Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Drinking Water: বিধায়কের আশ্বাসেও আস্থা নেই, জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ

    Drinking Water: বিধায়কের আশ্বাসেও আস্থা নেই, জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে অন্ডাল ব্লকের কাজোড়া গ্রামে পানীয় জলের (Drinking Water) সংকট। রানীগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েক সপ্তাহ আগে এখানে জল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। যদিও বিধায়কের আশ্বাসে আস্থা নেই গ্রামবাসীদের, এমনটাই স্থানীয়দের একাংশ বলছেন। জল সংকটের মুখে কাজোড়া পান্ডাপাড়ার বাসিন্দারা মঙ্গলবার রাতে কাজোড়া-বহুলা প্রধান সড়ক অবরোধ করেন।  পুরুষরা রাস্তার মাঝখানে বসে এবং মহিলারা রাস্তার উপর সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান।  বিক্ষোভের জেরে ওই সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি ব্যাহত হয়। একই সঙ্গে কাজোড়া রেলগেটও বন্ধ থাকায় জ্যাম আরও বেড়ে যায়।  

    ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা কী অভিযোগ করছেন?

    গ্রামবাসী বিজয় পান্ডা, শুশান্ত পান্ডা, শুভদীপ মোদি প্রমুখ বলেন, আমাদের এলাকায় বছরের পর বছর ধরে জলের (Drinking Water) সমস্যা রয়েছে।  প্রতিটি নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত জল সংকটের নিরসন হয়নি। কয়েকদিন আগে এখানে এসেছিলেন বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জল সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। স্থানীয়রা বলেন,  এবার আর কোনও নেতার আশ্বাসে আমরা বিশ্বাস করি না। সমস্যা এতটাই গভীর যে এলাকার মানুষ প্রতিটি ফোঁটা জলের জন্য ব্যাকুল। ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের এলাকায় ট্যাঙ্কার পৌঁছায় না। ট্যাঙ্কারগুলোও অর্ধেক জল নিয়ে আসে, যে কারণে মানুষ পর্যাপ্ত জল পায় না। তাই প্রতিবাদ করা ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় নেই।  বিক্ষোভের খবর পেয়ে পৌঁছয় অন্ডাল থানার পুলিশ।  পুলিশ গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে শান্ত করে।  দীর্ঘ বিক্ষোভের পর পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ শেষ হয়।

    কী বললেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    কাজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রাণকৃষ্ট নোনিয়া বলেন, কাজোড়া গ্রাম বছরের পর বছর ধরে জলের (Drinking Water) সমস্যায় ভুগছে।  প্রতিদিন ওই এলাকায় ট্যাঙ্কারে জল সরবরাহ করা হচ্ছে।  রেলগেট সার্বক্ষণিক বন্ধ থাকায় মানুষ সঠিক সময়ে জল পাচ্ছে না, যার কারণে সমস্যা হচ্ছে।  পিএইচই ট্যাপ বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।  শীঘ্রই এলাকার জলের সংকট কেটে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hili Land Port: ট্রাকে জুলুমবাজি ও টাকা তোলার অভিযোগ, উত্তাল স্থলবন্দর, পরিবহণ দফতর ঘেরাও

    Hili Land Port: ট্রাকে জুলুমবাজি ও টাকা তোলার অভিযোগ, উত্তাল স্থলবন্দর, পরিবহণ দফতর ঘেরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিলি স্থলবন্দর (Hili Land Port) দিয়ে বাংলাদেশে রফতানির কাজে যুক্ত ট্রাক থেকে অবৈধভাবে টাকা তুলছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের আধিকারিক, এমটাই অভিযোগ ট্রাক মালিকদের। এনিয়ে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন দক্ষিণ দিনাজপুর ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি জেলাশাসককে তাঁরা একটি লিখিত অভিযোগপত্রও দেন। এমনকী আরটিও এবং এমভিআই ট্রাক মালিকদের উপর জুলুমবাজি না থামালে গাড়ির কাগজপত্র সরকারের কাছে জমা করে তারা ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওই সংগঠন। এই নিয়ে মঙ্গলবার জেলা পরিবহণ দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখান ট্রাক মালিকরা।

    কী লেখা হয়েছে ট্রাক মালিকদের অভিযোগপত্রে?

