Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Egra: এগরায় পুকুর থেকে উদ্ধার ১৫ বস্তা বাজি ও বিস্ফোরক! কে ফেলে দিয়ে গেল? 

    Egra: এগরায় পুকুর থেকে উদ্ধার ১৫ বস্তা বাজি ও বিস্ফোরক! কে ফেলে দিয়ে গেল? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা রাজ্য কি বারুদ আর বোমার স্তূপে পরিণত হল? এগরার খাদিকুলের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর যে হারে বিভিন্ন জায়গায় বোমা ও বাজির মশলা উদ্ধার হচ্ছে, তাতে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন মহল থেকে এই প্রশ্নটা ভেসে আসছে। আরও প্রশ্ন উঠছে, এতদিন পুলিশ কি ঘুমিয়ে ছিল? এগরার (Egra) ঘটনায় তো পুলিশের বিরুদ্ধেই সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উঠেছে, তারা মোটা টাকার বিনিময়ে জেনেবুঝেও এই ধরনের কাজে কোনও বাধা দেয়নি। পুলিশ ঘটনার পর গ্রামে গেলে তাদের ঘিরে ধরে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভও দেখিয়েছিল। আরও মজার বিষয় হল, পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের তোলা অভিযোগ যে মিথ্যা নয়, তা এগরা থানার আই সি-কে সরিয়ে দেওয়ার মতো পদক্ষেপেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। 

    পুকুর থেকে উদ্ধার বাজি-বারুদ

    এগরার বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর কেটে গেছে এক সপ্তাহ। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ সহ ১২ জনের। কিন্তু সপ্তাহ ঘুরলেও এখনও এলাকার পুকুর থেকে উদ্ধার হচ্ছে বস্তার পর বস্তা নিষিদ্ধ বাজি এবং বাজি তৈরির সামগ্রী। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২নং ব্লকের (Egra) দেশবন্ধু অঞ্চলে সাহাড়দা গ্রামে রবিবার রাতে একটি পুকুর থেকে ৮ বস্তা বারুদ ও নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেন গ্রামবাসীরা। তারপর সোমবার সকালেও ফের পুকুর থেকেই আরও ৭ বস্তা বাজি-বারুদ উদ্ধার হয়েছে। ১৫ বস্তা বারুদ ও বাজি জমা দেওয়া হয়েছে থানায়। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছেছে পুলিশ। পুরো এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

    কী বলছেন গ্রামের মানুষ? কী বলছেন উপপ্রধান?

    এখানকারই বাসিন্দা অশোক কুমার মাইতি বললেন, কচুরিপানার ভিতর থেকে বারুদ, বোমা এবং বাজি বানানোর নানা সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। আমরা সাধারণ মানুষ ঘিরে রেখে প্রথমে পুলিশকে খবর দিয়েছিলাম। তারা এসে এগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কীভাবে এল এসব? অশোকবাবুর মতে, কাছেই রুকনিপুরে আতশবাজির কারখানা আছে। এগরার ঘটনার পরই সেখানকার লোকজন এখানে এসে এসব ফেলে দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের শান্ত গ্রামকে তারা অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়েই এসব করছে। এতে তৃণমূলের মদত আছে বলেই তিনি মনে করেন। ওই গ্রামে এর আগেও বাজি বিস্ফোরণে অনেকে মারা গিয়েছিল। অন্যদিকে, দেশবন্ধু গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আলোক মহাপাত্র বলেন, এটা চক্রান্ত ছাড়া কিছু নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করারই চেষ্টা। না হলে কেউ মাঠে-ঘাটে এভাবে ওসব ফেলে রেখে যায়? তিনি সরাসরিই বলে দেন, এটা বিজেপি করেছে। না হলে বিজেপির লোকজন ওখানে সকাল সকাল পৌঁছে যায় কী করে?

    পঞ্চায়েত ভোটেরই অশনি সঙ্কেত?

