Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Birbhum: এগরায় বিস্ফোরণের পর লাভপুরে ১০০ কেজি বাজির মশলা উদ্ধার! গ্রেফতার ৪

    Birbhum: এগরায় বিস্ফোরণের পর লাভপুরে ১০০ কেজি বাজির মশলা উদ্ধার! গ্রেফতার ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির পরেই অতিসক্রিয় হয়ে উঠল পুলিশ। বীরভূম (Birbhum) জেলা জুড়ে যৌথভাবে তল্লাশি চালাল পুলিশ ও সিআইডি। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বাজি তৈরির মশলা এবং সরঞ্জাম। পুলিশ একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে। শাসক দল একে পুলিশের সাফল্য বললেও বিরোধীদের দাবি, সবটাই লোক দেখানো।

    বাজি তৈরির মশলা উদ্ধার (Birbhum) 

    এগরার ঘটনার পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাজি কারখানার উপর নজর রাখতে শুরু করেছে প্রশাসন৷ বেআইনি কারখানাগুলিতে তল্লাশি চলবে বলেও জানানো হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে সমালোচনা শুরু হতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন। এদিন বীরভূমের (Birbhum) লাভপুর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ তল্লাশি চালায় সিআইডি৷ লাভপুরের (Lavpur) পূর্ণা গ্রামে একটি বাজি তৈরির কারখানা থেকে ১০০ কেজির বেশি বাজি তৈরির মশলা উদ্ধার করা হয়৷ পাশাপাশি, বাজি তৈরির প্রচুর সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যায়৷ বেআইনি ভাবে প্রচুর বারুদ মজুত করে রাখা হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে৷ এই ঘটনায় ৪ জন অভিযুক্তকে আটক করেছে সিআইডি৷ আরও জানা গেছে, বাজি তৈরির মশলাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

    বিরোধীদের অভিযোগ

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার খাদিকুল গ্রামে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ইতিমধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাজি তৈরির আড়ালে বোমা তৈরি হত, এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই ঘটনায় এনআইএ তদন্তে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী নেতার অভিযোগ ছিল, পুলিশের কাছে এই বাজি কারখানার খবর ছিল এবং রীতিমতো ওই কারখানা থেকে তোলা আসত। বিরোধী দলের আরও অভিযোগ, বগটুই হত্যাকাণ্ডের পরও অবৈধ অস্ত্র এবং বোমা কারখানায় তল্লাশির কথা পুলিশকে বলেছিলেন স্বয়ং পুলিশমন্ত্রী। যার ফলস্বরূপই লোক দেখানো মাত্র কয়েকটি জায়গাতে তল্লাশি (Birbhum) হচ্ছে। আসল অপরাধীরা শাসক দলের আশ্রয়েই রয়েছে। রাজ্যে সিংহভাগ অবৈধ বাজি কারখানার মালিক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাই, এমন অভিযোগও উঠেছে। সমানে পঞ্চায়েত ভোট আসছে। তাই দেশি বাজির কারখানায় দেশি বোমা তৈরি হচ্ছে কি না, তা সাধারণ মানুষকে রীতিমতো ভাবাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Egra: এগরায় বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে সরিয়ে দেওয়া হল থানার আইসি-কে

    Egra: এগরায় বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে সরিয়ে দেওয়া হল থানার আইসি-কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে যে কোনও ঘটনায় হইচই পড়ে গেলে যা হয়, এগরায় (Egra) বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডেও সেটাই হল। সরিয়ে দেওয়া হল এগরা থানার আইসি মৌসম চক্রবর্তীকে। তাঁর জায়গায় নতুন আইসি হচ্ছেন হুগলি জেলার গ্রামীণ সাইবার ক্রাইম থানার আইসি স্বপন গোস্বামী। শুক্রবার রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবন থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই বদলির নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এগরার আইসি মৌসম চক্রবর্তীকে পাঠানো হয়েছে হুগলির গ্রামীণ সাইবার ক্রাইম থানায়। যদিও মঙ্গলবার ঘটনা ঘটলেও এখানে এটুকু ব্যবস্থা নিতেই প্রশাসনের সময় লেগে গেল তিন দিন।