    দক্ষিণ দিনাজপুর ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগপত্রে লেখা রয়েছে, আমদানি-রফতানি ব্যবসায় (Hili Land Port) স্লট বুকিং সিস্টেম চালু হওয়ার পর থেকেই কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন লরি মালিকরা। বিগত ছয় মাস ধরে তাঁদের ব্যবসা না থাকায় চরম দুরবস্থায় পড়ে অনেকেই ইতিমধ্যে লরি বিক্রি করে ফেলেছেন। সেইসব লরি চালকদের উপর যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা চাপিয়ে দিয়েছে আরটিও এবং এমভিআই। “আরটিও ও এমভিআই অফিসারের অত্যাচার ও তাদের টাকা আদায়ের চাপে জীবন ওষ্ঠাগত। পণ্যবাহী ট্রাক পিছু ৩০০০ এবং স্টোনচিপস-এর ট্রাক পিছু ১২০০ টাকা করে টাকা আদায় করা হচ্ছে। এজেন্টের কাছে অগ্রিম এন্ট্রি না করালে রাস্তায় ট্রাক আটকে জরিমানার ভয় দেখিয়ে নগদে অনেক বেশি পরিমাণ টাকা আদায় করা হয়। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে ট্রাক মালিকরা প্রতিবাদ স্বরূপ সই সংগ্রহ করে অভিযোগপত্রের সঙ্গে দিয়েছেন।

    কী জানালেন জেলাশাসক?

    সোমবার এই ঘটনা (Hili Land Port) প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়েছে গোটা জেলাতে। অভিযোগপত্র পেয়ে সুনির্দিষ্ট দফতরে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানান জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা। তিনি বলেন, আরটিও-র বিরুদ্ধে এমন একটি লিখিত অভিযোগ তাঁর কাছে জমা পড়েছে। ঘটনার তদন্তের জন্য ইতিমধ্যে বিষয়টি ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্টকে জানানো হয়েছে। তারাই এই বিষয়টি দেখবে এবং যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drinking Water Crisis: কল আছে, জল নেই! অসহ্য কষ্টের মুখে গ্রামের গৃহবধূরা চলে যাচ্ছেন বাপেরবাড়ি!

    Drinking Water Crisis: কল আছে, জল নেই! অসহ্য কষ্টের মুখে গ্রামের গৃহবধূরা চলে যাচ্ছেন বাপেরবাড়ি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। বেলা বাড়লেই গনগনে রোদে অস্থির অবস্থা। এর মধ্যে যদি জল না মেলে? এমনই পরিস্থিতির শিকার হরিশ্চন্দ্রপুরের মানুষ। কল আছে, জল নেই! পানীয় জলের তীব্র কষ্টে (Drinking Water Crisis) ভুগছেন বাসিন্দারা। কষ্ট সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন বাড়ির স্ত্রী ও পুত্রবধূরা। ফলে দূরদূরান্ত থেকে জল আনতে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামের পুরুষ মানুষরা। পানীয় জলের সংকটের এক ভয়াবহ দৃশ্য ফুটে উঠেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের মুড়াগাছি গ্রামে। জানা গেছে, গ্রীষ্মের শুরু থেকেই পানীয় জলের সংকটে ভুগছে ওই গ্রামের প্রায় ৪০০ টি পরিবার। নলকূপ থেকে জল উঠছে না। জলের জন্য হাহাকার করছে গোটা গ্রাম। পুকুরের নোংরা জল দিয়ে চলছে বাসন মাজা ও স্নান। কেউ কেউ আবার পুকুরের জল দিয়েই করছে ভাত রান্না। গ্ৰাম থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মাঠে সেচের কাজে ব্যবহৃত সাবমার্শিবল থেকে জল নিয়ে আসছেন গ্রামের পুরুষরা। সেই জল পান করছেন পরিবারের সকলে।

    কী অভিযোগ গ্রামবাসীদের?

