্ঞতা হয় রোগীর পরিবারের (WB Hospital)? 

    সরকারি হাসপাতালে (WB Hospital) ভর্তি নিয়ে নানান অভিযোগ রোগীর পরিবারের। তবে, দালালচক্রের জন্য সবচেয়ে বেশি হয়রানি হতে হয় রোগী ও পরিজনের। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরে এক রোগী জ্বর, কাশি ও ফুসফুসের কিছু সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। তাঁকে পরীক্ষার পর চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। ফুসফুসের সমস্যার জন্য তাঁকে ভর্তি হতে বলা হয়। কিন্তু অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে কাউন্টারের কাছে কিছু ব্যক্তি এসে তাঁর পরিজনদের জানান, তাঁরা হাসপাতালের কর্মচারী। পরিবারের কাছে নগদ কয়েক হাজার টাকা দাবি করা হয়। তবেই রোগী ভর্তি করা হবে, এমনও জানানো হয়। পরিবারের সেই টাকা দেওয়ার সামর্থ ছিল না। তাঁরা রোগী ভর্তি করতে পারেননি। পরে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে সেই রোগী আরও জটিল বক্ষঃরোগ নিয়ে ভর্তি হন। মুর্শিদাবাদের ঘটনা ব্যতিক্রম নয়। এমনই অভিজ্ঞতা রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের এক রোগী ও তাঁর পরিবারের। তাঁদের অভিযোগ, পেটের যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে যান বীরভূমের এক প্রৌঢ়। জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করাতে হলেও দালালচক্রকে টাকা দিতে হবে বলেই অভিযোগ করেন ওই প্রৌঢ় ও তাঁর পরিবার।ফলে, বিনা চিকিৎসাতেই হাসপাতাল থেকে ফিরে যেতে হয়। ভোগান্তির শিকার রোগী ও তাঁর পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন, কলকাতা হোক বা জেলা, রাজ্যের যে কোনও সরকারি হাসপাতাল বিশেষত যে কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজে রোগী ভর্তি করতে হলেই নগদ টাকা দিতে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দালালচক্রে যাঁরা সক্রিয় থাকেন, তাঁরা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের কর্মী। কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও অধিকাংশ সময়ই কোনও সদুত্তর পাওয়া যায় না।

    দালালচক্র (WB Hospital) নিয়ে সরব খোদ বিধায়ক থেকে সাংসদ? 

    সরকারি হাসপাতালের (WB Hospital) দালালচক্রের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে শুধু রোগী ও তাঁর পরিবার নয়। এবার তা নিয়ে মুখ খুলছেন তৃণমূলের বিধায়ক থেকে সাংসদ। সূত্রের খবর, সম্প্রতি দলের অন্দরেই একাধিক নেতা রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বারবার বিজ্ঞাপনে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে বলা হচ্ছে। বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে রোগী হয়রানি বাড়ছে। ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না, সময়মতো চিকিৎসাও পাওয়া যায় না। তবে, সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে যেভাবে সরাসরি দালালচক্রের খপ্পরে পড়তে হয়, তা বন্ধ করা দরকার বলে দলের অন্দরেই জানাচ্ছেন নেতারা। তবে শুধু বন্ধ ঘরে নয়, হাসপাতালের দালালচক্র নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের বিধায়ক মদন মিত্র থেকে সাংসদ শতাব্দী রায়। সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালে দালালচক্রের সক্রিয়তা নিয়ে মুখ খোলেন মদন মিত্র। সংবাদ মাধ্যমে জানান, টাকা না দিলে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যায় না।তৃণমূলের সাংসদ শতাব্দী রায়ও অভিযোগ করেন, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের দালালচক্র নিয়ে। 

    কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    স্বাস্থ্য দফতর কিন্তু এ নিয়ে মুখ বন্ধ রেখেছে। সরকারি হাসপাতালে (WB Hospital) দালালচক্রের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন করলে তারা জানায়, অভিযোগ জমা পড়লেই খতিয়ে দেখা হয়। কেউ ভোগান্তির শিকার হলে অভিযোগ জানান। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয় হামলায় কুড়মি সমাজের প্রধান সহ গ্রেফতার ৮, প্রতিবাদ মিছিল

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয় হামলায় কুড়মি সমাজের প্রধান সহ গ্রেফতার ৮, প্রতিবাদ মিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ে হামলার ঘটনায় রাজেশ মাহাত সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রাজেশ পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি। তিনি খড়্গপুরের একটি হাইস্কুলের শিক্ষক। তাঁকে শুধু গ্রেফতার নয়, খড়্গপুরের স্কুল থেকে কোচবিহারের সিতাইয়ে বদলি করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। রবিবার শালবনির শালডহরা এলাকায় কুড়মি সমাজের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়।

    দলীয় নেতা গ্রেফতারি নিয়ে কী বললেন কুড়মি সমাজের নেতা?