    আইসির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু

    খাদিকুলে বিস্ফোরণ কাণ্ডে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন এগরা (Egra) থানার আইসি মৌসম চক্রবর্তী। অভিযোগ, উত্তেজিত জনতার হাতে মারধরের শিকার হয়েছিলেন তিনি। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইসিকে শোকজ করেছিলেন। ‘আগে পুলিশ এখানে দশ হাজার টাকা তুলতো। এখন এই আইসি আসার পরে ৫০ হাজার করে মাসে তোলা হয়েছে।’ এগরার আইসির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    বিরোধীরা কী অভিযোগ করল?

    বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ, এই বদলি আইওয়াশ ছাড়া কিছুই নয়। কারণ ওই গ্রামে পুলিশের জ্ঞাতসারেই বাজির নামে ওই কারখানায় (Egra) যে বোমা তৈরি হত, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু ওই বাজি কারখানার পিছনে ছিল শাসক দল তৃণমূলেরও প্রত্যক্ষ মদত। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, কারখানার মালিক রীতিমতো ভয় দেখিয়ে সেখানে গ্রামের মানুষকে কাজ করাতে বাধ্য করতেন। সে এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা বলেও পরিচিত। পুলিশ এবং তৃণমূলের পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতেই যে ওই কারখানা রমরমিয়ে চলত, তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। ফলে এত বড় ঘটনায় শুধুমাত্র একজন আইসিকে সরিয়ে কাজের কাজ কিছুই হবে না। 

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    এগরার (Egra) সাহারা অঞ্চলের খাদিকুল গ্রামে একটি বাড়িতে বাজি তৈরি হচ্ছিল। বেশ কয়েকজন ঘরের ভিতরে ছিলেন। আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। বাড়িটির ভিতর থেকে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে বাড়িটি শ্মশানভূমিতে পরিণত হয়। বাড়ির ভিতরে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কয়েকজন গুরুতর জখম হন। বাকিদের মৃত্যু হয়। তবে, কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা স্পষ্ট করে সেইসময় এলাকাবাসী বলতে পারেননি। পরে ৯টি দেহ উদ্ধার হয়। অনেক দূর থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গিয়েছিল। আশপাশের গ্রামের মানুষও ছুটে এসেছিলেন। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন এলাকাবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি? ক্ষোভ আদিবাসী সংগঠনের

    Balurghat: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি? ক্ষোভ আদিবাসী সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে (Balurghat) প্রথম থেকেই রিপোর্টে তৃণমূল নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে আড়াল করে রাখা হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ। তা নিয়ে আগেই সরব হয়েছিল আদিবাসী সংগঠনগুলি। এবার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার দাবিতে আগামী ২২ মে ফের বাংলা বন্‌ধের ডাক দিল আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান।

    কেন বাংলা বন্‌ধ?

    গত মাসেই বাংলা বন্‌ধ পালন করেছে সেঙ্গেল অভিযান। কিন্তু তার প্রভাব উত্তরবঙ্গ (Balurghat) ও দক্ষিণবঙ্গের মাত্র কয়েকটি জেলাতেই পড়েছিল। তবে এখনও দণ্ডি কাণ্ডে কাউকে গ্রেফতার না করায় এবারের বন্‌ধ আরও জোরদার ভাবে পালন করতে তৈরি হয়েছে আদিবাসী সংগঠন। বালুরঘাট ব্লক সভাপতি অমল মার্ডি বলেন, এবারের সারা বাংলা বন্‌ধে রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলাতে এর প্রভাব আপনারা দেখতে পাবেন। পুলিশ যেভাবে আদিবাসীদের বিরুদ্ধে কাজ করছে, এর জবাব এবার রাস্তাতে দেবে মানুষ, এমনটাই দাবি আদিবাসী সংগঠনের।

