Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Kaliyaganj: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে  বাড়ি ফেরার ঘটনায় শোরগোল, বাড়িতে বিজেপি ও তৃণমূল

    Kaliyaganj: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফেরার ঘটনায় শোরগোল, বাড়িতে বিজেপি ও তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়োজনীয় টাকার অভাবে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে না পেরে শিশুপুত্রের মৃতদেহ জামাকাপড়ের ব্যাগে ভরে হাসপাতাল থেকে বাড়ি এনেছিলেন বাবা। সেই অমানবিক ও মর্মস্পর্শী ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে স্বাস্থ্য দফতর।

    বিজেপি জেলা সভাপতির তোপ

    রবিবার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় উত্তর দিনাজপুর জেলায় (Kaliyaganj)। অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ায় জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। রবিবার রাতে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গিপাড়ায় মৃত ওই শিশুর বাড়িতে যায় জেলা বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকারের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল। পুত্রহারা পিতার কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ শোনেন বিজেপি নেতৃত্ব৷ এরপরেই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাসুদেববাবু। তিনি আরও বলেন, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, স্টেট জেনারেল হাসপাতাল নাম হলেও বাস্তবে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বলে কিছু নেই।

    তৃণমূল নেতৃত্বের আশ্বাস

    সোমবার মৃত ওই শিশুর বাড়িতে গেল তৃণমূল নেতৃত্বও। মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লতা সরকার দেবশর্মা, জেলা পরিষদের (Kaliyaganj) সদস্য দধিমোহন দেবশর্মা, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি গোলাম মোস্তাক সহ অন্যান্যরা অসীম দেবশর্মার বাড়িতে যান। নিজের ছেলের মৃতদেহ ব্যাগে করে কেন আনতে হল সেই খবরও নেন। মর্মান্তিক এই ঘটনায় মৃত শিশুর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তৃণমূল নেতৃত্ব৷

    মহকুমা শাসকের বক্তব্য

    মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি জানিয়েছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। খবরটি পাওয়া মাত্রই আমরা ব্লক অফিসারদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলাম। পরিবারের সাথে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি, পরিযায়ী শ্রমিক হওয়ার কারণে মৃত শিশুর বাবার (Kaliyaganj) স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছিল না। আমরা সেই কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সমব্যথী প্রকল্পের টাকাও তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতেও এই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সেদিকেও প্রশাসনের নজর থাকবে বলে জানান কিংশুকবাবু।

    গাফিলতির নানা দিক

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে শিশুর মৃত্যুর পর ওয়ার্ড মাস্টারের অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেওয়ার সময় অসীম দেবশর্মা অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছিলেন। কিন্তু কর্তব্যরত এক কর্মী তাঁকে জানিয়ে দেন, বাইরে থেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে হবে। কিন্তু মৃত শিশুর (Kaliyaganj) বাবা অসীম দেবশর্মা অভিযোগ করে বলেন, ১০২ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাইলে মৃতদেহ বহন করা হয় না বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। কিন্তু আইন বা নিয়ম অনুযায়ী ১০২ নম্বরে ফোন করার পর সাহায্য করা উচিত ছিল। পুরো বিষয় নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন হাসপাতালেরই ডেপুটি সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিজস্ব কোনও মৃতদেহ বহনের গাড়ি নেই, এমনটাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

    জলপাইগুড়ির ঘটনায় শিক্ষা নেয়নি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল

    জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কয়েক মাস আগে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের ভাড়ার জুলুমের মুখে পড়তে হয় এক বাসিন্দাকে। পরে ছেলেকে বাবার মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়ে গ্রামে ফিরতে হয়েছিল। বোঝাই যায়, বারবার একই ঘটনা ঘটলেও কেউই শিক্ষা নেয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: আত্রেয়ী নদীর বাঁধ ভেঙে তছনছ, অভিযুক্ত ঠিকাদার, তৃণমূলেই গণ আন্দোলনের ডাক

    Balurghat: আত্রেয়ী নদীর বাঁধ ভেঙে তছনছ, অভিযুক্ত ঠিকাদার, তৃণমূলেই গণ আন্দোলনের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চালু না হতেই বালুরঘাটে ভেঙে তছনছ আত্রেয়ী নদীর বাঁধ। আতঙ্কে এলাকার বাসিন্দারা। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজের অভিযোগ স্থানীয়দের। ঘটনা চাক্ষুষ করে দুর্নীতির অভিযোগ করে গণ আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলারের। বালুরঘাট শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডাকরা এলাকার এমন ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যদিও আতঙ্কের তেমন কিছু নেই বলে দাবি করেছেন কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থা।

    বাঁধে কী হয়েছিল ?