    তৃণমূলের উপপ্রধান যাই বলুন, অভিজ্ঞ মহল বলছে, এ যেন পঞ্চায়েত ভোটেরই অশনি সঙ্কেত। রাজ্যে যে সব জায়গা ঝামেলা-গণ্ডগোলে সবসময়ই খবরের শিরোনামে থাকে, সেই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদা ভোটের আগেই খবরের শিরোনামে। বিরোধীরা বলছে, এখন যে সব বোমা ফাটছে (Egra), বোমার মশলা উদ্ধার হচ্ছে, সে সবই আসলে মজুত করে রাখা ‘সম্পদ’। ভোটে এসবের সদ্ব্যবহারের কথা থাকলেও পঞ্চায়েত ভোট পিছিয়ে যাওয়াটাই কাল হয়েছে। বিরোধীদের টাইট দেওয়ার জন্য তিল তিল করে জমানো এই সম্পদ নিয়ে বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে অনেকেই। এদের ‘যত্ন-আত্তি’ করে রাখতে গিয়েই ঘটে যাচ্ছে একের পর এক বিপত্তি। কোথাও ছাদে বোমার গায়ে রোদের তাপ লাগাতে গিয়ে তাতে বিস্ফোরণ ঘটছে, কোথাও তৈরির সময়ই প্রচণ্ড গরমের তাপে তাতে বিস্ফোরণ ঘটছে। আবার এগরার (Egra) ঘটনায় দেখা গেল, বিপদ আঁচ করে কেউ বা কারা বস্তা বস্তা বাজি, মশলা, বিস্ফোরক পুকুরে ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছে। যে সব জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, সেখানে তো গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তৃণমূল। এখন গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ায় সিভিক পুলিশ। তাহলে এদের কেউই জানতে পারল না? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য। এমন প্রশ্নও উঠছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: চাকদায় তৃণমূল ছাত্র নেতাকে লক্ষ্য করে চলল এলোপাথাড়ি গুলি,  কেন জানেন?

    TMC: চাকদায় তৃণমূল ছাত্র নেতাকে লক্ষ্য করে চলল এলোপাথাড়ি গুলি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীগঞ্জের পর চাকদায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূলের (TMC) এক ছাত্র নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাকদা থানার মাস্টারপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, জখম ছাত্র নেতার নাম শুভম দাস। তিনি চাকদা শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুদিন আগে পাড়ায় জোরে বাইক চালিয়ে ধূলো ওড়ানোর প্রতিবাদ করায় কালীগঞ্জ থানা এলাকায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। এরপর সামান্য বিষয় নিয়ে চাকদায় গুলি চালানোর ঘটনা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বেশ কিছুদিন ধরে বুবাই নামে এক যুবক তৃণমূলের (TMC) ওই ছাত্র নেতা শুভমকে হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। এই বিষয় নিয়ে কথা বলতেই শুভম রবিবার রাত আটটা নাগাদ সুমিত মণ্ডল নামে এক যুবকের বাড়ি যান। সুমিত বুবাইয়ের সম্পর্কে আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে। হুমকি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বচসা বেধে যায়। এরপর সুমিতের স্ত্রী ঘর থেকে একটি বন্দুক বের করে সুমিতের হাতে তুলে দেন। সুমিত ওই ছাত্র নেতার বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দিতে থাকে। পরে হঠাৎ গুলি চালাতে শুরু করে। ওই ছাত্র নেতার হাতে গুলি লাগে। জানা গিয়েছে, হামলাকারী যুবকও তৃণমূল কর্মী। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দলও একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    কী বললেন জখম তৃণমূলের (TMC) ছাত্র নেতা?

    এ বিষয়ে শুভম দাস বলেন, সুমিতের এক আত্মীয় দীর্ঘদিন ধরে আমাকে খুন করার হুমকি দিচ্ছিল। সেই বিষয়ে সুমিতকে বলতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে। ও এভাবে গুলি চালিয়ে দেবে, তা ভাবতে পারিনি। ও গুলি চালাতেই আমি ছুটে পালিয়ে যাই। যদিও ততক্ষণে একটি গুলি আমার হাতে লেগেছে। তবে, সময়মতো পালাতে না পারলে আমি আর বেঁচে ফিরতাম না।

    কী বললেন নদিয়া দক্ষিণ জেলা তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের সভাপতি?