    আদিবাসী সংগঠনের বক্তব্য

    সংগঠনের দক্ষিণ দিনাজপুর (Balurghat) জেলা পরগণার নেতা বিক্রম মুর্মু বলেন, রাজ্য জুড়ে আদিবাসীদের উপর নির্যাতন হয়, আর পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে থাকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের পরে আদিবাসীদের দিয়ে দণ্ডি কাটানো নেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ডাকলেও তাঁকে গ্রেফতার না করেই ছেড়ে দিয়েছে। আদিবাসী সংগঠনের দাবি, নির্যাতনকারী ওই নেত্রীকে গ্রেফতার করতেই হবে। এছাড়াও আগে কুমারগঞ্জের এক আদিবাসী দম্পতিকে ডাইনি চিহ্নিত করা হয়েছে। গত জানুয়ারি মাস থেকে ওই পরিবার বাড়িছাড়া হয়ে রয়েছে। অথচ সেখানকার পুলিশ তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া, বাড়ি ফেরানোর ব্যাপারে কোনও উদ্যোগই নেয়নি। পুরুলিয়া ও জামবনিতেও একই ভাবে আদিবাসীদের উপে অত্যাচার হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই রাজ্যজুড়ে আদিবাসী সমাজের উপর অত্যাচারের বন্‌ধের পথে যেতে বাধ্য হচ্ছি আমরা, এমনটাই মন্তব্য করেন ওই নেতা।

    পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ আদিবাসীরা

    গত ৭ এপ্রিল তপনের গোফানগরের (Balurghat) কয়েকজন আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটিয়ে মাফ চাইতে বলে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়। ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। দণ্ডি কাণ্ডের পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাষ্ট্রপতি, জাতীয় মহিলা কমিশন, এসটি কমিশন থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গায় চিঠি পাঠিয়েছিলেন। আর তার ভিত্তিতে জাতীয় এসটি কমিশন রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তলব করে৷ এরপর কিছুটা নড়েচড়ে বসে পুলিশ। ওই তলবের পরেই পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁদের জামিন হয়ে যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদেই সারা রাজ্যব্যাপী বন্‌ধ ও অন্যান্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে আদিবাসী সংগঠনগুলি। বিজেপির আদিবাসী বিধায়করাও রাজ্যপালের কাছে এনিয়ে নালিশ জানিয়ে এসেছেন। কিন্তু তারপরেও মূল নির্যাতনকারীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে সরব আদিবাসীরা। অবশেষে সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই আদিবাসী মহিলাদের সাথে একান্তভাবে কথা বলেন। তার পরেই রাতারাতি পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সনের পদ থেকে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সরানো হয় এবং পরে আবার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডেকে পাঠায় তাঁকে। কিন্তু এতেও খুশি নয় আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। গ্রেফতারের দাবিতে  তাই এবার ফের বাংলা বন্‌ধের ডাক দিয়েছে ওই সংগঠন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: চিকিৎসক নিয়োগ বন্ধ তিন বছর! ‘সিভিক ডাক্তার’-এর পিছনে কোন সমীকরণ?

    West Bengal Health: চিকিৎসক নিয়োগ বন্ধ তিন বছর! ‘সিভিক ডাক্তার’-এর পিছনে কোন সমীকরণ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রোগী-চিকিৎসকের অনুপাতে বিস্তর ফারাক। চিকিৎসা পরিষেবা পেতে অনেকেই ভিড় করেন সরকারি হাসপাতালে। কিন্তু রোগী পিছু এক মিনিটও বরাদ্দ করতে পারেন না সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। আর তাই রোগীদের ভোগান্তিরও অন্ত নেই। চিকিৎসকের এই ঘাটতি পূরণেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তিন বছরের প্রশিক্ষণ দিয়ে হেলথ প্রফেশনাল তৈরির কথা জানিয়েছেন, যা লোকমুখে সিভিক ডাক্তার বলে বহুল পরিচিতি পেয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য ভবন (West Bengal Health) সূত্রে জানা যাচ্ছে, তিন বছর ধরে এমবিবিএস পাশ করা চিকিৎসকদের নিয়োগ করছে না রাজ্য সরকার। হাজার ছয়েক চিকিৎসক চাকরি পাচ্ছেন না।

    কী বলছে স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য? 

