Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Corruption: সরকারি চাকরির নামে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণা, জালে তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান

    Corruption: সরকারি চাকরির নামে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণা, জালে তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার (Corruption) অভিযোগে এর আগে একাধিক তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়েছে। এবার এই অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে গেল এক পুলিশ কর্মী এবং এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের নাম। কলকাতা পুলিশের এক এএসআই এবং তাঁর স্ত্রী সহ চারজনকে এই অভিযোগে ইতিমধ্যে গ্রেফতারও করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা। লালবাজার সূত্রে খবর, ধৃত চারজনকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে। রবিবার তাদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে যে এই ঘটনায় কোনও উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার জড়িয়ে আছে কিনা। প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে হেয়ার স্ট্রিট থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।

    ঘটনাটি ঠিক কী?

    গোয়েন্দাদের তরফ থেকে জানা গেছে, মাসখানেক আগে বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা আখতার বানু নামে একজন লালবাজার কর্তাদের কাছে অভিযোগ জানান, তাঁর ছেলেকে মন্ত্রীর কোটায় স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা নেয় বেনিয়াপুকুর থানায় কর্মরত অফিসার সঞ্জীব দেঁড়ে। জানা যায়, এই চক্রে সঞ্জীব ছাড়াও জড়িত রয়েছে আরও চারজন। সেই মতো গ্রেফতার করা হয় সঞ্জীবের স্ত্রী বর্ণালীকে। তিনি বর্তমানে পঞ্চায়েত সদস্য এবং খলিশানি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ছিলেন। এলাকাবাসীর থেকে টাকা তো তুলতেনই, সঙ্গে বাইরের এলাকা থেকেও টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল এই দম্পতির বিরুদ্ধে। রবিবার তাঁদের দু’জনকে বাউড়িয়া বুড়িখালির একটি বহুতল থেকে গ্রেফতার করেন লালবাজারের পুলিশ কর্তারা। এর পাশাপাশি পুলিশ গ্রেফতার করেছে সৈকত নামের এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। তিনি গোয়েন্দা দফতরের রিসেপশনে কর্মরত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। কার্তিক মান্না নামের এক দালালকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, গত মাসে অভিযোগ দায়ের হতেই সঞ্জীবের বিরুদ্ধে গোপন তদন্তে নামেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। তখনই এই চক্রের হদিশ মেলে।  

    তদন্তে কী উঠে এল?

    তদন্তে জানা গিয়েছে, এই চক্র স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা তুলেছে বিভিন্ন জনের কাছে। শুধু তাই নয়, কিছু জনকে ভুয়ো নিয়োগপত্রও বিলি করা হয়। ইতিমধ্যে গোয়েন্দারা বেশ কিছু ভুয়ো নথি উদ্ধার করেছেন ধৃতদের কাছ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Naihati: চড়া সুদের টোপ! দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে পালিয়ে গেল দম্পতি

    Naihati: চড়া সুদের টোপ! দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে পালিয়ে গেল দম্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ ৫০ হাজার টাকা, কেউ আবার এক লক্ষ টাকা বা তার বেশি জমা দিয়েছিলেন এক দম্পতির কাছে। এরকমভাবে সবমিলিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বারাকপুর মহকুমার নৈহাটির (Naihati) অরবিন্দপল্লি এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই সোমাশ্রী লাহিড়ী মজুমদার ও বিশ্বজিৎ মজুমদার নামে এই দম্পতির বিরুদ্ধে  প্রতারিতরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    কাউকে চাকরি দেওয়ার নামে, কাউকে আবার কম টাকায় বেশি সুদের টোপ দিয়ে তারা সাধারণ মানুষের থেকে টাকা তুলতেন। টাকা জমা দেওয়ার পর কয়েক মাস চড়া সুদও দিতেন। ফলে, অনেকে বিশ্বাস করে তাদের কাছে টাকাও দিয়েছেন। কিন্তু, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে না পারার কারণে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রতারিত হয়েছে বুঝতে পেরে এলাকার মানুষ রবিবার নৈহাটিতে (Naihati) ওই দম্পতির বাড়িতে চড়াও হন। ততক্ষণে বাড়িতে তালা মেরে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। তাদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন প্রতারিতরা। কিন্তু, মোবাইল সুইচড অফ থাকায় তাদের নাগাল পাননি প্রতারিতরা। এরপরই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    কী বললেন প্রতারিতরা?

