Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Andal: ২২ ঘণ্টা পরেও বেরিয়ে আসছে বিষাক্ত গ্যাস ও ধোঁয়া!

    Andal: ২২ ঘণ্টা পরেও বেরিয়ে আসছে বিষাক্ত গ্যাস ও ধোঁয়া!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০ সালের ১৪ ই জুন দুপুর দেড়টা। বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছিল অন্ডালের (Andal) হরিশপুর গ্রামের মাটি। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল বাড়িঘর। একাধিক বাড়ি তলিয়ে গিয়েছিল মাটির নিচে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভিটেমাটি হারা হন গ্রামবাসীরা। ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে ওঠার পর তাঁরা বুঝতে পারেন, গ্রামের কাছেই থাকা ইসিএলের খোলা মুখ খনির কয়লা উৎপাদনের কারণেই ধসে তাঁরা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন। ইসিএল ও রাজনৈতিক নেতারা গ্রামে এসে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। মিলেছিল পুনর্বাসনের আশ্বাসও।

    তিন বছর পর একই ঘটনা (Andal)

    ধসের ঘটনার পর তিন বছর অতিক্রান্ত। ফের সোমবার ঠিক একই সময় বেলা ১ টা ৩০ মিনিট থেকে ২ টোর মধ্যে হরিশপুর গ্রামের ঝরে পাড়া এলাকা থেকে ৫০ মিটার দূরে ইসিএলের (Andal) একটি পরিত্যক্ত খনি গহ্বর থেকে বিষাক্ত গ্যাস ও ধোঁয়া বের হতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসীরা। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসে মাধবপুর কোলিয়ারির কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগে এই এলাকায় ইসিএল-এর একটা খনি ছিল, যেটা বর্তমানে পরিত্যক্ত। হঠাৎ সেই পরিত্যক্ত খনি থেকে কালো ধোঁয়ার সাথে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হরিশপুর গ্রামের বাসিন্দারা।

    বাধার মুখে ইসিএল (Andal)

    ইসিএল পরিত্যক্ত খনি গহ্বর মাটি দিয়ে ভরাট করার উদ্যোগ নিলে, প্রথমেই গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়তে হয় তাদের। গ্রামবাসীদের দাবি, পুনর্বাসন দিতে হবে গ্রামের লোকেদের। যদিও নিজেদের সুরক্ষার খাতিরেই পরে ওই পরিত্যক্ত খনি গহ্বর মাটি দিয়ে ভরাট করাতে রাজি হয় এলাকার মানুষ। কিন্তু ২২ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ধোঁয়া ও বিষাক্ত গ্যাস নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ ইসিএল। গতকাল রাত থেকে মেশিন দিয়ে খনি গহ্বরের মাটি ভরাটের কাজ চলছে। কিন্তু ২২ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও এলাকায় (Andal) আতঙ্ক রয়েছে এখনও।

    কী দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের (Andal)?

    লাজন্তী বাউরি নামে স্থানীয় এক মহিলা জানান, যেভাবে পাড়ার একেবারে কাছেই পরিত্যক্ত ঘনি থেকে (Andal) বিষাক্ত গ্যাস ও ধোঁয়া বের হচ্ছে, তাতে স্বাভাবিকভাবেই ভয় ধরেছে মনে । কখন যে কী হয়, এই ভয়ই তাড়া করছে তাঁদের। আর ভয়ের কারণেই নাওয়া খাওয়া ভুলে গতকাল রাত থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়ির বাইরে সারারাত জেগে কাটাতে হয়েছে তাঁদের। তিনি জানান, ইসিএল বা অন্য কোনও প্রশাসনিক দফতরের লোক কোনওরকম আশ্বাস দেননি। তাই স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না। তাঁরা চান, পুনর্বাসন দিক ইসিএল। যাতে করে তাঁরা পরিবার-পরিজন নিয়ে নির্ভয়ে, শান্তিতে বসবাস করতে পারেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rajdhani Express: রেললাইনে চলে এল ট্রাক, অল্পের জন্য রক্ষা পেল রাজধানী এক্সপ্রেস!