    বাংলাদেশ থেকে ভারতে বয়ে আসা আত্রেয়ী নদীতে জলের সমস্যার কারণে চরম দুর্দশায় পড়েন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে আত্রেয়ীতে জলস্ফীতি থাকলেও খরার সময়েই মূলত সমস্যায় পড়েন ভারতীয় কৃষকরা। দক্ষিণ দিনাজপুরের (Balurghat) সীমান্ত এলাকার কৃষকদের দীর্ঘদিনের সমস্যা উপলব্ধি করে বর্ষার অতিরিক্ত জল ধরে রাখতে বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীর উপর বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। শহরের চকভবানী এলাকা থেকে ডাকরা পর্যন্ত আত্রেয়ীর বুক চিরে দীর্ঘ বেশ কিছুদিন ধরে শুরু হয়েছে সেই বাঁধ নির্মাণের কাজ। দিনরাত এক করে বিদ্যুৎ গতিতে চলেছিল কাজ। উঠে এসেছে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ। বাঁধ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ না হলেও একপাশ খুলে দিয়ে চলছিল আত্রেয়ী নদীর জল বের করার কাজ। তীব্র জলের গতিতেই ইতিমধ্যে বাঁধের বেশকিছু অংশ ভেঙে ধসে গিয়েছে। ফলে ফাটল ধরেছে আরও বেশ কিছু অংশে। আর তা নিয়েই রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে ডাকরা এলাকার মানুষের মধ্যে।

    স্থানীয় মানুষের অভিযোগ

    স্থানীয়দের অভিযোগ, অত্যন্ত নিম্নমানের কাজের জন্য ভেঙে বসে গিয়েছে নদীর বাঁধ। বড় বড় ফাটলের জেরে পাড় ভেঙ্গে যাবার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে এলাকায়। যা একপ্রকার প্রকাশ্যে আসতেই বাঁধের বড় বড় পাথর তুলে নিয়ে গিয়ে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করছে কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থা। এর জেরে স্থানীয়রা (Balurghat) বলছেন ভাঙনের মুখে পড়েছে এলাকার বেশকিছু পরিবার। এলাকার বাসিন্দা পূর্ণিমা হালদার, নারায়ণী হালদার ও রথীন হালদার বলেন, বাঁধ নির্মাণে নিম্নমানের জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কাজের গুণগত মান অত্যন্ত খারাপ হয়েছে বলে অভিযোগ। আর যার কারণে বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যে ফাটল আর ধস। এলাকার বেশকিছু বাড়ি ঘর নদীগর্ভে তলিয়ে যাবার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

    চেয়ারম্যান এবং শাসকদলের কাউন্সিলারের বক্তব্য

    বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, এ ধরনের ঘটনা নিয়ে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ তিনি হাতে পাননি। অভিযোগ পেলে পুরো বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে। বাসিন্দাদের কাছ থেকে আতঙ্কের কথা শুনে অভিযোগ নিয়ে গণ আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলার অনুশ্রী মহন্ত। তিনি বলেন, গ্রামবাসীদের তোলা অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। বিষয়টি পুরসভার চেয়ারম্যানকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। সোমবার ঘটনা জানিয়ে সেচ দফতরকে লিখিত অভিযোগ দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন এলাকার কাউন্সিলার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ভুয়ো নথি দিয়ে প্রাথমিকে চাকরি, শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Malda: ভুয়ো নথি দিয়ে প্রাথমিকে চাকরি, শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার মালদহের (Malda) মানিকচকের এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি ও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ নিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে আলোড়ন চলছে। তারই মধ্যে শনিবার এক ভুয়ো শিক্ষিকা গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক  কী অভিযোগ ভুয়ো শিক্ষকের বিরুদ্ধে?

    তফশিলি জাতির জাল শংসাপত্র দেখিয়ে ইতিমধ্যে দেড় বছর প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন ওই শিক্ষিকা। অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম চাঁপা মণ্ডল। জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষিকার নিয়োগের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। এরপর আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করেন মালদহ (Malda) সদরের মহকুমাশাসক। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় থানায় এফআইআর দায়ের করা হয় ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে শনিবার ওই ভুয়ো প্রাথমিক শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত শিক্ষকের বাড়ি মানিকচক থানার হাড্ডাটোলা গ্রামে। ২০২১ সালের অক্টোবরে তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বর্ণাহি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন। তিনি তফশিলি কোটায় চাকরি পেয়েছিলেন। তাঁর সমস্ত নথিপত্র জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে পাঠিয়ে দেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে এক ব্যক্তি চাঁপাদেবীর নিয়োগের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা রুজু করেন। সেই মামলায় বিচারপতি ঘটনার তদন্ত করার জন্য জেলা সদর মহকুমাশাসককে নির্দেশ দেন। মহকুমাশাসক সব খতিয়ে দেখে মানিকচক থানায় চাঁপা মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে পুলিশ চাঁপাদেবীকে গ্রেফতার করে। রবিবার তাঁকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁর ১০ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আদালতে যাওয়ার পথে এনিয়ে চাঁপাদেবীকে একাধিক প্রশ্ন করা হলেও তিনি মুখ খোলেনি । কিছু বলতে চায়নি পুলিশও।