    প্রতারিতদের বক্তব্য, অল্প টাকায় বেশি সুদের লোভ দেখিয়ে ওরা টাকা তুলত। সমস্ত টাকা দেওয়ার নথি আমাদের কাছে রয়েছে। রয়েছে কাগজপত্র। ফলে, সহজেই আমরা বিশ্বাস করে টাকা দিয়েছিলাম। সমস্ত নথি আমাদের কাছে রয়েছে। তবে, এভাবে আমরা প্রতারিত হব তা বুঝতে পারিনি। তনুশ্রী সরকার নামে এক প্রতারিত হওয়া এক মহিলা বলেন, ওই দম্পতি আমাকে বেসরকারি সংস্থা চাকরি করে দেবে বলে পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছিল। আমরা সকলেই নৈহাটি (Naihati) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

    কী বললেন তৃণমূলের চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য?

    নৈহাটি (Naihati) পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সনত্ দে বলেন, এই শহরে বসে এভাবে গরিব মানুষদের টাকা নিয়ে কেউ পালাতে পারবে না। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে সকলকে টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: থানায় কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ হতেই আত্মহত্যার চেষ্টা ভাইরাল হওয়া তৃণমূল নেতার

    TMC: থানায় কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ হতেই আত্মহত্যার চেষ্টা ভাইরাল হওয়া তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরির নামে তোলাবাজির লিখিত অভিযোগ দায়ের হতেই ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতির। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকে। ঘটনার পর থেকেই গঙ্গারামপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তপনের তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি অনাদি লাহিড়ী। শনিবার এই ঘটনা সামনে আসতেই জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী অভিযোগ ছিল তৃণমূলের (TMC)  ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে?

    সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাতে করে টাকার বান্ডিল নিচ্ছেন অনাদিবাবু। সম্প্রতি তাঁর এই টাকা নেওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বত্র। যদিও এই ঘটনা নিয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই নিতে দেখা যায়নি দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। যা নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় দলের কর্মীদের একাংশের মধ্যেও। এরই মাঝে শুক্রবার রাতে ওই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অনাদি লাহিড়ীর বিরুদ্ধে তপন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আনোয়ার সরকার নামে ওই ব্লকের আজমতপুর এলাকার এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, “তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অনাদি লাহিড়ী আমার ছেলে রিয়াজুদ্দিন সরকারকে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি করে দেওয়ার নাম করে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা নিয়েছে। টাকা ফেরত দিতে প্রথমে গড়িমসি করছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। শুধু তাই নয়, এরপর ওই তৃণমূল নেতা আমাকে হুমকিও দেন। তারপরই থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। আমরা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।” থানায় অভিযোগের পরই নিজের বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তৃণমূল নেতা অনাদি লাহিড়ী। যে ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। বর্তমানে গঙ্গারামপুর মহাকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলতে চাননি ওই তৃণমূল নেতা ও তাঁর পরিবারের লোকজন।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, বিজেপির আইটি সেলের পক্ষ থেকে অনাদি লাহিড়ীর ওই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছিল। চক্রান্তের শিকার হয়েছেন তিনি। শুক্রবার রাতে ওই ঘটনা নিয়ে একটি অভিযোগ হওয়ার পরেই ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছেন তিনি। তিনি এখনও দলের পদে রয়েছেন, তাঁর পাশে সব সময় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    জেলা বিজেপি নেতা বাপি সরকার বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এটা তো ঠিক, তিনি নিজে থেকে এ টাকা তোলেননি। দলের যাঁর নির্দেশে তিনি টাকা তুলেছিলেন, তা সকলের সামনে আনা উচিত অনাদিবাবুর। এই দুর্নীতির যাবতীয় তথ্য সামনে আনলে তাঁর নিজের ও পরিবারের সম্মান বাঁচবে। আত্মহত্যার মতো পথও আর তাঁকে বেছে নিতে হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra: মদনের বিরুদ্ধে এফআইআর! কুণালের সঙ্গে বৈঠকের পর সুর নরম বিধায়কের