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই গ্রামে বছর চারেক আগে সরকার থেকে দুটো সাবমার্শিবল বসানো হলেও মাসখানেক যেতে না যেতেই সেগুলো বিকল হয়ে পড়েছে। সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে মোটর দুটি চুরি করে নিয়ে গেছে। এমনকি গ্রামে থাকা একটি সরকারি নলকূপ দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। প্রশাসনকে বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও কোনও কাজ হচ্ছে না (Drinking Water Crisis)। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মাস খানেক আগে একটি সাবমার্শিবল বসালেও তার জল পান করতে দিচ্ছেন না জমির মালিক বাবুল আক্তার বলে অভিযোগ। অপরদিকে পঞ্চায়েত সদস্য মজিবুর রহমান নিজের বাড়িতে সরকারি সাবমার্শিবল বসিয়ে একাই ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। 

    ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে দাবি

    যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ওই দুজনই। জমির মালিক বাবুল আক্তার বলেন, তাঁর জমিতে সাবমার্শিবলটি বসানো হলেও পাড়ার সবাই জল পান করছে। জল পান করতে কাউকে তিনি কখনও বাধা দেননি। তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ তুলছেন বাসিন্দারা। অপরদিকে পঞ্চায়েত সদস্য মজিবুর রহমান জানান, তিনি নিজের টাকায় বাড়িতে সাবমার্শিবল বসিয়েছেন। না জেনেই তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ (Drinking Water Crisis) করা হচ্ছে।

    কী বলছেন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ?

    হরিশ্চন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ কেরামুদ্দিন আহমেদ জানান, প্রায় দু মাস জল সংকটে (Drinking Water Crisis) ভুগছে মুড়াগাছি গ্রামের মানুষ। জলের অভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে রান্না পর্যন্ত হয় না। তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসুকে গ্ৰামের জলের সমস্যাটি লিখিত আকারে জানিয়েছেন। শীঘ্রই প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyani: হাসপাতালে ডায়ালিসিস করাতে এসে এইচআইভি আক্রান্ত পাঁচজন! জেলাজুড়ে শোরগোল

    Kalyani: হাসপাতালে ডায়ালিসিস করাতে এসে এইচআইভি আক্রান্ত পাঁচজন! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালে চিকিত্সা করাতে এসে এইচআইভি রোগে আক্রান্ত হলেন রোগী। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠল কল্যাণী (Kalyani) জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে।  হাসপাতালের ডায়ালিসিস ইউনিট থেকে এইচআইভি সংক্রমণ ছড়িয়েছে। হাসপাতালে ডায়ালিসিস পরিষেবা নিতে এসে পাঁচজন রোগী এইচআইভি সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। এমনই অভিযোগ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে লিখিত অভিযোগ করেন এক রোগী। আর এই ধরনের গুরুতর অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই অনেক রোগীর পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। অনেকে ডায়ালিসিস করাতে আসছে না বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    জানা গিয়েছে, কল্যাণী (Kalyani) জেএনএম হাসপাতালে ডায়ালিসিস নিতে আসা এক রোগী এর আগে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ করেছিলেন। মূলত ডায়ালিসিস বিভাগে অব্যবস্থা নিয়ে তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগের পর পরই স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে ডায়ালিসিস ইউনিট খতিয়ে দেখা হয়। এরপরই ওই রোগী ফের স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ডায়ালিসিস ইউনিটে একজনের সিরিঞ্জ অন্য রোগীকে চিকিত্সার কাজে ব্যবহার করা হয়। আর তারজন্যই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। পরে, শারীরীক পরীক্ষা করে জানা যায়, গত কয়েকমাসের মধ্যে এই হাসপাতালে ডায়ালিসিস নিতে আসা ৮ জনের মধ্যে ৫ জন এইচআইভিতে আক্রান্ত। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই তাঁরা সকলেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিষয়টি উপযুক্ত তদন্তের তিনি দাবি জানান।

    কী বললেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ?

    স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানোর পরই মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকে। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কল্যাণী (Kalyani) মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অভিজিত্ মুখোপাধ্যায় বলেন,  আমাদের হাসপাতালে ১০টি ডায়ালিসিস বেড রয়েছে। তারমধ্যে একটি বেড এইচআইভি রোগীর জন্য বরাদ্দ রয়েছে। আর একজনের সিরিঞ্জ অন্য রোগীকে দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। তবু, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। সুপারের নেতৃত্ব ৮ সদস্যের হাইপাওয়ার কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে কমিটি বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাইপাওয়ার কমিটি তদন্তের প্রয়োজনে যে পাঁচজন এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের পরীক্ষা করবেন। আর হাসপাতালের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Student Death: খড়্গপুর আইআইটি-র ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের রহস্যমৃত্যু! মৃতদেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ

    Student Death: খড়্গপুর আইআইটি-র ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের রহস্যমৃত্যু! মৃতদেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়্গপুর আইআইটির ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর (Student Death) ঘটনায় মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, ওই ছাত্রের দেহ কবর থেকে তুলে ফের ময়নাতদন্ত করতে হবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। শুধু তাই নয়, ময়নাতদন্তের সময় দুজনকে অবশ্যই হাজির থাকতে হবে। এঁদের মধ্যে একজন হলেন চিকিৎসক অজয় গুপ্ত, যাঁর রিপোর্টের ভিত্তিতেই এদিন হাইকোর্ট ওই চাঞ্চল্যকর নির্দেশ দিয়েছে। অন্যজন হলেন সেই চিকিৎসক, যিনি ইতিমধ্যেই মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করেছেন এবং যাঁর দেওয়া রিপোর্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ময়নাতদন্তের যাবতীয় ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকেই। বিচারপতি এদিন মন্তব্য করেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ত্রুটি আছে মনে করাতেই তিনি দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিচ্ছেন। এক মাসের মধ্যে ময়নাতদন্তের কাজ সম্পন্ন করে ৩০ শে জুন মামলাটি ফের শুনানির জন্য উঠবে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    যে ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে এই রহস্য, তাঁর নাম ফাইজন আহমেদ। অসমের তিনসুকিয়ার বাসিন্দা এই ছাত্রটি থাকতেন খড়্গপুর আইআইটির হস্টেলে। ২০২২ সালের ১৪ই অক্টোবর হস্টেলের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় (Student Death)। বি টেক থার্ড ইয়ারের ছাত্র ফাইজনকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়। পরিবারের সদস্যদের আরও অভিযোগ, ফাইজনের মাথার পিছনে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করার স্পষ্ট চিহ্ন তাঁরা দেখেছেন। সেই কারণে মাথার ওই অংশে ছিল জমাটবাঁধা রক্ত। অন্যদিকে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছিল, ওই ছাত্রটি আত্মহত্যা করেছে। তার ঘর থেকে বিষ জাতীয় ওষুধও উদ্ধার হয়েছে। এমনকী ওই ছাত্রের হাতের শিরা ছিল কাটা, এমনটাই দাবি করে পুলিশ আত্মহত্যার তত্ত্বকেই জোরালো করে। এরপরই ওই ছাত্রটির পরিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। এরপরই ঘটনার তদন্তের জন্য হাইকোর্ট বিশেষজ্ঞ কমিটি নিয়োগ করে। সেই কমিটির রিপোর্টই এদিন জমা পড়ে, যেখানে ওই ছাত্রের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরই মামলা অন্যদিকে মোড় নেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: মিথ্যা মাদক মামলা দেওয়ায় পুলিশকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: মিথ্যা মাদক মামলা দেওয়ায় পুলিশকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা মামলায় মানুষকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। মূলত দাবিমতো তোলার টাকা না পেলেই পুলিশ ওই রাস্তা অবলম্বন করে, এমন অভিযোগও প্রায়শই শোনা যায়। এই ধরনের অভিযোগ যে মিথ্যা নয়, তা প্রমাণ হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টের একটি রায়ে। মঙ্গলবার বিচারপতি শম্পা সরকার এই ধরনের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানার টাকা কোন পুলিশ কর্মী দেবেন, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনারকে। হাইকোর্ট (Calcutta High Court) স্পষ্ট করে দিয়েছে, তদন্তে যদি দেখা যায় একাধিক পুলিশ কর্মী দোষী, তাহলে জরিমানার টাকা সকলকেই দিতে হবে। আরও উল্লেখযোগ্য নির্দেশ হল, এই টাকা দিতে হবে পুলিশ কর্মীদের ব্যক্তিগতভাবে।

    কোন অভিযোগের ভিত্তিতে এই নির্দেশ?