    এ বিষয়ে নদিয়া দক্ষিণ জেলা তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুদীপ দে বলেন, চাকদা শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শুভমকে গুলি করে খুন করার চেষ্টা হয়েছে। তবে প্রশাসনের উপর আমাদের ভরসা আছে। আমরা চাই, প্রশাসন তদন্ত শুরু করে অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করুক। এই ঘটনা কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নয়, এটা পুরোপুরি অরাজনৈতিক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ‘যুবরাজ’-এর নবজোয়ারের ধাক্কায় বন্ধ হয়ে গেল কলেজের পরীক্ষা!

    Abhishek Banerjee: ‘যুবরাজ’-এর নবজোয়ারের ধাক্কায় বন্ধ হয়ে গেল কলেজের পরীক্ষা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাময়িক বিরতির পর দলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে ফের বাঁকুড়ায় আসছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সোমবার তাঁর চপার যোগে বাঁকুড়ার মাটিতে পা রাখার কথা। আর সেই কারণে পর্যাপ্ত পুলিশ কর্মী মোতায়েন করেছে প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে ‘কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ ফোর্স থাকার জন্য’ সোম ও মঙ্গলবার পূর্ব নির্ধারিত সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করল বিষ্ণুপুর রামানন্দ কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের প্যাডে অধ্যক্ষা সোমা ঘোড়ইয়ের স্বাক্ষরিত তারিখ বিহীন এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সেকেন্ড সেমেস্টার ও ফোর্থ সেমেস্টারের ছাত্রছাত্রীদের জানানো যাচ্ছে যে, কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ ফোর্স থাকার জন্য ২২ ও ২৩ মে’র নির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট পরীক্ষাগুলির ডেট পিছিয়ে দেওয়া হল। ২৪ মে তারিখ থেকে নির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী আবার ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট পরীক্ষাগুলি হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরকালে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একইভাবে ‘আন্ডার গ্র্যাজুয়েট’ ও ‘পোস্ট গ্র্যাজুয়েট’ প্রথম বর্ষের পরীক্ষা ‘বাতিল’ করা হয়েছিল।

    শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা, তোপ বিজেপির

    বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি দেবপ্রিয় বিশ্বাস পরীক্ষা বন্ধের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, স্কুলগুলিতে গ্রীষ্মের ছুটি চলছে। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মিটিং-এর জন্য পুলিশ কর্মীদের রাখা যেত না? রামানন্দ কলেজের এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করল, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে।

    স্বীকার করলেন কলেজের অধ্যক্ষা

    রামানন্দ কলেজের অধ্যক্ষা স্বপ্না ঘোড়ই স্বীকার করে নেন, কলেজে পুলিশ (Abhishek Banerjee) থাকার কারণেই পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তিনি বলেন, ২০ তারিখ পর্যন্ত এখানে পুলিশ থাকার কথা ছিল। কিন্তু সেটা পিছিয়ে ২৩ তারিখ হয়েছে। সেই কারণেই ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট পরীক্ষাটা আমরা জাস্ট ডেফার করেছি। মাস্টারমশাইরা সবাই এলে আলোচনা করেই ওই পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে। কী জন্য পুলিশ আছে? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘মিটিং-টিটিং কিছু একটা আছে।’ আইসি-র কাছ থেকে এমন চিঠি পেয়েই তিনি পরীক্ষা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে মাধ্যমিকে সফল দুই বোন

    Nadia: শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে মাধ্যমিকে সফল দুই বোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছোট থেকেই পারে না হাঁটতে, পারে না কথা বলতে। মাধ্যমিকে এমনই যমজ দুই বোনের সাফল্যে উৎসাহিত গোটা নদিয়ার (Nadia) বাগআঁছড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অদম্য চেষ্টা ও বাবামায়ের হাড়ভাঙা পরিশ্রমে আজ স্বপ্নপূরণ বিশেষভাবে সক্ষম দুই বোনের।