    Madan Mitra: মদনের বিরুদ্ধে এফআইআর! কুণালের সঙ্গে বৈঠকের পর সুর নরম বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মদন মিত্রের (Madan Mitra) বিরুদ্ধে এফআইআর করল এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে বাইক দুর্ঘটনায় আহত এক যুবককে এসএসকেএম হাসপাতালে ৬ ঘন্টা ধরে ফেলে রাখার অভিযোগে উঠেছিল। তাঁকে বেড পাওয়ানোর জন্য হাসপাতাল চত্বরে হাজির হন মদন মিত্র। ফোন যায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কাছেও। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হন কামারহাটি তৃণমূল বিধায়ক। এসএসকেএম হাসপাতাল বয়কটের ডাকও দেন তিনি।

    কোন কোন ধারায় মামলা তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে?

    জানা গেছে, এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ এবং ৫০৯ ধারায় এই অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার পরেই মদন মিত্র জানিয়েছিলেন, তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। মদনের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ঝামেলা এবার গড়াল কোর্ট পর্যন্ত।

    এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের অভিযোগ…

    এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেছেন কামারহাটির বিধায়ক। হাসপাতালের অধিকর্তা ইতিমধ্যে সাংবাদিক বৈঠক করে মদন মিত্রের (Madan Mitra) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন। শনিবার মদন মিত্র পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিশানা করেন। হাসপাতালের এক অধিকর্তা বলেন, ‘‘মদন মিত্রের দলবল হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। এই ঘটনা কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না।’’ কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক হাসপাতালে দালালরাজ কায়েমের যে অভিযোগ তুলেছিলেন, তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে।

    সুর নরম কুণালের সঙ্গে বৈঠকের পরে

    শনিবার এসএসকেএম হাসপাতালের ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দেন মদন মিত্র। তাঁর নিশানায় চলে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই। মদন (Madan Mitra) বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার সঙ্গে পাঁচ মিনিট কথা বলেননি। তৃণমূল দলটা মমতা বা অভিষেকের দল নয়।’’ কিন্তু কুণাল ঘোষের সঙ্গে শনিবার মাঝরাতে বৈঠকের পরেই রবিবারে তাঁর কন্ঠে অন্য সুর শোনা গেল। তিনি বলেন, ‘‘একজন চিকিৎসা পাচ্ছিল না বলে তাকে ভর্তির সাহায্য করার চেষ্টা করেছি মাত্র।’’ তৃণমূল সম্পর্কে তাঁর অবস্থান ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে। এদিন মদন বলেন, ‘‘দল আমাকে মন্ত্রী করেছে, দলের প্রতীকে আমি জিতেছি। বিধায়ক হয়েছি। দল গুরুত্ব দেয়নি একথা একবারও ভাবছি না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: দুর্গাপুরে বেহাল রাস্তা মেরামতির দাবিতে পথে নামল বিজেপির যুবমোর্চা

    Durgapur: দুর্গাপুরে বেহাল রাস্তা মেরামতির দাবিতে পথে নামল বিজেপির যুবমোর্চা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে এবার পথে নামল বিজেপির যুবমোর্চা।দুর্গাপুরের (Durgapur)২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুচিপাড়া আন্ডারপাস থেকে এফসিআই পর্যন্ত বেহাল রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে হল বিক্ষোভ ও আন্দোলন।

    কেন দুর্গাপুরে (Durgapur) আন্দোলন ?