    এই ঘটনার সঙ্গেও স্বাভাবিকভাবে জড়িয়ে পড়েছে রাজনীতি। মামলা সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী হলেন বিশাল শুক্লা। ঘটনাটি ২০২২ সালের ৯ ই মার্চের। ওইদিন বিশালকে তাঁর দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায় টিটাগড় থানার পুলিশ এবং পরের দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয় মাদক মামলায়। বিশাল শুক্লা এলাকায় কংগ্রেস কর্মী হিসেবে পরিচিত এবং বিগত পুরসভা নির্বাচনে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী রাকেশ শুক্লার নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন তিনি। এই ঘটনায় কংগ্রেস গোড়া থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছে, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে এবং বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই পুলিশ বিশাল শুক্লাকে গ্রেফতার করেছে। তাঁকে ফাঁসিয়ে দিতে মাদকের মতো জঘন্য মামলা দিয়েছে। পুলিশ বিশালের বিরুদ্ধে যে এফআইআর করেছিল, সেটিও খারিজ করার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। হাইকোর্ট (Calcutta High Court) সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে সেটি পাঠিয়ে দিয়েছে। 

    বারবার এমন ঘটনা কেন?

    এই নির্দেশের কথা প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধীরা সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণে নেমেছে। মামলাকারী কংগ্রেস কর্মীর আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচির কথায় ফিরে এসেছে তাঁকে পুলিশের মাঝ রাতে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা। তার তীব্র কটাক্ষ, বিরোধীদের কথা বলা বন্ধ করতে সরকার হাতিয়ার করছে পুলিশকেই। অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের সেই ভাইরাল ভিডিওর কথা, যেখানে তিনি পুলিশকে গাঁজা কেস দেওয়ার নিদান দিচ্ছেন। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এদিনের নির্দেশের পর পরিস্থিতি কি আদৌ বদলাবে? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: কালিয়াগঞ্জের পর এবার কালিয়াচক! নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ

    Malda: কালিয়াগঞ্জের পর এবার কালিয়াচক! নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জকাণ্ড নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। এখনও এই খুনের ঘটনার কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় চারজন এএসআইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই মঙ্গলবার সকালে মালদহের (Malda) কালিয়াচক থানার  উজিরপুরে এক নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় লোকজন মাঠের মধ্যে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে মালদহ (Malda)  মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। নাম ও পরিচয় জানার চেষ্টা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    মালদহের (Malda) কালিয়াচক থানার পাকাকোট এবং উজিরপুর গ্রামের মাঝখানে মাঠের মধ্যে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এদিন স্থানীয় লোকজন মাঠে কাজ করতে গিয়ে চাষের জমিতে ওই নাবালিকার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা গোলাপগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেন। স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, ওই কিশোরীকে গণধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, উদ্ধার হওয়া ওই কিশোরীকে আমরা কেউ চিনতে পারছি না। সম্ভবত ওই কিশোরীর অন্য কোথাও বাড়ি। দুষ্কৃতীরা এখানে নিয়ে এসে অপকর্ম করে তাকে খুন করে চলে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা প্রভাসচন্দ্র মণ্ডল বলেন, কালিয়াগঞ্জের ঘটনা আমরা খবরের কাগজে পড়ছি। টিভিতে দেখছি। এবার নিজেদের গ্রামে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে তা আশা করিনি। কারণ, এই ধরনের ঘটনা এর আগে কখনও হয়নি। ফলে, আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি। আমরা চাই, অবিলম্বে ওই নাবালিকা খুনে যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের পুলিশ খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুক। আর পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই খুনের ঘটনার সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hospital: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ১৬ মাস পরেও এমআরআই পরিষেবা চালু করা গেল না হাসপাতালে!

    Hospital: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ১৬ মাস পরেও এমআরআই পরিষেবা চালু করা গেল না হাসপাতালে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হচ্ছে না প্রতীক্ষার। অত্যাধুনিক মানের পরিকাঠামো প্রস্তুত। এক মাস আগে বালুরঘাটে এসে পৌঁছেছে যন্ত্রও। পরিষেবা চালু হচ্ছে বলে সরকারি বিজ্ঞাপনে শহর ছয়লাপ। তবুও মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ১৬ মাস পরেও এমআরআই পরিষেবা চালু করা গেল না বালুরঘাট হাসপাতালে (Hospital)। এবার হিলিয়াম গ্যাসের অভাবে ওই পরিষেবা চালু কার্যত বিশবাঁও জলে। ফলে আজও উন্নত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভিন জেলা বা কলকাতায় ছুটতে হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষকে। অর্থ বরাদ্দ, অনুমোদন, যন্ত্রপাতি সহ সব কিছুই ঠিক থাকলেও কেন আজও এল না হিলিয়াম গ্যাস, তার উত্তর মেলেনি। বরং এই নিয়ে চলছে  টালবাহানা। সীমান্ত জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গেই কেন এমন টালবাহানা চলে, উঠছে প্রশ্ন। 