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে রাজ্য সরকার। এমবিবিএস পাশ করার পর গ্রাম কিংবা শহরের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসাবে নিয়োগ করা হয়। তাঁদের বলা হয় মেডিক্যাল অফিসার। ২০২১ সাল থেকে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ। প্রতি বছর প্রায় দুই হাজার চিকিৎসা পড়ুয়া এমবিবিএস পাশ করেন। অর্থাৎ, তিন বছরে প্রায় ছ’হাজার এমবিবিএস পাশ করা চিকিৎসক রাজ্য স্বাস্থ্য পরিষেবার (West Bengal Health) সঙ্গে যুক্ত হতে পারতেন। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি।

    কেন বন্ধ নিয়োগ প্রক্রিয়া? 

    স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগীকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোনও উত্তর দেননি। তিনি জানান, বিষয়টি বিভাগের অভ্যন্তরীণ। এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলবেন না। তবে স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health) অন্দরের খবর, একজন পাশ করা চিকিৎসককে নিয়োগ করতে হলে তাঁর বেতন যা দিতে হবে, তার তুলনায় অনেক কম বেতনে হেলথ প্রফেশনালদের দিয়ে কাজ করানো যাবে। তবে অবশ্যই পরিষেবার মান এক থাকবে না। কিন্তু সরকার এখন পরিষেবার মানের চেয়ে অন্য দিক বেশি বিবেচনা করছে। আর তাই নিয়োগও আপাতত বন্ধ।

    কী বলছে চিকিৎসক মহল? 

    চিকিৎসক মহলের (West Bengal Health) একাংশ জানাচ্ছে, রাজ্যে বাড়ছে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা। বাড়ছে আসন। পড়ুয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। ২০২১ সালে যেখানে গোটা রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ছিল ২৩ এবং আসন ছিল ২৫৫০, সেখানে ২০২৩ সালে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২, আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে, ৪,৮২৫। তাহলে প্রতি বছর চার হাজার পড়ুয়া এমবিবিএস পাশ করবে। এত চিকিৎসক থাকা সত্ত্বেও কেন চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে না? চিকিৎসক মহলের প্রশ্ন, অন্য কোনও রাজনৈতিক সমীকরণের জন্য কি এই সিদ্ধান্ত? 

    পুলিশ নিয়োগের ক্ষেত্রেও আগে দেখা গিয়েছিল, পূর্ণ সময়ের প্রশিক্ষিত পুলিশ নিয়োগের পরিবর্তে, সিভিক পুলিশ নিয়োগেই বেশি আগ্রহী রাজ্য সরকার। অনেক জায়গায় অভিযোগ ওঠে, সিভিক পুলিশ আসলে রাজ্যের শাসক দলের কর্মী। তার উপর সিভিক পুলিশ অধিকাংশ সময়ই শাসক দলের হয়ে কাজ করে। ঠিক সেই ধাঁচেই এবার ‘সিভিক’ চিকিৎসক গড়ার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। বিরোধীরা জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্য দফতরের নানা দুর্নীতি ঢাকতেই কি পাশ করা যোগ্য চিকিৎসকদের নিয়োগ করতে চাইছে না রাজ্য?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: রাজ্যের যত্রতত্র বিস্ফোরণের বলি শিশু, শাসক দলকে দুষল বিজেপি

    Bomb Blast: রাজ্যের যত্রতত্র বিস্ফোরণের বলি শিশু, শাসক দলকে দুষল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে একের পর এক বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা ঘটছে। যার বলি হচ্ছে কখনও শিশু, কখনওবা মাঝ বয়সী ব্যক্তি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাজি বিস্ফোরণের ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। যেসব বিস্ফোরণ নিয়ে হইচই হয়, সে সব ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ মেলে। হইচই না হলে ক্ষতিপূরণ মেলে না। সম্প্রতি এগরার খাদিকুল গ্রামে তৃণমূল নেতা ভানু বাগের বাজি কারখানায় যে বিস্ফোরণ হয়েছে, তাতে মারা গিয়েছেন ৯ জন। মালিক ভানু বাগও মারা গিয়েছেন ওড়িশার কটকের একটি হাসপাতালে। এর পরেই রাজ্যজুড়ে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে তৎপর হয়েছে পুলিশ।

    বিস্ফোরণের বলি কত?