    কীভাবে চলেছিল পড়াশুনা

    বড় মেয়ে (Nadia) রুমা মল্লিক। তার প্রাপ্ত নম্বর ৩২৪। ছোট মেয়ে ঝুমা মল্লিক, তার প্রাপ্ত নম্বর ৩২১। দুজনই জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী। একজন কোনও রকমে চলাফেরা করতে পারলেও আরেকজন বিকলাঙ্গ। কানে যেমন শুনতে পারে না, বলতে পারে না কথাও। এভাবেই দুই বোন শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে। সংসার সামলানোর পাশাপাশি দুই প্রতিবন্ধী মেয়েকে কীভাবে পড়াশোনা করাবেন, তা নিয়ে সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকতেন মা রেখা মল্লিক। পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির সময় অনেকটাই ভোগান্তিতে পড়তে হয় রুমা-ঝুমাকে। কারণ দুজনেই তো প্রতিবন্ধী, কীভাবে বিদ্যালয়ে (Nadia) যাবে? এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষক এবং শিক্ষিকারা। যদিও অনেক টানাপোড়নের পর বাবা-মা মেয়েদের ভর্তি করান বাগআঁচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। তারপর থেকেই নিয়মিত বিদ্যালয়ে পঠন পাঠনের জন্য যেত দুই বোন।

    শিক্ষকদের বিশেষ ভূমিকা

    অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে রুমা-ঝুমাকে বেশি নজর দিতেন স্কুলের শিক্ষকরা। মা রেখা মল্লিক জানিয়েছেন, মেয়েদের ভর্তি করানোর সময় একটু সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। মা বলেন, আজ যদি বিদ্যালয়ের (Nadia) শিক্ষক-শিক্ষিকারা পাশে না থাকত, তাহলে হয়তো মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেয়েরা সাফল্য পেত না।

    আর্থিক সঙ্কটে আবেদন

    বাবা শ্যামল মল্লিক টোটো গাড়ি চালিয়ে কোনওরকম সংসার চালান। মেয়েদের পড়াশোনার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন, তা জোগাড় করতেই হিমশিম খেয়ে যেতে হয়। তবুও হাল ছাড়েননি বাবা-মা। শ্যামল মল্লিক আক্ষেপের সুরে বলেন, পরিবারের দুরবস্থার কথা কে না জানে! আজ পর্যন্ত মেয়েরা মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করলেও কেউই পাশে দাঁড়ায়নি। বাড়িতে (Nadia) না এসেছে কোনও জনপ্রতিনিধি, না খোঁজ নিয়েছে প্রশাসন। সরকার যদি একটু আর্থিক সহায়তা করত, তাহলে মেয়েদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হত। তবে হাজার কষ্ট করে হলেও মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন মা-বাবা দুজনেই।  প্রতিবন্ধী দুই বোনের জন্য এখন কোনও সরকারি সহযোগিতা মেলে কি না, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Budge Budge: বজবজে বিস্ফোরণের পর টনক নড়ল! ২০ হাজার কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত, গ্রেফতার কত?

    Budge Budge: বজবজে বিস্ফোরণের পর টনক নড়ল! ২০ হাজার কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত, গ্রেফতার কত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের (Budge Budge) মহেশতলার বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর নড়চড়ে বসে পুলিশ। রবিবার রাতভর তল্লাশি চালায় পুলিশ। মহেশতলা, বজবজসহ একাধিক জায়গায় বাজি কারখানায় হানা দিয়ে ধরপাকড় করা হয়। প্রচুর শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    কত শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ?