    এর আগেও ঘটেছে এমন ঘটনা

    এর আগে এন্ডোস্কপি, ল্যাপারোস্কপির মতো বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে (Hospital) বছরের পর বছর ফেলে রাখা হয়েছিল। সেগুলি প্রতিস্থাপিতই করা হয়নি বা ব্যবহার করা হয়নি। পরে ওই যন্ত্রাংশগুলি কলকাতায় ফেরত পাঠানো হয়। অক্সিজেন সংযোগকারী সংস্থার উদাসীনতায় প্রায় দু বছর ধরে চালু না হয়ে পড়ে রয়েছে ২৪ বেডের সিসিইউ বিভাগ। এবারে বহু প্রতীক্ষিত এমআরআই পরিষেবাও চালু না হওয়ায় বাড়ছে ক্ষোভ।

    কী বলছেন বাসিন্দারা?

    এই বিষয়ে বালুরঘাটের এক বাসিন্দা তপন বাগচি বলেন, ‘এমআরআইয়ের জন্য নার্সিংহোমে গেলে অনেক খরচ পড়ে যায়। যখন বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এই মেশিনটি আসে, আমরা ভেবেছিলাম আর অসুবিধা হবে না। কিন্তু একমাস হতে চলল এখনও পরিষেবা চালু হল না। আমরা চাই, দ্রুত এই পরিষেবা চালু হোক।’
    প্রসঙ্গত, সীমান্তের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে বেসরকারি চিকিৎসা পরিষেবা প্রায় নেই বললেই চলে। এই জেলার অধিকাংশ মানুষই সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। অথচ বিভিন্ন সময় চিকিৎসক ও পরিকাঠামোর অভাব থাকায় জেলা থেকে রেফারের হার বেশি হয় বলে অভিযোগ। এছাড়াও বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল (Hospital) নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। যা নিয়ে প্রত্যন্ত এই জেলার মানুষকে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ বাইরের রোগীদের নিয়ে যেতে যা খরচ, তা বহন করা সম্ভব হয় না৷ আজও এই জেলায় চালু নেই এমআরআই পরিষেবা। অথচ ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসেই রায়গঞ্জ থেকে বালুরঘাট হাসপাতালে এই পরিষেবা চালু হল বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমুন্ত্রী। তার পরের দিনই বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিচতলায় একটি ঘর বরাদ্দ করা হয়। ধীরে ধীরে পরিকাঠামো গড়া হয়। চিলার মেশিন বসানো হয়। প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত মার্চ মাসেই বালুরঘাটে এসে পৌঁছয় এমআরআই মেশিন। এই মেশিন আসতেই বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার দিয়ে এই পরিষেবার বিষয়ে মানুষের সামনে প্রচার তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু আজও হিলিয়াম গ্যাস না আসায় ওই পরিষেবা চালুই হয়নি। ফলে এখনও জটিল রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে রোগীকে বাইরে নিয়ে যেতে হচ্ছে। চলছে রোগী হয়রানিও। 

    কী আশ্বাস দিলেন হাসপাতালের সুপার?

    বালুরঘাট সদর হাসপাতাল (Hospital) সুপার কৃষেন্দুবিকাশ বাগ জানান, এমআরআই মেশিন প্রতিস্থাপিত করা হয়ে গিয়েছে। কিন্ত হিলিয়াম গ্যাসের অভাবে ওই পরিষেবা চালু করা যাচ্ছে না। যে সংস্থা এই গ্যাস সরবরাহ করবে, তারা এখনও এই গ্যাস দেয়নি। কবে দেবে তাও জানা নেই। আমরাও চাইছি দ্রুত বালুরঘাট হাসপাতালে এমআরআই পরিষেবা চালু করতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SIT: রাজু ঝা খুনের তদন্তে এক ব্যবসায়ীর অফিসে তল্লাশি চালাল সিট, কী মিলল?