    কুড়মি সমাজের ঘাঘর ঘেরার কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুমন মাহাত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি ভাবেন একজন রাজেশকে গ্রেফতার করে আমাদের আন্দোলনকে ভেঙে দেবেন, তাহলে তিনি ভুল ভাবছেন। আমাদের আন্দোলন থামবে না। বরং, এই ঘটনার পর আমাদের এই আন্দোলন আরও জোরদার হবে।

    শালবনির সভা থেকে কুড়মিদের নিয়ে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মণিপুরে জাতি দাঙ্গার মতো এখানে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে। পাহাড় আলাদা করে দাও। এই জাতি দাঙ্গা করেছিল বিজেপি। আমি কোনওরকমে সামলেছি।  রাজবংশী আর কামতাপুরীদের আলাদা করে দাও। আমি সামলেছি।   এখন আদিবাসী আর কুড়মিদের লরিয়ে দিচ্ছে। টাকা দিচ্ছে বিজেপি। জাতি দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে। বিজেপিকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর। এরপরই কুড়মিদের হুঁশিয়ারি, আমাকে চমকানোর চেষ্টা করবেন না। হিংসা করলে আমাকে পাশে পাবেন না। আমরা চারবার কেন্দ্রের কাছে কুড়মিদের জন্য চিঠি দিয়েছি।

    মুখ্যমন্ত্রীর আচরণে ক্ষুব্ধ কুড়মি নেতারা, কেন?

    শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান কুড়মিদের ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। তাঁদের থানায় দিনভর আটকে রাখা হলেও  মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুমনবাবু বলেন, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় হামলার সঙ্গে কুড়মিরা কেউ জড়িত নই। আর কারা এই কাজ করেছে তা মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ প্রশাসন রয়েছে, তারা চিহ্নিত করুক। আর সাত দফা দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা দেখা করতে এসেছিলাম। কিন্তু, থানায় আমাদের আটকে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। আর কুড়মিদের নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলছেন তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা।

    কী বললেন বিজেপি নেতা?

    বিজেপি নেতা অরূপ দাস বলেন, মুখ্যমন্ত্রী একজন দাঙ্গাবাজ নেত্রী। তাই, সবকিছুতেই তিনি দাঙ্গাকে দেখতে পান। মুখ্যমন্ত্রীর মিথ্যা প্রতিশ্রুতির জন্যই জঙ্গলমহলে কুড়মিরা আন্দোলন করছে। জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে তৃণমূল শুধু ভোট নিয়ে গিয়েছে, তাদের উন্নয়নে কিছু করেনি। তাই, কুড়মিরা এভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বিলে বাঁধ দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র এলাকা, মাটি কাটার মেশিনে আগুন, বোমাবাজি

    TMC: বিলে বাঁধ দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র এলাকা, মাটি কাটার মেশিনে আগুন, বোমাবাজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী থানার এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের করণ বিলে ১৫ ফুট উঁচু বাঁধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় মাটি কাটার মেশিন। বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তিনজন জখম হয়েছেন। জখমদের কালদিঘি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার গ্রামে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিশ আধিকারিক দ্বীপাঞ্জন ভট্টাচার্য  ও বংশীহারী থানার আইসি মনোজিৎ সরকার।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    করণ বিলে বংশীহারী এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতটি গ্রামের জল বর্ষাকালে জমা হয়। এই বিল থেকেই টাঙ্গন নদী হয়ে জল বেরিয়ে যায়। যেভাবে ১৫ ফুট উঁচু বাঁধ দেওয়া হচ্ছে, সমগ্র বিলকে ঘিরে তাতে আগামী বর্ষায় আর জল বের হবে না। নষ্ট হবে ফসলের জমি। এই বাঁধ তৈরির বিরোধিতা করে গত ১৫ই মে গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। তারপর বিডিও বিএলআরও, আইসি গ্রামবাসীদের সঙ্গে মিটিং এ বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, অভিযোগ স্থানীয় প্রভাবশালী তৃণমূল (TMC) নেতা হায়দার আলি, রমজান আলি, জাফর আলি, আফসার আলি দিনেরাতে মাটি কাটার মেশিন লাগিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ করছিলেন। সরকারি কোনও নির্দেশ নামা তাদের কাছে নেই। শুধুমাত্র প্রভাব খাটিয়ে সরকারি বিলকে অধিকার করার অভিযোগ তৃণমূলের এই নেতাদের বিরুদ্ধে। ২৬ মে রাতে মাটি কাটার মেশিনে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপরই যথেচ্ছ বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভাঙতেই এই চক্রান্ত করেছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতেই ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মহিলারা। তাঁদের দাবি, যে অবস্থায় বিল ছিল সেই অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। সরকারি ও রায়তি অধিকারী থাকা করণ বিল কার তা নিয়ে বিতর্ক  দীর্ঘদিনের। স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ এই বিলে মাছ চাষ করেন এবং তাদের জীবিকা অর্জনের অন্যতম পথ এই বিল। তৃণমূল (TMC) নেতারা প্রভাব খাটিয়ে তাঁরা এই বিলের উপর বাঁধ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এতে তাদের রুটি রুজিতে টান পড়বে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের তরফ থেকে কোর্টে বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়। ১৪৪ ধারা এবং স্টে অর্ডার জারি হওয়ার পরেও কী করে রাতে এবং দিনে কাজ চলছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা। এই বিষয়ে রায়তি মালিক পক্ষের আব্দুর রাজ্জাক জানান, পুকুরের রায়তি অংশটুকু মাটি দিয়ে বাঁধানো হচ্ছিলো।  এই বিষয়ে মামলা হওয়ায় আপাতত  পুকুরের পার বাঁধানোর কাজ বন্ধ ছিল। কিন্তু গতকাল রাতে সমাজবিরোধীরা এসে মাটি কাটার মেশিনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বোমাবাজি করে।