    কী বললেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি?

    এই প্রসঙ্গে মালদহ (Malda) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি বাসন্তী বর্মন বলেন,”ঘটনাটি আমার কানে এসেছে। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে সদর মহকুমাশাসক বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছেন। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তিনি পুলিশে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন। তার ভিত্তিতেই মানিকচক থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে ।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliyaganj: বাবা পরিযায়ী শ্রমিক, তাই সন্তানের মৃতদেহ ফিরল ব্যাগে করে

    Kaliyaganj: বাবা পরিযায়ী শ্রমিক, তাই সন্তানের মৃতদেহ ফিরল ব্যাগে করে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরে ফের অমানবিকতার সাক্ষী রইল কালিয়াগঞ্জবাসী। টাকার অভাবে অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মৃত শিশুকে ব্যাগে করে শিলিগুড়ি থেকে কালিয়াগঞ্জে নিয়ে বাড়ী ফিরল মৃত শিশুর অসহায় বাবা। এই ঘটনা জানাজানি হতেই জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    কি ঘটেছিল?

    কালিয়াগঞ্জ (Kaliyaganj) ব্লকের মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মার স্ত্রী যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছিল। পাঁচমাস পর হঠাৎ দুই শিশু সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ে। গত রবিবার তাঁদের দুইযমজ সন্তানকেই কালিয়াগঞ্জ ষ্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যথারীতি নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানেও অবস্থা খারাপ দেখে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। এরপর অবশেষে শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অসুস্থ শিশুদের। গত বৃহস্পতিবার এক শিশু সুস্থ্য হলে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসে অসীম দেবশর্মার স্ত্রী। পরে শিলিগুড়ি মেডিকেল কলেজেই আরেক যমজ সন্তানের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে শনিবার রাতেই মৃত্যু হয় যমজ সন্তানের। মৃত দেহ বাড়িতে নিয়ে যেতে পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক অসীম দেবশর্মা অর্থের অভাবে কোনও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে পারেন নি। আর না পারায় মৃত ছেলেকে একটি ব্যাগের মধ্যে ভরে বেসরকারি বাসে করে প্রথমে রায়গঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছান। পরে অপর আরেকটি বাসে চেপে কালিয়াগঞ্জে পৌঁছান। তারপর সন্তানের দেহ বাড়িতে নিতে স্থানীয় কাউন্সিলের সহযোগিতায় একটা অ্যাম্বুলেন্সে করে শেষপর্যন্ত কালিয়াগঞ্জ থেকে বাড়িতে ফেরেন। কালিয়াগঞ্জ থেকে বাড়ি পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্স পেলেও জোটেনি শিলিগুড়ি থেকে কালিয়াগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তায়। দেবশর্মা বলেন, চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমার যেটুকু টাকা ছিল সব শেষ হয়ে গেছে। মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া ৮ হাজার টাকা দাবী করে। কিন্তু এমনিতেই চিকিৎসা বাবদ ১৬ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে আর অ্যাম্বুলেন্সের টাকা ছিল না, তাই বাসে করেই মৃত ছেলেকে নিয়ে কালিয়াগঞ্জ পর্যন্ত ফিরেছি। সন্তানের মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশের কাছে অ্যাম্বুলেন্স চাইলে শিলিগুড়ি পুলিশ কোন সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ করেন দেবশর্মা বাবু।

    শাসক দলের মন্তব্য

    তৃণমূলের ব্লক (Kaliyaganj) সভাপতি নিতাই বৈশ্য বলেন ঘটনাটি খুবই দুঃখদায়ক। তবে পরিবারের লোকেরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নিতাম। আমারা কিছুই জানতাম না সংবাদ মাধ্যেম খবর পেয়েছি। আগামী দিনে প্রশাসনকে বলব মানবিকতার সঙ্গে যেন বিষয়গুলি দেখা হয়।