    দুর্গাপুরের (Durgapur) বিধাননগর এলাকার সাথে স্টেশনের যাওয়ার যোগাযোগকারী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা বছর খানেক ধরেই বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ক্রমাগত বাড়ছে দুর্ঘটনা। সামনেই বর্ষাকাল। রাস্তা সারাই না হলে মানুষের দুর্গতি যে আরও বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। রাস্তা ঠিক করার দাবিতে মুচিপাড়া থেকে প্রতিবাদ মিছিল করে এফসিআই গেট পর্যন্ত যায় যুবমোর্চার আন্দোলনকারীরা। ভাঙাচোরা রাস্তার উপরে বসে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। মিছিলে স্লোগান ওঠে, রাস্তা সারাই করার টাকা কে খেয়েছে? তৃণমূল সরকার জবাব দাও। এফসিআই গেটের সামনে বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দেয়। পুলিশ সরিয়ে দিলেও বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে অবিলম্বে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সরানোর দাবি উঠেছে। অবিলম্বে রাস্তা সারাই না হলে ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর আন্দোলন তারা গড়ে তুলবে বলে জানায় বিজেপি নেতৃত্ব।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    দুর্গাপুরের (Durgapur) মুচিপাড়াতে বিশেষভাবে পুলিশের নাকা চেকিং বসানো হয়েছে। নাকাতে নিত্যদিনের চলা যানবাহনের কাছ থেকে প্রচুর টাকা আদায় করে পুলিশ, এমনটাই দাবি বিজেপির। মানুষ এই পুলিশি দৌরাত্ম্য থেকে বাঁচতে বিকল্প হিসাবে স্টেশনের রাস্তাকে বেশি করে ব্যবহার করছে। আর তাই অধিক চলাচলের জন্য বর্তমানে রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে পড়েছে। তাই পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক, দুর্গাপুর নগর নিগমের আধিকারিক এবং আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের কাছে এই বিষয়ে বিশেষ অভিযোগ জানানো হয়েছে। অনেক অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ করছে না প্রশাসন। আর তাই রাস্তায় নেমে আন্দোলন। ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার জেলা সভাপতি সন্তোষ মুখার্জির নেতৃত্বে রাস্তায় প্রতীকী প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিজেপি আরও দাবি করে, নবান্ন থেকে দুর্গাপুর নগর নিগমের নির্বাচন না করেই পরিচালনা করা হচ্ছে শুধু মাত্র কয়েকজন তৃণমূল প্রসাশককে দিয়ে। আর প্রশাসকরা এলাকার রাস্তা নিয়ে নিষ্ক্রিয়। তাই অবিলম্বে দুর্গাপুরে বর্ষা আসার আগেই সকল রাস্তাকে ঠিক করতে হবে বলে বিজেপির তরফ থেকে বিশেষ দাবি রাখা হয়। আন্দোলনের ফলে প্রশাসন কতটা কাজ করে তাই এখন দেখার। 

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: বাবার দোকান সামলে, চাষের কাজ করেও মাধ্যমিকে উজ্জ্বল গৌরাঙ্গ রুদ্র!

    Purba Bardhaman: বাবার দোকান সামলে, চাষের কাজ করেও মাধ্যমিকে উজ্জ্বল গৌরাঙ্গ রুদ্র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পারিবারের অভাবকে জয় করে বার বার প্রান্তিক এলাকার মেধাবীরা শীর্ষ তালিকায় বিশেষ জায়গা করে নিচ্ছে। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় তেমনই একটি নাম পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলার গৌরাঙ্গ রুদ্র। বাবার সঙ্গে মুদির দোকান চালাত সে। একই সঙ্গে মাঠে চাষের কাজেও হাত লাগাতে হত তাকে। এতকিছু প্রতিকূলতার মধ্যেও মাধ্যমিকে ৬৭৭ নম্বর পেল নাদনঘাট থানার অন্তর্গত রামপুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র গৌরাঙ্গ।

    গৌরাঙ্গ হতে চায় ডাক্তার

    মাধ্যমিকে এই নম্বর পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত সে। জানিয়েছে, তার আশা যেমনটা ছিল, ফলাফল ঠিক তেমনই হয়েছে। সে বাড়িতে ১৫ ঘণ্টা করে পড়াশুনা করত। পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে বাবার দোকানে সময় দিতে হত। এমনকী প্রয়োজনে জমির (Purba Bardhaman) কাজ করতে যেতে হত। অভাব নিত্যদিনের সঙ্গী। কিন্তু প্রতিকূলতাকে জয় করে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় সাফল্য পেয়েছে সে। গৌরাঙ্গ আগামী দিনে পড়াশুনা করে ডাক্তার হতে চায়। তবে আর্থিক অভাবের কারণে ডাক্তারি পড়া এখন কতটা সম্ভব হয়ে ওঠে, সেটাই দেখার। কারণ পরিবারের সেই রোজগার নেই যে তাকে ডাক্তারি পড়াবে।

    পরিবারের আশা কি পূরণ হবে?