    Rajdhani Express: রেললাইনে চলে এল ট্রাক, অল্পের জন্য রক্ষা পেল রাজধানী এক্সপ্রেস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭ দিনও হয়নি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচল রাজধানী এক্সপ্রেস (Rajdhani Express)। দিল্লি-ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেসের কয়েক হাজার যাত্রী অল্পের জন্য বিপদ থেকে রক্ষা পেলেন। রেল লাইনের মাঝে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়ার উপক্রম হয় রাজধানীর, কিন্তু ট্রেন চালক সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কসায় দুর্ঘটনার পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হয়।

    আরও পড়ুন: নিছক দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত? সত্য উদঘাটনে বালাসোরে সিবিআই, শুরু তদন্ত

    কীভাবে ঘটল এই ঘটনা?

    জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার সাঁওতালডিহি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। রেল সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যার মুখে আদ্রা ডিভিশনের একটি স্টেশনে লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় আচমকাই খারাপ হয়ে যায় একটি ট্রাক এবং তা আটকে পড়ে রেল লাইনের ওপর। কোনও ভাবেই সেটাকে সরানো, নড়ানো যাচ্ছিল না। এমন অবস্থায় দূর থেকে প্রচন্ড গতিতে ছুটে আসছিল রাজধানী এক্সপ্রেস। ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ প্রায় অবশ্যম্ভাবী হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু চালকের দক্ষতায় সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়। সঙ্গে সঙ্গে চালক ব্রেক কষেন, নয়তো শুক্রবারের বালাসোরের চিত্রই হয়তো বা দেখা যেত পুরুলিয়ার আদ্রা ডিভিশনে।

    সাসপেন্ড গেটম্যান…

    ঘটনার পর পরই লেভেল ক্রসিং এর দায়িত্বে থাকা গেটম্যানকে সাসপেন্ড করেছে ভারতীয় রেল। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের আধিকারিক বিকাশ কুমার এই খবর জানিয়েছেন। পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম মণীশ কুমার বলেন, ‘‘সাঁওতালডিহি রেল ক্রসিংয়ে ভোজডি স্টেশনের কাছে এই ঘটনাটি ঘটেছে। রাজধানীর (Rajdhani Express) চালক এমার্জেন্সি ব্রেক কষে পরিস্থিতির সামাল দেন। ওই গেটম্যানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।’’ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, লেভেল ক্রসিং ভালোভাবে পড়েনি এক দিক খোলাই ছিল। সেই জায়গা দিয়ে ট্রাকটি ঢুকে পড়ে এবং রেল লাইনের মাঝে তা খারাপ হয়ে যায়। যদিও ওই ট্রাকের গায়ে রাজধানীর একটি বগির খানিক অংশ ঘষা খায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: বগিতে মৃতদেহের মধ্যে আটকে ছিলেন, কোনও রকমে বেরিয়ে এলেন রাজেশ-বিপ্লব!

    Train Accident: বগিতে মৃতদেহের মধ্যে আটকে ছিলেন, কোনও রকমে বেরিয়ে এলেন রাজেশ-বিপ্লব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে (Train Accident) আহত দুই পরিযায়ী শ্রমিক রাজেশ মান্ডি ও বিপ্লব হেমব্রমকে বালুরঘাটে তাঁদের গ্রামের বাড়িতে ফিরিয়ে আনল জেলা প্রশাসন। হাওড়া-বালুরঘাট এক্সপ্রেস ট্রেনে বিশেষ ব্যবস্থা করে তাঁদের নিয়ে আসা হয় বালুরঘাট থানার অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের হাঁসইল কাসিম্বি গ্রামে। এঁরা সম্পর্কে জামাইবাবু ও শ্যালক। পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুতে। কাজ করে ফিরছিলেন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে। ছিলেন জেনারেল কম্পার্টমেন্টে। দুজনের মধ্যে একজনের পায়ে আঘাত লেগেছে, অন্যজনের হাত ভেঙেছে।