    শুভেন্দু অধিকারীর ট্যুইট

    এই ঘটনায় ট্যুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

     

    প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিরোধীদের মন্তব্য

    এই ঘটনার খবর পেয়ে কালিয়াগঞ্জের (Kaliyaganj) বিজেপি কাউন্সিলর গৌরাঙ্গ দাস বলেন, এটা খুবই কষ্টদায়ক ঘটনা। ঘটনার খবর পেয়েই কোন রাজনৈতিক ভাবে নয় মানবিকতার খাতিরে একটি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। তিনি বলেন অন্তত বাড়ী অবধি মৃত শিশুটিকে অ্যাম্বুলেন্স করে যেন নিতে পারে অসহায় বাবা। তবে এই ঘটনায় গৌরাঙ্গ বাবুর গরীব ও অসহায় মানুষের পরিষেবা না পাওয়ার জন্য সরকার প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। যে শিশু চলে গেলে পৃথিবী ছেড়ে তাঁকে তাঁর বাবার ব্যাগে করে ফিরতে হল! একটা বাহনও জুটল না এতটাই কি প্রশাসন অমানবিক! গরীব সাধারণ মানুষেরা কি সামজে অ্যাম্বুলেন্স পাবে না ? এই বলে অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করেন গৌরাঙ্গ বাবু। গোটা ঘটনাটা অত্যন্ত নির্মম এবং সেই সঙ্গে শোকের। প্রশাসন কবে মানবিক হয়ে উঠবে তাই এখন দেখার।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dubrajpur: সাত সকালে মা মনসার খোলা চোখ বন্ধ! অবাককাণ্ড দেখতে মন্দিরে উপচে পড়ল ভিড়

    Dubrajpur: সাত সকালে মা মনসার খোলা চোখ বন্ধ! অবাককাণ্ড দেখতে মন্দিরে উপচে পড়ল ভিড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে মায়ের মন্দিরে এসে মা মনসার এরকম রূপ দেখবেন তা আশা করেননি এলাকাবাসী। অন্যদিনের মতো রবিবার ভোরবেলায় মন্দিরে এসে প্রণাম করে যান অনেকে। কিন্তু, স্থানীয় এক বাসিন্দা হাতজোড় করে মায়ের মুখের দিকে তাকাতেই হতবাক হয়ে যান তিনি। কারণ, মা মনসার চোখ এভাবে বন্ধ থাকার দৃশ্য তিনি কখনও দেখেননি। এদিন এই অলৌকিক ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম জেলার দুবরাজপুর (Dubrajpur) পুরসভার ডাঙ্গালতলার মনসা মন্দিরে। খবর চাউড় হতেই আশপাশের এলাকা থেকে কয়েকশো মানুষ মন্দিরে এসে ভিড় করেন। স্থানীয় বাজারে আসা ব্যবসায়ীরাও ছুটে আসেন। অনেকে মায়ের চোখ বন্ধ থাকার ছবি মোবাইলবন্দি করেন।

    কী বললেন এলাকাবাসী?

    মনসা হিন্দুধর্মের লৌকিক সর্পদেবী। পরবর্তীকালে পৌরাণিক দেবী রূপে স্বীকৃত হন। শ্রাবণ মাসের শেষ দিনে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের প্রতিটি ঘরে ঘরে মা মনসা দেবীর পুজো অনুষ্ঠিত হয়। দুবরাজপুরে (Dubrajpur) এই মন্দিরেও জাঁকজমকভাবে পুজো হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সাগর দে, মা মনসা খুব জাগ্রত। তবে, লৌকিক না অলৌকিক বলতে পারব না। মায়ের এই রূপ আগে কখনও দেখিনি। তাই, বিষয়টি আমাদের কাছে উদ্বেগের। স্থানীয় বাসিন্দা মেনকা বাগদি বলেন, মন্দিরে এসে মাকে চোখ বন্ধ অবস্থায় দেখলাম। বহু লোক মন্দিরে ভিড় করেন। কেউ মায়ের এই রূপ দেখেননি। পরে, মন্দিরের সেবাইত এসে মুখে জল দিতেই মায়ের আগের মতো চোখ খুলে যায়। তবে, যুক্তিবাদীদের অনেকেই বলেন, বিষয়টি অলৌকিক হতেই পারে। তবে, কেউ মা মনসার চোখে রং লাগিয়ে দিয়েছিল। জল দেওয়ার পর ফের চোখ খুলে যায়।

    কী বললেন মন্দিরের সেবাইত?