    গৌরাঙ্গের বাবা বলেছেন, পরীক্ষার ফলাফলে গৌরাঙ্গকে নিয়ে আমি খুবই খুশি। আমার ছেলের জন্য আমি প্রণাম জানাই সকলকে। গুরুজনদের আশীর্বাদ পেয়েছে ছেলে, তাই সকলকে নমস্কার। গৌরাঙ্গের বাবা আরও বলেন, মাস্টারমশাইরা বলেই ছিলেন যে, ছেলের মাধ্যমিকে ৫০ এর মধ্যে র‍্যাঙ্ক থাকবে। আমি এতটা আশা করিনি, মাধ্যমিকের র‍্যাঙ্ক ১৫ হবে! গৌরাঙ্গের পড়াশুনায় এতদিন আমার দাদা ও পরিজনরা সাহায্য করছেন। পাশাপাশি স্কুলের (Purba Bardhaman) শিক্ষকরাও সহযোগিতা করেছেন। আগামী দিনে গৌরাঙ্গের উচ্চ শিক্ষার জন্য সরকারের কাছে বিশেষ সাহায্যের আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা। দুঃস্থ পরিবারের এই আশা কতটা পূরণ হয়, তাই এখন দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: দুর্ঘটনার কবলে হাওড়া-পুরী এক্সপ্রেস! কাপলিং খুলে আলাদা বগি ও ইঞ্জিন

    Train Accident: দুর্ঘটনার কবলে হাওড়া-পুরী এক্সপ্রেস! কাপলিং খুলে আলাদা বগি ও ইঞ্জিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা (Train Accident) থেকে রক্ষা পেল হাওড়া-পুরী সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস। চলন্ত ট্রেন থেকে কাপলিং খুলে আলাদা হয়ে গেল ইঞ্জিন ও দুটো বগি। বেশ কিছুদূর এগিয়ে যায় ইঞ্জিন সহ বগি দুটি। জানা গেছে, সেই সময় ট্রেনের ভিতরে ঘুমিয়ে ছিলেন যাত্রীরা। আচমকাই ঝাঁকুনিতে শোরগোল পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের আধিকারিকদের। ওই দুটি বগিকে মেরামতি না করতে পারায় নতুন করে দুটি বগি লাগানো হয় ট্রেনের সঙ্গে। যাত্রীদের নামিয়ে নতুন বগি লাগিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা পর পুরীর উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি।  শনিবার রাত ১.০৫ নাগাদ ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুরের নেকুরসেনি স্টেশনের কাছে। তবে ঘটনায় (Train Accident) হতাহতের কোনও খবর নেই। 

    কীভাবে ঘটল এই ঘটনা?

    কীভাবে ঘটল এই ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রেলের তরফে। জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময়ে হাওড়া ছেড়ে বেরনোর পর রাত ১ টা ৫ মিনিট নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের নেকুরসেনি স্টেশনে পৌঁছায় ট্রেনটি। স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার সময় চলন্ত ট্রেনের কাপলিং খুলে যায়। ইঞ্জিন সহ দুটি বগি বাকি ট্রেনকে ফেলে রেখে এগিয়ে যায়। ঘটনার (Train Accident) ফলে পুরনো কম্পার্টমেন্ট থেকে যাত্রীদের নামিয়ে নতুন বগিতে তুলে নির্ধারিত সময়ের প্রায় তিন ঘণ্টা পর নেকুরসেনি থেকে পুরীর উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি। যদিও যাত্রীদের একাংশের দাবি, প্রায় ঘণ্টা পাঁচেকের বেশি সময় তাঁরা আটকে ছিলেন। 

    আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা

    মাঝরাতে এভাবে আটকে পড়ায় অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। একইসঙ্গে একাংশ এই ভেবেই শঙ্কিত হন, ওভাবে ইঞ্জিন ছাড়া বগিগুলি গার্ডের নজরে না পড়লে আরও বড় দুর্ঘটনা (Train Accident) ঘটতে পারত। যদিও দুর্ঘটনার ফলে কোনও যাত্রীই আহত হননি। সবাই সুরক্ষিত ছিলেন। সকাল সওয়া ছটা নাগাদ পুরীর উদ্দেশে রওনা হয় ট্রেনটি। তবে এই দীর্ঘ সময় ট্রেনটি আটকে থাকায় রাতে ওই রুটে চলা মালগাড়িগুলির যাতায়াতে প্রভাব পড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের কার্যালয়ে হামলা, জখম ৭, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের কার্যালয়ে হামলা, জখম ৭, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুমায়ুন কবীরের বিতর্কিত মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে বিধায়ক কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। ১৯ মে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সভায় ভরতপুর-১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নজরুল ইসলামকে কার্যত এক হাত নিয়েছিলেন। বিধায়কের বিস্ফোরক এই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিধায়কে কার্যালয়ের হামলার ঘটনা ঘটে। বিধায়কের সামনেই তাঁর অনুগামীদের বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। হামলাকারী সকলেই তৃণমূল কর্মী। পরে, তৃণমূলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। তাতে সাতজন জখম হন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬:২৫মিনিট নাগাদ ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর তাঁর বিধায়ক কার্যালয়ে তৃণমূল সরকারের ১২ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন। অভিযোগ, তখনই ভরতপুর-১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নজরুল ইসলামের ভাইপো তাজ মহম্মদের নেতৃত্বে ব্লক সভাপতির কিছু অনুগামী গিয়ে অতর্কিতে লাঠি- বাঁশ নিয়ে হামলা চালান। বিধায়ক কার্যালয়ের পাশাপাশি বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা বিধায়কের অনুগামীদের বেধড়ক পেটানো হয়। পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভরতপুর এলাকা। ঘটনার পর ভরতপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তারজন্য এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC)  বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, এখানে কোনও দলীয় কোন্দল নেই। আসলে এখানে স্বার্থের দ্বন্দ্ব। আমার নিরাপত্তারক্ষী আজকে ছুটিতে রয়েছে, সেই খবর আগে থেকেই ব্লক সভাপতি জানতো। তাই,  ব্লক সভাপতির অনুগামীরা আমাকে প্রাণনাশের চেষ্টা চালিয়েছে। আমার অনুগামীদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমার কার্যালয়ে চড়াও হয়েছে। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে সোমবার থেকে ভরতপুরে কে রাজ করে তা দেখিয়ে দেব।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি?

    হামলার ঘটনা নিয়ে পাল্টা বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনুগামীদের উপর দায় চাপিয়েছেন ভরতপুর-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার ভাইপো এবং আমার কিছু অনুগামী হাঁটতে হাঁটতে ব্লকের দিকে যাচ্ছিল তখনই আমার ভাইপো সহ আমার অনুগামীদের উপর চড়াও হয় বিধায়কের অনুগামীরা। আমরা কোনও হামলা চালাইনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি, কেন জানেন?

    Nadia: প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাইক চালানো নিয়ে বচসা। সামান্য এই ঘটনা নিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন এক তৃণমূল কর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) কালিগঞ্জ থানার পালিতবেগিয়া এলাকার। গুলিবিদ্ধ ওই তৃণমূল কর্মীর নাম আশরাদুল শেখ। গুলিবিদ্ধ যুবক তৃণমূল কর্মী। হামলাকারীরাও তৃণমূল করে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার (Nadia)  পালিতবেগিয়া এলাকায় শনিবার বিকালে কয়েকজন যুবক পাড়ার ভিতর দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিল। জানা যায়, ওই যুবকদের বাড়ি পাশের গ্রামে। প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালানোর কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করেন। শুরু হয় বচসা। পরে, হাতাহাতি শুরু হলে এলাকাবাসী তা  মিটিয়ে দেন। বাইক আরোহীরা গ্রামে ফিরে গিয়ে দল বেঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ফের চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ফের দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। এরপরই আচমকা আশরাদুল শেখ নামে এক যুবককে লক্ষ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে পরপর ২ রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে বাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে।। আশরাদুলের বুকে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন জড়ো হতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবকরা। গুরুতর জখম অবস্থায় আশরাদুলকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শরীর থেকে একটি গুলি বের করা হলেও আরেকটি গুলি শরীরের ভিতরে রয়ে গেছে। বর্তমানে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে তিনি চিকিত্সাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কালীগঞ্জ থানার পুলিশ। এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, আদতে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    কী বললেন গুলিবিদ্ধ যুবকের দাদা?