    এগরার পর বজবজের (Budge Budge) চিংড়িপোতা এলাকায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পরই পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়। এমনিতে চিংড়িপোতা এলাকা বাজি তৈরির জন্য বিখ্যাত। এই এলাকায় একাধিক বাজি কারখানা রয়েছে। পুলিশের একটি অংশকে ম্যানেজ করেই বেআইনি এই সব কারখানা চলে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। রবিবার সন্ধ্যায় বাজি বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ নড়েচড়ে বসে। পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের নেতৃত্বে একের পর এক বেআইনি বাজি কারখানায় অভিযান শুরু হয়। বহু বন্ধ দোকান খুলে বাজি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। অনেক জায়গায় বাজি তৈরির কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জিনিসপত্র বাজেয়াপ্তের পাশাপাশি অনেককে গ্রেফতার করে। সবমিলিয়ে ২০ হাজার কেজি শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পাশাপাশি বাজি তৈরির মশলাও উদ্ধার করা হয়েছে। এই সব বাজি কারখানার আড়ালে বোমা তৈরি হত কি না তা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলেছেন। তবে, রবিবার রাতভর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বজবজ মহেশতলা এলাকা থেকে ৩৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশি অভিযানের নামে মারধর করা হয়েছে বলে বাজি কারখানার শ্রমিকরা অভিযোগ করেন।

    আরও পড়ুন: এগরার পর বজবজ! বিস্ফোরণে বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী, মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু

    বাজি কারখানায় কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল?

    প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় বজবজের (Budge Budge) চিংড়িপোতার নন্দরামপুর দাসপাড়া এলাকায় জয়দেব ঘাঁটির বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ধূপের আগুন থেকে বাজিতে আগুন লেগে বিস্ফোরণ হয়। তবে, এই বিস্ফোরণের পর ফরেন্সিক টিম এসে তদন্ত করবে কি না তা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে কোনও কিছু জানানো হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Budge Budge Blast: এগরার পর বজবজ! বিস্ফোরণে বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী, মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু

    Budge Budge Blast: এগরার পর বজবজ! বিস্ফোরণে বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী, মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ। বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Budge Budge Blast) কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। আগুনে ঝলসে কারখানার মালিক জয়দেব ঘাঁটির স্ত্রী, মেয়ে এবং শাশুড়ির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম যমুনা দাস (৬০), জয়শ্রী ঘাঁটি (১০) ও পম্পা ঘাঁটি (৩০)। জয়দেববাবুর স্ত্রী পম্পাদেবী, মেয়ে জয়শ্রী এবং যমুনাদেবী তাঁর শাশুড়ি ছিলেন। ঘটনায় আরও একজন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে দমকলবাহিনী গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    কয়েকদিন আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Budge Budge Blast) হয়। তাতে কারখানার মালিকসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই রবিবার সন্ধ্যায় বজবজের চিংড়িপোতা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নন্দরামপুর দাসপাড়ায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। তবে, আচমকা কীভাবে বিস্ফোরণ ( BudgeBudge Blast) ঘটল তা জানা যায়নি। ওই কারখানায় কতজন কাজ করছিলেন, বোমা তৈরি হচ্ছিল কি না তা এখনও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়নি। তবে, চিংড়িপোতা এলাকায় একাধিক বেআইনি বাজি কারখানা রয়েছে। এগরার ঘটনার পরও এই সব বেআইনি কারবার বন্ধে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। আর তার জেরেই অকালে তিনজনের প্রাণ গেল।

    বিস্ফোরণের তদন্তভার নিল সিআইডি

    বজবজ বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্তভার নিল সিআইডি। সোমবার দুপুরে সিআইডি (এসএস) সায়ক দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে, সিআইডি কর্তা বলেন, সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে বারুদের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। ফরেন্সিক টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে।

    বজবজে বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণ নতুন নয়

    বজবজ এলাকায় এর আগেও একাধিক বিস্ফোরণের (Budge Budge Blast) ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, গত মার্চ মাসে মহেশতলা পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে পুঁটখালি মণ্ডলপাড়ায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে তিনজনের মৃত্যু হয়। এর আগে ২০২১ সালে ডিসেম্বর মাসে বজবজ-২ ব্লকের নোদাখালি থানার মোহনপুর আর্যপাড়ায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের (BudgeBudge Blast) ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর পরিবেশ দফতর জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিল। কমিটির কাজ ছিল, এই বিষয়ে নজরদারি করা। সেই কমিটি যে শুধু লোকদেখানো ছিল তা এদিনের ঘটনায় আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: পঞ্চায়েতে ভোট লুট রুখতে বুথে বুথে মহিলা ব্রিগেড গড়ল বিজেপি