    SIT: রাজু ঝা খুনের তদন্তে এক ব্যবসায়ীর অফিসে তল্লাশি চালাল সিট, কী মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজু ঝা খুনের ঘটনায় ফের কয়লা মাফিয়া নারায়ণ খারকার দুর্গাপুর সিটি সেন্টার অফিসে ফের হানা দিল স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট (SIT)। প্রথমে সিটের (SIT)  আধিকারিকেরা নারায়ণ খারকার অফিসের পিছনে থাকা একটি বলেরো গাড়িতে অভিযান চালান। সেখান থেকে ল্যাপটপ এবং বেশকিছু নথিপত্র সংগ্রহ করে সিট। পরে, রাজু ঝা খুনে ধৃত অভিজিত্ মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে কয়লা মাফিয়ার অফিসে তল্লাশি চালান সিটের আধিকারিকেরা।

    নারায়ণ খারকার অফিস থেকে কী বাজেয়াপ্ত করল সিট (SIT)?

    রাজু ঝা খুনের ১৮ দিনের মাথায় অভিজিত্ মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এই খুনের পিছনে আর কারা রয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত করছে সিটের (SIT) আধিকারিকেরা। অভিজিত্ গ্রেফতার হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই খুনের ঘটনায় সিটের (SIT) সদস্যরা এর আগে পৌঁছে গিয়েছিলেন নারায়ণ খারকার অফিসে। ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলকে নিয়ে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের দুটি দোকানে তল্লাশি চালিয়েছিলেন সিটের (SIT)  তদন্তকারী আধিকারিকরা। যদিও ওই বন্ধ দোকান দুটির চাবি না মেলায় পুলিশ সিল করে। পরে, অভিজিত্ মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেন সিটের আধিকারিকেরা। সেখানেও বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেছিলেন তাঁরা। আদালতের নির্দেশে ওই ব্যবসায়ীর অফিসে তল্লাশির অনুমতি নিয়ে সোমবার ফের আসেন তদন্তকারী দল। ঘটনাস্থলে ছিলেন নারায়ণ খারকার আইনজীবীরা। অফিসের সিল খুলে সিটের আধিকারিকরা তল্লাশি শুরু করেন। ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। অভিজিত্ মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। নারায়ণ খারকার আইনজীবী পূজা কুর্মি বলেন, আমরা তদন্তকারী আধিকারিকদের সমস্তরকম সহযোগিতা করেছি। তাঁরা অফিসের ভিতরে সিসি টিভি ফুটেজের নথি সংগ্রহ করেছেন। আরও কিছু নথি তাঁরা নিয়ে গিয়েছেন। তবে, অভিজিত্ এই অফিসে কোনওদিনই কাজ করতেন না। প্রসঙ্গত, ১ এপ্রিল দুর্গাপুর থেকে কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দেন রাজু ঝা। সঙ্গে ছিল ব্রতীন ও আবদুল লতিফ। শক্তিগড়ে তাঁরা ঝালমুড়ি খেতে গাড়ি থেকে নীচে নামেন। সেই মুহূর্তে একটি নীল গাড়িতে করে আসা দুই জন শার্প শ্যুটার গাড়ির প্রথম সিটে বসে থাকা রাজুকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজু ঝা খুনের শার্প শ্যুটারদের দুর্গাপুরে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল ধৃত অভিজিৎ মণ্ডল। এবার তার সূত্র ধরেই প্রকৃত খুনির নাগাল পেতে চাইছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মমতার আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, খোঁজ রাখেনি কেউই!

    Mamata Banerjee: মমতার আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, খোঁজ রাখেনি কেউই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজকের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) তখন যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী। তারিখটা ১৯৯৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। বাম সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে রাজ্যজুড়ে। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের শাসনে একচ্ছত্র অধিপতি মজিদ মাস্টার। আর সেখানে ঢুকবেন যুব কংগ্রেস নেত্রী। তাঁর একডাকে হাজার হাজার কর্মী হাজির। সূত্র মারফত জানা যায়, সেদিন গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন জ্যোতি বসু। যার জেরে তিনজন সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারান আর জখম হন বহু। তার মধ্যে একজন ছিলেন নির্মল দাস। সেদিনের তরতাজা যুবক আজ প্রৌঢ়।

    ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন?