    সেই মুহূর্তের কথা (Train Accident)

    দুর্ঘটনার সেই মুহূর্তের (Train Accident) কথা মনে করলে এখনও কান্না ধরে রাখতে পারছেন না রাজেশ মান্ডি। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ট্রেনের কামরায় অনেকগুলি মৃতদেহের মধ্যে আটকেছিলেন তিনি। ওই বগিতে ৫০ জন বেঁচে ছিল। বাকিরা সবাই মৃত। কীভাবে তিনি ট্রেন থেকে মুক্তি পেলেন, তা মনে করতে পারছেন না। ক্ষতিগ্রস্ত কামরা থেকে তাঁকে বার করার পর নিয়ে যাওয়া হয় ওড়িশার একটি হাসপাতালে এবং সেখানে চিকিৎসা করার পর নিয়ে আসা হয় হাওড়ায়। পরে হাওড়া হাসপাতাল থেকে তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে আসা হল জেলায়। এখন তাঁরা মোটামুটি সুস্থ। রেল পুলিশ, জেলা পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ টিম এই দুই আহত যাত্রীকে নিয়ে আসে এবং অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়।

    কীভাবে হল দুর্ঘটনা (Train Accident)?

    আহত যাত্রী বিপ্লব হেমব্রম ও রাজেশ মান্ডি বলেন, সেদিনের কথা মনে পড়লে কান্না পায়, ভয়ও লাগে। আমরা ব্যাঙ্গালোর থেকে কাজ করে যশবন্ত এক্সপ্রেসে করে বালুরঘাটে বাড়ি ফিরছি। হঠাৎ পরপর আমাদের বগিটা ধাক্কা মেরে অন্য দিকে চলে গেল। যখন ধাক্কা (Train Accident) লাগে, তখন আমরা ভাবছিলাম যে হয়তো আর বেঁচে নেই। তার কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে আসতে দেখি, হাতে-পায়ে লেগেছে। আমাদের ওপর অনেক মৃতদেহ ছিল। তখন আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসি। ওড়িশা থেকে আমাদেরকে হাওড়ায় আনা হয়। সেখান থেকে এদিন আমাদের বালুরঘাটে আনা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “দেবের সিনেমাগুলো হয়তো আগামী দিনে করবেন”, অভিষেককে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “দেবের সিনেমাগুলো হয়তো আগামী দিনে করবেন”, অভিষেককে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুতো মেরে গরুদান। বাংলার একটা বিখ্যাত প্রবাদ। অভিষেকের ফুরফুরা শরিফে আসাকে ঠিক এই প্রবাদেই ভূষিত করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সোমবার বিকেলে অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রা প্রবেশ করেছিল হুগলি জেলায়। হাওড়ার ডোমজুড় থেকে অভিষেকের কনভয় হুগলিতে ঢোকে জাঙ্গিপাড়ার মধ্য দিয়ে। তিনদিনের কর্মসূচির সূচনা হিসেবে জাঙ্গিপাড়ার অন্তর্গত ফুরফুরা শরিফকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল ফুরফুরা শরিফের পবিত্র মাজার দর্শন করে পিরজাদাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা। কিন্তু অভিষেকের ফুরফুরার অভিষেক মসৃণ ছিল না। কারণ ওইদিন সকালেই তাঁর (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছিল। যদিও পুলিশি হস্তক্ষেপে সেই পর্ব মিটে যায়। তবুও খোদ নওশাদ সিদ্দিকির বাসস্থান যেখানে, সেখানে তো ক্ষোভ থাকবেই। কারণ এই নওশাদকেই বেশ কিছুদিন হাজতবাস করতে হয় শাসকদলের অঙ্গুলি হেলনে।