    BJP: পঞ্চায়েতে ভোট লুট রুখতে বুথে বুথে মহিলা ব্রিগেড গড়ল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্য আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ এবং ছয়টি পঞ্চায়েত সমিতি  দখল করা। এবার সেই লক্ষ্যপূরণে বুথে বুথে মহিলা ব্রিগেড তৈরি করল বিজেপি (BJP)। এমনিতেই এই জেলায় গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে শাসকদলকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেয়নি গেরুয়া শিবির। আলিপুরদুয়ারের পাঁচটি বিধানসভা ও একটি লোকসভা কেন্দ্র  রয়েছে। সবকটিতেই বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট ধরে নিয়ে এবারে গেরুয়া শিবির প্রস্তুতি শুরু করেছে।

    মহিলা ব্রিগেডে কতজন সদস্য থাকবেন?

    পাখির চোখ আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ ও ছয়টি পঞ্চায়েত সমিতি  দখল করা। তবে পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দল ভোট লুট থেকে ছাপ্পা ভোট করাতে পারে এমনটা ধরে নিয়েই বিজেপির (BJP) মহিলা মোর্চা রীতিমত কোমর বেঁধে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। তারা প্রত্যেকটি বুথে পাঁচজন করে মহিলাদের নিয়ে বুথরক্ষা বাহিনী গঠন করছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ বুথে মহিলা বুথ সুরক্ষা বাহিনী  গঠন করা হয়েছে। পাঁচজন করে মহিলা যারা বুথ সুরক্ষা বাহিনীতে থাকবেন, তারাই ঢাল হিসাবে কাজ করবেন। যাতে কোনওভাবেই কোনও বুথ থেকে ভোট লুট ও ছাপ্পা করাতে না পারে শাসক দল। মহিলাদের সাহায্য করবে যুব মোর্চা থেকে দলের কার্যকর্তারাও।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) জেলা সভাপতি?

    বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি ভূষণ মোদক বলেন, “আলিপুরদুয়ারে বিজেপির যা সংগঠন এবং মানুষের যে সমর্থন রয়েছে তাতে আমরা নির্বিঘ্নে জেলা পরিষদ গঠন করতে পারবো। নিরপেক্ষভাবে ভোট হলে শাসক দল একটিও জেলা পরিষদের আসন দখল করতে পারবে না। তাই ভোট লুট এবং ছাপ্পা রুখতে আমাদের মহিলা ছাত্র যুবরা পঞ্চায়েত ভোটের জন্য তৈরি হচ্ছে”। সম্প্রতি মহিলা মোর্চার আলিপুরদুয়ার জেলা সম্মেলনে মহিলাদের বিরাট উপস্থিতি এবং তাদের উৎসাহ উদ্দীপনা গেরুয়া শিবিরকে অনেকটাই উজ্জীবিত করেছে। মহিলা মোর্চার বৈঠকে উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা ও বিধায়ক মনোজ টিগ্গা রাজ্যে মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা থেকে শুরু করে সরকারি চাকরিতে দুর্নীতির বিষয়গুলি মহিলা ব্রিগেডের সদস্যদের প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি প্রচারের নির্দেশ দেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NJP: শুরু হল এনজেপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ট্রায়াল রান, কবে থেকে চলবে এই ট্রেন?