    মন্দিরের সেবায়েত দিলীপ গড়াই বলেন, মায়ের চোখ বন্ধ রয়েছে শুনেই আমি মন্দিরে ছুটে আসি। আমি নিজে সেই দৃশ্য দেখি। এরপর মায়ের মুখ জল দিতেই চোখ খুলে যায়। রাতে কী হয়েছে আমি তা জানি না। এরকম কোনওদিন দেখেনি। কেন এরকম হল তা বলতে পারব না। আমি কিছু বুঝতে পারছি না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: ৩৬ হাজার চাকরিহারাদের তালিকায় নাম রাজ্যের মন্ত্রীর মেয়ের, জেলাজুড়়ে শোরগোল

    Scam: ৩৬ হাজার চাকরিহারাদের তালিকায় নাম রাজ্যের মন্ত্রীর মেয়ের, জেলাজুড়়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) জড়িয়ে পড়লেন রাজ্যের আরও এক মন্ত্রী। সম্প্রতি হাইকোর্ট শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ জারি করেছে। আর সেই তালিকায় রয়েছে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বুলু চিকবরাইকের মেয়ে সুষমা চিকবরাইকের নাম। মন্ত্রী বুলু চিকবরাইকের মেয়ে সুষমা চিকবরাইক ২০১৬ সালে মাল ব্লকের রাঙ্গামাটি চাবাগানের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পদে কাজে যোগ দেন। শুক্রবার হাইকোর্টের নির্দেশের খবর চাউর হতেই মালবাজার সহ উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলায় শোরগোল পড়ে যায়। এই বাতিলের তালিকায় শিলিগুড়িরও ৩৫০ জন শিক্ষককের নাম রয়েছে। এদের চাকরি পাওয়ার পিছনে তৃণমূলের কোনও নেতা বা মন্ত্রীর হাত রয়েছে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। হাইকোর্টের এই নির্দেশিকা বিবেচনা করার দাবিতে শিলিগুড়ির সেই শিক্ষক-শিক্ষিকারা আন্দোলনে নেমেছেন।

    কী বলছেন এলাকাবাসী?

    রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। তাই এই দলের কোনও নেতা বা মন্ত্রীর অনৈতিক কাজ নিয়ে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস নেই সাধারণ মানুষের। মন্ত্রীর মেয়ের নাম চাকরি বাতিলের তালিকায় রয়েছে জেনে সকলেই খুশি। মালবাজারের বিভিন্ন অংশের মানুষ জানিয়েছেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম চোখে পড়লেও তা বলতে পারি না। কেননা প্রতিবাদ করতে গেলে তৃণমূলের চোখরাঙানি ও হুমকির মুখে পড়তে হয়। তাই মন্ত্রী বুলু চিকবরাইকের মেয়ের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের কথা জেনেও আমরা চুপ থেকেছি। খোঁজ নিলে দেখা যাবে রাজ্যের মন্ত্রী হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে শুধু মেয়েরই নয়, তার আরও অনেক আত্মীয়স্বজনকে চাকরি করে দিয়েছেন তিনি। হাইকোর্টে নিরপেক্ষ তদন্তে হওয়ায় এই বিষয়টি এবার প্রকাশ্যে এসেছে। আমরা এই দিনটির অপেক্ষাতেই ছিলাম।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    চাকরি বাতিলের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে এখবর আর গোপন নেই। এলাকায় সকলে এই বিষয়ে আলোচনা করছেন। তবুও এনিয়ে সুষমা চিকবরাইক কিছু বলতে চাননি। তাঁর বাবা রাজ্যের মন্ত্রী বুলু চিকবরাইক বলেন, আমার মেয়ের নাম চাকরি বাতিলের তালিকায় রয়েছে। তবে মহামান্য আদালতের রায় নিয়ে আমি কিছু বলব না। আদালতের উপর আমার আস্থা রয়েছে। আমার মেয়ে সুষমা যথেষ্ট যোগ্য ও উপযুক্ত। দু’বার ডবলুবিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছে। ভাইবাও দিয়েছে। আমার মেয়ে পরীক্ষায় বসেই প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিল। কোনও দুর্নীতি (Scam) হয়নি। আবারও পরীক্ষা হলে বসবে এবং নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেবে।

    চাকরি বাতিলের নির্দেশ জারি হতেই  শিলিগুড়িতে কেন আতঙ্ক?