    সুকান্তর (Sukanta Majumdar) হুগলি জেলার কর্মসূচি

    আর মঙ্গলবার প্রবাস কর্মসূচি উপলক্ষে দুদিনের সফরে হুগলি এসে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঠিক সেই জায়গাতেই খোঁচাটা দিলেন। রাজনৈতিক দিক থেকে দেখতে গেলে হুগলি জেলায় মঙ্গলবার ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন। একদিকে অভিষেকের জনজোয়ার কর্মসূচি চলছে হরিপাল থেকে তারকেশ্বর পর্যন্ত, অন্যদিকে বিজেপির প্রবাস কর্মসূচি উপলক্ষে খোদ রাজ্য সভাপতির (Sukanta Majumdar) হুগলি আগমন। এদিন দুপুরে শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার কিছু মণ্ডলের মিটিং সেরে চণ্ডীতলার কৃষ্ণরামপুর এলাকায় সন্ধ্যায় জনসভা করেন সুকান্তবাবু। সেখানে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিষেক ব্যানার্জির নির্দেশেই ফুরফুরার পিরজাদা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে জেলে ঢুকিয়ে ছিল। সেই ফুরফুরাতে গিয়েই উনি শ্রদ্ধাদান করেছেন!

    অভিষেকের নবজোয়ারকে কটাক্ষ

    এদিন হরিপালে রোড শো-তে অভিষেককে ট্রাক্টরে চেপে যেতে দেখা গিয়েছিল। সেই বিষয়েও কটাক্ষ করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, উনি এসব নাটক করছেন। চেহারা টেহারা কমিয়েছেন। একটু স্লিম হয়েছেন। হিরো হওয়ার শখ হয়েছে হয়তো। দেবের সিনেমাগুলো হয়তো আগামী দিনে করবেন। সেই জন্য ট্রাক্টরে চড়ছেন, গাড়ির মাথায় চড়ছেন, ফুল ছড়াচ্ছেন। তাঁর কথায়, আগে তো কখনও গ্রামে বাংলায় যাননি, তাই এখন যাচ্ছেন। দেখছেন জমিতে ধান কেমন হয়, ধান হয় না কাঠ হয়। আসলে সব নাটক।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে সুকান্তর দাবি, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হলে বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের থেকে বেশি আসন নিয়ে জয়লাভ করবে। এদিন শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভা সেরেই চুঁচুড়া ফিরে আসেন তিনি (Sukanta Majumdar)। হুগলি জেলা পূর্ত ভবনের পাশে পথসাথীতে রাত্রিবাস করে বুধবার হুগলি সাংগঠনিক জেলাতে বেশ কিছু দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: প্রেমিকা কার? এই লড়াইয়ে এক যুবককে গুলি করে খুন করা হল, অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা

    Siliguri: প্রেমিকা কার? এই লড়াইয়ে এক যুবককে গুলি করে খুন করা হল, অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিকোণ প্রেম। প্রেমিকা কার? এই লড়াইয়ে খুণ হতে হল এক যুবককে। প্রেমিকাকে পেতে এক প্রেমিককে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল অন্য এক প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে শিলিগুড়ির (Siliguri) চম্পাসারির দেবীডাঙ্গার কোয়ার্টার লাইন এলাকা। ক্ষোভে এদিন সকালে অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় মৃত যুবকের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।  অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃত যুবকের নাম অমৃত গোস্বামী।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    প্রতিবেশী ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির (Siliguri)  চম্পাসারি এলাকায় এক কিশোরীর সঙ্গে এলাকারই দুই যুবক অমৃত গোস্বামী ও অরুণ লোহারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই ত্রিকোণ প্রেমের জেরে ওই দুই যুবকের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরেই গণ্ডগোল চলছিল।  সোমবার গভীর রাতে অরুণ গণ্ডগোল মিটিয়ে নেওয়ার নাম করে  অমৃতকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই অমৃতকে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্থানীয় বাসিন্দা সুশীল কুমার বলেন, ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার গভীর রাতে গুলি করে খুনের ঘটনা ঘটে।

    পুড়িয়ে দেওয়া হল অভিযুক্তের বাড়ি

    ঘটনার খবর পেয়ে এদিন সকালে মৃত অমৃতের পরিবারের লোকেরা এবং স্থানীয় এলাকাবাসীরা অরুণের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকলে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় প্রধাননগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দমকল ও পুলিশ  সময় মতো না পৌঁছলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেত। অপরাধীর কড়া শাস্তি হোক।”

    পুলিশের কী বক্তব্য?

    ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল অভিযুক্ত অরুণ লোহার ও তার পরিবারের লোকজন। পরে, শিলিগুড়ির (Siliguri) প্রধাননগর থানার পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে। আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে পেল অভিযুক্ত যুবক তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুকাণ্ডে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের সাক্ষ্যগ্রহণ, এলেন না অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা

    Kaliaganj: মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুকাণ্ডে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের সাক্ষ্যগ্রহণ, এলেন না অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জের (Kaliagan) রাধিকাপুরে পুলিশের গুলিতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হল মঙ্গলবার। এই ঘটনার সাথে জড়িত সকল আধিকারিক, প্রত্যক্ষদর্শী ও জনসাধারণকে এদিন সাক্ষ্য দিতে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। পুলিশের ওই গুলি চালানো ন্যায়সঙ্গত ছিল কি? তা নিরুপণ করার জন্যই সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে কালিয়াগঞ্জ বিডিও অফিসের সভাকক্ষে মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতির উপস্থিতিতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শুরু হয়। বিকেল ৩ টে পর্যন্ত গুলিতে মৃত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা, স্ত্রী, দাদা সহ এলাকার প্রায় ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তবে এদিন ওই ঘটনার সাথে জড়িত কোনও পুলিশকর্মী সাক্ষ্য দিতে আসেননি। মৃতের পরিবারের সদস্য ও এলাকার বাসিন্দারা প্রত্যেকেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    কী ঘটেছিল কালিয়াগঞ্জে (Kaliagan)?

    গত ২১ শে এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের (Kaliagan) সাহেবঘাটায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। ২৫ এপ্রিল  বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় সাংসদের নেতৃত্বে পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। রাতে পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালায়। সেই সময় মৃত্যুঞ্জয় বর্মন (৩৩) নামে এক যুবক পুলিশের গুলিতে মারা যান বলে অভিযোগ ওঠে।

    জেলা প্রশাসনের বিশেষ দায়িত্ব

    জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উচ্চ আদালত ও মানবাধিকার কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী কোথাও পুলিশের গুলিতে কেউ মারা গেলে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত করতে হয়। সেই নিয়ম মেনেই পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট (Kaliagan)পর্যায়ের তদন্ত করার আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতিকে এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

    মহকুমা শাসকের বিজ্ঞপ্তিতে কী বলা হয়েছিল?

    ২২ মে এই মর্মে মহকুমা শাসক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। ৬ জুন কালিয়াগঞ্জ (Kaliagan) বিডিও অফিসে রাধিকাপুরের চাঁদগা গ্রামে রাতে তল্লাশি অভিযানে অংশগ্রহণকারী সকল পুলিশকর্মীকে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়। এর পাশাপাশি মৃতের পরিবারের সদস্য, এলাকার বাসিন্দা, প্রত্যক্ষদর্শীদেরও আসার জন্য বলা হয়। আর তাই এদিন সকাল ১১ টা থেকে এই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তার আগেই মৃত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন, স্ত্রী গৌরী বর্মন, দাদা বিষ্ণু বর্মন সহ এলাকার প্রায় ৫০ জন বাসিন্দা বিডিও অফিসে চলে আসেন। প্রত্যেককে আলাদা করে মহকুমা শাসক জিজ্ঞাসাবাদ করেন ও তাঁদের বয়ান ভিডিও রেকর্ড করা হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৭ জনের বয়ান ভিডিও রেকর্ড করা হয়। পাশাপাশি আরও কয়েকজন তাঁদের বয়ান কাগজে লিখে জমা দেন। কোনও পুলিশকর্মী এদিন সাক্ষ্য দিতে না আসায় তাঁদের জন্য আগামী সপ্তাহে একটি দিন নির্দিষ্ট করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    পরিবারের বক্তব্য