    NJP: শুরু হল এনজেপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ট্রায়াল রান, কবে থেকে চলবে এই ট্রেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গবাসীর কাছে খুশির খবর। তবে, শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, রাজ্যবাসীও এই খবর শুনে আনন্দিত হবে। কারণ, এনজেপি (NJP) – হাওড়ার পর এবার এনজেপি -গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হতে চলেছে।  আগামী ২৫মে  বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারই প্রস্তুতি হিসেবে রবিবার সকালে এনজেপি (NJP) – গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ট্রায়াল রান হল। উল্লেখ্য রাজ্যের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এনজেপি -হাওড়ার চালু হওয়ার পর  দক্ষিণবঙ্গের তথা দেশের অন্যান্য প্রান্তে পর্যটকদের ঢল নেমেছে উত্তরবঙ্গে। এনজেপি- গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হলে পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়বে।

    ট্রায়াল রানে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস গুয়াহাটি যেতে কতক্ষণ সময় নিল?

    ঘোষণা আগেই ছিল। এনজেপি (NJP) -হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালুর পরপরই এনজেপি- গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপারেস চালুর কথা জানিয়েছিল রেল দফতর। সম্প্রতি হাওড়া – পুরি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হওয়ার পর এনজেপি- গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস শীঘ্রই চালু হওয়ার সম্ভাবনা জোরাল হয়ে ওঠে। এই ট্রেনটি চালু হতে যে আর বেশি দেরি নেই তা এদিন ট্রায়াল রানের মধ্য দিয়ে তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এটি উত্তর- পূর্ব ভারতের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হবে। এদিন সকাল ৬.১০ মিনিট নাগাদ এনজেপি থেকে গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ট্রায়াল রান শুরু হয়। গুয়াহাটিতে এদিনই  সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ ট্রেনটি পৌঁছায়। সবমিলিয়ে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। এনজেপি- হাওড়া, হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হওয়ার পরপরই এনজেপি গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে রেল দফতর সর্বত্র পর্যটনের বিকাশের ক্ষেত্রে  নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করে চলেছে বলে মনে করছেন ট্যুর অপারেটররা।

    কী বললেন এডিআরএম?

    এদিন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এডিআরএম সঞ্জয় চিলওয়ারওয়ার বলেন, আমরা দেখে নেব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ট্রেনটি গন্তব্যে পৌঁছচ্ছে  কি না। কোথাও গতি কম বা বেশি করতে হলে সে বিষয়টি ট্রায়ালের মধ্য দিয়েই ধরা পড়বে। এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে রেল দফতর থেকে যে নির্দেশিকা এসেছে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য তাতে আগামী ২৫ মে  এনজেপি (NJP)  – গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হওয়ার কথা রয়েছে। আমরাও সবকিছু প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। কাজেই ২৫ মে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হতে আর সমস্যার কিছু নেই। এদিন ট্রায়াল রান দিয়েই আমরা চূড়ান্ত প্রস্তুতি সেরে নেওয়া হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ফের নাম বদল রাজ্যের! মৎস্য প্রকল্পেও টাকা বন্ধের আবেদন জানাবেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ফের নাম বদল রাজ্যের! মৎস্য প্রকল্পেও টাকা বন্ধের আবেদন জানাবেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নানা দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্ধ করে দেওয়ায় বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে মমতার সরকার। এই ইস্যুতে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারবার সরব হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের ভাগ্যে যে ভবিষ্যতে আরও দুর্দিন অপেক্ষা করছে, তা পরিষ্কার হয়ে গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কথায়। রবিবার ন্যাশনাল লাইব্রেরি হলে দলের কার্যকারিণী বৈঠকে তিনি বলেন, ফের কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দিয়েছে এ রাজ্যের সরকার। সর্বশেষ যে সার্কুলার রাজ্য সরকার মৎস্যজীবীদের জন্য প্রকাশ করেছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী মৎস্য যোজনার নাম বদলে করে দেওয়া হয়েছে বঙ্গ মৎস্য যোজনা। তাই কেন্দ্রীয় মৎস্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই প্রকল্পে টাকা বন্ধ করে দেওয়ার আবেদন জানাবেন তিনি।

    আর কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, এখনও নাম বদল হচ্ছে। গিরিরাজ সিংজি দেখিয়েছেন, চুরি কীভাবে আটকাতে হয়। নাম বদল কী করে রুখতে হয়। আমি চাইবো এটা অন্য দফতরগুলোও করে দেখাক। এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা সবাই থাকব। যতক্ষণ না নাম বদল করে, টাকা বন্ধ করতে বলব।