    এদিকে শিলিগুড়িতে ৩৫০ জন শিক্ষক- শিক্ষিকা হাইকোর্টের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে। সদ্য চাকরিহারা শিক্ষক অভিজিৎ বিশ্বাস বলেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Scam) মামলায় সিবিআই এবং ইডি তদন্ত করছে। এই তদন্তে আমরা প্রথম থেকে সবরকম সহযোগিতা করে এসেছি। তদন্তের মূল দিক হলো, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যারা দুর্নীতি (Scam)  করেছে, সেই মূল অপরাধীকে চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া। মূল অপরাধীকে খুঁজতে গিয়ে এভাবে আমাদের চাকরি বাতিল করা মেনে নিতে পারছি না। এতে আমরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়বো। আমাদের পরিবার রয়েছে। অনেকের লোন রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চাকরি হারালে আমরা গভীর সঙ্কটে পড়বো। তবে ফের পরীক্ষায় বসতে নারাজ তারা। অভিজিতবাবু আরও বলেন, সচিন তেন্ডুলকার যেমন রোজ নেমে সেঞ্চুরি করতে পারেনি। সেরকম সবসময় পরীক্ষা বসেই যে আমরা ভাল রেজাল্ট করে পাশ করবো তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। কাজেই আবার পরীক্ষায় বসার বিষয়টি কেন আসছে?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mayapur: জীবসেবা এখানে সত্যিই যেন শিবসেবা! মায়াপুরের মন্দিরে পরম আদরে রয়েছে প্রভুভক্ত কুকুররা

    Mayapur: জীবসেবা এখানে সত্যিই যেন শিবসেবা! মায়াপুরের মন্দিরে পরম আদরে রয়েছে প্রভুভক্ত কুকুররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্দিরে সাধুসন্ন্যাসী কিংবা ভক্তরা নন, সবসময় থাকে ২০ থেকে ২৫ টি কুকুর। তারাই দেয় মন্দিরের পাহারা, আবার চেয়ারে বসে আরাম করে। এমনকী ঘোরাঘুরি করে মন্দির চত্বরে  মায়াপুরের (Mayapur) এক মন্দিরে প্রবেশ করলে দেখতে পাওয়া যাবে প্রভুভক্ত এইসব কুকুরের ভিড়।

    কোন মন্দিরে প্রভুভক্ত কুকুর?

    মায়াপুরের (Mayapur) গঙ্গা তীরবর্তী শ্রী শ্রী রাধা শ্যামসুন্দর জিউর মন্দিরে গেলেই আপনি দেখতে পাবেন এই দৃশ্য। মায়াপুর ইসকন চন্দ্রোদয় মন্দিরে সারা বছরই ভক্তদের আনাগোনা লেগে থাকে। তবে মায়াপুরে রয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় আরও মন্দির। সেই সমস্ত মন্দিরে কমবেশি ভক্তদের ভিড়ও লক্ষ করা যায়। তবে শ্যামসুন্দর জিউর মন্দিরে ভক্তদের তুলনায় প্রভুভক্ত কুকুরের ভিড়ই থাকে বেশি, এমনটাই ভক্তদের মুখে শোনা যায়।

    কীভাবে মন্দিরে এল প্রভুভক্ত কুকুর

    মন্দিরের (Mayapur) সেবাইত স্বামী তৎপর মহারাজ বলেন, ভগবান সর্বত্র বিরাজমান, রাস্তার কুকুরের মধ্যেও ভগবান রয়েছেন। কর্মফল অনুযায়ী আজ এঁরা কুকুর হয়েছেন, এঁরা আগে হয়তো মুনিঋষি ছিলেন। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় কুকুরকে রাস্তায় মারধর করা হয়, গাড়ি চাপা পড়ে পা ভেঙে যায় কিংবা বিভিন্নভাবে তাদেরকে উত্যক্ত করা হয়। মারধরের কারণে পালিয়ে এরা আশ্রয় নেয় এই মন্দিরে। এরপরেই বিভিন্ন জায়গা থেকে কুকুররা এসে এই মন্দিরে থাকতে শুরু করে।

    ভরণপোষণ কীভাবে চলে?

    মহারাজ বলেন, লকডাউনের সময় মায়াপুর (Mayapur) ইস্কন ক্যাম্পের এক বাবু খাবার দিয়ে যেতেন। আবার ইস্কনের মহারাজ নিজে কুকুরদের জন্য খাবার পাঠাতেন। সেই সময় থেকেই কুকুরদের এই মন্দিরে আগমন হয়। কিন্তু লকডাউনের পর খাবারের পরিষেবা কিছুটা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে বেশ কিছু কুকুরদের খাদ্যের অভাব হয়েছিল বলে জানা যায়। মাসে প্রায় এক কুইন্টাল চাল এবং দশহাজার টাকা খরচ হয় বলে মহারাজ জানান। তাঁদের সমস্ত রকম চিকিৎসা থেকে শুরু করে খাবারের ব্যবস্থা করা হয় এই মন্দির থেকেই। বর্তমানে অর্থসঙ্কট দেখা যাচ্ছে বলে জানা যায় মন্দিরের তরফ থেকে।