    নিহত মৃত্যুঞ্জয় (Kaliagan) বর্মনের স্ত্রী গৌরী বর্মন জানিয়েছেন, “মহকুমা শাসক সাক্ষ্যগ্রহণ করার শুরুতেই সেদিনের ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা শোনেন। বিনা প্ররোচনায় পুলিশ সেদিন আমার স্বামীকে কীভাবে গুলি চালিয়ে খুন করেছে, তা জানাই। ওই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি আমি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছি।” এলাকার এক বাসিন্দা সত্যচরণ বর্মন বলেন, “সেদিন আমি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির বাইরে আসি। পুলিশ আমাকে ভয় দেখিয়ে সরে যেতে বলে। মৃত্যুঞ্জয় ঘর থেকে বেরিয়ে পুলিশকে তাঁর বাবাকে ধরে নিয়ে যাবার কারণ জিজ্ঞেস করে। তখনই এক অফিসার গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়। আর তারপরেই তাঁকে গুলি চালানো হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: মণিপুরে গুলিতে মৃত্যু বিএসএফ জওয়ানের, শোকের ছায়া ভাটপাড়ায়

    BSF: মণিপুরে গুলিতে মৃত্যু বিএসএফ জওয়ানের, শোকের ছায়া ভাটপাড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় দু সপ্তাহ আগে মণিপুরে গিয়েছিলেন বিএসএফ (BSF) জওয়ান রঞ্জিত যাদব। মঙ্গলবার সাত সকালেই কর্তব্যরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল তাঁর। বাড়ি ভাটপাড়া পুরসভা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুগিয়াপাড়া এলাকায়। তাঁর শহিদ হওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই পরিবার সহ গোটা ভাড়পাড়া এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ভাটপাড়া পুরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলার তাঁর বাড়িতে এসে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।

    কী বললেন শহিদ জওয়ানের স্ত্রী?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রঞ্জিতবাবুর বাড়িতে তাঁর স্ত্রী, সন্তান ছাড়াও বাবা, মা, ভাই, বোন রয়েছেন। বাবা বৃদ্ধ। ভাইরা ছোট। ফলে, কেউ রোজগার করেন না। বেশ কয়েক বছর আগে তিনি বিএসএফে (BSF) চাকরি পেয়েছিলেন। সরকারি চাকরি পাওয়ার পর পরিবারের লোকজন কিছুটা সুখের মুখ দেখা শুরু করেছিলেন। কারণ, রঞ্জিতবাবু ছিলেন পরিবারে একমাত্র রোজগেরে। রঞ্জিতবাবুর স্ত্রী কৌশল্যা যাদব বলেন, “২৬ মে ও মণিপুর গিয়েছিল। সোমবার রাতে ফোনে শেষ কথা হয়েছিল। খুব বেশিক্ষণ কথা হয়নি। কারণ, ও যেখানে ডিউটি করছিল, সেখানে গুলি চলছিল। ও কথা বলতে চাইলেও বেশিক্ষণ কথা বলতে পারেনি। কয়েক মিনিট কথা বলার পর আমি ফোন রেখে দিয়েছিলাম। আমাকে সাবধানে থাকতে বলেছিল। ছেলে আর পরিবারের খেয়াল রাখার কথা বলেছিল। ওটাই যে শেষ কথা হবে, তা ভাবতে পারিনি। মঙ্গলবার সকালে একটি জায়গায় ডিউটিতে যাওয়ার কথা ও বলেছিল। সকাল সাতটা পর্যন্ত ডিউটি ছিল। সেখানে ডিউটিতে যোগ দেওয়ার পরই ও গুলিবিদ্ধ হয়। পরিবারে একমাত্র রোজগেরে ছিল। এখন সন্তান আর পরিবার নিয়ে কী করে সংসার চালাব, তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি।”

    কী বললেন ভাটপাড়া পুরসভার কাউন্সিলার?