    অভিষেককে তোপ সুকান্তর

    তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা না দেওয়াতেই রাজ্যের মানুষকে বাজি কারখানায় কাজ করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।এদিন তিনি বলেন, তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের ওই বক্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, রাজ্যে একটা সরকার ১২ বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও পেটের ভাত জোগাড়ের জন্য মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর ১০০ দিনের কাজের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। এরা নিজেরাই স্বীকার করছে যে সরকার অপদার্থ। এদের এই রূপ সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: দুর্গাপুরে নকল একে-৪৭ সহ ভুয়ো সেনা অফিসার গ্রেফতার, এলাকায় চাঞ্চল্য

    Durgapur: দুর্গাপুরে নকল একে-৪৭ সহ ভুয়ো সেনা অফিসার গ্রেফতার, এলাকায় চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজন ভুয়ো সেনা অফিসারকে দুর্গাপুর (Durgapur) থানার পুলিশ শনিবার রাতে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম হায়দার বেগলো। সে ছত্তিসগড়ের বাসিন্দা। তার কাছ থেকে পুলিশ নকল একে-৪৭ সেভেন, একটি পিস্তল, ভারতীয় সেনার পোশাক এবং নকল পরিচয়পত্র উদ্ধার করেছে। কেন এই ব্যক্তি ভুয়ো পরিচয় নিয়ে দুর্গাপুরে বসবাস করছিল, তা নিয়ে পুলিশ তদন্তে নেমেছে।

    দুর্গাপুরে (Durgapur) কীভাবে আটক!

    বাইরে থেকে দুর্গাপুর (Durgapur) শিল্পাঞ্চলে বহু মানুষ কাজ করতে আসেন। এখনে স্থায়ী এবং অস্থায়ী বাসিন্দা প্রচুর বসবাস করে থাকেন। এর মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যাটাও প্রচুর। দুর্গাপুর থানা থেকে একটি বিশেষ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। যার উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক সচেতনতা। পরিযায়ী শ্রমিকদের বেশিরভাগই এখানে ঘরভাড়া নিয়ে বসবাস করে থাকেন। পুলিশের আধিকারিকরা পাড়ায় পাড়ায় ভাড়াটেদের উপর তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন বলে জানা যায়। প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে দুর্গাপুর থানা থেকে একটি বিশেষ ফর্মও চালু করা হয়েছে। এরকমই তথ্য পেয়ে ছত্তিসগড়ের ভুয়ো সেনার খোঁজ মিলল দুর্গাপুরে। পরে পুলিশ তথ্য যাচাই করে দুর্গাপুরের সুভাষপল্লির একটি বাড়ি থেকে ভুয়ো ওই অফিসার হায়দার বেগলোকে গ্রেফতার করে বলে জানা গেছে। ভুয়ো অফিসার গ্রেফতারে এলাকায় চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। 

    পুলিশের বক্তব্য

    পুলিশ জানিয়েছে, হায়দার বেগলো ভারতীয় সেনার অফিসার পরিচয় দিয়ে সুভাষপল্লির বেনাচিতি এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে ছিল। প্রায় দু’মাস ধরে সে সেখানে বসবাস করছিল। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, কেন সে সেনার পোশাক, ভুয়ো পরিচয়পত্র, এয়ারগান অস্ত্র এবং একটি বাইক ব্যবহার করত, কী উদ্দেশ্য ছিল তার, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। অবশ্য হায়দার নিজে পুলিশের কাছে স্বীকার করে নিয়েছে, সে ভুয়ো সেনা অফিসার। পুলিশ আরও জানিয়েছে, হায়দারের স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে তার স্ত্রী হায়দারকে আর্মি অফিসার বলেই জানেন। ভুয়ো সেনার অভিসন্ধি কী ছিল, তা জানার জন্য এখনও তদন্ত চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতকে দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share