    পুলিশ কর্তাদের মতে, কোথায় বিস্ফোরণে কতজনের মৃত্যু হচ্ছে, তার তথ্য সংগ্রহ করছে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহ করছে শিশু সুরক্ষা রক্ষা কমিশন। পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় বলেন, প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রে আমরা সুয়োমোটো মামলা করি। পুলিশকে ব্যবস্থা নিতেও বলি। আমরা ডিজিপির পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও চিঠি লিখি। যদি বড় কোনও ঘটনা ঘটে, তখন তদন্ত করার জন্য আমরা টিম পাঠাই। তবে বিস্ফোরণে (Bomb Blast) ঠিক কত শিশুর মৃত্যু হয়েছে, কতজনই বা জখম হয়েছেন সেই তথ্য জানাতে রাজি নয় কমিশন।

    অনেক ক্ষেত্রেই রাজ্য এবং জাতীয় শিশু অধিকার কমিশনের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাঁধে। যার জেরে চাপা পড়ে যায় আসল ঘটনা। জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনও জানিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই তারা মামলা করে। তবে অনেক ক্ষেত্রে যেখানে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বা বিস্ফোরণে কোনও শিশু পঙ্গু হয়ে পড়ে, সেসব ক্ষেত্রেও কোনও ক্ষতিপূরণ পায় না তাদের পরিবার।

    ক্ষতিপূরণ মেলে না সব ক্ষেত্রে!

    জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্কা কানুনগো বলেন, কমিশন ক্ষতিপূরণের জন্য রাজ্যকে বলতেই পারে। তবে সমস্যা হল, অনেক ক্ষেত্রেই (Bomb Blast) রাজ্যের কমিশন আমাদের বলে তারা বিষয়টি দেখছে। সেসব ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দেওয়ার দায়িত্ব বর্তায় তাদের ওপরই। তিনি বলেন, রাজ্যের উচিত প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা। এসব ক্ষেত্রে রাজ্য খুবই দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ করে। তাই সব ক্ষেত্রে  মেলে না ক্ষতিপূরণ।

    আরও পড়ুুন: প্রকাশিত মাধ্যমিকের ফল! পাশের হার ৮৬ শতাংশ, প্রথম কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি

    বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যের এদিক সেদিক সব দিকেই বোমার (Bomb Blast) ছড়াছড়ি। সেগুলিকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে শিশুরা হয় মারা যাচ্ছে, নয়তো পঙ্গু হয়ে পড়ছে। দুর্ভাগ্যজনক হল, এ ব্যাপারে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। আগে বিহারের মুঙ্গের থেকে এ রাজ্যে আগ্নেয়াস্ত্র আসত। বর্তমানে রাজ্যেই তৈরি হচ্ছে সেসব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘পুলিশকে সরিয়ে নিলে তৃণমূল কোনও পার্টি অফিস খুলতে পারবে না’’, মত সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘পুলিশকে সরিয়ে নিলে তৃণমূল কোনও পার্টি অফিস খুলতে পারবে না’’, মত সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরায় বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নদিয়ার রানাঘাটে দলের যুব সম্মেলনে যোগ দিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘এনআইএ তদন্তের নাম করে রাজ্যের মানুষকে বোকা বানাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। আসলে এগরা কাণ্ডের কোনও তদন্তই হতে দেবেন না তিনি।’’ বালুরঘাটের সাংসদের আরও দাবি, পুলিশকে সরিয়ে নিলে তৃণমূল কোনও পার্টি অফিস খুলতে পারবে না। এগরাতে যে বিস্ফোরণ হয়েছে, তা যে কোনও সাধারণ বাজি কারখানার বিস্ফোরণ নয়, এদিন তাও স্মরণ করিয়ে দেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সামলে উঠতে পারছেন না, তাই উল্টোপাল্টা কথা বলছেন। তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে, সবাই চেনে। আর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, তাকে গ্রেফতার করেছিলাম, দুমাস পর জামিন পেয়ে গিয়েছে। ভানু তো এদিক-ওদিক সব জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। পুলিশই কি তাকে লুকিয়ে রেখেছিল?’’ সুকান্তর আরও সংযোজন, ‘‘এগরা কাণ্ডের এফআইআর কপিতে কারও নাম দেওয়া নেই, অথচ মুখ্যমন্ত্রী বলছেন তাকে আমরা দুমাস আগে গ্রেফতার করেছিলাম।’’ সুকান্ত মজুমদারের আরও অভিযোগ, ভানু জামিন পেল কীভাবে? ধারাগুলি তো থানার আইসি দেয়। তাহলে কী এমন ধারা দেওয়া হয়েছিল, যে সে জামিন পেয়ে গেল।