    প্রভুভক্ত কুকুরের প্রধান সেবক স্বামীজি

    সমস্ত কুকুরকে রক্ষণাবেক্ষণ এবং তাদের সেবাশুশ্রূষা করার জন্য বেশ কিছু অর্থের প্রয়োজন হয়, যা অতি কষ্টে মিটিয়ে থাকে এই মন্দির (Mayapur)। তবে একার পক্ষে খরচ বহন করা অনেক সময় দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বামী তৎপর মহারাজের মতে, কিছু অনুদান পেলে ভালো হয়। তবে সমস্ত বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করেই মন্দিরে বিগ্রহের মতই কুকুরদেরও দিনের পর দিন সেবাশুশ্রূষা করে আসছেন স্বামীজি। জীবসেবাই যে শিবসেবা, তার বাস্তাব দৃষ্টান্ত যেন এই মন্দিরই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Wine Shop: দোকানে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব লুট করল দুষ্কৃতীরা, আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা

    Wine Shop: দোকানে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব লুট করল দুষ্কৃতীরা, আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোকানে ঢুকে কর্মীকে আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট দিয়ে মেরে অবাধে লুটপাট চালালো দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাত ১০ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে আসানসোল দক্ষিণ থানার এসবি গড়াই রোডের একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকানে (Wine Shop)। ক্যাশবাক্স থেকে ৪ লক্ষ টাকা তারা ছিনিয়ে নেয় চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে দোকানের কর্মীদের কাছে থেকে মোবাইলও কেড়ে নিয়ে যায় তারা। ঘটনার পর পরই দোকানের (Wine Shop) কর্মীরা দুষ্কৃতীদের পিছু ধাওয়া করেন। কিন্তু, ততক্ষণে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে, পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    শনিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ শাটার বন্ধ করে ভিতরে হিসেব মেলানোর কাজ করছিলেন দোকানের (Wine Shop) কর্মী শ্যামল দত্ত ও তাঁর সহযোগী সন্দীপ পাল। ঠিক সেই সময় শাটার তুলে তিনজন দুষ্কৃতী ভিতরে ঢোকে। দুজনের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। ঢোকার পরই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সব টাকা বের করে দিতে বলে। কিন্তু, দোকানের কর্মীরা আপত্তি করলেই আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট দিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। ক্যাশবাক্স থেকে সমস্ত টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। সিসিটিভিতে দুষ্কৃতীদের ছবি ধরা পড়েছে। ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। সিসিটিভি-র ফুটেজ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

    কী বললেন দোকানের কর্মীরা?

    দোকানের (Wine Shop)  কর্মী সন্দীপ পাল বলেন, আচমকা শাটার তুলতেই আমরা ভেবেছিলাম কোনও ক্রেতা এসেছে। তিনজনই কোনও কথা না বলে আমাদের দিকে এগিয়ে আসে। আমরা তখন সারাদিনের বিক্রি হিসেব করছিলাম। ওরা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে টাকা দিতে বলে। আমরা আপত্তি করলে ওরা চড়াও হয়। এরপরই ক্যাশবাক্স থেকে সব টাকা নিয়ে নেয়। একজনের মুখে কাপড় বাঁধা ছিল। হিন্দিতে কথা বলছিল। আমাদের মোবাইল সব কেড়ে নেয়। আমরা বাইরে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। সমস্ত টাকা হাতিয়ে নিয়ে ওরা পালায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পুরসভার ঝিল দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ, দলের কাউন্সিলারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলছে তৃণমূল

    TMC: পুরসভার ঝিল দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ, দলের কাউন্সিলারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলছে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ার শহরে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলারের বিরুদ্ধেই ঝিল দখল করে বিল্ডিং তৈরির অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এনিয়ে শাসকদলের অন্দরেও শোরগোল পড়ে গেছে।  

    কি অভিযোগ?

    আলিপুরদুয়ার শহরে জলাশয় ও ঝিল দখলের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। শহরের বহু পুরনো ঝিল এলাকার নেতাদের মাধ্যমে বেদখল হয়ে গিয়েছে, এমনটাই এলাকাবাসীর প্রধান অভিযোগ। তবে ঝিল দখলে এবার নাম জড়িয়েছে খোদ পুরসভার এক কাউন্সিলারের। বিরোধীদের অভিযোগ নয়, খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রশান্তনারায়ণ মজুমদার (জহর) জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে এমনই অভি্যোগ জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, আলিপুরদুয়ার টাউন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসটি তৈরি করা হয়েছে ঝিলের উপরেই। শাসকদলের কাউন্সিলার থেকে নেতারাই যদি এ ধরনের কাজে যুক্ত থাকেন, সাধারণ মানুষ কী করবেন? এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় মানুষের।