    কী বললেন পুলিশ আধিকারিক?

    গঙ্গারামপুর মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন,  এলাকার একটি পুকুর কাটাকে নিয়ে গোলমালের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, সেখানে বোমাবাজির কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেনি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি মৃনাল সরকার বলেন, ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুকুর মালিকদের গোলমাল বাধে। এই ঘটনায় তৃণমূল কোনওভাবে জড়িত নয়। গ্রামের ব্যাক্তিগত গোলমাল থেকে ঘটনাটি ঘটেছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, বিলের পার বাঁধালে ওই এলাকার মানুষদের চাষের জমি বা জল নেওয়ার যে সমস্যা হবে এই নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। তৃণমূল (TMC) নেতারা সেখানে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে গ্রামের মানুষেরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন। আর এই পুরো ঘটনাটা ঘটানোর জন্য তৃণমূল ও পুলিশ প্রশাসন দায়ী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “হাসপাতালের অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রীর চোখ দিয়ে জল পড়বে”, কেন বললেন রাজু বিস্তা?

    BJP: “হাসপাতালের অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রীর চোখ দিয়ে জল পড়বে”, কেন বললেন রাজু বিস্তা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালের বেহাল অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও চোখ দিয়ে জল পড়বে।  উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে একথা বললেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি (BJP) সাংসদ রাজু বিস্তা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি অন্তত এক ঘণ্টার জন্য এই হাসপাতাল পরিদর্শনে আসার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। আমি নিশ্চিত এখানকার করুণ পরিস্থিতি দেখার পর তাঁর চোখ দিয়ে জল পড়বে। জল না বেরলে  আমি আমার নাম বদলে দেব। এখানে কর্মীর অভাব রয়েছে। পরিকাঠামোর অনেক খামতি রয়েছে।  চারদিক নোংরা আবর্জনায় ভরে রয়েছে। এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে রয়েছেন এখানকার রোগীরা। প্রসঙ্গত, খুশি বর্মন নামে নকশালবাড়ির এক শিশুকে দেখতে সাংসদ রাজু বিস্তা ও নকশালবাড়ি – মাটিগাড়ার বিধায়ক আনন্দময় বর্মন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন। খুশি বর্মনের দু’টি কিডনি খারাপ। হাসপাতালে সংকটজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে।  রাজু বিস্তা বলেন, তার কিডনি প্রতিস্থাপন বা উন্নত কোনও চিকিৎসার  প্রয়োজন হলে আমি তার দায়িত্ব নিচ্ছি”।

    উত্তরবঙ্গবাসীর উন্নত চিকিৎসার সুযোগ কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল, তোপ সাংসদের

    বিজেপি (BJP) সাংসদ বলেন, “উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছ থেকে বিনামূল্যে উন্নত অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল সরকার। উত্তরবঙ্গের জন্য এইমস অনুমোদন করা হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ থেকে সেই এইমস সরিয়ে কল্যাণীতে নিয়ে গিয়েছেন। এখানে এইমস হাসপাতাল হলে আজ উত্তরবঙ্গের মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে এতটা নাজেহাল হতে হত না,  কাউকে বিনা চিকিৎসায় মারা যেতে হত না। রাজ্য সরকার যদি আমাকে লিখিতভাবে দায়িত্ব দেয় তাহলে এই হাসপাতালের ভোল বদলে দেব”।

     কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

     উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন,  “রাজু বিস্তার মুখে এধরনের শিশুসুলভ কথা মানায় না। বিজেপি (BJP) সাংসদের এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলার  কোনও অধিকার নেই। রাজ্য সরকারের চেষ্টায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার মান অনেক উন্নত হয়েছে। তিনি না জেনে এসব বলছেন। এসব ভাবনা ছেড়ে আমি বলব, সুপার স্পেশালিটি ব্লক দ্রুত চালু করার জন্য তিনি বরং দিল্লিতে দরবার করুন”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share