    আরও পড়ুুন: হাইকোর্টে ধাক্কা অভিষেকের! জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই-ইডি, সঙ্গে বিপুল জরিমানা

    তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে ঘিরে বিক্ষোভ এগরায়

    প্রসঙ্গত, এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে এলাকার মানুষজন তাদেরকে ঘিরে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। শুধু তাই নয়, সে সময় চোর চোর বলে স্লোগানও ওঠে। এ বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, ‘‘চোরদের চোর বলবে না তো সাধু বলে ডাকবে? জুতো ছুড়ে মারেনি, গাছে বেঁধে রাখেনি, এটাই বড় ব্যাপার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কলকাতা পুলিশের মানহানির মামলায় হাজিরা দিতে হবে না শুভেন্দুকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: কলকাতা পুলিশের মানহানির মামলায় হাজিরা দিতে হবে না শুভেন্দুকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আদালতে স্বস্তি মিলল শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলের দায়ের করা মামলায় তাঁকে হাজিরা দিতে হচ্ছে না ব্যাঙ্কশাল আদালতে, এদিন এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।

    মামলাটি কী?

    ঘটনা হল গত মাসের ১৭ এপ্রিল একটি ট্যুইট করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে একটি বাসের ছবি দিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ ছিল যে বিনীত গোয়েল পুলিশ পাহারা দিয়ে ওই বাসটিকে পটুয়াপাড়া থেকে বের করছেন। ওই বাসে কালো টাকা থাকতে পারে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। ইডি, সিবিআইকে উদ্দেশ্য করে বিজেপি বিধায়ক লেখেন, এলাকার সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হোক।

    পাশাপাশি আরও একটি ট্যুইটে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মহারাষ্ট্রের প্লেট লাগানো একটি বাসের ছবি পোস্ট করেন। কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ওই পোস্টে ট্যাগ করে বিরোধী দলনেতা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, পুলিশ কর্মীরা বাসটিকে এসকর্ট করে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ‘‘কয়লা, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ও নথি হয়তো কারও অফিস থেকে পাচার করা হচ্ছে।’’ এর পরেই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ট্যুইট নিয়ে ডিসিকে তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। পুলিশের তরফ থেকে সে সময় বলা হয় যে পুলিশ কমিশনারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই শুভেন্দু অধিকারী এই কাজ করেছেন। এরপর পুলিশের তরফ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য ছিল যে ওই নির্দিষ্ট বাসে পুলিশ কেন নিরাপত্তা দিচ্ছে? কী আছে বাসের ভিতর? গত মাসের ২৮ তারিখ এ নিয়ে মামলা দায়ের হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। পরবর্তীতে সেই মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। বিবেক চৌধুরী আজকে নির্দেশ দিলেন, হাজিরা দেওয়ার দরকার নেই বিরোধী দলনেতার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP:  ভগবানপুরে বিজেপি-র মিছিলে বোমাবাজি, চলল গুলিও, জখম ৪