    এদিনের ঘটনার পর পরই রঞ্জিতবাবুর বাড়িতে ভাটপাড়া পুরসভার কাউন্সিলারদের এক প্রতিনিধি দল আসে। প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা কাউন্সিলার গোপাল রাউত বলেন, “বিএসএফ (BSF) জওয়ান শহিদ হয়েছেন। দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। অসহায় পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি। তাঁদের সবরকমভাবে আমরা সাহায্য করব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Accident: কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির তদন্তে সংগ্রহ করা হল নমুনা

    Coromandel Accident: কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির তদন্তে সংগ্রহ করা হল নমুনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনা (Coromandel Accident) সাম্প্রতিক কালের বড় ঘটনা। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৫ জনের, আহতের সংখ্যা প্রায় ১০০০। এত বড় দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটল, তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। নিরাপত্তায় গাফিলতি, নাকি কোনও চক্রান্ত? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। রেল বোর্ড রীতিমতো সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যেই রেলের সেফটি কমিশনারের তদন্ত প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ছিল তদন্তের দ্বিতীয় দিন। সূত্র মারফত জানা গেছে, এদিন রেলকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি সংগ্রহ করা হয়েছে নমুনা। 

    দুর্ঘটনায় (Coromandel Accident) কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির তদন্তের দ্বিতীয় দিন

    কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির দ্বিতীয় দিনের তদন্ত প্রক্রিয়ায় খড়্গপুরের মাল্টি ডিসিপ্লিনারি জোনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্য সংগ্রহ। দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশনে কর্মরত বেশ কয়েকজন রেলকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে খবর রেল সূত্রে। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া।

    ইতিমধ্যেই গতকাল রেলের কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি বিশেষ মন্তব্য করেন। তাঁর বক্তব্যে তদন্ত প্রক্রিয়ার বিষয়টি কেমন হবে, তা একবার দেখে নেওয়া যেতে পারে।

    কী বলেছিলেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি?

    প্রথম পর্যায়ের জিজ্ঞাসাবাদ এবং নথি সংগ্রহের পরেই সিআরএস আনন্দ এম চৌধুরী বলেছিলেন, তদন্ত করে রেলের সিগন্যালিং সিস্টেম, ইন্টারলকিং সিস্টেম সহ সমস্ত বিষয়ে বিশদে তথ্য নিতে হবে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ইতিমধ্যে অনেক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কাজ আগামী দিন তিনেক ধরে চলবে বলেও জানান তিনি। তদন্ত শেষে রেল বোর্ডের কাছে জমা দেওয়া হবে রিপোর্ট। ইতিমধ্যে ট্রেন দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) বিষয় নিয়ে পাঁচ-ছজন রেলকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরপর রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানা গিয়েছিল। এই ট্রেন দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এই বিষয়ে সিআরএস বলেন, আমাদের রেলের পক্ষ থেকে এই তদন্ত, সিবিআই তদন্তের সঙ্গেই চলবে। ফলে এতে কোনও সমস্যা হবে না। সমন্বয় রেখে তদন্ত প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন করা হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: নামে-বেনামে কালীঘাটের কাকুর ৪০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ, দাবি করল ইডি

    Kalighater Kaku: নামে-বেনামে কালীঘাটের কাকুর ৪০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ, দাবি করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামে-বেনামে কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku), ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ৪০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে জানাল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, এইসব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য ঘেঁটে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক খুলে যেতে পারে। শোনা যাচ্ছে, এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির সাহায্যেই কালো টাকা সাদা করতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সোমবার ইডি সূত্রে জানা গেছে, আরও নতুন তিনটি কোম্পানির নাম পাওয়া গেছে, যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। এর আগেই কালীঘাটের কাকুর নামে তিনটি সংস্থার হদিশ পেয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা। সংস্থার আধিকারিকদের মতে, এই তিনটি সংস্থাতেই নিয়োগ দুর্নীতির বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করা হত। 