    গুলিবিদ্ধ আশরাদুলের দাদা ওসমান গনি শেখ বলেন, মূলত প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালানোর প্রতিবাদ করাতেই হামলা চালিয়েছে ওরা। তবে, সামান্য বিষয় নিয়ে এভাবে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটবে তা ভাবতে পারিনি। আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি করছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতে আন্দোলন নয়! পেন ডাউন রুখতে মরিয়া নবান্ন

    DA Protest: মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতে আন্দোলন নয়! পেন ডাউন রুখতে মরিয়া নবান্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ বৃদ্ধির (DA Protest) দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তাঁরা যন্তর মন্তরে ধর্নাও দিয়েছেন। হাইকোর্টে নির্দেশে মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে কর্মচারিদের একাংশের। কিন্তু তাতেও মেলেনি রফাসূত্র। এই আবহেই, ২২ মে সোমবার ফের এক দফা পেন ডাউন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি। এবারেও কড়া অবস্থান নিল নবান্ন। আগের বারের মতো এবারেও নবান্নের বক্তব্য যে পেন ডাউন কর্মসূচির ফলে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবে সাধারণ মানুষ। এবং তা সরকারি অফিসের কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটাবে। নবান্নের আরও হুঁশিয়ারি, নিজের অফিসে থেকে দায়িত্ব পালন করতে যদি কোন কর্মচারীকে না দেখা যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    বিজ্ঞপ্তিতে কী জানাল নবান্ন?

    শনিবার বিজ্ঞপ্তিতে নবান্ন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে কোনভাবেই এই কর্মসূচি বরদাস্ত করবেনা সরকার। নির্দেশিকায় নবান্নের বক্তব্য, জনস্বার্থে পদক্ষেপ করবে সরকার। হাসপাতালে ভর্তি, নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু বা আগে থেকে নেওয়া অন্যান্য বিশেষ কারণের ছুটিগুলি ছাড়া সেই দিনগুলিতে অর্ধ বা পূর্ণদিবসের ছুটি নেওয়া যাবে না। অন্যথায় কারণ দর্শাতে হবে। এমনকি মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতেও কোন সরকারি কর্মীকে যদি কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, উপযুক্ত কারণ এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া নির্ধারিত সময়ের আগে অফিস থেকে বের হতে পারবেন না কোন সরকারি কর্মী। বেলা দেড়টা থেকে দুটোর মধ্যে মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির সময় অন্য কোন কর্মসূচি পালন করা চলবে না, অন্যথায় প্রশাসনিক পদক্ষেপের মুখেও পড়তে হতে পারে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের। শুধু তাই নয়, যদি মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির সময় কেউ কর্মসূচি পালন করে তাহলে ধরে নেওয়া হবে যে তিনি সেদিন গরহাজির ছিলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে সেইরকম প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, এই আন্দোলন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী গত সোমবারেই জানিয়েছেন, সরকারি চাকুরিজীবীরা বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পান কাজ করার জন্য। তাঁদের আন্দোলনের ফলে বিঘ্নিত হয় সাধারণ মানুষের পরিষেবা।

    কী বলছে কর্মচারী সংগঠনগুলি?

    কর্মচারী সংগঠনের এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘‘ন্যায্য দাবিতে কর্মীরা আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকার দাবি মিটিয়ে দিলে এই সব আন্দোলনের দরকার পড়ে না। টিফিনের সময় হল কর্মচারীদের ব্যক্তিগত সময়। সেই অধিকারেও হস্তক্ষেপ করেছে সরকার। ওই নির্দেশনামা বাতিলের দাবিতে সোমবার টিফিনের সময় দফতরে দফতরে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।’’ অপর এক আন্দোলনকারীর মতে, ‘‘রাজ্য সরকার এভাবে স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। যত দমন পীড়ন চলবে, প্রতিরোধ ততই বাড়বে।’’ আরেকটি কর্মচারী সংগঠনের মত হল, ‘‘কর্মবিরতি পালনে বেতন কাটা যেতে পারে কিন্তু অন্য কোন শাস্তি এভাবে দিতে পারে না সরকার। এটা অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক এবং ডিএ সহ নানা দাবীতে আন্দোলন বাছাই করতে পদক্ষেপ।’’ এখন দেখার সোমবারে রাজ্য জুড়ে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share