    BJP: ভগবানপুরে বিজেপি-র মিছিলে বোমাবাজি, চলল গুলিও, জখম ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরায় বোমা বিস্ফোরণকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যজুড়়ে সন্ত্রাস ও এগরার ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকালে পূর্ব মেদিনীপুরে ভগবানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতির নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিজেপি মিছিল শুরু হওয়ার পর পরই তাতে বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় গুলিও চলে বলে অভিযোগ। এদিন বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে  ভগবানপুরের পাঁউশি বাজার এলাকায়। এই ঘটনায় কয়েকজন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে বিজেপির (BJP) অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    এদিন বিকেলের দিকে পাঁউশি বাজারে মিছিল হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো ভগবানপুর বিধানসভার বিভিন্ন গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা থেকে প্রচুর কর্মী-সমর্থক পাঁউশি বাজারে হাজির হয়েছিলেন। বিশাল জমায়েতের পরই বিজেপি (BJP) কর্মীরা মিছিল শুরু করেন। জানা গিয়েছে, বাজার থেকে কিছুটা দুরেই বেশ কয়েকজন জমায়েত হয়েছিল। অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা আগে থেকেই সেখানে জমায়েত হয়েছিলেন। মিছিলে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাজার এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। মিছিল শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই পুলিশ মিছিল থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা হয়। পরে, মিছিল কিছুটা যেতেই বিজেপির (BJP)  মিছিল লক্ষ্য করেই বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। চলে গুলিও। পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে বিজেপির অভিযোগ।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, তৃণমূল সরকার নয়, রাজ্যে তালিবান সরকার চলছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর তৃণমূল বোমাবাজি করেছে। গুলি চালিয়েছে। বোমার আঘাতে ৪ জন বিজেপি কর্মী গুরুতর জখম হয়েছে। মহিলা কর্মীদের শ্লীলতাহানি করেছে। পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তৃণমূল যদি মনে করে এভাবে সন্ত্রাস করে বিজেপি কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেবে তাহলে ওরা ভুল ভাবছে। কারণ, ওদের এসব কর্মকাণ্ড দেখে মানুষ ওদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সামনের পঞ্চায়েত ভোটে তারা টের পেয়ে যাবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা মানব পড়ুয়া বলেন, মিছিল করার নামে এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছিল বিজেপি (BJP)। প্রতিবাদ জানালে ওরা আমাদের উপর হামলা চালায়। গুলিও ছোঁড়া হয়। তৃণমূল কোনও হামলা চালায়নি। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh in Egra: “গুরু পাপে, লঘু দণ্ড”! এগরায় গিয়ে রাজ্য সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দিলীপ

    Dilip Ghosh in Egra: “গুরু পাপে, লঘু দণ্ড”! এগরায় গিয়ে রাজ্য সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপরাধীকে সঠিক সাজা দেওয়া হচ্ছে না। “গুরু পাপে, লঘু দণ্ড” দেওয়া হচ্ছে। তাই এগরায় বিস্ফোরণের ঘটনায় এআইএ তদন্ত প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh in Egra)। এদিন তিনি কার্যত বিনা বাধাতেই এলাকা ঘুরে দেখেন। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। এরপরই গোটা ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি।

    এগরায় দিলীপ যা বললেন

    এদিন বিস্ফোরণস্থলে গিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh in Egra) বলেন, “যে ধরনের ধারা দেওয়া হয়েছে, আমরা বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখলাম, সাধারণ পাড়ায় মারপিট করলেও এর চেয়ে কঠিন ধারা দেওয়া হয়। আমরা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করলে এর থেকে কঠিন ধারা আমাদের দেওয়া হয়। পুরো সমাজবিরোধী কাজ হয়েছে।” স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তিনি বলেন, “স্থানীয়রা বলছে ২২ জন মারা গিয়েছেন। এর আগেও ওরা অপরাধ করেছে। এত বড় বিস্ফোরণ হল আর কোথাও বিস্ফোরণের ধারা নেই। দুমাস বাদে জামিন পেয়ে চলে আসবে। আবার বিজনেস শুরু হয়ে যাবে। আমার মনে হয় রাজ্য সরকার ও পুলিশ চাইছে এই ধরনের কাজ বন্ধ না হোক। পরোক্ষে ওরা সাপোর্ট করছে।”