    ৩০ মে গ্রেফতার হন কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku)

    প্রসঙ্গত, গত ৩০ মে কালীঘাটের কাকুকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে ইডি। অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তদন্তে বিভ্রান্ত করতে থাকেন তিনি। একাধিক বয়ানে মেলে অসঙ্গতি। সেদিন রাত ১১ টা নাগাদ গ্রেফতার করা হয় কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে।

    আরও পড়ুন: “অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রীর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করা উচিত”, কেন বললেন সুকান্ত? 

    কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যোগ

    একাধিক ভুল তথ্য সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ইডির কাছে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যেমন তিনি বলেছিলেন, মানিক ভট্টাচার্যকে নাকি ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত চিনতেন না! কিন্তু ইডি ২০১৮ সালেই মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কথোপকথনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার করেছে। কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে যোগ মিলেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও। জানা যাচ্ছে, ধৃত ২ তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষের সঙ্গেও আর্থিক লেনদেন ছিল। শুধু তাই নয্‌ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষকে বিভিন্ন সময় বড় অঙ্কের টাকা ধারও দিতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এই টাকার উৎস কী? তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আরও ৭-৮ টি সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে কালীঘাটের কাকুর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সিবিআই তদন্তকে ভয় পাচ্ছেন কেন? মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন বিজেপির সিদ্ধার্থনাথ সিংয়ের

    BJP: সিবিআই তদন্তকে ভয় পাচ্ছেন কেন? মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন বিজেপির সিদ্ধার্থনাথ সিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালেশ্বরের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছিলেন। এই ঘটনা নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে সরব হলেন বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতা। মঙ্গলবার দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে এসে বিজেপির কেন্দ্রীয় মুখপাত্র সিদ্ধার্থনাথ সিং বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তকে ভয় পাচ্ছেন কেন? জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনার সময় তো আপনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) রেলমন্ত্রী ছিলেন। আপনি তো সেই সময় দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য সিবিআইকেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তাহলে সিবিআই নিয়ে আপনার কীসের এত ভয়? সিবিআই তদন্ত থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন কেন?

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে বিমান বন্দরে আটকানো নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলা হচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্র ও নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন। এই ঘটনার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিলেন বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিং। তিনি বলেন, “উনি রাজনীতি করেন। আর তদন্তকারী সংস্থার কাজ তদন্ত করা। সেটাই ইডি করছে। কোনও সমস্যা থাকলে ইডি-কে বলুন বা আইনগত ব্যবস্থা নিন। যা খুশি মন্তব্য করলে তো চলবে না।” সেই সঙ্গে তিনি রাজ্যে ক্রমশ বেড়ে চলা বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে বলেন, “অন্য রাজ্যের বিরোধীদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ না করে নিজের রাজ্যে বোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে কেন, সেটা নিয়ে চিন্তা করা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কারণ, তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।”

    বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে কী বললেন সিদ্ধার্থনাথ সিং?

    বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে সৌগত রায়ের গরমকালের তত্ত্ব প্রসঙ্গে বিজেপি (BJP) নেতা বলেন “সৌগত রায়ের বিজ্ঞান চর্চার প্রয়োজন আছে। সরকারে আছেন যখন, তখন দায়িত্বশীল হয়ে কারা দোষী সেটা প্রকাশ করা উচিত। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তৃণমূল সরকার একদম দ্বায়িত্বশীল সরকার নয়।” বোমা বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, রাজ্যে সিন্ডিকেট রাজের মতো বোমার সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। সরকার চাইলে এগুলো বন্ধ করতে পারে। কারণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করে সরকার। তাই এসবের জন্য দায়ী একমাত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share