    শাসক দলের মন্তব্য

    তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) টাউন ব্লক সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, আলিপুরদুয়ার শহরের টাউন ব্লক পার্টি অফিসটি আমরা নতুন করে তৈরি করিনি। অনেক আগে সেখানে দোকান ছিল। সেই দোকান কিনে নিয়ে পার্টি অফিস চালু করা হয়েছে। শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অরূপা রায় বলেন, যে জমিতে তাঁর বাড়িটি রয়েছে, সেই জমির বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। ঝিল দখলের অভিযোগ তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রশান্ত নারায়ণ মজুমদার (জহর) বলেন, ওনার পুরনো বাড়ি নিয়ে আমার বক্তব্য নেই। তবে ইদানীং ঝিল দখল করে যে অংশ জুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে, সেই জলাজমি নিয়েই আমি অভিযোগ প্রশাসনের কাছে জানিয়েছি।

    প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জমা

    এ নিয়ে আলিপুরদুয়ার শহরের প্রবীণ আইনজীবী নারায়ণ মজুমদার (জহর) জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। সেই অভিযোগের প্রতিলিপি পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছেও জমা দিয়েছেন জহরবাবু। ঝিল দখলের অভিযোগ ওঠায় আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর জানিয়েছেন, কাউন্সিলার বা চেয়ারম্যান যদি কেউ বেআইনিভাবে ঝিল দখল করে থাকেন, তবে তা হলে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে যেতে পারবেন না। আইন আইনের পথেই চলবে। এইভাবে জলাজমির উপর অবৈধ নির্মাণ বন্ধে প্রশাসন কবে কার্যকার ভূমিকা পালন করবে, তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের মিটিংয়ে হামলা চালালো দলেরই কর্মীরা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    TMC: তৃণমূলের মিটিংয়ে হামলা চালালো দলেরই কর্মীরা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের মিটিংয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দলেরই অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। হামলায় এক তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হন। তাঁকে ভগবানপুর হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিত্সা করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর-১ ব্লকের শিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    ঠিক কী ঘটেছে ?

    ভগবানপুর-১ ব্লকের শিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভীমেশ্বরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃণমূলের (TMC) কর্মী-সমর্থকরা মিটিং করছিলেন। সেই সময় তৃণমূলের (TMC) অন্য গোষ্ঠীর লোকজন এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ। হামলার জেরে এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফেটে যায়। জখম হন সেখ মুত্তালিব নামে এক তৃণমূল কর্মী। তাঁর বাড়ি কিশোরপুর গ্রামে। অভিযোগ, শিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দীপ্তেন্দু   মাইতির নির্দেশে এই হামলা হয়েছে। মিটিংয়ে ডাক না পাওয়ার কারণে দলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য তৃণমূল (TMC) নেত্রী সবিতা প্রধানও আক্রান্ত হয়েছেন।

    হামলা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) কর্মী সেখ মুত্তালিব বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী হয়েও দলের ছেলেদের হাতে আক্রান্ত হলাম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। হামলার ঘটনার নিন্দা করেছেন ভগবানপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি শেখর পন্ডিত। তিনি বলেন, এই হামলা অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মীরা করেনি। করেছে, আমাদের দলের কর্মীরা। দুর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে আমরা উদ্যোগী হয়েছিলাম। তাই এই হামলা হয়েছে। ইনডোর মিটিং চলাকালীন হামলা হয়েছে। হামলা করেছে এলাকারই কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভগবানপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতির ভাই দীপ্তেন্দু মাইতি। শিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান উপপ্রধান দীপ্তেন্দু মাইতি বলেন, তৃণমূলের কোনও মিটিং ছিল বলে আমার জানা নেই। আমি তো ডাক পাইনি। হামলার কোনও ঘটনা আমার জানা নেই।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি স্বপন রায় বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে তৃণমূলের (TMC)  নবজোয়ার শুরু হয়েছে। সেখানে তৃণমূল কর্মীরা গোপন ব্যালট নিয়ে প্রকাশ্যে মারামারি করছেন, কোথাও পঞ্চায়েতে চুরির  লাইসেন্স কার হাতে থাকবে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি হচ্ছে। তৃণমূলের (TMC) মারে তৃণমূল কর্মীদেরই মাথা ফাটছে। আদালতের একের পর এক রায়ে তৃণমূল নেতা কর্মীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এদের বিদায় আসন্ন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share