    বিনা বাধায় ঘটনাস্থলে যান দিলীপ

    এদিন সংসদ দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh in Egra) সঙ্গে ছিলেন রাজ্য কমিটির সদস্য অনুপ কুমার চক্রবর্তী ও জেলা কমিটির সভাপতি সুদাম পন্ডিত। বোমা বিস্ফোরণে মৃত মাধবী বাগ ও অন্যান্য পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। বুধবারই এগরায় গিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল নেতা মানস ভুঁইয়া। শুনেছিলেন চোর চোর স্লোগান। কার্যত তাড়া খেয়ে এলাকা ছেড়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। তবে বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতাদের তেমন কোনও পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি। তাঁরা এলাকায় গিয়ে বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখেন।

    আরও পড়ুন: অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেক

    এগরায় বিস্ফোরণ স্থল ঘুরে দেখেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। জেলা পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছিলেন তিনিও।  এমনকি আগামী দিনে এগরা থেকে মহা মিছিলের ডাক দেন তিনি। উল্লেখ্য, গত বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ব্লকে খাদিকূল গ্রামে একটি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা এই ঘটনায় হতাহত হন। বাজি তৈরির নাম ওই কারখানায় বোমা তৈরি হতো বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিনা নথিতে কিভাবে দিনের পর দিন এভাবে বাজি তৈরি হতো তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: “পুলিশ নিস্ক্রিয়! তাই এগরার ঘটনা ঘটেছে”, বেসুরো অর্জুন সিং

    Arjun Singh: “পুলিশ নিস্ক্রিয়! তাই এগরার ঘটনা ঘটেছে”, বেসুরো অর্জুন সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরও বারাকপুরে কিছুটা হলেও কোণঠাসা সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সঙ্গে তাঁর কোন্দল এখন একেবারে প্রকাশ্যে। দলের সাংসদ হওয়ার পরও তাঁর অনুগামীরাও কার্যত কোণঠাসা। তাতে দলের প্রতিও তিনি কিছুটা অসন্তুষ্ট। এই পরিস্থিতি এগরা নিয়ে তাঁর মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    এগরা বিস্ফোরণে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে কী বললেন অর্জুন (Arjun Singh)?

    বৃহস্পতিবার বারাকপুর মহকুমার রিলায়েন্স জুটমিলে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, পুলিশ নিস্ক্রিয়! তাই এগরার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশকে আরও মানবিক হতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী বারবার পুলিশকে মানবিক হওয়ার পরামর্শ দেন। পুলিশ সেই নির্দেশ মানলে কখনও এগরার ঘটনা ঘটত না। আর এরাজ্য বলে নয়, দেশের সব রাজ্যের পুলিশকে সাধারণ মানুষ তাদের শত্রু ভাবে। তাই, কোথাও কোনও গণ্ডগোল হলে পুলিশ সময়ে গেলে বা পরে গেলে তাদের দেখে এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের গাফিলতির জন্যই এগরার ঘটনা ঘটেছে। তবে, এটা শুধু আমি বলছি না, মুখ্যমন্ত্রীও একই কথা বলেছেন।

    এগরায় মানস ভুঁইয়াকে বিক্ষোভ দেখানো প্রসঙ্গে কী বললেন বারাকপুরের সাংসদ(Arjun Singh)?

    মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াদের এগরায় বিক্ষোভ দেখানো প্রসঙ্গে অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, এমনিতেই এগরায় এতবড় ঘটনা ঘটেছে। ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর যার বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে সে আমাদের দলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ছিল। ফলে, এলাকাবাসীর একটা ক্ষোভ ছিল। এতবড় ঘটনার তিন-চারদিন পর দলের নেতারা ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। ফলে, স্বাভাবিকভাবে সবকিছু মিটে যাওয়ার পর দলের নেতাদের দেখে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। আমাদের গালাগালি দিচ্ছেন। এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। নাহলে বারে বারে এরকম ঘটনা ঘটবে। আমাদের আরও সক্রিয় হতে হবে।

    এছাড়াও এদিন জুটমিল মালিকদের অর্জুন সিং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কোনওরকম শ্রমিক স্বার্থে আঘাত লাগলে আন্দোলন এবং ধর্মঘট চলবে। কখনও হালকা আন্দোলন, আবার কখনও শ্রমিকদের ধর্মঘট করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share