    তৎকালীন যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ডাকে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে জমায়েত হয়েছিলেন কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক। কাছারি ময়দানে আইন অমান্য আন্দোলন হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। কংগ্রেস নেতা সৌমেন মিত্র, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি-সহ দলের প্রথম সারির একাধিক নেতা হাজির ছিলেন যুব কংগ্রেসের সেই আন্দোলনে৷ প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন হলেও পরে তা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। তৎকালীন জেলা পুলিশ সুপার রচপাল সিংয়ের নির্দেশে পুলিশ কর্মীরা আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলিতে সেদিন গোবিন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে বারাসতের এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হন আরও অনেকে। সেই তালিকায় ছিলেন নির্মল দাসও। বসিরহাটের সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লক থেকে ম্যাটাডোর বোঝাই করে সেদিন তিনিও এসেছিলেন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দিতে। তখন তাঁর বয়স ছিল ৪৩ বছর। পালাতে গিয়ে গুলি এসে লাগে ডান পায়ে। সঙ্গে সঙ্গে মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। তাতে মারাত্মক জখম হয় চোয়ালও। এরপর গুলিবিদ্ধ ওই যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ঘটকপুকুরের কাছে এক বেসরকারি হাসপাতালে।

    চিকিৎসার খরচ মেটাতে সব গেছে

    সেখানে প্রায় তিনমাস চিকিৎসা চলে তাঁর। হাসপাতালের বিপুল খরচ মেটাতে গিয়ে একসময় সন্দেশখালির গ্রামের পৈতৃক ভিটে এবং জমিজমা সবকিছুই বিক্রি করে দিতে হয়। সাহায্য করা দূরের কথা, খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজনটুকুও মনে করেননি শাসকদলের কোনও নেতা অথবা মন্ত্রী (Mamata Banerjee)। বারাসতের রামকৃষ্ণপল্লির এক চিলতে বাড়িতে কোনওরকমে দিনযাপন করছেন নির্মল দাস। পরিবার বলতে স্ত্রী, দুই ছেলে, পুত্রবধূ, নাতনি রয়েছে তাঁর। দুই ছেলের সামান্য রোজগারে সংসার চলে না ঠিকমতো।

    দলের তরফে জোটেনি কোনও আর্থিক সাহায্য

    সেদিনের পুলিশের নির্মম গুলি চালানোর ঘটনা আজও টাটকা নির্মল দাসের স্মৃতিতে। এরপর প্রায় ২৮ বছর কেটে গিয়েছে। সেদিন যিনি বিরোধী নেত্রী ছিলেন, আজ তিনিই বাংলার মসনদে। কিন্তু রক্তাক্ত যুবক নিৰ্মল দাসের খোঁজ নিতে কেউ আসেনি। কেউ জানতে চায়নি, তিনি কি বেঁচে আছেন? থাকলেও কীভাবে? না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিন-তিনবার মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) হওয়ার পরেও কেউ আসেনি নির্মল দাসের কাছে। জোটেনি কোনও সরকারি চাকরি কিংবা দলের তরফে আর্থিক সাহায্য। তাই নিরুপায় হয়ে পরিবারের জন্য আজ তাঁকে বেছে নিতে হয়েছে ভ্যান। অশক্ত শরীর, গুলি লাগা পায়ে ভ্যান চালিয়ে দিন কাটছে ৭২ বছরের নির্মলবাবুর। জীবনের শেষবেলায় তিনি এবার মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান ৷ সুযোগ পেলে তাঁর কাছে চাকরির দরবার করবেন সেদিনের যুবক নির্মল দাস।

    ছেলের একটা চাকরি চান নির্মল দাস

    এই বিষয়ে নির্মল দাস বলেন, “সেদিনের ঘটনার পর থেকে কোনও নেতা খোঁজখবর রাখেনি। অনেকের কাছে গিয়েছি সাহায্যের জন্য। কিন্তু কিছুই মেলেনি। ইচ্ছে আছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে দেখা করব। তাঁর কাছে সাহায্যের আবেদন করতে চাই। আমার তো বয়স হয়েছে। আর কতদিনই বা বাঁচব। তার আগে যদি ছোট ছেলের একটি চাকরির ব্যবস্থা হয়, তাহলে খুব উপকার হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share